ইসলামে একাধিক স্ত্রীর বিধান - সমালোচনার সূত্র ধারা

কোন মন্তব্য নেই
ইসলামে একাধিক স্ত্রীর বিধান
ষড়যন্ত্রকারীরা বৈবাহিক বিধি-
বিধানের একাধিক বিষয়ের
প্রতি সমালোচনার হাত প্রশস্ত
করে চলেছে, তবে বর্তমানে একাধিক
স্ত্রীর অনুমতি বিধানের সর্বাধিক
কঠোর সমালোচনা করা হয় বরং এ
ব্যাপারে ভৎসনাও করা হয়। আবার
অনেক অবিবেচক কাণ্ডজ্ঞানহীন
লোকেরা ‘একাধিক বিবাহ’
আইনকে জুলুম অত্যাচারের আইন
বলতেও কোণ্ঠাবোধ করে না। অধিকাংশ
ক্ষেত্রেই আবেগের বশীভূত
হয়ে অথবা ভিত্তিহীন ঘটনাবলির
আশ্রয়ে সমালোচনায় লিপ্ত হয়। আর
অনেক ক্ষেত্রে ইসলামের
নামে একাধিক বিবাহের
অনুমতি আইনের
সুবাদে অবৈধভাবে স্বার্থসিদ্ধিকারী
অল্প সংখ্যক লোকদের ব্যক্তিগত ভূল
ত্র“টিও মূল আইনের উপর কটাক্ষ
করা এবং শত্র“পক্ষের জন্য
সমালোচনার পথ সুগম করে থাকে। অথচ
একথা সর্বজন স্বীকৃত যে আইন কানুন
যতই উন্নত এবং বাস্তবমুখী হোক
না কেন যদি গলদ তরীকায় প্রয়োগ
করা হয় তাহলে এর পরিণাম কখনই
উত্তম হতে পারে না। কিন্তু কেবল
আংশিক ব্যর্থতাকে পূজি করে প্রকৃত
আইনকে অযোগ্য বলে চুড়ান্ত
করা অথবা আইনকে সম্পূর্ণ
রূপে পরিবর্তনের প্রয়াস গ্রহণ
করা মোটেই যুক্তিযুক্ত এবং সমীচীন
নয়। গলদ প্রয়োগের পরিণামের
কারণে আসল বিধানের বৈশিষ্ট
এবং উপকারিতা বিনষ্ট হয় না।
সমালোচনার সূত্র ধারা
কিন্তু যদি কারো উদ্দেশ্যই হয়
সমালোচনা করা অথবা যিনি নিরপেক্ষ
ও গভীরভাবে আইন
সম্পর্কে মনযোগী হয় নাই
বরং শুধুমাত্র দুর্বল দিক সমূহের
অনুসন্ধানে ব্যস্ত হয়েছেন আর
দুর্বলের দিক ব্যতীত অন্য দিক
সমূহের প্রতি তার অনুধাবন
শক্তি কৃপণতা অথবা পরশ্রীকাতরতার
আশ্রয় গ্রহণ করেছে, তার
দৃষ্টিতে অনুপরিমান বস্তু পাহাড়
হয়ে ধরা পড়াই স্বাভাবিক। এ ধরনের
লোকদের সম্মুখে আইনের উত্তম দিক
সমূহ অদৃশ্যই থেকে যায়। দুর্ভাগ্যবশত
আলোচ্য বিধি বিধানের বেলায় এই
অবস্থারই সৃষ্টি হয়েছে। এখান থেকেই
সমালোচনার সূত্রপাত ঘটেছে। যাদের
দৃষ্টি কেবল বিষয় বস্তুর ত্র“টি-
বিচ্যুতির প্রত্যাশী হয়, সমালোচনার
বিষয়বস্তুর অনুসন্ধানের জন্যই
যারা নিজেদের মেধাকে তৈরী করে,
তাদেরকে সম্বোধন করে কিছু
বলা কওয়ার মোটেই কোন
উপকারিতা এবং যৌক্তিকতা নেই।
তবে যারা বিষয়বস্তু
সর্ম্পকে অনভিজ্ঞতার কারণে ভুলের
শিকার হয়েছে, অথবা বিভ্রান্ত
করা হয়েছে, তাদের জন্য আগত
আলোচনা ইনশাআল্লাহ উপকারী হবে।
এই আলোচনা তাদের ভুলের অবসান
এবং আইনের পরিপক্কতা অনুধাবনের
পথ সুগম করবে।

সূত্রঃ বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তরদাওয়াতি সংগঠন মজলিসে দাওয়াতুলহক। এর মৌল উদ্দেশ্য মানব জীবনেসকল ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত ওআদর্শের প্রতিফলন ঘটানো।কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লামের ইত্তিবা-অনুসরণের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলারইবাদত আনুগত্যের দাবি পূরণ করাই হলএকজন মুসলমানের ইহকালীন জীবনেরমূল উদ্দেশ্য।।শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের কে জানার সুযোগ দিন ।আপনি জেনেছেন হয়তো সে জানেনা ।আমার ব্লগ বাড়ীতে বেড়াতে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।সাথে থাকুন সব সময় ।আল্লাহ্ হাফেজ ।

কোন মন্তব্য নেই :