অমুসলিমদের প্রতি মুসলিমদের আচরণ কেমন হওয়া উচিত?

কোন মন্তব্য নেই
 প্রবন্ধটি পড়া হলে, শেয়ার করতে ভুলবেন না


শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু
 
 
প্রশ্ন : একজন অমুসলিম কোনো মুসলিম দেশে প্রবাসী যিম্মি (মুসলিম শাসনে বসবাসকারী অমুসলিম) হিসেবে বসবাস করতে পারে। আবার একজন মুসলিম কোনো অমুসলিম দেশে প্রবাসী হিসেবেও বসবাস করতে পারে। পরিস্থিতি দুটোর যা-ই হোক না কেন, একজন অমুসলিমের প্রতি একজন মুসলিমের কী ধরণের আচরণ করা উচিত? অমুসলিমদের সম্ভাষণ জানানো থেকে শুরু করে তাদের বিভিন্ন উৎসব-অনুষ্ঠান পালন করা সহ, তাদের সাথে মসুলিমদের চালচলন কেমন হওয়া উচিত, সে ব্যাপারে আমি একটা সচ্ছ ধারণা পেতে চাই। শুধু কর্মক্ষেত্রে কোনো অমুসলিমকে কি বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করার অনুমতি আছে? দয়া করে জানাবেন।

উত্তর : প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ্‌র জন্য। অমুসলিমদের প্রতি মুসলিমদের কর্তব্যের মধ্যে অনেকগুলো বিষয় অন্তর্ভুক্ত।

প্রথমত :

একজন অমুসলিমের প্রতি একজন মুসলিমের প্রথম কর্তব্য হলো, তাকে আল্লাহ্‌র দ্বীন, ইসলামের দা‘ওয়াত দিতে হবে। ইসলামের দা‘ওয়াত দেওয়ার পাশাপাশি যতদূর সম্ভব, জ্ঞান নিজের বিশুদ্ধ অনুযায়ী বাস্তবিক অর্থে ইসলাম কী, সে ব্যাপারে অমুসলিম ব্যক্তিকে বুঝাতে হবে। কারণ অন্যান্য মুসলিমদের পাশাপাশি কোনো ইহুদী, খ্রিস্টান কিংবা মুশরিকের প্রতি একজন মুসলিমের সর্বোচ্চ পরিমাণ অনুগ্রহ দেখানো উপায় হলো, তাদেরকে আল্লাহ্‌র দ্বীনের দা‘ওয়াত দেওয়া। নবী (সা) বলেছেন :
“যে ব্যাক্তি অন্যদেরকে কল্যাণের দিকে আহ্বান করবে, সে ‘আমলকারীর সমপরিমান সওয়াব পাবে” [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৮৯৩]
‘আলীকে (রা) খায়বারে প্রেরণের সময় রাসূল (সা) নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, তিনি যেন ইহুদীদেরকে ইসলামের দা‘ওয়াত দেন। রাসূল (সা) বলেছিলেন :
“আল্লাহ্‌র কসম! আল্লাহ্‌ যদি তোমার মাধ্যমে একজন মাত্র ব্যক্তিকে হিদায়াত দান করেন, তাহলে তোমার জন্য তা হবে লাল উট (সেরা প্রজাতির উট) থাকার চেয়েও অধিক উত্তম।”
তিনি (সা) আরও বলেছিলেন :
“যে ব্যক্তি অন্যদেরকে সঠিক পথের দিকে আহ্বান করে, সে তাদের সমপরিমান সওয়াব লাভ করবে, যারা সে পথের অনুসরণ করবে। অথচ তাদের কারও সওয়াব থেকে বিন্দুমাত্র কম করা হবে না।” [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৪৮৩২]
কাজেই, আন্তরিকতার সাথে একজন অমুসলিমকে ইসলামের দা‘ওয়াত দেওয়া এবং তার কাছে ইসলামের বাণী পৌঁছে দেওয়া আল্লাহ্‌র নৈকট্য লাভের অন্যতম শ্রেষ্ঠ উপায়।

দ্বিতীয়ত :

কোনো মুসলিম শারীরিক, আর্থিক কিংবা সম্মান-মর্যাদার দিক থেকে অমুসলিম ব্যাক্তির প্রতি কোনোরূপ অন্যায় করতে পারবে না। অমুসলিম ব্যক্তি যদি যিম্মি (মুসলিম শাসনাধীনে বসবাসকারী), মুস্তা’মান (মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় নিরাপত্তাপ্রাপ্ত) কিংবা মু‘আহিদ (যার দেশের সাথে মুসলিমদের শান্তিচুক্তিতে আবন্ধ) হয়, তাহলে তাকে তার প্রাপ্য অধিকার দিতে হবে এবং  চুরি, বিশ্বাসঘাতকতা বা প্রতারণার মাধ্যমে তার ধনসম্পদের ক্ষয়ক্ষতি করা যাবে না। তাকে হত্যা করা যাবে না এবং আঘাত করে শারীরিকভাবে কষ্ট দেওয়া যাবে না। কারণ সে মু‘আহিদ, যিম্মি কিংবা মুস্তা’মান হওয়ায় ইসলামী শারী‘আহ্‌ কর্তৃক তার নিরাপত্তা সুরক্ষিত।

তৃতীয়ত :

এমন কোনো কারণ নেই যার ফলে আমরা অমুসলিম সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য, তাদের কাছে জিনিসপত্র ভাড়া দেওয়া বা তাদের কাছ থেকে ভাড়া নেওয়া ইত্যাদি কাজগুলো করতে পারবো না। সহীহ হাদীসের বর্ণনা অনুযায়ী, আল্লাহ্‌র রাসূল (সা) কাফের এবং মুশরিকদের থেকে জিনিসপত্র কিনেছেন। আর তাদের থেকে জিনিসপত্র কেনা মূলত তাদের সাথে সম্পর্ক রাখা। তাঁর (সা) মৃত্যুর সময়েও তাঁর একটি বর্ম একজন ইহুদীর কাছে বন্ধক ছিল। ইহুদীর কাছে একসময় বর্মটি বন্ধক রেখে রাসূল (সা) তাঁর পরিবারের জন্য খাবার কিনেছিলেন।

চতুর্থত :

অমুসলিমদেরকে প্রথমে সম্ভাষণ জানানো মুসলিম ব্যক্তির উচিত নয়। নবী (সা) বলেছেন,
“ইহুদী কিংবা খ্রিস্টানদের প্রথমে তোমরা সালাম জানাবে না।” [সহীহ মুসলিম, সালাম অধ্যায়, হাদীস নং ২১৬৭]
তিনি (সা) আরও বলেছেন,
“যদি আহলে কিতাবদের কেউ সালামের (আস্‌সালামু ‘আলাইকুম) মাধ্যমে তোমাদের অভিবাদন জানায়, তাহলে বোলো, ‘ওয়া ‘আলাইকুম।’” [আল-বুখারি, হাদীস নং ৫৯০১; মুসলিম, হাদীস নং ২১৬৫]
অতএব, নিজে থেকে প্রথমেই কোনো কাফিরকে সালাম জানানো মুসলিমের উচিত নয়। তবে কোন কাফের, ইহুদী বা খ্রিস্টান যদি কোনো মুসলিমকে সালাম জানায়, তাহলে রাসূলের (সা) নির্দেশ অনুযায়ী, “ওয়া ‘আলাইকুম” বলে উত্তর দিতে হবে।
ভালো প্রতিবেশী হওয়া মুসলিমদের উপর অমুসলিমদের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অধিকার। কাজেই কোনো অমুসলিম  আপনার প্রতিবেশী হলে তার প্রতি সদয় হউন। তাকে কোনোভাবে হয়রানি করবেন না। অসচ্ছল হলে তাকে সাহায্য করুন। উপহার দিয়ে, সুপরামর্শ দিয়ে তাকে সহায়তা করুন। এতে করে সে ইসলামের সৌন্দর্যে আকৃষ্ট হবে এবং মুসলমান হওয়ার জন্য আগ্রহী হয়ে উঠবে। অধিকিন্তু, প্রতিবেশী হিসেবে আপনার উপর তার অধিকার রয়েছে। রাসূল (সা) বলেছেন,
“জিব্‌রীল (আ) প্রতিবেশীর প্রতি সদয় হওয়ার জন্য আমাকে এতটাই তাগিদ দিতে থাকলেন যে, আমি ভাবলাম, তিনি হয়তো প্রতিবেশীকে আমার উত্তরাধিকারী বানিয়ে ফেলবেন।” [আল-বুখারি ও মুসলিম]
প্রতিবেশী কাফির হলেও প্রতিবেশী হিসেবে তার অধিকার রয়েছে। প্রতিবেশী যদি কাফির হওয়ার পাশাপাশি আত্মীয়ও হয়, তাহলে তার অধিকার দ্বিগুন: প্রতিবেশী হিসেবে এবং আত্মীয় হিসেবে।
প্রতিবেশী দরিদ্র হলে তাকে যাকাত না দিয়ে আর্থিকভাবে সাহায্য করুন। কারণ প্রতিবেশী হিসেবে এই সাহায্য পাওয়ার অধিকার তার আছে। এই সম্পর্কে আল্লাহ্‌ বলেন (অর্থের ব্যাখ্যা),
দ্বীনের ব্যাপারে যারা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেনি এবং তোমাদেরকে স্বদেশ হতে বহিষ্কার করেনি, তাদের প্রতি সদ্ব্যবহার ও ন্যায় বিচার করতে আল্লাহ্‌ তোমাদেরকে নিষেধ করেন না। আল্লাহ্‌ তো ন্যায়-পরায়ণদেরকে  ভালোবাসেন।” [সূরা মুমতাহিনাহ্‌, আয়াত-৮]
আস্‌মা বিন্‌তে আবি বাক্‌র (রা) থেকে বর্ণিত একটি বিশুদ্ধ বর্ণনানুযায়ী, মক্কার মুশরিক এবং রাসূলের (সা) মধ্যে যুদ্ধবিরতি চলাকালীন তার মা — যে তখনও মুশরিকা ছিল — তার সাথে দেখা করে সাহায্য চাইলো। মায়ের সাথে তার সম্পর্কের বন্ধনকে বহাল রাখবে কি না, সে বিষয়ে আস্‌মা রাসূলের (সা) কাছে অনুমতি চাইলেন। উত্তরে রাসূল (সা) বলেছিলেন,
“তার সাথে রক্তের বন্ধনকে বহাল রাখো।”
অমুসলিমদের উৎসব-অনুষ্ঠান উদ্‌যাপনের ক্ষেত্রে বিধান হলো, কোনো মুসলিম সেগুলোতে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। তবে তাদের কোনো প্রিয়জন মারা গেলে, সমবেদনা জ্ঞাপন করাতে দোষের কিছু নেই। যেমন: ‘আল্লাহ্‌ আপনার ক্ষতিপূরণ করুন’ বা এই জাতীয় সহানুভূতিপূর্ণ কথা বলা যেতে পারে। তবে মৃত ব্যক্তি কাফির হলে “আল্লাহ্‌ তাকে ক্ষমা করে দিন” বা ‘আল্লাহ্‌ তার উপর দয়া করুন’ ইত্যাদি বলা যাবে না এবং মৃতের জন্য কোনো দো‘আও করা যাবে না। কিন্তু মৃত ব্যক্তির জীবিত আত্মীয়স্বজনদের ক্ষতিপূরণের জন্য এবং তাদের হিদায়াতের জন্য দো‘আ করা যাবে।
ফাতাওয়া নূর ‘আলা আদ্‌-দার্‌ব, ১/২৮৯-২৯১
 
 
 


মূল লেখক : শায়েখ আব্দুল ‘আযীয্‌ ইবনু বাজ (রঃ) | ভাষান্তর ও সম্পাদনা : 'আব্‌দ আল-আহাদ
প্রকাশনায় : কুরআনের আলো ওয়েবসাইট

শেয়ার করে আপনি ও হোন ইসলাম প্রচারক।
শেয়ার করতে এখানে ক্লিক  করুন ।
 

আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুণ। এই ব্লগে পড়তে কি সমস্যা হয়?আপনার কি টাকা বেশি খরচ হয়ে যায়?

কোন মন্তব্য নেই :

ইসলামে পর্দার বিধান

কোন মন্তব্য নেই
আল্লাহ তায়ালা নির্দেশ করছেন, ‘তোমরা নারীদের কাছ থেকে যখন কিছু চাইবে, তখন হিজাবের আড়াল থেকে চাইবে, এটা তোমাদের ও তাদের মনের অধিকতর পবিত্রতার জন্য খুবই উপযোগী’ (সূরা আল আহজাব : ৫৩). উল্লিখিত আয়াতে ‘হিজাব’ শব্দের অর্থ হচ্ছে পর্দা বা আচ্ছাদন বা আবৃতকরণ বা ঢেকে নেয়া। নারী-পুরুষের মধ্যে গায়ের মাহরিমদের জন্য পর্দা করা, এটা আল্লাহ তায়ালার হুকুম বা আইন। এ হুকুম বা আইন মানা সব প্রাপ্তবয়স্ক নর-নারীর ওপর ফরজ। যাদের বিয়ে করা হারাম তাদেরকে মাহরিম বলে। আর তাদের ব্যতীত সবাই গায়ের মাহরিম। গায়ের মাহরিমদের মধ্যে পর্দা বাধ্যতামূলক বা ফরজ করা হয়েছে, এটা আল্লাহর ইবাদত।

আল্লাহ তায়ালা বলছেন, ‘আমি জিন ও মানুষ সৃষ্টি করেছি শুধু আমার ইবাদতের জন্য’(সূরা আজ জারিয়াত : ৫৬). আরো নির্দেশ হচ্ছে, ‘হে মানুষ, তোমরা আল্লাহ তায়ালার ইবাদত করো, যিনি তোমাদের ও পূর্ববর্তীদের সৃষ্টি করেছেন’ (সূরা আল বাকারা : ২১). আল্লাহ তায়ালার প্রতিটা হুকুম মেনে চলাই হচ্ছে ইবাদত।

ইবাদতের েেত্র আমাদের কিছু স্বেচ্ছাচারিতা আছে। আমরা কখনো সালাত আদায় করি আবার ছেড়ে দেই, সিয়াম পালন করি আবার ছেড়ে দেই, হজ ফরজ হলেও বিভিন্ন অজুহাতে হজ পালন করি না, জাকাতদাতা হলেও সঠিকভাবে জাকাত পরিশোধ করি না। ঈমানের দাবি পূরণ করা না করা বা ছেড়ে দেয়া প্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালার ঘোষণা হচ্ছে, ‘যারা একবার ঈমান আনল আবার ছেড়ে দিলো বা কুফরি করল, আবার ঈমানের দাবি পূরণ করল আবার ছেড়ে দিলো বা কুফরি করল, এমনিভাবে তারা দিনে দিনে কুফরিকেই বাড়িয়ে দিলো, এমনি করে ঈমান নিয়ে তামাশা করার এ লোকদের আল্লাহ তায়ালা কখনো মা করবেন না, আর তিনি এসব ব্যক্তিকে সঠিক পথও দেখাবেন না’ (সূরা আন নিসা : ১৩৭)।

ঈমানের পর সালাত, সিয়াম, হজ ও জাকাতের মতো প্রাপ্তবয়স্ক নর-নারী নির্বিশেষে সবাই পর্দা পালন করাও গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক ইবাদত। আল্লাহতায়ালা নির্দেশ করেছেন, ‘আর তোমরা ঘরে অবস্থান করবে, পূর্বেকার জাহেলিয়াতের জমানার নারীদের মতো নিজেদের সৌন্দর্য প্রদর্শনী করে বেড়াবে না, সালাত কায়েম করবে, জাকাত আদায় করবে, আল্লাহ ও তার রাসূল সা:-এর আনুগত্য করবে, আল্লাহতায়ালা মূলত এসব কিছুর মাধ্যমে নবী পরিবার তথা তোমাদের মাঝ থেকে সব ধরনের অপবিত্রতা দূর করতে চান’ (সূরা আল আহজাব : ৩৩). আল্লাহ তায়ালার নির্দেশ হচ্ছে, ‘হে নবী! আপনার স্ত্রীগণ, কন্যাগণ, এবং মুমিন মহিলাদেরকে বলে দিন, তারা যেন নিজেদের ওপর নিজেদের চাদরের আঁচল ঝুলিয়ে দেয়, এটা তাদের জন্য ভালো নিয়ম ও রীতি, যেন তাদের চিনতে পারা যায় ও তাদের উত্ত্যক্ত করা না হয়’ (সূরা আল আহজাব : ৫৯)।

রাসূল সা: বলেছেন, ‘মানুষ তার সমগ্র ইন্দ্রিয়ের সাহায্যে জিনা করে। দেখা হচ্ছে চোখের জিনা, ফুঁসলানো কণ্ঠের জিনা, তৃপ্তির সাথে কথা শোনা কানের জিনা, হাত দিয়ে স্পর্শ করা হাতের জিনা, কোনো অবৈধ উদ্দেশ্যে পথ চলা পায়ের জিনা, এভাবে ব্যভিচারের যাবতীয় ভূমিকা যখন পুরোপুরি পালিত হয়, তখন লজ্জাস্থান তার পূর্ণতা দান করে অথবা পূর্ণতা দান থেকে বিরত থাকে’ (বুখারি, মুসলিম ও আবু দাউদ)।

পর্দা নারী-পুরুষ সবার জন্য : ‘(হে! রাসূল সা:) আপনি ঈমানদার পুরুষদের বলে দিন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি অবনত রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থানসমূহের হেফাজত করে, এটাই হচ্ছে তাদের জন্য উত্তম পন্থা, কেননা তারা তাদের চোখ ও লজ্জাস্থান দিয়ে যা করে আল্লাহতায়ালা সে সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গভাবে অবহিত রয়েছেন’ (সূরা আন নূর : ৩০). রাসূল সা: হজরত আলী রা:কে নির্দেশ করছিলেন, ‘হে আলী! নারীদের প্রতি প্রথম দৃষ্টির পর দ্বিতীয় দৃষ্টি নিপে করো না, কেননা প্রথম দৃষ্টি মার যোগ্য দ্বিতীয়টি নয়। হজরত জাবের রা: জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল সা:! হঠাৎ যদি দৃষ্টি পড়ে তা হলে কী করব? রাসূল সা: বললেন, তাৎণিক দৃষ্টি ফিরিয়ে নিয়ো’ (আবু দাউদ)।

নারীদের ব্যাপারে নির্দেশ হচ্ছে, ‘ (হে! রাসূল সা:) আপনি ঈমাদার নারীদের বলে দিন তারা যেন তাদের দৃষ্টি নিম্নগামী রাখে এবং নিজেদের লজ্জাস্থানসমূহ হেফাজত করে, তারা যেন তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে, তবে তাদের শরীরের যে অংশ এমনিই খোলা থাকে তার কথা আলাদা, তারা যেন তাদের বদেশ তাদের মাথার কাপড় দ্বারা আবৃত করে রাখে, তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, ছেলে, স্বামীর আগের ঘরের ছেলে, ভাই, ভাইয়ের ছেলে, বোনের ছেলে, তাদের সাথে মেলামেশার মহিলা, নিজেদের অধিকারভুক্ত সেবিকা বা দাসী, নিজেদের অধীনস্থ এমন পুরুষ যাদের মহিলাদের কাছ থেকে কোনো কিছু (যৌন) কামনা করার নেই কিংবা এমন শিশু যারা এখনো মহিলাদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে কিছুই জানে না, এসব মানুষ ছাড়া তারা যেন অন্য কারো সামনে নিজেদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, চলার সময় জমিনের ওপর তারা যেন এমনভাবে নিজেদের পা না রাখে, যে সৌন্দর্য তারা গোপন করে রেখেছিল তা তাদের পায়ের আওয়াজে লোকদের কাছে জানাজানি হয়ে যায়’ (সূরা আন নূর : ৩১)।

রাসূল সা: তার স্ত্রী হজরত উম্মে সালমা ও মায়মুনা রা:কে অন্ধ সাহাবা হজরত ইম্মে মাকতুম রা:-এর সাথে পর্দা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন’ (বুখারি ও তিরমিজি)।

মাহরিম সম্পর্কে নির্দেশ : ‘নারীদের মধ্য থেকে যাদের তোমাদের পিতা, পিতামহ বিয়ে করেছে (সৎ মা ও দাদী), তোমরা কখনো তাদের বিয়ে করো না, হ্যাঁ এ নির্দেশ আসার আগে যা হয়ে গেছে তা তো হয়েই গেছে, এটি আসলেই ছিল একটি অশ্লীল ও নির্লজ্জ কাজ এবং খুবই ঘৃণ্য ও নিকৃষ্ট আচরণ’। ‘বিয়ের ব্যাপারে তোমাদের জন্য হারাম করে দেয়া হয়েছে তোমাদের মা, মেয়ে, বোন, ফুফু, খালা, ভাইয়ের মেয়ে, বোনের মেয়ে, আরো হারাম করা হয়েছে সেসব মা যারা তোমাদেরকে বুকের দুধ খাইয়েছে, তোমাদের দুধ বোন, তোমাদের স্ত্রীদের মা, তোমাদের স্ত্রীদের মাঝে যাদের সাথে তোমরা সহবাস করেছ তাদের আগের স্বামীর ঔরসজাত মেয়েদেরকেও হারাম করা হয়েছে, যারা তোমাদের অভিভাবকত্বে রয়েছে, অবশ্য যেসব স্ত্রীর সাথে বিয়ের পর তোমরা সহবাস করোনি, তাহলে তাদের আগের স্বামীর ঔরসজাত মেয়েদের বিয়ে করতে দোষের কিছু নেই, তোমাদের নিজেদের ঔরসজাত ছেলেদের স্ত্রীদেরও আর এক সাথে দুই বোনকে হারাম করা হয়েছে’ (সূরা আন নিসা : ২২-২৩)।

সালাত, সিয়াম, হজ ও জাকাত যেমন ফরজ পর্দাও তেমন ফরজ। সালাত ব্যক্তিকে পবিত্র করে, সিয়াম ব্যক্তিগত তাকওয়া বৃদ্ধি করে, হজ ব্যক্তির আত্মার প্রশান্তি আনে, জাকাত ব্যক্তির মালসম্পদ পবিত্র ও বৃদ্ধি করে। জাকাত আদায় না করলে ধনীর সম্পদে গরিবের যে হক আছে, তা নষ্ট বা আত্মসাৎ করা হয়। কিন্তু পর্দা পালন না করলে ব্যক্তিগত তির সাথে সাথে সমাজও তিগ্রস্ত হয়।

আল্লাহ তায়ালার হুকুম হচ্ছে, পুরুষরা তাদের দৃষ্টি অবনত রাখবে, নারীরা তাদের ঘরে অবস্থান করবে, বের হলেও দৃষ্টি অবনত রাখবে, আপাদমস্তক চাদর দিয়ে ঢেকে নেবে। একটি মাত্র বেপর্দা যুবতী হাজার হাজার পুরুষকে জাহান্নামি বানানোর জন্য যথেষ্ট। হাদিস শরিফে উল্লেখ আছে যে, রাসূল সা: বলেছেন, ‘শয়তানের কাজ হচ্ছে মহিলাদের পুরুষের সামনে সুশ্রী করে উপস্থাপন করা’। রাসূল সা: আরো বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো অপরিচিত নারীর প্রতি যৌন লোলুপ দৃষ্টিতে তাকাবে, কিয়ামতের দিন তার চোখে উত্তপ্ত গলিত লোহা ঢেলে দেয়া হবে’ (ফাতহুল কাদির). রাসূল সা: বলেছেন, ‘যে নারী আতর বা সুগন্ধি দ্রব্যাদি ব্যবহার করে লোকদের মধ্যে যায় সে একটি ভ্রষ্টা নারী’।

আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘হে বনি আদম, আমি তোমাদের জন্য পোশাকের বিধান পাঠিয়েছি, যাতে করে এর দ্বারা তোমরা তোমাদের গোপন অঙ্গ বা লজ্জাস্থানসমূহ ঢেকে রাখতে পার এবং নিজেদের সৌন্দর্যও ফুটিয়ে তুলতে পার, তবে আসল পোশাক হচ্ছে তাকওয়ার, আর এটাই হচ্ছে উত্তম পোশাক এবং এটা আল্লাহর নিদর্শনসমূহেরও একটি’ (সূরা আল আরাফ : ২৬)।

অতএব ঈমানদারদের উচিত আল্লাহ তায়ালাকে অভিভাবক মেনে ও রাসূল সা:-এর সুন্নাহর অনুসরণ করে, আল্লাহ প্রদত্ত রাসূল সা: প্রদর্শিত পথে চলা। কুরআন ও হাদিসের আলোকে সালাত, সিয়াম, হজ ও জাকাত যেমন ফরজ, পর্দা বা হিজাবও তেমনি ফরজ। আল্লাহ তায়ালা নির্দেশ করছেন, ‘তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সা:-এর কথা মেনে চলো, আশা করা যায় তোমাদের ওপর দয়া করা হবে’ (সূরা আলে ইমরান : ৩২)।


শেয়ার করে আপনি ও হোন ইসলাম প্রচারক
শেয়ার করতে এখানে ক্লিক  করুন ।

 এই ব্লগে পড়তে কি সমস্যা হয়?আপনার কি টাকা বেশি খরচ হয়ে যায়?

কোন মন্তব্য নেই :

"'বোরখা' - স্বতীত্ব বিলানোর জন্য নয়, স্বতীত্ব রক্ষার জন্য"

কোন মন্তব্য নেই




লেখার শিরোনামটা কিছুটা অদ্ভূত, তাই না? অনেকেই হয়ত ভাবছেন, এ কেমন শিরোনাম রে বাবা! বোরখা কেন স্বতিত্ব বিলানোর মাধ্যম হবে। এই ছেলেটা কি ইসলাম সম্পর্কে কোন জ্ঞানই রাখেনা? ইত্যাদি ইত্যাদি!!

বিশ্বাস করুন আমিও চিন্তা করেছি শিরোনাম নিয়ে। পরে মনে হল, কে কি ভাববে তা নিয়ে আমার মাথা ব্যাথা কেন! আমার উদ্দেশ্য আল্লাহ বুঝলেই হবে। এবার মূল প্রসঙ্গে আসি-

বোরখার সাথে আমার পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। আম্মার পরনে দেখে। একদিন আম্মাকে জিজ্ঞেস করলাম- তোমার কলিগরা তো অনেকেই শাড়ি পরে আসে, তুমি বোরখা পর কেন?আম্মা বললেন- 'পরপুরুষের সামনে গেলে পর্দা করে যেতে হয়, এটি ইসলাম ধর্মের নিয়ম। তাই আমি আমি বোরখা দ্বারা পর্দা করি'।

ছোট থাকলেও এটুকু বুঝতে অসুবিধা হয়নি, যে নারীরা ইসলাম ধর্ম মেনে চলে তাদেরকে পর্দা করে বাইরে যেতে হয়। এরপর কুরআন থেকেও পর্দা বিষয়ক কিছু জ্ঞান অর্জন করলাম। যেমন-

"হে নবী আপনি আপনার পত্নী গনকে ও কন্যা গনকে এবং মুমিনদের স্ত্রীগনকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দাংশ নিজের বুকের উপর টেনে নেয়। এতে তাদের চেনা সহজ হবে, ফলে তাদের উত্যক্ত করা হবে না, আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু"।
[আল আহযাবের-৫৯]

অর্থাত্‍ মুসলিম নারীদের চেনার একটি সহজ উপায় হল তারা পর্দা মেনে চলবে। বর্তমানে যেহেতু পর্দা মেনে চলতে গেলে বোরখাকে ব্যবহার করতে হয়, তাই বলা যায়- বোরখা পরিহিত মেয়েরা ইসলামের নিয়ম কানুন মেনে চলে।

কিন্তু কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতা আমার এ জানা বিষয়টাকে দ্বিধায় ফেলে দিয়েছে। আজকের লেখাটি সেই খন্ড খন্ড দৃশ্যের সমষ্টিকে নিয়ে। আসুন দৃশ্যপটগুলোতে একবার চোখ বুলিয়ে নেই।


২০০৯ সালের প্রথম দিকের ঘটনা। মিডিয়ায় বাংলা ছায়াছবি 'মনপুরা'র ব্যাপক প্রচার চলছে। এমন ছবি নাকি এক'শ বছরে একটা হয়না... আরো কত কথা। প্রবল আগ্রহ নিয়ে 'মনপুরা' দেখতে এক বন্ধুকে সহ জেলা শহরের একটি সিনেমা হলে গেলাম। আমাদের সামনে সিটে একজোড়া ছেলে মেয়ে বসেছিল। মেয়েটির পরনে বোরখা ছিল। সিনেমা শুরু হবার ঘন্টাখানিক পর হঠাত্‍ সামনের সিটে চোখ গেল। রীতিমত আঁতকে উঠলাম। ওরা সিনেমা দেখা বাদ দিয়ে অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়ে আছে। চারপাশে চোখ বুলিয়ে দেখি এমন আরো চার-পাঁচটি দৃশ্য।

সিনেমা শেষ হবার আগেই বের হয় গেটের পাশে গিয়ে দাড়ালাম। কোন চেনা মেয়ে থাকলে সতর্ক করে দেব এই ভেবে। সিনেমা শেষ হলে অবাক হয়ে দেখলাম সবক'টি মেয়ে নেকাব পরে বের হয়ে যাচ্ছে। মুখ ঢেকে রাখার কারনে কাউকে চেনার সুযোগ পেলাম না।


২০০৯ সালের মাঝামাঝি সময়। এডমিশন কোচিং করতে ঢাকায় এসেছি। নিয়ে এসেছে খালাত ভাই। বয়সে বড় হলেও বন্ধুর চেয়েও বেশি। বললেন- 'ঢাকায় নতুন এসেছিস, চল তোকে চিড়িয়াখানা, বোটানিক্যাল গার্ডেন ঘুরিয়ে নিয়ে আসি'। ভাইয়ের সাথে গেলাম। চিড়িয়াখানা ঘুরে বোটানিক্যাল গার্ডেনে প্রবেশ করলাম। আমার তো চোখ ছনাবরা! কি দেখছি এসব! বোরখা পরা মেয়েরা এতটা খারাপ হয় কখনো? সেখানে প্রায় শতকরা বিশজন মেয়ের পরনে বোরখা ছিল। বেশিক্ষন থাকতে পারিনি।

বের হবার পর ভাই বলল- 'এই মেয়েগুলো বোরকা পরে এসেছে কেন জানিস? এরা বোরকা পরে বাবা মা'র সামনে ছেলেদের নিয়ে টাংকি মারলেও তারা বুঝতে পারবেনা বলে'। আমি হা করে শুনছিলাম। এমনও হয়?

'হায় বোরখা, হায় স্বতিত্ব রক্ষাকারী কাপর!'


ভার্সিটিতে ভর্তি হবার পর হলে উঠলাম। রুমমেটদের সাথে পরিচয় হল। একজন নতুন প্রেম শুরু করেছে। সে ফোনে তার গার্লফ্রেন্ড (?) কে বলছে- 'তোমার সৌন্দর্য শুধু আমার জন্য, অন্য কোন পুরুষের জন্য নয়। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আমি তোমার পরনে বোরখা দেখতে চাই'।

যে কথা বলবে স্বামী, সে কথা বলছে প্রেমিক। সাবাশ ইসলামিক দেশের মুসলমান।


বছর খানিক আগে আমার এক স্কুল বন্ধু স্কুলের এক মেয়ে ক্লাসমেটের কথা উল্লেখ করে বলছে- 'জানিস ঐ মেয়েটা এখন এরাবিয়ান বোরখা ব্যবহার করে'। মেয়েটা ইসলাম ভীরু টাইপ ছিলনা। তাই আমি বললাম- 'আমি নিশ্চিত ও কোন ছেলের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পরেছে'। আগের পয়েন্ট তো তাই বলে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেলে মেয়েটা দু'তিন মাস ধরে একটা ছেলের সাথে দিল্লীকা লাড্ডু খাচ্ছে।


আপনি গ্রামের পরিসংখ্যান শুনলে উত্‍কন্ঠায় শিউরে উঠবেন। গ্রামের স্কুল কলেজের অধিকাংশ মেয়েরা এখন বোরখা ব্যবহার করে। একজন মুসলমান হিসেবে এই কথাটি সুসংবাদের হতে পারত। কিন্তু ওরা কেন বোরকা পরিধান করে জানেন (সবাই নয় তবে বেশিরভাগ)??

- 'ক্লাস ফাঁকি দিয়ে যেন ছেলেদের সাথে সিনেমা হলে, পার্কে, উদ্যানে যেতে পারে এ জন্য'। থানা পর্যায়ে বিনোদন পার্কের ব্যবস্থা এদের জন্য আরো সহজতর করে দিয়েছে।

অনেক বাবা মা-ই এখন মেয়েদের এই ভয়ে বোরখা ব্যবহার করতে দেন না। ভয়টি কিন্তু অমূলক নয়।

আমার মনে হয় উপোরক্ত ঘটনাগুলি সম্পর্কে আপনারাও সজ্ঞান রয়েছেন। কেউ লিখতে চায়নি, আমি লিখেছি; এই যা পার্থক্য।

ইদানিং আবার বোরকায় আধুনিকতা এসেছে। যে বোরকায় চাকচিক্য বেশি, শরীরের অবয়ব ফুটে ওঠে সেগুলো নাকি আধুনিক বোরকা। ক্লাসেও শুনি, এক মেয়ে আরেক মেয়েকে বলছে- 'তোর বোরখাটা কি সুইট'!

এভাবেই বোরখাকে ফ্যাশন হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে, হারিয়ে যেতে বসেছে বোরখা ব্যবহারের মূল প্রয়োজনীয়তা। আলহামদুলিল্লাহ! এখনো কিছু ইসলামিস্ট বোন আছেন বলে স্বপ্ন দেখি একটি সুন্দর সকালের, হিজাব সমৃদ্ধ ইসলামিক সমাজের। যেখানে সবাই বোরখাকে ব্যবহার করবে একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির নিমিত্তে, অন্য কোন উদ্দেশ্যে নয়।

জানি আমার এই একটি লেখা দিয়ে আমূল পরিবর্তন হবেনা। কিন্তু আমরা যদি লক্ষ্য করি, ইদানিং অনলাইন এক্টিভিটিজদের কারনে অনেক বড় ঘটনা ঘটছে। সেক্ষেত্রে আমরা সবাই মিলে যদি পর্দার ব্যবহার বিষয়ে গণসচেতনটা তৈরীর চেষ্টা করি লেখালেখি ও শেয়ারের মাধ্যমে তখন হয়ত সফলতা আসবে, যদি আল্লাহ রাজী থাকেন।

সবাইকে এ বিষয়টা নিয়ে কাজ করার উদাত্ত আহবান জানিয়ে লেখার ইতি টানছি। আল্লাহ হাফিজ।।

 লিখেছেনঃ ধ্রব নীল

শেয়ার করে আপনি ও হোন ইসলাম প্রচারক।
শেয়ার করতে এখানে ক্লিক করুন

 এই ব্লগে পড়তে কি সমস্যা হয়?আপনার কি টাকা বেশি খরচ হয়ে যায়?

কোন মন্তব্য নেই :

অল্প সময় ব্যয় করে ইনকাম করুন ১ হাজার টাকা,fb তে অভিনব প্রতারনার বিজ্ঞাপন।

1 টি মন্তব্য
ইন্টারনেটে শুরু হয়েছে নতুন  প্রতরনা।
ইদারিং জনপ্রিয় ফেসবুকে দেখা যাচ্ছে প্রতরনার ওয়েব সাইট।
এই সব সাইটের লোভনীয় কিছু লেখা থাকে।
যেমন ফেসবুকে অযথা সময় নষ্ট করে কি লাভ?
বরং এই সময় টুকু কাজে লাগান।
সামান্য সময় ব্যয় করে জিতে নিন  ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা বা তার চেয়ে এর বেশি।
 এর পর লিঙ্ক দেওয়া থাকে এবং বলে ভিজিট করতে।
এবং বলে দেয় আপনার যত গুলো সিম আছে সব গুলো সিম দিয়ে সাইন আপ করে নিতে। 
আর এই সব কথা গুলো পোস্ট করা হয় ফেসবুকের পেইজ এর মন্তব্য হিসাবে।
এবং বলে দেয় আপনার যত গুলো সিম আছে সব গুলো সিম দিয়ে সাইন আপ করে নিতে। 

এদের কথা মতো যারা এই সব সাইটে ভিজিট করে সাইন আপ করেছে তারা কি বুঝতে পেরেছে
যে এটা প্রতারনার হাতিয়ার?
হ্যাঁ ঠিকি বুঝতে পেরেছে তখন যখন তাদের কথা মতো বিনা টাকায় কামলা খেটে তাদের দেওয়া
ক্যাপশন এবং লিঙ্ক ভিভিন্ন পেইজে পোস্ট করে ও যখন কিছু পাইনি।

এই সব নিয়ে তিশা নামের একটি মেয়ের সাথে আমার গত মাসে অনেক তর্ক হয়েছিলো।
শেষ পর্যন্ত আমার আইডি টা হারাতে হলো।

আচ্ছা আমি আপনাকে জিজ্ঞেস করি,তাদের সাইটে একবার ভিজিট করাতে আপনাকে এতো গুলো টাকা  কেনো
দিবে?
আপনাকে এতো গুলো টাকা দিয়ে তাদের কি লাভ?
টাকা কি তাদের বাপ দাদার গাছে ধরে নাকি বলদের পাছা দিয়ে বের হয়?

না বুঝেই হুমড়ি খেয়ে ডুকে পড়েন  তাদের কথা মতো?

আপনি কি জানেন তারা কে?

তারা তো হতে পারে কোনো হ্যাকার দল?
তারা আপনার ফোন নাম্বার ব্যাবহার করে সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে থাকতে পারে।
অথবা গোপনে আপনার ব্যালেন্জ থেকে টাকা হ্যাক করে নিতে পারে।
হতে পারে তারা আপনার ব্যক্তিগত তথ্য অথবা ভয়েজ কল হ্যাক করে নেটে প্রকাশ করে দিতে পারে।

তখন কি করবেন?

গাছ কেটে পানি দিলে কো নো লাভ হবে?
হবেনা।

ঠিক আছে আমি আপনার কথা মেনে নিলাম তারা আপনার কোনো ক্ষতি করবেনা।
কিন্তু আপনি যে এতো ক্ষণ তাদের গোলামী করলেন ?
এতো ক্ষণ নিজের টাকা খরচ করে তাদের কথা গুলো সবার মাঝে প্রচার করলেন?
 এর বিনিময়ে কি পেলেন?
বলতে পারেন ঘোড়ারা ডিম পাইছি।

এবার আসুন তাদের লাভের কথা বলি।

আমার জানা মতে একটি ওয়েব সাইটে এক হাজার মানুষ ভিজিট করলে সাইটের মালিক ৫ ডলার পায়।
এখন চিন্তা করে দেখুন আপনাদের প্রচরানাতে প্রতি দিন কত হাজার মানুষ ভিজিট করতেছে?
তারা প্রতি দিন কত টাকা ইনকাম করে নিচ্ছে আপনাকে প্রতারনার বলি শিকার করে।
আবাল না থেকে বুদ্ধি মান হোন।
এটা এনালগ বাংলাদেশ নয় ডিজিটাল বাংলাদেশ।

আমি ফেসবুক এডমিন ভাই ও বোনদের কে বলতেছি,
আপনারা যখন আপনাদের পেইজে এই সমস্থ প্রতারনা মূলক বিজ্ঞাপন দেখবেন?
যারা এই সব বিজ্ঞাপন দেয় তাদের কে বিনা নোটিশে ব্যান করে দিবেন।
এবং ফেসবুকের নিকট অভিযোগ করে দিবেন।

যারা এই সব প্রতারনা মুলক বিজ্ঞাপন দেয় তাদের কে ব্লক করে দিবেন এবং
ফেসবুকের নিকট অভিযোগ করবেন।
আর ভুলেও এই সব সাইটে প্রবেশ করবেন না।
করলে আপনারই ক্ষতি। আমার কোনো ক্ষতি নাই।
আমি চাই না আপনার কোনো ক্ষতি হোক?
যার কারনে এতো কষ্ট করে ব্লগে লেখা লিখি করি।
তা ছাড়া এমন আরও অনেক প্রতারনার বিজ্ঞাপন দেওয়া হয় ফেসবুকে।
এই সব থেকেও সতর্ক থাকবেন।
       
এবার আমার কাজ শেষ।
এখন আপনার কাজ হল শেয়ার করে সবাই কে সর্তক করা।
শেয়ার করতে এখানে ক্লিক করুন
আপনারা সবাই ভালো থাকুন এবং সুস্থ সুন্দর থাকুন এ কামনায়
আল্লাহ হাফেজ ।
         
  
        


আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুণ। এই ব্লগে পড়তে কি সমস্যা হয়?আপনার কি টাকা বেশি খরচ হয়ে যায়?

বিয়ে করতে কি কোন প্রস্তুতির দরকার হয়?

কোন মন্তব্য নেই

বিয়ে করতে কি কোন প্রস্তুতির দরকার হয়?


প্রবন্ধটি পড়া হলে, শেয়ার করতে ভুলবেন না

শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু

লিখেছেন: স্বপ্নচারী
আমাদের সমাজে ছেলেমেয়েরা কেন বিয়ে করে?
অনেক তরুণ-তরুণীরা হয়ত বিয়ে করতে চায় কারণ তাদের বন্ধুবান্ধবরা বিয়ে করে ফেলছে, কারও আবার বাবা-মা চাপ সৃষ্টি করছে বিয়ে করার জন্য, কেউ ঘরের পারিবারিক জীবনের সমস্যা থেকে মুক্তির জন্যও বিয়ে করতে চায়। কেউ কেউ অন্যের শারীরিক সৌন্দর্য দেখে বা অর্থ-সম্পদের কারণে বিয়ে করতে আগ্রহী হয়। কেউ কেউ খুঁজে একজন সঙ্গী, কেউ পারিবারিকভাবে শক্ত একটা অবলম্বন পেতেও বিয়ে করতে চায় যেটা একটা বিয়ের মাধ্যমে সম্ভব। আবার মুসলিম হিসেবে রাসূলের সুন্নাহ পালনের মাধ্যমে ইবাদাত হিসেবেও বিয়ে করতে চান।
আরেকটা মানুষের সাথে আজীবন থাকার অভিপ্রায়ে যখন যাত্রা শুরু হয় দু'জন ছেলে এবং মেয়ের, তখন তাদের অনেক রকমের প্রস্তুতির দরকার পড়ে। দু'টো পরিবারকে তারা জুড়িয়ে দেয়, এখানে আরেকটা পরিবারের সাথে *নিজেদেরকে* মানিয়ে নেয়ার ব্যাপার থাকে। অনেক ধরণের চারিত্রিক গুণ প্রয়োজন, যেগুলো ছাড়া দিব্যি সমস্যাবিহীন *সিঙ্গেল* লাইফ কাটানো গেলেও বিবাহিত তা অবধারিত প্রয়োজন। তাই এগুলোর অবর্তমানে যদি সম্পর্কে চাপ বা টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়, অন্য কাউকে দায় দেয়ার নেই, ভোগান্তি তো হবেই।
বর্তমান সময়ে টেলিভিশন মিডিয়া, কমার্শিয়ালের মাঝে ডুবে থেকে অনেক ছেলেমেয়েরাই বিয়েকে মডার্ন ডেটিং টাইপের কিছু ভেবে বসেন। কেবল অবিমিশ্র সুখ, উদ্দাম আনন্দ। অথচ, বিয়ের পর দেখা যায় টুথব্রাশ এখানে কেন, টাওয়েল ওখানে কেন টাইপের ছোট ছোট জিনিসেও অমিল পাওয়া যায় একজন আরেকজনের। বিয়ের প্রথম দিকে ভালোবাসা উপচে পড়ার কারণে এইসব অগ্রাহ্য করলেও কিছুদিন পর আরেকজনের এইসব ছোটখাটো অমিলগুলোও অসহ্যবোধ হতে থাকে।
পারিবারিক এই সম্পর্কের ব্যাপারে কুরআনে ব্যবহৃত শব্দ হলো -- 'আল মুহসানাত', 'আল মুহসিনিন' যা 'ইহসান' শব্দটি থেকে এসেছে। [১] এই শব্দটির একটি অর্থ যেমনটা বুঝায় তা হলো -- কোন একটি দুর্গ চারিদিকে সেনা দিয়ে শক্তিশালীভাবে সুরক্ষিত। সেইসূত্রে, একজন স্ত্রীকে দুর্গের ন্যায় কঠিন সুরক্ষা দেয় তার স্বামী -- সুরক্ষা দেয় যাবতীয় দুঃখ থেকে, অস্থিরতা-শঙ্কা থেকে, অজ্ঞতা থেকে, লজ্জাহীনতা থেকে। একজন স্ত্রীরও একই রকম দায়িত্ব রয়েছে। তারা একে অপরের পোশাকের মতন। [২] বিয়ে তাই কেবল আনন্দ আর উচ্ছ্বাস নয়, দায়িত্ববোধের ব্যাপারও বটে।
ইন্টারনেটে পর্নোগ্রাফির সার্চ যেসব দেশ থেকে হয়, তার মধ্যে প্রথমদিকে বেশ কিছু মুসলিম দেশের নাম আছে। [৩] পারিবারিক অশান্তি এবং সংসার জীবনে তৃপ্তি না থাকাই এই কারণ বলে মনে করেন বোদ্ধারা। সংসার জীবনের শুরুতে আবেগ-উচ্ছ্বাস বেশি থাকে, দেখা যায় প্রথম ছ'মাস ছেলে-মেয়ে কেউই তাদের বন্ধুমহলে কোন সময়ই দেন না। কিন্তু পরে ধীরে ধীরে তা হ্রাস পেতে থাকে। সবাই তার অধিকারের ব্যাপারে খেয়ালী হতে থাকেন, নিজের কর্তব্যের ব্যাপার ভুলে যেতে থাকেন। হ্যাঁ স্বামী-স্ত্রী দু'জনেরই দু'জনের প্রতি অধিকার রয়েছে, কর্তব্যও রয়েছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সবারই উচিত নিজের কর্তব্যটা করে যাওয়া এবং অপরজনের কাছে আশা-আকাংখা না করা।
কথাটা অদ্ভুত ঠেকলো?
একজন মু'মিন কেবলমাত্র আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলার উপরেই ভরসা করে। তার সমস্ত চাওয়া, সমস্ত আকাঙ্ক্ষার কথা কেবল আল্লাহর কাছেই হয়। মাটির তৈরি দুর্বল মানুষের উপরে যখন অনেক আশা-আকাংখার ভার ন্যস্ত হয় -- তখন নিঃসন্দেহে সেই মানুষ এতটা ভার নেয়ার যোগ্য থাকে না।
আর তাই, মানুষ হিসেবে আমাদের আশাভঙ্গ হয়ে কষ্ট পেয়ে এলোমেলো হয়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে। বিয়ে করার আগে বিয়ে করার উদ্দেশ্য ঠিক রাখা প্রয়োজন। কেবলমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টিই যেন মুখ্য থাকে, তাঁকে সন্তুষ্ট করার আশায়, চরিত্রকে ঠিক রাখতে, নির্লজ্জতা থেকে নিজেদের রক্ষা করতে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য জীবনধারণ করছেন/করতে চান -- এমন একজনকে মুসলিম/মুসলিমাহদের সঙ্গী করতে চাওয়া উচিত।
প্রকৃতপক্ষে পারিবারিক জীবন নিয়ে মানসিক কিছু প্রস্তুতির প্রয়োজন আছে। দেখলাম, ভালো লাগলো, প্রেম করো, ধুম করে বিয়ে করো -- এই সবই ভুল চিন্তা ও কাজ যা অস্বাস্থ্যকর দাম্পত্য জীবনের সূচনা করে। একজন পশ্চিমা সাইকোলজিস্ট আর ম্যারিজ কাউন্সিলরের একটা লেখা পড়লাম যাতে তিনি জোর দিয়েছেন বিয়ের আগে থেকে বিবাহ পরবর্তী দ্বায়িত্বগুলো নিয়ে চিন্তাভাবনা করার ব্যাপারে। পারিবারিক আর ব্যক্তিগত পরস্পরের দ্বায়িত্ব গ্রহণ ও পালন এখানে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
প্রশ্ন হলো, আপনি কীভাবে জানেন যে আপনি আসলেই বিয়ে করতে প্রস্তুত? আর আরো সূক্ষ্মভাবে বললে, আপনি যে আপনার পছন্দ করা একজন নির্দিষ্ট মানুষকেই বিয়ে করতে প্রস্তুত তা কী করে নিশ্চিত হলেন? আপনি বিয়ের জন্য প্রস্তুত কিনা, এটা জানার জন্য আপনার নিজেকে জানা জরুরি। এই কারণে কিছু ব্যক্তিগত হিসাব করতে বসতে হবে নিজের ভালো দিকগুলো জানতে আর নিজের দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত করতে। আপনার জানা দরকার আপনার সাথে আল্লাহর সম্পর্ক কেমন, আর আপনার সঙ্গী/সঙ্গিনীর সাথে আল্লাহর সম্পর্ক আপনি কেমন আশা করেন?
  •  আপনি কি আসলেই আপনার জীবনটা অন্য কারো সাথে ভাগাভাগি করতে প্রস্তুত?
  •  আপনি কি আপনার পরিবার গঠনের জন্য দ্বায়িত্ব নিতে, বিভিন্ন বিষয়ে কম্প্রোমাইজ করতে, সঙ্গী/সঙ্গিনীর সাথে একত্রে কাজ করতে, আপনার ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক লক্ষ্যগুলো পূরণের জন্য প্রস্তুত?
  •  বিয়ের পর পরিবারে আপনি কতটুকু অবদান রাখবেন সেটা জানা গুরুত্বপূর্ণ এবং একটা স্বাস্থ্যকর, সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যময় পরিবার গঠন করতে আপনি কতখানি কী করতে পারবেন, করতে চান -- সেটা জানাও জরুরি।

প্রস্তুত হওয়া 

আপনি আসলেই বিয়ে করতে চান কিনা এবং বিয়ে করতে প্রস্তুত কিনা, তা জানার জন্য বিবাহপূর্ব প্রস্ততির জ্ঞান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিয়ের পর সাংসারিক সম্পর্ক কেমন হতে পারে, সেই ব্যাপারে কিছু জ্ঞান ও ধারণা জানা যেতে পারে এই প্রচেষ্টার ফলে। পশ্চিমা বিশ্বে ধর্ম নির্বিশেষে প্রি ম্যারিটাল কাউন্সেলিং হয়ে থাকে।
আপনার সাথে আল্লাহর সম্পর্ক বৃদ্ধির জন্য তাগিদ এবং প্রয়োজনীয়তা আপনি এই চিন্তাভাবনার মাধ্যমে বের করতে পারবেন ইনশাআল্লাহ। এছাড়া বেশিরভাগ মানুষকেই দেখা যায় তারা কী -- এটা বুঝার আগেই তারা বিয়ে করে ফেলে, ফলে নানাবিধ জটিলতা হয়, অস্বস্তিকর পারিবারিক সম্পর্কের পেছনে এর ভূমিকা থাকে।
  • আপনার বাচনভঙ্গী, শব্দচয়ন = মোটকথা কমিউনিকেশন স্কিল
  • বাজেট করা এবং টাকাপয়সার হিসেব করা
  • রাগকে সংযত করতে পারা
  • আপনার সাথে কারো সমস্যা হলে কীভাবে তা সামলান
  • সম্পর্কের টানাপোড়েন হলে সমাধান করার ব্যাপারে আপনি প্রস্তুতি
বিয়ের জন্য এই সবগুলোই খুব দরকারি গুণাবলী। তাই এইসব ব্যাপারে সম্ভব হলে কারো সাথে কাউন্সেলিং করে নেয়া উচিত।

সম্ভাব্য পছন্দ? 

যখন কেউ সম্ভাব্য জীবনসঙ্গী নির্বাচনের কাছাকাছি চলে আসেন, তখন থেকেই ইস্তিখারা নামায আদায় করা প্রয়োজন, পরিবারের এবং বন্ধুদের মাঝে যারা জ্ঞানী এবং প্রজ্ঞাসম্পন্ন মানুষ -- তাদের সাথে আলাপ করা দরকার। আলাপ ও উপদেশের জন্য যিনি ধর্মীয় জ্ঞানে এবং আচরণে উন্নত -- এমন মানুষের পরামর্শই নেয়া দরকার। ইসলামে আল্লাহর স্মরণকারীদের মাঝে পরামর্শ খুবই কল্যাণময় এবং প্রয়োজনীয়।
বিয়ে হলো দ্বীনের অর্ধেক। এটি জীবনে নেয়া সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলোর একটা। তাই সম্ভাব্য জীবনসঙ্গীর ব্যাপারে, তার আচার-আচরণ সম্পর্কে, দ্বীনের ব্যাপারে তার অবস্থান, তার চরিত্র সম্পর্কে যতটুকু সম্ভব খোঁজ নেয়া ভালো। আর তার স্বভাব, ব্যবহারের সাথে অপরজনের মিলবে কিনা, এটা নিয়ে চিন্তাভাবনার প্রয়োজন আছে।
জীবনসঙ্গী পছন্দ করার আগে একটা কথা মাথায় রাখা প্রয়োজন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ
“চারটি বিষয়কে সামনে রেখে মেয়েদেরকে বিয়ে করা যেতে পারেঃ তার ধন সম্পদ, তার বংশমর্যাদা, তার রূপ-সৌন্দর্য ও তার ধর্মপরায়নতা। এক্ষেত্রে ধর্মপরায়ন স্ত্রী লাভে বিজয়ী হও, তোমার হাত কল্যাণে ভরে যাবে।” [বুখারী ও মুসলিম] - [৫] 
উস্তাদ নুমান আলী খানের একটা অসাধারণ আলোচনা আছে বিয়ের উপরে। বিবাহিত অবিবাহিত সবারই উপকার হবার কথা এই আলোচনা থেকে। দেখার জন্য আবশ্যকীয় একটি ভিডিও এটি -
বিয়ের পর দু'জন নতুন মানুষ একসাথে থাকতে শুরু করলে সহনশীলতা খুবই দরকার পড়ে। সবাই মূলতঃ কেবল নিজের *প্রাপ্তি* বা *আকাঙ্ক্ষা* নিয়ে ভাবতে থাকে বেশি করে, আর তাই প্রবঞ্চিত অনুভব করার সম্ভাবনা থাকে।
সমগ্র পৃথিবীর সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান পরিবার। পরিবারে অশান্তি থাকলে মুসলিম সমাজে অরাজকতা তৈরি হবে। পরিবারে শান্তি না থাকলে তা চরিত্র স্খলনের সম্ভাবনা তৈরি করে দেয়। পরিবারে প্রশান্তি না থাকলে সদস্যরা তাদের দ্বীনের দায়িত্বসমূহ পালনে উদাসীন এবং অমনোযোগী হয়ে পড়তে পারেন। আর তাই, এই সিদ্ধান্ত খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
মুসলিম তরুণদের উচিত প্রেম করতে ঝাঁপিয়ে না পড়ে দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণার্থে চরিত্রকে রক্ষার জন্য চোখকে, মনকে সংযত করা। একজন সফল মু'মিন হতে হলে নিজেকে সংযত রাখা জরুরী। [৪] পাশাপাশি দরকার আল্লাহর কাছে কায়মনোবাক্যে দুআ করা। একটা সুন্দর দু'আ হলো-- "রাব্বানা হাবলানা মিন আযওয়াযিনা ওয়া যুররিয়্যাতিনা ক্কুররাতা আ'ইয়ুনিন ওয়া জা'আলনা লিল মুত্তাক্কিনা ইমামা"।
অর্থঃ "হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদের স্ত্রীদের পক্ষ থেকে এবং আমাদের সন্তানের পক্ষ থেকে আমাদের জন্যে চোখের শীতলতা দান কর এবং আমাদেরকে মুত্তাকীদের জন্যে আদর্শস্বরূপ কর।" [সূরা ফুরক্কানঃ ৭৪] 
আল্লাহ আমাদের মুসলিম ভাই এবং বোনদের সহায় হোন, তাদের রহম করুন, আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের যোগ্য করে দিন। সুন্দর সুন্দর পরিবার গঠনের মাধ্যমে মুসলিম উম্মাহর কলুষতা থেকে মুক্ত থাকুক, নতুন প্রজন্মকে সত্যিকার দ্বীন উপহার দেয়ার যোগ্য হোক নতুন পরিবার গড়া মুসলিম মুসলিমাহরা। আল্লাহ আমাদের সবাইকে রহম করুন।

 রেফারেন্স

 [১] [ভিডিও] দি হেলদি ম্যারেজ :: নুমান আলী খান 
 [২] আল কুরআন - সূরা আল-বাকারাহ [১৮৭] 
 [প্রবন্ধ] অন ইসলাম ডট নেট :: Do You Really Want to Get Married?: Dr Aneesah Nadir 
 [ভিডিও] ইস্তিখারা কী ও কীভাবে :: আব্দুল নাসির জাংদা 
 [প্রবন্ধ] বিয়ের প্রস্তাবে করণীয় ও বর্জনীয় 
 [৩] [পরিসংখ্যান] Internet Pornography Statistics 
 [৪] আল কুরআন - সূরা মু'মিনুন [১-৬] 
 [৫] রিয়াদুস সলিহীন হাদিস - ৩৬৫

আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুণ।
 ফেসবুকে শেয়ার করতে এখানে ক্লিক  করুন

আরো   ইসলামী পোস্ট দেখুন

আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুণ। এই ব্লগে পড়তে কি সমস্যা হয়?আপনার কি টাকা বেশি খরচ হয়ে যায়?

কোন মন্তব্য নেই :

দাম্পত্য সম্পর্কের ৫০ টি বিষয় যা আপনার জেনে রাখা প্রয়োজন

কোন মন্তব্য নেই

শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু


ভাষান্তর : শাহোরিনা ইয়াসমিন |  সম্পাদনা : আব্‌দ আল-আহাদ
2494968278_0d28167a8a
১. সুন্দর সম্পর্ক নিজে থেকেই তৈরি হয় না, সেটি তৈরি করতে হয়। তাই আপনাকেও সেটি তৈরি করতে হবে।
২. কর্মক্ষেত্রেই যদি আপনার সবটুকু কর্মক্ষমতা নিঃশেষ করে ফেলেন, তাহলে   আপনার দাম্পত্য জীবন ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
৩. আপনার উৎফুল্ল আচরণ হতে পারে আপনার জীবনসঙ্গী/জীবনসঙ্গিনীর জন্য খুব দামি একটি উপহার।
৪. কাউকে একইসাথে ভালোবাসা এবং ঘৃণা করা আপনার জন্য অসম্ভব নয়।
৫. আপনার জীবনসঙ্গী/জীবনসঙ্গিনীর ব্যাপারে বন্ধুদের কাছে অভিযোগ করা থেকে বিরত থাকুন। মনে রাখবেন বন্ধুদের প্রতিক্রিয়া আপনার দাম্পত্য সম্পর্কে  বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
৬. দাম্পত্য জীবনে তা-ই নিয়ম যা দুইজনের পছন্দের ভিত্তিতে ঘটে।
৭. সাময়িক ঝগড়া বিবাদের কারণে দাম্পত্য সম্পর্ক পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায় না। মনের মধ্যে জমে থাকা চাপা ক্ষোভ আর যন্ত্রণাই দাম্পত্য জীবনকে তিলে তিলে ধ্বংস করে দেয়।
৮. দাম্পত্য সম্পর্ক, “কী পেলাম?” –এর হিসেবে মেলানোর জন্য নয়। বরং সঙ্গী বা সঙ্গিনীকে “কী দিতে পেরেছি,” তা-ই দাম্পত্য সম্পর্কের মূলকথা।
৯. “জীবনসঙ্গী/জীবনসঙ্গিনী হিসেবে আমি সর্বোত্তম”-এমনটি মনে হওয়া অতি আত্মবিশ্বাসের লক্ষণ। এমনটি মনে হলে নিজেকে যাচাই করুন।
১০. সংসারের ক্রমাগত আর্থিক সচ্ছলতা অর্থ এই নয় যে, দাম্পত্য জীবনও সুখের মধ্য দিয়ে কাটছে।
১১. যদি বিশ্বাস ভেঙ্গে গিয়ে থাকে, তাহলে সেই বিশ্বাস জোড়া দেওয়ার সময় এখনও পার হয়ে যায়নি। এজন্য যেকোনো সময়ই উপযুক্ত সময়।
১২. অধিকাংশ ক্ষেত্রেই যা নিয়ে তর্ক হয় তা আসল বিষয় থাকে না।
১৩. ভালোবাসা কেবল অনুভুতি নয়; বরং আমাদের কাজের মাধ্যমেই ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটে।
১৪. বেশি পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা মনের হতাশা ও অতৃপ্তিকে বাড়িয়ে দেয়।
১৫. দাম্পত্য জীবনের অনেক তর্কই হয়ত এড়িয়ে যাওয়া যায় না। তবে ক্ষতিকর বিতর্ককে এড়িয়ে যেতেই হবে।
১৬. জীবনসঙ্গী/জীবনসঙ্গিনীর প্রতি আপনার গভীর মনোযোগ পরস্পরের জন্য হতে পারে অমূল্য উপহার।
১৭. অনেক সময় সুখী দম্পতিরাও ভাবেন যে, তারা ভুল মানুষটিকে বিয়ে করেছেন।
১৮. আপনার জীবনসঙ্গী/জীবনসঙ্গিনী আপনাকে সুখী করার শতভাগ নিশ্চয়তা দিতে না পারলেও তিনি আপনার সুখী হওয়ার ব্যাপারে অবশ্যই সাহায্য করতে পারেন।
১৯. মিথ্যা বলে হয়ত সামান্য কিছু সুবিধা পান। কিন্তু পরিমাণে মিথ্যা বলার জন্য সুবিধার চেয়ে অনেক বেশি চড়া মূল্য দিতে হয়। অতএব, মিথ্যা বলা বর্জন করুন।
২০. আপনার মতামত যে সবসময় সঠিক, এমনটি ভাববেন না।
২১. বছরের পর বছর ধরে যে বিশ্বাস আপনি গড়ে তুলেছেন, তা এক মুহূর্তে ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।
২২. সঙ্গী বা সঙ্গিনীর অপরাধবোধকে দীর্ঘায়িত করে তার অনুভূতি নিয়ে খেলা করে আপনি যা পেতে চান, তা কখনোই পাবেন না।
২৩. আপনার বন্ধুদেরকে অবহেলা করবেন না।
২৪. আপনার যদি মনে হয়, ‘তুমিই আমার জন্য সঠিক মানুষটি, যাকে আমি বিয়ে করেছি’, তাহলে আপনি ঠিক পথেই আছেন।
২৫. কোনোকিছু প্রমাণ করতে যাওয়ার প্রলোভনকে দমন করতে পারলে, বস্তুত আপনি অনেক কিছুই প্রমাণ করতে পারলেন।
২৬. আত্মিক উদারতা একটি সুখী দাম্পত্য জীবনের প্রধান ভিত্তি।
২৭. সঙ্গী বা সঙ্গিনী যদি কোনো রক্ষণাত্মক আচরণ করে, তাহলে তার রক্ষণাত্মক হওয়ার পক্ষে আপনিও কিছু কারন দেখাতে পারেন।
২৮. বিয়ে কোন ৫০/৫০ সম্ভাবনা না; বরং এটি হলো ১০০/১০০।
২৯. দাম্পত্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে আপনি কোনোকিছু এখনও পরিশোধ করতে পারেন আবার পরেও পারেন। তবে যতদেরিতে তা করবেন, ততবেশি জরিমানা আপনাকে দিতে হতে পারে।
৩০. সুন্দর বৈবাহিক সম্পর্কের জন্য ত্যাগ স্বীকার করা প্রয়োজন। এমনটি করতে পারলে, আপনি আপনার ত্যাগের চেয়ে ভোগই বেশি করতে পারবেন।
৩১. ক্ষমা কোন সাময়িক গুণ নয়; বরং ক্ষমা একটি চলমান প্রক্রিয়ার নাম।
৩২. দাম্পত্য জীবনের কঠিন সময়গুলো আপনাকে একজন ভালো মানুষ করে তুলবে।
৩৩. বিয়ে অনেকটা রকেট উৎক্ষেপণের মতো। যখন তাতে মাধ্যাকর্ষণ টান পূর্ণ থাকে, তখন ফ্লাইট চলতে খুব সামান্য জ্বালানীর প্রয়োজন হয়।
৩৪. দাম্পত্য জীবনে সাফল্য পেতে হলে, অতীতে কী হয়েছে তা নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে, ভবিষ্যতের করণীয় নিয়ে পরিকল্পনা করতে হবে।
৩৫. আপনার সঙ্গী বা সঙ্গিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন। কৃতজ্ঞতা বোধকে নিজের ভেতর চেপে রাখবেন না।
৩৬. বাস্তবতার খাতিরে মাঝে মাঝে নীরবতা পালন করা একটি অসাধারন উপায়।
৩৭. আপনার সঙ্গী বা সঙ্গিনীর কাছে আপনার সর্বোত্তম প্রশ্নগুলোর একটি হতে পারে, “আমি কীভাবে তোমাকে আরও বেশি ভালোবাসতে পারি?
৩৮. চাইলেই দাম্পত্য জীবনকে চিরসবুজ করে রাখা যায়।
৩৯. যৌক্তিক অনুমানের ভিত্তিতে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। তবে পদক্ষেপ নেওয়ার পূর্বে অনুমানকে যাচাই করে নেওয়াই আবশ্যক।
৪০. মনের ইচ্ছা বা উদ্দেশ্যই সবকিছু নয়, কিন্তু তা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর একটি।
৪১. সার্থক যৌন সম্পর্ক সার্থক দাম্পত্য সম্পর্কের নিশ্চয়তা দেয় না। তবে তা সার্থক দাম্পত্য সম্পর্ক নির্মাণে সহায়তা করে।
৪২. ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষা করলে তা দাম্পত্য সম্পর্কের ক্ষতি করবে না। তবে সন্দেহজনক বিষয় নিয়ে লুকোচুরি করলে তা দাম্পত্য সম্পর্কের ক্ষতি করবে।
৪৩. সঙ্গী/সঙ্গিনীকে আঁকড়ে ধরে রাখার প্রবণতা এবং ঈর্ষাপরায়ণতার জন্ম হয় ভয় থেকে, ভালোবাসা থেকে নয়।
৪৪. বিশ্বাসযোগ্যতা বিশ্বাসযোগ্যতার জন্ম দেয় এবং বিশ্বাসযোগ্যতা বজায় রাখার অভ্যাস গড়ে তোলে।
৪৫. আপনার স্বামী বা স্ত্রী যদি কোনোকিছুকে গুরুত্বপূর্ণ ভাবে, তাহলে তা আপানর জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
৪৬. দাম্পত্য সম্পর্কে প্রেমাবেগের প্রয়োজন কখনোই ফুরিয়ে যায় না।
৪৭. নতুন সম্পর্কের ঔজ্জ্বল্য সবসময়ই ক্ষণস্থায়ী হয়ে থাকে।
৪৮. নীরবতাও আক্রমণাত্মক হতে পারে যখন তা অস্ত্র হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
৪৯. অধিক উত্তম হলো নিজে কীভাবে সঠিক কাজটি করতে পারেন সেদিনে মনোযোগ দেওয়া। তারপর আপনার সঙ্গী বা সঙ্গিনী কী ভুল করেছে সেদিকে মনোযোগ দেওয়া।
৫০. দাম্পত্য সম্পর্ককে মানিয়ে নেওয়া একেবারেই অসম্ভব মনে হলে, কেবল তখনই বিচ্ছেদের দিকে পা বাড়াতে পারেন।
Source: Excerpted from Al Maghrib Institute’s “Fiqh of Love” seminar with Shaykh Waleed Basyouni.
English Version

আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুণ।
 ফেসবুকে শেয়ার করতে এখানে ক্লিক  করুন

আরো   ইসলামী পোস্ট দেখুন
 এই ব্লগে পড়তে কি সমস্যা হয়?আপনার কি টাকা বেশি খরচ হয়ে যায়?

কোন মন্তব্য নেই :

♥♥ অপরূপ সুন্দরী রাজকন্যা ও এক হাজার দিনার ♥♥

1 টি মন্তব্য
♥♥ অপরূপ সুন্দরী রাজকন্যা ও এক হাজার দিনার ♥♥

হযরত উসমান (রা) এর শাসনকাল । নীল ভূমধ্যসাগর তীরের তারাবেলাস নগরী । পরাক্রমশালী রাজা জার্জিসের প্রধান নগরী এটা । এই পরাক্রমশালী রাজা ১ লক্ষ ২০ হাজার সৈন্য নিয়ে আবদুল্লাহ ইবন সা'দের নেতৃত্বাধীন মুসলিম বাহিনীর অগ্রাভিযানের পথ রোধ করে দাঁড়ালেন । স্বয়ং রাজা জার্জিস তার বাহিনীর পরিচালনা করছেন । পাশে রয়েছে তার মেয়ে । অপরূপ সুন্দরী তার সে মেয়ে ।

যুদ্ধ শুরু হল । জার্জিস মনে করেছিলেন তার দুর্ধর্ষ বাহিনী এবার মুসলিম বাহিনীকে উচিত শিক্ষা দেবে । কিন্তু তা হল না । মুসলিম বাহিনীর পাল্টা আঘাতে জার্জিস বাহিনীর ব্যুহ ভেঙ্গে পড়ল । উপায়ান্তর না দেখে তিনি সেনা ও সেনানীদের উৎসাহিত করার জন্য ঘোষণা করলেন, "যে বীর পুরুষ মুসলিম সেনাপতি আবদুল্লাহর ছিন্ন শির এনে দিতে পারবে, আমার কুমারী কন্যাকে তার হাতে সমর্পণ করবো ।"

জার্জিসের এই ঘোষণা তার সেনাবাহিনীর মধ্যে উৎসাহের এক তড়িৎ প্রবাহ সৃষ্টি করল । তাদের আক্রমণ ও সমাবেশে নতুন উদ্যোগ ও নতুন প্রাণাবেগ পরিলক্ষিত হলো । জার্জিসের সুন্দরী কন্যা লাভের উদগ্র কামনায় তারা যেন মরিয়া হয়ে উঠল। তাদের উন্মাদ আক্রমণে মুসলিম রক্ষা ব্যুহে ফাটল দেখা দিল । মহানবীর শ্রেষ্ঠ সাহাবাদের একজন- হযরত যুবাইর (রা)ও সে যুদ্ধে শরীক ছিলেন । তিনি সেনাপতি সা'দকে পরামর্শ দিলেন, "আপনিও ঘোষণা করুন, যে তারাবেলাসের শাসনকর্তা জার্জিসের ছিন্নমুন্ড এনে দিতে পারবে, তাকে সুন্দরী জার্জিস দুহিতাসহ এক হাজার দিনার বখশিশ দেয়া হবে ।" যুবাইরের পরামর্শ অনুসারে সেনাপতি সা'দ এই কথাই ঘোষণা করে দিলেন ।

তারাবেলাসের প্রান্তরে ঘোরতর যুদ্ধ সংঘটিত হলো । যুদ্ধে জার্জিস পরাজিত হলেন । তার কর্তিত শিরসহ জার্জিস কন্যাকে বন্দী করে মুসলিম শিবিরে নিয়ে আসা হলো । কিন্তু এই অসীম সাহসিকতার কাজ কে করলো? এই বীরত্বের কাজ কার দ্বারা সাধিত হলো? যুদ্ধের পর মুসলিম শিবিরে সভা আহূত হলো । হাজির করা হলো জার্জিস-দুহিতাকে । সেনাপতি সা'দ জিজ্ঞেস করলেন, "আপনাদের মধ্যে যিনি জার্জিসকে নিহত করেছেন, তিনি আসুন । আমার প্রতিশ্রুত উপহার তাঁর হাতে তুলে দিচ্ছি ।"

কিন্তু গোটা মুসলিম বাহিনী নীরব নিস্তব্ধ । কেউ কথা বললো না, কেউ দাবী নিয়ে এগুলোনা । সেনাপতি সা'দ বারবার আহ্বান জানিয়েও ব্যর্থ হলেন। এই অভূতপূর্ব ব্যাপার দেখে বিস্ময়ে হতবাক হলেন জার্জিস দুহিতা । তিনি দেখতে পাচ্ছেন তার পিতৃহন্তাকে । কিন্তু তিনি দাবী নিয়ে আসছেন না কেন? টাকার লোভ, সুন্দরী কুমারীর মোহ তিনি উপেক্ষা করছেন? এত বড় স্বার্থকে উপেক্ষা করতে পারে জগতের ইতিহাসে এমন জিতেন্দ্রীয় যোদ্ধা-জাতির নাম তো কখনও শুনেননি তিনি । পিতৃহত্যার প্রতি তার যে ক্রোধ ও ঘৃণা ছিল, তা যেন মুহূর্তে কোথায় অন্তর্হিত হয়ে গেল । অপরিচিত এক অনুরাগ এসে সেখানে স্থান করে নিল ।

অবশেষে সেনাপতির আদেশে জার্জিস দুহিতাই যুবাইরকে দেখিয়ে দিলেন । বললেন, "ইনিই আমার পিতৃহন্তা, ইনিই আপনার জিজ্ঞাসিত মহান বীর পুরুষ ।" সেনাপতি সা'দ যুবাইরকে অনুরোধ করলেন তাঁর ঘোষিত উপহার গ্রহণ করার জন্য ।

যুবাইর উঠে দাঁড়িয়ে অবনত মস্তকে বললেন, "জাগতিক কোন লাভের আশায় আমি যুদ্ধ করিনি । যদি কোন পুরষ্কার আমার প্রাপ্য হয় তাহলে আমাকে পুরষ্কৃত করার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট ।"

মূল : আমরা সেই সে জাতি
-আবুল আসাদ
বিষয়ঃ ইসলাম

আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুণ। এই ব্লগে পড়তে কি সমস্যা হয়?আপনার কি টাকা বেশি খরচ হয়ে যায়?

ডাউনলোডের গতি বাড়িয়ে নিন।

1 টি মন্তব্য
আমরা অনেকেই
মোবাইল
দিয়ে কোন বড় ফাইল
ডাউনলোড
দিলে তেমন
গতি পাইনা।
গতি বৃদ্ধির জন্য
আপনারা যা করতে পারেন,
প্রথমে মোবাইলে জমে থাকা সব
মেসেজ ডিলিট
করেন।
তারপর
কল টাইম,
ডাটা টাইম, টোটাল
ডাটা এবং অপেরা বা ইউসির
হিস্টুরি ক্লিয়ার
কয়ে মোবাইলটা অফ
করে অন
করুন। এবার বড় ফাইল
ডাউনলোড করুন
আর দেখুন মজা।



 বিষয়ঃকম্পিউটার/মোবাইল/ইন্টারনেট

আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুণ। এই ব্লগে পড়তে কি সমস্যা হয়?আপনার কি টাকা বেশি খরচ হয়ে যায়?

ফেসবুকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট ব্লক হওয়ার কারণ

কোন মন্তব্য নেই
আমরা অনেক সময়ই কাউকে ফ্রেন্ড রিকোয়স্ট
পাঠাতে গেলে দেখি লেখা উঠে আপনার
ফ্রেন্ডরিকোয়েস্ ­ট ১/২/3/7/১৫/30 দিনেরজন্য block
করা হয়েছে! ফলে অনেক সময় আপনজনকেও
রিকোয়েস্ট পাঠাতে পারি না। no problem একটু
সতর্ক হলেই এই সমস্যায় এড়াতে পারবেন!®Friend
request block® হওয়ার কিছু কারণ:
1.আমরা যাকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট দেই সে কমপ্লেন
করলে।
2. তার ঠিকানা সাথে আমাদের
ঠিকানা না মিললে।
3.তার কোন বন্ধুর সাথে বন্ধুত্ব না থাকলে।
4.সে যে প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করে তা না মিললে।
5.কর্মস্থল না মিললে।
6.একি এরিয়ার না হলে।
7.অতিরিক্ত ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠালে।
8.আপনার রিকোয়েস্ট সহযে কেউগ্রহন না করলে।
9.কাউকে রিকোয়েস্ট পাঠানোর পর সে block
মারলে।
10.কেউ আপনার বিরুদ্ধে আভিযোগ করলে।
এগুলো ছাড়াও আনেক কারন আছে যার
যে গুলো বিবেচনা করে Facebook আমাদের ফ্রেন্ড
রিকোয়েস্ট পাঠানো block করে দেয়!


 বিষয়ঃকম্পিউটার/মোবাইল/ইন্টারনেট

আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুণ। এই ব্লগে পড়তে কি সমস্যা হয়?আপনার কি টাকা বেশি খরচ হয়ে যায়?

কোন মন্তব্য নেই :

অপেরা মিনি দিয়ে ফেইসবুকে কমেন্ট করুন লোডিং ঝামেলা ছাড়া l

কোন মন্তব্য নেই
.অপেরা মিনি দিয়ে যখন ফেইসবুক এর কোন
জায়গায় কমেন্ট করা হয়, তখন
পেইজটা আবারো লোড হয়।
আর এই কারণে অনেকেই অপেরা মিনি’র
বদলে UC ব্রাউজার ব্যাবহার করে।
কিন্তু অপেরা মিনিতেই এর সমাধান আছে।
এখন আমি এর সমাধান দিচ্ছি।
১. প্রথমে address bar এ opera:config
অথবা config: লিখে ok দিন।
২. এর পর একটা page আসবে…
৩. একটু নিচে গেলেই একটা option
দেখতে পাবেন “site patches and user
agent masking” নামে । এই option
টা “No” করে দিন ।
৪. এর পর নিচে গিয়ে “save” এ ক্লিক
করুন…
৫. ব্যাস, আপনার কাজ শেষ…
এবার কমেন্ট করে দেখুন আর
Loading.... হয় কিনা ?


বিষয়ঃকম্পিউটার/মোবাইল/ইন্টারনেট  

আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুণ। এই ব্লগে পড়তে কি সমস্যা হয়?আপনার কি টাকা বেশি খরচ হয়ে যায়?

কোন মন্তব্য নেই :

গ্রামীণফোনে ১০০% ফ্রি নেট চালান Nokia Java মোবাইলের সাহায্যে!!

1 টি মন্তব্য
 নিচের
ধাপগুলো অনুসরণ করুনঃ
First Go To » Menu »
Settings »
কনফিগারেশন »
Personal
কনফিগারেশন » Option
» Add
New » Web »
Account Name: Free
Net! »
Home:
internet.gramee nphone.com
» Use
Preffered
Access
Point:No » Access Point
Setting
» Proxy
Enable » Proxy Address:
173.208.197.229 » Proxy
Port: 80
»
Bearer
Setting » Pocket Data
Account
Access
Point:gpinterne t »
Active This Settings..
উপরের
সেটিংসগুলো ঠিকমত
করার পর..
মোবাইলের '0' (Zero)
বাটনটি 2
Second
বা আরো বেশিক্ষণ
ধরে রাখুন... অথবা 'Web'
মেনুর 'Home' এ Click
করুন..
দেখবেন একটি হোমপেজ
আসবে!
ওই পেইজের নিচের
দিকে একটি 'URL Box'
আছে সেখানে যেকোন
ওয়াপ/ওয়েবসাইটের
নাম
লিখে 'Go'
বাটনে ক্লিক করলেই
আপনার
কাঙ্খিত
সাইটে চলে যাবে....
তারপর শুধু ফ্রি ফ্রি আর
ফ্রি..!! :D :D
বি.দ্রঃ P1 Active
করলে সিমে এক টাকাও
রাখা যাবেনা, P10/
P11
Active
করা থাকলে বা করলে চরমস্
স্পিড পাবেন!!


বিষয়ঃকম্পিউটার/মোবাইল/ইন্টারনেট 

আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুণ। এই ব্লগে পড়তে কি সমস্যা হয়?আপনার কি টাকা বেশি খরচ হয়ে যায়?

বিভিন্ন মোবাইলের লক্ খোলার সহজ কিছু কোড

কোন মন্তব্য নেই
 NOKIA
­­--------------- ­
--------------- -------
*#7370925538# (valet
code
... reset) 6230
*#746025625#
[*#sim0clock#]
*#92702689#
[*#war0anty#]
SAMSUNG
­­--------------- ­
--------------- -------
*2767*3855# - FULL
E2PRESET
*2767*2878# - CUSTOM
E2P
RESET
#*7337# - UNLOCK
*2767*688# -
UNLOCK*#0523#
- CONTRAST
*#9998*523# -
CONTRAST
*#8999*8378# -
ServiceMenu
(X100) PHILIPS
­­--------------- ­
--------------- -------
#20021208# ok - 630
without
SIM
(erase flash) *#7728*#
-
RSAV
DONE *#3849*# - ???
reboot*#
3851*# - ??? reboot
Philips
­­568*01763*73738 ­
1# -
reset LG
­­--------------- ­
--------------- -------
2945#*# - service
menu
(code
reset)
(W510 W3000 G5300
L1100
C1200 G7100...)
2945#*- hold (LG
500,600) B1200
*+pwr, 6,6,8 Service
Menu
B1300 *+pwr, 1,5,9
Service Menu Security
Removing
Code
For Lg
8110,8120.
47328545454#
Or
277634#*# SONY
ERICSSON
­­--------------- ­
--------------- -------
> * < < * < * - Service
menu <
*
* < - Lock menu
MOTOROLA
­­--------------- ­
--------------- -------
(T190, T191, T205)
master
code
- 19980722 - 20010903
MAXON
­­--------------- ­
--------------- -------
*#9922# - menu, reset
(without
SIM) *#9900# -
Software
Version
*#9901# - Software
Version
(PBatch) S60 Siries (SX1,
6600, N-Gage)
­­--------------- ­
--------------- -----------
* #7780# - factory
default
* #7370# - full factory
defaults (all user
data reset


বিষয়ঃকম্পিউটার/মোবাইল/ইন্টারনেট
আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুণ। এই ব্লগে পড়তে কি সমস্যা হয়?আপনার কি টাকা বেশি খরচ হয়ে যায়?

কোন মন্তব্য নেই :

কম্পিউটার স্লো মনে হচ্ছে? এখনি ফাস্ট করে নিন কয়েকটি উপায়ে । পর্ব – ১

কোন মন্তব্য নেই
সবাই কেমন   আছেন? আশা করি আল্লাহর রহমতে ভালোই  ।  ভালো থাকেন এটাই আশা করি সবসময় ।  আজ আমি গুরুত্বপূর্ণ একটি টিউন করব এবং পর্যায়ক্রমে এটি চলতে থাকবে  ।  আজ তাই প্রথম পর্ব দিয়ে শুরু করলাম ।  আমরা  কম্পিউটার এ বিভিন্ন প্রোগ্রাম নিয়ে কাজ করে থাকি, আর কাজ করতে গিয়ে নানা সমস্সায় পড়তে হয়  ।  সমাধান করতে গিয়ে বিপাকেও পড়তে হয়, কখনো অপারেটিং সিস্টেম এর সমসসা, কখনো ডিভাইস এর সমসসা, কখনো অনেক অদ্ভুত সমসসা  ।  নানা সমসার সমাধান দিতে  আমি এ টিউন নিয়ে হাজির হয়েছি  ।  আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।  প্রথমেই আমি কম্পিউটার স্লো হয়ে গেলে দ্রুত করার কয়েকটি সমাধান নিয়ে আলোচনা করব  ।  এতে কাজের গতি বৃদ্ধি পাবে, অহেতুক ঝামেলা নিয়ে অতিরিক্ত  টেনসন করতে হবে না  ।   আমরা অনেকে এক্সপি, ২০০০, সেভেন  কিংবা  এইট  ইউস করি,  আবার কিছু অফিস আদালতে এখনো ৯৮ ইউস করতে দেখা যায়  ।  আমরা কতটুকু ডিজিটাল হতে পেরেছি এটা দেখে মনে প্রশ্ন জেগে যায় ।  যাইহোক, যা বলছিলাম, সকল অপারেটিং সিস্টেমে সমসার টাইটেল একই হলেও সমাধানের প্রকার একটু ভিন্ন  ।  তবুও সমাধান এর পদ্ধতি খুব কাছাকাছি, আমরা ধারাবাহিকভাবে এ বিষয়ে আলোচনা করব । আসুন দেখে নেই স্পীড বাড়ানোর জন্য কোন কোন ফর্মুলা এপ্লাই করা যেতে পারে । 
প্রথমে মাই কম্পিউটার  এর প্রপার্টিস এ যান   
  
 তারপর  এডভান্স অপশন সিলেক্ট  করুন 

পারফরমেনস অপশনস এর থার্ড অপশন এডজাস্ট ফর বেস্ট পারফরমেন্স সিলেক্ট করে ok  করি 
 
তারপর ডেস্কটপ এ  right বাটন ক্লিক করে প্রপার্টিস এ গিয়ে থিমস এ Windows ক্লাসিক সেট করে নিন, তারপর ok করুন  


কাজটি ok করার পর স্ক্রিন সেভারও অফ করে রাখুন  এর ফলে আপনার কম্পিউটার এর গ্রাফিক্স এফেক্ট  অফ
হয়ে যাবে, রেম এর উপর চাপ কম হবে, যার ফলে আগের চেয়ে বেশি স্পীড পাবেন  । 


ভার্চুয়াল মেমরি বাড়িয়ে নিন : প্রথমে মাই কম্পিউটার  এর প্রপার্টিস গিয়ে  এডভান্স অপশন সিলেক্ট  করুন, পারফরমেন্স অপশন এর  সেটিং এ ক্লিক করে আবার advance এ ক্লিক করুণ

পারফরমেন্স অপশন এর ভার্চুয়াল  মেমরি এর change অপশন এ ক্লিক করুন 



এখানে কাস্টম সাইজ এ আপনার রেম এর মেমরির দিগুন সাইজ সেট করুন ইনিশিয়াল সাইজ এ, আর  তার ডাবল সাইজ সেট করুন  মাক্সিমাম সাইজ এ, তারপর ok করে রিস্টার্ট চাইলে রিস্টার্ট দিন । 


অতিরিক্ত সকল ফাইল রিমুভ করুন  : 
স্টার্ট মেনুতে ক্লিক করে রান এ ক্লিক করুন, তারপর লিখুন “prefetch” এন্টার দিন, সকল ফাইল মুছে ফেলুন । 
 
 একইভাবে  temp  %temp% cookies  inf  লিখে একে একে এন্টার দিয়ে সব ফাইল মুছে ফেলুন
 
 
 

 এখন দেখুন  আপনার কম্পিউটার আগের চেয়ে দ্রুত গতির হয়েছে   চলবে …
বিষয়ঃকম্পিউটার/মোবাইল/ইন্টারনেট
 বিঃদ্রঃ কম্পিউটার সম্পর্কে আপনাদের কে কিছু জানাতে পোস্ট টি কপি করা হয়েছে।

আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুণ। এই ব্লগে পড়তে কি সমস্যা হয়?আপনার কি টাকা বেশি খরচ হয়ে যায়?

কোন মন্তব্য নেই :

কম্পিউটার স্লো মনে হচ্ছে? এখনি ফাস্ট করে নিন কয়েকটি উপায়ে । পর্ব – ২

কোন মন্তব্য নেই

সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহর রহমতে ভালোই  ।  ভালো থাকেন এটাই আশা করি সবসময় ।  সবার ঈদ কেমন কাটল ? কারো ভালো কারো মন্দ ? এটা নিয়ে নেই দিধাদন্দ, তবু সবার মনে থাকুন অনাবিল আনন্দ  । এমন প্রত্যাশা থাকুক সবখানে সবসময় সবার জন্য ।  কথা না বাড়িয়ে কাজের কথায় আসি, আজ পর্যায়ক্রমে চলতে থাকা টিউন এর দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে আসলাম  । ইতিপূর্বে  পর্ব – ১ এ কম্পিউটার  ফাস্ট করার কয়েকটি উপায় নিয়ে আলোচনা করেছিলাম।
পর্যায়ক্রমে এটি চলতে থাকবে ।  অনাকাঙ্খিত স্টার্ট আপ আইকন গুলো অফ করে রাখুন । এজন্য প্রথমে স্টার্ট মেনুতে গিয়ে রান এ ক্লিক করুন, লিখুন msconfig এন্টার দিন, সিস্টেম কনফিগারেশন ইউটিলিটি ডায়লগ বক্স আসবে, তারপর স্টার্টাপ অপশন সিলেক্ট করে Disable All ক্লিক করে ওকে করুন।

কম্পিউটার রিস্টার্ট চাইবে রিস্টার্ট দিলে ডেস্কটপ এ একটি ডায়লগ বক্স আসবে তাতে টিক দিয়ে ওকে করলেই কাজ শেষ
ভাইরাস থেকে মুক্ত থাকতে যেকোনো ডিভাইস অটোপ্লে হওয়া বন্ধ করুন । এজন্য প্রথমে স্টার্ট মেনুতে গিয়ে রান এ ক্লিক করুন, gpedit.msc  লিখে  এন্টার দিন, তারপর Group Policy তে কম্পিউটার কনফিগারেশন এ সিস্টেম অপশন ক্লিক করলে ডান পাশে Turn off Autoplay দেখা যাবে, এটির প্রপার্টিস এ যেতে হবে  ।

তারপর  Turn off Autoplay প্রপার্টিস ডায়লগ বক্স আসবে, এখানে Enabled ক্লিক করে All  drives সিলেক্ট করে ওকে করুন

Windows Firewall অফ করে দিন, অনাকাঙ্খিত মেসেজ থেকে রেহায় পাবেন,  পাশাপাশি এর্রর রিপোর্ট ও disable করে রাখুন ।  এজন্য স্টার্ট মেনুতে গিয়ে সেটিং এ গিয়ে কন্ট্রোল পানেল থেকে সিকিউরিটি সেন্টার ওপেন করুন ।
 
এখানে Change the way Security  Center Setting এ ক্লিক করে সব আনচেক  করে দিন  এবং ওকে করুন

তারপর স্টার্ট মেনুতে গিয়ে সেটিং এ গিয়ে কন্ট্রোল পানেল থেকে উইন্ডোস firewall  ওপেন করুন, অফ করে ওকে করুন ।
Error রিপোর্ট Disable করতে My কম্পিউটার এর প্রপার্টিস এ গিয়ে এডভান্স এ গিয়ে Error Reporting  এ ক্লিক  করুন


Disable error এ ক্লিক করে But notify me আনচেক করে দিন ।
Automatic আপডেট অফ করে রাখুন ।


My কম্পিউটার এর প্রপার্টিস এ গিয়ে অটোমেটিক updates সিলেক্ট করে Turn off করে ওকে করুন  ।  খেয়াল করে দেখুন আপনার কম্পিউটার ফাস্ট হয়েছে, আমার আগের টিউনটি দেখে নিতে পারেন, যেটি ছিল প্রথম পর্ব,  এখানে আরো কিচু টিপস দেয়া হয়েছে ।


বিষয়ঃকম্পিউটার/মোবাইল/ইন্টারনেট
 বিঃদ্রঃ কম্পিউটার সম্পর্কে আপনাদের কে কিছু জানাতে পোস্ট টি কপি করা হয়েছে।



আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুণ। এই ব্লগে পড়তে কি সমস্যা হয়?আপনার কি টাকা বেশি খরচ হয়ে যায়?

কোন মন্তব্য নেই :

কম্পিউটার স্লো মনে হচ্ছে? এখনি ফাস্ট করে নিন কয়েকটি উপায়ে । পর্ব – ৩

কোন মন্তব্য নেই

আসসালামু  আলাইকুম ।  সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহর রহমতে ভালোই  ।  ভালো থাকেন এটাই আশা করি সবসময় ।  আজ আমি গুরুত্বপূর্ণ  আরেকটি  টিউন করব এবং পর্যায়ক্রমে চলতে  থাকা  টিউন এর  এটি  তৃতীয় পর্ব  । আমরা  কম্পিউটার এ বিভিন্ন প্রোগ্রাম নিয়ে কাজ করে থাকি, আর কাজ করতে গিয়ে নানা সমস্সায় পড়ি   ।  যার  মধ্যে  অন্যতম   ভাইরাস  এর সমসসা,  ভাইরাস এর আক্রমনে   বারংবার   অপারেটিং সিস্টেম ও সেটাপ দিতে  হয় আমাদের  । পেন ড্রাইভ কিংবা ইন্টারনেট  থেকে ভাইরাস ঢুকে কম্পিউটার স্লো করে দিচ্ছে প্রতিনিয়ত ।   এজন্য  ভালো পরামর্শ হচ্ছে  এফেক্টিভ  লাইসেন্স কৃত এন্টিভাইরাস  বেবহার করা ।  এজন্য  হাজার খানেক টাকা খরচ হলেও আপনার কম্পিউটার থাকবে  অনেকটাই  নিরাপদ  ।  ধরুন, আপনি এমন একটি ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হযেছেন যার কারণে আপনার পেন ড্রাইভ এর কোনো ফাইল শো  করছেনা  ।  আর ফোল্ডার  অপশন এ গিয়ে শো হিডেন ফাইল  দিয়েও কাজ  হচ্ছেনা কিংবা   শো করলেও ফাইল গুলো হিডেন ফাইল এর  মতই  হয়ে আছে, ফলে অন্য কোনো কম্পিউটার এ পেন ড্রাইভ লাগালে কোনো ফাইল শো করেনা বা হিডেন দেখায় ।
   
ফাইল কিংবা ফোল্ডার ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হবার কারণে এমনটি হচ্ছে।  ফাইল বা ফোল্ডার এর   এট্রিবিউট  চেঞ্জ হয়ে গেছে । এ ক্ষেত্রে লক্ষ্য করবেন আপনি চেষ্টা করেও ফোল্ডার এর  এট্রিবিউট বা প্রপার্টিস চেঞ্জ করতে পারছেননা । রিড অনলি এবং হিডেন দুটি অপশন-ই  ডিজেবল অবস্থায় আছে । হিডেন ফাইল গুলোকে সাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে না আনা পর্যন্ত এমনটাই হতে থাকবে ।  এমন  সমস্সায় পড়লে   নিচের  নির্দেশ গুলো  অনুসরণ   করুন   ।
নিচের লিঙ্ক এ ক্লিক করে i -Reset  সফটওয়ারটি  ডাউনলোড করে নিন  ।
iReset v1.3 – Files & Folders Reset Tool   
   
মাত্র ৬৮ কিলো বাইট এর একটি সফটওয়ার  ।  ডাউনলোড করতেও মাত্র কয়েক সেকেন্ড লাগবে।  সফটওয়ারটি ছোট হলেও ভালো কাজ করে,  সফটওয়ারটি  ডাউনলোড  হয়ে গেলে রান করে ওপেন করুন  ।  এবার আপনার পেন ড্রাইভ এ যান হিডেন ফোল্ডার  গুলো একটি একটি করে  ওপেন হওয়া সফটওয়ার  এর মাঝখানের  + চিন্ন সম্বলিত আইকন এ ড্রাগ করে ছেড়ে দিন আর  Reset অপশন এ ক্লিক করুন  । রিসেট হওয়ার পর সয়ংক্রিয়ভাবে i-Reset এর  সাইট ওপেন হলে অফ করে দিন ।   এভাবে আপনার ফোল্ডার এর পাশাপাশি ফাইল গুলোও সব রিসেট হয়ে যাবে । এরপর দেখতে পাবেন আপনার সকল ফাইল এবং ফোল্ডার সাভাবিক হয়ে গেছে, হিডেন অবস্থায় আর নেই । আপনি ফোল্ডার অপশন এ গিয়ে ডোন্ট শো হিডেন ফাইল অপশন সিলেক্ট করে ওকে করলেও আপনার ফাইলগুলো সাভাবিক অবস্থায়ই থাকবে, আর হটাত করে গায়েব হয়ে যাবেনা । আপনি চাইলে এখন ফোল্ডার এর প্রপার্টিস এ গিয়ে রিড অনলি,  হিডেন  এসব অপশন অনায়াসেই চেঞ্জ করতে পারবেন  ।
 

পোষ্টটি লিখেছেন টিজে - Obaid Ullah Aiman

বিষয়ঃকম্পিউটার/মোবাইল/ইন্টারনেট
 বিঃদ্রঃ কম্পিউটার সম্পর্কে আপনাদের কে কিছু জানাতে পোস্ট টি কপি করা হয়েছে।


আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুণ। এই ব্লগে পড়তে কি সমস্যা হয়?আপনার কি টাকা বেশি খরচ হয়ে যায়?

কোন মন্তব্য নেই :

কম্পিউটার স্লো মনে হচ্ছে? এখনি ফাস্ট করে নিন কয়েকটি উপায়ে । পর্ব – ৫

কোন মন্তব্য নেই

আসসালামু  আলাইকুম  । সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছেন ।  ভালো থাকাটাই  সবসময়ের প্রত্যাশা  । আমি আইমান । ইতিপূর্বে  কম্পিউটার এর ট্রাবলসুটিং বিষয়ে ৪ পর্বের ধারাবাহিক নিয়ে আলোচনা করেছি ।  আজ এর ৫ম পর্ব, সাথে  ডস এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ কমান্ড সম্পর্কে জানাবো  । এগুলো বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজে আসতে পারে  । বিগত টিউনটি ছিল কম্পিউটারের এডমিনিসট্রেটর পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে এ বিষয়ে নির্দেশনা । যাইহোক আজ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়েও আলোচনা করব ।  বিভিন্ন কম্পিউটার এ  BIOS ঢুকার পদ্ধতি ভিন্ন ভিন্ন, তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই DEL অথবা F2, কোনো কোনো মাদারবোর্ড এর ক্ষেত্রে  F10 অথবা  F1 হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে একসাথে কী গুলো প্রেস করে BIOS এ ঢুকতে পারবেন ।  DOS থেকে কন্ট্রোল পেনেল এর ইউজার একাউন্ট এ ঢুকতে  C : \> nusrmgr.cpl এই কমান্ডটি লিখে এন্টার দিন । পেয়ে যাবেন ইউজার একাউন্ট ডায়লগ বক্স । DOS থেকে কোনো ড্রাইভ  ফরমেট করতে চাইলে C : \> Format D : লিখে এন্টার প্রেস করুন  । কনফার্ম মেসেজ আসলে ওকে করে কনফার্ম করুন Y প্রেস করে  । একইভাবে E ড্রাইভ ফরমেন্ট দিতে চাইলে লিখুন  C : \> Format E  : কনফার্ম মেসেজ আসলে ওকে করে কনফার্ম করুন Y প্রেস করে ।  DOS থেকে কোনো ড্রাইভ এর ফাইল দেখতে চাইলে C : \>Dir  লিখে এন্টার প্রেস করুন  । C : \>Dir /P  লিখলে সবগুলো ফাইল  আপনি পেজ আকারে দেখতে পাবেন  এবং  এন্টার প্রেস করার মাধ্যমে পরবর্তী পেজ এ যেতে পারবেন ।  C : \>Dir /S  লিখে এন্টার দিলে সকল সিস্টেম ফাইল দেখতে পাবেন  । DOS থেকে বের হয়ে যেতে চাইলে  C : \> Exit  লিখে এন্টার দিন ।
এছাড়াও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ টিপস :
ক। আপনার কম্পিউটার এর স্পিড বাড়াতে আপনার রেম খালি করে রাখার চেষ্টা করবেন
খ। হার্ড ডিস্ক এ অপরিচিত কোনো সফটয়ার  রাখবেন না
গ। এন্টিভাইরাস আপডেট রাখুন ৩ দিন পর পর
ঘ। হার্ড ডিস্ক এর সকল ড্রাইভ স্ক্যান  করে ভাইরাস ক্লিন করুন প্রতি সপ্তাহে  অন্তত ১দিন
ঙ। পেন ড্রাইভ স্ক্যান না করে ওপেন করবেন না  এবং  ডাবল ক্লিক দেয়া থেকে বিরত  থাকবেন
চ। প্রতিদিন কাজ শেষে অতিরিক্ত সকল ফাইল মুছে ফেলুন
ছ। ভার্চুয়াল মেমরি বাড়িয়ে রাখুন আপনার মেমরির দিগুন

স্টার্ট মেনুতে গিয়ে রান এ গিয়ে ১টি ১টি করে লিখুন আর এন্টার দিন
Prefetch, Temp, %Temp%, Recent, Cookies
তারপর সব ফাইল ডিলিট  করুন  ।
এছাড়াও …
স্টার্ট মেনুতে গিয়ে রান এ গিয়ে আপনার কম্পিউটার এর কনফিগারেশন দেখতে লিখুন dxdiag আর এন্টার দিন  ।
স্টার্ট মেনুতে গিয়ে রান এ গিয়ে আপনার কম্পিউটার এর রেজিস্ট্রি এডিটর দেখতে লিখুন regedit আর এন্টার দিন  ।
স্টার্ট মেনুতে গিয়ে রান এ গিয়ে আপনার কম্পিউটার স্টার্টাপ অপশন এডিট করতে লিখুন msconfig আর এন্টার দিন  ।
স্টার্ট মেনুতে গিয়ে রান এ গিয়ে আপনার কম্পিউটার মেনেজমেন্ট কনসোল  দেখতে লিখুন mmc আর এন্টার দিন  ।

পোষ্টটি লিখেছেন টিজে - Obaid Ullah Aiman


বিষয়ঃকম্পিউটার/মোবাইল/ইন্টারনেট
 বিঃদ্রঃ কম্পিউটার সম্পর্কে আপনাদের কে কিছু জানাতে পোস্ট টি কপি করা হয়েছে।



আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুণ। এই ব্লগে পড়তে কি সমস্যা হয়?আপনার কি টাকা বেশি খরচ হয়ে যায়?

কোন মন্তব্য নেই :

কম্পিউটার হ্যাং হবার ১২টি কারণ জেনে নিন।

কোন মন্তব্য নেই

হ্যাং বলতে কী বুঝায়?

আমরা প্রয়ই বলে তাকি কম্পিউটার হ্যাং ধরেছে। কিন্তু আসলে হ্যাং বলতে কী বুঝায়? কম্পিউটার যখন তার কাজের ফলাফল ঠিকমত প্রকাশ করে না বা তার কাজের ফলাফল অনেক সময় নিয়ে ফলাফল প্রকাশ করে তখন কম্পিউটারের এই অবস্থা কে হ্যাং বলে। এটা আমার মতামত অনেকে ভিন্নতা পোষণ করতে পারেন। সকল কাজের পিছনেই একটা না একটা কারণ রয়েছে। ঠিক তেমনি কম্পিউটার হ্যাং হবার পিছনেও কারণ রয়েছে। আর সে কারণগুলোই এখন বলব।

কম্পিউটার হ্যাং হবার কারণ

  • কম্পিউটারের প্রসেসরের মান ভাল না হলেঃ- কম্পিউটারের কাজ করার পরিমাণ নির্ণয় করে কম্পিউটারের প্রসেসর। আর প্রসেসরের মান ভাল না হলে কম্পিউটার হ্যাং হওয়াটাই স্বাভাবিক।
  • কম্পিউটার র‌্যামের পরিমাণ কম হলেঃ- আমরা যখন কোনো কাজ করি তখন সেই কাজটা সম্পন্ন হয় কম্পিউটার র‌্যাম অঞ্চলে। আর এই র‌্যামের পরিমাণ খম হলে কম্পিউটার ঠিকমত কাজ করতে পারে না। এবং কম্পিউটারে হ্যাং ধরে।
  • কম্পিউটার হার্ডডিক্স এর কানেকশন ঠিকমত না হলেঃ- কম্পিউটারের হার্ডডিক্স এর কানেকশন সঠিক না হলে হঠাৎ কম্পিউটার হ্যাং হতে পারে।
  • প্রসেসরের কানেকশন ঠিকমত না হলেঃ- কম্পিউটারের প্রসেসরের কানেকশন ঠিকমত না হলে কম্পিউটার হঠাৎ করে হ্যাং হতে পারে এমনকি এর জন্য কম্পিউটার রিস্টার্ট দেওয়ার পরো ঠিক নাও হতে পারে। কেননা কম্পিউটারের সকল কাজ করে তাকে প্রসেসর।
  • অন্য কোন হার্ডওয়্যারে ত্রুটি থাকলেঃ- এছাড়া অন্য কোনো হার্ডওয়্যার কানেকশন অথবা হার্ডওয়্যারে সমস্যা তাকলে কম্পিউটার হ্যাং হতে পারে।
  • অপারেটিং সিস্টেমে ত্রুটি তাকলেঃ- অপারেটং সিস্টেমে ত্রুটি বলতে কোনো সিস্টেম ফাইল কেটে যাওয়াকে বুঝায়। যার কারণে কম্পিউটারে সমস্যা হতে পারে।
  • কম্পিউটার ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হলেঃ- সাধারণত এই কারণেই কম্পিউটারে বেশী হ্যাং হয়। আর এই ভাইরাস অপারেটিং সিস্টেমের কিছু ফাইলের কার্যপদ্ধতিকে বন্ধ করে দেয় যার কারণে কম্পিউটার প্রয়ই হ্যাং হয়।
  • অনেক প্রোগ্রাম একসাথে চালু করলেঃ- হ্যা এটার কারণে সবচেয়ে বেশী কম্পিউটার হ্যাং হয়। মনে করেন আপনার কম্পিউটার র‌্যাম এর পরিমাণ ১২৮ কিন্তু আপনি অনেক বড় বড় কয়েকটি প্রোগ্রাম চালু করলেন। তাহলে হ্যাং হওয়াটাই স্বাভাবিক। কেননা তখন কম্পিউটার র‌্যাম ফোল হয়ে যাবে।
  • হাই গ্রাফিক্স সম্পন্ন গেইম চালালেঃ- আপনার কম্পিউটার র‌্যাম যদি কম হয় কিন্তু আপনি যদি হাই গ্রাফিক্স সম্পন্ন গেইম চালান তাহলে কম্পিউটার হ্যাং হয়ে তাকে কেননা তখন র‌্যাম সম্পূর্ণ লোড হয়ে যায়।
  • হাই গ্রাফিক্স সম্পন্ন সফটওয়্যার ব্যাবহার করলেঃ- কম্পিউটার গেইম এর পাশাপাশি কিছু সফটওয়্যার রয়েছে যেগুলো খুব উচ্চ গ্রাফিক্স সম্পন্ন। যা সাধারণ কম র‌্যাম ও কম প্রসেসরের ক্ষমতা সম্পন্ন কম্পিউটারে চালনা করলে কম্পিউটার হ্যাং হয়।
  • কম্পিউটারের ফাইলগুলো এলোমেলোভাবে সাজানো থাকলেঃ- এই বিষয়ে আমি এই টিউনে বলেছিলাম। কম্পিউটারের ফাইলগুলো এলোমেলোভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে তাকলে ঐ সব ফাইল নিয়ে কাজ করতে কম্পিউটারের অনেক বেশী সময় লাগে। যার করণে কম্পিউটার হ্যাং হয়।
  • কম্পিউটারে  অতি উচ্চ মানের এন্টি ভাইরাস ব্যবহার করলেঃ- হ্যা আমরা ভাইরাস হতে মুক্তি লাভের আশায় এন্টি ভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করি। কিন্তু অনেক সময় কম্পিউটারের মানের কথা না ভেবেই উচ্চ ক্ষমতা ও উচ্চ মানের এন্টি ভাইরাস ব্যবহার করে তাকি যার কারণে কম্পিউটার হ্যাং হয়।

পোষ্টটি লিখেছেন টিজে - সার্ভার কুইন


বিষয়ঃকম্পিউটার/মোবাইল/ইন্টারনেট
 বিঃদ্রঃ কম্পিউটার সম্পর্কে আপনাদের কে কিছু জানাতে পোস্ট টি কপি করা হয়েছে।
আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুণ।

এই ব্লগে পড়তে কি সমস্যা হয়?আপনার কি টাকা বেশি খরচ হয়ে যায়?

কোন মন্তব্য নেই :

কিছু নাস্তিক ব্লগারদের কারনে আমাদের ও কলঙ্ক হয়েছে।ব্লগার-সৈয়দ রুবেল

1 টি মন্তব্য
কিছু নাস্তিক ব্লগার দের কারনে আমাদের ও কলঙ্ক হয়েছে।
যারা ব্লগ সম্পর্কে কিছু জানেনা তাদের বেলাতে তো কথা নেই।
বর্তমানে আপনি যদি গ্রামে গিয়ে বলেন আমি এক জন ব্লগার তা হলে জনতার হাতের
কিল ঘুষি একটা ও মাটিতে না পড়ে সব আপনার উপরে পড়বে।
কারন আপনি ব্লগার
আপনি কেমন ব্লগার সেটা তারা জানতে চাইবেনা।
তারা জানতে পেরেছে ব্লগারেরা ইসলাম কে বয়াবহ অবমাননা করেছে?
কিন্তু কারা করেছে  কেমন ব্লগারেরা করেছে সেটা তারা বুঝতে চাইবেনা।
কারন তারা জানে মাইরের উপর কোনো ওষুধ নেই।
  
এই নাস্তিক কুলাঙ্গারদের জন্য আমাদের ও অনেক বড় ক্ষতি হয়ে গেলো।
তাদের ধর্মের প্রতি অবমাননা কারনে সমাজের কাছে আমরা সাধারন ব্লগারেরা ও
খারাপ হয়ে গেলাম।
অথচ দিনে রাতে কষ্ট করে নিজের  কষ্টের অর্জিত টাকা দিয়ে কম্পিউটার কিনে,
মাসে ৫০০ টাকা ইন্টারনেটের বিল দিয়ে মানুষ কে অজানা কিছু জানাতে ব্লগে লেখা লিখি করি।
এতে আমার ২ আনাও লাভ নেই।
কষ্ট এবং ঘুমের কথা বাদ দিয়ে দিলাম।

দিন নেই রাত নেই এই ব্লগের পিছনে লেগে থাকি।

মানুষদের কে অজানা কিছু জানাতে এবং সচেতন করতেই তো ব্লগে লেখা লিখি করি।
নাস্তিক ও ইসলাম বিদ্ধেষীদের দাঁত ভাঙ্গা জবাব দিতে তো এই কাটা ছড়ানো পথে চলতেছি।
এর বিনিময়ে তো এক মাত্র আল্লাহ ছাড়া কারো কাছে এক টাকা ও সাহায্য চায়নি?
দয়াময় মহান আল্লাহ তো সব রকমের সাহায্য করতেছেন।
এই পথ ধরে তো লক্ষ লক্ষ মানুষদের কাছে যেতে পেরেছি।
প্রতি দিন হাজার হাজার পাঠক পাচ্ছি ব্লগে।

কিন্তু  এই সামান্য কয়েক জন নাস্তিক ব্লগাদের কারনে তো বাকি ব্লগারেরা খারাপ হয়ে যেতে পারেনা।
ইসলামের বিরোদ্ধে মাত্র ঘটি কয়েক ব্লগার লেখা লিখি করে?
কিন্তু ইসলামের পক্ষে তো  হাজার হাজার ব্লগার লেখা লিখি করে।
তারা ও তো সংগ্রাম করে নাস্তিক বাদীদের বিরোদ্ধে।
নাস্তিক বাদীদের বিরোদ্ধে পাল্টা জবাব দিতে গিয়ে তো আমরা তাদের মুখ থেকে আমরা নানান ধরনের অশালীন
ভাষায় গালি গালাজ শুনি।

যেমন গত কয়েক মাস আগে fb ফ্রেন্ড সুত্র ধরে এক নাস্তিক মেয়ের সন্ধান পায়।
নাস্তিক মেয়েটির সাদিয়া সুমি।

নাস্তিক মেয়েটি তার fb পোস্ট করেছে>>স্বপ্ন দেখি এক দিন ধর্ম নামের অপশক্তি এই পৃথিবী থেকে বিতারিত হয়ে যাবে
এবং জাদু ঘরে ঠায় নিবে।


এর নিচে তার এক হিন্দু বন্ধু লিখেছেঃ সাদিয়া আমি সেই স্বপ্নই দেখি।

তার পর আমি নিচে লিখে দিয়েছিঃ আজকের দিনে যারা ধর্ম বিতারিত হয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখতেছে?
একদিন তারাই বিতারিত হয়ে যাবে।তাহার বাবার বাবা ও ঠেকাতে পারিবেনা।
এমন কি মহান আল্লাহ তাদের কে ফেরাউনের মতো জাদু ঘরে রেখে দিতে পারেন যাতে সারা দুনিয়ার
তাদের অপকর্মের কথা জানতে পারে।


কিছু ক্ষণ পরে দেখি আমার উপর বস্থা ভর্তি গালা গালি শুরু হয়ে গেছে।

আমি ও নিচে লিখে দিয়েছি তোদের মুখ থেকে বস্থা ভর্তি গালা গালি আসবে আর চলে যাবে।
কিন্তু ধর্ম তার জায়গাতে ঠিকি থাকবে।

তার পর ফেসবুকের নিকট অভিযোগ করে চলে এসেছি।

তারা ভেবে ছিলো আমি ও তাদের মতো গালা গালি করবো।
কিন্তু আমার জানা আছে কোনো পাগলা কুকুর যদি দৌড়ে এসে আমার পায়ে কামড় দিয়ে দেয় তবু আমার
দিতে নেই।

তা ছাড়া এটা  আমাদের ইসলাম এটা সমর্থন করে না।
আমাদের প্রিয় নবীজীও ৬৩ বসর জীবনীতে কাউকে গালি দেন নি।
তাই আপনারা ও কাউকে গালা গালি করবেন না।

কিন্তু ইদারিং আমি নিজেও বিপাকে আছি।
গত ১৩/০৩/২০১৩ তারিখে আমার বড় খালাতো,হাসান ভাই আমাকে কল দিয়ে  কড়া ভাষায় বলে
অবসর থেকে বুঝি কাজ নেই?
তুমি ব্লগার হয়েছো?
তুমি এই সব কি লিখো।
প্রথমে আমি বুঝতে পারিনি তিনি হাসান ভাই।
তার সাথে আমার দেখা হয়েছিলো ২০০৪ সালে রত্না আপার বিয়েতে।
আর শেষ দেখা হয়েছিলো সম্ভবত ২০০৯ অথবা ২০১০ সালে।
এ ছাড়া আর কোনো দেখা বা কথা নেই।
তার পর ভাই কে জিজ্ঞেস করলাম আপনি এখন কোথায়?
ভাই বললেন আমি বাড়িতে।
আমি বললাম কোন বাড়িতে?
ভাই বললেন ভাদুঘর।
আমি বললাম খালাম্মা কেমন আছে?
ভাই বললেন এখানেই আছে কথা বল।
খালাম্মা ফোন হাতেই নিয়েই বলে কি রে আমি এই সব কি শুন্তেছি?
তুমি না কি ব্লগার হয়েছো?
এই সব কি ভালা?
আমার কিছু বলা হলনা।
জানিনা তারা আমাকে কি ভাবতেছে?
ভাইটির কাছ থেকে জানা হয়নি ভাবি কেমন আছে?

আরো দুঃখের বিষয় fb এক ফ্রেন্ড আমাকে বলেছে আমি  নাকি নাস্তিক,আমাকে নাকি আগে ভালো জানতো।
এই কথা বলেই এই বিড়ালের ছানা আমাকে ব্লক মেরে দিলো।
যার কারনে আমি পাল্টা জবাব দিতে পারিনি?
কিন্তু আজকেও মাহবুব সুবাহান নামক এক ছেলে আমার কাছে জানতে চায় ,ব্লগার ভাই মাইন্ড করবেন না?আপনি আবার নাস্তিক না তো?
i am not sure.
যদি নাস্তিক না হন?তা হলে আপনাকে অসংখ্যা ধন্যবাদ।
আর যদি হন প্লিজ পায়ে ধরি আমাকে unfrind করে দিন।

আমার কথা হলো এই আবাল গুলো কি আমার ব্লগে পড়ে নাই?
তাদের চোখ দিয়ে কি দেখে নাই যে আমার ব্লগে ইসলামিক ১০০ এর চেয়ে বেশি পোস্ট আছে?
এবং নাস্তিক দের বিরোদ্ধে ও কয়েক টি পোস্ট  আছে ?

তাদের কাছে আমার প্রশ্ন,আমি কি এই পথে এসে ভুল করেছি?
ভুল করে থাকলে বলেন আপনাদের হালুয়া রুটির উপর থেকে পিঁপড়া ওঠা থেকে বিরত থাকবো।
আমি আপনাদের কে অজানা কিছু জানাতে এসেছি।
কোনো বিনিময় পেতে আসেনি।
আপনারা আমাকে অনেক বিনিময় দিয়েছেন।
যা কখনো ভুলার নয়।
কেউ ভালো দিয়েছেন?
আবার কেউ খারাপ দিয়েছেন?
যে যেরকম সে তেমনেই দিয়েছেন।

তার পর আমি আপনাদের কে বলি,
আপনার হাতের পাঁচটা আঙ্গুল যেমন সমান না?
ঠিক তেমনি ভাবে এই দেশের সব ব্লগারেরা ও সমান না।
আপনি হয়তো জানেনা এক জন ব্লগার তার ব্লগে লিখতে গিয়ে কত কষ্ট করে।

আমরা আপনাদের পাশে দাড়িয়ে ছিলাম?
কিছু হলেও আপনাদের কে জানাতে পেরেছি।
আজ এই বিপদের দিনে আপনারা ও ইসলাম প্রচারক ব্লগাদের পাশে দাঁড়ান।
এবং আসুন আমরা সবাই মিলে নাস্তিকদের কে প্রতিহত করি।
কারন এরা মানবধীকারের কথা বলে এরাই মানবধিকার সব চেয়ে বেশি লঙ্গন করে।
এরা স্বাধীনতার কথা বলে এরাই সবচেয়ে বেশি স্বাধীনতা হরন করে।

এদের সাথে আমাদের কোনো আপোষ নেই।
এরা ডাস্টবিনের আবর্জনা,ডাস্টবিনেই মানায় ভালো।

সবাই ভালো থাকুন।
আল্লাহ হাফেজ।
     

আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুণ। এই ব্লগে পড়তে কি সমস্যা হয়?আপনার কি টাকা বেশি খরচ হয়ে যায়?