কবীরা গুনাহ বা মহা পাপ

কোন মন্তব্য নেই

লিখেছেন: ত্বায়্যিব উল্লাহ নাসিম
“إن تجتنبو كبائر ما تنهون عنه نكفر عنكم سيئاتكم و يدخلكم مدخلا كريما”(النساء-31)
কুরানে কারিমে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,তোমরা যদি সেই মহা পাপ সমূহ থেকে বিরত হও যা হতে তোমাদের নিষেধ করা হয়েছে,তা হলেই আমি তোমাদের অপরাধ ক্ষমা করবো এবং তোমাদের সন্মানপ্রদ গন্তব্যস্থানে প্রবিষ্ট করবো।(নিসা-৩১)
বর্ণীত আয়াতে মহান আল্লাহ তাআলা নিজ দয়ায় এবং নিজ দায়িত্বে ঐব্যক্তিকে জান্নাতে প্রবেশ করানোর জামিন হয়েছেন যে ব্যক্তি কবিরা গুনাহ সমূহ থেকে নিজেকে মুক্ত রেখেছে।কেননা সগিরা গুনাহগুলো জুমা ও পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ও রমজানের রোজা ইত্যাদী দ্বারা মাফ হয়ে যায়। হাদীস শরীফে রাসূল সাঃ ইরশাদ করেন,পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ এবং এক জুমা থেকে অন্য জুমা ও এক রমজান থেকে অন্য রমজান-মধ্যবর্তি সময়ের সগিরা গুনাহ সমূহের জন্য কাফফারা স্বরূপ,যদি বান্দা কবিরা গুনাহ থেকে বেঁচে থাকে।(মুসলিম)অর্থাৎ বান্দা যদি নিজেকে কবিরা গুনাহ থেকে বাঁচিয়ে রাখে,তবে এক নামাজ থেকে দ্বিতীয় নামাজের পূর্ব পর্যন্ত সময়ে কোন সগিরা হয়ে থাকলে তা দ্বিতীয় নামাজ আদায়ের দ্বারাই মাফ হয়ে যাবে।এমনিভাবে জুমা ও রমজানের দ্বারাও তার মধ্যবর্তি গুনাহ মাফ হবে।
এ থেকে এটা স্পষ্ট হয় যে কবিরা গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাথে আরো একটি বিষয় দ্রষ্টব্য যে উলামায়ে কিরামের ভাষ্যানুযায়ি কবিরা গুনাহ যেমন তাওবা ও ইস্তেগফারের পর কবিরা গুনাহ থাকেনা অর্থাৎ মাফ হয়ে যায় তেমনিভাবে সগিরা গুনাহ ও বার বার করার দ্বারা সগিরা গুনাহ থাকেনা,তা কবিরা গুনাহে রূপান্তরীত হয়ে যায়।সুতরাং কবিরা গুনাহ থেকে বাঁচতে হলে প্রথমত কবিরা গুনাহকে জানতে হবে এবং সেগুলো চিনতে হবে।কেননা না চিনলে তা থেকে নিজেকে বাঁচাবো কিভাবে।এ প্রসংগেই হযরত হুযাইফা ইবনুল ইয়ামান রাঃ বলেন,মানুষ রাসূল সাঃ কে ভাল কাজের ব্যপারে প্রশ্ন করতো,অথচ আমি মন্দ কাজের ব্যপারে জেনে নিতাম,এ ভয়ে যে খারাপ যেন আমাকে না পেয়ে বসে।
কবীরা গুনাহের পরিচয়
অনেকেই মনে করে থাকেন যে কবিরা গুনাহ শুধুমাত্র সাতটি, যা হাদীসে কাবায়েরে(কবিরা গুনাহ সম্পর্কিত হাদীস)উল্লেখ আছে।কিন্তু এ ধারণাটি সঠিক নয়।কেননা এ সাতটি কাজ কবিরা গুনাহ ঠিকই,কিন্তু এ হাদীসের মধ্যে কবিরা গুনাহ কে এ সাতটির মধ্যে সিমাবদ্ধ করা হয়নি।অর্থাৎ এ হাদীসে রাসূল সাঃ এসাতটির মধ্যে কবিরা গুনাহকে সিমাবদ্ধ করেননি,সাতটি ধ্বংসাত্মক কবিরা গুনাহের বর্ণনা দিয়েছেন মাত্র।এ প্রসংগেই আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাঃ বলেন,কবিরা গুনাহ গণনা করলে সত্তরটি পর্যন্ত হয়।আর এসাতটি ঐ সত্তরটিরই অংশ।(বর্ণনায়-ইমাম ত্বাবারী)
আল্লামা শামছুদ্দীন যাহবী রাঃ বলেন,হাদীসে কাবায়ের এর সাতটি গুনাহের মধ্যে কবিরা গুনাহের সিমাবদ্ধতা নেই।
শাইখুল ইসলাম আল্লামা ইবনে তাইমিয়া রাহঃ ও অন্যান্য উলামায়ে কিরাম বলেন,”কবীরা গুনাহ হল প্রত্যেক ঐ গুনাহ যার জন্য দুনিয়াতে শাস্তির বিধান রয়েছে অথবা আখিরাতে শাস্তির ধমকি বা হুসিয়ারি দেয়া হয়েছে” আল্লামা ইবনে তাইমিয়া রাহঃ একটু বাড়িয়ে এও বলেছেন,যে গুনাহের জন্য ঈমান চলে যাওয়ার ধমকি এসেছে কিংবা লানত(বদ দোয়া)ইত্যাদী করা হয়েছে তাও কবীরা গুনাহের অন্তর্ভূক্ত।আর এ কবীরা গুনাহকে  উলামায়া কিরাম গণনা করে সত্তর বা ততধিক পেয়েছেন।
 কবীরা গুনাহের বর্ণনা   
নিম্নে যে কবিরা গুনাহ গুলোর বর্ণনা পেশ করছি সে গুলো কবিরা গুনাহ হওয়ার পক্ষে কুরান ও হাদীসে একাধিক প্রমান রয়েছে।এখানে এ সংক্ষিপ্ত পরিসরে তা উল্লেখ করা সম্ভব নয়।
১-আল্লাহ তাআলার সাথে শিরক করা
২-মানুষ হত্যা করা
৩-যাদু করা(ভান, টোনা মেরে মানুষের ক্ষতি করা
৪-নামাজ না পড়া
৫-জাকাত আদায়ে অস্বিকার করা
৬-কোন বৈধ কারণ ছাড়া রমজানের রোজা না রাখা
৭-শক্তি ও সামর্থ থাকা সত্বেও হজ্ব না করা
৮-পিতা মাতার অবাধ্য হওয়া
৯-স্বজনদের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রাখা এবং আত্মীয়তা ছিন্ন করা
১০-জিনা বা ব্যাভিচারে লিপ্ত হওয়া
১১-সমকামিতা বা মহিলার পেছন পথে সংগম করা
১২-সুদ খাওয়া
১৩-এতিমের সম্পদ ভক্ষণ(ভোগ)করা
১৪-আল্লাহ তাআলা ও তাঁর রাসূল সাঃ এর উপর মিথ্যা আরোপ করা
১৫-জিহাদের ময়দান থেকে পালিয়ে আসা
১৬-রাষ্ট্র প্রধান কতৃক প্রজাদের সম্পদ ও অধিকার আত্মসাত এবং প্রজাদের উপর অত্যাচার করা
১৭-অহংকার
১৮-মিথ্যা স্বাক্ষি দেয়া
১৯-মদ পান করা
২০-জুয়া
২১-সতি সাধবী মহিলার উপর মিথ্যা অপবাদ দেয়া
২২-যুদ্ধ লব্দ মাল থেকে আত্মসাত করা
২৩-চুরি করা
২৪-ডাকাতি করা
২৫-মিথ্যা কসম বা শপথ
২৬-জুলুম বা অত্যাচার
২৭-চাঁদাবাজি
২৮-হারাম মাল ভক্ষণ এবং যে কোন ভাবে তা ব্যবহার করা
২৯-আত্মহত্যা করা
৩০-মিথ্যা বলা
৩১-আল্লাহ প্রদত্ত ইসলামী বিধান বাদ দিয়ে মানব রচিত বিধানে বিচার কার্য সম্পাদন করা
৩২-ঘুষ খাওয়া এবং ঘুষ নিয়ে কারো পক্ষে রায় দেয়া
৩৩-পোষাক পরিচ্ছেদ,চলা ফেরা ইত্যাদীতে নারী পুরুষের রূপ ধারণ করা কিংবা পুরুষ নারীর রূপ ধারণ করা
৩৪-দু জনের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টির চেষ্টা এবং (দাইয়ূছ)যে নিজের পরিবারের অপকর্ম কে উদারমনা হয়ে সমর্থন করে
৩৫-হালালকারী এবং যার জন্য হালাল করা হয়েছে(স্ত্রী কে তিন তালাক দেয়ার পর স্বামির জন্য ঐ স্ত্রী হারাম হয়ে যায়।কিন্তু ঐ মহিলার দ্বিতীয় কোথাও স্বাভাবিক বিয়ে হওয়ার পর যদি ঐ স্বামি তাকে তালাক দেয় তবে এই মহিলা তার প্রথম স্বামির জন্য হালাল হয়।পূণরায় বিয়ে করে তাকে গ্রহন করতে পারে।অথচ এখন দেখা যায় স্বামি স্ত্রীকে তালাক দেয়ার চুক্তি ভিত্তিক হিল্লা বিয়ে দেয়া হয় কিছু সময়ের জন্য।যখন চুক্তি মাফিক চুক্তি বিয়ের স্বামি মহিলাকে
তালাক দেয়,প্রথম স্বামি পূণঃ বিয়ে পড়ে তাকে গ্রহন করে।এটা শরিয়ত সন্মত নয়।এখানে চুক্তি ভিত্তিক স্বামি হল হালাল কারী আর প্রথম স্বামি হল যার জন্য হালাল করা হয়েছে।এখানে উভয়েই এই কবিরা গুনায় সমান অংশিদার।)
৩৬-প্রস্রাব থেকে পরিচ্ছন্ন না থাকা(এটা খৃষ্টান্দের একটি সংস্কৃতি)
৩৭-চতুস্পদ প্রাণীর মুখে লোহা দিয়ে চিহ্ন দেয়া
৩৮-দুনিয়া হাসিলের উদ্দ্যেশ্যে দ্বিনী এলেম শিক্ষা করা এবং এলেম শিক্ষা করে তা প্রচার ও প্রকাশ না করে লুকিয়ে রাখা
৩৯-গচ্ছিত মাল বা আমানতের খেয়ানত করা
৪০-কারো উপর দয়া,অনুগ্রহ,দান বা উপকার করে খোঁটা দেয়া
৪১-তাক্বদীর বা ভাগ্য কে অস্বিকার করা
৪২-চুপি চুপি লুকিয়ে মানুষের গোপন কথা শ্রবণ করা
৪৩-চোগলখোরি বা বিবাদ সৃষ্টির লক্ষ্যে এক জনের কথা অন্যের নিকট আদান প্রদান করা
৪৪-কাউকে লানত বা গালিগালাজ করা
৪৫-অঙ্গীকার,ওয়াদা বা চুক্তি ভঙ্গ করা
৪৬-জ্যোতিষি গনক বা যাদুকরকে বিশ্বাস করা
৪৭-স্ত্রী স্বামির অবাধ্য হওয়া
৪৮-মূর্তি বানানো বা প্রাণীর নোংরা ছবি,পেইন্টিং বানানো
৪৯-বিপদের সময় চিৎকার করে কান্নাকাটি করা,বুক বা মুখ চাবড়ানো,পরিধেয় পোষাক ছিঁড়ে ফেলে,মাথা ন্যড়া করা,চুল ছিঁড়ে ফেলা,নিজেদের জন্য ধ্বংশ ইত্যাদী ডেকে বিলাপ করা
৫০-বিদ্রোহ করা বা অতিরঞ্জিত করা
৫১-দুর্বল অধিনস্ত দাস দাসী,স্ত্রী কিংবা কোন প্রাণীর উপর হাত উঠানো বা প্রহার করা
৫২-প্রতিবেশী কে যেকোন ভাবে কষ্ট দেয়া
৫৩-কোন মুসলমান কে কষ্ট বা গালি দেয়া
৫৪-অহংকার বা সন্মানবোধ থেকে টাখনুর নীচে কাপড় পরিধান করা
৫৫-স্বর্ণ কিংবা রৌপ্যের পাত্রে আহার বা পান করা
৫৬-পুরূষ রেশমি কাপড়(সিল্ক)বা স্বর্ণ পরিধান করা
৫৭-গোলাম বা দাস মালিকের কাছ থেকে পালিয়ে যাওয়া(দাস এযুগে নেই)
৫৮-আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে প্রাণী জবাই করা যেমন শয়তানের নামে যাদু করার জন্য,মূর্তির নামে,পীর সাহেবের নিয়তে ইত্যাদী
৫৯-জেনে শুনে পিতাকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে পিতা বলে মানা বা দাবী করা
৬০-ঝগড়া বিবাদ,কারো সাথে নিজের ব্যাক্তিত্ত্ব প্রকাশ বা তাকে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দ্যেশ্যে বিতর্কে লিপ্ত হওয়া
৬১-অতিরিক্ত পানি বেঁধে রাখা।যেমন কারো বাগান বা জমি উঁচু জায়গায় আর কারো নীচুতে।বৃষ্টি,ঝর্ণা,নদীর পানি উঁচু থেকে প্রবাহিত হয়ে নীচের দিকে আসে।উঁচু বাগান বা জমির মালিক তার জায়গায় পানি পর্যাপ্ত হওয়ার পরও অতিরিক্ত পানি যাতে নীচের দিকে প্রবাহিত হতে না পারে সে জন্য বাঁধ দিয়ে পানি আটকে রাখা
৬২-মাপে কম দেয়া(এটা খুব বেশি দেখা যায় আমাদের দেশের গোশ্ত বিক্রেতাদের মাঝে।এছাড়া অন্যরা ও করে থাকে।)
৬৩-আল্লাহ তাআলার পাকড়াও ও হস্তক্ষেপ থেকে নিশ্চিন্ত ও নির্ভয় হওয়া
৬৪-মৃত প্রাণীর গোস্ত এবং প্রাণীর রক্ত ও শুকরের গোস্ত খাওয়া
৬৫-কোন ওজর(শরীয়ত স্বিকৃত সমস্যা)ছাড়া জুমার নামাজ বা জামাত ছেড়ে দিয়ে একাকী নামাজ আদায় করা
৬৬-আল্লাহ তাআলার রহমত ও অনুগ্রহ থেকে নৈরাশ হওয়া
৬৭-কোন মুসলমান কে কাফির বলা
৬৮-ধোকাবাজী করা ও ঠকানো
৬৯-মুসলমানদের মধ্যে গোয়েন্দাগিরী ও তাদের গোপনীয়তা সম্পর্কে অবগত হওয়া(বিবাদ সৃষ্টির লক্ষ্যে)
৭০-সাহাবাদের কাউকে গালি দেয়া
৭১-অসৎ বা বিচারক
৭২-বংশ নিয়ে একে অপরকে তিরস্কার বা ধিক্কার দেয়া বা হেয় প্রতিপন্ন করা
৭৩-মৃত ব্যাক্তির উপর চিৎকার করে আহাজারি করা,বুক চাবড়িরা,বুক চাবড়িয়ে জামা কাপড় ছিড়ে বিলাপ করা
৭৪-রাস্তার চিহ্ন বা মাইলফলক সরিয়ে ফেলা(মিটিয়ে দেয়া)
৭৫-কোন অসৎকাজ প্রতিষ্ঠা কিংবা মানুষকে পথভ্রষ্টতার দিকে আহবান করা
৭৬-মহিলারা নিজের চুলের সাথে নকল চুল মিলানো এবং চেহারার লোম ইত্যাদী উঠানো সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য
৭৭-কোন ধাতব বা ধারাল বস্তু অন্যের দিকে উঁচু করা বা আঘাতের লক্ষ্যে নিশানা বানানো
৭৮-পবিত্র হারাম শরিফে(মক্কায়)বা হারামের সিমানার মধ্যে অন্যায় অত্যাচারে লিপ্ত হওয়া।
এখানে কবিরা গুনাহের বর্ণনা সমাপ্ত।নীচে সম্ভাব্য কিছু কবিরা গুনাহ উল্লেখ করছি,যা উলামায়ে কিরাম মূল গুনাহের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত করেননি।
সম্ভাব্য কবিরা গুনা
রাসূল সাঃ ইরশাদ করেনঃ-
১-যে ব্যক্তি কারো স্ত্রীকে বা দাস কে স্বামি ও মালিকের বিরুদ্বে উস্কে দিল সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়
২-ভায়ের সাথে এক বৎসর সম্পর্ক ছিন্ন রাখা তাকে হত্যা করার সমতুল্য
৩-যে ব্যক্তির সুপারিশে আল্লাহ প্রদত্ত কোন শাস্তি রহিত হল সে যেন একাজ দ্বারা আল্লাহর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করল
৪-তোমরা মুনাফেক্বকে(সাইয়েদুনা)আমাদের নেতা বলোনা।মুনাফেক্বকে নেতা বললে আল্লাহ অসন্তুষ্ট হন
৫-যে ব্যক্তি বিনা অনুমতিতে কারো ঘরে উঁকি মেরে দেখল,ঐ পরিবারের জন্য তার চক্ষু নষ্ট করে দেয়া বৈধ
৬-যে ব্যক্তি মানুষের কৃতজ্ঞতা আদায় করেনা সে আল্লাহ তাআলার প্রতি ও অকৃতজ্ঞ।

শেয়ার করে আপনার বন্ধুদেরকে জানান । তাদের কে জানতে দিন অজানা বিষয় গুলি। এই পোস্টি আপনার ফেসবুক পেইজে,আপনার ওয়ালে শেয়ার করুণ। প্রকাশক ও সম্পাদক ব্লগার_সৈয়দ রুবেল লেখকজানার আছে অনেক কিছু

কোন মন্তব্য নেই :