পুরুষদের যৌনভীতি-নারীদের যৌনভীতি
কোন মন্তব্য নেই
www.amarbanglapost.com

জীবনের কোনো না কোনো পর্যায়ে পুরুষের যৌনতা নিয়ে নানা দুশ্চিন্তা বা দুর্ভাবনা থাকে।তারা চিন্তা করে সব সময় কেন উত্থান বা লিঙ্গ দাঁড়ানোর ব্যাপারটা একইভাবে হয় না- তবে কি যৌন অক্ষমতা বা পুরুষত্বহীন হয়ে গেলাম। অনেক নারী যৌনতা নিয়ে অস্বাচ্ছন্দ্যতা বা এক ধরনের চিন্তা বা শঙ্কায় ভোগেন।তারা স্বাভাবিক শরীরের অধিকারীহলেও যৌনাঙ্গ নিয়ে অনেক সময় বেশ অস্থির থাকেন... পুরুষদের যৌনাশঙ্কা জীবনের কোনো না কোনো পর্যায়ে পুরুষের যৌনতা নিয়ে নানা দুশ্চিন্তা বা দুর্ভাবনা থাকে।তারা চিন্তা করে সব সময় কেন উত্থান বা লিঙ্গ দাঁড়ানোর ব্যাপারটা একইভাবে হয় না- তবে কি যৌন অক্ষমতা বা পুরুষত্বহীনহয়ে গেলাম। কামরস কেন এত তাড়াতাড়ি বেরিয়ে আসে, কামরস যৌনসঙ্গমের সাথে সেক্স করার সময় কেন বের হয় না অথচ হস্তমৈথুন বা সুখস্তপর্শের সময়ঠিকই কামরস বের হয়ে আসে ইত্যাদি। পুরুষের যৌন আচরণ আর যৌন ইচ্ছার সুনির্দিষ্ট কোনো সীমা নেই। একেকজন একেক আসন, ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতি বা টেকনিক পছন্দ করে অন্যরা হয়ত তা করে না। একজনপুরুষ নিজের যৌনতা নিয়ে যা ভাবেন তাই তার কাছে সঠিক হওয়া উচিত। অন্য পুরুষরা যেরকমের আচরণ করেন তাকেও সেই একই রকম আচরণ করতে হবে এমন কোনো কথা নেই। তবে অনিচ্ছা সত্ত্বেও কাউকে যৌন আচরণে বাধ্য করা অন্যায়। বলাৎকার বা ধর্ষণ কিন্তু্তু আইনের দৃষ্টিতে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। যৌন জীবনের কোনো এক পর্যায়ে মনে হবে কেউ উত্থিত লিঙ্গকে যৌনসুখ পাওয়া না পর্যন্ত ঠিক ধরে রাখতে পারছে না। এর আসলে অনেক কারণ থাকতে পারে যেমন অসুস্থতা, ক্লান্ত বা অবসন্ন থাকা, মনোশারীরিক চাপে থাকা বা যৌনসঙ্গী কর্তৃক মনঃকষ্ট পাওয়া, এ্যালকোহল, ড্রাগ বা ওষুধ সেবনের কারণে হতে পারে। তবে যৌন অসন্তোষ বা অতৃপ্তি এসব সমস্যাকে আরো বাড়িয়ে দেয়। মানসিক সমস্যাজনিত কারণটি সমাধানের জন্য সেক্স থেরাপিস্টের সাথে যোগাযোগ করতেপারেন। সবচেয়ে প্রচলিত যৌনশিক্ষা আর ভাবনা হলো দ্রুত বীর্যস্খলন বা নির্দিষ্ট সময়েরআগেই বীর্যস্খলন। এটা আসলে এক প্রকারের অর্জিত বা শিক্ষণীয় যৌন আচরণ যা মাস্টারবেশন বা হস্তমৈথুনের সাহায্যে ঠিক করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে পুরুষটিকে জানতে হবে ও শিখতে হবে কিভাবে বীর্যস্খলনের সময়কেবাড়ানো যায় এবং যৌন অনুভূতি বা শিহরণকে নিয়ন্ত্র্তণ করা যায়। পেনিসকে হাত দিয়ে শক্ত করে ধরে একবারে উদ্দীপিত করে আবার যৌনপুলক নিয়ন্ত্রণ করে বন্ধ করুন যাতে কিনা বীর্যস্খলিত হতে না পারে। এভাবে কয়েকদিন অভ্যাস করলে এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে পারেন।এভাবে কয়েকদিন অভ্যাস করলে এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে পারেন। তাই মাস্টারবেশন বা হস্তমৈথুন নিজেকরে বা যৌনসঙ্গীকে দিয়ে করিয়ে সুখ সপর্শ আর যৌনতৃপ্তি অনুভব করুন এবং দ্রুত বীর্যস্খলনরোধ করুন। কতক পুরুষের পেনিস ভালোভাবে উত্থিত হলেও অর্গাজম বা যৌনসঙ্গীর সাথে চরমপুলক বা যৌনশিহরণ পেতে অসুবিধা হয় কিন্তু যখন তিনি মাস্টারবেশন করেন তখনকোনো সমস্যা থাকে না। এর একটা মানসিক কারণ থাকতে পারে। তিনি যৌন আচরণকে অপরাধের দৃষ্টিতে দেখতে পারেন বা নারী বা যৌনসঙ্গী গর্ভবতী হয়ে যাবে এরকমটি ভাবতে পারেন বা যৌনবাহিত রোগ বা ইফেকশনকে এড়িয়ে চলতে পারেন। আপনি যদি এ ব্যাপারে সহায়তা চান তবে মনোচিকিৎসক বা সেক্স থেরাপিস্টর সাথে পরামর্শ করুন-এটাকে মনোচিকিৎসার সাহায্যে সম্পূর্ণ ভালো করা সম্ভব। নারীদের যৌনাশঙ্কা অনেক নারী যৌনতা নিয়ে অস্বাচ্ছন্দ্যতা বা এক ধরনের চিন্তা বা শঙ্কায় ভোগেন। তারা স্বাভাবিক শরীরের অধিকারী হলেওযৌনাঙ্গ নিয়ে অনেক সময় বেশ অস্থির থাকেন। অবশ্য নারীরা চরমপুলক বা যৌন শিহরণমূলক অনুভূতি অথবা অন্যদের মতো সেক্স তারা কেন করতে পারেন না এনিয়েও দুশ্চিন্তায় ভোগেন। হঠাৎকরে কোনো যৌনসঙ্গম একটু ব্যথাদায়ক হলে তাদের উদ্বেগের সীমা থাকে না। যৌন আচরণ অনুভূতি আর যৌন ইচ্ছার নির্দিষ্ট কোনো সীমা নেই। বিভিন্ন ধরনের আসন, বিভিন্ন রকমের টেকনিকে অনেকে খুব যৌনসুখ পান- আবার অনেকে পান না।একজন নারী যৌন আনন্দ বা যৌনসুখের জন্য যে আসন বা ব্যবস্থাটিই বেছে নিক না কেন তা কিন্তু্তু সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। অন্য নারীরা যা করেতা আপনাকে একইভাবে করতে হবে এমন কোনো কথা নেই। তবে কারো অনিচ্ছা আর আপত্তি সত্ত্বেও তার সাথে যৌন সঙ্গম করা অন্যায়। বলাৎকার এবং অপব্যবহারএই দুটিই আইনের দৃষ্টিতে অপরাধ। আসলে এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে একজন নারীকে অবশ্যই তার শরীর বা বডি ইমেজ সম্পর্কে স্বচ্ছ সাবলীল ধারণা থাকা চাই।এক্ষেত্রে নারী তার যৌনসঙ্গীর সাথে যোগাযোগ করে ও পরামর্শ নিয়ে উপকৃত হবেন। নারীকে অবশ্যই জানতে হবে কিসে যৌনানন্দ বোধ হয় এবং তিনি কি অপছন্দ করেন। নারী যৌনাঙ্গের সবচেয়ে সংবেদনশীল সপর্শকাতর ফুলের মত বা ঠোঁটের মতো অংশটাকে ক্লাইটোরিস বা ভগাঙ্কুর বলে। এতে সুখসপর্শ করলে নারীর দেহমনে এক অন্যরকম যৌনসুখ অনুভূত হয়। যৌন সঙ্গমের সময় একজন নারী ঠিক যেভাবে বা যেরকম সপর্শ তার ক্লাইটোরিসে চায় সেরকম হয় না। তাই যৌন সঙ্গমের সময় এমন একটা পথ বেছে নিন যাতে কিনা ক্লাইটোরিসের সাথে মৃদু বা মাঝারি ঘর্ষণ নিশ্চিত হয়। নারী নিজে বা তার যৌনসঙ্গী যৌনক্রিয়ার সময় ক্লাইটোরিসকে উদ্দীপিত করতে পারে বা বীর্যখলনের পর নারীকে চরমপুলক বা যৌনশিহরণ দেয়ার জন্য এটাকে উদ্দীপিত করতে পারে। নারী নিজেই আবিষকার করবে কার মাধ্যমে হস্তমৈথুনে তিনি বেশি যৌনসুখ পান, তার যৌনসঙ্গীর মাধ্যমে না নিজের মাধ্যমে। নারী যদি সত্যিকারভাবেই উদ্দীপিত হয় তাহলে কিন্তু্তু যোনি ভিজে যায়। এর ফলে যৌনসঙ্গম সহজতর হয়। কতক নারী-পুরুষ আবার যোনিকে ভেজা রাখার জন্য দ্রবণীয় কোনো পিচ্ছল তরল ব্যবহার করেন। এটা যে কোনো ড্রাগ স্টোর থেকে কেনা যেতে পারে; তবে পেট্রোলিয়াম জাতীয় পিচ্ছিলকারক পদার্থ কখনোই ব্যবহার করবেন না। একজন নারী তার যৌনানুভূতি বা যৌন ইচ্ছার কথা দেহের ভাষাতে প্রকাশ করতে পারেন। আর আপনি যদি এতে সফল হন তবে আপনার যৌনসঙ্গী আপনার সাথে যৌনকর্মে বা যৌনসঙ্গমে মিলিত হতে চাইতে পারেন- এতে করে উভয়েই যৌনানন্দ আর যৌনসুখ নিঃসন্দেহে পাবেন।

কোন মন্তব্য নেই :