শবে বরাত ও প্রাসংগিক কিছু কথা, পর্ব ২

কোন মন্তব্য নেই
১.এ রাত্রির ফযীলত
সম্পর্কে সুস্পষ্ট কোন
দলীল নেই। রাসূল
(সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
এ রাত্রিতে কোন
সুনির্দিষ্ট ইবাদত
করেছেন বলে সহীহ
হাদীসে প্রমাণিত
হয়নি।
অনুরূপভাবে তার কোন
সাহাবী থেকেও কিছু
বর্ণিত হয়নি।
তাবেয়ীনদের
মধ্যে তিনজন ব্যতীত
আর
কারো থেকে বর্ণিত
হয়নি।
আল্লামা ইবনে রজব
(রাহমাতুল্লাহি আলাইহি)
বলেনঃ শা‘বানের
রাত্রিতে রাসূল
(সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
অথবা তার সাহাবাদের
থেকে কোন নামায
পড়া প্রমাণিত হয়নি।
যদিও শামদেশীয়
সুনির্দিষ্ট কোন কোন
তাবেয়ীন
থেকে তা বর্ণিত
হয়েছে। (লাতায়েফুল
মা‘আরিফঃ১৪৫)।
শাইখ আব্দুল আযীয
ইবনে বায
(রাহমাতুল্লাহি আলাইহি)
বলেনঃ ‘এ রাত্রির
ফযীলত বর্ণনায় কিছু
দুর্বল হাদীস
এসেছে যার উপর
ভিত্তি করা জায়েয
নেই, আর এ
রাত্রিতে নামায
আদায়ে বর্ণিত
যাবতীয় হাদীসই
বানোয়াট, আলেমগণ এ
ব্যাপারে সতর্ক
করে গেছেন’।
২. হাফেজ ইবনে রজব
(রাহমাতুল্লাহি আলাইহি)
যিনি কোন কোন
তাবেয়ীনদের থেকে এ
রাত্রির ফযীলত
রয়েছে বলে বর্ণনা করেছেন,
তিনি বলেছেনঃ ঐ
সমস্ত তাবেয়ীনদের
কাছে দলীল
হলো যে তাদের কাছে এ
ব্যাপারে ইসরাইলি কিছু
বর্ণনা এসেছে।
তাহলে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে,
যারা এ রাত পালন
করেছেন তাদের দলীল
হলো, যে তাদের
কাছে ইসরাইলি বর্ণনা এসেছে,
আমাদের
প্রশ্নঃ ইসরাইলি বর্ণনা এ
উম্মাতের জন্য
কিভাবে দলীল
হতে পারে?
৩. যে সমস্ত
তাবেয়ীনগণ থেকে এ
রাত উদযাপনের সংবাদ
এসেছে তাদের
সমসাময়িক প্রখ্যাত
ফুকাহা ও
মুহাদ্দিসীনগণ তাদের এ
সব কর্মকান্ডের
নিন্দা করেছেন।
যারা তাদের
নিন্দা করেছেন তাদের
মধ্যে প্রখ্যাত
হলেনঃ ইমাম
আতা ইবনে আবি রাবাহ,
যিনি তার যুগের
সর্বশ্রেষ্ট
মুফতি ছিলেন, আর
যার
সম্পর্কে সাহাবী আব্দুল্লাহ
ইবনে উমার
(রাদিয়াল্লাহু আনহুমা)
বলেছিলেনঃ তোমরা আমার
কাছে প্রশ্নের জন্য
একত্রিত হও, অথচ
তোমাদের
কাছে ইবনে আবি রাবাহ
রয়েছে। সুতরাং যদি ঐ
রাত্রি উদযাপনকারীদের
পক্ষে কোন দলীল
থাকত,
তাহলে তারা ‘আতা ইবনে আবি রাবাহর
বিপক্ষে তা অবশ্যই
পেশ করে তাদের
কর্মকাণ্ডের
যথার্থতা প্রমাণ
করার চেষ্টা করতেন,
অথচ এরকম করেছেন
বলে প্রমাণিত হয়নি।
৪. পূর্বেই বর্ণিত
হয়েছে যে, যে সমস্ত
দুর্বল হাদীসে ঐ
রাত্রির ফযীলত
বর্ণিত হয়েছে,
তাতে শুধুমাত্র
সে রাত্রিতে আল্লাহর
অবতীর্ণ হওয়া এবং
ক্ষমা করা প্রমাণিত
হয়েছে, এর বাইরে কিছুই
বর্ণিত হয়নি।
মুলতঃ এ অবতীর্ণ
হওয়া ও ক্ষমা চাওয়ার
আহবান প্রতি রাতেই
আল্লাহ
তা’আলা করে থাকেন।
যা সুনির্দিষ্ট কোন
রাত বা রাতসমূহের
সাথে সংশ্লিষ্ট নয়।
এর বাইরে দুর্বল
হাদীসেও অতিরিক্ত
কোন ইবাদত করার
নির্দেশ নেই।
৫. আর যারা এ
রাত্রিতে ব্যক্তিগতভাবে আমল
করা জায়েয
বলে মন্তব্য করেছেন
তাদের মতের
পক্ষে কোন দলীল নেই,
কেননা এ
রাত্রিতে রাসূল
(সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
থেকে বা তার
সাহাবা কারো থেকেই
ব্যক্তিগত
কিংবা সামষ্টিক কোন
ভাবেই কোন প্রকার
ইবাদত করেছেন
বলে বর্ণিত হয়নি। এর
বিপরীতে শরীয়তের
সাধারণ অনেক দলীল এ
রাত্রিকে ইবাদতের
জন্য নির্দিষ্ট
করাকে নিষিদ্ধ
ঘোষণা করছে,
তম্মধ্যে রয়েছেঃআল্লাহ
বলেনঃ“আজকের
দিনে আমি তোমাদের
জন্য তোমাদের
দ্বীনকে পরিপূর্ণ
করে দিলাম”।
(সূরা আল-
মায়েদাহঃ ৩)।রাসূল
(সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেনঃ (যে ব্যক্তি আমাদের
দ্বীনের মধ্যে এমন
নতুন কিছুর উদ্ভব
ঘটাবে যা এর
মধ্যে নেই, তা তার
উপর নিক্ষিপ্ত হবে)।
(বুখারী, হাদীস
নং ২৬৯৭)।
তিনি আরো বলেছেনঃ (যে ব্যক্তি এমন
কোন কাজ করবে যার
উপর আমাদের দ্বীনের
মধ্যে কোন নির্দেশ
নেই তা অগ্রহণযোগ্য)
। (মুসলিম, হাদীস
নং ১৭১৮)।শাইখ
আব্দুল আজীজ
ইবনে বায
(রাহমাতুল্লাহি আলাইহি)
বলেনঃ আর ইমাম
আওযা‘য়ী (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি)
যে, এ রাতে ব্যক্তিগত
ইবাদত করা ভাল
মনে করেছেন, আর
যা হাফেয ইবনে রাজাব
পছন্দ করেছেন, তাদের
এ মত অত্যন্ত
আশ্চার্যজনক
বরং দুর্বল;
কেননা কোন কিছু
যতক্ষন পর্যন্ত
না শরীয়তের দলীলের
মাধ্যমে জায়েয
বলে সাব্যস্ত
হবে ততক্ষন পর্যন্ত
কোন মুসলিমের পক্ষেই
দ্বীনের মধ্যে তার
অনুপ্রবেশ ঘটাতে বৈধ
হবে না। চাই
তা ব্যক্তিগতভাবে করুক
বা সামষ্টিক-
দলবদ্ধভাবে। চাই
গোপনে করুক
বা প্রকাশ্য। কারণ
বিদ‘আতকর্ম
অস্বীকার
করে এবং তা থেকে সাবধান
করে যে সমস্ত
প্রমাণাদি এসেছে সেগুলো সাধারণভাবে তার
বিপক্ষে অবস্থান
নিচ্ছে। (আত্তাহযীর
মিনাল বিদ‘আঃ১৩)।
৬. শাইখ আব্দুল
আযীয ইবনে বায
(রাহমাতুল্লাহি আলাইহি)
আরো বলেনঃ সহীহ
মুসলিমে আবু
হুরায়রা (রাদিয়াল্লাহু
আনহু) থেকে বর্ণিত
হয়েছে, রাসূল
(সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেনঃ “তোমরা জুম‘আর
রাত্রিকে অন্যান্য
রাত থেকে ক্বিয়াম/
নামাযের জন্য
সুনির্দিষ্ট করে নিও
না, আর জুম‘আর
দিনকেও অন্যান্য
দিনের
থেকে আলাদা করে রোযার
জন্য সুনির্দিষ্ট
করে নিও না,
তবে যদি কারো রোযার
দিনে সে দিন
ঘটনাচক্রে এসে যায়
সেটা ভিন্ন কথা”।
(সহীহ মুসলিম, হাদীস
নং ১১৪৪, ১৪৮)।
যদি কোন
রাতকে ইবাদতের জন্য
সুনির্দিষ্ট করা জায়েয
হতো তবে অবশ্যই
জুম‘আর
রাতকে ইবাদতের জন্য
বিশেষভাবে সুনির্দিষ্ট
করা জায়েয হতো;
কেননা জুম‘আর দিনের
ফযীলত
সম্পর্কে হাদীসে এসেছে যে,
“সুর্য
যে দিনগুলোতে উদিত
হয়
তম্মধ্যে সবচেয়ে শ্রেষ্ট
দিন, জুম‘আর দিন”।
(সহীহ মুসলিম, হাদীস
নং ৫৮৪)।
সুতরাং যেহেতু রাসূল
(সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
জুম‘আর
দিনকে বিশেষভাবে ক্বিয়াম/
নামাযের জন্য
সুনির্দিষ্ট
করা থেকে নিষেধ
করেছেন সেহেতু
অন্যান্য
রাতগুলোতে অবশ্যই
ইবাদতের জন্য
সুনির্দিষ্ট
করে নেয়া জায়েয
হবে না। তবে যদি কোন
রাত্রের
ব্যাপারে সুস্পষ্ট কোন
দলীল এসে যায়
তবে সেটা ভিন্ন কথা।
আর যেহেতু লাইলাতুল
ক্বাদর এবং রমযানের
রাতের ক্বিয়াম/নামায
পড়া জায়েয সেহেতু
রাসূল (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
থেকে এ রাতগুলোর
ব্যাপারে স্পষ্ট হাদীস
এসেছে। তৃতীয় প্রশ্নঃ শা‘বানের
মধ্যরাত্রিতে হাজারী নামায পড়ার
কী হুকুম?
উত্তরঃ শা‘বানের
মধ্যরাত্রিতে একশত রাকাত
নামাযের প্রতি রাকাতে দশবার
সূরা কুল হুওয়াল্লাহ (সূরা ইখলাস)
দিয়ে নামাজ পড়ার যে নিয়ম প্রচলিত
হয়েছে তা সম্পূর্ণরূপে বিদ‘আত।
এ নামাযের প্রথম প্রচলন
এ নামাযের প্রথম প্রচলন হয়
হিজরী ৪৪৮ সনে। ফিলিস্তিনের
নাবলুস শহরের ইবনে আবিল
হামরা নামীয় একলোক বায়তুল
মুকাদ্দাস আসেন। তার তিলাওয়াত
ছিল সুমধুর। তিনি শা‘বানের
মধ্যরাত্রিতে নামাযে দাঁড়ালে তার
পিছনে এক লোক এসে দাঁড়ায়, তারপর
তার সাথে তৃতীয় জন এসে যোগ দেয়,
তারপর চতুর্থ জন। তিনি নামায শেষ
করার আগেই বিরাট একদল লোক
এসে তার সাথে যুক্ত হয়ে পড়ে।
পরবর্তী বছর এলে, তার
সাথে অনেকেই যোগ দেয় ও নামায
আদায় করে। এতে করে মাসজিদুল
আক্সাতে এ নামাযের প্রথা চালু হয়।
কালক্রমে এ নামায এমনভাবে আদায়
হতে লাগে যে অনেকেই তা সুন্নাত
মনে করতে শুরু করে।
(ত্বারতুসীঃ হাওয়াদেস ও বিদ‘আ
পৃঃ১২১, ১২২,
ইবনে কাসীরঃ বিদায়া ওয়ান
নিহায়া ১৪/২৪৭, ইবনুল
কাইয়েমঃ আল-মানারুল মুনিফ পৃঃ৯৯)

এ নামাযের পদ্ধতি
প্রথা অনুযায়ী এ নামাযের
পদ্ধতি হলো,
প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহার পর
সূরা ইখলাস দশবার করে পড়ে মোট
একশত রাকাত নামায পড়া।
যাতে করে সূরা ইখলাস ১০০০ বার
পড়া হয়। (এহইয়ায়ে উলুমুদ্দীন
(১/২০৩)।
এ ধরণের নামায সম্পূর্ণ বিদ‘আত।
কারণ এ ধরণের নামাযের
বর্ণনা কোন হাদীসের
কিতাবে আসেনি। কোন কোন বইয়ে এ
সম্পর্কে যে সকল হাদীস উল্লেখ
করা হয় সেগুলো কোন হাদীসের
কিতাবে আসেনি। আর তাই
আল্লামা ইবনুল জাওযী (মাওদু‘আত
১/১২৭-১৩০), হাফেয
ইরাকী (তাখরীজুল এহইয়া), ইমাম
নববী (আল-মাজমু‘ ৪/৫৬),
আল্লামা আবু শামাহ (আল-বা‘েয়স
পৃঃ৩২-৩৬), শাইখুল ইসলাম
ইবনে তাইমিয়্যা, (ইকতিদায়ে ছিরাতুল
মুস্তাকীম ২/৬২৮),
আল্লামা ইবনে ‘আররাক (তানযীহুশ
শরীয়াহ ২/৯২), ইবনে হাজার আল-
আসকালানী, আল্লামা সূয়ূতী (আল-
আমর বিল ইত্তেবা পৃঃ৮১, আল-
লাআলিল মাসনূ‘আ ২/৫৭),
আল্লামা শাওকানী (ফাওয়ায়েদুল
মাজমু‘আ পৃঃ৫১) সহ আরো অনেকেই
এ গুলোকে “বানোয়াট হাদীস”
বলে সুস্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছেন।
এ ধরণের নামাযের হুকুম
সঠিক জ্ঞানের অধিকারী আলেমগণের
মতে এ ধরণের নামায বিদ‘আত;
কেননা এ ধরনের নামায আল্লাহর
রাসূলও পড়েননি। তার কোন খলীফাও
পড়েননি। সাহাবাগণও পড়েননি।
হেদায়াতের ইমাম তথা আবু হানিফা,
মালেক, শাফেয়ী, আহমাদ, সাওরী,
আওযায়ী, লাইস’সহ অন্যান্যগণ
কেউই এ ধরণের নামায
পড়েননি বা পড়তে বলেননি।
আর এ ধরণের নামাযের বর্ণনায়
যে হাদীসসমূহ কেউ কেউ উল্লেখ
করে থাকেন তা উম্মাতের আলেমদের
ইজমা অনুযায়ী বানোয়াট। (এর জন্য
দেখুনঃ ইবনে তাইমিয়ার মাজমুল‘
ফাতাওয়া ২৩/১৩১,১৩৩,১৩৪,
ইকতিদায়ে ছিরাতে মুস্তাকীম
২/৬২৮, আবু শামাহঃ আল-বা‘য়েছ
পৃঃ ৩২-৩৬, রশীদ
রিদাঃ ফাতাওয়া ১/২৮,
আলী মাহফুজ, ইবদা‘ পৃঃ২৮৬,২৮৮,
ইবনে বাযঃ আত্তাহযীর মিনাল
বিদ‘আ পৃঃ১১-১৬)।
চতুর্থ প্রশ্নঃ শা‘বানের
মধ্যরাত্রির পরদিন
কি রোযা রাখা যাবে?
উত্তরঃ রাসূল (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বহু সহীহ
হাদীসে প্রমাণিত হয়েছে যে,
তিনি শা‘বান
মাসে সবচেয়ে বেশী রোযা রাখতেন।
(এর জন্য দেখুনঃ বুখারী, হাদীস
নং ১৯৬৯, ১৯৭০, মুসলিম, হাদীস
নং ১১৫৬, ১১৬১,
মুসনাদে আহমাদ ৬/১৮৮,
সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং ২৪৩১,
সহীহ ইবনে খুযাইমা, হাদীস
নং ২০৭৭, সুনানে তিরমিঝি, হাদীস
নং ৬৫৭)।
সে হিসাবে যদি কেউ শা‘বান
মাসে রোযা রাখেন
তবে তা হবে সুন্নাত। শাবান মাসের
শেষ দিন ছাড়া বাকী যে কোন দিন
রোযা রাখা জায়েয বা সওয়াবের কাজ।
তবে রোজা রাখার সময়
মনে করতে হবে যে, রাসূল
(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
যেহেতু শা‘বান মাসে রোজা রেখেছিলেন
তাকে অনুসরন করে রোযা রাখা হচ্ছে।
অথবা যদি কারও আইয়ামে বিদের
নফল রোযা তথা মাসের ১৩,১৪,১৫
এ তিনদিন রোযা রাখার নিয়ম
থাকে তিনিও রোযা রাখতে পারেন।
কিন্তু শুধুমাত্র শা‘বানের পনের
তারিখ রোযা রাখা বিদ‘আত হবে।
কারণ শরীয়তে এ রোযার কোন
ভিত্তি নেই।
আল্লাহ আমাদেরকে তাঁর রাসূলের
পরিপূর্ণ পদাঙ্ক অনুসরন করে চলার
তৌফিক দিন। আমীন।
টীকা: 7. যদি শা‘বানের
মধ্যরাত্রিকে উদযাপন
করা বা ঘটা করে পালন করা জায়েয
হতো তাহলে অবশ্যই রাসূল
(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ
ব্যাপারে আমাদের জানাতেন।
বা তিনি নিজেই তা করতেন। আর
এমন কিছু তিনি করে থাকতেন
তাহলে সাহাবাগণ অবশ্যই
তা উম্মাতের কাছে বর্ণনা করতেন।
তারা নবীদের পরে জগতের শ্রেষ্টতম
মানুষ, সবচেয়ে বেশী নসীহতকারী,
কোন কিছুই তারা গোপন করেননি’।
(আত্তহযীর মিনাল বিদা‘১৫,১৬)।
উপরোক্ত আলোচনা থেকে আমাদের
কাছে স্পষ্ট হলো যে, কুরআন, হাদীস
ও গ্রহণযোগ্য আলেমদের
বাণী থেকে আমরা জানতে পারলাম
শা‘বানের মধ্য
রাত্রিকে ঘটা করে উদযাপন করা—
চাই তা নামাযের মাধ্যমে হোক
অথবা অন্য কোন ইবাদতের
মাধ্যেমে— অধিকাংশ আলেমদের
মতে জগন্যতম বিদ‘আত।
শরীয়তে যার কোন ভিত্তি নেই।
বরং তা’ সাহাবাদের যুগের পরে প্রথম
শুরু হয়েছিল। যারা সত্যের অনুসরণ
করতে চায় তাদের জন্য দ্বীনের
মধ্যে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল
যা করতে বলেছেন তাই যথেষ্ট।


সূত্রঃ quraneralo.com।শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের কে জানার সুযোগ দিন ।আপনি জেনেছেন হয়তো সে জানেনা ।আমার ব্লগ বাড়ীতে বেড়াতে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।সাথে থাকুন সব সময় ।আল্লাহ্ হাফেজ ।

কোন মন্তব্য নেই :