রোযাদারকে ইফতার করানোর ফযিলত

কোন মন্তব্য নেই
জায়েদ ইব্ন খালেদ জুহানি রাদিয়াল্লাহু
আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
« ﻣَﻦ ﻓَﻄَّﺮَ ﺻَﺎﺋﻤﺎً ﻛَﺎﻥَ ﻟﻪ ﻣِﺜْﻞُ
ﺃَﺟْﺮِﻩِ ﻏَﻴْﺮَ ﺃَﻧَّﻪُ ﻻ ﻳَﻨﻘُﺺُ ﻣِﻦ ﺃَﺟْﺮِ
ﺍﻟﺼَّﺎﺋِﻢِ ﺷَﻴﺌﺎً »
“যে রোযাদারকে ইফতার করাল, তার
রোযাদারের ন্যায় সাওয়াব হবে,
তবে রোযাদারের নেকি বিন্দুমাত্র
কমানো হবে না”। {তিরমিযি: (৮০৭),
ইব্ন মাজাহ: (১৭৪৬), নাসায়ি ফিল
কুবরা: (৩৩৩০-৩৩৩১), সহিহ ইব্ন
খুযাইমাহ: (২০৬৪), ইব্ন হিব্বান:
(৩৪২৯), নাসায়ি আয়েশা থেকে মওকুফ
হিসেবেও বর্ণনা করেছেন, দেখুন:
নাসায়ি ফিল কুবরা: (৩৩৩২), আব্দুর
রায্যাক আবু হুরায়রা থেকে মওকুফ
হিসেবে বর্ণনা করেছেন, দেখুন: আব্দুর
রায্যাক: (৭৯০৬)}
অপর বর্ণনায় আছে :
« ﻣَﻦْ ﻓَﻄَّﺮ ﺻَﺎﺋﻤﺎً ﺃَﻃﻌَﻤَﻪُ ﻭﺳَﻘَﺎﻩُ
ﻛَﺎﻥَ ﻟَﻪُ ﻣِﺜْﻞُ ﺃَﺟْﺮِﻩِ ﻣِﻦْ ﻏَﻴْﺮِ ﺃَﻥْ
ﻳَﻨﻘُﺺَ ﻣِﻦْ ﺃَﺟْﺮِﻩِ ﺷَﻲﺀ ».
“যে রোযাদারকে ইফতার করাল,
তাকে পানাহার করাল, তার রোযাদারের
সমান সওয়াব হবে, তবে তার
নেকি থেকে বিন্দুমাত্র হ্রাস
করা হবে না”। {আব্দুর রায্যাক:
(৭৯০৫), তাবরানি ফিল কাবির:
(৫/২৫৬), হাদিস নং: (৫২৬৯)}
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু
থেকে বর্ণিত, তাকে এক
মহিলা ইফতারের জন্য দাওয়াত করল,
তিনি তাতে সাড়া দিলেন এবং বললেন:
“আমি তোমাকে বলছি, যে গৃহবাসী কোন
রোযাদারকে ইফতার করাবে, তাদের জন্য
তার অনুরূপ সওয়াব হবে। মহিলা বলল:
আমি চাই আপনি ইফতারের জন্য আমার
কাছে কিছুক্ষণ অবস্থান করুন, বা এ
জাতীয় কিছু বলেছে। তিনি বললেন:
আমি চাই এ নেকি আমার পরিবার হাসিল
করুক। {মুসান্নাফ ইব্ন আব্দুর
রায্যাক: (৭৯০৮)}
শিক্ষা ও মাসায়েল:
এক. আল্লাহ তা‘আলার অসীম অনুগ্রহ
যে, তিনি কল্যাণের নানা ক্ষেত্র
উন্মুক্ত করেছেন। যেমন তিনি মানুষের
প্রতি অনুগ্রহ করার আহ্বান
জানিয়ে মহান সওয়াবের
ঘোষণা দিয়েছেন।
দুই. রোযাদারকে ইফতার
করানো একটি ফযিলতপূর্ণ আমল,
যে রোযাদারকে ইফতার করাবে সে তার
ন্যায় নেকি লাভ করবে।
তিন. রোযাদারকে ইফতার করালে তার
বদলা আল্লাহ নিজের পক্ষ থেকে প্রদান
করেন, রোযাদারের পক্ষ থেকে নয়।
অতএব রোযাদারের সামান্য নেকি হ্রাস
হবে না, এটা আল্লাহর দয়া ও অনুগ্রহের
আলামত।
চার. এ থেকে বুঝা যায় ইফতারের
দাওয়াত গ্রহণ করা বৈধ,
বুজুর্গি দেখিয়ে বা নেকি কমার
আশঙ্কায় তা প্রত্যাখ্যান
করা বাড়াবাড়ি। কারণ অপরের নিকট
ইফতার করলে রোযাদারের পুণ্য কমে না।
তবে শুধু মিসকিনদের জন্য ইফতারের
দাওয়াত হলে, সেখানে ধনীদের
যাওয়া ঠিক নয়।
পাঁচ. আত্মীয়দের সঙ্গে সদাচার ও
তাদের খুশির জন্য
দাওয়াতে সাড়া দেয়া ও ইফতার
করা বৈধ, যেন তাদের পুণ্য হাসিল হয়,
যেমন আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু
করেছেন।
ছয়. যে ইফতার করাবে, সে নেকি ও
অপরের প্রতি ইহসানের নিয়ত করবে,
বিশেষ করে রোযাদার যদি গরিব হয়।
সাত. রোযাদারকে বাসায় নিয়ে আপ্যায়ন
করা, বা খাবার প্রস্তুত করে তার জন্য
পাঠিয়ে দেয়া ইফতার করানোর শামিল,
তবে অপচয় না করা, বিশেষ
করে রকমারি ইফতারের এ যুগে।
আট. কেউ যদি গরিবকে টাকা দেয়, যার
কিছু দিয়ে সে ইফতার করল,
বাকিটা সংগ্রহে রেখে দিল, বাহ্যত
তা ইফতার করানোর হাদিসের
অন্তর্ভুক্ত হবে, অধিকন্তু
সে আর্থিকভাবে উপকৃত হল।
ইবরাহিম ইব্ন মুহাম্মাদ আল-হাকিল
অনুবাদ : সানাউল্লাহ নজির আহমদ
সম্পাদনা : আবু বকর মুহাম্মাদ
যাকারিয়া

Post on আখিরাতের জীবনের তুলনায় দুনিয়ার
জীবন খুবই নগণ্য

ব্লগ সম্পাদক ও এ্যাডমিনঃ সৈয়দ রুবেল উদ্দিন

ব্লগের প্রকাশিত পোস্ট গুলি ফেসবুকে শেয়ার করে আমাদের চলার পথকে আরো গতিময় করে তুলুন ।আমরা দিন রাত খাটিয়ে পোস্ট গুলি লেখি ।ব্লগে প্রকাশ করে আপনাদেরকে উপহার দেয় ।আপনারা যদি শেয়ার না করেন?তাহলে আমরা তো সামনে এগিয়ে যেতে পারবোনা ।আমার ব্লগ বাড়ীতে বেড়াতে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।সাথে থাকুন সব সময় ।আল্লাহ্ হাফেজ ।

কোন মন্তব্য নেই :