স্ত্রীর ভরণ পোষণ - সমান অধিকারে ইসলাম

কোন মন্তব্য নেই
স্ত্রীর ভরণ পোষণ
পৃথিবীর অনেক সমৃদ্ধশালী দেশে আইন
রয়েছে যে, স্ত্রীর ভরণপোষণের
দায়িত্ব হচ্ছে স্বামীর। কিন্তু এমন
কোন আইন কোন দেশেই চুড়ান্ত হয়
নি যে, স্বামীর ভরণ পোষণের দায়িত্ব
স্ত্রীর উপর। মূলত নারী পুরুষের
মধ্যে বিদ্যমান সৃষ্টি ও স্বভাবগত
পার্থক্যই এর কারণ । এমতাবস্থায়
তাদেরকে জাতীসংঘ সনদে বর্ণিত
আইনের বিরোধী বলা যাবে কি? যদি শুধু
স্বামী তার স্ত্রীর ভরণ পোষণের
দায়িত্ব পালন করবে আর
স্ত্রী স্বমীর ভরণ পোষণের দায়িত্ব
পালন করবে না তাহলে সমান অধীকার
কিভাবে হলো?মূর্খতা এবং হঠকারিতার
কোন শেষ নাই।উপরোক্ত
বাস্তবভিত্তিক তত্ত্বের
পরিপ্রেক্ষিতে কোন
জ্ঞানী এবং বুদ্ধিমানের জন্য নারী-
পুরুষ সমান অধিকারের দাবী করা কোন
মতেই সংগত হতে পারে না।
সমান অধিকারে ইসলাম
নারী এবং পুরুষের মধ্যে সৃষ্টিগত,
দৈহিক ও স্বভাবজাত পার্থক্যের
কারণেই তাদের দায়িত্ব, কর্ম
পরিধি এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে আইন
কানূনের পার্থক্য অত্যন্ত জরুরী।
আর জরুরী বলেই এ সম্পর্কে ইসলাম
বিশেষ দৃষ্টি দিয়েছে। এ
সম্পর্কে ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গির
বিস্তারিত পর্যালোচনা পবিত্র
কুরআন ও হাদীস এবং মুসলিম
মনীষীদের বক্তব্য থেকে গ্রহণ
করা যায়। পবিত্র কুরআনে এক
জায়গায় বলা হয়েছে, পুরুষদের নারীদের
উপর প্রধান্য রয়েছে।
ﺍﻟﺮِّﺟَﺎﻝُ ﻗَﻮَّﺍﻣُﻮﻥَ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻨِّﺴَﺎﺀِ ﺑِﻤَﺎ
ﻓَﻀَّﻞَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺑَﻌْﻀَﻬُﻢْ ﻋَﻠَﻰٰ ﺑَﻌْﺾٍ
ﻭَﺑِﻤَﺎ ﺃَﻧْﻔَﻘُﻮﺍ ﻣِﻦْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟِﻬِﻢْ -
ﺍﻟﻨﺴﺎﺀ৩৩
হাদীসে পাকে বলা হয়েছে-
ﻣﺎ ﺭﺃﻳﺖ ﻣﻦ ﻧﺎﻗﺼﺎﺕ ﻋﻘﻞ ﻭﺩﻳﻦ
ﺃﺫﻫﺐ ﻟﻠﺐ ﺍﻟﺮﺟﻞ ﺍﻟﺤﺎﺯﻡ
)ﻣﺘﻔﻖ ﻋﻠﻴﻪ )
বিবেক-বুদ্ধি, দ্বীনের
ব্যাপারে ত্র“টিপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও
নারীদের তুলনায় অধিক জ্ঞানীপুরুষদের
বুদ্ধিশূন্যকারী আর কাউকে দেখি নাই।
ﺍﺳﺘﻮﺻﻮﺍ ﺑﺎﻟﻨﺴﺎﺀ ﻓﺈﻥ ﺍﻟﻤﺮﺃﺓ
ﺧﻠﻘﺖ ﻣﻦ ﺿﻠﻊ ﻭﺇﻥ ﺃﻋﻮﺝ
ﺷﻲﺀ ﻓﻲ ﺍﻟﻀﻠﻊ ﺃﻋﻼﻩ ﻓﺈﻥ
ﺫﻫﺒﺖ ﺗﻘﻴﻤﻪ ﻛﺴﺮﺗﻪ ﻭﺇﻥ ﺗﺮﻛﺘﻪ
ﻟﻢ ﻳﺰﻝ ﺃﻋﻮﺝ )ﻣﺘﻔﻖ ﻋﻠﻴﻪ )
তোমরা নারীদের সাথে উত্তম আচরণ
করো, তাদেরকে বক্র
হাড্ডি থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে,
যদি সোজা করতে চেষ্টা করো তাহলে
ভেঙ্গে যাবে, সোজা হবে না। আর
যদি ছেড়ে রাখো, বক্র হয়ে থাকবে।
অর্থাৎ নারীদের স্বভাবে কিছু জেদ,
অভিমান আছে যা বিভিন্ন সময়
প্রকাশ পায়।
এভাবে তাদেরকে ক্ষমা এবং উদার
দৃষ্টিতে দেখবে। কারণ, এটা তাদের
জন্মগত দুর্বলতা, হাজার
চেষ্টা করলেও দূর হবে না, দূরকরার
অধিক চেষ্টা করলে পরিণামে অধিক
ক্ষতির দিকে যাবে।

সূত্রঃ বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তরদাওয়াতি সংগঠন মজলিসে দাওয়াতুলহক। এর মৌল উদ্দেশ্য মানব জীবনেসকল ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত ওআদর্শের প্রতিফলন ঘটানো।কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লামের ইত্তিবা-অনুসরণের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলারইবাদত আনুগত্যের দাবি পূরণ করাই হলএকজন মুসলমানের ইহকালীন জীবনেরমূল উদ্দেশ্য।।শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের কে জানার সুযোগ দিন ।আপনি জেনেছেন হয়তো সে জানেনা ।আমার ব্লগ বাড়ীতে বেড়াতে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।সাথে থাকুন সব সময় ।আল্লাহ্ হাফেজ ।

কোন মন্তব্য নেই :