তাফসীরে তাওযীহুল কুরআন ৩য় খণ্ডে একত্রে » Amar Bangla Post
কোন মন্তব্য নেই

তাফসীর শাস্ত্র….

আরবী ভাষায় “তাফসীর’-এর শাব্দিক অর্থ ‘উম্মোচন করা’। পরিভাষায় ‘তাফসীর’ বলে সেই শাস্ত্রকে যাতে কুরআন মাজীদের অর্থ ও মর্ম বর্ণনা করা হয় এবং তাঁর বিধানাবলী ও তাৎপর্য ব্যাখ্যা করা হয়। (আল-বুরহান)
কুরআন মাজীদে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে লক্ষ্য করে ইরশাদ হয়েছে-
“আমি আপনার প্রতি কুরআন নাযিল করেছি, যাতে আপনি মানুষের সামনে তাদের প্রতি যা অবতীর্ণ করা হয়েছে তা স্পষ্টরূপে বর্ণনা করেন”।(১৬ : ৪৪)
আরও ইরশাদ হয়েছে—
“নিশ্চয়ই আল্লাহ মুমিনদের প্রতি বড় অনুগ্রহ করেছেন, যখন তাদের প্রতি তাদেরই মধ্য থেকে এক রাসূল পাঠিয়েছেন, যিনি তাদের সামনে আল্লাহর আয়াত তিলাওয়াত করেন, তাদেরকে পরিশুদ্ধ করেন এবং তাদেরকে আল্লাহর, কিতাব ও জ্ঞানের কথা শিক্ষা দেন।” (৩ : ১৬৪)
সুতরাং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাহাবায়ে কিরামকে কুরআন মাজীদের কেবল শব্দাবলীই শিক্ষা দিতেন না; বরং তাঁর পূর্ণ তাফসীর ও ব্যাখ্যাও বলে দিতেন। এ কারণেই অনেক সময় সাহাবায়ে কিরামের একেকটি সূরা শিখতে কয়েক বছর লেগে যেত। এটা বিস্তারিত ভাবে সামনে আসবে ইনশা-আল্লাহ তাআলা।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যত দিন দুনিয়ার বর্তমান ছিলেন, তত দিন তো কোন আয়াতের তাফসীর জানা কিছু কঠিন বিষয় ছিল না। যেখানেই সাহাবায়ে কিরামের কোন জটিলতা দেখা দিত, তাঁর শরণাপন্ন হতেন এবং তিনি তাদেরকে সন্তোষজনক জবাব দিয়ে দিতেন। তাঁর ওফাতের পর কুরআনের তাফসীরকে একটি স্বতন্ত্র শাস্ত্ররূপে সংরক্ষণ করার প্রয়োজন দেখা দিল, যাতে উম্মতের জন্য কুরআন মাজীদের শব্দাবলীর সাথে সহীহ অর্থও সংরক্ষিত হয়ে যায় এবং বদ দ্বীন ও পথভ্রষ্ট শ্রেণীর পক্ষে এর অর্থগত বিকৃতি সাধনের কোন সুযোগ না থাকে। সুতরাং আল্লাহ তাআলার দয়া ও করুণা এবং তাঁর তাওফীকে উম্মত এ কার্যক্রম এমন সুন্দর ও সুষ্টুভাবে আঞ্জাম দিয়েছে যে, আজ আমরা নির্দ্বিধায় বলতে পারি আল্লাহ তাআলার সর্বশেষ এই গ্রন্থের কেবল শব্দাবলীই নয়; বরং তাঁর সহীহ তাফসীর ও ব্যাখ্যাও সংরক্ষিত আছে, যা মহনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তাঁর উৎসর্গিত –প্রাণ সাহাবীদের মাধ্যমে আমাদের পর্যন্ত পৌঁছেছে। বই গুলো ডাউনলোড করতে ক্লিক করুনঃ  তাফসীরে তাওযীহুল কুরআন ৩য় খণ্ডে একত্রে » Amar Bangla Post 

কোন মন্তব্য নেই :