মহিলাদের কিডনি রোগ part2

কোন মন্তব্য নেই
কাজেই যত্রতত্র প্রেসারের ওষুধ ব্যবহার করা যাবে না। মিথাইল ডোপা, ক্যালসিয়াম চ্যানেল ব্লকার ও কিছু বিটা ব্লকার জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে। উরঁৎবঃরপং বা প্রস্রাব বাড়ানোর ওষুধ অঈঊ ইনহিবিটর জাতীয় ওষুধ শিশুর ক্ষতিসাধান করতে পারে। মেয়েদের প্রস্রাবের নালির মুখ প্রজনন অঙ্গ ও পয়নালির খুব কাছাকাছি। তাই জীবাণু সহজেই এসব স্থান থেকে প্রস্রাবের রাস্তায়সংক্রামিত হতে পারে। আবার যৌনাঙ্গেন সাথে থাকাতে স্বামী সহবাসে মূত্রনালী আহত হতে পারে এবং সংক্রামিত হয়ে প্রস্রাবে প্রদাহ হতে পারে। বিশেষ করে নববিবাহিত মেয়েদের এই ধরনের ইনফেকশন বেশি হয়ে থাকে। এদেরকে বলা হয় ‘হানিমোন সিস্‌টাইটিস’। অনেক সময় কারো জরায়ু নিচেনেমে আসে এতে করে কিছু প্রস্রাব করার পরও থলেতে প্রস্রাব থেকে যায়। বিশেষত যে মায়ের অনেক সন্তান ও অপ্রশিক্ষিত দাই দ্বারা ডেলিভারি করানো হয়েছে, এদের এসব কারণে প্রস্রাবে প্রদাহ বেশি হয়ে থাকে। তাছাড়া গর্ভবতী অবস্থায় প্রস্রাবে ইনফেকশনের হারঅনেকগুন বেড়ে যায়। অনেক সময় কোন উপসর্গ ছাড়াই ইনফেকশন হতে পারে। গর্ভাবস্থায় প্রস্রাবে ইনফেকশন কিডনির অনেক ক্ষতি সাধন করতে পারে, তাই বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে গুরুত্বসহকারে এর চিকিৎসা করতে হবে। প্রস্রাবের সময় জ্বালা পোড়া, ঘন ঘন অল্প অল্প প্রসাব, প্রস্রাব করার পরও প্রস্রাবের ইচ্ছে থাকা, তলপেটে ও কোমরের দুই পারে পেছনে ব্যথা, কখনও কাপুনি দিয়ে জ্বর আসা, প্রস্রাব দুর্গন্ধযুক্ত, ঘোলা কখনও রক্তমাখা ইত্যাদি প্রস্রাবের প্রদাহের প্রধান লক্ষণ।
মনে রাখতে হবে, কারো যদি প্রস্রাবে প্রদাহ সন্দেহকরা হয়-প্রস্রাব ল্যাব টেস্ট কালচার না পাঠিয়ে কখনও জীবানুনাশক ওষুধ খাবেন না। এতে কোন জাতীয় জীবাণু দ্বারা ইনফেকশন হয়েছে এবং কোন ওষুধে কাজ করবে তা নির্ধারণে মারাত্মক সমস্যা হতে পারে।
আর একটি সমস্যা আমরা প্রায়ই পেয়ে থাকি। তা হল গর্ভপাতজনিত জটিলতার কারণে আকস্মিক কিডনি ফেউল্যুর। আমাদের দেশে প্রায়ই দেখা যায় গ্রামের দাই-দের মাধ্যমে অবৈজ্ঞানিক উপায়ে গর্ভপাত ঘটানো হয়। এর ফলেজরায়ুতে ইনফেকশন হয়, পরে রক্তে ছড়ায় এবং মারাত্মক সেপটিসিমিয়া হয়ে কিডনি ফেইল্যুর হয় এবং উপযুক্ত চিকিৎসা না পেলে মৃত্যু অনিবার্য হয়। তাই কোন ক্রমেই অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে গর্ভপাত ঘটানো উচিৎ নয়।
পরিশেষে আবার শাকিলার কথাই বলি। আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে যে আলামত পেয়েছি, একে বলে ঐবষঢ় ঝুহফৎড়সব যেখানে লিভার অসুস্থ হয়, রক্ত ভেঙ্গে যায়, রক্তশূণ্যতা দেখা দেয়, সাথে কিডনির কার্যকারিতা লোপ পায়। এর কারণ এখনও জানা যায়নি। আবার অনেক মায়েদের আরও জটিল সমস্যা হতে পারে। যেমন: হঠাৎ করে রক্ত জমাটবাধা, পরে রক্তক্ষরণ ও কিডনি ফেউল্যুর।
এতসমস্ত সমস্যা হাসিমুখেমেনে নিয়েও মায়েরা সন্তানের জন্ম দেয়। লালন করে, জীবন দিয়ে ভালবাসে। এ জন্যই ইসলামের মহান শিক্ষা-‘মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেস্‌ত’।
অধ্যাপক (ডা:) এম এ সামাদ
চিফ কনসালটেন্ট এবং বিভাগীয় প্রধান
কিডনি রোগ বিভাগ, ল্যাবএইড স্পেশালাইজ্‌ড হাসপাতাল
সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক

শেয়ার করে আপনার প্রিয় বন্ধু-বান্ধবীদের পড়ার সুযোগ দিন।
আপনি জেনেছেন....হয়তো সে জানেনা ।আল্লাহ আপনাকে ভাল রাখুক --আমিন ।

কোন মন্তব্য নেই :