‘মৌলবাদীরা নারী-স্বাধীনতাকে জ্যান্ত কবর দিতে চায়’-সেলিনা হোসেন

কোন মন্তব্য নেই
 বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন নারী-পুরুষের সামাজিক অবস্থান জেন্ডার নিয়ে। পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় নারীদের অবস্থান, বৈষম্য, নির্যাতন ইত্যাদি নিয়ে নানা সময় বিভিন্ন জায়গায় বলিষ্ঠভাবে কথা বলে আসছেন তিনি। সেইসাথে দেশে ও বিদেশি পত্রপত্রিকায় লিখেছেন নারীবিষয়ক গল্প-উপন্যাস-প্রবন্ধ-নিবন্ধ-কলাম। ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ উপলক্ষে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা হয় নারীবাদী লেখক সেলিনা হোসেনে সাথে। কথা বলেন পরিবর্তনের জ্যেষ্ঠ সহকারী বার্তা সম্পাদক অঞ্জন আচার্য
কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন
পরিবর্তন : বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে নারীরা অনেক দূর এগিয়েছে। ক্ষমতায়নের দিক থেকে নারীদের এ অগ্রযাত্রাকে কীভাবে মূল্যায়ন করেন?
সেলিনা হোসেন : বিশ্বের বিভিন্ন দেশ তো আছেই, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশে ক্ষমতায় নারীরা অগ্রগামী ভূমিকার রাখছে। বাংলাদেশের সরকার প্রধান নারী, বিরোধী দলের নেতা নারী, একটি বড় রাজনৈতিক দলের প্রধান নারী, স্পিকার নারী এবং সম্প্রতি একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হয়েছেন নারী। এর বাইরেও আমি সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন পর্যায়ে নারীদের অবস্থান দেখতে পাই। ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার ইত্যাদি পেশাতেও নারীরা অনেক এগিয়ে এসেছেন। তার চেয়েও বড় কথা, গার্মেন্টস শ্রমিকের মধ্যে নারীদের যে অবস্থান, দেশের অর্থনীতিতে তারা যে প্রবৃদ্ধি ঘটাচ্ছে এটাও বাংলাদেশের জন্য একটি বড় অর্জন। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য, নারীদের এ অর্জনের পাশাপাশি নারীর প্রতি নির্যাতন-সহিংসতা, সমতার জায়গা তৈরির ক্ষেত্রে নারীদের অবরোধ করে রাখার পুরুষদের যে আচরণ প্রবল হয়ে আছে তা বলতেই হবে।
পরিবর্তন : তার পরেও তো আগের তুলনায় অনেকখানি বদলেছে বলা যায়...
সেলিনা হোসেন : আমরা পাঁচজন, দশজন, একশ জন, পাঁচশ জন নিয়ে তো বিচার করতে পারি না যে নারীর অবস্থান অনেক বড়ভাবে বদলে গেছে। ষোল কোটি মানুষের যদি অর্ধেকও নারী হয়, নারীর অবস্থান এখনো সেভাবে আসেনি। এখন পারিবারিক নির্যাতন একটা বড় পর্যায়ে আছে। যৌতুকের নামে এখনো বাল্যবিয়ে হচ্ছে। আর স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে, বিশেষভাবে তাদের প্রজনন স্বাস্থ্যে তারা বিশেষ সুবিধা পাচ্ছে- তা বলা যাবে না।
পারিবারিক নির্যাতন একটা বড় পর্যায়ে আছে। যৌতুকের নামে এখনো বাল্যবিয়ে হচ্ছে। আর স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে, বিশেষভাবে তাদের প্রজনন স্বাস্থ্যে তারা বিশেষ সুবিধা পাচ্ছে- তা বলা যাবে না।
পরিবর্তন : শিক্ষার ক্ষেত্রে...
সেলিনা হোসেন : নারীদের শিক্ষার যে হার তাও সন্তোষজনক নয়। এমনকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছেলেরা ৫০ শতাংশ, মেয়েরা ৫০ শতাংশ নয়।
পরিবর্তন : কেন এমনটা হচ্ছে বলে মনে হয়?
সেলিনা হোসেন : সবচেয়ে দুঃখজনক ব্যাপার তাহলো, স্বাধীনতার ৪৩ পরেও বেশ কয়েকটি মৌলবাদী-রক্ষণশীল রাজনৈতিক দল আছে যারা নারীদের পিছিয়ে দিতে চায়। তারা নারী-নীতির কেবল বিরোধিতাই করে ক্ষান্ত হয় না, বরং নারী-বিরোধী ফতোয়া জারি করে নারীদের পেছনে ঠেলে দিতে সবসময় সচেষ্ট থাকে। তারা এখনও নারীদের আইয়ামে জাহেলিয়াতের যুগে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করছে। সেসময় নারীদের জ্যান্ত কবর দেওয়া হতো। এখন শারীরিকভাবে না হোক, মানসিকভাবে নারীদের স্বাধীনতাকে কবর দিতে চায় মৌলবাদী চক্র।
পরিবর্তন : তা কি সম্ভব, কী বলেন?
সেলিনা হোসেন : না, তা আর সম্ভব নয়। আমাদের নারীরা যে পর্যায়ে উঠে এসেছে সেখান থেকে তাদেরকে আর পিছিয়ে ফেলা সম্ভব হবে না। নানা বাধা-বিপত্তি পেড়িয়েই নারীরা এগিয়ে যাবে। নারীরাই তাদের নিজের অবস্থান নিজেরা গড়ে তুলবে।
পরিবর্তন : এ বছর নারী দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে কিছু বলুন...
সেলিনা হোসেন : আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকারের এবারের স্লোগান ‘অগ্রগতির মূল কথা নারী-পুরুষ সমতা’। এ প্রতিপাদ্যটিতে নারীদের সমতার কথা বলা হয়েছে। আমি মনে করি, নারীরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের অগ্রগতি চালিয়ে যেতে সমর্থ হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে সরকারি উদ্যোগ আরো প্রয়োজন। তাছাড়া বড় ধরনের প্রয়োজন আইনের দিক থেকে নারীদের সুরক্ষা করার বিষয়টি।
শ্রদ্ধার সঙ্গে, ভালোবাসার সঙ্গে, নারীদের মূল্যায়ন করার পরিসর বাড়াতে হবে। পুরুষেরা যদি দমন-পীড়নের মানসিকতা থেকে না বেরিয়ে আসে তাহলে নারী-পুরুষের সমতা সম্ভব নয়
পরিবর্তন : নারীর অগ্রযাত্রাকে তরান্বিত করতে আরো কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে বলে মনে করেন?
সেলিনা হোসেন : মানুষের অগ্রযাত্রায় সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে শিক্ষা। শিক্ষা ক্ষেত্রকেই আমি বেশি জোর দেবো। এক্ষেত্রে বাংলাদেশে কন্যাশিশুদের স্কুলে যাওয়ার ব্যাপারটি নিশ্চিত করতে হবে। কারণ প্রকৃত শিক্ষা ছাড়া প্রকৃত অগ্রগতি কখনোই সম্ভব নয়।
পরিবর্তন : নারী-পুরুষের সমতা কীভাবে আসতে পারে?
সেলিনা হোসেন : সমতার জায়গা? সেক্ষেত্রে পুরুষদের মানসিকতার পরিবর্তন প্রয়োজন। এক্ষেত্রে শ্রদ্ধার সঙ্গে, ভালোবাসার সঙ্গে, নারীদের মূল্যায়ন করার পরিসর বাড়াতে হবে। পুরুষেরা যদি দমন-পীড়নের মানসিকতা থেকে না বেরিয়ে আসে তাহলে নারী-পুরুষের সমতা সম্ভব নয়। আমি মনে করি, নারীদের নিজের উন্নতি জন্য তো বটেই, দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য দূর করার কোনো বিকল্প নেই।
পরিবর্তন : এতক্ষণ সময় দেওয়ার জন্য পরিবর্তনের পক্ষ থেকে আপনাকে ধন্যবাদ।
সেলিনা হোসেন : পরিবর্তনকে ধন্যবাদ, সেই সাথে তোমাকেও ধন্যবাদ।
আমাদের কথা হলঃ নারী উলঙ্গ হয়ে রাস্তায় বের হবে, যথা তথায় নিজের কামভাব বিক্রয় করবে, সেটাই কি নারীর স্বাধীনতা? ইসলাম নারীকে যে সম্মান দিয়েছে অন্য কেউ এর ১০% ও দিতে পারে নাই। বাকিরা নারীর স্বাধীনতার নারীকে পণ্য বানিয়েছে। নারীর দেহ বিক্রয় করে অর্থ উপার্জন করতেছে। সত্য কথা এটাই যে, নারীর অধিকারের কথা বলে পুরুষের দ্বায়িত্ব কর্তব্য নারীর কাঁধে চাপিয়ে দিয়েছে ইহুদী খৃষ্টান লাল কুত্তা ও এর দালালেরা। তাদের কথা মতো আমাদের বোনেরা এতোটাই নির্লজ্জ হয়েছে যে, একটি কুকুরের যে পরিমাণ লজ্জা শরম আছে, বর্তমান নারীদের তাঁর অর্ধেকেও নেই। তোদের মতো পতিতাদের কথা শুনে কোনো মেয়ে যদি নিজেকে স্বাধীনতার দোহায় দিয়ে অর্ধনগ্ন অথবা সম্পূর্ণ নগ্ন অবস্থায় চলা ফেরা করে তাতে আমাদের কোনো সমস্যা নাই। কারণ যার লজ্জা শরম নাই, তাঁর আছেই কি আর যাবেই কি।পশু পাখীর যদি লজ্জা থাকতো তা হলে তারা কি উলঙ্গ থাকতো?
পতিতা নারীবাদীদের মোল্লাদের নিয়ে একটু চুলকানি বেশি। কারণ মোল্লারা আছে বলেই বাংলাদেশে টা পশুভিক্তিক সমাজের পরিণতি এখনো হয়নি।
আহ! ফ্রিতে নারী দেহ ভোগ করার কি সুন্দর নারী স্বাধীনতা। 





আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুণ।

 এই ব্লগে পড়তে কি সমস্যা হয়?আপনার কি টাকা বেশি খরচ হয়ে যায়?

কোন মন্তব্য নেই :