হযরত উমরের শোক - কবর যিয়ারতে আমীরুল মুমেনীন

কোন মন্তব্য নেই
হযরত উমরের শোক
এভাবে যুবকের মৃত্যু ঘটায়
বিষয়টি সুস্পষ্ট হয়ে ওঠে। যুবক
যে একজন সৎ চরিত্রের আল্লাহভীরু
যুবক, একথা আর কারও
বুঝতে বাকী থাকে না। কিন্তু
সে তো আর জীবিত নেই। সে যাকে ভয়
করে তার দরবারে সে পৌঁছে গিয়েছে।
তাই বিলম্ব না করে রাত্রেই তার
কাফন-দাফন সমাধা করা হয়। সকাল
বেলা আমীরুল মুমেনীনকে বিস্তারিত
ঘটনা অবহিত করা হয়। হযরত উমর
ফারুক যুবকটিকে স্নেহ করতেন, তাই
তার মৃত্যু সংবাদে ব্যথিত হন। আরও
অধিক ব্যথিত হন সংবাদের বিলম্বের
কারণে। তিনি স্বয়ং যুবকের বাড়ী যান
এবং তার পিতাকে শোক ও সান্ত্বনার
বাণী শোনান। তিনি যুবকের
পিতাকে একথা বলেন,
“তোমরা আমাকে সময়মতো সংবাদ
দিলে না কেন?” পিতা বললেন,
“আমীরুল মুমেনীন! রাতের
অন্ধকারে আপনার কষ্ট
হবে মনে করে আপনাকে খবর দেইনি।”
কবর যিয়ারতে আমীরুল মুমেনীন
আমীরুল মুমেনীন যুবকের
পিতাকে বললেন, “তোমরা আমাকে তার
কবরে নিয়ে চল। এরপর হযরত উমর
অন্যান্য সাহাবী ও
সাথীদেরকে নিয়ে যুবকের কবর
যিয়ারতে যান এবং এই
আয়াতটি তেলাওয়াত করেন-
ﻭﻟﻤﻦ ﺧﺎﻑ ﻣﻘﺎﻡ ﺭﺑﻪ ﺟﻨﺘﺎﻥ
অর্থাৎ,‘যে ব্যক্তি তার প্রভুর
সামনে দণ্ডায়মান হওয়ার ভয়
রাখে তার জন্য রয়েছে দুটি জান্নাত।’
হযরত উমর (রাঃ) কবর থেকে যুবকের
মুখে শুনতে পান, হে উমর! সত্যিই
আল্লাহ পাক আমাকে দুটি জান্নাতের
অধিকারী করেছেন। কবর থেকে যুবকের
মুখে এই উত্তর হযরত উমর ফারুক
দুইবার শুনতে পান।

Next post শিক্ষণীয় বিষয় - আল্লাহর ভয়ের উপকারিতা
শেয়ার করে আপনার বন্ধুদেরকে জানান ।এটা আপনার আমার সকলের দ্বায়িত্ব ।প্রকাশক ও সম্পাদক সৈয়দ রুবেল উদ্দিন

কোন মন্তব্য নেই :