সর্বসাধারণের প্রতি নমনীয়তার বিধান

কোন মন্তব্য নেই
মাসআলা
সর্বসাধারণের অবস্থার
পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনে করণীয়
বর্জনীয় হুকুম-আহকামের
ক্ষেত্রে শরীয়তের পক্ষ
থেকে শিথিলতা এবং নমনীয়তা
অবলম্বনের একটি বিধান স্বীকৃত
রয়েছে। এটাকে শরীয়তের পরিভাষায়
উমুমে বালওয়া বলা হয়। এর সারমর্ম
হচ্ছে, যে কাজ কর্ম সমাজের অধিকাংশ
লোকেরা করে থাকে, সেই আমলকে হারাম
অথবা নাজায়েয না বলা।
কেননা এমতাবস্থায় অধিকাংশ
মুসলমান অপরাধী এবং গোনাহগার
সাব্যস্ত হয়ে যায়। তাই সমাজে ব্যাপক
হারে প্রচলিত কাজকে হারাম
অথবা নাজায়েয না বলা চাই।
যাতে অধিকাংশ মুসলমান
অন্যায়কারী ও গোনাহগার সাব্যস্ত
না হয়। যারা ফটো তোলায় অভ্যস্ত
এবং এটাকে জায়েয বলে,
তারা উমুমে বালওয়ার দোহাই
দিয়ে থাকে। তারা বলে থাকে যে,
বর্তমান বিশ্বে ফটোর
ছড়াছড়ি অত্যন্ত বেশি, প্রয়োজনে-
অপ্রয়োজনে অধিকাংশ মুসলমান এই
কাজে লিপ্ত। এমতাবস্থায়
উমুমে বালওয়ার নিয়ম
অনুযায়ী ফটো তোলা ও প্রচার
করা জায়েয সাব্যস্ত হয়। কিন্তু
তাদের এই
উক্তি অনুসারে গীবতকে জায়েয
বলা উচিত। কেননা অসংখ্য মানুষ
এমনকি ওলামা-মাশায়েখদের অনেকের
দ্বারাও আজকাল গীবত,
কুৎসা এবং দোষচর্চা হয়ে থাকে। এ
ধরনের অনেক গোনাহর কাজ
সমাজে ছড়িয়ে আছে। যেমনঃ মদ্যপান,
সুদ-ঘুষ ইত্যাদি। তাহলে এসবও জায়েয
হওয়া উচিত। কেননা এগুলোর
ছড়াছড়িও যথেষ্ট রয়েছে এবং অসংখ্য
মানুষ এহেন পাপ কাজে লিপ্ত রয়েছে।
এটাই যদি উমুমে বালওয়ার অর্থ হয়,
তাহলে খৃষ্টানদের মত ইসলাম ধর্মেও
পাপ বলতে কোন কিছু থাকবে না।
খৃষ্টানরা তাদের উম্মতের পাপের
বিনিময়ে যিশুর শুলিবিদ্ধ হওয়ার
বিশ্বাস আবিষ্কার করে খৃষ্টান
ধর্মে সকল
পাপাচারকে বৈধতা দিয়েছেন। অনুরূপ
ইসলাম ধর্মে উমুমে বালওয়ার দোহাই
দিয়ে পাপকাজকে বৈধতা দেয়ার
অপচেষ্টা চালানো এবং যে গোনাহে
সমাজের অধিক মানুষ লিপ্ত
তাকে জায়েয বলার ফতওয়া আবিষ্কার
করা বিভ্রান্তিকর যুক্তি ছাড়া আর
কি।

Post by Dawtul Haq.Blog eidtor_Syed Rubel.ইহুদী, খৃষ্টান, হিন্দু ,বৌদ্ধ, নাস্তিক ও দেশের নারীবাদীদের ইসলামের বিরুদ্ধে করা সকল অপপ্রচারের দাঁত ভাঙ্গাঁ জবাব দেখুন এই পোস্ট টি থেকেশেয়ার করে আপনার বন্ধুদের কে জানার সুযোগ দিন ।আপনি জেনেছেন হয়তো সে জানেনা ।আমার ব্লগ বাড়ীতে বেড়াতে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।সাথে থাকুন সব সময় ।আল্লাহ্ হাফেজ ।

কোন মন্তব্য নেই :