1) সূরা আল ফাতিহা (মক্কায় অবতীর্ণ), আয়াত সংখ্যা 7
কোন মন্তব্য নেই
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ (1
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
In the Name of Allâh, the Most Beneficent, the Most Merciful.
الْحَمْدُ للّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ (2
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তা’আলার যিনি সকল সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা।
All the praises and thanks be to Allâh, the Lord of the ’Alamîn (mankind, jinns and all that exists).
الرَّحْمـنِ الرَّحِيمِ (3
যিনি নিতান্ত মেহেরবান ও দয়ালু।
The Most Beneficent, the Most Merciful.
مَـالِكِ يَوْمِ الدِّينِ (4
যিনি বিচার দিনের মালিক।
The Only Owner (and the Only Ruling Judge) of the Day of Recompense (i.e. the Day of Resurrection)
إِيَّاكَ نَعْبُدُ وإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ (5
আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং শুধুমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি।
You (Alone) we worship, and You(Alone) we ask for help (for each and everything).
اهدِنَــــا الصِّرَاطَ المُستَقِيمَ (6
আমাদেরকে সরল পথ দেখাও,
Guide us to the Straight Way
صِرَاطَ الَّذِينَ أَنعَمتَ عَلَيهِمْ غَيرِ المَغضُوبِ عَلَيهِمْ وَلاَ الضَّالِّينَ (7
সে সমস্ত লোকের পথ, যাদেরকে তুমি নেয়ামত দান করেছ। তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি তোমার গজব নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে।
The Way of those on whom You have bestowed Your Grace , not (the way) of those who earned Your Anger (such as the Jews), nor of those who went astray (such as the Christians). ,,

কোন মন্তব্য নেই :

হোমায়রা হিমু’র স্ক্যান্ডাল!
কোন মন্তব্য নেই
: গ্ল্যামার মিডিয়ায় এমন অনেক সুন্দরী থাকেন, যাদের নিয়ে সচরাচর কোন স্ক্যান্ডাল কিংবা গুঞ্জন ওঠে না। মজার বিষয় হচ্ছে, এই নিয়ে মাঝে মধ্যে কথায় কথায় আক্ষেপও প্রকাশ করেন তারা। মুখ ফসকে মজা করেই বলে ফেলেন, আমরা হলাম কচুর আর্টিস্ট! কোন পত্রিকায় কোন স্ক্যান্ডাল নেই, পত্রিকায় কোন গুঞ্জনও নেই। এমন ধারার গ্ল্যামারাস টিভি অভিনেত্রীদেরমধ্যে হোমায়রা হিমু একজন। তবে অতি সমপ্রতি এ ধরনের স্ক্যান্ডাল কিংবা গুঞ্জনের অভাব পূরণ হতে যাচ্ছে হিমুর। বাস্তবে না হোক, টিভি নাটকের চিত্রনাট্যের মধ্য দিয়ে স্ক্যান্ডালের স্বাদ গ্রহণ করতে যাচ্ছেন তিনি। গ্ল্যামার মিডিয়ায় কাজ করা তারকা মডেল-অভিনেতা-অভিনেত্রী এবং তাদের ব্যক্তি জীবনের নানা চড়াইউৎরাইয়ের গল্প দিয়ে ভিন্ন মাত্রার একটি চিত্রনাট্য সাজিয়েছেন জনপ্রিয় নাট্যকার-সাংবাদিক আহমেদ শাহাবুদ্দিন। ‘স্ক্যান্ডাল’ নামের এই ডেইলি সোপটি নতুন টিভি চ্যানেল বিজয় টিভির জন্য নির্মাণ করছেন সৈয়দ শাকিল। হিমু জানান, এরই মধ্যে স্ক্যান্ডালের চার দিনের শুটিং করেছেন তিনি। শুটিং চলবে দীর্ঘ সময় ধরে। অন্যদিকে স্ক্যান্ডালে নিজের চরিত্র প্রসঙ্গে বলেন, বাস্তবে না হোক, নাটকে হলেও ভাল একটা স্ক্যান্ডাল এবং স্ট্রাগল করে বড় হওয়া শিল্পীর চরিত্র পেয়েছি।নাটকে দেখা যাবে, আমি একজন জনপ্রিয় টিভি নায়িকার ছোট বোন। আমার নায়িকা বোনই পুরো সংসার চালায়। অন্যদিকে আমি এক হুজুর ছেলের সঙ্গে প্রেম করে পালিয়ে যাই। একটা সময় আমার সেপারেশন হয়। মা-বোনের কাছে ফিরে না এসে আমি নিজেই একটা সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নেই। এবং প্রথম হয়ে যাই। রাতারাতি আমার দিন বদলে যায়। অন্যদিকে আমার বড় বোনের আগের অবস্থান-জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়ে। এভাবে মিডিয়া কেন্দ্রিক আরও অনেক মজার এবং মর্মস্পর্শী ঘটনা রয়েছে স্ক্যান্ডালে। নাটকটির অভিনয় আমি দারুণ উপভোগ করছি। এদিকে, ‘স্ক্যান্ডাল’ ছাড়াও ভিন্ন মাত্রার আরও তিনটি নতুন ধারাবাহিকে কাজ করছেন হিমু। এর মধ্যে রয়েছে কায়সার আহমেদের ‘তিন কতুব’, মাসুদুর রহমানের ‘পুতুল মানুষ’ এবং এহসানুল হক সেলিমের ‘উই আর ফ্রেন্ড’। হিমু বলেন, ‘তিন কতুব’ আমার এলাকার ভাষায় (নোয়াখালি) নির্মিত হচ্ছে। বেশ মজার। ‘পুতুল মানুষ’ পুরা নাগরিক। আর ‘উই আর ফ্রেন্ড’ হলো পুরোটাই আধুনিক। পুরো ২৬ পর্বের শুটিং করেছি নেপালে। সব মিলিয়ে ধারাবাহিক নাটক করতে না চাইলেও, এসব লোভনীয় চিত্রনাট্যের কারণে না করেও পারি না। বিশেষ করে ‘স্ক্যান্ডাল’-এর ভাবনা এবং চিত্রনাট্য তো খুবই লোভনীয়।

কোন মন্তব্য নেই :

থার্টি ফার্স্ট নাইট, হট ড্যান্সে কেঁপে উঠবে সিলেট
কোন মন্তব্য নেই
থার্টি ফার্স্ট নাইটে হট ড্যান্সে কেঁপে উঠবে সিলেট নগরী। ইংরেজি নববর্ষের ক্ষণকে বরণ করে নিতে সবখানেই ব্যাপক প্রস্তুতি। এ প্রস্তুতির প্রাথমিক অংশ হিসেবে ইতিমধ্যে সিলেট শহরের ৫ তারকা হোটেল থেকে মধ্যসারির হোটেলগুলোও বুকিং হয়ে গেছে। চালানো হয়েছে প্রচারণা। তবে বাহ্যিক প্রচারণার চেয়ে এবার ইন্টারনেটে বেশি প্রচারণা চালিয়েছেন আয়োজকরা। সব কিছুতে যেন কিছুটা লুকোচুরি। পুলিশ ও র‌্যাবের চোখে ধুলো দেয়ার প্রক্রিয়া। গতকাল সর্বশেষ তথ্য নিয়ে জানা গেছে, সিলেটে ৫ তারকা হোটেল থেকে শুরু করে জিন্দাবাজার, আম্বরখানা ও বন্দরবাজার এলাকায় সবকটি হোটেল বুকিং হয়ে গেছে। থার্টি ফার্স্টনাইটের আয়োজনের জন্য প্রায় এক মাস আগে এই হোটেলগুলোর হলরুম বুকিং দেয় আয়োজকরা। সিলেটের রোজভিউ হোটেল, স্পাইসি হোটেলসহ বেশ কয়েকটি হোটেলে ডিজে পার্টিরআয়োজন করা হয়েছে। তবে আয়োজক এবং হোটেল সংশ্লিষ্টরা স্রেফ এটিকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বলে চালিয়ে দিচ্ছেন। ইনডোর প্রোগ্রাম হওয়ায় আগে থেকেই নেয়াহয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সিলেট নগরীর জিন্দাবাজারে গ্রাম বাংলা হোটেলে ডিজে পার্টির আয়োজনের টিকিট বিক্রি প্রায় শেষ পর্যায়ে। গত ১০ দিন ধরে টিকিট বিক্রি করা হয়। থার্টি ফার্স্ট নাইট কালচারাল শো নামে রাত ১০টা থেকে ভোররাতে চারটা পর্যন্ত অনুষ্ঠান চলবে বলে পোস্টারে আয়োজকরা জানান। ফ্যাশন শো, মডার্ন ড্যান্স, উইথ ডিজে নামে এই নাইটের নামকরণ করা হয়েছে। সিলেট নগরীর জিন্দাবাজারে স্পাইসিসহ আরও কয়েকটি রেস্টুরেন্টে থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এদিকে, এবারের থার্টি ফার্স্ট নাইটের সবকটি অনুষ্ঠানে টিকিট সিস্টেম চালু রয়েছে। দুই হাজার, দেড় হাজার, এক হাজার, পাঁচশ’ টাকার হারে টিকিট ছাড়া হয়েছে। তবে কোন কোন অনুষ্ঠানে মহিলারা বিনামূল্যে ঢুকতে পারবেন। মহিলাদের কাছ থেকে টিকিট বাবদ কোন টাকা নেয়া হবে না। এ নিয়ে বিভ্রান্তি শুরু হয়েছে সিলেটে। নগরীর জিন্দাবাজারের একটি হোটেলের ডিজে পার্টিতে টিকিটের দাম ধরা হয়েছে দেড় হাজার থেকে ৮শ’ টাকা। কিন্তু এ টাকা শুধু পুরুষরা দেবেন। মহিলারা এখানে ঢুকলে কোন টাকা দিতে হবে না। অন্যদিকে, থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে সিলেট শহরতলীর বাংলোবাড়িগুলো ইতিমধ্যে বুকিং করা হয়েছে। বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে এসব বাংলোবাড়িতে হট ড্যান্স, ডিজে পার্টির আয়োজন করা হয়েছে। থার্টি ফার্স্ট নাইটে সিলেট নাচবে উন্মাদনায়।। একারণে সিলেটে মদের ছড়াছড়ি হবে প্রচুর। সীমান্ত এলাকা থেকে বিভিন্ন পার্টির পক্ষ থেকে মদ নিয়ে আসা হয় সিলেটে। এদিকে, থার্টি ফার্স্ট নাইটের অপ্রীতিকর ঘটনা কিংবা উন্মাদনা ঠেকাতে প্রস্তুত সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ। ইতিমধ্যে পুলিশ ও র‌্যাব মাদক ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে। সিলেট নগরীর চিহ্নিত এলাকাগুলোতে অভিযান চালানো হচ্ছে গতকাল জানিয়েছেন পুলিশের এক কর্মকর্তা। তিনি জানান, থার্টি ফার্স্ট নাইটে সিলেটে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। নগরীর সবক’টি প্রবেশমুখে চেকপোস্ট ছাড়াও গোটা নগরীতেই থাকবে নজরদারি। সিলেট নগরীতে এবার ব্যাপক হারে থার্টি ফাস্ট নাইট বরণের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। আয়োজকদের মধ্যে অনেকেই জানিয়েছেন, অতীতের সব বছরের চেয়ে এবার সিলেটের আয়োজন ব্যাপক। এই আয়োজন চলছে টানা একমাস ধরে।

♥♥♥♥সমাপ্ত♥♥♥♥
প্রকাশক : সৈয়দ রুবেল উদ্দিন
www.facebook.com/sayed.rubel3

কোন মন্তব্য নেই :

২০ বছরে ১৩ বিয়ে page ২
কোন মন্তব্য নেই
এ ঘটনায় রনি বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১১ই নভেম্বর আফরোজার বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের মামলা করে। সিআর মামলা নং-২৫৭/১১। আদালত মামলাটি নথিভুক্ত করতে ফতুল্লা মডেল থানাকে নির্দেশ দিলে ১৯শে ডিসেম্বর ফতুল্লা মডেল থানা মামলাটি রেকর্ড করে। মামলা নং-৫৬।
প্রতারিত রনি ফতুল্লার পাগলা দেলপাড়া এলাকার রমিজ খানের ছেলে। আর সুপ্রিয়া ঘোষ ওরফে আফরোজা আক্তার (আশা) ঢাকার গেণ্ডারিয়ার দ্বীননাথ সেন রোডের তোফাজ্জলের মেয়ে। বর্তমান ঠিকানা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের চরখেজুরবাগ এলাকার সোহাগের বাড়ি বলে মামলায়উল্লেখ করেন রনি।
পুলিশের বক্তব্য
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার এসআই শফিকুলইসলাম জানান, আফরোজা একাধিক বিয়ে করে প্রতারণা করেছে কিনা তার প্রমাণ এখনও পাইনি। তবে মামলার বাদী খলিলুর রহমান রনি আমার কাছে আফরোজার বিয়ের ৪টি কাবিননামা দিয়েছেন। সেগুলোর সত্যতা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তাছাড়া রনির কথামতো আফরোজা বর্তমানে লন্ডনে অবস্থান করছে। তবে এ পর্যন্ত যতটুকু জানা গেছে তা হলো, রনি ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে আফরোজা ২টি মামলা করেছে। মামলার সূত্রধরে পুলিশ রনির বাড়িতে অভিযান চালালে রনি পাল্টা আফরোজার বিরুদ্ধে আদালতে টাকা আত্মসাতের মামলা করে। তিনি আরও জানান, আফরোজাকে টাকা দেয়ার বিষয়ে রনি কোন লিখিত প্রমাণ দেখাতে পারেনি। তবে আফরোজা ও রনিকে মুখোমুখি করতে পারলে ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটিত হবে বলে জানান এসআই শফিকুল ইসলাম।

♥♥♥♥সমাপ্ত♥♥♥♥
প্রকাশক : সৈয়দ রুবেল উদ্দিন
www.facebook.com/sayed.rubel3

কোন মন্তব্য নেই :

২০ বছরে ১৩ বিয়ে page 1
কোন মন্তব্য নেই
বিল্লাল হোসেন রবিন, নারায়ণগঞ্জথেকে: আশা। পুরো নাম সুপ্রিয়া ঘোষ ওরফে আফরোজা। লন্ডন প্রবাসী। বিয়ে বিয়ে খেলা করে অর্থ হাতিয়ে নেয়া তার পেশা। কুড়ি বছর বয়সে ১৩টি বিয়ে করেছেন। তবে কারো সঙ্গেই স্থায়ীহননি। চাহিদা মতো
টাকা না দিলেই স্বামীর বিরুদ্ধেযৌতুকের মামলার ভয় দেখান। আশার ১৩ নাম্বার স্বামী খলিলুর রহমানরনি তার বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করেছেন। রনি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পাগলা দেলপাড়া এলাকার রমিজ উদ্দিন খানের ছেলে। সুন্দরী আশার সঙ্গেরনির পরিচয় হয় ফেসবুকে। একসময় আশা রনিকে লন্ডন নেয়ার স্বপ্ন দেখায়। আর রনিও লন্ডন যাওয়ার স্বপ্নে বিভোর হয়ে আশার প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে। তাদের মধ্যে বিয়েও হয়। রনি ৮ লাখ টাকা তুলে দেয় আশার হাতে। কিন্তু আশা লন্ডনে আর দেশে পড়ে আছেন রনি। তিনি এখন লন্ডনে যাওয়ার স্বপ্ন বাদ দিয়ে টাকা ফেরত পেতে আইনের আশ্রয় নিয়েছেন।
রনি জানান, চলতি বছরের ২৫শে মার্চ ১০ লাখ টাকা দেনমোহরে ফতুল্লার কুতুবপুর ইউনিয়নের কাজী অফিসে আশার সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের কাবিননামায় আশাকে কুমারী উল্লেখ করা হয়। নাম লেখা হয় আফরোজা আক্তার আশা, পিতার নামতোফাজ্জল হোসেন।
রনির দেয়া তথ্যমতে, ১৯৯১ সালের ২২শে নভেম্বর ৫০ হাজার ১ টাকা দেনমোহরে আফরোজা সুলতানা বেবী পরিচয়ে প্রতারক আশা বিয়ে করেন মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানার দেউলভোগ এলাকার আবদুল জব্বার মিয়ার পুত্র মো. খোরশেদুল আলমকে। কাবিননামায় আশা তার বয়স ১৮ বছর বাবার নাম আবদুল করিম খান এবং ১৭/১৮ অক্ষয় দাস লেন সূত্রাপুর- এ ঠিকানা ব্যবহার করেন। শ্রীনগর কাজী অফিসের কাবিন ৫নং বালাম বইয়ের ২ এর পাতা ৩৭৬ পৃষ্ঠা।
১৯৯৪ সালের ১৯শে এপ্রিল ১ লাখ ১ টাকা দেনমোহরে আফরোজা সুলতানা বেবী পরিচয়ে আশা বিয়ে করেন চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানার চোরঙ্গী এলাকার মরহুম আশোক আলীরপুত্র আবদুল মালেককে। বিয়ের সময়আশা তার বয়স ১৯ বছর, বাবার নাম তোফাজ্জল হোসেন, ৭০ সতীশ সরকার রোড সূত্রাপুর উল্লেখ করেন। সূত্রাপুর রেজিস্ট্রি অফিসে এ বিয়ে হয়। সূত্রাপুর কাজী অফিসেরকাবিনের বালাম নং-২ পাতা নং-৯৯ ক্রমিক নং-১১৯।
২০০১ সালের ৩০শে মার্চ আশা ঢাকার সূত্রাপুর থানার ১৩৫নং লাল মোহন সাহা স্ট্রিট রোডের হাজী আমিন উদ্দিনের পুত্র মাহবুবুল আলমকে বিয়ে করে। বিয়েরসময় কাবিনে ২ লাখ ১ টাকা দেনমোহরধার্য করা হয়। কাবিনে তার নাম আফরোজা আক্তার আশা, বয়স ২০, বাবার নাম আবদুল করিম, ৩/১ দ্বীননাথ সেন রোড সূত্রাপুর উল্লেখ করা হয়।একই বছরে এ তরুণী নিজের নাম সুপ্রিয়া ঘোষ পরিচয়ে বিয়ে করে উত্তরা দক্ষিণখান এলাকার স্বপন ঘোষকে।
১৯৯২ সালে আশা প্রথম স্বামী মুন্সীগঞ্জের খোরশেদুুল আলমের বন্ধু আমির হোসেনকে বিয়ে করেন। এছাড়া আশা মুন্সীগঞ্জের সিরাজদী খানের আশিক, কেরানীগঞ্জথানার খেজুরবাগ এলাকার আনোয়ার হোসেন, গেণ্ডারিয়া এলাকার তপন খান, ঢাকার তেজগাঁও মনিপুরীপাড়ার এনামুল হোসেনকে বিয়ে করেন বলে জানান আশার ১৩ নাম্বার স্বামী খলিলুর রহমান।
রনি আদালতে দায়ের
করা মামলায় যা বলেন
জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আফরোজার সঙ্গে পরিচয় হয় রনির। পরিচয়ের সূত্রধরে তারা একে অপরের সম্পর্কে খোঁজ খবর নেয়। একসময় দিনের পর দিন তারা ফোনে কথা বলে।তাদের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে। আফরোজা রনিকে জানায়, সে লন্ডন থেকে ভারতে প্রতিনিয়ত আসা-যাওয়াকরে। একপর্যায়ে ভারত থেকে চোরাইপথে বাংলাদেশে প্রবেশ করে আফরোজা এবং সরাসরি এসে ওঠে রনির ফতুল্লার দেলপাড়ার বাসায়। রনি আফরোজাকে তার পরিবারের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। যথাসাধ্য আপ্যায়ন করে। ক’দিনের মাথায় আফরোজা রনিকে বিয়ে করে লন্ডন নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ১৪ লাখ টাকাদাবি করে। এতে চলতি বছরের ২৫শে মার্চ রাত ৯টার দিকে রনি ৪ লাখ প্রদান করে আফরোজাকে। এরপর কাজীডেকে তাদের মধ্যে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হয়। বিয়ের কাবিননামা সম্পাদনের পর ৪ঠা এপ্রিল আফরোজা মেরেজ সার্টিফিকেটসহ নিকাহনামা ইংরেজিতে অনুবাদ করে নারায়ণগঞ্জ নোটারি পাবলিকের আদালতে সম্পাদন করে। এবং এম্বাসিতে উপস্থাপন করা হয়েছে বলে বিশ্বাস স্থাপন করায়। রনিকেচোরাই পথে লন্ডন নেয়া, নিকাহনাম ও ভিসার জন্য টাকার প্রয়োজন হওয়ায় আফরোজাকে ১০ই এপ্রিল ২ লাখ টাকা প্রদান করা হয়। ১২ই এপ্রিল আফরোজা ভারত চলে যায়। এবং রনিকে ভারত আসতে বলে। কথামতো ভারত গিয়ে রনি আরও ২ লাখ টাকা দেয় আফরোজাকে। কিন্তু টাকানিয়ে আফরোজা লন্ডন চলে যায়। লন্ডন গিয়ে আফরোজা রনিকে জানায়, সে বাংলাদেশ এসে রনিকে লন্ডন নিয়ে যাবে বলে আশ্বস্ত করে। ২৮শে অক্টোবর বিকাল সাড়ে ৩টায় আফরোজা রনির বাড়িতে এসে আরও ২ লাখ টাকা দাবি করে। এতে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আফরোজা মিথ্যা মামলায় হয়রানি করবে বলে রনিকে হুমকি দেয়। একপর্যায়ে রনিজানতে পারে তাকে ছাড়া আফরোজা ১৯৯৪ সালের ১৯শে এপ্রিল জনৈক আবদুল মালেক, ৯৯ সালের ২২শে নভেম্বর জনৈক খোরশেদ আলম, ২০০১ সালের ৩০শে মার্চ মাহবুব আলমের সঙ্গে বিয়ের মিথ্যে কাবিননামা তৈরি করে তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়


আরো
পড়তে থাকুন
২০ বছরে ১৩ বিয়ে

কোন মন্তব্য নেই :

নাঈম অডিও ভিসিডি সেন্টার শাহ পরান মাজার সিলেট
কোন মন্তব্য নেই
sayedrubel77: নাঈম অডিও ভিসিডি সেন্টার শাহ পরান মাজার সিলেট: নাঈম অডিও ভিসিডি সেন্টার এন্ড পোষ্টার হাউস । এখানে ,CD,VCD,DVD,MP3 AUDIO ক্যাসেট সহ পোষ্টার বই মালা তসবি কসমেটিক্স কুঠি খেলনা সহ নানান ধরণ...

কোন মন্তব্য নেই :

sayedrubel77: নারী পুরুষের সমান অধিকার 1
কোন মন্তব্য নেই
নারী পুরুষের সমান অধিকার 1: নারী পুরুষের সমান অধিকারের নামে যারা মেয়েদেরকে রাস্তায় নামা হচ্ছে ঐসব বাটপার লম্পট কে বলতে চাই । মহান রাব্বুল আলামিন আপনাকে আমাকে সৃষ্টি করে...

কোন মন্তব্য নেই :

নারী পুরুষের সমান অধিকার ৫
কোন মন্তব্য নেই
sayedrubel77: নারী পুরুষের সমান অধিকার ৫


সমান অধিকার দিতে হ...
: নারী পুরুষের সমান অধিকার ৫


সমান অধিকার দিতে হবে বলে
ঐসব কুখ্যাত মেয়েরা ,তারা কারা,
যারা বলে পুরুষেরা চারটি বিয়ে করতে পারে,মেয়েরা কেন ...

কোন মন্তব্য নেই :

নারী পুরুষের সমান অধিকার ৬
কোন মন্তব্য নেই
sayedrubel77: নারী পুরুষের সমান অধিকার ৬: অনেকে বলে ইসলামে নারীকে ঠকিয়ে ।জানতে চাইলাম কেমনে ,বলে সম্পদের ক্ষের্তে নারীকে ইসলাম কম দিয়েছে ।তিন ভাগের দুই ভাগ পায় ছেলে এক ভাগ পায় মেয়ে ।...

কোন মন্তব্য নেই :

নারী পুরুষের সমান অধিকার 2। সৈয়দ রুবেল উদ্দিন,এর জানার আছে অনেক কিছু ।: নারী পুরুষের সমান অধিকার নামে আমাদের দেশ যা হচ্ছে ...
কোন মন্তব্য নেই
সৈয়দ রুবেল উদ্দিন,
এর জানার আছে অনেক কিছু ।: নারী পুরুষের সমান অধিকার নামে আমাদের দেশ যা হচ্ছে ...
: নারী পুরুষের সমান অধিকার নামে আমাদের দেশ যা হচ্ছে ।আজ আমরা দেখি তারা সমান অধিকারের নামে রাস্তায় ঘাটে বেতারে টেলিভিশনে শুধু একটায় দাবি সমান অ...

কোন মন্তব্য নেই :

বিয়ে করলেন প্রভা
কোন মন্তব্য নেই
মোহাম্মদ আওলাদ হোসেন: ছোট পর্দার মিষ্টিমুখ আলোচিত অভিনেত্রী ও মডেল সাদিয়া জাহান প্রভা বিয়ে করেছেন। গত ১৯শে ডিসেম্বর প্রভার মোহাম্মদপুরেরবাসায় পারিবারিক উদ্যোগে এ বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। প্রভার বরের নাম মাহমুদশান্ত। বরিশালের ছেলে শান্ত একটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ পদে কর্মরত আছেন। তার বাবা ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা, মা ডাক্তার। ঘরোয়াভাবে অনুষ্ঠিত এই বিয়ের অনুষ্ঠানে উভয়পক্ষের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়-স্বজন ও প্রভার বান্ধবীরা উপস্থিত ছিলেন। আগামী জুন জুলাই মাসের যে কোনসময় বেশ ঘটা করে বিবাহোত্তর সংবর্ধনার আয়োজন করা হবে বলে প্রভা নিজেই জানিয়েছেন। বিয়ের আনন্দিত প্রভা মানবজমিনকে ফোন করে তার বিয়ের সংবাদ জানান এবং তার সুখময় দাম্পত্য জীবনের জন্য দোয়া কামনা করেন। প্রভা বলেন, আমি অত্যন্ত আনন্দিত। কারণ শান্ত আমাকে অনেক ভালবাসে। আমিও তাকেঅনেক ভালবাসি। দু’জন দু’জনকে প্রচণ্ড বিশ্বাস করি। আমাদের দুই পরিবারের সম্মতিতে এবং তাদের উদ্যোগেই বিয়ের অনুষ্ঠান হওয়ায় আমরা দু’জনেই আনন্দিত। এখন আমাদের প্রয়োজন আপনাদের দোয়া। প্রভা বলেন, মিডিয়াতে কাজ করার সময় থেকেই আমি সাংবাদিকদের সহযোগিতা পেয়েছি। তাদের উৎসাহ অনুপ্রেরণাই আমাকে আজকের প্রভা বানিয়েছে। তাই আমি সাংবাদিক ভাইদের দোয়া নিয়েই আমার নতুন জীবন শুরু করতেচাই। তিনি বলেন, জুন কিংবা জুলাই মাসেখুব ঘটা করেই সবাইকে নিয়েই বিয়ের অনুষ্ঠানটা করবো। হানিমুন কোথায় করবেন জানতে চাইলে প্রভা বলেন, বিয়ে হয়েছে মাত্র দু’দিন হলো। শ্বশুর বাড়ির লোকদের আদরে ভালবাসায় ভেসে বেড়াচ্ছি। হানিমুন নিয়ে চিন্তা করার সময় পাচ্ছি না। তবে যেখানেই যাবো বেশগুছিয়ে পরিকল্পনা করেই যাবো। সেক্ষেত্রে হানিমুন করার জন্য আমার আর শান্তর দু’জনেরই প্রথম পছন্দ অস্ট্রেলিয়া। তবে এসব এখন ভাববার সুযোগ পাচ্ছি না। নতুন জীবন শুরু করেছি, খুব ভাল লাগছে, এই ভাল লাগার সঙ্গে আপনাদের দোয়ায় আমরা আমাদের জীবনটা পরিপূর্ণ করতে চাই।
উল্লেখ্য, প্রেমিক রাজিব হাসানের সঙ্গে টানা আট বছরের মাথায় (২০১০ সালের ১৬ই এপ্রিল) আংটি বদল হয় প্রভার। শেষতক আংটি বদল রূপ নেয়নি সংসার জীবনে। এর পর একই বছরের ১৮ই আগস্ট সহশিল্পী অপূর্বকে পালিয়ে বিয়ে করেন তিনি। মাঝখানে বেশ কিছু অপ্রীতিকর ঘটনার পর চলতি বছরের ১২ই ফেব্রুয়ারি অপূর্ব-প্রভার বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর থেকে প্রভা বন্দি হয়ে পড়েনচার দেয়ালে।
রিপোর্ট
www.mzamin.com
এই সংবাদ সম্পর্কে আপনার মতামত দিন

কোন মন্তব্য নেই :

কাটরিনার পর্নো ভিডিও নিয়ে তোলপাড়
কোন মন্তব্য নেই
বিনোদন ডেস্ক: সমপ্রতি একটি পর্নো ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে কাটরিনা কাইফের। আর এ নিয়ে বেশ তোলপাড় শুরু হয়ে গেছে বলিউডপাড়ায়। এর মাধ্যমে বেশবিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছেন কাটরিনা। এর আগেও বছর চার এক আগে একটি পর্নো ভিডিও প্রকাশিত হয়েছিলো তার। ‘কাটারিনা কাইফ সেক্স স্ক্যান্ডাল’ নামের এ পর্নো ভিডিওটি ২৪ ঘণ্টা অবস্থান করেছিলো ওয়েবসাইটে। গুগুলে সার্চ করলেই পাওয়া যাচ্ছিলো এটি। কিন্তু পরবর্তীতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ওয়েব থেকে মুছে ফেলা হয়েছে এটি। তবে এই ২৪ ঘণ্টায় হাজারখানেক ডাউনলোড হয়েছে ভিডিওটি। যার ফলে এ ভিডিও ক্লিপটি আবারও প্রকাশের আশঙ্কা রয়েছে ওয়েবে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছিল বেশ কয়েকজন তরুণের সঙ্গে গ্রুপ সেক্সে লিপ্ত ছিলেন কাটরিনা। ভিডিওটি দেখে খোদ চমকে উঠেছেন এ নায়িকা। কারণ, এ ভিডিও তার নয় বলে জানিয়েছেন কাটরিনা। জানা গেছে, তার হস্তক্ষেপেই ভিডিওটি মুছে ফেলা হয়েছে ওয়েব থেকে।

♥♥♥♥সমাপ্ত♥♥♥♥
প্রকাশক : সৈয়দ রুবেল উদ্দিন
www.facebook.com/sayed.rubel3

কোন মন্তব্য নেই :

রাজধানীতে ১৫০০ মধুকুঞ্জ
কোন মন্তব্য নেই
তোহুর আহমদ:
মডেল ও চিত্রনায়িকাদের নামে রাজধানীতে চলছে ১৫০০ মধুকুঞ্জ। এসব মধুকুঞ্জের বেশির ভাগই রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশান ও বনানীতে। চলচ্চিত্র ব্যবসায় মন্দার কারণে অনেক প্রতিষ্ঠিত নায়িকাও মধুকুঞ্জ খুলে সেক্স ব্যবসা জমিয়ে বসেছেন। এদের মধ্যে মিউজিক ভিডিওতে অভিনয় করা মডেলদের সংখ্যাই বেশি। তবে শীর্ষস্থানীয় ক’জন চলচ্চিত্র নায়িকা ও টিভি অভিনেত্রীদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ আছে। গত এক সপ্তাহে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন দুই চিত্রনায়িকা কেয়া ও সিলভি। কেয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৭ জন সোসাইটি গার্লের সঙ্গে। সিলভি গ্রেপ্তার হয়েছেন খদ্দেরের সঙ্গে। সূত্র জানিয়েছে, এসব চিত্রনায়িকা ও মডেল নিয়মিত ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের শয্যাসঙ্গিনী হচ্ছেন। সংগোপনে বোরকা পরে তারা ঢুকছেন ৫ তারকা হোটেল বা ব্যবসায়ীদের বিশেষ ফ্ল্যাটে। এছাড়া এফডিসিকেন্দ্রিক একশ্রেণীর দালাল গড়ে উঠেছে। তারা উঠতি নায়িকা ও মডেলদের সরবরাহ করে বিভিন্ন মধুকুঞ্জে। রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশান ও বনানীতে এসব মধুকুঞ্জে সুখ ও আনন্দের সকল উপকরণ মজুত। কোন কোন মধুকঞ্জে আছে ফুলের নির্যাস দিয়ে গোসলের ব্যবস্থা। আছে দামি মদ, ইয়াবা ও শিশাসহ সকল ধরনের নেশার উপকরণ। যৌনশক্তি বর্ধক পানীয় সরবরাহের ব্যবস্থাও আছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, নায়িকা বা মডেল নামধারী অনেককেই তারা নেশার উপকরণসহ অসামাজিক কার্যকলাপের সময় গ্রেপ্তার করেছেন। তবে অনেককে ইচ্ছা করলেও গ্রেপ্তার করা যায় না। আবার অনেককে গ্রেপ্তার করলে চাকরি যাওয়ার ভয় থাকে। আর পুলিশ অনেক নায়িকা ও মডেলের মধুকুঞ্জথেকে নিয়মিত মোটা অঙ্কের মাসোহারা বলে জানিয়েছে সূত্র। গুলশান ২-এ একটি গেস্ট হাউজ সবচেয়ে অভিজাতমধুকুঞ্জ হিসেবে পরিচিত। এ গেস্ট হাউজে অতিথিদের মনোরঞ্জনের জন্য সব ধরনেরবিলাসবহুল উপকরণ রয়েছে। প্রতিটি রুম বাথটাব, এসি, ফ্রিজ, টেলিভিশন, ভিসিডি ওদামি পারফিউম দিয়ে সাজানো। এখানে নিয়মিত পরিচিত চিত্রনায়িকা ও মডেলদের আনাগোনা। এই গেস্ট হাউজটির মালিক রাজধানীর নারী ব্যবসার একগডফাদার। রাজধানীতে অন্তত ২০০ মধুকুঞ্জ চালাচ্ছেন তিনি। সমপ্রতি তার এ ব্যবসা মধ্যপ্রাচ্যও মালয়েশিয়ায় সমপ্রসারিত করেছেন বলে জানিয়েছে র‌্যাব। তাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী একাধিকবার গ্রেপ্তার করলেও জেলে আটকে রাখা যায়নি। গুলশান ১-এর একটি হোটেল রাজধানীর অভিজাত মধুকুঞ্জ হিসেবে বহুল পরিচিত। এখানে কুখ্যাত সন্ত্রাসী, রাজনৈতিক নেতানামধারী ব্যক্তি, পুলিশ কর্মকর্তা নিয়মিত অতিথি হয়ে যান। এখানে অনুমোদিতভাবে মিনি মদের বার স্থাপন করা হয়েছে। হোটেলটিতে নামী নায়িকা ও মডেলদের আনাগোনা গভীর রাতপর্যন্ত। প্রকাশ্যেই চলছে সবকিছু। গুলশান ২-এরএকটি বাড়িতে প্রকাশ্যেই এসব কার্যকলাপ চলছে। এ বাড়িতে একটি পার্লার ব্যবহৃত হচ্ছে সাইনবোর্ড হিসেবে। বাড়িটি গুলশান পুলিশ ফাঁড়ি সংলগ্ন। এখানে যৌনকর্মী হিসেবে কাজ করে থাইল্যান্ড, পাকিস্তান ও ভারতীয় যুবতীরা। গুলশান ১-এর নিকেতন আবাসিক এলাকার ২নংরোডের একটি বাড়ি পুরোটাই অভিজাত মধুকুঞ্জ হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এখানে বিলাসী রাত কাটাবার সব উপকরণ রয়েছে। এটি চলছে একজন প্রভাবশালী মন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে। নিকেতনের ১২নং রোডের একটিবাড়িতে মধুকুঞ্জ খুলেছেন কথিত এক ড্যান্স ডিরেক্টর। নাটকের, চলচ্চিত্র নায়িকা ও মডেলদের নিয়মিত যাতায়াত এখানে। বাড়িটির সামনে দামি গাড়ির লাইন লেগেই থাকে।
গুলশান ও বনানী এলাকা র‌্যাব ১-এর আওতাধীন। বেশকয়েকজন র‌্যাব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মধুকুঞ্জগুলো থেকে নিয়মিত মোটা অঙ্কের মাসোহারা নেয়ারও অভিযোগ আছে। র‌্যাব ১-এর অধিনায়কলে. কর্নেল রাশিদুল আলম বলছেন, গুলশান ১-এ অবস্থিত গেস্ট হাউজটিতে একাধিকবার রেইড দেয়া হয়েছে। মডেলনামধারী যৌনকর্মী ও খদ্দেরদের ধরেগণমাধ্যমের সামনে হাজিরও করা হয়েছে। তারা আবারও সেটি চালু করেছে কিনা সে সম্পর্কে খোঁজ নেয়া হবে। রাশিদুল আলম বলেন, গুলশান-বনানী এলাকায় অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধ করতে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। র‌্যাব কর্মকর্তাদের মাসোহারা নেয়ার অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে ওইকর্মকর্তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বিন্দুমাত্র বিলম্ব হবে না। গুলশান বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার আশরাফুল আজিম বলছেন, যৌন ব্যবসা বা সেক্স ট্রেড থেকে পুলিশের টাকা নেয়ার অভিযোগ মোটেও সঠিক নয়। গুলশান এলাকায় অসামাজিক কার্যকলাপের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ কেউ দিলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

♥♥♥♥সমাপ্ত♥♥♥♥
প্রকাশক : সৈয়দ রুবেল উদ্দিন
www.facebook.com/sayed.rubel3
এই সংবাদ সম্পর্কে আপনার মতামত দিন send to
Email: syedrubelsylhetbd@ovi.com

কোন মন্তব্য নেই :

সঙ্গমকালীন যোনি শুষ্কতা বিষয়ক সাধারণ প্রশ্নোত্তর
কোন মন্তব্য নেই
প্রশ্নঃ আমি একজন নারী।আমার বয়স ৪০ সবেমাত্র পেরিয়েছে আমার স্বাস্থ্যভাল। ইদানীং আমি সঙ্গমকালীন সময়ে স্বামীরসাথে পরিপূর্ণ যৌনতৃপ্তিঅনুভব করি না। আমার যোনি শৃঙ্গারের সময় বা চরমপুলকের সময়ও পর্যাপ্তপরিমাণে পিচ্ছিল হয় না। এটা কি আমার বয়সজনিত কারণে হচ্ছে?
উত্তরঃ হঠাৎ কোনো একবারযোনিতে শুষ্কতা বিরাজ করা খুব একটা অস্বাভাবিক ঘটনা নয়। স্ট্রেস বা মনোদৈহিক কারণে এমনটি ঘটতেই পারে। পরিসংখ্যানগত গবেষণায় দেখা গেছে শতকরা ৯৫ ভাগ যৌন সক্ষম নারী স্ট্রেস ডিসফাংশনের জন্যে যোনির শুষকতা জীবনের কোনো না কোনো পর্যায়ে দেখা গেছে। আমি মনে করি না এক্ষেত্রেআপনার বয়স যোনি শুষ্কতা এবং চরমপুলক অনুভূতি লাভের মূল প্রতিবন্ধক। যখন নারী যৌনভাবে শিহরিত হয় তখন তার মস্তিষ্ক যোনিপ্রাচীর এবং যোনি সংলগ্ন বা বার্থোলিন গ্রন্থিদ্বয়ের এক ধরনের সংকেত বা সিগন্যাল পাঠায়। যার ফলে যোনি রস নিঃসৃত হয়ে আর্দ্রতা বাড়ায়। মনোদৈহিক চাপ বা অন্যান্য মানসিক চাপের কারণে মস্তিষ্ক থেকে কোনো ধরনের সিগন্যাল বা সংকেত যোনিতে নাও আসতে পারে। এজন্য যোনিতে শুষকতা বিরাজ করতে পারে এবং সাথে চরমপুলক অনুভূতি বা যৌন শিহরণে ঘাটতি দেখা দিতে পারে। আমার মনে হয় আপনার ক্ষেত্রে এটি মূল সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ সমস্যা উত্তরণের জন্য আপনি অবিলম্বে একজন অভিজ্ঞ মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
প্রশ্নঃ আমার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে কয়েক বছর আগে। এখন আমার বয়স ৫৭ বছর। সম্প্রতি আমি আমার এক বয়ফ্রেন্ডের সাথে যৌনসঙ্গম এবং অন্যান্য যৌন আচরণ করে থাকি। সে আমার চেয়ে কয়েক বছরের ছোট। যৌন মিলনের জন্য সে সদা তৎপর আচরণ করে। কিন্তু যৌন সঙ্গম করার পরআমি অনুভব করি আমার যোনিতে শুষ্কতার কারণে এবং পেনিসের ঘর্ষণজনিত কারণে এক ধরনের ঘা হয়ে গেছে। ফলে আমার কয়েকদিন পর্যন্ত হাঁটতে অসুবিধা হয়।
উত্তরঃ এ সমস্যাটি হওয়ার পেছনে মূলত আপনার যোনিতে তীব্র শুষ্কতাই মূল কারণ। তীব্র শুষ্কতা অনেক মেডিকেল জটিলতার কারণে হতে পারে। আপনার ক্ষেত্রে ডিভোর্স বা বিবাহ বিচ্ছেদ একটি গুরুত্বপূর্ণ মানসিক চাপহিসেবে ভূমিকা রাখছে সেই সাথে দেখতে পাচ্ছি আপনার মনোপজ বা রজঃনিবৃত্তিও হয়ে গেছে। এই উভয় কারণে যোনি শুষ্কতার ব্যাপারটিআপনার ক্ষেত্রে অতি তীব্র। আপনার উচিত যৌনমিলনের পূর্বে অথবা যৌনমিলনের সময় আর্দ্রতাকারক তরল বা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত। তবে যে প্রোডাক্টস আপনি ব্যবহারকরবেন তা ‘পিএইচ’ জেনে নিনএবং আপনার জন্য তা এ্যালার্জি বা স্পর্শকাতরতার সূচনা করবে কিনা তা জেনে নিন। যৌনমিলনের পূর্বে ভুলেও কখনও ক্ষারধর্মী সাবান বা এসিডধর্মী কোনো প্রোডাক্টস দিয়ে যোনি পরিষকার করবেন না। এতে করে যোনিতে এরিটেশন বা জ্বালাপোড়ার উদ্রেক হতে পারে। আরেকটি ব্যাপার আপনার ক্ষেত্রে জেনে রাখা প্রয়োজন সেটি হল যোনির কোষকলা বয়সজনিত কারণে কিছুটা পাতলা হয়ে যায় এবং স্থিতিস্থাপকতাওআগের চেয়ে কমে যায়। তাই আপনি অবশ্যই সঙ্গম করতে হলে ভাল লুব্রিকেন্টস ব্যবহার করবেন
প্রশ্নঃ আমার বয়স ৪২ বছর। যৌনমিলনকালীন সময়ে আমার যোনিতে শুষ্কতা বিরাজ করে। এটির মাত্রা এতই বেশি যে, ইন্টারকোর্সের সময় আমি ব্যথা অনুভব করি এবং প্রত্যেকবার স্বামী যখন সঙ্গমের জন্য আমায় ডাকে আমি তার ডাকে সাড়া দিতে ভয় পাই। আমি টেন্স অনুভব করি শুষ্কতা আরো বেড়ে যায়আমার কি করা উচিত?
উত্তরঃ একটু আগেই আমরা উল্লেখ করেছি যে, যোনি শুষ্কতা একটি খুব প্রচলিত মেডিকেল জটিলতা যা শতকরা ৯৫ ভাগ নারীর জীবনে কোনো না কোনো পর্যায়ে ঘটতে পারে। এটির মূল কারণ হরমোন লেবেলের তারতম্যতা। যখন এস্ট্রোজেন লেবেল কমে যায় তখন সংবেদনশীল ও স্পর্শকাতর এলাকাগুলোতে আর্দ্রতাও অনেক মাত্রায় হ্রাস পায়। অনেক ধরনের মেডিকেল কন্ডিশনের জন্য এস্ট্রোজেন হরমোনের লেবেল কমতে পারে। এর মাঝেরজঃনিবৃত্তি বা মনোপজ একটি উল্লেখযোগ্য কারণ। অন্যান্য কারণের মাঝে রয়েছে খাদ্যাভ্যাসজতি নানা সমস্যা, স্ট্রেস বা মনোদৈহিক চাপ, শরীরের অস্ত্রোপচার যেমন-জরায়ু বা ওভারি অপসারণ করা, কেমোথেরাপি জাতীয় চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা ইত্যাদির কারণে যোনিতে শুষ্কতা বিরাজ করতে পারে। আপনার ক্ষেত্রে একেবারে সঠিক কারণ কোনটি তা আন্দাজ করে বলা মুশকিল। তবে টেন্স অনুভব করা বা অতিরিক্ত টেনশন বামানসিক চাপ এক্ষেত্রে মুল ভূমিকা রাখতে পারে। আপনি যেহেতু ইন্টারকোর্সের সময় ব্যথাঅনুভব করেন তাই আপনার উচিত অবিলম্বে মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া।
যৌনিতে শুষ্কতা বিরাজ করা একটি মেডিকেল জটিলতা। কতক দম্পতিদের ক্ষেত্রে এই সাধারণ মেডিকেল জটিলতা দাম্পত্যজীবনে কলহসহ ডিভোর্স বা বিবাহ বিচ্ছেদ পর্যন্ত করাতে পারে। অধিকন্তু যাদের অতিরিক্ত মাত্রায় যৌনিতে শুষকতা সবসময় বিরাজ করে তাদের ক্ষেত্রে যোনিতে জীবাণুজনিত সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। তাই উপযুক্ত সময়ে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া দম্পতিদেরঅবশ্যই কর্তব্য।
অধ্যাপক ডা. এ এইচ মোহাম্মদ ফিরোজ
এমবিবিএস এফসিপিএস এমআরসিপি এফআরসিপি
E-mail : professorfiroz@yahoo.com

কোন মন্তব্য নেই :

যোনির শুষ্কতা এবং নারী-পুরুষের সম্পর্কজনিত সমস্যা
কোন মন্তব্য নেই
অনেক পুরুষই বিশ্বাস করেন যে, নারীকে যখন যৌনভাবে পূর্ণ শিহরিত বা পুলকিত না করা হয় তখন তারা বুঝি যোনমিলনে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। তারা অনেক সময় ধরে নেয় যে, অন্তরঙ্গ যৌন পার্টনারটিতার সঙ্গে সেক্সুয়াল সম্পর্ক বজায় রাখতে চাচ্ছে না। এটি আসলে একটিএকতরফা সিদ্ধান্ত। এতে করে যৌন পার্টনারদের মধ্যেও সম্পর্কজনিত নানাজটিলতা দেখা দিতে পারে। নারী-পুরুষের পারসপরিক সম্পর্কজনিত জটিলতার ফলশ্রুতিতে সঙ্গমের সময় বা তার পূর্ব মুহুর্তে যোনিতে শুষ্কতা দেখা দিতে পারে।
আবার কতক নারীর একটি ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। সেটি হল তারা ধরেই নেয় যে, যৌন সঙ্গমকালীন বা যৌন সঙ্গমের ঠিক পূর্ব মুহুর্তে যোনি পর্যাপ্ত পরিমাণে আর্দ্র বা ভেজা হওয়া চায়। এটিও একটি ভুল ধারণা। কাজেই দেখা যাচ্ছে উভয় পার্টনারের ভ্রান্ত ধারণাজনিত কারণেযোনিতে শুষকতা দেখা দিতে পারে। প্রায় সময়েই এস্ট্রোজেন হরমোনের ঘাটতিজনিত কারণে নারী যোনিতে আর্দ্রতার কিছু অভাব উপলব্ধি করতে পারে। এজন্য এস্ট্রোজেনকে বলা হয় প্রাথমিক ফিমেল হরমোন। এটি সারাজীবনব্যাপী নারীর ওভারি বা গর্ভাশয় থেকে ভিন্ন ভিন্ন মাত্রায় উৎপন্ন এবং নিঃসৃত হয়। একটু আগেই উল্লেখ করা হয়েছে বাচ্চা জন্মদানের পর এস্ট্রোজেন লেবেল খুব কমে যায়। যেসব নারীদের মনোপজ বা রজঃনিবৃত্তি হয়ে গেছে তাদের গর্ভাশয়েরও এস্ট্রোজেন উৎপাদনের মাত্রা আগের চেয়ে অনেক কমে যায়। তবে যোনিতে শুষকতার আরো অনেক কারণ থাকতে পারে যার মাঝেমনোদৈহিক চাপ বা স্ট্রেস অন্যতম। পরিসংখ্যানগত ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে পরিলক্ষিত হয়েছে যে, মনোদৈহিক চাপজনিত কারণে জীবনের কোনো না কোনো পর্যায়ে শতকরা ৯৫ ভাগ নারী যোনি শুষকতা নানা উপসর্গ ও লক্ষণে ভুগে থাকে।
কেমোথেরাপি, হিস্টেরেকটমি এবং যোনি শুষ্কতা
আমেরিকাতে পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে যে, প্রায়ই ১৪ মিলিয়ন নারী কেমোথেরাপি নামক চিকিৎসানিচ্ছে। এই কেমোথেরাপির চিকিৎসা ব্যবস্থাজনিত কারণে যোনিতে তীব্রমাত্রা শুষকতা বিরাজ করতে পারে। বিশেষত এতে যদি পেলভিক বা শ্রোণিএলাকা জড়িত থাকে। এই চিকিৎসা জটিলতার কারণে হরমোন উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয় এবং আর্দ্রতা সাথে সাথে আগের চেয়ে অনেক কমে যায়। ফলশ্রুতিতে নারী-পুরুষেরযৌনমিলন অস্বাচ্ছন্দ্যকর এমনকি ব্যাথাপূর্ণ হতে পারে। অনেক নারী রয়েছে যারা এই সমস্যায় পড়ে তাদের জীবন থেকে সঙ্গমমূলক বা ইন্টারকোর্স জাতীয় যৌন আচরণ সম্পূর্ণভাবে পরিহার করে চলে। এসব নারীরাও তাদের যোনির শুষকতা এড়াতে কোনো ভাল লুব্রিকেন্টের সহায়তা নিতে পারে। প্রায় ১২.৫ মিলিয়ন আমেরিকান নারীর জরায়ু বা ইউটেরাস অথবা ওভারি সার্জারির মাধ্যমে অপসারণ করা হয়েছে। যেহেতু ওভারি থেকে মূলত এস্ট্রোজেন হরমোনটি উৎপত্তি লাভ করে সেখানে ওভারি কেটে ফেলে দিলে কি ঘটতে পারে তাতো বুঝতেই পারছেন। এসময়ে যোনির তীব্র শুষ্কতাজনিত কারণেঅস্বাচ্ছন্দ্যবোধ, ব্যথাঅথবা সঙ্গমকালীন সময়ে যোনি দিয়ে রক্তপাতও হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রেই এসকল নারীরা এস্ট্রোজেন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি বা ইআরটি-এর সহায়তা নিতে পারে না। কেননা এতে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। তাই যেসকল নারীর জরায়ু বা গর্ভাশয় কেটে ফেলা হয়েছে তাদের ক্ষেত্রেও যৌন মিলনের সময় কোনো ভাল লুব্রিকেন্টস ব্যবহার করা আবশ্যক।
পরিসংখ্যানজনিত আগ্রহ
নারীরা কি তাদের যৌন অন্তরঙ্গতাকে উন্নীত করতে চান?
সম্প্রতি পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে যে, যুক্তরাষ্ট্রে শতকরা ৫৪ ভাগ বা তার চেয়ে বেশি নারী তাদের যৌন উৎকর্ষতা ও যৌনানন্দ বাড়াতে তীব্র আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এদের মাঝে ছিল ১৮-৭৫ বছর বয়সী ৭৩ মিলিয়নেরও বেশি যৌন ক্রিয়ায় সক্ষম নারী। এদের বেশিরভাগই এমন কোনো প্রোডাক্টস বা ওষুধ চায় যা তাদের যৌনমিলনকে আরো মধুর ও তীব্রময় করে তুলবে।
১৯৯০ সালে গেলআপ সার্ভিস থেকে দেখা যায় যে, যৌন উৎকর্ষতা এবং যৌনানন্দ বাড়াতে দম্পতিদের নিম্নোক্ত পরিসংখ্যানঃ
*. ৫৩% মনে করে বিয়ে টিকিয়ে রাখার জন্য সেক্স করা জরুরি।
*. ৫১% জীবনকে অতিরিক্ত ভালোবাসা ও রোমাঞ্চে ভরিয়ে তুলতে চায়।
*. ৪৮% যৌথভাবে খেলাচ্ছলে যৌন আচরণে অভ্যস্ত।
*. ৪৫% সেক্স নিয়ে মরাল বা নৈতিকতার প্রশ্ন নিয়ে মাথা খাটায়।
*. ৩৯% সেক্স লাইফ বা যৌনজীবনকে উন্নীত করণে অনেক চেষ্টা করে থাকে
*. ২৮% যৌন আচরণের সময় পারসপরিক সাহচর্যার ভিত্তিতে একজন আরেকজনের পশ্চাৎদেশ মেসেজ করে দেয়।
*. ২৭% মনে করে পূর্বের তুলনায় যৌন আত্মবিশ্বাস অনেক কমে গেছে।
*. ২৬% যৌন আচরণে কোনো রকম বিধিনিষেধ বা প্রতিবন্ধকতাকে সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে চলে।
*. মনোদৈহিক চাপ/ স্ট্রেস যেভাবে যৌন অন্তরঙ্গতাকে প্রভাবিতকরে
যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৪৭ মিলিয়ন নারী রয়েছে যাদের বয়স ১৮-৩৯ বছরের ভেতরে এবং ২৬ মিলিয়ন নারী রয়েছেযাদের বয়স ৪০-৭৫-এর ভেতরে। এরা যৌনক্রিয়ায় সক্ষম। তাহলে এদের মোট সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় ৭১ মিলিয়ন। নারীদের যোনিতে শুষ্কতা বিরাজ করার সাথে সরাসরি যে হরমোনটি জড়িত সেটি হল এস্ট্রোজেন এবং আর্দ্রতাজনিত ফ্যাক্টর হল বাথো
বার্থোলিন গ্রন্থি মূলত শরীরের চাহিদা অনুযায়ী অন্তরঙ্গ সম্পর্ক স্থাপনের পূর্বে পর্যাপ্ত পরিমাণে তরল নিঃসৃত করে থাকে। যদিও এইগ্রন্থিগুলো মস্তিষক থেকে সিগন্যাল বা সংকেত পেয়ে থাকে। তথাপি এটিও সত্য যে, অনেক নারীর ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, কোনো পর্যায়ে এই ক্ষুদ্রগ্রন্থিদ্বয় অকার্যকর বা ডিসফাংশনাল হয়ে যেতে পারে। একটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে, শতকরা ৯৫ ভাগ যৌন সক্ষম নারীর কোনো না কোনো পর্যায়ে ডিসফাংশন দেখা দিয়েছে। এই অকার্যকারিতাবা ডিসফাংশনের মূলে রয়েছেঃ স্ট্রেস বা মনোদৈহিক চাপ, অন্যান্য মানসিক চাপ যেমন- অন্তঃসম্পর্কজনিত টেনশন,অর্থনৈতিক বা বাণিজ্যিক চাপ, চাকরিজনিত নানা মানসিক চাপ এবং আধুনিক জীবনের দৈনন্দিন স্ট্রেস। আবার অনেক নারীর বেলায় দেখা যায় যে যোনিতে একবার শুষকতা বিরাজ করলে এরা প্রচন্ড ঘাবড়িয়ে যায়। এরা মনে মনেধারণা করতে থাকে আবারো একই ঘটনা ঘটতে পারে। এটি বিশেষত অল্প বয়সের নারীদের মাঝে বেশি দেখা যায়। এসকল নানা চাপজনিত কারণেই বা অন্যান্য শারীরিক কারণেই হোক না কেন লুব্রিকেন্টস যোনির শুষ্কতা কমাতে তাৎক্ষণিকভাবে সহায়তা করে এবং এতে উভয় সেক্স পার্টনার অন্তরঙ্গ অনুভূতি লাভ করে থাকে।

কোন মন্তব্য নেই :

যোনির শুষ্কতা বিষয়ক প্রশ্ন ও উত্তর- ছবি সহ
কোন মন্তব্য নেই
যোনি বিষয়ক সকল পোস্ট দেখুন


যোনির শুষ্কতা ব্যাপারটি নারীদের নানা যৌন আচরণে একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয়। এটি যৌন জীবনে চরম অসুখী অভিজ্ঞতার জন্ম দিতে পারে। যোনির শুষকতা জনিত কারণে অনেক নারী যৌনমিলনে পরিতৃপ্তি বা সঙ্গমের সময় চরমপুলক অনুভূতি লাভ করতে পারে না। এতে করে যৌনতা সম্পর্কে তাদের বেদনাদায়ক ও নেতিবাচক অনুভূতির জন্ম নেয়। কিন্তু যোনির শুষ্কতা কেন হয়? এ নিয়ে যৌন বিশেষজ্ঞরা নানা পর্যায়েঅনেক গবেষণা চালিয়েছে। বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের নানা গবেষণায় যা বেরিয়ে এসেছে তা হলো-
নারীর যৌনজীবনে এস্ট্রোজেন নামক হরমোনটিবিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এ এস্ট্রোজেন হরমোনের লেবেল বাচ্চা জন্মের পর স্বাভাবিকের তুলনায় অনেককমে যায়। এস্ট্রোজেন হরমোনের ঘাটতিজনিত কারণেতীব্র মাত্রার যোনি শুষকতা দেখা দিতে পারে। অবশ্য এ মেডিকেল জটিলতাটি ধীরে ধীরে সেরে ওঠে।
যেসকল নারীদের মনোপজ বা রজঃনিবৃত্তি হয়ে গেছে তাদের রক্তে এস্ট্রোজেন হরমোনের মাত্রা ধীরে ধীরে নিঃশেষিত হয়। ফলশ্রুতিতে যোনির কোষকলাগুলো পাতলা হয়ে যায় এবং এরা স্থিতিস্থাপকতা হারিয়ে ফেলে। নারী যখন যোনিতে শুষকতার অনুভব করে তখন স্বভাবতই যোনি ও তৎপার্শ্ববর্তী এলাকার আর্দ্রতা বা ভেজা ভেজা ভাব কমে যায়। ফলে তারা যোনিতে চুলকানি, ব্যথা ব্যথা ভাব, যোনি ফুলে যাওয়া এবং যৌন আচরণে অস্বাচ্ছন্দ্যবোধ ইত্যাদিতে ভুগে থাকে।
যোনির শুষ্কতার আর একটি মূল কারণ হল স্ট্রেস বা মনোদৈহিক চাপ। বিভিন্ন পরিসংখ্যানগত ট্রায়ালে পরিলক্ষিত হয়েছে যে, শতকরা ৯৫ ভাগ নারী জীবনেরকোনো না কোনো পর্যায়ে মনোদৈহিক চাপজনিত কারণে সঙ্গমের সময় যোনিতে শুষকতা অনুভব করেছে। অবশ্য এটাও ঠিক যে, স্ট্রেস বা মনোদৈহিক চাপের কারণে রক্তে এস্ট্রোজেন হরমোনের মাত্রাও কমে যেতে পারে। এস্ট্রোজেন হরমোন মূলত ওভারি বা গর্ভাশয় থেকে উৎপন্ন হয়। তবে সব সময় এইউৎপন্ন হওয়ার মাত্রা একরকম থাকে না। কোনো বিশেষ দিনে নারীর এস্ট্রোজেন হরমোন মাত্রাকমে গেলে তারা হঠাৎ করে যোনিতে আর্দ্রতার অভাব লক্ষ্য করতে পারে। বিশেষত সঙ্গমকালীন বা তার পূর্বে। এখানে এটি বিশেষভাবে প্রণিধানযোগ্য যে, এটি ১৫-৮৫ বছর বয়স পর্যন্ত যেকোনো নারীর জীবনেই ঘটতে পারে।
খাদ্যাভ্যাসজনিত নানা সমস্যা বা ডিসঅর্ডারে ভোগে এরকম নারীর সংখ্যাও নেহায়েত কম নয়। আহারজনিত সমস্যার কারণে হরমোন লেবেলের ইম্বেলেন্স বা হেরফের হওয়া স্বাভাবিক। এর ফলে যোনিতে শুষ্কতা দেখা দিতে পারে।যেসকল নারী বিভিন্ন ধরনের ওষুধ বা মেডিকেশন যেমন- কোনো এন্টিবায়োটিকবা ব্যাকটেরিয়াবিরোধী ওষুধ সেবন করছে তাদের ক্ষেত্রেও যৌন এলাকায় শুষ্কতা দেখা দিতে পারে। এন্টিবায়োটিকগুলো সাধারণত হরমোনের ক্রিয়ারওপর প্রভাব ফেলে এবং যোনির আর্দ্রতা কমায়। যৌন এলাকায় লুব্রিকেশন বা তেলতেলে ভাব মূলত দুইটি ছোট গ্রন্থির নিঃসরণজনিত রসের কারণে হয়ে থাকে। বিজ্ঞানী বার্থোলন-এর নামানুসারে এই গ্রন্থিগুলোকে বলা হয় বার্থোলিন গ্ল্যান্ড। অবশ্য যোনি প্রাচীর বা যোনি দেয়াল থেকেও কতক পরিমাণ রস নিঃসৃত হয়ে থাকে। যোনির শুষ্কতাজনিতকারণে লালচে ভাব এবং অস্বাচ্ছন্দ্যবোধ থাকাই স্বাভাবিক। আবার নানা গবেষণায় এটিও প্রতীয়মান হয়েছে যে, যেসকল নারী যোনি শুষ্কতাজনিত সমস্যায় ভোগে তাদের ক্ষেত্রে ভ্যাজাইনাল ইনফেকশন বা যোনিতে জীবাণু সংক্রমণও অধিকতর বেশিমাত্রায় হয়ে থাকে।
এথলেট নারী বা যেসব নারীরা অতিরিক্ত পরিমাণেশারীরিক ব্যায়াম করে থাকে তাদের হরমোনাল সাইকেল বা এস্ট্রোজেন হরমোন চক্রের গন্ডগোলজনিত কারণে যোনিতে শুষ্কতা দেখা দিতে পারে। যোনিতে শুষ্কতা দেখা দিলে স্বাভাবতই কোষকলাগুলোতে স্পর্শকাতরতা বিরাজ করে।এক্ষেত্রে আমরা উপযুক্ত লুব্রিকেশনের জন্য ‘কে ওয়াই জেলি’ প্রেসক্রাইব করে থাকি। যারা লুব্রিকেশন ব্যবহার করেনতাদের জন্য আর একটি সতর্কসংকেত হল- চর্বিতে দ্রবণীয় লুব্রিকেন্টস ব্যবহার করা স্বাস্থ্যেরপক্ষে ক্ষতিকর। পানিতে বা জলীয় দ্রবণীয় পিচ্ছিলকারক পদার্থ ব্যবহার করাই স্বাস্থ্যপ্রদ।
নানা ধরনের জন্মবিরতিকরণপিল এবং স্পঞ্জ ইত্যাদির কারণেও যোনির আর্দ্রতা কিছু পরিমাণে হ্রাস পেতে পারে।
নানা ধরনের শারীরিক অসুস্থতা যেমন-ভাইরাস বাব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ, খাদ্যাভ্যাসজনিত নানা ডিসঅর্ডার ইত্যাদির কারণে হরমোনের লেবেলে তারতম্য ঘটতে পারে। এতে করে যোনিতে শুষ্ক এবং অস্বাচ্ছন্দ্যভাব বিরাজ করে এবং অন্তরঙ্গ সম্পর্ক বিনষ্ট হয়।
আন্তঃসম্পর্কজনিত টেনশন বা মানসিক চাপের কারণে যোনিতে শুষ্কতা বিরাজ করতে পারে।
লুব্রিকেন্টস বা জলে দ্রবণীয় কে ওয়াই জেলিতে যোনির আর্দ্রতা সাময়িক সময়ের জন্য ফিরে আসে এতে করে নারীর-পুরুষের যৌনজীবন আর অন্তরঙ্গ মধুর হয়ে ওঠে, যৌন আনন্দ এবং যৌন তৃপ্তি আগের চেয়েঅনেক মাত্রায় বেড়ে যায়। যৌন শিহরণ, শৃঙ্গার, যৌনতা সম্পর্কে আত্মবিশ্বাস, দাম্পত্য জীবনে পরিতৃপ্তি, যৌন মিলনে নতুন মাত্রা যোগ করে।এটি নারী-পুরুষের পারসপরিক হস্থমৈথুন বা মাস্টারবেশনেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। এটি প্রেমিক-প্রেমিকা বা
স্বামী স্ত্রীর মাঝে প্রেম নিবেদনে এবং উত্তেজনার উদ্রেক করতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে।
কিভাবে যোনির শুষ্কতা তাৎক্ষণিকভাবে দূর করবেন?
যোনির শুষ্কতা দূর করার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে আপনিকোনো ভাল লুব্রিকেন্ট বা পিচ্ছিলকারক তরল ব্যবহারকরতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে চর্বিতে দ্রবণীয় পিচ্ছিলকার তরল স্বাস্থ্যের জন্য অহিতকর। তাই পানিতে দ্রবণীয় কে ওয়াই জেলি ব্যবহার করতে পারেন যা একটু আগেই আমরা উল্লেখ করেছি। এটি ব্যবহারে পুরুষ যদি কনডম সহকারে যৌনসঙ্গম করতে চায় তাতেও কোনোরকম অসুবিধা সৃষ্টি করে না। তবে দীর্ঘমেয়াদিভাবে যোনিতে শুষ্কতা বিরাজ করলে যেহেতু যোনির স্পর্শকাতরতা বা সংবেদনশীলতা কমে যেতে থাকে তাই অবিলম্বে গাইনোকোলজিস্ট বা স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া প্রয়োজন। তিনি সম্পূর্ণ মেডিকেল ইতিহাস এবং যোনিতে আঙ্গুল ঢুকিয়ে একটি পরীক্ষা করতে পারেন। এতে উপযুক্ত কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া না গেলে ধরে নিতে হবে যে, মানসিক চাপ, দ্বন্দ্ব বা অন্য কোনো অসুখের জন্য এ সমস্যা হচ্ছে। তখন স্থায়ীভাবে সমস্যাটি লাঘব করতে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। এতে করে যৌনমিলনে অন্তরঙ্গতাএবং যৌন পরিতৃপ্তি আগের চেয়ে অনেক বাড়বে।
আরো প্রশ্নঃ
০১ যোনি চুষা কি ভালো? যোনি চুষে কি স্ত্রীকে তৃপ্তি দেওয়া যাবে?
০২ মেয়েদের যোনি কতপ্রকার?
০৩ মেয়েদের যোনি বিষয়ক আরো ১৩০ টি পোস্ট

কোন মন্তব্য নেই :

যৌনতা ও যৌন শিক্ষা যৌনতা ২
কোন মন্তব্য নেই
তবে রতি বিহারের সময় স্ত্রীলোকের কামরস নির্গত হয়না।
সুতরাং স্ত্রীলোকের দ্বারা পুরুষের বীর্যপাতের অনুরূপ কোনো তরল পদার্থ বা বীর্য ক্ষরিত হয়না।
যৌন উত্তেজনার সময়ে যে আর্দ্রতা অনুভূত হয় তা ভালভার গ্রন্থি নিঃসৃত ক্ষরণ।
রাগ মোচনের সঙ্গে তার সরাসরি কোনো সম্পর্ক নেই।
তা যদি সত্যিও হয়, পুরুষের শুক্রপাতের সঙ্গে তার তুলনা করা চলেনা।
জনন-অঙ্গের সংকোচন তারা সব সময়ে অনুভব করতে পারেনা, বিশেষ করে উভয়ের রাগ মোচন যদি যুগপৎ ঘটে।
স্ত্রীলোকের সংকোচন সম্বন্ধে একথা বিশেষভাবেপ্রযোজ্য।
কারণ পুরুষ অনেক সময়ে তা একেবারে টের পায়না।
তবে পরিণতি প্রাপ্তির অন্যান্য আনুষঙ্গিক লক্ষণ।
যেমন- বর্ধমান টানের আকস্মিক মুক্তি, শৈথল্য ওপূর্ণতাবোধ, পুরুষ ও নারীর আচরণে সুসপষ্টভাবেপ্রকাশ পায় এবং তা উভয়ের কাছেই সপষ্টবোধ্য।
স্ত্রীলোকের রতিবিহারকালীন যৌন প্রতিক্রিয়ার মাত্রার বিশেষ করে সন্তোষজনক পরিণতি প্রাপ্তির ক্ষমতার বহু পর্যায়ে আছে।
বিবাহের গোড়ার দিকে স্ত্রীলোকের যৌন কামনা সুপ্ত অবস্থায় থাকা এবং তার দরুণ রতি বিহারকালে সামান্য প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হওয়া আশ্চর্য নয়।
এ সময়ে পারসপরিক পরিণতি প্রাপ্তির সমস্যা দেখা দিলে চিন্তিত হওয়ার কিছুই নেই।
স্বামী সহানুভূতি ও ধৈর্য্যের সঙ্গে অগ্রসর হলে কিছুকাল বাদে সু-সামঞ্জস্য সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব হয়।
স্ত্রীলোকের পক্ষে যদি পরিণতিতে পৌঁছানো আদৌ সম্ভব না হয়, তার প্রতিক্রিয়া মন্থর গতি হলেও দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই।
সূক্ষ্ম যৌন উদ্যোগ ও উদ্দীপনা, রতি বিহারের ভঙ্গি বদল ও যৌন কলা- কৌশলে অধিকতর ইন্দ্রিয়ানুভূতি ও বিচক্ষণতার পরিচয় কিছুকাল বাদে স্ত্রীলোককে সেই পরিমাণ উদ্দীপিত হতে সাহায্য করবে যাতে সে স্বামীর সঙ্গে যুগপৎ অর্গাজম-এ পৌঁছতে পারে।
অবশ্য কিছু স্ত্রীলোক আছে যারা দীর্ঘ উদ্দীপনার পরও সম্পূর্ণ পরিণতিতে পৌঁছতে পারেনা।
পুরুষের রাগ মোচন
কামোদ্দীপনা প্রায় শরীরের সর্বত্র ধারাবাহিক পরিবর্তন ঘটায়।
পুরুষ বা নারীর মধ্যে যৌনউদ্দীপনা জাগলে প্যালপিটেশন দেখা দেয়।
রক্তের চাপ সৃষ্টি হয়।
বিভিন্ন অঙ্গে বিশেষ করে লিঙ্গে রক্তের প্রবাহ বৃদ্ধি পায়।
সে সঙ্গে অনুরূপভাবে স্নায়বিক টান বৃদ্ধি পায় এবং তা সমস্ত দেহকে প্রভাবিত করে।
কামোদ্দীপনা বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই পরিবর্তনগুলো ক্রমেই প্রকট হতে থাকে।
পুরুষের ক্ষেত্রে, অর্গাজমের সময়ে শুক্রপাতহয়। ভাস, সেমিন্যাল ভ্যাসিকল ও প্রস্টেট গ্রন্থি সজোরে সঙ্কুচিত হয়ে তাদের আধেয় বস্তুকে মূত্রনালীর মধ্যে বের করে দেয়।
সেখানে সবগুলো ক্ষরণ একত্রে মিশে বীর্যে পরিণত হয়।
অর্গাজমের সময়ে চারপাশেরপেশীতন্ত্রের প্রবাহ যুক্ত সংকোচনের ফলে শৌক্র পদার্থ লিঙ্গ থেকে ফিলকি দিয়ে বেরিয়ে পড়ে।
সংকোচনের হার ও প্রগাঢ়তা একেক লোকের একেক রকম।
এমনকি একই লোকের একেক সময়ে একেক রকম হয় তবে সাধারণত গড়ে ১০-২০ বার সংকোচন হয়।
অধ্যাপক ডা. এ এইচ মোহাম্মদ ফিরোজ
এমবিবিএস এফসিপিএস এমআরসিপি এফআরসিপি
E-mail : professorfiroz@yahoo.com

কোন মন্তব্য নেই :

যৌনতা ও যৌন শিক্ষা যৌনতা ১
1 টি মন্তব্য
অন্যান্য যেকোনো সময়ের চেয়েও সম্প্রতি সারা বিশ্বে অনেক বেশি আলোচিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে সেক্স বা যৌনতা। যৌনতাকে মানুষের মৌলিক চাহিদাও বলা হচ্ছে। কোনো ব্যক্তির সেক্স বা যৌনতা যদি বাধাপ্রাপ্ত হয় তাহলে সেটা ব্যক্তির সৃজনশীলতা, সাবলীলতা এমনকি স্বাস্থ্যবস্থায়ও ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।
সেক্স বা যৌনতার মানে সঙ্গম এমন ধারণাই পোষণ করেন বেশিরভাগ লোক। এটি অবশ্যই যৌনতা তবে এর সাথেআরো অনেক কিছুর সংমিশ্রণ থাকা প্রয়োজন। সেক্স বা যৌনতাকে অত্যন্ত সংকীর্ণআঙ্গিকে মূল্যায়ন করা হবে যখন যৌনতা বা যৌন সঙ্গমকে পরিপূরক ভাবা হবে। সেক্স বা যৌনতাকে অনেক বেশি বিস্তৃত আঙ্গিকে মূল্যায়ন করেছেনআধুনিক যৌন গবেষক ও সেক্সথেরাপিস্টরা। যৌন বিশেষজ্ঞগণ সেক্স বা যৌনতার ৪টি দিকের কথা উল্লেখ করেছেন। এগুলো হলো -
সম্পর্ক স্থাপনঃ একক কোনো বিষয় নয় যৌনতা। যুগলনির্ভর এটি। সঙ্গী বা সঙ্গিনীর প্রসঙ্গ স্বভাবতই এতে চলে আসে। আপনার সেক্স বা যৌনতাকে অনেক বেশি প্রভাবিত করে আপনি আপনার সঙ্গী বা সঙ্গিনীর সাথে কতটা গভীর সম্পর্ক তৈরি করেছেন সেটিও।
দেহ ধারণাঃ দেহ ধারণা বলতে বোঝায় ব্যক্তি তার নিজের দেহ সম্পর্কে কেমন ধারণা রাখে আর ব্যবহার করে থাকে। কখনই আপনার সেক্স বা যৌনতা যথার্থ হতে পারবে না, আপনার দেহের ব্যাপারে সাবলীল ও সাচ্ছন্দ হতে না পারলে। আপনার মনের মাঝে প্রচলিত নানান ধারণা, সংস্কার, নানান নেতিবাচকতা ঢুকিয়েদিতে পারে।
আত্মসমমান বোধঃ নিজ সম্পর্কে আপনি কেমনটি ভাবেন ? নিজেকে একজন নারীবা পুরুষ হিসাবে কেমন মূল্যায়ন করেন ? যথার্থ দৃষ্টিভঙ্গির জন্য চাই সাবলীল আত্মমর্যাদা বোধ।ব্যক্তির মাঝে এর বিকাশ ওপ্রকাশ ঘটে শৈশবকাল হতে বেড়ে ওঠার সাথে সাথে পরিবার, সমাজ, অঙ্গন, পরিবেশ ও পারিপার্শ্বিকতার মিথস্ক্রিয়ায়।
সামাজিক ভূমিকা পালনঃ যৌনতার প্রকাশ ঘটা চাই সামাজিক অঙ্গনে, কারণ যৌনতা বা সেক্স শুধুমাত্র ব্যক্তি নির্ভর নয়। আপনার সমাজ, পরিবার আপনার কাছে যে ব্যক্তি-আচরণ প্রত্যাশা করে তা কতটা সুষ্ঠভাবে পালন করছেন সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু সেক্স বা যৌনতার ব্যাখ্যা দেন ঠিক এমনিভাবে।
কিশোর-কিশোরীদের যৌন শিক্ষা
প্র্যাকটিনেজ হলো বয়ঃসন্ধিকাল। এসময় দেহে বিকাশ ঘটে সেকেন্ডারি যৌন বৈশিষ্ট্যের। বিকাশের এ সময়টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় কিশোর-কিশোরীরা তাদের বন্ধু-বান্ধবদের দ্বারা প্রচন্ড মাত্রায় প্রভাবিত হয় এবং পাশাপাশি বিপরীত সেক্সেরবা লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ জাগে। কিশোর-কিশোরীদের মানসিক বিকাশে এ দৃষ্টিভঙ্গি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মা-বাবা ওঅন্যান্য অভিভাবকদের এ ক্ষেত্রে কিশোর-কিশোরীর সাহায্যে এগিয়ে আসা প্রয়োজন। ঋতুস্রাবের সম্পর্কে কিশোরীদের আগামধারণা দিতে হবে। আর স্বপ্নদোষ ও বীর্যপাত সম্পর্কে কিশোরদের জানাতে হবে সঠিক তথ্য। এ সময় কিশোর-কিশোরীরা অনেককিছুই জানতে চান। এ সময়ে তারা শুধুমাত্র নিজ দেহের পরিবর্তন নিয়ে উৎসাহিত হয় না, বিপরীত লিঙ্গের মাঝে যে পরিবর্তন হচ্ছে সে সম্পর্কেও কৌতূহলী হয়ে ওঠে। বিশেষজ্ঞরা দেখতে পেয়েছেন যে, যখন কিশোর-কিশোরীরা বন্ধু-বান্ধবদের সাথে আলাপ-আলোচনায় নিমগ্ন থাকে, তখন তারা শুধুমাত্রসেক্স বা যৌনতা সম্পর্কে আলাপ-আলোচনাই করে না, পাশাপাশি নিজের, নিজের মা-বাবা তাদের সন্তানের যৌনতার বিকাশ সংশ্লিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি, আশা-প্রত্যাশা ব্যক্ত করে। এর দ্বারা সব কিশোর-কিশোরীরা কমবেশি প্রভাবিত হয়। কাজেই, মা-বাবার মনে থাকা প্রয়োজন কোনো কিশোর-কিশোরীর কোনো প্রশ্নের জবার দানকালে তা কোনো অতিসাধারণ প্রশ্নই হোক না কেনো, সংযত আর সাবধান হওয়া উচিত। কারণ, এ প্রশ্নের সাধারণ জবাবই কোনো কিশোর-কিশোরীর দৃষ্টিভঙ্গি বা মূল্যবোধে পরিবর্তনের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। বিশেষজ্ঞরা গবেষণায় দেখতে পেয়েছেন যে, মা-বাবার যৌন শিক্ষা দেয়ার ব্যাপারে তাদের পুত্র সন্তান অপেক্ষা কন্যা সন্তানদের ক্ষেত্রে অধিকতর সময় ব্যয় করেন, বা দ্বৈত আদর্শ বা দ্বৈত নীতি ইঙ্গিত দেয়।
সেক্স এডুকেশন কৈশোরে স্কুলে ভর্তি হবার আগে শুরু করতে হবে। যদি শুরুটা তখন সম্ভব না হয়, পরেও শুরু করা যায়। আজকেরপ্রজন্ম ও সামাজিক প্রেক্ষাপট অনেকটা পরিবর্তিত। আজকের মা-বাবারা সন্তানদের নিয়ে অনেক বেশি সময় দেন - ভাবেন। প্রতিটি মা-বাবাকেই এমন আদর্শ হবার জন্য সচেষ্ট হওয়া উচিত।
নারী-পুরুষের রাগ মোচন
মেয়েদের রাগ মোচন
মেয়েদের ক্ষেত্রে অর্গাজম বলতে সেই মুহূর্তটিকে বোঝায় যখন সঞ্চিত টান বা মুক্তি লাভকরে। মেয়েদের কাছ থেকে অর্গাজমকালে তাদের অনুভূতির যে বিবরণ পাওয়া যায়, তার মধ্যে প্রচুর রকম-ফের লক্ষ্য করা যায়। মেয়েরা তাদের রাগ মোচনের বর্ণনা প্রসঙ্গে যে বিশেষ ভাষা ব্যবহার করেছে তা হলো -
একটা পূর্ণতার অনুভূতি।
দেহের সর্বত্র একটা কাঁপুনি।
ক্রমবর্ধমান চক্রে একটারপর একটা প্রবাহের সঞ্চালন। যোনি অভ্যন্তরে শিরশির অনুভূতি।
হৃদ সপন্দন ও নাড়ির দ্রুতগামিতা।
জনন প্রদেশ ও তল পেটের সংকোচন।
ভালভা, যোনি ও ক্লাইটোরিসপ্রদেশের সংকোচন ও প্রবাহযুক্ত।
মাঝে মাঝে এই প্রবাহ দেহের অন্যান্য পেশীতে প্রসারিত হয় এবং
রাগ মোচনের সময়ে এমনকি সাধারণভাবে কয়েকবার আপেক্ষত্বক আন্দোলন।
সাধারণত যোনি স্থানীয় সপন্দনের গতি এত জোরালো ওসুসপষ্ট হয় যে মেয়েরা তা নিঃসন্দেহে টের পায়।
আবার সংকোচনের পরিমাণ কখনো কখনো এত ক্ষীণ ও ক্ষণস্থায়ী হয় যে, মেয়েরাতা জানতেই পারেনা।
পুরুষদের তুলনায় তাদের রাগ মোচন ধীরে ধীরে ও ক্রমে ক্রমে শান্ত হয়।
সে কারণে তার স্থিতি কিছুটা দীর্ঘও হয়।
পুরুষ ও নারীর ব্যক্তিগত ইন্দ্রিয়ানুভূতি ও হৃদয়াবেগজনিত প্রগাঢ়তার ওপর নির্ভর করে রাগ মোচনকালে তাদের আবেগজনিতএবং যৌনি অনুভূতি ও আচরনেও নানা রকম তারতম্য ঘটে।
কারো কারো ক্ষেত্রে, ইন্দ্রিয় সুখ অপেক্ষাকৃতস্বল্প।
আবার কারো কারো ক্ষেত্রে তা মানসিক ও শারীরিক উল্লাসের চরম শিখরে ওঠে।
এই দু’টি প্রান্ত সীমার মাঝখানে ইন্দ্রিয়জ প্রতিক্রিয়ার এই তারতম্যের জন্যে মৌলিক গঠনগত প্রভেদ এবং যৌবনে লব্ধ আংশিক দৃষ্টিভঙ্গি উভয়েই দায়ী।
পুরুষের ক্ষেত্রে ক্ষরণ বলতে বোঝায় নারীর জনন পথে।
বীর্যের স্খলন, যা শারীরবৃত্তীয় জনন প্রক্রিয়ার অত্যন্ত জরুরী অঙ্গ বলে অভিহিত।
যৌনতা ও শৃঙ্গার
কোন মন্তব্য নেই

 সুপারিশকৃত পোস্ট....
০১ যৌনতার অজানা কথা
০২. সেক্স বিজ্ঞান
০৩. কি পদ্ধতিতে সহবাস করলে বাচ্চা হয়
০৪. বাংলা সেক্স হেল্পলাইন
০৫. মেয়েদের হস্তমৈথুন ও ফিঙ্গারিং
যৌনমিলনে পুরুষের সঙ্গে যাতে নারীও পূর্ণ সঙ্গম তৃপ্তি ও সুখ উপভোগ করতে পারে সেদিকে দৃষ্টি রাখা পুরুষের কর্তব্য। তাছাড়া, নারীর সহজে যৌন উত্তেজনা আসেনা। এর কারণ,নারীর যৌন অঙ্গ ছাড়াও কামকেন্দ্র শরীরের নানা অঞ্চলে বিসতৃত। যেমন -
ঠোঁট
গাল
মুখ
স্তন
স্তনের বোঁটা
নিতম্ব
যোনি ও ভগাঙ্কুর
নারীর ভগাঙ্কুর নারীর শ্রেষ্ঠতম যৌন কেন্দ্র এবং এর ক্রিয়া ব্যতিত কোনো শৃঙ্গারই সম্পূর্ণ হতে পারেনা- এমন মত প্রকাশ করেছেন যৌন বিজ্ঞানীরা। ডাঃ ব্রায়ানরবিনসন নামে যৌন শাস্ত্রবিদ বলেন, ‘নারীর ভগাঙ্কুর নারী দেহরূপী প্রাসাদের সদর দরোজার কলিং বেল’। বৈদ্যুতিক কলিং বেলে আঘাত করলে যেমনসমস্ত প্রাসাদে তার শব্দ ধ্বনিত হয় এবং প্রাসাদবাসী সংকুচিত হয়।তেমনি নারীর ভগাঙ্কুরে হালকা আঘাত করলে বা সপর্শকরলে নারী দেহের সমস্ত কাম-চৈতন্য মাথা চাড়া দিয়ে জেগে ওঠে। সহবাসকালে নারীর এসব জায়গায় পুরুষের হাত বা মুখের সপর্শ না লাগলে নারীর কামেচ্ছা যেন তৎক্ষণাৎ জেগে ওঠেনা। তাই নারী চায় পুরুষ তাকে কাছে টেনে নিয়ে চুম্বন, আলিঙ্গন, স্তন মর্দন, দংশন ও গাত্র লেহনে ভরিয়েতুলুক। যৌন মিলনকালে পুরুষ লিঙ্গ স্ত্রীর যৌন অঙ্গসমূহ দখল করলেও পুরুষের হাত চায় স্তন মর্দন করতে, আর মুখ চায় ঠোঁট চুম্বন করতে। কাজেই,যৌনাঙ্গের মতই স্ত্রীর স্তন, বুক, মুখ, গাল, ঠোঁট যৌনমিলনকালে পুরুষের প্রিয় অঞ্চল। স্বামীর শৃঙ্গারে উত্তেজিত ও উৎক্ষিপ্ত হয়ে রতিক্রিয়ায় স্ত্রী যেমন অধিক আনন্দ পায়, ঠিক সেরূপভাবে স্ত্রীর শৃঙ্গারে উত্তেজিত উৎক্ষিপ্ত হয়ে মিলনকাজে পুরুষও আনন্দ ও তৃপ্তি লাভ করে। স্ত্রীলোকের ন্যায় পুরুষেরও কতকগুলো যৌন প্রদেশ আছে। পুরুষ কর্তৃক স্ত্রীলোক তার যৌন প্রদেশসমূহে যেমন শৃঙ্গারের আবশ্যক বোধ করে, স্বামীও অনুরূপভাবে স্ত্রীর দ্বারা তার যৌন প্রদেশসমূহে শৃঙ্গার প্রত্যাশা করে, একথা যে স্ত্রীলোক ভুলে যায়, সেখানে দাম্পত্য জীবন হয় অসুখী। যৌনক্রিয়ায় যদিও পুরুষ কর্তা এবং নারী কর্ম, তবুও যৌনক্রিয়ায় অচল হয়ে পড়ে থাকা ছাড়া নারীর আর কোনো কর্তব্য নেই, একথা কখনো মনে করা উচিত নয়। আমাদের দেশের অনেক মেয়ের এরূপ ধারনা আছে যে, রতিক্রিয়ায় তারা যতই অনিচ্ছা প্রকাশ করবে,স্বামীর কাছে ততই মূল্য পাবে। কিন্তু এ ধারণা ঠিকনয়। যৌনক্রিয়ায় আগ্রহী হওয়ার দায়িত্ব শুধু স্বামীর একথা কখনোই মনে করা উচিত নয়। স্বামীকে যৌন আনন্দ দান করার জন্য স্ত্রীকে স্বামীর নিকট লজ্জা করলে চলবেনা। লজ্জা করলে চলবেনা। স্বামীর সঙ্গে নানা প্রকার খোশ গল্প করে, ঠাট্টা করে, মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে তাকে যৌন কার্যে উৎসাহিত করতে হবে উত্তেজিত করতে হবে।
স্ত্রীর এটা মনে রাখতে হবে যে, স্বামীর শৃঙ্গারেতার যেমন আনন্দ, তৃপ্তি লাগে, তেমনি স্ত্রীর শৃঙ্গারেও স্বামীর সেরূপআনন্দ ও তৃপ্তি লাগে। ডাঃনিস বলেন, স্বামী তোমাকে জড়িয়ে ধরে চুম্বন করলে তুমি যেমন তৃপ্তিবোধ কর, তুমিও স্বামীকে জড়িয়ে ধরে চুম্বন কর সেও তেমন সুখ লাভ করবে। দাম্পত্য জীবন সুখের ও আনন্দ দায়ক করতে হলে স্ত্রীকে আর একটি কথা মনে রাখতে হবে, সেটি হলো পুরুষ স্বভাবতই বহুকামী। বিবাহিত জীবনেরএক ঘেয়েমী সে সহ্য করতে পারেনা। বিবাহিত জীবনের এক ঘেয়েমী দূর করার জন্য নারীকে চেষ্টা করা প্রয়োজন। ডাঃ মেরী স্টোপস বলেন, নারীর রতিক্রিয়ায় বিভিন্ন প্রক্রিয়া দ্বারা পুরুষকে এক পত্নীক জীবনে বিচিত্র স্বাদের আস্বাদ দিতে পারে।
নারী-পুরুষের বিবাহিত জীবনের কর্তব্য হলো, যৌনক্রিয়া বা সহবাস বিষয়ক বিভিন্ন ক্রিয়া-কলাপগুলো জেনে নেয়া। পুরুষের চেয়ে নারীর যৌন প্রবণতা বা যৌনতা বেশি। কিন্তু নারীর মধ্যে কামপ্রবণতা বেশি থাকা সত্ত্বেও সেই কামনার আগুনে জ্বলে ধীরে ধীরে চুপে চুপে। পুরুষের মত অমন দাউ দাউ করে খড়ের আগুনের ন্যায় স্ত্রীলোকের কামেচ্ছা জাগ্রত হয়না। আবার অত সহজে তা নিবৃত্তও হয়না। সুতরাং পুরুষ যদি তার লিঙ্গোদ্রেক হওয়া মাত্রইহিতাহিত জ্ঞান শূন্য হয়ে সঙ্গমে রত হয়, তবে সে নিজে চরমপুলক লাভ করলেও স্ত্রী থেকে যাবে অতৃপ্তা। আর এই অনিচ্ছাকৃত যৌন সংযোগের ফলে স্ত্রীর যোনি ব্যথিত হবে, উপরন্তু তার মনও হবেবিরক্ত। তাই এসব ক্ষেত্রে পুরুষকে বিবেচনা সহকারে এগুতে হবে। তবে বিশেষভাবে মনে রাখতে হবে, এটা শুধু যান্ত্রিক সুখ-ভোগ নয়, প্রেমিক-প্রেমিকার মিলন।স্বামী যেমন স্ত্রীকে ভালোবাসেন, তেমনি স্ত্রীও স্বামীকে ভালোবাসেন। কিন্তু পুরুষসঙ্কোচহীন তাই তার ভালোবাসা, উগ্র-উলঙ্গ। আর নারী লজ্জাশীলা, তাই তার ভালোবাসা থাকে অন্তরের অন্তঃস্থলে লুকিয়ে। এক্ষেত্রে পুরুষের কর্তব্য হবে তার প্রিয়তমা স্ত্রীকেও অনুরূপ ভালোবাসা জ্ঞাপনের সুযোগ দেয়া। আদর- সোহাগ প্রভৃতির দ্বারা মেয়েদের বিশ্বাস ও অনুরাগ উৎপাদন করতে হয়।স্ত্রীকে যৌন কলা বা আর্টশেখাতে হয়। প্রথমে স্ত্রীকে প্রেম-সোহাগ রসে নিষিক্ত করে তার অন্তরকে নিজের দিকে আকর্ষণ করতে হবে। যখন বোঝা যাবে যে, স্ত্রী তারব্যবহারে মুগ্ধ হয়েছেন, তখন স্ত্রীও তার প্রতি নিজের অনুরাগ প্রকাশ করবে। মাত্র তখনই তার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা যাবে। কিন্তু সব সময় লক্ষ্য রাখতে হবে যে, স্ত্রী যেন যৌন ক্রিয়ার সময় কোনোক্রমেই ভীত বা উদ্বিগ্ন হয়ে না পড়ে। যৌন সংযোগ স্থাপনের প্রথম পদক্ষেপই হলো শৃঙ্গার। ইংরেজীতে একে বলা হয় Love Play । শৃঙ্গার দ্বারা স্ত্রীর সুপ্ত, ঘুমন্ত যৌনতাকে জাগ্রত করতে হয়। অতএব সঙ্গমের পূর্বে নারীকে শৃঙ্গার করা প্রত্যেক পুরুষেরই কর্তব্য। যৌনমিলন যেমন প্রত্যেক জীবের শারীরিক ও মানসিক তাগিদ, ঐরূপ শৃঙ্গারও জীবের একটা স্বাভাবিক তাগিদ। যৌনতাকে উৎকর্ষতায় ও সুখে-তৃপ্তিতে ভরিয়ে তুলতে হলে শৃঙ্গার করুন, শৃঙ্গারে শৃঙ্গারে চূড়ান্ত যৌনমিলনের দিকে এগিয়ে যান। দেখবেন আপনি সুখী হবেন, আপনার স্ত্রীওসুখী হবেন।
অধ্যাপক ডা. এ এইচ মোহাম্মদ ফিরোজ
এমবিবিএস এফসিপিএস এমআরসিপি এফআরসিপি
E-mail : professorfiroz@yahoo.com
সেক্স বিষয়ক আরো ২০০ পোস্ট এর লিস্ট
বাসর রাতের ভিডিও
যৌন মিলনের ছবি
শালি দুলাভাইয়ের দুষ্টামী
সেলুন ও পার্লারের আড়ালে দেহ ব্যবসা

কোন মন্তব্য নেই :

যৌনতার অজানা কথা,জি স্পট ও আরো কিছু কথা!
কোন মন্তব্য নেই
জি স্পট’ নারী দেহের মানচিত্রে এর অবস্থান। ডাঃ পেরি, ডাঃ ইতপলি ও ডাঃ লাডাস নামের তিনজন বিজ্ঞানী নারী দেহের ‘জি সপট’-কে সবার কাছে পরিচিতকরে দিয়েছেন। নারী দেহের গোপনাঙ্গে এ সপটের অবস্থান। নারী যৌনাঙ্গেরযোনি গোত্রে লুকানো এ জায়গাটি অতিমাত্রায় সংবেদনশীল। নারীর মাঝে চরম পুলকের অনুভূতি আর শিহরণ জাগায় যৌনাঙ্গের এ অংশটি।
এর অবস্থানের একদম সূক্ষ্ম হিসাব জানিয়ে দিয়েছেন গবেষকবৃন্দরা।
এর অবস্থান হলো যোনির অগ্রবর্তী গাত্রে যা যোনি মুখ হতে পাঁচ সে.মি. পরিমাণ গভীরে থাকে।
এর আকার শিমের বিচির মত কিন্তু যৌন উত্তেজনায় এর সাইজ বৃদ্ধি পায়।
এত দিনকার প্রচলিত নানা তত্ত্বকে পাল্টে দিয়েছে এর আবিষ্কার।
অর্গাজমকে ঘিরে মনোবিজ্ঞানী ফ্রয়েডের দেয়া যে তত্ত্ব আলফ্রেড কিংসে পঞ্চাশের দশকে বাতিল করে দেন আশির দশকে এ ‘জি স্পট’ আবিষ্কার ফ্রয়েড তত্ত্বকে নতুন গ্রহণযোগ্যতা দান করেছে।
এ নিয়ে চলছে তুমুল বিতর্কযৌন সমীক্ষকদের মাঝে।
এক দল এস্পটের উপস্থিতি মানতে রাজী নন।
কারো কারো অভিমত নারী যৌনাঙ্গে এ স্পট থাকতে পারে কিন্তু সবার মাঝে নেই।
এর উপস্থিতির কথা মাত্র দশ শতাংশ মহিলাদের বেলায়,এক গবেষক এ কথা বলেছেন।
প্রতি তিনজনে দু’জন নারীরবেলাতে এর উপস্থিতি দেখতে পাওয়া যায় - এটি হলো অপর আরেক দল বিজ্ঞানীদের কথা।
গবেষকবৃন্দ এ নানান বিতর্ক সম্পর্কে অভিমত দেন ঠিক এভাবে যে, কোনো নারীর যৌনাঙ্গে এর উপস্থিতি বা অনুপস্থিতি সম্পর্কে মন্তব্য করতে গেলে প্রথমেই দেখতে হবে তার যৌন দৃষ্টিভঙ্গী আর যৌন সচেতনতা কেমন ?
এ কারণেই যতই দিন যাচ্ছে এ বিশেষ জি স্পটটির অধিকারিণী নারীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
এ স্পটের জি নাম দেয়ার কারণ আছে।
গ্রাফেন রাজ নামের একজন ফরাসী গাইনোকলজিস্ট সর্বপ্রথম এর ধারণা দিয়েছিলেন। তার নাম অনুসারে প্রথম অক্ষর দিয়ে এর নামকরণ করা হয়।
আমাদের মনের যে যৌন শিহরণবোধ তার মূল উৎস হলো সেক্স হরমোন আমরা এমন কথাই এতদিন শুনেছি।
মহিলাদের বেলাতে এস্ট্রোজেন প্রজেস্টেরন আর পুরুষদের বেলাতে টেস্টোস্টেরন।
নারী আর পুরুষের বেলাতে যথাক্রমে ডিম্বাশয় আর শুক্রাশয় এ সেক্স হরমোনের ক্ষরণের দায়িত্বপালন করে থাকে।
বয়ঃসন্ধিকালে কিশোর-কিশোরীর দেহে সেকেন্ডারিসেক্স বৈশিষ্ট্যের বিকাশঘটে এ সেক্স হরমোনের প্রভাবে।
এটি একবারে স্বতঃসিদ্ধ বিষয়।
এর পাশাপাশি সাম্প্রতিক গবেষকরা এক অভিনব নতুন তথ্য দিয়েছেন। মানুষের মনের যৌন তাড়নাবোধ বা লিকেজ এর মূলনিয়ামক হলো এটেস্টোস্টেরন বা টেস্টোস্টেরণজাত ক্ষরণগুলো -
এন্ডোজেনও বলা হয় শেষোক্তগুলোকে।
পুরুষ আর নারী দু’জনার বেলাতেই এটি প্রযোজ্য।
লিবিজে শব্দের পারিভাষিকঅর্থ হলো যৌন কামনা।
লিবিজেকে মনোবিজ্ঞানী ফ্রয়েড মানবের মূল চালিকা শক্তি বলেও অভিমত করেছিলেন।
পুরুষ দেহ থেকে না হয়ে শুক্রাশয় হতে ক্ষরিত হয়ে সহজাতভাবে বর্তমান থাকে এটেস্টোস্টেরন।
মহিলা দেহে টেস্টোস্টেরনবা এন্ড্রোজেন আসবে কোথা থেকে ?
তাহলে নারীদের লিবিজে নিয়ন্ত্রিত হয় কিভাবে ?
নারীদের রক্ত স্রোতে গবেষকরা দেখেছেন সূক্ষ্মমাত্রার এন্ড্রোজের উপস্থিতি।
এর মাত্রা পুরুষদের তুলনায় হাজার ভাগেরও কম।
শারীরবৃত্তীয় প্রভাব এত কমমাত্রার এন্ড্রোজেন কিরাখতে পারে ?
অথচ পুরুষ আর নারীর লিবিজের মাঝেতো বিস্তর ফারক নেই।
এতটা সূক্ষ্মমাত্রার এন্ড্রোজেন নিয়ে নারীরা পুরুষদের সমপর্যায়ের লিবিজের অধিকারী হলো কিভাবে ?
এ প্রশ্নের জবাব গবেষকরা দেন ভিন্ন আঙ্গিকে।
গবেষকদের ব্যাখ্যা নারী দেহে ক্ষরিত টেস্টোস্টেরন আর এন্ড্রোজেন মাত্রা কম হতে পারে।
কিন্তু নারী দেহ এর প্রতিঅতিমাত্রায় সংবেদনশীল।
একারণে সূক্ষ্মমাত্রায় ওঅনেক বেশি শারীরবৃত্তীয় প্রভাব তৈরি করে থাকে।
নারী দেহের এড্রিনাল কর্টেক্স নার্সের হরমোন গ্রন্থি হতে এ এন্ড্রোজেন ক্ষরিত হয়।
পাশাপাশি ডিম্বাশয় নিজেওসামান্য মাত্রার টেস্টোস্টেরন ক্ষরণ করে থাকে।
সাম্প্রতিক উদ্ভাবিত তথ্যের ব্যবহারিক প্রয়োগহচ্ছে রজঃনিবৃত্তি পরবর্তী হরমোন থেরাপিতে।
অনেক নারী তাদের যৌন ইচ্ছা কমে যাবার কথা বলেনরজঃনিবৃত্তিকালে।
সাম্প্রতিককালে নারীদের রজঃনিবৃত্তিকালীন হরমোন থেরাপিতে ইস্ট্রোজেন আর প্রজেস্টরন হরমোন পাশাপাশি পুরুষ সেক্স হরমোন টেস্টোস্টেরন নেয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
এতে নাকি হরমোন থেরাপির উপযোগিতা অনেক বেশি বেড়ে যেতে দেখা যায়।

লেখকঃ অধ্যাপক ডা. এ এইচ মোহাম্মদ ফিরোজএমবিবিএস এফসিপিএস এমআরসিপি এফআরসিপি

আরো জানতে পড়ুনঃ মেডিক্যাল সেক্স গাইড  বইটি। এখানে ক্লিক করুন।

কোন মন্তব্য নেই :

যৌন মিলনের রকমারি কথা
কোন মন্তব্য নেই


যৌন বিজ্ঞানী ডাঃ কিনসে ওহ্যাভলক এলিসের মতে, সব নারী যৌন আবেদনে সমানভাবে সাড়া দিতে পারেনা। এমন হাজার হাজার নারী আছে, যারা স্বামীকে কাছে পাওয়া মাত্র বা যৌন আবেদন মাত্র উত্তেজনা অনুভব করে। আবার এমন অনেকনারী আছে, যারা দীর্ঘ সময়যৌন ক্রিয়ায়ও খুব বেশি উত্তেজনা অনুভব করেনা। কোনো কোনো নারী কামাবেগে হয়তো মৃদুভাবে উত্তেজিত হয়। কিন্তু চরম তৃপ্তির মুহূর্তে পৌঁছতে পারেনা।আবার এমন অনেক নারী আছে, যারা যৌন ক্রিয়ায় প্রচন্ডভাবে উত্তেজনা অনুভব করে এবং দ্রুত চরম তৃপ্তি লাভ করে। এমন নারীও আছেন যারা সারা জীবনে একবারও চরমতৃপ্তি লাভ করেনি। আসল কথা হলো যৌন উত্তেজনা ও চরম তৃপ্তি লাভের ব্যাপারে মানসিক অবস্থাই বেশি দায়ী। সাধারণভাবে যৌনমিলনে কিছুটা আনন্দ প্রায় সবাই পায়, কিন্তু চরম তৃপ্তিজনিত আনন্দের সঙ্গে কখনোই তার তুলনা হয়না। মিলনের পর পুরুষের যে স্খলন হয়, ঐ স্খলিত বীর্য নারীর যোনি অভ্যন্তরস্থ দেওয়ালে যেসব উত্তেজিত স্নায়ু থাকে, তাদের কিছুটা শান্তকরে। কিন্তু যেসব নারী নিয়মিত চরম তৃপ্তি লাভ করতে অভ্যস্ত, তারা শান্তির বদলে অশান্তি লাভ করে বেশি।
যারা কখনোই চরম তৃপ্তির আনন্দময় পর্যায়ে পৌঁছতে পারেনা তারাও এক প্রকার আনন্দ বোধ করে। এই আনন্দবা তৃপ্তিবোধ আসে মানসিক আবেগের জন্য। এইসব স্ত্রীরা স্বামীর সুখের জন্য নিজেকে সমর্পণ করে অথবা দাম্পত্য জীবনের কর্তব্য ভেবে এ জাতীয় তৃপ্তিবোধ করেন। বিভিন্নগবেষণায় দেখা গেছে যে, শিক্ষিত এবং আধুনিক স্ত্রীদের অনেকেই সহজেই তৃপ্তি লাভ করে। ম্যারি ওকলডেরন এর মতে, প্রায়শই কোনো নারীই প্রকৃত পক্ষে যৌন জড়তা নয়। যেসব পুরুষ স্ত্রীকে মিলনের যথাযথভাবে উত্তেজিত করতেপারে, সেসব স্ত্রীরা যৌন মিলনে যথেষ্ট আনন্দ পান, চরম তৃপ্তি না পেলেও।
যৌনমিলনের অব্যবহিত পরেইনারী-পুরুষ কিছুটা ক্লান্তিবোধ করলেও যৌনমিলনে অংশগ্রহণ করায় মানসিক বা দৈহিক স্বাস্থ্যের কোনো ক্ষতি হয়না। দেহ যখন সত্যিই ক্লান্ত বা অসুস্থ থাকে তখন নিজ থেকেই নারী-পুরুষ যৌনমিলনে অংশগ্রহণ করার তাগিত বোধ করেনা। স্বাভাবিক ও সুস্থ নারী-পুরুষ যৌন সঙ্গমে এক প্রকার মানসিক সুখ বা তৃপ্তি লাভ করে। কিন্তু অনিচ্ছা সত্ত্বেও মিলনে অংশ গ্রহণ বা রুটিন মাফিকমিলনে মানসিক শান্তি নষ্ট হয়ে যায়। আবার কারও মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে যাওয়ার ফলে যৌনমিলনে আগ্রহ বৃদ্ধি পায় বা হ্রাস পায়, এ অবস্থার দ্রুত চিকিৎসা না করা হলেমানসিক ও শারীরিক ক্ষতি হয়। সুস্থ ও স্বাভাবিক নারী-পুরুষের ঘন ঘন যৌনমিলনে দৈহিক বা মানসিক ক্ষতির সম্ভাবনা নেই।
যৌন বিজ্ঞানীরা বলেন যে, যৌনমিলনে পুরুষের দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার এমন কোনো সহজ পদ্ধতি নেই। যাতে স্ত্রীর চরম তৃপ্তি লাভের সঙ্গে পুরুষের চরম ক্ষণ আসে। এ সমস্যা সর্বজনীন, যুগ-প্রাচীন, পৃথিবীর হাজার হাজার পুরুষ এ প্রশ্নের সমাধান খুঁজতে চেষ্টা করেছেন। যৌন বিজ্ঞানীরা দম্পতিদের এ সম্পর্কে কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছেন।এগুলো হলো -
স্ত্রীর আন্তরিক সহযোগিতা এবং যৌন জীবনে উৎসাহ।
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মানসিক প্রেম-প্রীতি ও ঐক্য।
নিয়মিত অভ্যাস, যৌন জীবনেযেসব দম্পতি নিয়মিত, অনেকসময় ধরে চেষ্টা দ্বারা তারা নিজেদের যৌন মিলনকাল দীর্ঘ করতে পারেন।
আমার ধারণা এই যে, যেসব স্ত্রীরা মিলনে সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করে এবং যাদের স্বামীরা স্ত্রীর তৃপ্তিকে বেশি গুরুত্ব দেয়, তারা মিলনে দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। মিলন ভঙ্গীও অনেক সময় দীর্ঘস্থায়ী হতে সাহায্যকরে। স্ত্রী উপরে, এ ভঙ্গি স্ত্রীকে বেশি স্বাধীনতা দেয় এবং পুরুষের উত্তেজনাকে তীব্র হতে সময় দেয়। মিলনকালে মাঝে মাঝে ভঙ্গী অদল বদল করে এবং স্বল্প বিরতি দিয়ে পুরুষ দীর্ঘক্ষণ মিলনে স্থায়ী হয়ে স্ত্রীর তৃপ্তি সাধনে সক্ষম হতে পারে। পুরুষের যৌন ক্ষমতা কতদিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকে এ সম্পর্কে এক কথায় উত্তর দেয়া সম্ভব নয়। স্ত্রীর দৈহিক স্বাস্থ্য, চারিত্রিক ব্যবহার, পুরুষের মানসিক অবস্থা এসব কিছু অনুকুলে হলে সাধারণত ৭০ বছর পর্যন্ত পুরুষ যৌন জীবনে মোটামুটি সক্ষম থাকতে পারে। ইআর, ম্যারি ও কলজরন কিছুকাল আগে তার গ্রন্থ Release from sexual tensions এ এক ৮০ বছর বয়স্ক পুরুষের সম্পর্কে বলেছেন যে, সে ৮০ বছর বয়সেও পরিপূর্ণ যৌন জীবন-যাপন করতে পারে। ডাঃ স্টোন এর মতে শতকরা ৭০জন পুরুষ ৭০-৭২ বছর বয়স পর্যন্ত যৌন জীবনে অংশ গ্রহণ করতে সমর্থ থাকে। অবশ্য পুরুষের বয়স যত বাড়তে থাকে, ততই যৌনমিলনের পরিমাণ কমতে থাকে এবং বিরতির সময় বড় হতে থাকে। ডাঃ কিনসের গবেষণা অনুসারে জানা যায় যে, যেসব পুরুষের বয়স ২০-২৯ বছরের মধ্যে তারা সপ্তাহে গড়ে ৩ বার মিলিত হয়। এর পরের বয়সে যৌনমিলনের হার কমতে থাকে,সপ্তাহে ২ বার বা তারও কম, ৫০-৬০ বছরের মধ্যে যাদের বয়স, তারা দু’সপ্তাহে ১ বার মিলিত হয়। আবার কোনো কোনো বিশেষজ্ঞের মতে, শেষ বয়সের দিকে পুরুষের যৌনমিলনের ক্ষমতা বৃদ্ধিপায়। এদেশে ২০-৩৫ বছর বয়সের পুরুষ সপ্তাহে গড়ে ৪ বার, ৩৫-৫০ বছর বয়সের পুরুষেরা সপ্তাহে গড়ে ২ বার পর্যন্ত মিলিত হয়। আমাদের দেশের পুরুষরা সাধারণত গড়ে ৬০-৬৫ বছর বয়স পর্যন্ত যৌন জীবনে সক্রিয় থাকে।
অধ্যাপক ডা. এ এইচ মোহাম্মদ ফিরোজ
এমবিবিএস এফসিপিএস এমআরসিপি এফআরসিপি
E-mail : professorfiroz@yahoo.com
আরো পড়ুন...
আগুন জ্বালানোর হাসির জোকস
কামসূত্র বই

কোন মন্তব্য নেই :

যৌনতার অজানা কথা ২| অধ্যাপক ডা. এ এইচ মোহাম্মদ ফিরোজ এমবিবিএস এফসিপিএস এমআরসিপি এফআরসিপি
কোন মন্তব্য নেই
যৌনমিলনের রকমারি কথা
যৌন বিজ্ঞানী ডাঃ কিনসে ওহ্যাভলক এলিসের মতে, সব নারী যৌন আবেদনে সমানভাবে সাড়া দিতে পারেনা। এমন হাজার হাজার নারী আছে, যারা স্বামীকে কাছে পাওয়া মাত্র বা যৌন আবেদন মাত্র উত্তেজনা অনুভব করে। আবার এমন অনেকনারী আছে, যারা দীর্ঘ সময়যৌন ক্রিয়ায়ও খুব বেশি উত্তেজনা অনুভব করেনা। কোনো কোনো নারী কামাবেগে হয়তো মৃদুভাবে উত্তেজিত হয়। কিন্তু চরম তৃপ্তির মুহূর্তে পৌঁছতে পারেনা।আবার এমন অনেক নারী আছে, যারা যৌন ক্রিয়ায় প্রচন্ডভাবে উত্তেজনা অনুভব করে এবং দ্রুত চরম তৃপ্তি লাভ করে। এমন নারীও আছেন যারা সারা জীবনে একবারও চরমতৃপ্তি লাভ করেনি। আসল কথা হলো যৌন উত্তেজনা ও চরম তৃপ্তি লাভের ব্যাপারে মানসিক অবস্থাই বেশি দায়ী। সাধারণভাবে যৌনমিলনে কিছুটা আনন্দ প্রায় সবাই পায়, কিন্তু চরম তৃপ্তিজনিত আনন্দের সঙ্গে কখনোই তার তুলনা হয়না। মিলনের পর পুরুষের যে স্খলন হয়, ঐ স্খলিত বীর্য নারীর যোনি অভ্যন্তরস্থ দেওয়ালে যেসব উত্তেজিত স্নায়ু থাকে, তাদের কিছুটা শান্তকরে। কিন্তু যেসব নারী নিয়মিত চরম তৃপ্তি লাভ করতে অভ্যস্ত, তারা শান্তির বদলে অশান্তি লাভ করে বেশি।
যারা কখনোই চরম তৃপ্তির আনন্দময় পর্যায়ে পৌঁছতে পারেনা তারাও এক প্রকার আনন্দ বোধ করে। এই আনন্দবা তৃপ্তিবোধ আসে মানসিক আবেগের জন্য। এইসব স্ত্রীরা স্বামীর সুখের জন্য নিজেকে সমর্পণ করে অথবা দাম্পত্য জীবনের কর্তব্য ভেবে এ জাতীয় তৃপ্তিবোধ করেন। বিভিন্নগবেষণায় দেখা গেছে যে, শিক্ষিত এবং আধুনিক স্ত্রীদের অনেকেই সহজেই তৃপ্তি লাভ করে। ম্যারি ওকলডেরন এর মতে, প্রায়শই কোনো নারীই প্রকৃত পক্ষে যৌন জড়তা নয়। যেসব পুরুষ স্ত্রীকে মিলনের যথাযথভাবে উত্তেজিত করতেপারে, সেসব স্ত্রীরা যৌন মিলনে যথেষ্ট আনন্দ পান, চরম তৃপ্তি না পেলেও।
যৌনমিলনের অব্যবহিত পরেইনারী-পুরুষ কিছুটা ক্লান্তিবোধ করলেও যৌনমিলনে অংশগ্রহণ করায় মানসিক বা দৈহিক স্বাস্থ্যের কোনো ক্ষতি হয়না। দেহ যখন সত্যিই ক্লান্ত বা অসুস্থ থাকে তখন নিজ থেকেই নারী-পুরুষ যৌনমিলনে অংশগ্রহণ করার তাগিত বোধ করেনা। স্বাভাবিক ও সুস্থ নারী-পুরুষ যৌন সঙ্গমে এক প্রকার মানসিক সুখ বা তৃপ্তি লাভ করে। কিন্তু অনিচ্ছা সত্ত্বেও মিলনে অংশ গ্রহণ বা রুটিন মাফিকমিলনে মানসিক শান্তি নষ্ট হয়ে যায়। আবার কারও মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে যাওয়ার ফলে যৌনমিলনে আগ্রহ বৃদ্ধি পায় বা হ্রাস পায়, এ অবস্থার দ্রুত চিকিৎসা না করা হলেমানসিক ও শারীরিক ক্ষতি হয়। সুস্থ ও স্বাভাবিক নারী-পুরুষের ঘন ঘন যৌনমিলনে দৈহিক বা মানসিক ক্ষতির সম্ভাবনা নেই।
যৌন বিজ্ঞানীরা বলেন যে, যৌনমিলনে পুরুষের দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার এমন কোনো সহজ পদ্ধতি নেই। যাতে স্ত্রীর চরম তৃপ্তি লাভের সঙ্গে পুরুষের চরম ক্ষণ আসে। এ সমস্যা সর্বজনীন, যুগ-প্রাচীন, পৃথিবীর হাজার হাজার পুরুষ এ প্রশ্নের সমাধান খুঁজতে চেষ্টা করেছেন। যৌন বিজ্ঞানীরা দম্পতিদের এ সম্পর্কে কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছেন।এগুলো হলো -
স্ত্রীর আন্তরিক সহযোগিতা এবং যৌন জীবনে উৎসাহ।
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মানসিক প্রেম-প্রীতি ও ঐক্য।
নিয়মিত অভ্যাস, যৌন জীবনেযেসব দম্পতি নিয়মিত, অনেকসময় ধরে চেষ্টা দ্বারা তারা নিজেদের যৌন মিলনকাল দীর্ঘ করতে পারেন।
আমার ধারণা এই যে, যেসব স্ত্রীরা মিলনে সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করে এবং যাদের স্বামীরা স্ত্রীর তৃপ্তিকে বেশি গুরুত্ব দেয়, তারা মিলনে দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। মিলন ভঙ্গীও অনেক সময় দীর্ঘস্থায়ী হতে সাহায্যকরে। স্ত্রী উপরে, এ ভঙ্গি স্ত্রীকে বেশি স্বাধীনতা দেয় এবং পুরুষের উত্তেজনাকে তীব্র হতে সময় দেয়। মিলনকালে মাঝে মাঝে ভঙ্গী অদল বদল করে এবং স্বল্প বিরতি দিয়ে পুরুষ দীর্ঘক্ষণ মিলনে স্থায়ী হয়ে স্ত্রীর তৃপ্তি সাধনে সক্ষম হতে পারে। পুরুষের যৌন ক্ষমতা কতদিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকে এ সম্পর্কে এক কথায় উত্তর দেয়া সম্ভব নয়। স্ত্রীর দৈহিক স্বাস্থ্য, চারিত্রিক ব্যবহার, পুরুষের মানসিক অবস্থা এসব কিছু অনুকুলে হলে সাধারণত ৭০ বছর পর্যন্ত পুরুষ যৌন জীবনে মোটামুটি সক্ষম থাকতে পারে। ইআর, ম্যারি ও কলজরন কিছুকাল আগে তার গ্রন্থ Release from sexual tensions এ এক ৮০ বছর বয়স্ক পুরুষের সম্পর্কে বলেছেন যে, সে ৮০ বছর বয়সেও পরিপূর্ণ যৌন জীবন-যাপন করতে পারে। ডাঃ স্টোন এর মতে শতকরা ৭০জন পুরুষ ৭০-৭২ বছর বয়স পর্যন্ত যৌন জীবনে অংশ গ্রহণ করতে সমর্থ থাকে। অবশ্য পুরুষের বয়স যত বাড়তে থাকে, ততই যৌনমিলনের পরিমাণ কমতে থাকে এবং বিরতির সময় বড় হতে থাকে। ডাঃ কিনসের গবেষণা অনুসারে জানা যায় যে, যেসব পুরুষের বয়স ২০-২৯ বছরের মধ্যে তারা সপ্তাহে গড়ে ৩ বার মিলিত হয়। এর পরের বয়সে যৌনমিলনের হার কমতে থাকে,সপ্তাহে ২ বার বা তারও কম, ৫০-৬০ বছরের মধ্যে যাদের বয়স, তারা দু’সপ্তাহে ১ বার মিলিত হয়। আবার কোনো কোনো বিশেষজ্ঞের মতে, শেষ বয়সের দিকে পুরুষের যৌনমিলনের ক্ষমতা বৃদ্ধিপায়। এদেশে ২০-৩৫ বছর বয়সের পুরুষ সপ্তাহে গড়ে ৪ বার, ৩৫-৫০ বছর বয়সের পুরুষেরা সপ্তাহে গড়ে ২ বার পর্যন্ত মিলিত হয়। আমাদের দেশের পুরুষরা সাধারণত গড়ে ৬০-৬৫ বছর বয়স পর্যন্ত যৌন জীবনে সক্রিয় থাকে।
অধ্যাপক ডা. এ এইচ মোহাম্মদ ফিরোজ
এমবিবিএস এফসিপিএস এমআরসিপি এফআরসিপি
E-mail : professorfiroz@yahoo.com

কোন মন্তব্য নেই :

যৌনতার অজানা কথা ১| অধ্যাপক ডা. এ এইচ মোহাম্মদ ফিরোজ এমবিবিএস এফসিপিএস এমআরসিপি এফআরসিপি
কোন মন্তব্য নেই
যৌন অনীহা
আন-অরগ্যাজমিয়া এমনই এক সমস্যা যাতে নারী ও পুরুষউভয়ই পরিপূর্ণ যৌন সুখ উপভোগ করতে পারেনা। এ সমস্যাটি দু’রকমের। যথা -
প্রাইমারি আন-অরগ্যাজমিয়া এবং
সেকেন্ডারি আন-অরগ্যাজমিয়া
প্রাইমারি আন-অরগ্যাজমিয়া
এতে আক্রান্ত ব্যক্তিটি পূর্বে কখনই চরম সুখ উপভোগ করতে পারেনি।
সেকেন্ডারি আন-অরগ্যাজমিয়া
এতে আক্রান্ত ব্যক্তি বেশ কিছুদিন সবকিছু ভালোভাবে চলার পর ক্রমশঃ যৌন সুখের অনুভূতির হ্রাস হতে শুরু করে এবং পরে তা থেকে এক প্রকার হতাশার সৃষ্টি হয়।
কৈশোর ও প্রথম যৌবনের ভুলশিক্ষা ও নারী-পুরুষের সম্পর্কে সামাজিক বা পারিবারিক ভয়ভীতি থেকে অনেক সময় এ জাতীয় সমস্যারসৃষ্টি ঘটতে পারে। ফলে নারী-পুরুষ নিজের দেহ ও দেহের অনুভূতিগুলোকে অপছন্দ করতে শুরু করে এবংতাদের মাঝে সৃষ্টি হয় আত্মবঞ্চনা।
সেকেন্ডারি সমস্যার সৃষ্টির ক্ষেত্রে সাধারণত নারী-পুরুষের পারসপরিক বোঝাপড়া ও সম্পর্কের অবনিবনা দায়ী।আবার মাত্রাতিরিক্ত আত্মনিয়ন্ত্রণ বা অতিরিক্ত সংযমী মনোভাবও এ সমস্যাটি সৃষ্টি ঘটাতে পারে। আবার অনেক সময় মিলনবিমুখীতা বা অত্যধিক কর্মব্যস্ততাও এ সমস্যাটি ডেকে আনতে পারে।
গবেষণায় দেখা গেছে যে, ৪৬% নারীদের অরগ্যাজম স্তরে পৌঁছতে অনেক সময়ের প্রয়োজন হয় এবং ১৫% নারী এ পর্যায়ে বা স্তরে পৌঁছতে ব্যর্থ হন। বিবাহিত জীবনের প্রথম কয়েকটি বছর অতিবাহিত হওয়ার পর যৌনতা এক প্রকারনিত্য-নৈমিত্তিক যান্ত্রিক অভ্যাসে পরিণতহয়, ফলে সেক্স সম্পর্কে তখন দেখা দেয় আগ্রহহীনতা। অনেক সময় উদরের নীচের অংশের যন্ত্রণা, কষ্ট, অস্বস্তিও বিভিন্ন রকমের গাইনি সমস্যা দেখা দেয় এতে করে অতিরিক্ত মানসিক টেনশন দেখা দেয়। আবার নারী অনেকসময়ই তার স্বামীর অবহেলা ও বঞ্চনার শিকার হন আবার ভালোবাসার মুহূর্তে স্বামীর স্বার্থপরতা বা ভালোবাসার ঘাটতি ইত্যাদিঅনুভব করেন। ফলে বঞ্চিতা স্ত্রীর স্বামীর প্রতি শ্রদ্ধা কমতে থাকে। এর থেকে ভুল বোঝাবুঝি দেখা দেয় আর তাতে করে স্বামী ওস্ত্রীর মাঝে সৃষ্টি হয় দূরত্বের। ধীরে ধীরে এ দূরত্ব ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলে যায় এবং তা অনেক সময় দাম্পত্য সম্পর্কের ফাটলধরায়। উপরোক্ত কারণসমূহ নারীর মাঝে সেক্স অনীহা সৃষ্টি করে- দেখা দেয় সেকেন্ডারি আন-অরগ্যাজমিয়া।
সমস্যা সমাধানে করণীয়
সমস্যাটির শারীরবৃত্তীয় কোনো কারণ আছে কিনা তা প্রথমে খতিয়ে দেখতে হবে।
এছাড়া প্রাইমারি আন-অরগ্যাজমিয়ার ক্ষেত্রে নারীর মনে আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনতেহবে এবং সেক্স বা যৌনতা সম্পর্কে কোনো বদ্ধমূল ভ্রান্তি থাকলে তার পরিবর্তন ঘটাতে হবে এবং ধীরে ধীরে আক্রান্ত নারীর মধ্যে নারীত্ব ও তার চাওয়া-পাওয়ার পরিপূর্ণ বিকাশ ঘটানোর মধ্যে দিয়ে সমস্যাটিকে দূর করতে হবে। আর সেকেন্ডারি সমস্যার ক্ষেত্রে স্বামী ও স্ত্রীকে একসঙ্গে রেখে তাদের সমস্যার খোলাখুলি আলোচনা করা প্রয়োজন। স্বামীর মনে তার স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা এবং সহানুভূতি জাগানো প্রয়োজন এবং স্ত্রীর মন-মানসিকতার আত্মবিশ্লেষণ করার মধ্য দিয়ে সমস্যাটির বিদায় ঘটানো সম্ভব। প্রয়োজনে সেক্স-স্পেসিয়ালিস্ট বা মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে যাওয়া উচিত। সাইকোথেরাপি, ফ্যামিলি থেরাপি দিয়ে তিনি উভয়ের মাঝে ভালোবাসা ও যৌন আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা, কামনা ফিরিয়ে আনবেন। দূর করবেন যৌনমিলনে অনীহা। তাই দাম্পত্য জীবনে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে যৌনমিলন অনীহা দেখা দিলে বিলম্ব না করে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।
পুরুষের যৌন অনীহা
পুরুষাঙ্গের বিভিন্ন উত্থানজনিত সমস্যা বাড়তেথাকে পুরুষের বয়স বাড়ার সাথে সাথে। এ সময় পুরুষদের মাঝে সেক্স বা যৌনতা নিয়ে অসন্তোষ ক্রমেই দিনের পর দিন বাড়তে থাকে। মায়োক্লিনিকের গবেষকবৃন্দরা বলেন যে যেসব বয়স্ক ব্যক্তিরা বয়সজনিত কারণে সেক্স বা যৌন অনীহায় ভোগেন তাদের যৌনতার উৎকর্ষতার ব্যাপারে পুনঃবিবেচনার প্রয়োজন। ১৯৯৫ সালে প্রকাশিত জার্নাল অব আমেরিকান জেরিয়াট্রিক সোসাইটির মায়ো গবেষকবৃন্দ ৪০-৭৯ বছরের কিছু পুরুষের সেক্স বা যৌনতা নিয়ে গবেষণা চালিয়েছিলেন। সে গবেষণারমূল কথাগুলো হলো -
যৌনমিলন বা যৌন সঙ্গম নিয়ে তৃপ্তি।
যৌন ফাংশন সম্পর্কে দুর্ভাবনা টেনশন।
যৌন ইচ্ছা বিশেষ করে মাস্টাবেশন করার ইচ্ছা।
যৌনভাবে উদ্দীপিত হলে লিঙ্গ উত্থানের ক্ষমতা।
পরবর্তী বছরের তুলনায় যৌন কর্মের ক্রিয়ার পরিবর্তন।
গবেষণায় দেখা গেছে যে, বয়সের পার্থক্যের কারণে যৌন আকাঙ্খা, ইচ্ছা, সামর্থ্য প্রভৃতি পরিবর্তিত হতে পারে।
গবেষণায় দেখা গেছে যে, শতকরা প্রায় ২৫ভাগ পুরুষ তাদের যৌনতা সম্পর্কে দুশ্চিন্তায় ছিলেন দারুণভাবে। বয়স যাদের ৭০ এর উপরে ছিল তাদের শতকরা ৪৭ভাগ পুরুষ এ রকম মেন্টাল প্রবলেমে আক্রান্ত ছিল। মায়ো গবেষকরা জানান যে, সেক্স বা যৌনতা সম্পর্কে স্বচ্ছ বা স্পষ্ট ধারণা থাকলে যৌনতার অনীহাজনিত সমস্যা খুব সহজেই কাটিয়ে ওঠা যায়। প্রবীণদের মাঝে যৌন অনীহা দেখা দিলে প্রয়োজন মনোচিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা।

কোন মন্তব্য নেই :

Boroder Faltu Golpo: Avilash
কোন মন্তব্য নেই
Boroder Faltu Golpo: Avilash: Employment visa in Dubai, Employment visa in UAE, Work in Australia, Job in Australia, Migration to Australia, Immigration to Australia, Wor...

কোন মন্তব্য নেই :

যৌন রোগ বনাম যৌন সমস্যা ডা. এ এইচ মুস্তাফিজুর রহমান ২

কোন মন্তব্য নেই
। শুরু হয় আরও উদ্বিগ্নতা ও হতাশার। এরি মধ্যে হযত অবিভাবকরা বিবাহের জন্য পীড়াপিড়ি করে। কিন্তু সুকৌশলে সে বিবাহ এড়িয়ে চলে। শুরু করে বিভিন্ন অবৈজ্ঞানিক চিকিৎসা। ফলাফলও হয় অনেকটাই ব্যর্থতার। ফলে সে এক কঠিন বৃত্তাকারে আবদ্ধ হয়ে পড়ে। যতই চেষ্টা করে এর থেকে সহজে বেরিয়ে আসতে পারে না। আসলে এটা সুস্থ যৌনতার লক্ষণ নয়।
আর একটি ব্যাপার লক্ষণীয় তা হলো ছেলেদের বিয়ের আগেমনের মধ্যে যেটি বেশি কাজকরে তা হলো স্ত্রীর সাথে তার যৌন সম্পর্ক নিয়ে। অথচ যৌন সম্পর্ক ছাড়াও স্ত্রীর সাথে তার আরও অনেক কিছু থাকতে পারে তা মনে করতে পারে না। ফলে এক্ষেত্রে যৌনতা নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। যার প্রতিফলন গিয়ে পড়ে বিবাহোত্তর যৌন সম্পর্কের ওপর। যৌন সম্পর্ক থেকে স্ত্রীর সাথে ভালোবাসার সম্পর্কওআরও অধিক গুরুত্বপূর্ণ। কান টানলে যেমন মাথা আসে তেমনি বিবাহের পর একটি ছেলে ও মেয়ের মধ্যে পরিপূর্ণ ভালোবাসাই পরবর্তীতে ভালো যৌনসম্পর্ক গড়ে উঠতে সাহায্য করে। আসলে ভালোবাসা এবং যৌনতা একটি আরেকটির পরিপূরক। একটি বাদ দিয়ে আরেকটি কখনোই ভালোভাবে হবে না। সুস্থ যৌন জীবনের জন্য ভালোবাসার সুসম্পর্ক অপরিহার্য। সুস্থ যৌনতারজন্য স্ত্রী এবং পুরুষের উভয়ের সমান সমান ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশে সংস্কৃতিগত কারণে নারী-পুরুষ তাদের যৌন সম্পর্ক নিয়ে খোলামেলা হতে পারে না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মেয়েরাই লাজুক হয়ে থাকে। অবশ্য সঠিক যৌনশিক্ষার অভাবে এমনটি হয়ে থাকে। তবে আশার কথা শিক্ষিত ছেলে মেয়েদের মধ্যে অবস্থার কিছুটা উন্নতি পরিলক্ষিত হচ্ছে।পর্যাপ্ত যৌন শিক্ষা থাকলে এক্ষেত্রে স্ত্রীরসহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে।
ছেলেদের ক্ষেত্রে লিঙ্গ নিয়ে কিছু অবাস্তব চিন্তা-ভাবনা, প্রস্রাবের আগে পরে ধাতু যাওয়া, স্বপ্নদোষ, হস্তমৈথুনসহ বিভিন্ন ভিত্তিহীন কারণে অসুস্থ যৌন চিন্তা বাসা বাঁধে যার কোনো বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই। ফলশ্রুতিতে তারা বিভিন্নসমস্যায় ভোগে।
মেয়েদের ক্ষেত্রে যৌন সমস্যার অনেক কারণ থাকতে পারে। যৌন শিক্ষার অভাব, ছোট বেলায় যৌন নির্যাতনের শিকার, যৌন বিষয়ে স্বামীর সাথে খোলামেলা আলাপে লাজুকতা, বিভিন্ন মানসিক অশান্তি, পছন্দের পাত্র না পাওয়াসহ নানাবিধ কারণে যৌন সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। সুপ্রিয় পাঠকবৃন্দ যৌন সমস্যা প্রাপ্তবয়স্ক নর-নারীর সময়মত এবং সঠিকভাবে বলতে না পারার মত বিরাট সমস্যা। একবার ৪৫ বছরের তিন সন্তানের জননী বিভিন্ন কথায় যাকে আক্ষেপ করে আমাকে বলেছিলেন দীর্ঘ বিবাহিত জীবনে যৌন সুখ বলতে কি বোঝায় তা আমি কিছুই বুঝতেপারলাম না। বিভিন্ন প্রশ্নের মাধ্যমে বুঝতে পেরেছিলাম তার স্বামীর যৌন সমস্যা ছিল। লজ্জার কারণে কোনো চিকিৎসকের নিকট যাননি এবং কোনো চিকিৎসাও করাননি। আসলে সব চিকিৎসকেরই রোগী বা রোগীনীর যৌন সমস্যা আছে কি না প্রশ্ন করে জানা উচিত। রোগীরাও লজ্জা পায় কিন্তু ক্ষেত্র বিশেষে অনেক চিকিৎসকও এ ধরনের প্রশ্ন করতে সংকোচবোধ করেন।
পাঠকবৃন্দ আশা করি যৌন রোগ এবং যৌন সমস্যা এক নয়, আলাদা দুটো সমস্যা তাএতক্ষণে আপনারা কিছুটা হলেও বুঝতে পেরেছেন। এখন ভেবে দেখুন আপনি কি যৌন রোগে ভুগছেন না যৌন সমস্যায় ভুগছেন? যদি মনে করেন যৌন সমস্যায় ভুগছেন তবে বিভিন্ন অবৈজ্ঞানিক চিকিৎসা নিয়ে অর্থের অপচয় করবেন না। কারণ যৌন সমস্যার সমাধানের জন্য ওষুধের ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ নয়। সময়মত সাইকোথেরাপি বা সেক্স থেরাপির মাধ্যমে যৌন সমস্যা সমাধান সম্ভব। অহেতুক দুশ্চিন্তা পরিহার করে সুস্থ চিন্তা ভাবনা করুন। প্রয়োজন হলে যৌন সমস্যা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
মনোজগত
♥♥♥♥সমাপ্ত♥♥♥♥
প্রকাশক : সৈয়দ রুবেল উদ্দিন
www.facebook.com/sayed.rubel3

কোন মন্তব্য নেই :

যৌন রোগ বনাম যৌন সমস্যা ডা. এ এইচ মুস্তাফিজুর রহমান

কোন মন্তব্য নেই
প্রথমেই আমাদের জানা উচিত যে যৌনরোগ এবং যৌন সমস্যা বলতে আমরা কি বুঝি? কারণ এ দুটি সমস্যাযে এক নয় তা আমাদের অনেকের নিকট পরিষকার নয়। যে জন্য আমরা অনেক সময় বিভ্রান্তিতে পড়ে যাই। ফলশ্রুতিতে আমাদের অনেক কষ্ট ও হয়রানির শিকার হতেহয়। অনেকে পথে ঘাটে বিভিন্ন চটকদারি কথায় বিশ্বাস করে অবৈজ্ঞানিক ও ভুল চিকিৎসা করে প্রচুরটাকা নষ্ট করেন। অথচ এসব সমস্যা সম্বন্ধে আমাদের জানা থাকলে আমরা অপচিকিৎসা থেকে পরিত্রাণপেতে পারি
যৌন রোগ
যৌন রোগ নারী-পুরুষের যৌনমিলনের মাধ্যমেই ছড়ায়। অর্থাৎ কোনো নারী পুরুষের যৌনমিলনের সময় যদি তাদের একজনের মধ্যে যৌন রোগ থাকে তবে তা অন্যজনের মধ্যে সংক্রমিতহতে পারে। আর এভাবে নারী-পুরুষের মধ্যে যৌনমিলনের মাধ্যমে সংক্রমিত রোগের নাম যৌন রোগ। তবে উক্ত নারী এবং পুরুষের মধ্যে যদি কারো যৌন রোগ না থাকে তবে তাদের যৌনমিলনে যৌনরোগ হবে না। সুতরাং যৌনমিলনের মাধ্যমে পাওয়ারোগের নাম যৌনরোগ। যেমন সিফিলিস, গনোরিয়া এবং এইডস। এর মধ্যে সবেচেয়ে মারাত্মক হলো এইডস। সিফিলিস এবং গনোরিয়া হলো ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত রোগ। সিফিলিসেরজীবাণুর নাম ট্রিপেনোমা প্যালিডাম এবং গনোরিয়ার জীবাণুর নাম নাইসেরিয়া গনোরি। এইডস এর জীবাণুর নাম হলো হিউম্যান ইমিউনো ডেফিসিয়েন্সি ভাইরাস। কেউ সিফিলিস বা গনোরিয়া নামক যৌনরোগে আক্রান্ত হলে সময়মত এন্টিবায়োটিক প্রয়োগের মাধ্যমে ভালো হয়ে যাবেন। আর ভাইরাসের বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত কোনো কার্যকরী ওষুধ আবিষকার হয়নি বিধায় এইডস এ আক্রান্ত হলে তেমন কোনোচিকিৎসা নেই।
পুরুষের সিফিলিস হলে লিঙ্গের মাথায় গোটা বা ক্ষত হবে যা চিকিৎসা না করালেও কিছুদিনের মধ্যে ভালো হয়ে যাবে তবে পরবর্তীতে এ রোগ অন্যভাবে দেখা দিতে পারে। গনোরিয়া হলে মূত্রনালীতে ক্ষত হবে এবং পুঁজ বের হবে। যদি কোনো নারী-পুরুষের যৌনমিলনের সপ্তাহ খানেকের মধ্যে যৌন অঙ্গে উল্লেখিত ক্ষত বা পুঁজের সৃষ্টি হয় তবে হয়তবা তিনিসিফিলিস অথবা গনোরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। এইডস রোগ হলে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। যে সমস্ত জীবাণু মানুষের কোনো ক্ষতি করে না তখন তারাও বিভিন্নভাবে মানুষকে আক্রমণ করে। এ অবস্থায় কোনো রোগ দেখা দিলে সেটা থেকে তাকে সারিয়ে তোলা সম্ভব হয় না। সাধারণভাবে এ তিনটি যৌনরোগেই মানুষ বেশি আক্রান্ত হয়।
যৌন সমস্যা
যৌন সমস্যাকে অনেক সময় যৌন মানসিক সমস্যা বলা হয়ে থাকে। কারণ বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে যৌনসমস্যার ৯০ ভাগ কারণ হলো মানসিক। অর্থাৎ মানুষ যে কারণে যৌন সমস্যায় ভোগে তা সুস্থ মন মানসিকতার অভাবেই হয়ে থাকে। মানুষের যৌন জীবন একটি নির্দিষ্ট বয়সে শুরু হয়ে তা অনেকদিন একইরকম চলতে থাকে যদিও বয়সের সাথে সাথে কিছুটা কমতে থাকে। শেষ বয়সে শুরু হয়ে তা অনেকদিন একইরকম চলতে থাকে যদিও বয়সের সাথে সাথে কিছুটা কমতে থাকে। শেষ বয়সে হরমোনের অপর্যাপ্ততা এবং মন-মানসিকতার পরিবর্তনেরকারণে এমন হয়। মানুষভেদে কিছুটা ভিন্নতা থাকলেও সব মানুষই একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সক্রিয় যৌনজীবন যাপন করে। তবে বিভিন্ন কারণে মানুষের এই স্বাভাবিক যৌনজীবন বাধাগ্রস্ত হয়ে কিছু সমস্যার সৃষ্টি করে। একজন মানুষের সুস্থ যৌন জীবনে যখন কোনো অস্বাভাবিকতা আসে এবং স্বাভাবিক যৌন প্রক্রিয়ায় কোনো সমস্যা দেখা দেয়, সেই সমস্যাকে যৌন সমস্যা বলা হয়। অতএব,পাঠকবৃন্দ যৌন রোগ যা যৌনমিলনের মাধ্যমে একজনের থেকে অন্যজনের হয় সেটা স্বাভাবিক যৌনজীবনের সমস্যা অর্থাৎযৌনসমস্যা এক জিনিস নয়। সুতরাং যৌনরোগ এবং যৌন সমস্যা যখন দুটো আলাদা সমস্যা এদের চিকিৎসাও ভিন্ন। এখন দেখা যাক যৌন সমস্যা কি কি হতে পারে? এখানে একটি কথা জেনে রাখাদরকার তা হলো স্বাভাবিক যৌনজীবন সব মানুষের ক্ষেত্রে এরকম হবে না। মানুষের ব্যক্তিত্বে, স্বাদে, গন্ধে বর্ণে, রুচিতে যেমন ভিন্নতা আছে তেমনি যৌনজীবনেও ভিন্নতাথাকতে পারে। একজনের যৌন অভিজ্ঞতা বা সমস্যা অন্য জনের থেকে ভিন্ন হতে পারে।
যৌন সমস্যাঃ পুরুষের ক্ষেত্রে
১. যৌন ইচ্ছা কমে যাওয়া
২. যৌন অতৃপ্তি
৩. দ্রুত বীর্যপাত
৪. লিঙ্গের দৃড়তাজনিত সমস্যা
মেয়েদের ক্ষেত্রে
১. যৌন ইচ্ছা না হওয়া বা কমে যাওয়া
২. যৌন অতৃপ্তি
৩. কষ্টদায়ক যৌনমিলন
যৌন সমস্যা কেন হয়
আমরা আগেই বলেছি যেন সমস্যার মূল কারণই হলো মানসিক অর্থাৎ মনের ব্যাপার। মানসিক কারণ ছাড়া আর অন্য যে কারণগুলোরয়েছে ওইগুলো হলো ওষুধের প্রভাব। কিছু কিছু শারীরিক রোগ যেমন বহুমূত্র, কিছু কিছু স্নায়বিক সমস্যা, কিছু কিছু মূত্রনালী সংক্রান্ত রোগ ইত্যাদি। তবে আমাদের মূল আলোচ্য বিষয় হলো মনের ব্যাপার নিয়ে। একজন সুস্থ মানুষ তাকেই বলা যায় যিনি শারীরিক, মানসিক এবং সামাজিকভাবে সুস্থ। তেমনি একজন মানুষের সুস্থ যৌন জীবনের জন্য প্রয়োজন পরিপূর্ণ শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা। যে কোনো ধরনের আবেগ বা উদ্বেগ মানুষের বিষয় হলো মনের ব্যাপার নিয়ে। একজন সুস্থ মানুষ তাকেই বলা যায় যিনি শারীরিক, মানসিক এবং সামাজিকভাবে সুস্থ। তেমনি একজন মানুষের সুস্থ যৌন জীবনের জন্য প্রয়োজন পরিপূর্ণ শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা। যে কোনো ধরনের আবেগ বা উদ্বেগ মানুষের সুস্থ যৌনতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। উদ্বেগহলো মনের কারণের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যৌন সমস্যা বিয়ের আগে বা পরেও দেখা দিতে পারে। একটি কথা মনে রাখতে হবে যে সুস্থ যৌনজীবনেরও মাঝে মাঝে পারিপার্শ্বিকতার কারণে যৌন সমস্যা দেখা দিতে পারে তবে তা ক্ষণস্থায়ী এবং অনেকটা স্বাভাবিক বলা যেতে পারে। মানুষের সবকিছুতেই একটা কৌতূহল থাকে। সেটা যৌন ক্ষমতার বেলায়ও বাদ যায় না। বিবাহের পূর্বে প্রায় সব ছেলেদের মাঝে একটা ব্যাপার পরিলক্ষিত হয় তা হলো সে যৌনভাবে কতখানি যোগ্য। এ নিয়ে তার চিন্তার শেষ থাকে না। সমস্ত কাজকর্ম পড়াশোনা সবকিছুর মধ্যে তার মনের মধ্যে এ চিন্তাটি বিরাজ করে। ব্যাপারটি নিয়ে সে এতই উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠে যে বিবাহের পূর্বে সে একটা পরীক্ষা দিতে চায়। আর এজন্য নিষিদ্ধ স্থানে গমন করে। স্বাভাবিকভাবে নিষিদ্ধ স্থানে সে ব্যর্থ হয়। আর এ ব্যর্থতাতার মনের মধ্যে এ ধারণাই জন্ম দেয় যে সে যৌনভাবে সক্ষম নয়।

কোন মন্তব্য নেই :

বয়ঃসরি ঋতুসমস্যা বয়ঃসরি সময় অনেক মেয়েই ঋতুসমস্যায় জর্জরিত হয়ে যান। কিভাবে এ সমস্যার মোকাবিলা করবেন জেনে নিন। ২
কোন মন্তব্য নেই
ব্যথাজর্জর ঋতু
বয়ঃসন্ধিতে পিরিয়ড শুরু হওয়ার পর সাইকেলের মাঝে [সাধারণত ১৪ দিনে] ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু নিক্ষেপ সব সাইকেলে প্রথম দিকে হয় না। পরে ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরনের ধারাবাহিক ক্ষরণে ওভ্যুলেশন আস্তে আস্তে নিয়মিত হয়ে যায়। ওভ্যুলেশন হওয়া সাইকেলে পিরিয়ডের সময় পেটে কোমরে পায়ে একটু-আধটু ব্যথাবেদনা হয় অনেকেরই। কেউ কেউ এই সময় তীব্র যন্ত্রণায় কষ্ট পায়, আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। এরকম ব্যথাজর্জর ঋতু অনেক সময় ভয়ে আতঙ্কে দুঃসহ হয়ে ওঠে। মায়ের আশ্বাসে ব্যথা সহ্য করার ক্ষমতা বাড়ে, কমে কষ্ট। কেউ কেউ হটব্যাগ নিয়ে স্কুলে-কলেজে না গিয়ে শুয়ে থাকে,অবচেতনে বা সচেতনে চেষ্টা করে আরো মনোযোগ পাওয়ার। মনে রাখুন ব্যথা যতই হোক, স্বাভাবিক কাজকর্ম ব করলে, শুয়ে পড়লে চলবে না। হাঁটাচলা, কাজকর্ম চলুক অন্য দিনগুলোর মতো। খাওয়া-দাওয়া হোক স্বাভাবিক। একটু-আধটু ব্যায়াম, খেলাধুলা বা সাইক্লিং, রোজ যেমনটা হয়, চলবে স্বাভাবিকভাবে।
মোটা হওয়া, রোগা হওয়া
যৌবন এলে যৌবনের নিয়ম মেনে শরীরে চর্বি বেড়ে তার হাড় মাংস অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের বেড়ে ওঠায় ওজন কিছুটা বাড়ে হঠাৎ করে। এটাই স্বাভাবিক, এতে ভয় পাওয়ারকারণ নেই। তবে বয়ঃসন্ধিতে ওজন হঠাৎ করে খুব বেড়ে গেলেও, শরীর বিসদৃশভাবে স্থূল হয়ে গেলে দ্রুত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এক্ষেত্রে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ আর অন্তঃস্রাবী গ্রন্থি বিশেষজ্ঞদের (এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট) পরামর্শ নিতে হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা, খাওয়া-দাওয়া, ব্যায়াম ও প্রয়োজনে ওষুধপত্র-সবই চলবে বিশেষজ্ঞ যেভাবে বলবেন সেভাবে।
পিউবার্টি মেনোরেজিয়া
যা করবেন
*. ওকে আশ্বস্ত করুন, বলুন‘এরকম হতে পারে, এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই’
*. ওর খাওয়া-দাওয়ার দিকে নজর দিন
*. পিরিয়ড খুব বেশি হলে ওকে বিশ্রামে রাখুন
*. স্যানিটারি ডায়াপার ব্যবহার করতে দিন ওকে, শিখিয়ে দিন ডায়াপার ব্যবহারের পদ্ধতি
*. নজর রাখুন ব্লিডিং ঠিক কতটা হচ্ছে
*. বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন, তার পরামর্শ অনুযায়ী পরীক্ষা-নিরীক্ষা করান
*. ওষুধ খাওয়ান বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মেনে, সঠিক মাত্রায়, সঠিক সময়ে
যা করবেন না
*. নিজে আতঙ্কিত হবেন না, ওকে আতঙ্কগ্রস্ত করে তুলবেন না
*. ওর গোসল খাওয়ার দিকে নজর দিতে ভুলবেন না
*. পাড়া পড়শিকে বেশি ভিড় করতে বা পরামর্শ দিতে দেবেন না
*. এর ওর কথায় টোটকা করতে বা ওষুধ খাওয়াতে যাবেন না
*. স্যানিটারি ন্যাপকিনেরবদলে নোংরা কাপড় ব্যবহার করতে দেবেন না
*. ওকে বারবার আশ্বাস দিতে ভুলবেন না *. ডাক্তার নন এমন ডাক্তারের পরামর্শ ভুলেও নেবেন না।
সংকলিত

কোন মন্তব্য নেই :

বয়ঃসরি ঋতুসমস্যা বয়ঃসরি সময় অনেক মেয়েই ঋতুসমস্যায় জর্জরিত হয়ে যান। কিভাবে এ সমস্যার মোকাবিলা করবেন জেনে নিন। ১
কোন মন্তব্য নেই
মেয়েদের যৌবন আসে শরীরের নানা গ্রন্থির পরিণত হয়ে পরসপরনির্ভর কাজকর্ম শুরু হওয়ার জন্য। মগজের হাইপোথ্যালামাস আর পিটুইটারি গ্রন্থি, কিডনির মাথায় বসে থাকা অ্যাড্রেনাল গ্রন্থি আর জরায়ুর দু’পাশে থাকা দুটোডিম্বাশয়ের পরিণত অবস্থাপ্রাপ্তিতে শুরু হয় নির্দিষ্ট হরমোন বা রসের ক্ষরণ।
পিটুইটারি থেকে গ্রোথ হরমোনের ক্ষরণ শুরু হওয়ায় হঠাৎ বেড়ে ওঠে শরীর, ওই গ্রন্থির FSH আর LH এই দুই হরমোন গিয়ে ডিম্বাশয়কে উদ্দীপত করে স্ত্রী যৌন হরমোন ইস্ট্রোজেন আর প্রোজেস্টেরন নিঃসরণে। ইস্ট্রোজেনের প্রভাবে বদলে যায় স্তন-অঙ্কুর। শরীর বদলে যায় মেয়েলি গড়নে, যোনি আর জরায়ু পরিণত হয়ে ওঠে। অ্যাড্রেনাল গ্রন্থির হরমোন অ্যানড্রোজেনের প্রভাবে শরীরের বিশেষ অঞ্চলে দেখা দেয় কেশপ্রাবল্য। এরপর আসে প্রথম রজঃদর্শনের পালা। রজঃদর্শন শুরু হয় জরায়ুর ভেতরকার আবরণী এন্ডোমেট্রিয়ামের ওপর ইস্ট্রোজেনের প্রতিক্রিয়ায়। নিয়মিত ঋতুচত্র তৈরি হয় এন্ডোমেট্রিয়ামের ওপর ইস্ট্রোজেন আর প্রোজেস্টেরনের প্রভাবে।
প্রথম রজঃদর্শন সাধারণত ঘটে ১২-১৩ বছর বয়সে। তবে যথেষ্ট পুষ্টি আর স্বাস্থ্যের গুণে আজকাল আরো কম বয়সে, এমনকি ৮-৯ বছর বয়সেও দেখা দিতে পারেএরকম মেয়েলি বৈশিষ্ট্য। রজঃদর্শনের পর মেয়েলি বিশেষত্বগুলো আরো প্রকট হতে থাকে। মাথায় রাখুন, যৌবন শুরুর এরকম পরিবর্তনগুলো দুম করে আসে না, আসে ধাপে ধাপে, বেশ কয়েক বছর সময়কাল জুড়ে। এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে বালিকা কিশোরী হয়ে আস্তে আস্তে বদলে যাননারীতে। বদলে যায় শুধু শরীর নয়, মনটাও।
বিলম্বিত রজঃদর্শন
অনেক সময় ১৩-১৪ বছর বয়সেওপিরিয়ড শুরু না হলে মেয়েদের মায়েরা ভয় পান। এনিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। ১৭-১৮ বছরে, এমনকি ২০ বছরেও প্রথম রজঃদর্শনের ঘটনা ঘটে। দেখতে হবে শারীরিক পরিবর্তনগুলো আসছে কি না। শরীরে সব মেয়েলি পরিবর্তন [মেয়েলি গড়ন, স্তনের বৃদ্ধি, বিশেষ অঞ্চলে কেশবাহুল্য ইত্যাদি] এসেও পিরিয়ড শুরু না হলে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।শরীরে পরিবর্তন সেভাবে আসেনি, দেখা দেয়নি রজঃদর্শন- এরকম হলে নিশ্চিন্ত থাকুন। অপেক্ষা করুন ১৮ বছর পর্যন্ত। ১৮ বছরেও কোনো মেয়ে ঋতুবতী না হলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেবেন। তার পরামর্শ অনুযায়ী করতে হবে নানা ধরনের পরীক্ষা। যেমন ক্রোমোসোম স্টাডি, রক্তের থাইরয়েড হরমোন, প্রোল্যাকটিন, FSH হরমোনমেপে দেখা; মাথার খুলির এক্স-রে বা স্ক্যান। এরকম স্ক্যান বা এক্স-রে ছাড়াও এখন এমআরআই করে পিটুইটারি গ্রন্থির অবস্থা দেখা যায় দরকার হলে। আলট্রাসনোগ্রাফি করে দেখা হয় জরায়ু আর ডিম্বাশয়ের অবস্থা, অবশ্যই দরকার পড়লে। বেশিরভাগ সময় এরকম পরীক্ষা-নিরীক্ষার দরকারপড়ে না। বয়স বাড়লে সমস্যামেটে আপনা থেকেই। দরকার হয় শুধু আশ্বস্ত থাকার। অকারণ ভয় বা দুশ্চিন্তা দূরে ঠেলে নিশ্চিন্ত হওয়ার। সামান্য কিছু ক্ষেত্রে পরীক্ষায় সমস্যা ধরা পড়লে মূল সমস্যার চিকিৎসা দরকার হতে পারে।
ত্বরান্বিত রজঃদর্শন
স্ত্রীরোগ শাস্ত্রে এরকমসমস্যা হলো ‘প্রিকশিয়াস পিউবার্টি’। নয় থেকে বারোবছরের মধ্যে আজকাল প্রথম পিরিয়ড শুরু হওয়ার ঘটনা বিরল নয়, এটা অস্বাভাবিক কোনো ঘটনা নয়। এরকম হলে বিশেষ দায়িত্ব মেয়ের মা বা অভিভাবিকার। মেয়েটিকেবোঝাতে হবে, সব মেয়েরই এটা হয়। এরকম স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় ব্যাপারকে নিয়ে আতঙ্কের বা ভয়ের কোনো কারণ নেই। মা ভয় পেলে, দুশ্চিন্তায় ভুগলে মেয়ে আরো বেশি ভয় পাবে। মেনস্ট্রুয়েশন আর পিরিয়ডের বিজ্ঞান জেনে-বুঝে নিয়ে সহজ-সরলভাবে বুঝিয়ে দেবেন মা, এমনটাই হওয়া বাঞ্ছনীয়। এতে রজঃদর্শন নিয়ে স্বচ্ছ বাস্তবসমমত দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে ওঠে মেয়ের মনে। স্বাস্থ্যচেতনার অভাবে বহু মা এই কাজটা না করে উলটো ভেঙে পড়ে মেয়ের সমস্যা আরো বাড়ান। আট বছরের আগে কোনো মেয়ে ঋতুবতী হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে হতে পারে। মস্তিষ্কের নির্দিষ্ট টিউমার, মেনিনজাইটিস, এনকেফালাইটিস, ওভারির নির্দিষ্ট টিউমার বা হাইপোথাইরয়েডের কারণে এরকম হতে পারে। মূল কারণ খুঁজে পেলে এবং তার চিকিৎসা করলে সমস্যা মিটতে পারে। এরকম হয় খুব ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রে। নয়-দশ বছর বয়সে বা তারও আগে রজঃদর্শন বেশিরভাগ সময় হাইপোথ্যালামাস-পিটুইটারি-ওভারির পরসপরনির্ভর ক্ষরণ হঠাৎ করে আগে শুরু হয়ে যাওয়ার জন্য ঘটে। ব্যাপারটা বুঝিয়ে বলা, বারবার আশ্বাস দেয়া আর মেনস্ট্রুয়েশনে জীবাণুমুক্ত ডায়াপার ব্যবহার করতে দেয়া-এক্ষেত্রে এছাড়া অন্য কোনো ওষুধ বা চিকিৎসার দরকার নেই।অনিয়মিত ঋতুচক্র
যৌবন শুরুর বছরগুলোতে পিরিয়ডের অনিয়ম অস্বাভাবিক কিছু নয়। হয়তো প্রথম রজঃদর্শনের পর বেশ কয়েক মাস ব রইল ঋতু বা বেশ কয়েক মাস নিয়মিত পিরিয়ডের পর দুম করে ঋতু ব হয়ে গেল। রজঃদর্শনের জন্য দায়ী হরমোনগুলোর ক্ষরণ পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে কয়েক বছর সময় লাগে অনেকেরই। ঋতুবতী হওয়ার পর অনিয়মিত ঋতুচক্রের মূল কারণ হলো এই। এতে উদ্বেগের বা দুশ্চিন্তারকোনো কারণ নেই। শুধু নজর রাখতে হবে কোনো সুযোগসানী পুরুষ মেয়েটিরকোনো ক্ষতি করছে কি না। ঋতুর স্বল্পতা
কেউ কেউ যৌবনারম্ভের বছরগুলোতে দিনে ও পরিমাণে কম মেনস্ট্রুয়েশনের সমস্যায় ভোগে। বাস্তবে এটা তেমন কোনো সমস্যা নয়,বেশিরভাগ কম বয়সী মেয়ের বেলায় সমস্যাটা সাময়িক। হতে পারে যে এটা স্বাভাবিক ঘটনা। আবার খুব রোগা শরীর, শারীরিক অপুষ্টি বা দুর্বলতা, বেশি অ্যানিমিয়া অথবা অন্য কিছু সমস্যাতেও এরকম হতে পারে। একটানা এরকম হতে থাকলে, শরীর খুববেশি রোগা হলে বা সঙ্গে অন্য উপসর্গ থাকলে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়ার দরকার হতে পারে। তবে মাথায় রাখুন, যে কোনো বয়সে পিরিয়ড কম হলে ‘শরীরে বদরক্ত জমে রোগ’ হওয়ার ধারণা শুধু হাস্যকর নয়, চূড়ান্ত অবৈজ্ঞানিক। পিরিয়ডের রক্ত শরীরের রক্তের মতোই,এতে এন্ডোমেট্রিয়ামের ঝরে যাওয়া কোষ ও অন্য কিছু বস্তু থাকলে এর সঙ্গে কোনো দূষিত পদার্থ বা টক্সিন শরীর থেকে বেরিয়ে আসে না।

আরো
পড়তে থাকুন ২

কোন মন্তব্য নেই :

বয়ঃসরি ঋতুসমস্যা বয়ঃসরি সময় অনেক মেয়েই ঋতুসমস্যায় জর্জরিত হয়ে যান। কিভাবে এ সমস্যার মোকাবিলা করবেন জেনে নিন। ১
কোন মন্তব্য নেই
মেয়েদের যৌবন আসে শরীরের নানা গ্রন্থির পরিণত হয়ে পরসপরনির্ভর কাজকর্ম শুরু হওয়ার জন্য। মগজের হাইপোথ্যালামাস আর পিটুইটারি গ্রন্থি, কিডনির মাথায় বসে থাকা অ্যাড্রেনাল গ্রন্থি আর জরায়ুর দু’পাশে থাকা দুটোডিম্বাশয়ের পরিণত অবস্থাপ্রাপ্তিতে শুরু হয় নির্দিষ্ট হরমোন বা রসের ক্ষরণ।
পিটুইটারি থেকে গ্রোথ হরমোনের ক্ষরণ শুরু হওয়ায় হঠাৎ বেড়ে ওঠে শরীর, ওই গ্রন্থির FSH আর LH এই দুই হরমোন গিয়ে ডিম্বাশয়কে উদ্দীপত করে স্ত্রী যৌন হরমোন ইস্ট্রোজেন আর প্রোজেস্টেরন নিঃসরণে। ইস্ট্রোজেনের প্রভাবে বদলে যায় স্তন-অঙ্কুর। শরীর বদলে যায় মেয়েলি গড়নে, যোনি আর জরায়ু পরিণত হয়ে ওঠে। অ্যাড্রেনাল গ্রন্থির হরমোন অ্যানড্রোজেনের প্রভাবে শরীরের বিশেষ অঞ্চলে দেখা দেয় কেশপ্রাবল্য। এরপর আসে প্রথম রজঃদর্শনের পালা। রজঃদর্শন শুরু হয় জরায়ুর ভেতরকার আবরণী এন্ডোমেট্রিয়ামের ওপর ইস্ট্রোজেনের প্রতিক্রিয়ায়। নিয়মিত ঋতুচত্র তৈরি হয় এন্ডোমেট্রিয়ামের ওপর ইস্ট্রোজেন আর প্রোজেস্টেরনের প্রভাবে।
প্রথম রজঃদর্শন সাধারণত ঘটে ১২-১৩ বছর বয়সে। তবে যথেষ্ট পুষ্টি আর স্বাস্থ্যের গুণে আজকাল আরো কম বয়সে, এমনকি ৮-৯ বছর বয়সেও দেখা দিতে পারেএরকম মেয়েলি বৈশিষ্ট্য। রজঃদর্শনের পর মেয়েলি বিশেষত্বগুলো আরো প্রকট হতে থাকে। মাথায় রাখুন, যৌবন শুরুর এরকম পরিবর্তনগুলো দুম করে আসে না, আসে ধাপে ধাপে, বেশ কয়েক বছর সময়কাল জুড়ে। এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে বালিকা কিশোরী হয়ে আস্তে আস্তে বদলে যাননারীতে। বদলে যায় শুধু শরীর নয়, মনটাও।
বিলম্বিত রজঃদর্শন
অনেক সময় ১৩-১৪ বছর বয়সেওপিরিয়ড শুরু না হলে মেয়েদের মায়েরা ভয় পান। এনিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। ১৭-১৮ বছরে, এমনকি ২০ বছরেও প্রথম রজঃদর্শনের ঘটনা ঘটে। দেখতে হবে শারীরিক পরিবর্তনগুলো আসছে কি না। শরীরে সব মেয়েলি পরিবর্তন [মেয়েলি গড়ন, স্তনের বৃদ্ধি, বিশেষ অঞ্চলে কেশবাহুল্য ইত্যাদি] এসেও পিরিয়ড শুরু না হলে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।শরীরে পরিবর্তন সেভাবে আসেনি, দেখা দেয়নি রজঃদর্শন- এরকম হলে নিশ্চিন্ত থাকুন। অপেক্ষা করুন ১৮ বছর পর্যন্ত। ১৮ বছরেও কোনো মেয়ে ঋতুবতী না হলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেবেন। তার পরামর্শ অনুযায়ী করতে হবে নানা ধরনের পরীক্ষা। যেমন ক্রোমোসোম স্টাডি, রক্তের থাইরয়েড হরমোন, প্রোল্যাকটিন, FSH হরমোনমেপে দেখা; মাথার খুলির এক্স-রে বা স্ক্যান। এরকম স্ক্যান বা এক্স-রে ছাড়াও এখন এমআরআই করে পিটুইটারি গ্রন্থির অবস্থা দেখা যায় দরকার হলে। আলট্রাসনোগ্রাফি করে দেখা হয় জরায়ু আর ডিম্বাশয়ের অবস্থা, অবশ্যই দরকার পড়লে। বেশিরভাগ সময় এরকম পরীক্ষা-নিরীক্ষার দরকারপড়ে না। বয়স বাড়লে সমস্যামেটে আপনা থেকেই। দরকার হয় শুধু আশ্বস্ত থাকার। অকারণ ভয় বা দুশ্চিন্তা দূরে ঠেলে নিশ্চিন্ত হওয়ার। সামান্য কিছু ক্ষেত্রে পরীক্ষায় সমস্যা ধরা পড়লে মূল সমস্যার চিকিৎসা দরকার হতে পারে।
ত্বরান্বিত রজঃদর্শন
স্ত্রীরোগ শাস্ত্রে এরকমসমস্যা হলো ‘প্রিকশিয়াস পিউবার্টি’। নয় থেকে বারোবছরের মধ্যে আজকাল প্রথম পিরিয়ড শুরু হওয়ার ঘটনা বিরল নয়, এটা অস্বাভাবিক কোনো ঘটনা নয়। এরকম হলে বিশেষ দায়িত্ব মেয়ের মা বা অভিভাবিকার। মেয়েটিকেবোঝাতে হবে, সব মেয়েরই এটা হয়। এরকম স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় ব্যাপারকে নিয়ে আতঙ্কের বা ভয়ের কোনো কারণ নেই। মা ভয় পেলে, দুশ্চিন্তায় ভুগলে মেয়ে আরো বেশি ভয় পাবে। মেনস্ট্রুয়েশন আর পিরিয়ডের বিজ্ঞান জেনে-বুঝে নিয়ে সহজ-সরলভাবে বুঝিয়ে দেবেন মা, এমনটাই হওয়া বাঞ্ছনীয়। এতে রজঃদর্শন নিয়ে স্বচ্ছ বাস্তবসমমত দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে ওঠে মেয়ের মনে। স্বাস্থ্যচেতনার অভাবে বহু মা এই কাজটা না করে উলটো ভেঙে পড়ে মেয়ের সমস্যা আরো বাড়ান। আট বছরের আগে কোনো মেয়ে ঋতুবতী হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে হতে পারে। মস্তিষ্কের নির্দিষ্ট টিউমার, মেনিনজাইটিস, এনকেফালাইটিস, ওভারির নির্দিষ্ট টিউমার বা হাইপোথাইরয়েডের কারণে এরকম হতে পারে। মূল কারণ খুঁজে পেলে এবং তার চিকিৎসা করলে সমস্যা মিটতে পারে। এরকম হয় খুব ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রে। নয়-দশ বছর বয়সে বা তারও আগে রজঃদর্শন বেশিরভাগ সময় হাইপোথ্যালামাস-পিটুইটারি-ওভারির পরসপরনির্ভর ক্ষরণ হঠাৎ করে আগে শুরু হয়ে যাওয়ার জন্য ঘটে। ব্যাপারটা বুঝিয়ে বলা, বারবার আশ্বাস দেয়া আর মেনস্ট্রুয়েশনে জীবাণুমুক্ত ডায়াপার ব্যবহার করতে দেয়া-এক্ষেত্রে এছাড়া অন্য কোনো ওষুধ বা চিকিৎসার দরকার নেই।অনিয়মিত ঋতুচক্র
যৌবন শুরুর বছরগুলোতে পিরিয়ডের অনিয়ম অস্বাভাবিক কিছু নয়। হয়তো প্রথম রজঃদর্শনের পর বেশ কয়েক মাস ব রইল ঋতু বা বেশ কয়েক মাস নিয়মিত পিরিয়ডের পর দুম করে ঋতু ব হয়ে গেল। রজঃদর্শনের জন্য দায়ী হরমোনগুলোর ক্ষরণ পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে কয়েক বছর সময় লাগে অনেকেরই। ঋতুবতী হওয়ার পর অনিয়মিত ঋতুচক্রের মূল কারণ হলো এই। এতে উদ্বেগের বা দুশ্চিন্তারকোনো কারণ নেই। শুধু নজর রাখতে হবে কোনো সুযোগসানী পুরুষ মেয়েটিরকোনো ক্ষতি করছে কি না। ঋতুর স্বল্পতা
কেউ কেউ যৌবনারম্ভের বছরগুলোতে দিনে ও পরিমাণে কম মেনস্ট্রুয়েশনের সমস্যায় ভোগে। বাস্তবে এটা তেমন কোনো সমস্যা নয়,বেশিরভাগ কম বয়সী মেয়ের বেলায় সমস্যাটা সাময়িক। হতে পারে যে এটা স্বাভাবিক ঘটনা। আবার খুব রোগা শরীর, শারীরিক অপুষ্টি বা দুর্বলতা, বেশি অ্যানিমিয়া অথবা অন্য কিছু সমস্যাতেও এরকম হতে পারে। একটানা এরকম হতে থাকলে, শরীর খুববেশি রোগা হলে বা সঙ্গে অন্য উপসর্গ থাকলে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়ার দরকার হতে পারে। তবে মাথায় রাখুন, যে কোনো বয়সে পিরিয়ড কম হলে ‘শরীরে বদরক্ত জমে রোগ’ হওয়ার ধারণা শুধু হাস্যকর নয়, চূড়ান্ত অবৈজ্ঞানিক। পিরিয়ডের রক্ত শরীরের রক্তের মতোই,এতে এন্ডোমেট্রিয়ামের ঝরে যাওয়া কোষ ও অন্য কিছু বস্তু থাকলে এর সঙ্গে কোনো দূষিত পদার্থ বা টক্সিন শরীর থেকে বেরিয়ে আসে না।

আরো
পড়তে থাকুন ২

কোন মন্তব্য নেই :

নারীর যৌনানুভূতি ২ আরিফ মাহমুদ সাহাবুল

কোন মন্তব্য নেই
লেবিয়া মেনোরা ও লেবিয়া মেজোরা
এ দুটি অংশ হচ্ছে নারীর যোনি পথ তথা যোনিমুখের বাইরের দিকের দুটি ছোট ও বড় দরজা বিশেষ। লেবিয়া মেজোরা বা বৃহৎ ভগৌষ্ঠ হচ্ছে যোনি মুখের বড় দরজা। এগুলো দেখতে অনেকটা ঠোঁটের মত। এটি উপরের দিকে অবস্থিত মন্স পিউবিস অর্থাৎ কামাদ্রিরনিচের দিক হতে আরম্ভ হয়ে মাঝখানে দুভাগ হয়ে যোনি মুখের দু’পাশ দিয়ে এসে নিচের দিকে পেরিনিয়াম পর্যন্ত চলে এসেছে এবং সেখানকার দু’পাশের চর্মের সঙ্গে মিশে গেছে। লেবিয়া মেজোরার ভেতরের সমৃণ অংশ বহু মেদস্রাবীগ্রন্থি বা গ্ল্যান্ড আছে। লেবিয়া মেজোরার ভেতরের দিকেও যোনি মুখের উভয় পাশে থাকেছোট দুটি ঠোঁটের মত দেখতেক্ষুদ্র ভগৌষ্ঠ বা লেবিয়া মেনোরা। ভগাঙ্কুরের দু’পাশ দিয়ে নেমে এসে এটি যোনি পথ তথাযোনি মুখের দুটি দরজা বানিয়েছে। এই অংশ দুটি বেশ সূক্ষ্ম বা পাতলা এবংশ্লৈস্মিক ঝিল্লি দিয়ে গঠিত হওয়ায় খুব কোমল ও নরম। যোনি যখন প্রসারিত হয় অর্থাৎ যোনিতে যখন পুরুষ তার লিঙ্গ প্রবেশ করায় তখন এই ঠোঁট দুটি দু’পাশে সরে যায়। কুমারী মেয়েদের সন্তান হবার আগে যোনি মুখের এই দরজা ব অবস্থায় থাকে। তবে সন্তান হয়ে যাবার পর তা কিছুটা খোলা অবস্থাতেই থেকে যায়। এই আবরণ দুটি দরজার দু’খানা কপাট বা পাল্লার মত। প্রয়োজনে তা ব হয়ে গিয়ে যোনিমুখ ঢেকে রাখে এবং ঠিক সময়ে খুলে গিয়ে কিংবা সরে গিয়ে যোনিমুখকে আলগা করে দেয়। এই দুটি চামড়ার পুরু পর্দাটি অত্যন্ত অনুভূতিপ্রবণ এবং এখানে সপর্শ লাগা মাত্রই নারী কামোত্তেজনায় উত্তেজিত হয়ে পড়ে। নারী তখন সেক্স কামনা করতে শুরু করে।
মন্স পিউবিস বা কামাদ্রি
এই জায়গাটি থাকে যৌন কেশেআবৃত। বিশেষ করে এই যৌন কেশগুলো মলদার বা পায়ু পর্যন্ত ছড়িয়ে থাকে। স্ত্রী দেহের উরুদ্বয় যেখানে এসে উদরের নিম্নভাগে মিশেছে সেই দুই অংশের মধ্যবর্তী স্থানে মন্স পিউবিস বা কামদ্রি অবস্থিত। অর্থাৎপিউবিসের উপরে চর্বি ও মাংসযুক্ত যে উঁচু গোলাকার ঢিবির মত অংশ আছেতাকেই বলে কামাদ্রি। এটি যোনি প্রদেশের খুব উঁচু ওচওড়া মাংসপিন্ড এবং এটি যৌন অনুভূতিশীল যৌন সঙ্গমের সময় ঘর্ষণের ফলে এখানে এক প্রকার সুখের অনুভূতি সৃষ্টি হয়। আর এইসুখানুভূতি কমোত্তেজনার পক্ষে দারুণ সহায়ক ও চমৎকার উপভোগ্যময়।
ক্লাইটোরিস বা ভগাঙ্কুর
এটি মন্স পিউবিসের নিচে অবস্থিত এবং লেবিয়া মেজোরার ঠিক উপরে এর অবস্থান। এটি একটি ছোট অঙ্গ। এক খন্ড ছোট উঁচু মাংসপিন্ড। এটি লম্বায় প্রায় ১/৪-১/৫ ইঞ্চি বা ১/২ ইঞ্চি পর্যন্ত হয়ে থাকে। বৃহৎ ভগৌষ্ঠদ্বয় বা লেবিয়া মেজোরা ফাঁক করলেই উপরের দিকে অবস্থিত এই ক্লাইটোরিস বা ভগাঙ্কুরটি দেখা যায়। ভগাঙ্কুরের আকার নিয়ে অনেকেই দ্বিমত পোষণ করে থাকেন। কিন্তু এর আকারের খুব একটা পার্থক্য বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে দৃষ্টিগোচর হয় না বললেই চলে। এই ক্লাইটোরিসের দু’পাশ দিয়ে লেবিয়া মেনোরার দুটি দরজা অর্থাৎ ক্ষুদ্র ভগৌষ্ঠদ্বয় নিচের দিকে নেমে গেছে। ক্ষুদ্র ভগৌষ্ঠদ্বয়ের উপরের অংশ দ্বারা ক্লাইটোরিসটি ঘোমটার মত ঢাকা থাকে। ক্লাইটোরিসের উপরে যে চর্মের আবরণ থাকে তাকে বলে প্রিপিউস অফ ক্লাইটোরিস। পুরুষাঙ্গের অগ্রচ্ছাদার মত এটিও হচ্ছে ক্লাইটোরিসের অগ্রচ্ছাদ। আর ক্লাইটোরিসের অগ্রভাগে একটি ক্ষুদ্র মত মাংসের পিন্ড আছে একে বলে গ্ল্যান্স অফ ক্লাইটোরিস। এটি ছেলেদেরগ্ল্যান্স পেনিস বা লিঙ্গ মুন্ডের অনুরূপ এবং ক্লাইটোরিসের এই অংশটি হচ্ছে অত্যন্ত যৌন অনুভূতিশীল। ক্লাইটোরিস হচ্ছে নারী দেহের সবচেয়ে উত্তেজক ও সপর্শকাতর ক্ষুদ্র যৌন অঙ্গ বিশেষ (সেনসিটিভ পার্ট)। এটি সপর্শ করলে নারীরা সহজেই এবং শীঘ্রই যৌনকামনায় উত্তেজিত ও শিহরিত হয়ে যৌন অনুভূতি ও সেক্সের তীব্রতা পায় এবং নারী যৌনমিলনে চমৎকার মনমাতানো তীব্র তৃপ্তি ও স্বাদ পেয়ে থাকে এবং পেয়েথাকে অবর্ণনীয় চমৎকার যৌন সুখ। ক্লাইটোরিস বা ভগাঙ্কুর আকার ও আকৃতিতে এতটা ছোট অথচ এর সপর্শকাতরতা এবং সেক্স উত্তেজনা গ্রহণের মাত্রাখুব বেশি ও গভীর। মজার কথা হল এর সাথে ছেলেদের লিঙ্গের অনেক দিক থেকেই মিল আছে। তাই একে পুরুষাঙ্গের সমতুল্য যন্ত্রও মনে করা হয়। উত্থানশীল টিস্যু দিয়ে গঠিত হওয়ায় উত্তেজিত হলে এটি ছেলেদের লিঙ্গের মতোই শক্ত ও খাড়া হয়ে থাকে। অতএব এসব দিক থেকে বিবেচনা করে একথা নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, সেক্সের ‘চরম সুখের’ ক্ষেত্রে ক্লাইটোরিস বা ভগাঙ্কুরের গুরুত্ব সর্বাধিক।

কোন মন্তব্য নেই :

নর-নারীর যৌনানুভূতি আরিফ মাহমুদ সাহাবুল

কোন মন্তব্য নেই
নারীদেহের যৌন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ (ফিমেল সেক্স অর্গান)
নারী দেহের যৌন বা সেক্স অঙ্গ প্রত্যঙ্গগুলোর সংখ্যা অনেক। এগুলো অঙ্গ প্রত্যঙ্গ কমবেশি যৌন অনুভূতি ও যৌনময়তা সৃষ্টি করে থাকে সুচারুভাবে। নারীর এই সব যৌন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ বা যৌনাঞ্চলগুলো হল-
*. নারীর যৌন কেশ
*. নারীর সুডোল আকর্ষণীয় স্তন
*. মূত্রধার
*. মূত্রনালী
*. ফ্যালোপিয়ান টিউব বা ডিম্বকোষবাহী নালী
*. গর্ভাশয়
*. ডিম্বাশয়
*. ফিমব্রিয়া
*. জরায়ু
*. জরায়ুর মুখ
*. জরায়ুর নল
*. ব্লাডা
*. পিউবিক বোন
*. সারভিক্স
*. বার্থোলিন গ্রন্থি
*. যোনি
*. যোনি গহ্বর
*. যোনি পথ
*. ভগাঙ্কুর বা ক্লাইটোরিস
*. ক্ষুদ্র ভগৌষ্ঠ বা লেবিয়া মেনোরা
*. বৃহৎ ভৌগষ্ঠ বা লেবিয়া মেজোরা
*. ভালভা
*. সতীচ্ছেদ বা হাইমেন
*. এনডোমেট্রিয়াম
*. মন্স পিউবিক
*. পায়ু বা এনাল
*. কোমল আকর্ষণীয় নিতম্ব
*. কোমল বাহু
*. পেলব সমৃণ শিহরণ সৃষ্টিকারী উরু
*. সমৃণ কমনীয় কাঁধ-স্ক ইত্যাদি।
নারীর স্তন সৌন্দর্যের পিরামিড
নারীর স্তন দুটির সাথে তাদের যৌন ইন্দ্রিয়ের সুন্দর সম্পর্ক আছে। যৌবন আরম্ভের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত নারী ও পুরুষের স্তনের কোনোরূপ পার্থক্যদেখা যায় না। তাদের গঠন একই রকম থাকে। অর্থাৎ কি না নারী ও পুরুষের স্তনেরকোনো বিকাশ কৈশরে দেখা যায় না। কিন্তু যৌবন আগমনের সাথে সাথে যৌন হরমোনের জাদুকরী প্রভাবেজনন ইন্দ্রিয়ের সঙ্গে সঙ্গে নারীর স্তনযুগল পরিপুষ্ট ও বৃদ্ধিপ্রাপ্ত, সুডোল এবং কমনীয় হতে থাকে। নারীর স্তনের বিকাশ ঘটে বয়ঃপ্রাপ্তির পরে থেকে। তবে কোনো কোনো মেয়ের বুক খুব ছোট বেলা থেকেই স্ফীতহতে দেখা যায়। আবার অনেক মেয়ের ব্রেস্টের স্ফীতি খুব একটা হয় না। নারীর স্তনের আকৃতি মোটামুটি বিকশিত ও বর্ধিত হয় সাধারণত ১০-১২ বছর বয়সে। এই সময়ে স্তনবৃন্তের আকৃতির পরিবর্তন হতে দেখা যায়। স্তনবৃন্তকে ইংরেজিতে এরিওলা বলে। এটি খুবই সপর্শকাতর। স্তনের স্বাভাবিক বিকাশ প্রাকৃতিকভাবেই হয়ে থাকে। নারীর স্তন বৃদ্ধির স্বাভাবিক বয়সসীমা ১১-২০ বছর বয়স পর্যন্ত। এই সময়ে স্তনের গঠন পরিপূর্ণতা লাভ করে। আকার অনুযায়ী স্তনকে বিভিন্নভাগে
ভাগ করা যায় যেমন-
*. বৃত্তাকার বা গোলাকার
*. উন্নত-সুঠাম সুডোল
*. মোচাকৃতি
*. ঈষৎ অবনত এবং
*. লম্বিত
স্তনের গঠন
তলের বা নিচের অংশে থাকে প্যাকটোলরিস মেজর পেশি। তার উপরের দিকে থাকে ফাইব্রাস আবরণ। তার পরে থাকে কতগুলো ঢিলা এরিওলা পেশি এবং ফ্যাটি পেশি। তার সঙ্গে থাকে স্থিতিস্থাপক বা ইলাস্টিক কোষ। এর মধ্যে অনেকগুলো ম্যামারি গ্ল্যান্ড থাকে যা দুধ নিঃসরণ করে। ম্যামারি গ্ল্যান্ড থেকে আসে কতগুলো অংশ। এদেরকে বলে লবিউলস। লবিউলস থেকে দুধ ল্যাকটিফরাস নালী দিয়ে বের হয়ে আসে স্তনের বোঁটায়। স্তনে থাকে অসংখ্য ধমনি, শিরা, উপশিরা ইত্যাদি। স্তনের গঠন এবং বৃদ্ধি ও সতেজতায়সাহায্য করে
থাকে কতগুলো হরমোন। এগুলো হল-
*. পিটুইটারি হরমোন
*. ডিম্বাশয় নিঃসৃত হরমোন
*. এড্রেনাল গ্রন্থির একটি গোনার্ড হরমোন।
নারীর স্তনে থাকে মেদের সঞ্চার এবং এর মধ্যকার গ্রন্থিগুলো বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়ে স্তন দুটি উন্নত, ভরাট এবং নরমতুলতুলে ও আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। মাসিক পিরিয়ডের সময় নারীর স্তন আকারে কিছুটা বড় হয়। এছাড়া গর্ভকালে ও সন্তান জন্মাবার পরে, দুগ্ধ ক্ষরণকালেও স্তন দুটি আকারে অনেক বড় হয়। সন্তান হবার পর নারীর স্তন অধিক ভারী হয়ে যায়। এটাও স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় কারণেই হয়েথাকে। এটি একটি বৈজ্ঞানিক ধারণা যে বহু নারী তার স্তনের আকার নিয়ে সন্তুষ্ট নয় এবং এমনকি কেউ কেউ তো এ ব্যাপারে হতাশায় ভুগতে ভুগতে শেষে ডাক্তারের পরামর্শও গ্রহণ করে থাকেন।
বিভিন্ন বয়সে যৌন স্বাস্থ্যের পরিবর্তনের সাথে সাথে নারীর স্তনের আকারে পরিবর্তন আসে। তবে সবচেয়ে বেশি পরিবর্তন আসে সাধারণত সন্তান জন্মের পরেই। এছাড়াও সাধারণত ৩৫ বছর বয়সের পরেনারীর স্তন এমনিতেই একটু বড় হয়ে যায়। পাশ্চাত্য অনেক টিনেজ মেয়ের বুক উন্নত ও বড় আকারের হয়ে থাকে। এর কারণ হল জেনেটিকবা বংশগত। তবে আবহাওয়াগত একটি কারণ এক্ষেত্রে রয়েছে। বড় স্তন অনেক নারীর জন্য আকাঙ্ক্ষিত। আবার অনেক নারী তা খুব পছন্দও করে না। অনেক নারীর মতে শরীরের গঠনের সাথে মানানসই স্তনই সবচেয়ে আকর্ষণীয় এবং একই সাথে সবচেয়ে বেশি যৌন আবেদনময়ী বা সেক্সি। মেনোপোজের পর নারীদের স্তন ক্রমশ শুকিয়ে আসে এবং বয়স একটু বাড়লে স্তন দুটি তখন ঝুলে পড়ে।
স্তনের অগ্রভাগে মাঝখানেগোলাকার ছোট, উঁচু মাংসমতপিন্ড দেখা যায় তাকে বলে স্তনের বোঁটা বা ব্রেস্ট নিপল। এটির সাথে সেক্সের দারুণ যোগাযোগ রয়েছে। যৌন উত্তেজনা বা সেক্সের সময় এই বোঁটাটি স্ফীত ও দৃঢ় শক্ত হয়ে আসে। বোঁটারচারপাশে ঘেরা কিছুটা পোড়া লালচে রং-এর প্রায় ১ইঞ্চির মত ব্যাসার্ধের যে গোলাকার ক্ষেত্রটি আছে তা হল এরিওলা। কারো কারো আবার ঘন কালচে রং এর হয়, কারো কারো হাল্কা বাদামী রং-এর আবার কোনো কোনো মেয়ের এটি নীলাভ রং-এরও হয়ে থাকে। এই অংশ জুড়ে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে সেক্সুয়াল সেনসরি। স্তনের বাকি অংশ দেহের চামড়ার রং এর মতোই হয়ে থাকে। একটি কথা এখানে উল্লেখযোগ্য, নিঃসন্তান মেয়েদের এই গাঢ় এরিওলার চর্ম রং প্রায় ফিকে বর্ণের থাকে। গর্ভের প্রথম থেকেই স্তন বোঁটার চারপাশের চর্মের ঘের বাড়ে এবং রংটাও গভীর হয় আর এই গাঢ় রংটাই সারা জীবনের জন্য থেকে যায় স্থায়ী হয়ে যায়। নারীর স্তন এমন একটি অঙ্গ যাকে সপর্শ করে, চুমো দিয়ে, মৃদু দংশন করে সহজেই সেক্স উত্তেজনার স্তরে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। স্তন মর্দনে অনেক নারী চমৎকার যৌন সুখ লাভ করে থাকেন। উপভোগ করেন শিহরিত অনাবিল স্পর্শকাতর তৃপ্তি।

কোন মন্তব্য নেই :

নর-নারীর যৌনানুভূতি, বীর্যতে কি থাকে " আরিফ মাহমুদ সাহাবুল

কোন মন্তব্য নেই
বীর্যের মাথায় ক্রোমোজম থাকে এটি পুরুষের উর্বরতার উদ্ভব ঘটায়। এক ফোঁটা বীর্যের মাথা হল একটি ক্ষুদ্র
পিনের মাথার আকারের সমান। অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে এটি দেখা যায়। একজন মানুষের দিনে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন বা৫০,০০০০০০০ কোটি (পঞ্চাশ কোটি) বীর্য কণা তৈরি হয়।বীর্য একা একা নিজে থেকেইলিঙ্গ থেকে পতন হতে পারে না। যৌনমিলনকালে বা অন্যকোনো উপায়ে যেমন হস্তমৈথুনের সময় বীর্যস্খলন ঘটে। প্রতিবার যে পরিমাণ বীর্যস্খলন হয় তাতে ৪০-৫০ কোটির মত শুক্রকীট থাকে। কিন্তু মজার কথা হলনারীকে গর্ভবতী হওয়ার জন্য কেবলমাত্র একটি শুক্রকীটই যথেষ্ট। পুরুষের লিঙ্গের মাধ্যমেনারীর যোনি বা জরায়ু মুখেবীর্যরস নিক্ষিপ্ত হবার পর শুক্রকীটগুলো এক প্রকার লেজের দ্বারা সাঁতার কেটে জরায়ুর ভেতরে প্রবেশ করে এগিয়ে যায়। পুরুষের মধ্যে যখন যৌবনের আগমন ঘটে তখন তার টেস্টিসে বা অন্ডকোষে শুক্রকীট অনবরত তৈরি হতে আরম্ভ করে দেয়। আর এ সময় থেকেই পুরুষরা সন্তান জন্মদানে সক্ষম হয়ে ওঠে।
গবেষকরা ল্যাবরেটরিতে টেস্টটিউবে কাচের মধ্যে গবেষণা করে দেখেছেন যে, শুক্র ব্যতীত অন্যান্য যেসব উপাদান বীর্যে পাওয়া যায় তার ৯০ শতাংশই তরল পানি জাতীয় উপাদান। এছাড়াও বীর্যে থাকে সুগার বা গ্লুকোজ যা কি না শুক্রাণুর কার্যকারিতা ও বলিষ্ঠতারজ্বালানিস্বরূপ। বীর্যে আরো থাকে ক্ষারীয় উপাদান। প্রোস্টেট গ্ল্যান্ডের কিছু পরিমাণএনজাইম ও কিছুমাত্রায় ভিটামিন সি, কিঙ্ক এবং থাকে কোলেস্টেরল। দেহের বীর্য সংশ্লেষণ প্রক্রিয়াটি অন্যান্য দশবারোটা শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ার মতোই সাধারণ।এটি তৈরিতে বিশেষ রকমের খাদ্য উপাদানের সরবরাহেরপ্রয়োজন হয় না। আসল কথা হল বীর্যের সাথে খাবারের কোনো প্রত্যক্ষ বা ডাইরেক্ট সম্পর্ক নেই। যদি এ জাতীয় কোনো ধরনের সম্পর্ক থাকতো, তবে মাননীয় ডাক্তার মহাশয়বৃন্দরা প্রজনন বা সন্তান উৎপাদনে অক্ষম পুরুষদেরকে বেশি বেশি খাদ্য খেতে উপদেশ দিতেন।আমাদের দেহে প্রতিনিয়ত দিনরাত চব্বিশঘন্টা বীর্য তৈরি হচ্ছে আর তা সাময়িকভাবে সেমিনাল ভেসিক্যালে জমা থাকছে। ধারণক্ষমতা পূর্ণহবার পরে এর বাড়তি অংশ যৌন সঙ্গম বা মাস্টারবেশন প্রক্রিয়া ওস্বপ্নদোষের মাধ্যমে তা বেরিয়ে যায়। একটা কথা সবারই মনে রাখা দরকার যে,দেহের মাঝে বিরতিহীনভাবেবীর্য সংশ্লেষণ ঘটছে স্খলনের উদ্দেশ্যে, জমা বা সঞ্চিত থাকার জন্য নয়।বীর্য নির্গমন যে প্রক্রিয়াই ঘটুক না কেন, তা মানব দেহের উৎপাদন কর্মকান্ডকে সচল, সবল আর গতিশীল রাখে।কাজেই স্বাভাবিক সেক্স সঙ্গম বা নিদ্রার মধ্যবর্তী স্বপ্নদোষ বা যে কোনোভাবেই হোক না কেন, বীর্যস্খলন বা বীর্যপাত ক্ষতিকারক নয় বরঞ্চ স্বাস্থ্যসম্মত।
এতক্ষণ আমরা পুরুষের সেক্স অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সম্পর্কে যৎসামান্য জানতে পারলাম। জানতে পারলাম পুরুষাঙ্গের মত প্রধান কয়েকটি যৌন অর্গাজমের কার্যকলাপ। এখন আমরা অনুরূপভাবে নারী দেহ সম্পর্কে জানতে চেষ্টা করবো। বুঝতে চেষ্টা করবো ফুলের মত কোমল চাঁদের মত সুন্দর নারীদের সেক্স অঙ্গগুলোরকার্যকলাপ। পুরুষ আর নারী একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ। একজনকে বাদ দিয়ে অন্যজনের সেক্স কোনোভাবেই ভাবা যায় না। নারী আর পুরুষের যৌথ অংশগ্রহণ ও মিলনেই পরিপূর্ণতা লাভ যৌনজীবনে। আর তার ফলেই রচিত হয় একটি সুখময়-তৃপ্তিময়-ভালোবাসাময় সুখী দাম্পত্য জীবন।
নারীর যৌনতা বা সেক্স
নারী সে তো সারা দেহে যৌনচেতনায় পরিপূর্ণ। যে কোনো ভালো সেক্স বিজ্ঞান বই ঘাঁটলেই বোঝা যাবে যে,
নারী দেহের মাথার চুল থেকে শুরু করে পায়ের নখ পর্যন্ত লুকিয়ে রয়েছে সেক্স। লুকিয়ে রয়েছে যৌন উন্মাদনা। এটি একটি ঐতিহাসিক সত্য কথা যে, প্রায় প্রতিটি নারী তার নিজের সুন্দর আকর্ষণীয় দেহ সম্পর্কে খুব সামান্যই জানে। তবে সময়ের পরিবর্তন জীবন ধারার পরিবর্তনে নারীদেরমন-মানসিকতায় যে পরিবর্তন হচ্ছে তাতে করে ইদানীংকালে অনেক নারী তাদের যৌনতায় ভরপুর, নাজুক শরীর, বিচিত্র যৌন জীবন ও সেক্স স্বাস্থ্য সম্পর্কে দারুণ আগ্রহ পোষণ করছে এবং তারা নিজেরদেহ সম্পর্কে জানতে চেষ্টা করছে হচ্ছে সচেতন। একটু পেছনে ফিরে তাকালে দেখা যাবে যে নারীর সেক্সের ব্যাপারে আলোচনা বিংশ শতাব্দির শুরুতেও তেমন একটা সাপোর্ট পায়নি। বরঞ্চ একে তখন দেখা হত অশ্লীলতার দৃষ্টিভঙ্গিতে। নারী যৌনস্বাস্থ্যের ব্যাপারে আলোচনা ছিল অনেকের কাছে যৌন সুড়সুড়ি পাবার উপায় হিসেবে। তবে দিন পাল্টেছে, হয়েছে সবাই সচেতন। এখন কিন্তু কি পুরুষ কি নারী কমবেশি সবাই সেক্স স্বাস্থ্য, সেক্স বিজ্ঞান সম্পর্কে জানতে আগ্রহী। তাই এটি একটি আশাপ্রদ ও সুখের বিষয়। নারীর যৌন হেল্‌থ সম্পর্কে জানতে হলে প্রথমেই নারীর সেক্স অঙ্গের নানাদিক সম্ব েজানতে হবে কিন্তিু এটি হওয়া উচিত অবশ্যই বিজ্ঞান সমমত-পরিশিলিত এবং যুক্তি নির্ভর। নারীর দেহের বাইরে এবং ভেতরে দুদিকেই যৌন অঙ্গ প্রত্যঙ্গগুলো অবস্থিত। যখন একজন পুরুষের যৌন উত্তেজনা বা সেক্স বাইরে থেকে সহজেই টের পাওয়া যায়ঠিক তখন একজন নারীর যৌন অনভূতি এবং যৌন উত্তেজনা বা সেক্সের কোনো । আর এটাবোঝা ততটা সহজসাধ্যও হয় না।
বিজ্ঞান সম্পর্কিত তিনটিবিষয় একজন নারীকে পুরুষের চেয়ে আলাদা করেছে যা তিনটি উদাহরণ দিয়েই বোঝা সম্ভব হবে। এইতিনটি বিষয় হল-
*. নারীর শরীরে ঢ যৌন ক্রোমোজম থাকে। যা তার জেনেটিক পার্থক্য নির্ধারণ করে।
*. নারীর বহিঃযৌনাঙ্গ যারদ্বারা বোঝা যায় যে সে একজন নারী।
*. নারীর আভ্যন্তরীণ যৌনাঙ্গ বা ইন্টারনাল সেক্স অর্গান-যা পুরোপুরি পুরুষের চেয়েভিন্ন। এভাবেও পুরুষ থেকে নারী সম্পূর্ণরূপে আলাদা।
নারীর যৌনাঙ্গ দু’প্রকার। একটি হল বহিঃযৌনাঙ্গ বা এক্সটারনাল সেক্স অর্গানএবং অপরটি হল আভ্যন্তরীণ যৌনাঙ্গ বা ইন্টারনাল সেক্স অর্গান। পুরুষের যৌনাঙ্গের সমস্ত অংশটাই বাইরে প্রকাশ পায়। আর নারীর কিন্তু সবটা না হলেও কিছু অংশের বহিঃপ্রকাশ দেখা যায়। তবে নারীর যৌনাঙ্গের বাইরের চেয়ে ভেতরের অংশটাই প্রধান এবং জটিল। আর সেক্সের প্রায় সব ব্যাপারেই ভেতরের যৌনাঙ্গগুলো রতিক্রিয়া, গর্ভধারণ এবং নারীর নারীত্ব রক্ষার বেশিরভাগকাজগুলো সম্পন্ন করে থাকে। নারীর যখন যৌন উত্তেজনা বা সেক্স জাগে তখন শুরুতেই বহিঃযৌনাঙ্গথেকে তা আভ্যন্তরীণ যৌনাঙ্গ পর্যন্ত এক অভাবনীয় বিস্ময়কর মনোমুগ্ধকর আলোড়ন তোলে।

কোন মন্তব্য নেই :