সুন্নি নামধারি ভণ্ডরা ওনতুন প্রজন্মরা কি করতেছে? ভিডিও সহ প্রমাণ দেখুন

কোন মন্তব্য নেই


এখন নিজেদের কে মুসলিম হিসাবে পরিচয় দিতে লজ্জা লাগে,
যদি ও মুসলিম হিসাবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করার কথা ছিলো।
কিন্তু কিছু মানুষের অপকর্মের কারনে আজ মুসলিম হিসাবে পরিচয় দিতে
লজ্জা লাগে।

বর্তমানের ছেলে মেয়েরা অবাধ স্বাধীনতার নামে যা করতেছে মুসলিম এবং স্বভ জাতি
হিসাবে মেনে নেওয়া যায় না।


বরতমানে আমাদের দেশে ধর্মদ্রোহীদের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলতেছে,
এই আন্দোলনের সাথে যুক্ত হয়েছে নারী পুরুষের অবাধ মেলে মেশা বন্ধ করতে হবে।
সকল প্রকারের নারী নির্যাতন,যৌন হয়রানি বন্ধ করতে হবে।
আমি ও চাই এই বেহাইয়াপনা  আমাদের দেশ থেকে বন্ধ হোক মুসলিম রাষ্ট হিসাবে।

এই দাবীর সাথে প্রতেক মুসলিমের অংশ নেওয়ার উচিৎ।
কিন্তু আমরা কি দেখতে পাচ্ছি?
এক দল যুবক যুবতিরা ও  কিছু কুলাঙ্গার নারীবাদীরা সহ কিছু সুন্নি নাম ধারি
মাজার পুজারিরা এর বিরোধিতা করতেছে।
এরা কেনো করতেছে?
সহ উত্তর হলো এই দুই দলেই নারী সুবিধা বাদি।

সুন্নি নাম ধারি ভণ্ডরা কেনো এর বিরোধীতা করতেছে?


সুন্নি নাম ধারি মাজার পুজারিরা এর বিরোদ্ধে লেগেছে তার এক মাত্র কারন হলো
তাদের হালুয়া রুটির উপর পিপড়া উঠে যাবে।
তাদের পীরাগীতে বয়াবহ ধস নামবে।
    
আপনি দেখবেন এই সব ভণ্ড পীরদের দরবারে নারীদের সমাগম বেশি।
এই সব তথাকথিত সুন্নি নামধারি  ভণ্ড পীররেরা বেপর্দা নারী পুরুষদের কে
নিয়ে নানান গান বাজনায় লিপ্ত থাকে।
গানের সাথে ডিস্কো ড্যান্সও দেয়।
এরা আবার পীরের পায়ে পরে ভক্তি ও এমন কি সেজদা ও করে।
বিশ্বাস যদি না হয় আমার কাছে এর ভিডিও আছে আপনার দেখতে পারেন।
আমার প্রশ্ন হল এর কোন ইসলামের বিশ্বাসী?
ইসলাম কি এই সব সমর্থন করে?
আমাদের প্রিয় রাসূল (সাঃ) কি বলে গেছেন?
সেটা কি এই সব সুন্নিনাম ধারি ভন্ড পীরদের জানা নাই?
আছে।
তারা জেনে বুঝেই এই সব ভণ্ডামি করে নিজেদের স্বার্থ উদ্দারের জন্য।
আর যারা এই সবের বিরোধীতা করে তাদের কে বলা হয় ওয়াহাবি।
কত চমৎকার কথা নবীর প্রেম বিক্রয় করে খাওয়া সুন্নি নাম ধারি ভণ্ড পীরদের।
আসল কথা হল এরা নবীর প্রেম বিক্রয় করে নিজের পেট চালায়।
বাংলাদেশে অনেক ভণ্ড পীরের আস্তানা আছে।
এর মধ্যে সব চেয়ে বড় ভণ্ডদের আস্তানা হল চ্রটগ্রামের মাইজ ভাণ্ডার ভণ্ড খানা।
আমার শাহ পরান এলাকাতে ও এক নাম করা ভণ্ড আছে।
এই ভণ্ড প্রতি বছরে ওরশ করে।
বেটা বেটি এক সাথে নাচানাচি,গান বাজনা  করে।
বেটা বেটি এক সাথে গা ঘেঁষে আড্ডা মারে।
যেটা ইসলাম সমর্থন করেনা।
এই সব ভণ্ডরা ভণ্ডামি করে সাধারন মানুষদের কাছ থেকে প্রতি মাসে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে
নিচ্ছে।
এই সব ভণ্ডদের কাছে যারা যায় তারা সবাই নিম্নে হলেও ৫০০ টাকা করে তাহাদের ভণ্ড বাবাদের কে দিয়ে দেয়।
অথচ সাধারন কোনো ভিক্ষুক যদি এদের কাছে ভিক্ষা চায়?
তাদের কে ২ টাকা  ভিক্ষা দিতেও তাদের গায়ে লাগে।

এই হলো সুন্নি নাম ধারি মাজার ব্যাবসায়ী ভণ্ড ও এর অনুসারীদের আসল কাহিনী।
আমি কথা গুলি এই জন্য বললাম যে তারা কি কারনে হেফাজত ইসলামের দাবীর সাথে বিরোধীতা
করতেছে এর সচিত্র আপনাদের সামনে তুলে ধরার জন্য।
তারা দেখতেছে এই দাবি যদি সরকার গ্রহন করে তা হলে তাদের পীরানির ব্যাবসায় ধস নামবে।
তাদের হালুয়া রুটির উপর বিষ পিঁপড়া উঠে যাবে।
যেটা তাদের কাম্য নয়।
আর তাদের দরবারে যেসব মেয়েরা যায় তার এক জন ও পর্দাশীল নয়।







দেখুন ভণ্ডরা কি ভাবে মেয়েদের কে দিয়ে সেজদা নেয়।

আধুনিক যুবক যুবতিরা এর বিরোধীতা করতেছে কেনো?
কারন তারা দেখতেছে হেফাজত ইসলামের এই দাবি  মানলে তাদের অবাধ মেলা মেশা বন্ধ হয়ে যাবে।
যেটা তাদের কাম্য নয়।
কারন তারা অবাধ যৌনতার বিশ্বাসী।
আপনি দেখবেন ভিভিন্ন পার্কে,বা লেকে এদের অবাধ মেলামেশা।
একে অপর কে জড়িয়ে ধরে চুম্মা দিতেছে,আলিঙ্গন করতেছে।
এমন কি তারা শারীরিক কাজ ও করতেছে।
আবার এই সবের ভিডিও করে বন্ধুদের মাঝে ছড়িয়ে দিচ্ছে বা মেমোরি লোড কারিদের
হাতে দিয়ে দিচ্ছে।
যার কারনে সমাজের সবার হাতে পৌছে যাচ্ছে এই সব নোংরামী।
আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি
বর্তমানে যে সব মেয়েরা অবাধ মেলামেশা করতেছে ?
প্রতি টি মেয়ে তার ছেলে বন্ধু অথবা তার প্রেমিকের দ্বারা ধর্ষণ এমন কি গন ধর্ষণের শিকার হচ্ছে।
যদি বিশ্বাস না করেন তা হলে ঐ সমস্ত মেয়েদের কুমারিত্ত পরিক্ষা করুন প্রমান পেয়ে যাবেন।
এদের ভিভিন্ন অপকর্মের ভিডিও গান লোডের কম্পিউটারের দোকানে আপনি পাবেন।
আমি অনুসন্ধান করে এমন ও ভিডিও পেয়েছি  যে ভিডিও তে তার প্রেমিক সহ প্রেমিকের
বন্ধুরা ও তাকে ধর্ষণ করেছে।
একটির ভিডিও তে একটির মেয়ের আর্তনাদ শুনে আমার গায়ের লোম খাড়া হয়ে গেয়েছিলো ।
মেয়ে টি বলতেছে আমি আর পারতেছি,আমি ব্যাথা পাচ্ছি,আমাকে ছেড়ে দিন,
দোহায় আল্লার।
এই রকম ভাবে মিনিতি করে বলার  পর ও  মেয়েটির প্রেমিক সহ প্রেমিকের
৪ বন্ধু মিলে তা কে গনধর্ষণ করেছে,
এবং অপর জন এই সবের ভিডিও করেছে।
মেয়েটি এমন অসহায়ত্ব দেখে নিজের চোখে দিয়ে পানি চলে আসলো।
অপর আরেক ভিডিও তে দেখলাম প্রেমিকা তার প্রেমিক কে কড়ায় ভাষায় বলতেছে
আমার গায়ের কাপড় খুলতে কি তোমার কষ্ট লাগে?
চিন্তা করুন কত নির্লজ্জ হলে এই রকম ভাবে বলতে পারে?
এই সব তো আমার দেখার কিছু ভিডিওর কথা বললাম।
কিন্তু যে সবের ভিডিও হয়না সেই গুলো তো আমাদের চোখের আড়ালে রয়ে যাচ্ছে।
স্কুল,কলেজে,বিনোদন  পার্কে  এমন কি ভিভিন্ন ক্ষেতে,ঝুপের আড়ালে নারীরা প্রেমিকের
দ্বারা ধর্ষণের শিকার হচ্ছে  নারী পুরুষ অবাধ মেলামেশা বিশ্বাসী নারীরা ।
 এটা নারীদের অস্বীকার করার কোনো  উপায় নাই?
সেই তথ্য প্রমান নিয়েই আমি আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি।
এই ভিডিও গুলি দেখার পরে হয় তো অনেকে আমাকে বলতে পারেন এই গুলি
আপনি প্রকাশ করে আপনি অপরাধ করেছেন।
হ্যাঁ আপনি ঠিকিই বলেছেন,
যারা এই সব করে তাদের কোনো অপরাধ নেই।
আমি তথ্য সহ প্রকাশ করেছি সেটা আমার অপরাধ ।
কেউ ডাকাতি করলে সেটা কোনো অপরাধ নয়,
কেউ যদি সেটা প্রকাশ করে তা হলে সেটায় অপরাধ।
কারন এটা ডিজিটাল বাংলাদেশ।
অবাধে নারী ভোগবাদী পুরুষেরা চাইবেনা নারী পুরুষের অবাধ মেলামেশা বন্ধ হোক।
প্রেমিক বাজ নারীরা ও চাইবেনা নারী পুরুষের অবাধ মেলামেশা বন্ধ হোক।
কারন তারা চাই বার ঘরের তের বেটা নাদের কে ভোগ করুক।
সুতরাং আজ আমাদের কে বুঝতে হবে কারা নারী পুরুষের অবাধ মেলামেশা বন্ধ
করার বিরুদ্ধে কথা বলতেছে?
তারা কারা , তাদের কি পরিচয়?

নারী পুরুষের অবাধ মেলামেশা বন্ধ হোক এর বিরুদ্ধে যারা কথা বলতেছে
তাদের নাকে মুখে ঝাটার, জুতার বারি দুটাই এক সাথে মারা উচিৎ।
কারন তারা নারীর অধিকার,সম্মান কোনোটায় চায়না।
তারা নারীর অধিকারের কথা বলে তাদের গোলাম বানিয়ে রাখতে চায়,
তারা নারীর অধিকারের কথা বলে নারীদের কে ভোগের বস্তু বানিয়ে রাখতে চায়।
এরা চায় নারীদের খোলামেলা  দেহ বিক্রয় করে  সমাজে প্রষ্ঠিত হতে।
এরা যদি নারীর সম্মান চাই তো তা হলে আজও কেনো আমদের দেশের মেয়েরা
ছাত্রলীগ ও আম্লিগ দ্বারা ধর্ষিত হয়?
গত কয়েক মাস আগে মানব জমিনে দেখছি রিক্সা চালকের সুন্দরি বউ কে
ধর্ষণ করতে গিয়ে তার লিঙ্গ হারিয়েছে আম্লিগের এক নেতা।
এমন আরো অনেক শত শত ঘটনা আছে,
আমার বলার প্রয়োজন নেই আপনাদের জানা আছে।
আমার প্রশ্ন তারা যদি সত্যি কারের নারীর সম্মান, অধিকার চাইতো?
আমাদের দেশের মেয়েদের কে কেনো সামান্য কিছু টাকার জন্য নিজের
দেহ কে অন্যের কাছে বিকিয়ে দিচ্ছে?
স্বাধীন মুসলিম দেশে এটায় আমাদের কাম্য ছিলো?
একটি নারী তার পেট চালানোর  জন্য তার নিজের দেহ বিক্রয় করতে হবে
এটায় কি নারীর অধিকার?
কেনো তাদের জন্য বিকল্প কাজের ব্যবস্থা করা হয়না?
কেনো  তারা কি আমাদের দেশের নয়?
দুই বেলা দুই মঠো ভাত খেয়ে বেচে থাকার জন্য যারা পতিতা হয়েছেন
তারা কি আপনার আমার বোন নয়?

তারা পতিতা বলে আপনি তাদের ঘৃণা করেন?
কিন্তু নায়িকা মডেলদের কে আপনি আপন মনে গ্রহন করে নিয়েছেন।
তারদের কে আপনি সম্মানের চোখে দেখেন।
কিন্তু তারা ও তো বিশ্ব পতিতা।
তারা যে সব নোংরামি করে তা পুরো পৃথিবীর মানুষেরা দেখে।
আপনি তাদের কে সম্মান দিতে জানেন কিন্তু আমাদের দেশের যে সব মেয়েরা
দুই বেলা দুই মঠো ভাত খেয়ে বেচে থাকার জন্য যারা পতিতা হয়েছে আপনি তাদের কে
সম্মান দিতে জানেন না?

অথচ সমান অধিকারের কথা বলে গলা ফাটিয়েলান,
ডাক্তার এসে সেলাই করে দেওয়ার পরে আবার সেই ফাটা গলা দিয়ে আওয়াজ তুলেন।
দেশে এতো নারী অধিকার বাদি সংগঠন থাকতে এর পর এদেশের কিছু মেয়েদের
পতিতা করে বাচতে হবে এটা কেমন নারীর অধিকার?
এদেশের নারীবাদীদের চোখে কি এই সব লাঞ্ছিত মেয়েদের কে পড়েনা?
আমার তো মনে হয় এই সব নারী বাদিরা ও পতিতা হয়ে আছে ভোগ বাদি পুরুষদের
হাতে।
যার কারনে তারা চাই না এই দেশ থেকে নারী পুরুষ  অবাধ মেলামেশা বন্ধ হোক।

আমি যত টুক জানি কলেজের সুন্দর সুন্দর মেয়েদের কে নেতাদের ও কলেজের
বড় ভাইদের বিছনার সঙ্গি হতে হয়।
এটা ঐ সমস্থ মেয়েরা ভালো জানে যারা এই সবের শিকার হয়েছে।
কিন্তু আমি নিশ্চিত যে সব মেয়েরা প্রেম করে তারা একজনের ও কুমারিত্ত্ব নেই।

যদি বিশ্বাস না করেন তা হলে ব্লগে কিছু সংগ্রহ লিঙ্ক পোস্ট করা আছে ক্লিক করে দেখে
নিতে পারেন।

আমি আপনার কাছে কত গুলো প্রশ্ন করি,
আপনি পারলে জবাব দিবেন।

প্রশ্ন ১/ আপনি কি চান আপনার আদরের বোন টি তার প্রেমিকের দ্বারা ধর্ষণের শিকার,
অথবা ভোগের বস্তুতে পরিনিত হোক?
প্রশ্ন ২/ আপনি কি চান এমন মেয়ে কে বিয়ে করতে যে মেয়ে নিজের কুমারিত্ত তার
প্রেমিকের হাতে তুলে দিয়েছে?
প্রশ্ন ৩ / আপনি কি এমন ছেলে কে বিয়ে করতে চান যে ছেলে প্রেমের ফাঁদে ফেলে
একাধিক মেয়ের কুমারিত্ত হরন করেছে?

প্রশ্ন ৪ / আপনি এমন মায়ের সন্তান হতে চান যে মায়ে তার কুমারিত্ত পর পুরুষের হাতে তুলে
দিয়েছে।
প্রশ্ন ৫/ আপনি কি এমন সন্তানের পিতা মাতা হতে চান যে সন্তান তার সতীত্ব পর পুরুষের
হাতে তুলে দিবে,
যে সন্তান প্রেমের ফাঁদে ফেলে একাধিক মেয়ের দেহ ভোগ করবে?
 
প্রশ্ন ৬ / আপনি কি চান এই দেশের মেয়েরা সম্মান আর ইজ্জত সাথে বেচে থাকুক?
প্রশ্ন ৭ / আপনি কি চান আমাদের মা বোনেরা ভোগ বাদি পুরুষের দ্বারা ভোগের
বস্থুতে পরিনিত হোক?
প্রশ্ন ৮/আপনি চান আমাদের দেশে যেনা ব্যভিচার প্রসার লাভ করুক?

উপরের এই বিষয় গুলি আপনি যদি না চান তা হলে কেনো এর বিরোধীতা করতেছেন?
তা হলে আমি কি  ধরে নিবো যে আপনার ঘরে আপনার মা বোনেরাই নিরাপদে নেই?

আপনি নারীর সম্মান চান কিন্তু নারী পুরুষের অবাধ মেলামেশা বন্ধ হোক সেটা চান না?
আপনি নারীর সম্মান চান কিন্তু নারীরা পর্দা আইন মেনে চলুক সেটা চান না?
একটি যুবতি মেয়ে অর্ধনগ্ন হয়ে  রাস্তা দিয়ে যাবে, আর রাস্তার পাশে বসে থাকা ছেলে
গুলি দেখে বলবে মামা দেখ কি সুন্দর সেক্সি মাল যায়।
একটি মেয়ে তার বন্ধুদের বা তার প্রেমিকের সাথে  ভিভিন্ন পার্কে অথবা রেস্টুরেন্টে ঘুরে
বেড়াবে,একে অপরকে জরিয়ে ধরবে,
বিয়ের আগেই  অসামজিক ভাবে পার্কে বা আবাসিক হোটেলে শারীরিক কাজ করবে,
বিয়ে দিতে গেলে লক্ষ লক্ষ টাকার যৌতুকের বুঝা নারীর ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হবে?
একটি নারী তার ঘরের যাবতীয় কাজ কর্ম করবে আবার চাকরি করে তার স্বামী সন্তানদের
কে খাওয়াবে?
পরিচালক তার ছবির ব্যাবসা সফলতা পেতে নারীকে অর্ধনগ্ন করে সমাজে প্রচার করবে?
 
এটায় কি নারীর সম্মান? এটাই কি নারীর অধিকার?
তোদের এই সম্মান ও অধিকারের কপালে ঝাটা মারি।

আমাদের দেশের সুশীলরা বলে নতুন প্রজন্ম নাকি আমাদের দেশটা বদলিয়ে দেবে।
আপনারা মিথ্যা কথা বলেন নাই।ঠিকি বলেছে।
তারা ঠিকি এই দেশটা কে অশ্লিলতা যেনা ব্যাভিচার কুমারিত্ত হীন নারী দিয়ে বদলিয়ে দেবে।
সে দিন বেশি দূরে নয় যে দিন এই নতুন প্রজন্ম কুকুরের স্বভাব চরিত্র ধারন করবে।
তাদের কে দেখে কুকুর ও লজ্জা পাবে।
কেনোনা কুকুর হাজার চেষ্টা করেও মানুষের চরিত্র ধারন করতে পারবেনা।
আমি এ পর্যন্ত  বললাম।বাকি টুকু সময়ের ব্যবধানে প্রমাণ পেয়ে যাবেন।
আল্লাহ হাফেজ।

এখন নতুন প্রজন্মের অপকর্ম দেখুন 

ভিডিও ১
দেখুন বোটানিকেল গার্ডে নতুন প্রজন্ম কি ভাবে নোংরামিতে মেতে উঠে?

 ভিডিও ২
দেখুন রাস্তার পাছে গাছে আড়ালে এরা কি করে?

ভিডিও ৩
দেখুন আবাসিক হোটেলে এরা কি করে?  











  আরো দেখুন আমার অনুসন্ধানে
 
 আরো যদি দেখতে চান তা হলে আপনার নিকটবতি কোনো কম্পিউটারের দোকানে খোজ
করুন দেখবেন শত শত এই সব নোংরামি ভিডিও পেয়ে যাবেন।
   
 প্রেমের নামে নারীর দেহ ভোগ চলতেছে -ভিডিও সহ

 প্রেমের আড়ালে অবৈধ সেক্সে কুমারীত্ব হারাচ্ছে মেয়েরা,সবাই পড়ুন

 পরিচালকরা তাদের ব্যবসা করে, নারীদের দেহ দেখিয়ে,ছবি দিয়ে নয়

আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুণ।


 এই ব্লগে পড়তে কি সমস্যা হয়?আপনার কি টাকা বেশি খরচ হয়ে যায়?

কোন মন্তব্য নেই :

তোমরা যারা নাস্তিক,তাদের কে বলছি?

কোন মন্তব্য নেই


হে নাস্তিক ভাই আপনার কাছে যদি ধর্ম ভালো না লাগে সেটা আপনার ব্যাক্তি গত ব্যাপার।
আপনি ধর্মের আইন নিয়ম মানবেন না সেটা আপনার স্বাধীনতা।
কিন্তু আপনি আপনার স্বাধীনতার নামে অন্যের ধর্মের উপর আক্রমন করবেন কেনো?
আপনি চিন্তা করে দেখুন তো আপনারা যারা ধর্ম মানেন না তাদের সংখ্যা কত?
আর যারা ধর্মের আইন মানে তাদের সংখ্যা কত?
আপনি ধর্ম মানে না বলেই আমরা আপনাকে নাস্তিক বলি।
আর তাতেই আপনাদের গায়ে চুলকানি উঠে যায়?
অথচ এদেশের ৯০ ভাগ মানুষ মুসলিম।
আমরা আমাদের প্রিয় নবীকে নিজের জীবনের চেয়ে বেশি ভালো বাসি।
আপনারা আমাদের প্রিয় নবীকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ ভাষায় কথা বলবেন
সেটা আমাদের গায়ে লাগবেনা সেটা ভাবেন কি করে?
শুধু আপনাদের কারনেই দেশে এই পরিস্তিতি তৈরি হয়েছে।
আপনারা যদি এই দেশের তৌহিদী জনতার মনে
আঘাত না দিতেন তা হলে এই ভয়ঙ্কর গর্জন
আপনাদের শুনতে হতোনা।

হে নাস্তিক ভাই আপনারা বলেন আপনারা নাকি শিক্ষিত।
কিন্তু কাজের বেলাতে তো সেটা প্রমান করতে পারেন না।
আপনার মতের সাথে আরেক জনের মত না মিললে তাকে
 কুরুচিপূর্ণ ভাষায় গালিগালাজ করতে হবে
এটা কেমন শিক্ষাগত যোগ্যতা আপনাদের।
এটা আপনাদের কেমন ভদ্রতা?
আপনারা লেখা পড়া করে কি এই সব নোংরামি ভাষা শিখেছেন?
তা হলে একজন অশিক্ষিত ও আপনার মাঝে পার্থক্য কোথায়?  
আপনারা না বলেন সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে আর কেউ নাই?
তা হলে আপনারাই কেনো আপনাদের কথা
মানেন না?

আপনারা বলতে পারেন তোমরা আমাদের কে হত্যা করতেছো কেনো?
আমি বলবো আপনি মনে করতেছে তারা আপনাদের কে হত্যা করতেছে আসলে
আপনাদের কে নয়?
তারা হত্যা করতেছে ধর্মদ্রোহীদের কে নাস্তিকদের কে নয়।
যারা নাস্তিক তারা কখনো অন্যের ধর্মের ক্ষতি করবেনা।
কারন তারা নিজেরাই ধর্ম মানেনা তা হলে এটা নিয়ে ঘাটা ঘাটি করবে কেনো?
বরং যারা ধর্ম বিদ্বেষী তারাই ধর্মকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ ভাষায় কথা বলবে।
এবং সেটা কোনো বিশেষ ধর্মের উপর।
যারা সত্যিকারের নাস্তিক?
তারা কোনো বিশেষ ধর্মের উপর আক্রমন করবেনা?
তারা সব ধর্মেরেই সমালোচনা করবে।
এবং যুক্তি সহকারে,গালিগালাজ করে অথবা কুরুচিপূর্ণ ভাষার মাধ্যমে নয়।
আর এটায় হলো শিক্ষাগত যোগ্যতা।

আমি আপনাদের কে ছোট্ট একটি উদাহরণ দেয়ঃ
মনে করুন আমি নাস্তিক আপনি মুসলিম অথবা অন্য কোনো ধর্মের অনুসারি?
আমি ধর্ম মানিনা বলেই আমি নাস্তিক।
এখন আমি নাস্তিক হয়ে যদি আপনার কোনো ক্ষতি না করে আমি আমার পথে চলি?
আপনি আপনার পথে চলেন?
তা হলে আপনি আমার কোনো ক্ষতি করবেন?
এমন কি সাধারন ক্ষতি ও?
এখন আমি আপনার বিশ্বাসের উপর আঘাত হানি?
আপনার বিশ্বাস এর উপরে কোনো ভাবেই যুক্ত নয়?
তা হলে আপনার কাছে কেমন লাগবে?
অথবা আমি আপনার মা বাবার নামে কুরুচিপূর্ণ ভাষায় অপবাদ দিলাম?
আপনার মা বাবা এর সাথে কিছুতেই যুক্ত নয়?
আপনি আপনার মা বাবাকে নিজের প্রানের চাইতে বেশি ভালোবাসেন?
তা হলে এই কুরুচিপূর্ণ কথা গুলি আপনার কাছে কেমন লাগবে?
যদি ভদ্র বাবা মায়ের ঘরে জন্ম নিয়ে থাকেন তা হলে অবশ্যয় খারাপ লাগবে।
ঠিক তেমনি ভাবে আমরা নিজের জীবনের চেয়ে বেশি ভালোবাসি
আমাদের প্রিয় নবীকে।  
আপনারা যদি সেই নবীকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ ভাষায় গালিগালাজ করেন?
তা হলে আমাদের মনে কি আঘাত লাগবেনা?
আপনি ধর্ম মানবেন না সেটা আপনার স্বাধীনতা।
কিন্তু আপনি অন্যের ধর্মের উপর আঘাত করে কথা বলবেন সেই
স্বাধীনতা তো আপনাকে দেওয়া হয়নি?
আপনি আপনার পথে চলবেন সেটা আপনার স্বাধীনতা,
কিন্তু আপনি আরেক জনের চলার পথ রুদ্ধ করে দাড়াবেন
এটা আপনার কেমন মানবতার নীতি?
আপনি আপনার চেতনায় নিয়ে থাকুন,
আমাদের কে আমাদের চেতনা নিয়ে থাকতে দিন।।
এটায় হবে স্বাধীনতা।
আপনি আপনার নাস্তিকতার মত প্রকাশ করুন
কোনো ধর্মের উপর আক্রমন ছাড়া।
আমি আমার মত প্রকাশ করবো আমার ধর্মের দ্বারা,
আপনার উপর আক্রমন ছাড়া।
তা হলে এটায় হবে মত প্রকাশের স্বাধীনতা।
আপনি যদি এটা না করে বিশেষ ধর্মের উপর
কুরুচিপূর্ণ ভাষায়  আক্রমন করে কথা বলবেন?
সেটা নাস্তিকতা হবেনা সেটা হবে ধর্মদ্রোহীতা।
আর যারা এই সব করবে তাদের কে তো
তৌহিদী জনতা গনধোলায় দিবে এটায় তো স্বাভাবিক।
আপনি অপকর্ম করবেন আর সেটার বিচার করা যাবেনা এটা কেমন যুক্তি?
এটা আপনাদের কেমন মানবতা?
তা হলে যারা অপরাধ করেনা তাদের দোষ কোথায়?
আপনারা বলেন আমরা যদি ইসলামের প্রতি অবমাননা করে থাকি,
তা হলে আল্লাহ বলেছে এর বিচার পরকালে করবেন?
তা হলে আমি আপনাকে বলি আল্লাহ তায়ালা বলেছে সকল অবিচারের
বিচার একদিন আল্লাহ করবেন।
সে দিন তাহার হাত থেকে কেউ রেহায় পাবেনা?
তা হলে আপনারা সাঈদি,নিজামি,আরও অনেকের বিচার করতেছেন?
তা হলে তাদের বিচার এখানে করতেছেন কেনো?
তাদের কে আল্লাহর হাতে ছেড়ে দিন।
আল্লাহ তো তাদের বিচার করবেন।
আপনি বলতে পারেন আমরা তো পরকাল কে বিশ্বাস করিনা।
আমি ও বলবো আপনাদের এই দুনিতিবাজি কথা আমরা ও বিশ্বাস করিনা।
আপনারা নাস্তিক হয়ে যদি বিচার চাইতে পারেন?
তা হলে আমরা আস্তিক হয়ে কেনো আপনাদের অপকর্মের বিচার চাইতে পারবো না?
আপনারা নাস্তিক হয়ে যদি বলতে পারেন তা হলে আমরা কেনো বলতে পারবোনা
সাঈদি সহ বাকি অপরাধীদের কে মুক্তি দিন।
তাদের বিচার আল্লাহ করবেন।
আপনাদের করার দরকার নাই।
নাকি মাহমুদুর রহমান স্যারের কথা মেনে নিবো যে মুসলমানদের মানবধিকার
থাকতে নেই।
আমি জানি মাহমুদুর রহমান স্যার আপনাদের প্রধান শত্রু।
তিনি আপনাদের নাস্তিকতার আড়ালে ধর্মদ্রোহীতার মখোশ ধর্ম প্রান মানুষদের
কাছে খুলে দিয়েছে।
  
তার পর ও তার নামটি নিলাম।
কারন তিনি আমার প্রিয় সম্পাদক।

আমরা যদি এই মতবাদ নিয়ে চলি তা হলে সমাজে অপরাধ বেড়ে যাবে।
যারা নিরাপরাধ তারা ও অপরাধ করতে উৎসাহী হবে।
তারা বলবে যারা অপরাধ করেও যদি দোষী না হয়
তা হলে আমাদের অপরাধ করতে বাধা কোথায়?
এই ধরনের মত বাধ যদি মানুষের ভিতরে থাকে 
তা হলে সমাজে শান্তি আসবেনা।
সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে যারা অপরাধী তাদের কে
ধরে অপরাধ অনুযায়ি শাস্তি দিতে হবে।
ধর্ম তো সেই কথায়ই বলে ?
তা হলে ধর্মের অপরাধ কোথায়?
ধর্মের অপরাধ হল আপনারা অবাধ যৌনতার বিশ্বাসী,
আর ধর্ম সেটার কঠোর বিরোধী বিশেষ করে ইসলাম।
যার কারনে আপনাদের মনে এতো চুলকানি?
বেশি চুলকায়েন না তালে ক্ষত আরো বেড়ে যাবে।           

হে নাস্তিক ভাই আমি আপনাদের কাছ থেকে জানতে চাই?
আপনারা ধর্ম মানবেন না সেটা আপনার ব্যাক্তিগত ব্যাপার।
কিন্তু আপনি বিশেষ ধর্মের উপর আক্রমন করে কি লাভ?
কি সুখ  কি শান্তি পান?
আমি আপনার বিরুদ্ধে লিখে আপনাকে অস্তির করে তুলবো?
আপনিও আমার প্রিয় নবীকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ ভাষায় লিখে আমাকে
অস্তির করে তুলবেন?
এতে আপনি শান্তি পেলেন কোথায়?
আমি নিজেও শান্তি পেলাম কোথায়?
আপনারা না শান্তি প্রিয় মানুষ?
আমরা সবাই জানি মনের শান্তি বড় শান্তি?
এই উত্তেজনার পথে থাকলে তা হলে  আমরা শান্তি পেলাম কোথায়?
মনে শান্তি পেতে হলে আমাদের সবার উচিত উত্তেজনার পথ পরিহার করে
সুন্দর ভাবে একে অপরের মত বাদের জবাব দেওয়া।
আপনি আপনার মত বাদ  প্রকাশ করবেন সুন্দর ভাবে যুক্তি
সহ কারে কোনো রকম বিদ্বেষ পূর্ণ বক্তব্য ছাড়া।
আমিও আমার মত বাদ প্রকাশ করবো কোনো রকম বিদ্বেষ ছাড়া,
সুন্দর ভাবে যুক্তি সহকারে।
আমি যদি আপনার মতবাদের যুক্তি সহ কারে উত্তর না দিতে পারি সেটা
আমার ব্যার্থতা।
পবিত্র কোরআনে ও  একই কথা বলা আছে যে,
আসো সেই কথায় যা তোমাদের ও আমাদের মাঝে এক।
আপনার কালেমার অর্ধেক অংশ বিশ্বাস করেন আমরা সম্পূর্ণ
অংশ বিশ্বাস করি।
আপনারা বিশ্বাস করে কোনো ইলাহ নাই?
আমরা বিশ্বাস করি আল্লাহ ছাড়া আর কোনো ইলাহ নাই।
আপনার আমার মাঝে পার্থক্য হলো আপনি সৃষ্টিকর্তা বিশ্বাসী নন,
আমি সৃষ্টিকর্তার বিশ্বাসী।
আপনি সৃষ্টিকর্তার বিশ্বাসী না হয়ে কেনো তার বিধান কে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ ভাষায়
প্রবন্ধ লিখবেন?
আপনি তো ধর্মের বিরোদ্ধে লিখে নিজের বিশ্বাস কে ভঙ্গ করতেছেন?
যারা বিশেষ ধর্মের বিরোদ্ধে লিখে তারা  নাস্তিক নয় তারা  ধর্ম বিদ্বেষী।
আপনি যদি নাস্তিক হয়ে থাকেন তা হলে আমি আপনাকে স্বাগতম জানাবো।
আর আপনি যদি ধর্ম বিদ্ধেষী হয়ে থাকেন তা হলে আমি আপনাকে
ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করবো।

কেননা আমার মা বাবা মুসলিম সে হিসাবে আমি মুসলিম।
কিন্তু আপনার মা বাবা মুসলিম হওয়া সত্ত্বেও আপনি মুসলিম
হতে চান না?
আপনি নিজ চোখে দেখতে চান সৃষ্টিকর্তা আছে কি না?
নিজ চোখে তাকে দেখলে আপনি বিশ্বাস করবেন।
না দেখলে বিশ্বাস করবেন না?
এটা হল আপনাদের মতবাদ?
এবার আমার মতবাদ ভালো করে চোখ কান খুলা রেখে শুনুন।
আমি জানি বিজ্ঞান বলে  মানুষ না খেয়ে বাচতে পারে ৩০ দিন।
কিন্তু বিজ্ঞান আরো বলে মানুষ অক্সিজেন ছাড়া বাঁচতে পারে মাত্র ২ মিনিট।
প্রতি সকাল ৮ টা বাজে নাস্তা করি,
সকাল ১০টা বাজে,বিকাল ৩ টা বাজে এবং রাত্রে ১০ টা বাজে ভাত খায়।
প্রতি চার বেলা খাবার খায় বলে আমি বিশ্বাস করি পৃথিবীতে খাবার বলে
কিছু আছে?
যদি না থাকে আমি কি খেয়ে বেচে থাকি?
খাবার আছে বলেই তো ৩০ দিনের জায়গাতে ২০ বছর ধরে বেচে আছি।
কিন্তু বিজ্ঞান বলে অক্সিজেন না থাকলে মানুষ বাঁচতে পারে মাত্র ২মিনিট।
আমি আপনাদের মতবাদ মেনে নিলাম।
কারন অক্সিজেন যদি না থাকতো আমি জন্মের ২ মিনিট পরেই মারা যেতাম।
অক্সিজেন আছে বলেই আমি আজ ২০ বছর ধরে বেছে আছি।
কিন্তু আক্সিজেন বলে কিছু আছে সেটা আমি চোখে দেখতে পাইনা?
আপনারা আমাকে দেখান?
না দেখাতে পারলে আমি ও আপনাদের সাথে সুর মিলিয়ে বলবো
যাকে দেখিনা আমি তাকে মানিনা?
তা হলে আপনারা বলতে পারেন তোর মতো রুবেলে যদি অক্সিজেন না মানস
তাতে অক্সিজেনের কি?
তা হলে আমি বলবো আপনারা ও তো অক্সিজেন আছে সেটা নিজ চোখে দেখতে পান না?
তা হলে সেটা কেনো বিশ্বাস করেন?
আপনারা না বলেন যাকে দেখিনা তাকে মানিনা?
তা হলে অক্সিজেন বলে কিছু আছে সেটা কেনো মানেন আমরা জানতে চাই?
আপনাদের ভণ্ডামি এখানেই ধরা পরে যাবে।

উপরের কথা গুলো আমার প্রথম পয়েন্ট।
এখন আমি ২য় পয়েন্ট বাতাস নিয়ে আলোচনা করবো।
বাতাসের জন্য কারেন্ট আমাকে খুব জ্বালাতন করতেছে।
বর্তমানে বৈশাখ মাস।
এই মাসে  দেশের সব প্রান্তে ঝড় তুফান হয় বেশি।
এই বাতাস যখন অনেক বেশি গতি বেগে ছুটে যায় তখন এই বাতাসের
আঘাতে মানুষের বাড়ি ঘর,গাছ পালা  লন্ড ভন্ড করে দিয়ে যায়।
আবার সেই একেই বাতাস তীব্র গরমে আমাদের কে শীতল করে দেয়।
এই বাতাস আমাদের কে এক দিকে ক্ষতি করে আরেক দিকে উপকার ও করে।
কিন্তু আমরা তাকে দেখতে পাইনা?
এখন আমি যদি আপনাদের ধারনা মেনে নেই তা হলে আমাদের পৃথিবীতে
বাতাস নেই।
আর যদি বাতাস না থেকে থাকে তা হলে এই সব হয় কি করে?
এমন কি বাসায় মাথার উপর ফ্যান ঝুলিয়ে গরমে আরাম করে যে বাতাস খান?
সেই বাতাস কি চোখ দিয়ে দেখেন?
না দেখলে সেই বাতাস আছে বলে কেনো বিশ্বাস করেন?
আপনারা বলেন যাকে দেখিনা তাকে মানিনা?
তা হলে সেই বাতাস কেনো মানেন আমরা জানতে চাই?
আপনাদের ভণ্ডামি এখানে ও ধরা পরে গেছে।
এখন আপমাদের কাছে আমার প্রশ্ন হল যে অক্সিজেন
এবং বাতাস থাকার পর আপনারা চোখ দিয়ে দেখতে পান না?
অথচ এই গুলি মহান আল্লাহই সৃষ্টি করেছেন?
তার সৃষ্টি অক্সিজেন,বাতাস খালি চোখে যদি দেখতে না পান?
যে এগুলি সৃষ্টি করেছেন তাকে খালি চোখে কি ভাবে দেখতে পাবেন?
যত সব পাগলের প্রলাপ।
বুঝিনা আপনারা এতো লেখা পড়ার করার পর ও কেনো এই বিষয় গুলি
আপনাদের মাথায় প্রবেশ করেনা?

আপনারা বলেন  সৃষ্টিকর্তা নেই?
আমরা যখন বলি সৃষ্টিকর্তা না থাকলে এই সৌর জগৎ কে সৃষ্টি করেছেন?
কে সৃষ্টি করেছেন এই মানব জাতিকে?
কে সৃষ্টি করেছেন গাছ পালা,পুশু পাখি,জীবন মরন কে?        
জবাবে আপনারা বলেন এই গুলো এমনেতেই হয়ে গেছে?
এখন আপনাদের কাছে আমার প্রশ্ন হলো দুনিয়ার এতো কিছু এমনেতেই হয়ে গেলো?
কিন্তু বিজ্ঞান কেনো এমনেতেই হলো না?
আজ বিজ্ঞানের কেনো এতো কিছু আবিস্কার করতে হচ্ছে মানুষের জীবন মাত্রা উন্নত করার জন্য?
এমন কি আমি যে কম্পিউটার দ্বারা এই পোস্ট টি লিখতেছি সেটা ও তো বিজ্ঞান আবিস্কার করেছে।
এমন কি যে মাধ্যমে আমরা নিজেদের মতামত প্রকাশ করি সেটাও বিজ্ঞানের তৈরি?
সৌর জগতের এতো কিছু এমনেতেই সৃষ্টি হয়ে গেলো অথচ এই গুলো সৃষ্টি হতে পারলোনা
এটা কেমন যুক্তি সঙ্গত কথা?

এমন কি আমরা তিন বেলা যে খাবার খেয়ে বেচে  আছি সে খাবার ও তো এমনেতেই হয়না
রান্না করে খেতে হয়?          

সৌর জগতের এতো কিছু এমনেতেই সৃষ্টি হয়ে যেতে পারে তা হলে এই খাবার গুলো
এমনেতেই হয়ে যেতে পারেনা?
এমনেতেই হয়ে গেলো তো আমাদের মা বোনদের এতো কষ্ট করতে হয়না।

এর পর ও যদি বলেন সৌর জগতের যা কিছু আছে সব এমনেতেই সৃষ্টি হয়ে গেছে,
কোনো সৃষ্টিকর্তা এই গুলো কে সৃষ্টি করে নাই?
তা হলে আমিও বলবো কম্পিউটার, ইন্টারনেট সহ বিজ্ঞানের দ্বারা যত কিছু আবিস্কার
হয়ে এই গুলো বিজ্ঞান আবিস্কার করে নাই,
এমনেতেই হয়ে গেছে।
শুধু বিজ্ঞান নিয়ে এমনেই  চিল্লাচিল্লি,ব্যাঙ্গের মতো লাফা লাফি করেন।         

আপনারা আবার বলতে পারেন তোর মতো রুবেলে যদি বিজ্ঞান না মানস তাতে বিজ্ঞানের
ক্ষতি কি?
তা হলে আমি ও বলবো ওরে হতছেড়া  তোর মতো সারা পৃথিবীর মানুষও যদি মহান 
আল্লাহ কে না মানে
তাতে মহান আল্লাহর ক্ষতি কি?
ক্ষতি তোর আমার,
জাহান্নামের আগুনে জ্বললে তুই আমি জ্বলবো।
নাস্তিক ভাই তুমি যতই জান্নাত জাহান্নাম  অবিশ্বাস করো না কেন?
মনে রেখেও জান্নাত জাহান্নাম অবশ্যয় আছে।
বিজ্ঞান ছাড়া যেমন কম্পিউটার তৈরি হয় না এ যেমন পানির মতো ক্লিয়ার?
ঠিক তেমনি ভাবে  সৃষ্টিকর্তা ছাড়া এই কিছু এমনেতেই সৃষ্টি হয়ে যায়নি?
সৃষ্টিকর্তা অবশ্যয় এক জন আছেন।

নাস্তিক ভাইদের কে বলবো,
ভাই আপনি যদি ধর্ম না মানেন সেটা আপনার ব্যাক্তিগত বিষয়।
কিন্তু আপনি অন্য ধর্মের বিশ্বাসের উপর তো আঘাত দিতে পারেন না।
আপনার বিশ্বাস আপনার অন্তরে লালন করুন,
আমাদের বিশ্বাস আমাদের অন্তরে লালন করবো।

আর দয়া করে অশ্লীল ভাষা প্রয়োগ করা থেকে বিরত থাকুন।
পরিবেশ কে  অসামাজিকতার হাত থেকে রক্ষা করুন।

মুসলিম ভাইদের কে বলতেছি,
আপনারা ধর্মদ্রোহীদের পোস্ট পেলে লাইক কমেন্ট করবেন না।
বরং রিপোর্ট মেরে চলে আসবেন।
তারা যদি আপনাকে কু রুচি পূর্ণ ভাষায় গালি আপনি দিবেন না।
কারন কোনো পাগলা কুত্তা আপনার পায়ে যদি কামড় দেয়?
তা হলে কি আপনি এই পাগলা কুত্তার পায়ে কামড় দিয়ে প্রতিশোধ নিবেন?
নিবেন না।
তাই কেউ যদি আপনাকে গালা গালি করে তার পর ও আপনি তাকে গালাগালি করবেন না।
বরং তার সাথে ভালো ব্যাবহার করুন।
এটা আমাদের রাসুল্লাহ (সাঃ) এর শিক্ষা।

আরও অনেক কিছু বলার ছিলো।
কিন্তু সময়ের অভাবে  এর বেশি কিছু বলতে পারি নি।
আমার লেখার মাঝে কোনো ভুল থাকলে দয়া করে ক্ষমার নজরে দেখবেন।
আমার কথার দ্বারা আপনারা যদি কেউ কষ্ট পেয়ে থাকেন তা হলে ছোট ভাই হিসাবে
আমাকে ক্ষমা করে দিবেন।

আমার কথা যুক্তি সঙ্গত হলে শেয়ার করবেন।
আপনার একটি শেয়ার করার কারনে অনেকের হাতে পৌছে যাবে।

আমার পোস্ট টি পড়ার জন্য আপমাকে ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন এ কামনায়.........
আল্লাহ হাফেজ।
....................................

Share on Facebook

আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুণ।
এই পোস্ট গুলি কি আপনি পড়েছেন?

বিষয়ঃ বর্তমানের পেক্ষাপট

এই ব্লগে পড়তে কি সমস্যা হয়?আপনার কি টাকা বেশি খরচ হয়ে যায়?

কোন মন্তব্য নেই :

কীলগার থেকে সাবধান

কোন মন্তব্য নেই
 কীলগার থেকে সাবধান ...
কীলগার হল এমন একটি সফটওয়্যার যার
দ্বারা আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত
ব্যক্তির কী-বোর্ডের সকল
কী প্রেসিং জানতে পারবেন। কীলগার
সাধারণত হার্ডওয়অর এবং প্রোগ্রাম,
এই দুই ভাবেই ধরনের হয়ে থাকে।
হার্ডওয়অর কীলগার পিসির কী-
বোর্ডের
সাথে বা ইউ.এস.বি পোর্টে লাগানো হয়।
একটি হার্ডওয়্যার কীলগার দেখতে AA
সাইজের ব্যাটারির সাইজের মতন।
অন্য
দিকে প্রোগ্রামিং কীলগার
ব্যবহারে কিছুটা সহজ এবং নিরাপদ।
এসব কীলগার সফটওয়্যার
দিয়ে আপনি সহজেই কারও ব্যক্তিগত
প্রোফাইল হ্যাক করতে পারবেন।
বিভিন্ন কোডার শ্রেণীর হ্যাকাররা এ
সব কীলগার তৈরি করে থাকে।
কীলগার জাতীয় সফটওয়্যারকে তিন
ভাগে ভাগ করা যায়। যথাঃ
১. ইন্সটলার কীলগার
২.রিমোট কীলগার
৩. RAT কীলগার
►ইন্সটলার কীলগারঃ এসব কীল গার
অন্যন নিদৃষ্ট কম্পিউটারেইন্সটল
করতে হয়। সাধারণ সফটওয়্যারের মতন
একে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
ইন্সটলার কীল গার সাধারনত
একটি নিদৃষ্ট কম্পিউটারেই তার
হ্যাক করা ডাটা সংরক্ষণ করে।
ইন্সটলার কীল গার অন্যান্য কীল গার
হতে অধিক শক্তিশালী এবং নিরাপদ
হয়ে থাকে। তবে এটি কেবল সেই
কম্পিউটারের উপর প্রযোজ্য
যেটি হ্যাকার ব্যবহার করে।
►রিমোট কীলগারঃ এগুলো দূর
থেকে ইন্টারনেট সংযোগের
মাধ্যমে অন্য কম্পিউটার
নিয়ন্ত্রণে কাজ করে থাকে। এসব
কীলগারের মাধ্যমে পৃথিবীর এক
প্রান্ত থেকে অন্য
প্রান্তে হ্যাপারা তাদের
অনুসন্ধান চালাতে পারে। এসব
কীলগারে টোরাজন হর্স ভাইরাস
ব্যবহার করা হয়।
RAT কীলগারঃ RAT এর পূর্ণ রূপ হলও
Remote Administrator Tool এর
মাধ্যমে পৃথিবীর এক প্রান্ত
থেকে অন্য প্রান্তে হ্যাপারা তাদের
অনুসন্ধান
চালাতে পারে এবং একটি কম্পিউটারের
সকল সিস্টেমই RAT হ্যাকারদের
নিয়ন্ত্রণে এনে দিতে পারে। এসব RAT
কীলগারে torajon.win32 ভাইরাস
ব্যবহার করা হয়।
বেশ কিছু দিন
ধরে যেকোনো টেকি সাইটে ঢুকলে একই
কথা , একই টাইটেল “
ফ্রিতে ইন্টারনেট চালান ” ।
এটা নিয়ে অনেকে অনেকভাবে মন্তব্য
করছেন , অনেকে অনেক কথা বলছেন ।
অনেকে বলছে এতদিন অমুক অপারেটর
আমাদের বাঁশ দিচ্ছে , এখন
আমরা তাদের
দিব কিংবা এক কথায় কেউ বলছে অমুক
অপারেটরকে বাঁশ দিন ,
অনেকে বলছে বেকার
যুবকরা ফ্রিতে ইন্টারনেট
চালাবে ইত্যাদি এরকম নানা কথা ।
কিন্তু এদিকে যে আমাদের দেশের যুবক
দের কতবড় সর্বনাশ হচ্ছে তা নিশ্চয়ই
কারও মাথায় নেই ।
আমাদের খুবই পছন্দের সফটওয়ার PD-
Proxy এটা যারা ফ্রি ইন্টারনেট
চালাচ্ছেন তাদের বেশীরভাগ ওই ইউস
করছেন । কিন্তু ফ্রি ইন্টারনেট
চালানোর মাশুল ভুগতে হচ্ছে ।
এবার মুল কথায় আসি , PD-Proxy
আসলে একটা কিলগার, মালওয়ার !
আপনাদের এন্টিভাইরাস নিশ্চয়ই
এটাকে ডিটেক্ট করতে পারেনি ।
এটা দিয়ে চুরি হয়ে যাচ্ছে আপনার
কম্পিউটার এর ডাটা , আপনার একাউন্ট
এর পাসওয়ার্ড আরও কতকি ।
হয়ে যাচ্ছে আপনার একাউন্ট হ্যাক ।
হ্যাঁ আমিও পিডি প্রক্সি ১ মাস ইউস
করেছি । হটাৎ একদিন আমার এক বন্ধু
আমার পিসিতে কিলগার প্রবেশ করায়,
এবং আমাকে আমার ফেবু আইডির
পাসওয়ার্ড জানিয়ে দেয় । তথন্
আমি এক
ভাইয়ার পরামর্শে ফায়ারওয়েল ইউস
করি । ফায়ারওয়াল ইউস করার পর
হঠাৎ বুঝতে পারলাম
যে পিডিপক্সি একটা কিলগার,
মালওয়ার
। তখনই আমি আমার সব একাউন্ট এর
পাসওয়ার্ড চেন্জ করলাম ।
কিভাবে এরকম সমস্যা হতে বাচবেন ?
১) লাষ্টেড আপডেট কৃত এন্টিভাইরাস
ইউস করুন ।
২)ফায়ারওয়াল ইউস করুন ।
৩) অযথা কোন লিন্কে ক্লিক করবেন
না ।
৪) ডাউনলোডকৃত ফাইল ওপেন করার
আগে স্কান করে নিন ।
৫) আপনার পাসওয়ার্ড এর
পরে একটা স্পেস দিন ।
ফ্রিতে ইন্টারনেট চালানোর
আগে দুবার ভেবে দেখবেন এবং সতর্ক
থাকবেন । ভালো থাকুন ।
আচ্ছা, আপনি যে মডিফাই
করা অপেরাটি ব্যবহার করেছেন
সেটাযে আপনার পাসওয়ার্ড
যে মডিফাই
করেছে তার
কাছে পাঠিয়ে দিচ্ছেনা তার
কী গ্যারান্টি? আপনি তো আর কোন
প্রোগ্রামার না !
ফ্রী এস এম এস সম্পর্কে 'ইমরান ভাই'
লিখেছেন, মনে করুন, আপনি কোন
ফ্রী মেসেজ পাঠানোর সাইট
থেকে ফ্রী মেসেজ পাঠালেন, এসময়
সাইড
এডমিনরা মেসেজ সেন্ড হওয়া ও
ডেলিভারীর রুট এ
একটা ব্যবস্থা রাখে যাতে করে আপনার
ব্যবহৃত নাম্বার ও বিভিন্ন
গুরুত্বপুর্ণ তথ্যগুলো মেইল
আকারে এডমিন এর হাতে চলে যায় |
একে ক্লোনিং বা ডাটা ইমেজ ও
বলতে পারেন ।
এই ক্ষেত্রে অনেকে জানতে চাইবেন,
'ভিন দেশী এডমিন কি করবে আমাদের
ডাটা দিয়ে ?!' সোশ্যাল মার্কেটিং
ব্র্যান্ড এসএমএস এসএমএস মার্কেটিং
ইনবক্স স্পার্মিং আরো ভয়াবহ রহস্য হল
কিওয়ার্ড সেভিং সিস্টেম
এডমিন তার সাইট এ কিছু নির্দিষ্ট
কিওয়ার্ড সেট করে রাখে ,
যাতে আপনার
মেসেজ এ ওই শব্দ গুলো থাকলে ও
বিশেষ
মেসেজ গুলো ফোল্ডার ভিত্তিক
সে সুবিধা মত আলাদা সংরক্ষণ
করতে পারে ! ! !
কিওয়ার্ড গুলো হতে পারে
ফেসবুক, পেপল, ক্রেডিট কার্ড,
পাসওয়ার্ড, পাস, আইডি, সিক্রেট এমন
হাজারো স্পর্শকাতর শব্দ
বুঝতেই পারছেন ক্ষতির
মাত্রা টা কি পরিমাণ হতে পারে ?
অনেকেই বলবেন আমি তো বেশ কয়েক
বারনএলাম-গেলাম ক্ষতি তো হলো না!
উত্তর হবে:
হ্যাকার বা চোর কি প্রতিদিন
চুরি করে ?
মনে রাখতে হবে এসব কাজ বছরে দু
বছরে নিয়মিতই ঘটে থাকে ,
কিছুদিন আগে টুইটার এর প্রায় কয়েক
লাখ আইডি রাতারাতি হ্যাকড
হয়েছিলো !
আপনারা হয়ত জানেন
ফ্রী এসএমএস এর জনপ্রিয় সাইট
গুলো ইন্ডিয়া, ফিলিপাইন ,
ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর এর মতো দেশ
থেকে চালানো হয়
প্রযুক্তি, কোডিং, স্ক্রিপ্ট,
হ্যাকিং সবদিক থেকে এরা কত অভিজ্ঞ
তা কি বলে দিতে হবে ? ?
এখন ,নশেষ কথা. . .
. . .আপনি কি চাইবেন ?
আপনার ই কারণে বিব্রত হোক আপনার
ঘনিষ্ট কেউ !
বা আপনার দেখানো ফ্রী এসএমএস এর
ফাদেঁ পা দিয়ে সর্বস্ব হারায়ে অসহায়
হৌক কেউ !
আমি কখনোই চাইবোনা ।
আরেকটা কথা, এর সাথে যোগ
হয়েছে আরেকটা ফাঁদ ।
"তা হচ্চে mcnet
এয়ারটাইম, ৩০০ টাকা ফ্রী টকটাইম "

ঐটা সম্পর্কেও হুবহু একি কথা ।
বিশ্বাস করলে করবেন,
না করলে ভাগেন।
লাইক দিতে চাইলে লাইক দেন, শেয়ার
করতে চাইলে করেন, এমনকি রিপোর্ট
করতে চাইলেও করেন । আমার কাজ শুধু
সতর্ক করা, বাকিটা আপনাদের কাছে |


বিষয়ঃকম্পিউটার/মোবাইল/ইন্টারনেট
share on facebook
আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুণ। এই ব্লগে পড়তে কি সমস্যা হয়?আপনার কি টাকা বেশি খরচ হয়ে যায়?

কোন মন্তব্য নেই :

নিয়ে নিন দারুন একটি ভিডিও video converter.

কোন মন্তব্য নেই




এই converter নাম wondershare video converter Ultimate6.3.exe
windows xp/Vista/7/8 এর জন্য।
এই converter এর মাধ্যমে আপনি ইচ্ছা অনুযায়ি কাজ করতে পারবেন।
যেমন ভিডিও সম্পাদনা করতে পারবেন।
ভিডিওতে আপনার নাম অথবা আপনার ওয়েব সাইটের ঠিকানা যোগ করতে পারবেন।
এমন কি আপনার ছবিও যোগ করতে পারবেন।
ভিডিও তে  আপনার ইচ্ছা মতো কালার দিতে পারবেন।
 


 download/ডাউনলোড করুন।

আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুণ। এই ব্লগে পড়তে কি সমস্যা হয়?আপনার কি টাকা বেশি খরচ হয়ে যায়?

কোন মন্তব্য নেই :

Speed Up My Computer PRO 2.0 download

কোন মন্তব্য নেই
 Speed Up My Computer PRO will increase pc speed and improve start-up time, downloads, email, internet speed, and more! Award-winning software will improve your computer speed while protecting your system from viruses, spyware, and adware.

Free DOWNLOAD
 
POST ON PC SOFTWARE DOWNLOAD ZOON

কোন মন্তব্য নেই :

PC Auto Shutdown 5.5 download

কোন মন্তব্য নেই
PC Auto Shutdown is a handy utility that helps you shutdown, power off, reboot, hibernate, suspend or log off computers at schedule time you specifies. It gives you different ways to schedule the shutdown event, such as daily, weekly and only once.
file size  884 kb

free download

post on PC SOFTWARE DOWNLOAD ZOON

কোন মন্তব্য নেই :

সর্বশ্রেষ্ঠ পরিকল্পনাকারী আল্লাহ্‌

কোন মন্তব্য নেই

প্রবন্ধটি পড়া হলে, শেয়ার করতে ভুলবেন না


শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু

ভাষান্তর : মোঃ মাহমুদ ইবনে গাফফার
সম্পাদনা : আব্‌দ আল-আহাদ
ওয়েব সম্পাদনা : মোঃ মাহমুদ ইবনে গাফফার
কোরআন আল-কারীমে আল্লাহ্‌ রাব্বুল ‘আলামীন বলেন :
“বস্তুত তোমরা এমন বিষয়কে অপছন্দ করছো যা তোমাদের পক্ষে বাস্তবিকই মঙ্গলজনক। পক্ষান্তরে, তোমরা এমন বিষয়কে পছন্দ করছো যা তোমাদের জন্য বাস্তবিকই অনিষ্টকর এবং আল্লাহ্‌ই অবগত আছেন আর তোমরা অবগত নও।” [সূরা বাকারাহ্‌; ২ : ২১৬]
আমরা উল্লিখিত আয়াতের সাথে সংশ্লিষ্ট একটি ঘটনা এখানে উল্লেখ করব যা আমাদের সকলেরই উপকারে আসবে, ইনশাআল্লাহ্‌।

আপনি আল্লাহ্‌র পরিকল্পনার বাইরে নন :

“অবস্থা দৃষ্টে ঘটনা একরকম মনে হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ঘটে তার উল্টোটা। মুসাকে (আ) নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার জন্যে তাঁর মাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল; ইউসুফকে (আ) মেরে ফেলার জন্যে কূপে নিক্ষেপ করা হয়েছিল; ঈসার (আ) মা মারইয়াম কোন পুরুষের স্পর্শ ছাড়াই অলৌকিকভাবে সন্তান জন্ম দিয়েছিলেন; আয়েশাকে (রা) মিথ্যা কলঙ্কে অভিযুক্ত করা হয়েছিল; ইউনুসকে (আ) তিমি মাছ গিলে ফেলেছিল; ইব্রাহীমকে (আ) আগুনে নিক্ষেপ করা হয়েছিল; মুহাম্মাদ (সা) এর প্রিয়তমা স্ত্রী খাদিজার (রা)মৃত্যু বরণ করা; সালামাহ্‌ (রা) ভেবেছিলেন যে, আবু সালামাহ্‌ (রা) থেকে উত্তম আর কেউ হতে পারবে না; একবার ভেবে দেখুন তো, এই ঘটনাগুলো ঘটার সময় লোকেরা কী ভেবেছিল আর পরবর্তীতে ঘটনাগুলো কোন দিকে মোড় নিয়েছিল!!

অতএব, দুশ্চিন্তা করবেন না। আপনার জন্যও রয়েছে আল্লাহ্‌ রাব্বুল ‘আলামীনের পরিকল্পনা। [উৎস : অজ্ঞাত]

আমরা তা-ই  চাই, যা আমরা  পছন্দ করি। কিন্তু আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামীন তা-ই ঘটান যা তিনি ইচ্ছা করেন।

অনেকদিন আগের এক ঘটনা। ইসরাইলের এক সাবেক রাজার বেশ কয়েকজন ছেলে ছিল। ছেলেদের কেউ প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার সাথে সাথেই নিজেকে মোটা কাপড়ের তৈরি পোশাকে জড়িয়ে চলে যেত পাহাড়ের গুহায় ইবাদতে মগ্ন লোকদের দলে যোগ দেয়ার জন্য। যতদিন বেঁচে থাকত এভাবেই ইবাদত বন্দেগী করতে থাকত তারা। রাজা তার ছেলেদেরকে কখনোই এভাবে পাহাড়ে যেতে বাঁধা দেননি। কারন তিনি উপলব্ধি করেছিলেন যে, আল্লাহ্‌ই তার ছেলেদের সত্যের পথে পরিচালিত করছেন। তাদের হৃদয়কে বদলানোর ক্ষমতা তার নেই।
কিন্তু বৃদ্ধবয়সে উপনীত রাজা তার সর্বশেষ ছেলের পাহাড়ে যাওয়ার ব্যাপারে মত পরিবর্তন করলেন। তিনি সকল মন্ত্রী ও উপদেষ্টাদের নিয়ে জরুরী বৈঠক ডাকলেন এবং বললেন, “আমি আমার এই ছেলেকে অন্য ছেলেদের থেকে অনেক বেশী ভালোবাসি। আমার মনে হচ্ছে আমি আর বেশীদিন বাঁচব না। আমার ভয় হচ্ছে, সে যদি তার ভাইদের সাথে গিয়ে যোগ দেয়, তাহলে আমার পরিবারের বাইরের লোকে আমার এই রাজত্ব দখল করার চেষ্টা করবে। কাজেই বয়স অল্প থাকতেই তাকে নিয়ে যাও। তার মনে দুনিয়ার ভালোবাসা, সুখ, আহ্লাদ সৃষ্টি করার চেষ্টা করো। এতে করে সে হয়তো আমার মৃত্যুর পর তোমাদের রাজা হতে চাইবে।”
রাজার উপদেষ্টামণ্ডলী সঙ্গে সঙ্গে পরিকল্পনা করলেন কী করা যায়। পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা বিশাল একটি এলাকা খুঁজে বের করলেন এবং তার পুরোটাই প্রাচীর দিয়ে ঘিরে দেয়া হলো। অতঃপর সেই শিশু রাজকুমারকে তারা প্রাচীর ঘেরা এলাকায় রেখে তার সবরকম বিনোদন আর বিলাসিতার ব্যবস্থা করলেন। রাজকুমার সাবালক না হওয়া পর্যন্ত চার দেয়ালের ভিতরেই জীবন কাটাতে লাগল। একদিন সে চারিদিকে একনজর তাকিয়ে বলল: “আমার ধারণা এই চার দেয়ালের বাইরেও একটি পৃথিবী আছে। আমাকে বাইরে নিয়ে চলো। আমি জ্ঞান অর্জন  করতে চাই।” 
তত্ত্বাবধায়কেরা বলল, “বাইরের জগতের সাথে এখানকার কোন পার্থক্য নেই।” রাজকুমার তর্ক না করে আরেক বছর পার করলো। এতোদিন সে চার দেয়ালের ভিতরেই ঘোড়ায় চড়ে সময় কাটিয়েছে। একবছর পরে স্বাভাবিকভাবেই সে আবার তার তত্ত্বাবধায়কদের একই অনুরোধ করল। আর তারাও গত বছরের ন্যয় একই উত্তর দিলো।
কিন্তু এবার রাজকুমার জোরালো কণ্ঠে বলল : “আমাকে যেতেই হবে।” তত্ত্বাবধায়কেরা তাকে থামিয়ে রাখতেও পারে না আবার ছেড়ে দিতেও পারে না। ফলে বিষয়টি তাড়াতাড়ি করে রাজাকে জানানো হলো। রাজা ছেলেকে বাইরে যাওয়ার অনুমতি দিয়ে বললেন, “আমরা তা-ই চাই যা আমাদের ভালো লাগে। কিন্তু আল্লাহ্‌ তা-ই ঘটান যা তিনি ইচ্ছা করেন।”
এবার লোকেরা রাজকুমারের নিকট ফিরে আসলো এবং তার জন্য নির্মিত সেই প্রাচীর বেষ্টিত অভয়ারণ্যের দরজা খুলে দিলো। রাজকুমার জীবনে প্রথমবার বাইরের জগতে পা রেখে অবাক বিস্ময়ে চারপাশে তাকাতে থাকলো। তাকে বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হলেও তার দেখাশোনা করার জন্য সাথে ছিল তত্ত্বাবধায়ক বাহিনী। শিশুকাল থেকে চার দেয়ালের ভিতর বিলাসীতায় জীবন কেটেছে তার। এখন বাইরের পৃথিবী সম্পর্কে তার কোনো ধারণাই নেই। কাজেই রাজার উপদেষ্টারা রাজকুমারের সাথে নিরাপত্তা রক্ষীদের থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ মনে করলেন। সাথের লোকজনের সকলেই তার নতুন পৃথিবী দেখার প্রতিক্রিয়াকে খেয়াল করতে থাকলো। লোকেরা তখনও আশাবাদী এই রাজকুমারই একদিন তাদের রাজা হবেন।

কিছুদূর হাটার পর তারা ভীষণ রোগাক্রান্ত এক ব্যক্তিকে দেখতে পেল। রাজপুত্র জিজ্ঞেস করল, “কি হয়েছে তার?”
উপদেষ্টারা জবাবে বলল : “সে ভীষণ অসুস্থ।”
দুনিয়াদারীর জ্ঞানশুন্য, অনভিজ্ঞ রাজপুত্র জানতে চাইলো, “এই লোকের রোগ কি সব মানুষেরই হয় নাকি হাতে গোনা কিছুলোক রোগাক্রান্ত হয়?”
লোকেরা জবাব দিলো, “আল্লাহ্‌ যার ভাগ্যে লিখে রেখেছেন তারই রোগ হয়।”
রাজপুত্র জিজ্ঞেস করল, “আচ্ছা! ঐসব লোকেরা তাহলে আগে থেকেই জানতে পারে এবং রোগাক্রান্ত হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেয়, তা-ই না? নাকি এ ব্যাপারে কোনো সতর্কবাণী আসে না। ফলে সবাই রোগাক্রান্ত হওয়ার ভয়ে আতঙ্কিত থাকে?”
তারা বলল, “আসলে সবাই রোগাক্রান্ত হওয়ার ভয়ে আতঙ্কিত থাকে।”
“এতো ক্ষমতাধর রাজকুমার হওয়ার পরও আমিও কি অন্যসব মানুষের মতোই?”
তারা বলল, “জী, তা সত্ত্বেও আপনিও তাদের মতোই।”
রাজপুত্র বলল, “তাহলে তো তোমাদের এই জীবনও নিরাপত্তাহীন এবং ঝুঁকিপূর্ণ!”

তারা হাঁটতে থাকলো। কিছুদূর যেতেই এক জরাগ্রস্ত দুর্বল বৃদ্ধের দেখা মিললো। শক্তিহীন সেই বৃদ্ধ বয়সের ভারে নুইয়ে পড়েছে। মুখের লালা ঝরে বুকে গড়িয়ে পড়ছে। এতো বৃদ্ধ মানুষ রাজপুত্র এর আগে আর কখনো দেখেনি। অবাক বিস্ময়ে সে জিজ্ঞেস করল, “তার কেন এই অবস্থা?”
তারা বলল, “বার্ধক্যের কারণে মানুষ এমন হয়ে যায়।”
রাজপুত্র জিজ্ঞেস করল, “সব মানুষেরই কি এমন অবস্থা হয় নাকি অল্পকিছু মানুষের এমন হয়ে থাকে?”
তারা বলল, “আসলে সব মানুষই এই পরিণতির ভয়ে আতঙ্কিত থাকে।”
রাজপুত্র বলল, “তাহলে তোমাদের জীবন তো নিরাপত্তাহীন এবং ঝুঁকিপূর্ণ।”

তারা আবার হাটা শুরু করল। কিছু দূর যেতেই দেখল বেশকিছু লোক একটি লাশ বহন করে নিয়ে যাচ্ছে। মৃত্যু সম্পর্কে রাজপুত্রের কোনো জ্ঞান না থাকায় সে অবাক বিস্ময়ে জানতে চাইলো, “কি হয়েছে তার?”
জবাবে তারা বলল, “লোকটি মারা গেছে।”
রাজপুত্র বলল, “তাকে উঠে বসতে বলো, কথা বলতে বলো।”
তারা বলল, “তার জন্য উঠে বসা বা কথা বলা আর সম্ভব নয়।”
রাজপুত্র জিজ্ঞেস করল, “সব মানুষই কি মারা যায় নাকি অল্পকিছু লোক এভাবে মারা যায়?”
তারা বলল, “কেউ ভয় করুক আর না করুক, প্রত্যেকেরই শেষ পরিনতি মৃত্যু।”
রাজপুত্র বলল, “তোমরা কি তাহলে এ সবকিছুই এতোদিন যাবৎ আমার কাছে লুকাচ্ছিলে?”
“কেউ যত ক্ষমতাধরই হোক না কেন, এই শেষ পরিণতি থেকে রক্ষা পাওয়া তার পক্ষে সম্ভব নয়।”

মর্মাহত রাজপুত্র বলল, “তোমরা এতোদিন আমার সাথে প্রতারণা করেছ। আজ যদি আমি সেই চার দেয়ালের বাইরে না আসতাম তাহলে হঠাৎ কবে মারা যেতাম। অথচ বুঝতেও পারতাম না যে, আমি মারা যাচ্ছি। আজ আমি তোমাদের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত।”
সে তাদের সঙ্গ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করল। কিন্তু ব্যর্থ হলো। সাথের লোকেরা সংখ্যায় অধিক হওয়ায় সবাই তাকে ঘিরে ধরলো।
তারা বলল, “আপনার পিতার নিকট ফিরে না যাওয়া পর্যন্ত আমরা আপনার সাথেই থাকছি। অবশেষে, সবাই প্রাসাদে ফিরে আসলো এবং লোকেরা রাজার কাছে সবকিছু খুলে বলল।”
নিরাশ হয়ে রাজা বললেন, “আমি কি তোমাদের বলিনি, আমরা তা-ই চাই যা আমরা পছন্দ করি কিন্তু আল্লাহ্‌ তা-ই ঘটান যা তিনি ইচ্ছা করেন। তাকে যেতে দাও। আজ থেকে তার ওপর তোমাদের আর কোন নিয়ন্ত্রন নেই।”
_________________

বিষয়ঃ ইসলামী পোস্টPosted by

SHARE ON FACEBOOK

আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুণ। এই ব্লগে পড়তে কি সমস্যা হয়?আপনার কি টাকা বেশি খরচ হয়ে যায়?

কোন মন্তব্য নেই :

স্থায়ী দাম্পত্যের জন্য বিবাহপূর্ব পরামর্শ গ্রহণ করুন

কোন মন্তব্য নেই
প্রবন্ধটি পড়া হলে, শেয়ার করতে ভুলবেন না


শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু


মূল : আমাল কিল্লাওয়ি | ভাষান্তর ও সম্পাদনা : আব্‌দ আল-আহাদ
প্রকাশনায় : PureMatrimony Bangladesh
muslim-man-putting-shoes-on-woman
সম্প্রতি এক বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। সেখানে মানুষের দাম্পত্য নিয়ে নানা সমস্যার কথা শুনলাম। অতিথিরা যখন নেচে গেয়ে অনুষ্ঠান মাত করছিল, হলের একদম পেছনের দিকে বসে বসে ভেঙ্গে যাওয়া স্বপ্ন আর অপূর্ণ প্রত্যাশা নিয়ে আমাদের কথা হচ্ছিল। গানবাজনার উচ্চ শব্দের কারণে পরস্পরের কথা শোনার জন্য মাঝে মাঝে আমাদেরকে চিৎকার করে কথা বলতে হচ্ছিল। একজন কমবয়সী নারী বললেন, তার স্বামী তাকে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে দেবেন না। উপস্থিত আরেক বান্ধবী শশুরবাড়ির লোকজনের সাথে কীভাবে চলতে হবে সেই বিষয়ে পরামর্শ চাইলেন। এক মা কাঁদতে কাঁদতে তার মেয়ের সম্ভব্য বিবাহ বিচ্ছেদের কথা বললেন। তালাকপ্রাপ্তা মেয়ে কীভাবে ঘরে তুলতে কেমন লাগবে সেই অনুভূতির কথাও বললেন।
অন্যরকম একটা রাত! নবদম্পতির জন্য অনেক অনেক দো‘আ আর শুভকামনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের ইতি হলো। মনে আছে, বর-কনে, উভয়ের জন্য আমি আরও বেশি দো‘আ করেছিলাম : ‘হে আল্লাহ! ওদের তুমি একটা স্থায়ী এবং সুস্থ-সুন্দর সম্পর্ক দিয়ে ধন্য করো। আমীন।’ অনুষ্ঠান থেকে গভীর চিন্তা নিয়ে বাড়ি ফিরলাম। ফলে ঘুমিয়ে পড়তে বেশ সমস্যা হলো। ওইরাতে অভিজ্ঞতার পরিহাস আমাকে ভালো মতোই নাড়া দিল।
গত কয়েকমাসের মধ্যেই আমার আশেপাশের অনেক কয়টা সংসার ভেঙ্গে গেছে। আমার জানা মতে, এমন আরও অনেক দম্পতি চূড়ান্ত বিচ্ছদের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে। আমাকে ভুল বুঝবেন না। আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি, বিবাহ বিচ্ছেদ একটি সঠিক এবং অনেক ক্ষেত্রে একটা অপরিহার্য পছন্দ। কিন্তু কী কারনে এত বিপুল সংখ্যক দাম্পত্য জীবনের এত দ্রুত অবসান ঘটছে? প্রতিশ্রুতি এবং দায়িত্ববোধের একটি সংস্কৃতিকে লালন করার জন্য কী ধরণের পরিবর্তন দরকার?
সেদিন রাতে যতগুলো ঘটনা আমি শুনেছিলাম, তার সবগুলোর সারকথা ছিল একটাই : বিয়ের আগে ওইসব দম্পতির কেউই বিবাহপূর্ব পরামর্শ গ্রহণ করেননি। তাদের কেউই বিয়ের মতো জীবন সংগ্রামের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করেনি এবং তাদের অধিকাংশ সমস্যাগুলো এমন সব বিষয় থেকে সৃষ্টি হয়েছিল, বিয়ের পূর্বে যেগুলো নিয়ে কোনো আলোচনাই হয়নি। মুসলিম সমাজগুলোতে বিবাহ বিচ্ছেদের উপর একটি সাম্প্রতিক গবেষনায় দেখা গেছে, গবেষণায় অংশ নেওয়া তালাকপ্রাপ্ত নারী-পুরুষদের কেউই মসজিদের ইমামের সাথে সংক্ষিপ্ত আলোচনা ছাড়া, অন্যকোনো বিবাহপূর্ব পরামর্শই গ্রহন করেননি। তাদের অনেকেই বলেছেন, আরও ব্যাপক বিবাহপূর্ব পরামর্শ পেলে এবং বিয়ের পরে সমস্যায় পড়ার সাথে সাথে এধরনের সহজ পরামর্শ পেলে তারা অনেক উপকৃত হতেন। আমাদের সমাজগুলোতে বিয়ের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণের অভাব একটি দুঃখজনক বাস্তবতা।
যখনই কোনো দম্পতির বাগদানের খবর শুনি, আমরা অনুষ্ঠান উদ্‌যাপনের জন্য দৌড়ে যায়। কখনও কি আমরা সময় করে ভেবেছি, সারাজীবনের জন্য একটি সিদ্ধান্ত নিতে ওই নবদম্পতির কী পরিমাণ প্রস্তুতি এবং সহযোগিতার প্রয়োজন? বিয়ের অনুষ্ঠানে হাসিখুশি চেহারায় ছবি তুলতে ব্যস্ত কয়জন নবদম্পতি আসলেই জানে, তারা কোন পথে পা বাড়াচ্ছে? নতুন সম্পর্কের প্রেমোত্তেজনা তাদেরকে প্রায়ই এই বাস্তবতা উপলব্ধিতে অন্ধ করে দেয় যে, তাদের বিয়ে হলো স্রষ্টার সাথে একটি পবিত্র অঙ্গীকার। এই আত্মিক সম্পর্কের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করা কি তাৎপর্যপূর্ণ নয়?
বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য আমরা কত সময়, শ্রম আর অর্থ ব্যয় করি! অথচ খোদ বিয়ের জন্যই কিছু করি না। এমন কেন হয়? বিয়ে অনুষ্ঠানের সামান্য বিষয়টা নিয়েও আমাদের জল্পনা-কল্পনার কমতি থাকে না। অথচ সেই অনুষ্ঠান উদ্‌যাপনের অপরিহার্য উদ্দেশ্য, অন্য একজন মানুষের সাথে সারাটা জীবন কাটিয়ে দেওয়ার “অঙ্গীকার”কে আমরা উপেক্ষা করে যায়। একজন মহিলা আমাকে বলেছিলেন, ‘বিয়ে নিয়ে ভাবার জন্য দু’মাস মাত্র সময় পেয়েছিলাম। প্রেমে মগ্ন হয়ে গিয়েছিলাম, তাই অন্যকিছু নিয়ে ভাববার সময় পায়নি।’
অনেক যুগল ভূলবশত মনে করেন, বিয়ের আগে তাদের কোন পরামর্শ গ্রহনের প্রয়োজন নেই, দ্বন্দ্ব এড়িয়ে চলতে পারলেই সব ঠিক থাকবে। তবে কথা হলো, একটা নির্দিষ্ট স্তর পর্যন্ত দ্বন্দ্ব থাকা সুস্থ দাম্পত্যের জন্য জরুরি এবং বিবাহপূর্ব পরামর্শ সম্ভব্য সমস্যা সৃষ্টিকারী বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করার সুযোগ করে দেয়।
বিয়ের ব্যাপারে পাকাকথা দেওয়ার আগেই বিবাহপূর্ব পরামর্শ গ্রহণ করুন।
পরিবার ও বিবাহ বিষয়ক গবেষক, লিসা কিফ্‌ট এর মতে, বিবাহপূর্ব পরামর্শ গ্রহণ আপনাকে নিন্মোক্ত ক্ষেত্রে সাহায্য করবে:
১) পারস্পরিক ভূমিকার ব্যাপারে প্রত্যাশাগুলো কেমন, তা আলোচনা করা। একটি দাম্পত্য সম্পর্কে প্রত্যেকের নিজনিজ দায়িত্ব এবং কর্তব্যগুলো নিয়ে কথা বলা জরুরি। যেমন : কে আর্থিক দিকটা সামলাবেন আবার কে বাড়ির কাজগুলো দেখাশোনা করবেন ইত্যাদি। আগেভাগেই প্রত্যেকের দায়দায়িত্ব সম্পর্কে আলোচনা হলে, পরস্পরের কাছে ভবিষ্যত প্রত্যাশাগুলো সচ্ছ এবং পরিষ্কার হয়ে যায়।
২) পরস্পরের ব্যক্তিগত এবং ধর্মীয় বিশ্বাসের ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া। গানবাজনা, হিজাব, জবাই করা পশুর গোশত খাওয়া, কোনো নির্দিষ্ট মাযহাবের অনুসরণ করা ইত্যাদি বিষয়ে দুজনের কার দৃষ্টিভঙ্গি কেমন, তা জেনে নিন। সময় থাকতেই এসব বিষয়ে আলোচনা করলে আপনারা পরস্পরের জন্য কতটুকু মানানসই, তা বুঝতে পারবেন। এতে করে কীভাবে ভিন্ন মতের মানুষের সাথে মানিয়ে চলতে হবে তা জানা যাবে।
৩) পরস্পরের বংশ এবং পরিবার সম্পর্কে কথা বলা। একটি সম্পর্কের সাথে যতগুলো বিষয় জড়িত থাকে, তার অধিকাংশ সম্পর্কে আমরা আমাদের বাবা-মা এবং পরিবারের সদস্যদের থেকে শিখে থাকি। জীবনের প্রাথমিক পর্যায়ের প্রভাবগুলো চিহ্নিত করলে এবং সেসব থেকে অর্জিত আচার-ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করলে বুঝা যায়, দাম্পত্য জীবনে সেগুলো কোন ধরণের ভূমিকা রাখতে পারে।
৪) পারস্পরিক যোগাযোগ ও সমস্যা সমাধানের দক্ষতা বাড়ান। যে দম্পতির মাঝে যত উন্নতমানের বোঝাপড়া বিদ্যমান, তারা তত কার্যকরভাবে নিজেদের সমস্যার নিরসন করতে পারেন। এতে করে খুব সামান্য সময়ই আপনি তর্কে জড়াবেন এবং অধিকাংশ সময় পরস্পরকে বুঝতে পারবেন।
৫) ব্যাক্তি জীনবের জন্য, দাম্পত্য জীবনের জন্য এবং পারিবারিক জীবনের জন্য লক্ষ্য স্থির করুন। মনে রাখবেন, আপনি অন্য একটা মানুষের সাথে নিজের জীবনটাকে ভাগাভাগি করার অঙ্গীকার করতে যাচ্ছেন। একসাথে থাকা অবস্থায় নিজেদের ভবিষ্যতটা কেমন দেখতে চান, তা আলোচনা করা কি জরুরি নয়? বিয়ে পরবর্তী তিন বছরের মধ্যে নিজেকে কোথায় দেখতে চান? কয়টি সন্তান প্রত্যাশা করেন? ভবিষ্যত জীবনের একটা রূপরেখা তৈরি করা পরস্পরকে বুঝার একটা অসাধারণ উপায়। এতে পারস্পরিক অঙ্গীকারগুলো আরও দৃঢ় হয়ে যায়।
বিবাহপূর্ব পরামর্শ গ্রহণের মাধ্যমে দম্পতিরা অনেক মানসিক যন্ত্রণা এবং দ্বন্দ্ব সংঘাত থেকে মুক্তি পেতে পারেন। সমস্যার সমাধান খোঁজার চেয়ে সমস্যা যেন তৈরিই না হয়, তা নিশ্চিত করা ইসলামের অন্যতম মূল বিষয়। কাজেই আমাদের ইমামগণ এবং সমাজের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের বিবাহপূর্ব পরামর্শ এবং শিক্ষা দানের জন্য প্রশিক্ষন গ্রহণ করা দরকার। এটি হবে সুখী দম্পতি এবং সুস্থ দাম্পত্যের ক্ষেত্রে একটি নিশ্চিত লাভজনক বিনিয়োগ।

আপনার অভিমত জানান :

১) আপনি কি সম্ভব্য পাত্র-পাত্রীদের জন্য বিবাহপূর্ব পরামর্শ গ্রহণ করাকে উপকারী বলে মনে করেন?
২) বিবাহপূর্ব পরামর্শ দানের ক্ষেত্রে আর কী কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়া উচিত বলে আপনার মনে হয়?
৩) কীভাবে সম্ভব্য পাত্র-পাত্রীদেরকে বিবাহপূর্ব পরামর্শ গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করা যায়?

আপনার গুরুত্বপূর্ণ মতামত জানিয়ে মন্তব্য করুন।


Join Pure Matrimony!


শুধুমাত্র বাস্তব জীবনে ইসলাম চর্চাকারী অবিবাহিত মুসলিম ছেলেমেয়েদেরকে আল্লাহ্‌ভীরু জীবন সঙ্গী/সঙ্গিনী খুঁজে পেতে সহায়তা করাই “পিওর ম্যাট্রিমনি” ওয়েবসাইটের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন  - http://www.quraneralo.com/purematrimony/
Facebook: http://www.facebook.com/purematrimonybd



আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুণ। এই ব্লগে পড়তে কি সমস্যা হয়?আপনার কি টাকা বেশি খরচ হয়ে যায়?

কোন মন্তব্য নেই :

মানুষ কষ্ট দিলে মনের ক্ষত সারাবেন যেভাবে

কোন মন্তব্য নেই
পড়া হলে, শেয়ার করতে ভুলবেন না


শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু


colorful-flowers-wallpaper_422_84115
মূল প্রবন্ধ : ইয়াসমিন মোজাহেদ | ভাষান্তর : মোঃ মুনিমুল হক |  সম্পাদনা : আব্‌দ আল-আহাদ
যখন ছোট ছিলাম, পৃথিবীটাকে মনে হতো একেবারেই নির্ঝঞ্ঝাট এবং খুব পরিপাটি একটা জায়গা। কিন্তু বড় হয়ে দেখলাম ব্যাপারটা মোটেও সেরকম নয়। ভাবতাম সবকিছুই ন্যায়নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত। অর্থাৎ আমার মনে হতো, কারও প্রতি কখনো কোনোরূপ অন্যায় করা যাবে না। কোনো অন্যায় যদি হয়েই যায়, তাহলে সকল ক্ষেত্রেই সুবিচারের জয় হবে। নিজের এই নীতিবোধ অনুযায়ী, সবকিছু যেমনটি হওয়া উচিত তেমনটি ঠিক রাখার জন্য অনেক সংগ্রাম করেছি জীবনে। কিন্তু এই সংগ্রাম করতে গিয়ে জীবনের একটি মৌলিক সত্যকে উপেক্ষা করছিলাম আমি। আমার শিশুসুলভ আদর্শবাদের কারণে আমি বুঝতেই পারিনি, সৃষ্টিগতভাবেই এই পার্থিব জগতটা ত্রুটিযুক্ত। ঠিক যেভাবে আমরা মানুষরা সৃষ্টিগতভাবে অপূর্ণ, ত্রুটিযুক্ত। সবসময় অঘটন আর ঝামেলা লেগেই থাকে আমাদের জীবনে। এসব ঝামেলাই জড়িয়ে, জেনেই হোক, না-জেনেই হোক, ইচ্ছা কি অনিচ্ছায় হোক, অনিবার্যভাবেই আমরা মানুষের মনে কষ্ট দিয়ে ফেলি। বাস্তব হলো, পৃথিবীটা সবসময় ন্যায়নীতি দিয়ে চলে না।
তার মানে কি এই যে, আমরা অবিচারের বিরুদ্ধে লড়াই থামিয়ে দেবো, সত্যের পক্ষে হাল ছেড়ে দেবো? অবশ্যই না। এর মানে হলো, আমরা অবশ্যই এই পৃথিবী এবং আর সবকিছুকে কোনো কাল্পনিক বা অবাস্তব মানদণ্ডে বিচার করতে যাবো না। তবে এমনটি না-করাও সহজ না। কীভাবে আমরা এতো ত্রুটিময় এই পৃথিবীতে টিকে থাকবো, যেখানে মানুষ প্রতিনিয়ত পরস্পরকে হতাশায় ডুবাচ্ছে, এমনকি নিজ পরিবারের লোকেরাই মনে আঘাত দিয়ে মনটা ভেঙ্গে দিচ্ছে? সবচেয়ে কঠিন বিষয়টি হলো, আমাদের প্রতি কেউ অন্যায় করলে কীভাবে আমরা সেই অপরাধকে ক্ষমা করতে শিখব? কীভাবে আমরা নিষ্ঠুর না হয়েও দৃঢ় হতে পারি? অথবা কীভাবে দুর্বল না হয়েও মনের কোমলতাকে বজায় রাখতে পারি? কখন আমরা কোনো কিছুকে আঁকড়ে ধরে রাখবো? আর কখন সেটিকে বন্ধন থেকে মুক্ত করে দেবো? কখন বেশি বেশি যত্ন দেখালে তা বাড়াবাড়ি হয়ে যায়? কারও প্রতি মাত্রাতিরিক্ত ভালোবাসা বলে কি কোনো জিনিস আছে?
এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হলে আমাদেরকে প্রথমে নিজেরদের জীবনের গণ্ডি থেকে বের হয়ে আসতে হবে। আমাদের খুঁজে দেখতে হবে, আমরাই প্রথম বা শেষ কিনা, যারা কষ্ট এবং অন্যায়ের শিকার। যে মানুষগুলো আমাদের আগে পৃথিবীতে ছিল তাদের জীবনের দিকে দৃষ্টিপাত করতে হবে। তাদের সংগ্রাম এবং তাদের বিজয় নিয়ে আমাদের চিন্তাভাবনা করতে হবে। আমাদের বুঝতে হবে, কষ্ট ছাড়া কখনোই কোনো অগ্রগতি আসেনি এবং সাফল্যের একমাত্র পথ হলো সংগ্রাম। উপলব্ধি করতে হবে, জীবন সংগ্রামের অবিচ্ছেদ্য অংশ হলো কষ্টভোগ করা এবং অন্যদের দেওয়া দুঃখকষ্ট এবং ক্ষতিকে জয় করা।
আমাদের নবীদের উজ্জ্বল দৃষ্টান্তসমূহ স্মরণ করলে আমরা দেখতে পাই যে, দুঃখকষ্ট ভোগ করা শুধু আমাদের জন্য কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। মনে রাখবেন, নূহ (আ) তাঁর জাতির লোকদের দ্বারা ৯৫০ বছর ধরে অত্যাচারীত হয়েছিলেন। কুরআন আমাদের বলে :
“তাদের পূর্বে নূহের সম্প্রদায়ও অস্বীকার করেছিল। তারা আমার বান্দাকে অস্বীকার করেছিল এবং এবং বলেছিল, ‘পাগল।’ আর তাকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল।”
[সূরা আল-কামার; ৫৪ : ৯]
নূহের (আ) উপর এত বেশী অত্যাচার করা হয়েছিল যে:
“তিনি তার পালনকর্তাকে ডেকে বললেনঃ আমি পরাভূত, অতএব, তুমি সাহায্য করো।” [আল-কামার; ৫৪ : ১০]
নবীর (সা) কথাই মনে করে দেখুন, কীভাবে তাঁকে পাথর মেরে রক্তাক্ত করা হয়েছিল। কীভাবে তাঁর সাহাবীদের প্রহার করা হয়েছিল। কীভাবে তারা অনাহারে দিন পার করেছিলেন। অন্য মানুষরাই তাদেরকে এভাবে কষ্ট দিয়েছিল। এমনকি আমরা অস্তিত্বে আসার পূর্বেই ফেরেশতারা মানুষের এই ধরণের চারিত্রিক দিকটি বুঝতে পেরেছিল। আল্লাহ্‌ যখন বললেন যে, তিনি মানুষ সৃষ্টি করতে যাচ্ছেন, তখন ফেরেশতারা প্রথম যে প্রশ্নটি করেছিল তা ছিল মানুষের ক্ষতিকর সম্ভাবনা সম্পর্কে। আল্লাহ্‌ রাব্বুল ‘আলামীন বলেন :
“আর স্মরণ করুন, যখন আপনার রব ফেরেশতাদের বললেন : ‘নিশ্চয়ই আমি যমিনে একজন খলিফা সৃষ্টি করছি’, তারা বলল, আপনি কি সেখানে এমন কাউকে সৃষ্টি করবেন, যে তাতে ফাসাদ করবে এবং রক্ত প্রবাহিত করবে? আর আমরা তো আপনার প্রশংসায় তাসবীহ্‌ পাঠ করছি এবং আপনার পবিত্রতা ঘোষণা করছি। তিনি বললেন, ‘নিশ্চয়ই আমি জানি যা তোমরা জানো না।’ ” [আল-বাকারাহ্‌; ২ : ৩০]
মানুষ জাতির একে অপরের বিরুদ্ধে ঘৃণিত অপরাধ সংঘটনের এই প্রবণতা একটি দুঃখজনক বাস্তবতা। তবে আমাদের অনেকেই অনেক সৌভাগ্যবান। আমাদের অধিকাংশকেই কখনো এমন কোনো দুঃখকষ্টের শিকার হতে হয়নি অন্যরা প্রতিনিয়তই যার শিকার হচ্ছে। আমাদেরকে অনেককেই কোনোদিন নিজের চোখে দেখতে হবে না যে, আমাদের পরিবার পরিজনের কাউকে নির্যাতন করে খুন করা হচ্ছে। তারপরও এমন মানুষ খুব কমই আছে, যারা বলতে পারে, তারা কোনোদিনও কোনোভাবে অন্য কারও দ্বারা কষ্ট পায়নি। সুতরাং, যদিও আমাদের অনেকেই কোনোদিন জানবে না অনাহারে ক্ষুধার যন্ত্রণায় মরার কষ্টটা কী; নিজের চোখের সামনে নিজের বাড়িঘর ধ্বংস করতে দেখার অনুভূতিটা কেমন, তথাপি আমার অনেকেই জানি আহত হৃদয়ের কান্নার অনুভূতিটা কেমন।
আচ্ছা, এসব কি এড়ানো সম্ভব? আমার মনে হয়, কিছুটা হলেও সম্ভব। আমরা কখনোই সকল দুঃখকষ্টকে এড়াতে পারব না। তবে আমদের প্রত্যাশা, আমাদের প্রতিক্রিয়া এবং আমাদের মনোযোগকে পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নেওয়ার মাধ্যমে অনেক ধ্বংসযজ্ঞই এড়ানো সম্ভব।
উদাহারনস্বরূপ বলা যায়, আমদের আশা, ভরসা, বিশ্বাস — সবকিছুকে অন্য একজন মানুষের উপর সমর্পণ করাটা একেবারেই অবস্তবিক এবং ডাহা বোকামি। আমদের মনে রাখতে হবে, ভুল করা মানুষের সৃষ্টিগত স্বভাব। তাই আমাদের চূড়ান্ত বিশ্বাস, আস্থা, এবং প্রত্যাশা শুধুমাত্র আল্লাহ্‌র প্রতি সমর্পণ করা উচিত। আল্লাহ্‌ বলেন :
“যে ব্যক্তি তাগূতকে অস্বীকার করে এবং আল্লাহ্‌র প্রতি ঈমান আনে, অবশ্যই সে মজবুত রশি আঁকড়ে ধরে, যা ছিন্ন হবার নয়। আর আল্লাহ্‌ সর্বশ্রোতা এবং সর্বজ্ঞ।” [আল-বাকারাহ্‌; ২ : ২৫৬]
“আল্লাহ্‌র প্রতি ঈমান এমন মজবুত এক রশি যা ছিন্ন হবার নয়।” — শুধু এই কথাটি যদি আমরা স্মরণে রাখি, তাহলে অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত হতাশা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
একথা বলার অর্থ কিন্তু এই নয় যে, আমরা ভালোবাসবো না বা ভালোবাসলেও কম করে বাসবো। তবে কীভাবে ভালোবাসবো সেটাই হলো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আল্লাহ্‌ ছাড়া অন্য কাউকেই বা কোনো কিছুকেই সর্বোচ্চ ভালোবাসা যাবে না। অন্তরে আল্লাহ্‌ ব্যতীত আর কোনো কিছুকেই অগ্রাধিকার দেওয়া যাবে না। আর আল্লাহ্‌ ব্যতীত কোনো কিছুকেই এত বেশী ভালোবাসা যাবে না যাতে করে ওই বস্তু ছাড়া জীবন চলা আমাদের জন্য অসম্ভব হয়ে পড়ে। এই ধরনের “ভালোবাসা” ভালোবাসাই নয়। এটা এক ধরনের পূজা করা। এই ভালোবাসায় কষ্ট ছাড়া আর কিছু নেই।
তারপরও যদি কেউ এমন করে ভালোবাসে এবং অন্যের দ্বারা আঘাত বা কষ্ট পায়, তাহলে অনিবার্য পরিণতিটা কী দাঁড়ায়? সবচেয়ে কঠিন কাজটা আমরা কীভাবে করতে পারি? কীভাবে আমরা অন্যকে ক্ষমা করতে শিখব? কীভাবে মনের ক্ষতগুলোকে সারিয়ে তুলে, তাদের সাথে সদাচরণ বজায় রাখব যারা নিজেরাই আমাদের সাথে ভালো ব্যবহার করে না?
আবূ বাক্‌র (রা) এর ঘটনাটি ঠিক এমন পরিস্থিতির একটি চমৎকার উদাহরণ। যখন তাঁর মেয়ে, ‘আয়েশা (রা) সম্পর্কে জঘন্যতম অপবাদ রটানো হলো, তিনি জানতে পারলেন, এই অপবাদটা রটিয়েছিল মিস্‌তাহ্‌ নামে তারই এক চাচাতো ভাই যাকে তিনি বহুদিন ধরে আর্থিকভাবে সাহায্য সহযোগিতা করে আসছিলেন। সঙ্গত কারণেই আবূ বাক্‌র অপবাদ আরোপকারীর সাহায্য বন্ধ করে দিলেন। সামান্য সময় পরেই আল্লাহ্‌ নিম্নোক্ত আয়াত অবতীর্ণ করলেন :
“আর তোমাদের মধ্যে যারা মর্যাদা ও প্রাচুর্যের অধিকারী, তারা যেন এমন কসম না করে যে, তারা নিকটাত্মীয়দের, মিসকীনদের ও আল্লাহ্‌র পথে হিজরতকারীদেরকে কিছুই দেবে না। আর তারা যেন তাদের ক্ষমা করে এবং তাদের দোষক্রটি উপেক্ষা করে। তোমরা কি কামনা করো না যে, আল্লাহ্‌ তোমাদের ক্ষমা করে দেন? আর আল্লাহ্‌ বড়ই ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।” [আন-নূর; ২৪:২২]
এই আয়াত শুনেই আবূ বাক্‌র (রা) বুঝতে পারলেন যে, তিনি নিজেই আল্লাহ্‌র ক্ষমা চান। তাই তিনি শুধু সেই লোককে সাহায্য দেওয়া চালুই করলেন না, এখন আগের চেয়ে বেশি করে দিতে লাগলেন।
মু’মিন হওয়ার মূলেই হলো এইভাবে ক্ষমা করে দেওয়া। এই ধরণের মু’মিনদের বর্ণনা দিয়ে আল্লাহ্‌ বলেন :
“আর যারা গুরুতর পাপ ও অশ্লীল কার্যকলাপ থেকে বেঁচে থাকে এবং যখন রাগান্বিত হয় তখন তারা ক্ষমা করে দেয়।” [আশ-শূরা; ৪২:৩৭]
‘আমি নিজেও  ভুল করি, অন্যদের কষ্ট দেয়’ — নিজের সম্পর্কে এই ধরণের সচেতনতা বোধ দ্বারা অন্যকে তাৎক্ষনিকভাবে ক্ষমা করে দেওয়ার ক্ষমতাটা উদ্বুদ্ধ হওয়া উচিত। সবচেয়ে বড় কথা হলো, এই বিষয়টির মাধ্যমেই আমাদের বিনম্রতা উজ্জীবিত হওয়া উচিত যে, আমারা প্রতিদিন পাপ করার মাধ্যমে আল্লাহ্‌র প্রতি অন্যায় করছি। আল্লাহ্‌র সাথে তুলনা করলে মানুষ তো কিছুই না। তারপরও বিশ্বজগতের প্রতিপালক, আল্লাহ্‌ আমাদের প্রতিনিয়ত ক্ষমা করে দিচ্ছেন। তাহলে ক্ষমা না করে মানুষকে বেঁধে রাখার আমরা কে? নিজেরা যদি আল্লাহ্‌র কাছে ক্ষমা পাওয়ার আশা করি, তাহলে আমরা অন্যদেরকে ক্ষমা করতে পারি না কেন? আর এ কারণেই নবী (সা) আমাদেরকে শিক্ষা দিয়েছেন :
“যারা অন্যের প্রতি দয়া করে না, আল্লাহ্‌ও তাদের প্রতি দয়া করবেন না।” [মুসলিম; অধ্যায় ৩০, হাদীস নং ৫৭৩৭]
আল্লাহ্‌র দয়া লাভের আশা যেন আমাদের অন্যদের প্রতি দয়া করতে উদ্বুদ্ধ করে এবং একদিন সেই দুনিয়ার নিয়ে যায় যা বাস্তবিক অর্থেই নিখুঁত, ত্রুটিহীন, পরিপূর্ণ, অনুপম, অতুলনীয়।

বিষয়ঃ  ইসলাম  

share on facebook
আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুণ। এই ব্লগে পড়তে কি সমস্যা হয়?আপনার কি টাকা বেশি খরচ হয়ে যায়?

কোন মন্তব্য নেই :

কম্পিউটারে বই পড়ুন মাত্র ৪ মেগাবাইটের দারুন ১ টি PDFReader-2.1.1 দিয়ে।

1 টি মন্তব্য
 পিসিতে বই পড়ুন মাত্র ৪ মেগাবাইটের দারুন ১ টি PDFReader-2.1.1 দিয়ে।
আপনারা হয়তো শিরোনাম দেখে অবাক হবেন এতো ছোট software দিয়ে বই পড়া যায়?
হ্যাঁ এখন থেকে পড়তে পারবেন।
এই software টি আমি পেয়েছি গত কাল রাতে।
আমি আগে পিসিতে বই পড়তাম AdbeRdr1013_en_US দিয়ে।
এতে আমার পিসির অনেক জায়গা দহল করে নিতো এবং বই গুলো ওপেন হতে দেরি হতো।
কিন্তু গত কাল থেকে PDFReader-2.1.1 ব্যাবহার করার কারনে এই সমসা থেকে মুক্তি
পেয়েছি।
ক্লিক করার সাথে সাথে বই গুলো ওপেন হয়ে যায়।
এই PDFReader-2.1.1 software টির আরেক টি ভালো গুণ আছে।
সেটা হলো আপনি যে বইটি পড়বেন?
পড়ে যে পাতায় রেখে দিবেন?
আবার পড়তে চাইলে সে পাতায় থেকে শুরু হবে।
যেমন একটির বইয়ের পাতা ১২০।
আপনি ৩০ পাতা পড়ে রেখে দিলেন?
আপনি পরে আবার ৩০ পাতা থেকে পড়তে চান?
আপনি PDFReader-2.1.1 দিয়ে ৩০ পাতা থেকে পড়তে পারবেন।
 AdbeRdr1013_en_US ব্যাবহার করলে ১২০ মেগাবাইট জায়গা দহল করে নেয়?
কিন্তু আপনি  PDFReader-2.1.1 ব্যাবহার করলে মাত্র ৫ মেগাবাইট লাগবে।
PDFReader-2.1.1ব্যাবহার দ্বারা আপনার কম্পিউটার আগের চেয়ে অনেক গতি বেড়ে যাবে।
তাই দেরী না করে তারাতারি ডাউনলোড করে নিন।
ফাইল সাইজ মাত্র 4:21 Mb
  FREE DOWNLOAD

আমি আশা করি এই পোস্টটির দ্বারা আপনার উপকার পাবেন।
আপনি উপকার পেলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুণ।
বিষয়ঃ কম্পিউটার/মোবাইল/ইন্টারনেট (২৭)       

share on facebook
আমার সাথে ফেসবুকে যোগাযোগ করুন

 এই ব্লগে পড়তে কি সমস্যা হয়?আপনার কি টাকা বেশি খরচ হয়ে যায়?

নাস্তিকেরা গেছে পাগল হইয়া, তারা এই বিচার বানচাল করতে চায়?

কোন মন্তব্য নেই


আজ শাহবাগের এক নাস্তিক হেফাজত ইসলামের প্রতি বিষেদ্বগার করে বলেছে
হেফাজত নাকি ভন্ডের দল।

তারা হেফাজতের ইসলামের প্রতি কঠিন  চ্যালেজ দিয়ে বলেছে বাংলার ১৬
কোটি মানুষ নাকি তাদের পক্ষে আছে?
এই ১৬ কোটি মানুষ ফুঁ দিলে নাকি সব ভেসে যাবে?
এখন আমার প্রশ্ন হইলো হেফাজত ইসলামের কোটি কোটি সমর্থক কি
এই ১৬ কোটির বাহিরে?

পাগল কি গাছে ধরে নাকি বলদের পাছা দিয়ে বের হয়?

আসল কথা হলো এতো দিন সরকারের সাহায্য নিয়ে বস্থা ভর্তি বিরিয়ানি
বিতরণ করেও যে পরিমান মানুষ জোগাড় করতে পারিনি?
এতো প্রচারনা চালিয়েও যে পরিমান সমর্থন পায়নি?
হেফাজতে ইসলাম একাই  বাংলার কোটি কোটি মুসলিমের
সমর্থন আদায় করে নিয়েছে।
কোনো বিরিয়ানির প্যাকেট লাগে নাই?
বরং যারা হেফাজত ইসলাম কে সমর্থন দিয়েছে তারা হাজার হাজার টাকা
খরচ করে লংমার্চে যোগ দিয়েছে।
ইসলামের তৌহিদী জনতার নব জাগরন দেখে আমাদের সরকার এবং
দ্বিতীয় মুক্তি যুদ্ধের ভীতু বিড়ালেরা এতোটায় ভয় পেয়েছে যে সব রকমের
যান বাহন বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে।

বাংলার মুসলিম জাতির জন্য দূরভাগ্য যে তারা নাস্তিক বান্ধব বিড়াল মার্কা
ভীতু সরকার পেয়েছে।

দ্বিতীয় মুক্তি যুদ্ধের ভীতু বিড়ালদের এতো বাধা সত্ত্বেও যে পরিমাণ মানুষ ঢাকাতে
গিয়েছে তা গনজাগরণ মঞ্চের চেয়ে কয়েক গুন বেশি হয়েছে।
যার কারনে তাদের পিঠে এখন ভয়াবহ চুলকানি শুরু হয়ে গেছে।
এখন তাহারা বুঝতে পারিতেছে না  কি থেকে কি করবে।
 ইসলামের তৌহিদী জনতার নব জাগরন দেখে দ্বিতীয় মুক্তি যুদ্ধের ভীতু বিড়ালদের
প্রসাব পায়খানা এক রাস্তায় দিয়ে প্রেরিত হচ্ছে।

সরকার যদি লংমার্চে কে   বাধা না দিতো তা হলে বাংলার কুখ্যাত বাম/রাম/নাস্তিকেরা
বুঝিতে পারিতো ইসলামের চেতেনা কারে বলে?
অবশ্য আজ তাহারা বুঝতে পেরেছে।

আজ সরকারের পাগলা মন্ত্রীরা বলতেছে তাহারা নাকি লংমার্চে বাধা দেয় নাই?
সরকার যদি লংমার্চে বাধা না দিতো তা হলে হরতাল কারা ডেকেছে?
হরতাল যদি সরকারের সাঙ্গাপাঙ্গারা না ডেকে থাকে তা হলে আকাশ থেকে কোনো পাগলা কুত্তা এসে ডেকেছে?
পাগলা কুত্তারা যদি ডেকে থাকে তা হলে ও তারা তারি ১৪ টা করে ইঞ্জেকশন প্রয়োগ
করার দরকার?
হেফাজতে ইসলাম দেরি করতেছে কেনো?
পৃথিবীতে যদি আজব কোনো দেশ থেকে থাকে তা হলে সেটা বাংলাদেশ।
এটা এমনেয় আজব দেশ যে দেশের সরকার নিজেই জনগনের বিরুদ্ধে হরতাল
পালন করে।
এতো দিন বিরোধী দল হরতাল ডাকলে সরকার বলতো  বিরোধী দল নাকি
যুদ্ধপরাধীদের বিচার বানচাল করতে হরতাল ডেকেছে?
তারা নাকি উন্নয়নের পথে বাধা?

অথচ আজ তারা বলে না এই হরতাল নাস্তিকদের বিচার বানচাল করতে ডাকা হয়েছে?
বলবেনা।কারন তারা জানে কি কারনে এই হরতাল ডেকেছে?
তাহারা কথার মাঝেও দুনিতি করে।
        

গত কয়েক মাস আগেও নাস্তিকবাদিরা ব্লগে ও ফেসবুকে বলে বেড়াতো
ধর্ম নাকি এই দুনিয়া থেকে বিতারিত হয়ে জাদু ঘরে ঠায় নিবে?
কিন্তু তারাই আজ বাংলা দেশ থেকে বিতারিত হয়ে যাচ্ছে।
ইনশা আল্লাহ তারা ও এক দিন এই দুনিয়া থেকে বিতারিত হয়ে যাবে।

এই বাংলার মাটি ইসলামি তৌহিদী জনতার মাটি।
এই বাংলার মাটিতে ৩৬০ জন আউলিয়া ঘুমিয়ে আছে।
যে বাংলার মাটিতে ৩৬০জন আউলিয়া ঘুমিয়ে আছে?
সেই মাটিতে নাস্তিকদের স্তান হবেনা।

শাহবাগিরা যদি ইসলামের বিপক্ষে না যেয়ে থাকে তা হলে আজ কুলাঙ্গার নাস্তিকদের
বিচারের দাবি জানানো যখন হচ্ছে তখন তারা এর বিরোধি করতেছে।
নাস্তিকদের বিচার এই বাংলার মাটিতেই হবে হবে ইনশা আল্লাহ।

share on facebook
  
নাস্তিক ব্লগাদের পেইজ

আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুণ। এই ব্লগে পড়তে কি সমস্যা হয়?আপনার কি টাকা বেশি খরচ হয়ে যায়?

কোন মন্তব্য নেই :

eBuddy - Web and Mobile Messenge

কোন মন্তব্য নেই
 আপনারা অনেকেই হয়তো ফেসবুক, জি টক, ইয়াহু ও অন্যান্য বন্ধুদের মোবাইল থেকে বিভিন্ন সফ্টওয়ারের মাধ্যমে চ্যাট করে থাকেন. কিন্তু সেগুলি থেকে একাধিক আইডি তে লগ ইন করা যাই না আর তা ছারাও সেগুলি খুব কম সংখক মোবাইল সমর্থন করে. তাই আজ আমি আপনাদের সাথে এমন একটি সফ্টওয়ার শেয়ার করবো যেটি দিয়ে আপনি খুব

সহজেই জাভা এবং সিম্বিয়ান সমর্থন যেকোন মোবাইল ফোনে একাধিক ফেসবুক, জি টক ও ইয়াহু আইডি থেকে চ্যাট করতে পারবেন. আমি জানি আপনারা সফ্টওয়ার টি ব্যাবহার করছেন কিন্তু জানেন না যে এটা দিয়ে একাধিক এই ডি থেকে চ্যাট করা যায়. আমি সফ্টওয়ার টি ভালবাসি.

সফ্টওয়ার টির নাম

eBuddy

সফ্টওয়ার টির ফিচার

একসাথে একাধিক আইডি থেকে চ্যাট করা যায়

শব্দ নটিফিকেসনের মাধ্যমে কেউ চ্যাটে বার্তা পাঠালে

সফ্টওয়ার

বুঝতে পারবেন

ফেসবুকের নিউজ ফিডের মাধ্যমে বন্ধুদের স্টাটাসে লাইক ও কমেন্ট করতে পারবেন

আপনার উপস্থিতি সেট করতে পারবেন(Online, Offline, Busy, Away etc)

আপনার ফেসবুকের স্টাটাস আপডেট করতে পারবেন

জি টক এবং ইয়াহু এর বন্ধুদের যোগ করতে পারবেন

সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করুন নিচের লিংক থেকে

ডাউনলোড করুণ

 post by কম্পিউটার/মোবাইল/ইন্টারনেট

share on facebook
আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুণ। এই ব্লগে পড়তে কি সমস্যা হয়?আপনার কি টাকা বেশি খরচ হয়ে যায়?

কোন মন্তব্য নেই :

কম্পিউটার ভাইরাসের লক্ষণ সমূহ কি কি

কোন মন্তব্য নেই

কম্পিউটার ভাইরাসের লক্ষণ সমূহ কি কি?
ছবি: কম্পিউটার ভাইরাসের লক্ষণ সমূহ কি কি?

কোন  কম্পিউটারে নিম্মে উল্লেখিত সবগুলো আথবা যে কোন একটি লক্ষণ দেখা গেলে জানতে হবে কম্পিউটার
ভাইরাসে আক্রান্ত হয়াছে।যথাঃ-

১। কম্পিউটার প্রোগ্রাম ফাইল ওপেন করতে সাধারন ভাবে বেশি সময় লাগবে।
২। কম্পিউটারের মেমোরি হ্রাস পাবে। ফলে কম্পিউটার এর স্পীড (গতি) কমে যাবে।
৩। কম্পিউটার চালু অবস্তায় চলমান কাজের সাথে সংশ্লিস্ট নয় এমন কিছু র্বাতা প্রদর্শিত হবে।যেমনঃ-
File not Found,Out Of Memory ইত্যাদি।
৪। কম্পিউটার হ্যাং(কোন কাজ করার সুযোগ না দেওয়া)হতে পারে।
৫। নতুন প্রোগ্রাম ইন্সটলের সময়  স্বাভাবিক অপেক্ষা বেশী সময় লাগবে।
৬। চলমান কাজের ফাইল গুলো বেশি জায়গা দখল করবে।
৭। কম্পিউটার চালু হতে বেশি সময় লাগবে।
৮। কাজ করার সময় হঠাৎ বন্ধ হতে পারে।
৯। কম্পিউটার এর ফাইল গুল এমন নাম ধারণ করবে যা পড়া যায়না।
১০। হার্ডডিস্কে ফ্রী স্পেস কমে যায়।
১১। ডিস্ক এক্সিস-এ বেশী সময় লাগবে।
১২। Exe,Com,bat ইত্যাদি ফাইল গুলো নষ্ট করে দেয়।
১৩। আনেক ফাইল হিডেন(Hidden) করে দেয়।

এছাড়া অনেক আবাস্তব বার্তা (Message) দিবে। উপরন্ত বিষয় গুলো যে কোন একটি দেখা দিলে বুঝতে হবে
কম্পিউটার ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।

PC Zone - প্রযুক্তি হোক সবার সাথী
কোন কম্পিউটারে নিম্মে উল্লেখিত সবগুলো আথবা যে কোন একটি লক্ষণ দেখা গেলে জানতে হবে কম্পিউটার
ভাইরাসে আক্রান্ত হয়াছে।যথাঃ-

১। কম্পিউটার প্রোগ্রাম ফাইল ওপেন করতে সাধারন ভাবে বেশি সময় লাগবে।
২। কম্পিউটারের মেমোরি হ্রাস পাবে। ফলে কম্পিউটার এর স্পীড (গতি) কমে যাবে।
৩। কম্পিউটার চালু অবস্তায় চলমান কাজের সাথে সংশ্লিস্ট নয় এমন কিছু র্বাতা প্রদর্শিত হবে।যেমনঃ-
File not Found,Out Of Memory ইত্যাদি।
৪। কম্পিউটার হ্যাং(কোন কাজ করার সুযোগ না দেওয়া)হতে পারে।
৫। নতুন প্রোগ্রাম ইন্সটলের সময় স্বাভাবিক অপেক্ষা বেশী সময় লাগবে।
৬। চলমান কাজের ফাইল গুলো বেশি জায়গা দখল করবে।
৭। কম্পিউটার চালু হতে বেশি সময় লাগবে।
৮। কাজ করার সময় হঠাৎ বন্ধ হতে পারে।
৯। কম্পিউটার এর ফাইল গুল এমন নাম ধারণ করবে যা পড়া যায়না।
১০। হার্ডডিস্কে ফ্রী স্পেস কমে যায়।
১১। ডিস্ক এক্সিস-এ বেশী সময় লাগবে।
১২। Exe,Com,bat ইত্যাদি ফাইল গুলো নষ্ট করে দেয়।
১৩। আনেক ফাইল হিডেন(Hidden) করে দেয়।

এছাড়া অনেক আবাস্তব বার্তা (Message) দিবে। উপরন্ত বিষয় গুলো যে কোন একটি দেখা দিলে বুঝতে হবে
কম্পিউটার ভাইরাসে আক্রানত।
আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুণ।
শেয়ার করতে এখানে ক্লিক করুণ।
 এই ব্লগে পড়তে কি সমস্যা হয়?আপনার কি টাকা বেশি খরচ হয়ে যায়?

কোন মন্তব্য নেই :

সাবধান, আপনার ফেসবুক আইডি হ্যাক হতে পারে!!!

কোন মন্তব্য নেই

 সাবধান, আপনার ফেসবুক আইডি হ্যাক হতে পারে!!!

ফেসবুক বর্তমানে ৪ টি ভাইরাসে আক্রান্ত...
এই অ্যাটাকগুলো আপনার অ্যাকাউন্ট কে হ্যাক করতে পারে

১/ আপনি যদি কোন PHOTO TAG নোটিফিকেশান দেখেন, এটি ওপেন করবেন না।

২/ আপনি যদি কোন a friend reported you for offensive behavior বা এই ধরনের কিছু নোটিফিকেশান দেখেন, এটি ওপেন করবেন না।

৩/ আপনি যদি কোন ভিদিও তে 99% of People can not watch this for more the 15 Sec. এই লেখাটি দেখেন, এটি ওপেন করবেন না।

৪/ আপনার বুন্ধুদের চ্যাট মেসেজ থেকে আসা যাতে লিখা থাকবে click this link, এটি ওপেন করবেন না।

একমাত্র এই ভাবে আপনি এই জিনিশগুলো এড়িয়ে গিয়ে আপনার ফেসবুক আইডিকে হ্যাক থেকে নিরাপদে রাখতে পারেন।

পোস্টটি উপকারী মনে হলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন!
সাবধান, আপনার ফেসবুক আইডি হ্যাক হতে পারে!!!

ফেসবুক বর্তমানে ৪ টি ভাইরাসে আক্রান্ত...
এই অ্যাটাকগুলো আপনার অ্যাকাউন্ট কে হ্যাক করতে পারে

১/ আপনি যদি কোন PHOTO TAG নোটিফিকেশান দেখেন, এটি ওপেন করবেন না।

২/ আপনি যদি কোন a friend reported you for offensive behavior বা এই ধরনের কিছু নোটিফিকেশান দেখেন, এটি ওপেন করবেন না।

৩/ আপনি যদি কোন ভিদিও তে 99% of People can not watch this for more the 15 Sec. এই লেখাটি দেখেন, এটি ওপেন করবেন না।

৪/ আপনার বুন্ধুদের চ্যাট মেসেজ থেকে আসা যাতে লিখা থাকবে click this link, এটি ওপেন করবেন না।

একমাত্র এই ভাবে আপনি এই জিনিশগুলো এড়িয়ে গিয়ে আপনার ফেসবুক আইডিকে হ্যাক থেকে নিরাপদে রাখতে পারেন।

পোস্টটি উপকারী মনে হলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন!

পোস্টঃ কম্পিউটার/মোবাইল/ইন্টারনেট (২৫)

এর পর পড়ুনঃ মডেলিং ও যাত্রা গানে ব্যাপক অশ্লীলতা।ভোগ বস্তু মেয়েদের কাহিনী
আপনি কি বিষয়ে পড়তে চান নিচ থেকে বেছে নিন।

আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুণ। এই ব্লগে পড়তে কি সমস্যা হয়?আপনার কি টাকা বেশি খরচ হয়ে যায়?

কোন মন্তব্য নেই :

মডেলিং ও যাত্রা গানে ব্যাপক অশ্লীলতা। ভোগ বস্তু মেয়েদের কাহিনী

কোন মন্তব্য নেই

bangla sexy song

ANDROID BANGLA APPS FREE DOWNLOAD
গত কয়েক দিন আগে কিছু  মডেলিং  ও যাত্রা গান দেখে অবাক নয় হতবাক
হয়েছি।
মডেলিং গান গুলো আমাদের দেশের কিন্তু যাত্রা গান গুলো ভারতের।
যাত্রা গান গুলো যদিও ভারতের কিন্তু আমাদের দেশে ব্যাপক ভাবে প্রচার হচ্ছে।
এই সব অশ্লীল মডেলিং ও যাত্রা গান গুলি খুব সহজেই কম্পিউটারের মাধ্যমে
মোবাইলে চলে যাচ্ছে।
যার কারণে ছোট বড় সবাই সমান ভাবে দেখতেছে এই সব নোংরা ভিডিও গান গুলি।

এই সব মাগীবাজ নারী ও পুরুষদের কারনে আমাদের যুব সমাজ আজ ধংসের ধার প্রান্তের চলে গেছে।
তাদের এই সব নোংরামি আমাদের যুব সমাজ কে অস্তির করে তুলেছে।
আজ পত্রিকা খুললেই দেখা যায় ধর্ষণের নানান কাহিনী।
ধর্ষকদের হাত থেকে রেহায় পাচ্ছেনা ৫ বছরের অবুঝ নারী শিশুটিও।
এর জন্য কারা দ্বায়?

যুব সমাজ নাকি নারী সমাজ?

নিশ্চয় নগ্ন বাজ নারী সমাজ।

কারন আগে নগ্ন বাজ নারীদের দ্বারা পুরুষেরা ধর্ষণের শিকার হয়।
তার পর পুরুষেরা তাদের কে ধর্ষণ করে।

এর জন্য নগ্নবাজ নায়িকা ও মডেলিং বিশ্ব মাগীরাই দ্বায়।
যুব সমাজ ধংসের জন্য বর্তমানের নগ্নবাজ নায়িকা ও নগ্নবাজ মডেলিংরা বড় হাতিয়ার।
এর দ্বায় তাদের কে নিতে হবে। তারাই শিক্ষা দিতেছে কি ভাবে কি করতে হয়?
কি ভাবে একটি মেয়ে কে পথে ঘাটে উত্যাক্ত করতে হয়?
কি ভাবে একটির মেয়ের কাছ থেকে ভালবাসা আদায় করে নিতে হয়?

এই সব কথা আমরা যতই বলি না কেনো কোনো লাভ হবেনা।

কিন্তু বর্তমানে যা শুরু হয়েছে তা মুসলিম স্বভ সমাজে মেনে নেওয়া যায় না।
বর্তমানে যুবকদের কাছে জনপ্রিয় হচ্ছে এই সব মডেলিং গান।
খোঁজ নিয়ে দেখেন প্রমাণ পেয়ে যাবেন।

কিছু নগ্ন মেয়েদের মাধ্যমে আমাদের সমাজে ছড়তেছে  এই অশ্লীলতা।
তারা নিজেদের কে বিনোদন জগতে প্রষ্ঠিত করতে এমন ভাবে উপস্থাপন করে যে
দেখলে মনে হয় তারা মানুষ নয় পাষ্টিক।
 বলিউডের নায়ক নায়িকাদের যৌনাঙ্গতে হাত লাগাতে আমি দেখেনি কিন্তু আমাদের
দেশের কিছু নতুন আমদানি হওয়া নগ্নবাজ মডেলরা তারা একে অপরের  যৌনাঙ্গতে হাত লাগিয়ে
আলিঙ্গন করতেছে।
বিছানাতে শুয়ে স্বামী স্ত্রীর মতো আচরন করতেছে।
প্রশ্ন হচ্ছে এরা ক্যামেরার সামনে যদি এই সব অপকর্ম করতে পারে তা হলে আমাদের চোখের আড়ালে
কি করতেছে যা আমরা জানতে পারিনা?

তারা ক্যামেরার সামনে যা করে গোপনে কি এর চেয়ে বেশি অপকর্ম করতেছে না আমাদের যুব সমাজ কে নিয়ে?

যে সমাজে  ছবি ও গানের মাধ্যমে ব্যাপক ভাবে অশ্লীলতা প্রচার হচ্ছে সে সমাজের যুবকেরা ও
কোমল মতি শিশুরা কি ভাবে ভালো হবে?

এই বিষয় নিয়ে গত বছরে আমি একটি পোস্ট করে ছিলাম।
ঐ পোস্টের জবাবে এক মেয়ে বলেছিলো (তাদের কে দোষ দিয়ে লাভ কি ?দোষ তো আমাদের।কারন আমরাই এই
সব দেখি।আমরা নিজেরা দেখা বন্ধ করলে সব বন্ধ হয়ে যাবে )
জবাবে আমি বলেছিলাম যারা এই সব করে তাদের সংখ্যা বেশি না কি যারা দেখে তাদের সংখ্যা বেশি?
নিশ্চয় যারা দেখে তাদের সংখ্যা বেশি।
তা হলে আপনি বলুন যারা নোংরামি তাদের সংখ্যা কম হওয়ার পরও বন্ধ করতে না পারলে
যারা দেখে তাদের সংখ্যা বেশি হওয়ার পরও আপনি কি ভাবে বন্ধ করবেন?

আসল কথা হলো স্টার জলসা দেখে দেখে বর্তমানের মেয়েদের মাথার নাট বল্টু  ঢিলা হয়ে গেছে।
কখন কি বলে বুঝিতে পারেনা।

আমার আরেক টি প্রশ্ন হচ্ছে যারা এই সব নোংরামি করে তারা কি মানব সমাজের নাকি কুত্তার সমাজের?
আমার তো মনে হয় এদের জন্ম হয়েছে কোনো মাগীবাজ না হয় ডাস্টবিনের আবর্জনা থেকে জন্ম নিয়েছে।
যার কারনে তাদের এই অবস্থা।
এরা কুত্তার চেয়ে ও আরও নিচুর মানের।
কারন কুত্তারা যার তার সাথে মেলামেশা করতে যেমন দ্বিধা-লজ্জা বোধ যেমন করেনা?

ঠিক তেমনি ভাবে নায়িকা,মডেল  নামক জনতার ভোগের বস্থু হওয়া মেয়েরাও যার তার সাথে মেলামেশা করতে
কোনো দ্বিধা-লজ্জা বোধ করেনা।

আর তাদের লজ্জা বোধ কখনো করবেনা।
কেনোনা তাদের লজ্জার মা মারা গেছে।
তারা মহান আল্লাহ কে নয় শয়তান কে প্রভু হিসাবে মেনে নিয়েছে।

আমার এই পোস্ট পরে কোনো নগ্নবাজ মেয়ের অন্তরে যদি আঘাত পেয়ে থাকেন তা হলে আমি বলবো
আপনি চিন্তা করে দেখেন আপনি কেমন মায়ের বেটি আর আমি কেমন মায়ের পোলা।
নিশ্চয় আপনার মায়ের চেয়ে আমার মায়ের সম্মান হাজার গুণ বেশি।
হতভাগা ঐ সব মায়েরা যে মায়ের মেয়েরা সামান্য কয়টা টাকার জন্য নিজের দেহ কে পণ্য বানিয়ে দেশের
আমজনতার কাছে বিক্রয় করে দেয়।       
      
কিছু নগ্নবাজ নায়িকা ও মডেলদের মাধ্যমে আমাদের সমাজের যুবক ও কোমল মতি শিশুদের মাঝে
ছড়তেছে অশ্লীলতা।

আমাদের সমাজে ব্যাপক ভাবে অশ্লীলতা ছড়ানোর কারনে
এই সব নগ্নবাজ নায়িকা ও মডেলদের কে জন সম্মুখে পাথর নিক্ষেপ করে মারা উচিৎ।

পরিচালক ও নায়ক নায়িকাদের কে ইভটিজিং,ধর্ষণ প্রচারের দ্বায়ে মামলা করে শাস্তি দেওয়া উচিৎ।
কারন তারাই বিনোদনের নামে আমাদের সমাজে প্রচার করতেছে কি ভাবে একটি নারী কে ধর্ষণ করতে হয়?
কি ভাবে একটি মেয়ে উক্তাক্ত করে বুক ভরা ভালোবাসা আদায় করে নিতে হয়?

নারী কে ধর্ষণ করার অপরাধে যদি ধর্ষক কে গ্রেফতার করা যেতে পারে,
নারী কে উক্তাক্ত করার দ্বায়ে যদি বখাটে কে গ্রেফতার করা যেতে পারে?
তা হলে যারা ধর্ষক,ইভটিজার যারা বানায় তাদের কে গ্রেফতার করে কেনো শাস্তি দেওয়া হবেনা?
তা আমরা জানতে চাই।

যারা ইভটিজার,ধর্ষক বানায় তাদের কে শাস্তির বাহিরে রেখে তাদের অনুসারিদের কে শাস্তি দিলে কোনো
লাভ হবে? হবে না।

বর্তমানের মেয়েরাও অনেক নিচে নেমে গেছে।
রাস্তা দিয়ে চলা ফেরা করে, উড়না থাকার সত্ত্বেও  গলাতে গামছা মতো ঝুলিয়ে রাখে
কিন্তু বুকেতে দেয়না।
বুঝিনা তাদের বুকেতে উড়না দিতে সমস্যা কোথায়?
নাকি কি বুকেতে উড়না দেয় না এই জন্য যে রাস্তায় ভোগবাদি পুরুষেরা তাদের
এক জোড়া আপেল আছে সেটা দেখতে পারবেনা বলে?
ফ্রি ভাবে তাদের রসের ভরা যৌবন উপভোগ করতে পারবে না বলে?
আমার তো মনে হয় এই কারনেই।

ফুল ফুটলে সেটা কোনো দোষের হয় না যত দোষ ভ্রমর মধু আহরণ করতে আসলেই?
আমাদের দেশের মেয়ে চায় তাদের এই সব বেহাইয়াপনা  দেখিয়ে ডজন ডজন আবাল ছেলে
তাদের পিছনে ঘুরাতে  ,
কিন্তু এই সব আবাল মেয়েরা জানেনা যে সস্থা মালের বস্থা ভর্তি কাস্টমার থাকে।

আমাদের সমাজের কোনো মেয়ে পর্দার আইন মেনে চললে তাকে সবাই বোন অথবা খালাম্মা বলে ডাকি।
কিন্তু যেসব মেয়েরা বেপর্দা ভাবে চলা ফেরা করে দুষ্ট ছেলেরা তাদের কে দেখলে কি সুন্দর মাল বলে ডাকে।
আপনারা আবার অনেকেই বলতে পারেন আগের মেয়েরা তো অনেক ভালো ছিলো?
কিন্তু বর্তমানের মেয়েরা এই সব বেহাইয়াপনা শিখলো কোথাই থেকে?
সহজ উত্তর এই সব নগ্নবাজ নায়িকাদের কাছ থেকে শিখেছে।

নগ্নবাজ নায়িকাদের বেহাইয়া পনা যদি বন্ধ করা যায়
তা হলে আমাদের সমাজের বেহাইয়াপনা বন্ধ হয়ে যাবে।

আমি সরকারের কাছে অনুরোধ করতেছি,
আপনারা যদি কোমল মতি শিশুদের ও যুবকদের কে নৈতিক শিক্ষা দিতে চান
তা হলে যত তারা তাড়ি সম্বভ এই সব অশ্লীলতা বন্ধ করুন।
তার সাথে ভারতীয় নগ্ন আগ্রাসন রোধ করুন।
তা না হলে আমরা মনে করবো আপনারা কোমল মতি শিশুদের ও যুবকদের কে
নৈতিক নয় অনৈতিক শিক্ষা দিতে চাচ্ছেন।

গাছ কেটে পানি দিলে যেমন কোনো লাভ হবেনা,
ঠিক তেমনি ভাবে সমাজে ব্যাপক ভাবে অশ্লীলতা প্রচার ও প্রসার করে
কোমল মতি শিশুদের ও যুবকদের কে নৈতিক শিক্ষা দিতে পারবেন না।

কোমল মতি শিশুও যুবকদের কে যদি নৈতিক শিক্ষা দিতে চান তা হলে ইসলামের শিক্ষায়
শিক্ষিত করুণ।
ইসলামের নৈতিক শিক্ষা ছাড়া বিপরীত কোনো শিক্ষা দেওয়ার ইচ্ছা থাকলে দিতে পারেন কিন্তু কুফল ছাড়া সুফল
পাবেন না।

ইসলামের বিপরীত শিক্ষা শিক্ষিতরা চোর,ডাকাত,সন্ত্রাসী,চাঁদাবাজ,দুনিতিবাজ,নারী ধর্ষক,ইভটিজারই
হবে।

এটাই বাস্তব প্রমান।
মাননীয় প্রধান মন্ত্রী আপনি তাকিয়ে দেখুন আপনার তৈরি করা শিক্ষায় শিক্ষিতরা কি রকম অপকর্ম
করতেছে।
আপনার তৈরি করা শিক্ষায় শিক্ষিতরা যদি সোনার টুকরো ছেলে হয়ে থাকতে পারে তা হলে
মাদ্রাসায় পড়ুয়া ভাই ও বোনেরা হিরার চেয়ে ও দামি।

আপনাদের  তৈরি করা শিক্ষায় শিক্ষিতদের গ্রহন যোগ্যতা দুনিয়াতে,
আর ইসলাম শিক্ষায় শিক্ষিতদের গ্রহন যোগ্যতা স্বয়ং মহান আল্লাহর হাতে।
যেটা মহান আল্লাহর কাছে গ্রহন যোগ্যতা নাই সেটার ২ আনার ও দাম নেই।

আমার এই কথা গুলি আপনার নিশ্চয় স্বীকার করে নিবেন।


বিঃদ্রঃ আমার এই পোস্ট পড়ে যদি কোনো নায়িকা আপুরা মনে কষ্ট পেয়ে থাকেন?
তা হলে আমি বলবো এটা আপনাদেরই কৃতকর্মের ফল।
যে যেরকম কাজ করবে সে তারি প্রতি ফলন পাবে।

যুব সমাজ ধংসের আপনারাই হাতিয়ার।
যুব সমাজের অধঃপতনের  দ্বায় আপনাদের কেই নিতে হবে।

আমরা চাই আমাদের সমাজ থেকে অশ্লীলতা দূর হয়ে যাক,
আমাদের মা বোনেরা সম্মান পাক।
আপনারাই নারীদের সম্মান হানি করতেছে।
আপনারা বদলে যান দেখবেন আমাদের সমাজটা বদলে গেছে।

আজ এই পর্যন্তই দেখা হবে আগামী পোস্টে।
আপনারা সবাই ভালো থাকুন,
সুস্থ থাকুন,এ কামনায় আল্লাহ হাফেজ...............।
চলবে...............................
লিখেছেনঃ ব্লগার_সৈয়দ রুবেল।

সবার প্রতি অনুরোধ রইলো পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
ফেসবুকে শেয়ার করতে।।

 আল কোরআন/আরবী থেকে-বাংলা-ইংরেজী সহ 

 ইসলামী পোস্ট (১৭৪)বই(১) টি।

 সর্বাধিক পঠিত এবং আলোচিত পোস্ট গুলি পড়ুন

 এই পোস্ট গুলি কি আপনি পড়েছেন?

 কম্পিউটার/মোবাইল/ইন্টারনেট

 মাসিক মনোজগত

ইসলামে স্বামী-স্ত্রীর কর্তব্য ও মধুর মিলন।

 ডাঃজাকির নায়েকের লেকচার।কিছু প্রশ্নের উত্তর 

 দাম্পত্য জীবন/বিবাহ

নারী পুরুষের যৌন সমস্যা সমাধান 

নারীস্বাস্থ্য সমস্যা ও পরামর্শ

এই ব্লগে পড়তে কি সমস্যা হয়?আপনার কি টাকা বেশি খরচ হয়ে যায়?

কোন মন্তব্য নেই :