নারীতে-নারীতে বিয়ে

কোন মন্তব্য নেই
ভারতে বিয়ে করেছে সমকামী দুই যুবতী।
এ নিয়ে তোলপাড় চলছে। লোকজনের
মুখে মুখে ঘুরছে এ কাহিনী। চায়ের
আড্ডা, গাছের ছায়ায় ক্লান্ত কৃষকের
মুখে, স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী,
অফিস-আদালত সর্বত্রই এ নিয়ে সরস
আলোচনা। এ
ঘটনা ঘটেছে হরিয়ানা রাজ্যের
আম্বালা এলাকায়। সেখানকার ২
যুবতী- পুনম ও নেহা। ঘনিষ্ঠ
আত্মীয়তা তাদের মধ্যে। পুনমের
মামাতো বোন নেহা। তাদের
মধ্যে জানাশোনা অনেক দিনের। এর
মধ্যে পুনমের বাসস্থান
আম্বালা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায়।
তিনি সাজগোজ করেন ছেলেদের মতো।
তার মামাতো বোন নেহার বাস
পাঞ্জাবের জালান্ধারে। নেহা বিবাহিত
নারীদের মতো পোশাক-আশাক পরেন।
সমপ্রতি তারা দু’জনে বিয়ে করে ফেলেছেন।
এরপর তা জানাজানি হওয়ার পর দুই
পরিবারে শুরু হয়েছে সম্পর্কের
টানাপড়েন। নেহার পরিবার দাবি করছে,
তাদের মেয়ে নেহাকে জোর করে চাপ
সৃষ্টি করে পুনমকে বিয়ে করতে বাধ্য
করা হয়েছে। পুনমের পরিবার বলছে তার
উল্টো কথা। তারা বলছে, পুনমকে বেশ
কতদিন
আগে বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ
ঘটনায় এখন কে জেতে কে হারে-
তা এখন সময়ই বলে দেবে। গতকাল এ
খবর দিয়েছে অনলাইন টাইমস অব
ইন্ডিয়া। এতে বলা হয়,
নিশা নামে নেহার এক আত্মীয়া বলছেন,
পুনম নেহাকে ফুসলিয়ে নিয়ে যায়।
সে নেহাকে প্রহার করে ও চাপ প্রয়োগ
করে বিয়ে করতে। এ সময় পুনম বলে-
তুমি যদি আমাকে বিয়ে না করো তাহলে আমি আত্মহত্যা করবো।
তিনি আরও দাবি করেছেন,
নেহা ফোনে তাকে এসব কথা জানিয়েছে।
এ নিয়ে গতকাল নেহার অভিভাবকদের
কারনালের নারী নিকেতনে পারিবারিক
বৈঠকে বসার কথা। ওদিকে শনিবার এক
যুবতীর পরিবারের অভিযোগের
প্রেক্ষিতে বিবাহিত ২
যুবতীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তাদেরকে চালান দেয়া হয়েছে কোর্টে।
এখানে উল্লেখ্য যে, তারা দু’জনেই
পরিণত বয়সের। তাদেরকে আদালত
কারনালের
নারী নিকেতনে পাঠিয়ে দিয়েছে।
ওদিকে পুনমের মা বিমলা দেবী বলছেন,
তার মেয়ে কয়েকদিন থেকে নিখোঁজ
রয়েছে। কিন্তু যখন জানতে পারেন
পুনম ও
নেহা বিয়ে করেছে তিনি তা বিশ্বাস
করতে পারেননি। গতকাল পারিবারিক
বৈঠকে কি সিদ্ধান্ত
হয়েছে তা জানা যায়নি। এই
নিয়ে আম্বালা এলাকায় নারীতে-
নারীতে বিয়ের দ্বিতীয় ঘটনা। এর
আগে এক সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার ও
এক বেসরকারি বিদ্যালয়ের
শিক্ষিকা এক
মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করেছিলেন। এর
আগে এই দু’নারীর মধ্যে দেড় বছরের
প্রেম ছিল।

কোন মন্তব্য নেই :