শিশুকে কিভাবে সেক্স সম্পর্কে বলবেন।

কোন মন্তব্য নেই
বাবা-মা সন্তানদের সামনে যৌনালোচনা করবেন কিভাবে, এটা একটা সমস্যা কিন্তু শিশুরা এসব বিষয়ে এত বেশি উৎসাহী যে, বাবা-মা যদি তাদের ঠিক শিক্ষা না দেন তাহলে তারা ভুল শিখতে পারে। তাদের বন্ধুদের কাছে কিংবা টিভি, সিনেমা বা নানা খারাপ বইপত্রের মাধ্যমে তারা যৌনতা সম্পর্কে কৌতূহলবোধ করবেন...
বাবা-মা সন্তানদের সামনে যৌনালোচনা করবেন কিভাবে, এটা একটা সমস্যা কিন্তু্তু শিশুরা এসব বিষয়ে এত বেশি উৎসাহী যে, বাবা-মা যদি তাদের ঠিক শিক্ষা না দেন তাহলে তারা ভুল শিখতে পারে। তাদের বন্ধুদের কাছে কিংবা টিভি, সিনেমা বা নানা খারাপ বইপত্রের মাধ্যমে তারা যৌনতা সম্পর্কে কৌতূহলবোধ করবেন, কেননা এ বয়সে তারা সবকিছু সম্পর্কে কৌতূহলী হয়ে থাকে।
দেখা গেছে যে, যেসব শিশু বা কিশোর-কিশোরী তাদের বাবা-মার কাছ থেকে সঠিক যৌন শিক্ষা পেয়েছে তারা যৌন সম্পর্কের ব্যাপারে ধৈর্যের পরিচয় দেয়। জন্মনিয়ন্ত্রণ কিংবা যৌনরোগ সম্পর্কে সচেতন থাকে। কিভাবে তাদের সামনে এসব বিষয়ে আলোচনা করবেন এবার আমরা সে বিষয়ে আসি।
আলোচনা করা যায় এমন একটা আন্তরিক পরিবেশ তৈরি করুন এবং লক্ষ্য করুন যে, তারা কি জানতে চাচ্ছে? যৌনতা বিষয়ে আপনার স্বাচ্ছন্দ্যবোধ এ বিষয়ে খুব জরুরি। এমনভাবে বলুন যাতে তারা আপনার কথা বিশ্বাস করে, স্বাচ্ছন্দ্য ও সতর্কতার সাথে প্রশ্নের উত্তর দিন। দেখবেন ছেলে-মেয়ে সুলভ কথাবার্তা যেন না বলেন। শরীরের অঙ্গগুলো সম্পর্কে সঠিক আর ভদ্র নামগুলোই ব্যবহার করুন।
কোনো সমস্যার উত্তর জানা নাও থাকতে পারে-এতে লজ্জিত হওয়ার কিছু নেই। আপনি যা জানেন না এ বিষয়ে তাদের সাথে আলোচনাও করতে পারেন কিংবা আপনি এটা জেনে নিয়ে তার সাথে যৌনালোচনায় বসতে পারেন। তবে কোনো সমস্যা তাদের সামনে ঝুলিয়ে রাখবেন না। তাদের সব সমস্যার সমাধান আপনি নিজে করুন-অন্য আরেকজনকে দিয়ে যেন বলাতে যাবেন না।
কেউ কেউ অভিযোগ করে থাকেন যে, যৌনশিক্ষা বাচ্চাদের যৌনতা সম্পর্কে বেশি বেশি আগ্রহী করে তোলে যেটা ভালো নয়। আসলে ব্যাপরটা অন্য রকম। যৌনশিক্ষা যত আগে শুরু করা যায় ততই ভালো। কারণ ছেলে-মেয়েরা যত বড় হবে ততোই আপনার সঙ্গে তাদের যৌন বিষয়ে আলোচনা করার ব্যাপারে একটা দূরত্ব তৈরি হবে।
আপনার স্বামী বা স্ত্রী, আপনার বন্ধু-বান্ধবী, এদের সঙ্গে যৌন বিষয়ে আলোচনা করার অভ্যাস করুন। এই ব্যাপারটা আপনার শিশুদের সামনে কাজে লাগবে। আপনার শিশুটি যদি কিছু জিজ্ঞেস না করে তবে বিষয়টিকে অন্যভাবে বিকশিত করার চেষ্টা করেন, যেমন আপনি আপনার শিশুকে একজন গর্ভবতী নারীর কথা বলতে পারেন বা অন্য কোনো শিশু গোসল করছে এ অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে বলতে পারেন। শিশুকে যৌনবিষয়ে শিক্ষা দেয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের টিভি প্রোগ্রাম বা ফিল্ম সম্পর্কে শিশুর সাথে আলোচনা করতে পারেন। সব বয়সেই নারী-পুরুষের যৌনতা সম্পর্কে জানার জন্য লাইব্রেরি বা নানা স্কুলে অনেক ভালো ভালো বই রয়েছে।
শিশুকে প্রায়ই যৌনতা সম্পর্কে জানান। শিশুরা যৌনতা সম্পর্কে বার বার জানতে আগ্রহী হয় এবং বার বার জানার পরে তারা বুঝে ফেলে এর কারণ হচ্ছে তাদের বোঝার ব্যাপারটা ধীরে ধীরে পরিপক্ব হয়। তবে বুঝতে হবে যে, শিশুকে আপনি কেবল যৌন অনুভূতি বা যৌন আচরণ সম্পর্কে বলবেন।
আপনার শিশু আপনাকে যৌনতা সম্পর্কে যে প্রশ্নটি করবে তার সাবলীল উত্তর দেয়া কর্তব্য। শিশু যেগুলো সম্পর্কে জানতে চায় তা তাকে আদর দিয়ে বলার চেষ্টা করুন। শিশুকে একই যৌনতার অনেক ব্যাপার সম্পর্কে জানাবেন না। বরং আগের দেয়া বিভিন্ন যৌনালোচনায় যে বিষয়গুলো জানানো হয়েছে সেগুলোর উত্তর শিশুকে আবারো পরিষকারভাবে দিন এবং তাকে পরবর্তীতে জানাবেন এমন উৎসাহ প্রদান করুন।
তবে এটাও ঠিক যে, আপনি ও আপনার শিশু উভয়ের জন্য প্রাইভেসি একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। আপনার শিশু যদি আপনার সঙ্গে পরিষকারভাবে বা সরাসরি কথা বলতে না চায় তবে আপাতত তাকে কথা বলা থেকে বরং বিরত রাখুন। তবে কথাটি ভুলবেন না। কখনোই শিশুর রুম, টেবিলের বা আলমারির ড্রয়ার বা অন্য কোনো প্রমাণ খুঁজবেন না। শিশু যদি টেলিফোনে বা ব্যক্তিগত কোনো ব্যাপারে কারো সাথে কথা বলে তাহলে কখনোই শুনবেন না।
শিশু-কিশোররা যা বলে তা মন দিয়ে শুনুন। তারা আসলে যেটি চায় সেটা হচ্ছে তারা যেসব প্রশ্ন বা উত্তর বা শঙ্কা প্রকাশ করে সেগুলো আপনি কতটুকু গুরুত্ব দিয়ে শুনবেন। তারা যেভাবে বেড়ে উঠছে তা আপনার থেকে একটু ভিন্ন। শিশুর কোনো প্রশ্ন শুনে হাসবেন না বা অবজ্ঞা করবেন না বা তাকে কোনো প্রশ্ন থেকে বিরত রাখবেন না। কেননা অন্যদের কাছে প্রাপ্ত শুদ্ধ বা অশুদ্ধ যৌনতা সম্পর্কিত বিভিন্ন ধারণাগুলো যদি প্রকৃত অর্থেই সঠিক না হয় তবে আপনি শিশুর সুস্থ যৌন স্বাস্থ্য আশা করতে পারেন না।
কেননা তারা মলত শেখে আপনার ভালোবাসা, আদর বা তাদের প্রতি আপনার দায়িত্ববোধ থেকে- একথা আপনি তাকে বলুন আর নাই বলুন। যৌনতার গুরুত্ব সম্পর্কে এবং জীবন সম্পর্কে আপনি শিশুকে বলুন। শিশুকে খুঁজে বের করতে বলুন জীবনে যৌনতার গুরুত্ব কতটুকু।


অধ্যাপক ডাঃ এ এইচ মোহাম্মদ ফিরোজ
এফসিপিএস এমআরসিপি এফআরসিপি
fb me
Syed Rubel

শেয়ার করে আপনার বন্ধুদেরকে জানান । তাদের কে জানতে দিন অজানা বিষয় গুলি। প্রকাশক ও সম্পাদক ব্লগার_সৈয়দ রুবেল লেখকজানার আছে অনেক কিছু

কোন মন্তব্য নেই :