হিজড়াদের সম্পর্কে কি বলে ইসলাম

কোন মন্তব্য নেই
আহসান শরিফ
দেখতে পুরুষ কিন্তু স্বভাব চরিত্রে,
বলা-কওয়ায়, ভাব-
ভঙ্গিতে মেয়েলি ভাব এরা হিজড়া।
আমাদের দেশে জš§গত হিজড়ার
চেয়ে কৃত্রিম বা বানানো হিজড়ার
সংখ্যাই বেশি। বাংলাদেশ মানবাধিকার
সূত্রে জানা যায় সারাদেশে হিজড়ার
সংখ্যা ৫০ হাজার। কৃত্রিম
হিজড়া ২০ হাজার। একটি চক্র সরল
সুন্দর সপ্তম-অষ্টম শ্রেণীর বারো-
তেরো বছরের ছেলেদের
ফুসলিয়ে প্রতারণায় ফেলে নিয়ে যায়।
হাসপাতাল ক্লিনিকে শিক্ষিত
ডিগ্রিধারী ডাক্তারের
মাধ্যমে পুরুষাঙ্গ কেটে, ওষুধ
খাইয়ে আকৃতি বিকৃত করে, ইনজেকশন
দিয়ে বা অপারেশন করে স্তন বড়
করে এদের হিজড়ার খাতায় নাম লেখায়।
পরে চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা,
পতিতাবৃত্তির মতো জঘন্য
অপরাধে জড়িত হয় এরা। ইচ্ছে করলেও
বাড়ি ঘরে ফিরে যেতে পারে না।
ফ্যামিলি এবং সমাজ
থেকে দূরে থেকে যাচ্ছেতাই করে বেড়ায়।
সামাজিক অধিকার থেকে বঞ্চিত
হিজড়াদের দাবি সাধারণ মানুষের
মতো কবর
না দিয়ে পানিতে ভাসিয়ে বা মাটির
গর্তে পুঁতে রাখা হয় তাদের। কোন
প্রতিষ্ঠানে চাকরিতে নিয়োগ পায়
না তারা।
শান্তি এবং মানবতার ধর্ম ইসলাম সব
মানুষের বেঁচে থাকার মৌলিক অধিকার
নিশ্চিত করেছে। হিজড়াদের
ইসলামে কীভাবে দেখা হয় এ
প্রসঙ্গে কথা হয় দু’জন বিশিষ্ট
ব্যক্তির সঙ্গে।
এ সময়ের সচেতন ও বিচক্ষণ আলেম,
বেশক’টি মাদ্রাসার শায়খুল হাদিস ও
বাংলাদেশ কওমি কাউন্সিলের
চেয়ারম্যান প্রিন্সিপাল
মাওলানা আবদুস সামাদ। হিজড়াদের
ইসলামে কীভাবে দেখা হয়?
জানতে চাইলে বলেন, ‘ইসলাম হিজড়াদের
ওপর অবিচার করেনি। অন্যসব
মানুষের মতো একজন মানুষ
হিসেবে দেখেছে হিজড়াদের। পুরুষ
হলে পুরুষের, নারী হলে নারীর বিধান
মেনে চলতে হবে তাদের। একজন নারীর
যেমন নামাজ, রোজা ও পর্দাসহ
ইসলামের সব বিধান মানতে হয়, একজন
নারী হিজড়াকেও
এগুলো মেনে চলতে হয়। এভাবে পুরুষের
মতো পুরুষ হিজড়াকেও। মৃত সাধারণ
মানুষের মতো তাদেরও কাফন, দাফন ও
জানাজা দিয়ে কবর দেয়ার হুকুম।
তারা এগুলো মানে না বলেই তো তাদের
এ করুণ অবস্থা।’
একটি চক্র সুস্থ মানুষের
অঙ্গহানি করে হিজড়া বানিয়ে ফেলছে।
কেউ নিজের আগ্রহে হিজড়া হচ্ছে।
এদের ব্যাপারে ইসলামের বিধান কী?
উত্তরে তিনি বলেন,
‘অঙ্গহানি নাজায়েজ। মারাত্মক
অপরাধ। কারও জটিল দুরারোগ্য
ব্যথা হলেও ধার্মিক অভিজ্ঞ
ডাক্টারের পরামর্শ ছাড়া অঙ্গ কাটার
কোন সুযোগ ইসলাম দেয়নি। এ
ছাড়া একজন সুস্থ মানুষের
অঙ্গহানি করে অসুস্থ বানানো, সমাজ
ও পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন
করা অমার্জনীয় অপরাধ। কঠোর
হস্তে দমন করা উচিত।’
চাঁদাবাজি, মাদক ও পতিতাবৃত্তির
মতো জঘন্য অপরাধে জড়িত দেখা যায়
হিজড়াদের, এর কারণ কী? এ
প্রশ্নে তিনি বলেন,
‘হিজড়া বানানো বা হওয়ার লক্ষ্য
কিন্তু ইনকাম। হিজড়াদের কোন
আইনি জটিলতা না থাকায়
তারা অবাধে অপরাধ বিস্তার
করে যাচ্ছে।’
হিজড়াদের স্বাভাবিক
জীবনে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য
কী করা উচিত? এমন
প্রশ্নে মাওলানা সামাদ বলেন,
‘প্রথমত হিজড়াপ্রজনন কেন্দ্র বন্ধ
এবং এর কারিগর
ডিগ্রিধারী ডাক্টারদের
বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়ে এগুলো দমন
করতে হবে। বিভিন্ন পত্রিকায় এদের
চিহ্নিতও করা হয়েছে।
তাতে হিজড়া উৎপাদন বন্ধ হবে।
এরপর
সামাজিকভাবে আড়চোখে না দেখে একজন
মানুষের মতো সুবিধা দিতে হবে।
এছাড়া মৌলিক হিজড়াদের সমাজকল্যাণ
মন্ত্রণালয়
থেকে স্থায়ী ব্যবস্থা নিলে হিজড়ারা
স্বাভাবিক
জীবনে ফিরে যাবে বলে আশা করা যায়।’
পুরুষাঙ্গ কেটে সুস্থ
মানুষকে হিজড়া বানানো হয়
একথা শুনে আঁতকে উঠলেন দেশ
মাটি হাউজিং লিমিটেডের ভাইস
চেয়ারম্যান, অত্যন্ত ধার্মিক
ব্যক্তি আলহাজ মোহাম্মদ আবুল
খায়ের ভূঁইয়া। তিনি বলেন, ‘অভাব
এবং অসচেতনতাই এ
কাজকে ত্বরান্বিত করেছে। মানুষের
সম্মানের ভয় হিজড়াদের
অপরাধপ্রবণতা বাড়িয়েছে।
তারা যেখানে সেখানে কাপড় উদাম
করে ফেলে। হিজড়া, অসহায়
এবং অভাবীদের জন্য
কারিগরি প্রশিক্ষণের
মাধ্যমে কর্মসংস্থানের
ব্যবস্থা করলে অপরাধপ্রবণতা কমবে।
তারা স্বাভাবিক ও সুন্দর জীবন
লাভে ধন্য হবে।’


শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের কে জানার সুযোগ দিন ।আপনি জেনেছেন হয়তো সে জানেনা ।আমার ব্লগ বাড়ীতে বেড়াতে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।সাথে থাকুন সব সময় ।আল্লাহ্ হাফেজ ।

কোন মন্তব্য নেই :