দাম্পত্য জীবনঃ----বউয়েরমুখ থেকে স্বামীকে তিনটি কমন বাক্য শুনতে হয়
কোন মন্তব্য নেই
১. তোমার সংসারে আমি কি পেলাম......................................?
২. আমি বলে তোমার সংসার করছি অন্য কেউ হলে.................?
৩. আমি আর এই সংসারে থাকব না......................................?
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মাঝে মধ্যে ঝগড়া হয়েই থাকে। উত্তেজনা বা রাগের মূহুত্বে স্ত্রীরা উপরোক্ত কথা গুলো স্বামীদেরকে শুনিয়ে থাকে। আমি দেখেছি বেশীর স্ত্রী স্বামীর কাছ থেকে বেশী কিছু আশা করে থাকে। স্বামীদের পকেট খালি করতে পারলেই বউরা খুশী হয়। তারা বুঝতে চাইনা যে স্বামীকে কত কষ্ট করে সংসার চালাতে হয়। কত কষ্ট করে উপার্জন করতে হয়। স্বামীরা কত কষ্ট করে তাদেরকে স্ত্রীদের সাজিয়ে-গুছিয়ে রাখার চেষ্টা করে । আর স্ত্রীরা শুধুমাত্র পাশের বাসার ভাবী কি কিনছে কি করছে তাই দেখে থাকে। নিজের স্বামীর উপার্জন ক্ষমতার দিকে খেয়াল নাকরে নানান রকম আবদার করে থাকে। একসময় স্বামীর সাথে তর্ক-বিতর্ক সৃষ্টি হয়। অনেক সময় স্বামী স্ত্রীকে মারধর ও করে থাকে। আবার লোভী স্ত্রীরা আরেকজনের হাত ধরে পালিয়ে যেতেওদ্বিধাবোধ করে না। আমার তো মনে হয় স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক অনেক গভীর, দুজন শুধুই দুজনার। আমৃত্যু একি ছাদের নীচে দুজনকেবসবাস করতে হয়। যা একমাত্র আল্লাহ তায়ালা বিশেষ রহমতের কারনেই হয়ে থাকে। সংসারে অভাব-অনটন, ভূল-বুঝাবুঝি থাকবেই। তবে স্ত্রীদেরকে স্বামীর সৎ উপার্জনের উপর সন্তুষ্ট থাকতে হবে। স্বামীকে অসৎ উপায়ে উপার্জন করতে নিষেধ করতে হবে। সব সময় সৎ থাকতে উৎসাহিত করতে হবে। নামায পড়তে বলবে। সিগারেট খেতে নিষেধ করবে। অন্য কোন নারীর ছলনা থেকে দুরে থাকতে বলবে। এটাইতো একজন সৎ স্ত্রীর গুনাবলী হওয়া উচিৎ নয়কি?
******************************************************************************
নারীরা অধিকহারে জাহান্নামে যাবে কেন?
হাদীসে এসেছে-
উসামা ইবনে যায়েদ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: আমি জান্নাতেরগেটে দাড়ালাম, দেখলাম যারা তাতেপ্রবেশ করেছে তারা অধিকাংশ ছিলদুনিয়াতে দরিদ্র অসহায়। আর ধনীও প্রভাবশালীদের আটকে দেয়া হয়েছে। তবে তাদের মধ্যে যাদের জাহান্নামে যাওয়ার ফয়সালা হয়ে গেছে তাদের কথা আলাদা। আর আমি জাহান্নামের প্রবেশ পথে দাড়ালাম। দেখলাম, যারা প্রবেশ করছে তাদের অধিকাংশ নারী। (বর্ণনায় বুখারী ও মুসলিম)
কেন নারীরা পুরুষদের তুলনায় অধিকহারে জাহান্নামে যাবে?
অন্য একটি হাদীসে এ সম্পর্কে এসেছে-আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন : হে নারীগণ! তোমরা দান-সদাক করো। বেশী বেশী করে আল্লাহ তাআলার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো। কেননা আমি জাহান্নামে তোমাদের অধিকহারে দেখেছি। এ কথা শোনার পর উপস্থিত মহিলাদের মধ্য থেকে একজন -যার নাম ছিল জাযলা- প্রশ্ন করলো, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাদের কেন এ অবস্থা? কেন জাহান্নামে আমরা বেশী সংখ্যায় যাবো? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: তোমরা স্বামীর প্রতি বেশী অকৃতজ্ঞ ও অভিশাপ দাও বেশী। (বর্ণনায় : মুসলিম)
বলতে খারাপ শুনালেও আসলে আমাদের সমাজের নারীদের বাস্তব চিত্র এ রকমই যা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন। আমি দাম্পত্য জীবনে অনেক সুখী নারীকে দেখেছিতারা স্বামীর প্রতি অনেক সময় চরম অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে থাকে। অনেক সময় সামান্য বিরক্তহলে নিজ সন্তানদেরও অভিশাপ দেয়। নারীদের জাহান্নাম থেকে বাঁচার জন্য এ দুটো স্বভাব পরিহার করতে হবে অবশ্যই। আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বলার উদ্দেশ্য এটাই। তিনি নারীদের স্বভাব সংশোধন করার জন্যই এ কথা বলেছেন। নারীদের খাটো করা বা তাদের ভূমিকা অবমুল্যায়নের জন্য বলেননি।
==================== =====================
.............................মোহাম্মদ জামাল উদ্দীন, দুবাই, ইউ এ ই
ট্যাগ/কি-ওয়ার্ড : দাম্পত্য জীবন
বিষয়শ্রেণী: নারী

কোন মন্তব্য নেই :