কয়েকটি ভুল যা ছেলেরা সেক্সের সময় করে থাকে

কোন মন্তব্য নেই

বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়
আমাদের দেশের ছেলেরা সেক্সের সময়
মেয়েদের আনন্দ দেওয়ার
চেয়ে তাদেরকে লোভনীয় খাদ্যের মত
গপাগপ গিলতেই বেশি পছন্দ করে। তাই
এদেশের বহু মেয়ের কাছে (সবাইনয়) চরম
যৌন সুখ পাওয়া যেন এক বহু আরাধ্য
বস্তু।
ছেলেদের এই রাক্ষুসে মনোভাবের
কারনেই অনেক সময় দেখা যায়
যে তারা তাদের Relationship
টিকিয়ে রাখতে ব্যর্থ হয়। এমনকি এর
ফলে বিয়ের মত অনেক বন্ধনও ধ্বংসের
মুখে পড়ে যাচ্ছে, পরকীয়া প্রেমের
সূত্রপাত ঘটছে। এর মূল কারনই হল
সেক্স ও মেয়েদের যৌন ইচ্ছা-
আকাঙ্খা সম্পর্কে ছেলেদের স্বচ্ছ
ধারনার অভাব।
বিদেশি ভাষায় এসব বিষয়ে অনেক বই
পত্র থাকলেও বাংলায় তেমন নেই বললেই
চলে। তাই কিছু বিদেশি বইয়ের সাহায্য
নিয়ে ও নিজের
অভিজ্ঞতা থেকে সেক্সের সময় ছেলেদের
যে সকল ভুলের কারনে তাদের সঙ্গিনীর
বিরাগভাজন হতে হয় তার
কয়েকটি সংক্ষিপ্তাকারে তুলে ধরলাম।
সময়ের অভাবে আপাতত এসকল ভুলের
প্রতিকার ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন জানার
বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত
লিখতে পারলাম না। তবে লেখা সবার
ভালো লাগলে ভবিষ্যতে সম্পুর্ন বাংলায়
একটা সারগর্ভ সেক্স গাইড লেখার
কথা চিন্তা করব।
১. প্রথমে চুমু না খাওয়াঃ সেক্সের
শুরুতেই সঙ্গিনীকে আদরের সাথে চুমু
না খেয়ে তার যৌনকাতর
স্থানগুলোতে (স্তন, যোনি, নিতম্ব,
নাভী ইত্যাদি) চলে গেলে তার
ধারনা হতে পারে যে আপনি তাকে টাকা দিয়ে ভাড়া করে দ্রুত
সেই টাকা উসুল করার চেষ্টা করছেন।
গভীরভাবে ভালোবাসার
সাথে সঙ্গিনীকে চুমু খাওয়া দুজনের
জন্যই প্রকৃতপক্ষে এক অসাধরন
যৌনানন্দময় সেক্সের সূচনা করে।
২. দাড়ি না কামানোঃ অনেকেই
দাড়ি না কামিয়ে সেক্স করেন, এই
মনে করেযে আসল কাজ তো আমার হাত
আর লিঙ্গের! কিন্ত যখন আপনার
সঙ্গিনীকে চুমু খাবেন, তার স্তন
চুষবেন, তার সারা দেহে জিহবা বুলাবেন
এবং বিশেষ করে যখন তার যোনি চুষবেন
তখন আপনার
ধারালো খোচা খোচা দাড়ি বেশিরভাগ
ক্ষেত্রেই আপনার সঙ্গিনীকে আনন্দ
নয় বরং অসস্তি ও ব্যথা দেবে। তাই
সেক্সের আগে ভালোমত
দাড়ি কামিয়ে নেয়া উচিত।
৩. প্রথম থেকেই জোরে জোরে স্তন
টিপাঃ বেশীরভাগ সময়ই দেখা যায়
ছেলেরা মেয়েটির স্তন হাতের
কাছে পাওয়া মাত্রই এমনভাবে টিপা শুরু
করে যেন ময়দা মাখাচ্ছে। কিছু
Extreme মেয়ে এরকমটা পছন্দ
করলেও বেশীরভাগ মেয়েই চূড়ান্ত
উত্তেজিত হওয়ার আগে এরকম
করাতে বেশ ব্যথা পায়। তাই
প্রথমে নিজের উত্তেজনাকে একটু
দাবিয়ে রেখে হলেও ধীরে ধীরে আদরের
সাথে ওর স্তনে হাত
বুলিয়ে বুলিয়ে টিপা শুরু করতে হবে।
তবে মেয়েই
যদি জোরে টিপতে বলে তবে সেক্ষেত্রে কোন
সমস্যা নেই।
৪. স্তনের বোটায় কামড় দেয়াঃ কিছু
ব্যতিক্রম ছাড়া প্রায় কোন মেয়েই
সরাসরি তাদের স্তনের বোটায় কামড়
খেতে পছন্দ করে না।
ছেলেরা মনে করে এখানে কামড়
দিলে তাকে বেশি বেশি উত্তেজিত
করে তোলা যায়। হ্যা কথাটা আংশিক
সত্যি। তবে এর সবচেয়ে ভালো উপায়
হল। প্রথমে মুখের ভিতরে যতটুক
পারা যায় স্তনটা পুরো বা আংশিক
ভরে নিতে হবে তারপর হাল্কা করে দাত
বুলানোর মত করে মুখ থেকে স্তনটা বের
করতে করতে নিপলে আলতো ভাবে দুই
দাঁতের ছোয়া লাগাতে হবে।
৫. আঙ্গুল দিয়ে স্তনের
বোটা মোড়ানোঃ অনেক
ছেলে এমনভাবে সঙ্গিনীর বোটা আঙ্গুল
দিয়ে মোড়ায় যেন তারা রেডিও টিউন
করছে।এটা ঠিক নয়।
হতে পারে বোটা মেয়েদের স্তনের
সবচেয়ে স্পর্শকাতর স্থান, কিন্ত শুধুই
বোটায় এরকম করলে সেটা আনন্দদায়ক
নয়, বরং কিছুটা যন্ত্রনাদায়ক
(Teasing) । তাই একহাতের
আঙ্গুলে বোটা নিয়ে খেলার সময় অন্য
হাত দিয়ে সম্পুর্ন স্তনের উপরও নজর
রাখতে হবে।
৬. সঙ্গিনীর দেহের অন্যান্য অঙ্গের
দিকে মনোযোগ না দেয়াঃ সেক্সের সময়
ছেলেদের একটা কথা সবসময়
মনে রাখতে হবে যে মেয়েদের স্তন,
যোনি আর নিতম্ব এই তিনটিই তাদের
একমাত্র যৌনকাতর স্থান নয়।
ছেলেদের মূল যৌন কাতর অঙ্গ তাদের
দেহের মাত্র কয়েকটি স্থানের
মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও মেয়েদের প্রায়
পুরো দেহই স্পর্শকাতর (মেয়েদের দেহের
কোন কোন অংশ গুলো বেশি যৌনকাতর
তা আপাতত এই সংক্ষিপ্ত রচনায় আর
ব্যাখ্যা করছি না।)।তাই তার দেহের
এমন একটি স্থানও যেন
না থাকে যেখানে ছেলেটির ঠোটের
বা হাতের স্পর্শ যায়নি।
৭. ছেলের হাত
আটকে যাওয়াঃ সঙ্গিনী যদি আক্রমনাত্নক
(Aggressive) সেক্স পছন্দ
করে অথবা ছেলে নিজেই চরম উত্তেজিত
হয়ে মেয়ের যোনি, স্তন ইত্যাদি স্পর্শ
করার জন্য পাগলের মত
হাতরাতে থাকে তবে মেয়েটির
প্যান্টি বা ব্রা তে তার হাত
আটকে যেতে পারে। ফলে বাধ্য
হয়ে থেমে সেটা ছাড়ানোর
চেষ্টা করতে গিয়ে যে রোমান্টিক
যৌনতার একটা আবেশ (Mood)
তৈরী হয়েছিল তা নস্ট হয়ে যেতে পারে।
তাই বেশি Aggressive সেক্স শুরুর
আগেই ব্রা-প্যন্টি খুলে নেওয়া ভালো।
৮. ভগাঙ্কুরে আক্রমনঃ অনেক
ছেলেইমেয়ের যোনি চুষতে গিয়ে তার
ভগাঙ্কুরে (clitoris)
জোরে জোরে আঙ্গুল
ঘষে বলতে গেলে আক্রমনই করে বসে।
যারা জানেন না তাদের জন্য
বলছি ভগাঙ্কুর হলো মেয়েদের
সবচেয়ে যৌনকাতর স্থানগুলোর একটি।
এর অবস্থান হল যোনির ফুটোর
আশেপাশে যে পাতলা চামড়ার মত অংশ
(labia) আছে তার উপরের দিকে,
মেয়েদের প্রস্রাবের রাস্তার নিচে।
মেয়েরা যৌনত্তেজিত হলে এই
স্থানটি শক্ত হয়ে একটু ফুলে যায়
ফলে তা সহজেই দেখা যায়। এই
স্থানটি চরম স্পর্শকাতর হলেও
এতে জোরে জোরে আঙ্গুল ঘষা মেয়েদের
জন্য পীড়াদায়ক। তাই প্রথম
দিকে এতে একটু ধীরে ধীরে আঙ্গুল
ঘষতে হবে।
৯. একটু থেমে বিশ্রাম
নেওয়াঃ ছেলেরা যেমন চরম উত্তেজনার
পথে সামান্য সময়ের জন্য থেমে গেলেও
আবার সেই স্থান থেকেই শুরু
করতে পারে, মেয়েদের পক্ষে এটা সম্ভব
হয়না। তাদের উত্তেজিত হতে যথেষ্ট
সময়ের প্রয়োজন। চরম উত্তেজিত
হবার পথে হঠাৎ থেমে গেলে তারা আবার
আগের অবস্থায় ফিরে যায়, ফলে আবার
নতুন করে তাদের উত্তেজিত
করে তুলতে হয়। তাই যত কষ্টই হোক
মেয়েটির চরম
উত্তেজনা না আসা পর্যন্ত
তাকে আদর করা চালিয়ে যাওয়ার চেষ্ট
করতে হবে।

Next post 
http://sayedrubel.blogspot.com/2012/12/blog- post_3.html




শেয়ার করে আপনার বন্ধুদেরকে জানান ।এটা আপনার আমার সকলের দ্বায়িত্ব । প্রকাশক ও সম্পাদক সৈয়দ রুবেল উদ্দিন

কোন মন্তব্য নেই :