নারী পুরুষের যৌন সমস্যা সমাধান, চিকিৎসা ও পরামর্শ

কোন মন্তব্য নেই

 →103 যোনির ভিতরের ছবি
→102 নারীর পুরুষের যৌনাঙ্গ
→101নারীর যৌনাঙ্গ
→102নারীর যোনির কর্মতৎপরতা
→103পুরুষ যৌনতার মূল্যবান কথা
→104মেয়েদের অর্গাসোম, ক্লিটরিস এবং জি-স্পট
→105কিভাবে ফিঙ্গারিং দিবেন??
→106ছেলে এবং মেয়েদের যৌন অক্ষমতার সমস্যা এবং তার সহজ মেডিকেল সমাধান
→107নারী যৌনতা নিয়ে দুশ্চিন্তা
→108বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে যৌনতা
→109ভালোবাসা এবং যৌনতা ১
→110ভালোবাসা এবং যৌনতা ২
ভালোবাসা এবং যৌনতা 3
→111দি আর্ট অব সেক্সুয়ালএক্সটাসি ১
→112যৌন ইচ্ছায় বাধানিষেধ 1
→113যৌন ইচ্ছায় বাধানিষেধ 2
→114যৌন ইচ্ছায় বাধানিষেধ 3
→115যৌন ইচ্ছায় বাধানিষেধ 4

→116আমাদের যৌনতা ১
→117মানবের যৌনতা বৈচিত্র্যময় এবং জটিল
→118নর-নারীর যৌনানুভূতি, যৌনবিজ্ঞান ,আরিফ মাহমুদ সাহাব...
→119যৌন বিজ্ঞান ও হ্যাভলক এলিস
→120সেক্স বিজ্ঞান ও ডাঃ কিনসে
→121নর-নারীর যৌনানুভূতি, বীর্যতে কি থাকে " আরিফ মাহমুদ...
→122নর-নারীর যৌনানুভূতি আরিফ মাহমুদ
→123যৌন রোগ বনাম যৌন সমস্যা ডা.এ এইচ মুস্তাফিজুর রহমান
→124যৌনতার অজানা কথা 3| অধ্যাপক ডা. এ এইচ মোহাম্মদ ফির...
→125যৌনতার অজানা কথা ২| অধ্যাপক ডা. এ এইচ মোহাম্মদ ফির...
→126যৌনতার অজানা কথা ১| অধ্যাপক ডা. এ এইচ মোহাম্মদ ফির...
→127যৌনতার অজানা কথা, জি স্পট ও আরো কিছু কথা! অধ্যাপক ...
→128যৌনতা ও শৃঙ্গার
→129যৌনতা ও যৌন শিক্ষা যৌনতা ১
→130যৌনতা ও যৌন শিক্ষা যৌনতা ২
→131ঘরের কাজে সময় ব্যয় করলে যৌন জীবন মধুর হবে
→132কিছু প্রয়োজনীয় "যৌনসঙ্গম" স্টাইল part 2
→133যৌনমিলনের বাসনা কমে যাওয়া

→134যৌন মিলনের সময় ছেলেরা সাধারণত যে ভুলগুলো করে থাকে।.1.
→135যৌন মিলনের সময় ছেলেরা সাধারণত যে ভুলগুলো করে থাকে।..2
→136যৌন মিলনের সময় ছেলেরা সাধারণত যে ভুলগুলো করে থাকে 3
→137যৌন মিলনের সময় ছেলেরা সাধারণত যে ভুলগুলো করে থাকে।.4
→138স্ত্রীকে দ্রুত তৃপ্তির উপায়
→139মহিলাদের সঙ্গমের সমস্যা
→140পুরুষের জন্য নারীর প্রয়োজন কেন? চন্দন সরকার
→141স্ত্রীকে ভালোবাসুন সুখী হবেন -আরিফমাহমুদ সাহাবুল
→142পুরুষত্বহীন সমস্যা মোকাবিলায় নারীর ভমিকা
→143পুরুষত্বহীন সমস্যা মোকাবিলায় নারীর ভমিকা ২
→144পুরুষদের যৌনশঙ্কা - নারীদের যৌনশঙ্কা অধ্যাপক ডাঃ এ...
→145পুরুষদের যৌন ক্ষমতা নষ্ট করে দিচ্ছে ইন্টারনেট পর্ণ...
→146পুরুষের জন্য নারীর প্রয়োজন কেন? চন্দন সরকার
→147স্বাস্থ্যের জন্য চুম্বন ডাঃ জাকারিয়া সিদ্দিকী
→148যৌন মিলনের চারটে গোপণ সূত্র
→149লিঙ্গ সমস্যা
→150ছেলেদের প্রধাণ সমস্যা – দ্রুত বীর্যপাত
→151আমরা অনেকের কাছ থেকে প্রশ্ন পেয়েছি দ্রুত বির্যপাত...
→152পৌরুষত্ত্বের শক্তি বাড়াতে চান???
→153গনোরিয়া (Gonorrhoea)
→154সিফিলিস (Syphilis)
→155যোনির শুষ্কতাঃ প্রশ্ন ও উত্তর
→156যোনির শুষ্কতা এবং নারী-পুরুষের সম্পর্কজনিত সমস্যা
→157সঙ্গমকালীন যোনি শুষ্কতা বিষয়ক সাধারণ প্রশ্নোত্তর

কোন মন্তব্য নেই :

দুনিয়ার প্রতি বৈরাগ্য - অহমিকা অন্তরের ব্যধি

কোন মন্তব্য নেই
জড় বস্তুর আকর্ষণ
মানুষকে আখেরাতের প্রতি উদাসীন
করে তোলে, যার ফলে মানুষ
পাপাচারিতায় লিপ্ত
হয়ে জাহান্নামী হয়। এজন্য
হাদীসে পাকে মৃত্যুর কথা অধিকা স্মরণ
করতে বলা হয়েছে। কবর যিয়ারতের
নির্দেশ একই উদ্দেশ্যে দেয়া হয়েছে,
যাতে মানুষ কবর হাশরের হিসাব-
নিকাশ, পুলছিরাত ও জাহান্নামের
কথা চিন্তা করে অপরাধমুক্ত
থাকতে পারে। অপরপক্ষে আখিরাতের
শান্তি চিরস্থায়ী জান্নাত। জান্নাতের
অবর্ণনীয় সুখ-শান্তির প্রত্যাশায়
মানুষ যাতে নেক আমলের
প্রতি ব্রতী হয়Ñ পবিত্র কুরআন ও
হাদীসে এদিকেও যথেষ্ট গুরুত্ব আরোপ
করা হয়েছে। মানুষ উভয়
বিষয়ে গভীরভাবে মনোনিবেশ
করলে বস্তুর প্রতি তার আকর্ষণ
কমে যায় এবং আখেরাতের প্রস্তুতির
প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পায়। এই মন-
মানসিকতাই এই
যুবককে দুনিয়া বিরাগী করে তুলেছিল।
তাই সে ইবনে দীনারের
দেয়া একটি কুর্তার হাদিয়া গ্রহণ
করে অধিক হিসাবের ভার
কাঁধে নিতে সম্মত হয়নি। হারাম
উপার্জনের পরিণতি ও আযাবের
ভয়ে সে ছিল অত্যন্ত সতর্ক। তাই
পোষাক-পরিচ্ছদ ও জীবন-উপকরণের
অভাব-অনটন তাকে কোন দিন কাতর
করতে পারে নি। অর্থের
অভাবে সে হয়ত হজ্জ্বের কুরবানীর
জন্য জানোয়ার পেশ করতে পারে নি,
কিন্তু কুরবানীর মূল উদ্দেশ্য যা,
তা পেশ করতে সক্ষম হয়েছে। সে তার
নিজের জীবনকে কুরবানীর জন্য পেশ
করে মুনিবের প্রতি গোলামের
আনুগত্যের অপূর্ব নিদর্শন স্থাপন
করেছে। এর চেয়ে অধিক সফলতা আর
কি হতে পারে?
অহমিকা অন্তরের ব্যধি
অহংকার ও অহমিকা সমস্ত আত্মিক
ব্যধির মূল সূত্র। শয়তান অহমিকার
কারণেই শয়তান হয়েছে; সে নিজেও
জাহান্নামী হয়েছে এবং অসংখ্য মানুষের
জন্যও জাহান্নামের কারণ হয়েছে।
যারা ইবাদতগোযার ও শরীয়তের কঠোর
অনুশীলনে অভ্যস্ত, শয়তান
তাদেরকে অত্যন্ত সুকৌশলে এই
ব্যধিতে জড়িয়ে থাকে। ইবাদত-
রিয়াজত ও নেক আমলের
কারণে নিজেকে অপরের চেয়ে বড়
মনে হওয়া অহংকারের ফলশ্র“তি।
অথচ ইবাদত-রিয়াজতের
ক্ষেত্রে আসল বিষয় হচ্ছে আল্লাহ
পাকের দরবারে কবুল হওয়া, আর
এটা নিশ্চিত ভাবে জানার কোন উপায়
নেই। পক্ষান্তরে যাকে ছোট
মনে করা হচ্ছে,
হতে পারে গোপনে সে আল্লাহর প্রিয়
হয়ে আছে। তাই নিজেকে বড় মনে করার
কোন উপায় নেই। সর্বোপরি আল্লাহর
বড়ত্ব ও আযমতের সামনে মানুষÑ
সে যত বড়ই হোক না কেন, তার
কি মূল্য আছে? বিশ্ব রাসূলের
চেয়ে বড় কে হতে পারে? অথচ
তিনি আল্লাহর সম্মুখে ক্রীতদাসের
মত হয়ে থাকতেন। তাহলে আর কোন
সৃষ্টির বড়ত্বের কী অধিকার আছে?
যারা এই সত্য অনুধাবনে সক্ষম হয়
তারা হয় নম্র-ভদ্র, দীন-হীন।
তারা নিজেকে ছোট মনে করে ও ছোট
হয়ে থাকে। ফলে তারা আল্লাহ পাকের
নিকট হয় অতি মহান, অত্যন্ত বড়;
দুনিয়াতেও ও আখেরাতের জীবনেও। এই
যুবক নিজেকে অহমিকা মুক্ত
করতে সক্ষম হয়েছিল। তার
চোখে অন্যের গুরুত্ব ও আল্লাহ পাকের
বড়ত্ব স্পষ্ট হয়ে ধরা পড়েছিল। তাই
সে ঈদের দিন অন্যের মত
কুরবানী করতে পারে নি বিধায়
নিজেকে অন্যদের তুলনায় ছোট
মনে করে নিজের
প্রাণকে কুরবানী হিসেবে পেশ করেছে।
অতঃপর আল্লাহর সম্মুখে জানোয়ারের
কুরবানীর পরিবর্তে স্বীয় জানের
কুরবানী গ্রহণের জন্য কাতর
সুরে মুনাজাত করেছে। এই থেকে যুবকের
অহমিকা বিবর্জিত মন
এবং দীনতা হীনতা অবলম্বনের স্বভাব
প্রমাণিত হয়।


শেয়ার করে আপনার বন্ধুদেরকে জানান ।এটা আপনার আমার সকলের দ্বায়িত্ব ।প্রকাশক ও সম্পাদক সৈয়দ রুবেল উদ্দিন

Next Post আখেরাতের বিশ্বাস - ভয় এবং আশা

কোন মন্তব্য নেই :

আখেরাতের বিশ্বাস - ভয় এবং আশা

কোন মন্তব্য নেই
আখেরাতের বিশ্বাস
মানুষ স্বেচ্ছায়
দুনিয়াতে আসেনি এবং স্বেচ্ছায়
দুনিয়া থেকে যেতেও পারে না। এর জন্য
রয়েছে অলংঘনীয় খোদায়ী বিধান।
তবে একদিন মানুষকে এই দুনিয়ার
স্বপ্নপুরী ত্যাগ করতে হবে এবং যার
হুকুমে এসেছে তার হুকুমেই
তাকে ফিরে যেতে হবে। দুনিয়ার এ জীবন
নেহায়েত ক্ষণস্থায়ী। এই ধ্র“ব সত্য
অনুধাবনে যারা সমর্থ হয় তারা বস্তু
জড়তার প্রতারণা থেকে নিজেকে মুক্ত
রাখতে সক্ষম হয়। সক্ষম হয়
আখেরাতকে প্রাধান্য
দিতে এবং আখেরাতের জন্য
প্রস্তুতি গ্রহণ করতে।
সে মৃত্যুকে ভয় করে না,
বরং মৃত্যুকে শান্তি ও মুক্তি লাভের
উপায় মনে করে। সে মনে করে মৃত্যু
হলেই সে জড়বস্তুর পরিবেশ মুক্ত
হয়ে নতুন পরিবেশ লাভে ধন্য হবে।
ধন্য হবে জান্নাত লাভে, আল্লাহর
সান্নিধ্য লাভে। যার নির্দেশে এবং যার
নিকট থেকে সে এসেছে, সে তার
নির্দেশের অপেক্ষায় থাকে পুণরায় তার
নিকট ফিরে যাওয়ার জন্য। এর বাস্তুব
নিদর্শন ছিল হাজী যুবকের জীবন।
ইবনে দীনার
যুবকটিকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে,
“তুমি কোথা হতে এসেছ এবং কোথায়
যাচ্ছ?” উত্তরে যুবক
বলেছিলঃ “আল্লাহর দরবার
থেকে এসেছি এবং আল্লাহর
দরবারে ফিরে যাওয়ার
পথে রওনা হয়েছি।” আহ!
কতইনা হৃদয়গ্রাহী কথা! কী অপূর্ব
বিশ্বাস, কি প্রেমের অভিব্যক্তি! তার
এই উক্তি বিশ্ব মানবতার
ইতিহাসে উজ্জ্বল আদর্শ
হয়ে আছে এবং থাকবে। পবিত্র স্থান
মিনাতে মৃত্যুবরণ করে সে যার কাছ
থেকে এসেছিল তার কাছেই ফিরে গেল।
তার এই উজ্জ্বল জীবনাদর্শ হয়ে রইল
বিশ্ব যুব সমাজের জন্য স্মরণীয়
পাথেয়।
ভয় এবং আশা
মানুষ দুটি কারণে অপরাধমুক্ত
থেকে সৎ পরায়ণ হয়।
ক) ক্ষতিকর ও বিপদজনক কাজের
প্রতি মানুষের অন্তরে ভয়-
ভীতি সঞ্চার হয়ে থাকে। আর এই ভয়
থেকে মুক্তির পথ বেছে নেয়ার তাগিদেই
সে সততা অবলম্বন করে।
খ) লাভ ও সফলতার কামনায় মানুষ সৎ
কাজের প্রতি আকৃষ্ট হয়
এবং অপরাধমুক্ত থাকার
প্রতি ব্রতী হয়। এই বিধান কেবল
পার্থিব ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ নয়,
ধর্মীয় এবং আখেরাতের ব্যাপারেও
সমানভাবে ক্রিয়াশীল। বস্তুতঃ যার
মনে আল্লাহর ও তার আযাবের ভয়
নেই, যার মনে আল্লাহর নেয়ামতের
আশা-ভরসা নেই সে হয়ে ওঠে উদাসীন-
অপরাধপ্রবণ। সে পাপাচারিতায় লিপ্ত
হতে কুন্ঠাবোধ করে না।
অপরপক্ষে যার অন্তরে আল্লাহ ও
তার আযাবের ভয় বিদ্যমান, যার
অন্তরে আল্লাহ ও তার নেয়ামতের
প্রতি কৃতজ্ঞতা ও আশা-ভরসা আছে,
সে হয় সজাগ দৃষ্টির অধিকারী-
দূরদর্শী, সৎ ও দৃঢ় প্রত্যয়ের
অধিকারী। সে তার অভীষ্ট লক্ষ্য
অর্জনে হয় অত্যন্ত উদ্যোগী।
হাজী যুবক এরই নজীর স্থাপনে সক্ষম
হয়েছিল। আখেরাতের হিসাবের
ভয়ে সে একটি কুর্তা পর্যন্ত
হাদিয়া গ্রহণে অসম্মত হয়। হালাল ও
বৈধ জিনিসের হিসাব দেয়ার ভয়ে তার
অন্তর প্রকম্পিত থাকে, আখেরাতের
পোষাক-পরিচ্ছদ লাভে ধন্য হওয়ার
আশায় যে খালি গায়ে হাজ্বের
সফরে বের হয়, তার অন্তরের
অবস্থা কত উন্নত! কিসের
ভয়ে এবং কিসের আশা-ভরসায়
সে নিজেকে মোহমুক্ত করতে সক্ষম
হয়েছিল, আজকের যুবক সমাজ
কি তা তলিয়ে দেখবে? সমুন্নত
রাখতে উদ্যোগী হবে কি এই
অবিস্মরণীয় মুসলিম যুবকের
সোনালী ইতিহাস?


শেয়ার করে আপনার বন্ধুদেরকে জানান ।এটা আপনার আমার সকলের দ্বায়িত্ব ।প্রকাশক ও সম্পাদক সৈয়দ রুবেল উদ্দিন

Next post নেক আমলের তাওফীক - অন্তদৃষ্টির গুরুত্ব

কোন মন্তব্য নেই :

নেক আমলের তাওফীক - অন্তদৃষ্টির গুরুত্ব

কোন মন্তব্য নেই
নেক আমলের তাওফীক
সবকিছুর মালিক আল্লাহ পাক। নেক
আমলের তাওফীকের মালিকও আল্লাহ
পাকই। তিনি যাকে তাওফীক দেন,
সে কেবলই নেক আমল করতে সক্ষম
হয়। আর যাকে তিনি তাওফীক না দেন
সে কোন ক্রমেই নেক আমল
করতে পারে না। তবে তিনি জালিম নন।
ন্যায়-নিষ্ঠা তারই নির্ধারিত বিধান।
অত্যন্ত
কঠোরভাবে তিনি তা কর্যকর
করে থাকেন। তবে এর জন্য
রয়েছে স্বতন্ত্র নীতি ও নিয়ম-
শৃঙ্খলা। মানুষকে সেই নিয়ম-
শৃঙ্খলা প্রতিপালনে বাধ্য
করা হয়েছে এবং তা করা হয়েছে মানুষের
মঙ্গলের জন্যই। মানুষ যখন আল্লাহ
প্রদত্ত বিধি-নিষেধ মেনে চলার
প্রতি ব্রতী হয় এবং অবিরাম
প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখে তখন তার
ইহকাল-পরকাল উভয় জীবনেই মঙ্গল
সাধিত হয়, ধন্য হয় তার জীবন। নেক
আমলের তাওফীক লাভের ব্যাপারেও
আল্লাহপাকের এই নিয়মই কার্যকর
রয়েছে। নেকের জন্য
যারা প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখে, আল্লাহ
পাক তাদের প্রচেষ্টার মূল্যায়ণ
করে থাকেন, তারা নেক আমলের
তাওফীক লাভ করে থাকে। হাজী যুবকের
জীবনে এর প্রতিফলন ঘটেছিল
এবং আজকের যুবকদের জীবনেও এর
প্রতিফলনের সুনিশ্চিত অবকাশ
রয়েছে। রাতের আঁধারে মানুষ যখন
নিদ্রার তৃপ্তি ভোগে ব্যস্ত,
ধীরচিত্তে আরামে বিছানায় ঘুমন্ত,
হাজী যুবক তখন জাগ্রত হয়ে অধীর
চিত্তে প্রেমাস্পদের সাক্ষাতের
অপেক্ষায় অপেক্ষমান। গভীর রাতের
আঁধারে প্রেমাস্পদের সাক্ষাতের
প্রতিশ্র“তির প্রতি অগাধ বিশ্বাস
রেখে সে নফল ইবাদতের হাদিয়া পেশ
করে প্রার্থনা জানায়Ñ“ হে আমার
মালিক! আপনি ইবাদতে খুশী হন, তাই
আমাকে ইবাদতের তাওফীক দিন,
আপনিই তাওফীকদাতা। আমি অবশ্যই
গোনাহ করেছি এবং অপরাধী।
আপনি যদি আমাকে ক্ষমা করেন
তবে আপনার কোন ক্ষতি নাই,
তবে আমার বিরাট উপকার হবে।”
আল্লাহর রাসূল বলেছেন, “যুবক
বয়সে যারা ইবাদত রিয়াজত
করে থাকে আল্লাহ পাক
তাদেরকে কিয়ামতের ভীষণ সংকটময়
মুহূর্তে স্বীয় আরশের নীচে স্থান
দিয়ে আশংকামুক্ত করবেন। এই যুবক
যে তাদেরই একজন ছিল তাতে বিস্ময়ের
কিছু নেই।
অন্তদৃষ্টির গুরুত্ব
চর্মচোখে মানুষ বস্তুকে দেখে বিশ্বাস
স্থাপন করে এবং তার দ্বারা উপকৃত
হয়। বস্তু জগতের আড়ালে বিশাল এক
অদৃশ্য জগত রয়েছে।
সেখানে রয়েছে অনেক কিছু বুঝার
এবং বিশ্বাস স্থাপনের। কিন্তু
চর্মচোখে তার অবলোকন করা যায় না।
এর জন্য প্রয়োজন হয় অন্তদৃষ্টির
অধিকারী হওয়ার। অন্তদৃষ্টির
মাধ্যমে অদৃশ্য জগতের বিষয়ে দৃঢ়
ঈমান ও বিশ্বাস স্থাপনের সুযোগ লাভ
হয়। তাই অন্তদৃষ্টির গুরুত্ব
অপরিসীম। এই নেয়ামত লাভের উপায়
কি? এ সম্পর্কে এক সাহাবী বিশ্ব
রাসূলকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেনÑ
ﺍﻟﺘﺠﺎﻓﻲ ﻋﻦ ﺩﺍﺭ ﺍﻟﻐﺮﻭﺭ ﻭﺍﻻﻧﺎﺑﺔ
ﺍﻟﻲ ﺩﺍﺭﺍﻟﺨﻠﻮﺩ ﻭﺍﻻﺳﺘﻌﺪﺍﺩ
ﻟﻠﻤﻮﺕ ﻗﺒﻞ ﻧﺰﻭﻟﻪ
অর্থাৎ, ‘মরীচিকাময় বস্তুর আকর্ষণ
থেকে নিজেকে মুক্ত রাখা, আখেরাতের
প্রতি ধাবিত ও আকৃষ্ট
হওয়া এবং মৃত্যুর পূর্বেই মৃত্যুর জন্য
প্রস্তুতি গ্রহন করা।’ কিন্তু
এটি সহজ কোন পথ নয়। অতি সংকীর্ণ
এবং কাঁটাযুক্ত এই পথ অতিক্রম
করা সহজসাধ্য ব্যাপার নয়। তবে যার
অন্তদৃষ্টি সক্রিয়, যার
সম্মুখে অদৃশ্যও দৃশ্যময়, তার জন্য
এই পথ অতিক্রম করা কোন কঠিন
ব্যাপার নয়। এই হাজী যুবক ছিল সেই
পথেরই পথিক। না জানি আমাদর
অজ্ঞাতে কত যুবক এই পথ অতিক্রম
করেছে এবং করছে। হাজী যুবকের
অন্তর্দৃষ্টি ছিল অত্যন্ত প্রখর
এবং উন্মুক্ত। তার সম্মুখে অদৃশ্য বহু
কিছুই ছিল দৃশ্যময়। এই দৃষ্টিই
তাকে চলার পথে সহায়তা করেছে।
একদিন সে মিনার মরুভূমিতে মনের
আবেগে স্বীয় মনোভাব এভাবে প্রকাশ
করেছিল, “হে পৃথিবীর মানুষ!
আমি একজনের প্রেমে মুগ্ধ, যার
প্রেমে আমার অন্তর দাউ দাউ
করে জ্বলছে। আমার জীবন-মরণ
সবকিছুই তার হাতে সোপর্দ
করে দিয়েছি। তার জন্য জীবন উৎসর্গ
করতে পারলে আমার জীবন
হবে স্বার্থক, আমি হব শান্ত ও
পরিতৃপ্ত। এ প্রেমের
কারণে তোমরা আমাকে ভর্ৎসনা করো
না। আমি যার প্রেমে আবদ্ধ
তাকে আমি দেখেছি,
তোমরা তাকে দেখনি তাই
আমাকে ভর্ৎসনা করছো।
যদি তোমরা তাকে অবলোকন
করতে তাহলে আমাকে ভর্ৎসনা করতে
না, বরং আমার প্রতি ঈর্ষাকাতর
হয়ে উঠতে। তোমরা তো বায়তুল্লাহ
তাওয়াফ ও জানোয়ার
কুরবানী করে ক্ষান্ত হয়েছ।
যদি তাকে অবলোকন করতে,
তাকে তাওয়াফ করার সৌভাগ্য অর্জন
করতে তবে জানোয়ার
কুরবানী করে ক্ষান্ত হতে পারতে না,
বরং নিজের জান কুরবানী করতেও
কুন্ঠাবোধ করতে না।”
বস্তুতঃ এই যুবকের দৃঢ় ঈমান,
আল্লাহর প্রতি আসক্তি ও অনুরাগের
মূলে ছিল তার প্রখর
অন্তরর্দৃষ্টি। এই অন্তর্দৃষ্টি লাভের
জন্য প্রয়োজনীয় মুজাহাদা-মেননত,
শ্রম-পরিশ্রম শুধু তাকে নয় বরং তার
মত অসংখ্য যুবকের
ভাগ্যকে করতে পারে উজ্জ্বল। এই
যুবক আমাদের নিকট অমর
হয়ে আছে এবং থাকবে। তার জীবন
আমাদের যুব সমাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ
পাথেয়। আল্লাহ পাক তাকে উপযুক্ত
প্রতিদানে ভূষিত করুন। আমীন।


শেয়ার করে আপনার বন্ধুদেরকে জানান ।এটা আপনার আমার সকলের দ্বায়িত্ব ।প্রকাশক ও সম্পাদক সৈয়দ রুবেল উদ্দিন

Next post ছয়. নও-মুসলিম যুবক

কোন মন্তব্য নেই :

ছয়. নও-মুসলিম যুবক islam117

কোন মন্তব্য নেই
নেক স্বভাব ঈমানের উপায়
আল্লাহ পাক মানুষকে অত্যন্ত সুন্দর
করে সৃষ্টি করেছেন এবং সকল সৃষ্টির
মাঝে তাকে শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন।
এই শ্রেষ্ঠত্বের মূল কারণ
হচ্ছে ঈমান। একারণেই যাদের ঈমান
নেই, সৃষ্টির
মাঝে তারা সবচেয়ে মূল্যহীন। মানুষের
মধ্যে আল্লাহ পাক
সৃষ্টিগতভাবে মেধা ও জ্ঞানের
যে উপাদান বিদ্যমান রেখেছেন সেই
মেধা ও জ্ঞান তাকে সততাপরায়ণ ও
চরিত্রবান করে তোলে। মানুষ
যদি সঠিক বিবেচনা, গবেষণা ও
নিরোপেক্ষ চিন্তা-ভাবনা অব্যাহত
রাখে, তাহলে মেধা, বুদ্ধি ও স্বভাব-
চরিত্রের সৌন্দর্য একদিন
তাকে পারিপার্শ্বিকতার অন্ধকার
থেকে মুক্ত করে ঈমান-আমলের আলোয়
উদ্ভাসিত করে তোলে। এক নও-মুসলিম
সাহাবী রাসূলকে প্রশ্ন করেছিলেন
“ইয়া রাসূলাল্লাহ! কাফের অবস্থায়
অনেক ভালো ও নেক কাজ সম্পাদন
করেছি, সেগুলোর কি কোন প্রতিদান
আছে?” রাসূল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম উত্তরে বলেন,
ﺍﺳﻠﻤﺖ ﺑﻤﺎ ﺍﺳﻠﻔﺖ ﻣﻦ ﺍﻟﺨﻴﺮ এই
হাদীসের এক অর্থ এই যে, কাফের
অবস্থায় তুমি যে নেক কর্ম সম্পাদন
করেছিলে তারই বরকতে আজ
ঈমানে দৌলত লাভে ধন্য হয়েছ।
ইতিহাসে এমন অসংখ্য যুবকের সন্ধান
পাওয়া যায়, যারা মুসলমানের
ঘরে লালিত-পালিত হয়ে বিধর্মী ও
পাপাচারী হয়েছে। আবার এমন বহু
যুবকের সন্ধান পাওয়া যায়, যার জন্ম
ও লালন-পালন কুফরী পরিবেশে হয়েছে,
কিন্তু এক সময় তার
বুদ্ধি বিবেচনা এবং স্বভাবে সৌন্দর্য
তাকে কুফরীর অন্ধকার থেকে মুক্ত
করে ঈমানের নেয়ামতে গৌরবান্বিত
করেছে।
বিধর্মী যুবক
এমন এক যুবকের সন্ধান দিয়েছেন
সিলসিয়ারে চিশতিয়ার প্রসিদ্ধ বুযুর্গ
আবদুল ওয়াহিদ ইবনে যায়েদ (রহঃ)।
তিনি একবার সামুদ্রিক ভ্রমণে নৌকায়
আরোহী ছিলেন। ঘটনাক্রমে প্রচন্ড
ঘূর্ণিবাতাস ও সমুদ্রের ঢেউ
তাদেরকে অজানা-
অচেনা স্থানে নিয়ে পৌঁছায়।
সেখানে তিনি অতি সুঠাম সুন্দর
স্বাস্থ্যের অধিকারী এক
যুবককে মূর্তিপূজারত
দেখে তাকে নছীহত শুরু করেন।
তিনি তাকে বলেন, “তুমি তো এমন
মাবুদের পূজা করছ যাকে তুমি নিজ
হাতেই তৈরী করেছ। আর আমরা এমন
মাবুদের ইবাদত
করি যিনি স্বয়ং স্রষ্টা। নিজ
হাতে তৈরী করা মাবুদকে আমরা পূজা
করি না।”
উপদেশ ফলপ্রসূ হলো
ইসলামের ঐতিহাসিক জাগরণ ও
প্রসারের পিছনে বিরাট ভূমিকা পালন
করেছে মুসলমানদের ধর্ম প্রচারের
আগ্রহ ও তাদের অবিরাম প্রচেষ্টা।
পবিত্র কুরআন ও হাদীসে এর
প্রতি বিশেষ গুরুত্ব আরোপ
করা হয়েছে। এই
প্রচেষ্টা একদিকে যেমন নিজের
জন্যে পূণ্যের কারণ হয়,
অপরদিকে তেমনি তা কাফেরদের জন্য
ঈমান লাভের উপায় হয়। আজ
সর্বশ্রেণীর মুসলমানদের
মধ্যে এক্ষেত্রে উদাসীনতা বিরাজমান।
মুসলমানদের অধঃপতনের একটি কারণ
এটাও। যারা আজও দাওয়াত ও
তাবলীগের মহান দায়িত্ব পালনে রত
আছেন, তাদের দ্বারা এই যুগেও
অসংখ্য বিধর্মী ও পথহারা যুবক-
যুবতী ঈমানের নিয়ামত লাভে ধন্য
হচ্ছে। যে কোন কারণেই হোক না কেন
সেই যুবক ছিল ভাগ্যবান। ঈমান
গ্রহণের সৌভাগ্য লাভের সময় তার
ঘনিয়ে এসেছিল। কুদরতের
খেলা বুঝা দুষ্কর। বুযুর্গ ইবনে যায়েদ
ঝড়ো বাতাসে পথহারা হয়ে সেখানে
পৌঁছেন, আল্লাহ পাক
তাকে সেখানে পৌঁছান। আর এই বুযুর্গ
নীরব ভূমিকা পালন না করে আল্লাহর
দেয়া যবানে তাকে তাওহীদের
বাণী শোনান। একদিকে বুযুর্গের
তাওয়াজ্জুহ, অপরদিকে যুবকের
স্বভাবগত পরিশুদ্ধি মেধা ও চিন্তা-
উভয়ের সম্মিলন যুবকের
মনকে সত্যের প্রতি আকৃষ্ট
করে তুলে। সর্বোপরি আল্লাহর চূড়ান্ত
সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার সময়
ঘনিয়ে আসে। তাই যুবক নছীহত
শুনে অত্যন্ত অনুরাগের সূরে প্রশ্ন
করেÑ“আপনার মাবুদের পরিচয়
জানাবে কি?”
আল্লাহর পরিচয়
ইবনে যায়েদ বলেন, “আল্লাহ বিশাল
আসমানের উপর বিদ্যমান
আরশে আজীমের মালিক। তিনি জগতের
স্রষ্টা। সমগ্র সৃষ্টি তারই সৃজিত
এবং তারই কীর্তি। তার সাথে কেউ
শরীক নেই। সবকিছুই তার ক্ষমতাধীন
ও নিয়ন্ত্রণে। তিনি আসমান
সৃষ্টি করেছেন, যমীনও সৃষ্টি করেছেন।
মানুষ সৃষ্টি করে তাকে অসংখ্য
নেয়ামত দিয়ে লালন-পালন করেছেন।
সমস্ত মানুষকে একদিন তারই
দরবারে ফিরে যেতে হবে এবং নিজ নিজ
কর্মকাণ্ডের হিসাব দিতে হবে।
অতঃপর শাস্তি অথবা শান্তির
চিরস্থায়ী জীবনের অধিকারী হতে হবে।
রাসূল পরিচয়
বুযুর্গের বর্ণনা শুনে যুবকের হৃদয়
আন্দোলিত হয়। সে তার অতীত
জীবনের ভূলের কথা স্মরণ
করে ভবিষ্যত জীবনের দিক
নির্দেশনা লাভের
তাগিদে বুযুর্গকে প্রশ্ন করে,
“আপনি আল্লাহর বিষয়ে অবগত হলেন
কি করে? তার সাথে দেখা-সাক্ষাত ও
আলাপ-আলোচনা করা যাবে কি?”
বুযুর্গ বললেন, “তাকে দেখা, তার
সাথে সাক্ষাত ও
সরাসরি কথাবার্তা বলার
ক্ষমতা মানুষের নেই। তবে মৃত্যুর পর
পরকালের
জীবনে জান্নাতী শক্তিতে যারা বলীয়ান
হবে, তারা অবশ্যই তার সান্নিধ্য
লাভে ধন্য হবে। বাদশার সাথে সবসময়
সকলের দেখা সাক্ষাৎ ও
কথা বলা কি সম্ভব হয়?
তবে তিনি তার বিষয়ে অবহিতকরণের
জন্য আমাদের কাছে তাঁর মনোনীত
রাসূল পাঠিয়েছেন। তাঁর প্রেরিত রাসূল
ছিলেন শিষ্টাচার সম্পন্ন ও উদার।
তিনি আমাদেরকে সকল বিষয়ে অবহিত
করেছেন, আমাদেরকে দিক-
নির্দেশনা দিয়েছেন।” যুবক প্রশ্ন
করে, “রাসূল কোথায় আছেন?” বুযুর্গ
বললেন, “তিনি তার দায়িত্ব পালন
করে চলে গিয়েছেন। আল্লাহ পাক তাঁর
দায়িত্ব ও কর্তব্য যথাযথ পালনের
পুরস্কারে ভূষিত করার জন্য
তাঁকে নিজের কাছে ডেকে নিয়েছেন।”
পবিত্র কুরআনের প্রভাব
যুবকটি প্রশ্ন করে, “রাসূল
কি আপনাদের কাছে তার কোন পরিচয়
রেখে গিয়েছেন?” বুযুর্গ বললেন,
“হ্যা তিনি আমাদের কাছে আল্লাহর
বাণী পবিত্র কুরআন রেখে গিয়েছেন।
তাতে সবকিছুই বিদ্যমান রয়েছে।”
যুবক বলল, ‘আমাকে সেই পবিত্র
কালাম দেখাতে পারেন কি?’ বুযুর্গ
বললেন, “অবশ্যই!” এই
বলে তিনি পবিত্র কুরআন যুবকের
সম্মুখে হাজির করেন। পবিত্র
কুরআনের তেলাওয়াত শুনে অসংখ্য
কাফের ইসলাম গ্রহণ করেছে। এই
কুরআনের তেলাওয়াতের প্রভাবেই
হযরত উমর ফারুকের অন্তর
আলোকিত হয়েছিল এবং ঈমানের দৌলত
লাভে তিনি ধন্য হয়েছিলেন। আজ এই
যুবকের সম্মুখে সেই পবিত্র কুরআন।
কুরআন আজও তার প্রভাব নিয়েই
অক্ষত আছে এবং থাকবে।


শেয়ার করে আপনার বন্ধুদেরকে জানান ।এটা আপনার আমার সকলের দ্বায়িত্ব ।প্রকাশক ও সম্পাদক সৈয়দ রুবেল উদ্দিন

Next Postযুবকের ইসলাম গ্রহণ

কোন মন্তব্য নেই :

যুবকের ইসলাম গ্রহণ

কোন মন্তব্য নেই
যুবকের ইসলাম গ্রহণ
যুবক বলল, ‘আমি মূর্খ,
পড়ালেখা জানি না। তাই
আপনি আমাকে পবিত্র কুরআন
পড়ে শোনান এবং বুঝিয়ে দিন।’ বুযুর্গ
বলেন, ‘এরপর আমি পবিত্র কুরআনের
একটি সূরার তেলাওয়াত শুরু করি।
যুবকটি আমার তেলাওয়াত অত্যন্ত
আগ্রহ ও মনোযোগের সাথে শ্রবণ
করে। রাসূলের
বাণী অনুসারে তেলাওয়াতের প্রভাব-
জ্যোতি তার অন্তরের কালিমা ও
অন্ধকার দূরীভূত করে।
সে অনুতাপদগ্ধ হয়ে অশ্র“সিক্ত
হয়ে যায়।’
এভাবে বুযুর্গের তেলাওয়াত শেষ হলো,
কিন্তু যুবকের মন এখনও পরিতৃপ্ত
হয়নি। তবে শেষ পর্যন্ত সে হকের
সন্ধান পেয়ে ধন্য হয়ে বলল, “সত্যিই
এই কালাম যার তার
নফরমানী করা যায় না।” এই
বলে কালিমা পাঠ করে মুসলমান
হয়ে যায়।
দ্বীনি শিক্ষার গুরুত্ব
মুমিনের প্রধান দায়িত্ব ও কর্তব্য
হচ্ছে দ্বীনি শিক্ষা গ্রহণ। নবীর
ওয়ারিস-আলেমদের গুরু দায়িত্ব
হচ্ছে মুসলমানদেরকে কুরআন-সুন্নাহ
তথা শরীয়তের সঠিক শিক্ষা দান
করে তাদের
মধ্যে দ্বীনি চেতনা জাগিয়ে তোলা।
কেননা ঈমানের পর ঈমানের সজীবতা,
ঈমানী শক্তি বৃদ্ধি ও স্থায়িত্ব
নির্ভর করে আমলের উপর।
পক্ষান্তরে মূর্খতা ও
আমলে উদাসীনতা মুসলিম
সমাজকে কুলষিত করে, আকীদার
বিকৃতি সাধন করে। বেদআত-মুনকারাত
ও অপসংস্কৃতির বিস্তৃতি ঘটায়।
উপরন্তু মুসলিম সমাজে প্রসারিত হয়
ধর্মনিরোপেক্ষতার
নামে ধর্মদ্রোহীতার কালো থাবা। আজ
মুসলিম যুবক-যুবতীসহ সর্বশ্রেণীর
জনসাধারণের মাঝে বিজাতীয় তাহজীব-
তামাদ্দুন ও তাদের শিক্ষা-সংস্কৃতির
ব্যাপক প্রচার-প্রসার লাভের
অন্যতম কারণ হচ্ছে দ্বীন ইসলাম
সম্পর্কে মুসলমানদের অজ্ঞতা।
অজ্ঞতার এ অভিশাপ
থেকে মুক্তি লাভের একমাত্র উপায়
হচ্ছে, সমাজের সর্বশ্রেণীর
মুসলমানদের দ্বীনি শিক্ষা গ্রহণ ও
সে শিক্ষা বিস্তারে এগিয়ে আসা এবং
এক্ষেত্রে সর্বশক্তি নিয়োগ করা।
শিক্ষা অভিযানের মাধ্যমেই কেবল
মুসলিম জাতির ঐতিহ্য
রক্ষা পেতে পারে, দূরীভূত
হতে পারে জাতীয় অধঃপতনের বিষাক্ত
সাপ। এর কোন বিকল্প নেই।
ওলামা-মাশায়েখদের দায়িত্ব
শিক্ষা-দীক্ষা বিস্তারের প্রধান
দায়িত্ব আলেম-ওলামাদের।
কেননা রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম আলেমদেরকেই
স্বীয় উত্তরাধিকারী নির্ধারণ
করেছেন। আর তা করেছেন
দ্বীনি ইলমের কারণেই, অন্য কোন
কারণে নয়। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার
অধিকারী অথবা অর্থশালী ধনাঢ্যদেরকে
তিনি স্বীয় ওয়ারিস বলে ঘোষণা করেন
নি। কিন্তু তিক্ত হলেও সত্য যে, আজ
এক শ্রেণীর আলেম রাষ্ট্রীয়
ক্ষমতা ও অর্থ-কড়িকে ইসলামের
প্রচার প্রসার ও শরীয়ত বাস্তবায়নের
উপায় ভেবে দ্বীনি শিক্ষার চেয়েও
সেগুলোর প্রতি অধিক গুরুত্ব
দানে প্রয়াসী। তাদের মতে রাষ্ট্র
প্রতিষ্ঠা ব্যতীত ইসলাম প্রতিষ্ঠার
পথ খোলা নেই। একথা অস্বীকার করার
কোন উপায় নেই যে, ইসলামী রাষ্ট্রীয়
ব্যবস্থা কায়েম করার জন্য প্রয়োজন
অপরিসীম এবং এর জন্য
নিয়মতান্ত্রিক ও ঐক্যবদ্ধ
প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখাও জরুরী,
কিন্তু দ্বীনি শিক্ষার
প্রয়োজনীয়তা এর চেয়েও অধিক।
কেননা রাষ্ট্র ও প্রশাসন যতই
গুরুত্বের দাবীদার হোক না কেন, তার
অবস্থান সহায়ক উপায় বা সহায়ক
শক্তির অধিক নয়। আর
দ্বীনি শিক্ষা হচ্ছে মূল ভিত্তি।
ভিত্তির জন্যইতো উপায় অবলম্বন।
আত্মা ব্যতীত দেহে যেমন
শক্তি সঞ্চার হয় না, দেহ ক্রিয়াশীল
হয় না, তেমনি ইলম ব্যতীত
দ্বীনি চেতনা টিকে না, শরীয়তের আমল
ক্রিয়াশীল হয় না।
বস্তুতঃ দ্বীনি শিক্ষাকে বাদ
দিয়ে বা খাটো করে দেখে রাষ্ট্র
প্রতিষ্টার অভিযান
হচ্ছে ভিত্তি স্থাপন না করেই এমারত
নির্মাণের নামান্তর। এই ধ্র“ব
সত্যটি সবার অনুধাবন করতে হবে।
বুঝতে হবে যে, অন্য সব কার্য
সমাধানের লোক রয়েছে এবং অধিক
সংখ্যায় রয়েছে। কিন্তু নবীর
ওয়ারীসি শিক্ষার লোকের খুবই অভাব
এবং এর ব্যবস্থাপনাও অত্যন্ত
অত্যন্ত সীমিত। উপরন্তু এই সামান্য
ব্যাবস্থাপনাটুকুও শত্র“দের জন্য
অসহনীয়। তাই
তারা দ্বীনি শিক্ষাকে সমূলে উৎপাটনের
ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। রাষ্ট্রীয়
ক্ষমতা, পদমর্যাদা ও অর্থের
লোভনীয় জাল বিস্তার
করে তারা জ্ঞাত-অজ্ঞাত পথে শিকার
তালাশে ব্যস্ত। তাদের
শিকারে যাতে পরিণত না হতে হয় এ
ব্যাপারে অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন
করতে হবে। মুসলিম যুবকদের
মধ্যে দ্বীনি শিক্ষার বিস্তার
এবং ধর্মীয় জীবনাচারের অনুশীলন
নতুন যুগের সূচনা করতে পারে। এরূপ
দৃষ্টান্ত বিরল নয়।
শিক্ষার সুফল
আমরা এই যুবকের জীবন
থেকে দৃষ্টান্ত গ্রহণ করতে পারি।
মুসাফির বুযুর্গ কেবল
যুবকটিকে মুসলমান করেই ক্ষান্ত
হননি, বরং তাকে শিক্ষা-দীক্ষা দান
করে স্বল্প সময়ে তার তরবিয়তের
প্রতি তিনি মনোনিবেশ করেন।
তাকে তিনি পবিত্র কুরআন
শিক্ষা দেন, দ্বীনি মাসলা-মাসায়েল
সম্পর্কে প্রয়োজনীয়
অভিজ্ঞতা দানে ব্রতী হন। তার
আধ্যাত্মিক পরিশোধনেও সচেষ্ট হন।
ফলে সে আমলের প্রতি আকৃষ্ট হয়
এবং বুযুর্গের সহচর্যেই
মুজাহাদা মেহনত করে মারিফাতের
সুধা পানে ধন্য হয়, তার জীবন হয়
সফলকাম।


শেয়ার করে আপনার বন্ধুদেরকে জানান ।এটা আপনার আমার সকলের দ্বায়িত্ব ।প্রকাশক ও সম্পাদক সৈয়দ রুবেল উদ্দিন

Next post যুবকের আধ্যাত্মিক সাফল্য - শিক্ষার প্রতি অনুরাগ

কোন মন্তব্য নেই :

যুবকের আধ্যাত্মিক সাফল্য - শিক্ষার প্রতি অনুরাগ

কোন মন্তব্য নেই
যুবকের আধ্যাত্মিক সাফল্য
ইবনে যায়েদ বললেন, “যুবকটি মুসলমান
হয়ে আমাদের সাথেই থেকে যায়। তার
আমল পরিশ্রম ও
আধ্যাত্মি সাধনা আমাকে অবাক
করে তুলে।” একটি যুবক, তারপর নও-
মুসলিম, রাতভর সে আল্লাহ পাকের
ইবাদত করে, আল্লাহর
দরবারে ক্ষমা চায়, মুনাজাতে রত
থাকে। অল্প সময়ে তার এই
সাফল্যে সত্যিই অবাক হওয়ার কথাই!
একদিন এশার নামাযান্তে ঘুমানোর
সময় যুবকটি বুযুর্গকে সম্বোধন
করে প্রশ্ন করে, “মহান আল্লাহ পাক
কি রাত্রে ঘুমান?” বুযুর্গ বললেন,
“না না তিনি ঘুমান না। তিনি চিরন্তন,
তার সত্ত্বায় তন্দ্রা-নিদ্রার অবকাশ
নেই।” তিনি তাকে আয়াতুল
কুরসী তেলাওয়াত করে শোনান
এবং আয়াতের অর্থ সম্পর্কে অবহিত
করেন। যুবক তার মুখে আয়াতুল
কুরসীর বর্ণনা শ্রবণ করে ভর্ৎসনার
সুরে বলে, “আপনারা কেমন উদাসীন!
মালিক সামনে জাগ্রত দণ্ডায়মান, আর
আপনারা ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন?”
মিরাজের রাত্রে রাসূলে পাক
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক
শ্রেণীর লোকদেরকে কঠোর
শাস্তিতে আক্রান্ত দেখে জিবরীল
আলাইহিস
সালামকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন,
এরা কারা, প্রস্তরঘাতে কেন তাদের
বারবার চূর্ণ-বিচূর্ণ করা হচ্ছে?
জিবরীল বললেন, “তারা এমন সব
ক্বারী, হাফেজ, আলেম-ওলামা,
যারা দিনের বেলায় উদাসীন
হয়ে ঘুরাফেরা করে আর রাতের বেলায়
বেহুশ হয়ে ঘুমায়, আমলের ধার ধারে না।
অন্য হাদীসে আছে,
“অনেকে কুরআনে পাকের তেলাওয়াত
করে এবং কথাবার্তঅয় মিষ্টভাষী,
কিন্তু তাদের জীবনে দ্বীনের কোন
চিহ্নও নেই।” আল্লাহ পাক
আমাদেরকে হেফাযত করুন। যারা আজ
পবিত্র কুরআনের তেলাওয়াত,
শিক্ষা ও তালিমকে উপার্জনের উপায়
বানিয়ে নিয়ে অহংকারে গর্বিত,
যারা ইসলামী শিক্ষার নিদর্শনÑ
দাঁড়ী কর্তন করে, বে-সুন্নতী চুল
মাথায় রেখে বেপর্দা হয়ে নির্লজ্জভাবে
মহিলাদের সাথে আনাগোনা ও অনুষ্ঠান
করে থাকে, তাদের না আছে সুন্নতের
আমল, না আছে শরীয়তের আমল।
পরিণাম সম্পর্কে তাদের সতর্ক
হওয়া উচিত। এই যুবকের জীবনাদর্শ
থেকে তাদের শিক্ষা গ্রহণ
করা বাঞ্ছনীয়।
শিক্ষার প্রতি অনুরাগ
ইবনে যায়েদ বলেন, যুবকের মুখের
কথা শুনে অবাক না হয়ে পারলাম না।
তার সামনে নিজেকে অত্যন্ত লজ্জিত
মনে হল। এদিকে আমাদের সামানে দীর্ঘ
সফর, তাই আমরা সফরের
তৈরী করতে থাকি। এমতাবস্থায়
যুবকটি আমাদেরকে বলল,
“আপনারা আমাকে সাথে নিয়ে চলুন।
আমি দ্বীনি শিক্ষা লাভ করতে চাই।
আপনাদের সহচর্য ব্যতীত এর কোন
বিহিত ব্যবস্থা আমার সম্মুখে নেই।
তাই দয়া করে আপনাদের
সাথে আমাকে থাকার
অনুমতি দিলে আমার প্রতি ইহসান হবে।
আমার দ্বীনি শিক্ষা লাভের সুযোগ
হবে।” নও-মুসলিম যুবকের আগ্রহ
অনুভব করে বুযুর্গ
তাকে সাথে রাখতে সম্মত হন।
ফলে যুবকের
মনে উৎফুল্লতা জেগে উঠে এবং সে
দ্বীনি শিক্ষা লাভের সুযোগ পেয়ে যায়।


শেয়ার করে আপনার বন্ধুদেরকে জানান ।এটা আপনার আমার সকলের দ্বায়িত্ব ।প্রকাশক ও সম্পাদক সৈয়দ রুবেল উদ্দিন

Next post যুবকদের প্রতি উদাসীনতা - যুবকদের করণীয়

কোন মন্তব্য নেই :

যুবকদের প্রতি উদাসীনতা - যুবকদের করণীয়

কোন মন্তব্য নেই
যুবকদের প্রতি উদাসীনতা
আজ যুবকদের দ্বীনি শিক্ষার
প্রতি উদাসীনতা প্রত্যক্ষ
করে আশ্চর্য না হয়ে পারা যায় না।
বস্তুতান্ত্রিক শিক্ষার
প্রতি আকর্ষণ আর ধর্মীয় শিক্ষার
প্রতি অবজ্ঞা ও অনীহার কারণে যুব
সমাজ আজ অধঃপতনের চরম
পর্যায়ে পৌঁছে যাচ্ছে, আর
প্রগতিবাদী বুদ্ধিজীবীরা কেবল
সভ্যতার নানা ধ্বনি উচ্চকিত করছে।
কিন্তু এতে তাদের মুক্তির কোন পথ
সুগম হচ্ছে না। যুবকদের
যারা অভিভাবক, তারা কেউ নীরব
দর্শকের ভূমিকায় আছে আর কেউ
পরিবেশের দোহাই দিয়ে দায়িত্ব শেষ
করছে। এক শ্রেণীর মাতা-পিতা স্বীয়
সন্তানদেরকে বস্তু শিক্ষায় শিক্ষিত
করে সন্তানের কাছে স্বীয় অধিকারের
দাবী জানাচ্ছে, আর এক শ্রেণীর
মুরুব্বী ইয়াহুদী-খৃষ্টান ও বিধর্মীদের
প্রতিষ্ঠানে সন্তানের শিক্ষার সুযোগ-
সুবিধা লাভের
গৌরবে আত্মহারা হয়ে পড়েছে। অথচ
আদরের সন্তান আল্লাহর
দেয়া নেয়ামত, তার আখেরাতের জীবন
যে ধ্বংসের পথে, বরং ধ্বংস
হয়ে যাচ্ছেÑ এতে অভিভাবকদের কোন
পরিতাপ নেই, মাথা ব্যাথা নেই।
আত্মভোলা মাতা-পিতা ও
অদূরদর্শী অভিভাবকদের এহেন
উদাসীনতার কারণে আজ মুসলিম যুব
সমাজ খোদাভীরুতার
পরিবর্তে খোদাদ্রোহীতার
হাতিয়ারে পরিণত হচ্ছে। নাস্তিকতার
প্রসারে তারা আজ ষড়যন্ত্রের
শিকার। দেখা যাচ্ছে, তাদের
কাছে সকলেই প্রিয় ধর্ম-কর্ম
নির্বিশেষে সকলেই তাদের বন্ধু; শত্র“
হচ্ছে কেবল আল্লাহ, আল্লাহর-রাসূল
আর আল্লাহ কর্তৃক প্রেরিত ও রাসূল
প্রদর্শিত দ্বীন ও ইসলাম। মাতা-
পিতাগণ এর মাশুল আদায়
করা থেকে রেহাই পাবেন না।
যুবকদের করণীয়
অভিভাবকদেরকে এ ভুল সংশোধন
করতে হবে। তাদের বুঝতে হবে যে,
সন্তান-সান্ততি আল্লাহ প্রদত্ত
নেয়ামত। পিতা-মাতার উপর তাদের
বস্তুগত অধিকার অবশ্যই
রয়েছে এবং তা আদায়ও করতে হবে।
কিন্তু এর চেয়েও অধিক
হচ্ছে দ্বীনি অধিকার,
যা অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে আদায়ের
দাবী রাখে। সেই সাথে যুবকদেরও
সচেতন হতে হবে। তাদের বুঝতে হবে যে,
এই যৌবনকাল তাদের কে দিয়েছেন?
কতকাল বিদ্যমান থাকবে এই যৌবন?
অবশেষে তাদেরকে কোথায়
পাড়ি জমাতে হবে?
তাদেরকে বুঝতে হবে যে, তারা একদিন
ছিল না, কোথা হতে তাদের আগমন
হয়েছে? তারা ছিল শিশু, আজ
তারা যুবক, কাল হবে বৃদ্ধ, দেহের
শক্তি হ্রাস পাবে। তাদের জীবন
হচ্ছে একটি পথ। তারা সেই পথের
পথিক। পথিককে সামনের পথে গমন
অব্যাহত রাখতে হবে। মৃত্যু, কবর,
হাশর ও পুলছিরাতের কঠিন
ঘাঁটি রয়েছে। সেসব ঘাঁটির পারাপারের
ব্যবস্থা এখান থেকেই করে নিতে হবে।
সেখানে কোন ব্যবস্থা নেই,
সাহায্যকারী নেই। তাদেরকে সেই
ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং বিশ্ব
যুব সমাজের সামনে আদর্শ স্থাপনের
দায়িত্বও পালন করতে হবে। এজন্য
অতীতের স্মরণীয় মুসলিম যুবকদের
আদর্শকে সমুন্নত রাখতে হবে। এই
নও-মুসলিম যুবকের
জীবনকে করতে হবে পাথেয়।


শেয়ার করে আপনার বন্ধুদেরকে জানান ।এটা আপনার আমার সকলের দ্বায়িত্ব ।প্রকাশক ও সম্পাদক সৈয়দ রুবেল উদ্দিন

Next post যুবকদের প্রতি উদাসীনতা - মৃত্যুর স্বপ্ন

কোন মন্তব্য নেই :

যুবকদের প্রতি উদাসীনতা - মৃত্যুর স্বপ্ন islam114

কোন মন্তব্য নেই
যুবকদের প্রতি উদাসীনতা
আজ যুবকদের দ্বীনি শিক্ষার
প্রতি উদাসীনতা প্রত্যক্ষ
করে আশ্চর্য না হয়ে পারা যায় না।
বস্তুতান্ত্রিক শিক্ষার
প্রতি আকর্ষণ আর ধর্মীয় শিক্ষার
প্রতি অবজ্ঞা ও অনীহার কারণে যুব
সমাজ আজ অধঃপতনের চরম
পর্যায়ে পৌঁছে যাচ্ছে, আর
প্রগতিবাদী বুদ্ধিজীবীরা কেবল
সভ্যতার নানা ধ্বনি উচ্চকিত করছে।
কিন্তু এতে তাদের মুক্তির কোন পথ
সুগম হচ্ছে না। যুবকদের
যারা অভিভাবক, তারা কেউ নীরব
দর্শকের ভূমিকায় আছে আর কেউ
পরিবেশের দোহাই দিয়ে দায়িত্ব শেষ
করছে। এক শ্রেণীর মাতা-পিতা স্বীয়
সন্তানদেরকে বস্তু শিক্ষায় শিক্ষিত
করে সন্তানের কাছে স্বীয় অধিকারের
দাবী জানাচ্ছে, আর এক শ্রেণীর
মুরুব্বী ইয়াহুদী-খৃষ্টান ও বিধর্মীদের
প্রতিষ্ঠানে সন্তানের শিক্ষার সুযোগ-
সুবিধা লাভের
গৌরবে আত্মহারা হয়ে পড়েছে। অথচ
আদরের সন্তান আল্লাহর
দেয়া নেয়ামত, তার আখেরাতের জীবন
যে ধ্বংসের পথে, বরং ধ্বংস
হয়ে যাচ্ছেÑ এতে অভিভাবকদের কোন
পরিতাপ নেই, মাথা ব্যাথা নেই।
আত্মভোলা মাতা-পিতা ও
অদূরদর্শী অভিভাবকদের এহেন
উদাসীনতার কারণে আজ মুসলিম যুব
সমাজ খোদাভীরুতার
পরিবর্তে খোদাদ্রোহীতার
হাতিয়ারে পরিণত হচ্ছে। নাস্তিকতার
প্রসারে তারা আজ ষড়যন্ত্রের
শিকার। দেখা যাচ্ছে, তাদের
কাছে সকলেই প্রিয় ধর্ম-কর্ম
নির্বিশেষে সকলেই তাদের বন্ধু; শত্র“
হচ্ছে কেবল আল্লাহ, আল্লাহর-রাসূল
আর আল্লাহ কর্তৃক প্রেরিত ও রাসূল
প্রদর্শিত দ্বীন ও ইসলাম। মাতা-
পিতাগণ এর মাশুল আদায়
করা থেকে রেহাই পাবেন না।
যুবকদের করণীয়
অভিভাবকদেরকে এ ভুল সংশোধন
করতে হবে। তাদের বুঝতে হবে যে,
সন্তান-সান্ততি আল্লাহ প্রদত্ত
নেয়ামত। পিতা-মাতার উপর তাদের
বস্তুগত অধিকার অবশ্যই
রয়েছে এবং তা আদায়ও করতে হবে।
কিন্তু এর চেয়েও অধিক
হচ্ছে দ্বীনি অধিকার,
যা অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে আদায়ের
দাবী রাখে। সেই সাথে যুবকদেরও
সচেতন হতে হবে। তাদের বুঝতে হবে যে,
এই যৌবনকাল তাদের কে দিয়েছেন?
কতকাল বিদ্যমান থাকবে এই যৌবন?
অবশেষে তাদেরকে কোথায়
পাড়ি জমাতে হবে?
তাদেরকে বুঝতে হবে যে, তারা একদিন
ছিল না, কোথা হতে তাদের আগমন
হয়েছে? তারা ছিল শিশু, আজ
তারা যুবক, কাল হবে বৃদ্ধ, দেহের
শক্তি হ্রাস পাবে। তাদের জীবন
হচ্ছে একটি পথ। তারা সেই পথের
পথিক। পথিককে সামনের পথে গমন
অব্যাহত রাখতে হবে। মৃত্যু, কবর,
হাশর ও পুলছিরাতের কঠিন
ঘাঁটি রয়েছে। সেসব ঘাঁটির পারাপারের
ব্যবস্থা এখান থেকেই করে নিতে হবে।
সেখানে কোন ব্যবস্থা নেই,
সাহায্যকারী নেই। তাদেরকে সেই
ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং বিশ্ব
যুব সমাজের সামনে আদর্শ স্থাপনের
দায়িত্বও পালন করতে হবে। এজন্য
অতীতের স্মরণীয় মুসলিম যুবকদের
আদর্শকে সমুন্নত রাখতে হবে। এই
নও-মুসলিম যুবকের
জীবনকে করতে হবে পাথেয়।
আল্লাহর উপর ভরসা
ইবনে যায়েদ বলেন, “নও-মুসলিম
যুবকটিকে সাথে নিয়ে আমরা পুণরায়
সফর শুরু করি এবং আবাদান
শহরে পৌঁছে সাথীদেরকে বলি যে, নও-
মুসলিম যুবকটি অসহায় সুতরাং তার
জীবনোপকরণের জন্য আমাদের
যা কর্তব্য তা করা উচিত। অতঃপর
আমরা চাঁদা করে সামান্য পরিমাণ
দেরহাম তাকে পেশ
করি এবং তা প্রয়োজনে খরচ করার
জন্য বলি। কিন্তু নও-মুসলিম যুবক
তা গ্রহণে অসম্মতি প্রকাশ করে বলে,
“লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ!
আপনারা আমাকে এমন পথে পরিচালিত
করতে চান
যে পথে আপনারা চলতে সম্মত নন।
আমি যখন জাযীরাতে (দ্বীপে) ছিলাম
এবং আল্লাহর পরিবর্তে মূর্তি পূজায়
রত ছিলাম তখনও আল্লাহ পাক
আমাকে ধ্বংস করেন নি, আর এখন
আমি আল্লাহর পরিচয় লাভ করেছি,
তারই ইবাদত-উপাসনা করে চলেছি।
এমতাবস্থায়
তিনি কি করে আমাকে ধ্বংস
করতে পারেন? আমি ফকীর নই, আমার
আল্লাহ ফকীর নন। তাই আপনাদের এই
দেরহামের প্রয়োজন আমার নেই।”
ভিক্ষুকের পরিচয়
এক সময় রাসূলে পাক সাহাবীদের
সমাবেশে প্রশ্ন করেন,
“তোমরা কি জান ভিক্ষুক কে?”
একজন উত্তর করলেন, যার অর্থ-
কড়ি নেই, সহায়-সম্বলহীন,
আমরা তাকেই ভিক্ষুক মনে করে থাকি।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বললেন, না, সে প্রকৃত ভিক্ষুক নয়।
আমার উম্মতের মধ্যে প্রকৃত ভিক্ষুক
সে, যে যথেষ্ট নেক আমল নিয়ে হাশরের
ময়দানে আল্লাহর আদালতে হাজির হবে,
আর হক্কুল ইবাদের দায়ে আবদ্ধ
হয়ে স্বীয় আমলসমূহ হারাবে।
অবশেষে হকদারদের গোনাহ
ঘাড়ে নিয়ে জাহান্নামে দাখেল হবে। এই
হচ্ছে প্রকৃত ভিক্ষুক। এই যুবক
কারো কাছে ঋণী ছিল না, তাই
সে ভিক্ষুক নয়। তার কাছে ছিল
ইবাদত-রিয়াজত ও মারিফাতের ধন-
সম্পদ। তাই সে ছিল মহা বিত্তবান।
যে সম্পদ মালিককে চিনে না, যার হাত
লাগে তার হয়ে যায়Ñ সেই সম্পদের
অধিপতিকে লোকেরা ধনী বলতে পারে,
কিন্তু প্রকৃত ধনী সে নয়। ঈমান,
আমল যার কাছে আছে,
সেটা সর্বদা তারই হয়ে থাকে। কবরে,
হাশরে,
পুলছিরাতে সর্বস্থানে তা উপকারে আসে
, কাজে লাগে। যুবকের এই পুঁজি ছিল
প্রচুর, তাই সে ভিক্ষুক ছিল না,
সে ছিল বড় ধনী। সে কেন
চাঁদা করা দেরহাম গ্রহণ করবে?
মৃত্যুর স্বপ্ন
ইবনে যায়েদ বলেন, এর তিনদিন
পরে আমি বুঝলাম যুবকটির মৃত্যুর
সময় ঘনিয়ে এসেছে। আমি তার
কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলামÑ
“তোমার কোন কিছুর প্রয়োজন
আছে কি?” যুবকটি উত্তর দিল,
“যে মহান আল্লাহ আপনাদেরকে আমার
হেদায়েতের জন্য দ্বীপে পাঠিয়েছিলেন
তিনি আমার সমস্ত প্রয়োজন
পূরণে করে দিয়েছেন। আর কোন কিছুর
প্রয়োজন নেই।” আমি যুবকের
কথা শুনে তার নিকটেই অবস্থান
করি এবং ঘুমিয়ে পড়ি। এমতাবস্থায়
স্বপ্নে দেখি, অতি মনোরম,
অতি সুন্দর, সুসজ্জিত একটি বিরাট
বাগিচা। বাগিচার এক মনোরম
স্থানে এক বিরাট রাজপ্রাসাদ।
সুসজ্জিত সেই প্রাসাদের
মধ্যভাগে অবস্থিত সুসজ্জিত
পালঙ্কে উপবিষ্ট আছে অপূর্ব
সুন্দরী এক মহিলা।
সে মহিলা আমাকে ডেকে বলছে যে,
“যুবকটিকে অনতিবিলম্বে পাঠিয়ে দিন,
আমি অধীর চিত্তে তার অপেক্ষায়
আছি।” পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে,
“নিশ্চয়ই যারা মুত্তাকী তাদের জন্য
রয়েছে, উদ্যান, আঙ্গুর,
সমবয়স্কা পূর্ণ যৌবনা তরুণী,
অব্যবহৃতা, আনতনয়না, প্রবাল ও
পদ্যরাগ সদৃশ রমণীগণ।’
আর এসব কিছু হবে সৎ কাজের
প্রতিদান স্বরূপ। সুতরাং আল্লাহর
আশেক ও তার মারিফাতে ধন্য নও-
মুসলিম যুবকের জন্য এরূপ প্রতিদানই
যথার্থ প্রতিদান।


শেয়ার করে আপনার বন্ধুদেরকে জানান ।এটা আপনার আমার সকলের দ্বায়িত্ব ।প্রকাশক ও সম্পাদক সৈয়দ রুবেল উদ্দিন

Next post যুবকের মৃত্যু - যুবকদের জন্য পাথেয়

কোন মন্তব্য নেই :

যুবকের মৃত্যু - যুবকদের জন্য পাথেয়

কোন মন্তব্য নেই
যুবকের মৃত্যু
ইবনে যায়েদ বলেন, “ঘুম থেকে জাগ্রত
হয়ে আমি দেখি, যুবকের মৃত্যু ঘটেছে।
তার মৃত্যুতে আমি অত্যন্ত কাতর
হয়ে পড়ি। আল্লাহর ইচ্ছাকে চূড়ান্ত
মনে করে যুবকের কাফন-দাফনের কাজ
সমাধা করতঃ তার জন্য আল্লাহ
পাকের মহান দরবারে মুনাজাত করি।
মনে মনে চিন্তা করি,
কতইনা ভাগ্যবান এই যুবক,
সে আল্লাহর কতই না প্রিয়! ঈমান
আমলের জন্য মহান রাব্বুল আলামীন
যাকে ইচ্ছা করেন এভাবেই তার
হেদায়েত ও নাযাতের
ব্যবস্থা করে থাকেন।
স্বপ্ন সংবাদ
নবুওয়াতের ধারাবাহিকতা শেষ হয়েছে,
কিন্তু স্বপ্নযোগে সুসংবাদ দানের
ব্যবস্থা অব্যাহত রয়েছে। এরই
নমুনা স্বরূপ ইবনে যায়েদ নও-মুসলিম
যুবক সম্পর্কে অবহিত হতে সক্ষম
হন। কাফন-দাফন সমাধা করে তিন
স্বপ্নে ঐ যুবককে সেই উদ্যানের
মনোরম প্রসাদে অপূর্ব সেই রূপসীর
সাথে সিংহাসনে বসে পবিত্র কুরআনের
এই আয়াতটি তেলাওয়াতরত
দেখতে পান ঃ
ﺍﻟﺬﻳﻦ ﻳﻮﻓﻮﻥ ﺑﻌﻬﺪ ﺍﻟﻠﻪ
ﻭﻻﻳﻨﻘﻀﻮﻥ ﺍﻟﻤﻴﺜﺎﻕ
অর্থঃ বুদ্ধিমান তারা, যারা আল্লাহর
সঙ্গে কৃত ওয়াদা পূর্ণ
করে এবং প্রতিশ্র“তি ভঙ্গ করে না।
জান্নাতীদের প্রতি সালাম
যারা স্থাপিত সম্পর্ক বজায় রাখে,
স্বীয় প্রভূকে ভয় করে, কঠোর
হিসাবের আশংকা করে, স্বীয় প্রভূর
সন্তুষ্টি কামনায় ধৈর্য্য ধারণ করে,
নামায কায়েক করে, আল্লাহর
দেয়া সম্পদ থেকে কিছু অংশ
গোপনে এবং প্রকাশ্যে দান করে,
মন্দের বিপরীতে শুভ আচরণ করে,
তাদের জন্য রয়েছে পরকালের
শান্তিদায়ক বাসস্থান, বসবাসের জন্য
জান্নাত। তাতে তারা মাতা-পিতা,
দাদা-দাদী, স্বামী-স্ত্রী, পরিবার-
পরিজন সহ প্রবেশ করবে।
তাদেরকে প্রত্যেক
দরজা দিয়ে ফেরেশতাগণ
অভ্যর্থনা জানিয়ে বলবেÑ
“আপনাদের প্রতি আমাদের ধর্ম
পালনের প্রতিদান স্বরূপ
শান্তি বর্ষিত হোক। আপনাদের
বাসস্থান কতইনা সুন্দর! আপনাদের
প্রতি সালাম।”
যুবকদের জন্য পাথেয়
হে যুব সমাজ! মহান দয়াময় ক্ষমাশীল
রাব্বুল আলামীনের করুণা ও তার
কুদরতের খেলা অবলোকন কর।
একটি যুবকের পুরো জীবন
মূর্তিপূজা করে কেটেছে। তার হেদায়েত
ও নাযাতের জন্য দয়াময় প্রভু
তুফানের মাধ্যমে যুগের বিশিষ্ট বুযুর্গ
ইবনে যায়েদকে কিভাবে সেখানে পৌঁছালেন
, আর কিরূপে যুবকের প্রতি স্বীয়
রহমত নাযিল করে ঈমান-আমলের
দ্বারা সৌভাগ্যশীল করে স্বীয়
দরবারে ডেকে নিলেন। আল্লাহ পাক
যাকে ইচ্ছা করেন এভাবেই হেদায়েত
দিয়ে তার অন্তরের চক্ষু খলে দেন।
তিনি যাকে স্বীয় মারিফাত দিতে চান,
সেখানে বাধা দেয়ার কেউ থাকে না। আর
যাকে দিতে চান না, তাকে দেয়ার কেউ
নেই। সুতরাং নও-মুসলিম যুবকের জীবন
থেকে শিক্ষা গ্রহণ কর, ধোঁকার
আবরণ ছিড়ে ফেলে দাও। দয়াময় প্রভুর
কুদরতী চরণে নতশীর হও। তওবা কর,
ক্ষমাপ্রার্থী হও। এতে ধন্য
হবে তোমার জীবন ইহকালেও
এবং পরকালেও। তোমাদের জীবন
হবে মুসলিম যুবকদের জন্য পাথেয়।
আল্লাহ পাক তোমাদেরকে তাওফীক দান
করুন। আমীন।

শেয়ার করে আপনার বন্ধুদেরকে জানান ।এটা আপনার আমার সকলের দ্বায়িত্ব ।প্রকাশক ও সম্পাদক সৈয়দ রুবেল উদ্দিন
Next post সাত. যুবকটি খৃষ্টান ছিল

কোন মন্তব্য নেই :

সাত. যুবকটি খৃষ্টান ছিল

কোন মন্তব্য নেই
বুযুর্গদের সরল জীবন
আজকাল হজ্জ্বের সফরে যাওয়ার
পূর্বে থাকে কত ধরণের প্রস্তুতি, কত
কিছুর ব্যবস্থাপনা। কিন্তু বুযুর্গদের
জীবন ছিল অত্যন্ত সরল, সাদামাটা।
মুরীদ-শাগরিদগণ পর্যন্ত তাদের
হজ্বের সফরের খবর জানতে পারত না।
তার একটি দৃষ্টান্ত হচ্ছে, ইবরাহীম
ইবনে খাওয়াছের ঘটনা।
তিনি যুগশ্রেষ্ঠ ওলী ছিলেন। কোথাও
সফরের ইচ্ছা করলে কোন
আলোচনা ছাড়াই, কোন প্রস্তুতি ছাড়াই
রওয়ানা হয়ে যেতেন। এভাবেই একদিন
মসজিদ থেকে বের
হয়ে একটি লোটা সঙ্গে নিয়ে তিনি হজ্জ্ব
করতে রওয়ানা হয়ে যান।
মুরীদের সহচর্য
আজকাল সাধারণ মুসলমানদের
কথা তো দূরের কথা, আলেম-ওলামাদের
মধ্যেও নফসের ইসলাহ
এবং আধ্যাত্মিক পরিশুদ্ধি লাভের
প্রয়াস খুব কম দেখা যায়। এ প্রয়াস
যাদের আছে, তাদের মধ্যে ইখলাস ও
উদ্যম কম পরিলক্ষিত হয়। মুরীদ
কামনা করে পীর সাহেব তাকে খুব
খাতির-তোয়াজ করুক, আদর-যতœ
করুক। কিন্তু মুরীদের থেকে এরূপ
কামনা বাঞ্ছনীয় নয়। কারণ মধু
যেখানে যেভাবে থাকে ভ্রমরকে সেখান
থেকে সেভাবেই আহরণ করতে হয়।
ইবনে খাওয়াছের মুরীদ হামিদ আসওয়াদ
ছিলেন সেই মানের মুরীদ। তিনি স্বীয়
শায়খের সহচর্যের জন্য ব্যাকুল
হয়ে থাকতেন। তাই স্বীয় পীর
ইবনে খাওয়াছকে সফরের
উদ্দেশ্যে রওয়ানা হতে দেখে তিনি
নিজেও বিনা প্রস্তুতিতে,
বিনা তৈরীতে পিছে পিছে রওয়ানা হয়ে
যান এবং কাদিসিয়া নগরীতে পৌঁছেন।
পীর-মুরীদের কথাবার্তা
কাদিসিয়া পৌঁছে ইবনে খাওয়াছ
জিজ্ঞাসা করেন, “হামিদ! কোথায়
যাওয়ার ইচ্ছ করেছ?” হমিদ বললেন,
“আমি তো আপনার সফর সাথী হওয়ার
ইচ্ছা করেছি।” ইবনে খাওয়াছ বললেন,
“আমি মক্কাশরীফ যাওয়ার
ইচ্ছা করেছি।” হামিদ বললেন, “আমার
ইচ্ছাও তাই।” এবার দুজনই
মক্কা শরীফের উদ্দেশ্যে পথ অতিক্রম
করা শুরু করেন।
অপরিচিত যুবক
তিন দিনের পথ অতিক্রম করার পর
একজন অপরিচিত যুবকও তাদের
সাথী হয়ে যান।
তারা মনে মনে ধারণা করেন যে, হয়ত
এই যুবকটিও মক্কা শরীফে যাওয়ার
ইচ্ছা পোষণ করেছে। যুবকটি তাদের
সাথে একদিন-এক রাত সফর করে।
কিন্তু এ সময়ের মধ্যে তাদের
সাথে নামাযে শরীক হয়
না এবং একাকী নিজেও নামায আদায়
করে না। বিষয়টি হামিদের দৃষ্টিগোচর
হয় এবং তিনি আশ্চার্যান্বিত বোধ
করেন।
যুবক বে-নামাযী
অনেক পীর সাহেব এমন রয়েছেন যাদের
অসংখ্য মুরীদ ও ভক্ত আছে। কিন্তু
সেই পীর-মুরীদের কারও
মাঝে শরীয়তের অনুশীলন নেই।
তারা অন্যদেরকে কি হেদায়েত দিবে?
পীর নিজেই বে-নামাযী,
সুতরাং মুরীদকে নামাযের
কথা সে বলবে কি করে? কিন্তু হামীদের
পীর যেমন নিজে ছিলেণ নামাযের পাবন্দ
তেমনি হামীদও ছিলেন নামাযের
প্রতি অত্যন্ত পাবন্দ। তাই
সাথী যুবকের প্রতি তার
দৃষ্টি আকর্ষিত হয় এবং পীরের
কাছে যুবকটির নামায না পড়ার
বিষয়টি তিনি জানান।
যুবকের পরিচয়
হামীদের কথা শুনে ইবনে খাওয়াছ
যুবকটিকে ডেকে জিজ্ঞাসা করলেন,
“হে যুবক! তুমি নামায পড় না কেন?”
যুবক বললো, ‘নামাযের দায়িত্ব আমার
উপর নেই।’ ইবনে খাওয়াছ বললেন,
‘কেন? তুমি কি মুসলমান নও?’ যুবক
বলল, আমি মুসলমান নই,
বরং খ্রিষ্টান। খৃষ্টানদের
ধর্মে নামায নেই বিধায়
যুবকটি নামাযে শরীক হয় নি। তার
অন্তরে স্বীয় ধর্মের গুরুত্ব অত্যন্ত
বেশী ছিল। তাই সফরের অন্য
সাথীরা নামায পড়াকালে লজ্জার
খাতিরেও সে নামাযে শরীক হয়ে স্বীয়
ধর্মের বিরোধিতা করে নি। কিন্তু
মুসলিম বে-নামাযী যুবকদের
কাছে কি স্বীয় ধর্মের এতটুকু গুরুত্ব
আছে? বিধর্মীদের অনুষ্ঠান তো পরের
কথা, ইসলামী অনুষ্ঠানে নামাযের
জামাত অনুষ্ঠিত হয় আর সেই
জামাতে শরীক হতেও বহু যুবক
লজ্জাবোধ করে। বে-
নামাযী মুসলিমরা বিধর্মীদের
কাছে স্বীয় ধর্ম ও
অবস্থানকে এভাবে ক্ষুন্ন করে, কিন্তু
সতর্ক হয় না।
যুবকটি খ্রিষ্টান তরীকায়
প্রভূতে বিশ্বাসী এবং আধ্যাত্মবোধের
প্রভূতে বিশ্বাসী এবং আধ্যাত্মবোধের
অধিকারী। সে ইবনে খাওয়াছকে অবহিত
করে যে, আমি তাওয়াক্কুলের মধ্য
দিয়ে জীবন যাপন করে থাকি আর
সেটা করে থাকি আত্মপরিশুদ্ধির
কামনায়। পরীক্ষা-নিরীক্ষার ভেতর
দিয়ে অনাহারে-অর্ধাহারে বনে-
জঙ্গলে ঘুরাফিরা করি। আমার
অবস্থা এই যে, আমি কারও কাছে হাত
পাতি না, আমার মাবুদকেই আমার জন্য
যথেষ্ট মনে করি।
যুবকের প্রতি অনুকম্পা
নাপাকী ঘৃণার বস্তু,
সুতরাং নাপাকীকে ঘৃণা করা স্বভাবগত
ব্যাপার। কিন্তু এই
নাপাকী কাপড়ে লাগলে কাপড়
ফেলে দেয়া যায় না, বরং পরিষ্কার
করে নিতে হয়, পরিষ্কার করার
ব্যবস্থা নিতে হয়। তদ্রুপ মানুষ
আল্লাহর পরম সুন্দর সৃষ্টি। তাই
মানুষকে ঘৃণা করা যায় না; হ্যা,
মানুষের মধ্যে বিদ্যমান কুফর, শিরক,
নেফাক ও পাপাচারিতা অবশ্যই ঘৃণার
বস্তু। এর প্রতি ঘৃণা পোষণ
করা কেবল স্বভাবগত চাহিদাই নয়,
বরং ঈমানের অঙ্গও বটে। তাই মানুষের
মধ্যে এসব কিছু পরিদৃষ্ট হলে তার
পরিশোধনে সচেষ্ট হওয়া মুমিনের
ঈমানী দায়িত্ব। এজন্য
প্রয়োজনে দূরদর্শিতা, সুকৌশল
এবং দয়া-মায়া, অনুকম্পার।
বস্তুতঃ দয়া-মায়া, স্নেহ-
মমতা মানুষকে আকৃষ্ট করে। বুযুর্গ-
মাশায়েখদের এ স্বভাব বহু
গোনাহগারদের জন্য হয়ে থাকে মুক্তির
উপায়। বুযুর্গদের সোহবত, কল্যাণ
দৃষ্টি এবং তাওয়াজ্জুহের
বরকতে অনেকের জীবন সফল
হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও হতে পারে।
আল্লাহর ইচ্ছা কার জানা আছে?
তবে সময়ে সময়ে তা অনুমান করা যায়,
যেমন হয়েছিল এই খৃষ্টান যুবকের
বেলায়। ইবনে খাওয়াছ যুবকের বক্তব্য
শুনে উত্তেজিত হয়ে উঠেননি, তিক্ত
কথাও বলেননি, যুবককে ভর্ৎসনাও
করেন নি। বরং হামীদকে ডেকে বললেন,
“আমি যুবকের বক্তব্য শুনেছি।
তাকে তার অবস্থায় আমাদের
সাথে থাকতে দাও, তাকে কোন কিছু
বলো না, তার সাথে তর্ক-বিতর্কও
করো না। দেখ কি হয়?”
ইবনে খাওয়াছের এই কোমলতা ও স্নেহ
মাখা আচরণ খৃষ্টান যুবকের জন্য
যুগশ্রেষ্ঠ ওলীর সান্নিধ্যে আরো কিছু
সময় কাটানোর সুযোগ করে দেয়। সুযোগ
করে দেয় ইসলাম ও মুসলমানদের
সম্পর্কে অভিজ্ঞতা লাভের।


শেয়ার করে আপনার বন্ধুদেরকে জানান ।এটা আপনার আমার সকলের দ্বায়িত্ব ।প্রকাশক ও সম্পাদক সৈয়দ রুবেল উদ্দিন

Next post আইনের প্রতি শ্রদ্ধা - কাবা শরীফের বরকত

কোন মন্তব্য নেই :

আইনের প্রতি শ্রদ্ধা - কাবা শরীফের বরকত

কোন মন্তব্য নেই
আইনের প্রতি শ্রদ্ধা
ইবনে খাওয়াছ মরু
নগরীতে পৌঁছে সাধারণ পোষাক
খুলে নিজ হাতে ধুয়ে পরিষ্কার করত
হজ্বের উদ্দেশ্যে এহরামের কাপড়
পরেন এবং এহরামের নিয়ত করেন। এ
সময় খৃষ্টান
যুবকটিকে কাছে ডেকে এনে স্নেহের
সুরে বেলনঃ হে যুবক! তোমার নাম কি?
যুবক বলেঃ আমার নাম ‘আব্দুল মসীহ।’
ইবনে খাওয়াছ তখন যুবককে কোমল
স্বরে বলেনঃ হে আব্দুল মসীহ! ঐ দেখ
সামনে হরম শরীফের সীমানা। আল্লাহ
পাক মুশরিকদেরকে এই
সীমানা অতিক্রম করতে নিষেধ
করেছেন ঃ
ﺍﻧﻤﺎ ﺍﻟﻤﺸﺮﻛﻮﻥ ﻧﺠﺲ ﻓﻼ
ﻳﻘﺮﺑﻮﺍ ﺍﻟﻤﺴﺠﺪ ﺍﻟﺤﺮﺍﻡ
অর্থ ঃ ‘মুশরিকরা অপবিত্র।
সুতরাং তারা মসজিদে হারামের
ধারে কাছেও যাবে না।’
তুমি নফসের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছ
এবং স্বীয় অবস্থা সম্পর্কে অবগত
আছ। তোমার জন্য হরম শরীফ
অতিক্রম করার অনুমতি নেই। তাই
আমি আর তোমাকে সাথে থাকার
অনুমতি দিতে পারছি না। তুমি আল্লাহ
পাকের বিধান লংঘন করো না।
যদি তুমি সীমা অতিক্রম কর
তাহলে তোমাকে দায়ী হতে হবে।
আরাফার ময়দানে যুবক
ইবনে খাওয়াছের নছীহত শ্রবণ
করে যুবকটি আল্লাহর বিধানের
প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে হরমের
সীমা অতিক্রম করা থেকে বিরত থাকে।
কিন্তু তার অন্তর আর বিরত
থাকে নি। অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জন ও
উৎকর্ষ সাধনের চেতনায় উদ্বুদ্ধ
হয়ে সে স্থির সিদ্ধান্তে উপনীত হয়।
আল্লাহর মারিফাত লাভে ও তার
নৈকট্য লাভে ধন্য হওয়ার প্রেরণায়
সে ব্যাকুল হয়ে পড়ে। তার মনে জাগেÑ
আমাকে যিনি সৃষ্টি করেছেন আমি তার
গোলামীর
স্বীকৃতি না দিয়ে জীবনে যা ক্ষতি
করেছি তা অপূরণীয় ক্ষতি। বুদ্ধিমান
সেই যে অনুতপ্ত হয় ও
জীবনে সংশোধনী আনে। তাই আমার
ভুলের অবসান করতেই হবে। হামীদ
বলেন, “আমরা খৃষ্টান
যুবকটিকে পথে রেখে চলে যাই। এরপর
আমরা যখন যিলহজ্জের ৯
তারিখে আরাফার ময়দানে মুনাজাত রত,
তখন আমাদের
খুঁজতে খুঁজতে যুবকটি তাড়াহুড়া করে
আমাদের কাছে এসে পৌঁছে যায়।
আকৃতি-প্রকৃতি পরিবর্তনের কারণ
রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,
“তোমরা কেঁদে কেঁদে আল্লাহর নিকট
মুনাজাত করবে,
যদি কান্না না আসে তাহলে
ক্রন্দনকারীদের আকৃতি ধারণ
করে ক্রন্দন করবে।” তাতে লাভ
হবে কি? সে লাভের প্রতি ইঙ্গিত
করে ইরশাদ হয়েছেÑ ﻫﻢ ﺍﻟﺠﻠﺴﺎﺀ
ﻻﻳﺸﻘﻲ ﺟﻠﻴﺴﻬﻢ ‘আল্লাহপাক তাঁর
প্রিয় বান্দাদের সান্নিধ্য
লাভকারীদেরকে বঞ্চিত করেন না।’
আতরের দোকানে বসলে অবশ্যই
সুগন্ধে মোহিত হওয়া যায়। বুযুর্গদের
পোষাক পরিধান করলে মানুষ
তাকে বুযুর্গ
মনে করে এবং তাকে বুযুর্গের সম্মান
প্রদর্শন করে থাকে। আল্লাহ পাক
তার বিধানের বাহ্যিক
আকৃতি ধারণকারীদেরকেও বঞ্চিত
করেন না। বরং বাহ্যিক এই আকৃতির
সুবাদে বাতেনী প্রকৃতির পরিবর্তনও
করে দেন। এজন্যই ইসলামে বাহ্যিক
আকৃতির গুরুত্ব অপরিসীম। বাহ্যিক
আকৃতির কারণে বাতেনী প্রকৃতির
পরিবর্তনের যথেষ্ট উদাহরণ
ইতিহাসের পাতায় বিদ্যমান।
এহরামের বরকত
তারই একটি উদাহরণ খৃষ্টান এই যুবক।
এই যুবক আরাফার
ময়দানে ইবনে খাওয়াছের
দরবারে লুটিয়ে পড়ে। ইবনে খাওয়াছ
তাকে জিজ্ঞাসা করেন, “হে আব্দুল
মসীহ! কী ব্যাপার? তোমার কী হয়েছে?
তুমি যে এহরাম পরিধান করে আছো?”
যুবকটি উত্তর দিল, “আমাকে আর
আব্দুল মসীহ বলবেন না, আমি আব্দুল
মসীহ (মসীহের গোলাম) নই, বরং মসীহ
যার গোলাম আমি তারই গোলাম।”
ইবনে খাওয়াছ অত্যন্ত আনন্দিত
হয়ে তার বৃত্তান্ত
জানতে চাইলে যুবকটি বলল,
“আপনারা চলে আসার পর
আমি সেখানে বসে থাকি।
ইতোমধ্যে হাজীদের
একটি কাফেলা সেখানে আসে।
আমি এহরাম
পরে মুসলমানী আকৃতি ধারণ
করে তাদের
সাথে মক্কা নগরীতে প্রবেশ করি।
কাবা শরীফের বরকত
পৃথিবীর প্রথম ঘর আল্লাহর ঘর
কাবা শরীফ। এই ঘরের সাথে জড়িত
আছে বহু ঘটনা, বহু ইতিহাস। এর
বরকতে ধন্য হয়েছে বিশ্ববাসী।
মানুষের প্রাণকেন্দ্র, আল্লাহর
তাজাল্লীর কেন্দ্র বিন্দু এই
কাবা শরীফ হচ্ছে সবচেয়ে নিরাপদ
স্থান। যারা তাতে প্রবেশ করে,
কাবা শরীফ তাদের জন্য নিরাপত্তার
পথ সুগম করে। কেবল দেহের
নিরাপত্তাই নয়, আত্মার নিরাপত্তার
পথও সুগম করে। কেবল ইহকাল নয়,
পরকালের নিরাপত্তার জন্যও বিহিত
ব্যবস্থা করে। হাজীগণ কাবা শরীফের
প্রতি নিজেদের দৃষ্টি নিবন্ধ করেন,
আর কাবা শরীফের অধিপতি মহান
রাব্বুল আলামীন হাজীদের
অন্তরে স্বীয় রহমতের দৃষ্টি আরোপ
করেন। হাজীগণ এহরামের কাপড়
দ্বারা তাদের দেহকে সুসজ্জিত করেন
আর আল্লাহ পাক স্বীয় মারিফাতের
দ্বারা তাদের অন্তরকে শক্তিশালী ও
সজীব করেন। এই বরকত থেকে কেউ
বঞ্চিত হয় নি। তার কি লাভ হয়েছিল,
তা সে নিজেই ইবনে খাওয়াছের
কাছে বর্ণনা করে বলে,
“আমি মুসলমানদের
আকৃতি ধরে কাবা শরীফের
সামনে দাঁড়াই। কাবা শরীফের উপর
আমার দৃষ্টি পড়ার সাথে সাথে ইসলাম
ব্যতীত সমস্ত মত, পথ ও ধর্ম-
কর্মের অসারতা আমার
অন্তরে সুস্পষ্ট হয়ে ধরা পড়ে। তাই
বিলম্ব না করে আমি গোসল
করতঃ আল্লাহর প্রতি ঈমান
আনি এবং হজ্জ্বের নিয়তে পুণরায়
এহরাম পরিধান করি। আজ সকাল
থেকে আপনাদের তালাশ করে করে এখন
আপনাদের সাক্ষাত লাভে ধন্য হলাম।”
হামীদ বলেন, “তার অবশিষ্ট জীবন
বুযুর্গদের
সান্নিধ্যে কাটে এবং আল্লাহর
মারিফাতের সাধনা-মুজাহাদার
মধ্যে দিয়ে সে মৃত্যুবরণ করে।


শেয়ার করে আপনার বন্ধুদেরকে জানান ।এটা আপনার আমার সকলের দ্বায়িত্ব ।প্রকাশক ও সম্পাদক সৈয়দ রুবেল উদ্দিন

Next post যুবকদের প্রতি আবেদন

কোন মন্তব্য নেই :

যুবকদের প্রতি আবেদন

কোন মন্তব্য নেই
আমার প্রাণপ্রিয় যুবক ভাইগণ!
তোমরা মুসলিম। ইসলাম তোমাদের
ধর্ম। তোমাদের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য রয়েছে,
রয়েছে মুসলিম যুবকদের
স্বর্ণালী ইতিহাস।
সুতরাং তোমাদেরকে ধর্মের কঠোর
অনুশীলন করতে হবে।
রক্ষা করতে হবে সে ঐতিহ্য, সমুন্নত
রাখতে হবে পূর্বসূরী মুসলিম যুবকদের
স্বর্ণোজ্জ্বল ইতিহাস।
 গভীরভাবে তোমাদের অনুধাবন
করতে হবে যে, ইসলামের শত্র“দল
তোমাদের দ্বারা ইসলাম ও মুসলিম
উম্মাহকে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র
বাস্তুবায়নে সাংঘাতিক তৎপর।
অতি সতর্কতার সাথে অত্যন্ত
গোপনে ও
সুকৌশলে এরা তোমাদেরকে এবং মুসলমান
জাতিকে গ্রাস
করতে উঠে পড়ে লেগেছে। সেবার নামে,
অর্থ-সম্পদের লোভ দেখিয়ে, প্রগতির
প্রলোভনে, শিক্ষা-সংস্কৃতির
উন্নয়নের শ্লোগানে বিভিন্ন উপায়
অবলম্বনের আড়ালে তাদের কু-মতলব
তারা কার্যকর করছে।
 যুবকরাই জাতির উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ।
জাতীয় ঐতিহ্য সংরক্ষণ, প্রচার-
প্রসার ও জাতীয় নেতৃত্বে গুরুত্বপূর্ণ
দায়িত্ব তোমাদেরকে অবশ্যই পালন
করতে হবে। আর
করতে হবে সতর্কতা ও দূরদর্শীতার
সাথে। এর জন্যে প্রয়োজন
দ্বীনি শিক্ষা অর্জন এবং সে মুতাবেক
আমলের, সাহসিকতার, মধুর চরিত্রের,
ইবাদত-মুজাহাদার। প্রয়োজন আল্লাহর
প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস ও বিশ্বা রাসূলের
প্রতি আন্তরিক আনুগত্যের। তাই
তোমরা সাহাবীদের জীবনাদর্শ
পড়াশোনা কর। মুসলিম মনীষীদের
ইতিহাস অধ্যায়ন কর। এ পাঠ
তোমাদের চলার পথে হবে উত্তম
পাথেয়।
 তোমাদেরকে স্মরণ রাখতে হবে যে,
বস্তু জগত অত্যান্ত প্রলুব্ধকর।
মরীচিকাময় এ জীবন অস্থায়ী।
চিরস্থায়ী জীবন পরকালের জীবন।
সে জীবনের শেষ নেই, সে জীবনের
অশান্তি চির অশান্তি। সে জীবনের
শান্তি চির শান্তি। সুতরাং চির
শান্তির পথ বেছে নিতে হবেÑ আসুক
শত বাধা, শত প্রতিবন্ধকতা। সবকিছু
এড়িয়ে কবর-হাশর এবং পুলছিরাতের
ঘাটি নিরাপদে পাড়ি দেয়ার
সুব্যবস্থা করতে হবে। আল্লাহ
ওয়ালাদের সহচর্য গ্রহন করে তাদের
প্রতি বৈরিতার ভাব পরিহার করো।
তাদের প্রতি শ্রদ্ধা, ভক্তি তাদের
সান্নিধ্য ও তাওয়াজ্জুহ আল্লাহর
মারিফাতের পথ সুগম করবে। খৃষ্টান
যুবকের ঈমান লাভ এবং তার মন-
মানসিকতার ফলাফল
থেকে শিক্ষা গ্রহণ করো। আল্লাহপাক
তোমাদেরকে তাওফীক দান করুন।
যুবকদের জন্য আমার
মুনাজাতঃ হে রাব্বুল আলামীন!
আপনি দয়ার সাগর, ক্ষমার মালিক।
আমার প্রাণপ্রিয় যুবকদেরকে হেদায়েত
ও নাজাতের গৌরবে উদ্ভাসিত করুন।

শেয়ার করে আপনার বন্ধুদেরকে জানান ।এটা আপনার আমার সকলের দ্বায়িত্ব ।প্রকাশক ও সম্পাদক সৈয়দ রুবেল উদ্দিন

Next Post 17আট. যুবক রশীদ ইবনে সুলাইমান

কোন মন্তব্য নেই :

আট. যুবক রশীদ ইবনে সুলাইমান

কোন মন্তব্য নেই
রাতের কান্না
জেহাকে ইবনে মুযাহিম বলেন,
“আমি জুমার রাত্রে কুফার
জামে মসজিদে গিয়ে এক
যুবককে মসজিদের বারান্দায় সিজদায়
ক্রন্দনরত অবস্থায় দেখি। আমার
মনে হলো, যুবকটি সাধারণ যুবক নয়,
বড় ধরণের আল্লাহর ওলী হবে। তাই
আমি তার দিকে অগ্রসর হই।
তাকে মুনাজাতে বলতে শুনিÑ হে মহান
আল্লাহ পাক! আমার ভরসা আপনার
উপর, আর কারো উপর নয়।
প্রকৃতপক্ষে প্রশান্ত সেই, যে কেবল
আপনাকে স্বীয় জীবনের আসল লক্ষ্য
বানিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছে।
সর্বোত্তম সে, যে সমস্ত
রাত্রি আপনার ভয়-ভীতির
মধ্যে অতিক্রম করতে সক্ষম
হয়েছে এবং নিজের দুঃখ-কষ্ট ও বালা-
মুসিবতের কথা আপনার কাছে পেশ
করতে সক্ষম হয়েছে। যার
মধ্যে আপনার মুহাব্বত ও প্রেমের
আগুন দাউ দাউ করে জ্বলছে তার মত
সফলকাম আর কেউ নেই। তার জীবন
সফলকাম যে তার প্রেমাস্পদকে রাতের
আঁধারে ডাকে এবং তার উত্তর পায়।
যুবকের এরূপ মুনাজাত
এবং ক্রন্দনে আমার মাঝে এমন
প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হলো যে, আমিও
তার সাথে সাথে কাঁদতে শুরু করি। তার
মুনাজাতের বাণীসমূহ থেকে এক প্রকার
নূর ও মারিফাতের স্বাদ অনুভূত
হচ্ছিল। এরপর যুবক এই
কবিতাটি আবৃত্তি করতে থাকেÑ
হে আমার বান্দা!
আমি আছি এবং তোমাকে হেফাযত
করছি।
তুমি আমার তত্ত্বাবধানে আছো
তুমি যা বলছ, আমি তা শুনছি।
আমার ফেরেশতাগণ তোমার মধুর বাক্য
শুনতে আগ্রহী।
আমি তোমার সমস্ত গোনাহ
ক্ষমা করে দিয়েছি।”


শেয়ার করে আপনার বন্ধুদেরকে জানান ।এটা আপনার আমার সকলের দ্বায়িত্ব ।প্রকাশক ও সম্পাদক সৈয়দ রুবেল উদ্দিন

Next post যুবকের পরিচয় - জ্বিনের সমাবেশ

কোন মন্তব্য নেই :

যুবকের পরিচয় - জ্বিনের সমাবেশ

কোন মন্তব্য নেই
যুবকের পরিচয়
যুবকটি মুনাজাত থেকে ফারেগ হওয়ার
পর ইবনে মুযাহিম তাকে সালাম দেন।
যুবক সালামের উত্তর দেয়।
ইবনে মুজাহিম তাকে বলেন, “আল্লাহ
পাক তোমার প্রতি স্বীয় রহমত
অব্যাহত রাখুন এবং তার নূরে তোমার
জীবন নূরান্বিত করুনÑ তুমি কে?
তোমার পরিচয় কি?” যুবকটি বলল,
‘আমি রশীদ ইবনে সুলাইমান।’
ইবনে মুযাহিম তার নাম এবং তার
বুযুর্গী ও আল্লাহভীরুাতার কথা এর
আগে বহুবার শুনেছিলেন। তার
সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য ব্যাকুল ছিলেন।
কিন্তু ইতিপূর্বে কোনদিন সাক্ষাতের
সুযোগ হয়নি। যুবকের মুখে তার নাম
শোনার সাথে সাথে ইবনে মুযাহিমের মন
খুশীতে বাগ বাগ হয়ে যায় এবং তার
সহচর্যে থাকার জন্য তিনি আবেদন
জানান।
যুবক অদৃশ্য
ইবনে মুযাহিমের আবেদনের
উত্তরে যুবক বলেÑ “আপনাকে আমার
সাথে রাখা খুবই কঠিন।
কেননা যে ব্যক্তি আল্লাহ পাকের
কাছে মুনাজাত করে স্বাদ
এবং তৃপ্তি লাভে ধন্য
সে কি করে সৃষ্টির সাথে সম্পর্ক
রাখতে পারে? যদি পূর্বের ওলীগণ
আমাদের অবস্থা অবলোকন করেন
তাহলে তারা বলবেন যে, আখেরাতের
উপর আমার কোন ঈমান নেই’Ñ এই
বলে যুবকটি গায়েব হয়ে যায়।
ইবনে মুযাহিম অনেক খুঁজাখুঁজি করেও
যুবকের আর সন্ধান না পেয়ে অত্যন্ত
মর্মাহত হন।
যুবকের সাক্ষাৎ
ইবনে মুযাহিম নিজেও বড় ধরণের
ওলী ছিলেন। কিন্তু আল্লাহর ওলী এই
যুবকের সাক্ষাৎ পেয়েও তার সান্নিধ্য
থেকে বঞ্চিত হয়ে যাওয়ার দুঃখে কাতর
হয়ে পুণরায় তার সঙ্গে সাক্ষাৎ লাভের
জন্য আল্লাহ পাকের দরবারে কাকুতি-
মিনতির সাথে মুনাজাত করতে থাকেন।
এরপর একবার হজ্জ্বের
উদ্দেশ্যে তিনি মক্কা শরীফ গমন
করেন এবং বায়তুল্লাহ শরীফে বিরাট
এক মজলিসে ঐ যুবককে বয়ান
করতে দেখতে পান। যুবকটি বয়ানের
মূহুর্তে সূরায়ে ‘আনআম’
থেকে তেলাওয়াত
করে করে উপস্থি শ্রোতাবৃন্দকে
শোনাচ্ছিল। ইবনে মুযাহিমকে দেখে যুবক
মুচকি হাসে। অতঃপর সালাম
মুসাহাফা এবং মুআনাকা করতঃ ইবনে
মুযাহিমকে উদ্দেশ্য করে বলে, ‘পুনরায়
আমার সাথে মুলাকাতের জন্য আল্লাহর
দরবারে মুনাজাত করেছিলেন?”
ইবনে মুযাহিম বললেন, ‘হ্যাঁ, আমি এরূপ
মুনাজাত করেছিলাম।’ যুবকটি বলল,
আলহামদুলিল্লাহ।
জ্বিনের সমাবেশ
ইবনে মুযাহিম সুযোগ বুঝে এদিক
সেদিকের কথা না বলে বিনয়ের
সাথে যুবকের কাছে আবেদন করে বলেন,
“ঐ রাত্রে আপনি আল্লাহ পাকের
নিকট থেকে যা পেয়েছেন
এবং যা দেখেছেন ও শুনেছেন,
সে বিষয়ে আমাকে অবহিত করুন।” এই
আবেদনের সাথে সাথে যুবকটি হঠাৎ
চিৎকার করে সংজ্ঞাহীন হয়ে যায়
এবং উপস্থিত সমস্ত শ্রোতাবৃন্দ
মুহূর্তের মধ্যে অদৃশ্য হয়ে যায়।
কিছুক্ষণ পর যুবকটির জ্ঞান
ফিরে আসলে সে ইবনে মুযাহিমকে বলে,
“হে আমার ভাই! যারা আল্লাহর
সন্ধানী, আল্লাহর ভেদ প্রকাশে তাদের
অন্তর কত অধিক ভীত-সন্ত্রস্ত
হয়, তা কি আপনি জানেন না?”
ইবনে মুযাহিম জিজ্ঞেস করলেন, “এই
লোকগুলো কারা ছিল? কিভাবে অদৃশ্য
হয়ে গেল?” যুবক বললঃ এরা মুসলমান
জ্বিন। আমার সাথে সম্পর্ক রাখে।
আমি তাদেরকে সম্মান করে থাকি।
এরা প্রতি বছর হজ্জ্ব
করে এবং আমাকে কুরআন শরীফ
তেলাওয়াত করে শোনায়।

শেয়ার করে আপনার বন্ধুদেরকে জানান ।
এটা আপনার আমার সকলের দ্বায়িত্ব ।
প্রকাশক ও সম্পাদক সৈয়দ রুবেল উদ্দিন

Next post জান্নাতে সাক্ষাৎ হবে - শিক্ষণীয় বিষয়

কোন মন্তব্য নেই :

জান্নাতে সাক্ষাৎ হবে - শিক্ষণীয় বিষয়

কোন মন্তব্য নেই
জান্নাতে সাক্ষাৎ হবে
ইবনে মুযাহিমের সাথে এই বক্তব্যের
পর তাকে বিদায় জানিয়ে যুবক
বলেঃ আল্লাহপাক আপনাকে আমার
সাথে যেন জান্নাতে সাক্ষাত করান এই
মুনাজাত করি। সেখানে সাক্ষাতের পর
আর বিচ্ছেদ হবে না। সেখানে কোন
কষ্ট নেই, কোন চিন্তাও নেই। এই
বলে যুবকটি পুণরায় অদৃশ্য হয়ে যায়।
শিক্ষণীয় বিষয়
(ক) জুমার রাত্রির বরকত ঃ জুমআর
রাত্রি অত্যন্ত বরকতময় রাত্রি।
ইবাদত-রিয়াজত ও আল্লাহর
দরবারে মুনাজাত করার রাত্রি।
ইবনে মুযাহিম এই রাত্রিতে মুনাজাতের
আশায় মসজিদে পৌঁছেন এবং যুগশ্রেষ্ঠ
ওলী ঐ যুবকের সাক্ষাত লাভে ধন্য
হন। যুবকের মুনাজাত ও
ক্রন্দনে আকৃষ্ট হয়ে তিনি নিজেও
আল্লাহ পাকের দরবারে ক্রন্দন
করেন। বস্তুতঃ এজন্যই আল্লাহ
ওয়ালাদের সহচর্য লাভের প্রতি গুরুত্ব
আরোপ করা হয়েছে। পবিত্র কুরআন ও
হাদীসে এর বিশেষ গুরুত্ব
বর্ণনা করা হয়েছে। কিন্তু আজ
মুসলমানদের মধ্যে নামাযের গুরুত্বই
নেই, জুমার রাত্রির গুরুত্ব
আসবে কোথা থেকে? যারা দ্বীনদার
তাদের মধ্যেই বুযুর্গদের সহচর্য
অবলম্বনের মন-মানসিকতা নেই,
সুতরাং অন্যদের মধ্যে এবং যুবকদের
মধ্যে এর গুরুত্ব আসবে কোথা থেকে?
হে যুবক ভাইগণ! যাই করেছ,
জীবনকে ধ্বংস করো না। হাতে সময়
বেশী নেই। বৃদ্ধকালে দেহ দূর্বল
হয়ে যাবে, শক্তি থাকবে না।
সুতরাং যুবক বয়সে মসজিদমুখী হও
এবং ইবনে সুলাইমানের মত
মসজিদে হাজির হয়ে নতশীর হও। স্বীয়
কৃতকর্মের জন্য আল্লাহর
দরবারে ক্ষমাপ্রার্থী হও। আল্লাহর
মারিফাত কামনা করে মুনাজাত কর।
তিনি বড় দয়ালু, অত্যন্ত ক্ষমাশীল।
প্রার্থনাকারীদেরকে বঞ্চিত করেন না,
তোমাদেরকেও বঞ্চিত করবেন না।
(খ) আল্লাহর উপর ভরসা ঃ এই
যুবকের আধ্যাত্মিক সফলতার
পিছনে যেমন ছিল তার সাধনা,
প্রার্থনা, উদ্যম ও প্রেরণা;
তেমনি ছিল আল্লাহর সত্ত্বার
প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস ও অগাধ ভরসা।
কুফার জামে মসজিদে জুমার
রাত্রে আল্লাহ পাকের
কাছে মুনাজাতে তার বক্তব্যই এর
বাস্তব প্রমাণ। তার
বক্তব্যে ফুটে উঠেছে যে,
যে ব্যক্তি আল্লাহর ভালোবাসা ও
মুহাব্বতে স্বীয় অন্তরকে নূরান্বিত
করেছে তার জন্য ভিন্ন কিছুর
প্রয়োজন হয় না। সৃষ্টির প্রতি তার
আকর্ষণ থাকে না। তার দৃষ্টি কেবল
আল্লাহর সত্ত্বার উপর আরোপিত
থাকে, তার প্রতিই সে ভরসাশীল হয়।
বস্তুতঃ আত্মিক এই ভরসাই যুবকের
জন্য সাফল্যের কারণ হয়েছে। কিন্তু
আজ যুব সমাজ বস্তুমুখী, প্রগতিবাদী।
সফলতা অর্জনে তারা যে সম্পূর্ণ
ব্যর্থ হতে চলেছে তা আর অস্পষ্ট
নয়। তাই আমি আহ্বান জানাচ্ছিÑ
হে যুবক ভাইগণ!
তোমরা ইবনে সুলাইমানের
জীবনকে পাথেয় বানাও, ধ্বংসের পথ
থেকে নিজেদেরকে বিরত রাখ।
(গ) মুনাজাতের গুরুত্ব ঃ আল্লাহ
পাকের নিকট মুনাজাত ও
প্রার্থনা মুমিনদের বড় হাতিয়ার।
বিশেষ করে শেষ রাত্রের মুনাজাত। এ
সময় অসংখ্য আল্লাহর ওলীগণ
আল্লাহর দরবারে হাত
তুলে কান্নাকাটি করে, মুনাজাতরত হয়।
আল্লাহ পাক এই সময়ে জামাল
দয়ার্দ্রতার হালতে থাকেন, বান্দার
প্রতি ক্ষমা ও করুণা বর্ষণ
করে থাকেন। এ সময়ে ঘুমিয়ে থাকা,
গান-বাদ্য-তামাশা দেখা এবং আমোদ-
প্রমোদে লিপ্ত থাকা বঞ্চিত হওয়ার
কারণ হয়ে থাকে। এ সময়ে স্বামী-
স্ত্রী মিলন থেকে বিরত
থেকে উভয়ে মিলে আল্লাহর
দরবারে ইহকাল-পরকালের কল্যাণ
কামনা করা খুবকই প্রয়োজন। এই
যুবকের সাফল্যময় জীবনের অন্যতম
উপায় ছিল মুনাজাত। যুব সমাজকে তার
জীবনের এই বৈশিষ্ট্যটিকে পাথেয়
করা বাঞ্ছনীয়।
(ঘ) ভেদ প্রকাশ করতে নেই ঃ সুলুক
অর্থাৎ আধ্যাত্মিক সাধনার পথ
অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এই পথ গভীর
সমুদ্রের পথ। এটা পানির সমুদ্র নয়,
যার তলা বা সীমা আছে। বরং এই পথ
হচ্ছে আল্লাহর মারিফাত ও ভেদের
আসীম সমুদ্র পথ। এ সমুদ্র
পাড়ি দেয়া অত্যন্ত কঠিন। এই
সমুদ্রে অনেকেই নৌকা ও ষ্টীমার
নিয়ে যাত্রা শুরু করে, কিন্তু
ওপারে যেতে সক্ষম হয় মাত্র
হাতে গোনা কিছু লোক। এই পথে চলার
সময় অনেক পরীক্ষার সম্মুখীন
হতে হয়। বাঁধার সম্মুখীন হতে হয়।
সার্বাধিক বাধা হচ্ছে মারিফাতের ভেদ।
আধ্যাত্মিক সাধনায় অর্জিত ভেদের
জ্ঞান লাভ
করে যারা আত্মহারা হয়ে পড়ে, নিজের
মধ্যে আমিত্ব ভাব অনুভব করে,
তারা মারিফাতের সমুদ্রে ডুবে মরে,
কিনারায় যেতে সক্ষম হয় না। আর
যারা ভেদের বিষয়বস্তুকে গোপন
করতে পারে কেবল তারাই
তীরে ভিড়তে পারে। এজন্য আল্লাহর
ওলীগণ মারিফাতের ভেদ
এরূপভাবে গোপন করে রাখেন যেমন
কুমারী মেয়েরা তাদের
ঋতুস্রাবকে গোপন করে রাখে।
বস্তুতঃ আল্লাহর ওলীগণ
নিজেদেরকে এমন গোপন করে রাখেন যে,
লোকেরা তাদেরকে পাগল-বেওকুফ
এবং বুরবক মনে করে থাকে। এই
যুবকের আধ্যাত্মিক সাফল্যের
পেছনেও এই সত্যটি কাজ করেছে। তাই
ইবনে মুযাহিমের বারবার আবেদনের
পরও ভেদ
প্রকাশে তিনি অসম্মতি প্রকাশ
করেন।
(ঙ) বুযুর্গদের সহচর্য ঃ আতরের
দোকানে বসলে আতরের
সুগন্ধি পাওয়া যায়। আর নাপাকীর
কাছে বসলে নাপাকীর গন্ধ পাওয়া যায়।
অনুরূপ আল্লাহর ওলীদের
সহচর্যে উঠা-বসা করলে আল্লাহর
মারিফাতের সুগন্ধি পাওয়া যায় আর
ভণ্ডদের সহচর্যে বসলে শয়তানের
গন্ধ পাওয়া যায়। এজন্য আল্লাহর
রাসূল সতর্ক করে দিয়ে ইরশাদ
করেছেন, “তোমরা একাকী থাকবে,
কিন্ত অসৎ লোকের সংশ্রবে যেও না।
আর যদি সৎ লোকের সন্ধান পাও, তার
সহচর্য অবলম্বন কর,
একা থেকো না।” এই স্বভাব
ইবনে মুযাহিমকে আধ্যাত্মিক সাধনায়
উর্ধ্বে উঠতে সহায়তা করেছিল।
সেজন্য বয়সে যুবক হলেও
ইবনে সুলাইমানের সান্নিধ্য লাভের
কামনায় তিনি আল্লাহর নিকট মুনাজাত
করেছিলেন। আল্লাহ পাক তার মুনাজাত
কবুল করেছিলেন। তাই বায়তুল্লাহর
সামনে যুবকের সাক্ষাত লাভ
করলে যুবক তাকে শেষ কথা বলে যায়
যে, “তোমার সাথে জান্নাতে মিলন হবে,
সেই মিলনের পর আর বিচ্ছেদ হবে না।’
আল্লাহ পাক আমাদেরকে বুযুর্গানের
দ্বীনের সহচর্য দান করুন।


শেয়ার করে আপনার বন্ধুদেরকে জানান ।
এটা আপনার আমার সকলের দ্বায়িত্ব ।
প্রকাশক ও সম্পাদক সৈয়দ রুবেল উদ্দিন

Next post নয়. নবী বংশের যুবক

কোন মন্তব্য নেই :

নয়. নবী বংশের যুবক

কোন মন্তব্য নেই
বাহলুল বুযুর্গের নাম আধ্যাত্মিক
জগতে সুপরিচিত। তিনি একদিন
বসরা নগরীর পথ ধরে হেঁটে যাওয়ার
সময় কতিপয় অল্প
বয়সী যুবকেরা খেলা করতে দেখেন। আর
তাদেরই
পাশে দাঁড়িয়ে একটি যুবককে ক্রন্দনরত
দেখেন। তিনি মনে মনে ভাবেন যে, এই
যুবকটির নিকট খেলার
সামগ্রী না থাকার কারণেই
বুঝি সে কান্নাকাটি করছে। তাই
তিনি যুবকটির দিকে এগিয়ে যান
এবং তাকে সান্ত্বনা দেন।
বাহলুল ঃ হে যুবক আমি তোমার জন্য
খেলার সামগ্রী সংগ্রহ করে দিব,
তুমি খেলবে?
যুবক ঃ বেওকুফ! আল্লাহ পাক
কি আমাদেরকে খেলাধুলার জন্য
সৃষ্টি করেছেন?
বাহলুল ঃ কিসের জন্য সৃষ্টি করেছেন?
যুবক ঃ দ্বীনি শিক্ষার জন্য
এবং ইবাদতের জন্য।
বাহলুল ঃ আল্লাহ পাক
তোমাকে দীর্ঘজীবী করুন।
তুমি তা বুঝলে কি করে?
যুবক ঃ আল্লাহ পাক ইরশাদ
করেন ঃ ﺍﻓﺤﺴﺒﺘﻢ ﺍﻧﻤﺎ ﺧﻠﻘﻨﺎﻛﻢ
ﻋﺒﺜﺎ “তোমরা ধারনা করেছ
আমি তোমাদেরকে অনর্থক
সৃষ্টি করেছি? তোমরা আমার
কাছে প্রত্যাবর্তিত হবে না?”
বাহলুল ঃ হে যুবক! মনে হচ্ছে তুমিই
খুবই জ্ঞানী। সুতরাং তুমি আমাকে কিছু
নছীহতের কথা শোনাও।

শেয়ার করে আপনার বন্ধুদেরকে জানান ।এটা আপনার আমার সকলের দ্বায়িত্ব ।প্রকাশক ও সম্পাদক সৈয়দ রুবেল উদ্দিন

Next post যুবকের নছীহত - জাহান্নামের ভয়

কোন মন্তব্য নেই :

যুবকের নছীহত - জাহান্নামের ভয়

কোন মন্তব্য নেই
যুবকের নছীহত
বাহলুলের আবেদনে নবী বংশের সেই
যুবকটি নিম্নের
কবিতা আবৃত্তি করে ঃ
 হে পবিত্র আল্লাহর আপনিই দীনতা-
হীনতা প্রকাশের স্থল, আপনিই
ভরসাস্থল।
 হে আল্লাহ পাক! আপনার
দরবারে যে আশা করে সে নিরাশ হয় না,
তার আশা অবশ্যই পূরণ করা হয়।
এই
কবিতা আবৃত্তি করে যুবকটি কাঁপতে
কাঁপতে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে যায়।
বাহলুল দ্রুত যুবকটির মাথা নিজের
কোলে নিয়ে মুখে লেগে থাকা আবর্জনা
পরিষ্কার করে। কিছুক্ষণ পর যুবকের
হুশ ফিরে আসলে বাহলুল তাকে বলে,
“হে যুবক! তোমার বয়স এখন অনেক
কম, এত ভয়ের কি আছে?” যুবক বলল,
‘হে বাহলুল! তুমি দূর হও!
আমি আম্মাজানকে চুলায় আগুন
জ্বালানোর সময় দেখেছি যে,
তিনি লাকড়ির ছোট ছোট
টুকরাগুলোকে সবসময় প্রথমে চুলায়
দেন, আর বড়
লাকড়িগুলোকে পরে দিয়ে থাকেন। আমার
ভয় হয়, জাহান্নামের আগুনে ছোট
লাকড়ির
স্থলে প্রথমে আমাকে রেখে দেয়া হয়
কি না!
জাহান্নামের ভয়
জাহান্নাম অত্যন্ত কঠোর শাস্তির
স্থানÑ এই জ্ঞান এবং বিশ্বাস যার
আছেÑ ছোট হোক আর বড় হোক, বৃদ্ধ
হোক আর যুবক হোক গোনাহের কাজ
সে করতে পারে না। সাপের
মুখে মণিমুক্ত থাকলেও কেউ তার মুখ
থেকে তা কেড়ে নিতে সাহস পায় না।
সাপের দংশন এবং বিষের ভয়
তাকে বিরত রাখে। অনুরূপ যার
অন্তরে জাহান্নামের ভয় ও শাস্তির
দৃঢ় বিশ্বাস বিদ্যমান রয়েছে,
তাকে গোনাহের স্বাদ কোনদিন
গোনাহের দিকে আকৃষ্ট করতে পারে না।
এই বিশ্বাসই ছিল যুবকের ভয়ের কারণ
যাদের অন্তরে বিশ্বাস ও ভয় নেই,
কেবল তারাই শুধু গোনাহের
কাজে নির্দ্ধিধায় লিপ্ত হতে পারে

শেয়ার করে আপনার বন্ধুদেরকে জানান ।এটা আপনার আমার সকলের দ্বায়িত্ব ।প্রকাশক ও সম্পাদক সৈয়দ রুবেল উদ্দিন

Next post মৃত্যুর স্মরণ মুক্তির উপায়

কোন মন্তব্য নেই :

মৃত্যুর স্মরণ মুক্তির উপায়

কোন মন্তব্য নেই
রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম কবর যিয়ারত
করতে নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে মৃত
ব্যক্তি থেকে শিক্ষা লাভ হয়, মৃত্যুর
প্রস্তুতির দিকে মন আকৃষ্ট হয়,
মরীচিকাময় বস্তু থেকে অন্তর
দূরে সরে থাকে। অপর
হাদিসে তিনি ইরশাদ করেন,
“তোমরা মৃত্যুকে অধিক স্মরণ কর,
কেননা মৃত্যু মানুষের সকল স্বাদ
মিটিয়ে দেয়।” এই যুবকের অন্তর
মৃত্যুর ভয়ে প্রকম্পিত ছিল। কবরের
ভয়-ভীতি দুনিয়া বিরাগী হওয়ার জন্য
সহায়ক হয়েছে। সে বুঝতে সক্ষম
হয়েছিল যে, বস্তু জগত নিতান্ত
অস্থায়ী পথিকের জীবন, স্থায়ী জীবন
তো আখেরাতের জীবন। কামিয়াব সেই,
যে আখেরাতের জন্য কিছু সঞ্চয় করে।
তাই বাহলুল তাকে পুনরায় নছীহত
করতে আবেদন
জানালে যুবকটি তাকে পুনরায় এরূপ
নছীহত করেঃ
(১) “আমি মৃত্যুর বিষয়ে অত্যন্ত
উদাসীন, অথচ মৃত্যু আমার পিছে পিছে।
আজ হোক কাল হোক আমাকে মৃত্যুবরণ
করতেই হবে।
(২) আমি আমার দেহকে মূল্যবান
পোষাক পরিচ্ছদে সুসজ্জিত
করে রেখেছি, অথচ এ দেহ কবরে পচে-
গলে দুর্গন্ধময় হয়ে যাবে।
(৩) আমি যেন স্বচক্ষে অবলোকন
করছি, আমার এই সুন্দর সুঠাম শরীর
কবরে পড়ে থাকবে, কবর খনন
করে আমাকে গর্তের ভিতর
একা রেখে মাটি দিয়ে চাপা দেয়া হবে।
আমার সুন্দর মুখমণ্ডল, সুন্দর সুঠাম
দেহ সবকিছুই বিলীন হয়ে যাবে, হার
গুলো চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যাবে।
না চামড়ার খবর থাকবে, না গোশতের
খবর থাকবে। আমার জীবন শেষ
হয়ে চলেছে, অথচ জড় বস্তুর আকর্ষণ
কেবল বৃদ্ধিই পাচ্ছে।
(৪) সামনে ভয়াবহ সফর, সম্বল
বলতে কিছুই নেই। পাপাচারে লিপ্ত
হয়ে স্রষ্টার কাছে কেবল নাফরমানীই
করেছি। নাফরমানীর পরিণাম
থেকে মুক্তির জন্য কোন কিছুই আমার
কাছে নেই।
(৫) আমি অগণিত গোনাহ করেছি, আর
মানুষের দৃষ্টিগোচর
হওয়া থেকে আল্লাহ সেগুলোকে গোপন
রেখেছেন। কিন্তু আমার সমস্ত গোপন
গোনাহসমূহ হাশরের ময়দানে মালিকের
সম্মুখে প্রকাশ পেয়ে যাবে।
(৬) নিঃসন্দেহে এই ভয় আমার ছিল।
আমি আল্লাহর উপর ভরসাশীল
এবং তার ক্ষমায় বিশ্বাসী। তিনি সকল
প্রসংশার অধিকারী।
(৭) মৃত্যুর পর দেহ গলে-পচে যাবে,
ভয়ের জন্য এতটুকুই যথেষ্ট। জান্নাত
অথবা জাহান্নামের অঙ্গীকার
না থাকলেও ভয়ের জন্য এতটুকুই
যথেষ্ট। কিন্তু কি বলা যায়,
আমরা অত্যন্ত বেওকুফ।
শিক্ষা গ্রহণ করি না।
(৮) আহ!
যদি তিনি আমাকে ক্ষমা করে দিতেন!
এছাড়া আর কোন উপায় নেই। গোলামের
দ্বারা অপরাধ হয়ে গেলে মনিবই
তো ক্ষমা করতে পারেন।
(৯) নিঃসন্দেহে আমি অত্যন্ত
নিকৃষ্ট। আমি আমার মাওলার
প্রতিশ্র“তি ভঙ্গ করেছি। অযোগ্য
গোলাম এরূপই হয়ে থাকে। তার কোন
ওয়াদা ঠিক থাকে না।
(১০) হে আমার মনিব! যখন আপনার
আগুন আমাকে দগ্ধ করবে তখন আমার
কি অবস্থা হবে? এই আগুন তো কোন
পাথরও সহ্য করতে পারবে না।
তাহলে আমি কি করে সহ্য করব?
(১১) মৃত্যুর সময়ও আমি একা হবো,
কবরেও একই যেতে হবে, একই কবর
থেকে উঠতে হবে। কোথাও কেউ আমার
সাথী ও সাহায্যকারী হবে না।
(১২) হে আল্লাহ পাক! আপনি একক
লা-শরীক। আমার মত
নিঃস্বকে আপনি ক্ষমা করুন,
দয়া করুন।


শেয়ার করে আপনার বন্ধুদেরকে জানান ।এটা আপনার আমার সকলের দ্বায়িত্ব ।প্রকাশক ও সম্পাদক সৈয়দ রুবেল উদ্দিন

Next post যুবক অদৃশ্য - সৃষ্টির লক্ষ্য- উদ্দেশ্য

কোন মন্তব্য নেই :

যুবক অদৃশ্য - সৃষ্টির লক্ষ্য- উদ্দেশ্য

কোন মন্তব্য নেই
যুবক অদৃশ্য
বাহলুল বলেন, যুবকের এই সমস্ত
কথা আমার
অন্তরে গভীরভাবে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি
করে। আমি সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলি।
কিছুক্ষণ পর আমার হুশ ফিরে আসে।
কিন্তু যুবক অদৃশ্য হয়ে যায়। অন্য
যুবকদের তার
সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করি। তারা জানায়
যে, যুবকটি হযরত হুসাইনের বংশধর।
বাহলুল বলেন, আমি যুবকের
কথাবার্তা শুনে অত্যন্ত অবাক
হয়েছিলাম যে, এ কোন বৃক্ষের ফল।
বাস্তবিক এরূপ বৃক্ষ থেকে এরূপ
ফলেরই আশা করা যায়। আল্লাহ পাক
এই বংশের দ্বারা মানুষকে উপকৃত
করুন।
শিক্ষণীয় বিষয়
নবী বংশের এই যুবক একজন আদর্শ
যুবকই বটে। এই বংশের সুফল এরূপই
হওয়ার কথা। এই বংশের চরিত্র ও
অবদান অপরিসীম। এ বিষয়ে অধিক
জানার জন্য আমার রচিত
“নবী পরিবারের প্রতি ভালোবাসা”
বইটি পড়ুন। এই যুবকের বৈশিষ্ট্য ও
আধ্যাত্মিক সফলতা কেবল বংশগত
ব্যাপার ছিল না। বরং এর পেছনে তার
ব্যক্তিগত চরিত্র মাধুর্য, সুস্থ
আকীদা ও আমলের প্রভাবও বিদ্যমান
ছিল।
সৃষ্টির লক্ষ্য-উদ্দেশ্য
পৃথিবীর কোন বস্তু অনর্থক নয়। সৃষ্ট
পদার্থ সংমিশ্রণ করে মানুষ কত কিছুই
আবিষ্কার করে থাকে। এর পিছনেও
থাকে কিছু উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য।
সুতরাং পদার্থ ও মানুষ সৃষ্টির
পিছনে কি কোন উদ্দেশ্য-লক্ষ্য নেই?
অবশ্যই আছে। তবে যারা মূর্খ, বোকা,
বেওকুফ তারা এই বিষয়ের গূঢ়তত্ত্ব
অনুধাবনে উদাসীন। এজন্য প্রয়োজন
সঠিক জ্ঞানের। আল্লাহ পাক সেই
জ্ঞান অর্জনের জন্য পবিত্র কুরআন
নাযিল করেছেন, বিশ্ব
রাসূলকে পাঠিয়েছেন এবং মানুষকে সেই
জ্ঞান অর্জনের জন্য আহ্বান
জানিয়েছেন। সেই জ্ঞানের
আলো মানুষকে তার সৃষ্টির উদ্দেশ্য
সম্পর্কে দিক-নির্দেশনা দান করে। এই
জ্ঞানই এই যুবকের সাফল্যের পথ সুগম
করেছে। তাই বাহলুলের প্রশ্নের
উত্তরে যুবকটি বলেছিলÑ
‘মানুষকে আল্লাহ পাক অনর্থক
সৃষ্টি করেননি। বরং প্রকৃত জ্ঞান
অর্জন এবং ইবাদতের জন্য
সৃষ্টি করেছেন।’ বস্তুতঃ কুরআন ও
হাদীসে এরূপ
জ্ঞানে অধিকারীকে সর্বোত্তম মানুষ
বলে ঘোষনা করা হয়েছে। অপর এক
আয়াতে সৃষ্টির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের
প্রতি দিক নির্দেশনা দান করে আল্লাহ
পাক ইরশাদ করেনঃ
ﻭﻣﺎ ﺧﻠﻘﺖ ﺍﻟﺠﻦ ﻭﺍﻻﻧﺲ ﺍﻻ
ﻟﻴﻌﺒﺪﻭﻥ
অর্থাৎ “আমি জিন
এবং মানুষকে সৃষ্টি করেছি কেবল
আমার ইবাদত করার জন্য।”
যুবকের জ্ঞান তাকে সৃষ্টির মূল
উদ্দেশ্যের প্রতি দিক-
নির্দেশনা দিয়েছিল। তাই যুবক তার
অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে এবং জীবনের
উৎকর্ষ সাধনে সক্ষম হয়েছে।

post in dawatul haq

শেয়ার করে আপনার বন্ধুদেরকে জানান ।
এটা আপনার আমার সকলের দ্বায়িত্ব ।
প্রকাশক ও সম্পাদক সৈয়দ রুবেল উদ্দিন

Next post আজ সত্যিকার পুরুষদের দরকার।

কোন মন্তব্য নেই :

38) সূরা ছোয়াদ (মক্কায় অবতীর্ণ), আয়াত সংখ্যা 88[বাংলা অর্থ সহ]

কোন মন্তব্য নেই
ﺑِﺴْﻢِ ﺍﻟﻠّﻪِ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤـَﻦِ
ﺍﻟﺮَّﺣِﻴﻢِ
শুরু করছি আল্লাহর
নামে যিনি পরম করুণাময়,
অতি দয়ালু।
In the name of Allah, most benevolent, ever-merciful.
ﺹ ﻭَﺍﻟْﻘُﺮْﺁﻥِ ﺫِﻱ ﺍﻟﺬِّﻛْﺮِ
(1
ছোয়াদ। শপথ উপদেশপূর্ণ
কোরআনের,
Sâd. [These letters
(Sâd etc.) are one of
the miracles of the
Qur’ân and none but
Allâh (Alone) knows
their meanings]. By
the Qur’ân full of
reminding.
ﺑَﻞِ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻛَﻔَﺮُﻭﺍ ﻓِﻲ ﻋِﺰَّﺓٍ
ﻭَﺷِﻘَﺎﻕٍ
(2
বরং যারা কাফের,
তারা অহংকার ও বিরোধিতায়
লিপ্ত।
Nay, those who
desbelieve are in
false pride and
opposition.
ﻛَﻢْ ﺃَﻫْﻠَﻜْﻨَﺎ ﻣِﻦ ﻗَﺒْﻠِﻬِﻢ ﻣِّﻦ
ﻗَﺮْﻥٍ ﻓَﻨَﺎﺩَﻭْﺍ ﻭَﻟَﺎﺕَ ﺣِﻴﻦَ
ﻣَﻨَﺎﺹٍ
(3
তাদের আগে আমি কত
জনগোষ্ঠীকে ধ্বংস করেছি,
অতঃপর তারা আর্তনাদ
করতে শুরু করেছে কিন্তু তাদের
নিষ্কৃতি লাভের সময় ছিল না।
How many a
generation We have
destroyed before
them, and they cried
out when there was
no longer time for
escape!
ﻭَﻋَﺠِﺒُﻮﺍ ﺃَﻥ ﺟَﺎﺀﻫُﻢ ﻣُّﻨﺬِﺭٌ
ﻣِّﻨْﻬُﻢْ ﻭَﻗَﺎﻝَ ﺍﻟْﻜَﺎﻓِﺮُﻭﻥَ ﻫَﺬَﺍ
ﺳَﺎﺣِﺮٌ ﻛَﺬَّﺍﺏٌ
(4
তারা বিস্ময়বোধ করে যে,
তাদেরই কাছে তাদের
মধ্যে থেকে একজন
সতর্ককারী আগমন করেছেন।
আর কাফেররা বলে এ-তো এক
মিথ্যাচারী যাদুকর।
And they (Arab
pagans) wonder that
a warner (Prophet
Muhammad SAW) has
come to them from
among themselves!
And the disbelievers
say: ”This (Prophet
Muhammad SAW) is a
sorcerer, a liar.
ﺃَﺟَﻌَﻞَ ﺍﻟْﺂﻟِﻬَﺔَ ﺇِﻟَﻬًﺎ ﻭَﺍﺣِﺪًﺍ ﺇِﻥَّ
ﻫَﺬَﺍ ﻟَﺸَﻲْﺀٌ ﻋُﺠَﺎﺏٌ
(5
সে কি বহু উপাস্যের
পরিবর্তে এক উপাস্যের
উপাসনা সাব্যস্ত করে দিয়েছে।
নিশ্চয় এটা এক বিস্ময়কর
ব্যাপার।
”Has he made the
âliha (gods) (all) into
One Ilâh (God - Allâh).
Verily, this is a
curious thing!”
ﻭَﺍﻧﻄَﻠَﻖَ ﺍﻟْﻤَﻠَﺄُ ﻣِﻨْﻬُﻢْ ﺃَﻥِ
ﺍﻣْﺸُﻮﺍ ﻭَﺍﺻْﺒِﺮُﻭﺍ ﻋَﻠَﻰ
ﺁﻟِﻬَﺘِﻜُﻢْ ﺇِﻥَّ ﻫَﺬَﺍ ﻟَﺸَﻲْﺀٌ
ﻳُﺮَﺍﺩُ
(6
তাদের কতিপয় বিশিষ্ট
ব্যক্তি একথা বলে প্রস্থান
করে যে, তোমরা চলে যাও
এবং তোমাদের উপাস্যদের
পূজায় দৃঢ় থাক। নিশ্চয়ই এ
বক্তব্য কোন বিশেষ
উদ্দেশ্যে প্রণোদিত।
And the leaders
among them went
about (saying): ”Go
on, and remain
constant to your
âliha (gods)! Verily,
This is a thing
designed (against
you)!
ﻣَﺎ ﺳَﻤِﻌْﻨَﺎ ﺑِﻬَﺬَﺍ ﻓِﻲ ﺍﻟْﻤِﻠَّﺔِ
ﺍﻟْﺂﺧِﺮَﺓِ ﺇِﻥْ ﻫَﺬَﺍ ﺇِﻟَّﺎ ﺍﺧْﺘِﻠَﺎﻕٌ
(7
আমরা সাবেক ধর্মে এ ধরনের
কথা শুনিনি।
এটা মনগড়া ব্যাপার বৈ নয়।
”We have not heard
(the like) of this
among the people of
these later days. This
is nothing but an
invention!
ﺃَﺃُﻧﺰِﻝَ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺍﻟﺬِّﻛْﺮُ ﻣِﻦ ﺑَﻴْﻨِﻨَﺎ
ﺑَﻞْ ﻫُﻢْ ﻓِﻲ ﺷَﻚٍّ ﻣِّﻦ
ﺫِﻛْﺮِﻱ ﺑَﻞْ ﻟَﻤَّﺎ ﻳَﺬُﻭﻗُﻮﺍ
ﻋَﺬَﺍﺏِ
(8
আমাদের মধ্য থেকে শুধু
কি তারই প্রতি উপদেশ
বানী অবতীর্ণ হল?
বস্তুতঃ ওরা আমার উপদেশ
সম্পর্কে সন্দিহান;
বরং ওরা এখনও আমার মার
আস্বাদন করেনি।
”Has the Reminder
been sent down to
him (alone) from
among us?” Nay! but
they are in doubt
about My Reminder
(this Qur’ân)! Nay,
but they have not
tasted (My) Torment!
ﺃَﻡْ ﻋِﻨﺪَﻫُﻢْ ﺧَﺰَﺍﺋِﻦُ ﺭَﺣْﻤَﺔِ
ﺭَﺑِّﻚَ ﺍﻟْﻌَﺰِﻳﺰِ ﺍﻟْﻮَﻫَّﺎﺏِ
(9
না কি তাদের কাছে আপনার
পরাক্রান্ত দয়াবান
পালনকর্তার রহমতের কোন
ভান্ডার রয়েছে?
Or have they the
treasures of the
Mercy of your Lord,
the All-Mighty, the
Real Bestower?
ﺃَﻡْ ﻟَﻬُﻢ ﻣُّﻠْﻚُ ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﻭَﺍﺕِ
ﻭَﺍﻟْﺄَﺭْﺽِ ﻭَﻣَﺎ ﺑَﻴْﻨَﻬُﻤَﺎ
ﻓَﻠْﻴَﺮْﺗَﻘُﻮﺍ ﻓِﻲ ﺍﻟْﺄَﺳْﺒَﺎﺏِ
(10
নাকি নভোমন্ডল, ভূমন্ডল ও
এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছুর
উপর তাদের সাম্রাজ্য রয়েছে?
থাকলে তাদের আকাশে আরোহণ
করা উচিত রশি ঝুলিয়ে।
Or is it that the
dominion of the
heavens and the
earth and all that is
between them is
theirs? If so, let them
ascend up with
means (to the
heavens)!
ﺟُﻨﺪٌ ﻣَّﺎ ﻫُﻨَﺎﻟِﻚَ ﻣَﻬْﺰُﻭﻡٌ ﻣِّﻦَ
ﺍﻟْﺄَﺣْﺰَﺍﺏِ
(11
এক্ষেত্রে বহু বাহিনীর
মধ্যে ওদেরও এক বাহিনী আছে,
যা পরাজিত হবে।
(As they denied
Allâh’s Message) they
will be a defeated
host like the
confederates of the
old times (who were
defeated).
ﻛَﺬَّﺑَﺖْ ﻗَﺒْﻠَﻬُﻢْ ﻗَﻮْﻡُ ﻧُﻮﺡٍ
ﻭَﻋَﺎﺩٌ ﻭَﻓِﺮْﻋَﻮْﻥُ ﺫُﻭ ﺍﻟْﺄَﻭْﺗَﺎﺩِ
(12
তাদের পূর্বেও মিথ্যারোপ
করেছিল নূহের সম্প্রদায়, আদ,
কীলক বিশিষ্ট ফেরাউন,
Before them (were
many who) belied
Messengers, the
people of Nûh (Noah)
; and ’Ad; and Fir’aun
(Pharaoh) the man of
stakes (with which
he used to punish the
people),
ﻭَﺛَﻤُﻮﺩُ ﻭَﻗَﻮْﻡُ ﻟُﻮﻁٍ
ﻭَﺃَﺻْﺤَﺎﺏُ ﺍﻷَﻳْﻜَﺔِ ﺃُﻭْﻟَﺌِﻚَ
ﺍﻟْﺄَﺣْﺰَﺍﺏُ
(13
সামুদ, লূতের সম্প্রদায় ও
আইকার লোকেরা। এরাই ছিল
বহু বাহিনী।
And Thamûd, and the
people of Lout (Lot),
and the dwellers of
the wood; such were
the confederates.
ﺇِﻥ ﻛُﻞٌّ ﺇِﻟَّﺎ ﻛَﺬَّﺏَ ﺍﻟﺮُّﺳُﻞَ
ﻓَﺤَﻖَّ ﻋِﻘَﺎﺏِ
(14
এদের প্রত্যেকেই
পয়গম্বরগণের
প্রতি মিথ্যারোপ করেছে।
ফলে আমার আযাব প্রতিষ্ঠিত
হয়েছে।
Not one of them but
belied the
Messengers,
therefore My
Torment was
justified,
ﻭَﻣَﺎ ﻳَﻨﻈُﺮُ ﻫَﺆُﻟَﺎﺀ ﺇِﻟَّﺎ ﺻَﻴْﺤَﺔً
ﻭَﺍﺣِﺪَﺓً ﻣَّﺎ ﻟَﻬَﺎ ﻣِﻦ ﻓَﻮَﺍﻕٍ
(15
কেবল একটি মহানাদের
অপেক্ষা করছে, যাতে দম
ফেলার অবকাশ থাকবে না।
And these only wait
for a single Saihah
[shout (i.e. the
blowing of the
Trumpet by the angel
Isrâfil Sarafil)] there
will be no pause or
ending thereto [till
everything will
perish except Allâh
(the only God full of
Majesty, Bounty and
Honour)].
ﻭَﻗَﺎﻟُﻮﺍ ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻋَﺠِّﻞ ﻟَّﻨَﺎ ﻗِﻄَّﻨَﺎ
ﻗَﺒْﻞَ ﻳَﻮْﻡِ ﺍﻟْﺤِﺴَﺎﺏِ
(16
তারা বলে, হে আমাদের
পরওয়ারদেগার, আমাদের
প্রাপ্য অংশ হিসাব দিবসের
আগেই দিয়ে দাও।
They say: ”Our Lord!
Hasten to us Qittana
(i.e. our Record of
good and bad deeds
so that we see it)
before the Day of
Reckoning!”
ﺍﺻْﺒِﺮْ ﻋَﻠَﻰ ﻣَﺎ ﻳَﻘُﻮﻟُﻮﻥَ
ﻭَﺍﺫْﻛُﺮْ ﻋَﺒْﺪَﻧَﺎ ﺩَﺍﻭُﻭﺩَ ﺫَﺍ ﺍﻟْﺄَﻳْﺪِ
ﺇِﻧَّﻪُ ﺃَﻭَّﺍﺏٌ
(17
তারা যা বলে তাতে আপনি সবর
করুন এবং আমার
শক্তিশালী বান্দা দাউদকে
স্মরণ করুন। সে ছিল আমার
প্রতি প্রত্যাবর্তনশীল।
Be patient (O
Muhammad SAW) of
what they say, and
remember Our slave
Dâwûd (David),
endued with power.
Verily, he was ever
oft-returning in all
matters and in
repentance (toward
Allâh).
ﺇِﻧَّﺎ ﺳَﺨَّﺮْﻧَﺎ ﺍﻟْﺠِﺒَﺎﻝَ ﻣَﻌَﻪُ
ﻳُﺴَﺒِّﺤْﻦَ ﺑِﺎﻟْﻌَﺸِﻲِّ
ﻭَﺍﻟْﺈِﺷْﺮَﺍﻕِ
(18
আমি পর্বতমালাকে তার
অনুগামী করে দিয়েছিলাম,
তারা সকাল-সন্ধ্যায় তার
সাথে পবিত্রতা ঘোষণা করত;
Verily, We made the
mountains to glorify
Our Praises with him
[Dâwûd (David)] in
the ’Ashi (i.e. after the
mid-day till sunset)
and Ishrâq (i.e. after
the sunrise till mid-
day).
ﻭَﺍﻟﻄَّﻴْﺮَ ﻣَﺤْﺸُﻮﺭَﺓً ﻛُﻞٌّ ﻟَّﻪُ
ﺃَﻭَّﺍﺏٌ
(19
আর পক্ষীকুলকেও, যারা তার
কাছে সমবেত হত। সবাই ছিল
তাঁর প্রতি প্রত্যাবর্তনশীল।
And (so did) the birds
assembled: all with
him [Dâwûd (David)]
did turn (to Allâh i.e.
glorified His Praises).
ﻭَﺷَﺪَﺩْﻧَﺎ ﻣُﻠْﻜَﻪُ ﻭَﺁﺗَﻴْﻨَﺎﻩُ
ﺍﻟْﺤِﻜْﻤَﺔَ ﻭَﻓَﺼْﻞَ ﺍﻟْﺨِﻄَﺎﺏِ
(20
আমি তাঁর সাম্রাজ্যকে সুদৃঢ়
করেছিলাম
এবং তাঁকে দিয়েছিলাম
প্রজ্ঞা ও
ফয়সালাকারী বাগ্নীতা।
We made his
kingdom strong and
gave him Al-Hikmah
(Prophethood, etc.)
and sound
judgement in speech
and decision.
ﻭَﻫَﻞْ ﺃَﺗَﺎﻙَ ﻧَﺒَﺄُ ﺍﻟْﺨَﺼْﻢِ ﺇِﺫْ
ﺗَﺴَﻮَّﺭُﻭﺍ ﺍﻟْﻤِﺤْﺮَﺍﺏَ
(21
আপনার কাছে দাবীদারদের
বৃত্তান্ত পৌছেছে, যখন
তারা প্রাচীর ডিঙ্গীয়ে এবাদত
খানায় প্রবেশ করেছিল।
And has the news of
the litigants reached
you? When they
climbed over the wall
into (his) Mihrâb (a
praying place or a
private room,).
ﺇِﺫْ ﺩَﺧَﻠُﻮﺍ ﻋَﻠَﻰ ﺩَﺍﻭُﻭﺩَ
ﻓَﻔَﺰِﻉَ ﻣِﻨْﻬُﻢْ ﻗَﺎﻟُﻮﺍ ﻟَﺎ ﺗَﺨَﻒْ
ﺧَﺼْﻤَﺎﻥِ ﺑَﻐَﻰ ﺑَﻌْﻀُﻨَﺎ ﻋَﻠَﻰ
ﺑَﻌْﺾٍ ﻓَﺎﺣْﻜُﻢ ﺑَﻴْﻨَﻨَﺎ ﺑِﺎﻟْﺤَﻖِّ
ﻭَﻟَﺎ ﺗُﺸْﻄِﻂْ ﻭَﺍﻫْﺪِﻧَﺎ ﺇِﻟَﻰ
ﺳَﻮَﺍﺀ ﺍﻟﺼِّﺮَﺍﻁِ
(22
যখন তারা দাউদের
কাছে অনুপ্রবেশ করল, তখন
সে সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ল।
তারা বললঃ ভয় করবেন না;
আমরা বিবদমান দুটি পক্ষ,
একে অপরের
প্রতি বাড়াবাড়ি করেছি।
অতএব, আমাদের
মধ্যে ন্যায়বিচার করুন,
অবিচার করবেন না।
আমাদেরকে সরল পথ প্রদর্শন
করুন।
When they entered
in upon Dâwûd
(David), he was
terrified of them,
they said: ”Fear not!
(We are) two
litigants, one of
whom has wronged
the other, therefore
judge between us
with truth, and treat
us not with injustice,
and guide us to the
Right Way.
ﺇِﻥَّ ﻫَﺬَﺍ ﺃَﺧِﻲ ﻟَﻪُ ﺗِﺴْﻊٌ
ﻭَﺗِﺴْﻌُﻮﻥَ ﻧَﻌْﺠَﺔً ﻭَﻟِﻲَ
ﻧَﻌْﺠَﺔٌ ﻭَﺍﺣِﺪَﺓٌ ﻓَﻘَﺎﻝَ
ﺃَﻛْﻔِﻠْﻨِﻴﻬَﺎ ﻭَﻋَﺰَّﻧِﻲ ﻓِﻲ
ﺍﻟْﺨِﻄَﺎﺏِ
(23
সে আমার ভাই, সে নিরানব্বই
দুম্বার মালিক আর
আমি মালিক
একটি মাদী দুম্বার। এরপরও
সে বলেঃ এটিও
আমাকে দিয়ে দাও।
সে কথাবার্তায় আমার উপর
বল প্রয়োগ করে।
Verily, this my
brother (in religion)
has ninety nine ewes,
while I have (only)
one ewe, and he
says: ”Hand it over to
me, and he
overpowered me in
speech.”
ﻗَﺎﻝَ ﻟَﻘَﺪْ ﻇَﻠَﻤَﻚَ ﺑِﺴُﺆَﺍﻝِ
ﻧَﻌْﺠَﺘِﻚَ ﺇِﻟَﻰ ﻧِﻌَﺎﺟِﻪِ ﻭَﺇِﻥَّ
ﻛَﺜِﻴﺮًﺍ ﻣِّﻦْ ﺍﻟْﺨُﻠَﻄَﺎﺀ ﻟَﻴَﺒْﻐِﻲ
ﺑَﻌْﻀُﻬُﻢْ ﻋَﻠَﻰ ﺑَﻌْﺾٍ ﺇِﻟَّﺎ
ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍ ﻭَﻋَﻤِﻠُﻮﺍ
ﺍﻟﺼَّﺎﻟِﺤَﺎﺕِ ﻭَﻗَﻠِﻴﻞٌ ﻣَّﺎ ﻫُﻢْ
ﻭَﻇَﻦَّ ﺩَﺍﻭُﻭﺩُ ﺃَﻧَّﻤَﺎ ﻓَﺘَﻨَّﺎﻩُ
ﻓَﺎﺳْﺘَﻐْﻔَﺮَ ﺭَﺑَّﻪُ ﻭَﺧَﺮَّ ﺭَﺍﻛِﻌًﺎ
ﻭَﺃَﻧَﺎﺏَ
(24
দাউদ বললঃ সে তোমার
দুম্বাটিকে নিজের দুম্বাগুলোর
সাথে সংযুক্ত করার
দাবী করে তোমার
প্রতি অবিচার করেছে।
শরীকদের অনেকেই একে অপরের
প্রতি জুলুম করে থাকে।
তবে তারা করে না,
যারা আল্লাহর
প্রতি বিশ্বাসী ও সৎকর্ম
সম্পাদনকারী। অবশ্য এমন
লোকের সংখ্যা অল্প। দাউদের
খেয়াল হল যে,
আমি তাকে পরীক্ষা করছি।
অতঃপর সে তার পালনকর্তার
কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করল,
সেজদায় লুটিয়ে পড়ল এবং তাঁর
দিকে প্রত্যাবর্তন করল।
[Dâwûd (David)] said
(immediately
without listening to
the opponent): ”He
has wronged you in
demanding your ewe
in addition to his
ewes. And, verily,
many partners
oppress one another,
except those who
believe and do
righteous good
deeds, and they are
few.” And Dâwûd
(David) guessed that
We have tried him
and he sought
Forgiveness of his
Lord, and he fell
down prostrate and
turned (to Allâh) in
repentance.
ﻓَﻐَﻔَﺮْﻧَﺎ ﻟَﻪُ ﺫَﻟِﻚَ ﻭَﺇِﻥَّ ﻟَﻪُ
ﻋِﻨﺪَﻧَﺎ ﻟَﺰُﻟْﻔَﻰ ﻭَﺣُﺴْﻦَ ﻣَﺂﺏٍ
(25
আমি তার সে অপরাধ
ক্ষমা করলাম। নিশ্চয় আমার
কাছে তার জন্যে রয়েছে উচ্চ
মর্তবা ও সুন্দর আবাসস্থল।
So We forgave him
that, and verily, for
him is a near access
to Us, and a good
place of (final) return
(Paradise).
ﻳَﺎ ﺩَﺍﻭُﻭﺩُ ﺇِﻧَّﺎ ﺟَﻌَﻠْﻨَﺎﻙَ ﺧَﻠِﻴﻔَﺔً
ﻓِﻲ ﺍﻟْﺄَﺭْﺽِ ﻓَﺎﺣْﻜُﻢ ﺑَﻴْﻦَ
ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ ﺑِﺎﻟْﺤَﻖِّ ﻭَﻟَﺎ ﺗَﺘَّﺒِﻊِ
ﺍﻟْﻬَﻮَﻯ ﻓَﻴُﻀِﻠَّﻚَ ﻋَﻦ ﺳَﺒِﻴﻞِ
ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺇِﻥَّ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻳَﻀِﻠُّﻮﻥَ ﻋَﻦ
ﺳَﺒِﻴﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻟَﻬُﻢْ ﻋَﺬَﺍﺏٌ
ﺷَﺪِﻳﺪٌ ﺑِﻤَﺎ ﻧَﺴُﻮﺍ ﻳَﻮْﻡَ
ﺍﻟْﺤِﺴَﺎﺏِ
(26
হে দাউদ!
আমি তোমাকে পৃথিবীতে
প্রতিনিধি করেছি, অতএব,
তুমি মানুষের
মাঝে ন্যায়সঙ্গতভাবে রাজত্ব
কর এবং খেয়াল-খুশীর অনুসরণ
করো না। তা তোমাকে আল্লাহর
পথ থেকে বিচ্যুত করে দেবে।
নিশ্চয় যারা আল্লাহর পথ
থেকে বিচ্যুত হয়, তাদের
জন্যে রয়েছে কঠোর শাস্তি, এ
কারণে যে,
তারা হিসাবদিবসকে ভূলে যায়।
O Dâwûd (David)!
Verily! We have
placed you as a
successor on earth, so
judge you between
men in truth (and
justice) and follow
not your desire for it
will mislead you
from the Path of
Allâh. Verily! Those
who wander astray
from the Path of
Allâh (shall) have a
severe torment,
because they forgot
the Day of Reckoning.
ﻭَﻣَﺎ ﺧَﻠَﻘْﻨَﺎ ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﺀ
ﻭَﺍﻟْﺄَﺭْﺽَ ﻭَﻣَﺎ ﺑَﻴْﻨَﻬُﻤَﺎ ﺑَﺎﻃِﻠًﺎ
ﺫَﻟِﻚَ ﻇَﻦُّ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻛَﻔَﺮُﻭﺍ
ﻓَﻮَﻳْﻞٌ ﻟِّﻠَّﺬِﻳﻦَ ﻛَﻔَﺮُﻭﺍ ﻣِﻦَ
ﺍﻟﻨَّﺎﺭِ
(27
আমি আসমান-যমীন ও
এতদুভয়ের মধ্যবর্তী কোন
কিছু অযথা সৃষ্টি করিনি।
এটা কাফেরদের ধারণা। অতএব,
কাফেরদের
জন্যে রয়েছে দূর্ভোগ অর্থাৎ
জাহান্নাম।
And We created not
the heaven and the
earth and all that is
between them
without purpose!
That is the
consideration of
those who
disbelieve! Then woe
to those who
disbelieve (in Islâmic
Monotheism) from
the Fire!
ﺃَﻡْ ﻧَﺠْﻌَﻞُ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍ
ﻭَﻋَﻤِﻠُﻮﺍ ﺍﻟﺼَّﺎﻟِﺤَﺎﺕِ
ﻛَﺎﻟْﻤُﻔْﺴِﺪِﻳﻦَ ﻓِﻲ ﺍﻟْﺄَﺭْﺽِ
ﺃَﻡْ ﻧَﺠْﻌَﻞُ ﺍﻟْﻤُﺘَّﻘِﻴﻦَ
ﻛَﺎﻟْﻔُﺠَّﺎﺭِ
(28
আমি কি বিশ্বাসী ও
সৎকর্মীদেরকে পৃথিবীতে
বিপর্যয় সৃষ্টিকারী কাফেরদের
সমতুল্য করে দেব?
না খোদাভীরুদেরকে পাপাচারীদের
সম্মান করে দেব।
Shall We treat those
who believe (in the
Oneness of Allâh
Islâmic Monotheism)
and do righteous
good deeds, as
Mufsidûn (those who
associate partners in
worship with Allâh
and commit crimes)
on earth? Or shall We
treat the Muttaqûn
(pious - see V.2:2), as
the Fujjâr (criminals,
disbelievers, wicked,
etc)?ONT>
ﻛِﺘَﺎﺏٌ ﺃَﻧﺰَﻟْﻨَﺎﻩُ ﺇِﻟَﻴْﻚَ ﻣُﺒَﺎﺭَﻙٌ
ﻟِّﻴَﺪَّﺑَّﺮُﻭﺍ ﺁﻳَﺎﺗِﻪِ ﻭَﻟِﻴَﺘَﺬَﻛَّﺮَ ﺃُﻭْﻟُﻮﺍ
ﺍﻟْﺄَﻟْﺒَﺎﺏِ
(29
এটি একটি বরকতময় কিতাব,
যা আমি আপনার প্রতি বরকত
হিসেবে অবতীর্ণ করেছি,
যাতে মানুষ এর আয়াতসূহ
লক্ষ্য করে এবং বুদ্ধিমানগণ
যেন তা অনুধাবন করে।
(This is) a Book (the
Qur’ân) which We
have sent down to
you, full of blessings
that they may
ponder over its
Verses, and that men
of understanding
may remember.
ﻭَﻭَﻫَﺒْﻨَﺎ ﻟِﺪَﺍﻭُﻭﺩَ ﺳُﻠَﻴْﻤَﺎﻥَ
ﻧِﻌْﻢَ ﺍﻟْﻌَﺒْﺪُ ﺇِﻧَّﻪُ ﺃَﻭَّﺍﺏٌ
(30
আমি দাউদকে সোলায়মান দান
করেছি। সে একজন উত্তম
বান্দা। সে ছিল
প্রত্যাবর্তনশীল।
And to Dâwûd
(David) We gave
Sulaimân (Solomon).
How excellent (a)
slave! Verily, he was
ever oft-returning in
repentance (to Us)!Read more 31-60|

কোন মন্তব্য নেই :

38) সূরা ছোয়াদ (মক্কায় অবতীর্ণ), আয়াত সংখ্যা 88[বাংলা অর্থ সহ]

কোন মন্তব্য নেই
ﺇِﺫْ ﻋُﺮِﺽَ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺑِﺎﻟْﻌَﺸِﻲِّ
ﺍﻟﺼَّﺎﻓِﻨَﺎﺕُ ﺍﻟْﺠِﻴَﺎﺩُ
(31
যখন তার
সামনে অপরাহ্নে উৎকৃষ্ট
অশ্বরাজি পেশ করা হল,
When there were
displayed before him,
in the afternoon, well
trained horses of the
highest breed [for
Jihâd (holy fighting in
Allâh’s Cause)].
ﻓَﻘَﺎﻝَ ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﺣْﺒَﺒْﺖُ ﺣُﺐَّ
ﺍﻟْﺨَﻴْﺮِ ﻋَﻦ ﺫِﻛْﺮِ ﺭَﺑِّﻲ ﺣَﺘَّﻰ
ﺗَﻮَﺍﺭَﺕْ ﺑِﺎﻟْﺤِﺠَﺎﺏِ
(32
তখন সে বললঃ আমি তো আমার
পরওয়ারদেগারের
স্মরণে বিস্মৃত হয়ে সম্পদের
মহব্বতে মুগ্ধ হয়ে পড়েছি-
এমনকি সূর্য ডুবে গেছে।
And he said: ”Alas! I
did love the good
(these horses)
instead of
remembering my
Lord (in my ’Asr
prayer)” till the time
was over, and (the
sun) had hidden in
the veil (of night).
ﺭُﺩُّﻭﻫَﺎ ﻋَﻠَﻲَّ ﻓَﻄَﻔِﻖَ
ﻣَﺴْﺤًﺎ ﺑِﺎﻟﺴُّﻮﻕِ ﻭَﺍﻟْﺄَﻋْﻨَﺎﻕِ
(33
এগুলোকে আমার
কাছে ফিরিয়ে আন। অতঃপর
সে তাদের পা ও গলদেশ ছেদন
করতে শুরু করল।
Then he said ”Bring
them (horses) back to
me.” Then he began
to pass his hand over
their legs and their
necks (till the end of
the display).
ﻭَﻟَﻘَﺪْ ﻓَﺘَﻨَّﺎ ﺳُﻠَﻴْﻤَﺎﻥَ ﻭَﺃَﻟْﻘَﻴْﻨَﺎ
ﻋَﻠَﻰ ﻛُﺮْﺳِﻴِّﻪِ ﺟَﺴَﺪًﺍ ﺛُﻢَّ
ﺃَﻧَﺎﺏَ
(34
আমি সোলায়মানকে পরীক্ষা
করলাম এবং রেখে দিলাম তার
সিংহাসনের উপর
একটি নিস্প্রাণ দেহ। অতঃপর
সে রুজু হল।
And, indeed We did
try Sulaimân
(Solomon) and We
placed on his throne
Jasadan (a devil, so
he lost his kingdom
for a while) but he
did return (to his
throne and kingdom
by the Grace of Allâh
and he did return) to
Allâh with obedience
and in repentance.
ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺏِّ ﺍﻏْﻔِﺮْ ﻟِﻲ ﻭَﻫَﺐْ
ﻟِﻲ ﻣُﻠْﻜًﺎ ﻟَّﺎ ﻳَﻨﺒَﻐِﻲ ﻟِﺄَﺣَﺪٍ
ﻣِّﻦْ ﺑَﻌْﺪِﻱ ﺇِﻧَّﻚَ ﺃَﻧﺖَ
ﺍﻟْﻮَﻫَّﺎﺏُ
(35
সোলায়মান বললঃ হে আমার
পালনকর্তা, আমাকে মাফ করুন
এবং আমাকে এমন সাম্রাজ্য
দান করুন যা আমার পরে আর
কেউ পেতে পারবে না। নিশ্চয়
আপনি মহাদাতা।
He said: ”My Lord!
Forgive me, and
bestow upon me a
kingdom such as
shall not belong to
any other after me:
Verily, You are the
Bestower.”
ﻓَﺴَﺨَّﺮْﻧَﺎ ﻟَﻪُ ﺍﻟﺮِّﻳﺢَ ﺗَﺠْﺮِﻱ
ﺑِﺄَﻣْﺮِﻩِ ﺭُﺧَﺎﺀ ﺣَﻴْﺚُ ﺃَﺻَﺎﺏَ
(36
তখন আমি বাতাসকে তার
অনুগত করে দিলাম, যা তার
হুকুমে অবাধে প্রবাহিত হত
যেখানে সে পৌছাতে চাইত।
So, We subjected to
him the wind, it blew
gently to his order
whithersoever he
willed,
ﻭَﺍﻟﺸَّﻴَﺎﻃِﻴﻦَ ﻛُﻞَّ ﺑَﻨَّﺎﺀ
ﻭَﻏَﻮَّﺍﺹٍ
(37
আর সকল শয়তানকে তার
অধীন করে দিলাম অর্থৎ,
যারা ছিল প্রাসাদ
নির্মাণকারী ও ডুবুরী।
And also the Shayâtin
(devils) from the
jinns (including)
every kind of builder
and diver,
ﻭَﺁﺧَﺮِﻳﻦَ ﻣُﻘَﺮَّﻧِﻴﻦَ ﻓِﻲ
ﺍﻟْﺄَﺻْﻔَﺎﺩِ
(38
এবং অন্য আরও
অনেককে অধীন করে দিলাম,
যারা আবদ্ধ থাকত শৃঙ্খলে।
And also others
bound in fetters.
ﻫَﺬَﺍ ﻋَﻄَﺎﺅُﻧَﺎ ﻓَﺎﻣْﻨُﻦْ ﺃَﻭْ
ﺃَﻣْﺴِﻚْ ﺑِﻐَﻴْﺮِ ﺣِﺴَﺎﺏٍ
(39
এগুলো আমার অনুগ্রহ, অতএব,
এগুলো কাউকে দাও
অথবা নিজে রেখে দাও-এর কোন
হিসেব দিতে হবে না।
[Saying of Allâh to
Sulaimân (Solomon)]:
”This is Our gift, so
spend you or
withhold, no account
will be asked.”
ﻭَﺇِﻥَّ ﻟَﻪُ ﻋِﻨﺪَﻧَﺎ ﻟَﺰُﻟْﻔَﻰ
ﻭَﺣُﺴْﻦَ ﻣَﺂﺏٍ
(40
নিশ্চয় তার জন্যে আমার
কাছে রয়েছে মর্যাদা ও শুভ
পরিণতি।
And verily, he
enjoyed a near access
to Us, and a good
final return (Paradise)
.
ﻭَﺍﺫْﻛُﺮْ ﻋَﺒْﺪَﻧَﺎ ﺃَﻳُّﻮﺏَ ﺇِﺫْ ﻧَﺎﺩَﻯ
ﺭَﺑَّﻪُ ﺃَﻧِّﻲ ﻣَﺴَّﻨِﻲَ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥُ
ﺑِﻨُﺼْﺐٍ ﻭَﻋَﺬَﺍﺏٍ
(41
স্মরণ করুণ, আমার
বান্দা আইয়্যুবের কথা, যখন
সে তার পালনকর্তাকে আহবান
করে বললঃ শয়তান
আমাকে যন্ত্রণা ও কষ্ট
পৌছিয়েছে।
And remember Our
slave Ayûb (Job),
when he invoked his
Lord (saying): ”Verily!
Shaitân (Satan) has
touched me with
distress (by losing my
health) and torment
(by losing my
wealth)!
ﺍﺭْﻛُﺾْ ﺑِﺮِﺟْﻠِﻚَ ﻫَﺬَﺍ
ﻣُﻐْﺘَﺴَﻞٌ ﺑَﺎﺭِﺩٌ ﻭَﺷَﺮَﺍﺏٌ
(42
তুমি তোমার
পা দিয়ে ভূমিতে আঘাত কর।
ঝরণা নির্গত হল গোসল করার
জন্যে শীতল ও পান করার
জন্যে।
(Allâh said to him):
”Strike the ground
with your foot: This
is a spring of water
to wash in, cool and
a (refreshing) drink.”
ﻭَﻭَﻫَﺒْﻨَﺎ ﻟَﻪُ ﺃَﻫْﻠَﻪُ ﻭَﻣِﺜْﻠَﻬُﻢ
ﻣَّﻌَﻬُﻢْ ﺭَﺣْﻤَﺔً ﻣِّﻨَّﺎ ﻭَﺫِﻛْﺮَﻯ
ﻟِﺄُﻭْﻟِﻲ ﺍﻟْﺄَﻟْﺒَﺎﺏِ
(43
আমি তাকে দিলাম তার
পরিজনবর্গ ও তাদের মত
আরও অনেক আমার পক্ষ
থেকে রহমতস্বরূপ
এবং বুদ্ধিমানদের
জন্যে উপদেশস্বরূপ।
And We gave him
(back) his family, and
along with them the
like thereof, as a
Mercy from Us, and a
Reminder for those
who understand.
ﻭَﺧُﺬْ ﺑِﻴَﺪِﻙَ ﺿِﻐْﺜًﺎ ﻓَﺎﺿْﺮِﺏ
ﺑِّﻪِ ﻭَﻟَﺎ ﺗَﺤْﻨَﺚْ ﺇِﻧَّﺎ ﻭَﺟَﺪْﻧَﺎﻩُ
ﺻَﺎﺑِﺮًﺍ ﻧِﻌْﻢَ ﺍﻟْﻌَﺒْﺪُ ﺇِﻧَّﻪُ ﺃَﻭَّﺍﺏٌ
(44
তুমি তোমার হাতে এক
মুঠো তৃণশলা নাও,
তদ্বারা আঘাত কর এবং শপথ
ভঙ্গ করো না।
আমি তাকে পেলাম সবরকারী।
চমৎকার বান্দা সে। নিশ্চয়
সে ছিল প্রত্যাবর্তনশীল।
”And take in your
hand a bundle of thin
grass and strike
therewith (your wife)
, and break not your
oath . Truly! We
found him patient.
How excellent (a)
slave! Verily, he was
ever oft-returning in
repentance (to Us)!
ﻭَﺍﺫْﻛُﺮْ ﻋِﺒَﺎﺩَﻧَﺎ ﺇﺑْﺮَﺍﻫِﻴﻢَ
ﻭَﺇِﺳْﺤَﻖَ ﻭَﻳَﻌْﻘُﻮﺏَ ﺃُﻭْﻟِﻲ
ﺍﻟْﺄَﻳْﺪِﻱ ﻭَﺍﻟْﺄَﺑْﺼَﺎﺭِ
(45
স্মরণ করুন, হাত ও চোখের
অধিকারী আমার
বান্দা ইব্রাহীম, ইসহাক ও
ইয়াকুবের কথা।
And remember Our
slaves, Ibrâhim
(Abraham), Ishâque
(Isaac), and Ya’qûb
(Jacob), (all) owners
of strength (in
worshipping Us) and
(also) of religious
understanding.
ﺇِﻧَّﺎ ﺃَﺧْﻠَﺼْﻨَﺎﻫُﻢ ﺑِﺨَﺎﻟِﺼَﺔٍ
ﺫِﻛْﺮَﻯ ﺍﻟﺪَّﺍﺭِ
(46
আমি তাদের এক বিশেষ গুণ
তথা পরকালের স্মরণ
দ্বারা স্বাতন্ত্র্য দান
করেছিলাম।
Verily, We did choose
them by granting
them (a good thing,
i.e.) the
remembrance of the
home [in the
Hereafter and they
used to make the
people remember it,
and also they used to
invite the people to
obey Allâh and to do
good deeds for the
Hereafter].
ﻭَﺇِﻧَّﻬُﻢْ ﻋِﻨﺪَﻧَﺎ ﻟَﻤِﻦَ
ﺍﻟْﻤُﺼْﻄَﻔَﻴْﻦَ ﺍﻟْﺄَﺧْﻴَﺎﺭِ
(47
আর তারা আমার
কাছে মনোনীত ও সৎলোকদের
অন্তর্ভুক্ত।
And they are with Us,
verily, of the chosen
and the best!
ﻭَﺍﺫْﻛُﺮْ ﺇِﺳْﻤَﺎﻋِﻴﻞَ ﻭَﺍﻟْﻴَﺴَﻊَ
ﻭَﺫَﺍ ﺍﻟْﻜِﻔْﻞِ ﻭَﻛُﻞٌّ ﻣِّﻦْ
ﺍﻟْﺄَﺧْﻴَﺎﺭِ
(48
স্মরণ করুণ, ইসমাঈল, আল
ইয়াসা ও যুলকিফলের কথা।
তারা প্রত্যেকেই গুনীজন।
And remember
Ismâ’il (Ishmael), Al­
Yasa’â (Elisha), and
Dhul-Kifl (Isaiah), all
are among the best.
ﻫَﺬَﺍ ﺫِﻛْﺮٌ ﻭَﺇِﻥَّ ﻟِﻠْﻤُﺘَّﻘِﻴﻦَ
ﻟَﺤُﺴْﻦَ ﻣَﺂﺏٍ
(49
এ এক মহৎ আলোচনা।
খোদাভীরুদের
জন্যে রয়েছে উত্তম ঠিকানা-
This is a Reminder,
and verily, for the
Muttaqûn (pious and
righteous persons -
see V.2:2) is a good
final return (Paradise)
, -,
ﺟَﻨَّﺎﺕِ ﻋَﺪْﻥٍ ﻣُّﻔَﺘَّﺤَﺔً ﻟَّﻬُﻢُ
ﺍﻟْﺄَﺑْﻮَﺍﺏُ
(50
তথা স্থায়ী বসবাসের জান্নাত;
তাদের জন্যে তার দ্বার
উম্মুক্ত রয়েছে।
’Adn (Edn) Paradise
(everlasting Gardens),
whose doors will be
open for them, [It is
said (in Tafsir At-
Tabarî, Part 23, Page
174) that one can
speak to the doors,
just one tells it to
open and close, and
it will open or close
as it is ordered].
ﻣُﺘَّﻜِﺌِﻴﻦَ ﻓِﻴﻬَﺎ ﻳَﺪْﻋُﻮﻥَ ﻓِﻴﻬَﺎ
ﺑِﻔَﺎﻛِﻬَﺔٍ ﻛَﺜِﻴﺮَﺓٍ ﻭَﺷَﺮَﺍﺏٍ
(51
সেখানে তারা হেলান দিয়ে বসবে।
তারা সেখানে চাইবে অনেক ফল-
মূল ও পানীয়।
Therein they will
recline; therein they
will call for fruits in
abundance and
drinks;
ﻭَﻋِﻨﺪَﻫُﻢْ ﻗَﺎﺻِﺮَﺍﺕُ ﺍﻟﻄَّﺮْﻑِ
ﺃَﺗْﺮَﺍﺏٌ
(52
তাদের কাছে থাকবে আনতনয়না
সমবয়স্কা রমণীগণ।
And beside them will
be chaste females
(virgins) restraining
their glances only for
their husbands, (and)
of equal ages.
ﻫَﺬَﺍ ﻣَﺎ ﺗُﻮﻋَﺪُﻭﻥَ ﻟِﻴَﻮْﻡِ
ﺍﻟْﺤِﺴَﺎﺏِ
(53
তোমাদেরকে এরই
প্রতিশ্রুতি দেয়া হচ্ছে বিচার
দিবসের জন্যে।
This it is what you
(Al-Muttaqûn - the
pious) are promised
for the Day of
Reckoning!
ﺇِﻥَّ ﻫَﺬَﺍ ﻟَﺮِﺯْﻗُﻨَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻪُ ﻣِﻦ
ﻧَّﻔَﺎﺩٍ
(54
এটা আমার দেয়া রিযিক যা শেষ
হবে না।
(It will be said to
them)! Verily, this is
Our Provision which
will never finish;
ﻫَﺬَﺍ ﻭَﺇِﻥَّ ﻟِﻠﻄَّﺎﻏِﻴﻦَ ﻟَﺸَﺮَّ
ﻣَﺂﺏٍ
(55
এটাতো শুনলে, এখন দুষ্টদের
জন্যে রয়েছে নিকৃষ্ট ঠিকানা
This is so! And for the
Tâghûn
(transgressors,
disobedient to Allâh
and His Messenger -
disbelievers in the
Oneness of Allâh,
criminals, etc.), will
be an evil final return
(Fire),
ﺟَﻬَﻨَّﻢَ ﻳَﺼْﻠَﻮْﻧَﻬَﺎ ﻓَﺒِﺌْﺲَ
ﺍﻟْﻤِﻬَﺎﺩُ
(56
তথা জাহান্নাম।
তারা সেখানে প্রবেশ করবে।
অতএব, কত নিকৃষ্ট সেই
আবাস স্থল।
Hell! Where they will
burn, and worst
(indeed) is that place
to rest!
ﻫَﺬَﺍ ﻓَﻠْﻴَﺬُﻭﻗُﻮﻩُ ﺣَﻤِﻴﻢٌ
ﻭَﻏَﺴَّﺎﻕٌ
(57
এটা উত্তপ্ত পানি ও পঁূজ;
অতএব তারা একে আস্বাদন
করুক।
This is so! Then let
them taste it, a
boiling fluid and dirty
wound discharges.
ﻭَﺁﺧَﺮُ ﻣِﻦ ﺷَﻜْﻠِﻪِ ﺃَﺯْﻭَﺍﺝٌ
(58
এ ধরনের আরও কিছু
শাস্তি আছে।
And other torments
of similar kind, all
together!
ﻫَﺬَﺍ ﻓَﻮْﺝٌ ﻣُّﻘْﺘَﺤِﻢٌ ﻣَّﻌَﻜُﻢْ ﻟَﺎ
ﻣَﺮْﺣَﺒًﺎ ﺑِﻬِﻢْ ﺇِﻧَّﻬُﻢْ ﺻَﺎﻟُﻮﺍ
ﺍﻟﻨَّﺎﺭِ
(59
এই তো একদল তোমাদের
সাথে প্রবেশ করছে। তাদের
জন্যে অভিনন্দন নেই
তারা তো জাহান্নামে প্রবেশ
করবে।
This is a troop
entering with you (in
Hell), no welcome for
them! Verily, they
shall burn in the Fire!
ﻗَﺎﻟُﻮﺍ ﺑَﻞْ ﺃَﻧﺘُﻢْ ﻟَﺎ ﻣَﺮْﺣَﺒًﺎ
ﺑِﻜُﻢْ ﺃَﻧﺘُﻢْ ﻗَﺪَّﻣْﺘُﻤُﻮﻩُ ﻟَﻨَﺎ
ﻓَﺒِﺌْﺲَ ﺍﻟْﻘَﺮَﺍﺭُ
(60
তারা বলবে, তোমাদের জন্যে ও
তো অভিনন্দন নেই। তোমরাই
আমাদেরকে এ বিপদের সম্মুখীন
করেছ। অতএব, এটি কতই
না ঘৃণ্য আবাসস্থল।
(The followers of the
misleaders will say):
”Nay, you (too)! No
welcome for you! It
is you (misleaders)
who brought this
upon us (because you
misled us in the
world), so evil is this
place to stay in!”
Read more 61-88|

কোন মন্তব্য নেই :