গর্ভবতী মেয়েদেরকে নরমাল ডেলিভারী করানো হয় যেভাবে,ছবিসহ ।

১৫টি মন্তব্য
ব্লগে প্রকাশিত ছবি গুলি দেখলেই আপনারা বুঝতে পারবে কিভাবে নরমাল ডেলিভারী করানো হয় ।
ছবি ১


ছবি ২


ছবি ৩

ছবি ৪ ।


উপরে প্রকাশিত ছবি গুলি দেখে
আপনারা বুঝতে পেরেছেন নিশ্চয় ।

বিঃদ্রঃ এই ছবি গুলি ভিভিন্ন মেডিকেল থেকে সংগ্রহ করা ।

এবিষয়ে আপনার মতামত ব্লগারকে জানান ।



শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের কে জানার সুযোগ দিন ।আপনি জেনেছেন হয়তো সে জানেনা ।আমার ব্লগ বাড়ীতে বেড়াতে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।সাথে থাকুন সব সময় ।আল্লাহ্ হাফেজ ।

ইসলাম সম্পর্কে অমুসলিমদের ২০টি বিভ্রান্তিকর প্রশ্নের জবাব পর্ব-১

কোন মন্তব্য নেই
১.বহু-বিবাহ
প্রশ্নঃ ইসলাম একজন পুরুষকে একাধিক
স্ত্রী রাখার অনুমতি দেয় কেন?
অথবা ইসলামে বহু-বিবাহ অনুমোদিত
কেন?
জবাব
ক. বহু-বিবাহের সংজ্ঞা
‘বহু-বিবাহ’ মানে এমন একটি বিবাহ
পদ্ধতি যেখানে এক ব্যক্তির একাধিক
স্ত্রী থাকে। বহু-বিবাহ দুই ধরনের-
একজন পুরুষ একাধিক নারীকে বিবাহ
করে। আর একটি বহু স্বামী বরণ।
অর্থাৎ একজন স্ত্রীলোক একাধিক
পুরুষ বিবাহ করে। ইসলামে পুরুষের জন্য
সীমিত সংখ্যক ‘বহু-বিবাহ’ অনুমোদিত।
অপর দিকে নারীর জন্য একাধিক পুরুষ
বিবাহ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ‘হারাম’।
এবার মূল প্রশ্নে আসা যাক। কেন
একজন পুরুষ একাধিক স্ত্রী রাখার
অনুমতি পায়?
খ. পৃথিবীতে কুরআ’নই একমাত্র ধর্ম-
গ্রন্থ, যে বলে “বিবাহ করো মাত্র
একজনকে”
ভূ-পৃষ্টের ওপরে কুরআনই একমাত্র
ধর্ম-গ্রন্থ যা এই বাক্যাংশ ধারণ
করে আছে-“বিবাহ করো মাত্র
একজনকে” আর কোনো ধর্ম-গ্রন্থ
নেই, যা পুরুষকে নির্দেশ একজন
স্ত্রীতে সন্তুষ্ট থাকতে। অন্য
কোনো ধর্ম-গ্রন্থ -হোক তা বেদ,
রামায়ন, মহাভারত, গীতা,
অন্যদিকে তালমুদ অথবা বাইবেল। এ
সবের মধ্যে স্ত্রীদের সংখ্যার ওপর
কোনো বিধিনিষেধ বের
করতে পারবে কি কেউ? বরং এসব
ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী একজন পুরুষ বিবাহ
করতে পারে যতজন তার ইচ্ছা।
এটা অনেক পরের কথা যে, হিন্দু ধর্ম
গুরু এবং খ্রীস্টান চার্চ স্ত্রীর
সংখ্যা ‘এক’ এ নিয়ন্ত্রিত করে দিয়েছে।
অসংখ্য ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব তাদের
ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী একাধিক
স্ত্রী রেখেছে। যেমন রামের
পিতা রাজা দশরথ। ভগবান শ্রী কৃষ্ণের
তো অনেক স্ত্রী ছিল!
বাইবেল যেহেতু স্ত্রীদের সংখ্যার ওপর
কোনো বিধিনিষেধই নেই। সেহেতু আগের
কালের খ্রীস্টান পুরুষরা যে-ক’জন
খুশি স্ত্রী রাখতে পারত। মাত্র কয়েক
শতাব্দী আগে তাহাদের চার্চ্চ স্ত্রীর
সংখ্যা ‘এক’ এর মধ্যে সীমাবদ্ধ
করে দিয়েছে। ইহুদীবাদে বহু বিবাহ
অনুমোদিত। তাদের তালমুদিয় বিধান
অনুযায়ী আব্রাহামের [ইব্রাহীম (আ)]
তিনজন স্ত্রী ছিল এবং সলোমনের
[সুলাইমান (আ)]-এর ছিল শতাধিক
স্ত্রী। বহু-বিবাহের এই
প্রথা চলে আসছিল তাদের “রাব্বাঈ”
জারসম বিন ইয়াহুদাহ্ পর্যন্ত। (৯৬০
সি.ই থেকে ১০৩০ সি.ই) তিনিই এর
বিরুদ্ধে একটি অনুশাসন জারি করেন।
ইহুদীদের ‘সেফারডিক’ সমাজ
যারা প্রধানত মুসলমানদের
দেশগুলোতে বসবাস করে তারা এই
প্রথাকে নিকট অতীতের ১৯৫০ সাল
পর্যন্ত ধরে রাখে। অতঃপর ইসরাঈলের
প্রধান রাব্বাঈ একাধিক স্ত্রী রাখার
ওপর বিধিনিষেধ জারি করে দেয়।
একটি লক্ষণীয় বিষয়ঃ ১৯৭৫ সালের
আদম-শুমারী অনুযায়ী ভারতীয়
হিন্দুরা বহু বিবাহের
ক্ষেত্রে মুসলমানদের চাইতে অগ্রগামী।
কমিটি অফ দি স্টাটাস অফ ওমেন ইন
ইসলাম (ইসলামে নারীর মর্যাদা কমিটি)
নামে এ বইটি প্রকাশিত হয়েছে ১৯৭৫
সালে। বইয়ের ৬৬ ও ৬৭ পৃষ্ঠায়
উল্লেখ করা হয়েছে যে, ১৯৫১
থেকে ১৯৬১ পর্যন্ত
একটি পরিসংখ্যানে দেখা যায়, একাধিক
স্ত্রী গ্রহণ-সংক্রান্ত বিবাহ, হিন্দুদের
মধ্যে শতকরা পাঁচ দশমিক শূন্য ছয়
(৫.০৬%) আর মুসলমানদের
মধ্যে চার দশমিক তিন এক (৪.৩১%)
। ভারতীয় আইন অনুযায়ী একাধিক
স্ত্রী গ্রহণের অনুমোদন শুধুমাত্র
মুসলমানদের জন্য নির্ধারিত।
ভারতে যেকোনো অমুসলিমের জন্য
একাধিক স্ত্রী রাখা অবৈধ। এটা অবৈধ
হওয়া সত্ত্বেও মুসলমানদের তুলনায়
হিন্দুরাই একাধিক স্ত্রী বেশি রাখছে।
এর আগে তো কোনো বিধিনিষেধই
ছিলনা। এমনকি হিন্দু পুরুষদের
ক্ষেত্রেও একাধিক
স্ত্রী রাখা অনুমোদিত ছিল। এই
তো সেদিন ১৯৫৮ সালে হিন্দু বিবাহ-
বিধি অনুমোদিত হলো এভাবে যে, একজন
হিন্দুর জন্য একাধিক
স্ত্রী রাখা অবৈধ।
বর্তমানে এটা একটা ভারতীয় রাষ্ট্রীয়
আইন। যা নিয়ন্ত্রিত করেছে একজন
হিন্দু পুরুষকে একাধিক স্ত্রী রাখতে-
“হিন্দু ধর্ম-গ্রন্থ” নয়।
আসুন এবার দেখা যাক ইসলাম কেন
একজন পুরুষকে একাধিক স্ত্রী রাখার
অনুমতি দেয়।
গ. কুরআন একাধিক বিবাহের
নিয়ন্ত্রিত রূপকে অনুমতি দেয়
আমি আগে যেমন বলে এসেছি ভূ-পৃষ্ঠের
ওপরে কুরআনই একমাত্র ধর্মীয় গ্রন্থ
যা বলে ‘বিবাহ করো মাত্র একজনকে’।
কথাটি জ্যোতির্ময় কুরআনের
সূরা নিসার নিম্নদ্ধৃত আয়াতের অংশ।
(আরবী)------------------------
বিবাহ করো তোমাদের পছন্দের নারী-
দু’জন অথবা তিনজন অথবা চারজন
কিন্তু যদি আশঙ্কা করো যে,
তোমরা (তাদের সাথে) ভারসাম্যপূর্ণ
আচরণ করতে না-ও পারতে পারো-
তাহলে মাত্র একজন। (৪:৩)
কুরআন অবতীর্ণ হওয়ার পূর্বে বহু-
বিবাহের কোনো মাত্রা নির্ধারিত ছিল
না এবং ক্ষমতাবান প্রায়
প্রতিটি মানুষ এতে অভ্যস্ত ছিল। কেউ
কেউ তো শ’ এর মাত্রা ছাড়ালে ক্ষান্ত
হতো না। কুরআন সর্বোচ্চ চার জনের
একটা মাত্রা নির্ধারণ করে দিল।
ইসলাম একজন পুরুষকে দুজন, তিনজন
অথবা চারজনের
যে অনুমতি দিয়েছে তা কঠিন শর্তের
মধ্যে আবদ্ধ যে, কেবলমাত্র তখনই
তা সম্ভব যখন তাদের
মধ্যে ভারসাম্যপূর্ণ সুবিচারমূলক
আচরণ করতে পারবে।
একই সূরার ১২৯ নম্বর
আয়াতে বলা হয়েছে
(আরবী)---------------------
তুমি কষ্মিকালেও
পেরে উঠবে না স্ত্রীদের
মধ্যে ভারসাম্যপূর্ণ সঙ্গত আচরণ
বজায় রাখতে। (৪:১২৯)
কাজেই ইসলামে বহু-বিবাহ কোনো বিধান
নয় বরং ব্যতিক্রম। বহু মানুষ এই ভুল
ধারণায় নিমজ্জিত যে, একজন মুসলিম
পুরুষের জন্য একাধিক
স্ত্রী রাখা বাধ্যতামূলক।
করা এবং না করার ক্ষেত্রে ইসলামের
পাঁচটি শ্রেণী-বিন্যাস করা আছে।
১. ফরজ-অবশ্য করণীয়
বা বাধ্যতামূলক।
২. মুস্তাহাব-অনুমোদিত
অথবা উৎসাহিত।
৩. মুবাহ-অনুমোদন যোগ্য বা গ্রহণ
যোগ্য।
৪. মাকরুহ- অনুমোদিত নয়
বা নিরুৎসাহিত।
৫. হারাম- বে-আইনী বা নিষিদ্ধ।
এর মধ্যে বহু-বিবাহ মধ্যম
শ্রেণীতে পড়ে। অর্থাৎ অনুমোদন যোগ্য
এবং কোনো ভাবে এমন
কথা বলা যাবে না যে, একজন মুসলিম,
যার দুজন, তিনজন অথবা চারজন
স্ত্রী আছে, সে তার তুলনায়
ভালো মুসলিম যার স্ত্রী মাত্র একজন।
ঘ. গড় আয়ুস্কাল পুরুষের তুলনায় নারীর
বেশি
প্রাকৃতিকভাবে নারী ও পুরুষের জন্মহার
প্রায় সমান। একটি নারী শিশুর রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা পুরুষ শিশুর
চাইতে বেশী। একটি নারী শিশু রোগ-
জীবানু ও রোগ-ব্যাধির বিরুদ্ধে পুরুষ
শিশুর চাইতে লড়াই করতে পারে। এ
কারণে শিশুকালে নারীর তুলনায় পুরুষের
মুত্যু হার বেশি।
যে কোনো যুদ্ধের সময় নারীর তুলনায়
পুরুষ বেশি মারা যায়। সাধারণ
দুর্ঘটনা ও রোগ-ব্যাধিতে নারীর
তুলনায় পুরুষ বেশি মারা যায়। গড়
আয়ুষ্কাল পুরুষের চাইতে নারীর বেশি।
মহাকালে যে কোনো যুগে খুঁজে দেখলে দেখা যাবে-
বিপত্নীকের চাইতে বিধবার পরিমাণ
অনেক বেশি।
ঙ. ভারতে পুরুষের জন্ম-সংখ্যা নারীর
তুলনায় বেশি। এর কারণ নারী শিশুর
ভ্রুণ-হত্যা ও নারী শিশু হত্যা।
প্রতিবেশি কয়েকটি দেশের
মধ্যে তুলনামুলক ভাবে ভারতীয় পুরুষ-
জনসংখ্যা নারী-জন সংখ্যার
চাইতে বেশি। এর নেপথ্য কারণ,
নারী শিশু হত্যার উচ্চ হার। প্রতি বছর
নুন্যতম দশলাখ ‘নারী-ভ্রূনের’
গর্ভপাত ঘটানো হয় এই দেশে যখনই
মায়ের গর্ভে তাকে নারী হিসাবে সনাক্ত
করা যায়। যদি এই অভিষপ্ত
চর্চ্চা বন্ধ করা যায় তাহলে ভারতেও
পুরুষের তুলনায় নারীর
সংখ্যা বেশি হয়ে যাবে।
চ. বিশ্বব্যাপী নারী জনসংখ্যা পুরুষের
চাইতে অধিক
আমেরিকায় পুরুষের চাইতে সত্তুর লক্ষ
আশি হাজার নারী বেশি। শুধু
নিউইয়র্কে পুরুষের চেয়ে দশলাখ নারী।
উপরন্তু নিউইয়র্কের এক তৃতীয়াংশ
পুরুষ সমকামী। অর্থাৎ এই
লোকেরা কোনা নারী-সঙ্গ বা বিবাহ
করতে আদৌ আগ্রহী নয়।
ইংল্যান্ডে পুরুষ জনসংখ্যার সমসংখ্যক
নারী বাদ দিলে চল্লিশ লক্ষ অতিরিক্ত
নারী। একই ভাবে জার্মানীতে পঞ্চাশ
লাখ অতিরিক্ত নারী। রাশিয়ায় নব্বুই
লাখ। এরপর শুধু আল্লাহই বলতে পারেন
গোটা পৃথিবীতে একজন পুরুষের
বিপরীতে একজন নারী ধরে নিলে তারপর
কত নারী অতিরিক্ত থেকে যাবে।
ছ. প্রতিটি পুরুষের জন্য মাত্র একজন
স্ত্রী এই নিয়ন্ত্রণ
বাস্তবতা বিবর্জিত
আমেরিকার প্রতিটি পুরুষ যদি একজন
করে নারীকে বিবাহ করে তারপরেও তিন
কোটির বেশি নারী থেকে যাবে এমন,
যারা তার জন্য কোনো স্বামী পাবে না।
উপরন্তু মনে রাখতে হবে,
সারা আমেরিকায় সমকামী পুরুষের
সংখ্যা দুই কোটি পঞ্চাশ লাখের বেশী।
এভাবে চল্লিশ লাখের
বেশি নারী ইংল্যান্ডে। পঞ্চাশ লাখের
বেশি জার্মানিতে এবং প্রায় এক
কোটি নারী রাশিয়ায়-
যারা কোনো স্বামী পাবে না।
ধরা যাক, আমার বোন
আমেরিকা নিবাসী একজন
অবিবাহিতা মহিলা অথবা আপনার বোন
আমেরিকায় বসবাসকারী একজন
অবিবাহিতা নারী। সেখানে তার জন্য
দুটি বিকল্প পথ খোলা আছে- হয়
সে এমন একজন পুরুষকে বিবাহ
করবে যার একজন
স্ত্রী আছে অথবা তাকে হতে হবে “জনগণের
সম্পত্তি”-অন্য কিছুই হওয়া সম্ভব
নয়।
তাহলে যারা রুচিশীলা তারা প্রথমটাই
বেছে নেবে।
অধিকাংশ নারী অন্য নারীর সাথে তার
স্বামীকে ভাগাভাগি করতে রাজি হবে না।
কিন্তু ইসলামে পরিস্থিতি বিবেচনায় তা-
ই অপরিহার্য হয়ে ওঠে-“মুসলিম
নারী তার যথার্থ ঈমানের কারণে এই
সামান্য ক্ষতির বিনিময়ে অনেক বড়
ক্ষতি ঠেকাতে তার আর এক মুসলিম
বোনকে জনগণের সম্পত্তি হওয়ার হাত
থেকে রক্ষা করতে পারেন”।
জ. জনগনের সম্পত্তি হওয়ার
চাইতে একজন বিবাহিতা পুরুষ
বিয়ে করা শ্রেয়
পশ্চিমা সমাজের একজন পুরুষের ‘মেয়ে-
বন্ধু’ খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার।
অথবা একাধিক বিবাহ বহির্ভূত
সম্পর্ক। এক্ষেত্রে নারীরা যাপন
করে মর্যাদাহীন এক অনিশ্চিত-
অরক্ষিত জীবন। অথচ সেই একই সমাজ
একজন পুরুষের জন্য একাধিক
স্ত্রী গ্রহণ করতে রাজি নয়।
যেখানে নারী হতে পারতো একজন
সম্মানিতা, মর্যাদাময় অবস্থানের
অধিকারিণী এবং যাপন
করতো নিরাপত্তাপূর্ণ নিরাপদ জীবন।
যেখানে নারীর সামনে দুটি পথ খোলা।
যে স্বাভাবিকভাবে কোনো স্বামী পাবেনা তাকে হয়
একজন বিবাহিত পুরুষকেই
বিয়ে করতে হবে নতুবা হতে হবে জনগনের
সম্পত্তি। ইসলাম পছন্দ
করে নারীকে সম্মানজনক অবস্থান
দিতে, প্রথম পথের অনুমোদন
দিয়ে এবং ঘৃণার সাথে প্রত্যাখ্যান
করে দ্বিতীয়টিকে।
আরো কিছু রয়েছে যে সবের জন্য ইসলাম
নিয়ন্ত্রিত বহু-বিবাহ অনুমোদন করে।
কিন্তু প্রধানত নারীর সম্মান-
মর্যাদা ও সম্ভ্রম সুরক্ষাই লক্ষ্য।


শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের কে জানার সুযোগ দিন ।আপনি জেনেছেন হয়তো সে জানেনা ।আমার ব্লগ বাড়ীতে বেড়াতে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।সাথে থাকুন সব সময় ।আল্লাহ্ হাফেজ ।

কোন মন্তব্য নেই :

ইসলাম সম্পর্কে অমুসলিমদের ২০টি বিভ্রান্তিকর প্রশ্নের জবাব পর্ব ২

কোন মন্তব্য নেই
২.একাধিক স্বামী
প্রশ্নঃ একজন পুরুষ যদি একাধিক
স্ত্রী রাখার অনুমতি পায়,
তাহলে ইসলাম একজন নারীকে কেন
একাধিক স্বামী রাখতে নিষেধ করে?
জবাব
অসংখ্য মানুষ যার মধ্যে অনেক
মুসলমানও রয়েছে, প্রশ্ন করেন-মুসলিম
পুরুষ একাধিক স্ত্রী রাখার
অনুমতি পাচ্ছে অথচ নারীর
ক্ষেত্রে সে অধিকার অস্বীকার
করা হচ্ছে, এর যৌক্তিকতা কি?
অত্যন্ত
পরিষ্কারভাবে যে কথাটি প্রথমেই
আমাকে বলে নিতে হবে,
তা হলো ভারসাম্যপূর্ণ ন্যায় বিচার ও
সমতার ভিত্তির ওপরেই
একটি ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠিত। মানুষ
হিসেবে আল্লাহ তা’আলা নারী ও
পুরুষকে সমান মান দিয়েই
সৃষ্টি করেছেন। কিন্তু
সাথে সাথে সামর্থ ও যোগ্যতার
ভিন্নতা এবং সে অনুযায়ী দায়িত্ব
কর্তব্যের বিভিন্নতা দিয়ে। শারিরীক
ও মানসিক ভাবে নারী ও পুরুষ সম্পূর্ন
ভিন্ন। জীবনের ক্ষেত্রে তাদের
ভূমিকা এবং দায়িত্ব-কর্তব্যও
বিভিন্ন। ইসলামে নারী ও পুরুষ সমান
কিন্তু একই রকম নয়।
সূরায়ে নিসার ২২ থেকে ২৪
আয়াতে একটি তালিকা দেয়া হয়েছে যে,
মুসলিম পুরুষ কোন কোন নারীকে বিবাহ
করতে পারবে না। এর পরে ২৪
আয়াতে আলাদা করে বলা হয়েছে সেই সব
নারীও (নিষিদ্ধ) যারা অন্যের বিবাহ
বন্ধনে আবদ্ধ আছে- অর্থাৎ অন্যের
বউ।
ইসলামে নারীর জন্য বহু-স্বামী গ্রহণ
নিষিদ্ধ কেন, নিম্নোদ্ধৃত
বিষয়গুলো তা পরিষ্কার করে দেবে।
ক. একজন পুরুষের একধিক
স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও তার
পরিবারে জন্মগ্রহণকারী শিশুদের মাতা-
পিতার পরিচয় খুব সহজেই পাওয়া যায়।
শিশুর পিতা কে আর মাতা কে।
অপরদিকে একজন নারী যদি একাধিক
স্বামী গ্রহণ করে তবে এ পরিবার জন্ম
নেয়া শিশুর শুধু মায়ের পরিচয়
পাওয়া যাবে-বাবার নয়। পিতা ও মাতার
সুস্পষ্ট পরিচয়ের ক্ষেত্রে ইসলাম
আপোসহীন। আধুনিক
মনোবিজ্ঞানিরা বলেন, যে শিশু তার
মাতা-পিতার পরিচয় জানে না, বিশেষ
করে পিতার- সে শিশু তীব্র মানসিক
জটিলতা ও হীনমন্যতায় ভোগে। এ
শিশুদের শৈশব নিকৃষ্টতর
এবং আনন্দহীন ।
দেহপসারিণী বা বেশ্যাদের সন্তানরা এর
জলন্ত প্রমাণ। এদের শিশুকাল ও
কৈশোর মর্মান্তিক। বহু
স্বামী গ্রহণকারী পরিবারে জন্ম
পাওয়া শিশুকে নিয়ে কোনো স্কুলে ভর্তী করতে গেলে যদি মাকে প্রশ্ন
করা হয় শিশুর পিতার নাম?
তা হলে সে মাকে দু’জন অথবা তার
বেশি পুরুষের নাম বলতে হবে।
বিজ্ঞানের অগ্রগতি এখন জেনেটিক
পরীক্ষার মাধ্যমে মাতা ও
পিতা উভয়কে সনাক্ত করার কৌশল
আবিষ্কার করেছে। কাজেই
যে বিষয়টা অতীতে অসম্ভব ছিল
বর্তমানে তা খুব সহজেই হতে পারে।
খ. প্রকৃতি প্রদত্ত যোগ্যতা ও
বৈশিষ্ট, বহুগামীতায় নারীর
চাইতে পুরুষের বেশি।
গ.শারীরিক যোগ্যতায় একজন পুরুষের
পক্ষে কয়েকজন স্ত্রীর স্বামীর
দায়িত্ব ও ভূমিকা পালন সহজ। একজন
নারী সেই একই অবস্থানে, অর্থাৎ যার
কয়েকজন স্বামী আছে, তাদের
স্ত্রী হিসেবে যে দায়িত্ব ও কর্তব্য
তার ওপর বর্তায় তা পালন করা তার
পক্ষে আদৌ সম্ভব নয়। কেননা মাসিক
ঋতুচক্রের বিভিন্ন পর্যায়ে মানসিক ও
আচরণগত বিভিন্ন পরিবর্তনের
মধ্যে তাকে পড়তে হয়।
ঘ. একজন নারী যার একাধিক
স্বামী থাকবে-তাকে তো একই
সাথে কয়েকজনের যৌন-
সঙ্গী হতে হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সমূহ
সম্ভাবনা থাকবে যৌন রোগের
এবং যৌনতার
মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া অন্যান্য মারাত্মক
ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে পড়ার।
উপরন্তু তার মাধ্যমেই সে সব
রোগে তার স্বামীর আক্রান্ত হবে।
এমনকি যদি তার স্বামীদের কারো অন্য
কোনো নারীর সাথে বিবাহ বহির্র্ভূত
যৌন সম্পর্ক নাও থাকে।
পক্ষান্তরে একজন পুরুষ- যার একাধিক
স্ত্রী রয়েছে, স্ত্রীদের
কারো যদি বিবাহ বহির্ভূত অন্য
কারো সাথে যৌন সম্পর্ক
না থাকে তাহলে যৌনতা সংক্রান্ত
কোনো রোগে আক্রান্ত হবার
আদৌ কোনো সম্ভাবনা নেই।
উপরোল্লেখিত কারণগুলো এমন
যা যে কারো পক্ষে চেনা এবং বুঝে নেয়া সম্ভব।
এছাড়া হয়তো আরো অসংখ্য কারণ
থাকতে পারে যে কারণে অন্তহীন
জ্ঞানের আধার
সৃষ্টিকর্তা বিধাতা প্রতিপালক আল্লাহ
তা‘আলা নারীদের জন্য বহু স্বামী বরণ
নিষিদ্ধ করেছেন।



শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের কে জানার সুযোগ দিন ।আপনি জেনেছেন হয়তো সে জানেনা ।আমার ব্লগ বাড়ীতে বেড়াতে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।সাথে থাকুন সব সময় ।আল্লাহ্ হাফেজ ।

কোন মন্তব্য নেই :

ইসলাম সম্পর্কে অমুসলিমদের ২০টি বিভ্রান্তিকর প্রশ্নের জবাব পর্ব ৩

কোন মন্তব্য নেই
৩.‘হিজাব’ বা নারীর পর্দা
প্রশ্নঃ ইসলাম পর্দার
আড়ালে রেখে নারীদেরকে কেন
অবমূল্যায়ন করেছে?
জবাব
ইসলামে নারীর মর্যাদা’- ধর্মহীন
প্রচার মাধ্যমগুলোর
উপর্যপুরি আক্রমণের লক্ষ্যস্থল-
‘হিজাব’ বা ইসলামী পোশাক।
ইসলামী বিধি বিধানে নারী নিগ্রহের
সবচাইতে বড় প্রমাণ হিসেবে যা কথায়
কথায় দেখানো হয়। ধর্মীয়ভাবে নারীর
জন্য রক্ষণশীল পোশাক বা পর্দা ফরয
করার নেপথ্য কারণগুলো আলোচনার
পূর্বে ইসলাম আগমনের
পূর্বে বিশ্বসমাজে সামগ্রীকভাবে নারীর
অবস্থা ও অবস্থান কি ছিল
তা নিয়ে কিঞ্চিৎ
পর্যালোচনা প্রয়োজন।
ক. ইসলাম-পূর্ব কালে নারীর-
মর্যাদা বলতে কোনো ধারণার অস্তিত্ব
ছিলনা। তারা ব্যবহৃত হতো ভোগ্য
সামগ্রী হিসেবে।
নিম্নে বর্ণিত বিষয়গুলো সর্বজনমান্য
বিশ্ব-ইতিহাস থেকে তুলে আনা হয়েছে।
সমুদয় মিলে যে চিত্র আমাদের চোখের
সামনে উঠে আসবে তাতে আমরা সুস্পষ্ট
দেখতে পাবো ইসলাম-পূর্ব
সভ্যতাগুলোতে নারীর ‘মর্যাদা’
বলতে কিছুই ছিলনা। হীন নীচ
এমনকি নুন্যতম ‘মানুষ’ হিসেবেও
তারা গণ্য ছিল না।
১. ব্যাবিলনীয় সভ্যতাঃ ব্যাবিলনীয়
আইনে নারীর কোনো ধরণের
কোনো অধিকার স্বীকৃত ছিলনা। মূল্য-
মর্যাদা কি ছিল
একটি উদাহরণে তা স্পষ্ট করে দেবে।
কোনো পুরুষ
যদি ঘটনাক্রমে কোনো নারীকে হত্যা করে তাহলে তাকে শাস্তি দেবার
পরিবর্তে তার স্ত্রীকে মৃত্যুদন্ড
দেয়া হতো।
২. গ্রীক সভ্যতাঃ গ্রীক
সভ্যতাকে পূর্বকালের সকল সভ্যতার
শ্রেষ্ঠতম ও উজ্জ্বলতম গণ্য
করা হয়। তথাকথিত এই উজ্জ্বলতম
সভ্যতায় নারী ছিল সব রকম অধিকার
থেকে বঞ্চিত। উপরন্তু অস্তিত্বগত
ভাবে অত্যন্ত নিকৃষ্ট।
একারণে তাদেরকে ঘৃণার
চোখে দেখা হতো। গ্রীক পৌরাণিক
শাস্ত্রের এক কাল্পনিক নারী যার নাম
“প্যানডোরা”। বিশ্ব মানবতার সকল
দুর্ভাগ্যের মূল কারণ সেই নারী। তাই
গ্রীকরা নারীকে ‘প্রায় মানুষ’ অর্থাৎ
মানুষের মতো বটে, কিন্তু সম্পূর্ণ নয়
বলে মনে করত। পুরুষের সাথে তার
কোনো তুলনাই হয় না এমন।
অপরদিকে নারীর সতীত্ব ছিল
মহামূল্যবান কিছু এবং দেবীর
মতো সম্মানও করা হতো। কিছুকাল
পরেই এই গ্রীকরা আত্মঅহংকারের
উত্তুঙ্গে উঠে ধরা পড়ে বিকৃত
যৌনাচারের হাতে, বেশ্যালয়ে গমনাগমন
সমাজের সর্বস্তরের মানুষের
সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছি।
৩. রোমান সভ্যতাঃ যখন তার বিকাশের
শিখর চূড়ায় তখন একজন পুরুষ যে-
কোনো সময় তার স্ত্রীকে হত্যা করার
অধিকার রাখতো। নগ্ন নারী যে-
কোনো আসরের সৌন্দর্য এবং বেশ্যালয়
যাতায়াত পুরুষের সংস্কৃতি।
মিসরীয় সভ্যতাঃ মিসরীয় সভ্যতায়
নারী ‘ডাইনী’ এবং শয়তানের নিদর্শন
হিসেবে গণ্য হতো।
ইসলাম পূর্ব আরবঃ ইসলাম পূর্ব
আরবে নারীর অবস্থান ছিল ঘরের
অন্যান্য ব্যবহারীক আসবাবপত্রের
মতো। অনেক পিতা অসম্মানের হেতু
হিসেবে তার শিশুকণ্যাকে জীবন্ত কবর
দিত।
খ. ইসলাম নারীকে ওপরে উঠিয়েছে।
দিয়েছে তাদেরকে সমতা এবং প্রত্যাশা করে-
তারা তাদের মর্যাদা রক্ষা করবে।
ইসলাম নারীর
মর্যাদাকে ওপরে উঠিয়েছে এবং নিশ্চিত
করেছে তাদের ন্যায়সঙ্গত অধিকার
আজ থেকে ১৪০০ বছর আগে। ইসলাম
নারীর মর্যাদাকে সংরক্ষণ করতে চায়।
পুরুষের পর্দাঃ মানুষ সাধারণত
পর্দা নিয়ে আলোচনা করে নারীদের
ক্ষেত্রে। অথচ জ্যোতীর্ময়
কুরআনে আল্লাহ সুবহানাহু
ওয়া তা’আলা নারীর পর্দার
আগে পুরুষের পর্দার কথা বলেছেন।
সূরা নূরে বলা হয়েছে।
(আরবী)
---------------------------
বলো! বিশ্বাসী পুরুষদেরকে- তারা যেন
তাদের দৃষ্টিকে অবনত রাখে এবং তাদের
শালীনতা রক্ষা করে।
এটা তাদেরকে আরো পবিত্র ও
পরিচ্ছন্ন (মানসিকতার) করে তুলবে,
আর আল্লাহ কিন্তু সেই সব কিছুই
জানেন যা তোমরা করো। (২৪:৩০)
যে মুহুর্তে কোনো পুরুষ একজন নারীর
দিকে তাকাবে- লজ্জাকর অশ্লীল
চিন্তা তার মনে এসে যেতে পারে। কাজেই
তার দৃষ্টি অবনত রাখাই তার জন্য
কল্যাণকর।
নারীর জন্য পর্দাঃ সূরা নূরের
পরবর্তী আয়াতে বলা হচ্ছেঃ
(আরবী)
----------------------------
এবং বলো, বিশ্বাসী নারীদেরকে-
তারা তাদের দৃষ্টি অবনত
রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থান সমূহের
সযত্ন সংরক্ষণ করে এবং তাদের দৈহীক
সৌন্দর্য ও অলংকারের
প্রদর্শনী না করে। তবে অনিবার্য্য
ভাবে যা উন্মুক্ত থাকে। তারা যেন
তাদের বক্ষের ওপরে চাদর ঝুলিয়ে দেয়
এবং প্রদর্শন না করে তাদের সৌন্দর্য,
তাদের স্বামী তাদের পিতা তাদের
স্বামীর পিতা (শশুর) এবং সন্তানদের
ছাড়া। (২৪:৩১)
গ. হিজাবের ছয়টি শর্ত
কুরআন সুন্নাহ অনুযায়ী হিজাব পালনের
ছয়টি শর্ত।
১. মাত্রা বা পরিমাণঃ প্রথম শর্ত
হলো দেহের সীমানা যা যতটুকু-অবশ্যই
ঢেকে রাখতে হবে। নারী ও পুরুষের জন্য
এটা ভিন্ন ভিন্ন। পুরুষের জন্য
ঢেকে রাখার বাধ্যতামূলক পরিসীমা তার
দেহের নুন্যতম নাভি থেকে হাঁটু পর্যন্ত।
নারীর জন্য এই
পরিসীমা আরো বিস্তৃত- কব্জী পর্যন্ত
হাত এবং মুখমন্ডল
ছাড়া বাদবাকি শরীরের সকল অংশ
ঢেকে রাখা বাধ্যতামূলক। তারা যদি চায়
তাহলে তা-ও আবৃত করে নিতে পারে।
ইসলামের বিশেষজ্ঞ আলেমগণের
অনেকেই হাত ও মুখমন্ডলকেও
বাধ্যতামূলক ঢেকে রাখার অংশ
মনে করেন। বাদবাকি পাঁচটি শর্ত
নারী ও পুরুষের ক্ষেত্রে একই রকম
প্রযোজ্য।
২. পরিধেয় পোষাক ডিলেডালা হতে হবে।
যেন দেহের মূল কাঠামো প্রকাশ না পায়।
৩. পরিধেয় কাপড় এতটা পাতলা ও
স্বচ্ছ
হতে পারবেনা যাতে ভেতরটা দেখা যায়।
৪. পোশাক এতটা আকর্শণীয় ও
জাকজমকপূর্ণ
হতে পারবে না যাতে বিপরীত লিঙ্গ
আকর্ষিত হয়। ৫. পোশাক এমন
হতে পারবে না যা বিপরীত লিঙ্গের
পোশাকের মতো বা সমরুপ। ৬. পোশাক
এমন
হতে পারবে না দেখতে অবিশ্বাসীদের
মতো। তাদের এমন কোনো পোশাক
পরা উচিৎ নয় যা বিশেষভাবে পরিচিত
এবং চিহ্নিত অন্য ধর্মাবলম্বীদের
(যারা মূলত অবিশ্বাসী)।
ঘ. অন্যান্য জিনিসের মধ্যে আচার-
আচারণও হিজাবের অন্তর্ভুক্ত
ছয় ধরনের পরিচ্ছদের
পাশাপাশি পূর্ণাঙ্গ পর্দা ব্যক্তির
নৈতিক চরিত্র, আচার-আচারণ,
অভিব্যক্তি এবং লক্ষ উদ্দেশ্যকেও
একিভূত করে। একজন ব্যক্তি সে যদিও
শুধু কাপড়-চোপড়ে হিজাব পালন
করে তাহলে সে ‘হিজাব’ পালক
করলো ন্যূনতম পর্যায়ের। পোশাকের
পর্দা পালনের সাথে সাথে চোখের পর্দা,
মনের পর্দা ,চিন্তা-ভাবনার
পর্দা এবং লক্ষ্য উদ্দেশ্যের পর্দাও
থাকতে হবে। পর্দার সীমার
মধ্যে আরো যা পড়ে, তা হলো- ব্যক্তির
চলা, কথা বলা এবং তার সার্বিক
আচরণ ইত্যাদি।
ঙ. হিজাব বা পর্দা অহেতুক উৎপীড়ন
প্রতিরোধ করে
নারীকে কেন পর্দার বিধান
দেয়া হয়েছে কুরআন তা স্পষ্ট
করে দিয়েছে। সূরা অহ্যাবে বলা হয়েছেঃ
(আরবী)-------------------
হে নবী! বলুন আপনার স্ত্রী ও
কন্যাদেরকে এবং বিশ্বাসী নারীদেরকে যে,
তারা যেন তাদের বহিরাবরণ
পরে থাকে (যখন বাইরে যাবে)।
এটা তাদের পরিচিতির অত্যন্ত
উপযোগী। (তারা যেন পরিচিত
হয়ে বিশ্বাসী-নারী হিসাবে) তাহলে আর
অহেতুক উৎপিড়ীত হবে না। আল্লাহ
পরম ক্ষমাশীল দয়াবান। (৩৩:৫৯)
জ্যোতীময় কুরআন
বলছেঃ নারীকে পর্দার বিধান
দেয়া হয়েছে এই জন্য যে, তারা যেন
রুচিশীলা পরিচ্ছন্ন নারী হিসেবে চিহ্নিত
হতে পারে। এবং এটা তাদেরকে লজ্জাকর
উৎপীড়নের হাত থেকে রক্ষা করবে।
চ. দু’টি জমজ বোনের উদাহরণ
ধরা যাক জমজ দু’টি বোন। উভয়ই
অপূর্ব সুন্দরী। ফুটপাত
দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে। তাদের একজন
পরেছে ইসলামী হিজাব। অর্থাৎ সম্পূর্ণ
দেহ আবৃত। শুধু কব্জী পর্যন্ত হাত ও
মুখমন্ডল খোলা। অন্যজন
পরেছে পশ্চিমা পোশাক। শরীরের
অধিকাংশ খোলা এবং প্রায় অর্ধ-
উলঙ্গ। সামনেই এক
মোড়ে আড্ডা দিচ্ছে এক দঙ্গল যুবক।
মেয়েদেরকে দেখে হৈ-হল্লা করা, শীশ
দেয়া আর বাগে পেলে উত্ত্যক্ত করাই
তাদের কাজ। এখন এই দুই
বোনকে যেতে দেখে তারা কাকে উদ্দেশ্য
করে হল্লা করবে ? শীশ দেবে ?
যে মেয়েটি নিজেকে ঢেকে রেখেছে তাকে দেখে?
না যে মেয়েটি প্রায় উদোম
হয়ে আছে তাকে দেখে? খুব স্বাভাবিক
ভাবেই তাদের চোখ
যাবে যে কিনা দেখাতে চায় তার দিকে।
কার্যত এ ধরনের পোশাক বিপরীত
লিঙ্গের প্রতি ‘ভাষাহীন নিরব
আমন্ত্রণ’। যে কারণে বিপরীত লিঙ্গ
উত্তেজিত হতে বাধ্য হয়। জ্যোর্তীময়
কুরআন যথার্থই বলেছে- ‘হিজাব
নারীদের উৎপীড়ন থেকে রক্ষা করে’।
ছ. ধর্ষকের জন্য দৃষ্টান্তমূলক
শাস্তি মৃত্যুদন্ড
ইসলামের বিধান অনুযায়ী একজন পুরুষ
যদি কোনো নারী ধর্ষণের
দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয় তাহলে তার
শাস্তি প্রকাশ্য মৃত্যুদন্ড। অনেকেই
বিস্ময় প্রকাশ করেন এই কঠিন বাক্য
শুনে। কেউ কেউ তো বলেই বসেন, ইসলাম
অত্যন্ত নিষ্ঠুর, বর্বরদের ধর্ম। শত
শত অমুসলিম পুরুষের
কাছে আন্তরিকভাবে জানতে চেয়েছি-
ধরুন, আল্লাহ না করুন কেউ একজন
আপনার স্ত্রীকে ধর্ষণ
করেছে অথবা আপনার বোন বা কন্যা।
আপনাকে বিচারকের
আসনে বসানো হয়েছে এবং ধর্ষণকারীকে আপনার
সামনে হাজির করা হয়েছে।
কি শাস্তি দেবেন তাকে? প্রত্যেকেই
উত্তর একটিই-“মৃত্যুদন্ড”। কেউ
বলেছেন, ফায়ারিং স্কোয়াডে নিয়ে আমার
চোখের সামনে ব্রাস ফায়ার
করে ঝাঝরা করে দিতে বলব। কেউ
বলেছেন ওকে তিল তিল করে মৃত্যুর
স্বাদ দিয়ে মারতে বলব। এই উত্তর
দাতাদের কাছেই আমার প্রশ্ন, আপনার
মা-বোন স্ত্রী কন্যাকে কেউ ধর্ষণ
করলে তাকে ওভাবে মেরে ফেলতে চান।
কিন্তু এই একই অপরাধ যদি অন্য
কারো স্ত্রী-কন্যার ওপর ঘটে তখন এই
আপনিই বলেন মৃত্যুদন্ড অত্যন্ত
কঠোর ও নিষ্ঠুর হয়ে যায়। কেন ভাই,
একই অপরাধের জন্য ক্ষেত্রভেদে দুই
রকম দন্ড?
জ.নারীকে মর্যাদা দেবার
পশ্চিমা সমাজের দাবি সর্বৈভ মিথ্যাচার
নারী স্বাধীনতার পশ্চিমা শ্লোগান
একটি প্রকাশ্য প্রতারণা। তার দেহের
সৌন্দর্যকে খুলে খুলে ব্যবসা করার
একটি লোভনীয় ফাঁদ। তার আত্মার
অবমাননা এবং তার সম্মান ও
মর্যাদাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। আর
প্রকাশ্য
বাস্তবতা হলো তাদেরকে তাদের
সম্মানিত অবস্থান
থেকে নামিয়ে উপপত্নী,
রক্ষিতা এবং সৌখিন সমাজের
লালসা পূরনের জন্য উড়ন্ত
প্রজাপতি বানিয়ে ছেড়েছে।
ফলে তারা এখন বিলাসী পুরুষের নাগালের
মধ্যে থাকা ভোগের পুতুল আর যৌন
কারবারীদের ব্যবসায়ের সস্তা পণ্য।
যা আড়াল করা হয়েছে শিল্প ও
সংস্কৃতির মনোলোভা রঙিন পর্দা দিয়ে।
ঝ. নারী ধর্ষণের হার আমেরিকায়
সর্বোচ্চ
উন্নত বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্যায়ের
অবস্থানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্য।
নৈমিত্যিক সংঘটিত নারী ধর্ষণের হার
সারা বিশ্বে তার রেকর্ড কেউ স্পর্শও
করতে পারবে না। ১৯৯০ সালের
এফবিআই-এর দেয়া পরিসংখ্যান
অনুযায়ী গোটা আমেরিকা জুড়ে প্রতিদিন
গড়ে ১৭৫৬ টি নারী ধর্ষণের
ঘটনা ঘটে।
পরবর্তী পর্যায়ে আরো একটি রিপোর্টে প্রকাশিত
হয় যাতে প্রতিদিন সংঘটিত ধর্ষণ
অপরাধে সংখ্যা ১৯০০ উল্লেখ
করা হয়েছে। রিপোর্টে সন উল্লেখ
করা নেই তবে অনুমান করা হয়
তা ১৯৯২ বা ১৯৯৩ সালের কথা।
হয়তো আমেরিকানরা পরবর্তী দু’তিন
বছরে আরো ‘সাহসী’ হয়ে উঠেছে।
আবার একটা কাল্পনিক দৃর্শপট
পর্যবেক্ষণ করা যাক- আমেরিকান
নারী সমাজ ইসলামী হিজাব পালন করছে।
যখনি কোনো পুরুষ কোনো নারীর
দিকে তাকাচ্ছে, কোনো অশ্লীল
চিন্তা মনে এসে যেতে পারে ভাবার
সাথে সাথে সে তার
দৃষ্টিকে নীচে নামিয়ে নিচ্ছে।
পথে ঘাটে যেখানেই কোনো নারী দৃশ্য
হচ্ছে, কব্জী পর্যন্ত তার দুটি হাত আর
নেহায়েত সাদামাটা সাজগোজহীন
মুখমন্ডলের কিয়দাংশ ব্যাস,
বাদবাকি সব ডোলাডালা হিজাবে ডাকা।
তদুপুরি রাষ্ট্রীয় বিধান এমন যে,
যদি কোনো পুরুষ ধর্ষণের অপরাধ
করে তার জন্য নির্দিষ্ট-
জনসমক্ষে প্রকাশ্য মৃত্যুদন্ড।
এবার আপনাকে প্রশ্ন করছি,
গোটা পরিবেশটা যদি সত্যি সত্যিই এমন
হয় তাহলে আমেরিকার এই নারী ধর্ষণের
ভঙ্ককর হার বাড়তে থাকবে না একই
অবস্থানে থাকবে?
নাকি কমে যাবে এবং কমতে কমতে একদিন
এই জঘন্য অপরাধ নিঃশেষ হয়ে যাবে।
ঞ. ইসলামী শরীয়তের পুর্ণাঙ্গ বিধান
কার্যকর হলে ধর্ষনের হার শূন্যের
কোঠায় নেমে আসবে খুব স্বাভাবিক
ভাবেই। কেননা শরীয়তের বিধান,
মানুষেরই জন্য তাদের
সৃষ্টিকর্তা বিধাতার নির্বাচিত
বিধিবিধান যদি কার্যকর হয়
তাহলে তার ফলাফল কল্যাণী অমিয়
ধারা হযে বেরিয়ে আসতে শুরু করবে।
ইসলামী শরীয়ত যদি প্রতিষ্ঠিত
হয়ে যায় পৃথিবীর যে কোনো ভূখন্ডে-
তা আমেরিকাই হোক অথবা ইউরোপ
বা পৃথিবীর অন্যান্য যে কোনো দেশে।
তার প্রথম প্রতিক্রিয়া হবে এই যে,
সে দেশের গোটা সমাজ একসাথে বুক
ভরে নিঃশ্বাস নেবে।
কাজেই ‘হিজাব’ নারীকে অপদস্ত
করেনি বরং উপরে তুলে সম্মানের আসন
দিয়েছে। আর সংরক্ষণ করেছে তার
শালীনতা ও পবিত্রতা।


শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের কে জানার সুযোগ দিন ।আপনি জেনেছেন হয়তো সে জানেনা ।আমার ব্লগ বাড়ীতে বেড়াতে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।সাথে থাকুন সব সময় ।আল্লাহ্ হাফেজ ।

কোন মন্তব্য নেই :

ইসলাম সম্পর্কে অমুসলিমদের ২০টি বিভ্রান্তিকর প্রশ্নের জবাব পর্ব ৪

কোন মন্তব্য নেই

৪.ইসলাম কি তলোয়ারের
মাধ্যমে প্রসারিত হয়েছে ?
প্রশ্নঃ ইসলামকে কিভাবে শান্তির ধর্ম
বলা যাবে যেখানে তা প্রচার ও প্রসার
হয়েছে তলোয়ারের মাধ্যেমে?
জবাব
কিছু অমুসলিম এটা একটা সাধারণ
অভিযোগ যে, সারা বিশ্ব জুড়ে ইসলাম
এত
কোটি কোটি অনুগামী পেতে পারতো না,
যদি না তা- শক্তি প্রয়োগে প্রসারিত
হতো। নিম্নে বর্ণিত
বিষয়গুলো পরিষ্কার করে দেবে,
যা তলোয়ারের মাধ্যমে প্রসারের
অভিযোগ থেকে অনেক দূরে। এটা ছিল
সত্যের সহজাত শক্তি, সঙ্গত কারণ ও
মানব প্রকৃতি সম্মত
যৌক্তিকতা যা এক দ্রুত ইসলামের
প্রচার ও প্রসারের বাহন হয়েছে।
ক. ইসলাম মানে শান্তি
ইসলাম এসেছে মূল শব্দ ‘সালাম’ থেকে।
যার অর্থ শান্তি। এর
আরো একটি অর্থ হলো নিজের সম্পূর্ণ
ইচ্ছা-শক্তিকে আল্লাহর
প্রতি সমর্পিত করা। এভাবে ইসলাম
একটি শান্তির ধর্ম, যা অর্জন
করা যায়
সৃষ্টিকর্তা বিধাতা প্রতিপালক আল্লাহ
তা’আলার ইচ্ছার কাছে নিজের
ইচ্ছাকে আন্তরিক নিষ্ঠার
সাথে সমর্পিত করে দিলে।
খ. শান্তি বজায়
রাখতে কখনো কখনো শক্তি প্রয়োগ
করতে হয়
পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ শান্তি-
শৃঙ্খলা বজায় রাখার অনুকুলে নয়। এমন
অসংখ্য মানুষ রয়েছে যারা তাদের
নিজেদের হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার
জন্য এর বিগ্ন ঘটায়। এসব
ক্ষেত্রে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার
জন্য শক্তি ব্যবহার অপরিহার্য
হয়ে পড়ে। পৃথিবীর প্রতিটি সভ্য
দেশে অপরাধী ও সমাজ বিরোধদের দমন
করার জন্য সুনর্দিষ্ট আইন-
শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সুসজ্জিত
বাহিনী আছে। যাদের আমরা ‘পুলিশ’
বলি। ইসলাম শান্তির প্রবর্তক। একই
সাথে তার অনুগামীদের উদ্বুদ্ধ
করে জুলুম, অত্যাচার ও নিপীড়নের
বিরুদ্ধে লড়াই করতে। জালিমদের
বিরুদ্ধে লড়াই করতে কোনো কোনো সময়
শক্তির প্রয়োগ অপরিহার্য হয়ে ওঠে।
ইসলাম কেবল মাত্র মানুষের
সমাজে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা এবং ভারসাম্যপূর্ণ
ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্যই
শক্তি প্রয়োগের অনুমতি দেয়।
গ. ঐতিহাসিক ডি ল্যাসি ওলেরীর
মন্তব্য
বিশ্ববরণ্য ঐতিহাসিক
ডি ল্যাসী ওলেরী’ লিখিত “ইসলাম আট
দা ক্রস রোড” গ্রন্থের অষ্টম পৃষ্ঠায়
যে মন্তব্য তিনি করেছেন
তাতে “তরবারীর সাহায্যে ইসলাম
প্রসারিত হয়েছে” এই ভ্রান্ত ধারণায়
যারা নিমজ্জিত-তাদের জন্য দাঁত
ভাঙ্গা জবাব।
“অবশেষে ইতিহাসই একথা অত্যন্ত
স্পষ্টভাবে প্রমাণ করল যে, ধর্মান্ধ
মুসলমানদের কাহিনী হলো পৃথিবীর এক
প্রান্ত পর্যন্ত
তারা ঝেঁটিয়ে বেরিয়েছে আর বিজিত
জাতিগুলোকে তরবারীর
অগ্রভাগে রেখে ইসলাম গ্রহণে বাধ্য
করেছে। এটা অনেক গুলোর
মধ্যে অন্যতম একটি কল্পনা প্রসূত,
উদ্ভট ও অবাস্তব কাহিনী-
যা ঐতিহাসিকরা খুব
বেশি পুনরাবৃত্তি করেছে”।
ঘ. মুসলমানরা আটশত বছর স্পেন শাসন
করেছে
প্রায় আট’শ বছর স্পেন শাসন
করেছে মুসলমানরা।
সেখানে মানুষকে ‘তরবারীর
শক্তি প্রয়োগ করে ধর্মান্তরিত
করেছে’ -এমন কথা চরম শত্রুও
বলতে লজ্জা পাবে। আর খ্রীস্টান
ক্রুসেডাররা স্পেনে এসে সেই
মুসলমানদেরকেই নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে।
অবশেষে এমন একজন মুসলমান
স্পেনে ছিল না যে তার নামাযের জন্য
প্রকাশ্যে আযান দিতে পারত।
ঙ. ১৪ মিলিয়ন আরব মিশরীয়
খ্রীস্টান
সমগ্র আরব ভুখন্ডে এক হাজার চারশ
বছর মুসলমানরাই ছিল মালিক, মনিক,
শাসক। এর মধ্যে সামান্য কিছু বছর
ব্রিটিশ এবং আর কিছু বছর
ফরাসীরা দখলদারিত্ব করেছিল।
সর্বোপরি মুসলমানরা যদি তরবারী ব্যবহার
করত তাহলে একজন খ্রীস্টানও
কি সেখানে এখন খুঁজে পাওয়ার কথা ?
চ. ভারতে ৮০% এর বেশি অমুসলিম
মুসলমানরা ভারত শাসন করেছে প্রায়
আটশ বছর।
যদি তারা চাইতো তাহলে তাদের সেই
রাজ-শক্তি ও ক্ষমতার বল প্রয়োগ
করে ভারতের
প্রতিটি অমুসলিমকে ধর্মান্তরিত
করে নিতে পারতো। অথচ
শতকরা আশি ভাগেরও বেশি অমুসলিম
আজো ভারতেই আছে। এদের
প্রতিটি অমুসলিম আজ সুস্পষ্ট সাক্ষ্য
বহন করছে যে, “ইসলাম তরবারীর
সাহায্যে প্রসারিত হয়নি।”
ছ. ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া
ইন্দোনেশিয়া একটি দেশ। পৃথিবীর
সর্বোচ্চ-সংখ্যক মুসলমান সেখানে বাস
করে। মালয়েশিয়ায় জনসংখ্যার
অধিকাংশ মুসলমান। কেউ একজন প্রশ্ন
করতে পারে, কোন মুসলিম
সেনাবাহিনী ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ায়
গিয়েছিল?
জ. আফ্রিকার পূর্বপ্রান্ত
একই ভাবে ইসলাম অত্যন্ত দ্রুততার
সাথে আফ্রিকার পূর্বতীরে বিকাশ লাভ
করে। কেউ একজন আবারো প্রশ্ন
করতে পারে, ইসলাম যদি তরবারীর
অগ্রভাগ দিয়েই প্রসারিত
হয়ে থাকে তাহলে আফ্রিকার
পূর্বতীরে কোন মুসলিম
বাহিনী তরবারী নিয়ে গিয়েছিল?
ঝ. থমাছ কারলাইল
বিশ্ববরেণ্য ঐতিহাসিক থমাস কারলাইল
তার রচনা ‘হিরোয এন্ড হিরো ওরশিপ’
গ্রন্থে ইসলামের বিকশিত
হওয়া নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা সেই
প্রসঙ্গে বলা হয়েছে-“তরবারী, কিন্তু
কোথায় পাবে তুমি তোমার তরবারী?
প্রত্যকটি নতুন ‘মত’ তার
শুরুতে সুস্পষ্টভাবে নির্দিষ্ট হয়- এক
জনের সংখ্যালঘুত্বে। মাত্র একজন
মানুষের মাথায়। সেখানেই তা থাকে।
সারা পৃথিবীর একজন মাত্র মানুষ
তা বিশ্বাস করে, অর্থাৎ সকল মানুষের
বিপক্ষে মাত্র একজন মানুষ।
একখানা তরবারী সে নিল
এবং তা দিয়ে তা (তার চিন্তা) প্রচার
করতে চেষ্টা করল। তাতে তার
কোনো কাজ হবে কি? তোমার
তরবারী তোমাকেই খুঁজে নিতে হবে! মোট
কথা একটি জিনিস নিজে নিজেই
প্রচারিত হবে যেমনটা তার
ক্ষমতা আছে।”
ঞ. দ্বীন নিয়ে কোন জবরদস্তী নেই।
কোন তরবারী দিয়ে ইসলাম বিকশিত
হয়েছে?
এমনকি সে তরবারী যদি মুসলমানদের
হাতেও থাকতো তাহলেও তারা তা ইসলাম
প্রচারের জন্য ব্যবহার করতে পারত
না কারণ তাদের হৃদয় স্পন্দন আল
কুরআন বলেছেঃ
(আরবী)----------------------
দ্বীন নিয়ে কোনো জবরদস্তি নেই। সকল
ভ্রান্তি-বিভ্রান্তি ও
ভ্রষ্টতা থেকে সরল-শুদ্ধ সত্য-পথ
স্পষ্ট করে দেয়া আছে।
ট. জ্ঞান ও প্রজ্ঞার তরবারী
তা ছিল চেতনা ও জ্ঞানের তরবারী,
যে তরবারী মানুষের হৃদয় ও মন
অন্তরকে জয় করেছে। জ্যোতীর্ময়
কুরআনের সূরা নাহলে বলা আছেঃ
আরবী-------------------
আহবান করো সকলকে তোমার
বিধাতা প্রতিপালকের পথে-
পান্ডিত্যপূর্ণ সুন্দরতম বাগ্মীতার
সাথে। আর যুক্তি প্রমাণ
দিয়ে আলোচনা করো তাদের
সাথে এমনভাবে, যা সর্বোত্তম
(এবং সে আহবান হতে হবে এমন
হৃদ্যতাপূর্ণ যেন কোন পাষাণ হৃদয়ের
কাছেও তা গ্রহণযোগ্য হয়)।
(১৬:১২৫)
ঠ. ১৯৩৪ সাল থেকে ১৯৮৪ পর্যন্ত
পৃথিবীতে ধর্ম বর্ধিষ্ণুতার
১৯৮৬ সালের রীডার্স ডাইজেস্টের
‘এলমানাক’ সংখ্যার একটি তথ্য সমৃদ্ধ
প্রবন্ধে- পূর্বের অর্ধ
শতাব্দীতে প্রধান প্রধান ধর্মসমূহের
বর্ধিষ্ণুতার হার
সম্পর্কে একটি পরিসংখ্যান
দেয়া হয়েছে। প্রবন্ধটি “প্লেইন ট্রুথ”
মাগ্যাজিনেও প্রকাশিত হয়। সর্বোচ্চ
পর্যায়ে রয়েছে ইসলাম-
যা বেড়েছে ২৩৫% হারে।
এখানে একজন প্রশ্ন করতে পারে, কোন
যুদ্ধ অবস্থান নিয়েছিল এ
শতাব্দীতে যা কোটি কোটি মানুষকে ধর্মান্তরীত
করে মুসলমান বানিয়েছিল?
ঢ. আমেরিকা ও ইউরোপে ‘ইসলাম’
দ্রুততম বর্ধিষ্ণু ধর্ম
আজকের দিনে আমেরিকায় দ্রুততম
বর্ধিষ্ণু ধর্ম ‘ইসলাম’। মুসলমানের
সংখ্যা দ্রুত গতিতে বেড়েই
চলেছে ইউরোপেও। শক্তি ও বিকশিত
সভ্যতার অহংকারে চীৎ
হয়ে থাকা পাশ্চাত্য সভ্যতার এই সব
সু-সভ্য মানুষকে এত বিরাট সংখ্যায়
ইসলাম গ্রহণ করতে কোন
তরবারী বাধ্য করছে?
ড. ডক্টর জোসেফ এডাম পিয়ারসন
ডক্টর জোসেফ এডাম পিয়ারসন
যথার্থই বলেছেন,
যারা আশঙ্কা করছে আনবিক
বোমা কোনো একদিন আরবদের
হাতে এসে পড়বে।
তারা উপলদ্ধি করতে ব্যর্থ হয়েছে যে,
ইসলামী বোমা ইতিমধ্যেই
ফেলে দেয়া হয়েছে। এটা পড়েছে সেদিন
যেদিন মুহাম্মদ (স) জন্ম নিয়েছিলেন।


শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের কে জানার সুযোগ দিন ।আপনি জেনেছেন হয়তো সে জানেনা ।আমার ব্লগ বাড়ীতে বেড়াতে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।সাথে থাকুন সব সময় ।আল্লাহ্ হাফেজ ।
৪.ইসলাম কি তলোয়ারের
মাধ্যমে প্রসারিত হয়েছে ?
প্রশ্নঃ ইসলামকে কিভাবে শান্তির ধর্ম
বলা যাবে যেখানে তা প্রচার ও প্রসার
হয়েছে তলোয়ারের মাধ্যেমে?
জবাব
কিছু অমুসলিম এটা একটা সাধারণ
অভিযোগ যে, সারা বিশ্ব জুড়ে ইসলাম
এত
কোটি কোটি অনুগামী পেতে পারতো না,
যদি না তা- শক্তি প্রয়োগে প্রসারিত
হতো। নিম্নে বর্ণিত
বিষয়গুলো পরিষ্কার করে দেবে,
যা তলোয়ারের মাধ্যমে প্রসারের
অভিযোগ থেকে অনেক দূরে। এটা ছিল
সত্যের সহজাত শক্তি, সঙ্গত কারণ ও
মানব প্রকৃতি সম্মত
যৌক্তিকতা যা এক দ্রুত ইসলামের
প্রচার ও প্রসারের বাহন হয়েছে।
ক. ইসলাম মানে শান্তি
ইসলাম এসেছে মূল শব্দ ‘সালাম’ থেকে।
যার অর্থ শান্তি। এর
আরো একটি অর্থ হলো নিজের সম্পূর্ণ
ইচ্ছা-শক্তিকে আল্লাহর
প্রতি সমর্পিত করা। এভাবে ইসলাম
একটি শান্তির ধর্ম, যা অর্জন
করা যায়
সৃষ্টিকর্তা বিধাতা প্রতিপালক আল্লাহ
তা’আলার ইচ্ছার কাছে নিজের
ইচ্ছাকে আন্তরিক নিষ্ঠার
সাথে সমর্পিত করে দিলে।
খ. শান্তি বজায়
রাখতে কখনো কখনো শক্তি প্রয়োগ
করতে হয়
পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ শান্তি-
শৃঙ্খলা বজায় রাখার অনুকুলে নয়। এমন
অসংখ্য মানুষ রয়েছে যারা তাদের
নিজেদের হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার
জন্য এর বিগ্ন ঘটায়। এসব
ক্ষেত্রে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার
জন্য শক্তি ব্যবহার অপরিহার্য
হয়ে পড়ে। পৃথিবীর প্রতিটি সভ্য
দেশে অপরাধী ও সমাজ বিরোধদের দমন
করার জন্য সুনর্দিষ্ট আইন-
শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সুসজ্জিত
বাহিনী আছে। যাদের আমরা ‘পুলিশ’
বলি। ইসলাম শান্তির প্রবর্তক। একই
সাথে তার অনুগামীদের উদ্বুদ্ধ
করে জুলুম, অত্যাচার ও নিপীড়নের
বিরুদ্ধে লড়াই করতে। জালিমদের
বিরুদ্ধে লড়াই করতে কোনো কোনো সময়
শক্তির প্রয়োগ অপরিহার্য হয়ে ওঠে।
ইসলাম কেবল মাত্র মানুষের
সমাজে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা এবং ভারসাম্যপূর্ণ
ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্যই
শক্তি প্রয়োগের অনুমতি দেয়।
গ. ঐতিহাসিক ডি ল্যাসি ওলেরীর
মন্তব্য
বিশ্ববরণ্য ঐতিহাসিক
ডি ল্যাসী ওলেরী’ লিখিত “ইসলাম আট
দা ক্রস রোড” গ্রন্থের অষ্টম পৃষ্ঠায়
যে মন্তব্য তিনি করেছেন
তাতে “তরবারীর সাহায্যে ইসলাম
প্রসারিত হয়েছে” এই ভ্রান্ত ধারণায়
যারা নিমজ্জিত-তাদের জন্য দাঁত
ভাঙ্গা জবাব।
“অবশেষে ইতিহাসই একথা অত্যন্ত
স্পষ্টভাবে প্রমাণ করল যে, ধর্মান্ধ
মুসলমানদের কাহিনী হলো পৃথিবীর এক
প্রান্ত পর্যন্ত
তারা ঝেঁটিয়ে বেরিয়েছে আর বিজিত
জাতিগুলোকে তরবারীর
অগ্রভাগে রেখে ইসলাম গ্রহণে বাধ্য
করেছে। এটা অনেক গুলোর
মধ্যে অন্যতম একটি কল্পনা প্রসূত,
উদ্ভট ও অবাস্তব কাহিনী-
যা ঐতিহাসিকরা খুব
বেশি পুনরাবৃত্তি করেছে”।
ঘ. মুসলমানরা আটশত বছর স্পেন শাসন
করেছে
প্রায় আট’শ বছর স্পেন শাসন
করেছে মুসলমানরা।
সেখানে মানুষকে ‘তরবারীর
শক্তি প্রয়োগ করে ধর্মান্তরিত
করেছে’ -এমন কথা চরম শত্রুও
বলতে লজ্জা পাবে। আর খ্রীস্টান
ক্রুসেডাররা স্পেনে এসে সেই
মুসলমানদেরকেই নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে।
অবশেষে এমন একজন মুসলমান
স্পেনে ছিল না যে তার নামাযের জন্য
প্রকাশ্যে আযান দিতে পারত।
ঙ. ১৪ মিলিয়ন আরব মিশরীয়
খ্রীস্টান
সমগ্র আরব ভুখন্ডে এক হাজার চারশ
বছর মুসলমানরাই ছিল মালিক, মনিক,
শাসক। এর মধ্যে সামান্য কিছু বছর
ব্রিটিশ এবং আর কিছু বছর
ফরাসীরা দখলদারিত্ব করেছিল।
সর্বোপরি মুসলমানরা যদি তরবারী ব্যবহার
করত তাহলে একজন খ্রীস্টানও
কি সেখানে এখন খুঁজে পাওয়ার কথা ?
চ. ভারতে ৮০% এর বেশি অমুসলিম
মুসলমানরা ভারত শাসন করেছে প্রায়
আটশ বছর।
যদি তারা চাইতো তাহলে তাদের সেই
রাজ-শক্তি ও ক্ষমতার বল প্রয়োগ
করে ভারতের
প্রতিটি অমুসলিমকে ধর্মান্তরিত
করে নিতে পারতো। অথচ
শতকরা আশি ভাগেরও বেশি অমুসলিম
আজো ভারতেই আছে। এদের
প্রতিটি অমুসলিম আজ সুস্পষ্ট সাক্ষ্য
বহন করছে যে, “ইসলাম তরবারীর
সাহায্যে প্রসারিত হয়নি।”
ছ. ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া
ইন্দোনেশিয়া একটি দেশ। পৃথিবীর
সর্বোচ্চ-সংখ্যক মুসলমান সেখানে বাস
করে। মালয়েশিয়ায় জনসংখ্যার
অধিকাংশ মুসলমান। কেউ একজন প্রশ্ন
করতে পারে, কোন মুসলিম
সেনাবাহিনী ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ায়
গিয়েছিল?
জ. আফ্রিকার পূর্বপ্রান্ত
একই ভাবে ইসলাম অত্যন্ত দ্রুততার
সাথে আফ্রিকার পূর্বতীরে বিকাশ লাভ
করে। কেউ একজন আবারো প্রশ্ন
করতে পারে, ইসলাম যদি তরবারীর
অগ্রভাগ দিয়েই প্রসারিত
হয়ে থাকে তাহলে আফ্রিকার
পূর্বতীরে কোন মুসলিম
বাহিনী তরবারী নিয়ে গিয়েছিল?
ঝ. থমাছ কারলাইল
বিশ্ববরেণ্য ঐতিহাসিক থমাস কারলাইল
তার রচনা ‘হিরোয এন্ড হিরো ওরশিপ’
গ্রন্থে ইসলামের বিকশিত
হওয়া নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা সেই
প্রসঙ্গে বলা হয়েছে-“তরবারী, কিন্তু
কোথায় পাবে তুমি তোমার তরবারী?
প্রত্যকটি নতুন ‘মত’ তার
শুরুতে সুস্পষ্টভাবে নির্দিষ্ট হয়- এক
জনের সংখ্যালঘুত্বে। মাত্র একজন
মানুষের মাথায়। সেখানেই তা থাকে।
সারা পৃথিবীর একজন মাত্র মানুষ
তা বিশ্বাস করে, অর্থাৎ সকল মানুষের
বিপক্ষে মাত্র একজন মানুষ।
একখানা তরবারী সে নিল
এবং তা দিয়ে তা (তার চিন্তা) প্রচার
করতে চেষ্টা করল। তাতে তার
কোনো কাজ হবে কি? তোমার
তরবারী তোমাকেই খুঁজে নিতে হবে! মোট
কথা একটি জিনিস নিজে নিজেই
প্রচারিত হবে যেমনটা তার
ক্ষমতা আছে।”
ঞ. দ্বীন নিয়ে কোন জবরদস্তী নেই।
কোন তরবারী দিয়ে ইসলাম বিকশিত
হয়েছে?
এমনকি সে তরবারী যদি মুসলমানদের
হাতেও থাকতো তাহলেও তারা তা ইসলাম
প্রচারের জন্য ব্যবহার করতে পারত
না কারণ তাদের হৃদয় স্পন্দন আল
কুরআন বলেছেঃ
(আরবী)----------------------
দ্বীন নিয়ে কোনো জবরদস্তি নেই। সকল
ভ্রান্তি-বিভ্রান্তি ও
ভ্রষ্টতা থেকে সরল-শুদ্ধ সত্য-পথ
স্পষ্ট করে দেয়া আছে।
ট. জ্ঞান ও প্রজ্ঞার তরবারী
তা ছিল চেতনা ও জ্ঞানের তরবারী,
যে তরবারী মানুষের হৃদয় ও মন
অন্তরকে জয় করেছে। জ্যোতীর্ময়
কুরআনের সূরা নাহলে বলা আছেঃ
আরবী-------------------
আহবান করো সকলকে তোমার
বিধাতা প্রতিপালকের পথে-
পান্ডিত্যপূর্ণ সুন্দরতম বাগ্মীতার
সাথে। আর যুক্তি প্রমাণ
দিয়ে আলোচনা করো তাদের
সাথে এমনভাবে, যা সর্বোত্তম
(এবং সে আহবান হতে হবে এমন
হৃদ্যতাপূর্ণ যেন কোন পাষাণ হৃদয়ের
কাছেও তা গ্রহণযোগ্য হয়)।
(১৬:১২৫)
ঠ. ১৯৩৪ সাল থেকে ১৯৮৪ পর্যন্ত
পৃথিবীতে ধর্ম বর্ধিষ্ণুতার
১৯৮৬ সালের রীডার্স ডাইজেস্টের
‘এলমানাক’ সংখ্যার একটি তথ্য সমৃদ্ধ
প্রবন্ধে- পূর্বের অর্ধ
শতাব্দীতে প্রধান প্রধান ধর্মসমূহের
বর্ধিষ্ণুতার হার
সম্পর্কে একটি পরিসংখ্যান
দেয়া হয়েছে। প্রবন্ধটি “প্লেইন ট্রুথ”
মাগ্যাজিনেও প্রকাশিত হয়। সর্বোচ্চ
পর্যায়ে রয়েছে ইসলাম-
যা বেড়েছে ২৩৫% হারে।
এখানে একজন প্রশ্ন করতে পারে, কোন
যুদ্ধ অবস্থান নিয়েছিল এ
শতাব্দীতে যা কোটি কোটি মানুষকে ধর্মান্তরীত
করে মুসলমান বানিয়েছিল?
ঢ. আমেরিকা ও ইউরোপে ‘ইসলাম’
দ্রুততম বর্ধিষ্ণু ধর্ম
আজকের দিনে আমেরিকায় দ্রুততম
বর্ধিষ্ণু ধর্ম ‘ইসলাম’। মুসলমানের
সংখ্যা দ্রুত গতিতে বেড়েই
চলেছে ইউরোপেও। শক্তি ও বিকশিত
সভ্যতার অহংকারে চীৎ
হয়ে থাকা পাশ্চাত্য সভ্যতার এই সব
সু-সভ্য মানুষকে এত বিরাট সংখ্যায়
ইসলাম গ্রহণ করতে কোন
তরবারী বাধ্য করছে?
ড. ডক্টর জোসেফ এডাম পিয়ারসন
ডক্টর জোসেফ এডাম পিয়ারসন
যথার্থই বলেছেন,
যারা আশঙ্কা করছে আনবিক
বোমা কোনো একদিন আরবদের
হাতে এসে পড়বে।
তারা উপলদ্ধি করতে ব্যর্থ হয়েছে যে,
ইসলামী বোমা ইতিমধ্যেই
ফেলে দেয়া হয়েছে। এটা পড়েছে সেদিন
যেদিন মুহাম্মদ (স) জন্ম নিয়েছিলেন।


শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের কে জানার সুযোগ দিন ।আপনি জেনেছেন হয়তো সে জানেনা ।আমার ব্লগ বাড়ীতে বেড়াতে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।সাথে থাকুন সব সময় ।আল্লাহ্ হাফেজ ।
৪.ইসলাম কি তলোয়ারের
মাধ্যমে প্রসারিত হয়েছে ?
প্রশ্নঃ ইসলামকে কিভাবে শান্তির ধর্ম
বলা যাবে যেখানে তা প্রচার ও প্রসার
হয়েছে তলোয়ারের মাধ্যেমে?
জবাব
কিছু অমুসলিম এটা একটা সাধারণ
অভিযোগ যে, সারা বিশ্ব জুড়ে ইসলাম
এত
কোটি কোটি অনুগামী পেতে পারতো না,
যদি না তা- শক্তি প্রয়োগে প্রসারিত
হতো। নিম্নে বর্ণিত
বিষয়গুলো পরিষ্কার করে দেবে,
যা তলোয়ারের মাধ্যমে প্রসারের
অভিযোগ থেকে অনেক দূরে। এটা ছিল
সত্যের সহজাত শক্তি, সঙ্গত কারণ ও
মানব প্রকৃতি সম্মত
যৌক্তিকতা যা এক দ্রুত ইসলামের
প্রচার ও প্রসারের বাহন হয়েছে।
ক. ইসলাম মানে শান্তি
ইসলাম এসেছে মূল শব্দ ‘সালাম’ থেকে।
যার অর্থ শান্তি। এর
আরো একটি অর্থ হলো নিজের সম্পূর্ণ
ইচ্ছা-শক্তিকে আল্লাহর
প্রতি সমর্পিত করা। এভাবে ইসলাম
একটি শান্তির ধর্ম, যা অর্জন
করা যায়
সৃষ্টিকর্তা বিধাতা প্রতিপালক আল্লাহ
তা’আলার ইচ্ছার কাছে নিজের
ইচ্ছাকে আন্তরিক নিষ্ঠার
সাথে সমর্পিত করে দিলে।
খ. শান্তি বজায়
রাখতে কখনো কখনো শক্তি প্রয়োগ
করতে হয়
পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ শান্তি-
শৃঙ্খলা বজায় রাখার অনুকুলে নয়। এমন
অসংখ্য মানুষ রয়েছে যারা তাদের
নিজেদের হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার
জন্য এর বিগ্ন ঘটায়। এসব
ক্ষেত্রে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার
জন্য শক্তি ব্যবহার অপরিহার্য
হয়ে পড়ে। পৃথিবীর প্রতিটি সভ্য
দেশে অপরাধী ও সমাজ বিরোধদের দমন
করার জন্য সুনর্দিষ্ট আইন-
শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সুসজ্জিত
বাহিনী আছে। যাদের আমরা ‘পুলিশ’
বলি। ইসলাম শান্তির প্রবর্তক। একই
সাথে তার অনুগামীদের উদ্বুদ্ধ
করে জুলুম, অত্যাচার ও নিপীড়নের
বিরুদ্ধে লড়াই করতে। জালিমদের
বিরুদ্ধে লড়াই করতে কোনো কোনো সময়
শক্তির প্রয়োগ অপরিহার্য হয়ে ওঠে।
ইসলাম কেবল মাত্র মানুষের
সমাজে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা এবং ভারসাম্যপূর্ণ
ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্যই
শক্তি প্রয়োগের অনুমতি দেয়।
গ. ঐতিহাসিক ডি ল্যাসি ওলেরীর
মন্তব্য
বিশ্ববরণ্য ঐতিহাসিক
ডি ল্যাসী ওলেরী’ লিখিত “ইসলাম আট
দা ক্রস রোড” গ্রন্থের অষ্টম পৃষ্ঠায়
যে মন্তব্য তিনি করেছেন
তাতে “তরবারীর সাহায্যে ইসলাম
প্রসারিত হয়েছে” এই ভ্রান্ত ধারণায়
যারা নিমজ্জিত-তাদের জন্য দাঁত
ভাঙ্গা জবাব।
“অবশেষে ইতিহাসই একথা অত্যন্ত
স্পষ্টভাবে প্রমাণ করল যে, ধর্মান্ধ
মুসলমানদের কাহিনী হলো পৃথিবীর এক
প্রান্ত পর্যন্ত
তারা ঝেঁটিয়ে বেরিয়েছে আর বিজিত
জাতিগুলোকে তরবারীর
অগ্রভাগে রেখে ইসলাম গ্রহণে বাধ্য
করেছে। এটা অনেক গুলোর
মধ্যে অন্যতম একটি কল্পনা প্রসূত,
উদ্ভট ও অবাস্তব কাহিনী-
যা ঐতিহাসিকরা খুব
বেশি পুনরাবৃত্তি করেছে”।
ঘ. মুসলমানরা আটশত বছর স্পেন শাসন
করেছে
প্রায় আট’শ বছর স্পেন শাসন
করেছে মুসলমানরা।
সেখানে মানুষকে ‘তরবারীর
শক্তি প্রয়োগ করে ধর্মান্তরিত
করেছে’ -এমন কথা চরম শত্রুও
বলতে লজ্জা পাবে। আর খ্রীস্টান
ক্রুসেডাররা স্পেনে এসে সেই
মুসলমানদেরকেই নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে।
অবশেষে এমন একজন মুসলমান
স্পেনে ছিল না যে তার নামাযের জন্য
প্রকাশ্যে আযান দিতে পারত।
ঙ. ১৪ মিলিয়ন আরব মিশরীয়
খ্রীস্টান
সমগ্র আরব ভুখন্ডে এক হাজার চারশ
বছর মুসলমানরাই ছিল মালিক, মনিক,
শাসক। এর মধ্যে সামান্য কিছু বছর
ব্রিটিশ এবং আর কিছু বছর
ফরাসীরা দখলদারিত্ব করেছিল।
সর্বোপরি মুসলমানরা যদি তরবারী ব্যবহার
করত তাহলে একজন খ্রীস্টানও
কি সেখানে এখন খুঁজে পাওয়ার কথা ?
চ. ভারতে ৮০% এর বেশি অমুসলিম
মুসলমানরা ভারত শাসন করেছে প্রায়
আটশ বছর।
যদি তারা চাইতো তাহলে তাদের সেই
রাজ-শক্তি ও ক্ষমতার বল প্রয়োগ
করে ভারতের
প্রতিটি অমুসলিমকে ধর্মান্তরিত
করে নিতে পারতো। অথচ
শতকরা আশি ভাগেরও বেশি অমুসলিম
আজো ভারতেই আছে। এদের
প্রতিটি অমুসলিম আজ সুস্পষ্ট সাক্ষ্য
বহন করছে যে, “ইসলাম তরবারীর
সাহায্যে প্রসারিত হয়নি।”
ছ. ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া
ইন্দোনেশিয়া একটি দেশ। পৃথিবীর
সর্বোচ্চ-সংখ্যক মুসলমান সেখানে বাস
করে। মালয়েশিয়ায় জনসংখ্যার
অধিকাংশ মুসলমান। কেউ একজন প্রশ্ন
করতে পারে, কোন মুসলিম
সেনাবাহিনী ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ায়
গিয়েছিল?
জ. আফ্রিকার পূর্বপ্রান্ত
একই ভাবে ইসলাম অত্যন্ত দ্রুততার
সাথে আফ্রিকার পূর্বতীরে বিকাশ লাভ
করে। কেউ একজন আবারো প্রশ্ন
করতে পারে, ইসলাম যদি তরবারীর
অগ্রভাগ দিয়েই প্রসারিত
হয়ে থাকে তাহলে আফ্রিকার
পূর্বতীরে কোন মুসলিম
বাহিনী তরবারী নিয়ে গিয়েছিল?
ঝ. থমাছ কারলাইল
বিশ্ববরেণ্য ঐতিহাসিক থমাস কারলাইল
তার রচনা ‘হিরোয এন্ড হিরো ওরশিপ’
গ্রন্থে ইসলামের বিকশিত
হওয়া নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা সেই
প্রসঙ্গে বলা হয়েছে-“তরবারী, কিন্তু
কোথায় পাবে তুমি তোমার তরবারী?
প্রত্যকটি নতুন ‘মত’ তার
শুরুতে সুস্পষ্টভাবে নির্দিষ্ট হয়- এক
জনের সংখ্যালঘুত্বে। মাত্র একজন
মানুষের মাথায়। সেখানেই তা থাকে।
সারা পৃথিবীর একজন মাত্র মানুষ
তা বিশ্বাস করে, অর্থাৎ সকল মানুষের
বিপক্ষে মাত্র একজন মানুষ।
একখানা তরবারী সে নিল
এবং তা দিয়ে তা (তার চিন্তা) প্রচার
করতে চেষ্টা করল। তাতে তার
কোনো কাজ হবে কি? তোমার
তরবারী তোমাকেই খুঁজে নিতে হবে! মোট
কথা একটি জিনিস নিজে নিজেই
প্রচারিত হবে যেমনটা তার
ক্ষমতা আছে।”
ঞ. দ্বীন নিয়ে কোন জবরদস্তী নেই।
কোন তরবারী দিয়ে ইসলাম বিকশিত
হয়েছে?
এমনকি সে তরবারী যদি মুসলমানদের
হাতেও থাকতো তাহলেও তারা তা ইসলাম
প্রচারের জন্য ব্যবহার করতে পারত
না কারণ তাদের হৃদয় স্পন্দন আল
কুরআন বলেছেঃ
(আরবী)----------------------
দ্বীন নিয়ে কোনো জবরদস্তি নেই। সকল
ভ্রান্তি-বিভ্রান্তি ও
ভ্রষ্টতা থেকে সরল-শুদ্ধ সত্য-পথ
স্পষ্ট করে দেয়া আছে।
ট. জ্ঞান ও প্রজ্ঞার তরবারী
তা ছিল চেতনা ও জ্ঞানের তরবারী,
যে তরবারী মানুষের হৃদয় ও মন
অন্তরকে জয় করেছে। জ্যোতীর্ময়
কুরআনের সূরা নাহলে বলা আছেঃ
আরবী-------------------
আহবান করো সকলকে তোমার
বিধাতা প্রতিপালকের পথে-
পান্ডিত্যপূর্ণ সুন্দরতম বাগ্মীতার
সাথে। আর যুক্তি প্রমাণ
দিয়ে আলোচনা করো তাদের
সাথে এমনভাবে, যা সর্বোত্তম
(এবং সে আহবান হতে হবে এমন
হৃদ্যতাপূর্ণ যেন কোন পাষাণ হৃদয়ের
কাছেও তা গ্রহণযোগ্য হয়)।
(১৬:১২৫)
ঠ. ১৯৩৪ সাল থেকে ১৯৮৪ পর্যন্ত
পৃথিবীতে ধর্ম বর্ধিষ্ণুতার
১৯৮৬ সালের রীডার্স ডাইজেস্টের
‘এলমানাক’ সংখ্যার একটি তথ্য সমৃদ্ধ
প্রবন্ধে- পূর্বের অর্ধ
শতাব্দীতে প্রধান প্রধান ধর্মসমূহের
বর্ধিষ্ণুতার হার
সম্পর্কে একটি পরিসংখ্যান
দেয়া হয়েছে। প্রবন্ধটি “প্লেইন ট্রুথ”
মাগ্যাজিনেও প্রকাশিত হয়। সর্বোচ্চ
পর্যায়ে রয়েছে ইসলাম-
যা বেড়েছে ২৩৫% হারে।
এখানে একজন প্রশ্ন করতে পারে, কোন
যুদ্ধ অবস্থান নিয়েছিল এ
শতাব্দীতে যা কোটি কোটি মানুষকে ধর্মান্তরীত
করে মুসলমান বানিয়েছিল?
ঢ. আমেরিকা ও ইউরোপে ‘ইসলাম’
দ্রুততম বর্ধিষ্ণু ধর্ম
আজকের দিনে আমেরিকায় দ্রুততম
বর্ধিষ্ণু ধর্ম ‘ইসলাম’। মুসলমানের
সংখ্যা দ্রুত গতিতে বেড়েই
চলেছে ইউরোপেও। শক্তি ও বিকশিত
সভ্যতার অহংকারে চীৎ
হয়ে থাকা পাশ্চাত্য সভ্যতার এই সব
সু-সভ্য মানুষকে এত বিরাট সংখ্যায়
ইসলাম গ্রহণ করতে কোন
তরবারী বাধ্য করছে?
ড. ডক্টর জোসেফ এডাম পিয়ারসন
ডক্টর জোসেফ এডাম পিয়ারসন
যথার্থই বলেছেন,
যারা আশঙ্কা করছে আনবিক
বোমা কোনো একদিন আরবদের
হাতে এসে পড়বে।
তারা উপলদ্ধি করতে ব্যর্থ হয়েছে যে,
ইসলামী বোমা ইতিমধ্যেই
ফেলে দেয়া হয়েছে। এটা পড়েছে সেদিন
যেদিন মুহাম্মদ (স) জন্ম নিয়েছিলেন।


শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের কে জানার সুযোগ দিন ।আপনি জেনেছেন হয়তো সে জানেনা ।আমার ব্লগ বাড়ীতে বেড়াতে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।সাথে থাকুন সব সময় ।আল্লাহ্ হাফেজ ।

কোন মন্তব্য নেই :

ইসলাম সম্পর্কে অমুসলিমদের ২০টি বিভ্রান্তিকর প্রশ্নের জবাব (ডা: জাকির নায়েক এর লেকচার): পর্ব- ৫

কোন মন্তব্য নেই
৫.মুসলমানরা মৌলবাদী এবং সন্ত্রাসী
প্রশ্নঃ মুসলমানদের অনেকেই
মৌলবাদী ও সন্ত্রাসী কেন?
জবাব
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক অথবা ধর্ম
সম্পর্কিত কোনো আলোচনা উঠলেই
প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এ
প্রশ্নটি মুসলমানদের
দিকে ছুঁড়ে মারা হয়। সুপরিকল্পিত এ
প্রচার, বিরামহীনভাবে প্রচারের
প্রতিটি মাধ্যম থেকে আরো অসংখ্য
মিথ্যা ও ভুল তথ্য সহকারে ইসলাম ও
মুসলমানদের বিরুদ্ধে চালানো হচ্ছে।
কার্যত এই ধরনের ভুল তথ্য ও
মিথ্যা রটনা মুসলমানদেরকে বর্বর
হিসেবে চিহ্নিত করা এবং অন্যান্য
ধর্মাবলম্বী মানুষদেরকে মুসলমানদের
বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তোলার জন্যই
করা হয়।
ওকলাহোমায় বোমা বিষ্ফোরনের
পরে আমেরিকান প্রচার মাধ্যমের
মুসলিম বিরোধী প্রচারণার
একটি প্রকৃষ্ট নমুনা পাওয়া যায় গেছে।
যেখানে এই আক্রমনের
নেপথ্যে ‘মধ্যপ্রাচ্যের ষড়যন্ত্র’ কাজ
করেছে বলে সংবাদ মাধ্যম গুলোর
ঘোষনা করে দিতে এতটুকু দেরী হয়নি।
অথচ মূল
অপরাধী হিসেবে পরবর্তীকালে যাকে সনাক্ত
করা হয়েছে সে ছিল ‘আমেরিকান সশস্ত্র
বাহিনীরই একজন সৈনিক’। আসুন এবার
সন্ত্রাসবাদ ও মৌলবাদের অভিযোগ
দুটি পর্যালোচনা করে দেখি।
ক. মৌলবাদী শব্দটির সংজ্ঞা
মৌলবাদী এমন এক ব্যক্তি যে অনুসরণ
ও আনুগত্য করে তার চিন্তা বিশ্বাসের
মৌলনীতি ও শিক্ষা সমূহকে। কেই
যদি ভালো ডাক্তার হতে চায়
তাহলে তাকে জানতে হবে,
বুঝতে হবে এবং কঠোর
অনুশীলনী চালাতে হবে ঔষধের মূল
কার্যকারীতার ওপর। অন্য কথায়
তাকে হতে হবে ঔষধী জগতের একনিষ্ঠ
মৌলবাদী। একইভাবে কেই
যদি গণিতবেত্তা বা গণিতবীদ হতে চায়
তাহলে তাকে জানতে হবে,
বুঝতে পারতে হবে এবং একাগ্র
মনোযোগে অনুশীলনী চালাতে হবে গণিতের
মূল সূত্রে ওপরে। অর্থাৎ
তাকে হতে হবে গণিত শাস্ত্রের
মৌলবাদী। একইভাবে কেই
যদি বিজ্ঞানী হতে চায়
তাহলে তাকে জেনে নিতে হবে,
বুঝতে হবে এবং গভীর গবেষণায় নিমগ্ন
হয়ে অনুশীলনী চালাতে হবে বিজ্ঞানের
মৌলতত্ত্ব ও মূল সূত্রগুলোর ওপর।
অর্থাৎ তাকে হতে হবে বিজ্ঞান জগতের
মৌলবাদী।
খ. সব মৌলবাদী একরকম নয়
সব মৌলবাদীর চিত্র যেমন একই
তুলি দিয়ে আঁকা যাবে না।
তেমনি ভালো কি মন্দ, হুট করে এরকম
কোনো মন্তব্যও করা যাবে না।
যে কোনো মৌলবাদীর শ্রেণী বিন্যাস
নির্ভর করে তার কাজ ও
সে কর্মে জগত নিয়ে।
একটি মৌলবাদী ডাকাত বা চোর সমাজের
জন্য ক্ষতিকর
সুতরাং সে অনাকাঙ্খিত।
অপরদিকে একজন মৌলবাদী চিকিৎসক
সমাজের জন্য কল্যাণকর এবং শ্রদ্ধা ও
সম্মানের পাত্র।
গ. একজন মৌলবাদী মুসলিম
হতে পেরে আমি গর্বিত
আমি একজন মৌলবাদী মুসলিম।
আল্লাহর অসীম কৃপায়-জানি,
বুঝি এবং চেষ্টা করি ইসলামের
মুলনীতি সমূহকে অনুশীলন করতে।
আল্লাহতে সমর্পিত কোনো একজন
মৌলবাদী মুসলিম আখ্যায়িত
হতে আদৌ লজ্জিত হবে না। একজন
মৌলবাদী মুসলিম হতে পেরে আমি গর্বিত
এবং নিজেকে ধন্য মনে করি কারণ
আমি জানি ইসলামের মৌলনীতি সমূহ
বিশ্বমানবতার জন্য শুধুই কল্যাণকর।
পৃথিবীর জন্য তা আশির্বাদ স্বরুপ।
ইসলামের এমন
একটি মূলনীতি খূঁজে পাওয়া যাবে না যা বিশ্বমানবতার
জন্য ক্ষতিকর
অথবা সামগ্রীকভাবে মানুষের স্বার্থের
প্রতিকূলে।
অনেক মানুষই ইসলাম সম্পর্কে তাদের
মনে অসংখ্য ভ্রান্ত ধারণা পোষণ
করে এবং ইসলামের কিছু কিছু
শিক্ষাকে অযৌক্তিক ও অবিচারমূলক
বলে আখ্যায়ীত করে। এটা ইসলাম
সম্পর্কে তাদের অশূদ্ধ ও অপ্রতুল
জ্ঞানের কারণে।
কেই যদি মুক্তবুদ্ধি মুক্তমন ও
ন্যায়পরায়ন মনোবৃত্তি নিয়ে ইসলামের
শিক্ষা সমূহকে সূক্ষ্মভাবে বিচার
বিশ্লেষণ করে দেখেন,
তাহলে তারপক্ষে একথা অস্বীকার
করার কোনো উপায় থাকবে না যে,
ইসলাম ব্যক্তির স্বতন্ত্র
পর্যায়ে অথবা সমাজের সামগ্রীক
পর্যায়ে -মানবতার জন্য অফুরন্ত
কল্যাণের এক অমিয় ঝর্ণাধারা।
ঘ. মৌলবাদ শব্দটির আভিধানিক অর্থ
ওয়েবেষ্টারস
ডিকশনারী অনুযায়ী “ফান্ডামেন্টালিজম”
ছিল একটি আন্দোলনের নাম। যা বিংশ
শতাব্দীর গোড়ার দিকে আমেরিকার
প্রোটেস্ট্যান বাদীরা গড়ে তুলেছিল।
এটা ছিল আধুনিকতাবাদীদের
বিরুদ্ধে তীব্র
প্রতিক্রিয়া এবং বাইবেলের নির্ভুল
হওয়ার স্বপক্ষে কঠিন চাপ প্রয়োগ।
তা শুধু বিশ্বাস ও শিক্ষার ক্ষেত্রেই
নয়- সাহিত্য ও ঐতিহাসিক তথ্যাদির
ক্ষেত্রেও। বাইবেলের ভাষা, আক্ষরিক
অর্থেই তাদের গড় এর-এভাবে ‘মৌলবাদ’
এমনই একটি শব্দ যা প্রাথমিক
পর্যায়ে ব্যবহৃত হয়েছিল খ্রীস্টানদের
একটি দলের জন্য যারা বিশ্বাস
করতো ‘বাইবেল’ কোনো ধরনের ভুল
ভ্রান্তিহীন, আক্ষরিক ভাবেই আল্লাহর
কথা।
অক্সফোর্ড ডিকশনারীতে বর্ণিত
‘ফান্ডামেন্টালিজম’-এর অর্থ-
যে কোনো ধর্মের মৌলিক
শিক্ষাসমূহকে কোনো শৈথীল্য বরদাস্ত
না করে কঠোর অনুশীলন, লালন ও পালন
করা। বিশেষ করে ইসলামের।
আজ যখনই কেউ ‘মৌলবাদ’
শব্দটি ব্যবহার করে তার ভাবনায়
চলে আসে এমন একজন মুসলমান
যে সন্ত্রাসী।
ঙ. প্রত্যেক মুসলমানের
সন্ত্রাসী হওয়া কাম্য
প্রত্যেক মুসলমানের সন্ত্রাসী একজন
সন্ত্রাসী তো হওয়া উচিত।
সন্ত্রাসী তো তাকেই বলে যে ত্রাস
বা আতঙ্কের সৃষ্টি করে। যখনই
কোনো ডাকাত একজন পুলিশকে দেখে-
সে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। অর্থাৎ একজন
পুলিশ ডাকাতের জন্য ‘সন্ত্রাসী’।
এভাবেই চোর-ডাকাত, ধর্ষণকারী,
বদমাশ তথা সমাজ বিরোধী সকল
দুষ্কৃতকারীর জন্য একজন
মুসলমানকে আতঙ্ক
সৃষ্টিকারী সন্ত্রাসী হতে হবে। যখনই
সমাজ বিরোধী কোনো বদমাশ একজন
মুসলমানকে দেখবে সে যেন আতঙ্কিত
হয়ে পড়ে।
এ ব্যাপারে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই
যে, ‘সন্ত্রাসী’
শব্দটি সাধারণভাবে ব্যবহৃত হয় এমন
এক লোকের জন্য যে সাধারণ মানুষের
মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি করে। কাজেই
একজন সত্যিকারের মুসলমান
সন্ত্রাসী হবে অপরাধীদের জন্য-নিরীহ
সাধারণ জগণের নয়। বস্তুত একজন
মুসলমানকে হয়ে উঠতে হবে নিরীহ
জনসাধারনের সামনে শান্তি ও
নিরাপত্তার অবলম্বন।
চ. একই ব্যক্তিকে একই কাজের জন্য
ভিন্ন ভিন্ন নাম দেয়া হয়েছে-
সন্ত্রাসী এবং দেশ প্রেমিক
ইংরেজদের গোলামী থেকে ভারত যখন
স্বাধীনতা অর্জন করল তখন ভারত-
মুক্তির অসংখ্য
যোদ্ধা যারা গান্ধীবাদী অহিংসার
পথকে সমর্থন করেনি। ব্রিটিশ সরকার
তাদেরকে ‘সন্ত্রাসী’ লেবেল
লাগিয়ে দিয়েছিল। সেই একই
ব্যক্তিত্বদের ভারতীয়রা সম্মানিত
করেছে। আর সেই একই কর্মকান্ডের
কজন আখ্যা দিয়েছে ‘দেশ প্রেমিক’।
এভাবেই দুটি ভিন্ন ভিন্ন নাম
দেয়া হয়েছিল একই লোকদেরকে একই
কর্মকান্ডের জন্য। এক
শ্রেণী যেখানে তাকে বলেছে একজন
‘সন্ত্রাসী। সেখানে অন্য
শ্রেণী তাকে বলেছে ‘দেশ প্রেমিক’।
যারা বিশ্বাস করত ইংরেজদের অধিকার
ছিল ভারত শাসন করার
তারা তাদেরকে সন্ত্রাসী বলত। আর
যারা বিশ্বাস করত ইংরেজদের
কোনো অধিকার নেই ভারত শাসন করার,
তারা তাদেরকে বলত ‘দেশ প্রেমীক’
এবং ‘মুক্তিযোদ্ধা’। কাজেই
বিষয়টা হালকা করে গুরুত্বহীনভাবে দেখার
কোনো উপায় নেই।
কারো ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করার
আগে ভালো করে শুনে নিতে হবে উভয়
পক্ষের যাবতীয় বক্তব্য। অবস্থা ও
প্রেক্ষিতের পর্যালোচনা করতে হবে।
ব্যক্তির লক্ষ্য ও
উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে তারপর বিচার
করা যেতে পারে। এবং তারপর প্রশ্ন
আসবে চূড়ান্ত মন্তব্যের।
ছ. ইসলাম মানে শান্তি
ইসলাম শব্দের উৎপত্তি ‘সালাম’ থেকে।
এর অর্থ শান্তি। একটা শান্তির জীবন
ব্যবস্থা। যার মৌলিক নীতি সমূহ তার
অনুসারীদের শিক্ষা দেয়
গোটা পৃথিবীতে শান্তির শ্লোগান
উচ্চকিত করতে এবং তা অর্জিত
হলে তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে।
প্রতিটি মুসলিম মৌলবাদী হবে।
তাকে নিষ্ঠার সাথে অনুসরণ
করতে হবে শান্তির জীবন বিধান
ইসলামের মৌলিক শিক্ষা সমূহের।
তাকে মূর্তিমান আতঙ্ক ও
সন্ত্রাসী হয়ে উঠতে হবে সমাজ
বিরোধী দুষকৃতিকারীদের সামনে।
যাতে সমাজে ন্যায়পরায়ণা, সুবিচার ও
শান্তি-শৃঙ্খলা দিন দিন বৃদ্ধি পায়-
বজায় থাকে।

শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের কে জানার সুযোগ দিন ।আপনি জেনেছেন হয়তো সে জানেনা ।আমার ব্লগ বাড়ীতে বেড়াতে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।সাথে থাকুন সব সময় ।আল্লাহ্ হাফেজ ।

কোন মন্তব্য নেই :

ইসলাম সম্পর্কে অমুসলিমদের ২০টি বিভ্রান্তিকর প্রশ্নের জবাব (ডা: জাকির নায়েক এর লেকচার): পর্ব- ৬

কোন মন্তব্য নেই
৬. আমিষ খাদ্য গ্রহণ
প্রশ্নঃ একটি পশুকে হত্যা করা নিঃসন্দেহে অত্যন্ত
নিষ্ঠুর কাজ। তাহলে মুসলমানরা কেন
এতো পশু হত্যা করে, আমিষ খাদ্য
গ্রহন করে।
জবাব
‘নিরামিষবাদ” বিশ্বব্যাপী এখন
একটা আন্দোলনে পরিণত হয়েছে।
অনেকেই এমনকি এটাকে যুক্ত
করেছে ‘পশু অধিকারের’ সাথে। সন্দেহ
নেই জনগণের একটি বিশাল অংশ
মনে করেন মাংস ভক্ষণ এবং অন্যান্য
উৎপাদিত আমিষ দ্রব্যসামগ্রী ‘পশু
অধিকার’ কে হরণ করে।
ইসলাম আদেশ করে সকল সৃষ্টি জীবের
প্রতি দয়া ও অনুকম্পার নীতি গ্রহণ
করতে। একই সাথে ইসলাম এ বিশ্বাসও
লালন করে যে, এ পৃথিবীর যাবতীয় ফুল-
ফল তথা উদ্ভিদ ও
পশুপাখি এবং জলজপ্রাণী, সৃষ্টিই
করা হয়েছে মানুষের জন্য। এর পরের
দায়িত্ব মানুষের, এসব সম্পদ
ভারসাম্যপূর্ণ ও ন্যায় সঙ্গত
ভাবে ব্যবহার করা এবং আল্লাহর এই
নেয়ামত (বিশেষ অনুগ্রহ) ও আমানত
সমূহের যথাযথ সংরক্ষণ তাদেরই
দায়িত্বের অন্তর্ভূক্ত।
এ বিতর্কের সম্ভাব্য আরো কিছু দিক
পর্যালোচনা করে নেয়া যাক।
ক. একজন মুসলিম সম্পূর্ণ
নিরামিষভোজীও হতে পারে
একজন মুসলমান সম্পূর্ন
নিরামিষভোজী হয়েও প্রথম শ্রেণীর
মুসলিম থাকতে পারেন।
এটা বাধ্যতামূলক কিছু নয় যে, একজন
মুসলমানকে আমিষ খাদ্য খেতেই হবে।
খ. জ্যোতির্ময় কুরআন
মুসলমানদেরকে আমিষ খাবারের
অনুমতি দেয়
মুসলমানদের পথ প্রদর্শক আল-
কুরআনের নিম্নোদ্ধৃত আয়াত সমূহ তার
প্রমান। বলা হচ্ছেঃ
(আরবী)--------------------------
হে ঈমান ধারণকারীরা! পূরণ
করো তোমাদের প্রতি সকল অর্পিত
দায়িত্ব। তোমাদের জন্য হালাল
করা হয়েছে (খাবার জন্য) সকল চতুষ্পদ
জন্তু-অন্য কারো নামে তা জবাই
করা না হয়ে থাকলে। (৫:১)
(আরবী)-----------------------
আর গৃহপালিত পশু তিনি সৃষ্টি করেছেন
তোমাদের জন্য
ওগুলো থেকে তোমরা উষ্ণতা পাও
(গরমের পোশাক) এবং আরো অসংখ্য
উপকারী জিনিষ। আর সেগুলো(গোস্ত)
তোমরা খাও। (১৬:৫)
(আরবী)-------------------
আর গৃহপালিত পশুর মধ্যে তোমাদের
জন্য রয়েছে শেখার মতো উদাহরণ।
ওগুলো দেহ-অভ্যন্তর
থেকে আমরা এমন কিছু উৎপাদন
করি (দুধ) যা তোমরা পান করো।
ওগুলোর মধ্যে অসংখ্য উপকার
আছে তোমাদের জন্য আর
ওগুলো (গোস্ত) তোমরা খাও।
(২৩:২১)
গ. মাংস পুষ্টিকর এবং আমিষে ভরপুর
আমিষ খাদ্য প্রোটিনের অন্যতম
শ্রেষ্ঠ উৎস। জৈবীক ভাবেই
তা প্রোটিন সমৃদ্ধ।
আটটি অতি প্রয়োজনীয় এমাইনো এসিড
যা দেহের দ্বারা সমন্বিত হয় না। তাই
খাদ্যের মাধ্যেমে তা সরবরাহ
করতে হয়। মাংসের
মধ্যে আরো আছে লৌহ, ভিটামিন বি-১
এবং নিয়াসিন।
ঘ. মানুষের দাঁত সব রকম খাদ্য
গ্রহনে সক্ষম করে বিন্যস্ত
আপনি যদি পর্যবেক্ষণ করেন
তৃণভোজী প্রাণীর দাঁতের বিন্যাষ-যেমন
গরু, ছাগল, ভেড়া, হরিণ ইত্যাদি।
আপনি দেখে আশ্চর্য হবেন যে, তা সব
একই রকম। এসব পশুর দাঁত
ভোঁতা (সমতল) যা তৃণ জাতীয় খাদ্য
গ্রহণের জন্য উপযোগী।
আপনি যদি লক্ষ্য করেন
মাংসাশী পশুদের দন্ত বিন্যাস অর্থাৎ
বাঘ, সিংহ, লিউপার্ড, শৃগাল,
হায়েনা ইত্যাদি-এগুলোর দাঁত
ধারালো যা মাংসের জন্য উপযোগী।
মানুষের দাঁত লক্ষ্য
করে দেখলে দেখা যাবে সমতলের
ভোঁতা দাঁত যেমন
আছে তেমনি ধারালো এবং চোখা দাঁতও
আছে। অর্থাৎ মানুষের দাঁত মাংস ও তৃণ
উভয় ধরনের খাদ্য গ্রহনের জন্য
উপযোগী। এক কথায় ‘সর্বভূক’।
কেই হয়তো প্রশ্ন
করতে পারে সর্বশক্তিমান আল্লাহ
যদি চাইতেন মানুষ শুধু
তরিতরকারী খাবে তাহলে আমাদের
মুখে ধারালো দাঁত ক’টি দিলেন কেন? এর
দ্বারা এটাই কি প্রমাণিত হয়না যে, খোদ
সৃষ্টিকর্তাই চান যে, মানুষ সব ধরনের
খাবার গ্রহণ করুক।
ঙ. আমিষ ও নিরামিষ দুই ধরণের খাদ্যই
মানুষ হজম করতে পারে।
তৃণভোজী প্রাণির হজম প্রক্রিয়া শুধু
তৃণ জাতীয় খাদ্যই হজম করতে পারে।
মাংসাশী প্রাণীর হজম
প্রক্রিয়া পারে শুধু মাংস হজম করতে।
কিন্তু মানুষের হজম প্রক্রিয়া তৃণ ও
মাংস উভয় ধরনের খাদ্যই হজম
করতে সক্ষম।
সর্বশক্তিমান আল্লাহ যদি চাইতেন
আমরা শুধু নিরামিষ ভক্ষণ
করি তাহলে তিনি আমাদেরকে এমন হজম
শক্তি দিলেন কেন যা দিয়ে তৃণ ও মাংস
উভয় ধরনের খাদ্যই হজম করা যায়?
চ. হিন্দু ধর্ম-গ্রন্থ আমিষ খাদ্য
গ্রহণের অনুমতি দেয়
১. অসংখ্য হিন্দু রয়েছে যারা নিষ্ঠাবান
নিরামিষ ভোজি। তারা আমিষ
খাদ্যকে তাদের ধর্ম বিরোধী মনে করে।
অথচ আসল সত্য হলো, হিন্দু শাস্ত্রই
মাংস খাবার অনুমতি দিয়েছে। গ্রন্থসমূহ
উল্লেখ করেছে- পরম বিজ্ঞ সাধু-
সন্তরা আমিষ খাবার গ্রহণ করতেন।
২. হিন্দুদের আইনের গ্রন্থ
মনুশ্রুতি পঞ্চম অধ্যায় শ্লোক ৩০এ
আছে-খাদ্য গ্রহণকারী যে খাবার খায়,
সেই সব পশুর যা খাওয়া যায়,মন্দ কিছু
করে না।এমনকি সে যদি তা করে দিনের
পর দিন। ঈশ্বর নিজেই সৃষ্টি করেছেন
কিছু ভক্ষিত হবে আর কিছু ভক্ষণ
করবে।
৩. মনুশ্রুতীর পঞ্চম অধ্যায়ের
৩১শ্লোকে আবার বলা হয়েছে- যা মাংস
ভক্ষণ শুদ্ধ উৎসের জন্য। ঈশ্বরের
বিধান হিসেবে বংশ পরম্পরায়
তা জানা আছে।
৪. এরপরে মনুশ্রুতীর পঞ্চম অধ্যায়ের
৩৯ এবং ৪০
শ্লোকে বলা হয়েছেঃ ঈশ্বর নিজেই
সৃষ্টি করেছেন উৎসর্গের পশু উৎসর্গের
জন্যই। সুতরাং উৎসর্গের জন্য হত্যা-
হত্যা নয়।
৫. মহাভারত অনুশীলন পর্ব ৮৮
অধ্যায় বর্ণনা করছে-ধর্মরাজ
যুধিষ্টির ও পিতামহ ভীষ্ম, এদের, এদের
মধ্যে কথোপকথন কেউ যদি শ্রাদ্ধ
করতে চায়
তাহলে সে অনুষ্ঠানে কি ধরনের খাবার
খাওয়ালে স্বর্গীয় পিতৃ পুরুষ
(এবং মাতাগণ) সন্তুষ্ট হবেন।
যুধিষ্টির বলল, হে মহাশক্তির মহাপ্রভু!
কি সেই সব বস্তু সামগ্রী যাহা-
যদি উৎসর্গ করা হয়
তাহলে তারা প্রশান্তি লাভ করবে ?
কি সেই বস্তু সামগ্রী যা (উৎসর্গ
করলে) স্থায়ী হবে? কি সেই বস্তু
যা (উৎসর্গ করলে) চিরস্থায়ী হবে?
ভীষ্ম বলেছেন, তাহলে শোন
হে যুধিষ্টীর! কী সেই সব সামগ্রী।
যারা গভীর জ্ঞান রাখে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান
সম্পর্কে- যা উপযোগী শ্রাদ্ধের জন্য।
আর কি সেই ফল-ফলাদি যা তার
সঙ্গে যাবে। সীম বিচীর সাথে চাল,
বার্লী এবং মাশা এবং পানি আর
বৃক্ষমূল (আদা, আলু বা মূলা জাতীয়)
তার সাথে ফলাহার। যদি স্বর্গীয়
পিতৃদেবদের শ্রাদ্ধে দেয়া হয়। হে রাজা!
তা হলে তারা এক মাসের জন্য সন্তুষ্ট
থাকবে।
শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে মৎস সহকারে আপ্যায়ন
করলে স্বর্গীয় পিতৃকুল দুই মাসের জন্য
সন্তুষ্ট থাকবে। ভেড়ার মাংস সহকারে-
তিন মাস। খরগোশ সহকারে চারমাস।
ছাগ-মাংস সহকারে ৫ মাস। শুকর-মাংস
সহকারে ছয় মাস। পাখীর মাংস
দিয়ে আপ্যায়িত করলে সাত মাস।
হরিণের মধ্যে ‘প্রিসাতা’ হরিণ শিকার
করে খাওয়ালে আট মাস এবং ‘রুরু’ হরিণ
দিলে নয় মাস। আর গাভীর মাংস
দিলে দশমাস। মহিসের মাংশ দিলে তাদের
সন্তুষ্টি এগারো মাস বজায় থাকে।
শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে গরুর মাংস
দিয়ে আপ্যায়ন করলে, বিশেষ
করে বলা হয়েছে তাদের
সন্তুষ্টি থাকে পুরো এক বছর।
ঘি মিশ্রিত পায়েশ, স্বর্গীয় পিতৃপুরুষের
কাছে গরুর মাংসের মতোই প্রিয়।
ভদ্রিনাসার (বড় ষাড়) মাংস
দিয়ে আপ্যায়ন করলে পিতৃপুরুষ বার
বছর সন্তুষ্ট থাকেন। পিতৃপুরুষের মৃত্যু
বার্ষিকি গুলোর
যে দিনটিতে সে মারা গেছে সেই রকম
একটি দিন দিন যদি শুক্ল পক্ষের হয়
আর তখন যদি গন্ডারের মাংস
দিয়ে শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে আপ্যায়ন
করা যায়- স্বর্গীয় পিতৃ পুরুষের
সন্তুষ্টি অক্ষম হয়ে যায়। ‘কালাসকা’
কাঞ্চন ফুলের পাপড়ি আর লাল ছাগলের
মাংস যদি দিতে পারো তাহলেও তাদের
সন্তুষ্টি অক্ষয় হয়ে যাবে।
অতএব আপনি যদি চান আপনার
স্বর্গীয় পিতৃপুরুষের সন্তুষ্টি অক্ষয়
হয়ে যাক তাহলে লাল ছাগলের মাংস
দিয়ে শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে আপ্যায়ন
করতে হবে।
ছ.হিন্দু ধর্ম অন্যান্য ধর্মের
দ্বারা প্রভাবিত
হিন্দু ধর্ম গ্রন্থ তার অনুসারীদের
আমিষ খাদ্য গ্রহনের অনুমতি দেয়।
তথাপি অনেক হিন্দু নিরামিষ
ভোজনকে সংযোজন করে নিয়েছে।
প্রকৃত পক্ষে এটা এসেছে ‘জৈন’ ধর্ম
থেকে।
জ. উদ্ভীদেরও জীবন আছে
বিশেষ কিছু ধর্ম খাদ্য হিসেবে শুধুমাত্র
নিরামিষ খাবার বাধ্যতামূলক
করে নিয়েছে। কারণ তারা জীব হত্যার
সম্পূর্ণ বিরোধী। যদি কেউ কোনো সৃষ্ট
জীবকে হত্যা না করে বেঁচে থাকতে পারে তাহলে নির্দ্বিধায়
বলতে পারি, আমি হবো প্রথম
ব্যক্তি যে এধরনের জীবন যাপন
পদ্ধতিকে বেছে নেবে।
অতীত কালের মানুষ মনে করত
উদ্ভিদের প্রাণ নেই। অথচ আজ
তা বিশ্ববাসীর কাছে দিবালোকের
মতো স্পষ্ট যে, উদ্ভীদেরও প্রাণ
আছে। কাজেই সম্পূর্ণ নিরামিষ
ভোজী হয়েও জীব হত্যা না করার শর্ত
পূরণ হচ্ছে না।
ঝ. উদ্ভীদ ব্যাথাও অনুভব করতে পারে
এর পরেও হয়তো নিরামিষ
ভোজীরা বলবেন, প্রাণ
থাকলে কি হবে উদ্ভীদ ব্যাথা অনুভব
করতে পারে না। তাই পশু হত্যার
চাইতে এটা তাদের কম অপরাধ।
আজকের বিজ্ঞান পরিষ্কার
করে দিয়েছে উদ্ভিদও ব্যাথা অনুভব
করে কিন্তু তাদের সে আর্ত চিৎকার
মানুষই শোনার ক্ষমতা রাখে না ২০
Herts থেকে ২০০০ Herts এর
ওপরে বা নীচের কোনো শব্দ মানুষের
শ্রুতি ধারণ করতে সক্ষম নয়।
একটি কুকুর কিন্তু
শুনতে পারে ৪০,০০০ Herts
পর্যন্ত। এজন্য কুকুরের জন্য নিরব
‘হুইসেল’ বানানো হয়েছে যার
ফ্রীকোয়েন্সী ২০,০০০ Herts এর
বেশী এবং ৪০,০০০ Herts এর
মধ্যে। এসব হুইসেল শুধু কুকুর
শুনতে পারে, মানুষ পারে না। কুকুর এ
হুইসেল শুনে তার
মালিককে চিনে নিতে পারে এবং সে চলে আসে তার
প্রভুর কাছে।
আমেরিকার এক খামারের মালিক অনেক
গবেষণার পর একটি যন্ত্র আবিষ্কার
করেছে যা দিয়ে উদ্ভীদের
কান্না মানুষের শ্রুতিযোগ্য
করে তোলা যায়।
সে বিজ্ঞানী বুঝে নিতে পারত, উদ্ভীদ
কখন পানির জন্য চিৎকার করত।
একেবারে এখনকার গবেষণা প্রমাণ
করে দিয়েছে যে, উদ্ভীদ সুখ ও দুঃখ
অনুভব করতে পারে এবং পারে চিৎকার
করে কাঁদতেও।
ঞ. দু’টি ইন্দ্রীয়ানুভূতী কম সম্পন্ন
প্রাণীকে হত্যা করা কম অপরাধ নয়
এবার নিরামিষ ভোজীরা তর্কে অবতীর্ণ
হবেন যে, উদ্ভীদের মাত্র
দু’টি অথবা তিনটি অনুভূতির ইন্দ্রীয়
আছে আর পশুর আছে পাঁচটি। কাজেই পশু
হত্যার চাইতে উদ্ভীদ হত্যা অপরাধের
দিক থেকে কম।
ধরুন এক ভাই জন্মগত ভাবেই অন্ধ ও
কালো। চোখে দেখেনা কানেও শোনেনা।
অর্থাৎ একজন স্বাভাবিক মানুষের
তুলনায় দুটি ইন্দ্রীয় তার কম। সে যখন
পূর্ণ যৌবনে এসে প্বৌছাল তখন এক
লোক নির্দয়ভাবে তাকে খুন করল।
খুনী ধরা পড়ার পর-
বিচারালয়ে দাঁড়িয়ে আপনি কি বিচারপতিকে বলবেন,
মহামান্য আদালত খুনিকে আপনি পাঁচ
ভাগের তিন ভাগ শাস্তি দিন?
জ্যোতীর্ময় কুরআন বলেছেঃ
(আরবী)-----------------------
হে মানুষ! পৃথিবীতে যা কিছু
আছে তা থেকে পবিত্র ও উত্তম
(জিনিসগুলো) খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করো।
ট. গৃহপালিত পশুর সংখ্যাধিক্য
পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ যদি ফল-মূল
তরিতরকারী ও শাক শব্জীকেই খাবার
হিসাবে বেছে নেয় তা হলে গবাদী পশুর
জন্য ভু-পৃষ্ঠ ছেড়ে দিয়ে মানুষকে অন্য
কোনো গ্রহে গিয়ে বাস করতে হবে। আর
খাল বিল নদী নালা ও সাগর মহাসাগর
পানি শূন্য হয়ে যাবে মাছ ও অন্যান্য
জ্বলজ প্রাণীর আধিক্য। কেননা উভয়
শ্রেণীর জন্মের হার ও প্রবৃদ্ধি এত
বেশি যে, এক শতাব্দী লাগবে না এ
পৃথিবী তাদের দখলে চলে যেতে।
সুতরাং সৃষ্টিকর্তা বিধাতা প্রতিপালক
আল্লাহ তা’য়ালা খুব ভালো করে জানেন
এবং বোঝেন। তাঁর সৃষ্টিকুলের ভারসাম্য
তিনি কিভাবে রক্ষা করবেন। কাজেই
এটা খুব সহজেই অনুমেয় যে,
তিনি কি কারণে আমাদেরকে মাছ মাংস
খাবার অনুমতি দিয়েছেন।শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের কে জানার সুযোগ দিন ।আপনি জেনেছেন হয়তো সে জানেনা ।আমার ব্লগ বাড়ীতে বেড়াতে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।সাথে থাকুন সব সময় ।আল্লাহ্ হাফেজ ।

কোন মন্তব্য নেই :

ইসলাম সম্পর্কে অমুসলিমদের ২০টি বিভ্রান্তিকর প্রশ্নের জবাব (ডা: জাকির নায়েক এর লেকচার): পর্ব-৭

কোন মন্তব্য নেই
৭.পশু জবাই করার ইসলামীপদ্ধতি-
দৃশ্যতঃ নির্দয়
প্রশ্নঃ মুসলমানরা কেন এত
ধীরে ধীরে কষ্ট
দিয়ে দিয়ে নির্দয়ভাবে পশু জবাই করে?
জবাব
একটি বিরাট সংখ্যাক সমালোচনার বিষয়
পশু জবাইয়ের ইসলামী পদ্ধতি। মুক্ত
মনে নিচের বিষয়গুলো বিবেচনায়
আনলে প্রমাণ হয়ে যাবে জবাই
পদ্ধতিটি শুধু মানবিকই নয়
বৈজ্ঞানিকও বটে।
ক. পশু জবাই করার ইসলামী পদ্ধতি
‘যাক্কায়াতুম’ একটি ক্রিয়া, উৎপন্ন
হয়েছে মূল শব্দ ‘যাকাহ’ থেকে (পবিত্র
করতে)। এর ক্রিয়া ভাব প্রকাশক
‘তায্কীয়াহ’। অর্থাৎ পবিত্রকরণ।
ইসলামী পদ্ধতিতে একটি পশু জবাই
করতে হলে নিম্নোদ্ধৃত শর্তগুলো পূরণ
করতে হবে।
১. সর্বোচ্চ পর্যায়ের ধারালো অস্ত্র
দিয়ে জবাই করতে হবে
অত্যন্ত ধারালো অস্ত্র দিয়ে দ্রুততার
সাথে পশুটি জবাই করতে হবে যেন
ওটা ব্যাথা কম পায়।
২. গলনালী, শ্বাশ নালী ও
রক্তবাহী ঘাড়ের রগ কেটে ফেলতে হবে
‘যাবীহাহ্’ একটি আরবী শব্দ যার
মানে ‘জবাই করা হয়েছে’। যবাই
করতে হবে গলা, শ্বাসনালী ও ঘাড়ের
রক্তবাহী রগগুলো কেটে। মেরুদন্ডের
তন্ত্রী (স্পাইনাল কড) কাটা যাবে না।
৩. শরীরের রক্ত প্রবাহিত
হয়ে বেরিয়ে যেতে হবে।
দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করার
আগে দেহের সমস্ত রক্ত বের
করে দিতে হবে। অধিকাংশ রক্ত বের
করে দিতে হবে এই জন্য যে,
তা ব্যাকটেরিয়া ও জীবানু ইত্যাদির
নিরাপদ নিবাস ও বংশ বিস্তারের
ক্ষেত্র কাজেই মেরুদন্ডের
তন্ত্রী কিছুতেই কাটা যাবে না।
কেননা হৃদযন্ত্রের দিকে যেসব স্নায়ু
তন্তু রয়েছে সেগুলো ক্ষতিগ্রস্ত
হয়ে যেতে পারে এসময়। যা হৃদপিন্ডের
স্পন্দন থামিয়ে দেবার কারণ হবে।
ফলে রক্ত নালীসমূহে রক্ত
আটকা পড়ে যাবে।
খ. রক্ত, রোগ-জীবানু ও ব্যাকটেরিয়ার
সহজ বাহন
জৈব-বিষ ব্যাকটেরিয়া ও রোগ-জীবানু
ইত্যাদির সর্বোত্তম বাহক রক্ত।
সুতরাং ইসলামী জবাই
পদ্ধতি সাস্থ্যবিধি সম্মত।
কেননা রক্ত, যার মধ্যে জৈব-বিষ,
রোগ-জীবানু ও
ব্যাকটেরিয়া বাসা বেধে থাকে।
যা অসংখ্য রোগ ব্যাধির কারণ হয়।
গ. গোস্ত বেশি দিন ভাল থাকে
পৃথিবীতে প্রচলিত খাদ্যের জন্য পশু
হত্যার মধ্যে ইসলামী পদ্ধতীতে জবাই
করা পশুর মাংস বেশিদিন ভালো থাকে।
কেননা তাতে রক্তের পরিমাণ থাকে নাম
মাত্র।
ঘ. পশু ব্যাথা অনুভব করে না
ক্ষীপ্রতার
সাথে গলনালীগুলো কেটে ফেললে মস্তিষ্কের
স্নায়ুতে রক্ত প্রবাহ বিচ্ছিন্ন
হয়ে যায়। যে রক্ত প্রবাহ
ব্যাথা বোধের কারণ। একারণে পশু
ব্যাথা বোধ করে উঠতে পারে না। মৃত্যুর
সময় ওটা যে ছট্ ফট্ করে তা ব্যাথার
জন্য নয় বরং রক্তের
ঘাটতি পড়ে যাওয়ায় মাংসপেশির শৈথিল্য
ও সংকোচনের জন্য এবং দ্রুত
গতিতে দেহের বাইরে যাবার কারণে।

শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের কে জানার সুযোগ দিন ।আপনি জেনেছেন হয়তো সে জানেনা ।আমার ব্লগ বাড়ীতে বেড়াতে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।সাথে থাকুন সব সময় ।আল্লাহ্ হাফেজ ।

কোন মন্তব্য নেই :

ইসলাম সম্পর্কে অমুসলিমদের ২০টি বিভ্রান্তিকর প্রশ্নের জবাব (ডা: জাকির নায়েক এর লেকচার): পর্ব-৮

কোন মন্তব্য নেই
৮.আমিষ খাদ্য মুসলমানদেরকে প্রচন্ড
উগ্র বানিয়ে ফেলে
প্রশ্নঃ বিজ্ঞান আমাদের বলে,
যে যা খায় তার আচরণে তার
প্রতিক্রিয়া প্রকাশ পায়। তাহলে ইসলাম
কেন মুসলমানদেরকে আমিষ খাদ্য
গ্রহণের অনুমতি দেয়। যেখানে পশুর
মাংস ব্যক্তিকে হিংস্র ও
দুঃসাহসী করে তুলতে পারে?
জবাব
ক. পশুর মধ্যে শুধু তৃনভোজী পশু
খাওয়া অনুমোদিত। এ
ব্যাপারে আমি সম্পূর্ণ একমত যে,
ব্যক্তি যা আহার করে তার
প্রতিক্রিয়া তার আচরণে প্রকাশ পায়।
বাঘ, সিংহ, নেকড়ে ইত্যাদি হিংস্র
মাংসাশী প্রাণী খাওয়া ইসলাম নিষিদ্ধ
করেছে- এটা তার অন্যতম
একটি কারণ। এ ধরনের হিংস্র
হয়ে উঠতে পারে। সে কারণে ইসলাম শুধু
মাত্র গরু, মহিশ, ছাগল, ভেড়ার
মতো শান্ত ও খুব
সহজে পোষমানা প্রাণীর মাংস
খেতে অনুমতি দেয়। বস্তুত এ কারণেই
মুসলমানরা শান্তিকামী- শান্তিপ্রিয়।
খ. জ্যোতির্ময় কুরআন বলছে- যা কিছু
মন্দ রাসূল তা নিষিদ্ধ করেছেন
(আরবী)------------------------
রাসূল তাদেরকে ভালো কাজ
করতে আদেশ করেন। আর নিষেধ করেন
যাবতীয় মন্দ থেকে এবং তিনি তাদের
জন্য হালাল করেছেন যা কিছূ ভাল,
পবিত্র, পরিচ্ছন্ন। আর হারাম করেছেন
যা কিছু মন্দ অপরিচ্ছন্ন অপবিত্র।
(৭:১৫৭)
(আরবী)---------------------
রাসূল তোমাদেরকে যা কিছু দেন
তা তোমরা গ্রহণ করো। আর যে সব
থেকে নিষেধ করেন সে সব থেকে বিরত
থাকো। (৫৯-৭)
একজন মুসলমানের জন্য তাদের রাসূলের
এই বার্তার যথেষ্ট যে, আল্লাহ চান
না মানুষ এমন কোনো ধরনের মাংস খায়-
যেখানে অন্য কিছু ধরনকে অনুমোদন
দেয়া হয়েছে।
গ. মাংসাশী প্রাণী খাবার ব্যাপারে রাসূল
(স)-এর বাণী
সহীহ বুখারী ও মুসলিমে বর্ণিত বেশ কিছু
সর্বসম্মত শুদ্ধ হাদীসের
মধ্যে ইবনে আব্বাস (রা) বর্ণিত মুলিম
শরীফের ‘শিকার ও জবাই’ অধ্যায়ের
৪৭৫ নং হাদীসে, সুনানে ইবনে মাজাহর
১৩ অধ্যায়ের ৩২৩২ থেকে ৩২৩৪
হাদীস সমূহ উল্লেখযোগ্য। রাসূল (স)
খেতে নিষেধ করেছেনঃ
১.তীক্ষ্ণ ধারালো দাঁতওয়ালা হিংস্র
জন্তু। অর্থাৎ মাংসাশী বন্য পশু
প্রধানত বেড়াল ও কুকুর জাতীয় বাঘ,
সিংহ, বেড়াল এবং শেয়াল, কুকুর, নেকড়ে,
হায়না ইত্যাদি।
২. তীক্ষ্ণ দন্ডের অন্যান্য
প্রাণী যেমন ইঁদুর, ন্যাংটি ইদুর, ছুঁচো ও
ধারালো নখওয়ালা খরগোশ ইত্যাদি।
৩. সরিশ্রীপ জাতীয় অন্যান্য
প্রাণী যেমন সাপ কুমীর ইত্যাদি।
৪. ধারালো ঠোঁট ও
নখরওয়ালা শিকারী পাখি যেমন চিল,
শুকুন, কাক, পেচাঁ ইত্যাদি। সন্দেহাতীত
ভাবে প্রমাণ করতে পারে এমন
কোনো বৈজ্ঞানীক দলিল নেই যে, আমিষ
খাদ্য গ্রহণের ফলে মানুষ উগ্র ও
হিংস্র হয়ে উঠতে পারে।


শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের কে জানার সুযোগ দিন ।আপনি জেনেছেন হয়তো সে জানেনা ।আমার ব্লগ বাড়ীতে বেড়াতে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।সাথে থাকুন সব সময় ।আল্লাহ্ হাফেজ ।

কোন মন্তব্য নেই :

ইসলাম সম্পর্কে অমুসলিমদের ২০টি বিভ্রান্তিকর প্রশ্নের জবাব (ডা: জাকির নায়েক এর লেকচার): পর্ব-৯

কোন মন্তব্য নেই
৯. মুসলমানরা কা’বার পূজা করে
প্রশ্নঃ ইসলাম যেখানে আকার
বা মূর্তি পূজাকে প্রত্যাখ্যান
করে সেখানে তারা নিজেরাই কেন তাদের
প্রার্থনায় কাবার প্রতি নত হয়ে তার
উপাসনা করে?
জবাব
কা’বা মুসলমানদের ‘কেবলা’।
মুসলমানরা তাদের প্রার্থনায় দিক
নির্দেশক হিসেবে গণ্য করে।
এখানে লক্ষ্য করার মতো বিষয় হলো,
মুসলমানরা তাদের প্রার্থনায় কা’বার
দিকে মুখ
করে বটে তবে তারা কাবা ঘরের
উপাসনা করে না। উপাসনা করে সেই
ঘরের মালিক অদৃশ্য আল্লাহ তা‘আলার।
জ্যোতীর্ময় কুরআনে বলা হয়েছেঃ
(আরবী)-------------------
তোমার (নির্দেশনার জন্য) বার বার
আকাশের
দিকে করে তাকানো আমরা দেখেছি। এখন
আমরা কি তোমাকে ঘুরিয়ে দেব সেই
কেবলার দিকে যা তোমাকে সন্তুষ্ট
করবে? তাহলে ঘুরিয়ে নাও
তোমরা থাকনা কেন (নামাযে) তার
দিকেই মুখ ফিরিয়ে নেবে।
ক. ইসলাম চূড়ান্ত ঐক্যকে উৎসাহিত
করে
যেমন, মুসলমানরা যদি নামায আদায়
করতে চায় তাহলে এমনটা হতেই পারে যে,
কারো ইচ্ছা হবে উত্তর
দিকে ফিরে নামায পড়তে,
কারো ইচ্ছা হবে দক্ষিণ
দিকে দিকে ফিরতে। তাই উপাসনার
ক্ষেত্রেও মুসলমানদের
চূড়ান্তভাবে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য
যেখানেই তারা থাকনা কেন এক আল্লাহর
প্রতি এক মুখী হয়ে তাদের নামায আদায়
করতে বলা হয়েছে। ‘কাবা’ সেই
একটি দিকের দিক-নির্দেশক, অন্য
কিছুই নয়। কাবার
পশ্চিমাঞ্চলে যে মুসলমানরা বাস
করে তারা মুখ করবে পূর্ব দিকে আর
তার পূর্বাঞ্চলে যারা বাস
করে তারা মুখ করবে পশ্চিম দিকে।
একইভাবে উত্তরাঞ্চলের
লোকেরা দক্ষিণ দিকে আর
দক্ষিণাঞ্চলের লোকেরা উত্তর দিকে।
খ. পৃথিবী গোলকের কেন্দ্রবিন্দু কা‘বা
মুসলমানরাই প্রথম পৃথিবীর মানচিত্র
এঁকেছিল। তাদের চিত্রে দক্ষিণ ছিল
ওপর দিকে আর উত্তর ছিল নিচের
দিকে। তখন কা‘বা ছিল কেন্দ্র
বিন্দুতে।
পরবর্তিকালে পশ্চিমা মানচিত্রকররা পৃথিবীর
যে মানচিত্র আঁকলো তাতে ওপর
দিকটা নিচে আর নিচের
দিকটা ওপরে অর্থাৎ উত্তর
হলো ওপরের দিকে আর দক্ষিণ
হলো নিচের দিকে। আলহামদুলিল্লাহ এ
ক্ষেত্রেও “কাবাই মানচিত্রের কেন্দ্র
বিন্দু থেকে গেল”।
গ. কা‘বাকে ঘিরে তওয়াফ করা আল্লাহর
একত্বের নির্দেশক
মুসলমানরা কা’বা যেয়ারতে মক্কায়
গেলে ‘তাওয়াফ’ করে। অর্থাৎ
কা’বা ঘরকে কেন্দ্র
করে চারিদিকে প্রদক্ষিণ করে।
কাজটি এক আল্লাহ বিশ্বাস ও
উপাসনার নিদর্শন। প্রতিটি বৃত্ত
গোলাকার এবং তার একটিই কেন্দ্র
বিন্দু থাকে। কাজেই উপাসনার যোগ্য
আল্লাহ-মাত্র একজনই, এটা তারই
অন্যতম নিদর্শণ।
ঘ. হযরত উমর (রা) এর হাদীস
হাজরে আসওয়াদ বা কালো পাথর
সম্পর্কিত হযরত উমর (রা) এর
একটি বিখ্যাত উক্তি রয়েছে।
হাদীসে শাস্ত্র অনুযায়ী যাকে ‘আছার’
বা ঐতিহ্য বলা যায়। বুখারী শরীফের
হজ্জ সম্পর্কিত ৩৫৬ অধ্যায়ে ৬৭৫
নং হাদীসে, উমর (রা) বলেছেন,
“আমি জানি তুমি একটি পাথরখন্ড
মাত্র এবং না কোনো উপকার
করতে সক্ষম না কোনো ক্ষতি।
আমি যদি না দেখতাম খোদ আল্লাহর
রাসূল (স) তোমাকে স্পর্শ করেছেন
তা হলে কস্মিন কালেও
আমি তোমাকে স্পর্শ করতাম না।”
ঙ. মানুষ কা’বা ঘরের ওপরে উঠে আযান
দিয়েছিল
রাসূলুল্লাহ (স) এর
সময়ে লোকেরা কা’বা ঘরের
ওপরে উঠে আযান দিত।
মুসলমানরা কা’বা ঘরের
উপাসনা করে বলে যারা মনে করেন
তাদেরকে যদি কেউ প্রশ্ন করে যে, কোন
মুর্তী-পূজারী, যে মুর্তী সে পূজা করে,
তার মাথার ওপরে উঠে দাঁড়ায়?

শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের কে জানার সুযোগ দিন ।আপনি জেনেছেন হয়তো সে জানেনা ।আমার ব্লগ বাড়ীতে বেড়াতে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।সাথে থাকুন সব সময় ।আল্লাহ্ হাফেজ ।

কোন মন্তব্য নেই :

ইসলাম সম্পর্কে অমুসলিমদের ২০টি বিভ্রান্তিকর প্রশ্নের জবাব (ডা: জাকির নায়েক এর লেকচার): পর্ব ১০

কোন মন্তব্য নেই
প্রশ্নঃ পবিত্র মক্কা ও মদীনায়
অমুসলিমদের প্রবেশাধিকার নেই কেন?
জবাব:
একথা সত্য যে, আইনত মক্কা ও
মদীনায় অমুসলিমদের
প্রবেশানুমতি নেই। নিম্নে বর্ণিত
বিষয়গুলো এই নিষিদ্ধতার নৈপথ্য
কারণগুলো উদঘাটনে সহায়ক হবে।
ক. সেনানিবাস এলাকায় সকল নাগরিক
প্রবেশানুমতি পায় না
আমি একজন ভারতীয় নাগরিক।
তা সত্ত্বেও এদেশের এমন কিছু
এলাকা আছে যেখানে আমার
অবাধে প্রশোনুমতী নেই। যেমন
সেনানিবাস। পৃথিবীর প্রত্যিকটি দেশই
সাধারণ নাগরিক প্রবেশ
করতে পারবে না এমন সব
এলাকা রয়েছে। শুধু মাত্র সেনাবাহিনীর
সদস্য এবং প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত
বিষয়াদির সাথে জড়িত ব্যক্তিবর্গ
সে সব এলাকায় প্রবেশানুমতি পায়।
একইভাবে ইসলাম সমগ্র বিশ্ববাসীর
জন্য একটি বিশ্বজনীন জীবন ব্যবস্থা।
মক্কা ও মদীনা এ দুটি পবিত্র
নগরিকে ইসলামের ক্যান্টনমেন্ট
ধরা যেতে পারে। এখানে শুধু যারা তার
অনুসারী এবং এর প্রতিরক্ষার
সাথে জড়িত তারাই প্রবেশানুমতি পায়
অর্থাৎ মুসলমানরা।সেনানিবাস এলাকায়
সাধারণ নাগরিকের প্রবেশ নিষেধাজ্ঞার
বিরুদ্ধে আপত্তি তোলা যে কোনো বিবেকবান
মানুষের কাছেই অযৌক্তিক বলে গন্য
হবে। একই ভাবে কোনো অমুসলিমের
মক্কা-মদীনায় প্রশোধিকার নিয়ে প্রশ্ন
তোলা সঙ্গত বলে বিবেচিত নয়।
খ.মক্কা ও মদীনায় প্রবেশের “ভীসা”
১. যখনি কেউ অন্য কোনো দেশে ভ্রমন
করতে চায়। প্রথমে তাকে সেদেশের
ভিসা পাবার জন্য আবেদন করতে হয়।
অর্থাৎ সে দেশে প্রবেশের অনুমতি।
প্রতিটি দেশের এ ক্ষেত্রে নিজ নিজ
আইন নীতিমালা এবং কিছু শর্ত রয়েছে।
এসব কিছু পূরণ
না হলে তারা ভিসা দেবে না।
২. ভিসা দেবার ব্যাপারে অত্যন্ত
কঠিনভাবে রক্ষণশীল দেশগুলোর
মধ্যে সবার ওপরে আমেরিকা। বিশেষ
ভাবে তৃতীয় বিশ্বের
কোণো নাগরিককে ভিসা দেবার জন্য
তাদের আছে অসংখ্য নিয়ম কানুন।
আরো আছে দুর্লভ ও দুরুহ শর্তসমুহ
যা সাধারণের আয়ত্বাধীন নয়
কোনো ভাবেই।
৩. আমি সিঙ্গাপুর ভ্রমনে গিয়েছিলাম।
তাদের অভিবাসন বা ইমিগ্রেশন
ফর্মে উল্লেখ ছিল মাদক দ্রব্য
বহনকারীর জন্য “মৃত্যুদন্ড”। এখন
সিঙ্গাপুরে প্রবেশানুমতি চাইলে আমাকে তাদের
যে আইন তা মেনেই নিতে হবে।
আমি তো আর বলতে পারি না মৃত্যুদন্ড
মধ্যযুগীয় নৃশংস বর্বরদের শাস্তি।
তাদের সব নিয়ম-কানুন
এবং শর্তগুলোকে যদি আমি মেনে নেই
কেবলমাত্র তখনই আমার
পক্ষে সে দেশের
প্রবেশানুমতি পাওয়া সম্ভব।
৪. ভিসা-পৃথিবীর যে কোনো মানুষের
জন্য মক্কা ও মদীনায় প্রবেশের
অনুমতি পেতে হলে সর্ব প্রথম
যে শর্তটি পুরণ করতে হবে তা হলো তার
মুখে বলতে হবে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু
মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ” অর্থাৎ
মানা যায় এমন কেউ নেই কিছু নেই
আল্লাহ ছাড়া এবং মুহাম্মাদ (সঃ) তার
প্রেরিত রাসূল।



শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের কে জানার সুযোগ দিন ।আপনি জেনেছেন হয়তো সে জানেনা ।আমার ব্লগ বাড়ীতে বেড়াতে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।সাথে থাকুন সব সময় ।আল্লাহ্ হাফেজ ।

কোন মন্তব্য নেই :

মাথাব্যথাঃ ৫১ পরামর্শ *পাতা ১

কোন মন্তব্য নেই
বাঙালির জীবনে মাথাব্যথা প্রবল
সমস্যা। ১৫ কোটি জনসংখ্যার এই
দেশে প্রতিদিন ন্যূনতম ১০% লোক
মাথাব্যথায় আক্রান্ত হন। অন্যান্য
দেশে একই হার। মাথাব্যথা আমাদের
জীবনে এত বেশি ‘কমন’ যে এর
মধ্যে যারা যারা মাথাব্যথায় ভোগেন
তারা ডাক্তারের শরণাপন্ন হন না।
নিজেরাই নিজের চিকিৎসা করেন।
প্যারাসিটামলের কথা সবাই জানি।
ঙঞঈ জাতীয় ওষুধের
মধ্যে প্যারাসিটামল ট্যাবলেট,
যা পৃথিবীর যে কোনো আনাচে-
কানাচে ব্যাপকভাবে বিক্রি হয়।
আরেকটি ঙঞঈ যা প্রেসক্রিপশন
ছাড়া পাওয়া যায়, এমন ওষুধ
ডায়াজিপাম। জন্মকাল
থেকে প্রতিটি নারী-পুরুষ সিডাক্সেন
ট্যাবলেটের সাথে পরিচিত।
যে কোনো বাড়িতে ন্যূনতম ২টি ওষুধ
যদি থাকে তার একটি প্যারাসিটামল
ট্যাবলেট ও সিডাক্সেন ট্যাবলেট।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যারা এ ওষুধ
ব্যবহার করেন তারা মাথাব্যথার
জন্যই ব্যবহার করেন। ঘুমের জন্য
নয়, মাথাব্যথা কমানোর জন্য।
ডায়াজিপাম ওষুধের ব্যাপারে ১৯৮৯
সালে এক সমীক্ষায় দেখা গেছে যে,
বাংলাদেশের প্রায় ৫ লক্ষ মহিলা,
গৃহিণী প্রতিরাতে ঘুমের ওষুধ খান।
স্বভাবত আগামীতে এই পরিমাণ
আরো বেশিই হবে।
সাধারণভাবে কর্মজীবী গৃহিণী ও
পড়ুয়া মেয়েদের মধ্যে এই জাতীয়
প্যারাসিটামল, সিডাক্সেন জাতীয় ওষুধ
খাওয়ার প্রবণতা উল্লেখ করা যায়।
আমরা এ দেশের জনগণ,
হরহামেশা একজনের অসুখের
কথা শুনলে চট করে ওষুধের
কথা বলি এবং প্রায় প্যারাসিটামল
ট্যাবলেটের কথা বলি। সমকালীন
সাহিত্যে জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক এই
প্যারাসিটামল বা সিডাক্সেন ট্যাবলেট
তাদের বইতে প্রেসক্রাইব করে থাকেন।
১. মাথাব্যথা কী?
ঘাড়ের উপরের অংশ মাথা। ঘাড়ের অংশ
বাদ দিলে গোলাকার বস্তুটি মাথা।
মাথায় আমরা ধরি দুটি চোখ, দুটি কান,
নাক, মুখ ও দুপাটি দাঁত।
এছাড়া অ্যানাটমিতে মাথায় পাওয়া যায়
মাংসপেশি, হাড়, মেনিনজেস
এবং শেষে মগজ। মেনিনজেস আবার ৩
ভাগে বিভক্ত : একটি ডুরা,
আরেকটি অ্যারাকনয়েড ও
পায়া ম্যাটার। ডুরা ম্যাটার হাড়ের
ভেতরের অংশে লেগে থাকে।
অ্যারাকনয়েড ম্যাটার
ডুরা এবং পায়া ম্যাটারের মধ্যে থাকে।
ডুরা এবং অ্যারাকনয়েড ম্যাটারের
মধ্যে ফাঁকা জায়গা আছে।
অ্যারাকনয়েড এবং পায়া ম্যাটারের
মধ্যেও ফাঁকা জায়গা আছে।
ফাঁকা জায়গাগুলোতে বিভিন্ন ধরনের
তরল পদার্থ আছে-
যাতে করে ভেতরে মগজের
অংশে নড়াচড়ায় কোনোরূপ ব্যাঘাত
না হয় বা বাইরের চাপে মূল অংশের যেন
কোনো ক্ষতি না হয়। মগজকে আবার
সেরিব্রাল হেমিস্কেয়ার বা সেরিব্রাল
করটেক্স ও সেরিবেলাম নামে ভাগ
করা হয়েছে। কর্টেক্সে বিভিন্ন রকম
মেডিকেল ভাগ আছে। কর্টেক্স
থেকে স্নায়ুতন্ত্র উৎপত্তি হয়।
সেখান থেকে নিউরোনের ফাইবার
ধরে অনেক কোটি কোটি স্নায়ুতন্ত্র
মিলে হয় স্পাইনাল কর্ড। কর্ডের কাজ
হচ্ছে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ
থেকে সংবেদনশীল অনুভূতি মাথায়
পৌঁছে দেয়া আর মাথায়
বা মগজে যে প্রতিক্রিয়া হয়
তা বিভিন্ন অঙ্গে পৌঁছে দেয়া।
একে বলে রিফ্লেক্স। মাথা কাজ
করে টেলিফোন এক্সচেঞ্জের মতো।
তাই মাথাব্যথা অত্যন্ত গুরুত্বের
সাথে বুঝতে হবে।
মাথাব্যথা বলতে মাথার বিভিন্ন অংশ
থেকে যে ব্যথা হয়
তাকে মাথাব্যথা বলে। আমরা বেশির
ভাগ মাথার পেশির ব্যথার কথা বলি।
২. মাথাব্যথা কত রকমের?
অনেক ধরনের মাথাব্যথার
কথা আমরা জানি। তার মধ্যে টেনশন
টাইপ ও মাইগ্রেন টাইপের
ব্যথা সবচেয়ে বেশি। এদের চিকিৎসাও
ভিন্নতর।
টেনশন টাইপ ব্যথা
উপসর্গঃ ভারী ভারী একটানা এক
ধরনের ব্যথা মাথার দুদিকে থাকে। মৃদু
থেকে বেশি মাত্রায় হয়। মাথা দু হাত
দিয়ে চেপে ধরেছে মনে হয়। মাথার
চারদিকে একটি ব্যান্ড
বেঁধে দিয়েছে বলে অনুভূত হয়।
ব্যথা ঘাড় কিংবা কাঁধে চলে যায়।
সময়ঃ ১-২ ঘণ্টা থাকে। বেশিও থাকে।
বিকেলের দিকে বা সন্ধ্যায় বেশি হয়।
সারাদিনের পরিশ্রম ও মানসিক চাপের
পরে যারা দীর্ঘমেয়াদি বা ক্রনিক
টেনশন হেডেকে ভোগেন তাদের
মাথাব্যথা প্রত্যেক দিন হয়।
কারণঃ আবেগজনিত চাপ বড় কারণ।
তবে কিছু কিছু শারীরিক রোগেও
হয়ে থাকে যেমন- আর্থ্রাইটিস।
চিকিৎসাঃ ওটিসি ড্রাগ
দ্বারা বা টোটকা চিকিৎসা করা হয়।
বিশ্রাম, মাথায় বরফ বা মানসিক চাপ
মোকাবেলা ক্ষমতা বাড়ানোর
মধ্যে টেনশন হেডেক সারানো যায়।
যদি এই ব্যথা প্রতিদিন হয়
তাহলে চিকিৎসক দেখাবেন।
মাইগ্রেন টাইপ ব্যথা
মাথাব্যথা মাঝারি থেকে বেশি মাত্রায়
হয়। মাথাব্যথার ধরন-যেন
হাতুড়ি দিয়ে পেটাচ্ছে। মাথার
একদিকে ব্যথা হয়। বমি বমি ভাব
বা বমি হওয়া, কেমন কেমন লাগা,
আলো বা শব্দে বিরক্তি উপসর্গ
থাকতে পারে। ১৫% রোগী পূর্বেই
বুঝতে পারেন মাথাব্যথা হবে।
বোঝার
উপসর্গঃ চোখে আলো ঝলমলভাব
পাওয়া যায়। মোট রোগীদের
মধ্যে ৭০% মহিলা।
সময়ঃ ৩ ঘণ্টা থেকে ৩ দিন পর্যন্ত
থাকতে পারে।
পূর্বাভাসঃ প্রায় ১-২
ঘণ্টা পূর্বে হয়।
মাঝে মাঝে হয়। সপ্তাহের প্রতিদিনও
হয়। গড়ে ১-৩ বার প্রতিমাসে হয়।
কারণঃ নানা বিশেষজ্ঞ নানা কারণ
বলেন। জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়াই
আসল কারণ। বংশানুক্রমিকও হয়।
৯০% ক্ষেত্রে বংশে মাথাব্যথার
ইতিহাস থাকে।
কী কী জিনিসে হয়ঃ খাদ্যবস্তু, মদ
বা পানীয়, মাসিক হওয়া, ক্যাফিন
জাতীয় পদার্থ, আবহাওয়ার পরিবর্তন,
ঘুমের অসুবিধা, মানসিক চাপ, ধূমপান,
গরম, শব্দ ইত্যাদি কারণ হতে পারে।
জন্ম নিয়ন্ত্রণের বড়ি, হরমোন এই
ব্যথা বাড়াতে পারে।
চিকিৎসাঃ যেসব কারণে হয়
তা থেকে সরে থাকা, মানসিক চাপ
মোকাবিলা প্রধান চিকিৎসা, বিশ্রাম,
বরফ ইত্যাদি সাহায্যকারী। অনেক
ক্ষেত্রে ওষুধ অনেক দিন খেতে হয়।
মাথাব্যথার অন্যান্য ধরন
ক্লাস্টার হেডেক সাধারণভাবে কম
পাওয়া যায়। অত্যন্ত ব্যথা হয়,
মনে হয় চাকু দিয়ে একটা চোখ
কেটে ফেলছে। অনেক দিন থাকে না।
২০-৩০ বছর বয়সে বেশি হয়। যাদের
হয় তাদের মধ্যে ৯০% পুরুষ।
৩. কিছুক্ষণ
একনাগাড়ে পড়লে মাথাব্যথা করে,
কী করব?
চোখের কাজের চাপ
থাকলে তাতে মাথাব্যথা করতে পারে।
তবে কম
আলোতে লেখাপড়া করলে বা অনেক
সময়
ধরে একটানা পড়লে মাথাব্যথা হতে পারে।
আসলে চোখে তো ব্যথা হয় না,
ব্যথা হয় চোখের পাশের ছোট ছোট
মাংসপেশিগুলোতে। ওই
মাংসপেশিগুলো আমাদের চোখ নড়াচড়ায়
সাহায্য করে। চোখের মণি ছোট-বড়
করতে সাহায্য করে। চোখের চাপ
কমানোর জন্য উপযুক্ত
আলোতে পড়াশোনা করুন। প্রতি ঘণ্টায়
পড়ায় ৫ মিনিট বিশ্রাম নিন।
মাঝে মাঝে রুমে এদিক-ওদিক তাকান।
কাছে তাকান, দূরে তাকান। চোখের
চাপে মাথাব্যথা শুরু হলে রুমের
আলো ডিম করে দিন বা কম আলোকিত
ঘরে যান, দুচোখের উপর দুহাত
দিয়ে ঢাকুন। ঢাকা অবস্থায় চোখ খুলুন-
এ রকম ৩০ সেকেন্ড রাখুন। চোখ
বন্ধ করুন, হাত দুটো নামান, এবার
আস্তে আস্তে চোখ খুলুন।
এভাবে কয়েকবার করলে চোখজনিত
মাথাব্যথা কমে যাবে।
৪. মাঝরাতে ঘুম ভেঙে গেলে আমার
মন
অস্থির লাগে। আমার
কী ইনসমনিয়া হয়েছে?
হতে পারে। ইনসমনিয়া, ঘুম
আসতে কষ্ট হওয়া ও ঘুম
ভেঙে যাওয়া বা ভেঙে গিয়ে আর ঘুম
না আসা বা ভেঙে ভেঙে ঘুম
হওয়াকে বোঝায়। যারা স্বাভাবিক
ঘুমান তাদের ঘুম রাতে ৫-১৫ বার
ভেঙে যায়। কয়েক সেকেন্ডের জন্য
আবার তারা ঘুমান, কিন্তু ঘুম ভাঙার
কথা তারা মনে করতে পারেন না।
শতকরা ৫০ ভাগ অনিদ্রারোগ
বিবাহজনিত মানসিক চাপ, চাকরির
চাপ, দুশ্চিন্তা ও ডিপ্রেশন
রোগে হয়ে থাকে। আপনার
মনে কোনো না কোনো বিষয়ে দুশ্চিন্তা খেলা করছে।
আপনি ওইগুলো নির্ণয় করার
চেষ্টা করুন ও সমাধানের চেষ্টা করুন।
আপনার ঘুমের সমস্যার সমাধান
হয়ে যাবে।
৫. ঘূর্ণিঝড় বা ঝড়-বাদলের আভাস
পেলে
আমার মাথাব্যথা করে, কেন
তা হয়?
হ্যাঁ তা হতে পারে। আবহাওয়ার
পরিবর্তন,
সাধারণভাবে ভালো থেকে খারাপ
আবহাওয়ায় গেলে মাথাব্যথা হতে পারে।
ওই মাথাব্যথা মাইগ্রেন বা অন্য
কোনো ধরনের মাথাব্যথা হতে পারে।
ঝড়ে বাতাসের যে চাপের পরিবর্তন হয়
তাতে মাইগ্রেন বা অন্য
কোনো মাথাব্যথা শুরু হতে পারে।
৬. মানসিক চাপের প্রতিক্রিয়া কী?
ওই চাপ সাহায্যকারী না খারাপ?
শরীর ও মন যখন খারাপ পরিস্থিতির
সম্মুখীন হয় তখনই অবচেতনভাবে চাপ
প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।
এটা সাহায্যকারী হতে পারে বা খারাপ
হতে পারে। উদাহরণ-চাপের
একটি প্রতিক্রিয়ায়
মাংসপেশিগুলো শক্ত হয়ে যাওয়া। ধরুন
এক জায়গায় হাড় ভেঙে গেল, শরীর ওই
ভাঙা জায়গার
মাংসপেশিগুলো অবচেতনভাবেই শক্ত
করে ফেলে, যাতে করে আর না ভাঙে।
কিছু আবেগজনিত প্রক্রিয়ায় টেনশনের
সময়, অনেক ব্যক্তি দাঁতে দাঁত
লাগিয়ে থাকেন। ওই
কারণে মাথাব্যথা শুরু হতে পারে। এর
পর যখন আপনি টেনশনে পড়বেন তখন
আপনার ছবি দেখুন। যদি দেখেন ঘাড়ের
পেশি শক্ত হয়ে গেছে,
দাঁতে দাঁতে লেগে চোয়াল শক্ত
হয়ে গেছে বা দেখতে রাগী রাগী লাগছে তাহলে বুঝতে হবে আপনার
মাথাব্যথা হয় ক্রোধ ও রাগের জন্য।
৭. যে সমস্যায় আমার
বন্ধুরা টেনশনে ভোগেন না, অথচ
আমি টেনশনে পড়ি ও মাথাব্যথা শুরু
হয়। কেন?
কিছু কিছু ব্যক্তি আছেন-যাদের রাগ ও
টেনশনের মাত্রা স্বাভাবিকের
চেয়ে অনেক বেশি।
আপনি যাতে মানসিক চাপ বেশি সহ্য
করতে পারেন তার
কতগুলো পদ্ধতি আছে। আপনি সুষম
খাদ্য গ্রহণ করুন। হালকা ব্যায়াম
করুন, পরিমিত ঘুমান এবং আপনার
ওজন সীমাবদ্ধ রাখুন। সিগারেট ও মদ
খাবার মতো বাজে অভ্যাসগুলো ত্যাগ
করুন। আপনার আবেগগুলো প্রকাশ
করার জন্য মনের
কথা কাউকে খুলে বলুন। দিনের কিছু
সময় নীরব জায়গায় কাটানোর
চেষ্টা করুন। দেখবেন পরিস্থিতি অনেক
পরিবর্তন হয়ে গেছে।
৮. আমি রাতে ৫-৬ ঘণ্টা ঘুমাই
এবং ভালো আছি। আমি শুনি ৮
ঘণ্টা ঘুম নাকি শরীরের জন্য
প্রয়োজন?
রাতে কতক্ষণ ঘুমাবেন তা এক
ব্যক্তি থেকে আর
ব্যক্তিতে কমবেশি হয়। সুখনিদ্রা ৩
ঘণ্টা থেকে ১০ ঘণ্টা পর্যন্ত
হতে পারে। নির্ভর করে আপনার শরীর
কী চায়। কেউ কেউ ৩-৪
ঘণ্টা ঘুমিয়ে ভালো থাকেন। কতটুকু
ঘুমানোর প্রয়োজন তা বের
করতে বন্ধের সময় পরপর তিন দিনের
পর্যাপ্ত ঘুমকে গড় করে বের করুন।
তাই হবে নির্দিষ্ট মাত্রা।
৯. আমার স্বামী ধূমপান করেন আর
মাথাব্যথায় ভোগেন।
দুটিতে কোনো সম্পর্ক আছে কি?
হ্যাঁ, সম্পর্ক আছে। সিগারেট ও
মাথাব্যথার মধ্যে সম্পর্ক আজ
বৈজ্ঞানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত।
সিগারেটে নিকোটিনের পরিমাণ যত
বেশি হয় মাথাব্যথার মাত্রা তত
বেশি হবে। আপনার স্বামীর
মাথাব্যথার কারণ ধূমপান। ধূমপান
ছেড়ে দিলে মাথাব্যথা কমে যাবে। তবুও
সাইকোলজিক্যাল কোনো কারণ
আছে কি না তা নির্ণয় করার জন্য
মনোচিকিৎসকের সাহায্য নেবেন।
১০. আমার ১২ বছরের
ছেলেটি মাথাব্যথায় ভোগে। ওদের
মানসিক চাপের জন্য মাথাব্যথা হয়
কি?
সাধারণভাবে শতকরা ৭০ জন
মেয়ে ১৫ বছর বয়সের
মধ্যে মাথাব্যথায় ভোগে। মানসিক চাপ
এদের প্রধান কারণ।
কৈশোরকালে বন্ধু-বান্ধবের
সাথে মানসিক চাপ, শরীর পরিবর্তনের
মানসিক চাপ, পিতা-মাতার
সাথে মানসিক দ্বন্দ্ব
ইত্যাদি মাথাব্যথা শুরু হতে সাহায্য
করে। কৈশোর বয়সে খাবারের
অভ্যাসের ঠিক না থাকা, ঘুমের
অভ্যাসের ঠিক
না থাকা মাথাব্যথা বাড়িয়ে দেয়।
মেয়েদের মধ্যে মাসিক শুরু হওয়ার
সময়টিতে মাথাব্যথা হতে পারে।
বাচ্চাদের এ থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য
ওদের খেলাধুলায় উৎসাহ দিন, শ্লথন
প্রক্রিয়া শিখিয়ে দিন, আদর দিন।
১১. কিছু কিছু লোকের টেনশন
কেটে গেলে মাথাব্যথা হয় কেন?
জীবনের প্রতি মুহূর্তে আমরা টেনশনের
মুখোমুখি হই। চাকরি, বয়স, ফ্যামিলি,
অর্থ, সেক্স, ব্যক্তিগত সম্পর্ক
ইত্যাদি কারণে স্ট্রেস হতে পারে।
মানসিক চাপ চলে গেলে রিলাক্সড
লাগে। কিন্তু কিছু কিছু ব্যক্তির ওই
রিলাক্সড সময়ে মাথাব্যথা হয়। তাদের
মাথাব্যথা কিন্তু সাইকোলজিক্যাল
কারণে হয় না। হয় শারীরিক কারণে।
কারণ যখন তিনি টেনশনে থাকেন তখন
তার রক্তনালিগুলো চাপা থাকে। টেনশন
চলে গেলে রক্তনালিগুলো ঢিলা হয়ে যায়।
তখন মাথাব্যথা হয়। এ থেকে উদ্ধার
পাওয়ার জন্য দরকার স্ট্রেসের
পরিমাণ কমানো এবং বিশ্রাম
সময়ে কাজে ব্যস্ত থাকা।
১২. ক্যাফিন
খেলে কি মাথাব্যথা কমে যায়?
হ্যাঁ, ক্যাফিন বিভিন্ন ওষুধের
সমন্বয়ে মাথাব্যথা নিরাময়ে ভালো ওষুধ
হিসেবে কাজ করে। তবে ক্যাফিনের
সবচেয়ে বড়
অসুবিধা যে এটি নির্ভরশীলতা বা মাদকাসক্তির
সৃষ্টি করে। আমাদের যুবসমাজ আজ
ফেনসিডিল নামক কফ
সিরাপে মাদকাসক্ত। উল্লেখ্য যে, ওই
ফেনসিডিলে ক্যাফিন নামক
পদার্থটি আছে এবং ওই পদার্থের
জন্যই তাদের মাদকাসক্তি ঘটে থাকে।
১৩. মাথাব্যথা হলে কখন
ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন?
প্রতিবার মাথাব্যথায় ডাক্তারের
শরণাপন্ন হওয়ার কোনো প্রয়োজন
নেই। শতকরা ৯০ ভাগ
মাথাব্যথা মারাত্মক কোনো ব্যাপার
নয়। সাধারণ ওটিসি ওষুধ প্যারাসিটাল
খেলেই তা চলে যায়। যদি তাতেও
না কমে একটু বিশ্রাম, ঠান্ডা বরফ,
শিথিলায়ন প্রক্রিয়ায় তা কমে যাবে।
কিন্তু কিছু কিছু উপসর্গ আছে যখন
মাথাব্যথা সিরিয়াস রোগ
মনে হবে তখনই ডাক্তারের
কাছে যাওয়া দরকার।
যখন মাথাব্যথা আপনার জীবনের
গুণগত
মানকে কমিয়ে দেবে বা ফ্যামিলির
সাথে সুসম্পর্ক বজায়
রাখতে বাধা দেবে, আপনার কাজের
ক্ষমতা বা পড়ার
ক্ষমতা কমিয়ে দেবে বা জীবনকে অনুভব
করতে বাধা দেবে।
সাধারণভাবে মাথাব্যথার ওষুধ, কিছু
রিলাক্সেশন প্রক্রিয়া মাথাব্যথার
মাত্রা কমিয়ে দেবে। কিন্তু
একেবারে সারিয়ে তুলবে না, তখনই
ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন।
নিচের যে কোনো একটি উপসর্গ
থাকলে মাথাব্যথার জন্য ডাক্তারের
সাথে দেখা করুন
যদি মাথাব্যথা সপ্তাহে তিনবারের
বেশি হয়।
ব্যথা যদি হঠাৎ করে ওঠে,
বেশি মাত্রায় উঠে, বিশেষ
করে ব্যথা হওয়ার আগে আপনি যখন
স্বাভাবিক ছিলেন।
যদি সবচেয়ে খারাপ মাথাব্যথা মনে হয়।
ঘাড় বা মাথায় আঘাতের পর
মাথাব্যথা হলে।
পঞ্চাশ বছর বয়সের
পরে মাথাব্যথা হলে।
মাথাব্যথার
পাশাপাশি চোখে ঝাপসা দেখা,
কথা জড়িয়ে যাওয়া, অসাড়তা, শরীরের
যে কোনো জায়গায় বা হাত-
পায়ে দুর্বলতা অনুভব করলে।
মাথাব্যথার সাথে ‘ঘোর লাগা’ বা ঘুম
ঘুম লাগলে।
মাথাব্যথার সাথে যদি জ্বর,
বমি বমি ভাব, দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস,
বমি অথবা নাক-কান-গলা,
চোখে নানা প্রকার উপসর্গ দেখা দিলে।
মাথাব্যথা যদি ব্যায়াম, কাশি,
হাঁচি বা শরীর বাঁকা করলে হয়।
১৪.
টোটকা ওষুধে কোনো উন্নতি না হলে
ডাক্তার দেখাব কি?
যখন সাধারণ
টোটকা ওষুধে কোনো উন্নতি হচ্ছে না তখন
ডাক্তার দেখানোই ভালো। তবে-
(ক) সাধারণ মাত্রার
চেয়ে অতিরিক্ত ওষুধ
খেয়ে মাথাব্যথা দমানো গেলে ডাক্তার
দেখাতে হবে।
(খ) আপনার মাইগ্রেন
মাথাব্যথা থাকতে পারে। সাধারণ
ওষুধের পাশাপাশি ডাক্তারের ওষুধ
নেয়ার প্রয়োজন পড়বে তখন।
তা ছাড়া শক্ত ধরনের মাথাব্যথায়
বিভিন্ন শারীরিক বড় অসুখ
থাকতে পারে।
(গ) আবেগজনিত সমস্যা, রাগ,
ক্রোধ এসব কারণেও
মাথাব্যথা হতে পারে, তার জন্য দরকার
মনোচিকিৎসা।
১৫. মাথাব্যথায় কাজের কী পরিমাণ
ক্ষতি হয়?
পূর্বে এর চিকিৎসা ছিল কি?
প্রতি ৭ জনে ১ জন ব্যক্তির
মাথাব্যথার কারণে প্রতিদিনকার
কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটে। এ তো গেল
বাংলাদেশের কথা। ১৫ কোটি লোকের
এদেশে কাজের ক্ষতির পরিমাণ সহজেই
বের করা যায়। তবে আমাদের
মহিলা সমাজ যে ধরনের কাজ করেন
পুরুষশাসিত এ সমাজে তার কোনো হিসাব
ধরা হয় না।
একটা সময় ছিল যখন
ধারণা করা হতো মাথাব্যথা একটি দুষ্টশক্তি বা মাথায়
খারাপ তরল পদার্থ জমলে হয়, এ জন্য
মাথায় ফুটো করে পূর্বে মাথাব্যথার
চিকিৎসা করা হতো। পরবর্তী ১০
হাজার বছরে চিকিৎসার অনেক
উন্নতি হয়েছে।
১৬. মাথাব্যথার জন্য
কী কী জিনিস
জানা জরুরি?
মাথাব্যথার জন্য কতগুলো জিনিস
নোটবুকে টুকে রাখুন। যেমন-
কী ধরনের মাথাব্যথা হয়।
কী কী কারণে মাথাব্যথা হয়।
ব্যথা কম হওয়া বা বন্ধ করার জন্য
আপনি কী কী পদক্ষেপ নেন।
সাধারণ ওষুধে কতটা মাথাব্যথা কমে।
মাথাব্যথার জন্য একটি ডাইরি বুক
রাখবেন।
১৭. মাইগ্রেন মাথাব্যথা কাকে বলে?
এটি এক ধরনের মাথাব্যথা। ১০%
লোক এই রোগে ভোগেন। সাধারণ বয়স
২৫-৫৫ বছর। মেয়েদের বেলায় দুই গুণ
বেশি হয়। অকারণে এই ব্যথা হয়।
বারবার এই ব্যথা হয়, ৪-৭২
ঘণ্টা স্থায়ী থাকে। মাথার এক
দিকে ব্যথা হয়। মনে হয়
রগগুলো দাপাচ্ছে। মধ্য
মাত্রা থেকে বেশি মাত্রায় এ
ব্যথা হয়। স্বাভাবিক কাজকর্ম করার
জন্য এই ব্যথা হতে পারে।
ব্যথা হওয়ার সাথে বমি বমি ভাব হয়,
উজ্জ্বল আলো সহ্য হয় না, শব্দ
অসহ্য লাগে। চোখের
সামনে ঝাপসা আলো দেখা যায় বা রঙিন
দৃশ্য দেখা যায়।
১৮. টেনশন মাথাব্যথা কাকে বলে?
মাঝে মাঝে হয়
বা দীর্ঘমেয়াদিভাবে থাকতে পারে।
শতকরা ৭৪ জন লোকের এই
মাথাব্যথা থাকতে পারে।
মাসে কমপক্ষে ১ বার এ ব্যথা হয়।
মেয়েদের পুরুষের চেয়ে ১-৫ গুণ
বেশি হয়।
বারবার মাথাব্যথা কয়েক মিনিট
থেকে কয়েক দিন পর্যন্ত থাকতে পারে।
মাথায় চাপ চাপ লাগে বা চাপ
দিয়ে রাখছে বলে মনে হয়। মাথায়
দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখে মনে হয়। মৃদু
মাত্রা থেকে মাঝারি মাত্রায়
ব্যথা হয়। বমি বমি কোনো ভাব
থাকে না বা বমি হয় না। চোখে আলোর
ঝলকানি থাকে না।
১৯. মানসিক চাপ ও মাথাব্যথার
একটি সম্পর্ক আছে। কী করে মানসিক
চাপ কমাবেন?
মানসিক চাপ সাধারণত
কয়েকটি কারণে হয়। যেমন-অর্থনৈতিক
কারণ, চাকরি বা কর্মজনিত কারণ
এবং পারিপার্শ্বিক কারণ।
আমরা এখানে অর্থনৈতিক মানসিক চাপ
ও চাকরিজনিত মানসিক চাপের
কথা আলোচনা করছি।
একশ লোককে জিজ্ঞেস করুন তাদের
মানসিক চাপের কারণ। এক
বাক্যে সবাই অর্থনৈতিক চাপের
কথা বলবেন। আশ্চর্যের কিছুই না।
জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে, চাকরির
অনিশ্চয়তা বাড়ছে, জীবনযাত্রার মান
ও খরচ
বেড়ে যাচ্ছে ইত্যাদি অর্থনৈতিক
মানসিক চাপের কারণ। অর্থনৈতিক
মানসিক চাপের কিছু সত্য
তুলে ধরা হলো-আপনার ভালো লাগবে।
যে কোনো ইনকাম-গ্রুপের লোকদের
এটি হয়। ইনকাম-গ্রুপ মানে কম,
মাঝারি, বেশি মাসিক আয়ের
উপরে নির্ধারণ করা হয়।
অর্থনৈতিক মানসিক চাপ-সবার জন্য
একরকম নয়।
পরিবারের মধ্যে অর্থ-মানসিক চাপের
কারণ আপনার
যা আছে তা কীভাবে খরচ করবেন তার
উপরে হয়। আপনার কত কম
আছে বা কত বেশি আছে তার
উপরে নয়।
স্থায়ী একটা আয়-আর্থসামাজিক চাপ
কমায়।
চাকরির অনিশ্চয়তা আপনার
ফিন্যান্সিয়াল স্ট্রেস বাড়ায়।
অনেকে বলেন টাকা-পয়সা না থাকলেই
কোনো টেনশন থাকবে না। কথাটা ঠিক
নয়। টেনশন আপনা-
আপনি চলে যাবে তা কিন্তু নয়।
ধরা যাক আপনি দ্বিতীয় একটা কাজ
নিলেন ইনকাম বাড়ানোর জন্য, তাতেও
পরিবারের সদস্যদের জীবনের মান
বেড়ে যাবে-আপনার স্বাস্থ্যের যত
অকল্যাণ হোক না কেন।
জাতিগতভাবে আমরা মনে করি যার
বেশি আছে সেই ভালো। কিন্তু এ
কারণে অর্থ-মানসিক থেকে সৃষ্টি হয়
মাথাব্যথার।
২০. আর্থসামাজিক চাপ
থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় কী?
আপনার যা আছে তাতেই সন্তুষ্ট
থাকার চেষ্টা করুন। ভবিষ্যতের
কথা ভেবে কিছু সঞ্চয় করুন। রিস্ক
কাজ নেয়া বা ইনভেস্টমেন্ট
থেকে দূরে থাকুন। মোটামুটি রক্ষণশীল
জীবনযাত্রায় সন্তুষ্ট থাকুন।
অর্থ-মানসিক চাপ মোকাবিলার
দুটো পথ আছে। একটি হয় আপনার
নির্দিষ্ট ইনকামের মধ্যে আপনার
জীবনযাত্রা নিয়ে আসুন।
অথবা আপনার ইনকাম বাড়ান। যেটাই
গ্রহণ করুন না কেন এ
ব্যাপারে পারস্পরিক যোগাযোগ
বা পরিবারের সদস্যদের
সাথে কথা বলুন। বোঝার চেষ্টা করুন
অতিরিক্ত আর যথেষ্ট এর মাঝের
ফারাক।
সমঝোতার যে কথা বলা হচ্ছে তার
মানে এই নয় যে, আপনি যেমন আছেন
তেমন থাকুন। আসলে ততটাই ইনকামের
চেষ্টা করুন
যাতে করে আপনি আরামে থাকতে পারেন।
আবার সব ইনকাম টাকা-পয়সায় বিচার
করবেন না। এছাড়া সন্তানদের
ভালোভাবে মানুষ করাও এক ধরনের
ইনকাম। টাকাই ইনকাম, এই
অনুভূতি বদলান।
২১. কাজ ও মাথাব্যথার সম্পর্ক কী?
কাজের জায়গায় বিভিন্ন
কারণে আমাদের মানসিক চাপ হয়- এই
মানসিক চাপ মাথাব্যথার সৃষ্টি করে।
মানসিক চাপ-শুধু মাথাব্যথার কারণেই
নয়-অনেক মানসিক অসুখের কারণও
বটে। প্রতি ১০ জন লোকের মধ্যে ৯
জন কাজজনিত স্ট্রেস
তথা মাথাব্যথায় ভোগেন।
২২. ব্যায়ামজনিত মাথাব্যথা কী?
কিছু কিছু শক্ত ধরনের ব্যায়াম
থেকে মাথাব্যথা হতে পারে। যেমন
ওয়েটলিফটিং, জগিং আরো বিভিন্ন
রকম ব্যায়াম-এমনকি সঙ্গম
করা পর্যন্ত। হাঁচি, কাশি, দম বন্ধ
করে চাপ দেয়া, পায়খানায় বসে চাপ
দেয়া, বাঁকা হওয়া এসব থেকেও
মাথাব্যথা হতে পারে। এসবে আমাদের
শরীরের রক্তনালিগুলো ঢিলা হয়ে যায়
বিধায় প্রেসার
বেড়ে গেলে মাথাব্যথা হয়। মাথা, মাথার
উপরে, ঘাড়ে, গলায় ইত্যাদি জায়গায়
চাপ বেড়ে গেলে ব্যথা বাড়ে। সাধারণত
কয়েক মিনিট থেকে ১-২ ঘণ্টায়
ব্যথা চলে যায়। একটু বরফ
দিলে বা একটু বিশ্রাম
নিলে মাথাব্যথা কমে যাবে।
যদি দেখা যায়-যথেষ্ট পরিমাণে বিশ্রাম
নেয়ার
পরে মাথাব্যথা কমছে বা প্রতিবার
ব্যায়ামেই তা হচ্ছে তাহলে শারীরিক
চেকআপ করতে হবে।
মনে রাখতে হবে ব্যায়ামজনিত
মাথাব্যথার ১০% কারণ শারীরিক-
যেমন ব্রেন টিউমার, অ্যানিউরিসম
ইত্যাদি।
২৩. ওষুধ
ছাড়া কী করে মাথাব্যথা সারাবেন?
কিছু সাজেশন দেয়া হলো যাতে ওষুধ
ছাড়াও মাথাব্যথা কমানো যাবে।
শিথিলায়ন বা দীর্ঘ শ্বাস নেয়ার
টেকনিক, সুস্থ শিথিল জিনিস
চোখে দৃশ্য হিসেবে আনা, কগনিটিভ
থেরাপি, আকুপাংচার, মানসিক চাপ
কমানোর বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন ও
ম্যাসাজ।
বরফ ঢেলা চিকিৎসা। বরফ
একটি কাপড়ের পুঁটুলি বানিয়ে মাথায়
চাপ দেয়া। মাথাব্যথার যত প্রথম
ভাগে এই কাজ করা তত কম
মাথাব্যথা হবে। সাধারণত ব্যথার
জায়গাগুলোতে চেপে ধরুন।
তাছাড়া ঘাড়ের পেছনে, কপালে, চোয়ালে,
মাথার দুই পাশে দিতে হবে।
গরম ভাব অনেক সময় শিথিলায়ন
প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। গরম
পানিতে গোসল করলে শরীরের বিভিন্ন
অংশ রিলাক্স হয় ও
মাথাব্যথা তাতে কমে যায়। অন্ধকার
ঘরে বিশ্রাম নিন। পারলে ১৫-২০
মিনিট সময় ঘুমিয়ে নিন। আপনার
মাথাব্যথা কমতে তা সাহায্য করবে।
বায়োফিডব্যাক
চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
আকুপাংচার প্রক্রিয়ায় ব্যথার
বিরুদ্ধে শরীরের স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়
বাড়াতে সাহায্য করবে।
কগনিটিভ থেরাপির মাধ্যমে ব্যথার
বিরুদ্ধে মনের শক্তি বাড়ানো যায়।
২৪. শিশুদের মাথাব্যথা হলে করণীয়?
৬ বছরের নিচে শতকরা ৪০ জন শিশু
ও ১৫ বছরের নিচে শতকরা ৭০ জন
মাথাব্যথার কথা বলে। বাচ্চার
মাথাব্যথায় সংসারে অশান্তির
সৃষ্টি করে। আক্রান্ত শিশুর অন্যান্য
ভাই-বোন, শিশুটিকে যত্ন
বেশি নেয়া হচ্ছে ভেবে হিংসায় ভোগে।
সব মিলে একটা বিরাট ব্যাপার হয়, যার
বেশির ভাগ যায় বাবা-মায়ের ওপর
দিয়ে। শিশুদের মাথাব্যথায়
কতকগুলো সাধারণ তথ্য আমাদের
জানা প্রয়োজন-
শতকরা ৯৫ ভাগ মাথাব্যথা সামান্য
ধরনের।
টেনশনে মাথাব্যথা বেশি হয়।
যদি বংশে মাইগ্রেন
মাথাব্যথা থাকে তাহলে বাচ্চার তাই
হয়েছে বলে মনে হয়।
অধিকাংশের মাথাব্যথা বয়স বাড়ার
সাথে সাথে কমে যায়। তবে ৩৩%
শিশুর
মাথাব্যথা পরবর্তীকালে হতে পারে।
তাদের বেশির ভাগই মাইগ্রেন
মাথাব্যথার শিকার। টেনশন
মাথাব্যথা ছোটদের-বড়দের এক রকম
হয়। মাথার সামনে, পেছনে ও
ঘাড়ে ব্যথা করে। বিশ্রাম, সহানুভূতি,
সামান্য টোটকা ওষুধে ব্যথা নিরাময়
হয়। যেসব বাচ্চা বেশি মানসিক চাপের
মধ্যে থাকে তাদের মাথাব্যথা বেশি হয়।
মাইগ্রেন মাথাব্যথা শিশু ও বড়দের
একটু আলাদা হয়। শিশুদের
ব্যথা বমি বমি ভাব ছাড়াও পেটে ব্যথা,
জ্বর, অস্থিরতা, নাক বন্ধ ভাব, দ্রুত
হার্টবিট ইত্যাদি হতে পারে। বাচ্চাদের
ব্যথা একটু ঘন ঘন হয়। মাত্র ৩০
মিনিট থাকে। ব্যথা হওয়ার পূর্বে কিছু
কিছু বাচ্চা অত্যধিক হাই তোলে, ঘুম
ঘুম ভাব হয়, অনেক সময় চিনিজাতীয়
খাদ্য, চকোলেট, হটডগ,
কলা ইত্যাদি খেতে পছন্দ করে।
২৫. কখন ডাক্তারের শরণাপন্ন
হবেন?
নিচে টিক দিন। যদি কোনো একটি টিক
পড়ে তাহলে আজই ডাক্তারের
সাথে দেখা করুন।
মাথাব্যথা দিন দিন বাড়ে।
সপ্তাহে তিন বার বা ততোধিক
ব্যথা হয়।
প্রতিদিনই মাথাব্যথার ওষুধ খেতে হয়।
নিচের কোনো একটি উপসর্গ থাকলে-
ঘাড় শক্ত অথবা/ জ্বর
দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস
অপরিচিত উপসর্গ যা নাক, কান, ঘাড়,
গলা কিংবা চোখে হয়।
কথা বলতে অসুবিধা, শরীরের
যে কোনো অংশ বিশেষ করে হাত ও
পায়ে দুর্বলতা, অবশ অবশ ভাব,
মাথা খালি খালি ভাব।
বমি
যদি মাথাব্যথা মাথায় আঘাতের
পরে হয়, ব্যায়ামের পরে হয়, কাঁশি,
হাঁচি বা যৌনসঙ্গমের পরে হয়।
পঞ্চাশ বছর বয়সের পরে হয়।
যদি কোনো একটি উত্তরে টিক
পড়ে তাহলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ
ডাক্তারের সাথে দেখা করুন



সূত্রঃ মনোজগত।শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের কে জানার সুযোগ দিন ।আপনি জেনেছেন হয়তো সে জানেনা ।আমার ব্লগ বাড়ীতে বেড়াতে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।সাথে থাকুন সব সময় ।আল্লাহ্ হাফেজ ।

কোন মন্তব্য নেই :