কার্টুন ছবির ক্ষতির দিকসমূহ

কোন মন্তব্য নেই
মাসআলা
তাছাড়া কার্টুন ছবির উপকারিতার
কথা যারা বলে থাকে, তাদেরকে এর
অপকারিতা ও ক্ষতির দিকগুলোও
বিবেচনা করা প্রয়োজন। যেমন- ১.
কার্টুন ছবির কারণে মানুষ প্রকৃত
তত্ত্ব-তালাশের আগ্রহ হারায়,
বাস্তবমুখী অনুসন্ধানের
স্থলে অবাস্তব অনুভূতিই তার
মধ্যে প্রবল হয়ে ওঠে।
গবেষণা শক্তি হারিয়ে অপ্রকৃত বস্তুর
প্রতি অধিক মনোযোগী হয়ে ওঠে।
বস্তুকেই স্বীয় বিশ্বাসের মূল
হিসেবে গ্রহণ করে ‘ঈমান বিল গাইব’র
মন-মানসিকতা থেকে বঞ্চিত
হয়ে পড়ে। এ ধরণের মন-মানসিকতার
অধিকারীরা দুরবীনের সাহায্যে অদৃশ্য
কীট-পতঙ্গ ও তার
প্রতিক্রিয়া দেখতে পায়, কিন্তু তাদের
জ্ঞান-শক্তি আল্লাহর প্রতি ঈমান,
তার রাসূলের প্রতি বিশ্বাস, মৃত্যুর
পর পুনর্জীবন এবং আখেরাতের
বিষয়বস্তু উপলবিদ্ধ করতে অক্ষম।
তাই বস্তু-পরায়ণ ফটোচিত্রকে হারাম
করে শরীয়ত বস্তু পূজার ভূতকে ধ্বংস
করেছে। যাতে মানুষ অদৃশ্য জগত ও
আখেরাতের প্রকৃত
অবস্থাকে বুঝতে সক্ষম হয়। ২.
কার্টুন ছবি কেবল নিজ সীমায়
সীমাবদ্ধ থকে না, এই মন-
মানসিকতা শেষ পর্যন্ত সর্বপ্রকার
ফটোচিত্রের রূপ ধারণ করে। ফিল্ম,
সিনেমা ও ক্লাবসহ সর্বস্তরে ফটো-
মূর্তির ছড়াছড়ি চলছে। এর অর্থ
যোগানের জন্য সুদ-ঘুষ, ডাকাতি, জুয়া,
লুটপাট ও মারামারি কাটাকাটির ভয়ানক
অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণেই
শরীয়ত সর্বপ্রকার ফটো ও
মূর্তিকে হারাম ঘোষণা করে মুসলিম
পরিবেশকে এই ভয়াবহ
অবস্থা থেকে রক্ষা করেছে। ৩.
যেখানে লক্ষ লক্ষ মানুষ
অনাহারে অর্ধাহারে মারা যাচ্ছে,
লজ্জাস্থান ঢাকার মত
অবস্থা ব্যবস্থাও নেই। সেখানে এক
শ্রেণীর অর্থশালীরা বিলাসিতার
চরমে পৌঁছে কোটি কোটি টাকা খরচ
করে বিদেশী ফিল্ম আমদানী করত:
আত্মবিনোদনে লিপ্ত হয়। দেশের প্রায়
এক তৃতীয়াংশ মানুষ অন্ন, বস্ত্র ও
বাসস্থানের অভাবে মরণাপন্ন
হয়ে আছে। আর এক শ্রেণীর পাষণ্ড
কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে সিনেমা হল ও
ক্লাব ঘর নির্মাণ করে চিত্র
প্রদর্শনীতে মত্ত হয়ে রয়েছে। সাধারণ
খেটে খাওয়া মানুষ মাথার ঘাম
পায়ে ফেলে রাত দিন ক্ষেত
মজুরী দিয়ে যৎসামান্য অর্থ উপার্জন
করে, এই শ্রেণীটি টিভি আর সিনেমার
তামাশার বাহানায় তাদের কাছ
থেকে সেটাও নিয়ে যায়।
একে তো অভাবী, উপার্জনের কোন
ব্যবস্থা নেই, এরপর যারা অল্প-স্বল্প
উপার্জন করে, তা দিয়ে নিজের
জরুরী প্রয়োজনা না মিটিয়ে
ফূর্তিবিনোদনে ব্যয় করে ফেলে।
ফলে তারা দেশের বেকারত্ব
সমস্যা বৃদ্ধির কারণ হয়।
অবশেষে নিমজ্জিত হয় চরিত্রগত
অধ:পতনের অতলগহবরে। এ কারণেই
শরীয়ত এই ধ্বংসাত্মক
কর্মকাণ্ডকে হারাম ঘোষণা করেছে।
৪. কার্টুনের সর্বাধিক লক্ষণীয় ও
আপত্তিকর দিক হচ্ছে দেহের
বিকৃতি সাধন। শরীয়ত দেহ
বিকৃতিকে হারাম করেছে। আল্লাহর
সৃষ্টির বিকৃতি সাধনের অধিকার
কারো নেই। পবিত্র কুরআন-হাদীসে এর
প্রতি কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপিত
হয়েছে। মোটকথা হলো কার্টুন ছবির
ভাল দিকসমূহ বিচেনার সময় তার
অপকারিতা ও ক্ষতির দিকসমূহ
বিবেচনায় রাখলে তা হারাম হওয়ার
বিষয়টি অত্যন্ত যুক্তিযুক্ত
মনে হবে। কিন্তু এ সমস্ত
ব্যাপারে এক শ্রেণীর মানুষ
বুঝে শুনে অথবা আবেগের বশীভূত
হয়ে উপকারিতার কথা বলে। আর
হারামের দিকসমূহ এবং নাজায়েযের
কারণ ও ইল্লতসমূহ থেকে একেবারেই
অন্ধ হয়ে যায় অথবা উভয়ের
মধ্যে পার্থক্য করতে ব্যর্থ হয়।

Post by Dawtul Haq.Blog eidtor_Syed Rubel.ইহুদী, খৃষ্টান, হিন্দু ,বৌদ্ধ, নাস্তিক ও দেশের নারীবাদীদের ইসলামের বিরুদ্ধে করা সকল অপপ্রচারের দাঁত ভাঙ্গাঁ জবাব দেখুন এই পোস্ট টি থেকেশেয়ার করে আপনার বন্ধুদের কে জানার সুযোগ দিন ।আপনি জেনেছেন হয়তো সে জানেনা ।আমার ব্লগ বাড়ীতে বেড়াতে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।সাথে থাকুন সব সময় ।আল্লাহ্ হাফেজ ।

কোন মন্তব্য নেই :