নারীর তালাকের অধিকার - অধিকার দেয়ার পরিণাম

কোন মন্তব্য নেই
নারীর তালাকের অধিকার
হ্যাঁ একথা বাস্তব যে, স্বামীকেই শুধু
তালাকের অধিকার
দেয়া হয়েছে স্ত্রীকে সরাসরি তালাকের
অধিকার দেয়া হয় নাই। এর আসল
ইল্লত এবং কারণ আল্লাহপাকই
জানেন। মানুষের পক্ষে এর কারণ সমূহ
জানা সম্ভব নয় এবং প্রয়োজনও নাই,
তবে যতটুকু হেকমত এবং তাৎপর্য
অতি সহজেই প্রতীয়মান হয় তার
মধ্যে অন্যতমঃ
(ক) পুরুষগণ সৃষ্টিগতভাবে নারীদের
তুলনায় অধিক ন্যায়পরায়ন হয়।
চিন্তা-ভাবনা করে,
ধীরস্থিরভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
স্বভাবগতভাবে বুদ্ধিমান
এবং ধৈর্যশীল হয়। তাদের সিদ্ধান্ত
গ্রহণ ক্ষমতা অধিক
এবং বাস্তবসম্মত হয়। আর নারীদের
ব্যাপারে জানা আছে যে, নারীগণ
কোমলমতি সম্পনা, তাদের
অনুভূতি অল্পতেই বিনষ্ট হয়,
তারা অধিক ভাবপ্রবণ ও দুর্বলমনা।
সামান্য ব্যাপারে উত্তেজিত ও
উত্তপ্ত হয়ে উঠে। জেদ এবং রাগ
করে বসে। সামান্য স্বভাববিরোধী কিছু
ঘটলে হঠাৎ করে শেষ পদক্ষেপ
নিয়ে বসে। তাদের স্বভাবগত এই
সমস্ত দুর্বলতার কারণেই শরীয়ত
কর্তৃক তালাকের অধিকার
তাদেরকে দেয়া হয়নি এবং না দেয়াই
সমীচীন হয়েছে। অন্যথায় বৈবাহিক
বরকতময় এই সম্পর্ক দৈনন্দিন
সামান্য ছলছুতায় ছিন্নভিন্ন
হয়ে যেতো এবং খেলায় পরিণত হত।
তারা এই বাস্তবতার স্বীকার করে না।
যারা বর্তমান বিশ্ব এবং পাশ্চাত্য
সমাজের নারীদের অবস্থান
সম্পর্কে যৎসামান্যও অবগত আছে,
তাদের জন্য এ সকল বাস্তব
বিষয়াদিকে অস্বীকার
করা এবং সমালোচনা কারীদের
ভিত্তিহীন কথাবার্তা এবং হায়
হুতাশের সমর্থন করা খুবই কঠিন। এ
সম্পর্কে ইসলামী চিন্তাধারার
বাস্তবতা এবং এর পক্ষে অকাট্য
প্রমাণ হিসেবে পাশ্চাত্য দেশ
সমূহে নারী ঘটিত নানা দুর্ঘটনা ও
কীর্তিকলাপই যথেষ্ট। একথা আর
কারো অজানা নেই যে, ঐ সমস্ত
দেশগুলোতে মেয়েদেরকে তালাক হাসিলের
বিষয়টি কেবল সহজ করেই দেয়া হয় নাই
বরং তাদেরকে সমানভাবে তালাক দেয়ার
অধিকারী করা হয়েছে। যার
পরিণামে শতকরা চল্লিশভাগ বিবাহ
সম্পর্ক বিচ্ছিন্নতায় রূপান্তরিত
হচ্ছে। বৃটিশ
পরিসংখ্যানে দেয়া রিপোর্ট মুতাবিক
১৯৬১ সনে তালাকের
সংখ্যা ১৫০০০- ছিল আর ১৯৭১
ইং সনে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৭৫০০০০-
হয়েছে (ছুবহে জাদীদ) অথচ মিসর ও
কায়রো যেখানে ইসলামী দেশ সমূহের
মাঝে তুলনামূলক সর্বাধিক তালাক
সংগঠিত হয়, সেখানে এর
শতকরা দুইভাগও হয় না। (র্হুরিয়্যাতুয
যাওজাইন খ:২ পৃ:১০৬)
অধিকার দেয়ার পরিণাম
চিন্তা করার বিষয় যে,
নারীদেরকে তালাকের পুরাপুরি অধিকার
দেয়া হয় নাই তারপরও সমাজ
ব্যবস্থা কি পরিমান ভয়াবহ অবস্থার
সম্মুখীন হয়েছে। মাত্র দশ
বৎসরে তালাকের হার কত ভয়াবহ
হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এরপরও
কি ইউরোপীয় সমাজ ব্যবস্থার অন্ধ
অনুসরনের কোন যৌক্তিকতা আছে?
অনেক সময় এমন হাস্যকর
কথা বার্তার উপর পাশ্চাত্য নারীগণ
তালাকের অধিকার প্রয়োগ
করে বসে যে, বিশ্বাস করাই দুষ্কর
হয়ে পড়ে। যেমন তাদের একাধিক
পত্রিকায় প্রকাশিত
খবরে বলা হয়েছে যে, এক
মহিলা আদালতে এই কারণে তালাকের
অধিকার প্রয়োগ করে যে, তার
স্বামী তার প্রিয় কুকুরকে অপছন্দ
করে। দৈনন্দিন এ ধরনের নারীঘটিত
অগণিত ঘটনাবলী সংগঠিত
হওয়া সত্ত্ব্যেও পুরুষদের
সমালোচনা করা এক শ্রেণীর মানুষের
ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে। সর্ব
ব্যাপারেই কেবল
পুরুষদেরকে দায়ী করা হয়,
তাদেরকে জালেম
এবং অত্যাচারী বলা হয়। আর
মহিলাদের অসহিষ্ণু আচরণের
প্রতি একটু ভ্রুক্ষেপও করা হয় না।
অথচ যদি সত্যিকার অর্থে পুরুষ
প্রদত্ত্ব তালাকের কারণ
সম্পর্কে সঠিক
এবং নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করা হয়,
তাহলে দেখা যাবে যে, কমপক্ষে অর্ধেক
পরিমাণ তালাক মহিলাদের সীমালঙ্গন
এবং অসাদাচরণের কারণে সংঘটিত
হয়েছে।


সূত্রঃ বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তরদাওয়াতি সংগঠন মজলিসে দাওয়াতুলহক। এর মৌল উদ্দেশ্য মানব জীবনেসকল ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত ওআদর্শের প্রতিফলন ঘটানো।কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লামের ইত্তিবা-অনুসরণের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলারইবাদত আনুগত্যের দাবি পূরণ করাই হলএকজন মুসলমানের ইহকালীন জীবনেরমূল উদ্দেশ্য।।শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের কে জানার সুযোগ দিন ।আপনি জেনেছেন হয়তো সে জানেনা ।আমার ব্লগ বাড়ীতে বেড়াতে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।সাথে থাকুন সব সময় ।আল্লাহ্ হাফেজ ।

কোন মন্তব্য নেই :