শিশু এবং যৌনতা

কোন মন্তব্য নেই
নবজাতক অবস্থার পরের সময়কে শিশু
অবস্থা বলে । এই সময়ে শিশু
হাঁটতে এবং কিছু কিছু
কথা বলতে শিখে । মল মূত্র ত্যাগের
অভ্যাসের জন্য
পিতা মাতা শিশুকে টয়লেট ট্রেনিং দেন
। এই সময়ে দেখা যায় মনোসমীণের
বিভিন্ন ধারায় শিশুর নানা আচরন
যৌনতার সাথে সম্পর্ক যুক্ত থাকে ।
মনোবিজ্ঞানী ফ্রয়েড এ
ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি আলোচনা
করেছেন । শিশুকে যখন পায়ুতে হাত
দিয়ে মা বাবা মল ত্যাগের পর পায়ুদ্ধার
পরিস্কার করে দেন তখন শিশু এক
প্রকার আনন্দ অনুভব করতে থাকে ।
এটি এনালে ষ্টেজ বা পায়ু স্তরের এক
প্রকার আনন্দ । শিশুর এই আনন্দ এক
প্রকার যৌন অনুভূতি । এর
পরবর্তী সময়ে শিশু যখন নিজের
যৌনাঙ্গে প্রতি উৎসাহী হয়ে উঠে তখন
সে ফিলিয়াক পর্যায়ে পৌঁছে । এই
সময়ে শিশুর রোমান্টিক অনুভূতির
সৃষ্টি হয় এবং বিপরীত লিঙ্গের
প্রতি এক প্রকার আকর্ষণ জন্মায় ।
স্বভাবতই
এটি বাবা মাকে ঘিরে সৃষ্টি হয় ।
শিশুদের ক্ষেত্রে এই মনোদৈহিক
যৌনাচরণকে ইডিপাস
জটিলতা এবং ইলেক্ট্রা জটিলতা বলা হয়
। যেমন-ছেলে শিশু মায়ের
প্রতি আকর্ষিত থাকে এবং বাবার
প্রতি ঈর্ষাপরায়ন হয় ।
এক্ষেত্রে ছেলে শিশুর ইডিপাস
জটিলতা দেখা দেয় । আবার মেয়ের
শিশুর বাবার প্রতি আকর্ষণ
থাকে এবং মাকে ঈর্ষার চোখে দেখে ,
এই যে যৌন ব্যবহারিক পরিবর্তন
এটি সম্পূর্ণ মনস্তাত্ত্বিক।
মনোবিজ্ঞানী ফ্রয়েড এ
ব্যাপারে সবচেয়ে কার্যকারী ব্যাখ্যা
দিয়েছেন । বয়স বাড়ার
সাথে সাথে শিশুর যৌন আচরণগত
পার্থক্য দেখা দেয় । যে শিশু
দিনে একবার মাত্র মল ত্যাগ
করতো সে একাদিক বার মল ত্যাগ
করতে উদ্যত হয়। এর প্রধান
মনস্তাত্ত্বিক কারণ হলো শিশু তার
নিজের যৌনাঙ্গ দেখে আনন্দ অনুভব
করে । আবার অনেক ক্ষেত্রে শিশু
অন্য শিশুর যৌনাঙ্গ দেখতে চায়
বা কোনো কোনো ক্ষেত্রে দেখে থাকে
এতে এক প্রকার যৌন উদ্দিপনা লাভ
করা সম্ভব হয় । মাস্টার এবং জনসন
একে শিশুর যৌন
উদ্দিপনা হিসেবে ব্যাখ্যা দিয়েছেন ।
শিশু যখন একা একা থাকে তখনও
নানা স্তরের যৌন চিন্তা (যা ঠিক সেই
সময়ে তার জন্য যৌনতা নয় )
করে থাকে । বিছানায়
শুয়ে হয়তো সে তার মনের
অজান্তে তার যৌনাঙ্গে স্পর্শ করে ।
আবার
কখনো কখনো সে এটি নিয়ে খেলা করে ।
এতে করে মনোদৈহিক যৌন উত্তেজনার
সৃষ্টি হয় যা শিশু বুঝতে পারে না ।
সূত্রঃ প্রফেসর ডাঃ মোহাম্মদ ফিরোজ

কোন মন্তব্য নেই :