মাতা-পিতার প্রতি আমাদেরকর্তব্য সমুহ
কোন মন্তব্য নেই

মাতা-পিতার প্রতি আমাদের কর্তব্য সমুহঃ
দুনিয়া ও আখেরাতে নাজাত পেতে হলে নিম্মোক্ত উপদেশগুলি পালন করতে হবেঃ
১. মাতা পিতার সাথে ভদ্র ভাবে কথা বলতে হবে। তাদেরকে উহ! শব্দটিও পর্যন্ত বলবে না।
২. সর্বদা মাতা পিতার আদেশ নিষেধ পালন করতে তৎপর হবে, তবে কোন পাপের কাজ ব্যতিত। কারন শ্রষ্টার সাথে কোন পাপের কাজে কোন সৃষ্টির আনুগত্য করা যাবে না।
৩. তাদের সঙ্গে উত্তম ব্যবহার করবে। কখন ও তাদের সম্মুখে বিয়াদবী করবে না। কখনও তাদের প্রতি রাগের সাথে দৃষ্টি নিক্ষেপ করবে না।
৪. সর্বদা পিতা-মাতার সুনাম, সম্মান ও ধন সম্পদের হিফাজতে সচেষ্ট হবে। আর তাদের অনুমতি ব্যতীত কোন টাকা পয়সা ধরবে না ।
৫. এমন কাজে তৎপর হও যাতে তারা খুশী হন। যদিও তারা সেসবের হুকুম না ও করে থাকেন। যেমন তাদের খেদমত করা এবং তাদের প্রয়োজনীয় জিনিষ ক্রয় করে দেয়া। আর সব সময় জ্ঞান অর্জনে সচেষ্ট হবে।
৬. তোমরা সর্ববিধ কাজে তাদের সাথে পরামর্শ করবে। আর যদি কোন অবস্থায় তাদের বিরোধিতা করতে তবে তাদের নিকট ওজর পেশ করবে।
৭. সর্বদা তাদের ডাকে হাসি-মুখেউপস্থিত হবে।
৮. তাদের বন্ধূ বান্ধব ও আত্বীয়স্বজনদের সম্মান করতে হবে তাদের জীবদ্দশায় এবং মৃত্যুর পরেও।
৯. তাদের সাথে ঝগড়া করবেনা এবং তাদের ভূল ভ্রান্তি খুজতে তৎপরহবে না।
১০. তাদের অবাধ্য হবে না। তাদেরসম্মুখে উচ্চস্বরে কথা বলবেনা।তাদের সাথে উত্তম ব্যবহার করবে।
১১. যখনই তাদের কেউ তোমার সম্মুখে উপস্থিত হন তখনই তাদেরসম্মানে দাড়িয়ে যাবে।
১২. বাড়ীতে মাতাকে তার কাজে সর্বদা সহযোগিতা করবে। আর পিতার কাজে সহযোগিতা করতে কখনওপিছপা হবে না।
১৩. মাতা পিতার অনুমতি ব্যতিত কোথাও বের হবে না।
১৪. অনুমতি ব্যতিত কখনও তাদের ঘরে প্রবেশ করবে না। বিশেষ করে তাদের ঘুম বা বিশ্রামের সময়।
১৫. তাদের পূর্বে খাবার গ্রহন করবে না। খানা পিনার সময় তাদের একরাম করতে সচেষ্ট থাকবে।
১৬. তাদের সম্মুখে কখন ও মিথ্যাকথা বলবে না । তাদের কোন কাজ তোমার পছন্দ না হলে তাদের দোষ বের করতে তৎপর হবে না।
১৭. তাদের সম্মুখে স্ত্রী বা সন্তানদের প্রাধান্য দিবে না। সর্ব অবস্থায় তাদের রাজী খুশী রাখতে তৎপর হবে।
১৮. তাদের সম্মুখে কোন উচু স্থানে উপবেশন করবে না। তাদের সম্মুখে কখনও অহংকারের সাথে পদদয়কে লম্বা করে দিবে না।
১৯. কখনও পিতার সম্মুখে বড়ত্ব দেখাবে না।২০. তাদের জন্য খরচের ব্যাপারে কখনও এত কৃপনতা করবে না, যাতে তারা কোন অভিযোগ উত্থাপন করে।
২১. বেশী বেশী করে মাতা পিতার দেখাশুনা করবে, তাদের সর্বদা হাদিয়া উপহার দিতে তৎপর হবে তারা যে কষ্ট করে তোমাকে প্রতি পালন করেছেন তজ্জন্য শুকরিয়া আদায়ে তৎপর হবে। তুমি যেমন আজ তোমার সন্তানদের আদর কর এবং তাদের জন্য কষ্ট কর, একদা তারা ও তোমার জন্য ঐরকম কষ্ট করতেন।
২২. তোমার নিকট সর্বাধিক সম্মানিত ও হকদার হলেন তোমার মাতা। তারপর তোমার পিতা। মনে রেখ মায়ের পদতলে সন্তানের জান্নাত।
২৩. মাতা পিতার অবাধ্যচরণ ও তাদের সাথে রাগারাগি করা থেকে বিরত থাকবে। অন্যথায় তুমি দুনিয়া ও আখেরাতে দু:খ কষ্টের মধ্য পড়বে।
২৪. যদি তুমি তাদের নিকট কোন কিছু চাও, তবে নম্র ভাবে তা চাও। আর যখন তুমি তা তাদের নিকটহতে পাবে, তখন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে।
২৫. যখন তুমি রিযক উপার্জক্ষম হবে, তখন হতেই রিযক অন্বেষণে তৎপর হও। আর সাথে সাথে মাতা পিতাকে সাহায্য করতে চেষ্টা কর।
২৬. মাতা পিতার সাক্ষাত করতে থাক জীবদ্দশায় এবং মৃত্যুর পরেও। তাদের পক্ষ হতে দান খয়রাত করতে থাক। সর্বদা তাদের জন্য এই বলে বেশী বেশী দুআ করতেথাক।
হে আমার রব! আমাকে এবং আমার মাতাপিতাকে এবং ঈমানসহ যারা আমার ঘরে প্রবেশ করে তাদেরকে এবং অন্যান্য মুমিন নারী পুরূষদেরকে ক্ষমা করে দাও। (সুরা নুহ ২৯ আয়াত)
==================== ===================
............................মোহাম্মদ জামালউদ্দীন, দুবাই ইউ এ ই
ট্যাগ/কি-ওয়ার্ড : দাম্পত্য জীবন
বিষয়শ্রেণী: বিবিধ

কোন মন্তব্য নেই :