হেপাটাইটিস-বি

কোন মন্তব্য নেই
বাংলাদেশের এমন কোনো পরিবার নেই যাদের ঘরে কোনো না কোনো সময়ে কোনো না কোনো আত্মীয় জন্ডিসে আক্রানত্ম হয়নি। সাধারণত ঘরে ঘরে যে জন্ডিস দেখা যায় তার অন্যতম কারণ একটি ভাইরাসের পরিবার। এই পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসাবিজ্ঞানীগণ  হেপাটাইটিস-এ, হেপাটাইটিস-বি, হেপাটাইটিস-সি, হেপাটাইটিস-ডি,  হেপাটাইটিস-ই এই নামকরণে ভূষিত করেছেন। এই পরিবারের সদস্যগণকে প্রধানত দুই ভাগে বিভক্ত করা যায়। (১) হেপাটাইটিস-এ ও  হেপাটাইটিস-ই ভাইরাস (২) হেপাটাইটিস-বি, হেপাটাইটিস-সি এবং  হেপাটাইটিস-ডি ভাইরাস।
হেপাটাইটিস-এ জনিত ভাইরাল হেপাটাইটিস হলে বেশির ভাগ সময়ই  রোগী বুঝতে পারে না, কখন কীভাবে লিভারের ভেতরে ভাইরাস প্রবেশ করেছে। উন্নয়নশীল দেশে হেপাটাইটিস-এ ভাইরাস ১-৫ বছরের মধ্যে শিশুর দেহে সংক্রমিত হয়। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে যে সমসত্ম শিশু নিদারুণ অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বড় হয় এবং তাদের মধ্যে শতকরা ৯০ ভাগের দেহেই এই ভাইরাস সংক্রমিত হয় শিশু বয়সে এবং  বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই জন্ডিস হয় না। ফলে অভিভাবকগণ জানতেই পারে না কখন এই ভাইরাসে আক্রানত্ম হয়েছে। শুধুমাত্র শতকরা ১০-২০ ভাগ শিশু এই ভাইরাসে আক্রানত্ম হলে জন্ডিস দেখা যায়। হেপাটাইটিস-এ ভাইরাসের ন্যায় হেপাটাইটিস-ই ভাইরাসও দূষিত পানি এবং খাবারের সাথে সংক্রমিত হয়। খাবার পানি যখন পয়ঃনালির সাথে সংমিশ্রিত হয় তখনই এই জন্ডিসের আক্রমণ দেখা যায়। বাংলাদেশে শুষ্ক মৌসুমে যখন বিশুদ্ধ খাবার পানির অভাব অথবা বর্ষা মৌসুমে যখন বিশুদ্ধ পানি পাওয়াই যায় না তখন এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মহামারি আকারে দেখা  দেয়। তাছাড়া সারা বছর ধরে হেপাটাইটিস-ই ভাইরাসজনিত জন্ডিস দূষিত পানি পানের ফলে গ্রামাঞ্চল কিংবা শহর এলাকায় লেগেই থাকে। হেপাটাইটিস-ই ভাইরাসজনিত জন্ডিস যদিও দীর্ঘমেয়াদি লিভারে প্রদাহ করে না। তবে কোনো কোনো সময় লিভার ফেইলিওর বা মৃত্যুর জন্যও দায়ী থাকে। বিশেষ করে গর্ভবতী মা যদি হেপাটাইটিস-ই ভাইরাসে আক্রানত্ম হয় তাহলে তার জটিলতা বেশি দেখা যায়।
মারাত্মক এই ব্যাধির গুরুত্ব অনুধাবন করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রতি বছর ২৮ জুলাইকে World Hepatitis Day হিসেবে ঘোষণা করেছে।
নিম্নে হেপাটাইটিস ‘বি’ ও ‘সি’ ভাইরাসের তথ্য সংক্ষেপে বর্ণনা করা হলো-
হেপাটাইটিস ‘বি’ ভাইরাস
বিশ্বব্যাপী হেপাটাইটিস ‘বি’ ভাইরাস একটি মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর আচার-আচরণ, অভ্যাস, সামাজিক প্রথা, পরিবেশ, ধর্মীয় মূল্যবোধ ইত্যাদির উপরে এই ভাইরাসের উপস্থিতি ভিন্ন রকম। এসব বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে সারা বিশ্বকে মোট তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে যেমন উচ্চ, মধ্যম ও নিম্ন আক্রানত্ম এলাকা। বাংলাদেশ মধ্যম আক্রানত্ম এলাকা হিসেবে পরিগণিত হয়। হেপাটাইটিস ‘বি’ ভাইরাসে সাধারণ জন্ডিস থেকে লিভার সিরোসিস এমনকি লিভার ক্যান্সারও হতে পারে।
রক্ত এবং রক্তজাত পদার্থ মূলত এই ভাইরাসের বাহক। প্রাথমিক পর্যায়ে এই ভাইরাসে আক্রানত্ম রোগী সাধারণত কোনো লক্ষণ বহন করে না, অথচ এদের মাধ্যমে অন্যরা সংক্রমিত হতে পারে। বিভিন্ন গবেষণায়  দেখা গেছে রক্তরস, লালা এবং বীর্য এক দেহ থেকে অন্য দেহে ভাইরাস বিসত্মারে সহায়তা করে। আক্রানত্ম মায়ের শিশুসনত্মান, আক্রানত্ম পরিবারের অন্যান্য সদস্য, বহুবার রক্তগ্রহণকারী রোগী, মাদকাসক্ত ব্যক্তি, মানসিক অবসাদগ্রসত্ম ব্যক্তি, স্বাস্থ্য-সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান তথা হাসপাতালে কর্মরত ব্যক্তিবর্গ যেমন ডাক্তার, নার্স, ল্যাবরেটরিতে কর্মরত ব্যক্তিবর্গ, দনত্মরোগের চিকিৎসকগণ এই ভাইরাসে আক্রানত্ম হওয়ার জন্য অত্যধিক ঝুঁকিপূর্ণ।
আকুপাংচার, মুসলমানি, নাক, কান ফুঁড়ানো, সিরিঞ্জ, সুচ, হাসপাতালের যন্ত্রপাতি, দনত্ম চিকিৎসার ক্ষেত্রে ব্যবহার্য যন্ত্রপাতি, নাপিতের ক্ষুর ইত্যাদি ভাগাভাগি করে ব্যবহার করার মাধ্যমে হেপাটাইটিস ‘বি’ ছড়ায়।
হেপাটাইটিস ‘বি’ ভাইরাস, এইডস-এর ভাইরাস (এইচআইভি) এবং  হেপাটাইটিস ‘সি’ ভাইরাসের মতোই যৌনমিলনের মাধ্যমে বিসত্মার লাভ করে। পুরুষ সমকামী এবং পতিতাদের মাধ্যমে সমাজে দ্রুত এই ভাইরাস বিসত্মার লাভ করে। কোন বয়সে একজন ব্যক্তি হেপাটাইটিস ‘বি’ ভাইরাসে আক্রানত্ম হলো তার ওপর এই রোগের প্রকৃতি নির্ভর করে।
গর্ভাবস্থা বিশেষত গর্ভাবস্থার তৃতীয় সত্মর (থার্ড টাইমেস্টার)-এ মা ভাইরাস বহনকারী হলে পরবর্তীতে জন্মগ্রহণকারী শিশুর মধ্যে শতকরা ৯০ ভাগ  ক্ষেত্রে হেপাটাইটিস ‘বি’ ভাইরাস বিসত্মার লাভ করে। প্রসবকালীন সময় এবং সত্মন্যদানকালীন সময়েও এই ভাইরাসের বিসত্মার লাভ করার সমূহ সম্ভাবনা থেকে যায়। যদি শিশু বয়সে কেউ এই ভাইরাসে আক্রানত্ম হয় তার ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি লিভার রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়-যার চূড়ানত্ম পরিণতি অকালমৃত্যু। অন্যদিকে বয়স্ক লোকের বেলায় এই হার মাত্র শতকরা ৫-১০ ভাগ।
বাংলাদেশে আপাত দৃষ্টিতে সুস্থ মানুষের মধ্যে শতকরা ৪.৪-৭.৫ ভাগ এই ভাইরাস বহন করে। সুতরাং এটা অনুমিত যে, বাংলাদেশে বর্তমানে গড়ে ৮৫ লাখ লোক দীর্ঘস্থায়ী হেপাটাইটিস ‘বি’ ভাইরাসে আক্রানত্ম। আমাদের দেশে সাধারণ জনগোষ্ঠী যাদের কোনো রোগের লক্ষণ নেই শুধুমাত্র রুটিন স্বাস্থ্য পরীক্ষা বা টিকা নেয়ার জন্য স্ক্রিনিং পরীক্ষা করাতে গিয়ে ‘এইচবিএসএজি’ ধরা পড়ে এমন লোকের ক্ষেত্রে দেখা যায় বিদেশগামী দক্ষ/অদক্ষ শ্রমিকদের মধ্যে শতকরা ৪.৪ থেকে ৭.৫ ভাগ, গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে ৩.৫ ভাগ, বসিত্মবাসী লোকদের মধ্যে ৩.৮ ভাগ, গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে ৬.৪ ভাগ, স্কুলগামী শিশুদের মধ্যে ২.৩ ভাগ, স্বেচ্ছা রক্তদানকারীদের মধ্যে ২.৪ ভাগ লোক ‘এইচবিএসএজি’ পজিটিভ। একিউট ভাইরাল হেপাটাইটিস রোগীদের শতকরা ১৯.০-৩৫.০ ভাগ, দীর্ঘমেয়াদি লিভার রোগীদের শতকরা ৩৩.৩-৪০.৫ ভাগ এবং লিভার ক্যান্সার রোগীদের ক্ষেত্রে গড়ে ৪৫.৮ ভাগ লোক ‘এইচবিএসএজি’ পজিটিভ।
ঝুঁকিপূর্ণ কাজ, পেশা এবং বদঅভ্যাসজনিত কারণে হেপাটাইটিস ‘বি’ মারাত্মকভাবে বিসত্মার লাভ করে। বিভিন্ন দেশীয় ও আনত্মর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে দেখা যায় আমাদের দেশে হেপাটাইটিস ‘বি’ আক্রানত্ম পরিবারের অন্য সদস্যদের মধ্যে শতকরা ২০.৬ ভাগ,  পেশাদার রক্তদাতাদের মধ্যে শতকরা ১৮.২-২৯.০ ভাগ, শিরাপথে ড্রাগাসক্তদের মধ্যে ৬.২-১২.০ ভাগ, অন্যান্য ড্রাগাসক্তদের মধ্যে শতকরা ৪.৪ ভাগ, ট্রাক ড্রাইভারদের মধ্যে ৫.৯ ভাগ, পতিতাদের মধ্যে ৯.৭ ভাগ  হেপাটাইটিস ‘বি’ ভাইরাসে আক্রানত্ম।
হেপাটাইটিস ‘সি’ ভাইরাস
হেপাটাইটিস বি ভাইরাসের মতো হেপাটাইটিস ‘সি’ ভাইরাসও একটি মারাত্মক জনস্বাস্থ্য সমস্যা। সাধারণ জন্ডিস থেকে শুরু করে লিভার সিরোসিস এমনকি লিভার ক্যান্সারও করতে পারে। সারা বিশ্বের মোট জনগোষ্ঠীর শতকরা তিন ভাগ লোক ‘সি’ ভাইরাসে আক্রানত্ম যার পরিমাণ প্রায় ১৭০ মিলিয়ন। এশিয়া মহাদেশে এলাকাভেদে এই ভাইরাস সংক্রমণের হার শতকরা ০.৩ ভাগ থেকে ৪.০ ভাগ পর্যনত্ম তারতম্য হয়। মিসরে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি হেপাটাইটিস ‘সি’ ভাইরাস আক্রানত্ম লোকের বাস। ওই দেশে শতকরা ১৭.০-২৬.০ ভাগ লোক ‘এইচসিভি’ টেস্ট পজিটিভ। আক্রানত্ম ব্যক্তির সাথে টিকা/ইনজেকশনের সুচ ভাগাভাগি করাই এর মূল কারণ।
সংক্রমণের হারের এই তারতম্য বিভিন্ন দেশের সামাজিক, পরিবারিক, ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান ও বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ অভ্যাস বা কার্যকলাপ যেমন শিরাপথে রক্ত গ্রহণকারীদের মধ্যে ৬০-৭০ ভাগ, রক্ত পরিসঞ্চালন ও অঙ্গ প্রতিস্থাপনকারীদের মধ্যে ৫-১৩ ভাগ, ইনজেকশন এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ২-১৮ ভাগ, পেশাগত ঝুঁকিতে ০-৭ ভাগ, আক্রানত্ম মা থেকে শিশু ০-৪ ভাগ, যৌনমিলনের মাধ্যমে ১১-২৭ ভাগ হেপাটাইটিস সি ভাইরাস বিসত্মার লাভ করে।
আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতে স্বেচ্ছা রক্তদানকারীদের মধ্যে শতকরা ১.৫-১.৭ ভাগ, জন্ডিস রোগীদের মধ্যে ৪.৮-১২.৫ ভাগ, লিভার  ফেইলিওর রোগীদের মধ্যে ১০.০-৪৩.০ ভাগ, ক্রনিক লিভার ডিজিজ  রোগীর ক্ষেত্রে ৮.৮-৪৮.৫ ভাগ, ক্রনিক কিডনি ডিজিজ এবং থ্যালাসেমিয়া রোগী যারা বারবার শরীরে রক্ত গ্রহণ করে তাদের মধ্যে যথাক্রমে ৪১.৯ এবং ২৫.৪ ভাগ ব্যক্তি হেপাটাইটিস সি ভাইরাসে আক্রানত্ম।
এবার আমাদের বাংলাদেশের চিত্র কেমন দেখা যাক। যেখানে  স্বেচ্ছা রক্তদানকারীদের মধ্যে সংক্রমণের হার শূন্য সেখানে পেশাদার রক্তদাতাদের মধ্যে শতকরা ১.২ ভাগ লোক এই ভাইরাস বহন করে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, দীর্ঘমেয়াদি লিভার রোগীদের মধ্যে শতকরা ২৪.১ ভাগ, লিভার ক্যান্সার রোগীদের মধ্যে শতকরা ৯.৬ ভাগ, রক্ত গ্রহণের পর জন্ডিস আক্রানত্ম ব্যক্তিদের মধ্যে ৬.৮ ভাগ, স্বল্পস্থায়ী জন্ডিসে আক্রানত্ম ব্যক্তিদের মধ্যে ১.৭ ভাগ রোগী হেপাটাইটিস সি ভাইরাসে আক্রানত্ম। ডেঙ্গু ভাইরাস ইদানীংকালে বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে বিসত্মার লাভ করেছে। ডেঙ্গু হেমোরেজিক রোগীদের রক্ত এবং রক্ত উপাদান পরিসঞ্চালনের মাধ্যমে হেপাটাইটিস ‘সি’ ছড়াতে পারে। যেহেতু আমাদের অধিকাংশ রক্তদান কেন্দ্রে রক্ত পরিসঞ্চালনের আগে ভাইরাসের পরীক্ষা করা হয় না, সেহেতু এটা আশঙ্কা করা অমূলক নয় যে, অদূর ভবিষ্যতে আমাদের দেশে হেপাটাইটস ‘সি’ ব্যাপকভাবে বিসত্মার লাভ করতে পারে। হেপাটাইটিস ‘সি’ ভাইরাসের বিরুদ্ধে কোনো টিকা বা প্রতিষেধক এখনো আবিষকৃত হয়নি। সুতরাং, প্রতিরোধকেই একমাত্র গুরুত্ব দিতে হবে।
হেপাটাইটিস ‘বি’ ও ‘সি’ ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে
যে সমসত্ম ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে
হেপাটাইটিস ‘বি’ ও ‘সি’ ভাইরাস উভয়েই ধীরে ধীরে লিভারকে ধ্বংস করে। এ জন্য রোগী বুঝতে পারে না যে, এটা একটা নীরব ঘাতক। এশিয়া প্রশানত্ম মহাসাগরীয় অঞ্চলের জাপান, তাইওয়ান, হংকং, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ইতিমধ্যেই বিশুদ্ধ রক্ত পরিসঞ্চালনসহ সার্বজনীন হেপাটাইটিস ‘বি’ টিকা প্রচলন করেছে। যার মাধ্যমে ওইসব  দেশে হেপাটাইটিস ‘বি’ ভাইরাস বহুলাংশে কমে এসেছে।
হেপাটাইটিস বি এবং সি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশে অনেক সমস্যা বিদ্যমান যা নিম্নরূপ
১)    এই রোগসমূহের বিসত্মার ও চূড়ানত্ম পরিণতি সম্পর্কে ব্যাপক জনসচেতনতার অভাব।
২)    স্বাস্থ্য কেন্দ্রসমূহে সার্বজনীন প্রতিরোধ ও প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থার অভাব।
৩)    হেপাটাইটিস ‘বি’ ভাইরাসের টিকার উচ্চমূল্য।
৪)    প্রয়োজনীয় ফান্ডের অপ্রতুলতা।
এসব রোগের চিকিৎসার ওষুধ আমাদের দেশে সব সময়ই পাওয়া যায়। তবে এগুলোর উচ্চমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার নাগালের বাইরে। সুতরাং, প্রতিরোধই সর্বোত্তম উপায়। প্রতিরোধ শুরু হয় সচেতনতা থেকে।  রেডিও, টেলিভিশন, সংবাদপত্র এবং অন্যান্য গণমাধ্যমের মাধ্যমে জনসচেতনতা বাড়ানো যেতে পারে। জাতীয় এবং আনত্মর্জাতিক সম্মেলনের মাধ্যমে এ সংক্রানত্ম আলোচনা জরুরি।
বাংলাদেশে জাতীয় টিকাদান কর্মসূচি একটি বিরাট সফলতা। পোলিও  রোগ মোটামুটি নির্মূল করা সম্ভব হয়েছে। এটা খুব খুশির খবর যে, বাংলাদেশ সরকার ইতিমধ্যেই হেপাটাইটিস ‘বি’ প্রতিরোধের জন্য এর টিকাকে ইপিআই কার্যক্রমে অনত্মর্ভুক্ত করেছে। রক্ত পরিসঞ্চালনের আগে  হেপাটাইটিস ‘সি’-এর উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য সরকারি বেসরকারি পর্যায়ে ব্লাড ব্যাংকগুলোতে নির্দেশনা ও প্রয়োজনীয় সহায়তা দেয়া হচ্ছে।
অতএব, অদূর ভবিষ্যতে আমরা এই মহামারি থেকে রক্ষা পাব বলে আশা করি।
লেখকঃ
অধ্যাপক ডা. মবিন খান

 পরিচালক, দি লিভার সেন্টার, ঢাকা, বাংলাদেশ
বাড়ি ৬৪, রোড ৮/এ, ধানমন্ডি, ঢাকা।


আমার ফেসবুক 
Syed Rubel
শেয়ার করে আপনার বন্ধুদেরকে জানান । তাদের কে জানতে দিন অজানা বিষয় গুলি। প্রকাশক ও সম্পাদক ব্লগার_সৈয়দ রুবেল লেখকজানার আছে অনেক কিছু

কোন মন্তব্য নেই :