স্বামীদের প্রতিঃ বউকে ভাত-কাপড়- বাসস্থান দিয়েই দায়িত্ব শেষ মনে করেন কেন?

কোন মন্তব্য নেই
পুরুষরা মনে করে থাকে মহিলাদের ভাত-
কাপড়, বাসস্থান এবং অন্যসব
প্রয়োজন আমাদেরকে পুরণ করতে হয়।
এর দ্বারা তো তাদের সমস্ত হক আদায়
হয়ে গেলো। এর উপর আবার তাদের
কি কি হক থাকতে পারে? অন্য যত হক
আছে তা সব মহিলাদের দায়িত্বে,
আমাদের দায়িত্বে নয়।
কিন্তু আমি বলবো, তোমদের দেয়া ভাত
কাপড়ের বিনিময়ে তোমাদের
স্ত্রীরা তোমাদের যে পরিমান
সেবা করে, তা কি সমপরিমান
পারিশ্রামিকের বিনিময়ে কোন চাকর-
চাকরাণী করবে? কখনও নয়।
কারো সন্দেহ
থাকলে পরীক্ষা করে দেখতে পারে। ঘরের
যাবতীয় কার্য সম্পাদন একমাত্র
স্ত্রীর দ্বারাই হতে পারে। হাজার
চাকর-চাকরাণীর দ্বারাও
তা হতে পারে না, যা স্ত্রীর দ্বারা হবে।
আমি এমন অনেককে দেখেছি,
যারা উপযুক্ত পারিশ্রামিক দিয়ে চাকর-
চাকরাণী রেখেছে। কিন্তু স্ত্রী নেই।
ঘরের যাবতীয় খরচ চাকর-চাকরাণীর
হাতে হতো। ফলে খরচের পরিমাণ এত
অধিক হতো, যার কোন
সীমা পরিসীমা থাকতো না। কিন্তু
যখনি বিবাহ করলো, তখনি ঘরের খরচ
নিয়ন্ত্রিত হলো। উপরন্তু ঘরের
সার্বিক শৃংখলা ফিরিয়ে এলো।
আমার মতে স্ত্রী যদি ঘরের কোন
কাজই না করে, শুধু ব্যবস্থাপনা ও
দেখাশুনা করে, তাহলেও এটা এত বড়
কাজ, যার বিনিময়ে দুনিয়ার
বিচাওে বিরাট অংকের পারিশ্রামিকের
প্রয়োজন। তা ছাড়া দেখাশুনা ও
ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব একটি অত্যন্ত
সম্মানজনক ও গুরত্বপূর্ণ দায়িত্ব।
মহিলাদের ব্যবস্থাপনা ও দেখাশুনার
কাজটিই এত বড় যে, তার বিনিময় শুধু
ভাত-কাপড় ও ভরণ-পোষণ
হতে পারে না। উপরন্তু সম্ভান্ত
মহিলাদেরকে দেখা যায়, তারা শূধ ঘরের
ব্যবস্থাপনা ও দেখাশুনার মধ্যেই
সীমাবদ্ধ রাখে না। বরং নিজ হাতে ঘরের
বহু কাজ করে থাকে।
বিশেষত শিশু সন্তানদেরকে বড় কষ্ট
করে লালন-পালন করে। এটা এমন
একটি কঠিন কাজ,
যা বেতনভোগী চাকর-চাকরাণীর
মাধ্যমে কখনও স্ত্রীর সমতূল্য
হতে পারে না।
মহিলাদের এত অধিক পরিমানের কাজ
করতে হয় যে, কখনও একটু স্বস্তিও
নিঃস্বাস পর্যন্ত ফেলতে পারে না।
তারা অতি দ্রত দুর্বল হয়ে যাবার
কারন এটাই যে, তাদেরকে প্রতি মুহর্ত
চরম দুশ্চিন্তা ও পেরেশানীর মধ্য
থাকতে হয়। হাজারো দুশ্চিন্তায়
তারা বেষ্টিত থাকে। ঘরের যাবতীয়
তাদের উপর ছেড়ে দিয়ে পুরুষ
চিন্তামুক্ত হয়ে যায়। যত কষ্ট ও
পেরেশানী স্ত্রীকেই পোহাতে হয়। কোন
পুরুষ যদি অন্তত দু’দিন ঘরের দায়িত্ব
পালন করে দেখিয়ে দিতে পারে,
তাতে প্রকৃত পুরুষ মনে করবো।
এ পরিমান কষ্ট ও পেরেশানী সত্বেও
তাদের একটি অতি বড় মহৎ গুন এই যে,
তারা কখন ও নিজের কষ্টের
কথাটি ভূলেও উচ্চারণ করতে রাজী নয়।
বরং সব কষ্ট ও
পেরেশানী নিরবে সয়ে নিয়ে থাকে।
ঘরের ব্যবস্থাপনা দায়িত্ব কার
হাতে থাকবে?
ঘরের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব স্ত্রীর
হাতে রাখবে কিংবা নিজের হাতে রাখবে।
অন্য কারো হাতে রাখা উচিত নয়। চাই
সে ভাই বোন কিংবা মা বাবাই হোক
না কেন। এর কারনে স্ত্রী বড়ই ব্যথিত
ও মর্মাহত হয়। এজন্য ঘরের যাবতীয়
খরচ স্বামী নিজ হাতে করবে। নিজের
পক্ষে সম্ভব না হলে স্ত্রীর
হাতে ন্যস্ত করবে। স্ত্রীকে ভাত
কাপড় ও বাসস্থান দেয়াই শুধু তার
প্রাপ্য নয়। বরং তার অন্তর
খুশী রাখাও তার একটি হক।

Post in সিটিজি৪বিডি

শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের কে জানার সুযোগ দিন ।আপনি জেনেছেন হয়তো সে জানেনা ।আমার ব্লগ বাড়ীতে বেড়াতে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।সাথে থাকুন সব সময় ।আল্লাহ্ হাফেজ ।

কোন মন্তব্য নেই :