প্রতিবেশীর অধিকার ও তাদের সাথে সদ্ব্যবহার করার গুরুত্ব

কোন মন্তব্য নেই
প্রবন্ধটি পড়া হলে, শেয়ার
করতে ভুলবেন না
আমরা আজ যে সমাজ ব্যবস্থায়
অভ্যস্ত তাতে আমাদের
অনুভূতিগুলোও দিন দিন যান্ত্রিক
হয়ে যাচ্ছে। মানুষকে অবিশ্বাস আর
সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখাই যেন
আজকালকার যুগের সবার
চিন্তাধারার একটি অংশ
হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইট পাথরের
দালানে থাকা আমরাও যেন
অনুভূতিহীন কলের পুতুল। পাশের
দরজার প্রতিবেশীর বিপদে আপদে,
তাদের সুখ দুঃখের
সঙ্গী হওয়া তো আজকাল দুরের কথা,
কেউ কাউকে চিনিই না অনেক সময়।
এরপরও
কি আমরা দাবী করতে পারি আমরা সত্যিকারের
মুসলমান? আসুন দেখি প্রতিবেশীদের
অধিকার সম্পর্কে আল্লাহ
তা’য়ালা ও তাঁর রাসুল
আমাদেরকে কি বলেছেন।
আল্লাহ তাআলা বলেন,
ﻭَﺍﻋْﺒُﺪُﻭﺍ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻭَﻟَﺎ ﺗُﺸْﺮِﻛُﻮﺍ ﺑِﻪِ
ﺷَﻴْﺌًﺎ ۖ ﻭَﺑِﺎﻟْﻮَﺍﻟِﺪَﻳْﻦِ ﺇِﺣْﺴَﺎﻧًﺎ ﻭَﺑِﺬِﻱ
ﺍﻟْﻘُﺮْﺑَﻰٰ ﻭَﺍﻟْﻴَﺘَﺎﻣَﻰٰ ﻭَﺍﻟْﻤَﺴَﺎﻛِﻴﻦِ
ﻭَﺍﻟْﺠَﺎﺭِ ﺫِﻱ ﺍﻟْﻘُﺮْﺑَﻰٰ ﻭَﺍﻟْﺠَﺎﺭِ
ﺍﻟْﺠُﻨُﺐِ ﻭَﺍﻟﺼَّﺎﺣِﺐِ ﺑِﺎﻟْﺠَﻨﺐِ ﻭَﺍﺑْﻦِ
ﺍﻟﺴَّﺒِﻴﻞِ ﻭَﻣَﺎ ﻣَﻠَﻜَﺖْ ﺃَﻳْﻤَﺎﻧُﻜُﻢْ ۗ ﺇِﻥَّ
ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻟَﺎ ﻳُﺤِﺐُّ ﻣَﻦ ﻛَﺎﻥَ ﻣُﺨْﺘَﺎﻟًﺎ
ﻓَﺨُﻮﺭًﺍ
অর্থাৎ, তোমরা আল্লাহর
উপাসনা কর ও কোন কিছুকে তাঁর
অংশী করো না, এবং পিতা-মাতা,
আত্মীয়-স্বজন, পিতৃহীন,
অভাবগ্রস্ত, আত্মীয় ও অনাত্মীয়
প্রতিবেশী, সঙ্গী-সাথী,
পথচারী এবং তোমাদের অধিকারভুক্ত
দাস-দাসীদের প্রতি সদ্ব্যবহার কর।
( সূরা নিসা: ৩৬)
এই সম্পর্কিত হাদিস সমূহ-
১) ইবনে উমার ও আয়েশা (রাঃ)
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন,
“জিব্রাইল আমাকে সব সময়
প্রতিবেশী সম্পর্কে অসিয়ত
করে থাকেন। এমনকি আমার মনে হল
যে, তিনি প্রতিবেশীকে ওয়ারেস
বানিয়ে দেবেন।” (সহীহুল
বুখারী ৬০১৪ ও মুসলিম ২৬২৪)
২) আবূ যার (রাঃ) বলেন,
একদা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বললেন,
“হে আবূ যার! যখন তুমি ঝোল
(ওয়ালা তরকারি) রান্না করবে, তখন
তাতে পানির পরিমান বেশী কর।
অতঃপর তোমার প্রতিবেশীর
বাড়িতে রীতিমত পৌছে দাও। (মুসলিম
২৬২৫) ৩) আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) বলেন,
নবী (সাঃ) বলেছেন, “আল্লাহর কসম!
সে ব্যক্তি মু’মিন নয়। আল্লাহর
কসম! সে ব্যক্তি মু’মিন নয়।
আল্লাহর কসম! সে ব্যক্তি মু’মিন
নয়।” জিজ্ঞেস করা হল, ‘কোন
ব্যক্তি? হে আল্লাহর রসূল!’
তিনি বললেন, “যে লোকের
প্রতিবেশী তার অনিষ্ট থেকে নিরাপদ
থাকে না।” (সহীহুল বুখারী ৬০১৬)
৪) মুসলিমের এক বর্ণনায় আছে, ঐ
ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে না,
যার অনিষ্ট থেকে তার
প্রতিবেশী নিরাপদে থাকে না। উক্ত
সাহাবী (রাঃ) থেকেই বর্ণিত,
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, হে মুসলিম
মহিলাগণ! কোন প্রতিবেশিনী যেন
তার অপর প্রতিবেশিনীর
উপঢৌকনকে তুচ্ছ মনে না করে;
যদিও তা ছাগলের পায়ের ক্ষুর হক
না কেন। (সহীহুল বুখারী ২৫৬৬ ও
মুসলিম ১০৩০)
৫) উক্ত সাহাবী (রাঃ) থেকেই
বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন,
কোন প্রতিবেশী যেন তার
প্রতিবেশীকে তার দেওয়ালে কাঠ (বাঁশ
ইত্যাদি) গারতে নিষেধ না করে।
অতঃপর আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) বললেন,
কী ব্যাপার আমি তোমাদেরকে রসূল
(সাঃ)-এর সুন্নাহ থেকে মুখ
ফিরাতে দেখছি! আল্লাহর কসম!
নিশ্চয় আমি এ (সুন্নাহ)কে তোমাদের
ঘাড়ে নিক্ষেপ করব (অর্থাৎ এ
কথা বলতে থাকব)। (সহীহুল
বুখারী ২৪৬৩,৫৬২৭ ও মুসলিম
১৬০৯)
৬) উক্ত রাবী (রাঃ) থেকেই বর্ণিত,
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন,
“যে ব্যাক্তি আল্লাহ ও শেষ দিনের
প্রতি বিশ্বাস রাখে, সে যেন তার
মেহেমানের খাতির করে।
এবং যে ব্যাক্তি আল্লাহ ও
পরকালের প্রতি বিশ্বাস রাখে,
সে যেন ভাল কথা বলে, নচেৎ চুপ
থাকে।” (সহীহুল
বুখারী ৬০১৮,৩৩৩১, মুসলিম
৪৭, ১৪৬৮)
৭) আবূ শুরায়হ খু্যায়ী (রাঃ) কর্তৃক
বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন,
“যে ব্যাক্তি আল্লাহ ও শেষ দিনের
প্রতি বিশ্বাস রাখে, সে যেন
প্রতিবেশীর সাথে সদ্ব্যবহার কর।
যে ব্যাক্তি আল্লাহ ও শেষ দিনের
প্রতি বিশ্বাস রাখে, সে যেন তার
মেহেমানের খাতির করে।
এবং যে ব্যাক্তি আল্লাহ ও
পরকালের প্রতি বিশ্বাস রাখে,
সে যেন ভাল কথা বলে, অথবা নীরব
থাকে।” (সহীহুল
বুখারী ৬০১৯,৬১৩৫, মুসলিম
৪৮)
৮) আয়েশা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত,
তিনি বলেন, আমি বললাম,
“হে আল্লাহর রসূল! আমার দু’জন
প্রতিবেশী আছে।(যদি দু’জনকেই
দেওয়া সম্ভব না হয় তাহলে)
আমি তাঁদের মধ্যে কার নিকট
হাদিয়া (উপঢৌকন) পাঠাব?’
তিনি বললেন, “যার দরজা তোমার
বেশী নিকটবর্তী, তার কাছে (পাঠাও)
।” (সহীহুল বুখারী ৬০২০,২২৫৯,
আবূ দাউদ ৫১৫৫)

কোন মন্তব্য নেই :

পাগলা কুকুরের চেয়েও নির্কৃষ্ট বর্তমানের পুলিশ ।

কোন মন্তব্য নেই




আমি যখন ছোট ছিলাম তখন আমার মা বাবা বলতো বাবারে পাগলা কুকুর থেকে দূরে থাকিস ।আর এখন বড় হয়ে স্বরাষ্ট প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকুর মুখ থেকে শুনলাম । সাংবাদিকদের কে বললেন পুলিশ থেকে দূরে থাকতে ।তার মানে পাগলা কুকুরের চেয়েও নির্কৃষ্ট বর্তমানের পুলিশ ।আর গতকাল ৩০শে মে স্বরাষ্টমন্ত্রী সাহারা খাতুন বললেন পুলিশের আচরণ নাকি আগের চেয়ে ভালো ।কোন দিক দিয়ে ভালো দেশের মানুষ ভালো করেই দেখতেশে ।লুচ্চামী বদমাশী সাংবাদিক পিটানী সহ নারী নির্যাতনও করতেছে পুলিশ ।এমনকি কর্লগার্লদের কে নিয়ে মহা ভোগে আছে পুলিশ ।এরকম খবরও দেখেছি দৈনিক মানব জমিনে ।পুলিশেই যদি এসব করে তাহলে দেশের লুচ্চা বদমাদের দোষ কোথাই? কিছু বলবেন কি?

কোন মন্তব্য নেই :

দেশে এখন নারী অধিকারের নামে নারী শুষণ চলতেছে ।বন্ধ হচ্ছেনা নারী নির্যাতনও ।সৈয়দ রুবেল ।

কোন মন্তব্য নেই



নারী অধিকার নিয়ে কি হচ্ছে আমাদের
দেশে?
চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখাবার দরকারনাই
তারপরও দেখাইয়ে দিতে চাই ।
চারি দিকে এখন একটি কথা শোনা যায়।
আর সেটা হলো নারী পুরুষের সমান
অধিকার ।যারা এধরণের
কথা বলে তাদের মাথাই ছায় গোবর
দিয়ে ভরে গেছে ।ছাইঁ গোবর
দিয়ে ভরে দিয়ে ভরে গেছে ঐসমস্ত
মেয়েদেরও ।যারাসমান অধিকারের
নামে রাস্তায় অর্ধনগ্ন
হয়ে নাচাঁনাচি করে ।মাথায়
কোনো কাপড় থাকেনা ।বুকে কাপড়
থাকতেও দেয়না ।এমন
অবস্তা সাংবাদিকরাও এসে ছবি তুলে,
ভিডিও করে ।আর এসব বেপোরা দূষ্য
আমাদের চোখের সামনে ঝুলে ।আর
বখাটেরাও এসব দেখে আর বলে কত বড়
ডাব ।তখন সম্মান কোথাই থাকে যখন
বখাটেরা টিলার উপর খামচা মারে ।
তখনই বা সম্মান কোথাই থাকে?
যখনপুলিশ এসে বুকেতে ঝাপটে ধরে,
পেটেতে লাঠি মারে,পাছাতে বারি মারে ।
অর্ধনগ্ন
করে টেনে হিচরে গাড়ীতে তুলে থানাই
নিয়ে চার্জ করে ।তার পরও রাস্তায়
মিটিং মিছিল করে ।
তাহলে এটাকি নারী নির্যাতন
নাকি নারীর অধিকার ।
বেলাজা বেহাইয়া তো এদেরকেই বলে ।
আর এসব চিত্র খালেদার সময়ও
দেখেছি হাসিনার সময়ও দেখতেছি ।এই
দুই দলেই
নারীদেরকে ব্যবহারকরে নিজেদের
রাজনীতির সার্থে ।তারপ্রমাণ
আন্দোলন করার সময়
নারীদেরকে সবার সামনে রাখে ।
তাছাড়া সমান অধিকার নারীর দাবি নয়
।তা ভোগবাদি পুরুষের দাবি ।নারীর
দাবি নায্য অধিকার ।এবং ইসলাম
নারীকে সে অধিকারই দিয়েছে।আর
সেটাই ইহুদী খৃষ্টান লাল কুত্তার
দালালদের মাথা ব্যাথার কারণ
হয়ে দাড়িয়েছে ।দুনিয়ার বেঈমান
কাফেরেরা ইসলামের ততটুকু
ক্ষতি করতে পারে নাই, যতটুক
ক্ষতি করেছে এদেশের
নামধারী মুসলমানরা ।
এদেরকে আগে চিহ্ন করার দরকার ।
এসমস্ত কুলাঙ্গাদের কারণে আজ
ইসলামকে নিয়ে ইহুদী খৃষ্টান
নাস্তিকেরা বান্দারীমি সাহস পায় ।
আবার তাদের সুরের সাথে সুর মিলাই ।
এসব গলাই এসিড ঢালার দরকার, কারণ
ফাড়া বাশের গলাতো ।এদেশের নারীদের
চোখ কি কানা হয়ে গেছে ।
তারা কি দেখেনা যারা নারীর
অধিকারের কথা বলে তারাই নারীর
ইজ্জত নিয়ে পুতুলের মতো খেলা করে ।
বিনা কারণে ,বিনা দোষে ইরাকের লক্ষ
মা বোনদের ইজ্জত লুটে নিছে ।বাবার
চোখের সামনে মেয়েকে ধর্ষণ করেছে ।
মেয়েদেরকে উঙ্গল
করে ঘোড়া বানিয়ে রাস্তায় ঘুরিয়েছে ।
এসব কথা বলতে মাস শেষ হবে কিন্তু
লেখা শেষ হবেনা ।এর পরও
যদি মেয়েরা বলে আমি সমান অধিকার
চায় তাহলে আমি মনে করবো এদের
জম্ম হয়েছে এসমস্ত
হায়ওয়ানজানোয়ারদের দ্বারাই ।
আপনার কাছে যদি ইসলামের আইন
ভালো না লাগে তাহলে ঐসব নরপুশুদের
কাছে চলে যান
বর্তমানে আমাদের দেশে যারা নারীর
অধিকারের কথা বলতেছে,তারাই
নারীদের কে নির্যাতন করতেছে ।
যারা নারীর অধিকারের কথা বলতেছে,
তারাই নারীদের খোলা দেহ
দেখিয়ে ব্যবসা করতেছে ।যারানারীর
অধিকারের কথা বলতেছে,তারাই
নারীদেরকে ভোগের বস্তু বানিয়েছে ।
ব্যবসায় যদি সফলতা পেতে চাও
নারীদেরকে কাজে লাগাও ।যার
কারণে ছবি গুলোতে আইটিম গান
দিয়ে ভরে গেছে ।এখন বুঝুন,
তারা কি নারীর অধিকারের
কথা বলে নাকি নারীর দেহ
দেখিয়ে ব্যবসা করে ।এটা কেমন
অধিকার, যেনারী সারা দিন ঘরের
বাহিরে কাজ করবে, আর
গাধা জামাইটা হাতে চুড়িপড়ে ঘরে বসে,পায়ের
উপর পা তুলে বউয়ের কামাই খাবে ।
এরাই হল ভোগবাদি পুরুষের দল ।
একটি ছাগীও ততটা বেকুব নয়
যতটা বেকুব হয়ে এখন কার মেয়েরা ।
কথাই আছেনা সুখে থাকলে ভূতে কিলাই
।ঠিক তাদেরকে শয়তানে কিলাই ।
তা না হলে ইসলাম নারীকে দিয়ে রাণীর
মর্যাদা ।আর পুরুষকে বানিয়েছেন হুকুম
পালনের গোলাম ।নারী যা আদেশ
করবে পুরুষের তা পালন করতে বাধ্য
থাকিব ।সেটা না করে নিজেরাই পুরুষের
গোলাম হয়ে গেলো।আমি আপনাদের কাছ
থেকে জানতে চাই নারী পুরুষ সমান
নাকি ব্যবধান ।যদি ব্যবধান
হয়ে থাকে তাহলে আপনি সমান অধিকার
দিবেন কিভাবে? কত বড়
গাজা খুরী কথা এখনি বুঝবেন ।যেমন
ধরুন, সন্তান গর্ভে ধারণ করা কষ্টের
কাজ ।সন্তানকে প্রসব করা কষ্টের
কাজ।সন্তানকে স্তনের দুধ পান
করানোকষ্টের কাজ ।এই
কষ্টগুলি যারা বলে নারী পুরুষ সমান
তারা এক তরফা ভাবে নারীদেরকেই
দিয়ে দেয় ।তারা অর্ধেক নেয়না ।এই
দুনিতিবাজ বাটপারের দল..... সমান
বলছ কেন? যদি সমান হয়
তাহলে একটি সন্তান তোর স্ত্রীর
গর্ভে জন্ম দিবি, আর একটি সন্তান
তোর নিজের গর্ভে জন্ম দিবি ।
জানি দিতে পারবেনা ।তারপরও এই
বাটপারেরা সমান বলে কেনো?কারণ
তারা ইহুদী খৃষ্টান নাস্তিক
লালকুত্তাদের পাচাটা দালাল ।কথা ঠিক
কি না বলেন? ।
এই বাটপারের দল.....নারীদের
প্রতিতোদের
মনে যদি এতো মায়া মহব্বত
থাকে তাহলে নারীদেরকে দিয়ে কাজ
করাস কেনো?নারী কাজটা কেনো তুই
করে দিস না ।কেনো সংসদে আইন পাস
করিস না ? এর জবাব দে ।সংসদে আই
পাস কর...... এখন থেকে সন্তান
গর্ভে ধারণ
করবে স্বামী একটি,স্ত্রীরী করবে একটি ।
মানে সব দিক থেকে নারীকে সমান
দিয়ে আইন পাস করে বাস্তবায়ন
করবি ।যদি তা না পারিস
তাহলে নারীকে নায্য অধিকার দে ।
যে অধিকার ইসলাম নারীকে দিয়েছে ।
যদি তা দিতে না পারিস তাহলে এদেশ
থেকে বের হয়ে যা ।আসল
কথা হলো এরা নারীদেরকে ভোগের বস্তু
বানিয়ে রাখতে চায় ।পুরুষের দ্বায়িত্ব
নারীর ঘাড়ে চাপাইয়ে দিতে চাই ।তাই
আসুন শেয়ার করে প্রতিবাদ জানাই ।
ব্লগার সৈয়দ রুবেল ।

কোন মন্তব্য নেই :

আমরা চোখ থাকতেও অন্ধ হয়ে থাকি?
কোন মন্তব্য নেই
ঘটনাটি রাশেদ নামের এক ব্যাক্তির।
তিনি যেমনটি বলছিলেন…
আমার স্ত্রী যখন প্রথম সন্তানের
মা হল তখন আমার বয়স তিরিশের
বেশি হবে না। আজও আমার সেই
রাতটার কথা মনে আছে।
প্রতিদিনের
অভ্যাস মতো সেদিনও সারারাত
বন্ধুদের সাথে বাড়ির বাইরে ছিলাম।
সারাটা রাত কেটেছিল যতসব
নিরর্থক আর অসার কথাবার্তা,
পরনিন্দা,
পরচর্চা এবং লোকজনকে নিয়ে ঠাট্টা তামাশা আর
মজা করে। সবাইকে হাসানোর
কাজটা মুলত আমিই করছিলাম।
আমি অন্যদের
নিয়ে ঠাট্টা মশকরা করছিলাম আর
তাই শুনে বন্ধুরা সব হেসেই খোশ
হচ্ছিল। মনে আছে, সেই
রাতে আমি ওদের অনেক
হাসিয়ে ছিলাম। মানুষের কণ্ঠস্বর,
অঙ্গভঙ্গি ইত্যাদি খুব ভাল নকল
করতে পারি আমি ।
যাকে নিয়ে ঠাট্টা মশকরা করি ওর
মত কণ্ঠ করে কথা বলতে থাকি। ওর
হ্যনস্থা না হওয়া পর্যন্ত আর
ছাড়াছাড়ি নেই। আমার
ঠাট্টা মশকরার ছোবল থেকে রেহাই
পাইনা কেউই, এমনকি আমার
বন্ধুরাও না। এর থেকে বাঁচার জন্য
কেউ কেউ আমাকে এড়িয়ে চলতে শুরু
করেছিল। আমার মনে আছে, সেদিন
রাতে বাজারে ভিক্ষা করতে দেখা এক
অন্ধ ফকিরকে নিয়েও
মশকরা করেছিলাম আমি। তারচেয়েও
খারাপ কাজটি করেছিলাম আমার
নিজের পা’টা ওনার
সামনে বাড়িয়ে দিয়ে আর
তাতে বেচারা হুমড়ি খেয়ে পড়ে গিয়েছিলেন।
কি করবেন
বুঝতে না পেরে অন্ধদৃষ্টি নিয়ে বেচারি চারপাশে শুধু
মুখ ফেরাচ্ছিলেন।
আমি যথারীতি দেরি করে বাড়ি ফিরে দেখলাম
আমার স্ত্রী আমার বাড়ি ফেরার
প্রতীক্ষায় প্রহর গুনছে।
অবস্থা তখন ওর ভয়ানক।
আমাকে কাঁপাকাঁপা গলায়বলল, “রাশেদ… কোথায় ছিলে তুমি?”

“চাঁদের দেশে গিয়েছিলাম বুঝি?” ব্যঙ্গোক্তি করে বললাম,“কোথায় থাকব আবার, বন্ধুদের সাথে ছিলাম।”
ওকে খুবই অবসন্ন দেখাচ্ছিল। চোখের দু’ফোটা অশ্রু গোপন করে ও বলল, “রাশেদ, আমি আর পারছিনা। মনে হয় খুব শীঘ্রই আমাদের সন্তান আসছে।” এবার দু’ফোটা অশ্রু ওর গণ্ডদেশ বেয়েগড়িয়ে পড়ল নিঃশব্দে।

মনে হল আমি আমার স্ত্রীকে অবহেলা করেছি।আমার উচিৎ ছিল আমার স্ত্রীর সেবা-শশ্রুষা করা। রাতের পর রাত বাইরে কাটিয়ে দেয়া আমার মোটেই উচিৎ হয়নি বিশেষ করে যখন ওর গর্ভের নবম মাস চলছিল। আমি তাড়াতাড়ি করে ওকেহাসপাতালে নিয়ে গেলাম;ও ডেলিভারি রুমে চলে গেল। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ব্যাথায় আর যন্ত্রণায়কাতর হয়ে থাকল।

আমি ডাক্তারের কাছে গেলাম। তিনি মানব জীবনেদুনিয়াবি নানান পরীক্ষা আর পার্থিব দুঃখকষ্ট নিয়ে কথা বলতে লাগলেন। বললেন, আল্লাহ্‌ আমাদের জন্য যা কিছু নির্ধারণ করেছেন তা নিয়েই আমাদের সন্তুষ্ট এবং পরিতৃপ্ত থাকা উচিৎ।

এরপর বললেন, “আপনার ছেলের চোখে গুরুতর রকমের বিকলাঙ্গতা রয়েছে এবং মনে হচ্ছে ওর দৃষ্টিশক্তি নেই।”

অনেক চেষ্টায় অশ্রু সংবরণ করতে করতে মস্তকটা আমার অবনত হয়েপড়ল… মনে পড়ল বাজারের ঐ অন্ধ ফকিরটারকথা যাকে হুমড়ি খেয়ে ফেলে দিয়ে অন্যদের ফুর্তির খোরাক যোগাচ্ছিলাম।

সুবহানআল্লাহ্‌! আপনি তাই পাবেন যা আপনি অন্যকে দিয়েছেন! কিছুক্ষণ নির্বাক হয়ে ভাবতে থাকলাম… বুঝতে পারছিলাম না কি বলব। মনে পড়ল আমার স্ত্রী আর সন্তানের কথা। ডাক্তারকে তার সহানুভূতির জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে ছুটে গেলাম ওদের দেখবার জন্য। আমার স্ত্রী কিন্তু মোটেই দুঃখিত নয়। ও আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে নির্ধারিত সিদ্ধান্তে বিশ্বাসী… আর তাতেই সন্তুষ্ট। কতবার ও আমাকে বলত মানুষকে নিয়ে ঠাট্টা তামাশা না করার জন্য! সেবলতেই থাকত, “পরের নিন্দা করনা…” যাইহোক, আমরা হাসপাতাল থেকে আসলাম; সালেম’ও আসল আমাদের সাথে।

বাস্তবে, আমি আমার সন্তানের প্রতি খুব বেশি মনযোগ দিতাম না। এমন ভাব করতাম যেন, ও বাড়িতে নেই। যখন ও জোরে জোরে কাঁদত, তখন আমি ওখান থেকে চলে গিয়ে শোয়ার ঘরে ঘুমাতাম। আমার স্ত্রী ওর অনেক যত্ন করত, ওকে অনেক ভালবাসত। আর আমার ব্যাপারে বললে, আমি ওকে অপছন্দ করতাম না তবে ভালবাসতেও পারতাম না।
সালেম আস্তে আস্তে বড় হতে লাগল। ও হামাগুড়ি দিতে লাগল; তবে ওর হামাগুড়ি দেয়াটা ছিল অদ্ভুত ধরনের। বয়স যখনপ্রায় একবছর তখন ও হাঁটতে চেষ্টা করতে লাগল; তখনই ওর পঙ্গুত্ব আমাদের কাছে ধরা পড়ল। এবার ওকে আমার কাছে আরো বড় ধরনের বোঝা মনে হতে লাগল।

সালেম’র পর আমাদের উমার এবং খালেদ নামে আরো দু’জন সন্তানের জন্ম হয়েছে। কয়েক বছর চলে গেল, সালেম বড় হয়ে উঠল; ওর ভাইয়েরাও বড় হয়ে উঠল। আমার বাড়িতেথাকতে ভাল লাগত না, আমি সবসময় বাড়ির বাইরে বন্ধুদের সাথে থাকতাম…বাস্তবে, আমি ছিলাম তাদের (বন্ধুদের) হাতে একটা খেলনা [দরকার লাগলেই ওরা আমাকে ফুর্তির জন্য ব্যবহার করত]।

আমার সংশোধনের ব্যাপারেআমার স্ত্রী কখনই হাল ছেড়ে দেয়নি। ও সর্বদায় আমার হেদায়াতের জন্য দোয়া’করত। আমার লাগামহীন বেপরোয়া আচরণে ও কখনই রাগ করত না। তবে সালেমে’র প্রতি আমার অবহেলা কিংবা ওর অন্য ভাইদের প্রতি আমার বেখেয়ালী ভাব দেখলে ও খুব মন খারাপ করত। সালেম বড় হয়ে উঠল। সাথে সাথে আমার দুঃশ্চিন্তাও বাড়ল। আমার স্ত্রী ওকে প্রতিবন্ধীদের বিশেষ কোন স্কুলে ভর্তি করিয়ে দিতে বলল; তবে কথাটি আমার কাছে খুব বেশি গুরুত্ব পেলনা।

কিভাবে যে বছরগুলো পার হয়ে গেল তা টেরই পেলাম না। আমার প্রতিটি দিনই কাটত একই ভাবে। খাওয়া, ঘুমানো, কাজ করা আর বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেয়া। এক শুক্রবারে ঘুম থেকে উঠলাম বেলা ১১ টায়। ঐ দিন আগেই ওঠা হল। একটা দাওয়াত ছিল; তাই কাপড়-চোপড় পড়ে, গায়ে খুশবু লাগিয়ে বের হচ্ছিলাম। কেবল শোবার ঘরটা পেরিয়েছি.. অমনি সালেমে’র অবস্থা দেখে থমকে দাঁড়ালাম-ও ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে!! শিশু অবস্থার পর এই প্রথম ওকে কাঁদতে দেখলাম। বিশটা বছর পেরিয়ে গেছে, আমি ওর দিকে নজর দেয়নি। এবারওপাশ কাটিয়ে যেতে চাইলাম, পারলাম না…ঘর থেকে শুনতে পাচ্ছিলাম যখন ওর মা’কে ও ডাকছিল। ওর দিকে ফিরে আরেকটু কাছে গেলাম।

“সালেম! কাঁদছ কেন?” আমি জিজ্ঞাস করলাম।
আমার গলা শুনে ওর কান্না থেমে গেল। আমি ওর খুব কাছাকাছি আছি টের পেয়ে ছোট্ট দু’খানা হাত দিয়ে চারপাশ হাতড়াতে লাগল। কী হয়েছে ওর? বুঝতে পারলাম ও আমার কাছ থেকে দূরে সরে যাওয়ার চেষ্টা করছে! যেন বলছে, “এতোদিনে তোমার সময় হয়েছে আমাকে খেয়াল করার? বিগত দশ বছর কোথায় ছিলে?” আমি ওকে ওর ঘরের ভেতর পর্যন্ত অনুসরণ করলাম। প্রথমে বলতে চাইনি ও কেন কাঁদছিল। আমি একটু নরম হওয়ার চেষ্টা করলাম… সালেম বলতে লাগল কেন ও কাঁদছিল। আমি শুনছিলাম আর আমার ভেতর কাঁপছিল।

আপনারা কি জানেন, ও কেন কাঁদছিল?! ওর ভাই উমার, যে ওকে মসজিদে নিয়ে যাই, ও এখনও আসেনি। আজ শুক্রবার; সালেম’র ভয়, ও প্রথম কাতারে হয়ত জায়গা পাবে না। ও উমার’কে ডেকেছে… ওর মা’কেও ডেকেছে… কারোর কোন সাড়া নেই, আর তাই ও কাঁদছে। ওর পাথর চোখ থেকে ঝরে পড়া অশ্রুর দিকে তাকিয়ে রইলাম। ওরপরের কথাগুলো আমার আর প্রাণে সইল না।

মুখের উপর হাত রেখে ওকে থামালাম আর জিজ্ঞেস করলাম, “সালেম, তুমি কি এ জন্যই কাঁদছ?”
ও বলল, “হ্যাঁ”।

আমি বন্ধুদের কথা ভুলে গেলাম, পার্টির কথাও আর মনে থাকল না।

আমি ওকে বললাম, “দুঃখ পেয়না, সালেম। তুমি কি জানো, আজ তোমাকে কে মসজিদে নিয়ে যাবে?”

“নিশ্চয় উমার”, সে বলল,“…কিন্তু ও তো এখনও আসেনি।”

“না”, আমি বললাম, “আজ আমিই তোমাকে নিয়ে যাব।”

সালেম হতভম্ভ হয়ে গেল… ওর বিশ্বাস হচ্ছিল না। ও ভাবল আমি ওর সাথে ইয়ার্কি করছি।চোখে পানি এসে গেল; আবারকাঁদতে লাগল ও। নিজ হাত দিয়ে চোখের পানি ফোঁটামুছে দিয়ে ওর হাত ধরলাম। চাইলাম গাড়িতে করেই ওকে মসজিদে নিয়ে যাব। কিন্তু ও রাজি হল না। বলল, “মসজিদ তো কাছেই… আমি হেঁটে যেতে চাই।” হ্যাঁ, আল্লাহ্‌রকসম, ও আমাকে একথাই বলল।মনে পড়েনা কবে শেষবারের মত মসজিদে প্রবেশ করেছিলাম। তবে জীবন থেকে অবহেলায় হারিয়ে দেয়া বিগত বছরগুলোর কথা পড়তেই মনের ভেতর ভয় আর অনুতাপের উদয় হল। মসজিদ মুসল্লিতে ভরা। তারপরও আমি সালেম’র জন্য প্রথম কাতারে একটু জায়গা খুঁজে নিলাম। একসাথেই জুম’আর খুৎবা শুনলাম; ও আমার পাশেই সালাত আদায় করল। কিন্তু দেখুন, আসলে কিন্তু আমিই ওরপাশে সালাত আদায় করলাম, ও আমার পাশে নয়। সালাত সমাপ্ত হলে সালেমআমার কাছে একখানা কোরআনচাইল। আমি তো অবাক! ভাবলাম ও কী করে পড়বে, ও তো দেখতে পাই না। বলতেগেলে ওর কথায় কানই দিলাম না। কিন্তু কষ্ট পেতে পারে এই ভয়ে একটু মজা করব ভাবলাম। ওকে একখানা কোরআন ধরিয়ে দিলাম। ও আমাকে সূরা আল- কাহ্ফ খুলে দিতে বলল। আমি পাতা উল্টাতে লাগলাম। খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত সূচীপত্র দেখতে থাকলাম।ও কোরআন খানা আমার কাছ থেকে নিয়ে ওর সামনে রেখে চোখ বন্ধ করেই সূরাটি পড়তে শুরু করল… সুবহানাল্লাহ! গোটা সূরা’টাই ওর মুখস্ত।
নিজের কথা ভেবে খুবই লজ্জিত হলাম। আমিও একখানা কোরআন তুলে নিলাম…বুঝতে পারলাম সারা শরীর আমার কাঁপছে… পড়া শুরু করলাম… পড়তেই থাকলাম।আল্লাহ্‌র কাছে ক্ষমা ভিক্ষা চাইলাম। আল্লাহ্‌র নিকট প্রার্থনা করলাম, “ইয়াআল্লাহ্‌! আমাকে সহজ সরল পথ দেখাও।” আর সইতে পারলাম না… ছোট বাচ্চার মতো কেঁদে ফেললাম। মসজিদে তখনও অনেক লোক সুন্নাত আদায়করছে। তাদের উপস্থিতি আমাকে একটু বিব্রত করল, আমি অশ্রু সংবরণ করলাম।আমার কান্না তখন চাপা দীর্ঘশ্বাসে রূপ নিয়েছে। শুধু উপলব্ধি হল যে একখানা কচি হাত আমার মুখখানা ছুতে চাইছে আর আমার ভেজা চোখ দু’টো মুছে দিচ্ছে। হ্যাঁ, ও আমার সালেম। আমি ওকে বুকে টেনে নিলাম… ওর দিকে তাকিয়ে নিজেকে বললাম…অন্ধ তো আমিই, অন্ধ তুমিনা। আমি অন্ধ না হলে কি আর ওসব বদ লোকদের পেছনে ছুটে বেড়াই যারা আমাকেজাহান্নামের আগুনের দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে?

সালাত শেষ করে আমরা বাড়ি ফিরলাম। আমার স্ত্রী সালেম’র জন্য অত্যন্ত চিন্তায় পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু ওর দুঃশ্চিন্তা অশ্রু (আন্দের) হয়ে ঝরল যখন দেখল আমিও সালেম’র সাথে জুম’আর সালাত আদায় করেছি।

সেদিনের পর থেকে আমি আর কখনই মসজিদে জামায়াতেরসাথে সালাত বাদ দেয়নি।আমি আমার খারাপ বন্ধুদের ত্যাগ করেছি। বন্ধু করেছি মসজিদের ঐ সৎ নিষ্ঠ লোকগুলোকে। তাদের সাথে আমিও পেয়েছি ঈমানের অমৃত স্বাদ। কি আমাকে আমার জীবন সম্পর্কে ভুলিয়ে রেখেছিল তাও তাদের থেকেজেনেছি, শিখেছি। বিতির সালাতের পরে যে দীনি আলোচনা হত আমি তাও কখন আর বাদ দিতাম না। মাসে পুরো কোরআন কয়েকবার করে পড়ে শেষ করতে থাকলাম। মানুষের কুৎসা রটিয়ে আর ঠাট্টা তামাশা করে নিজের যে জিহ্বা টাকে কলুষিত করেছিলাম তা এখন সদায় আল্লাহ্‌র স্মরণে সিক্তরাখলাম যাতে আল্লাহ্‌ আমাকে মাফ করে দেন।

একদিন আমার কিছু ন্যায়পরায়ণ, ধার্মিক বন্ধুরা মিলে দূরে এক জায়গায় দা’ওয়াতের কাজে যাওয়ার মনস্থির করল। তাদের সাথে যাওয়ার ব্যাপারে আমার একটু অনাগ্রহ ছিল। আমি ইস্তেখারাহ সালাত আদায়করলাম, আমার স্ত্রীর সাথেও পরামর্শ করলাম। ভেবেছিলাম ও বারন করবে যেতে… কিন্তু ঘটল তার উল্টোটা! কারন এতোদিন পাপের কারনে অনেক জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছি, অথচ ভুলেও ওকে একবার জিজ্ঞেস করিনি। আজ যখন ওকে জিজ্ঞেস করলাম, ও ভীষণ আনন্দিত হল, এমনকি আমাকে উৎসাহিতও করল। আমি সালেম’র কাছে গেলাম,বললাম আমি সফরে যাচ্ছি।শুনে ওর পাথর চোখদুটো ছলছল করে উঠল আর কচি বাহুতে আমাকে জড়িয়ে নিল…

বাড়ির বাইরে থাকলাম প্রায় সাড়ে তিন মাস। এই সময়টাতে যখনই সুযোগপেয়েছি আমি আমার স্ত্রী আর সন্তানদের সাথে ফোনে কথা বলেছি। ওদের জন্য আমার খুব খারাপ লাগত… কি খারাপই না লাগত সালেম’র জন্য!! ওর কণ্ঠটা শোনার ভীষণ ইচ্ছা জাগত… শুধু ওর সাথেই কথা হয়নি সফরের ঐ সময়টায়। ফোন করলেই শুনতাম হ্য় স্কুলে না হ্য় মসজিদে আছে। যতবারই বলতাম ওর কথা আমার ভীষণ মনে পড়ে, ওর জন্য আমার মন খারাপ করে,ততবারই আমার স্ত্রী খুশিতে হাসত। কিন্তু শেষবার ও হাসেনি। ওর কণ্ঠস্বরটা কেমন যেন আলাদা ছিল সেইবার। ওকে বললাম, “সালেমকে আমার সালাম দিও”, ও শুধু বলল, “ইনশাআল্লাহ্‌,” তারপর চুপ হয়ে রইল।
অবশেষে বাড়ি ফিরলাম। দরজায় করাঘাত করে দাঁড়িয়ে আছি সালেম এসে আমার দরজাটা খুলে দেবে এই আশায়। কিন্তু আশ্চর্য হলাম আমার প্রায় চার বছরের ছেলে খালেদকে দেখে। ওকে কোলেতুলে নিতেই ও নালিশের সুরে বলে উঠল, “বাবা! বাবা!”। বাড়িতে ঢুকতেইকেন জানিনা ভেতরটা মোচড় দিয়ে উঠল।

অভিশপ্ত শয়তান থেকে আল্লাহ্‌র কাছে সাহায্যচাইলাম…আমার স্ত্রীর কাছে গেলাম… ওর চেহারাটা কেমন যেন লাগছে। যেন কিছুই হয়নিএমন একটা ভান করছে ও। ভালো করে তাকিয়ে বললাম, “কি হয়েছে তোমার?” ও বলল, “কিছু নাহ।” হঠাৎ সালেম’র কথা মনে পড়ল। বললাম, “সালেম কোথায়?” ওর মাথাটা নিচু হয়ে গেল; কোন উত্তর দিলনা ও। ও কাঁদছে…

“সালেম! কোথায় আমার সালেম?” আমি চিৎকার করেউঠলাম।

ঠিক তখনই আমার ছোট ছেলে খালেদ ওর শিশু সুলভ ভাষায় বলে উঠল,
“বাবা… থালেম জান্নাতেতলে গেতে… আল্লাহ্‌র কাথে…” (সালেম জান্নাতে চলে গেছে… আল্লাহ্‌র কাছে…)

আমার স্ত্রী আর সইতে পারল না। ও কাঁদতে কাঁদতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ার আগেই ঘর থেকে চলে গেল। পরে জানলাম, আমি আসার দুই সপ্তাহ আগে সালেম’র জ্বর হয়েছিল। আমার স্ত্রী ওকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল। জ্বর আস্তে আস্তে ভয়ানক রূপ ধারন করল…অবশেষে জ্বর ছেড়েগেল… সাথে গেল আমার সালেম’র প্রাণ পাখিটাও…

আর তাই, যদি দুনিয়া সমান বিপদ আসে আপনার উপর, যদি তা বইবার সাধ্যনা থাকে, তো আল্লাহ্‌কে ডাকুন, “ইয়া আল্লাহ্‌!” যদি পথ হারিয়ে ফেলেন কিংবা যদি পথ সংকীর্ণ হয়ে যাই, যদি পাল ছিঁড়ে যাই, যদি আশার প্রদীপ নিভে যাই, তো আল্লাহ্‌কে ডাকুন, “ইয়া আল্লাহ্‌!”

আল্লাহ্‌ চেয়েছিলেন সন্তানের মৃত্যুর আগেই পিতাকে সন্তানের মাধ্যমে হেদায়াত দান করতে। আল্লাহ্‌ রাব্বুল‘আলামীন কতই না দয়ালু!

“ অনেক মহান কর্ম নিয়্যতের কারনে তুচ্ছ হয়ে যাই আবার অনেক নগণ্য কর্ম নিয়্যত গুণে মহান হয়ে ওঠে… ”
(আবদুল্লাহ ইবন মুবারাক)

কোন মন্তব্য নেই :

নও মুসলিমের কাহিনীঃ ডঃ শিবশক্তি স্বরূপজীরএকটি সাক্ষাৎকার

কোন মন্তব্য নেই
“অজ্ঞানতার দুনিয়ায় আমি ‘ভগবান’ হিসেবে পূজিত ছিলাম, আলোকিত বিশ্বে আমি নিজকে মানুষহিসেবে খুঁজে পেয়েছি।” ডঃ স্বরূপজী
ডঃ স্বরূপজী ইসলামে মুক্তির স্বাদ পেলেন গত১০ই মে (১৯৮৬) ভারতের সাম্প্রতিক কালের এক মহাত্মা ধর্মগুরু যিনি সেদিন পর্যন্ত সেদেশের সর্বত্র ‘ভগবান’ নামে পরিচিত ও পূজিত ছিলেন সেই ডঃ শিবশক্তি স্বরূপজী মহারাজ উদাসেননিজ স্ত্রী ও কন্যাসহ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।তাহার নতুন নাম রাখা হয় ইসলামুল হক, পত্নীর নাম খোদেজা হক আর কন্যা নাম রাখা হয় আয়েশা হক। গুজরাটের প্রভাবশালী সাপ্তাহিক ‘শাহীন’ এর তরফ হতে সম্প্রতি ডঃ ইসলামুল হকের এক সাক্ষাৎকর গ্রহণ করা হয়। ১ মার্চ ৮৭ তারিখে সাপ্তাহিক ‘শাহীন] এর প্রকাশিত উক্ত সাক্ষাৎকরটি ইত্তেফাকের পাঠক-পাঠিকা বর্গের নিকট প্রেরণ করেছেন মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান, পোষ্ট বক্স নং-২৫, জেদ্দা-২১৪১, সৌদি আরব হতে।

প্রশ্ন : ইসলাম গ্রহণের পর আপনি কি অনুভব করছেন ?
উত্তরঃ আল্লাহর হাজারশোকর যে, তিনি আমাকে ঈমানের অমূল্য সম্পদ প্রদান করেছেন। আমি নিজকে পৃথিবীর এক ভাগ্যবান ও বিজয়ী পুরুষ বলে মনে করি। অজ্ঞানতার দুনিয়ায় আমি ‘ভগবান’ হিসেবে পূজিত ছিলাম, আলোকিত বিশ্বে আমি নিজকে মানুষহিসেবে খুঁজে পেয়েছি।

প্রশ্নঃ আপনাকে ধন্যবাদ। এখন আপনি মেহেরবানী করে আপনার আগের নাম ও পরিচয় সম্বন্ধে কিছু বলুন ?উত্তরঃ আমার নাম মহানত, ডঃ শিবশক্তি স্বরূপজী মহারাজ উদাসেন, ধর্মচারিয়া, আদ্যশক্তিপীঠ। উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত আমার পেশা মহানতগিরি। বৃন্দাবনে ‘অনাখন্ড আশ্রম’ নামে আমার বড় আশ্রম ছিল। দ্বিতীয় আশ্রম ছিল বোম্বাইয়ের মুলুনডে। আর তৃতীয় দেবালেইনে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের এই আশ্রমটির নির্মাণ কাজ প্রায় ৫০ একর জমির উপর চলছিল। ‘খালাপ পথে’ চলা মানুষের সুপথে আনারউদ্দেশ্যে শিক্ষাদান’ পথ প্রদর্শন ও শিষ্য তৈরী করা ছিল আমার প্রাত্যাহিক কাজ।

প্রশ্ন: আপনার পান্ডিত্যের খ্যাতিসর্বত্র। আপনি আপনার নিজের সম্পর্কে , নিজের শিক্ষা জীবন ও ধর্মজীবন সম্পর্কে কিছু বলুন।উত্তরঃ আশ্রমেই আমার শিক্ষার সূচনা হয়। পরেএলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ওরিয়েন্টালিজমে এম.এ। গুরুকুল কাংডি থেকে ‘আচারিয়া’ (আচার্য) পদবী লাভ। বৃটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিশ্বের দশটি প্রধানতম ধর্মের উপর ডক্টর অব ডিভাইনিটি এবং সেই সাথেওরিয়েন্টালিজমে আরেক পি.এইচ.ডি। পোপ পল-৬ এর আহবানে ইতালী যাই। সেখানে সাতটি বিভিন্ন বিষয়ে ভাষণ দান করি। আমাকে এক মহাসম্মান ভাটিকানের নাগরিত্ব দানকরা হয়। এবং খ্রীষ্ট ধর্ম গ্রহণের জন্য বিশেষ অনুরোধ জানান হয়। আমি তদের অনুরোধ উপেক্ষা করে ভারতে এসে বিধিমত মুকুট ধারণ করে আশ্রমের গদিতে বসে পড়ি। আমার জন্ম ১৯৩৬ সালের ২ ফেব্রুয়ারী। জন্মস্থান মথুরা, বৃন্দাবন। আমি প্রায় ১২টি ভাষা জানি, এর মধ্যে ইংরেজী, সংস্কৃত, গ্রীক, হিন্দি, পালি, গোরমুখী, মারাঠী, গুজরাতি, উর্দু ও আরবী আমার ভাল লাগে। … আগেই বলেছি, আমি দুনিয়ার দশটি প্রধানতম ধর্মের উপর তুলনামূলক পড়াশুনাও গবেষণা করেছি। সে জন্য সত্য স্বীকারে আমার কোন সংকোচ ছিল না। আমার সমকালীনদের মধ্যে হিন্দু জগতের বড় বড় জ্ঞানী-গুণী ব্যক্তিত্ব ও পন্ডিত রয়েছেন। যেমন জগৎগুরু শংকরাচার্য, রামগোপাল শারওয়ালে, পুরীর শংকরাচার্য, মহামন্ডেলশ্বর স্বামী অখন্ডানন্দজী, গুরু গোলওয়ালকার বাবা সাহেবদেশমুখ, বালঠাকুরে, অটলবিহারী বাজপায়ী, নানা সাহেব, দেশমুখ, বিনোবা ভাবে এবং অন্যান্য। একবার তিনি তার “পরমধাম” আশ্রমে আমাকে বক্তৃতাদানের বিশেষ আমন্ত্রণ জানান। সেখানে উপস্থিত লোকজনেরসামনে দাদা ধর্মাধীকারীআমাকে জিজ্ঞাসা করে বসেনঃ “আপনি পৃথিবীর বিভিন্ন ধর্ম সম্বন্ধে পড়াশুনা করেছেন, মানুষের জন্য কোন ধর্ম শ্রেষ্ঠ বলে মনে হয়? আমি জবাবে বলেছিলাম,‘ইসলাম’ আমার জওয়াবে দাদা খুশী হন নাই। তিনি বলেন, উঠেন, “ইসলাম নানা বাধা-বন্ধনআরো করে।” আমি জবাব দিলাম, “যে বন্ধন বাঁধে,সেই বন্ধনই মুক্তি দিতেপারে। আর যে প্রথম থেকে স্বাধীন, তার সারা জীবনের জন্য বন্ধন সৃষ্টি প্রবণতা থেকে যাবে। এ ধরনীতে মানুষকেএক সাথে বেঁধ রাখার জন্য বন্ধনকারী ধর্মের প্রয়োজন রয়েছে, যা তাদের পৃথিবীতে ভাল করেবেঁধে রাখবে এবং পরলোকেমুক্ত করে দেবে। আর এ রকম ধর্ম আমার মতে একমাত্র ইসলামেই রয়েছে। ইসলাম ছাড়া এরকম ধর্ম আমি আর দেখি না।”প্রশ্নঃ নিজের ইসলাম গ্রহণের কারণ সম্পর্কে কিছু বর্ণনা করুন।
উত্তরঃ ১৯৮৪’র জানুয়ারীর কথা। এক রাত্রে আমি স্বপ্ন দেখলাম। একদল লোক আমাকেধাওয়া করছে। আমি দৌড়াচ্ছি তারাও দৌড়াচ্ছে। আমি দাঁড়াই, তারাও দাঁড়ায়। হঠাৎ আমি ধাক্কা খেলাম এবং মাটিতে পড়ে গেলাম। দু’টি অজানা হাত আমাকে ধরে দাঁড় করালো। দাঁড়িয়ে এক নূরানী চেহারার দিকে অবাক হয়েথাকিয়ে রইলাম। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এক ভদ্রলোক আমাকে বললেন, ইনি হযরত মোহাম্মদ (সাঃ)। আমার শরীর কাঁপতে শুরু করল। নবীজীবললেন, ‘‘কলমা পড়।” আমি কলমা পড়লাম। তিনি আমারডান হাত নিজের পবিত্র হাতের মধ্যে রেখে যা যা পড়াতে লাগলেন, আমি তা পড়তে লাগলাম। এমনি করেপড়া শেষ হলো। তার পর তিনি আমাকে আলিঙ্গন করলেনঃ আর বললেন, “এ দেশকে কলমা পড়াও।” আমিকতক্ষণ ধরে এ স্বপ্ন দেখেছিলাম, তা আমার মনে নেই। যখন চোখ খুললাম, দেখলাম রাত তিনটা বাজে।একই রাতে, একই সময়ে আমার স্ত্রীও এ ধরনের স্বপ্ন দেখেছিলেন। … আমরা স্বামী-স্ত্রী দুজনেই নিজেদের প্রথম শতাব্দীর মুসলমান বলে ভাবতে লাগলাম। আমি বিধিসম্মতভাবে মুসলমান হবার উপায় খুঁজতে লাগলাম, এখানে সেখানে ঘুরি, আর মুসলমানদের সাথে সম্পক বাড়াই। চুপিসরে নামায পড়ি। এবাদত বন্দেগী করি। পরিশেষে ভাগ্যক্রমে আলেমদের শহর ভুপাল পৌঁছি। ১৯৮৬-এর ১০ই মে, রমজান মাসের চাঁদ দেখারসাথে সাথে আমি আমার স্ত্রী আর আমার যুবতী কন্যা প্রকাশ্যভাবে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করি। আলহামদুলিল্লাহ
প্রশ্নঃ আপনি বহু ধর্ম অধ্যায়ন করেছেন। ইসলামের পূর্ববর্তী ধর্মগ্রন্থে আল্লাহ , কুরআন , মোহাম্মদ (সাঃ) অথবা ইসলাম সম্পর্কে কোন বর্ণনা দেখতে পেয়েছেন ?
উত্তরঃ বৌদ্ধ ও জৈন মতবাদ ছাড়া বাকী সব ধর্ম গ্রন্থে আল্লাহ, মোহাম্মদ (সাঃ) অথবা আহমদ নাম পাওয়া যায়। বেদে খুবই স্পষ্টভাবে পাওয়া যায়।

প্রশ্নঃ আপনি লাখ লাখ টাকার সম্পদের মোহ ছেড়ে দিয়ে ইসলাম কবুল করেছেন। বর্তমানে আপনি কিভাবে জীবন নির্বাহ করছেন ?
উত্তরঃ আমি সমগ্র বিশ্বের
রাজত্বও ইসলামের এই মহান
উপহারের বদলে ত্যাগ
করতে দ্বিধা বা কুন্ঠাবোধ করতাম
না। ইসলাম গ্রহণের
মাধ্যমে যে তৃপ্তি আমি পেয়েছি সাতরাজ্যের
ধন সম্পদ লাভ করেও
তা পাওয়া সম্ভব নয়।
আমি আয়ুর্বেদিক
পদ্ধতিতে চিকিৎসা করি। আল্লাহ
তায়ালার কৃপায়
প্যারা মাইক্রো পন্থায় দুরারোগ্য
ব্যাধির উপশম ঘটাই। এতেই আমার,
আমার পরিবারের ডাল রুটির
ব্যবস্থা হয়ে যায়।
প্রশ্নঃ সারওয়ারে কায়েনাত হযরত
মোহাম্মদ (সাঃ) সম্পর্কে আপনার
ধারণা কি?
উত্তরঃ আমি আল্লাহ
তায়ালাকে চিনতাম না। আল্লাহর
কসম,
তিনি আমাকে রাব্বে জুলজালালকে চিনিয়ে দিয়ছেন…..।
প্রশ্নঃ ইসলামের
সিপাহী হিসেবে আপনি দুনিয়ার
মুসলমানদের
উদ্দেশ্যে কি বাণী রাখতে চান। ….
আপনার মতে মুসলমানদের কেমন
হওয়া উচিত?
উত্তর : এ
ব্যাপারে নবীজি যা বলেছেন তার
চেয়ে ভাল কিছু আর কে বলতে পারে?
তিনি মুসলামনদেরকে এমন সোনার
টুকরার সাথে তুলনা করেছেন কোন
অবস্থায়ই যার ঔজ্জ্বল্য কমে না।
আরেক জায়গায় তিনি মুসলমানদের
তুলনা করেছেন মধুমক্কীকার সাথে,
যা ফুলের উপর গিয়ে বসে,
নোংরা জায়গায় বসে না। ফুল
থেকে রস চুষে মধু বানায়, বিষ
তৈরী করে না। আর তা সে নিজের
জন্য নয়, অপরের জন্য তৈরী করে।
সে ডালে বসে, সে ডালের কোন
ক্ষতি করে না। অন্যত্র
তিনি বলেছেন, মুসলমান সেই, যার হাত
ও কথা থেকে অন্য মুসলমান নিরাপদ
থাকে।
প্রশ্নঃ আপনার ভবিষ্যৎ
সম্পর্কে কিছু বলুন।
উত্তর : স্বার্থপরতার জাল
হঠাতে হবে। মুসলিম মুজাহিদদের নতুন
শপথ নিয়ে মঠে নামতে হবে। সাহস,
নিঃস্বার্থ ঈমান, আর মন-প্রাণ
ঢেলে কাজে নামতে হবে। আমার নিজের
তরফ থেকে আন্দোলন গড়ে তোলার
চেষ্টায় আছি। সমগ্র মুসলিম
সমাজকে এক দেহ আর এক
প্রাণে পরিণত করতে হবে। এ
বিষয়ে আমার কার্যক্রম নিম্নরূপ :
(১) ইসলামের সুরক্ষা (২)
মুসলমানদের দ্বীন-দুনিয়ার মূল্য ও
গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন করা (৩)
সারা বিশ্বের মানুষের
কাছে তারে ভাষায় ইসলামের দাওয়াত
পৌছান।

কোন মন্তব্য নেই :

মুসলিম বালকের হাতে খ্রিস্টান প্রশিক্ষকের ইসলাম গ্রহণ

কোন মন্তব্য নেই
ফিলিপাইনের জাতীয় সাঁতার দলের প্রশিক্ষক,ম্যানিলা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মনোবিজ্ঞানের ওপর ডিগ্রি নেয়া ক্যাপ্টেনআব্দুল কারীম এরসিনাস নিজের ইসলাম গ্রহণের গল্প তুলে ধরেন এভাবে-
আল্লাহর অসংখ্য প্রশংসাযে, (এরসিনাস) খ্রিস্টান পরিবারের প্রথম সদস্য হিসেবে তিনি আমাকে ইসলামে দীক্ষিত হওয়ার সৌভাগ্যে ভূষিত করেছেন।আমার জন্ম ও শিক্ষা রাজধানী ম্যানিলার এক খ্রিস্টান পরিবেশে। এখানে কোনো মুসলিম নেই।ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলগুলোতেই মুসলিমদের অবস্থান সীমিত। বাল্যকালে আমার পরিবার চাইতো গির্জায় আমি বেশি বেশি সময় দেই। বাবা যখন আমাকে গির্জায় নিয়ে যাবার সুযোগ করতে পারছিলেন না, তখন আমার বয়সে বড় এক ভাই এলেন। তিনি রোজ আমাকে গির্জায় নিয়ে যেতেন।

আমি যখন যৌবনে পা রাখলাম, গির্জায় যেতে কোনো আগ্রহ বোধ করছিলামনা। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর নিজ ধর্ম খ্রিস্টবাদ নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করতে লাগলাম। এ সম্পর্কে বিস্তর পড়াশুনা শুরু করলাম। আমি বিস্ময়ের সঙ্গে দেখতে পেলাম, খ্রিস্ট ধর্মে ক্যাথলিক, প্রোটেস্টান্টসহ নানা বিভক্তি। আমার বিস্ময় বেড়ে গেল যখন দেখলাম ধর্মমতে ব্যাপক বিভক্তিথাকলেও তাওহীদ তথা আল্লাহর একত্ববাদে ঈমাননা আনার বেলায় এরা সব একাট্টা।শিক্ষা জীবন শেষে সাঁতার প্রশিক্ষক হিসেবে আমি সৌদি আরব গেলাম। এই প্রথম আমার মুসলিমদের সংস্পর্শে আসা। আগেই বলেছি ফিলিপাইনে থাকতে আমি কোনো মুসলিমের সঙ্গ পাইনি। ফিলিপাইনের মুসলিমরা তাদের অঞ্চলগুলোতেই সীমাবদ্ধ থাকেন। আমরা তাদের সম্পর্কে সঠিক কোনো তথ্য পাই না। সরকারি প্রচার মাধ্যম যা প্রচার করে অগত্যা আমাদেরকে তা-ই বিশ্বাস করতে হয়। মিডিয়া দেশের জনসাধারণের মধ্যেপ্রচার করে, দক্ষিণাঞ্চলে মুসলিমদের সঙ্গে সরকারিবাহিনীর যেসব সংঘর্ষ হয় তা রাজনৈতিক। এর সঙ্গে ধর্মের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা মুসলমানদের একটি উগ্রগোষ্ঠী হিসেবে তুলেধরে। যারা কেবল তাদের দেশকে দ্বিখণ্ডিত করতে চায়। পেতে চায় তাদের রাজনৈতিক অধিকার। আল্লাহর অসংখ্য শুকরিয়া যে, আজ আমি যাদের একজনে পরিণত হয়েছি সেই মুসলিম ভাইদের কারও দিকে কখনো অস্ত্র তাক করিনি।

আমি সৌদি আরবে যাওয়ার পরেই কেবল মুসলিম সম্পর্কে জানতে পারি। তাদের অবস্থা, আচার ও আকীদা (বিশ্বাস) সম্পর্কে অবহিত হই। আমিযাদের সাঁতার প্রশিক্ষণদিতাম তাদের মধ্যে এক বালক ছিল। বয়স তার অনূর্ধ্ব তেরো। ক্ষুদে এই মুসলিমের চলাফেরা ও কাজকর্মে লক্ষ্য করতাম দারুণ এক নিয়মানুবর্তিতা। ওর স্বভাব শান্ত। জীবন যাপন সুশৃঙ্খল। আমাকে দেয়া প্রতিশ্রুতির অন্যথা করে না সে কখনো। যথাসময়ে সালাত আদায়ে তার চেষ্টা দেখার মতো। অবসরের সিংহভাগ সময়ই কাটত তার নিবিষ্টমনে কুরআন তেলাওয়াতে।

মুসলিম বালকটির ছিল তীক্ষ্ন মেধা আর বিস্ময়কর পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা। আমি তার কর্মকাণ্ডের প্রতি লক্ষ্য করছি, তার সঙ্গ আমাকে আনন্দ দিচ্ছে- এতটুকু বুঝতে পেরেই সে আমার সামনে একগাদা ইংরেজিতে অনূদিত ইসলাম ও তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বের বই উপস্থাপন করল। ইংরেজি অনুবাদসহ কুরআন শরীফের একটি কপিও দিল। সঙ্গে সে এও বলল, ‘আপনি এসব পড়লেই আমার সুবিন্যস্তজীবন যাপনের রহস্য উদ্ধার করতে পারবেন।’এই প্রথম ইসলাম সম্পর্কে জানার অভিজ্ঞতা। যত পড়লাম আমার সামনে একে একে অজানা জগত উদ্ভাসিত হতেলাগল। আমি বা আমার মতো অন্য কেউ এ জগতের সন্ধান পাননি। এসব পড়েআমি খুব প্রভাবিত হলাম।বিশেষ করে যখন কুরআন শরীফের তরজমা পড়লাম। একিতাবে যে একক স্রষ্টারকথা বলা হয়েছে, তা আমারচিন্তার সঙ্গে মিলে গেল। এ চিন্তায় আমি খুব তৃপ্তি ও স্বস্থি বোধ করলাম। এরপর আমি প্রবলভাবে ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট হলাম। এমনকি আমি ইসলাম গ্রহণের ঘোষণা দেয়ার আগেই নিজের নতুন নামও (আব্দুল করীম) ঠিক করে ফেললাম। আসলে ইসলামের সঙ্গে আমার এই পরিচয়েরজন্য আল্লাহর অনুগ্রহেরপর এই বালকটির প্রতিই আমি কৃতজ্ঞ। এই পরিচয়ের পরই শুরু হয় হেদায়েতের পথে আমার অভিযাত্রা।

আমি খুব গুরুত্ব দিয়ে প্রতিদিন দেখতে লাগলাম আমার সহকর্মীদের সময়মতো সালাত আদায়ের দৃশ্য। আমার কর্মক্ষেত্রেই ছিল মসজিদ। আমি পর্যবেক্ষণ করতাম তাদের সালাত। কী বিস্ময়কর তন্ময়তায় তারা নামাজে নিমগ্ন হত! সবাই একসঙ্গে রুকু করছে, সিজদা করছে! একই ইমামের পেছনে সবাই কত শৃঙ্খলা ও গুরুত্বের সঙ্গে নামাজ আদায় করছে! আমার কর্মস্থলের বন্ধুরাও অনুদারতা দেখাননি। তারা আমাকে জেদ্দায় রাখা এই বালকটির মতই সহযোগিতা করেছেন। যথেষ্ট যত্ন-আত্তি করেছেন। তারা যখন আমার ইসলাম সম্পর্কে অনুসন্ধিৎসা, ইসলাম নিয়ে বেশি বেশি আলোচনা এবং নামাজের ব্যাপারে অনন্ত কৌতূহল লক্ষ্য করলেন, আমাকে ইসলাম সম্পর্কে কিছু কিতাব পড়তে দিলেন।তাদের দেয়া গ্রন্থগুলোর মধ্যে ছিল পাদ্রীদের সঙ্গে আহমদ দিদাতের সংলাপের বই। আমি অনেক শুনেছি, মুসলমানরা অন্যদের ইসলাম গ্রহণে বাধ্য করে। সৌদি আরবে আসার এগে থেকেই আমার মাথায় এই চিত্র আকাঁ ছিল। কিন্তু এখানে এসে আমি এ ধরনের কোনো আচরণ দেখলামনা। সিজওয়ার্টের সঙ্গেআহমদ দিদাতের বিতর্ক অনুষ্ঠানের বই আমার মনেঅনেক গভীর প্রভাব সৃষ্টি করল। এই লোকটির ব্যাপারে আমি যার পর নাই বিস্মিত। কিভাবে তিনি একেরপর এক প্রমাণ উপস্থাপন করেন! একটির পিঠে আরেকটি যুক্তি তুলে ধরেন! বর্ণনা আর যুক্তি কোনোটির অভাব নেই তাতে! প্রতিটি আসর পাঠে আমি হেসে মরি আর সিজওয়ার্ট পরাজিত বিষণ্ন হতে থাকে। তার প্রতিক্রিয়া ছিল অতৃপ্ত মানুষের নির্ভুলপ্রতিক্রিয়া। তার অবস্থান যে ভ্রান্তির পক্ষে, মুসলমানদের আগে তা খ্রিস্টানও বুঝতে পারছিল।

এক পর্যায়ে আমি আহমদ দিদাতের কাছে চিঠি লিখলাম। এতে আমি তার যুক্তির শাণিত অস্ত্র দিয়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার অসাধারণ ক্ষমতার প্রশংসা করলাম।তার কাছে এ ধরনের অসত্য থেকে সত্য উন্মোচনকারী বিতর্ক ও সংলাপের বেশি বেশি বই চাইলাম।

এখন আমি খ্রিস্টান থেকেধর্মান্তরিত হয়ে মুসলিম হওয়ার প্রয়োজনবোধ করলাম। এতদুদ্দেশে আমার সহকর্মীদের কাছে এজন্য আমার করণীয় কী তা জানতে চাইলাম। আর সেদিনই আমি ইসলাম গ্রহণকরলাম। আমি ঈমান আনলাম আল্লাহর ওপর, তাঁর রাসূলের ওপর এবং শেষ দিবসের ওপর। বিশ্বাস স্থাপন করলাম জান্নাত ওজাহান্নাম সম্পর্কেও।সে এক অবিস্মরণীয় স্মৃতি। আমি নিজের অপরিমেয় সৌভাগ্য অনুভবকরলাম। আজ অনুগত মুসলিমহিসেবে জীবন যাপন করি। আমি সালাত আদায়ে মসজিদে যাই। সেখানে সিজদাবনত হয়ে এক অপার্থিব তৃপ্তি ও সুখ বোধ করি। জীবন যাপনেও তেমনি অপূর্ব প্রশান্তির আস্বাদ পাই।আমার অতীত জীবন ছিল বিশৃঙ্খলা আর উদ্দেশ্যহীন হট্টগোলে পূর্ণ। আল্লাহ আমাকে সেঅবস্থার বদলে আজ আলো, শৃঙ্খলা, সচ্চরিত্র ও মূল্যবোধের জীবন দান করেছেন। সত্যিই আমি মুসলিম ভাইদের সঙ্গ পেয়ে সৌভাগ্যবান। সন্দেহ নেই ইসলাম অনেক মহান ধর্ম। এর সঙ্গে জড়িয়ে ধন্য আমার জীবন।

কোন মন্তব্য নেই :

পবিত্র কুরআনের অলৌকিকতা নিয়ে অসাধারণ একটি পোষ্ট....যা শিহরিত করবে আপনাকে

1 টি মন্তব্য
পবিত্র কুরআনের অলৌকিকতা আর
বিশেষ বিশেষ মু'যেজা... যা আপনার
শরীরে শিহরণ জাগাতে বাধ্য।
আজ আপনাদের জানাবো 'টুইন টাওয়ার'
নিয়েপবিত্র কুরআনের আয়াত
সম্পর্কে!
মহান আল্লাহ তায়ালা দুনিয়া সৃষ্টির
পূর্বে পরিপূর্ণ কুরআন যখন
'লাওহে মাহফুজে' সংরক্ষিত
রেখেছিলেন ...তখনই 'টুইন টাওয়ার'
নিয়ে কুরআনের আয়াতটি নাজিল করেন।
যে ঘটনাটি বাস্তবে রুপ নেয় ১১ই
সেপ্টেম্বর,২০০১ !
পবিত্র কুরআনের সেই আয়াতটির
অনুবাদ হলোঃ
'যে ব্যক্তি তাহার গৃহের
ভিত্তি আল্লাহ-ভীতি ও আল্লাহর
সন্তুষ্টির উপর স্থাপন
করে সে উত্তম,না ঐ ব্যক্তি উত্তম
যে তাহার গৃহের ভিত্তি স্থাপন করে এক
'খাতের' ধ্বংসন্মুখ
কিনারায়,ফলে যাহা উহাকেসহ
জাহান্নামের অগ্নিতে পতিত হয়?
আল্লাহযালিম সম্প্রদায়কে পথ
প্রদর্শন করেন না'----
(সূরা তাওবাহ,আয়াত-১০৯ )
এ তো গেল শুধু আয়াত! আসুন
না জেনে নেই আয়াত সম্পর্কিত কিছু
অলৌকিক তথ্যঃ
ණ ১.উক্ত আয়াতটি পবিত্র কুরআনের
প্রথমথেকে গণনা করলে দেখা যাবে,এটি কুরআনের২০০১নং আয়াত!
যা ২০০১ সালকে নির্দেশ করে!!!
ණ ২.এটি পবিত্র কুরআনের ৯নং সূরার
(সূরা তাওবাহ্) আয়াত! যা ৯নং মাস
অর্থাত্ সেপ্টেম্বর মাসকে নির্দেশ
করে!
ණ ৩.এই সূরাটি কুরআনের ১১নং পারায়
অবস্থিত! যা সেপ্টেম্বর মাসের ১১
তারিখকে নির্দেশ করে!
ණ ৪.এটি সূরা তাওবার ১০৯
নং আয়াত!
যা আপনাকে মনে করিয়ে দেবে 'টুইন
টাওয়ার কিন্তু ১০৯ তলা ছিল'!
ණ ৫.আয়াতটি লক্ষ্য
করলে আপনারা দেখতে পাবেন 'খাত'
নামক একটি শব্দ পয়েন্ট করা আছে! এই
'খাত' বলতে বুঝানো হয়েছে গর্ত জাতীয়
কিছু।ধ্বংস হয়ে যে গর্তে পড়বে 'টুইন
টাওয়ার'!
কুরআনের আয়াতে গর্তটিকে উল্লেখ
করে আরবীতে লেখা আছে 'জুরুফিন হার'!
যে শব্দের আরবী কোন অর্থ নেই!
অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে 'জুরুফিন হার'
আমেরিকার সেই জায়গাটির নাম... যেই
জায়গাটিতেই ভেঙ্গে পড়েছিল 'টুইন
টাওয়ার'
ණ সর্বশেষ প্রমাণ, কুরআনের
আয়াতটি আল্লাহ শেষ করেছেন
একটি কথার মাধ্যমে...কথাটি
হলো 'আল্লাহ যালিম সম্প্রদায়কে পথ
প্রদর্শন করেন না'
জর্জ ডাব্লিউ বুশ সহ বেশির ভাগ
স্থানীয় আমেরিকান যে 'যালিম',সেটাও
কি নতুন করে বলতে হবে!
কুরআনের আরেক মুযেজার নাম
সুরা রুম...যা তুলে ধরেছে রোম
সম্রাজ্যের ইতিহাস!
তারপরও কি আপনি একজন মুসলমান
হিসেবে পবিত্র কুরআন অবিশ্বাস
করতে পারবেন! জানি...চাইলেও
তা পারবেন না।
মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের পবিত্র
কুরআনকে জীবন বিধান
হিসেবে সঙ্গে রেখে ইসলামের পথে চলার
তৌফিক দান করুন....আমীন

পূন্যভূমী ভারত মাতার আসল চেহারা দেখুন।

কোন মন্তব্য নেই
বিশ্বাস করুন বর্তমান পৃথিবীতে যুদ্ধ,
ক্ষুধা, মহামারী, প্রাকৃতিক দুর্যোগে যত
লোক মারা যায়, তার চেয়ে অনেক
বেশি মেয়েশিশুকে হত্যা করা হয়
ভারতে । পুরা লেখাটা পড়ে শেয়ার
করে জানিয়ে দিন সাম্রদায়ীকতার
পূন্যভূমী ভারতমাতার আসল চেহারাঃ
মহিলার নাম অনুরাধা। থাকেন ভারতের
একটি দারিদ্র্যপীড়িত অঞ্চলে। ছিলেন
ছয় মাসের গর্ভবতী। অনাগত
সন্তানটি ছেলে না মেয়ে, তা জানার জন্য
উদগ্রীব তার পরিবার।
মহিলাকে নিয়ে যাওয়া হলো মেডিকেল
টেস্টের জন্য। জানা গেল, তার গর্ভের
সন্তানটি মেয়েশিশু।
এরপরই অনুরাধার (ছদ্মনাম) ওপর
নেমে এলো নারকীয় এবং পৈশাচিক
নির্যাতন। লোহার রড দিয়ে মহিলার
পেটের ওপর নির্দয়ভাবে পেটালো তার
স্বামী। এ
কাজে স্বামীকে সহযোগিতা করল মহিলার
শ্বশুর। নির্দয় প্রহারে গর্ভেই
মারা গেল শিশুটি। গত সপ্তাহেই এ
ঘটনাটি ঘটে ভারতে। গর্ভপাতের
মাধ্যমে এর আগেও হতভাগা ওই মহিলার
দুটি মেয়েশিশুকে (ভ্রূণ)
হত্যা করা হয়েছে। এশিয়ার সুপার
পাওয়ার হওয়ার স্বপ্নে বিভোর
ভারতে মেয়েশিশুদের প্রতি এই ভয়াবহ
নির্মমতার খবর গত
সপ্তাহে বিশ্বমিডিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ
স্থান দখল করে নেয়। অনুরাধার ওপর
পৈশাচিকতা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়;
ভারতে প্রতিনিয়ত ঘটে চলা লাখ লাখ
ঘটনার একটিমাত্র। ভারত
ভূখণ্ডে প্রতিদিনই ঘটছে এ ধরনের
হাজারো বর্বর ঘটনা।
ভারতে মেয়েশিশুকে বিবেচনা করা হয়
‘অবাঞ্ছিত বালিকা’ (আনওয়ান্টেড
গার্ল) হিসেবে। যদি গর্ভাবস্থায়
নিশ্চিত হওয়া যায় যে, অনাগত
শিশুটি মেয়ে, তবে পৃথিবীর
সবচেয়ে নিরাপদ স্থান মায়ের গর্ভেই
তাকে হত্যা করা হয়। বিভিন্ন
বেসরকারি সংস্থার
গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা যায়,
গত এক দশকেই ভারতে অন্তত ৮০
লাখ মেয়েশিশুর ভ্রূণ (গর্ভের শিশু)
হত্যা করা হয়েছে। ১৯৪৭ সালে ভারত
স্বাধীন হওয়ার পর অন্তত ৫
কোটি মেয়েশিশুর ভ্রূণ
হত্যা করা হয়েছে। গবেষকরা বলছেন,
বর্তমান পৃথিবীতে যুদ্ধ, ক্ষুধা,
মহামারী, প্রাকৃতিক দুর্যোগে যত লোক
মারা যায়, তার চেয়ে অনেক
বেশি মেয়েশিশুকে হত্যা করা হয় ভারতে।
একে ‘সাইলেন্ট জেনোসাইড’ বা নীরব
গণহত্যা বলে মন্তব্য করছেন তারা।
কোনো মেয়েশিশু যদি সৌভাগ্যবশত
পৃথিবীর আলো দেখার সুযোগ পায়, তার
জন্য অপেক্ষা করে আরও নির্মমতা।
অনেক সময় এসব
মেয়েশিশুকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
যদি কোনো সহৃদয় বাবা-মা একান্তই
তাকে হত্যা করতে না চায়, তবে তার
স্থান হয় রাস্তা কিংবা ডাস্টবিনের
পাশে। গত
সপ্তাহে ভারতে এভাবে কয়েকটি শিশুকে পরিত্যাগ
করে তাদের বাবা-মা। এরকম
একটি শিশুকে ফেলে রাখা হয়
বাসস্ট্যান্ডের কাছে। গত বৃহস্পতিবার
ভারতীয় টিভি চ্যানেল এনডিটিভির
প্রতিবেদনে দেখানো হয় এ ধরনের
একটি মর্মস্পর্শী প্রতিবেদন।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে এই নির্মমতার
কাহিনী প্রচার করে বলা হয়েছে, এভাবেই
মেয়েশিশুর জন্য ভারত পৃথিবীর
সবচেয়ে ভয়ঙ্কর রাষ্ট্রে পরিণত
হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,
ভারতে এক বছর থেকে পাঁচ বছর
বয়সী মেয়েশিশুদের বেঁচে থাকার
সম্ভাবনা ছেলেশিশুদের চেয়ে অন্তত
৭০ শতাংশ কম।
PLZ
সবারই পোস্ট তা শেয়ার করুন ! !

কোন মন্তব্য নেই :

বাংলাদেশে পুরুষের কি দরকার আছে?

২টি মন্তব্য

আমি অবাক হয়ে গেলাম যোগাযোগ
মন্ত্রীর কথা শুনে ।উনি বললেন
মেয়েদেরকে দিয়ে গাড়ী চালালে দেশে সড়ক
দূর্ঘটনা কম হবে ।তার কারণও
তিনি বলে দিলেন ।মেয়েদের
মাথা নাকি সব সময় ঠান্ডা থাকে ।
মেয়েরা নাকি ধূমপান করেনা ।এজন্য
মেয়েদের কে টেনিং দিবেন ।একথার বলার
সাথে একদল
ভোগবাদী পুরুষেরা হাতে তালি দিয়ে তাকে স্বাগত
জানালো ।আমি ওনাকে খুব ভালো বুঝদার
জানতাম ।কিন্ত গাই যেমন বাছু তেমন
আবারো সেটার প্রমাণ পেলাম ।উনার
চোখে য সমস্যা আছে প্রকাশিত
ছবি গুলি প্রমাণ করে দিবে ।দেশের
ভোগবাদী পুরুষেরা মেয়েদের কে আর কত
নিচে নামাবে ? সেটার এখন জানার বিষয়
।দুনিয়া সব কাজ
যদি মেয়েরা করে তাহলে পুরুষ দের
দরকার কি ।অনেকে হয়তো বলতে পারেন
রড চালান দেওয়ার জন্য দরকার আছে ।
কারণ রড চালানই তাদের
কে ঠান্ডা রাখে ।আমি বুঝিনা দেশের
মেয়েদের বিবেক বুদ্ধি গেলো কোথাই?
আপনি একটু চিন্তা করে দেখুন
একটা মেয়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে সারা দিন
ঘরের বাহিরে কাজ করে টাকা রোজগার
করে বাজার করে বাড়ীতে আসলো ।
বাড়ীতে এসে ঘরের পড়ে থাকা সমস্ত
কাজ করলো ।সন্তান গর্ভধারণ সন্তান
প্রসব এবং লালন পালন সবই মেয়েই
করলো ।স্বামীর মন জোগার করার জন্য
রাত্রে নাইট ডিউটিও করলো ।সবই
মেয়েটি করলো ।আর
ঘরে বসে গাধা পুরুষটা মুখ
দিয়ে খাইলো পাছা দিয়ে বের করলো ।আর
মনের সুখে নাক ডেকে ঘুমাইলো ।
তাহলে এই গাধা পুরুষ
টা কি কাজে আসলো ।মেয়ে হয়ে জন্ম
নেওয়া কি তার অপরাধ হলো নাকি?
দেশে যারা মানব অধিকারের
কথা বলে তাদের মাথাই মগজ দুলাই
হয়ে গেলো নাকি? তা না হলে তারা আজ
চুপ কেনো ।তারা চুপ এ জন্যই
যে তারা সরকারের পোষা বিড়াল ।
যে মেয়েটি বর্তমানে নিজের
ঘরে নিরাপদে থাকতে পারেনা ।
সে কিভাবে ডাইভিং এ
নিরাপদে থাকতে পারবে ।
ডাইভিং তো ঘরে বসে হয়না ।যেতে হয়
এক পান্তে থেকে আরেক পান্তে ।
ঘুরে বেড়াতে হয় সমগ্র বাংলাদেশে ।
যেমেয়েটি নিজের ঘরে নিরাপদ
থাকতে পারেনা সে কিভাবে রাস্তা ঘাটে নিজের
মহা মূলবান ইজ্জত রক্ষা করবে ।
মেয়েটি ডাবিং করতে বসলো,দশ
বারো জন ছিনতাই
কারি যাত্রী সেজে গাড়ীতে উঠলো গাড়ীটি ছিনতাই
করার জন্য ।তখন কি ছিনতাই
কারিরা শুধু গাড়ীটি ছিনতাই
করবে নাকি তার সাথে মেয়েটির অমূল
ইজ্জতো ।দশ বারো জন
যদি একটি মেয়েকে গণ ধর্ষণ
করে তাহলে তার অবস্হা কেমন হবে?
মাথাই মগজ থাকলে দয়া করে বলুন ।আর
ছাঁয় গোবর থাকলে কিছুর বলার নাই ।
আমি গেরান্টি দিয়ে বলতে পারি দেশে যে পরিমাণ
ধর্ষণ হয়? মেয়েদের
কে গাড়ী চালাতে দিলে ধর্ষণের
সংখ্যা পাতাল থেকে আকাশে উঠে যাবে।
লক্ষ লক্ষ পুরুষ বেকার হয়ে যাবে।আর
লুচ্চা বদমাইশ পুরুষদের সাথেও
কুত্তা স্বভাবের পোলাপানরা মেয়েদের
চালানোর গাড়ীতে উঠবে রঙ্গ
তামাশা করার জন্য ।তার
সাথে যেনা ব্যভিচারের তো মহা উৎসব
লেগে যাবে।এমনেতেই দেশের মেয়েদের
যে অবস্হা। উড়না বুকে নাদিয়ে এখন
গলাতে দে ।দেখতে নিজের
কাছে লজ্জা লাগে কিন্তু তাদের
লাগে না ।এই
বিষয়টি নিয়ে আগামী পোস্টে লিখবো ইনশাল্লাহ্

কয়েকটি কথা এখানে বলতে সেটা হলো মহা আল্লাহ
তায়ালা মেয়েদের কে সৃষ্টি করেছেন
ঘরের কাজ করার জন্য ও আল্লাহর
ইবাদত করার জন্য ।পুরুষদের কেউ বাদ
দেন নাই ।নানার কারণে মেয়েদের
বেলা ছাড় আছে কিন্তু পুরুষদের
বেলা নাই ।আমি দুনিয়ার
ভোগবাদী পুরুষদের কাছ
থেকে জানতে চাই নারীদের
কে দাসী বানিয়ে কাজ করার অধিকার
আপনাদের কে দিয়েছে? আপনাদের
দাসত্ব নিতির
কারণে নারীরা না করতে পারতেছে আল্লাহর
ইবাদত না রক্ষা করতে পারতেছে তাদের
ইজ্জত ।মেয়েদের আখেরাত ধংস করার
অধিকার তোদেরকে কে দিয়েছে?উত্তর
জানা থাকলে ভোগবাদী পুরুষের দল জবাব
দে ।যদি তোরা সত্যবাদী হয়ে থাকস.
আমাদের দেশের মেয়েদেরও মাথাই মগজ
ধোলাই হয়ে গেছে ।তার তাঁর
ছেড়া বলদী হয়ে গেছে ।
তা না হলে তারা কেনো বুঝেনা কত বড়
ষড়যন্ত্রের শিকার ।নারী কেনো ঘরের
বাহিরে কাজ করবে ।দেশে কি পুরুষ দের
অভাব আছে নাকি? অভাব থাকলে জবাব
দে জালিম জানোয়ারের দল ।নিজের
মাথার বুঝা নারীর
ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে নারীর অধিকারের
কথা বলিস ।ঘরের বাহিরে কাজ
করতে গিয়ে একটি নারী কতটুকু কষ্ট
করে তা একবার খোজ নিয়েছিস? কত
নারী যৌন নির্যাতনে শিকার
হয়েছে একবার চোখ মেলে দেখেছিত ।
দেখবি কি করে তোদের চোখ থাকতেও
নেই ।তোদের বিবেক থাকতেও
মরে গেছে ।তোদের মাথার মগজে ছাই
গোবর দিয়ে ভরে গেছে ।
একথা গুলো বললাম এজন্যই
যে আমারো মা বোন আছে ।আমি কেমন
কুলাঙ্গার সন্তান? মা কাজ
করবে আমি বসে খাবো ।আমি কেমন
গুনোধর ভাই?
যেভাইয়ে বসে আড্ডা মারবে আর
বোনে দিন রাত শুধু কাজ করবে ।
আমি কেমন নির্লজ্জ স্বামী? আমার
স্ত্রী বারো বেটার সাথে হাত
মেলাবে,হাসবে,রঙ্গ তামাশা করবে ।আর
আমি রাত কানার মতো চেয়ে দেখবো ।
ভোগবাদী কাপুরুষের দল একটু
চিন্তা করে দেখ এলজ্জা কার ।বেকুব
মেয়ের দল,বুঝে শুনে চল ।ইজ্জত
হারিয়ে গেলে কোথাই পাবি বল? ।উপরের
কথা গুলি যোগাযোগ
মন্ত্রী বলেছিলেন২৩মে বোধবারে ।





ব্লগে প্রকাশিত ছবি গুলি নেওয়া হয়েছে ফেসবুকের ভিভিন্ন নামকরা পেইজ থেকে ।তাদেরকে জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ ।নারীদেরকে আমার লেখা আরেকটি পোস্ট এর নাম [ নারীর অধিকার নিয়ে কি হচ্ছে ]দয়া করে পড়ে নিবেন ।আজ এ পর্যন্তই ।দেখা হবে আগামী পোস্টে ।যার নাম [ দেশে এখন যিনা ব্যভিচারের মহা উৎসব চলতেছে ।তুবু দেখার কেউ নেই ] ।এই বিষয়ে আপনার মন্তব্য কি দয়া করে বলুন ।আমি নারী বিদ্বেশী নয় ।আমার কথা কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে দয়া করে ক্ষমা করে দিবেন ।দয়া করে পোস্টি সবাই শেয়ার করে আমাকে সাহায্য করুন ।আল্লাহ আমাদের সবাই কে ভালো রাখুন ।আমিন ।আল্লাহ হাফেজ ।

বাংলাদেশে পুরুষের কি দরকার আছে?

কোন মন্তব্য নেই

আমি অবাক হয়ে গেলাম যোগাযোগ
মন্ত্রীর কথা শুনে ।উনি বললেন
মেয়েদেরকে দিয়ে গাড়ী চালালে দেশে সড়ক
দূর্ঘটনা কম হবে ।তার কারণও
তিনি বলে দিলেন ।মেয়েদের
মাথা নাকি সব সময় ঠান্ডা থাকে ।
মেয়েরা নাকি ধূমপান করেনা ।এজন্য
মেয়েদের কে টেনিং দিবেন ।একথার বলার
সাথে একদল
ভোগবাদী পুরুষেরা হাতে তালি দিয়ে তাকে স্বাগত
জানালো ।আমি ওনাকে খুব ভালো বুঝদার
জানতাম ।কিন্ত গাই যেমন বাছু তেমন
আবারো সেটার প্রমাণ পেলাম ।উনার
চোখে য সমস্যা আছে প্রকাশিত
ছবি গুলি প্রমাণ করে দিবে ।দেশের
ভোগবাদী পুরুষেরা মেয়েদের কে আর কত
নিচে নামাবে ? সেটার এখন জানার বিষয়
।দুনিয়া সব কাজ
যদি মেয়েরা করে তাহলে পুরুষ দের
দরকার কি ।অনেকে হয়তো বলতে পারেন
রড চালান দেওয়ার জন্য দরকার আছে ।
কারণ রড চালানই তাদের
কে ঠান্ডা রাখে ।আমি বুঝিনা দেশের
মেয়েদের বিবেক বুদ্ধি গেলো কোথাই?
আপনি একটু চিন্তা করে দেখুন
একটা মেয়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে সারা দিন
ঘরের বাহিরে কাজ করে টাকা রোজগার
করে বাজার করে বাড়ীতে আসলো ।
বাড়ীতে এসে ঘরের পড়ে থাকা সমস্ত
কাজ করলো ।সন্তান গর্ভধারণ সন্তান
প্রসব এবং লালন পালন সবই মেয়েই
করলো ।স্বামীর মন জোগার করার জন্য
রাত্রে নাইট ডিউটিও করলো ।সবই
মেয়েটি করলো ।আর
ঘরে বসে গাধা পুরুষটা মুখ
দিয়ে খাইলো পাছা দিয়ে বের করলো ।আর
মনের সুখে নাক ডেকে ঘুমাইলো ।
তাহলে এই গাধা পুরুষ
টা কি কাজে আসলো ।মেয়ে হয়ে জন্ম
নেওয়া কি তার অপরাধ হলো নাকি?
দেশে যারা মানব অধিকারের
কথা বলে তাদের মাথাই মগজ দুলাই
হয়ে গেলো নাকি? তা না হলে তারা আজ
চুপ কেনো ।তারা চুপ এ জন্যই
যে তারা সরকারের পোষা বিড়াল ।
যে মেয়েটি বর্তমানে নিজের
ঘরে নিরাপদে থাকতে পারেনা ।
সে কিভাবে ডাইভিং এ
নিরাপদে থাকতে পারবে ।
ডাইভিং তো ঘরে বসে হয়না ।যেতে হয়
এক পান্তে থেকে আরেক পান্তে ।
ঘুরে বেড়াতে হয় সমগ্র বাংলাদেশে ।
যেমেয়েটি নিজের ঘরে নিরাপদ
থাকতে পারেনা সে কিভাবে রাস্তা ঘাটে নিজের
মহা মূলবান ইজ্জত রক্ষা করবে ।
মেয়েটি ডাবিং করতে বসলো,দশ
বারো জন ছিনতাই
কারি যাত্রী সেজে গাড়ীতে উঠলো গাড়ীটি ছিনতাই
করার জন্য ।তখন কি ছিনতাই
কারিরা শুধু গাড়ীটি ছিনতাই
করবে নাকি তার সাথে মেয়েটির অমূল
ইজ্জতো ।দশ বারো জন
যদি একটি মেয়েকে গণ ধর্ষণ
করে তাহলে তার অবস্হা কেমন হবে?
মাথাই মগজ থাকলে দয়া করে বলুন ।আর
ছাঁয় গোবর থাকলে কিছুর বলার নাই ।
আমি গেরান্টি দিয়ে বলতে পারি দেশে যে পরিমাণ
ধর্ষণ হয়? মেয়েদের
কে গাড়ী চালাতে দিলে ধর্ষণের
সংখ্যা পাতাল থেকে আকাশে উঠে যাবে।
লক্ষ লক্ষ পুরুষ বেকার হয়ে যাবে।আর
লুচ্চা বদমাইশ পুরুষদের সাথেও
কুত্তা স্বভাবের পোলাপানরা মেয়েদের
চালানোর গাড়ীতে উঠবে রঙ্গ
তামাশা করার জন্য ।তার
সাথে যেনা ব্যভিচারের তো মহা উৎসব
লেগে যাবে।এমনেতেই দেশের মেয়েদের
যে অবস্হা। উড়না বুকে নাদিয়ে এখন
গলাতে দে ।দেখতে নিজের
কাছে লজ্জা লাগে কিন্তু তাদের
লাগে না ।এই
বিষয়টি নিয়ে আগামী পোস্টে লিখবো ইনশাল্লাহ্

কয়েকটি কথা এখানে বলতে সেটা হলো মহা আল্লাহ
তায়ালা মেয়েদের কে সৃষ্টি করেছেন
ঘরের কাজ করার জন্য ও আল্লাহর
ইবাদত করার জন্য ।পুরুষদের কেউ বাদ
দেন নাই ।নানার কারণে মেয়েদের
বেলা ছাড় আছে কিন্তু পুরুষদের
বেলা নাই ।আমি দুনিয়ার
ভোগবাদী পুরুষদের কাছ
থেকে জানতে চাই নারীদের
কে দাসী বানিয়ে কাজ করার অধিকার
আপনাদের কে দিয়েছে? আপনাদের
দাসত্ব নিতির
কারণে নারীরা না করতে পারতেছে আল্লাহর
ইবাদত না রক্ষা করতে পারতেছে তাদের
ইজ্জত ।মেয়েদের আখেরাত ধংস করার
অধিকার তোদেরকে কে দিয়েছে?উত্তর
জানা থাকলে ভোগবাদী পুরুষের দল জবাব
দে ।যদি তোরা সত্যবাদী হয়ে থাকস.
আমাদের দেশের মেয়েদেরও মাথাই মগজ
ধোলাই হয়ে গেছে ।তার তাঁর
ছেড়া বলদী হয়ে গেছে ।
তা না হলে তারা কেনো বুঝেনা কত বড়
ষড়যন্ত্রের শিকার ।নারী কেনো ঘরের
বাহিরে কাজ করবে ।দেশে কি পুরুষ দের
অভাব আছে নাকি? অভাব থাকলে জবাব
দে জালিম জানোয়ারের দল ।নিজের
মাথার বুঝা নারীর
ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে নারীর অধিকারের
কথা বলিস ।ঘরের বাহিরে কাজ
করতে গিয়ে একটি নারী কতটুকু কষ্ট
করে তা একবার খোজ নিয়েছিস? কত
নারী যৌন নির্যাতনে শিকার
হয়েছে একবার চোখ মেলে দেখেছিত ।
দেখবি কি করে তোদের চোখ থাকতেও
নেই ।তোদের বিবেক থাকতেও
মরে গেছে ।তোদের মাথার মগজে ছাই
গোবর দিয়ে ভরে গেছে ।
একথা গুলো বললাম এজন্যই
যে আমারো মা বোন আছে ।আমি কেমন
কুলাঙ্গার সন্তান? মা কাজ
করবে আমি বসে খাবো ।আমি কেমন
গুনোধর ভাই?
যেভাইয়ে বসে আড্ডা মারবে আর
বোনে দিন রাত শুধু কাজ করবে ।
আমি কেমন নির্লজ্জ স্বামী? আমার
স্ত্রী বারো বেটার সাথে হাত
মেলাবে,হাসবে,রঙ্গ তামাশা করবে ।আর
আমি রাত কানার মতো চেয়ে দেখবো ।
ভোগবাদী কাপুরুষের দল একটু
চিন্তা করে দেখ এলজ্জা কার ।বেকুব
মেয়ের দল,বুঝে শুনে চল ।ইজ্জত
হারিয়ে গেলে কোথাই পাবি বল? ।উপরের
কথা গুলি যোগাযোগ
মন্ত্রী বলেছিলেন২৩মে বোধবারে ।





ব্লগে প্রকাশিত ছবি গুলি নেওয়া হয়েছে ফেসবুকের ভিভিন্ন নামকরা পেইজ থেকে ।তাদেরকে জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ ।নারীদেরকে আমার লেখা আরেকটি পোস্ট এর নাম [ নারীর অধিকার নিয়ে কি হচ্ছে ]দয়া করে পড়ে নিবেন ।আজ এ পর্যন্তই ।দেখা হবে আগামী পোস্টে ।যার নাম [ দেশে এখন যিনা ব্যভিচারের মহা উৎসব চলতেছে ।তুবু দেখার কেউ নেই ] ।এই বিষয়ে আপনার মন্তব্য কি দয়া করে বলুন ।আমি নারী বিদ্বেশী নয় ।আমার কথা কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে দয়া করে ক্ষমা করে দিবেন ।দয়া করে পোস্টি সবাই শেয়ার করে আমাকে সাহায্য করুন ।আল্লাহ আমাদের সবাই কে ভালো রাখুন ।আমিন ।আল্লাহ হাফেজ ।

কোন মন্তব্য নেই :

এবার পুলিশ পেটালো প্রথম আলোর তিন ফোটো সাংবাদিক কে । ‘সাংবাদিক পেটা, সাংবাদিক মারলে কিছু হয় না’ পুলিশের বেধড়ক পিটুনিতে প্রথম আলোর তিন ফটো সাংবাদিক গুরুতর আহত বিস্তারিত পড়ুন

কোন মন্তব্য নেই




খালেদ সরকার, সাজিদ হোসেন ও
জাহিদুল করিম
রাজধানীর আগারগাঁওয়ের
শেরেবাংলা নগরে পেশাগত দায়িত্ব
পালনের সময় আজ শনিবার সকাল ১১
টার দিকে পুলিশের কিল, ঘুষি ও বেধড়ক
লাঠিপেটায় প্রথম আলোর তিন
ফটোসাংবাদিক আহত হয়েছেন। এ
ঘটনায় জড়িত থাকার
অভিযোগে শেরেবাংলা নগর থানার
সহকারী কমিশনার (এসি) শহিদুল
ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
আহত ফটোসাংবাদিকেরা হলেন—খালেদ
সরকার, সাজিদ হোসেন ও জাহিদুল
করিম। তাঁদের পঙ্গু
হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালে আহত ফটোসাংবাদিক
জাহিদুল করিম বলেন,
‘মহিলা পলিটেকনিক কলেজের ছাত্রীদের
অবরোধের
ঘটনা শুনে আমি আগারগাঁওয়ের
দিকে যাই। সেখানে আমাদের
সহকর্মী খালেদ সরকার ছিলেন,
তা আগেই জানতাম। কিন্তু যেহেতু
উনি ফিচার ফটোগ্রাফার তাই
আমি যাই।’
জাহিদুল করিম বলেন, পলিটেকনিক
কলেজের সামনে গিয়ে আমি ছবি তুলি।
অবরোধ তুলে নিয়ে কলেজের
ছাত্রীরা যখন মিছিল
নিয়ে ফিরে যাচ্ছিল তখন আরও ভাঙচুর
হয় কিনা সেটা দেখার জন্য আমি পুলিশ
বক্সের সামনে রাখা মোটরসাইকেল
নিয়ে রাস্তার উল্টোপাশে যাই। সেই
সময় খবর পেয়ে একই ঘটনা কভার
করতে যান ফটোসাংবাদিক সাজিদ
হোসেন। এ সময় তেঁজগাও অঞ্চলের
পুলিশের সহকারী কমিশনার শহীদুল
ইসলাম তাদের কাছে রাস্তার
উল্টোপাশে যাওয়ার কারণ জানতে চান।
এ সময় জাহিদুল করিম ও সাজিদ হোসেন
পুলিশকে জানান, তারা সাংবাদিক।
অবরোধের ঘটনার
ছবি তুলতে গিয়েছেন। এর
উত্তরে পুলিশের সহকারী কমিশনার
শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘সাংবাদিক অনেক
দেখেছি, অনেক সাংবাদিক পেটাইছি।’ এই
বলে শহীদুল ইসলাম
তাঁদেরকে ফটোসাংবাদিক (জাহিদুল
করিম ও সাজিদ হোসেন) মা,
বাবা তুলে গালি দিতে থাকেন।
একপর্যায়ে সাজিদ হোসেন
গালি না দেওয়ার অনুরোধ
করলে তিনি আরও ক্ষেপে যান।
জাহিদুল করিম আরও বলেন, ‘এ সময়
শহীদুল ইসলাম সঙ্গে থাকা পুলিশ
কনস্টেবলদেরকে মারার নির্দেশ দেন।
পুলিশ কনস্টেবলরা সাজিদ
হোসেনকে কিল, ঘুষি ও
লাঠি দিয়ে মারতে থাকে।
একপর্যায়ে পুলিশ সাজিদ
হোসেনকে মারতে মারতে রাস্তায়
শুইয়ে ফেলে। তাঁর ক্যামেরা কেড়ে নেয়।
সেটা আমি (জাহিদুল করিম)
ঠেকাতে গেলে আমাকেও মারধর,কিল,
ঘুষি ও লাঠিপেটা করতে থাকে।’
এ সময় সাংবাদিকদের পেটানোর খবর
পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান খালেদ
সরকার। পুলিশ এ সময় তাঁকেও
পেটানো শুরু করে। এসময়
সহকারী কমিশনার শহীদুল ইসলাম
সাংবাদিকদের থানায়
নিয়ে যেতে পুলিশকে নির্দেশ দেয়। পুলিশ
তিন ফটোসাংবাদিককে কিল, ঘুষি ও
লাঠিপেটা করতে করতে থানায়
নিয়ে যায়। এ সময় শহীদুল ইসলাম
বলতে থাকেন, ‘পেটা শালাদের পেটা,
সাংবাদিক পেটা। সাংবাদিক মারলে কিছু
হয় না। ’
আহত সাংবাদিক জাহিদুল করিম আরও
বলেন, থানায় নিয়ে গিয়ে পুলিশ আমাদের
মুঠোফোন কেড়ে নেয়। পরে সেটা বন্ধ
করে দেয়। মামলার প্রস্তুতিও শুরু
করে।
এদিকে খবর পেয়ে প্রথম আলোর
নিজস্ব প্রতিবেদক গোলাম
মর্তুজা শেরেবাংলা নগর থানার
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির
হোসেনকে নিয়ে থানায় গিয়ে তাদের
উদ্ধার করে। পরে গুরুতর আহত তিন
ফটোসাংবাদিককে পঙ্গু
হাসপাতালে নেওয়া হয়।
জাহিদুল করিম আরও বলেন, ‘ মারধরের
একপর্যায়ে পুলিশ আমাদের
ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়।
পুলিশকে ক্যামেরা না ভাঙার জন্য
আমরা অনুরোধ করি। কিন্তু পুলিশ
ক্যামেরা ভাঙচুর করেছে।’
হাসপাতালে আহত ফটোসাংবাদিক খালেদ
সরকার প্রথম আলোকে বলেন, আজ
সকাল ১০ টায় অফিসের দায়িত্ব পালন
শেষে ক্যামেরা সার্ভিস করার জন্য
তিনি আইডিবি ভবনে যান। সেখান
থেকে বের হওয়ার পরে তিনি দেখেন
শেরেবাংলা নগরে মহিলা পলিটেকনিক
কলেজের ছাত্রীরা সড়ক অবরোধ
করে বিক্ষোভ করছে। খালেদ সরকার
তখন ছবি তোলা শুরু করেন।
পরে শিক্ষার্থীরা অবরোধ
তুলে নেওয়ার সময় তিনি শোনেন পুলিশ
সাংবাদিকদের পেটাচ্ছে।
তিনি দৌড়ে কলেজের সামনে গিয়ে দেখেন
তাঁরই সহকর্মী প্রথম আলোর
ফটোসাংবাদিক জাহিদুল করিম ও সাজিদ
হোসেনকে বেধড়ক পেটাচ্ছে পুলিশ। এই
ঘটনার ছবি তুলতে গেলে পুলিশ তাঁকেও
(খালেদ সরকার) লাঠিপেটা করে ও
ক্যামেরা কেড়ে নেয়।
শেরেবাংলা থানার ওসি জাকির হোসেন
বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত প্রথম
আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক নজরুল
ইসলামকে দেখতে তিনি পঙ্গু
হাসপাতালে গিয়েছিলেন। খবর
পেয়ে সেখান থেকে সাংবাদিক গোলাম
মর্তুজাকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান।
এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়,
বিভিন্ন স্থানে পলিটেকনিক
শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের
ধারাবাহিকতায় আজ সকাল
থেকে রাজধানীর
শেরেবাংলা নগরে মহিলা পলিটেকনিক
কলেজের ছাত্রীরা সড়ক অবরোধ
করে বিক্ষোভ করছিলেন। প্রথম
আলোর তিন ফটোসাংবাদিক
সেখানে ছবি তুলতে গেলে পুলিশ তাঁদের
বাধা দেয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের
ওপর অতর্কিতে হামলা চালায় ও
বেপরোয়া লাঠিপেটা করে। এতে ওই তিন
ফটোসাংবাদিক গুরুতর আহত হন।
বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকেরা এ
ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে দোষীদের
দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

কোন মন্তব্য নেই :

গরমে কী খাবেন?

কোন মন্তব্য নেই

গ্রীষ্মের প্রচণ্ড তাপে মানুষের
শক্তির অপচয় হয় অনেক। এ সময়
প্রচুর ঘামের কারণে একটু ক্লান্তি,
একটু অলসতা মানুষকে কাবু করে দেয়।
এ জন্য প্রকৃতি যখন অগ্নি ঝরায়,
তখন উচিত এমন খাবার গ্রহণ করা,
যা আমাদের শরীরকে ঠান্ডা ও সুস্থ
রাখে।
পানি ও পানীয়
প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই লিটার
পানি পান করতে হবে। ততটা পানি পান
করতে হবে, যে পর্যন্ত না প্রস্রাবের
রং স্বাভাবিক হয়। পানি শরীরের
অভ্যন্তরকে পরিশোধিত করে। এ
ছাড়া পিপাসা নিবারণ করে, দেহ-মন
স্নিগ্ধ, সতেজ ও পুষ্ট রাখে।
কাগজি লেবু, আম, তেঁতুল, দুধ, বেল,
ইসবগুল প্রভৃতি দিয়ে শরবত
করে খাওয়া যেতে পারে। ইসবগুলের
ভুসির শরবত খুবই শীতল।
এটি কোষ্ঠকাঠিন্য, অন্ত্র ও
পাকস্থলীর প্রদাহ, রক্ত আমাশয়
ইত্যাদিতে কার্যকর। পানীয় কয়েক
ধরনের হয়। তৃপ্তিদায়ক: ফলের রস।
উদ্দীপক: চা, কফি, কোকো, ওভালটিন
ও অ্যালকোহল। পুষ্টিকর: দুধ,
মিল্কশেক, হরলিকস, ভিভা,
মালটোভা ইত্যাদি।
মোটামুটিভাবে বলা যায়, ফলের রসই
উৎকৃষ্ট পানীয়। চা, কফি দেহের
ক্লান্তি দূর করে এবং কাজে উৎসাহ
জোগায়। অত্যধিক
গরমে হালকা লিকারের লেবুর চা-ই
উত্তম।
সালাদ
গরমের সময় সালাদ একটি উপাদেয়
খাবার। দই, শসা, টমেটো, গাজর,
কাঁচা পেঁপে, কাঁচা মরিচ, ধনেপাতা,
পুদিনাপাতা, পেঁয়াজ ইত্যাদি দিয়ে সালাদ
করা যায়। অনেক সময় এর
সঙ্গে পাকা পেয়ারা ও আপেল দিয়েও
সালাদ করা যায়। সালাদ
তৈরি করে ফ্রিজে কিছুক্ষণ
রেখে পরে খাওয়া যেতে পারে। এর
সঙ্গে টকদই বা কাগজি লেবুও
দেওয়া যেতে পারে। লেবুতে থাকে প্রচুর
ভিটামিন সি ও পটাশিয়াম,
যা দেহকে ঠান্ডা রাখে এবং ত্বক মৃসণ
রাখে।
সবজি
গ্রীষ্মকালের সবজি মোটামুটি সবগুলোই
ভালো। যেমন: ঝিঙা, চিচিঙ্গা, পটোল,
করলা, পেঁপে, কচু, বরবটি, চালকুমড়া,
শসা ইত্যাদি। নিরামিষ রান্নায়
যাতে চার-পাঁচটি সবজি থাকে,
সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। এ
ছাড়া হালকা মসলা ও স্বল্প তেল
সহযোগে শুক্তো রান্না অত্যধিক
গরমে বেশ উপাদেয়, তেমনি পেটের
গোলযোগের আশঙ্কাও এতে থাকে না।
ডিম, মাছ ও মাংস
গরমের সময় অনেকে বাচ্চাদের ডিম
দিতে চান না বদহজমের ভয়ে। অথচ
ডিম অত্যন্ত সহজপাচ্য খাবার।
এটি ছোট-বড় সবারই ভালোভাবে হজম
হয়। তবে ভাজা ডিমের চেয়ে পোচ,
অর্ধসেদ্ধ ও পূর্ণসেদ্ধ ডিম
তাড়াতাড়ি হজম হয়। মাংসের
মধ্যে মুরগির মাংস সহজপাচ্য।
সমুদ্রের মাছে সোডিয়াম থাকে প্রচুর।
পুকুর ও নদীর মাছ এ সময় উত্তম।
একটি ধারণা আছে, মাংসের চেয়ে মাছ
কম পুষ্টিকর। আসলে মাছ সহজে হজম
হয় বলেই হয়তো এ ধরনের
ধারণা গড়ে উঠেছে। দুটিরই প্রোটিনের
মান সমান।
ফল
শরীর রক্ষায় ফলের গুরুত্ব রয়েছে।
গ্রীষ্ককালে আমাদের দেশে প্রচুর ফল
পাওয়া যায়। যেমন: আম, কাঁঠাল, জাম,
পেয়ারা, লিচু, তরমুজ, ফুটি,
বাঙি ইত্যাদি। অনেকের অভ্যাস
থাকে হঠাৎ এক দিনে বেশ কয়েকটি ফল
একসঙ্গে খাওয়ার। এতে খাবারের
মধ্যে কোনো সমতা থাকে না। এ ধরনের
অভ্যাস না করে প্রতিদিনই কিছু
না কিছু ফল খেলে ভিটামিন ও লৌহের
ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব। পেয়ারা, কলা,
পাকা পেঁপে ও আনারস ত্বককে সুন্দর
ও মসৃণ রাখে। এ ছাড়া রক্তে ইউরিক
এসিড বেড়ে গেলে আনারসে উপকার
পাওয়া যায়। তরমুজ ও ফুটি বেশ
ঠান্ডা। রক্তশূন্যতায় উপকারী। এ
সময় পাকা বেলের শরবত বেশ
উপকারী। এতে যেমন পেটের সমস্যা দূর
হয়, তেমনি শরীর
ঠান্ডা রাখে এবং পটাশিয়ামের
ঘাটতি মেটায়।
অসুখ-বিসুখ
ঘামাচি: অত্যধিক
গরমে ঘামাচি দেখা দেয়।
এটি যন্ত্রণাদায়ক ব্যাপার। এর জন্য
চাই সকাল-বিকেলে দুবার গোসল করা।
ত্বকে যাতে ঘাম জমতে না পারে,
সেদিকে খেয়াল রাখা। ঘাম ও ধুলাবালু
জমেই ঘামাচির উৎপত্তি হয়।
শরীর ঠান্ডা রাখার জন্য এ সময়
লেবুর রস, তেঁতুলের রস, কাঁচা আমের
শরবত ও বেলের শরবত
খাওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া ইসবগুল,
ঘৃতকুমারী (অ্যালোভেরা) ও তোকমার
শরবত উপকারী।
ডায়রিয়া: এ সময় ছোট-বড় অনেকেই
ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়। অসুস্থতার
প্রথম দিকে স্যালাইন দিতে হবে,
যাতে পানিশূন্যতা রোধ করা যায়।
তারপর দিতে হবে উচ্চ ক্যালরিযুক্ত
সহজপাচ্য খাবার। খাবারের
মধ্যে থাকবে জাউভাত, মাছের
হালকা ঝোল, সুসেদ্ধ জল, মুরগির স্যুপ,
শসার স্যুপ, আলুর পাতলা ঝোল
বা আলুভর্তা, কাঁচকলার পাতলা ঝোল
বা ভর্তা ইত্যাদি। তেল-মসলা যত কম
থাকে, তত ভালো। ডিম সেদ্ধ বা পোচ
করে শুধু সাদা অংশ এ সময়
দেওয়া যেতে পারে।
হাত-পা জ্বালা: গরমের দিনে অনেকেরই
হাত-পা জ্বালা করার
প্রবণতা দেখা যায়। এ রকম হলে দুপুর
ও রাতে খাওয়ার সময় ধনেপাতা ও
পুদিনাপাতার চাটনি করে খেলে শরীর
ঠান্ডা থাকবে। ইচ্ছে হলে এই চাটনির
সঙ্গে লেবু বা তেঁতুলের রস
দেওয়া যেতে পারে। আখের গুড়
দিয়ে তেঁতুলের রস খেলেও হাত-
পা জ্বালা কমবে। তেঁতুলে যেমন
পটাশিয়াম আছে,
তেমনি এতে কোলেস্টেরলও কমে।
হজমের গোলমাল: হজমের গোলমাল
থাকলে এ সময় প্রতিদিনই দই
খাওয়া ভালো।
এতে আছে ল্যাক্টোক্যাসিলাস জীবাণু,
যা আমাদের
অন্ত্রে পৌঁছে হজমে সাহায্য করে। এ
ছাড়া যদি ডিসপেপসিয়া দেখা দেয়, তখন
বেল খুবই উপকারী।
পাকা অথবা কাঁচা উভয় ধরনের বেলই
ওষুধের কাজ করে। পাকা বেলের শরবত
ঠান্ডা ও আমাশয়ের জন্য ভালো।
গরমে সারা দিনের খাবারে যত ভাজা-
ভুনা এড়ানো যায়, তত ভালো। কম
মসলায় রান্না হলে ভালো হয়। যেমন:
মাছের পাতলা ঝোল, শুক্তো, চিঁড়া-
কলা, দই, দুধ-সেমাই, আম-
আমড়া ইত্যাদির টক, পাতলা জল
ইত্যাদি। কোনো কোনো সময় মাছ-মাংস
বাদ দিয়ে নিরামিষ খাওয়া যেতে পারে।
মোট কথা, গ্রীষ্মের খাবার হবে জলীয়,
সহজপাচ্য ও হালকা মসলাযুক্ত,
যাতে দেহ-মন—দুই-ই সজীব ও সতেজ
থাকে।
আখতারুন নাহার
প্রধান পুষ্টি কর্মকর্তা, বারডেম
হাসপাতাল
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, মে ১৬,
২০১২

কোন মন্তব্য নেই :

গরমে কী খাবেন?

কোন মন্তব্য নেই
গ্রীষ্মের প্রচণ্ড তাপে মানুষের
শক্তির অপচয় হয় অনেক। এ সময়
প্রচুর ঘামের কারণে একটু ক্লান্তি,
একটু অলসতা মানুষকে কাবু করে দেয়।
এ জন্য প্রকৃতি যখন অগ্নি ঝরায়,
তখন উচিত এমন খাবার গ্রহণ করা,
যা আমাদের শরীরকে ঠান্ডা ও সুস্থ
রাখে।
পানি ও পানীয়
প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই লিটার
পানি পান করতে হবে। ততটা পানি পান
করতে হবে, যে পর্যন্ত না প্রস্রাবের
রং স্বাভাবিক হয়। পানি শরীরের
অভ্যন্তরকে পরিশোধিত করে। এ
ছাড়া পিপাসা নিবারণ করে, দেহ-মন
স্নিগ্ধ, সতেজ ও পুষ্ট রাখে।
কাগজি লেবু, আম, তেঁতুল, দুধ, বেল,
ইসবগুল প্রভৃতি দিয়ে শরবত
করে খাওয়া যেতে পারে। ইসবগুলের
ভুসির শরবত খুবই শীতল।
এটি কোষ্ঠকাঠিন্য, অন্ত্র ও
পাকস্থলীর প্রদাহ, রক্ত আমাশয়
ইত্যাদিতে কার্যকর। পানীয় কয়েক
ধরনের হয়। তৃপ্তিদায়ক: ফলের রস।
উদ্দীপক: চা, কফি, কোকো, ওভালটিন
ও অ্যালকোহল। পুষ্টিকর: দুধ,
মিল্কশেক, হরলিকস, ভিভা,
মালটোভা ইত্যাদি।
মোটামুটিভাবে বলা যায়, ফলের রসই
উৎকৃষ্ট পানীয়। চা, কফি দেহের
ক্লান্তি দূর করে এবং কাজে উৎসাহ
জোগায়। অত্যধিক
গরমে হালকা লিকারের লেবুর চা-ই
উত্তম।
সালাদ
গরমের সময় সালাদ একটি উপাদেয়
খাবার। দই, শসা, টমেটো, গাজর,
কাঁচা পেঁপে, কাঁচা মরিচ, ধনেপাতা,
পুদিনাপাতা, পেঁয়াজ ইত্যাদি দিয়ে সালাদ
করা যায়। অনেক সময় এর
সঙ্গে পাকা পেয়ারা ও আপেল দিয়েও
সালাদ করা যায়। সালাদ
তৈরি করে ফ্রিজে কিছুক্ষণ
রেখে পরে খাওয়া যেতে পারে। এর
সঙ্গে টকদই বা কাগজি লেবুও
দেওয়া যেতে পারে। লেবুতে থাকে প্রচুর
ভিটামিন সি ও পটাশিয়াম,
যা দেহকে ঠান্ডা রাখে এবং ত্বক মৃসণ
রাখে।
সবজি
গ্রীষ্মকালের সবজি মোটামুটি সবগুলোই
ভালো। যেমন: ঝিঙা, চিচিঙ্গা, পটোল,
করলা, পেঁপে, কচু, বরবটি, চালকুমড়া,
শসা ইত্যাদি। নিরামিষ রান্নায়
যাতে চার-পাঁচটি সবজি থাকে,
সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। এ
ছাড়া হালকা মসলা ও স্বল্প তেল
সহযোগে শুক্তো রান্না অত্যধিক
গরমে বেশ উপাদেয়, তেমনি পেটের
গোলযোগের আশঙ্কাও এতে থাকে না।
ডিম, মাছ ও মাংস
গরমের সময় অনেকে বাচ্চাদের ডিম
দিতে চান না বদহজমের ভয়ে। অথচ
ডিম অত্যন্ত সহজপাচ্য খাবার।
এটি ছোট-বড় সবারই ভালোভাবে হজম
হয়। তবে ভাজা ডিমের চেয়ে পোচ,
অর্ধসেদ্ধ ও পূর্ণসেদ্ধ ডিম
তাড়াতাড়ি হজম হয়। মাংসের
মধ্যে মুরগির মাংস সহজপাচ্য।
সমুদ্রের মাছে সোডিয়াম থাকে প্রচুর।
পুকুর ও নদীর মাছ এ সময় উত্তম।
একটি ধারণা আছে, মাংসের চেয়ে মাছ
কম পুষ্টিকর। আসলে মাছ সহজে হজম
হয় বলেই হয়তো এ ধরনের
ধারণা গড়ে উঠেছে। দুটিরই প্রোটিনের
মান সমান।
ফল
শরীর রক্ষায় ফলের গুরুত্ব রয়েছে।
গ্রীষ্ককালে আমাদের দেশে প্রচুর ফল
পাওয়া যায়। যেমন: আম, কাঁঠাল, জাম,
পেয়ারা, লিচু, তরমুজ, ফুটি,
বাঙি ইত্যাদি। অনেকের অভ্যাস
থাকে হঠাৎ এক দিনে বেশ কয়েকটি ফল
একসঙ্গে খাওয়ার। এতে খাবারের
মধ্যে কোনো সমতা থাকে না। এ ধরনের
অভ্যাস না করে প্রতিদিনই কিছু
না কিছু ফল খেলে ভিটামিন ও লৌহের
ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব। পেয়ারা, কলা,
পাকা পেঁপে ও আনারস ত্বককে সুন্দর
ও মসৃণ রাখে। এ ছাড়া রক্তে ইউরিক
এসিড বেড়ে গেলে আনারসে উপকার
পাওয়া যায়। তরমুজ ও ফুটি বেশ
ঠান্ডা। রক্তশূন্যতায় উপকারী। এ
সময় পাকা বেলের শরবত বেশ
উপকারী। এতে যেমন পেটের সমস্যা দূর
হয়, তেমনি শরীর
ঠান্ডা রাখে এবং পটাশিয়ামের
ঘাটতি মেটায়।
অসুখ-বিসুখ
ঘামাচি: অত্যধিক
গরমে ঘামাচি দেখা দেয়।
এটি যন্ত্রণাদায়ক ব্যাপার। এর জন্য
চাই সকাল-বিকেলে দুবার গোসল করা।
ত্বকে যাতে ঘাম জমতে না পারে,
সেদিকে খেয়াল রাখা। ঘাম ও ধুলাবালু
জমেই ঘামাচির উৎপত্তি হয়।
শরীর ঠান্ডা রাখার জন্য এ সময়
লেবুর রস, তেঁতুলের রস, কাঁচা আমের
শরবত ও বেলের শরবত
খাওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া ইসবগুল,
ঘৃতকুমারী (অ্যালোভেরা) ও তোকমার
শরবত উপকারী।
ডায়রিয়া: এ সময় ছোট-বড় অনেকেই
ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়। অসুস্থতার
প্রথম দিকে স্যালাইন দিতে হবে,
যাতে পানিশূন্যতা রোধ করা যায়।
তারপর দিতে হবে উচ্চ ক্যালরিযুক্ত
সহজপাচ্য খাবার। খাবারের
মধ্যে থাকবে জাউভাত, মাছের
হালকা ঝোল, সুসেদ্ধ জল, মুরগির স্যুপ,
শসার স্যুপ, আলুর পাতলা ঝোল
বা আলুভর্তা, কাঁচকলার পাতলা ঝোল
বা ভর্তা ইত্যাদি। তেল-মসলা যত কম
থাকে, তত ভালো। ডিম সেদ্ধ বা পোচ
করে শুধু সাদা অংশ এ সময়
দেওয়া যেতে পারে।
হাত-পা জ্বালা: গরমের দিনে অনেকেরই
হাত-পা জ্বালা করার
প্রবণতা দেখা যায়। এ রকম হলে দুপুর
ও রাতে খাওয়ার সময় ধনেপাতা ও
পুদিনাপাতার চাটনি করে খেলে শরীর
ঠান্ডা থাকবে। ইচ্ছে হলে এই চাটনির
সঙ্গে লেবু বা তেঁতুলের রস
দেওয়া যেতে পারে। আখের গুড়
দিয়ে তেঁতুলের রস খেলেও হাত-
পা জ্বালা কমবে। তেঁতুলে যেমন
পটাশিয়াম আছে,
তেমনি এতে কোলেস্টেরলও কমে।
হজমের গোলমাল: হজমের গোলমাল
থাকলে এ সময় প্রতিদিনই দই
খাওয়া ভালো।
এতে আছে ল্যাক্টোক্যাসিলাস জীবাণু,
যা আমাদের
অন্ত্রে পৌঁছে হজমে সাহায্য করে। এ
ছাড়া যদি ডিসপেপসিয়া দেখা দেয়, তখন
বেল খুবই উপকারী।
পাকা অথবা কাঁচা উভয় ধরনের বেলই
ওষুধের কাজ করে। পাকা বেলের শরবত
ঠান্ডা ও আমাশয়ের জন্য ভালো।
গরমে সারা দিনের খাবারে যত ভাজা-
ভুনা এড়ানো যায়, তত ভালো। কম
মসলায় রান্না হলে ভালো হয়। যেমন:
মাছের পাতলা ঝোল, শুক্তো, চিঁড়া-
কলা, দই, দুধ-সেমাই, আম-
আমড়া ইত্যাদির টক, পাতলা জল
ইত্যাদি। কোনো কোনো সময় মাছ-মাংস
বাদ দিয়ে নিরামিষ খাওয়া যেতে পারে।
মোট কথা, গ্রীষ্মের খাবার হবে জলীয়,
সহজপাচ্য ও হালকা মসলাযুক্ত,
যাতে দেহ-মন—দুই-ই সজীব ও সতেজ
থাকে।
আখতারুন নাহার
প্রধান পুষ্টি কর্মকর্তা, বারডেম
হাসপাতাল
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, মে ১৬,
২০১২

কোন মন্তব্য নেই :

ব্রিটিশ নারীদের ইসলাম ধর্ম গ্রহণের প্রবনতা বাড়ছে ।

কোন মন্তব্য নেই

ব্রিটেনে গত দশ বছরে প্রায় ৪০
হাজার মানুষ ধর্মান্তরিত হয়েছে।
তাদের মধ্যে এগিয়ে রয়েছে নারীরা।
তারা মূলত ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে।
‘ফেথ ম্যাটার্স’ একটি ব্রিটিশ সংস্থা।
এই
সংস্থাটি সম্প্রতি একটি জরিপে চালিয়ে এ
তথ্য জানায়।
===============
=======
ব্রিটেনে শ্বেতাঙ্গরা, বিশেষ
করে মেয়েরা খ্রিস্টান ধর্ম ছেড়ে ইসলাম
ধর্ম গ্রহণ করছে। ফলে রক্ষণশীল
ব্রিটিশরা বেশ চিন্তিত হয়ে পড়েছে।
ইসলামধর্ম নিয়ে কাজ করছে ‘ফেথ
ম্যাটার্স’ নামক সংস্থা। সেই
সংস্থা একটি জরিপে জানিয়েছে, গত ১০
বছরে ব্রিটেনে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ
ধর্মান্তরিত হয়েছে এবং এদের প্রায়
সবাই ইসলামধর্ম গ্রহণ করেছে।
জরিপে জানানো হয়, যারা ধর্মান্তরিত
হয়েছে তাদের কারো বয়সই ২৭-এর
বেশি নয়। এদের মধ্যে মেয়েদের
সংখ্যা প্রায় ৬২ শতাংশ।
ফ্রাঞ্চেসকা ডিগম্যান কেন্টের মেয়ে।
সেখানে বড় হয়েছেন। পড়াশোনা করছেন
লেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ে । সেখান
থেকে সম্প্রতি তিনি গ্র্যাজুয়েশন
সম্পন্ন করেছেন। তিনি বললেন,
‘আমি বিশেষ কোনো ধর্মের সন্ধান
করছিলাম না। ইসলাম ধর্ম সম্পর্কেও
বিশেষ কোনো ধারণা আমার ছিল না।
আমি ইসলাম ধর্ম
সম্পর্কে জানতে পারি বিশ্ববিদ্যালয়ে
ভর্তি হওয়ার পর। বিশ্ববিদ্যালয়ে
আমি পরিচিত হই বেশ কিছু মুসলমান
ছাত্রছাত্রীর সঙ্গে। তখনই প্রথম
আমি জানতে পারি ইসলামধর্ম সম্পর্কে,
ধর্মের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে।
সবাই যেভাবে কথা বলে, আরেকজনের
সঙ্গে মেশে, তা দেখে আমি অভিভূত হই।
বিশেষ করে ছেলেরা অত্যন্ত অমায়িক
এবং তারা মেয়েদের প্রতি যথেষ্ট
সম্মান প্রদর্শন করে।’
কীভাবে ফ্রাঞ্চেসকা ইসলাম ধর্মের
প্রতি ঝুঁকে পড়লেন? তিনি বলেন, এসব
দেখে তিনি আগ্রহী হন ইসলাম ধর্ম
সম্পর্কে আরও কিছু জানতে। যত
গভীরে তিনি যেতে থাকেন, ততই
তিনি মুগ্ধ হতে থাকেন। ধর্ম কী বলছে,
সৃষ্টিকর্তা কে, তিনি কী বলেছেন,
কীভাবে এবং কেন পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন,
ইসলাম ধর্মের এসব বিশ্বাস
প্রচণ্ডভাবে প্রভাবিত
করে ফ্রাঞ্চেসকাকে।
২০০৮ সালের
ফেব্রুয়ারি মাসে ফ্রাঞ্চেসকা ইসলাম
ধর্ম গ্রহণ করেন। ফেথ ম্যাটার্স-এর
জরিপ অনুযায়ী ব্রিটেনে গত বছর প্রায়
পাঁচ হাজার মানুষ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ
করেছে। ইসলাম ধর্ম নিয়ে পশ্চিমা বিশ্ব
সবসময়ই সমালোচনায় মুখরিত।
সমালোচকরা চিন্তিত এই ভেবে যে,
বর্তমানে যেখানে ইসলাম
ধর্মকে ঘিরে এত বিতর্ক চলছে, তার
মধ্যে কীভাবে এই ধর্মের প্রতি এত
আগ্রহী হওয়া যায়?
ইসলাম ধর্ম বিশেষজ্ঞরা জানান, যে সব
সংখ্যা তাদের কাছে হাজির
করা হচ্ছে তাতে তারা বিস্মিত। তাদের
তথ্যের মূল উত্স হলো লন্ডনের
মসজিদগুলো।
মসজিদগুলো সবচেয়ে ভালো খবর
রাখে এসব বিষয়ে। বাতুল আল
তোমা আয়ারল্যান্ডের মেয়ে।
তিনি ইসলামিক
ফাউন্ডেশনে একটি প্রকল্পে কাজ
করছেন।
তিনি বললেন, ‘আমরা লেস্টারে বেশ কিছু
বিষয় নিয়ে গবেষণা করছি।
আমরা জানতে পেরেছি যে,
মসজিদগুলো সব মুসলমানের
সংখ্যা নির্ভুলভাবে লিপিবদ্ধ করে না।
যারা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে অথচ
মসজিদে যায়নি তাদের কথা কোন
মসজিদই জানে না। এসব
মুসলমানকে ‘শাহদাহ’ সার্টিফিকেটও
প্রদান করা হয়নি। তাই আমাদের কাজের
সঙ্গে মসজিদের দেয়া তথ্যের পার্থক্য
অনেক বেশি। অনেক কিছুই বাদ
গেছে মসজিদের তালিকা থেকে।’
তবে বাতুল আল তোমা জানান, ইসলাম
ধর্ম গ্রহণ করছে অনেক
বেশি মানুষএবং তাদের বেশিরভাগই
মহিলা। আগে দেখা যেত, বিবাহিত
মহিলারা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করছে।
কারণ স্বামী মুসলমান। অথচ এখন
অবিবাহিত মেয়েরাই এগিয়ে আসছে।
নির্ভরতার কারণে নয়, আত্মবিশ্বাসের
সঙ্গেই, সচেতনভাবে তারা গ্রহণ
করছে ইসলাম ধর্মকে।
সূত্রঃ আলজাজিরা ওয়েবসাইট —

কোন মন্তব্য নেই :

অধ্যাপক আনু আহমেদ এর একটি চমৎকার লেখা

1 টি মন্তব্য

আতঙ্কের সমাজ, দখলদার অর্থনীতি,
জমিদারি রাজনীতি এটাই বর্তমান
সময়ের প্রধান পরিচয়। এর মধ্যেই
আমরা ‘আছি’।
বর্তমানে সারা দেশে দুর্নীতি দখলদারি,
নানা অগণতান্ত্রিক আইনি-
বেআইনি তৎপরতা, সন্ত্রাস-টেন্ডা
রবাজি, নিয়োগ-বাণিজ্য
ইত্যাদি বিস্তারের সুবিধাভোগী খুবই
নগণ্য। যদি সামনে বিএনপি-জামায়াত
বিশেষত যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয়
না থাকত
তাহলে যারা আওয়ামী লীগকে ভোট
দিয়েছে তাদের ক্ষোভেইসরকার
টালমাটাল হতো। আওয়ামী লীগসরকারের
জন্য এটাই আত্মরক্ষার প্রধান
অবলম্বন। ক্ষুব্ধ সমর্থকদের
ধরে রাখায় বিএনপি-জামায়াতের ভয়,
যুদ্ধাপরাধীদের অস্তিত্ব তাদের প্রধান
ভরসা। বিএনপি-জামায়াতও এই অস্ত্রই
বরাবর কাজে লাগিয়েছে।
আওয়ামী আমলের ভীতি প্রচার, কৃত্রিম
ভারত-বিরোধিতা, ইসলাম ধর্ম
বিপন্নতার প্রচারণা তাদের অনেক
অপকর্ম জায়েজ করার প্রধান
অবলম্বন। যারা এখন আওয়ামী লীগ
বা বিএনপির পেছনে আছে তাদের
অধিকাংশ অপছন্দ নিয়েই আছে,
আছে অন্য দলের ভয়ে। অতএব
জমিদারি রাজনীতির দুই ধারা পরস্পর
পরস্পরের ভরসা, পরস্পর
পরস্পরেরজন্য অপরিহার্য। ঐক্য ও
ধারাবাহিকতারও তাই কমতি নেই।
যে কেউ সরকারের
বা কোনো প্রতিষ্ঠানের
কর্তাব্যক্তিদেরঅন্যায় নিপীড়ন
বা দুর্নীতির
বিরুদ্ধে দাঁড়ালে সরকারি দল
বা কর্তাব্যক্তিদের একটা মোক্ষম ঢাল
হলো এটা বলা যে, এটা যুদ্ধাপরাধীদের
বিচারের বিরুদ্ধে চক্রান্ত। শিক্ষক,
তৈরি পোশাক শ্রমিক, জমি সম্পদ
রক্ষার আন্দোলন, শিক্ষার্থীদের
শিক্ষা আন্দোলন—সবাইকে এই
গালি শুনতে হয়। কিন্তু
রামদা হাতে সরকারি পান্ডা, নিয়োগ-
বাণিজ্যে নিয়োজিত এমপি, গুম
খুনে সক্রিয় নানা বাহিনী,
সরকারি হামলা নির্যাতন দখল, আর
অদক্ষ বিচারপ্রক্রিয়া থাকতে কি আর
কারও চক্রান্ত করার দরকার হবে?
৪০ বছর ধরে একাত্তরের দুর্বৃত্তদের
বিচার আটকে আছে। জনগণের একটি বড়
অংশ তারেক জিয়ার জমিদারি তাণ্ডব
থেকে বাঁচার জন্য এবং যুদ্ধাপরাধীদের
বিচারের আশায় আওয়ামী লীগকে ভোট
দিয়েছিল। সরকারের
ভূমিকা থেকে মনে হয় এই সরকার তারেক
জিয়াকে মহানায়ক না বানিয়ে,
যুদ্ধাপরাধীদের হাতে আত্মরক্ষার
আরও পুঁজি সরবরাহ নাকরে ভুল নীতি,
দুর্নীতি, সন্ত্রাস, দখলদারির
যথেচ্ছাচার থেকে সরবে না।
দম দেওয়া পুতুলের
মতো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কথা বলেন।
পরিস্থিতি, কাল বা প্রশ্ন কোনো কিছুই
তাঁর গৎবাধা কথা বদলাতে পারে না।
একের পর এক খুনি ধরাছোঁয়ার
বাইরে থাকে, খুনি ক্ষমা পায়, তিনি সব
সময় বলতে থাকেন ‘অপরাধী যেই হোক
তাকে অবশ্যই ধরা হবে।’ গুম খুন হাজার
ছাড়িয়ে যায়; তিনি বলেন, ‘দেশের
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সবচেয়ে ভালো।’
ক্রসফায়ারে মৃত্যু হতে থাকে।
রামদা হাতে সরকারি সংগঠনের
কর্মীরা নানা জায়গায় সন্ত্রাস
তৈরি করে, দখল চলে।
আইনমন্ত্রী গড়গড় করে বলতেই
থাকেন, ‘আইন সবার জন্য সমান।’
চাঁদাবাজি শুধু উর্দিছাড়া নয়,
উর্দিপরা লোকজনও করতে থাকে।
আইন-আদালত কী করে,
তা নিয়ে তো কথাবলাই নিষেধ।
প্রধানমন্ত্রী প্রায় সব
সমস্যা সমাধানে নিজেই দায়িত্ব নেন।
কিন্তু কোনো সমাধান দেখা যায় না।
দিনবদলের কথা অর্থহীন।
যাদের ২৪ ঘণ্টা রাষ্ট্রীয়
অর্থেপ্রতিপালিত নানা বাহিনীর
পাহারায় কাটে তারা ছাড়া বাকি কারও
তাই আতঙ্ক কাটে না। নিজের
ওস্বজনের জীবন নিয়ে, পথের
নিরাপত্তা নিয়ে, জিনিসপত্রের দাম,
জীবিকা, ভবিষ্যৎ
নিয়ে উৎকণ্ঠা দিনরাত। সবচেয়ে বড়
ভয়, দিনের পর দিন
সবকিছুতে অনিশ্চয়তা। বাংলাদেশের
মানুষের অবস্থা এখন এমনই যে মানুষের
জন্য মানুষের শোক, আতঙ্ক
কিংবা উদ্বেগ নিয়েও একটু স্থির
হয়ে বসা যায় না। নতুন আরেকআঘাত
পুরোনো শোক
বা আতঙ্ককে ছাড়িয়ে যায়।
টিভি বা সংবাদপত্রেরও ঠাঁই নেই
সবগুলোকে জায়গা দেওয়ার,
কিংবা লেগে থাকার।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রধান দুই
দলের সংঘাত কখনোই
জমিদারি লড়াইয়ের চরিত্র থেকে বের
হতে পারেনি। যে অংশ ক্ষমতায়
থাকে তাদের ইচ্ছা হয়
চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত নেওয়ার। তাই
একপর্যায়ে বিরোধ চরমে ওঠে। তখন
মাঝেমধ্যে সম্রাটের দূতের
মতো যুক্তরাষ্ট্র বা ইউরোপ
এমনকি ভারতের প্রতিনিধিদের
সাড়ম্বর আগমন ঘটে। সংঘাতে তাদের
কর্তৃত্ব বাড়ে। দুই পক্ষ
প্রতিযোগিতা করে ‘প্রভুর’ জন্য আরও
বাড়তি সুবিধা দেওয়ার অঙ্গীকার
করে নিজেদের ক্ষমতা পাকাপোক্ত
করতে চেষ্টা করে। আফ্রিকার
দেশগুলোর মতো এ দেশে গোত্র
বা এথনিক সংঘাতের অবস্থা নেই।
কিন্তু আওয়ামী লীগ-বিএনপি লড়াই যেন
তার স্থানই পূরণ করতে যাচ্ছে,
রাজনৈতিক সংঘাত নিতে যাচ্ছে ট্রাইবাল
সংঘাতের রূপ। সারা দেশ, সব
প্রতিষ্ঠান এই দুই ভাগে ভাগ হয়ে আছে।
যারা লাভবান হচ্ছে তারা তালিও
দিয়ে যাচ্ছে। প্রকাশ্যে বা গোপনে।
দুই দলের ব্যানার দেখে পুরো চিত্র
পাওয়া যাবে না। দেখতে হবে ব্যানারের
পেছনে দাঁড়ানো দখলদার
কমিশনভোগীদের। দলের ব্যানার
আসলে ব্যবহূত হয় তাদের মুখ ঢাকার
জন্য। মানুষ দল দিয়ে বিচার করে, দলের
ওপর ভরসা করে, দলের ওপর বিরক্ত
হয়, ক্ষুব্ধ হয়, ক্ষোভে-দুঃখে চিৎকার
করে। দল আসে যায়। কিন্তু
কমিশনভোগী, দখলদারদের পরিবর্তন
হয় না। তাদের শক্তি ও অবস্থান আরও
জোরদার হয়। দুই দলের তীব্র সংঘাত
চোখে পড়ে, আড়ালে দখল লুণ্ঠন
কমিশনসহ নানা তৎপরতায়
অংশীদারি ঠিকই চলে বহাল তবিয়তে।
ব্যাংক, শেয়ারবাজার, মুদ্রা পাচার,
মিডিয়াসহ নানা জায়গায় তার স্বাক্ষর
আছে।
সে জন্য গুম, খুন, ক্রসফায়ার,
উর্দিপরা বা উর্দিছাড়া লোকজনদের
ডাকাতি চাঁদাবাজি, কৃত্রিম
কিংবা উসকে তোলা রাজনৈতিক
উত্তেজনা, হরতাল, বিদ্যুতের সংকট—
সবকিছু নিয়ে মানুষের অস্থিরতা,
উদ্বেগ, অসুস্থতার মধ্যে ঠিকই অনেক
কিছুহয়ে যেতে থাকে। শতকরা এক ভাগের
হাতে আরও সম্পদ কেন্দ্রীভূত
হতেকোনো বাধা নেই। পাহাড় নদী বন
দখলকাজে কোনো সমস্যা নেই।
দেশেরসমুদ্র, সম্পদ, অর্থনীতিতে দেশি-
বিদেশি লুটেরাদের আধিপত্যবৃদ্ধির
আয়োজনে কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই।
এগুলোতে দুপক্ষের বিরোধ নেই।
এখানে দুই বন্ধু (বা শত্রুর) গল্প বলি।
এরা হতে পারে দুজন আমলা, দুজন
ঠিকাদার, দুজন কনসালট্যান্ট, দুজন
মন্ত্রী এমনকি হতে পারে দুই সময়ের দুই
সরকার। গল্পের শুরুর কালে বন্ধু‘ক’ ও
‘খ’-এর সীমিত আয়, স্বাভাবিক
জীবনযাপন। এর মধ্যে একদিন ‘ক’ ‘খ’-
এর বাড়িতে গিয়ে হতবাক।
ঘরবাড়িতে নতুন বিত্তের চিহ্ন।
‘কোথায় পেলে তুমি এসব?’ বারবার
প্রশ্ন করায় একপর্যায়ে ‘খ’ ‘ক’
কে জানালা দিয়ে বাইরে তাকাতে বলে।
বাইরে একটা সড়ক ছাড়া আর কিছু নেই।
‘খ’ বলে ‘এটাই’। দিন মাস বছর যায়। ‘খ’
যায় ‘ক’-এর বাড়িতে। ‘ক’-এর বাড়ির
জাকজমক তার চেয়েও বেশি।
‘কীভাবে এত টাকা বানানো সম্ভব?’ ‘ক’
এবার হাসিমুখে ‘খ’-
কে জানালা দিয়ে তাকাতে বলে।
একটা সেতু, দুপাশে ভাঙা,
আধাখেচড়া পড়ে আছে। ‘খ’ বুঝতে পারে।
আবার দিন মাস বছরযায়। ‘ক’ যায় ‘খ’-
এর বাড়িতে, এখন সেটা অট্টালিকা।
বিত্তের আওয়াজ বেড়েছে অনেক গুণ।
‘ক’-এর মাথায় প্রশ্ন। ‘এত
টাকা কীভাবে সম্ভব?’‘খ’ আবার
জানালা দিয়ে তাকাতে বলে।
বাইরে কোনো কিছু নেই। শুধু মাঠ। ‘ক’
প্রথমে বুঝতে পারে না। ‘খ’ বলে, ‘এই
তো’। প্রথমে কাজ করে লাভ, পরে কিছু
কাজ করে পুরো টাকা। পরে কিছুই
না করে পুরোটাই মেরে দেওয়া।
সেটাই তো হওয়ার কথা।
প্রক্রিয়া যদি একই থাকে ক্ষুধা দিন
দিন বাড়তে থাকে। পেট তো ভরতে হবে।
তাই এভাবে চলতে চলতে মাঠ, গাছ, বন,
জঙ্গল, পাহাড়, নদী, নালা, খালবিল সব
হজম হতে থাকে। ‘ক’ আর ‘খ’-এর যখন
যার সুযোগ আসে।
কখনো প্রতিযোগিতা কখনো সহযোগিতা।
কখনো ঐক্য কখনো সংঘাত। দখল,
কমিশনের ওপর দাঁড়ানো বিত্ত-বৈভব
শানশওকতে শহরের কিছু কিছু স্থান
ঝলমল করতে থাকে। অনেকে স্মরণ
করতে পারেন সেলিম আল দীনের
মুনতাসির ফ্যান্টাসি নাটক। সবকিছুই
প্রধান চরিত্র মুনতাসিরের খাদ্য। তার
ক্ষুধার কোনো শেষ নেই। আমাদের
দেশে একের পর এক
শাসকগোষ্ঠী একজনের থেকে অন্যজন
আরও বেশি মুনতাসির।
ক্ষমতাবানেরা যখন এভাবে নিজের
অর্থনীতি তৈরি করেন তখন
রাজনীতিকেন
জমিদারি থেকে আলাদা হবে? আমাদেরই
বা সদা আতঙ্ক ছাড়া আর কীপাওয়ার
আছে?
দেশি-বিদেশি দখলদারদের জন্য দুই দলের
পালাবদল খুবই সুবিধাজনক। এই নিয়েই
বেঁচে থাকতে হবে, সমাজে এই
চিন্তা টিকিয়ে রাখতে কারও কারও
সক্রিয়তা আছে। এই অবস্থায়
তাহলেকী হবে বাংলাদেশের?
পরিবারতন্ত্রের আড়ালে, চোরাই টাকার
মালিক সন্ত্রাসী প্রতারক দখলদার
কমিশনভোগীদের হাতে, নিজেদের
সর্বনাশ দেখতেই থাকবে শতকরা ৯৯
ভাগ মানুষ? তাহলে কি আরউপায় নেই?
শক্তিশালী মিডিয়া ও সুশীল সমাজের
দরবারে এই বলয়ের বাইরে আলোচনারও
সুযোগ কম। ভিন্নস্বর ভিন্ন সত্য
ভিন্ন সম্ভাবনানিয়ে মানুষের চিন্তার
সুযোগও তাই তৈরি হয় না।
ফলে জনগণের মধ্যে এক অসহায়ত্বের
বোধ এখন প্রায় স্থায়ীরূপ নিয়েছে।
কিন্তু এই দুই ধারার একটির
বদলে অন্যটি আমাদের বর্তমান
অবস্থার যে কোনো সমাধানই
দেবে না তা বোঝার জন্য আর কত
পালাবদল দরকার? আর কত ক্ষয় আর
কত সর্বনাশদেখতে হবে আমাদের? এই
জমিদারি সংঘাত ও ঐক্য কোথায়
নিয়ে যাবে দেশকে, ক্ষমতা তাদেরও
হাতে থাকবে কি না, দেশি-
বিদেশি কারা অপেক্ষমাণ—সবকিছুই
এক ভয়ংকর অনিশ্চয়তা। এই বিষচক্র
থেকে বাঁচার জন্য প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ
সামরিক শাসন যে সমাধান নয় তার
প্রমাণ বারবার হয়েছে। বরং এতে এই
প্রক্রিয়ারই আরও শ্রীবৃদ্ধি হয়েছে।
আর দুজনের সংলাপ ও ঐক্য? তাতে এই
ধারাবাহিকতা ও জনগণের অবস্থার
পরিবর্তনের তো কিছু নেই।
সে কারণেই যুদ্ধাপরাধী ও লুটেরাশক্তির,
দখলদার ও জমিদারদের রাজনৈতিক
মতাদর্শিক প্রভাব অতিক্রম
করে জনগণের রাজনৈতিক শক্তির
বিকাশ ছাড়া উপায় দেখি না। নিষ্ক্রিয়,
আচ্ছন্ন আর সন্ত্রস্ত জনগণের
মধ্যে ক্ষমতার বোধ বিকশিত
হওয়া ছাড়া এটা সম্ভব নয়।
দখলদারদের দাপটে বাংলাদেশ
নিয়ে স্বপ্ন দেখাই এখনঅসম্ভব
মনে হতে পারে। কিন্তু বর্তমান
ক্ষমতার জালের আচ্ছন্নতা থেকে মুক্ত
হলে, নিজেদের নিয়ে স্বপ্ন দেখতে সক্ষম
হলে, জনগণ তার অন্তর্গত বিশাল
শক্তিও অনুভব করতে সক্ষম হবে,
সক্ষম হবে স্বাধীন পথ গ্রহণকরতে।
মানুষ যদি নিজে মুক্ত না হয়, তার
মুক্তির কোনো সম্ভাবনা তৈরি হয় না।
আনু মুহাম্মদ: অর্থনীতিবিদ ও
অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর
বিশ্ববিদ্যালয়।

একজন মুসলিম মেয়ের জন্য উপদেশ যে তার পরিবারের চাপের কারণে ইসলাম পালন করতে পারে না

কোন মন্তব্য নেই
প্রশ্নঃ
আমার বয়স ১৬ বছর। আমার
পরিবারের কেউই ইসলামের
বিধিবিধানগুলো পালন করে না। আমিই
পরিবারের একমাত্র সদস্য যে আমার
সাধ্যমত সর্বোত্তম চেষ্টা করি
সালাত পড়ার এবং ইসলাম
মেনে চলার।
আমার পরিবার আমার সালাত
পড়া এবং ইসলাম পালনের ঘোর
বিরোধী। আমার মা চান
না আমি ফজর এবং এশার সালাত
পড়ি কারন ফজরের সময় অনেক
সকালে উঠতে হয় আর এশার সালাত
রাতে দেরীতে পড়তে হয়। কিন্তু
আমি যেভাবেই হোক সালাত আদায়ের
চেষ্টা করি, যতটা সম্ভব
লুকিয়ে লুকিয়ে। আর
যখনি মা জিজ্ঞেস করেন
যে আমি ফজর আর
এশা পড়েছি কিনা আমি সবসময়
মিথ্যা কথা বলি। আচ্ছা, এই
পরিস্থিতিতে কি মিথ্যা বলা জায়েজ?
আমি একটা পিৎজার
রেস্ট্রুরেন্টে পিৎজা বিক্রির কাজ
করতাম,আমি সেটাও
ছেড়ে দিয়েছি,আমার মা এখনো এই
ব্যপারে জানেন
না,আমি উনাকে মিথ্যা বলার
সিদ্ধান্ত নেই,আর বলেছি যে আমার
চাকরিটা চলে গেছে। আমার জন্য
কি এই অবস্থায় মিথ্যা বলার
অনুমতি আছে?
আমি আরেকটি ব্যপারে জানতে চাইঃ আগামী মাসে আমরা সপরিবারে অন্য
একটি দেশে যাচ্ছি, আর আমি জোহর
এবং আসরের সালাত পড়তে পারবনা,
আমাকে ভ্রমণের সময় কিছুতেই
সালাত পড়তে দেয়া হবে না।আর আমার ভয় হচ্ছে যখন
আমরা পৌঁছাব
তখনো আমাকে এশা আর ফজরের
সালাত পড়তে দেয়া হবে না…
আমি জানিনা আমি কি করব,
আমি যতদূর জানি যে (ভ্রমণের
সময়) দুই সালাত
নাকি একসাথে পড়া যায়,কিন্তু
কিভাবে পড়তে হয় আমি তা জানিনা।
আচ্ছা, জোহরের নামাজের
সাথে কি আসরের সালাত পড়া যায়?
অর্থাৎ, আমি জোহরের সালাত
জোহরের ওয়াক্তে পড়েই আসরের
সালাতটা পড়ে ফেললাম,
এভাবে পড়তে হবে নাই অন্য
কোনভাবে?
আর আমার যদি একাধিক সালাত
ছুটে যায়
তবে কোনটা আগে কাযা করতে হবে?
আর আমাকে হিজাবও করতে দেয়া হয়
না। কিন্তু আমি যথাসম্ভব
শালীনভাবে পোষাক পরার
চেষ্টা করি।
এখন গ্রীষ্মকাল, আমার মা চান যেন
আমি টি-শার্ট আর শর্টস পড়ি।
কিন্তু আমি শর্টস পরতে সাফ সাফ
না করে দিয়েছি, কিন্তু
কখনো কখনো আমি টি-শার্ট
পরে বাইরে যাই, আমার মা আমার
স্কিনের ব্যপারে অনেক অভিযোগ
করেন, কারন আমার চেহারা মলিন,
উনার ধারণা রোদ আমাদের
স্বাস্থ্যের জন্য ভাল।
কিন্তু আমি ঘৃণা করি আল্লাহর
আদেশ অমান্য করা, আমি টি-শার্ট
পরি,কিন্তু আমি খুবই মন খারাপ
লাগে যখন মা এসব ব্যপারে আমার
সাথে চিৎকার চেঁচামেচি করেন আর
বলেন যে উনি আমার জন্য চিন্তিত
ইত্যাদি ইত্যাদি।
আমার আসলেই খুব মন খারাপ হয়
কারন আমি আমার
মাকে হাসি খুশি দেখতে চাই আর একই
সাথে গুনাহও করতে চাইনা।
উত্তরঃ
সকল প্রশংসা আল্লাহর।
প্রথমতঃ আমরা এই
প্রশ্নটি পেয়ে অত্যন্ত
খুশি হয়েছি এবং সকল
প্রশংসা আল্লাহ সুবহানাহু
ওয়া তা’আলার জন্য যিনি আপনার
মনে আল্লাহর দ্বীনের
ব্যপারে আগ্রহ সৃষ্টি করে দিয়েছেন,
আপনাকে সামর্থ্য দিয়েছেন তাঁর
আদেশ নিষেধ পালন করার
এবং আপনি এই কারণে যেই
ক্ষতিগুলির সম্মুখীন হচ্ছেন সেই
ব্যপারে আপনাকে ধৈর্য্য ধারণ
করার। আল্লাহ সুবহানাহু
ওয়া তা’আলা তাঁর বান্দাদেরকে তাঁর
আদেশ নিষেধ পালনের
ব্যপারে ধৈর্য্যধারণ
এবং অবিচলতার আদেশ দিয়েছেন,
পরিস্থিতি যত খারাপই হোক না কেন।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা
বলেছেন (আয়াতের তর্জমা)—“হে ঈমানদানগণ! ধৈর্য্য ধারণ কর
এবং মোকাবেলায় দৃঢ়তা অবলম্বন
কর। আর আল্লাহকে ভয় করতে থাক
যাতে তোমরা তোমাদের উদ্দেশ্য
লাভে সমর্থ হতে পার”।
[সূরা আলে-ইমরান]
“যারা আমার পথে সাধনায়
আত্মনিয়োগ করে , আমি অবশ্যই
তাদেরকে আমার পথে পরিচালিত
করব। নিশ্চয় আল্লাহ
সৎকর্মপরায়ণদের সাথে আছেন”।
[সূরা আনকাবূত]
আপনার বুঝতে হবে যে,
আপনি আল্লাহর আদেশ নিষেধ পালন,
ইবাদত করা, হিজাব পরা ইত্যাদির
পালনের ক্ষেত্রে যেসব সমস্যার
সম্মুখীন হচ্ছেন সে সব কিছুই
শুধুমাত্র আল্লাহরই কারণে। আর
আপনি এসব সমস্যার
সাথে যেভাবে মানিয়ে চলছেন
এটা আল্লাহর তার
বান্দাকে দেয়া সর্বোত্তম ধৈর্য্য;
আল্লাহকে মান্য করার জন্য ধৈর্য্য
এবং আল্লাহর দ্বীন এবং এর
প্রতি অবিচল থাকতে যেসব ক্ষতির
সম্মুখীন হতে হয় তার
প্রতি ধৈর্য্যধারণ করা। আল্লাহ
সুবহানাহু ওয়া তা’আলা আমাদের
বলেছেন যে, তাঁর প্রেরিত
নবী রাসূলগনও তাদের
জনগণকে বলেছিলেন যে তারা তাদের
ধর্মের উপর অবিচল থাকবেন, তাদের
উপর লোকজনের পক্ষ থেকে যে কোন
ধরণের বিপদ আপদ আসুক না কেনঃ
“আমাদের আল্লাহর উপর
ভরসা না করার কি কারণ
থাকতে পারে, অথচ
তিনি আমাদেরকে আমাদের পথ
বলে দিয়েছেন।
তোমরা আমাদেরকে যে পীড়ন করেছ,
তজ্জন্যে আমরা সবর করব।
ভরসাকারিগণের আল্লাহর উপরই
ভরসা করা উচিত”।
[সূরা ইব্রাহীমঃ ১২/১৪]
হাদীসে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
বলেছেনঃ
“তোমাদের পরে আসবে ধৈর্য্যের দিন
যখন ধৈর্য্য ধারণ করা এমন
হবে যেন হাতের মুঠোয় জ্বলন্ত
কয়লা ধরা আছে,আর যে নেক কাজ
করবে সে তার মত ৫০ জনের ভাল
কাজের সওয়াব পাবে।” একজন
বললেনঃ সে বললঃ হে রাসূলুল্লাহ,
তাদের মধ্য থেকে ৫০ জনের?
তিনি বললেনঃ “তোমাদের মধ্য
থেকে ৫০ জনের।” [বর্ণনায়
আবু দাউদ, ৪৩৪৩]এই জীবন্ত উদাহরণের
কথা চিন্তা করুন যারা পূর্বে গত
হয়েছেন, তাদের একনিষ্ঠ ইচ্ছা তাদের
রব্বের আনুগত্য করার-যিনি বিশ্ব
জাহানের প্রতিপালক, আর
কিভাবে তারা হাজারো বাধা বিপত্তি কষ্ট
আর ভয়ানক পরিস্থিতির
মুকাবিলা করেছেন এই দ্বীনের উপর
অটল থাকার জন্য।
খাব্বাব ইবন আল-আরাত
হতে বর্ণিতঃ
‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদিন কা’বার
ছায়ায় বালিশে হেলান দিয়েছিলেন।
আমরা তাঁর কাছে অভিযোগ করলাম,
কেন আপনি আল্লাহর কাছে আমাদের
জন্য সাহায্য চাইছেন না, আমাদের
জন্য তাঁর কাছে দু’আ করছেন না।
তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন,
তোমাদের পূর্ববর্তীদের মধ্যে (এমন
বিপদও এসেছে যে) কাউকে ধরা হতো।
তারপর গর্ত খনন করে তাকে সেই
গর্তে ফেলা হতো। এরপর করাত
এনে তার মাথার ওপর রাখা হতো।
অতপর তাকে দুই টুকরো করে লোহার
চিরুনী দিয়ে তার শিরা-অস্থিসহ
আচড়ানো হতো।
তদুপরি তারা তাকে দীন
থেকে ফেরাতে পারতো না। আল্লাহর
শপথ! (এখন আমাদের পরীক্ষা চলছে)
আল্লাহ এ দীনকে পূর্ণতা দেবেন।
একদিন এমন আসবে যখন
আরোহীরা সানআ থেকে হাযারামাউত
পর্যন্ত যাবে। চিতা আর ছাগল
নিরাপদে থাকবে। এক আল্লাহ
ছাড়া কাউকে ভয় করতে হবে না।
কিন্তু তোমরা তাড়াহুড়া করছো।’
[বুখারী : ৩৬১২।
আপনার মায়ের ব্যপারটা খুবই
আশ্চর্যজনক এবং দুঃখজনকও বটে।
যেখানে একজন মা তার ধর্মের
প্রতি অটল থাকেন আর তিনিই হন
তার কন্যার দ্বীনি শিক্ষার জন্য
আদর্শ শিক্ষক সেখানে আপনার
মা এমনটি করছেন যেমন
আপনি বর্ণনা করেছেন।
ইন্নানিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
আমরা দু’আ করি আল্লাহ যেন
তাকে সঠিক পথ দেখান এবং তার
অন্তর খুলে দেন, এবং আপনার মায়ের
দ্বারা সংঘটিত বিপদ
থেকে আপনাকে রক্ষা করুন।
আর অবশ্যি আপনি সাবধান থাকবেন
যেন আপনার মা এবং তার
কঠোরতা যেন আপনাকে আল্লাহর
দ্বীন পালনে বিরত
না রাখতে পারে অথবা তাঁর
(আল্লাহর) পথ
থেকে আপনাকে বিচ্যুত
না করতে পারে। আপনার
প্রতিপালকের প্রতি আপনার
আনূগত্যের কারণে আপনার মায়ের
রাগান্বিত হওয়া অতি তুচ্ছ
বিষয়,কারণ আল্লাহর
প্রতি আনুগত্য অন্য যে কারও
প্রতি আনুগত্যের চেয়ে অগ্রগণ্য।রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
“গুনাহের ক্ষেত্রে কোন আনুগত্য
নেই; বরং আনুগত্য আছে শুধুমাত্র
সঠিক এবং সঙ্গত
বিষয়গুলোতে।” [বর্ণনায় বুখারী,
৭২৫৭;মুসলিম ,১৮৪০]
এবং তিনি (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
“কোন সৃষ্টির আনুগত্য
করা যাবে না যদি তা আল্লাহ
সুবহানাহু ওয়া তা’আলার
প্রতি অবাধ্যতার সাথে সম্পর্কিত
হয়।” [বর্ণনায় আহমদ,১০৯৮]
দ্বিতীয়তঃ আপনার যদি আপনার
মাকে মিথ্যা বলা ছাড়া আর কোন
উপায় না থাকে সালাত পড়তে,
আল্লাহর দেয়া বিধি বিধান পালন
করতে এবং নিষিদ্ধ
বিষয়গুলো থেকে দূরে থাকতে তাহলে আপনার
কোন দোষ হবে না ইনশা আল্লাহ্।
তবে আপনার কথা বার্তায় একটু
কৌশলী হওয়া ভাল। যেমন ধরুন
আপনার মায়ের খারাপ আচরণ
থেকে বাঁচতে আপনি তার পছন্দসই
কথাবার্তা বলতে পারেন
যাতে মিথ্যা বলাও হবে না আবার
আপনার মা আপনার উদ্দেশ্য
সম্পর্কেও জানতে পারবেনা। ধরুন
আপনার মা আপনাকে জিজ্ঞেস
করলেন, “সালাত পড়েছ?”
আপনি উত্তর দিলেন, “না।” কিন্তু
এই ‘না’
দিয়ে আপনি আসলে বুঝিয়েছেন
যে আপনি তারাবীহ
অথবা তাহাজ্জুদের সালাতপড়েন নি,
অথবা আপনি ফরয গুলো ছাড়া নফল
বা সুন্নত সালাতগুলো পড়েন
নি ইত্যাদি।
আর হিজাবের ব্যপারে
আপনি আপনার মা-কে বোঝানোর
চেষ্টা করুন যে, এটা আল্লাহর আদেশ
এবং একই সাথে আপনার নিজস্ব
পছন্দ, আপনার ইচ্ছা, এবং একই
সাথে সাধ্যমত চেষ্টা করুন তার
খারাপ আচরণ এবং কর্ম
থেকে বেঁচে থাকার যতটুকু
আপনি পারেন। আল্লাহর
কাছে সাহাযা প্রার্থণা করুন যেন
তাকে হেদায়েত দান করেন
এবং আপনাকে তার খারাপ আচরণ
থেকে রক্ষা করেন।
তৃতীয়তঃ আর আপনি যখন ভ্রমণ
করছেন তখন ইচ্ছা করলে চার রাকাত
সালাতগুলো ২ রাকাত
করে পড়তে পারেন(আসর,জোহর,এশা)
। শরিয়তে এর অনুমতি আছে। আর
এটা আপনাকে আপনার মায়ের
সাথে থাকা অবস্থায় সালাত
পড়তে সাহায্য করবে কারন ৪
রাকাতের চেয়ে ২ রাকাত সালাত
পড়ায় সময় কম লাগে।আরেকটি সুবিধা হল যে, একজন
ভ্রমণকারী ইচ্ছা করলে জোহর ও
আসর সালাত ২ রাকাত
করে পৃথকভাবে হয় জোহরের সময়
নতুবা আসরের সালাতের সময়
পড়ে নিতে পারে। কোন
ভ্রমণকারী যদি জোহরের সময় সালাত
না পড়ে তবে আসরের সময় পর্যন্ত
অপেক্ষা করে জোহর ও আসর
একসাথে পড়ে নিয়ে পারে।
অথবা জোহরের সময় জোহর ও আসর
একসাথে পরতে পারে।
এক্ষেত্রে প্রথমে জোহরের ২ রাকাত
সালাত পড়ে নিতে হবে এর পর
আসরের ওয়াক্তের আগেই জোহরের
নামাজের পর পরই ২ রাকাত আসর
সালাত পড়ে নেয়া যায়।
অনুরূপভাবে মাগরিব এবং এশার
সালাতও একসাথে মাগরিব
অথবা এশার ওয়াক্তে পড়া যাবে।
এক্ষেত্রে মাগরিবের সালাত ৩
রাকাতই পড়তে হবে-কমানো যাবে না।
ফজরের ২ রাকাত সালাত যথা সময়েই
পড়তে হবে অর্থাৎ ভোর
বেলা ফজরের ওয়াক্তে। ফজরের
সালাত আগে-
পিছে করা যাবে না অর্থাৎ এই
নামাজের সময়ে রদবদল
করা যাবে না।
এভাবে একত্রে সালাত আদায়
আপনার জন্যে উপকারী হতে পারে,
কারণ আপনি এক্ষেত্রে সময়
বুঝে যখন আপনার
মা আপনাকে চোখে চোখে রাখছে না তখন
সালাত আদায় করতে পারেন,
অথবা তিনি অন্য কোন কাজে ব্যস্ত
থাকতে পারেন,
কিংবা আপনি তাকে মনে করাতে পারেন
যে , আপনি অন্য কোন
কাজে নিয়োজিত আছেন, যেমন ধরুন
বাথরুমে, বা এরকম কিছু, এছাড়াও
যখন আপনার যাত্রাপথে বিরতি হয়
তখন সালাত আদায় করতে পারেন,
বা আপনার মা’র থেকে দূরে কোথাও
অবস্থান করে, কিংবা আপনার
গন্তব্যস্থলে পোঁছাবার পরেও সময়
অনুসারে সালাত আদায় করতে পারেন,
এক্ষেত্রে আপনাকে সতর্ক
হতে হবে যেন সালাত আদায়ের সময়
শেষ না হয়ে যায়, ইত্যাদি।
এবিষয়ের সাথে মিল
আছে বলে আপনি এই প্রশ্নগুলোর
উত্তর পড়ে দেখতে পারেন,
82658, 105109, 38079
সবশেষে, আমরা আপনাকে সবরের
সাথে আল্লাহর আনুগত্যে অবিচল
থাকার পরামর্শ দিচ্ছি, এবং তাঁর
সন্তুষ্টির জন্য সচেষ্ট থাকুন,
সর্বদা আল্লাহকে স্মরণ করবেন,
তাঁর কিতাব কুর’আন পাঠ করবেন,
এতে আপনার মন ও চিত্ত প্রশান্ত
থাকবে আর আপনি থাকবেন
হেদায়াতের উপর। দীনের নিয়ম কানুন
সম্পর্কে জানতে আপনার সংগ্রাম
চালিয়ে যান,এবং এই কাজে লেগে থাকুন
যত বেশি সম্ভব তত, যতক্ষণ
পর্যন্ত না আল্লাহ আপনাকে এই
পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার করেন ।

কোন মন্তব্য নেই :