মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে জিডি : খতমের হুমকি দিয়ে এবার সরকারের নিরাপত্তা চায় লগি-বৈঠার খুনি বাপ্পাদিত্য

কোন মন্তব্য নেই
 তথাকথিত শাহবাগ আন্দোলন থেকে দৈনিক আমার দেশ-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে খতম করার হুমকি দেয়ার এক সপ্তাহ পর গতকাল মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডাইরি (জিডি) করেছে বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রীর কেন্দ্রীয় সভাপতি ও ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর লগি-বৈঠা দিয়ে রাজপথে মানুষ হত্যার খুনি বাপ্পাদিত্য বসু। শাহবাগ
থানায় জীবনের নিরাপত্তাহীনতা বোধ করে এ জিডি করেছে বলে সে গতকাল দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছে। এর আগে সে শাহবাগ থেকে বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী ড. পিয়াস করিম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুলের পিঠের চামড়া তুলে নেয়ার হুমকি দেয়।
জিডিতে সে নিজেকে তথাকথিত শাহবাগ আন্দোলনের একজন সংগঠক দাবি করে বলে, এ আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকে দৈনিক আমার দেশ কোনো বিশেষ উদ্দেশ্যে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করেছে। পত্রিকাটির সম্পাদক নিজেও আমাকে নিয়ে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে পত্রিকাটিতে কলাম এবং সম্পাদকীয় লিখেছেন। জিডিতে সে দাবি করে, ব্লগার রাজীব হত্যাকাণ্ডের পর আমি আশঙ্কা করছি আমাকেও হত্যার উদ্দেশ্যে জামায়াত-শিবিরের হয়ে পরিকল্পিতভাবে একটি নীল নকশা তৈরি করা হচ্ছে। এ অবস্থায় আমি ও আমার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি এবং আন্দোলনের একজন সংগঠক হিসেবে আমার মানহানির ঘটনা ঘটেছে। শাহবাগ থানার এএসআই নুরুল আলম জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গতকাল পৌনে ১১টার দিকে ছাত্রমৈত্রীর কেন্দ্রীয় সভাপতি বাপ্পাদিত্য বসু এ জিডি করে।
ভয়ঙ্কর খুনি বাপ্পাদিত্য বসু : ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর মানুষ খুনের পর লাশের ওপর নৃত্য করেছিল যে খুনি, সে-ই হলো এই বাপ্পাদিত্য বসু। ২৮ অক্টোবর রাজধানীর পল্টনে জামায়াত-শিবিরকর্মীদের লগি-বৈঠা দিয়ে নির্মমভাবে হত্যার পর তাদের লাশের ওপর নৃত্য করেছিল সে। ২৮ অক্টোবর জামায়াতের ডাকা সমাবেশের প্রস্তুতিকালে একদল চরমপন্থী তার নেতৃত্বে হামলা চালায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে ছাত্রত্ব বাতিল হয়ে গেছে এ খুনির। ২০০৫-০৬ সালে ছাত্রমৈত্রীর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, একই সময় ঢাবি শাখার আহ্বায়ক ছিল সে। ২০০৬-০৭ সেশনে ছাত্রমৈত্রীর কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ছিল সে। বর্তমানে সে ওয়ার্কার্স পার্টির ছাত্র সংগঠন ছাত্রমৈত্রীর কেন্দ্রীয় সভাপতি। হঠাত্ ব্লগার বনে গিয়ে গণমাধ্যম বন্ধের হুমকির পাশাপাশি সে দেশের দুঃসাহসী একজন সম্পাদককে খতম করার প্রকাশ্য হুমকি দেয়। এর আগে ৮ ফেব্রুয়ারি ব্লগার পরিচয়ে বাপ্পাদিত্য শাহবাগের সমাবেশে ভিন্নমতের গণমাধ্যম বন্ধের হুমকি দেয়।
জানা যায়, যশোরের বাম-চরমপন্থীদের নিয়ে একটি বিশাল জঙ্গি গ্রুপ রয়েছে বাপ্পাদিত্য বসুর। ওই গ্রুপটি যশোর অঞ্চলে খুন-লুটপাটের সঙ্গে জড়িত। মাদকাসক্ত বাপ্পাদিত্য আর্থিক টানাপড়েনের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর চুরি-ছিনতাই শুরু করে বলেও অভিযোগ রয়েছে। ছাত্রত্ব বাতিল হয়ে যাওয়ার পর প্রকাশ্য রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলেও চরমপন্থীদের সঙ্গে সে যোগাযোগ বাড়াতে শুরু করে। যশোর জেলার সদর উপজেলার রূপদিয়া গ্রামে একটি সাধারণ পরিবারে ১৯৮৩ সালের ২১ আগস্ট তার জন্ম। ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়াকালে বামপন্থী রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে সে। এরপর গড়ে ওঠে চরমপন্থীদের সঙ্গে তার সখ্য। ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর পল্টনে লগি-বৈঠার তাণ্ডবের পর এলাকার মানুষ তাকে চিনতে শুরু করে। বেশিরভাগ মানুষই তাকে চেনেন ২৮ অক্টোবরের খুনি হিসেবে। জানা যায়, যশোর অঞ্চলে এখন আর আগের মতো সুবিধা করতে পারছে না চরমপন্থীরা। তাই বাপ্পাদিত্যর মতো দুষ্কৃতকারীরা অন্যান্য অঞ্চলের চরমপন্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে।

মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে জিডি : খতমের হুমকি দিয়ে এবার সরকারের নিরাপত্তা চায় লগি-বৈঠার খুনি বাপ্পাদিত্য

 

কোন মন্তব্য নেই :

পুলিশের নির্বিচারে আলেম হত্যা : স্বতঃস্ফূর্ত হরতাল, সিংগাইরে গুলিতে মহিলাসহ নিহত ৫ আজ মানিকগঞ্জে হরতাল, সারাদেশে বিক্ষোভ ও নফল রোজা

কোন মন্তব্য নেই
 

 ইসলামীদলগুলোর ডাকা হরতালে মানিকগঞ্জে পুলিশের গুলিতে আলেম ও মহিলাসহ ৫ জন নিহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী। নিহতরা খেলাফত মজলিস, ছাত্রমজলিস ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মী। এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে আজ মানিকগঞ্জ জেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল এবং সারাদেশে বিক্ষোভ ও নফল রোজা রাখা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ইসলামী দলগুলো। বিএনপি এ হরতালে সমর্থন জানিয়েছে।
হরতাল চলাকালে বগুড়ায় পিকেটার দেখামাত্রই গুলি চালায় পুলিশ। সেখানে ২০ জন আহত হয়। এছাড়া রাজধানীসহ সারাদেশে সাঁজোয়া যান নিয়ে মারমুখী অবস্থানে ছিল সশস্ত্র র্যাব ও পুলিশ। ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় টহল দেয় বিজিবি। ইসলামী দলগুলোর অফিস, বিভিন্ন মাদরাসা ও মসজিদ সকাল থেকেই ঘেরাও করে রাখে পুলিশ। গুরুত্বপূর্ণ সব জায়গায় মোতায়েন করা হয় বিপুল সংখ্যক র্যাব ও পুলিশ। ফুটপাতের দোকান খুলতে দেয়নি তারা। পাঞ্জাবি-টুপি পরা লোক দেখলেই ধাওয়া করা হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এ কড়া অবস্থানের কারণে সারাদেশে তেমন কোনো পিকেটিং ও মিছিল করতে পারেনি হরতাল সমর্থকরা। তবে কিছু জায়গায় ঝটিকা মিছিল করে তারা। এ সময় বিক্ষিপ্তভাবে কিছু জায়গায় পুলিশের সঙ্গে পিকেটারদের সংঘর্ষ, ককটেল বিস্ফোরণ, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
হরতালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় সকালে একটি লেগুনায় আগুন ও ধানমন্ডিতে গাড়ি ভাংচুর করে পিকেটাররা। হরতালের সমর্থনে কামরাঙ্গীরচর মাদরাসায় ইসলামী দলগুলোর মিছিলে বাধা দেয় পুলিশ। সেখানে নাস্তিক ব্লগারদের কুশপুত্তলিকা পোড়ায় বিক্ষুব্ধরা কর্মীরা। এছাড়া রাজধানীর পল্টন, ফকিরাপুল ও মহাখালী এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণ হয়। মতিঝিল ও বিজয়নগরসহ বিভিন্ন জায়গায় ফাঁকা গুলি চালায় পুলিশ। অপরদিকে হরতাল প্রতিরোধে লাঠি হাতে মিছিল-স্লোগানে সরব ছিল সরকারদলীয় ও শাহবাগের আন্দোলনকারীরা। এ সময় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ঢাকার বাইরে চট্টগ্রামে ট্রেন অবরোধ করে রাখে মুসল্লিরা। এ সময় পিকেটারদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। চাঁদপুরেও দু’পক্ষে সংঘর্ষ হয়। এদিকে হরতালবিরোধী মিছিল থেকে হরিণাকুণ্ড, ঈশ্বরদীসহ বিভিন্ন স্থানে জামায়াত-শিবিরের অফিসে হামলা ও ভাংচুর করা হয়। ইসলামী ব্যাংকের পল্টন, কেরানীগঞ্জ, ভুলতা, রূপগঞ্জ, নওয়াপাড়াসহ বিভিন্ন শাখায়ও হামলা ও ভাংচুর চালানো হয়।
এদিকে পিকেটিং ছাড়াই স্বতঃস্ফূর্ত হরতালে কার্যত অচল হয়ে পড়ে রাজধানীসহ সারাদেশ। রাজধানীতে সকাল থেকে কিছু লোকাল বাস, সিএনজি ও রিকশা ছাড়া যান চলাচল ছিল খুবই কম। কোনো প্রাইভেট গাড়ি চলেনি। ছেড়ে যায়নি দূরপাল্লার কোনো বাস। এমনকি বাসের কাউন্টারও খোলেনি। বড় বড় মার্কেট, বেসরকারি অফিস ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং দোকানপাট ছিল বন্ধ। ব্যাংক বীমা খোলা থাকলেও প্রধান গেট ছিল বন্ধ। অজানা আতঙ্কে অফিস ও জরুরি কাজ ছাড়ায় রাস্তায় বের হয়নি সাধারণ মানুষ। হরতাল সমর্থকদের পক্ষ থেকে কোনো ভাংচুর বা বাধা না থাকায় বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নগরীতে যানবাহন চলাচলের সংখ্যা কিছুটা বেড়ে যায়। হরতালের কারণে এসএসসি, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও ইবির ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করে কর্তৃপক্ষ।
আল্লাহ ও রাসুল (সা.)-এর অবমাননাকারী নাস্তিক ব্লগারদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, ইসলমী রাজনীতি নিষিদ্ধের ষড়যন্ত্র বন্ধ এবং গত শুক্রবার রাজধানীসহ সারাদেশে মুসল্লিদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশের বেপরোয়া হামলা ও গ্রেফতারের প্রতিবাদে এই হরতালের ঘোষণা দেয় বেশ কয়েকটি ইসলামী দল। গত শনিবার খেলাফত আন্দোলনের আমির মাওলানা শাহ আহমদুল্লাহ আশরাফ এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন। একই দাবিতে কাল সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচিরও ঘোষণা দেন তিনি। দেশের সর্বজনশ্রদ্ধেয় আলেম ও চট্টগ্রাম হাটহাজারী মাদরাসার মুহতামিম আল্লামা আহমদ শফির নেতৃত্বাধীন হেফাজতে ইসলাম এবং খেলাফত মজলিসের পক্ষ থেকেও পৃথকভাবে রোববার হরতাল কর্মসূচি দেয়া হয়।
হরতাল আহ্বানকারী দলগুলো হচ্ছে—খেলাফত আন্দোলন, খেলাফত মজলিস, ইসলামী ঐক্যজোট, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, নেজামে ইসলাম পার্টি, খেলাফতে ইসলামী, ওলামা কমিটি প্রভৃতি। এদিকে আলেমদের ডাকা হরতালে সমর্থন দেয় প্রধান বিরোধী দল বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও ১৮ দলীয় জোটের অন্য শরিকসহ বিভিন্ন ইসলামী দল ও সংগঠন। তবে এসব দল হরতালের সমর্থনে কোনো মিছিল বা পিকেটিং করেনি। হরতালে নৈতিক সমর্থন দিলেও মাঠে ছিল না বিএনপি। দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় পুলিশ অবরুদ্ধ করে রাখে। নেতাকর্মীরা কেউ কেউ কার্যালয়ে এলেও হরতালের পক্ষে কোনো তত্পরতা ছিল না।
মানিকগঞ্জে হরতাল সমর্থক-পুলিশ ব্যাপক সংঘর্ষ : পুলিশের গুলিতে নিহত ৫, শিশুসহ গুলিবিদ্ধ ২০, আজ জেলাব্যাপী হরতাল : মানিকগঞ্জ ও সিংগাইর প্রতিনিধি জানান, সিংগাইরে গতকাল ইসলামী সমমনা দলগুলোর হরতাল চলাকালে হরতাল সমর্থনকারী, গ্রামবাসী ও পুলিশের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এতে গুলিবর্ষণ টিয়ারশেল নিক্ষেপ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পুলিশের গুলিতে মাদরাসা শিক্ষকসহ ৫ জন নিহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়েছে শিশুসহ ২০ জন। দু’পুলিশ কর্মকর্তার মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ ও থানার ওসিসহ ৩ পুলিশ আহত হয়েছে ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসীরা জানায়, গতকাল সকাল ৯টার দিকে রাস্তা অবরোধ করা নিয়ে কাশিমনগর বাসস্ট্যান্ডে হরতাল সমর্থনকারীদের সঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মাজেদ খানের তর্কবিতর্ক হয়। একপর্যায়ে তাকে মারধর করে তারা। এ খবর আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে জড়ো হয়ে তারা সদর বিএনপির কার্যালয়সহ ইসলামী সমমনা দলের সমর্থনকারীদের মারধরসহ দুটি দোকান ভাংচুর করে। এ খবরে সকাল এগারোটার দিকে হরতাল সমর্থনকারীরা গোবিন্দল বাসস্ট্যান্ড নতুন বাজারে সিংগাইর-মানিকগঞ্জ সড়কে যানচলাচল বন্ধ করে দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশের সঙ্গে এএসপি সদর সার্কেল মো. কামরুল ইসলামের নেতৃত্বে যোগ দেয় অতিরিক্ত পুলিশ। সংঘর্ষ বাধে পুলিশ ও হরতাল সমর্থনকারীদের মধ্যে। এক পর্যায়ে পুলিশ গুলিবর্ষণ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। পুলিশের ছোড়া গুলিতে বসতবাড়ির টিনের বেড়া ভেদ করে প্রবাসীর স্ত্রী হেলেনা আহত হন। এতে হরতাল সমর্থনকারী ও গ্রামবাসী চারদিক থেকে পুলিশকে ঘেরাও করে। এতে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় ডিবি সদস্য মুজিবর ও পুলিশ কনস্টেবল শাহিন আহত হন। এ সময় পুলিশ ব্যাপক গুলিবর্ষণ করলে গোবিন্দল মাদরাসার শিক্ষক হাফেজ শাহ আলম (২৫), নাজিম উদ্দিন (২৬), আলমগীর (২৫), হেলেনা (২২) ও মাওলানা নাসির উদ্দিন (৩০) নিহত হন। গুলিবিদ্ধ হয় আলী আকবর, লিংকন, নোয়াব আলী, সিদ্দিক, নাজিম উদ্দিন, কালু, দুলাল মিয়া, আলমাস, মানিক, মামুন, আনোয়ার, ওয়াজেদ, শাহিন, রুবেল, রউফ ও শিশু লিটন। নিহত-আহতরা সবাই গোবিন্দল গ্রামের বাসিন্দা। এর মধ্যে নাজিমউদ্দিন স্বেচ্ছাসেবক দল এবং বাকিরা খেলাফত মজলিসের নেতাকর্মী বলে সংশ্লিষ্টরা দাবি করেছেন।
সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. খলিলুর রহমান জানান, গুলিবিদ্ধ আহতদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে হরতাল সমর্থনকারীদের ইট-পাটকেলের আঘাতে আহত হয়েছেন সিংগাইর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. লিয়াকত আলী। সে সঙ্গে অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়ে দিয়েছে এসআই আদিল মাহমুদ ও এসআই এমদাদুল হকের ব্যবহৃত দুটি মোটরসাইকেল। পুলিশ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে। খেলাফত মজলিসসহ ইসলামি দলগুলোর পক্ষ থেকে আজ মানিকগঞ্জ জেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে। ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি নুরুজ্জামান ও র্যাব ৪-এর কমান্ডিং অফিসার কিসমত হায়াত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এদিকে সিংগাইরে পুলিশের গুলিতে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা নাজিমুদ্দিনসহ চারজন নিহত হওয়ার ঘটনায় সোমবার সকাল-সন্ধ্যা হরতালের সমর্থনে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা। গতকাল বিকাল ৫টায় বিএনপি কার্যালয় থেকে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি শহর প্রদক্ষিণ শেষে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করে। এতে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শরিফ ফেরদৌসের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন অ্যাডভোকেট জামিলুর রশিদ খান, আতাউর রহমান আতা, মোতালেব হোসেন প্রমুখ ।
মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আলী মিয়া দাবি করেন, জামায়াত-বিএনপির কর্মীরা হরতালের নামে দোকানপাট ভাংচুর ও রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করে। এ সময় পুলিশ বাধা দিতে গেলে হরতালকারীরা পুলিশের ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। এতে সিংগাইর থানার অফিসার ইনচার্জ লিয়াকত আলীসহ ১৫ জন পুলিশ সদস্য আহত হন। জীবন রক্ষার্থে পুলিশ গুলি চালাতে বাধ্য হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য ৫০ রাউন্ড টিয়ারশেল এবং ৩০০ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করা হয়। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাব মোতায়ন করা হয়েছে। এ ঘটনায় ৭ জন হরতাল সমর্থনকারীকে আটক করা হয়েছে।
রাজধানীর কামরাঙ্গীর চর-পুরান ঢাকা : গতকাল কামরাঙ্গীর চর এলাকায় শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল পালিত হয়েছে। প্রতিদিনের তুলনায় গতকাল ওই এলাকায় গাড়ি চলাচল অনেক কম ছিল। তবে পুলিশ ও র্যাব ফজরের নামাজের পর থেকেই জামিয়া নূরিয়া ইসলামিয়া হাফেজ্জী হুজুরের মাদরাসার সামনে অবস্থান নেয়। মাদরাসার আশপাশ এলাকায় ২-৩ জনের বেশি একত্রিত হতে দেয়নি। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মাদরাসা থেকে একটি মিছিল বের হওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের বাধার সম্মুখীন হয়। পুলিশ আগেই মিছিল বের না করার কড়া নির্দেশ দিয়ে যায়। পরে মিছিলটি মাদরাসার ভিতরে প্রদক্ষিণ করে। মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, আজকের (রোববার) হরতাল বেঈমানদের বিরুদ্ধে ঈমানদারদের হরতাল। যারা এই হরতালের বিরোধিতা করেছে তারা সবাই নাস্তিক। আল্লাহ এবং রাসুলুল্লাহ (সা.) বিরুদ্ধে যারা কটূক্তি করেছে তারা মানুষ নয়, তারা বেঈমান পশু। আর যারা তাদের সমর্থন করে তাদের রাজনীতি করার অধিকার নেই। দৈনিক আমার দেশ-এর সম্পাদক মাহমুদুর রহমান একজন সত্যের সৈনিক। কোনো নাস্তিক-মুরতাদ আমার দেশ বন্ধ করতে পারবে না। আমরা জনগণ আমার দেশ-এর পাশে আছি, থাকব।
খেলাফত আন্দোলনের আমির হজরত মাওলানা শাহ আহম্মদুল্লাহ আশরাফ বলেন, এই হরতাল ডাকা হয়েছে নাস্তিক-মুরতাদদের বিরুদ্ধে। এই হরতাল মারামারি-কাটাকাটি করার জন্য নয়। আমরা কোনো সংঘাতে যাব না। শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল করবো। দলের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী বলেন, এই হরতালে সারা দেশবাসী সমর্থন দিয়েছে। এই হরতাল কোনো সরকারের বিরুদ্ধে নয়। ব্লগারদের পক্ষ নেয়ার কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তাওবা করতে হবে। এই আন্দোলনকে জামায়াতে ইসলামীর আন্দোলন বলে কিছু মিডিয়ার প্রচারণার প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, এই হরতাল হচ্ছে ইসলামি সমমনা ৮ দলের হরতাল। কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা আবু জাফর কাশেমী গ্রেফতার করা তাঁতীবাজার মাদরাসার ছাত্রদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মুক্তি দেয়ার দাবি জানান। সমাবেশ শেষে মাদরাসার মাঠে ব্লগার নাস্তিক ও মুরতাদদের কুশপুত্তলিকা দাহ করে।
এদিকে সকাল থেকে পুরান ঢাকায় শান্তিপূর্ণ হরতাল পালন হয়েছে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। গুলিস্তান, কাপ্তান বাজার, নবাবপুর, সূত্রাপুর, বাংলাবাজার, বংশাল, সদরঘাট, নয়াবাজার, বাবুবাজার, মিটফোর্ড রোড, চকবাজার, পোস্তা, লালবাগ, আজিমপুর, হাজারীবাগ এলাকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও দোকানপাটগুলো বন্ধ ছিল। রাস্তায় সিএনজি, টেম্পো চলাচল ছিল। কিন্তু প্রাইভেট কার দেখা যায়নি। রিকশা চলাচলও ছিল স্বাভাবিক।
সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী : গতকালের হরতাল স্বতঃস্ফূর্তভাবে পালিত হয়েছে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ, মানিকনগর, ডেমরা, ধোলাইরপাড়, ধলপুর, কাজলাসহ আশপাশের এলাকায়। এসব এলাকার খাবার হোটেল ও ওষুধের দোকান ছাড়া অন্য কোনো দোকানপাট খোলেননি ব্যবসায়ীরা। সায়েদাবাদ আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল থেকে একটি বাসও ছেড়ে যায়নি। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঢাকার বাইরে থেকে একটি বাসও টার্মিনালে আসেনি। যাত্রবাড়ি থেকে মিরপুর ও গাবতলী রুটে কয়েকটি শিকড় ও ৮ নম্বর বাস আসা যাওয়া করেছে। তবে এগুলোর কোনো কোনোটিতে ৮/১০ জন যাত্রী ছিল। কোনটিতে আদৌ কোনো যাত্রী ছিল না।
সকাল ১০টায় যাত্রবাড়ি চৌরাস্তায় টিভি ক্যামেরাম্যানদের অনুরোধে স্থানীয় যুবলীগের নেতাকর্মীরা কয়েকটি খালি বাস কয়েকবার যাত্রাবাড়ি ও সায়েদাবাদ এলাকা ঘোরাতে বাধ্য করে। প্রাইভেটকার, ট্রাকসহ অন্যান্য যানবাহন চোখে পড়েনি। সকালের দিকে বেশ কিছু রিকশা চলেছে। তবে দুপুরের দিকে যাত্রী না থাকায় রিকশা চলাচলও কমে আসে। সকালের দিকে ধোলাইরপাড়, কাজলা ও ধলপুরে হরতালের পক্ষে মিছিল হয়। ধলপুরে একটি টেম্পোতে আগুন দেয়া হয়। ধোলাইরপাড় থেকে হরতালের সমর্থনে একটি মিছিল যাত্রাবাড়ির দিকে এগোনোর কিছুক্ষণের মধ্যে পুলিশ ও র্যাবের বাধায় তা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এ সময় পিকেটারা একটি বাস ও একটি টেম্পো ভাংচুর করে। যাত্রাবাড়িতে হরতাল প্রতিরোধে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের স্থানীয় ৩০-৪০ জন নেতাকর্মী পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির উপস্থিতিতে হকিস্টিক নিয়ে মিছিল করে। দুপুর পর্যন্ত যাত্রাবাড়ি চৌরাস্তায় পুলিশ ও র্যাবের পাশাপাশি অবস্থান করে তারা।
হরতালে মিরপুর, মোহাম্মদপুর, মহাখালী ও গুলশানের চিত্র : ইসলামি দলগুলোর হরতালে গতকাল মিরপুর, মোহাম্মদপুর, মহাখালী ও গুলশানে কোনো সহিংসতা হয়নি। মিরপুর ও মোহাম্মদপুরে দুটি ঝটিকা মিছিল বের করে হরতাল সমর্থকরা। ধানমন্ডিতে সকাল ৭টার দিকে মিছিল বের করে সমমনা ইসলামি দল। গাবতলী ও মহাখালী থেকে অতি ভোরে ৪/৫টি দূরপাল্লার গাড়ি ছেড়ে গেলেও তা ছিল যাত্রীশূন্য। তবে সাড়ে ৬টার পর দূরপাল্লার কোনো গাড়ি ছেড়ে যায়নি।
মিরপুর এলাকায় কোনো সংঘর্ষ না হলেও মিরপুর এক নম্বরের দিকে ঝটিকা মিছিল করেছে। তবে পুরো ঢাকায় গতকাল পুলিশ ও র্যাব নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে বেশ সতর্ক অবস্থানে ছিল। সর্বদা বন্দুক তাক করে তারা টহল দিয়েছে। র্যাব-পুলিশের সংখ্যা ছিল অন্য হরতালের চেয়ে অনেক বেশি। এতে প্রতিটি এলাকায় অফিসগামী মানুষের মাঝে আতঙ্ক দেখা দেয়। বাড়তি আতঙ্ক ছড়ায় সরকারি দলের নেতাকর্মীদের লাঠি-রডের মহড়া ও হরতালবিরোধী মিছিল। থেমে থেমে রাজধানীর সব স্ট্যান্ডে তারা মিছিল করেছে। মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বরে জমায়েত হয়ে ছাত্রলীগ-যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের কর্মীরা হরতালবিরোধী মিছিল করে। স্থানীয় এমপি কামাল মজুমদারের নেতৃত্বে লাঠি মিছিল করে তারা।
মতিঝিল, পল্টন, খিলগাঁও ও মগবাজার : হরতাল প্রতিরোধে মতিঝিল, পল্টন, খিলগাঁও এবং মগবাজারসহ আশপাশের এলাকায় কঠোর অবস্থানে ছিল র্যাব ও পুলিশ। এসব এলাকায় তেমন কোনো পিকেটিং দেখা যায়নি। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মতিঝিল কমলাপুর থেকে জসিমউদ্দিন সড়কে ঝটিকা মিছিল করে সমমনা ১২ দল। দুপুরের দিকে পল্টন তোপখানা রোডে একটি ককটেল বিস্ফোরণের খবরে ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে সেখানে কোনো পিকেটিং বা মিছিল হয়নি। ১০টার দিকে হরতালবিরোধী একটি মিছিল থেকে পল্টন মোড়ে ইসলামি ব্যাংকের সাইনবোর্ডে ঢিল ছোড়া হয়। সকাল ৮টার দিকে খিলগাঁও শাহজাহানপুরে পিকেটিং করে ইসলামি দলের কিছু কর্মী। এ সময় পুলিশ তাদের ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দেয়। একই সময়ে উত্তর শাহজাহানপুর মাদরাসার পাশে কিছু ছাত্র জড়ো হলে পুলিশ তাদেরও ধাওয়া দেয়। মগবাজার, পল্টনসহ বিভিন্ন এলাকায় লাঠিহাতে হরতালবিরোধী মিছিল বের হয়।
হরতাল সফলে অভিনন্দন ও নতুন কর্মসূচি ঘোষণা : ইসলামি দলগুলোর ডাকা হরতাল স্বতঃস্ফর্ত ও শান্তিপূর্ণভাবে সফল করায় সবাইকে অভিনন্দন জানিয়েছেন খেলাফত আন্দোলনের আমির মাওলানা শাহ আহমদুল্লাহ আশরাফ। হরতাল শেষে বিকালে কামরঙ্গীরচর মাদরাসায় আয়োজিত এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি হরতাল চলাকালে পুলিশের বেপরোয়া গুলিতে মানিকগঞ্জে ৫ জন নিহত এবং সারাদেশে নেতাকর্মী ও ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ওপর হামলা ও গ্রেফতারের প্রতিবাদে আজ মানিকগঞ্জ জেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল, সারাদেশে বিক্ষোভ পালন, সব শহীদ ও আহতদের জন্য দোয়া এবং রোজা রাখার আহ্বান জানান। একই সঙ্গে মসজিদে মসজিদে কুনুতে নাযেলা পড়ে দোয়া অব্যাহত রাখার জন্যও ইমামদের প্রতি আহ্বান এবং ২৬ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নাস্তিক-মুরতাদ ব্লগারদের ইসলামবিরোধী তত্পরতার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সারাদেশে গণসংযোগ করার জন্য আলেম-ওলামা, নেতাকর্মী ও নবীপ্রেমিকদের প্রতি আহ্বান জানান। ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নাস্তিক-মুরতাদ ব্লগারদের গ্রেফতার করে শাস্তি প্রদান এবং খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা জাফরুল্লাহ খানসহ এই আন্দোলনে গ্রেফতারকৃত সবার নিঃশর্ত মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার না করলে ১ মার্চ বাদজুমা দেশব্যাপী বিক্ষোভ ও দোয়া দিবস পালন করা হবে।
নেতারা জানান, ওইদিনের বিক্ষোভ শুধু বাংলাদেশেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, বিশ্বনবীর (সা.) প্রেমিকরা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেবে ইনশাআল্লাহ। প্রেস ব্রিফিংয়ে বলা হয়, কিছু পত্রিকা ও ইলেট্রনিক মিডিয়ায় নাস্তিকদের পক্ষ নিয়ে উস্কানি ও বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রচার বন্ধ না করলে ১ মার্চ থেকে তাদের এবং সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোর পণ্য বর্জন করার জন্য দেশবাসীকে আহ্বান জানানো হবে। এদিকে হরতাল সফল করায় বিভিন্ন দলের পক্ষ থেকে দেশবাসীকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে।


পুলিশের নির্বিচারে আলেম হত্যা : স্বতঃস্ফূর্ত হরতাল, সিংগাইরে গুলিতে মহিলাসহ নিহত ৫ আজ মানিকগঞ্জে হরতাল, সারাদেশে বিক্ষোভ ও নফল রোজা

কোন মন্তব্য নেই :

আমার প্রতি কেন শুধু শুধু এত আক্রোশ? বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম

কোন মন্তব্য নেই

সেই কবে কোনকালে কবি বলেছিলেন, ‘আমার মাথা নত করে দাও হে তোমার চরণ ধুলার তলে’। পরম প্রভু দয়ালু আল্লাহর কুদরতি চরণে মাথা ঠুকেই জীবন অতিবাহিত করেছি। চলার পথে কত যে অজস্র ভুল করেছি তা শুধু পাক পরোয়ারদিগারই জানেন। কিন্তু স্রষ্টার প্রতি কখনও মনে কোনো দ্বিধা জাগেনি। রাসুলে করিম (সা.)-এর পাক-পবিত্রতা সম্পর্কে মনে কোনো চিড় ধরেনি। কিন্তু দয়ালু আল্লাহ ও তার রাসুলকে নিয়ে ব্লগারদের কায়কারবার দেখে বুকে বড় যন্ত্রণা পাচ্ছি। বঙ্গবন্ধুর পাগল সেজে জীবন কাটিয়ে দিলাম। তা যদি নাটক হতো, অভিনয় হতো সান্ত্বনা ছিল। কিন্তু কেন যে বাস্তবেই উন্মাদ পাগল হলাম, যখন ভাববার সময় পাই তখন কোনো কূলকিনারা পাই না। ছেলেবেলায় জীবন শুরু হয়েছিল প্রতিকূল পরিবেশে। মা আদর করতেন, বুকে চেপে রাখতেন, মা-ই ছায়া দিতেন কিন্তু। আর সবাই প্রতি মুহূর্তে ত্রিশুল হাতে দাঁড়িয়ে থাকতেন, সুযোগ পেলেই যেন বধ করবেন। ছোট ছোট ভাইবোনরা ছিল ছায়া, কী যে ভালোবাসত তারা। ওদের আর মা’কে নিয়ে ছিল আমার ভুবন। তাই কোনো নির্যাতন আর জ্বালাকে জ্বালা মনে হতো না। ছেলেবেলার বাড়ির বৈরী পরিবেশ পরে আমার জন্য মঙ্গলজনকই হয়েছে। চামড়া মোটা হওয়ায় আজ অনেক কিছু সহ্য করতে কষ্ট হয় না। প্রায় কত বছর কোনো দলে গণতন্ত্র নেই, কেমন যেন জমিদারি স্টাইল। কারও জমিদারির প্রজা হতে চাইনি বলে কত গালাগাল, কত নিন্দা। একপর্যায়ে মনে হয়েছে হাজার বছর আওয়ামী লীগ করলেও কেউ আওয়ামী লীগের সভাপতি হতে পারবে না—ওটা জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্য অথবা তার পরিবার পরিজনদের জন্য সাবকবলা দলিল করা। যেহেতু কিয়ামত পর্যন্ত কেউ আওয়ামী লীগের সভাপতি হতে পারবে না, স্বাভাবিক কারণেই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে সরকারপ্রধানও হবেন তারাই, জননেত্রী শেখ হাসিনার পরিবার। এমনকি তার পরিবারে কোনো লোকজন না থাকলে তার বাড়ির কুত্তা বিড়াল হবে। তবু অন্য কেউ হতে পারবে না। একটি শ্রমিকের ছেলে, কৃষকের ছেলে, উকিল-মোক্তার-ডাক্তার কিংবা দোকানির ছেলে যোগ্য হলে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হলেও হতে পারে। কিন্তু আওয়ামী লীগ করে বাংলাদেশের সরকারপ্রধান হতে পারবে না। কথাগুলো যখন বলার চেষ্টা করেছি তখন আওয়ামী লীগ থেকে গালাগালের শিকার হয়েছি। এখন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করে গামছা নিয়ে সারাদেশ ঘুরছি, মানুষ দু’হাতে বুকে তুলে নিচ্ছে, সব রকম সাহায্য করতে উতালা হয়ে পড়েছে। এখন আবার নতুন ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।
অনেক দিন থেকে শাহবাগ উত্তাল। কিন্তু কোনো দিকনির্দেশনা পায়নি। জাগরণের প্রথম দিকটা ছিল স্বতঃস্ফূর্ত। এরপর শুরু হয়েছে দখলের চেষ্টা। এখন তা মহামারীর আকার ধারণ করেছে। তবু মানুষ শাহবাগকে সমর্থন জানাচ্ছে। যার মধ্যে আমিও একজন। আর কিছু না হোক দেশ যে কারোর খামখেয়ালিতে চলতে পারে না তার সফল সংকেত দিয়েছে শাহবাগ। কিছু দলকানাদের ছাড়া শাহবাগ একটি বিস্ময়কর গণজাগরণ। অনেকে হয়তো শাহবাগের তারুণ্যের আড়ালে স্বার্থসিদ্ধির চেষ্টা করেছে। তারা তাদের মতো করে আন্দোলনকে নিতে চাচ্ছে। কে না চায় নেতা হতে? সবাই চায়। আমার মতো বেকুব ক’জন আছে? আন্দোলনকে পদে পদে সমর্থন করার পরও কিছু বকধর্মী উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের খাটো করতে আমার নামে কুত্সা ছড়াচ্ছে। ছাত্রলীগ বা ছাত্র ইউনিয়নের কোনো চামচা গালাগাল করলে এখন আর গায়ে মাখি না। ছেলেকে গালি দিলে বাপ পর্যন্ত যায়। আমাকে গালি দিলে মুক্তিযুদ্ধকে গালি দেয়া হয়। মুক্তিযুদ্ধকে গালি দিলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু অক্ষত থাকেন না। তিনি হন ক্ষতবিক্ষত-রক্তাক্ত। তারপরও না-বুঝরা না বুঝলে আমি কী করব? আগেরকার দিনে কাজ না থাকলে যেমন চাচার নামে মামলা দিতো, সেদিন আমার প্রিয় নামকরা লেখক ইমদাদুল হক মিলনের সম্পাদনায় কালের কণ্ঠে দেখলাম ঠিক সেরকম—‘কাদের সিদ্দিকীর বঙ্গবীর এবং বীর উত্তম খেতাব কেড়ে নেয়া হবে’ শিরোনামে এক প্রতিবেদন। প্রতিবেদক এত বড় একটা কাজ করতে গেলেন, একটুও তলিয়ে দেখলেন না। আমি গণসংযোগে ছিলাম, তখন তিনি ফোন করেছিলেন। হঠাত্ জিজ্ঞাসা করে বসলেন, আপনি কিভাবে বঙ্গবীর হলেন? বেঁচে থাকার কী বিড়ম্বনা দেখুন। আমি কোথায় কিভাবে বঙ্গবীর হলাম বেঁচে আছি বলে আমাকেই বয়ান করতে হবে। জনগণ আমায় বানিয়েছে বঙ্গবীর, না নিজেই বলেছি? কোনো সন্তানের জন্মের কথা সে বলবে নাকি তার বাপ-মা, চাচা-চাচী, খালা-খালু বলবে? আমি কী করে বঙ্গবীর হলাম এটা কবর থেকে বঙ্গবন্ধুকে তুলে জিজ্ঞাসা করা দরকার, জেনারেল ওসমানীকে জিজ্ঞাসা করা দরকার। দলকানা, ভ্রষ্ট বুদ্ধিজীবীদের কথার জবাব দিতে কেমন জানি নিজেকে বড় বেশি ছোট মনে হয়। দু’কলম লিখে অনেকেই পণ্ডিত হয়ে গেছেন। এক পণ্ডিত মুক্তিযুদ্ধের সময় কিছুদিন কলকাতার রাস্তায় রাস্তায় ঘুরেছেন। তিনি মন্তব্য করেছেন, বঙ্গবীর খেতাবের কোনো কাগজপত্র নেই। জানি না তিনি দুনিয়ার সবকিছু জানেন কিনা। ছেলেবেলায় বাবা-মা নাম রেখেছেন ‘বজ্র’। স্কুল কলেজে পড়তে গিয়ে নাম হয়েছে ‘কাদের’। আমার নামের আগে পিছে বাবা এত বিশেষণ দিয়েছিলেন, যার একটাও আমার মনে নেই। জনাব প্রতিবেদক, জনাব মুনতাসীর মামুনদের মতো লোকদের জিজ্ঞাসা না করে গ্রামগঞ্জের ৮০-৯০ বছরের বৃদ্ধকে জিজ্ঞাসা করে দেখতেন তারা কী বলে। নিয়াজীকে কবর থেকে তুলে একবার জিজ্ঞাসা করতেন নিয়াজী কী বলেন। এখন যদি আমার কোনো দোষ থাকে, পছন্দ না হয় সেগুলো নিয়ে আলোচনা করে দেখতে পারেন। আমার অতীত নিয়ে এত টানাটানি কেন? ওটা খুবই ঝকঝকে তকতকে। আমি গাঁজা ভাং খাই না, মতও বদলাই না। আমি যা করি আল্লাহকে হাজের নাজের জেনেই করি। যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করেছিলাম, কোনো মূল্য পাইনি। অপমান অপদস্থ ছাড়া দলকানারা কোনো সম্মান দেয়নি। কিন্তু জনসাধারণ সব সময় বিপদে আপদে বুকে তুলে নিয়েছেন। আজও রাস্তাঘাটে মানুষের আদর স্নেহ মায়া মমতায় ডুবে থাকি। চেষ্টা করে অর্জন করে দেখবেন কেমন লাগে। এত ক্ষেপেছেন কেন? আমি কি মিথ্যা বলেছি? যতকাল শান্তির ধর্ম ইসলাম থাকবে ততকাল ইসলামী দল, ইসলামী রাজনীতি থাকবে—এর জন্য বঙ্গবীর, বীর উত্তম ওইসব কাগুজে নাম কেন, জীবন দিতেও প্রস্তুত। দলিল দস্তাবেজ উপস্থাপন করে বঙ্গবীর, বীর উত্তম রাখতে হবে? এক পণ্ডিত বলেছেন ছাত্রদের পক্ষ থেকে তোফায়েল আহমেদ শেখ মুজিবকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি দিয়েছিলেন। ছাত্রদের পক্ষ থেকে হলে ছাত্রবন্ধু উপাধি দেয়া উচিত ছিল। বঙ্গের বন্ধু বঙ্গবন্ধু উপাধি দেয়ার কথা নয়। কিন্তু সে সময় টুঙ্গিপাড়ার শেখ লুত্ফর রহমানের ছেলে শেখ মুজিবুর রহমান জনগণের হৃদয়ে বন্ধু হিসেবেই ঠাঁই করে নিয়ে ছিলেন। তাই তোফায়েল আহমেদের কণ্ঠে উচ্চারিত ‘বঙ্গবন্ধু’ দেশের মানুষ সাদরে গ্রহণ করেছিল। তাই ’৬৯-এর মহানায়ক তোফায়েল আহমেদের কণ্ঠে উচ্চারিত বঙ্গবন্ধু শব্দের সঙ্গে সাড়ে সাত কোটি বাঙালি একাকার হয়ে গিয়েছিল। আমাকে বঙ্গবীর বলতে আপনাদের এখন বাজে, মুক্তিযুদ্ধের সময় এই অধম ছাড়া বাকি সবাই লেজ গুটিয়ে ভারতে পালিয়েছিল। আমাকে নিয়ে এত টানাহেঁচড়া কেন? মুক্তিযুদ্ধের সময়ের দশটা মানুষকে জিজ্ঞাসা করেন কাদের সিদ্দিকী কী? ঝড় এলে আল্লাহ আল্লাহ, ঝড় গেলে কিসের আল্লাহ—এসব ভালো না। মুক্তিযুদ্ধের সময় বঙ্গবীর বলে এলাকার জনগণ ডাকতেন। অনেকবার বাধা দিয়েছি। কিন্তু থামিয়ে রাখতে পারিনি, আস্তে আস্তে ছড়িয়ে পড়েছে। আমাকে বঙ্গবীর বলায় আমার নিজের কাছেই বিরক্ত লাগে, ছোট মনে হয়। আমার বাপ-মা’র দেয়া বজ্রের চেয়ে বঙ্গবীর নখের সমানও না। এ নিয়ে মারামারি কাটাকাটি করতে যাবো কেন? হাট-বাজার, মাঠঘাট দখলকারী, বিশ্বজিতের হত্যাকারীরা যদি নিয়ে নিতে চায় নিয়ে নেবে। জাতির প্রতি ত্যাগের জন্য তাদের মা বাবারা কৃতজ্ঞতার নিদর্শন হিসেবে ‘বঙ্গবীর’ বলে ডাকতেন, অকৃতজ্ঞরা যদি না ডাকে আমার কী করার আছে। তবে দলকানা পণ্ডিতদের বলি, বঙ্গবন্ধু জাতির পিতা, সারা পৃথিবী খুঁজে কোনো লেখাজোখা দেখাতে পারবেন না। কোনো পণ্ডিতদের মুরোদ হবে না। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের লাইব্রেরি ৩ বছর খোঁজাখুঁজি করেছি, বাড়িতে কত বই ঘেঁটে দেখেছি, বঙ্গবন্ধু জাতির পিতা তার দলিল কোথাও পাইনি। অযথা করকর করে অন্যের চরিত্র হননে লাভ কী? ১৯৭৫ সালে যেদিন কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ গঠন করা হয়েছিল, বঙ্গবন্ধুকে প্রধানমন্ত্রী থেকে রাষ্ট্রপতি করা হয়েছিল, সেখানে লেখা আছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্রপতি হইবেন। এছাড়া সরকারি কোনো কাগজে জাতির পিতা লেখা নেই। বক্তৃতায় আছে, বিবৃতিতে আছে, সেখানেও ব্যাখ্যা করা হয়নি, টুঙ্গিপাড়ার শেখ লুত্ফর রহমানের ছেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কবে কোথায় কিভাবে জাতির পিতা হয়েছিলেন। আর যদি তাকে বাঙালি জাতির পিতা বুঝায় তাহলে সেটাও ভুল। বঙ্গবন্ধু কখনও বাঙালি জাতির পিতা নন, তিনি বাংলাদেশের পিতা। বাঙালি জাতির জন্ম অনেক আগে। প্রকৃত অর্থে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের জনক।
শাহবাগে তারুণ্য জেগেছিল বেশ কিছুদিন। মনটা আনন্দে ফুরফুর করছিল। চিমটি কাটলেও যারা ব্যথা পায় না তাদের অন্তত শাহবাগ জাগিয়েছিল। কিন্তু ষড়যন্ত্র আর ষড়যন্ত্র, ষড়যন্ত্রের যেন শেষ নেই। ছেলেবেলায় গ্রামগঞ্জে মরা গরু-ছাগলের চামড়া নিতে কসাই দেখতাম। চামড়া ছাড়াতে বড় তাড়াহুড়া করতো তারা। প্রথম বুঝতাম না। বড় হয়ে বুঝলাম বড় বিচিত্র নিয়ম। যেখানে মরা গরু-ছাগল ফেলা হয় সেই ক্ষেতের সীমানায় থাকলে সেটা সবার সম্পদ। চামড়া ছুলে সীমানা পার হলেই আর কেউ ভাগ পায় না। তাই মরা গরু, ছাগল, ভেড়া, মহিষের চামড়া ছুলতে কসাইদের দারুণ তাড়াহুড়া। কারণ, একেবারে শেষ মুহূর্তেও কেউ যদি শরিক হতে নাও পারে, ছুটে এসে দূর থেকে ছুরি ঢিল মারলে সেই ছুরি যদি সীমানায় পড়ে তাহলেই অর্ধেক ভাগ। রাজনৈতিক সব সংগ্রাম আন্দোলনকে প্রায় এভাবেই সবাই নিজের দিকে টানতে চায়। আমি পারলে আমিও করতাম। বিষয়টা সুস্থভাবে হলে খুব একটা দোষের নয়। কিন্তু যখন ভীষণ অসুস্থভাবে হয় তখনই দোষের হয়। কতটা দিন শাহবাগে একনাগাড়ে উচ্চারিত হলো ধর্মীয় দল নিষিদ্ধ করো। ধর্মীয় রাজনীতি করা চলবে না। জামায়াত ইসলাম নিষিদ্ধ করতে হবে। জামায়াত ইসলাম আর আল্লাহর ইসলাম এক নয় তা-ই আমি স্পষ্ট করেছিলাম। আজ কত সুন্দরভাবে বলা হচ্ছে, ধর্মের বিরুদ্ধে শাহবাগের আন্দোলন নয়। আমিও তো তা-ই বলেছি। কত ভালো কথা। ব্লগার রাজীব খুন হয়েছিল মিরপুরে। তার লাশ এনে অজু ছাড়া হিন্দু মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান নারী-পুরুষ চারদিক ঘেরাও করে চার তকবিরের জানাজা মশকারি করে তিন তকবিরে আদায় করল। আবার স্লোগান দিতে দিতে শান্ত নামে এক আন্দোলনকারী শাহবাগেই মারা গেছে। তার জানাজা কিন্তু শাহবাগে হয়নি, হয়েছে মসজিদে। খুবই ভালো কথা। আমি তো এটাই চেয়েছি। আন্দোলনের জায়গায় আন্দোলন, নামাজের জায়গায় নামাজ হলেই তার কোনো বিরোধ থাকে না। আমি শুধু বলতে চেয়েছি, মক্কার কাবা ছাড়া আর কোথাও চারপাশে মুসলমানের এবাদত চলে না। শাহবাগে রাজীবের জানাজা পড়া কি ধর্মসিদ্ধ হয়েছে? কতটা দিন ফাঁসি-ফাঁসি-ফাঁসি চাই, রাজাকারের ফাঁসি চাই শুনে শুনে মাত্র এক দুইটা রাজাকারের নাম বলেছি। তাতেই আমার নামে মামলা। এখন জেলের হাত থেকে আমাকে বাঁচাবে কে? ১৪০ টাকা বেতনের রাজাকারের যদি ফাঁসি হয়, হাজার হাজার রাজাকার-আলবদর-আলশামস-দালাল শান্তি কমিটি যারা বানিয়েছে, নিয়ন্ত্রণ করেছে, তাদের কি কিছুই হবে না? বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীরের ১৯৪২ সালের পহেলা মার্চে জন্ম। ১৯৬৫ সালে সিএসপি হিসেবে সিনিয়রিটি পে-সার্ভিস, পহেলা জুলাই ১৯৭০ সিনিয়র স্কেল পেয়েছেন। ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়া পর্যন্ত নিরন্তর পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসে ডিসির চাকরি করে পাকিস্তানি খুনিদের সহায়তা করেছেন। তারপরও আওয়ামীপন্থীরা বলছে মুক্তিযুদ্ধে সাহায্য করেছে। এখন নিয়াজী-টিক্কারা যদি বলে আমরাও মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করেছি, তাদের কথা খণ্ডাবো কী করে? বড় সমস্যায় আছি। ১৮ দলীয় জোটনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এত চাপের মাঝেও জামায়াতকে তার জোট থেকে বের করেননি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক সময় বেগম খালেদা জিয়া সরকারের পতন ঘটাতে জামায়াতে ইসলামীকে সঙ্গে নিয়েছিলেন। জামায়াত নেতাদের সঙ্গে প্রেস কনফারেন্সের এবং অন্যান্য সময়ের শত শত হাজার হাজার ছবি আছে। এক সময় বদরুল হায়দার চৌধুরীকে রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী করে আওয়ামী লীগ গোলাম আযমের কাছে দোয়া চাইতে গিয়েছিল। তার শত সহস্র প্রমাণ আছে। তারা কেউ রাজাকার হলো না? আজ পর্যন্ত কোনোদিন জামায়াতের নেতারা থাকলে কোনো সভায় গেলাম না। জেল থেকে বেরিয়ে ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী শুকরিয়া মিলাদে একবার সুগন্ধায় গিয়েছিলাম। সেখানে হয়তো আয়োজকরা বুদ্ধি করেই জনাব নিজামীকে আমার পাশে বসিয়েছিল। মিলাদ শেষে আমার দিকে হাত বাড়ালে আমি কোনো সাড়া দেইনি। আমার জানুতে তিনি হাত রেখেছিলেন। জাতীয় পত্রপত্রিকায় সেই ছবিও এসেছিল। এ নিয়ে আমাকে কত গালাগাল করা হয়েছিল। মা-বাবা নেই, পিতাসম বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকী আচ্ছারকম গালাগাল করে নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছিলেন। দু’-একবার ভেবেছি জনাব নিজামীকে পাশে বসানোর পরেও কেন বসেছিলাম। সেদিন আমি কোনো ভুল করিনি তো। আবার মনে হয়েছে, প্রতারণা করলে প্রতারকরা করেছে। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী শুকরিয়া আদায়ে আমি সেখানে গেছি খোলা মন নিয়ে। আল্লাহই আমাকে রক্ষা করবেন। শাহবাগ চত্বরের দুই নেত্রীর প্রতি কোনো অভিযোগ নেই। যতকাল ইসলাম থাকবে ততকাল ইসলামী রাজনীতি থাকবে—একথা বলায় আমি নব্য রাজাকার হলাম। রাজাকারদের প্রতিষ্ঠান, জামায়াতিদের প্রতিষ্ঠান দিগন্ত টেলিভিশনে কেন অংশ নিই সেজন্য নব্য রাজাকার হলাম। তবে কি দু’দিন পরে বলা হবে আমি যে হানাদারদের অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধ করেছি তাহলে কি হানাদার হবো? উত্তর খুঁজে পাই না। এ ক’দিন যখন একের পর এক ধর্মভিত্তিক দল বাতিল করো, বাতিল করো, ইসলামী দল বাতিল করো স্লোগান হচ্ছিল, তখন অনেকেই ইঁদুরের গর্তে লুকিয়ে ছিল। কমবেশি সবকিছুরই শেখার প্রয়োজন আছে। দেশ পরিচালনা করবেন, ক্ষমতা দখল অথবা জয় করবেন, রাজনীতি শিখবেন না—তা কখনও হয়? গতকাল হরতাল না দিলে কী হতো? আজ তো বিক্ষোভ সমাবেশ দিয়েছেন, গতকালও তাই দিতেন। শহীদ মিনারে আপনাদের যেতে বলল কে? শহীদ মিনার ভাংচুর করে এদেশে কোনো জল্লাদ টিকেনি, আপনারাও টিকবেন না। হাতির রাজা আব্রা যেমনি আল্লাহর ঘর কাবা দখল করতে পারেনি, তেমনি বাঙালির শহীদ মিনারে কেউ হাত দিলে তা ঝলসে যাবে, কারও রক্ষা নেই। যুবকরা শাহবাগে প্রজন্ম মঞ্চ করেছে, আপনারা একটা আজন্ম মঞ্চ করুন। কে আপনাদের বাধা দেয়। কিন্তু শুক্রবারে আপনারা কাজটা ভালো করেননি। সরকারের কথা বলবেন, সরকার তো ভালো না। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদাররা মসজিদ লক্ষ্য করে এভাবে গুলি ছোড়েনি। দু’-এক জায়গায় কামানের গোলা নিক্ষেপ করে আল্লাহর ঘরের ক্ষতি করার ফল তারা পেয়েছে। এ গুলি ছোড়ার ফলও তারা পাবে। কিন্তু সেজন্য একটু ধৈর্য ধরতে হবে। জাতির এই ক্রান্তিকালে অধৈর্য হলে আমরা আরও অন্ধকারে তলিয়ে যাবো। তাই আমি দলমত নির্বিশেষে সবার কাছে আহ্বান জানাই, আসুন না একমাত্র জামায়াত ছাড়া আর সবাই বসে আলাপ আলোচনা করে কোনো আলোর সন্ধান পাই কিনা। কোনো বাতি জ্বালাতে পারি কিনা চেষ্টা করি।আমার দেশ থেকে নেওয়া

কোন মন্তব্য নেই :

মাহমুদুর রহমান বর্তমানের সব চেয়ে সাহসি কলম যুদ্ধা-ব্লগার_সৈয়দ রুবেল

কোন মন্তব্য নেই


চ্রটগ্রামে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন যারা ধর্ম কে অবমাননা করে ও  এই সব যারা পত্রিকায়
প্রকাশ করে তারা সমান অপরাধী।
 প্রধান মন্ত্রী আপনার কাছে আমার প্রশ্ন হল যারা ইসলাম কে অবমাননা করলো?
আর এই সব আমার দেশ পত্রিকাতে প্রকাশ করার দ্বায়ে  আমার দেশ পত্রিকার
সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে ৫ টি মামলা করতে পারলেন?
অথচ যারা ইসলাম কে অবমাননা করলো?
তাদের বিরুদ্ধে ১ টি ও মামলা করলেন না?
এর কারন কি?
এর জবাব চায়?
ক্ষমতার বড়াই করে বেশি দিন টিকতে পারবেন না ।
আপনার ক্ষমতার মেয়াদ বাংলার আম জনতা ৫ বছরের জন্যই দিয়েছে।
এর বেশি নয়?
আজ যদি সত্য প্রকাশ করার দ্বায়ে আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর গ্রেফতার করে
নির্যাতন করেন?
তা হলে আমরা বুঝে নিবো আপনি ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতেছেন।
 কারন দোষ আপনারই।
গনমাধ্যমের কাজ হলো মানুষদের অজানা বিষয় গুলো জানানোর।
যে দিন আমার দেশ এই সব প্রকাশ করলো?
তখন আপনি কেনো বললেন না যারা ধর্ম কে অবমাননা করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্হা নিচ্ছি।
তা হলেই তো দেশে এই রকমের গণ্ডগোল হতো না।
ইসলাম অবমাননা কারীদের বিরুদ্ধে  যারা বিক্ষোভ করলো ?
আপনি কেনো তাদের উপর নির্বিচারে গুলি চালালেন?
কেনো তাদের গণতন্ত্র অধিকার কেড়ে নিলেন?
আপনি যাদের কে গুলি করে হত্যা করতেছেন তারা কি মানুষ নয়?
এখানে কি মানবতা লঙ্গন হয়না?
আজ যাদের কে আপনি পাখির মতো গুলি করে  মারতেছেন?
তারাও তো আপনার জাতি ভাই।

এই কেমন স্বাধীন দেশ?
যে দেশ অন্যের কথার বলার মুখ বন্ধ করে দিতে চায়?

সব গনমাধ্যম এক সুরে কথা বলতে হবে এটা স্বাধীন দেশে আপনি ভাবেন কি করে?

প্রধান মন্ত্রী আপনি তো বলেন আমরা গন মাধ্যমের স্বাধীনতার বিশ্বাসী।
তা হলে সত্য প্রকাশের দ্বায়ে যে সব গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে আপনি মামলা হামলা করতেছে?
তা হলে কি করে গণমাধ্যমের স্বাধীনত রক্ষা হয়?
আমার এই ছোট্র মাথায় বুঝে আসেনা।

আপনার প্রতি অনুরোধ রইলো দয়া করে বাকশালি পথ পরিহার করে  নিজেও শান্তিতে থাকুন,
দেশের মানুষ কে শান্তিতে থাকতে দিন।

আমি মাহমুদুর রহমান স্যার কে বলবো সত্য প্রকাশ করতে অন্যরা পিছু হটলেও
আপনি হটেননি।
দেশের অধিকাংশ মিডিয়া যে সরকারে পা চাটা গোলাম হয়ে গেছে সেটা আজ বাংলার
মানুষ ঠিকি বুঝতেছে।
আর সত্যের পথেই বিষাক্ত কাটা থাকে।
আর বিষাক্ত কাটার উপর দিয়ে হাঁটলে তো কাটা পায়ে বিধবে এটাই স্বাভাবিক ।

স্যার আপনি যেখানেই থাকুন, ভালো থাকুন এই দোয়াই মহান আল্লাহর দরবারে
ব্লগার_সৈয়দ রুবেল 
এর পর পড়ুন   সরকারের মুখোশ খুলে দিয়েছেন মাহমুদুর রহমান।

Mahmudur Rahman - মাহমুদুর রহমান   স্যারের fb পেইজ।

ব্লগারের সাথে ফেসবুকে যোগাযোগ করুণ

পোস্ট টি সবার সাথে শেয়ার করুণ।

কোন মন্তব্য নেই :

সরকারের মুখোশ খুলে দিয়েছেন মাহমুদুর রহমান।

1 টি মন্তব্য

গত শুক্রবারে বাংলার মুসলমানেরা কি দেখতে পেলো?
যারা ইসলামকে অবমাননা করে,
রাসুল (সাঃ) কে অশালীন কুরুচিপূর্ণ ভাষায় গালিগালাজ করে?
তাদের শাস্তির দাবিতে দেশের ধর্ম প্রাণ মুসলিমরা  যখন রাস্তায় বিক্ষোভ করতে ছিলো?
তখন পুলিশ নির্বিচারে নিরহ মুসলিমদের উপর বৃষ্টির মতো গুলি,টিয়ার সেল,রাবার বুলেট নিক্ষেপ করতে থাকে।

গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় ৫ জন নিরিহ মুসলিম।

এই ঘটনা থেকে বুঝা যায় সরকার নিজেই নাস্তিকদের কে ইসলামের পিছনে লেলিয়ে দিয়েছে।

নাস্তিকদের এই সব কুরুচিপূর্ণ লেখা যখন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান দেশের
মানুষদের কাছে প্রকাশ করলো ?
সরকারের দুরযাপ শুরু হয়ে গেলো।
নাস্তিকদের ব্লগে ও ওয়েব সাইটে আল্লাহ ও নবী (সাঃ) এবং ইসলাম ধর্ম নিয়ে নোংরা পোস্ট প্রকাশ
করার দ্বায়ে আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান এর বিরুদ্ধে আজ ৪ টি মামলা করলো সরকার।
অথচ যারা ইসলাম কে অবমাননা করেছে?
নবী (সাঃ) কে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করেছে তাদের বিরুদ্ধে ১ টি মামলাও করা হয়নি।
এবং তাদের কাউ কে গ্রেফতার পর্যন্ত করা হয়নি।
আজ প্রকাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

আর সরকার মুখ দিয়ে বড় বড় লেকচার দিয়ে যাচ্ছে।
যারা ইসলাম ধর্ম কে অবমাননা করবে তাদের কে ছাড় দেওয়া হবেনা।
কিন্তু আমরা কি দেখতে পাচ্ছি?
সরকার যদি আগে থেকে ইসলাম অবমাননা কারিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতো ?
তাহলে আজ দেশে এই রকম অবস্থা হতো না।

তাতে কি বুঝা যায় না সরকার এর সাথে সরাসরি জড়িত?

নয়লে সরকারের কিসের বাধা তাদের কে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে?
নাকি তাদের কে গ্রেফতার করলে সরকারের মুখোশ খুলে যাবে?
কোনটা ?

আজ মাহমুদুর রহমানের উপর সরকারের এতো জুলুম নির্যাতন কেনো?
কেনো পত্রিকাটিতে বিজ্ঞাপন দিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে?
কেনো পত্রিকা বিক্রয় করতে বাধা নিষেধ দেওয়া হচ্ছে?
সত্য কথা প্রকাশ করে দেয় বলে?

আমার হাসি পায় তখন যখন দেখি  এতো বাধা নিষেধ থাকার পরও ১২ টাকার পত্রিকা ৫০ টাকায়
বিক্রয় হয়।

আমাকে যে প্রতিদিন পত্রিকা দেয় তাকে বললাম মানব জমিন এর সাথে আমার দেশ দিতে।
তখন সে আমাকে বললো আমার দেশ ৫০ টাকা দিয়েও কিনতে পারতেছেনা।

কথায় আছে রাখে আল্লাহ মারে কে?

আমি সরকারকে বলে দিতে চায়,
তুমি সরকার তাদের কে যদি বিচার  না করো?
তা হলে বাংলার কোটি ধর্মপ্রাণ মুসলিম তোমাকে ক্ষমা করবেনা।
ফেরাউনের চেয়েও বেশি তোমাকে ঘৃণা করবে।

হে বাংলার মুসলমান আজ তুমি চেয়ে দেখো ভোট দিয়ে কাকে ক্ষমতায় বসিয়েছো?
যারা তাদের বিরুদ্ধে কথা বলে সে পৃথিবীর যে কোনো  জায়গাতে থাকুক না কেনো
ধরে এনে বিচার করতে পারে।
কিন্তু যারা এই দেশে থেকেই ইসলাম কে অবমাননা করে তাদের বিচার করে না।

হে বাংলার মুসলমান আজ তুমি চেয়ে দেখো ভোট দিয়ে কাকে ক্ষমতায় বসিয়েছো?
যারা তাদের বিরুদ্ধে কথা বলে সেটা তাদের গায়ে আগুনের মতো লাগে।

কিন্তু যারা ইসলাম ও মহা নবী (সাঃ) কে নিয়ে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করে
সেটা তাদের গায়ে লাগে না ।

তুমি মুসলমান একটি কথা ভালো করে জেনে রাখো?
যারা নবীজি (সাঃ) কে নিজের জীবনের চেয়ে বেশি ভালোবাসবেনা?
তারা কখনো মুমিন হতে পারে না।
যারা নবীজি (সাঃ) কে নিজের জীবনের চেয়ে বেশি ভালবাসবেনা?
তাদের জান্নাতে যাওয়ার কোনো অধিকার নাই।
বিশ্বাস যদি না করো তা হলে মরে দেখো?
হারে হারে টের পাবা।

আমি নাস্তিক ভাইদের কে বলতেছি,
আপনারা ধর্ম মানেন না সেটা আপনার ব্যক্তিগত ব্যপার।
কিন্তু আপনি অন্য ধর্মকে আঘাত করে কথা বলতে পারেন না।
অন্য ধর্মের বিরুদ্ধে  কথা বলার অধিকার আপনার নেই।

আমি মুসলিম ভাই বোনদের কে বলতেছি,
 নাস্তিকেরা আপনাকে যতই গালিগালাজ করুক,
আপনি তাদের কে গালিগালাজ করবেন না।
কারন পাগলা কুকুর যদি আপনার পায়ে কামড় দেয়?
তা হলে আপনি ও কি পাগলা কুত্তার পায়ে কামড় দিবেন?

আর নাস্তিকেরা তো কুত্তার চেয়ে ও নির্কৃষ্ট।

 হাজারো সালাম জানাই মাহমুদুর রহমান  স্যারকে।

ইসলামের পক্ষে একাই লড়ে যাওয়ার জন্য।
স্যার দুঃখ পাবেন না,
নিরাশ হবেন না,
সত্যের বিজয় হবেই।
কারন সত্যের পক্ষে মহান আল্লাহ আছেন এবং থাকবেন।

Mahmudur Rahman - মাহমুদুর রহমান   স্যারের fb পেইজ।

ব্লগারের সাথে ফেসবুকে যোগাযোগ করুণ

পোস্ট টি সবার সাথে শেয়ার করুণ।
হারবাল চিকিৎসার আড়ালে রমরমা সেক্স বাণিজ্য
কোন মন্তব্য নেই
মামুনুর রশীদ: রাজধানীর হোটেলে পুলিশের হয়রানি। ফ্ল্যাট বাড়িতে স্থানীয় হোমরা চোমরা ও মাস্তানদের উৎপাত। তাদের বখরা না দিয়ে নিস্তার মেলে না। তাই বাধ্য হয়েই হোম সার্ভিসে জড়িয়ে গেছি। খদ্দেরের কল পেলে বাসায় যাই। একথা রাজধানীর এক যৌনকর্মীর। এক আবাসিক হোটেলে নিয়মিত যাতায়াত ছিল তার। কিন্তু সেখানে কমিশন দিয়েও রেহাই ছিল না, তাদের অন্যান্য চাহিদায় সাড়া দিতে হতো। এ অবস্থায় বাধ্য হয়েই তাকে বেছে নিতে হয়েছে হোম সার্ভিস। এভাবে অসংখ্য যৌনকর্মী নানাভাবে তাদের পেশাকে বিস্তৃত করেছে এখন। হোটেল আর রাজপথ পেরিয়ে তারা যুক্ত হয়েছে হোম সার্ভিসে। তাদের এ পেশার নেপথ্যে রয়েছে শক্তিশালী দালাল চক্র। এরা প্রকাশ্যে চলার পথে হাত বাড়িয়ে পথিকদের হাতে ধরিয়ে দেয় তাদের ভিজিটিং কার্ড। রাজধানীর বিভিন্ন্ন মার্কেট, বাসস্ট্যান্ড, বাজার, অলিগলি ও অফিস-আদালতের সামনে দালালরা এসব কার্ড বিলি করে। যে কোন প্রয়োজনে ফোন দেয়ার আহ্বান জানিয়ে মুহূর্তেই জনতার ভিড়ে অদৃশ্য হয়ে যায় তারা। যৌনকর্মীরা জানায়, আবাসিক হোটেলের ম্যানেজার ও বয়-বেয়ারা নির্দিষ্ট কমিশনের ভিত্তিতে খদ্দের যোগাড় করে দেয় তাদের। অনেক পেশাদার যৌনকর্মী অবশ্য নিজেরাই কার্ড বিলি করে। এসব কার্ডে সাধারণত মধ্যস্থতাকারীর মোবাইল নম্বর থাকে। পার্ক, ওভারব্রিজ এলাকায় তাদের তৎপরতা বেশি। আরেক কৌশল- হারবাল চিকিৎসার নামে ভিজিটিং কার্ড বিতরণ। ফার্মগেট, শাহবাগ, কাকরাইল, মালিবাগ, মতিঝিল, সায়েদাবাদ, গাবতলী এলাকায় এ তৎপরতা বেশি। ব্যস্ততম গাড়িতে ছুড়ে দেয়া হয় যৌন চিকিৎসার নামের হ্যান্ড বিল। ওই সব চিকিৎসার আড়ালে চলে যৌন ব্যবসা। রাজধানীর আবাসিক হোটেলের সামনে প্রতিদিন অবস্থান করে দালাল চক্র। টার্গেট করা পথচারীকে তারা ডাকে মামা বলে। কাছে এলেই ধরিয়ে দেয় ভিজিটিং কার্ড। বলে, মামা যেমন বয়সের দরকার সব ব্যবস্থা আছে। জায়গার সমস্যা হলে বলবেন। তবে রেটটা বাড়িয়ে দিতে হবে। যৌনকর্মীরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তাদের পরিচিত মানুষের মাধ্যমে বাসায় খদ্দের পেয়ে থাকে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার ফ্ল্যাট বাসায় ভিআইপি  যৌন ব্যবসা নতুন কিছু নয়। বিশেষ করে মহাখালী ডিওএইচএস, গুলশান, বনানী লালমাটিয়া, দিলু রোড, ইস্কাটন রোড, সেন্ট্রাল রোড,  মোহম্মদপুর, রামপুরা, শান্তিনগর, উত্তরা, কাকলী, কালাচাঁদপুর এলাকায় এ ব্যবসা চলছে বলে জানায় এক যৌনকর্মী। তবে ভিআইপি এলাকায় যৌন ব্যবসা পরিচালিত হয় বিশেষ গোপনীয়তায়। সেখানে যাতায়াত করে বিশেষ ধরনের খদ্দের। মালিবাগের এক ভ্রাম্যমাণ যৌনকর্মী জানায়, ঢাকা শহরের দু’-একটা স্থান ছাড়া সব জায়গাতেই এ ব্যবসা চলছে। মোবাইল ফোন ও ভিজিটিং কার্ডের মাধ্যমে এ ব্যবসার গতি বৃদ্ধি পেয়েছে। পেটের দায়ে যে যৌনকর্মীরা রাস্তায় নেমেছে পুলিশের হাতে প্রতিনিয়ত নির্যাতিত হতে হয় তাদের। কিনু্ত ভিআইপি এলাকায় পুলিশকে সালাম দিয়েই ঢুকে যায় তারা। পথচারী আলাল মিয়া জানান, তার হাতে একটি কার্ড পড়েছিল। কল করলে একজন পুরুষ রিসিভ করে। বিনয়ের সঙ্গে জানায়, আপনার ফোনের অপেক্ষায় আছেন ঢাকার বিভিন্ন কলেজ, ইউনিভারসিটির ছাত্রী ও মধ্য বয়সের মহিলা যৌনকর্মী। বলুন কি সেবা করতে পারি স্যার? তার মতে, আজকাল সংসারে অশান্তি, স্বামী বিদেশে বা স্বামীর কর্মস্থল ঢাকার বাইরে- এ ধরনের অনেক মহিলা হোম সার্ভিসে যোগ দিয়েছেন।
ভিজিটিং কার্ডের নম্বরধারীরা সাধারণত চারটি ভাগে রাজধানীতে যৌনকর্মী সরবরাহ করে। প্রথমত- যৌনকর্মীকে ভিজিটরের বাসার ঠিকানায় পৌঁছে দেয়া, দ্বিতীয়ত- যৌনকর্মী ও ফ্ল্যাট ভিজিটরকে নিরাপদে নিয়ে আসা, তৃতীয়ত- হোটেল কক্ষে যৌন মিলনে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা এবং চতুর্থ প্রাইভেট পরিবহন ও পার্ক। বিশেষ শ্রেণীর যৌনকর্মীরা নিজের ফ্ল্যাট বাসা-বাড়িতে খদ্দেরকে আপ্যায়ন করে ।
একটি সূত্র জানায়, কেবল টাকার জন্য নয়- নিজেদের মনোরঞ্জনের জন্যও অনেক মহিলা এ কাজে নেমেছে। তবে এ সংখ্যা খুব কম। এমনও যৌনকর্মী আছে যাদের সন্তান বড়- স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করে। সূত্র মতে, আবাসিক হোটেলের প্রায় ২ থেকে ৩শ’ ভিজিটিং কার্ডধারী যুবক এখন যৌনকর্মীদের মধ্যস্থতাকারীর কাজে লিপ্ত। ভিজিটিং কার্ডের আয় থেকে চলছে তাদের সংসার।
কাওরান বাজারের এক হোটেল বয় জানায়, আজকাল ভদ্র ঘরের মেয়েরাও যৌন ব্যবসার প্রতি ঝুঁকে পড়েছে। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা নেমেছে এ পেশায়। তারা বড় বড় হোটেলে যায়। তাদের কন্টাক্ট নম্বর কেবল হোটেলে পাওয়া যায়।  ডিওএইচএস-এর এক যৌনকর্মী সম্পর্কে সে জানায়, দূরের জেলায় ব্যবসা করে। নিঃসন্তান। প্রতি শুক্রবার স্বামী ঢাকায় ফেরে। ওই মহিলা সপ্তাহে তিন দিন আমাদের মাধ্যমে বাসায় খদ্দের নেয়। ভিজিটের অর্ধেক টাকা দিয়ে দেয়। বনানীর এক যৌনকর্মীর স্বামী সরকারি কর্মকর্তা। সে ১ সন্তানের মা। টাকার জন্য এ পেশায় এসেছে। সূত্র খুব বিরক্তি প্রকাশ করে বলে, সে একেবারে হাড়কিপ্টে। জিজ্ঞেস করা হয়, মহিলার আয় কত? সপ্তাহে ২৫ হাজার টাকা। আর সে কমিশন পায় ৫ হাজার টাকা। জানতে চাওয়া হয় কতদিন ধরে মহিলা এ কাজে লিপ্ত? উত্তরে জানায়- ৪ মাস। পরিচয় কিভাবে? হঠাৎ একদিন হোটেলের সামনে তার প্রাইভেট কার নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। আরেক সূত্র জানায়, হোটেলে শুধু পতিতা মেয়েরা আসে না। কেউ আসে পতিতা সেজে। খদ্দের দেখে পছন্দ হলে বাসায় নিয়ে যায়। বিনিময়ে আমাদের কিছু টাকা ধরিয়ে দেয়। তার মতে এরা পতিতা নয়। স্বামীর অসঙ্গতি, সংসারে ঝামেলা ও বিভিন্ন মানসিক কষ্টের কারণে এ কাজে তারা ঝুঁকে পড়েছে। জানতে চাওয়া হয়, এই ধরনের মহিলাদের সংখ্যা? সে বলে তার হাতে আছে ২৩ জন। প্রতিদিন পালাক্রমে তাদের খদ্দের পাঠাতে হয়। এরা ‘ভাবী’ নামে পরিচিত। এই ‘ভাবী’দের ভিজিট কেমন? ঘণ্টা প্রতি ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা। তবে সুদর্শন পুরুষ তাদের বেশি পছন্দের। তাদের জন্য ডিসকাউন্ট আছে। এ সূত্রটির মাসিক আয় ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা।
এক যৌনকর্মী জানায়, সে ঢাকায় এসেছে স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটিয়ে। প্রতিবেশী ভাবীর সঙ্গে পরিচয়ের পর তার উৎসাহে এ পেশায় এসেছে। অল্প দিনেই তার শতাধিক খদ্দের জুটেছে। এক ডাকে সবাই তাকে চেনে। পুলিশ তার জন্য কোন সমস্যা নয় বলে জানায়।
মূল খবর এখানে

কোন মন্তব্য নেই :

গর্ভের ভিতরে সন্তান থাকে কিভাবে?

কোন মন্তব্য নেই

চার মাস পূর্ণ হলেই গর্ভে সন্তানের ভিতর রূহ বা প্রাণ সঞ্চার হয়।
সন্তানের নাভির সঙ্গে মায়ের ফুলের সঙ্গে পাইপের এক ধরনের নাড়ী থাকে।
সেই নাড়ী দিয়েই সন্তান আল্লাহ পাকের হুকুমে তার প্রয়োজনীয় খাদ্য পাইতে
থাকে। এবং সন্তান বড় হতে থাকে।
মায়ের শরীরের রক্ত দিয়েই সন্তানের শরীর গঠন হয়।
নাড়ীর সাহায্য মায়ের শরীর হতে খাদ্যরস সন্তানের শরীরে প্রবেশ করে।
ইহাতে সন্তান পুরিপুষ্ট হয়ে উঠে।
এই ভাবে নয় মাস বা দশ মাস সন্তান তার মায়ের গর্ভে থাকে।
মায়ের খাদ্যদ্রব্যদের সার অংশ গুলো শরীরের সাথে মিশে যায় আর অবশিষ্ট গুলো
পায়খানা প্রসাব হয়ে বের হয়ে যায়।
আল্লাহ পাক তার কুদরতের সাহায্য গর্ভের সন্তান কে মায়ের নাড়ীর সঙ্গে সংযুক্ত করে
মায়ের আহার্য দ্রব্যের সার পদার্থ গুলো খাওয়ান।
ইহা আল্লাহ পাকের শ্রেষ্ট কুদরতের মধ্যে একটি।
ইহা যদি না হতো তবে আল্লাহ পাকের কুদরত কিভাবে প্রকাশ পেত।
গর্ভে থলির মুখ বন্ধ থাকে আর সন্তানের মুখে এক ধরনের বিজল দ্বা্রা আটকানো থাকে আল্লাহ পাকের
ইচ্ছা সন্তান কে আরামে রাখবেন তাই সন্তানকে মুখে দিয়ে কিছু খেতে দেন না।
নাভির সাহায্য খাওয়ায়ে থাকেন।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ পাক বলেছেন-হুয়াল্লাযী ইউসাব্বিরুকুম ফী আরহামি কাইফা ইয়াশাউ।
অর্থঃধন্য সেই আল্লাহ পাক যিনি মায়ের গর্ভে যেমনি ইচ্ছা তেমনি তোমাদিগকে পয়দা করেন,
তার শক্তি সীমা নাই।

ইসলামের দৃষ্টিতে স্বামী-স্ত্রীর কর্তব্য ও মধুর মিলন বই থেকে নেওয়া।

ফেসবুক পেইজ এডমিনদের জন্য সর্তক বার্তা।

আপনারা যারা এই ব্লগের পোস্ট কপি করে নিজেদের পেইজে পোস্ট করেন?
পোস্ট করার সময় আমার ব্লগের নাম আপনার পেইজে উলেখ্য করে দিবেন।
তা না হলে মানুষ আপনাদের কে চোর মনে করবে।
-----------------------------------------------------------------
প্রিয় পাঠকঃপোস্টটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুণ।

ব্লগারের সাথে ফেসবুকে যোগাযোগ   করুণ
ফেসবুক ফ্যান পেইজ  দেখুন

এরপর পড়ুনঃ

স্বামী-স্ত্রী সহবাসের কিছু নিয়ম - কানুন।

স্ত্রী সহবাসের দোয়া।

 

নিষিদ্ধ সঙ্গমের দোষ

সহবাস নিষিদ্ধ হওয়ার কারন সমূহ?

 

স্বামী-স্ত্রী সহবাসের পরে কি করতে হয়?

 সঙ্গমের বিধি -নিষেধ।

উল্টা সঙ্গমের দোষ।

অতিরিক্ত সঙ্গমের ক্ষতি

    
   

কোন মন্তব্য নেই :

স্বামী-স্ত্রী সহবাসের কিছু নিয়ম - কানুন।

কোন মন্তব্য নেই


স্বামী স্ত্রী সহবাস করার সময় কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলতে হয়।
কিছু আপনাদের সামনে তুলে ধরা হলেও।
১। রাত্রি দ্বি-প্রহরের আগে সহবাস করবে না।
২। ফলবান গাছের নিচে স্ত্রী সহবাস করবে না।
৩। সহবাসের প্রথমে দোয়া পড়বেন।
 স্ত্রী সহবাসের দোয়া।
তারপর স্ত্রীকে আলিঙ্গন করবেন।
স্ত্রী যদি ইচ্ছা হয় তখন তাকে ভালো বাসা দিবে এবং আদর সোহাগ দিবে।
চুম্বন দিবে। তখন উভয়ের মনের  পূর্ণ আশা হবে সহবাস।
তখন বিসমিল্লাহ বলে শুরু করবেন।
৪।স্ত্রী সহবাস করার সময় নিজের স্ত্রীর রূপ দর্শন শরীর স্পর্শন ও
সহবাসের সুফলের প্রতি মনো নিবেশ করা ছাড়া অন্য কোনো সুন্দরি স্ত্রী লোকের
বা অন্য সুন্দরী বালিকার রুপের কল্পনা করিবে না।
তাহার সাহিত মিলন সুখের চিন্তা করবেন না। স্ত্রীর ও তাই করা উচিৎ।
৫। রবিবারে সহবাস করবেন না।
৬। স্ত্রীর হায়েজ-নেফাসের সময় উভয়ের অসুখের সময় সহবাস করবেন না।
৭। বুধবারের রাত্রে স্ত্রীর সহবাস করবেন না।
৮। চন্দ্র মাসের প্রথম এবং পনের তারিখ রাতে স্ত্রী সহবাস করবেন না।
৯। স্ত্রীর জরায়ু দিকে চেয়ে সহবাস করবেন না। ইহাতে চোখের জ্যোতি নষ্ট হয়ে যায়।
১০। বিদেশ যাওয়ার আগের রাতে স্ত্রী সহবাস করবেন না।
১১।সহবাসের সময় স্ত্রীর সহিত বেশি কথা বলবেন না।
১২।নাপাক শরীরে স্ত্রী সহবাস কবেন না।
১৩। উলঙ্গ হয়ে কাপড় ছাড়া অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করবেন না।
১৪। জোহরের নামাজের পরে স্ত্রী সহবাস করবেন না।
১৫। ভরা পেটে স্ত্রী সহবাস করবেন না।
১৬।উল্টাভাবে স্ত্রী সহবাস করবেন না।
১৭। স্বপ্নদোষের পর গোসল না করে স্ত্রী সহবাস করবেন না।
১৮।পূর্ব-পশ্চিম দিকে শুয়ে স্ত্রী সহবাস করবেন না।
*******************************************
ফেসবুক পেইজ এডমিনদের জন্য সর্তক বার্তা।

আপনারা যারা এই ব্লগের পোস্ট কপি করে নিজেদের পেইজে পোস্ট করেন?
পোস্ট করার সময় আমার ব্লগের নাম আপনার পেইজে উলেখ্য করে দিবেন।
তা না হলে মানুষ আপনাদের কে চোর মনে করবে।
-----------------------------------------------------------------
প্রিয় পাঠকঃপোস্টটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুণ।

ব্লগারের সাথে ফেসবুকে যোগাযোগ   করুণ
ফেসবুক ফ্যান পেইজ  দেখুন

এরপর পড়ুনঃ  

স্ত্রী সহবাসের দোয়া।

 

নিষিদ্ধ সঙ্গমের দোষ

সহবাস নিষিদ্ধ হওয়ার কারন সমূহ?

 

স্বামী-স্ত্রী সহবাসের পরে কি করতে হয়?

 সঙ্গমের বিধি -নিষেধ।

উল্টা সঙ্গমের দোষ।

অতিরিক্ত সঙ্গমের ক্ষতি

কোন মন্তব্য নেই :

স্ত্রী সহবাসের দোয়া।

1 টি মন্তব্য
স্ত্রী সহবাসের দোয়া।
উচ্চচারনঃবিসমিল্লাহি  জান্নিবিনা শাইত্বানা ওয়া জান্নিবিশ শাইত্বানা মা রাযাকতানা ।
অনুবাদঃহে আল্লাহ আমাকে শয়তান হতে বাঁচার এবং আমার জন্য যা হালাল করেছ তাহা
হইতে শয়তানকে বিতারিত করো।


এর পর পড়ুন 
 

নিষিদ্ধ সঙ্গমের দোষ

সহবাস নিষিদ্ধ হওয়ার কারন সমূহ?

 

স্বামী-স্ত্রী সহবাসের পরে কি করতে হয়?

 সঙ্গমের বিধি -নিষেধ।

উল্টা সঙ্গমের দোষ।

অতিরিক্ত সঙ্গমের ক্ষতি


নিষিদ্ধ সঙ্গমের দোষ

কোন মন্তব্য নেই
 জ্ঞানী ও হেকিমগন নিষিদ্ধ সঙ্গমের ফল সম্বন্ধে নিন্মোক্তরূপ বলিয়াছেন_
১/ রোগাক্রান্ত ব্যক্তি সঙ্গম করিলে রোগ আরও বৃ্দ্ধি হয় এবং শারীরিক ক্ষতিক হয়।

২/ চিন্তা, ক্রোধ, কষ্ট ও ভীত অবস্থায় স্ত্রী সঙ্গম করিলে দুরারোগ্য

ব্যাধিতে আক্রান্ত হয় এবং সেই কারনে পাগল হইতে পারে।

৩/জ্বরের অবস্থায় বা অত্যন্ত গরমের মধ্যে সঙ্গম করিলে হঠাৎ পাগল
হইয়া যাইতে পারে।

৪/অত্যন্ত ঠান্ডার ভিতরে সঙ্গম করিলে নিউমোনিয়া হইতে পারে।

৫/বৃদ্ধা ও বেশ্যার সহিত সঙ্গম করিলে আয়ু ক্ষয় হয়।

৬/নিকৃষ্ট স্ত্রীলোকের সহিত সঙ্গম করিলে কুসন্তান লাভ হয়।

৭/বৃদ্ধ বয়সে স্ত্রী সঙ্গম করিলে নিজেকে মৃত্যু্র দিকে টানিয়া আনা হয়।

৮/ হায়েজের অবস্থায় সঙ্গম করিলে স্বামী স্ত্রী উভয়েই প্রমেহ রোগে আক্রান্ত হয়।

৯/অত্যধিক পিপাসার পর পানি পান করিয়া স্ত্রী সঙ্গম করিলে অনিষ্টের আশস্কা আছে।

১০/ অন্ধকারাচ্ছান্ন, ক্ষুদ্র ও নোংরা জায়গায় সঙ্গম করিলে চিরতরে স্বাস্হ্য নষ্ট হয়।

১১/ ভরা পেটে সঙ্গম করিলে ভয়াবহ রোগ জম্নিয়া থাকে।

১২/  অত্যন্ত ক্ষুধার সময় স্ত্রী সঙ্গম করিলে জননেন্দ্রিয় শিথিল হইয়া যায়।

১৩/ অত্যন্ত পিপাসার সময় স্ত্রী সঙ্গম করিলে থাইসিস রোগ হইতে পারে।                      
আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুণ।
ব্লগারের সাথে ফেসবুকে যোগাযোগ   করুণ
ফেসবুক ফ্যান পেইজ


এর পর পড়ুন 
 

সহবাস নিষিদ্ধ হওয়ার কারন সমূহ?

 

স্বামী-স্ত্রী সহবাসের পরে কি করতে হয়?

 সঙ্গমের বিধি -নিষেধ।

উল্টা সঙ্গমের দোষ।

অতিরিক্ত সঙ্গমের ক্ষতি

কোন মন্তব্য নেই :

সহবাস নিষিদ্ধ হওয়ার কারন সমূহ?

কোন মন্তব্য নেই

নিষিদ্ধ সময়ে স্ত্রী সহবাস করা খুবই খারাপ কাজ।
জ্ঞানীরা বলেনঃনিষিদ্ধ সময়ে স্ত্রী সহবাস শরীরের এবং মনের অনেক ক্ষতি সাধন করে থাকে।
তার মধ্যে ১২ টি বিষয় আপনাদের সামনে তুলে ধরা হলঃ
১) রোগী ব্যক্তি সহবাস করিলে তার রোগ আরো বেড়ে যায় এবং শরীরের ক্ষতি হয়।
২) শরীরে জ্বর নিয়ে স্ত্রী সহবাস পাগল হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা আছে।
৩) বৃদ্ধা ও বারবনিতার সঙ্গে সহবাস করলে আয়ু কমে যায়।
৪) বেশি গরমে মধ্যে স্ত্রী সহবাস করিলে পাগল হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে।
৫) রাগ, চিন্তা, কষ্ট ও ভয়জনিত অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করলে কঠিন রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা থাকে।
৬) বেশি ঠাণ্ডার ভিতরে সহবাস করলে নিউমোনিয়া রোগ হতে পারে।
৭) হায়েজের অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করলে স্বামী স্ত্রী দুই জনেই মেহ প্রমেহ রোগ হতে পারে।
৮)নিকৃষ্ট স্ত্রী সাথে করলে  নিকৃষ্ট সন্তান জম্ম লাভ করে।
৯) ভরা পেটে স্ত্রী সহবাস করলে কঠিন রোগ হওয়ার সম্ভবনা আছে।
১০) অন্ধকার ঘরে ক্ষুদ্র বা নোংড়া জায়গায় স্ত্রী সহবাস করলে চিরতরে স্বাস্হ্য নষ্ট হয়ে যায়
১১) ভীষণ ক্ষুধার সময় স্ত্রী সহবাস করিলে লিঙ্গ শিথিল হয়ে যায়।
১২) বৃ্দ্ধ বয়সে স্ত্রী সহবাস করলে নিজেকে মৃত্যুর  দিকে দ্রুত     এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুণ।
ব্লগারের সাথে ফেসবুকে যোগাযোগ   করুণ
ফেসবুক ফ্যান পেইজ
এর পর পড়ুন 

স্বামী-স্ত্রী সহবাসের পরে কি করতে হয়?

 সঙ্গমের বিধি -নিষেধ।

উল্টা সঙ্গমের দোষ।

অতিরিক্ত সঙ্গমের ক্ষতি

কোন মন্তব্য নেই :

স্বামী-স্ত্রী সহবাসের পরে কি করতে হয়?

কোন মন্তব্য নেই


স্বামী-স্ত্রী সহবাসে উভয়ের বীর্য বাহির হওয়ার পর কিছু সময় নড়াচড়া না করে মিলিত অবস্থায়
থাকতে হবে।
অর্থাৎ স্ত্রী নীচে এবং স্বামী উপরে থাকবে।
তাতে বীর্য জরায়ুতে ঠিক মত প্রবেশ করিতে সুবিধা হয়।
তা না হলে বীর্য বাহিরে পড়ে যেতে পারে।
আর বীর্য বাহিরে পড়লে গর্ভ সঞ্চার হয় না।
সহবাসের পর হালকা গরম পানি দিয়ে স্বামী স্ত্রীর দুই জনের যৌনাঙ্গ ধুয়ে ফেলতে হয়।
ঠাণ্ডা পানিতে ধোয়া উচিৎ নয়?
তারপর স্বামী স্ত্রী দুইজনে কিছু মধু সেবন করে নিবেন।
তার পর দুই জনে ফরজ গোসল করে ফযরের নামাজ আদায় করে নিবেন।
আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুণ।

 ব্লগারের সাথে ফেসবুকে যোগাযোগ   করুণ


ফেসবুক ফ্যান পেইজ
এর পর পড়ুন

সঙ্গমের বিধি -নিষেধ।

উল্টা সঙ্গমের দোষ।

 
 অতিরিক্ত সঙ্গমের ক্ষতি

কোন মন্তব্য নেই :

সঙ্গমের বিধি -নিষেধ।

কোন মন্তব্য নেই


স্ত্রী সঙ্গমের বিধি-নিষিধের প্রতি দৃষ্টি রাখা পুরুষের একান্ত কর্তব্য।
ইহাতে ভুল করিলে জীবন ধবংসের পথে যায়।
উক্ত বিষয়ের প্রতি হুশিয়ারি হওয়ার জন্য নিম্মে কতিপয় নিয়ম লিপিবদ্ধ করা গেল।
১/ গর্ভাবস্থায় চারি মাস গত হইয়া যাওয়ার পর স্ত্রী সঙ্গম সন্তানের উভয়েরই ক্ষতি করে।
তখন হইতে স্বামী-স্ত্রীর সংযমী হওয়া উচিৎ।
২/রোজার মধ্যে দিনে সঙ্গম করিলে গুনাহগার হইতে হয়।
রাত্রে নিষেধ না থাকিলে ও সঙ্গম করিলে স্বাস্হের পক্ষে অত্যাধিক ক্ষতি হয়।
অতএব, রোজার একমাস সঙ্গম বন্ধ রাখায় ভাল।
৩/হায়েজ - নেফাছের সময়ে সঙ্গম করিলে স্বামী স্ত্রী উভয়েই গুনাহগার হইবে এবং উভয়ের, বিশেষতঃ
স্বামীর স্বাস্হহানি হইবে।
৪/ পুরুষ অবৈধভাবে অবৈধ স্ত্রী সঙ্গে বা নিজ স্ত্রীর পায়ু পথে সঙ্গম করিলে শুধু গুনাহগার হইবে তাহা নহে,
বরং ভয়ঙ্কর ক্ষতি সাধন হইতে পারে।
৫/পূর্বেই বলা হইছে যে বৃদ্ধার সহিত যুবকের মিলন ও বৃদ্ধের সহিত
যুবতির অত্যন্ত অপকারী, উহা ইসলামের রীতি  বিরুধে।
উক্ত রুপ বিবাহ ক্রিয়া যাহাতে সংঘটিত না হয়, তৎপ্রতি দৃষ্টি রাখা সকল বিজ্ঞ ,
বিদ্ধানের উচিত।কারন শাস্ত্র বিজ্ঞান বিদ্বানেরাই সৃষ্টি করিয়াছেন।                    
 
আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুণ।

 ব্লগারের সাথে ফেসবুকে যোগাযোগ
ফেসবুক ফ্যান পেইজ
এর পর পড়ুন

উল্টা সঙ্গমের দোষ।

 
 অতিরিক্ত সঙ্গমের ক্ষতি
 
 

কোন মন্তব্য নেই :

উল্টা সঙ্গমের দোষ।

1 টি মন্তব্য
অশিক্ষিতদের মধ্যে স্ত্রির-সঙ্গমের নিয়ম কানুন সম্বন্ধে অতি অল্প লোকেই জানে।
 অশিক্ষিতদের মধ্যে ইহা শুধু যুগ পরস্পরা চলিয়া আসিতেছে।
এমন নির্লজ্জ অথচ অর্ধ শিক্ষিত লোক আছে, যাহারা পশুকে গুরু মানিয়া পশুর ন্যায় উল্টা
সঙ্গম করিতে লজ্জা বা অসুবিধাবোধ করে না।
আজ কাল এক প্রকার জীবের সৃষ্ট হইয়াছে,
উহারা শিক্ষিত হইয়া বিদেশী ও বেজাতীর রুচির অনুসরন করিয়া দণ্ডায়মান
অবস্থায় রতিক্রিয়া সম্পন করে।
উহাদিগকে নাকি এদেশের শিক্ষিত যুবক-যুবতি বলা হয়।
জ্ঞানীগন বলেন, কতিপয় দিন ক্রমান্বয়ে  দণ্ডায়মান হইয়া স্ত্রী সঙ্গম করিলে
পুরুষের সর্বাঙ্গ অকর্মণ্য হইয়া পড়ে।
 দুনিয়া যাহা অস্বাভাবিক , পাশ্চাত্যের নিকট তাহাই  স্বাভাবিক।
তাহাকেই এদেশীয়  যুবক-যুবতিরা অনুসরণ করে।
ইহাতে স্বামী স্ত্রী ঊভয়ই ভগ্ন স্বাস্হ্য না হইয়া পারে না।
উক্ত প্রকার সঙ্গম কারনে সন্তান জম্নিলে উহা নির্লজ্জ ,লম্পট অর্থাৎ
পর স্ত্রী হরনকারী হইবে।
বহুদিন যাবৎ  দণ্ডায়মান হইয়া  সঙ্গম করিলে কোন একটা কঠিন ব্যাধিতে আক্রমন করিবেই।
স্বামী চিৎ হইয়া স্ত্রী কে বুকের উপর লইয়া সঙ্গম করিলে সন্তান লম্পট হইবে এবং স্বামী হঠাৎ
কোনো কঠিন রোগে আক্রান্ত হইবে।
স্বামী স্ত্রী বসিয়া কুঁজো ভাবে সঙ্গম করিলে সন্তান কুঁজো হইবে এবং তাহা ফিক ব্যথায় অর্থাৎ
পার্শ্বে  বেদনায় আক্রান্ত হইবে।
বসিয়া সঙ্গম করা স্বাস্হ্যের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর।
ডান কিম্বা বাম পার্শ্বে যে কোনো  পার্শ্বে কাৎ হইয়া সঙ্গম করিলে  উহার ফলে কানা ,খোঁড়া,
লুলা,লেংড়া প্রভৃতি সন্তানের জম্ম হয়।
মূল কথাঃ স্ত্রী কে চিৎ করিয়া শোয়াইয়া স্ত্রীর উরুর মাঝে স্বামী হাটু পাতিয়া খুশি মত
যোনী পথে সঙ্গম করিলে তাহাই কে  স্বাভাবিক   সঙ্গম বলে।
উহাতে কোন ক্ষতির আশঙ্কা করা যায় না।
কথিত আছে পাশ্চাত্যগণ ও উক্ত প্রকার সঙ্গম রীতি পছন্দ করে।
উত্তর দক্ষিণ শুয়ে সঙ্গম করিতে হয়, পূর্বে - পশ্চিম শুয়ে সঙ্গম করিবেন না।
      

ব্লগারের সাথে ফেসবুকে যোগাযোগ

এর পর পড়ুন অতিরিক্ত সঙ্গমের ক্ষতি


গণমাধ্যম বন্ধ করে দেওয়া এই কেমন স্বাধীনতা?

গণমাধ্যম বন্ধ করে দেওয়া এই কেমন স্বাধীনতা?ব্লগার_সৈয়দ রুবেল।

কোন মন্তব্য নেই

গত মঙ্গল বার হতে শাহবাগ আন্দোলন চ্লছে রাজাকার দের ফাসির দাবীতে।
ভালো। আমিও সমর্থন করি। 
কিন্তু এই ঘটি কয়েক রাজাকারদের ফাসি দিলে বাকী রাজাকারদের কি হবে?
যেখানে ক্ষমাতাসিন দলের রাজাকার রয়েছেন?
তাদের বিচার কে করবে?
৭১ এর পরে আজেও ৭১ এর মতো আজেও আমাদের বোন দের কে ধর্ষণ করে যাচ্ছে?
তাদের বিচার কে করবে?
৭১ এর পরে ৭১ এর মতো আজেও আমার নিরাপরাধ ভাই বোন দের কে যারা হত্যা করতেছে?
সেই সমস্ত ঘাতক দের কে বিচার করবে?
সাগর রণির হত্যার এক বছর পূর্ণ হলো আজ।
তাদের বিচার আজেও এই বাংলার মাটিতে হয়নি?
তাদের বিচার কে করবে?
তাদের বিচার নিয়ে একের পর এক ধারাবাহিক নাটক তৈরী হচ্ছে?
কবে শেষ হবে এই নাটক?
তাদের বিচার কি আদেও হবে?
আমার জানা নাই।
আপনাদের জানা আছে কি?
আজ নাস্তিক বাদীরা জামাত শিবিরের রাজনিতি বন্ধ করতে গিয়ে
ইসলামী রাজনিতি বন্ধ করতে বলতেছে?
লাখ মানুষের মত প্রকাশের প্রানের সোনার বাংলাদেশ  ব্লগ বন্ধ করতে বলতেছে?
কোটি মানুষের প্রিয় দিগন্ত টি ভি চ্যানেল বন্ধ করতে বলতেছে?
পাঠক প্রিয় দৈনিক আমার দেশ সহ  অন্য জাতীয় দৈনিক প্রত্রিকা গুলি বন্ধ করতে বলতেছে?
ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে বলতেছে?
ইসলামী ব্যাংক বন্ধ করতে বলতেছে?
আর মুসলমানেরা ঘরে বসে এই সব নাস্তিক বাদীদের হুমকি ধামকি শুনতেছে?
আজ কি হল মুসলমানদের?
তারা কেনো বলতেছে না নাস্তিক বাদীদের হাতের তৈরী করা মুক্তমনা ব্লগ সহ অন্য
ব্লগ গুলি বন্ধ করতে বলতেছেনা?
শিবিরের বিরুদ্ধে  লিখতে গিয়ে ইসলামের বিরুদ্ধে  কথা বলে?
সেই সবের বিরুদ্ধে কেনো প্রতিবাদ করতেছে না?
কারো ব্যাক্তিগত অপরাধের কারনে তো ইসলাম দ্বায়ী হতে পারেনা?

গণমাধ্যম বন্ধ করে দেওয়া এই কেমন স্বাধীনতা?
একেমন  স্বাধীন দেশ?
যারা সত্য ও ন্যায়ের উপর কথা বলে ?
তাদের মুখ কেনো বন্ধ করতে হবে?
সরকারের পক্ষে কথা বললে হয়ে যায় দেশ প্রেমিক?
সরকারের অপকর্মের বিরুদ্ধে কথা বললে হয়ে যায় রাজাকার?
যতসব গাঁজাখুরি ফতুয়া চলে আমাদের দেশে?
আমি বাংলার মুসলিমদের কে বলতেছি, তোমরা এখন থেকে যদি এই সবের প্রতিবাদ
না করো? তা হলে খাতা কলম নিয়ে লিখে নাও, মিয়ানমার মতো ও স্পনের মতো
বাংলাদেশেও এক দিন মুসলিম নিধন শুরু হবে যাবে।
সে দিন তোমরা কিছুই করতে পারবেনা।
সেই দিন তোমাদের কে ধরে ধরে হত্যা করা হবে।
কারন মুসলমানদের মানবধীকার থাকতে নেই?
এইটি আমার কথা নয়?
এই কথাটি আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর স্যার  এর কথা।
যার কারনে আজ নাস্তিক বাদীরা বলতেছে এই পত্রিকাটি বন্ধ করে দিতে।
  
নাস্তিকদের কাছে আমার প্রশ্নঃ তোমরা যে সকল পত্রিকা ও টি ভি চ্যানেল বন্ধ করতে বলতেছো?
তারা তোমাদের পক্ষে দালালী করে না বলে বা সত্য ও ন্যায়ের উপর কথা বলে এর জন্য
বন্ধ করতে বলতেছো?

ইসলামী ব্যাংক এই বছরে সবচেয়ে বেশি মুনাফা লাভ করেছে বলে তোমরা তাদের কে বন্ধ করতে
বলতেছো?

ইবনেসিনা দেশের সব চেয়ে বড় উন্নত চিকিৎসালয়?
যারা প্রতিটি চিকিৎসা তে ১৫% ছাড় দেয়?
যা ইবনেসিনার ভালো চিকিৎসার মান আজ স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রীদের পাঠ্য
বইতে তুলে ধরা হয়েছে?


এই জন্য কি তাদের কে বন্ধ করতে বলতেছিস?

এই প্রশ্নের গুলোর ভালো করে সুন্দর রুচিশীল ভাষায় উত্তর দে?

ইসলামের পক্ষে লিখার কারনে  হইতো তোরা আমাকে নব্য রাজাকার বলতে পারস?
তাতে আমার কোনো দুঃখ নাই।
কারন আমি যদি তোকে বলি তুই দেশের প্রধান মন্ত্রী?
প্রধান মন্ত্রী বললে ও যেমন করে তুই প্রধান মন্ত্রী হবিনা?
ঠিক তেমনি ভাবে আমাকেও রাজাকার বললে ও রাজাকার হবোনা।
তোদের রাজাকারের কথা তোদের মুখেই লেগে থাকবে।

তোরা যদি বলস দেশে আইনের শাসন আছে?
আমি বলবো নাই?
দেশে যদি আইনের শাসন থাকতো?
তা হলে রাষ্টপতি ফাসির আসামিদের কে ক্ষমা করতো না।
রাষ্টপতি ২৭ জন  ফাসির আসামিদের কে ক্ষমা  করেছে।

দেশে প্রতি মাসে ৩০ জনের চেয়ে বেশি নারী ধর্ষণের শিকার হচ্ছে।
আজও মানব জমিনে দেখলাম ৪ বছরের ২ টি নারী শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে।
আমরা সকল অবিচারের বিচার চায়?
অপরাধী কে সেটা দেখতে চায়না।
আমরা নারী ধর্ষণ কারিদের জন্য শাহবাগের মতো আন্দোলন করতে চায়?
যাতে করে ধর্ষণ কারীরা ধর্ষণ করতে গেলে তাদের দেহে কম্পন,ঝাকুনি শুরু
হয়ে যায়।

তোদের গালা গালি আসবে আর যাবে?
কিন্তু সত্যের জয় হবেই হবে।
কারন সত্যের পক্ষে মহান আল্লাহ সব সময় আছেন
এবং থাকবেন।
আল্লাহ কারোর উপর অবিচার করবেন না।
আজকের দিনে তোমরা যা কিছু করতেছো?
সব কিছু মহান আল্লাহ লিপিবদ্ধ করতেছেন।
আল্লাহ সবার মনের খবর রাখেন।
তোমরা যা কিছু অন্তরে লালন করো ?

আমি গুনে ধরা মুসলমানদের বলে দিতে চায়?
যারা নবী করিম (সাঃ) গালি গালাজ করে?
আর তোমাদের গায়ে যদি না লাগে?
তোমরা কোনো মুসলিম নও?
এমন কি তোমাদের কাছে ঈমানের বিন্দু মাত্র লেসও নেই।
এই গুনে ধরা ঈমান নিয়ে আল্লাহর কাছ থেকে পার পেয়ে যেতে পারবেনা?
এর জন্য তোমাদের কে ও একদিন জবাব দিহি করতে হবে।
এক জন মুসলিমের কাছে আল্লাহ ও তার রাসুলের চেয়ে বেশি ভালবাসা থাকতে পারেনা।
হে মুসলমান তুমি তোমার ঈমানের ঘরের খবর লও।

যাদের অন্তরে ইসলামের মহব্বত আছে?
তারাই শেয়ার করবেন।
 my facebook@ Syed Rubel Write facebook

এর পর পড়ুন; বাংলাদেশের মেয়েরা এতোই সস্থা হয়েগেছে যে তাদের কে ভোগ করতে বিয়ে করা লাগেনা?

অতিরিক্ত সঙ্গমের ক্ষতি,সবাই পড়ে নিন।সৈয়দ রুবেল।



স্ত্রী সহবাসের উপযুক্ত সময়


কোন মন্তব্য নেই :

অতিরিক্ত সঙ্গমের ক্ষতি,সবাই পড়ে নিন।সৈয়দ রুবেল।

1 টি মন্তব্য









অতিরিক্ত সঙ্গমের ফলে যোনীদ্বার ক্ষত বিক্ষত ও জরায়ু দুর্বল হইয়া যায়।
সুতরাং জরায়ুতে পুরুষের বীর্য স্হির থাকিতে পারে না।
তাহার ফলে সন্তান উৎপাদন সুদূরপরাহত হইয়া উঠে।
তাহা ছাড়া যোনীর শিরা গুলি ঢিলা হইয়া পড়ে।
যার কারণে স্বামী স্ত্রী উভয়েই সুখ অনুভব করতে পারেনা।
বরং স্ত্রীর নিকট যন্ত্রনার কারন হয়ে দাঁড়ায়।
এমন অবস্হায় স্ত্রীর কঠিন রোগ হইয়া পড়ে।
শরীর কল্কালসার হয়,চেহারা বিশ্রী হইয়া যায়।
এবং অনিয়মিত হায়েজ ও পরিপাক শক্তি হ্রাস পায়।
এই ভাবে স্ত্রীর জীবন বিপজ্জনক হইয়া উঠে।
পুরুষের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটিলে সেই সঙ্গে মানসিক
অবস্থার ও অবনতি সংঘটিত হয়, পড়ে উহা প্রকৃ্ত অবস্থায় আনিতে বহু সমস্যার
সৃষ্ট হয়।
অত্যাধিক শুক্র ক্ষয়ের ফলে পুরুষত্বহানির আশঙ্কা হইয়া থাকে।
ক্রমে ক্রমে ধাতু দুর্বলতা , শুক্রতারুল্য, জননেন্দ্রিয়ের শিথিলতা,
মাংসেপেশরি অবসন্নতা, প্রমেহ, ঘূর্ণন ইত্যাদি দুরারোগ্য ব্যা্ধিতে  পাইয়া বসে।
এই ভাবে ক্রমশঃ শয্যা শয়ী হইয়া হইয়া প্রিয়তমার সহিত মিলন স্পৃহা হইতে সম্পুর্ণ বঞ্চিত হইয়া
অকালে গোরগহ্বরে প্রস্হান করে।

এই বিষয়টি জানার পরও যে পুরুষ তার স্ত্রীর প্রতি যত্নবান নায় হয়?
সেই সমস্ত স্বামীদের জন্য সর্তক বার্তা হলো, তোমার মতো স্বার্থ পর স্বামী বাংলার বউ দের দরকার নাই।
তুমি তোমার স্ত্রীর মনের খবর নেও।
ঘণ্টার পর ঘণ্টা সেক্স করেও যদি তুমি তোমার সেক্সের জ্বালা মিটাতে না পারো?
তা হলে সাগরে ঝাঁপ দিয়ে মরো।
এর চাইতে ভালো পরামর্শ আমার জানা নাই।
যদিও আমার ব্লগের নাম জানার আছে অনেক কিছু,
তুবুও আমি জানিনা অনেক কিছু।

এই পোস্টটি যারা স্বামীর দ্বারা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন?
সেই সমস্ত বোনদের জন্য সৌজন্য দিলাম।
my facebook@ Syed Rubel Write facebook
Next post @

স্ত্রী সহবাসের উপযুক্ত সময়

শেয়ার করে আপনার বন্ধুদেরকে জানান ।তাদের কে জানতে দিন অজানা বিষয় গুলি।প্রকাশক ও সম্পাদক ব্লগার_সৈয়দ রুবেললেখকজানার আছে অনেক কিছু

স্ত্রী সহবাসের উপযুক্ত সময়

কোন মন্তব্য নেই
স্ত্রী সহবাসের উপযুক্ত সময়

স্ত্রী সহবাসের উপযুক্ত সময় শেষ রাত্রি ।
যেহেতু শেষ রাত্রে ভুক্ত খাদ্য ভাল রূপ হজম হওয়া পর শরীর
যখন ঠিক হয়, তখন যদি অন্তঃকরণের সরলতা ও পবিত্রতা রক্ষা করিয়া একাগ্র মনে
স্বামী -স্ত্রী মিলন হয়,
তাহা হইলেই অধিকতর তৃপ্তি লাভ করিতে পারে।
সেই রাত্রের সহবাসে স্বাস্হ্যবান সন্তানের জম্ম হয়।
প্রমান পাওয়া যায়, শেষ রাত্রের সহবাসের সন্তান ধার্মিক,
সাধু ও আওলিয়া- দরবেশ হইয়াছে।
     

my facebook@ Syed Rubel Write facebook
Next post @

সহবাসের নিষিদ্ধ সময়।


শেয়ার করে আপনার বন্ধুদেরকে জানান ।তাদের কে জানতে দিন অজানা বিষয় গুলি।প্রকাশক ও সম্পাদক ব্লগার_সৈয়দ রুবেললেখকজানার আছে অনেক কিছু

কোন মন্তব্য নেই :

সহবাসের নিষিদ্ধ সময়।

কোন মন্তব্য নেই


প্রথম জানিয়া রাখা উচিৎ স্ত্রী লোকের হায়েজ ও নেফাছের সময়ে সহবাস
করা হারাম।
তা ছাড়া দিনে ঠিক দ্বিপ্রহরে, রাত্রে ঠিক দ্বিপ্রহরে, বুধবার রাত্রে , রবিবার রাত্রে, অমাবস্যার রাত্রে,
চাদের প্রথম তারিখে ও পনর তারিখে রাত্রে,ঈদুল ফিতর ও ইদুল আযহার রাত্রে, সূর্যের উত্তাপে,
ছাদ বা চালশূন্য ঘরে, চন্দ্র-সূর্য গ্রহনের সময়ে এবং প্রবাস গমনের পূর্বে রাত্রে স্ত্রী সহবাস নিষিদ্ধ
তিরমিয শরীফে বর্ণিত আছে ,হরযত রাসূল করীম (সাঃ)ফরমাইছেন,
বুধবার রাত্রের সহবাসের সন্তান পিতা মাতা কে কষ্ট দিয়ে থাকে।
চাঁদের প্রথম ও পনর তারিখের সহবাসের সন্তান পাগল ও অত্যাচারী হয়।
ঈদুল আযহাতে রাত্রের সহবাসের সন্তান বাইশ আঙ্গুল বিশিষ্ট হয় এবং বিদেশ গমনের পূর্বে রাত্রের
সহবাসের সন্তান অপব্যয়ী ও পিতা মাতার অবাধ্য হইয়া থাকে।




my facebook@ Syed Rubel Write facebook
Next post @

বয়স অনুযায়ী স্ত্রী সহবাসের ফল।



শেয়ার করে আপনার বন্ধুদেরকে জানান ।তাদের কে জানতে দিন অজানা বিষয় গুলি।প্রকাশক ও সম্পাদক ব্লগার_সৈয়দ রুবেললেখকজানার আছে অনেক কিছু

কোন মন্তব্য নেই :

বয়স অনুযায়ী স্ত্রী সহবাসের ফল।

কোন মন্তব্য নেই
স্ত্রীলোকের বয়স অনুযায়ী বিভিন্ন নাম হইয়া থাকে।
যথা-তরুনী,যুবতী,বুড়ীও পাকা বুড়ী।

১৬ বসরের স্ত্রীলোক কে তরুণী বলে।
১৬ হইতে ৩৩ বসরের স্ত্রীলোক কে যুবতী বলে।
৩৩ হইতে ৫০ বসরে স্ত্রী লোককে বুড়ী বলে।
৫০ হইতে এর বেশি স্ত্রী লোক কে পাকা বুড়ী বলে।
তরুণী স্ত্রী লোককে দর্শন করিলে ও তরুণীর সঙ্গে রমণ করিলে
বৃদ্ধ স্বামী ও তরুন হইয়া যায়।
মিলন মাধুর্যের মধ্যে দিয়ে স্বামী তরুণী হইতে যে অমিত সুখের স্বাদ গ্রহন করে,
তাহা ভাষায় ব্যক্ত করা যায় না।
স্বামী আন্তরিক শান্তি ও শারীরিক সুখ লাভ করিয়া তরুণের মত বল সঞ্চয় করে।
যুবতী সহজ পাত্রী নহে , তাহার সম-সাস্থ্য সম্পন স্বামী ছাড়া তাহার স্বাদ মিটাইতে পারা যায় না।
অতএব, যুবতী স্ত্রীর যুবক হওয়াই বাঞ্ছনীয়।
অন্যথায় তাহার নিকট হার মানিতেই হইবে,
তবে মাঝে মাঝে সংযম করিলে আর হারিবার আশঙ্কা নাই।
সংযমী হইয়া যুবতীর সঙ্গে সঙ্গম করিলে বৃদ্ধ ও যুবক হইয়া দাঁড়ায় ।
বুড়ীর সঙ্গে সহবাস করিলে তাহার স্বামী যুবক হউক আর বৃদ্ধ হউক,
অত্যন্ত দুর্বল হইয়া পড়িবে।
পাকা বুড়ীর সঙ্গে সহবাস করা কারো উচিৎ না।
থার স্বামী তরুন হলেও বৃদ্ধ হইয়া যায়।
ইহার নিপুঢ় রহস্য হইতেছে যে না বুড়ী আনন্দ পায়?
না বুড়ীর স্বামী আনন্দ পায়।
যুবক হউক আর বৃদ্ধ হউক , স্বামী-স্ত্রী উভয়েই সমান হওয়া আব্যশক।
একজন বালিকা অন্য জন বৃদ্ধ হইলে বা একজন সুস্থ ও অন্যজন রোগা হইলে সেই
সংসার সুখের হয়না। তবে ঘতনা চক্রে যদি এইরূপ হইয়া পড়ে,
নিম্মলিখিত নিয়ম অবলম্বন করিবেন।
১। তরুণী র সঙ্গে  বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠ্‌ ,ভাদ্র, ও আশ্বিনে।
২।যুবতির সঙ্গে পৌষ মাসে,
৩ বুড়ীর সঙ্গে আষাঢ় শ্রাবন ও চৈত্র মাসে সহবাস করিলে মিলনের স্বাদ পাইবে। সাস্থ্য ভালো থাকিবে।
৪ পাকা বুড়ীর সঙ্গে সহবাস করার আকাঙ্কা না করাই ভালো।
তবে একান্তে আকাঙ্কা হইলে দুই এক মাস পরপর সহবাস করিতে পারা যায়।
তাহাতে সাস্থ্যর কিছু ক্ষতি হইবে না।

পরিশেষে বলা হইয়াছে হইয়াছে যে ,রোগা- কুৎসিত ও নোংরা স্বামী হউক আর স্ত্রী ি হউক,
যাহার সহিত যাহার সহবাস করিতে ভক্তি ভা হয়,তাহার সহিত ইচ্ছাকৃ্ত বা অনিচ্ছা সত্তেও সহবাস
করিলে ফল ভালো হয়না।

my facebook@ Syed Rubel Write facebook

Next post @ 

ইসলামের দৃষ্টিতে বিশ্ব ভালবাসা দিবস (Valentine day) পর্ব ১


শেয়ার করে আপনার বন্ধুদেরকে জানান ।তাদের কে জানতে দিন অজানা বিষয় গুলি।

প্রকাশক ও সম্পাদক ব্লগার_সৈয়দ রুবেল

লেখকজানার আছে অনেক কিছু

কোন মন্তব্য নেই :

ইসলামের দৃষ্টিতে বিশ্ব ভালবাসা দিবস (Valentine day) পর্ব ১

কোন মন্তব্য নেই
প্রবন্ধটি পড়া হলে, শেয়ার করতে ভুলবেন না




শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু
 
লেখক: আ.স.ম শোয়াইব আহমাদ (পিএইচ.ডি) | সম্পাদনা: ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া

পর্ব ১- ইসলামিক ভালবাসাঃ

ভালবাসার পরিচয় :
‘ভালবাসা’ এক পবিত্র জিনিস যা আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এর পক্ষ হতে আমরা পেয়েছি। ভালবাসা’ শব্দটি ইতিবাচক। আল্লাহ তা‘আলা সকল ইতিবাচক কর্ম-সম্পাদনকারীকে ভালবাসেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
وَلَا تُلْقُوا بِأَيْدِيكُمْ إِلَى التَّهْلُكَةِ وَأَحْسِنُوا إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الْمُحْسِنِينَ

‘‘এবং স্বহস্তে নিজেদেরকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়ো না। তোমরা সৎকর্ম কর, নিশ্চয় আল্লাহ্‌ মুহসিনদের ভালবাসেন।’’(সূরা আল-বাকারা:১৯৫)
ভুলের পর ক্ষমা প্রার্থনা করা এবং পবিত্রতা অবলম্বন করা এ দুটিই ইতিবাচক কর্ম। তাই আল্লাহ তাওবাকারী ও পবিত্রতা অবলম্বনকারীদেরকেও ভালবাসেন। আল্লাহ বলেন,
إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ التَّوَّابِينَ وَيُحِبُّ الْمُتَطَهِّرِينَ

‘‘নিশ্চয়ই আল্লাহ্‌ তাওবাকারী ও পবিত্রতা অবলম্বনকারীদেরকে ভালবাসেন।’’(সূরা আল-বাকারা:২২২)
তাকওয়া সকল কল্যাণের মূল। তাই আল্লাহ মুত্তাকীদেরকে খুবই ভালবাসেন। তিনি বলেন,
فَإِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الْمُتَّقِين
‘‘আর নিশ্চয় আল্লাহ মুত্তাকীদেরকে ভালবাসেন।’’(সূরা আল ইমরান:৭৬)
পবিত্র এ ভালবাসার সাথে অপবিত্র ও নেতিবাচক কোন কিছুর সংমিশ্রণ হলে তা আর ভালবাসা থাকে না, পবিত্রও থাকে না; বরং তা হয়ে যায় ছলনা,শঠতা ও স্বার্থপরতা।
ভালবাসা, হৃদয়ে লুকিয়ে থাকা এক অদৃশ্য সুতোর টান। কোন দিন কাউকে না দেখেও যে ভালবাসা হয়; এবং ভালবাসার গভীর টানে রূহের গতির এক দিনের দূরত্ব পেরিয়েও যে দুই মুমিনের সাক্ষাত হতে পারে তা ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমার এক বর্ণনা থেকে আমরা পাই। তিনি বলেন,
النعم تكفر والرحم تقطع ولم نر مثل تقارب القلوب

‘‘কত নি‘আমতের না-শুকরি করা হয়, কত আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করা হয়, কিন্তু অন্তরসমূহের ঘনিষ্ঠতার মত (শক্তিশালী) কোন কিছু আমি কখনো দেখি নি।’’
(ইমাম বুখারী, আল-আদাবুল মুফরাদ :হাদীস নং২৬২)
ভালবাসার মানদণ্ড :
কাউকে ভালবাসা এবং কারো সাথে শত্রুতা রাখার মানদণ্ড হলো একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি। শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই কাউকে ভালবাসতে হবে এবং শত্রুতাও যদি কারো সাথে রাখতে হয়, তাও আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই। এটাই শ্রেষ্ঠ কর্মপন্থা। রাসূলুল্লাহ () বলেন,
إِنَّ أَحَبَّ الْأَعْمَالِ إِلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ الْحُبُّ فِي اللَّهِ وَالْبُغْضُ فِي اللَّهِ
‘‘নিশ্চয় আল্লাহর নিকট শ্রেষ্ঠ আমল হলো আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই কাউকে ভালবাসা এবং শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই কারো সাথে শত্রুতা রাখা।’’
(আহমদ, মুসনাদুল আনসার, হাদিস নং২০৩৪১)
ঈমানের পরিচয় দিতে হলে, কাউকে ভালবাসবার আগে আল্লাহর জন্য হৃদয়ের গভীরে সুদৃঢ় ভালবাসা রাখতে হবে। কিছু মানুষ এর ব্যতিক্রম করে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
وَمِنْ النَّاسِ مَنْ يَتَّخِذُ مِنْ دُونِ اللَّهِ أَندَادًا يُحِبُّونَهُمْ كَحُبِّ اللَّهِ وَالَّذِينَ آمَنُوا أَشَدُّ حُبًّا لِلَّهِ

‘‘আর মানুষের মধ্যে কেউ কেউ আল্লাহ্‌ ছাড়া অন্যকে আল্লাহ্‌র সমকক্ষরূপে গ্রহণ করে এবং আল্লাহকে ভালবাসার মত তাদেরকে ভালবাসে; কিন্তু যারা ঈমান এনেছে আল্লাহ্‌র প্রতি ভালবাসায় তারা সুদৃঢ়।’’
(সূরা আল-বাকারা:১৬৫)
শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই কাউকে ভালবাসতে হবে, নতুবা কোন ব্যক্তি ঈমানের স্বাদ পাবে না। রাসূলুল্লাহ () বলেন,
ثَلَاثٌ مَنْ كُنَّ فِيهِ وَجَدَ حَلَاوَةَ الْإِيمَانِ أَنْ يَكُونَ اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِمَّا سِوَاهُمَا وَأَنْ يُحِبَّ الْمَرْءَ لَا يُحِبُّهُ إِلَّا لِلَّهِ وَأَنْ يَكْرَهَ أَنْ يَعُودَ فِي الْكُفْرِ كَمَا يَكْرَهُ أَنْ يُقْذَفَ فِي النَّارِ

‘‘তিনটি গুণ যার মধ্যে থাকে সে ঈমানের স্বাদ পায়। ১. আল্লাহ ও তাঁর রাসূল তার কাছে অন্য সব কিছু থেকে প্রিয় হওয়া। ২. শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই কাউকে ভালবাসা। ৩. কুফুরীতে ফিরে যাওয়াকে আগুনে নিক্ষিপ্ত হওয়ার মত অপছন্দ করা।’’
(বুখারী, কিতাবুল ঈমান, হাদিস নং:১৫)
আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে ভালবাসার ফযীলত :
আল্লাহ রাব্বুল ইয্‌যতের মহত্ত্বের নিমিত্তে যারা পরস্পর ভালবাসার সম্পর্ক স্থাপন করে, কিয়ামতের দিন তাদেরকে তিনি তাঁর রহমতের ছায়ায় জায়গা দেবেন। রাসূলুল্লাহ () বলেন,
إِنَّ اللَّهَ يَقُولُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَيْنَ الْمُتَحَابُّونَ بِجَلَالِي الْيَوْمَ أُظِلُّهُمْ فِي ظِلِّي يَوْمَ لَا ظِلَّ إِلَّا ظِلِّي

‘‘কিয়ামতের দিন আল্লাহ বলবেন, আমার মহত্ত্বের নিমিত্তে পরস্পর ভালবাসার সম্পর্ক স্থাপনকারীরা কোথায় ? আজ আমি তাদেরকে আমার বিশেষ ছায়ায় ছায়া দান করব। আজ এমন দিন, যে দিন আমার ছায়া ব্যতীত অন্য কোন ছায়া নেই।’’
মুসলিম, কিতাবুল বিররি ওয়াস-সিলাহ, হাদিস নং৪৬৫৫)
রাসূলুল্লাহ () আরও বলেন,
إِنَّ مِنْ عِبَادِ اللَّهِ لَأُنَاسًا مَا هُمْ بِأَنْبِيَاءَ وَلَا شُهَدَاءَ يَغْبِطُهُمُ الْأَنْبِيَاءُ وَالشُّهَدَاءُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ بِمَكَانِهِمْ مِنَ اللَّهِ تَعَالَى قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ تُخْبِرُنَا مَنْ هُمْ قَالَ هُمْ قَوْمٌ تَحَابُّوا بِرُوحِ اللَّهِ عَلَى غَيْرِ أَرْحَامٍ بَيْنَهُمْ وَلَا أَمْوَالٍ يَتَعَاطَوْنَهَا فَوَ اللَّهِ إِنَّ وُجُوهَهُمْ لَنُورٌ وَإِنَّهُمْ عَلَى نُورٍ لَا يَخَافُونَ إِذَا خَافَ النَّاسُ وَلَا يَحْزَنُونَ إِذَا حَزِنَ النَّاسُ..

‘‘নিশ্চয় আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে এমন কিছু মানুষ আছে যারা নবীও নয় শহীদও নয়; কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ হতে তাঁদের সম্মানজনক অবস্থান দেখে নবী এবং শহীদগণও ঈর্ষান্বিত হবে। সাহাবিগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল ! আমাদেরকে বলুন, তারা কারা ? তিনি বলেন, তারা ঐ সকল লোক, যারা শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই একে অপরকে ভালবাসে। অথচ তাদের মধ্যে কোন রক্ত সম্পর্কও নেই, এবং কোন অর্থনৈতিক লেন-দেনও নেই। আল্লাহর শপথ! নিশ্চয় তাঁদের চেহারা হবে নূরানি এবং তারা নূরের মধ্যে থাকবে। যে দিন মানুষ ভীত-সন্ত্রস্ত থাকবে,সে দিন তাঁদের কোন ভয় থাকবে না। এবং যে দিন মানুষ দুশ্চিন্তাগ্রস্ত থাকবে, সে দিন তাঁদের কোন চিন্তা থাকবে না..।’’
(সুনানু আবী দাঊদ, কিতাবুল বুয়ূ‘, হাদিস নং ৩০৬০)
পরস্পরের মধ্যে ভালবাসা বৃদ্ধি করার উপায় :
ইসলাম বলে, পরস্পরের মধ্যে ভালবাসা ও সৌহার্দ্য স্থাপিত না হলে পরিপূর্ণ ঈমানদার হওয়া যায় না, শান্তি ও নিরাপত্তা লাভ করা যায় না, এমনকি জান্নাতও লাভ করা যাবে না। তাই রাসূলুল্লাহ () মুমিনদের পরস্পরের মধ্যে ভালবাসা ও সৌহার্দ্য বৃদ্ধির জন্য একটি চমৎকার পন্থা বাতলে দিয়েছেন। তিনি বলেন,
لَا تَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ حَتَّى تُؤْمِنُوا وَلَا تُؤْمِنُوا حَتَّى تَحَابُّوا أَوَلَا أَدُلُّكُمْ عَلَى شَيْءٍ إِذَا فَعَلْتُمُوهُ تَحَابَبْتُمْ أَفْشُوا السَّلَامَ بَيْنَكُمْ..*

‘‘তোমরা বেহেশতে প্রবেশ করতে পারবে না যতক্ষণ পর্যন্ত ঈমানদার না হবে, তোমরা ঈমানদার হতে পারবে না যতক্ষণ পর্যন্ত না পরস্পরের মধ্যে ভালবাসা ও সৌহার্দ্য স্থাপন করবে। আমি কি তোমাদেরকে এমন বিষয়ের কথা বলব না, যা করলে তোমাদের মধ্যে ভালবাসা ও সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠিত হবে ? সাহাবীগণ বললেন, নিশ্চয় ইয়া রাসূলাল্লাহ ! (তিনি বললেন) তোমাদের মধ্যে বহুল পরিমাণে সালামের প্রচলন কর।’’
(মুসলিম, কিতাবুল ঈমান, হাদিস নং ৮১)
Next 
ইসলামের দৃষ্টিতে বিশ্ব ভালবাসা দিবস (Valentine day.) পর্ব ২

োস্টঃকুরআনের আলো।
ইসলামী ওয়েব সাইট। 
প্রকাশক
Syed Rubel Write facebook

শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের মাঝে ছড়িয়ে দিন।

কোন মন্তব্য নেই :

ইসলামের দৃষ্টিতে বিশ্ব ভালবাসা দিবস (Valentine day) পর্ব ২

কোন মন্তব্য নেই

প্রবন্ধটি পড়া হলে, শেয়ার করতে ভুলবেন না


শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু
 
 
 লেখক: আ.স.ম শোয়াইব আহমাদ (পিএইচ.ডি)
সম্পাদনা: ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া
পর্ব  ২ – ভালবাসা দিবস কি ও এর ক্ষতিকর প্রভাব


বিশ্ব ভালবাসা দিবস কি :
এক নোংরা ও জঘন্য ইতিহাসের স্মৃতিচারণের নাম বিশ্ব ভালবাসা দিবস। এ ইতিহাসটির বয়স সতের শত সাঁইত্রিশ বছর হলেও ‘বিশ্ব ভালবাসা দিবস’ নামে এর চর্চা শুরু হয় সাম্প্রতিক কালেই। দুই শত সত্তর সালের চৌদ্দই ফেব্রুয়ারির কথা। তখন রোমের সম্রাট ছিলেন ক্লডিয়াস। সে সময় ভ্যালেন্টাইন নামে একজন সাধু, তরুণ প্রেমিকদেরকে গোপন পরিণয়-মন্ত্রে দীক্ষা দিত। এ অপরাধে সম্রাট ক্লডিয়াস সাধু ভ্যালেন্টাইনের শিরশ্ছেদ করেন। তার এ ভ্যালেন্টাইন নাম থেকেই এ দিনটির নাম করণ করা হয় ‘ভ্যালেন্টাইন ডে’ যা আজকের ‘বিশ্ব ভালবাসা দিবস’।
বাংলাদেশে এ দিবসটি পালন করা শুরু হয় ১৯৯৩ইং সালে। কিছু ব্যবসায়ীর মদদে এটি প্রথম চালু হয়। অপরিণামদর্শী মিডিয়া কর্মীরা এর ব্যাপক কভারেজ দেয়। আর যায় কোথায় ! লুফে নেয় বাংলার তরুণ-তরুণীরা। এরপর থেকে ঈমানের ঘরে ভালবাসার পরিবর্তে ভুলের বাসা বেঁধে দেয়ার কাজটা যথারীতি চলছে। আর এর ঠিক পিছনেই মানব জাতির আজন্ম শত্রু শয়তান এইডস নামক মরণ-পেয়ালা হাতে নিয়ে দাঁত বের করে হাসছে। মানুষ যখন বিশ্ব ভালবাসা দিবস সম্পর্কে জানত না, তখন পৃথিবীতে ভালবাসার অভাব ছিলনা। আজ পৃথিবীতে ভালবাসার বড় অভাব। তাই দিবস পালন করে ভালবাসার কথা স্মরণ করিয়ে দিতে হয়! আর হবেই না কেন! অপবিত্রতা নোংরামি আর শঠতার মাঝে তো আর ভালবাসা নামক ভালো বস্তু থাকতে পারে না। তাই আল্লাহ তা‘আলা মানুষের হৃদয় থেকে ভালবাসা উঠিয়ে নিয়েছেন।
বিশ্ব ভালবাসা দিবসকে চেনার জন্য আরও কিছু বাস্তব নমুনা পেশ করা দরকার। দিনটি যখন আসে তখন শিক্ষাঙ্গনের শিক্ষার্থীরা বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তো একেবারে বেসামাল হয়ে উঠে। নিজেদের রূপা-সৌন্দর্য উজাড় করে প্রদর্শনের জন্য রাস্তায় নেমে আসে। শুধুই কি তাই ! অঙ্কন পটীয়সীরা উল্কি আঁকার জন্য পসরা সাজিয়ে বসে থাকে রাস্তার ধারে। তাদের সামনে তরুণীরা পিঠ, বাহু আর হস্তদ্বয় মেলে ধরে পছন্দের উল্কিটি এঁকে দেয়ার জন্য। তারপর রাত পর্যন্ত নীরবে-নিবৃতে প্রেমিক বা প্রেমিকার সাথে খোশ গল্প। এ হলো বিশ্ব ভালবাসা দিবসের কর্মসূচি! বিশ্ব ভালবাসা দিবস না বলে বিশ্ব বেহায়াপনা দিবস বললে অন্তত নামকরণটি যথার্থ হতো।
বিশ্ব ভালবাসা দিবস পালনের ক্ষতিকর কিছু দিক :
১. ভালবাসা নামের এ শব্দটির সাথে এক চরিত্রহীন লম্পটের স্মৃতি জড়িয়ে যারা ভালবাসার জয়গান গেয়ে চলেছেন, পৃথিবীবাসীকে তারা সোনার পেয়ালায় করে নীল বিষ পান করিয়ে বেড়াচ্ছেন।
২. তরুণ-তরুণীদের সস্তা যৌন আবেগকে সুড়সুড়ি দিয়ে সমাজে বিশৃঙ্খলা ও ফাসাদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। অথচ আল্লাহ তা‘আলা ফাসাদ সৃষ্টিকারীদের ভালবাসেন না। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
وَيَسْعَوْنَ فِي الْأَرْضِ فَسَادًا وَاللَّهُ لَا يُحِبُّ الْمُفْسِدِينَ


‘‘আর তারা তো পৃথিবীতে ফাসাদ সৃষ্টি করে বেড়ায়। আর আল্লাহ ফাসাদ সৃষ্টিকারীদের ভালবাসেন না।’’(সূরা আল মায়িদাহ : ৬৪)
৩. নৈতিক অবক্ষয় দাবানলের মত ছড়িয়ে যাচ্ছে।
৪. নির্লজ্জতা ও বেহায়াপনা জাতীয়ভাবে স্বীকৃতি লাভ করছে। যারা ঈমানদারদের সমাজে এ ধরণের অশ্লীলতার বিস্তার ঘটায়, দুনিয়া ও আখিরাতে তাদের জন্য আল্লাহ তা‘আলা যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির ব্যবস্থা করে রেখেছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
إِنَّ الَّذِينَ يُحِبُّونَ أَنْ تَشِيعَ الْفَاحِشَةُ فِي الَّذِينَ آمَنُوا لَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ


‘‘ যারা মু’মিনদের মধ্যে অশ্লীলতার প্রসার কামনা করে তাদের জন্য আছে দুনিয়া ও আখিরাতে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি..।’’(সূরা আন-নূর :১৯)
বস্তুত যে সমাজেই চরিত্র-হীনতার কাজ ব্যাপক, তথায় আল্লাহর নিকট থেকে কঠিন আযাব সমূহ ক্রমাগত অবতীর্ণ হওয়া অবধারিত,  আব্দুল্লাহ ইবন ‘উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন :
… لَمْ تَظْهَرِ الْفَاحِشَةُ فِي قَوْمٍ قَطُّ حَتَّى يُعْلِنُوا بِهَا إِلَّا فَشَا فِيهِمُ الطَّاعُونُ وَالْأَوْجَاعُ الَّتِي لَمْ تَكُنْ مَضَتْ فِي أَسْلَافِهِمِ…
‘‘যে জনগোষ্ঠীর মধ্যে নির্লজ্জতা প্রকাশমান, পরে তারা তারই ব্যাপক প্রচারেরও ব্যবস্থা করে, যার অনিবার্য পরিণতি স্বরূপ মহামারি, সংক্রামক রোগ এবং ক্ষুধা-দুর্ভিক্ষ এত প্রকট হয়ে দেখা দিবে, যা তাদের পূর্ববর্তীদের মধ্যে কখনই দেখা যায় নি।’’(ইবনু মাজাহ, কিতাবুল ফিতান, হাদিস নং-৪০০৯)
৫. তরুণ-তরুণীরা বিবাহ পূর্ব দৈহিক সম্পর্ক গড়তে কোন রকম কুণ্ঠাবোধ করছে না। অথচ তরুণ ইউসুফ আলাইহিস সালামকে যখন মিশরের এক রানী অভিসারে ডেকেছিল, তখন তিনি কারাবরণকেই এহেন অপকর্মের চেয়ে উত্তম জ্ঞান করেছিলেন। রোমান্টিক অথচ যুব-চরিত্রকে পবিত্র রাখার জন্য কী অতুলনীয় দৃষ্টান্ত! আল্লাহ জাল্লা শানুহু সূরা ইউসুফের ২৩-৩৪ নম্বর আয়াত পর্যন্ত এ ঘটনা বর্ণনা করেছেন এ ভাবে-
‘‘সে যে স্ত্রীলোকের ঘরে ছিল সে তার কাছ থেকে অসৎকাজ কামনা করল ও দরজাগুলো বন্ধ করে দিল এবং বলল, ‘আস।’ সে বলল, ‘আমি আল্লাহ্‌র আশ্রয় প্রার্থনা করছি, তিনি আমার প্রভু; তিনি আমার থাকার সুন্দর ব্যবস্থা করেছেন। নিশ্চয়ই সীমালঙ্ঘনকারীরা সফলকাম হয় না। সে রমণী তো তার প্রতি আসক্ত হয়েছিল এবং সেও তার প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ত যদি না সে তার প্রতিপালকের নিদর্শন দেখতে পেত। আমি তাকে মন্দ-কাজ ও অশ্লীলতা হতে বিরত রাখার জন্য এভাবে নিদর্শন দেখিয়েছিলাম। সে তো ছিল আমার বিশুদ্ধচিত্ত বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত। ওরা উভয়ে দৌড়ে দরজার দিকে গেল এবং স্ত্রীলোকটি পিছন হতে তার জামা ছিঁড়ে ফেলল, তারা স্ত্রীলোকটির স্বামীকে দরজার কাছে পেল। স্ত্রীলোকটি বলল, ‘যে তোমার পরিবারের সাথে কুকর্ম কামনা করে তার জন্য কারাগারে প্রেরণ বা অন্য কোন মর্মন্তুদ শাস্তি ছাড়া আর কি দণ্ড হতে পারে? ইউসুফ বলল, ‘সে-ই আমার কাছ থেকে অসৎকাজ কামনা করছিল।’ স্ত্রীলোকটির পরিবারের একজন সাক্ষী সাক্ষ্য দিল, ‘যদি তার জামার সামনের দিক থেকে ছিঁড়ে থাকে তবে স্ত্রীলোকটি সত্য কথা বলেছে এবং পুরুষটি মিথ্যাবাদী, কিন্তু তার জামা যদি পিছন দিক থেকে ছিঁড়ে থাকে তবে স্ত্রীলোকটি মিথ্যা বলেছে এবং পুরুষটি সত্যবাদী। গৃহস্বামী যখন দেখল যে, তার জামা পিছন দিক থেকে ছেঁড়া হয়েছে তখন সে বলল, ‘নিশ্চয়ই এটা তোমাদের নারীদের ছলনা, তোমাদের ছলনা তো ভীষণ। হে ইউসুফ! তুমি এটা এড়িয়ে যাও এবং হে নারী! তুমি তোমার অপরাধের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর; তুমিই তো অপরাধী। নগরের কিছু সংখ্যক নারী বলল, ‘আযীযের স্ত্রী তার যুবক দাস হতে অসৎকাজ কামনা করছে, প্রেম তাকে উন্মত্ত করেছে, আমরা তো তাকে স্পষ্ট ভুলের মধ্যে দেখছি। স্ত্রীলোকটি যখন ওদের কানা-ঘুষার কথা শুনল, তখন সে ওদেরকে ডেকে পাঠাল, ওদের জন্য আসন প্রস্তুত করল, ওদের সবাইকে একটি করে ছুরি দিল এবং ইউসুফকে বলল, ‘ওদের সামনে বের হও।’ তারপর ওরা যখন তাঁকে দেখল তখন ওরা তাঁর সৌন্দর্যে অভিভূত হল এবং নিজেদের হাত কেটে ফেলল। ওরা বলল, ‘অদ্ভুত আল্লাহর মাহাত্ম্য! এ তো মানুষ নয়, এ তো এক মহিমান্বিত ফেরেশতা। সে বলল, ‘এ-ই সে যার সম্বন্ধে তোমরা আমার নিন্দা করেছ। আমি তো তার থেকে অসৎকাজ কামনা করেছি। কিন্তু সে নিজেকে পবিত্র রেখেছে; আমি তাকে যা আদেশ করেছি সে যদি তা না করে, তবে সে কারারুদ্ধ হবেই এবং হীনদের অন্তর্ভুক্ত হবে। ইউসুফ বলল, ‘হে আমার প্রতিপালক! এ নারীরা আমাকে যার দিকে ডাকছে তার চেয়ে কারাগার আমার কাছে বেশী প্রিয়। আপনি যদি ওদের ছলনা হতে আমাকে রক্ষা না করেন তবে আমি ওদের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ব এবং অজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত হব। তারপর তার প্রতিপালক তার ডাকে সাড়া দিলেন এবং তাকে ওদের ছলনা হতে রক্ষা করলেন। তিনি তো সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।(অনুবাদ, সূরা ইউসুফ : ২৩-৩৪)
৬. শরীরে উল্কি আঁকাতে যেয়ে নিজের ইয্‌যত-আব্রু পরপুরুষকে দেখানো হয়। যা প্রকাশ্য কবিরা গুনাহ। যে ব্যক্তি উল্কি আঁকে এবং যার গায়ে তা আঁকা হয়, উভয়য়ের উপরই আল্লাহর লা‘নত বর্ষিত হয়। রাসূলুল্লাহ () বলেন,
لَعَنَ اللَّهُ الْوَاصِلَةَ وَالْمُسْتَوْصِلَةَ وَالْوَاشِمَةَ وَالْمُسْتَوْشِمَةَ *
‘‘যে ব্যক্তি পর-চুলা লাগায় এবং যাকে লাগায়; এবং যে ব্যক্তি উল্কি আঁকে এবং যার গায়ে আঁকে, আল্লাহ তাদেরকে অভিসম্পাত করেন।’’(বুখারী,কিতাবুল লিবাস,হাদিস নং৫৪৭৭)
মূলত যার লজ্জা নেই, তার পক্ষে এহেন কাজ নেই যা করা সম্ভব নয়। তাই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
إِذَا لَمْ تَسْتَحِ فَاصْنَعْ مَا شِئْت
‘‘যদি তোমার লজ্জা না থাকে তাহলে যা ইচ্ছা তাই করতে পার।’’(বুখারী, কিতাবু আহাদীসিল আম্বিয়া, হাদিস নং৩২২৫)
৭. ভালবাসা দিবসের নামে নির্লজ্জতা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে যিনা-ব্যভিচার, ধর্ষণ ও খুন ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।  আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
… وَلَا فَشَا الزِّنَا فِي قَوْمٍ قَطُّ إِلَّا كَثُرَ فِيهِمُ الْمَوْتُ…
‘‘যে জনগোষ্ঠীর-মধ্যেই ব্যভিচার ব্যাপক হবে, তথায় মৃত্যুর আধিক্য ব্যাপক হয়ে দেখা দেবে।’’(মুয়াত্তা মালিক, কিতাবুল জিহাদ, হাদিস নং-৮৭০)
উপরোক্ত আয়াত ও হাদিসগুলোর ভাষ্য কতটা বাস্তব বর্তমান বিশ্বের বাস্তব চিত্র এর প্রমাণ বহন করে। অবাধ যৌন মিলনের ফলে “AIDS” নামক একটি রোগ বর্তমানে মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। এটা এমনি মারাত্মক যে, এ রোগে আক্রান্ত হলে এর কোন আরোগ্য নেই। কিছু পরিসংখ্যান দিলে বিষয়টি আরও পরিষ্কার হবে :
1.     বিশ্বের ১৪০ কোটিরও বেশী লোক থেকে ১৯৮৮ সালের আগস্ট পর্যন্ত এক লক্ষ এগার হাজারেরও বেশী “AIDS”  রোগীর তালিকা পাওয়া গিয়েছে।’’(আব্দুল খালেক, নারী,(ই,ফা,বা.ঢাকা,১৯৮৪ইং) পৃ. ৯৬)
2.     ১৯৯২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ২,৪২,০০০ এইডস রোগীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এর মধ্যে ১,৬০,০০০ মৃত্যু বরণ করেছিল। ১৯৯২ সালের গবেষণালব্ধ তথ্য মতে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত ৫০ লক্ষ্য এইডস রোগী মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে।(Baron& Byrne, Ibid., P. 329)
3.     ৩০ শে ডিসেম্বর ১৯৯৬ এর Time International’ পত্রিকায় পরিবেশিত তথ্য মতে, ৬৫ লক্ষ জীবন ছিনিয়ে নিয়েছে এই ঘাতক ব্যাধি। আগামী ৫ বৎসরে আরও ৩ কোটি লোক মারা যাবে এই রোগে।(মাসিক পৃথিবী, (ঢাকা, ডিসেম্বর, ১৯৯৯), পৃ. ৫)
4.     বিশ্ব এইডস দিবস ২০০০-এর প্রাক্কালে জাতিসংঘ যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে তাতে বলা হয়েছে : ‘‘ইনজেকশনের মাধ্যমে মাদক সেবনকারী এবং সমকামিতা, ইতর রীতির যৌনতার মাধ্যমে পূর্ব ইউরোপ, রাশিয়া, ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা, ল্যাটিন-আমেরিকা ক্যারিবীয় অঞ্চল ও এশিয়ায় এইডস দেখা দিয়েছে। আফ্রিকার কয়েকটি দেশে প্রতি তিনজনের একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ এইডস আক্রান্ত। শিশুদের ৮০ ভাগ এই রোগের ভাইরাসে আক্রান্ত। আফ্রিকার উপ-সাহারা এলাকায় এ বছর ১০ লাখেরও বেশী লোক এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে। রাশিয়া ও পূর্ব ইউরোপে নতুন করে এইডস দেখা দিয়েছে। মাত্র একবছরে এইডস রোগীর সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। উত্তর আফ্রিকা এবং মধ্য প্রাচ্যেও নতুন করে এইডস সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে।’’(রয়টার্স, দৈনিক ইনকিলাব, (ঢাকা, ২রা ডিসেম্বর ২০০০ ইং) পৃ .১-২)
5.     ৬. জাতিসংঘের দেয়া তথ্য মতে : ‘‘বিশ্বে ৩ কোটি ৬০ লাখ লোক এইডসে আক্রান্ত ২০০০ইং সনে ৫০ লাখ লোক নতুন করে এইডসে আক্রান্ত হয়েছে।’’(প্রাগুক্ত)
6.     ৭. ‘‘বিশ্ব এইডস দিবসের আলোচনা সভায় (ঢাকা) বাংলাদেশের তৎকালীন সমাজকল্যাণ, প্রতি মন্ত্রী ড. মোজাম্মেল হোসেনের দেয়া তথ্য মতে, বাংলাদেশে এইডস ভাইরাস বহনকারী রোগীর সংখ্যা একুশ হাজারের বেশী।’’(দৈনিক ইনকিলাব, (স্টাফ রিপোর্টার, বিশ্ব এইডস দিবসে ঢাকায় আলোচনা সভা, ২রা ডিসেম্বর, ২০০০ ইং) পৃ.১)
সিফিলিস-প্রমেহ : বিশেষজ্ঞদের ধারণা, আমেরিকার শতকরা ৯০% অধিবাসী রতিজ দুষ্ট ব্যাধিতে আক্রান্ত। সেখানকার সরকারী হাসপাতালগুলিতে প্রতি বৎসর গড়ে দুই লক্ষ সিফিলিস এবং এক লক্ষ ষাট হাজার প্রমেহ রোগীর চিকিৎসা করা হয়। (Encyclopedia Britannica, V. 23, P. 45.) এছাড়াও আমেরিকায় প্রতি বৎসর ত্রিশ-চল্লিশ হাজার শিশু জন্মগত সিফিলিস রোগে মৃত্যুবরণ করে। ( আঃ খালেক, নারী, (ঢাকা : ই.ফা. বা., ১৯৮৪ ইং), পৃ. ৯৬)
Dr. Laredde বলেন— ফ্রান্সে প্রতি বৎসর কেবল সিফিলিস ও তদ-জনিত রোগে ত্রিশ হাজার লোক মারা যায়। (প্রাগুক্ত)
হার্পিস রোগ :
ব্যভিচারের কারণে জননেন্দ্রিয়ে সৃষ্ট অত্যন্ত পীড়াদায়ক রোগ হলো Genital Herpes. মার্কিন জনসংখ্যার শতকরা দশ ভাগ (জনসংখ্যা ২৬ কোটি ধরলে তার ১০% হয় ২ কোটি ৬০ লক্ষ) এই রোগে আক্রান্ত। এটাই সব নয়। প্রত্যেক বৎসর প্রায় ৫০০,০০০ মানুষের নাম এই মারাত্মক হার্পিস রোগীদের তালিকায় নতুন করে যুক্ত হচ্ছে। (Baron & Byrne, Social psychology : Understanding Human Interaction, P. 329.)
৮. বিশ্ব ভালবাসা দিবসের এসব ঈমান বিধ্বংসী কর্ম-কাণ্ডের ফলে মুসলিম যুব-মানস ক্রমশ ঈমানি বল ও চেতনা হারিয়ে ফেলছে।
৯. মানুষের হৃদয় থেকে তাকওয়া তথা আল্লাহর ভয় উঠে যাচ্ছে।
প্রিয় মুমিন-মুসলিম ভাই-বোনেরা ! ভালবাসা কোন পর্বীয় বিষয় নয়। এটি মানব জীবনের সুখ-শান্তির জন্য একটি জরুরি সার্বক্ষণিক মানবিক উপাদান। সুতরাং আমাদের মধ্যে ভালবাসা ও সৌহার্দ বৃদ্ধির জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর শিখানো সার্বক্ষণিক পন্থাটি অবলম্বন করি।
বিশ্ব ভালবাসা দিবসের নামে এসব ঈমান বিধ্বংসী কর্মকাণ্ড হতে আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে হেফাযত করুন। শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই যেন কাউকে ভালবাসি এবং শত্রুতাও যদি কারো সাথে রাখতে হয়, তাও যেন আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই রাখি। আমীন !!!
Next
ইসলামের দৃষ্টিতে বিশ্ব ভালবাসা দিবস পর্ব ৩
োস্টঃকুরআনের আলো।
ইসলামী ওয়েব সাইট। 
প্রকাশক
Syed Rubel Write facebook

শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের মাঝে ছড়িয়ে দিন।





কোন মন্তব্য নেই :