মাইগ্রেনজনিত মাথাব্যথা
নি উরোট্রান্সমিটার
মুক্তি বিশ্লেষণের মাধ্যমে প্রাথমিক মাথাব্যথার কারণগুলো পর্যবেক্ষণ করা
যায়। ওয়েলার এবং তার সহকর্মীরা প্রথম মাইগ্রেনে মস্তিষ্ক স্টেম নিউক্লিয়ার
সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ উপস্থিত করেন। তারা তীব্র মাইগ্রেন আক্রমণ নিয়ে
সমীক্ষণ করেন। আক্রমণের সময় বর্ধিত রক্তপ্রবাহ সেরিব্রাল অংশে পরিলক্ষিত
হয়। যদিও মাইগ্রেনে মাথাব্যথার ক্ষেত্রে আঞ্চলিক সেরিব্রাল রক্তপ্রবাহ
হ্রাসের ঘটনা ঘটে, তবে রক্তপ্রবাহে পরিবর্তনের প্যাটার্ন ঠিক ধরা সম্ভব
হয়নি। এই রোগটির সবচেয়ে কৌতূহল উদ্দীপক বৈশিষ্ট্য হলো এর প্রকৃতি। এই
মাথাব্যথা প্রায় সময়মতো শুরু হয় এবং কমে যায়। তা ছাড়া উল্লেখযোগ্য হলো-
- অর্ধবার্ষিক
- বার্ষিক অথবা
- দ্বি-মাসিকভাবেও এই ব্যথা দেখা দেয়
সমপ্রতি
৯ জন রোগীর ক্ষেত্রে পিইটি ব্যবহার করে ফল পাওয়া গেছে। এতে মনে হয় যে, এই
রোগটি নিরাময় করার ব্যাপারে কোনো বাঁধাধরা নিয়ম কিংবা চিকিৎসা নেই। রোগ এবং
রোগীর ধরন দেখে চিকিৎসা পদ্ধতি অনুসরণ করতে হয়।
১৯৮৮ সালে IHS-
মাইগ্রেন ও অন্যান্য ধরনের মাথাব্যথা সম্পর্কে প্রথম সত্যিকার
শ্রেণীবিন্যাস পদ্ধতি সন্নিবেশিত করে। এ পদ্ধতির ২টি প্রধান ক্যাটাগরি
রয়েছে-- প্রাথমিক মাথাব্যথা বিশৃঙ্খলা ও
- পরবর্তী মাথাব্যথা বিশৃঙ্খলা
মাইগ্রেন মাথাব্যথাকে প্রাথমিক মাথাব্যথা বলা হয়।CDC
এর নতুন পরিসংখ্যান হলো-দেশে শুধু ৩০ মিলিয়ন মাইগ্রেন রোগী থাকতে পারে।
২০০ বছরের বেশি সময় আগ থেকে মাইগ্রেনের মতো লক্ষণের কথা শোনা যাচ্ছে।
খ্রিষ্টপূর্ব ৪০০ অব্দে হিপোক্রিটাস প্রথম মাইগ্রেনের দৃষ্টিগোচর লক্ষণসমূহ
বর্ণনা করেন। তার নিজের আক্রমণে তিনি একটি উজ্জ্বল আলোর বর্ণনা দেন, যার
অবস্থান সাধারণত ডান চোখে। তারপরেই তীব্র ব্যথা শুরু হয়ে পুরো মাথা ও ঘাড়ে
ছড়িয়ে পড়ে। সপ্তদশ শতাব্দীতে টমাস উইলিস মাইগ্রেনের বহু ঘটনার
ভাসকুল্যাচারের গুরুত্ব লক্ষ করেন। তিনি সচেতন ছিলেন যে, মাইগ্রেন
উত্তরাধিকার সূত্রে চলে আসে। তা ছাড়া এ রোগ-
- ঋতু পরিবর্তন
- পারিপার্শ্বিক চাপ ও
- খাদ্যের ওপর নির্ভরশীল
টমাস
উইলিস ১৬৬৪ খ্রিষ্টাব্দে উইলিস চক্র বর্ণনা করেন এবং পর্যবেক্ষণ করেন যে,
মস্তিষ্কের ভেসেলগুলোর দেয়ালে স্নায়ু আঁশ উপস্থিত রয়েছে। তার মতবাদ ছিল যে,
মাথাব্যথার লক্ষণগুলো ভ্যাসজ পাজমের সঙ্গে জড়িত। সামপ্রতিক সময়ে
মাইগ্রেনের প্যাথফিজিওলজি সম্পর্কে অনেক তথ্য জানা গেছে। ২০ বছর ধরে
উত্তপ্ত বিতর্ক চলছিল যে, প্রাথমিক মাথাব্যথা নিউরোজেনিক অথবা মূলত
ভাসকুলার কিনা।
রে এবং উয়োলফের ধ্রুপদী সমীক্ষায় দেখা গেছে, বৃহৎ
সেরিব্রাল ধমনিগুলো যা মস্তিষ্কের ভিত্তিতে অবস্থিত সেগুলো এবং ডুয়াল ধমনি ও
শিরাগুলো সংবেদনশীল। যদিও অ্যালকোহল ও ভ্যাসোডাইলেটর মাথাব্যথা কমাতে
পারে। তবে এগুলো দ্বারা মাইগ্রেনের মতো মাথাব্যথাও হতে পারে। ১৯৭৯ সালে
‘মাথাব্যথা’ শিরোনামে লিখিত নিবন্ধে মাথাব্যথা চিকিৎসায় রোগীরা কী চায় এবং
রোগীদের চাওয়া সম্পর্কে ডাক্তাররা কী বিশ্বাস করেন সে বিষয়ে প্রথম আলোকপাত
করা হয়। নিবন্ধকার রাসেল প্যাকার্ড ডাক্তারদের পরামর্শ নিতে আসা ১০০ জন
রোগী ও ৫০ জন ডাক্তারের মধ্যে জরিপ চালিয়ে জানতে চান যে, রোগীরা ডাক্তারের
কাছে কী চাচ্ছে? প্রথমত অধিকাংশ রোগী তাদের ব্যথা সম্পর্কে ব্যাখ্যা চায়।
দ্বিতীয়ত, ব্যথা নিরাময় এবং তৃতীয়ত, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ব্যাখ্যা।
নিম্নোক্ত বিষয়গুলো রোগীদের কম গুরুত্বপূর্ণ-- মাথাব্যথার জন্য একজন ডাক্তার পাওয়া
- ওষুধের জন্য সত্যিকার ব্যবস্থাপত্র পাওয়া
- নিউরোলজিক পরীক্ষা করানো এবং
- অন্যান্য ধরনের চিকিৎসা পাওয়া
ব্যথা
নিরাময় পর্যালোচনা এ ব্যাপারে একটি সামপ্রতিক জরিপ চালানো হয়-রোগী জরিপ
ডিজাইন, মাইগ্রেন রোগীদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহের জন্য গবেষকরা আমেরিকান
গৃহগুলোর নমুনা গ্রহণ করেন। প্রত্যেককে জিজ্ঞাসা করা হয় তাদের মাইগ্রেন আছে
কিনা, যদি তা হয়ে থাকে তাহলে তাদের জিজ্ঞাসা করা হয় তারা ডাক্তারের সঙ্গে
কী পরামর্শ করেছে। তা ছাড়া আরও জিজ্ঞেস করা হয় চিকিৎসাসম্পর্কিত
অগ্রাধিকার, চিকিৎসার ব্যাপারে তাদের সন্তুষ্টিতে প্রভাব কী পড়েছে সেসব
বিষয়ে।
মাইগ্রেনের রোগী জরিপের ৪৭% ডাক্তার দেখিয়েছে গত বছর, ২১% এক
বছরের বেশি সময় ডাক্তার দেখিয়েছে আর এক-তৃতীয়াংশ মাথাব্যথার জন্য তখনো
ডাক্তার দেখায়নি। স্বাভাবিক মাইগ্রেন চিকিৎসায় অসন্তুষ্টির কারণ
পর্যালোচনায় দেখা গেছে, সবচেয়ে সাধারণ কারণ হলো যে, যত তাড়াতাড়ি আশা করা
গেছে তত তাড়াতাড়ি ব্যথা কমেনি। ৮৪% রোগীর ক্ষেত্রে অসম্পূর্ণ ব্যথা শিরায়
একটি ফ্যাক্টর।চিকিৎসা প্রত্যাশা সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হলো সংখ্যাগরিষ্ঠ রোগী সম্পূর্ণ ব্যথা নিরাময়কে তাদের প্রধান প্রত্যাশা বলে অভিহিত করেছে।
- ৮৬% আবার মাথাব্যথা হোক তা চায়নি
- ৮৩% দ্রুত নিরাময় চেয়েছে
- ৭৯% পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন ওষুধ চেয়েছে এবং
- ৭৬% অন্যান্য উপসর্গ থেকে মুক্তি চেয়েছে
- ৭৩% রোগী ওষুধ হিসেবে মুখে খাওয়ার ওষুধ চেয়েছে
- ১৫% চেয়েছে দ্রুত গুলে যায় এমন মুখে খাওয়ার ট্যাবলেট
মাথাব্যথার
রোগীর রোগ নির্ণয়ের সময় মাথাব্যথার ইতিহাস হলো একটি প্রধান বিষয়। রোগীদের
কথা শুনলে তারা সব সময় আমাদের সাহায্য করবে। ডাক্তাররা যদি সঠিক প্রশ্ন
করতে শেখেন এবং তাদের ইতিহাস সংগ্রহের ক্ষমতাকে সুন্দর করতে পারেন তাহলে
তারা বিভিন্ন নির্ণয় পদ্ধতির ব্যাপারে বেশি পারঙ্গম হয়ে উঠতে পারেন।
মাথাব্যথার বিভিন্ন নির্ণয় মূল্যায়নের প্রধান বিষয়গুলো হলো দৈহিক পরীক্ষা
গবেষণাগারে পরীক্ষা এবং নিউরোডায়াগনোস্টিক পরীক্ষা। দৈহিক পরীক্ষার মধ্যে
সমাধান এবং নিউরোলজিক পরীক্ষা থাকা উচিত। গবেষণার পরীক্ষায় মেডিমেন্টেশন
হারের হিসাব-
- গ্লুকোজ স্তর
- থাইরয়েড শক্তিশালীকরণ হরমোন
- হিমাটোক্রিট থাকা উচিত
নিউরো ডায়াগনস্টিক পরীক্ষা-
- সিটি স্ক্যান
- এমআরআই
- এমআরএ
- ইইজি ইত্যাদি থাকতে পারে
অন্যান্য পরীক্ষার মধ্যে থাকতে পারে-
- দন্তসংক্রান্ত ও
- অ্যালার্জি মূল্যায়ন
একটি
অতি সাধারণ ভুল রোগ নির্ণয় হলো সাইনাসের মাথাব্যথা। মাথাব্যথার জন্য রোগ
নির্ণয় পর্যালোচনার পরামর্শদানের প্রধান যুক্তিগুলো হলো-
- রোগ নির্ণয়ে সাহায্য
- রোগ নির্ণয় করে তার প্রতিষ্ঠা এবং
- রোগীর ভয় দূর করা
প্রায়ই
নিউরোলজিস্টরা ইইজি ব্যবহার করে থাকেন। মাথাব্যথা মূল্যায়নে এর কোনো
ভূমিকা নেই। তবে পরিস্থিতির কারণে এ থেকে উপকার পাওয়া যেতে পারে।
মাথাব্যথার ইতিহাসের জরুরি বিষয়গুলো হলো-
- বয়স
- পরিস্থিতি/উপসর্গ দেখা দেয়ার আকস্মিকতা
- ব্যথার স্থান
- ব্যথার তীব্রতা ও
- ব্যথার চরিত্র
- ব্যথার স্থায়িত্ব
- ব্যথা কত ঘনঘন হয়
- সংশ্লিষ্ট উপসর্গসমূহ
- পথ
- খারাপ ফ্যাক্টর
- পারিবারিক ইতিহাস
- মেডিকেল ও ওষুধের ইতিহাস
- সংশ্লিষ্ট সামাজিক আবেগপ্রসূত উপাদানগুলো এবং
- রোগের কাঠিন্য
যাদের
মাথাব্যথা আছে সেসব রোগী ডাক্তারদের কাছে সবচেয়ে জটিল। এরা ডাক্তাদের
প্রচুর সময় নিয়ে নেয়। তারা আসলে কী চায় তা বোঝাও কষ্টকর হয়। লিপটন ও
স্টুয়ার্ট পরামর্শ দিয়েছেন যে, রোগীরা কী চায় সে ব্যাপারে ডাক্তারদের
অন্তর্দৃষ্টি থাকা উচিত। কারণ চিকিৎসা সম্পর্কে রোগীদের আশা কী তা জানতে
পারলে ফল ভালো হয়। প্রয়োজনীয় ওষুধ প্রস্তুত প্রক্রিয়ার সময়ই রোগীদের আশা কী
তা বিবেচনা করা উচিত।
বিষণ্নতাজনিতমাথাব্যথা
বিষণ্নতা কি মাথাব্যথার উদ্রেক করে বা মাথাব্যথার জন্য কি কারও বিষণ্নতা হতে পারে? ব্যাপারটি বিতর্কিত এবং সরাসরি উত্তর দেয়া কঠিন। তবে এটা ঠিক যে, বিষণ্নতার সাথে জড়িত মূল নিউরোট্রান্সমিটার হলো সেরোটনিন যা মাথাব্যথার সাথেও ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এখানে সোমাটাইজেশন বা মানসিক সমস্যার জন্য শারীরিক সমস্যা হওয়া ব্যাপারটিকেও গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করতে হবে। আবেগজনিত মানসিক সমস্যায় এ ধরনের মাথাব্যথা হতে পারে।
বিষণ্নতাজনিত মানসিক রোগে যে বিশেষ ধরনের মাথাব্যথা হয় তা মাথাব্যথায় সচরাচর ব্যবহৃত ওষুধে সারে না, এতে মাথাব্যথার সাথে-
- মন খালি খালি লাগার অনুভূতি
- নিদ্রাহীনতা
- অরুচি
- ওজন হ্রাস
- বিরক্তিভাব
- মনোযোগহীনতা
- অশান্তি
- অপরাধবোধ
- অসহায়ত্বতা
- যৌন ইচ্ছা কমে যাওয়া ইত্যাদি উপসর্গ থাকে। বিষণ্নতার সাথে যে মাথাব্যথা থাকে তা সাধারণত টেনশনজনিত মাথাব্যথার মতো। তবে এ মাথাব্যথা অনেকটা ভোঁতা ধরনের ও প্রায় সময়ই পুরো মাথাজুড়ে হয়ে থাকে। সকালে বা বিকেলের দিকে ভাবটা বেশি লাগে। বিষণ্নতার কারণে মাথাব্যথা হয়ে থাকলে অবশ্যই বিষণ্নতাবিরোধী ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা চালাতে হবে। মস্তিষ্কের বা স্নায়ুতন্ত্রের নিউরোট্রান্সমিটারটি যেহেতু বিষণ্নতা ও মাথাব্যথা উভয়ের সাথে জড়িত তাই সেরোটনিন বিষণ্নতা রোগ নির্ণীত হলে তবেই অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট বা বিষণ্নতাবিরোধী ওষুধ সেবন করাতে হবে রোগীকে। সঠিক রোগ নির্ণয় ও বিষণ্নতার সঠিক চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার সাথে জড়িত মাথাব্যথাকে দূর করতে সহায়তা করবে।
দুশ্চিন্তাজনিত মাথাব্যথা সাধারণত বিকেলে বা সন্ধ্যার সময় শুরু হয়। আস্তে আস্তে এর তীব্রতা বাড়ে, মূল উপসর্গ হলো-
- মাথার চারপাশে চাপ চাপ অনুভূতি
- গলা, ঘাড় ও স্কন্ধের মাংসপেশিতে টানটান ভাব থাকে
অন্যান্য উপসর্গ হলো-
- চিন্তা করতে অসুবিধা হওয়া
- ঘুমানোর সমস্যা হওয়া
- বিরক্তি এবং
- উজ্জ্বল আলোতে মাথাব্যথা বেড়ে যাওয়া
এ রোগের আসলে সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ নেই তবে-
- অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা
- কাজের অত্যধিক চাপ
- সময়ের সাথে মিলিয়ে চলতে না পারা
- হতাশা
- আহাজারি ইত্যাদি
দুশ্চিন্তাজনিত মাথাব্যথার জন্য কার্যকরী ওষুধ হলো-
- এসপিরিন
- আইবুপ্রুফেন
- এসিটামিনোফেন ইত্যাদি
এক্ষেত্রে ক্যাফেইন খুব বেশি কার্যকর। বরফ দিয়ে কপালে আলতোভাবে ঘষা বা হাল্কা উষ্ণ গরম কিছু দিয়ে কপালে-
- ছ্যাঁক দেয়া
- ঘাড় ও স্কন্ধের মাংসপেশিতে ম্যাসেজ উপকারী।
স্ট্রেস বা মনোশারীরিক চাপ স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত খারাপ। এর ফলে-
- মাইগ্রেন
- টেনশন হেডেক
- ক্লাস্টার হেডেক হতে পারে
স্ট্রেস বা মনোশারীরিক চাপে স্ট্রেস হরমোন প্রচুর পরিমাণে নিঃসৃত হয়। যার ফলে-
- হার্টবিট বাড়ে বা প্যালপিটিশন হয়
- ব্লাডপ্রেসার বা রক্তচাপ বাড়ে
- রক্তনালি সংকুচিত হয়ে পড়ে
- মাংসপেশির টান বাড়ে ও
- ব্লাড গ্লুকোজ লেভেল বা
- রক্তে শর্করার মাত্রা অনেক কমে মাংসপেশিতে টান বাড়া, রক্তনালির ব্যাসের বা প্রসারণের পরিবর্তনের কারণে মাথাব্যথা হতে পারে। ওভার দ্য কাউন্টার ড্রাগ বা সাধারণভাবে প্রচলিত ওষুধ খুব ভালোভাবে কাজ করে থাকে। এছাড়া সাইকোথেরাপি, আচরণগত চিকিৎসা ও বিষণ্নতাবিরোধী ওষুধ চিকিৎসা দেয়া যেতে পারে।
অ্যালকোহল
হঠাৎ করে ছেড়ে দিলে কারও কারও মাথাব্যথা হতে পারে। তবে কেন হ্যাংওভার হয়
তা এখনো পরিষ্কারভাবে জানা যায়নি। কিন্তু ডিহাইড্রেশন বা শুষ্কতা ও
অ্যালকোহল বিপাকে যেসব উপজাত তৈরি হয় সেগুলো এতে ভূমিকা রাখতে পারে।
রক্তনালির প্রসারণ ও রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমে যাওয়ায় মাথাব্যথা হতে
পারে। অনেক সময় অ্যালকোহলে টাইরামিন ও হিস্টাসিন থাকে, যা রক্তনালিকে
প্রসারিত করে।
অ্যালকোহলের প্রোডাক্টস যেমন-- কনজেনার
- ফ্লেভার বা গন্ধ ও
- কালার বা রঙ ও মাথাব্যথার সূচনা করতে পারে।
অ্যালকোহল বিরতিজনিত মাথাব্যথায় বেশ কার্যকর ওষুধ হলো-
- এসপিরিন
- এমিটামিনোয়েন্স
- ননস্টেরয়েডাল প্রদাহরোধী ওষুধ
- অ্যারগোটামিন টারট্রেট
হ্যাংওভারে
যেহেতু রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমে যায় তাই এক্ষেত্রে মধু ভালো ভূমিকা
রাখতে পারে। ক্যাফেইন প্রসারিত রক্তনালিকে সংকুচিত করতে পারে। তবে এটি আবার
কারও কারও মাথাব্যথার উদ্রেক করে। শরীরের শুষ্কতা দূর করতে প্রচুর পানি ও
অন্যান্য তরল আহার করা প্রয়োজন।
নারীদের বিশেষ সময়কারীন মাথাব্যথা
হতে পারে, এটি মূলত হয় হরমোনের অসাম্যতার জন্য। তবে কীভাবে হরমোনের
তারতম্যে মাথাব্যথা শুরু হয় তা এখনো স্পষ্ট নয় পুরোপুরি। বেশির ভাগ নারীর
ইস্ট্রোজেন লেভেল কমে গেলে মাথাব্যথা হয় আবার কতক নারীর লেভেল বেড়ে গেলে
মাথাব্যথা হয়। নারীর যৌনচক্রে তারতম্যের কারণে ইস্ট্রোজেন হরমোনের লেভেল
কম-বেশি হতে পারে। যেসব নারী মুখে সেবনযোগ্য জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি সেবন করেন
বা হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি গ্রহণ করেন তাদেরও মাথাব্যথা হতে পারে। অবশ্য
এতে জেনেটিক বা বংশগতিও ভালো ভূমিকা রাখে।হরমোনের তারতম্যের কারণে যে মাথাব্যথা হয় তা ননস্টেরয়েডাল প্রদাহবিরোধী ওষুধে অনেক সময় কমে যায়। অবশ্য জটিল ক্ষেত্রগুলোতে কার্যকর ওষুধ হলো-
- বেটাব্লকার
- ইমিট্রেক্স
- এরগোটামিন টারট্রেট ইত্যাদি
যেসব
নারীর মেনস্ট্রুয়াল মাইগ্রেন থাকে তাদের উচিত যেসব খাবারে মাথাব্যথা বাড়ে
সেসব খাবার এড়িয়ে চলা। প্রতিরোধকারী হিসেবেও অনেক ওষুধ ব্যবহার করা যেতে
পারে। এগুলোর মাঝে রয়েছে-
- ডাইইউরেটিক্স
- খিঁচুনিবিরোধী ওষুধ
- বিষণ্নতাবিরোধী ওষুধ
- ক্যালসিয়াম চ্যানেল ব্লকার
- প্রোপ্রানল
- টিমোলল ম্যালিয়েট
- ডিভাল প্রোক্সসোডিয়াম ইত্যাদি
অধ্যাপক ডা. এ কে এম নাজিমুদ্দৌলা চৌধুরী
আমার ফেসবুক Syed Rubel
শেয়ার করে আপনার বন্ধুদেরকে জানান । তাদের কে জানতে দিন অজানা বিষয় গুলি। প্রকাশক ও সম্পাদক ব্লগার_সৈয়দ রুবেল লেখকজানার আছে অনেক কিছু
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন
(
Atom
)
কোন মন্তব্য নেই :
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন