স্বাস্থ্যের জন্য চুম্বন (ডাঃ জাকারিয়া সিদ্দিকী)

কোন মন্তব্য নেই

চুম্বন! নারী আর পুরুষ সম্পর্কের এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অনুভূতির অভিব্যক্তি। বলা হয়ে থাকে প্রেমের নীরব নিঃশব্দ ভাষা চুম্বন। দুটো ঠোঁটের সংস্পর্শে এতখানি অনুরাগ ও অনুভূতি চলাচল করে যা ভাষায় ব্যাখ্যা দেয়া যায় না। নারী আর পুরুষের মধ্যকার ভালোবাসা প্রকাশে চুম্বনের কোনো বিকল্প নেই

 
চুম্বন! নারী আর পুরুষ সম্পর্কের এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অনুভূতির অভিব্যক্তি। বলা হয়ে থাকে প্রেমের নীরব নিঃশব্দ ভাষা চুম্বন। দুটো ঠোঁটের সংসপর্শে এতখানি অনুরাগ ও অনুভূতি চলাচল করে যা ভাষায় ব্যাখ্যা দেয়া যায় না। নারী আর পুরুষের মধ্যকার ভালোবাসা প্রকাশে চুম্বনের কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু আমাদের সমাজ প্রেক্ষাপটে, দেশের সংস্কৃতির মুখপাত্র সেন্সর বোর্ড চুম্বনে যতটা নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখে থাকে, তাতে চুম্বনকে ঘিরে সহজাত বহিঃপ্রকাশ ক্ষুণ্ন হতে বাধ্য। আমাদের সংস্কৃতিতে চুম্বন পাশ্চাত্যের মত তাৎক্ষণিক আনন্দ অনুরাগের বহিঃপ্রকাশ পশ্চিমা সমাজে সাধারণ সহজাতভাবে ঘটে। এটিকে চুম্বন বা মল্যবোধের অবমূল্যায়ন বলা অনুচিত। সে সব দেশ ওপেন সেক্সের দেশ হলেও চুম্বনের আদম আর ইভের মত প্রাচীন এ হৃদয়াবেগ এখনও তার ভাবপ্রকাশ শক্তিতে অমলিন আর অনিবার্য।
হাজারো প্রকাশ!
চুম্বন কেবলি প্রিয়ার ঠোঁটে বা মুখে ঠোঁটের স্পর্শ? চুম্বনের এটি একটি স্বরূপ কিন্তু্তু এটিই সবকিছু নয়। এর হাজারো প্রকাশ তা হতে পারে আধ্যাত্মিক, ধার্মিক, শোনিত ও অশ্রুর ভাষা, দৈব মানবিকতা। স্থান কাল পাত্রভেদে। চুম্বন ভাবময়তার পরিবর্তন ঘটে। যেমন বিদায় মুহর্তের চুম্বনের অর্থ ভালো থেকো। পুনর্মিলনের সময় চুম্বনের অর্থ তুমি এলে। শুতে যাবার সময় শিশুর কপালে চুম্বন যেন শিশুর জন্য নিশ্চিত ঘুমের গ্যারান্টি, শিশুর শরীরে কোথাও ব্যথা লাগলে মা যখন সেই ব্যথার জায়গায় চুমু দেন তখন চুম্বন হয়ে দাঁড়ায় সবচেয়ে কার্যপ্রদ ব্যথানাশক। সাংস্কৃতিক আঙ্গিকে চুম্বনের সাথে নানান প্রকাশ। আমরা এক্ষেত্রে কেবলমাত্র চুম্বনের মনোদিক আলোকপাত করব।
সুখের স্মৃতি!
যে সব ঘটনার সাথে মনের আবেগ জড়িয়ে আছে সে সব স্মৃতি সহজে বিস্মৃতি গহ্বরে হারিয়ে যায় না। তা সারাজীবনই একদম ঝরঝরে থেকে যায়। ঠিক এমনি এক অভিজ্ঞতা প্রথম চুম্বন যতই সময় গড়িয়ে যায় ততই মল্যবান হয়ে দাঁড়ায় প্রথম অভিজ্ঞতাগুলো। প্রথম চুম্বনই এতে একমাত্র নয়, তা হতে পারে প্রথম প্রেমপত্র, প্রথম প্রেমালাপ, প্রথম সপর্শ। তাইতো সারা পৃথিবীর সমস্ত সাহিত্য জুড়ে এদের জয়গান।
আহা কি মজা!
ঠোঁটের কোমল ত্বক বসিয়ে যে চুম্বন তা এত বেশি মোহনীয় কেনো? হৃদয়াবেগ প্রকাশে কেনো এর এত মহিমা? এর আসল মহাত্ম কোন জায়গাতে-ঠোঁটে না হৃদয়ে? ঠোঁটের সাথে ঠোঁট মেলানোর ক্ষেত্রে হৃদয়োচ্ছ্বাস বন্যাটাই মল না অন্য কিছু। ঠোঁট কি কেবলি প্রতীকী? ব্যাপারটা কি পুরোপুরি মনের? যুক্তিবাদী বিজ্ঞানীদের ভাষ্য হল মনের আবেগ বাড়তি সুধার সম্ভার ঘটাতে পারে কিন্তু্তু মনই সবকিছু নয়। হতে পারে সাইকোলজিক্যাল, কিন্তু ফিজিওলজিকে উড়িয়ে দেবার জো নেই।
(১) ঠোঁটের কথাই ধরুন। ঠোঁটের ত্বক হল দেহের সবচেয়ে পাতলা ত্বক। দেহের বাইরের দিককার ত্বকের সবকটা অংশ করনিয়াম নামের আবরণে আবৃত থাকে। ঠোঁট এতে একমাত্র ব্যতিক্রম, তাইতো ঠোঁটের ত্বক এত বেশি কোমল, নমনীয়।
(২) কেবলমাত্র তা নয়, ত্বকের সংবেদনশীলতা  নিয়ন্ত্রণের যে সংবেদী অন্তণু বিদ্যমান, তাদের ঘনত্ব ঠোঁটের ত্বকে অন্য যে কোনো জায়গার চেয়েও অনেক বেশি। ঠোঁটের সংবেদনশীলতা সরাসরি মস্তিষক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। ঠোঁট দেহের অন্য যে কোনো জায়গা অপেক্ষা অনেক বেশি স্পর্শকাতর। মুখ আর ঠোঁট দেহের অন্যান্য যে কোনো অংশ হতে অন্য একটা বাড়তি গুরুত্ব রাখে তা হল মস্তিষেকর সংশিস্নষ্ট অঙ্গগুলো অনেক বেশি বিকশিত। আমাদের মস্তিষেকর এক এক অংশ দেহের এক একটা জায়গা নিয়ন্ত্রণ করে রাখে। মুখ আর ঠোঁট দেহের একটা ছোট জায়গা হলেও মস্তিষেক তার জন্য বরাদ্দ জায়গা অনেক বেশি বিস্তৃত। ভাষার বিকাশে মুখ, জিহ্বা আর ঠোঁট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, ভাষার বিবর্তন এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও এর পুরো কারণ নয়। সংবেদনশীলতা স্পর্শকাতরতা আর স্নায়বিক নিয়ন্ত্রণে দেহের এসব অংশগুলোর বিকাশ মানব যৌন আচরণ সংশিস্নষ্ট। মানব যৌনতার একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিক হল এর প্রকাশ বৈচিত্র্য আর মৌলিকত্ব। মানুষ ছাড়া অন্য কারোর বেলাতে চুম্বনের প্রচলন নেই, বানর গোত্রের কিছু প্রাণীর বেলাতে দেখা গেলেও তা ততটা প্রকট নয়। তাহলে কি কেবলমাত্র চুম্বনের জন্যই ঠোঁটের আয়োজন?
ঠোঁটের কিন্তু অন্য একটা পরিচয় আছে। এটি কিন্তু দেহের একটা অত্যন্ত উঁচুমানের এরোজেনাস জোন। পারিভাষিক অর্থ বলা চলে যৌনাঞ্চল। এসব জায়গা উত্তেজিত করা হলে দেহমনে যৌন শিহরণ বোধ আসে, তা সময় পরিস্থিতি সাপেক্ষে একদম চরমপুলক অবধি পৌঁছে যেতে পারে। যৌনাঞ্চলের তালিকায় যৌনাঙ্গ বাদ দিলে প্রথম যে নামটি আসে তা হল ঠোঁট।
ফ্রয়েড যেমনটি বলেছিলেন!
চুম্বনের আলাপচারিতায় না আনা হলে তা কোনো মতেই পূর্ণতা পায় না। ফ্রয়েড ঊনবিংশ শতাব্দীর একদম শুরুতেই মানব আচরণ সম্পর্কে এমন সব অভিনব ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন যা চারিদিকে সাড়া ফেলে দেয়। ফ্রয়েড ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন, জন্মানোর পরে বাচ্চা যখন স্তনপান করে তখন সে যে আনন্দ পায় তা কেবলমাত্র পেট ভরার আনন্দ নয়। মুখ দিয়ে টানার যে ব্যাপার থাকে তাতেও বাচ্চারা আনন্দ পায়, আসলে ঠোঁট বা মুখে বা মুখের মধ্যে আরেকজনের শরীরের উষ্ণতা মানুষকে আনন্দ দান করে, একটা মানসিক শান্তি ও মজা পায় মানুষ, শিশুর মনোযৌন বিকাশে একটা দশার নাম হল ‘ওরাল অবস্থা’-শিশুর লিবিডোর কেন্দ্রবিন্দু মুখস্থিত হয়। মুখ দিয়ে সে যৌনতৃপ্তি লাভ করে। খাওয়া ছাড়া অন্য কিছু সে বোঝে না। প্রথম বছরকাল ঠিক এমনি অবস্থা বহাল থাকে। বাচ্চা যদি এ অবস্থা সহজাতভাবে সাবলীল আর স্বাচ্ছন্দতা সহকারে এগিয়ে যায় তারই সহজাত বিকাশ। যাদের বেলাতে এ মনোযৌন বিকাশ কোনো কারণে রুদ্ধ বা বিঘ্নিত হয় তাদের বেলাতে ঠোঁটের এ সুধা অন্ব্বেষণা যেনো দাউ দাউ করে মনে জ্বলতে থাকে। এরা ড্রাগ বা সিগারেটে আসক্ত হয়, ওরাল সেক্স আসক্তি প্রবলভাবে দেখা যায়। ড্রাগ বা সিগারেট বা যৌনকাতর স্থানে ঠোঁটের ছোঁয়া বসিয়ে শৈশবে সে অপূরণ সাধ যেনো পুষিয়ে নিতে যায়।
আধুনিক ভাষ্য!
আধুনিক সাইকোলজিস্টরা ফ্রয়েড তত্ত্ব হতে অনেকটা সরে এসেছেন। ফ্রয়েড-ভাষ্য হলো চুম্বন বা মুখ ঠোঁটের স্পর্শ একটা শিশুসুলভ আচরণ। আসল পূর্ণ সুখ আহরণকারী ব্যবহার হলো শারীরিক সঙ্গম বা রাগ মোচন। আর এ দুটো ঘটনা যখন ঘটতে পারে না তখনই চুম্বন ইত্যাদি দিয়ে মানুষ নিজের মনকে ভোলাতে চায়। কিন্তু্তু মডার্ন মনোবিজ্ঞানের ভাষ্য হলো-চুম্বন শারীরিক মিলনেরই একটা ধাপ বা পূর্ব। যে কোনোও জিনিসই ধাপে ধাপে এগোয়। চুম্বনকে বলা যেতে পারে চরম মিলনের প্রথম দিককার ধাপ। তাই শারীরিক সম্পর্কে এর মল্যমান অনেক বেশি।
সক্ষ্ম রহস্যময়তা!
মস্তিষক আর মনের গবেষণা এগিয়ে যাবার সাথে সাথে নানান নানান তথ্য বের হয়ে এসেছে যা চুম্বনকে নতুন মল্যায়ন দান করেছে। আমাদের আবেগ হৃদয়াবেগ মস্তিষেকর যে অংশ দ্বারা পরিচালিত হয় তার নাম লিমবিক সিস্টেম। এ লিমবিক সিস্টেম অন্তর্ভুক্ত একটি বিশেষ স্থানের নাম ‘অ্যামিকডালা’। গবেষণাতে দেখা গেছে অ্যামিকডালা সপন্দিত হলে মুখের নিয়মিত কাজ যেমন চিবানো, কামড়ানো বা লালা নিঃসৃত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যৌন উত্তেজনাও হয়। অন্যভাবে বলা যায় ঠোঁট, মুখ, জিভের কার্যকারিতার সঙ্গে সঙ্গে যৌনাঙ্গও সক্রিয় হয়ে ওঠে। সাইকোলজিক্যাল গবেষণাতে দেখা গেছে, বাচ্চা ছেলেরা যখন আনন্দ করে খায় তখন অনেক সময়ই তাদের যৌনাঙ্গ উত্তেজিত হয়ে পড়ে। অতএব যৌনানন্দের সঙ্গে ঠোঁটের স্পর্শের একটা সোজাসুজি সম্পর্ক আছে সেটা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত। এটাকে অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই।
চুম্বন আর যৌনতা
যৌনতার সাথে চুম্বনের এক সুগভীর সম্পর্ক! আগেই বলা হয়েছে ঠোঁট দেহের একটা গুরুত্বপূর্ণ এরোজেনাস জোন। ঠোঁটে ঠোঁট মেলানো হলে তা প্রিয়ার মনের মাঝে আবেগ উচ্ছ্বাসের বন্যা বয়ে দেয় না, তা যৌন শিহরণ বোধ জাগায়। স্থান কাল পাত্রভেদে এ শিহরণ অনুভূতি গভীর হতে গভীরতর হতে পারে, এমনকি পাত্র পাত্রীর হৃদয়াবেগ যদি অনেক বেশি তীব্র হয় সেখানে একটা চুম্বন চরমপুলক আশীর্বাদ বয়ে আনতে পারে। ঠোঁটের সপর্শের সাথে মনের আবেগের সম্মিলনে যেন এক যৌন বিস্ফোরণ।
যৌনতার ক্ষেত্রে, চুম্বনের অর্থ হতে পারে রকমারি। ঠোঁটের সাথে ঠোঁট মিলিয়ে যে অনুভূতির প্রকাশ, সে অনুভূতি হতে পারে যৌনমিলন, হতে পারে প্রেম, ভালবাসা, হৃদয়াবন্ধন। মানুষের সবচেয়ে উন্মুক্ত দৈহিক অংশ যে মুখ সেই মুখের পশ্চাতে আড়ালে থাকে মনের সুপ্ত বাসনা। হয়তবা এ কারণে আমাদের সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটে চুম্বন অনেকটা দৈহিক মিলন সমপর্যায়ের। যৌনতার ক্ষেত্রে শৃঙ্গার এর গুরুত্ব বর্ণনার দরকার নেই। শৃঙ্গার মানে হলো যৌনসঙ্গম পূর্ববর্তী যৌনলীলা খাতে পাত্র-পাত্রীর শিহরণবোধ পুঞ্জীভূত হয়। অনেক ধরনের যৌন অক্ষমতার ক্ষেত্রে অপর্যাপ্ত শৃঙ্গারকে দায়ী করা হয়। মেয়েদের অর্গাজম না হবার অনেক কারণের মাঝে এটি একটি। শৃঙ্গার মানে তো আসলে মিষ্টি রসালাপ আর চুম্বনলীলা। এতো যৌনতার ক্ষেত্রে একটি ধাপ বা সিঁড়ি। সুতরাং একটা ধাপ বাদ গেলে তো মল লক্ষ্যে বিঘ্ন ঘটানো স্বাভাবিক।
ওরাল সেক্স
চুম্বনের প্রশস্তিগীত গাওয়া হবে অথচ ওরাল সেক্স প্রসঙ্গ আনা হবে না তাতো সেক্স থেরাপিস্টরা ভাবতেই পারেন না। ওরাল সেক্স এক বিশেষ চুম্বনলীলা যাতে ঠোঁটের ছোয়া প্রেয়সীর ঠোঁটকে ছাড়িয়ে খায়। যৌনাঙ্গে চুম্বনের ব্যাপারটা আমাদের দেশে অনেকেই অত্যন্ত নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখে থাকেন, যৌনাঙ্গকে ঘিরে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিই মলত এর প্রধান কারণ। পাশ্চাত্য গবেষণাতে দম্পতিদের যৌনতায় এর গ্রহণযোগ্যতা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। এসব দম্পতিদের চরমপুলক উপভোগ মাত্রাও অনেক বেশি। ওরাল সেক্সে নোংরার যে অভিযোগ আনা হয় তাও পুরোপুরি মেনে নেয়া যায় না। দেহের স্বাভাবিক যে জীবাণু সম্ভার (মরবটফ এফমরট) তার মাত্রা যৌনাঙ্গ অপেরা মুখে অনেক বেশি। বিষয়টা অবশ্য সংস্কৃতিনির্ভর। তবে সময়ের সাথে সাথে এতে পরিবর্তন আসছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
ফরাসি চুম্বন
এইডস যুগে ‘ফরাসি চুম্বন’ প্রসঙ্গ বেশ আলোচিত সমালোচিত। কারণ এটি নাকি এইডস ছড়াতে পারে। সাধারণ চুম্বনে কি এইডস ছড়ায় না? তাহলে সাধারণ চুম্বন হতে এ ফরাসি চুম্বনের বাড়তি বিশেষত্ব কি? আসলে সাধারণ চুম্বনে ঠোঁটের সাথে ঠোঁটের সপর্শ ঘটানো হয়। কিন্তু ফরাসি চুম্বনে কেবলমাত্র ঠোঁটের সপর্শ ঘটে না, জিহ্বাও এতে সক্রিয় ভূমিকা নেয়। জিহ্বার সাথে জিহ্বার মিলন মানে তো লালার আদান প্রদান। ঘাতক এইডস জীবাণু কিন্তু আক্রান্তদের লালাতে ঘুরে বেড়ায়। সুতরাং অসতর্ক হলে বিপদ ঘটে যেতে পারে। এক্ষেত্রে কি ফরাসি চুম্বন একদম বন্ধ করে দিতে হবে? সেক্স নিয়ম হল এটি আপনার অতি নিকটের অন্তরঙ্গ মানুষটির জন্য সংরক্ষণ করুন।
আমার ফেসবুক

শেয়ার করে আপনার বন্ধুদেরকে জানান । তাদের কে জানতে দিন অজানা বিষয় গুলি। প্রকাশক ও সম্পাদক ব্লগার_সৈয়দ রুবেল লেখকজানার আছে অনেক কিছু

কোন মন্তব্য নেই :