সেক্স এক্সিবিশনিজমঃ যৌনাঙ্গ প্রদর্শন

কোন মন্তব্য নেই
মনোজগত প্রতিবেদন
আপনি আশপাশে যৌনাঙ্গ জনসমক্ষে প্রদর্শনের ঘটনার কথা শুনে থাকবেন। বিশেষ করে মেয়েদের হোস্টেলে, স্কুল, কলেজ এলাকায় এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। এমনকি থানাতেও এ ধরনের অসংযত আচরণের অভিযোগ এসে থাকে। এক্সিবিশনিজমের মাত্রা বা প্রাবল্যতার হার কত তা বলার কোনো তথ্য নেই। নানান হাসপাতাল রিপোর্ট গবেষণা করে দেখা গেছে নানান যৌন বিকৃতির মাঝে এটি বেশ দেখা যায়। অসংযত যৌনাচরণের কারণে মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের কাছে পাঠানো হয়েছে এদের প্রতি তিনজনের একজনকে এক্সিবিশনিস্ট হতে দেখা গেছে.....

স্পট গুলশান
গুলশানের তিন নম্বর রোডের ১৭ নম্বর গলি। গলির শেষ প্রান্তে একটা কিন্ডার গার্টেন। পাশেই খালি মাঠ আর কয়েকটা বিদেশী সংস্থার অফিস। গলি দিয়ে তেমন একটা বেশি লোকজন যাতায়াত করে না। বাচ্চাকে স্কুলে নিয়ে যেতে এসে অনেক মা মাঠের এক কোণায় গল্পে মেতে ওঠেন। প্রতিদিনকার ঘটনা। একদিন এক সুদর্শন যুবক তাদের স্থান হতে কিছুটা দরে অবস্থান নিলো। মেয়ে থাকলে পুরুষ আসবে এর মাঝে তো কোনো অস্বাভাবিকতা নেই। কিন্তু ঘটনাক্রম একটু ভিন্ন। যুবক কেবলমাত্র কিছুক্ষণের মাঝেই প্যান্টের চেইন খুলে তার উদ্রিক্ত গোপনাঙ্গ বের করে আনলো, প্রদর্শন অনেকটা ফ্যাশন শো’র মত। এ পর্যায়ে সে বাড়তি কসরত দেখাতে শুরু করলো। সামনের মেয়েরা একদম বিস্ময় আর অপমানে ভরে গেলো। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই এ সুদর্শন নায়ক স্থান ত্যাগ করলো। কাউকে জানানোর আগেই ঘটনার যবনিকা ঘটে গেলো। সুদর্শন যুবক আসলে এখানে তার একটা বিকৃত যৌনচর্চা করে গেলো। এর নাম এক্সিবিশনিজম বা প্রদর্শনকাম। আধুনিক যৌন গবেষকরা বলছেন এ বিকৃত যৌনতা আমাদের অনেকের মাঝে কম বেশি মাত্রায় দেখা যায়। কিছু লোকের বেলাতে এর উপস্থিতি একদম প্রকট মাত্রায়। সমস্যা এদের নিয়েই। দর্শনকাম বা এক্সিবিশনিজম এরা প্রদর্শন করেই আনন্দ তৃপ্তি পেয়ে থাকে। এ তৃপ্তি হলো একদম চরমতৃপ্তি বা অর্গাজম। যৌনতার স্বাভাবিক ধারা হলো সঙ্গমের পথ ধরে চরমপুলক লাভ। কিন্তু্তু এ এক্সিবিশনিস্টরা যৌনপুলকের জন্য সঙ্গমের ধার ধারে না বা এর কোনো গুরুত্বই নেই এদের কাছে। স্বাভাবিক সহজ ব্যাপার এরা সহজাত যৌনাচার হতে বিকৃত। আসলে এরা বিকৃত যৌনতায় ভুগছে। এ বিকৃত যৌনতার নাম হলো প্রদর্শনকাম।
কেবলমাত্র তখন
  • কেউ যদি জনসমক্ষে তার যৌনাঙ্গ প্রদর্শন করে তাহলেই কি প্রদর্শনকাম? কোনো ব্যক্তিকে এক্সিবিশনিস্ট বলার আগে কিছু ব্যাপার দেখতে হবে-
  • যৌনাঙ্গ জনসমক্ষে উন্মোচিত করার ঘটনা বার বার ঘটতে হবে। মানে এটি তার অনেকটা অভ্যাসের মত। সবসময় আর সুযোগ আসলে কোনোভাবেই হাত ছাড়া করে না।
  • সে তা উন্মোচিত করে থাকে অপরিচিত অচেনা লোকজনের সামনে। তার পছন্দ মহিলা, মহিলাদের সাথে ছোট ছেলে- মেয়ে থাকলেও।
  • উন্মোচন প্রক্রিয়া ঘটে থাকে অনেকটা অকস্মাৎ আর আচমকা। সামনের লোকেরা ঘটনার প্রাক কোনো সত্রই খুঁজে পায় না। তারা অপ্রস্তুত বনে যান।
  • সে কেবলমাত্র যৌনাঙ্গ প্রদর্শন করেই ক্ষান্ত হতে পারে না,জনসমক্ষে হস্তমৈথুন প্রক্রিয়াও সেরে নিতে পারে।
  • সে যৌনাঙ্গ প্রদর্শনের মাধ্যমে একদম যৌনতার চরমতৃপ্তি পেয়ে থাকে।
  • তার কাছে এ ভিন্ন ধারার যৌনসুখ আস্বাদনে এর কোনো বিকল্প নেই। সে কারোর ওপর যৌনতার জন্য সওয়ার হয় না। তার সিদ্ধি শেষে নিজ হতে সরে যায়।
  • অনেক ক্ষেত্রে অনেক পুরুষ কেবলমাত্র দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য যৌনাঙ্গ প্রদর্শন করে থাকে। এটিকে এক্সিবিশনিজ? বলা যাবে না। বড় জোর বলা যাবে অসংযত আচরণ। কারণ কোনো প্রকার যৌনতৃপ্তি অন্ব্বেষণ এর পেছনে সংশিস্নষ্ট নয়। সে স্রেফ দৃষ্টি আকর্ষণের নিমিত্তে এমনটি করে থাকে।
মাত্রা আর প্রকটতা
আপনি আশপাশে যৌনাঙ্গ জনসমক্ষে প্রদর্শনের ঘটনার কথা শুনে থাকবেন। বিশেষ করে মেয়েদের হোস্টেলে, স্কুল, কলেজ এলাকায় এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। এমনকি থানাতেও এ ধরনের অসংযত আচরণের অভিযোগ এসে থাকে। এক্সিবিশনিজমের মাত্রা বা প্রাবল্যতার হার কত তা বলার কোনো তথ্য নেই। নানান হাসপাতাল রিপোর্ট গবেষণা করে দেখা গেছে নানান যৌন বিকৃতির মাঝে এটি বেশ দেখা যায়। অসংযত যৌনাচরণের কারণে মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের কাছে পাঠানো হয়েছে এদের প্রতি তিনজনের একজনকে এক্সিবিশনিস্ট হতে দেখা গেছে। এমনকি অসংযত যৌনাচরণ মামলা হয়েছে তাতে প্রতি চারটার একটাতে এ প্রদর্শনকাম দেখা গেছে। উল্লেখ্য যে, এ ঘটনা নতুন নয়, একদম মানব সভ্যতার বিকাশকাল হতে এ ধরনের বিকৃতি ছিল। তবে সপ্তদশ শতাব্দি হতে এ নিয়ে বিজ্ঞান গবেষণা শুরু হয়। ১৮৭৭ সালে জার্মান মনোচিকিৎসক লেসিগ এর নাম দেন এক্সিবিশনিজম। এর এক যুগ পরে ১৮৮৮ সালে ক্র্যাফট আর এবলিং এর ওপরে প্রচুর বাস্তব গবেষণা চালান।
ঘটনাক্রম
এ বিকৃত যৌনাচারীরা তাদের টার্গেট হিসেবে মহিলাদেরই বেছে নেয়। অনেকে মহিলা আর ছোট ছেলে মেয়েদের নির্বাচিত করে থাকেন। লক্ষ্য সাধনের জন্য কোনো বিশেষ জায়গা নির্বাচন করে নেয়। তা কোনো রাস্তা, পার্ক, এমনকি ট্রেন, বাসও হতে পারে। এরা অচেনা অপরিচিত লোকদের সামনে আচমকা ঘটনা ঘটায়। একদল কেবলমাত্র উদ্রিক্ত লিঙ্গই দেখায় না। পাশাপাশি মাস্টারবেশন করে থাকে। এভাবে আচমকা অপ্রস্তুতভাবে পুরুষ যৌনাঙ্গ দর্শনে অচেনা আগন্তুক মহিলার মনের যে প্রতিক্রিয়া সেটিকে সে যৌন উত্তেজনার চিহ্ন ভেবে নেয়। যারা পরবর্তীতে মাস্টারবেশন করে থাকে তারা এটি স্মরণ করে যৌনাকাক্ষা চরিতার্থ করে। স্বাভাবিক যৌনসঙ্গম কোনো গুরুত্বই বহন করে না এদের কাছে।
বিকৃতির নেপথ্য
ব্যক্তি আচমকা এমন ঘটনা ঘটায় কেনো? আসলে এর আগে ব্যক্তির মনের মাঝে এক ধরনের টেনশন জমতে থাকে যা ক্রমেই বাড়তে থাকে। এ উত্তেজনাকালে ব্যক্তি আশপাশের লোকজন হতে আবেগ প্রতিক্রিয়া প্রত্যাশা করে। এ প্রতিক্রিয়ার মাত্রা কেমন হবে তা এক এক জনের বেলাতে এক এক চাহিদা। কেউ কেউ অচেনা অপরিচিত লোকজনের দৃষ্টি কেড়েছেন বা তারা একটু হেসেছেন তাতেই সন্তু্তুষ্ট। অনেকে চান তারা বিস্ময়বিভূত হবে, পাশাপাশি মর্মাহত হবে। গবেষকরা প্রদর্শনকামীদের মাঝে দুটো দলের সন্ধান পেয়েছেন। একদল একদম ঠান্ডা নরম মেজাজের, এরা যৌনাঙ্গ উন্মোচনে মনের আকাক্ষাকে অবদমনের প্রয়াস চালায় অনেক মাত্রায়, এরা যৌনাঙ্গ উন্মোচনের পর পরেই এক ধরনের অপরাধবোধে ভুগতে থাকে। এদের অনেকে অনুদ্রিক শিথিল পুরুষাঙ্গ দেখিয়ে থাকে।
অপরদল আগ্রাসী মনোবৃত্তিসম্পন্ন, এদের অনেকের মাঝে এন্টি সোশ্যাল পার্সোনালিটি ট্রেট প্রকট হতে দেখা যায়। তারা কেবলমাত্র উদ্রিক্ত পুরুষাঙ্গই উন্মোচিত করে না, জনসমক্ষে হস্তমৈথুন করে থাকে। সামনে অচেনা অজানা লোকগুলোর প্রতিক্রিয়া তার মনের মাঝে আনন্দের বন্যা বয়ে দেয়। এটা নিয়ে সে কখনোই কোনো ধরনের অপরাধবোধে ভোগে না।
কারো কারো বেলাতে এটি একক বিকৃতি হিসেবে প্রকাশ পায়। অনেকের বেলাতে তা অন্যান্য নানান যৌনবিকৃতির পাশাপাশি সহ অবস্থান করে থাকে। এ ধরনের একটা হিসেব পিপিংটম আর এক্সিবিশনিজম এর মধ্যে অপরটা হল ফোন ব্যবহারকারীদের মাঝে। পরবর্তীতে এ প্রসঙ্গে আলোকপাত করা হবে।
পরিচিত প্রোফাইল
  • পুরুষদের মাঝেই এর প্রকোপ বেশি। মহিলাদের সংখ্যা কম হলেও একদম বিরল নয়।
  • যে কোনো বয়সে হতে পারে। তবে বিশ হতে চলিস্নশ বছর বয়সীদের মাঝেই এটি বেশি দেখা যায়।
  • মজার ব্যাপার হল এদের প্রতি তিনজনের দু’জনই বিবাহিত হতে দেখা গেছে।
  • কোনো কোনো ব্যক্তি নিয়মিতভাবে এ যৌনাচার করে থাকেন। অপর একদলের বেলাতে এটি সময় সময় হতে দেখা গেছে। যখন এরা প্রচন্ড মানসিক চাপগ্রস্ত অবস্থায় থাকে কেবলমাত্র তখন এ বিকৃত যৌনচর্চা করে থাকে। বাদবাকি অন্য সময়ে এরা স্বাভাবিক যৌনাচার দেখিয়ে থাকে।
  • মহিলাদের বেলাতে যারা এ বিকৃত যৌনাচারে আসক্ত, তারা মলত জনসমক্ষে স্তন উন্মোচিত করে থাকে। অচেনা আগন্তু্তুকের সামনে গোপনাঙ্গ উন্মোচন করে থাকে এদের সংখ্যা আরও কম।
কেনো এ বিকৃতি?
যারা এ যৌন বিকৃতিতে ভুগে থাকে তাদের এ বিকৃতির মল কার্যকারণ কি? গবেষকরা এদের ব্যক্তিত্ব বৈশিষ্ট্য হতে শুরু করে পরিবার ধরন, শৈশব অভিজ্ঞতা ইত্যাদিতে নানান ঘাটতি দেখতে পেয়েছেন। এদের যৌন দৃষ্টিভঙ্গি বিকাশ ত্রুটিপূর্ণ এবং অপর্যাপ্ত। এদের ব্যক্তিত্ব এতটা দুর্বল ধাঁচের, আশপাশের লোকজনদের দৃষ্টি আকর্ষণের একটা প্রবল মাত্রার আকুতি কাজ করে এদের বেলাতে। অনেকে এমন পরিবার থেকে বেড়ে উঠেছে যেখানে নানান ধর্মীয় অনুশীলনে অতিমাত্রায় গোড়ামি দেখিয়ে থাকে। কতকক্ষেত্রে মাত্রাকে অতিমাত্রায় প্রকট কর্তৃত্বসম্পন্ন হতে দেখা গেছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এ বিকৃতি কোনো একটা মল মানসিক রোগের উপসর্গ হিসেবে প্রকাশ পায়।
গবেষক ফ্রয়েড এর কার্যকারণ ব্যাখ্যা দেন এদের মনোযৌন বিকাশে ও ডিপাল কমপেস্নক্স দশা অমীমাংসিত থেকে যায়। এরা এতে আঁটকে যায়। বয়সের দিক হতে শরীর বাড়লেও যৌনতার মনোদৃষ্টিভঙ্গি শৈশবের সে পর্যায়টিতে আটকে থাকে। অনেকের বেলাতে মনোবিকাশ আপাতভাবে স্বাভাবিক মনে হলেও মানসিক চাপের সময় এ ঘাটতি আর অপর্যাপ্ততা প্রকাশ পায়।
মনোযোগ বিকাশে ওডিপাল কমপেস্নক্স হলো এমন একটা পর্যায় যখন শিশু মায়ের প্রতি যৌন আকর্ষণবোধ করে ও পিতাকে তার এ কামনায় প্রধান প্রতিবন্ধক মনে করে। শিশু এক পর্যায়ে পিতাকে হত্যা করার পর্যাপ্ত পরিকল্পনা নেয়। এ জটিল মনের অবস্থার সহজাত অবলুপ্তি ঘটে ঠিক এভাবে শিশুকে পিতার মত করে গড়ে উঠতে হবে। তা না হলে এক সময় মাতার মত কোনো মহিলাকে বিয়ে করতে পারবে। এটিই সহজাত সাবলীল বিকাশ। কিন্তু অনেক শিশুর বেলাতে বিকাশ এ শেষপ্রান্ত অবধি আসতে পারে না। নানান মনোঘাটতির মাঝে যৌনতার এ বিকৃতি দেখা যায় এদের মাঝে।
কোনো কোনো গবেষক বলে থাকেন, এ বিকৃতি দলের অনেককেই শৈশবে মাতার সাথে অস্বাভাবিক প্রগাঢ়মাত্রার সম্পর্ক রাখতে দেখা গেছে। পাশপাশি অতিরিক্ত মাত্রায় নিষিক্রয় পিতার সাথে তেমন কোনো মিথসিত্মক্রয়তা পায়নি।
মজার দিক হলো অনেক শিশু শৈশবকালেই যৌনাঙ্গ উন্মুক্ত করার প্রদর্শন কামুক প্রবণতা দেখিয়ে থাকে। এদের সবাইকে কিন্তু্তু পরবর্তীতে প্রদর্শনকামী হতে দেখা যায়। সাইকোলজিস্টরা বলে থাকেন মল ঘাটতি তার ব্যক্তিত্বের গঠন কাঠামোতে। এদের মাঝে আত্মবিশ্বাস আর আত্মপ্রত্যয় যা অপর্যাপ্ত। সবার সাথে যে সম্পর্ক তা একদম নিষিক্রয় ধাঁচের। কারোরই সাথে স্বাচ্ছন্দ্য সাবলীল সম্পর্ক গড়তে পারে না।
প্রৌঢ় আর বার্ধক্য দশায় যে প্রদর্শনকামীতে দেখা যায় অনেক ক্ষেত্রেই তা অন্য কোনো অর্গানিক রোগের উপসর্গ হিসেবে প্রকাশ পায়। যেমন ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রূংশতা রোগের কারণে ব্যক্তি সামাজিক অনুশাসন ভুলে যায়। কাল হয়তবা মনের অগোচরে এমন অসংযত আচরণে মেতে ওঠে। গবেষণাতে দেখা গেছে যারা প্রদর্শনকামী নয় কিন্তু্তু মনের মাঝে এমন চিন্তা ঘোরাফেরা করা যা ব্যক্তির নিয়ন্ত্রণাধীন। এ্যালকোহল পানে এ নিয়ন্ত্রণক্ষমতা নষ্ট হয়ে তার প্রকাশ ঘটে যেতে পারে অনেক ক্ষেত্রেই। পাশ্চাত্য সমাজে এ্যালকোহল সেবন অত্যন্ত সাধারণ ব্যাপার।
চিকিৎসা
এ ধরনের যৌন সমস্যার সমাধান মনোরোগ বিশেষজ্ঞরাই করে থাকেন। প্রথমে রোগীর উপসর্গগুলোকে বিশেস্নষণ করে দেখা যায় যদি রোগীর মাঝে বিষণ্নতা রোগ, স্মৃতিভ্রূংশতা, এ্যালকোহল আসক্তি-এ জাতীয় সমস্যা দেখা যায়, তাহলে প্রথমে তাদের সমাধানের প্রয়াস চালানো হয়। যদি এটি অন্য রোগের উপসর্গ হিসেবে প্রকাশ পায়, সেসব ক্ষেত্রে চিকিৎসার ফলাফল খুবই ইতিবাচক। অনেক মনোচিকিৎসক এতে সাইকোএনালাইসিস, কাউন্সিলিং, গ্রুপ থেরাপি, কভার্ট সেনসিটাইজেশন ইত্যাদির পরামর্শ দিয়ে থাকেন। দর্শনকামের চিকিৎসায় এরা কতটা ফলপ্রস এমন কোনো রিপোর্ট পাওয়া যায়নি।
মনোচিকিৎসকদের একদল সাইপ্রোটেরন নামের ওষুধ ব্যবহার করে থাকেন এদের বেলাতে এ ওষুধটি মলত প্রদর্শনকামের তাড়না কিছুটা মাত্রায় কমিয়ে থাকে। তবে ওষুধ নির্ভরতা ঘটে যায় অনেক ক্ষেত্রেই। কাক্ষিত মাত্রার ফলাফল পাওয়া যায় না। প্রদর্শনকামিতা নিয়ে একদম সর্বশেষ রিপোর্ট হলো-পুরোমাত্রায় ভাল করা না গেলেও অনেক মাত্রায় নিয়ন্ত্রণ করা যায়। রোগীর মনে অবশ্যই জানা থাকা চাই জনসমক্ষে গোপনাঙ্গ বের করা একটা দন্ডনীয় অপরাধ-ইনডিসেন্ট এক্সপোজার।
বিষয়ঃ মাসিক মনোজগত    বিষয়ঃ মাসিক মনোজগত 
মনোজগত : এপ্রিল, ২০০৪
 ফেসবুকে  ব্লগারের সাথে ফেসবুকে যোগাযোগ করুণ 

মনোজগত : মে, ২০০৪
 ফেসবুকে  ব্লগারের সাথে ফেসবুকে যোগাযোগ করুণ  


আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুণ।

 এই ব্লগে পড়তে কি সমস্যা হয়?আপনার কি টাকা বেশি খরচ হয়ে যায়?

কোন মন্তব্য নেই :