ডা. আশফাফুজ্জামান শিকদার
মানুষের খাদ্যনালীর ক্যান্সারের মধ্যে পাকস্থলীর ক্যান্সার অন্যতম। উন্নত এবং উন্নয়নশীল বিশ্বে শল্যচিকিৎসার ক্ষেত্রে এটি একটি অন্যতম সমস্যা। নীরবে নির্ভৃতে বেড়ে ওঠে এই মরণ রোগ প্রাথমিক অবস্থায় কোনোরকম উপসর্গ ছাড়াই। যখন উপসর্গ দেখা দেয়, তখন শল্যচিকিৎসকদের জন্য আর কিছুই তেমন করার থাকে না-সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এর মরণ থাবা ততদিনে। তবে সুখের বিষয় এক সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, সারা বিশ্বেই এই পাকস্থলীর ক্যান্সারের প্রকোপ কমে এসেছে। আশ্চর্যজনকভাবে তবে আমাদের দেশে এর প্রকোপ এখনো অনেক বেশি এবং প্রাথমিক অবস্থায় রোগ নির্ণয় করার অভাবে এখনো শত শত রোগী এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে প্রতি বছর।
শরীরের অন্য যে কোনো ক্যান্সারের মতোই পাকস্থলীর ক্যান্সার-এর কারণও বিশেষজ্ঞদের অজানা। বিশ্বের কোনো কোনো স্থানে এর প্রকোপ অত্যন্ত বেশি। চিলি, জাপান, আইসল্যান্ড প্রভৃতি দেশে পাকস্থলীর ক্যান্সার সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য করা যায়। পক্ষান্তরে মালয়েশিয়াতে এর প্রকোপ সবচেয়ে কম। কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ মনে কনের-কোনো দেশের ভৌগলিক অবস্থান, এর মাটির অবস্থা, বিশেষত মাটিতে জিঙ্ক এবং কপারের পরিমাণের সঙ্গেও সে দেশের পাকস্থলীর ক্যান্সারের প্রকোপের একটি সম্পর্ক রয়েছে।
মানুষের পরিপাকতন্তের যে অংশে খাদ্যবস্তু সবচেয়ে দীর্ঘদিন অবস্থান করে সেটি হল পাকস্থলী। সুতরাং খাদ্যবস্তুর প্রকারের সঙ্গেও পাকস্থলীর বিভিন্ন রোগের একটি ওতপ্রোত সম্পর্ক আছে। এ কথাটি ক্যান্সারের ব্যাপারেও সমানভাবে প্রযোজ্য। প্রচুর শর্করা, ঝাল ও মশলা, নোনামাছ ইত্যাদির সঙ্গে এই রোগের সম্পর্ক আছে বলে ধারণা করা হয়ে থাকে। পক্ষান্তরে দুধ, সবুজ শাবসব্জি, ভিটামিন সি প্রচুর পরিমাণে খেরে এই রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে।
ধমপান এবং পাকস্থলীর ক্যান্সারের একটি সম্পর্ক সপষ্টত প্রতীয়মান হয়। ধমপানকারীদের মধ্যে এই রোগের প্রকোপ খুবই বেশি দেখা যায়। তাই ধমপান থেকে বিরত হলে এই রোগের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। জাতি এবং বংশগত কারণেও পাকস্থলীর ক্যান্সার দেখা দিতে পারে। একই জাতির মধ্যে অত্যধিক প্রকোপ বা একই পরিবারের মধ্যে কয়েকজনের এই রোগ অনেক সমসয় দেখা দেয়ার কারণেই বিজ্ঞানীরা সেটি মনে করে থাকেন। প্রাথমিক অবস্থায় পাকস্থলীর ক্যান্সারের রোগ নির্ণয় কষ্টসাধ্য ব্যাপার। পূর্বেই বলেছি প্রাথমিক অবস্থায় এই রোগের তেমন কোনো উপসর্গই দেখা যায় না। ক্ষুধামন্দা এবং শরীরের ওজন কমে যাওয়া প্রায় ৯৫ ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়। অবশ্য এই উপসর্গও প্রাথমিক পর্যায়ে খুব একটা দেখা যায় না। ব্যথা, খাদ্যগ্রহণে অসুবিধা, খাদ্যগ্রহণের পরপরই বমি হয়ে যাওয়া, রক্তবমি, কালো মল ইত্যাদি উপসর্গ শুধুমাত্র শেষ পর্যায়ে দেখা দেয়। এই অবস্থায় ক্যান্সার পাকস্থলী থেকে লিভার এবং অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে প্রায় একশত ভাগ। রোগীর শারীরিক অবস্থাও ততোদিনে যথেষ্ট দুর্বল হয়ে পড়ে বিধায় শল্যচিকিৎসার সুযোগ অনেক কমে আসে। তাছাড়া পাকস্থলীর ক্যান্সার অন্য জায়গায় ছড়িয়ে পড়ার আগেই পাকস্থলী কেটে ফেলে দিতে না পারলে শল্যচিকিৎসায় এ রোগের তেমন কোনো উপকার হয় না। অনেক সময় বিভিন্ন ধরণের পাকস্থলী সম্পর্কিত উপসর্গ ছাড়াও অন্যান্য উপসর্গ দেখা দেয়। রক্তশন্যতা, পেটে পানি আসার ফলে পেট ফুলে যাওয়া, ফুসফুসে ছড়িয়ে যাওয়ার কারণে বুকে পানি আসা, শ্বাসকষ্ট হওয়া ইত্যাদি দেখা দেয়। এ অবস্থায় রোগীর মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া চিকিৎসকদের তেমন কিছুই করার থাকে না।
পাকস্থলীর ক্যান্সারের এই ভয়াবহ পরিণামের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার একমাত্র উপায় হলো এই রোগকে প্রাথমিক পর্যায়ে নির্ণয় করা। ছড়িয়ে যাওয়ার আগেই পাকস্থলী সম্পর্ণ বা আংশিক কেটে ফেলে দেয়া সম্ভব এবং এতে রোগী সাধারণত চিকিৎসকের কাছে যায় না। তবে একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার মাধ্যমে অবশ্যই এই রোগের চিকিৎসা সম্ভব। উন্নত বিশ্বে যেখানে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা একটি অত্যাবশ্যকীয় ব্যাপার, সেখানে ন্যনতম উপসর্গ ছাড়াই পাকস্থলীর ক্যান্সারের রোগ নির্ণয় এবং এর সফল চিকিৎসা করা সম্ভব হচ্ছে। এভাবেই এই মরণ রোগের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে উন্নত বিশ্বের বৃহৎ জনগোষ্ঠী।
বর্তমান বিশ্বে এন্ডোস্কোপির আবিষকার এবং এর বিস্তার পাকস্থলীর বিভিন্ন রোগের ডায়াগনোসিসকে অনেক সহজতর করেছে। এই এন্ডোস্কোপির মাধ্যমে পাকস্থলীর দেয়ালের সন্দেহজনক স্থানের বায়োপসির মাধ্যমে পাকস্থলীর ক্যান্সার অতি সহজেই নির্ণয় করা সম্ভব। তাছাড়া পাকস্থলীর বিভিন্ন ধরনের X-uc এবং কিছু রক্ত পরীক্ষাও এই রোগ নির্ণয়ে সহায়ক হয়।
এই রোগের চিকিৎসা একমাত্র শল্যচিকিৎসার মাধ্যমেই সম্ভব। প্রাথমিক অবস্থায় রোগ নির্ণয়ের সঙ্গে সঙ্গে উপযুক্ত শল্যচিকিৎসার মাধ্যমে এই মরণ রোগের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। সে জন্য নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা একটি অত্যাবশ্যকীয় ব্যাপার।
ক্যান্সার প্রতিরোধক খাবার
ডা. কুমকুম পারভীন
খাদ্যকে ক্যান্সারের বিরুদ্ধে একটি বড়ো অস্ত্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আমেরিকার ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে সব ধরনের ক্যান্সারের সঙ্গেই খাদ্যের একটা যোগ রয়েছে। সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে খাদ্য তালিকা একটু পাল্টে নিলেই ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেক কমে যায়। এসব খাদ্য ক্যান্সার তৈরির প্রক্রিয়ার ধাপগুলোতে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। এভাবেই কিছু কিছু খাদ্য ক্যান্সার উদ্রেগকারী রাসায়নিক উপাদানের কার্যক্রমকে বন্ধ করে দেয়। সাম্প্রতিকালে ১৭টি দেশের ১৭০টি স্টাডিতে দেখা গেছে যেসব লোক শাবসব্জি ও ফল বেশি খান তাদের মধ্যে ক্যান্সারের হার অনেক কম। এসব ক্যান্সারের মধ্যে আছে ফুসফুস, খাদ্যনালী, স্তন, জরায়ুমুখ, মুখগহক্ষর, পাকস্থলী, অগ্নাশয়. মত্রথলি ও ডিম্বাশয়। সাধারণত কিছু ফল ও শাকসব্জি ধমপান থেকে সৃষ্ট ফুসফুসের জটিল ক্যান্সারেও বাধা প্রদান করে।
গাজর, কুল, হলুদ ও কমলা রঙের সব্জি...
এসব সব্জি ও ফলে রয়েছে বিটাক্যারোটিন যা ক্যান্সার থেকে শরীরকে রক্ষা করে। এই বিটাক্যারোটিন গাজর, কুলসহ অন্যান্য হলুদ ও কমলা রঙের সব্জিতে পুঞ্জিভূত অবস্থায় থাকে। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণা দেখিয়েছে যে, বিটাক্যারোটিন ক্যান্সার কোষের ওপর চড়াও হয়ে তার ক্ষতিসাধন করে।
বিটাক্যারোটিন ফুসফুসে ক্যান্সারের বৃদ্ধিতেও বাধা দেয় এবং ক্যান্সার সৃষ্টিতে প্রয়োজনীয় প্রোটিনকেও পরিবর্তিত করে। ফলে ক্যান্সার কোষ প্রোটিন থেকে বঞ্চিত হয়। গবেষণা আরো বলেছে যে, বিটাক্যারোটিন শরীরে নিয়ে রেটিনোয়িক এসিডে রূপান্তরিত হয় যে, রেটিনোয়িক এসিড কিছু কিছু ক্যান্সারের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
টমেটো, তরমুজ
টমেটোর যে উপাদানটি ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় বলে চিন্তা করা হচ্ছে তা হচ্ছে লাইকোপেন। এই লাইকোপেনই টমেটোকে লাল রঙে রঞ্জিত করে।
এই লাইকোপেন তরমুজ এবং কুলেও দেখা যায়। ক্যান্সারের উদ্রেককারী অক্সিজেনমুক্ত কিছু রেডিক্যালকে এই উপাদানটি প্রশমিত করে দেয় এবং ক্যান্সারের প্রক্রিয়াকে সংকোচন করে। রক্তে লাইকোপেনের পরিমাণ কম থাকলে প্যানক্রিয়াস বা অগ্ন্যাশয়ের ঝুঁকি বেড়ে যায়। প্যানক্রিয়েসের ক্যান্সারে ভুগছে এমন লোকদের রক্তে লাইকোপেনের পরিমাণ কম দেখা যায়। রক্তে কম মাত্রার লাইকোপেনের কারণে প্যানক্রিয়াসে ক্যান্সারের ঝুঁকি প্রায় ৫ গুণ বেড়ে যায়। টমেটোজাত খাদ্যসামগ্রী যেমন-সস, পেস্ট এবং কেচাপেও রয়েছে লাইকোপেন।
সবুজ শাকসব্জি
ইতালিতে সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে গাঢ় সবুজ শাকসব্জি অনেক ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। এসব সবুজ শাকসব্জিতে রয়েছে বিটাক্যারোটিন, ফোলেট, লিউটেইন। যে শাকসব্জি যতো সবুজ তাতে ততোবেশি ক্যান্সারবিরোধী উপাদান রয়েছে।
রসুন, পিয়াজ
রসুন, পিয়াজজাতীয় সব্জিতে এমন কিছু রাসায়নিক উপাদান রয়েছে যা খাদ্যনালী, পাকস্থলী, ফুসফুস এবং যকৃতের ক্যান্সার প্রতিহত করে। গবেষণায় দেখা গেছে, রসুনের নির্যাস স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি শতকরা প্রায় ৭১ ভাগ কমিয়ে দেয়। এছাড়া রসুন খাদ্যনালী ও পাকস্থলীর ক্যান্সার কমাতেও সাহায্য করে। রসুনের উপাদান ক্যান্সারের বিস্তারেও বাধা দেয়। এছাড়া রসুন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। রসুনের মধ্যে বিদ্যমান সালফার উপাদান রক্তের ম্যাক্রোফেস ও টিলিস্ফোসাইটের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং ক্যান্সার কোষকে ধ্বংস করে দেয়।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল
কমলা, লেবু, আঙুর-এজাতীয় ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফলে রয়েছে ক্যান্সার প্রতিরোধকারী ক্ষমতা। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল প্যানক্রিয়াসের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে বিশেষভাবে সাহায্য করে।
সুইডিশ গবেষকদের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, যারা প্রতিদিন কিছু না কিছু ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল খায় তাদের প্যানক্রিয়াসের ক্যান্সারের ঝুঁকিও প্রতিদিন প্রায় অর্ধেক বা দুই-তৃতীয়াংশ কমে যায়।
বাঁধাকপি, ফুলকপি, শালগম ইত্যাদি
এজাতীয় সব্জি স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। এসব সব্জির সঙ্গে অল্প চর্বিযুক্ত খাবার খেলে স্তন ক্যান্সারের প্রকোপ আরো বেশি কমে যায়। এ জাতীয় সব্জি অল্প সিদ্ধ করে খেলেই উপকার বেশি। অতিরিক্ত সিদ্ধ করার ফলে সব্জির উপাদান যেমন ইনডোল নষ্ট হয়ে যায়। এই ইনডোলই ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। এছাড়া পাকস্থলী ও খাদ্যনালীর ক্যান্সার কমাতেও এ জাতীয় সব্জি ভালো ভূমিকা রাখে। এই সব্জি গ্রহণের অভ্যাস থেকে খাদ্যনালীর ক্যান্সারের ঝুঁকি প্রায় ৭০ ভাগ কমে যায়।
সয়াবিন
সয়াবিনে কমপক্ষে ৫টি উপাদান রয়েছে যা ক্যান্সার কমায় বলে বিশ্বাস করা হয়। এসবের মধ্যে একটি উপাদানের রাসায়নিক চরিত্র স্তন ক্যান্সারে ব্যবহৃত ওষুধ টেমোক্সিফেন-এর মতো। প্রাণীর ওপর গবেষণায় দেখা গেছে, সয়াবিন, কোলন, ত্বক এবং অন্যান্য ক্যান্সারকে রোধ করে।
গমের ভুসি
গমের ভুসি বৃহদান্তের ক্যান্সার ঝুঁকি কমায়। এ তথ্যটি জানিয়েছেন নিউইয়র্কের কয়েকজন গবেষক। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় গমের উপস্থিতি মানেই প্রাক ক্যান্সারধর্মী খাদ্যনালীর ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে যাওয়া। মাত্র ৬ মাসের মধ্যেই সামান্য পরিমাণ এ খাবার ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে দারুণভাবে সাহায্য করে।
স্বল্প চর্বিসম্পন্ন দুধ
স্বল্প চর্বিসম্পন্ন দুধ ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। গবেষকরা আরো মনে করছেন দুধে অবস্থিত ক্যালসিয়াম, রিবোফ্ল্যাবিন অথবা ভিটামিন-এ, সি, ডি ক্যান্সারের বিরুদ্ধে কাজ করে। ক্যান্সার প্রতিরোধী এসব খাবার থেকে প্রতিদিন কিছু না কিছু খাবার গ্রহণ করুন। এতে আপনার ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে আসবে। ইউএস ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউট আরো সুপারিশ করে বলেছে প্রতিদিন আধাকাপ রান্না করা শাকসব্জি বা ফল, এককাপ সবুজ সব্জি, মাঝামাঝি ধরনের এক টুকরো ফল অথবা ৬ আউন্স ফলের রস অথবা ভেজিটেবল জুস খাবার তালিকায় রাখার জন্য। ক্যান্সার প্রতিরোধে আদর্শ খাবার হচ্ছে কম চর্বিযুক্ত, আঁশযুক্ত পুষ্টিকর উপাদান; যেমন-ফল, শাকসব্জি, শস্যদানা, বীজ ও বাদাম ইত্যাদি।