যা করা উচিত নয়

কোন মন্তব্য নেই
উত্তপ্ত বা গরম পানিপূর্ণ গোসলের চৌবাচ্চা ব্যবহার করা উচিত নয়। অতিরিক্ত তাপের কারণেবাড়ন্ত শিশুর মেরুদণ্ড বিকলাঙ্গ হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। কোনো উপায়ান্তর না থাকলেইশুধু এক্স-রে করান। বাড়ন্ত ভ্রূণের জন্য ক্ষতিকর বিধায় এক্স-রে, ম্যামোগ্রাফি প্রভৃতিপরীক্ষা এড়িয়ে চলা উচিত। আর যদি এক্স-রে এড়ানোর কোনো সুযোগ না থাকে তাহলে আপনি যে গর্ভবতী তা চিকিৎসককে জানান, যাতে তিনি অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করতেপারেন।
গর্ভধারণকালীন ব্যায়াম
অধিকাংশ স্বাস্থ্যবতী মহিলার জন্য গর্ভকালীন ব্যায়াম করা নিরাপদ, যা অনেক ক্ষেত্রে মহিলাদের গর্ভকালীন বিভিন্ন অস্বস্তিবোধ থেকে পরিত্রাণ দেয়। কিছু সুনির্দিষ্ট ব্যায়ামযেমন-নিয়মিত হাঁটা, সাঁতার কাটা, সাইকেল চালানো, যোগব্যায়াম প্রভৃতি একজন গর্ভবতী মহিলার জন্য অত্যন্ত উপকারী। সাধারণত যেসব ব্যায়ামেভারোত্তোলন বা ভার বহনের প্রয়োজন হয় না এবং প্রচুর পরিমাণে ভারসাম্য রক্ষার প্রয়োজন পড়ে না; গর্ভকালীন সে ধরনের ব্যায়াম করার ওপর জোর দেয়া উচিত। ব্যায়ামের প্রাক্কালে হালকা ও ঢিলেঢালা পোশাক পরিধান করা উচিত। প্রচুরপরিমাণ তরল জাতীয় খাবার গ্রহণ করুন এবং পরিশ্রান্ত অবস্থায় কাজ করা থেকে বিরত থাকুন। ছয় মাস থেকে নয় মাস পর্যন্ত গর্ভধারণকালে যে ধরনের ব্যায়ামে পেছনের দিকে শুয়ে পড়তে হয়, সে ধরনের ব্যায়াম পরিহার করতে হবে। যে কোনো ধরনের ব্যায়াম শুরু করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। যেসব মহিলার ঘন ঘন গর্ভপাতের অভিজ্ঞতা, গর্ভপাতের ঝুঁকি, উচ্চরক্তচাপ বা হার্টের সমস্যারয়েছে অথবা যাদের প্রি-একলাম্পসিয়া হয়েছে তাদের জন্য ব্যায়াম না করাই উত্তম।
লেখকঃ ডা. নাফিসা আবেদীন

কোন মন্তব্য নেই :