৪ পত্রিকার বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করলো ডেসটিনি

কোন মন্তব্য নেই

ডেসটিনি
মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ
(এমএলএম) সোসাইটির
প্রতারণা নিয়ে রিপোর্ট করায় জাতীয়
দৈনিক প্রথম আলো, যুগান্তর,
নয়াদিগন্ত ও যায়যায় দিন পত্রিকার
সম্পাদক ও প্রকাশকের বিরুদ্ধে ৫
হাজার কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ
চেয়ে মানহানির
মামলা করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
চতুর্থ যুগ্ম জেলা জজ
আদালতে ডেসটিনি গ্রুপের
ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমিন
রোববার সকালে মামলাটি করেন।
প্রতিষ্ঠানটির
প্রতারণা নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের
দেয়া পরিদর্শন প্রতিবেদনের
বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট
করেছে প্রতিষ্ঠানটি। কেন্দ্রীয়
ব্যাংককে পাঠানো লিগ্যাল নোটিশের
জবাব না পাওয়ার কথাও রিট
আবেদনে বলা হয়েছে।
রিট আবেদনে ‘ওই প্রতিবেদন কেন
অবৈধ ঘোষণা করা হবে না’- এই
মর্মে রুল চাওয়া হয়েছে। এতে অর্থ
সচিব ও বাংলাদেশ ব্যাংকের
গভর্নরকে বিবাদী করা হয়েছে।
বিচারক এসএইচআল শামস জগলুল
হোসেন বিবাদীদের প্রতি সমন জারির
আদেশ দেন। একই সঙ্গে আগামী ১০
জুন সমন জারি সংক্রান্ত প্রতিবেদন
দাখিলের জন্য দিন ধার্য
করে আদালত।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, দৈনিক
নয়াদিগন্ত পত্রিকায় গত ২৭ মার্চ
‘ডেসটিনির আমানত
ফিরে পাওয়া নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের
শঙ্কা,’ ২৮ মার্চ ‘১ বছরেই
ডেসটিনির অনুমোদন ছাড়া ব্যয় ২১২
কোটি টাকা,’ ২৯ মার্চ ‘ডেসটিনির
সদস্য সংগ্রহ বন্ধের সুপারিশ
বাংলাদেশ ব্যাংকের,’ শিরোনামে খবর
প্রকাশিত হয়।
এছাড়া ১ এপ্রিল ‘এমএলএম ফাঁদে ৩
কোটি মানুষ’ ও ‘ডেসটিনিকে ধরা হচ্ছে,
সরকারের চার
সংস্থা তদন্তে মাঠে নামছে,
নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে ডেসটিনি
কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণে,
এমএলএম’র অবৈধ
ব্যাংকিং বন্ধে অর্থমন্ত্রী ও
গভর্নরকে চিঠি দেবে সংসদীয় কমিটি,
বিভিন্ন স্থানে ডেসটিনির অফিস বন্ধ:
উৎকণ্ঠায় গ্রাহকেরা শিরোনামেও
পত্রিকায় খবর আসে।
দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় গত ২৯
মার্চ ‘উধাও হয়ে যেতে পারে ডেসটিনি,
ডিসিদের ঘুষ দেয়ার চাঞ্চল্যকর তথ্য,’
৩০ মার্চ ‘ডেসটিনির
বিরুদ্ধে দুদকে নথি উত্থাপন রোববার,’
‘উদ্বেগ উৎকণ্ঠায়
গ্রাহকরা সারাদেশে তোলপাড়:
যুগান্তরের কপি নিয়ে কাড়াকাড়ি,’ ৩১
মার্চ, ‘লাইসেন্স বাতিল
হতে পারে ডেসটিনির,
খতিয়ে দেখা হচ্ছে অর্থ পাচারের
বিষয়টিও,’ ১ এপ্রিল ‘ডেসটিনির
গ্রাহকরা দিশেহারা,’ ২ এপ্রিল
‘ডেসটিনির সঙ্গে লেনদেন না করার
পরামর্শ বাংলাদেশ ব্যাংকের’
শিরোনামে খবর প্রকাশিত হয়।
দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় গত
৩১ মার্চ ‘দেশজুড়ে প্রতারণার ফাঁদ
ডেসটিনির’ এবং বৃক্ষরোপনের নামেও
অর্থ সংগ্রহ করছে ডেসটিনি’
শিরোনামে খবর প্রকাশিত হয়।
দৈনিক যায়যায় দিন পত্রিকায় গত ৩১
মার্চ ‘দেশজুড়ে ডেসটিনি আতঙ্ক’
এবং ১ এপ্রিল ‘ডেসটিনির অবৈধ
ব্যাংকিং ঝুঁকিতে মূলধন বাজার’
শিরোনামে খবর প্রকাশিত হয়।
ডেসটিনি গ্রুপের আইনজীবী মিজান
সাঈদ সাংবাদিকদের জানান, ব্যাংক
কোম্পানি আইন-১৯৯১ এর ৫১
ধারা অনুসারে বাংলাদেশ ব্যাংকের
দেয়া পরিদর্শন প্রতিবেদন
দেয়া হয়েছে। কিন্তু এই আইনের ৩
ধারায় বলা আছে, সমবায় সমিতির
ক্ষেত্রে এই আইনের ৪৪ ধারা ব্যতীত
অন্য ধারাগুলো প্রযোজ্য হবে না।
তিনি আরো বলেন, ৪৪
ধারা অনুসারে পরিদর্শন প্রতিবেদন
দিতে হলে ডেসটিনিকে অনুলিপি দিতে হবে
, শুনানি করতে হবে। এসব
প্রক্রিয়া অবলম্বন না করেই ১১
মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংক
প্রতিবেদনটি দিয়ে দেয়।




♥♥♥♥সমাপ্ত♥♥♥♥
প্রকাশক : সৈয়দ রুবেল উদ্দিন www.facebook.com/sayed.rubel3

লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।

ভাল থাকুন সব সময় ।

কোন মন্তব্য নেই :