যৌন ইচ্ছায় বাধানিষেধ /অধ্যাপক ডা. এ এইচ মোহাম্মদ ফিরোজ এমবিবিএস এফসিপিএস এমআরসিপি এফআরসিপি E-mail : professorfiroz@yahoo.com ২
কোন মন্তব্য নেই
অনেক লোকই সামাজিক আদর্শে প্রদত্ত যৌনাঙ্গের প্রমাণপত্রের দ্বারা নারী বা পুরুষ হয়েথাকতে প্রশান্তিবোধ করে।অন্যান্য বহু লোক আছে যারা এর দ্বারা অস্বস্তিবোধ করে। অনেক লোক আছে যারা তাদের যৌনাঙ্গের ভূমিকাকে গ্রহণ করে, অনেকে করে না।তারা যৌনভাবে তাদের যৌনাঙ্গের পরিচিতির জন্যদ্বন্দ্বের মধ্যে নিপতিতহয় এবং যৌনতার বাধানিষেধের মধ্যে জড়িয়েপড়ে।
অনেকে অনুভব করে যে, তাদের মধ্যে উভলিঙ্গের আকৃতি আছে। এই ধরনের যৌনতার ব্যক্তিত্বকে বলাহয় স্ত্রী-পুংশক। অনেকে মনে করে তাদের অন্য লিঙ্গের সাথে কোনো কিছুরই মিল নেই। ট্রান্সজেন্ডার অথবা ট্রান্সসেক্সুয়াল অনেক বেশি আরাম উপভোগ করতে পারে নিজেদের সঙ্গে সাইকোথেরাপি ও হরমোনের চিকিৎসা দ্বারা। কসমেটিকসার্জারি, পরিবার ও বন্ধু-বান্ধবের সমর্থন দ্বারাও উপকার পেতে পারে। এই সকল সমর্থন হওয়াসত্ত্বেও যাই হোক, ট্রান্সজেন্ডার লোকদের অত্যন্ত কঠিন সমস্যা ও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাঁচতে হয়- এর কারণ আমাদের সামাজিক যৌনতার আদর্শ। যারা সার্জারির মাধ্যমে লিঙ্গের পরিবর্তন ঘটাতে পছন্দ করে, তাদের এমন পদ্ধতির মধ্য দিয়ে যেতে হয় যা খুবই ব্যয়বহুল ও কষ্টকর।
আমরা বেশিরভাগ লোকই সংস্কৃতির যৌনাঙ্গের আদর্শের সাথে দ্বন্দ্বে পতিত হই না। কিন্তু আমাদের দুজনের (পুরুষ ও নারীর) অনুভব এতটাই স্বতন্ত্র যে, আমাদের সমাজের যৌনতার আদর্শের সাথে এবং আমাদের যৌনতার ইচ্ছার সাথে একটা দ্বন্দ্ব থেকেই যায়। উদাহরণস্বরূপ, নারীরা নাও জানতে পারে যে যৌনভাবে উন্মত্ত হওয়া সঠিক এবং পুরুষেরা নাও জানতে পারে যে খোলামেলা হওয়াতে কোনো দোষ নেই। অনেক নারী ও পুরুষ যৌনাঙ্গের বাধানিষেধ অতিক্রম করতে কঠিনভাবে চেষ্টা করে তারা অতিরিক্ত নারীত্ব বা অতিরিক্ত পুরুষত্ব অনুভবকরার মাধ্যমে।
অতিরিক্ত পৌরুষত্ব হচ্ছেজেন্ডার স্টেরিওটাইপের অতিরঞ্জিত ব্যবহার, যাকে বিশ্বাস করা হয় নারী হিসেবে। অতিরিক্ত নারীত্বের নারীগণ, কিছু গাই পুরুষ এবং নারী থেকে পুরুষ হওয়া উভলিঙ্গ, তাদের বিশ্বাসও নারীত্বের গুণাবলীকে অতিরঞ্জিত করে। তারা বিশ্বাস করে যে, অতিরিক্তখোলামেলা (অপ্রতিরোধ্য) হয়ে পুরুষের অহমকে বাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে তাদের কাজ। তাই তারা সরল, নিরীহ,কোমল, ছিনাল, মঙ্গলময় এবং গ্রহণযোগ্য হওয়াকে দোষেরমনে করে না। অতিরিক্ত পৌরুষত্ব হচ্ছে জেন্ডার স্টেরিওটাইপের অতিরঞ্জিত ব্যবহার আচরণ, যাকে পুরুষলিঙ্গ হিসেবে ধরা হয়। অতিরিক্ত পুরুষ মানুষের এবং কিছু সংখ্যক লেসবিয়ান এবং নারী থেকে পুরুষ উভলিঙ্গ তাদের বিশ্বাস পুরুষলিঙ্গের গুণাবলীকে অতিরঞ্জিত করে। তারা বিশ্বাস করে যে, অন্য পুরুষদের সাথে প্রতিযোগিতা করা এবং নারীদের ওপর চড়াও হয়ে তাদের বশে রাখা তাদের কাজ। তাই তারা হতে চায় জাগতিক, যৌনতায় অভিজ্ঞ, শক্ত, শারীরিকভাবে আকর্ষণীয়, উচ্চাভিলাষী ও দাবিদার।
অতিরিক্ত নারীত্বের নারীগণ প্রায়ই তালাশ করে অতিরিক্ত পৌরুষত্বের পুরুষদের যৌন সম্পর্ক যাচনার জন্য। অতিরিক্ত পৌরুষত্বের পুরুষেরা প্রায়ই অতিরিক্ত নারীত্বের নারীদের তালাশকরে। তাদের সম্পর্ক দোদুল্যমান হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। যাই হোক,হাইপারফেমিনিন নারীরা অনেক বেশি শারীরিক ও মানসিক নিপীড়ন সহ্য করতে পারে হাইপারম্যাসকুলিন যৌনসঙ্গীর কাছ থেকে। পাইপারফেমিনিন যৌনসঙ্গীদের কাছ থেকে হাইপারম্যাসকুলিন পুরুষের অনেক বেশি সম্ভাব্য সহনশীল হয়ে থাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন সহ্য করার জন্য। যদিও আমাদের বেশিরভাগ লোকই হাইপারফেমিনিন অথবা হাইপারম্যাসকুলিন নই এবংআমাদের যৌনাঙ্গের বৈকল্যও নেই তারপরেও আমাদের অনেকের মধ্যে পৌরুষত্ব ও নারীত্বের বিষয় নিয়ে দুশ্চিন্তা ও বাধানিষেধ থাকতে পারে। তাতে আমাদের যৌনমিলনে যে সুখ পাওয়া উচিত তার চেয়ে অনেক কম সুখ হয়ে থাকে।
নিষিদ্ধ যৌন জাগরণ
প্রায় সব নারী এবং পুরুষ তাদের জীবনের বিভিন্ন সময়ে যৌন জাগরণের দৌর্বল্যের শিকার হয়। তার কারণের মধ্যে রয়েছে ক্লান্তি, মদের ব্যবহার, একজন যৌনসঙ্গীকে প্রভাবিত করার বিষয়ে দুশ্চিন্তা, যৌনসঙ্গীর সাথে গোস্বা, চাপ, বিরক্তিকর অবস্থা এবং অসুস্থতা। নারী ও পুরুষ যাদের যৌন জাগরণের সমস্যা আছে যাই হোক তারা দীর্ঘ সময় পর্যন্ত যৌনাঙ্গের জাগরণ ঘটাতে অসমর্থ হয়।
নারী ও পুরুষ যাদের বাধানিষেধের কারণে যৌন জাগৃতি হয় না, তারা যৌন ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও যৌনসঙ্গম করতে পারে না। নারীরা যৌনসঙ্গমের জন্য যোনি পিচ্ছিলতা আনতে অসমর্থ হতে পারে; পুরুষেরশিশ্নও খাড়া না হতে পারে।যদি তারা পিচ্ছিলতা আনতে ও যৌনাঙ্গ খাড়া করতে সমর্থ হয়, যৌন জাগরণ ঘটাতে অসমর্থ ব্যক্তিরা শারীরিকভাবে যৌন আনন্দ পেতে ব্যর্থ হতে পারে।
বাধানিষেধ দ্বারা আক্রান্ত নারীরা তাদের ইচ্ছামতো কারো সাথে যৌন সম্ভোগে মিলিত হলে তাদের যৌন জাগরণ আসতে পারে, কিন্তু অন্যের ইচ্ছামতো মিলিত হলে যৌন জাগরণ নাও আসতে পারে। যেসব নারীর যৌনাঙ্গ প্রাকৃতিকভাবে পিচ্ছিলতা আসে না তারা কৃত্রিম লুব্রিক্যান্ট ব্যবহার করে যৌনকর্ম সাধন করতে পারে। পুরুষের বাধানিষেধের দ্বারা আক্রান্ত যৌন জাগরণের ডিসঅর্ডার হলে, তাকে বলা হয় ইরেকটাইল ডিসফাংশন। পুরুষেরা তাদের যৌনসঙ্গীদের সাথে মিলনেরজন্য শিশ্নের জাগরণ ঘটাতে ব্যর্থ হতে পারে অথবা যৌনসঙ্গমের সময় জাগরণকে ধরে রাখতে ব্যর্থ হতে পারে। বেশিরভাগ লোকের ইরেকটাইলডিসফাংশন হলে তাকে ইরেক্ট করা সম্ভব হস্তমৈথুনের মাধ্যমে। ইরেকটাইল ডিসফাংশন প্রায়ই হয়ে থাকে দীর্ঘদিনের স্বাভাবিক যৌনাঙ্গ জাগরণের পর। এটা ষাট ঊর্ধ্ব পুরুষের জন্য ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলে। ইরেকটাইল ডিসফাংশন বা ডিসঅর্ডার গাই এবং স্ট্রেইট লোকদের জন্য অত্যন্ত নৈরাশ্যব্যঞ্জক হতে পারে। কারণ তারা তাদের সঙ্গীদের দ্বারা বিতাড়িত হতে পারে।
নারী-পুরুষের বাধানিষেধের কারণে যৌন জাগরণের অসুবিধা হয়ে থাকে সাধারণত সাইকোলজিক্যাল। তাদের প্রায়ই বাধানিষেধগ্রস্ত যৌন আকাঙ্ক্ষার মতো ভয় এবং দুশ্চিন্তা হয় যৌনতার ব্যাপারে, সঙ্গীকে সুখী করার ব্যাপারে দুশ্চিন্তা, ডিপ্রেশন, রাগ বা গোস্বা যৌনসঙ্গীর সাথে, বিবাহ-বিচ্ছেদ এবং অন্যান্য ক্ষয়ক্ষতি, চাপ, অসুস্থতাএবং একজনের যৌনতার পূর্বাভিমুখীনতাকে গ্রহণ করার অসুবিধা।
আরো
পড়তে থাকুন ৩

কোন মন্তব্য নেই :