বর্তমানের আপুরা পড়ে কি? শাড়ী না মশাড়ী ।পোষ্ট ২

কোন মন্তব্য নেই




বর্তমানের আপুরা পড়ে কি?
শাড়ী না মশাড়ী ।
দেখতে তো মশারীই লাগে ।
শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের কে দেখার সুযোগ দিন ।

কোন মন্তব্য নেই :

বর্তমানের আপুরা পড়ে কি? শাড়ী না মশাড়ী ।পোষ্ট ১

কোন মন্তব্য নেই




বর্তমানের আপুরা পড়ে কি?
শাড়ী না মশাড়ী ।
দেখতে তো মশারীই লাগে ।

শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের কে দেখার সুযোগ দিন ।

কোন মন্তব্য নেই :

বিবাহোন্মুখ পোলাপাইনদের জন্য অবশ্যপাঠ্যঃ প্রয়োজনীয় বিবাহ প্রস্তুতি part4

কোন মন্তব্য নেই
করনীয় ৮:
রোমান্টিক হউন, চিন্তা-চেতনায় বৈচিত্র্যতা আনুন। বিয়েটা শুধু সামাজিক ও ধর্মীয় ভাবে শারীরিক মিলনের অনুমোদন না, মনের মিলনের অনুমোদনও। ভালোবাসার এমনসহজ সুযোগ আর কোন সিস্টেমে নেই। তাই ভালোবাসুন, সুযোগটা কাজে লাগান। শরীরকে শুধু প্রাধান্য না দিয়ে মনের কথাও ভাবুন। একটা মানুষ সব ছেড়ে আপনার কাছে আসছে,এটা অনুভব করার চেষ্টা করুন, দেখবেন মনটা তার জন্য এমনিতেও নরম হয়ে আসছে। রোমান্টিক হোন, কবিতা পড়ুন, দু’একটা তার সামনে কোট করুন, রোমান্টিক গান শুনুন। গুনগুন করে গাইতে চেষ্টা করুন। বিয়ের পরে বাসর ঘরেপ্রবেশের সময় যেনো সানাই বাজে সেই ব্যবস্থা করুন। রুমে ফুল রাখুন, হালকা সুগন্ধী ব্যবহার করুন, ডিমলাইট ব্যবহার করুন রাতে। কেয়ার করুন প্রথম দিন থেকেই, তাই বলে দৃষ্টিকটু ভাবে পিছু পিছু ঘুরে বেড়িয়ে তাকে সবার সামনে অস্বস্তিতে ফেলবেন না। ব্যালান্স রাখার চেষ্টা করুন। একলা থাকার অনুভুতিটা প্রথম কয়েকদিন যেনো না পায় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। বাইরে যাচ্ছেন, সে তৈরি হলো, বলে দিন “খুব সুন্দরলাগছে তোমাকে”। ন্যাকামিনা করেই বলে দিন তার সৌন্দর্যে আপনার মুগ্ধতার কথা, প্রকাশ করুন ভালোবাসার কথা, তবে লাউড স্পিকারে না, একান্তঘনিষ্ঠ মুহুর্তে। আর বাইরে যাওয়ার ৩-৫ ঘন্টা আগে জানিয়ে দিন কখন বেরোতে চান, নিজে তাড়া দিন যেনো তৈরি হয়। না হলেশাড়ি-গহনা চুজ করা-সাজগোজ করাতেই রাত হয়ে যাবে।শারীরিক মিলনেরশুরুতেও ভালাবাসার প্রকাশ রাখুন, রোমান্টিকতা আগে, পড়ে পেরেক মারার কাজ।বাসর রাতে রোমান্টিক আলাপ দিয়েই শুরু করুন, এরপর ভবিষ্যত স্বপ্ন আর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের কথা, পারিবারিক বিভিন্ন রীতি-নীতির কথা স্বাভাবিক টোনে বলে যান। জোর করার কিছু নেই, শুধু জানিয়ে দিন এসব দরকারী ব্যাপার। মন ভালো হলে সংসারের খারাপ চাইবেনা সে।হানিমুনের জন্য এক্সট্রা কিছু টাকা আগেই আলাদা করে রাখুন। বিয়ের ডামাডোলে সব টাকাই খরচ হয়ে যায়, তাই সাবধান।খুনসুটি করুন, মজা করুন, নরমাল ও ১৮+ কৌতুক গুলো বলার জন্য একজন রেডিমেড শ্রোতা পেয়ে গেছেন, কাজে লাগান। তবে বোকার মত নিজে অতীতে কি করেছেন, আপনি কত বাহাদুর তা একের পর এক নাবলে গিয়ে তাকেও বলতে দিন।তার মজার কথা গুলো, বাবা-মা-ভাই-বোন-বন্ধু-বান্ধবী নিয়ে অভিজ্ঞতা গুলো বলার সুযোগ দিন। আপনি নিশ্চিত জেনে যাবেন তার পছন্দ-অপছন্দ-ভালো লাগা-দুর্বলতা। দুজন দুজনকে আবিস্কার করুন। জীবন আপনাদেরই, ভালোভাবে আপনাদেরই শুরু করতে হবে। তাকে বিশ্বাস করুন ১০০%। চিন্তা ভাবনায় বৈচিত্র্যতা আনুন। এটা আনন্দময় বিবাহিত জীবনের মুলমন্ত্র। বিবাহিত জীবনে অনেক সময়ই একঘেয়েমী চলে আসে। মন ও শরীর দুই ক্ষেত্রেই। বৈচিত্র্যতা আনুন দুই ক্ষেত্রেই। ঘুরতে যান, মুভি দেখুন। সেক্সের জন্য নানা রকম আসন ট্রাই করুন, নানা ধরনের কনডম ট্রাই করুন। অনেক সময় ভালো মানের পর্নো ছবিও যৌনজীবনে বৈচিত্র্যতা আনতে সাহায্য করে।
করনীয় ৯:
এন্টাসিড/ইমোটিল/ফ্ল্যাটামিল/ইনো সল্ট কিনে রাখুন। বিয়ে মানেই খাওয়া দাওয়া, জোর করেই খাওয়াবে। তেল-মসলার রকমারী। পেট কিন্তু বিদ্রোহ করে বসতে পারে। বদহজম কমন একটা ব্যাপার। এই ক্ষেত্রে ইনো সল্ট বা ফ্ল্যাটামিল খুব কাজে দেয়। মনে রাখবেন, পেটে শান্তি না থাকলে সেক্স করতে ইচ্ছেও করবে না। এসিডিটির প্রব্লেম মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে,ব্যবস্থা নিন।
করনীয় ১০:
মিষ্টি-ফল-দুধ-ডিম খান বেশি করে। সেক্সের পরেই মিষ্টি-মধু-দুধ-ডিম বা বিভিন্ন ধরনের ফল খান। প্রথম দিকে ক্লান্তিটা বেশি আসবে, তাই এসব শক্তিদায়ক খাবার সাথে রাখুন। পরে অভ্যাস হয়ে গেলে এত কিছু লাগবে না। বিয়ের আগের কয়েকদিন অযথা রাত না জেগে ঘুমানোর চেষ্টা করুন। অন্তত দিনে ৬ ঘন্টা যেনো পুরন হয়। নতুন জীবন সুস্থ-সবল ভাবে শুরু করুন। এর বাইরেও আর যদি আর কিছু জানার থাকে তবে প্রশ্ন করুন।
আমার পাচাল শেষ। আপনেগ কোন আইডিয়া থাকলে জানাবেন।
লিখেছেন ব্লগার “ রকিবুল আলম “।

শেয়ার করে আপনার প্রিয় বন্ধু-বান্ধবীদের পড়ার সুযোগ দিন।
আপনি জেনেছেন....হয়তো সে জানেনা ।আল্লাহ আপনাকে ভাল রাখুক --আমিন ।

কোন মন্তব্য নেই :

বিবাহোন্মুখ পোলাপাইনদের জন্য অবশ্যপাঠ্যঃ প্রয়োজনীয় বিবাহ প্রস্তুতি part3

1 টি মন্তব্য



করনীয় ৭:
জানুন প্রি-ম্যাচ্যর ইজাকুলেশন কি? প্রি-ম্যাচুর ইজাকুলেশন মানে খুব দ্রুত বা সময়ের আগেই বীর্যপাত। সময়ের আগে মানে পার্টনারের অর্গাজমের আগেই আর দ্রুত সময় মানে ১.৫ মিনিটের কম সময়ের মধ্যে। অধিকাংশ পুরুষই (৯০-৯৫%) জীবনের প্রথম যৌনাভিজ্ঞতায় প্রি-ম্যাচুর ইজাকুলেশনের সম্মুখীন হয়। প্রথম দিকে এটা নরমাল, এবং সময়ের সাথে সাথে এটা ঠিক হয়ে যায়। কেন হয়?প্রথমেই দুটো কারন আসবে, অনভিজ্ঞতা ও অতিরিক্ত উত্তেজনা। অনভিজ্ঞ একজন পুরুষ তার প্রথম সেক্সের সময় প্রচন্ড উত্তেজিত থাকে। উত্তেজিত অবস্থায় নারী সংগীর সাথে শারীরিক খেলায় মেতে উঠার সময় থাকেতাড়াহুড়ার মধ্যে, অল্প সময়ে বেশি পথ বিচরনের চেষ্টায় নিজের উপর কন্ট্রল থাকে না। পাশাপাশি প্রবেশ করানোর পর যোনীর ভেতরের উচ্চ উষ্ণতায় দিশেহারা হয়ে যায় অনেক সময়ই। ফলাফল খুবঅল্প সময়েই নারী সংগীর অরগাজম হবার আগেই বীর্যপাত।দ্বিতীয় কারন হিসেবে আসবে “টেনশন”। নতুন বিয়ে বা সম্পর্কে নিজেকে শারীরিক ভাবে সামর্থবান হিসেবে তুলে ধরতে চাওয়ার মানসিক চাপ থেকে সৃষ্টি হয় টেনশন, ফলে নিজের উপর কন্ট্রল থাকে না। তৃতীয় কারন হলো “সংগীনির তৈরি না হওয়া”। প্রথম দিকে শান্ত ও ধীর-স্থির ভাবে সংগীনিকেউত্তেজিত করার কাজটা অধিকাংশ পুরুষই করে না। ধরে নেয় তার নিজের মতই তার সংগীনিও উত্তেজিত হবে। ঘটনা উল্টা। মেয়েদের উত্তেজিত হতে পুরুষদের চেয়ে বেশি সময় লাগে। তাই সে তৈরি হবার আগেই পুরুষ সংগী উত্তেজনার চরমে পৌছে যায়। ফলাফল অকাল বীর্যপাত।সমাধানঃঅনভিজ্ঞতার সমস্যা সমাধানের দরকার নেই, এই খেলায় অভিজ্ঞতা কাম্য নয়। বাকি থাকলো অধিক উত্তেজনা ও টেনশন। নতুন বিয়ে, প্রথমবার কাছে পাওয়া, উত্তেজনা তো থাকবেই। এটা আপনার উপর এখন,অধিকাংশ পুরুষই উত্তেজনা নিয়ন্ত্রন করতে পারে না, যদি আপনি পারেন তাহলে “স্যালুট”। না পারলে কোন সমস্যা নেই। আপনি নিয়ন্ত্রন করতে পেরেছেন এটা পেপারে বা টিভিতেও আসবে না। তাই যা স্বাভাবিক তাই হোক।টেনশনকিভাবে দুর করবেন? প্রথমে ভাবুন আপনাকে কি আপনার সংগীনির সামনে নিজেকে বিশাল কিছু-প্রচন্ড সামর্থবান প্রমান করতে হবেই? নাকি স্বাভাবিক একজন মানুষ হিসেবে? যাই করুন না কেন আপনার স্ত্রী আপনারই থাকবে। সুপারম্যানের প্রতি মুগ্ধতা থাকে, ভালোবাসা থাকেনা, আপনি সুপারম্যান হতে চাচ্ছেন কিনা নিজেই ভাবুন।আর “সংগীনির তৈরি না হওয়ার” দোষটা পুরোপুরি পুরুষের উপর বর্তায় না। পুরুষকে ধৈর্য্য ধরে স্ত্রীকে উত্তেজিত করার চেষ্টা করতে হবে, শরীরের স্পর্শকাতর অংশগুলোতে কোমল ভাবে স্পর্শ করে বা ঘষে, কিস করে। ব্যাকনেক, কানের আশে-পাশে, ঠোট-জিহবা, স্তন-নিপল, তলপেট-নাভী, যৌনাংগ-উরু, হাত-পায়ের আংগুল ইত্যাদিস্পর্শকাতর স্থান বলে পরিচিত। স্ত্রীর নিজেরও দায়িত্ব থাকে এ চেষ্টায় সাড়া দেয়ার। এক হাতে তালিবাজে না।
দীর্ঘায়িত করতে চাইলে সমাধানঃ
১। এর কোন স্বীকৃত ঔষধ নেই। তাই বাজারে প্রচলিত ঔষধ না খাওয়াই ভালো।
২। একটা কার্যকর এক্সারসাইজ আছে। এখন থেকেই নিজের বীর্যপাত ঠেকিয়ে রাখার প্র্যাক্টিস করতে পারেন।আমরা যে ভাবে প্রস্রাব আটকাই, সেভাবে ডেইলি বিভিন্ন সময় একলাগা ১০ বার প্রস্রাব আটকানোর কসরত করুন। যখন সময় পাবেন। প্রস্রাব না ধরলেও করুন।
৩। যখনই চরম মুহুর্ত আসবেমনে হয়, তার আগেই থেমে গিয়ে পুরুষাংগ বের করে নিন, প্রস্রাব আটকানোর মতকরে বীর্যপাত আটকান।
৪। বীর্যপাত আটকানোর সাথে সাথে দীর্ঘায়িত করার জন্য অন্য কিছু চিন্তা করতে পারেন, এতে উত্তেজনা ডাইভার্ট হবে কিছুক্ষনের জন্য।
৫। আর একটা পদ্ধতি হলো আগেই একবার বীর্যপাত ঘটানো। এটা নিজে করে নিতেপারেন, অথবা সংগীনি যদি হেল্পফুল হয় তবে সেই হাত দিয়ে সাহায্য করবে। তবে এই পদ্ধতি জনপ্রিয় না। অনেকেই আগাম দুর্বল হতে চায় না।
৬। কনডমের ব্যবহার কিছুটা হেল্প করে সংবেদনশীলতা কমাতে, তাই উত্তেজনাও কিছুটা কমানো যায়।আর কোনো পদ্ধতি জানা থাকলে বলতে পারেন।
করনীয় ৭:
কনডম সম্বন্ধে জানুন। বাজারে অনেক ব্র্যান্ডেরকনডম প্রচলিত আছে। সম্ভবত দেশে সবচে বেশি চলে সেনসেশন। এছাড়াও ইউ&মি, প্যান্থার, ল্যাটেক্স, টাইটানিক, ডুরেক্স, রাজাও ব্যবহৃত হয়। সেনসেশন সহ সব ব্র্যান্ডেরই কম বেশি নানা টাইপ/ফিচারড কনডম বাজারে পাওয়া যায়। যেমনঃ ডটেড, এক্সট্রা রিবড, সেন্টেড, প্লেইন, থিন, এক্সট্রা থিন, কন্ট্যুরড,লংলাস্টিং, ডটেড প্লাস রিবড, এক্সট্রা লং ইত্যাদি। এগুলো একেকটা একেক সময়ে/পর্যায়ে কার্যকর। সব সবার জন্য না, সব সময়ের জন্যও না।একনতুন ব্যবহকারীর ক্ষেত্রে প্লেন অথবা ডটেড কনডম শুরু করার জন্যআদর্শ। অর্থ্যাৎ জাস্ট প্রটেকশনের জন্য। এক্সট্রা ফিচারড কনডম গুলো শুরুতে ব্যবহার না করাই ভালো, এতে প্রথমেই এক্সট্রা ফিচারডে অভ্যাসহয়ে গেলে কনডম ছাড়া বা নরমালী এত ভালো লাগবে না।এই কনডম গুলো সময়ের সাথে সাথে যৌনজীবনে বৈচিত্র্যতা আনার জন্য ব্যবহার করতে পারবেন।কিভাবে কনডম ব্যবহার করবেনঃএটা খুব কঠিন কিছু না।
কনডমের প্যাকেটে লেখা থাকে ইন্সট্রাকশন। ফলো করলেই হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেনভেতরে কোন বাতাস না থাকে,তাই কনডমের টিপটা চেপে ধরে কনডম পড়তে হয়। বাতাস থাকলে সেক্সের সময় কনডম ফেটে যেতে পারে, তাতে প্রটেকশনের কাজ আর হলো না।এখানে পাবেন কিভাবে কনডম পড়তে হবে।
আরো পড়ুন
বিবাহোন্মুখ পোলাপাইনদের জন্য অবশ্যপাঠ্যঃ প্রয়োজনীয় বিবাহ প্রস্তুতি part 4

শেয়ার করে আপনার প্রিয় বন্ধু-বান্ধবীদের পড়ার সুযোগ দিন।
আপনি জেনেছেন....হয়তো সে জানেনা ।আল্লাহ আপনাকে ভাল রাখুক --আমিন ।

বিবাহোন্মুখ পোলাপাইনদের জন্য অবশ্যপাঠ্যঃ প্রয়োজনীয় বিবাহ প্রস্তুতি part 2

কোন মন্তব্য নেই
সাইকেল চড়লে-দৌড়াদৌড়ি-খেলাধুলা করলে হাইমেন ফেটে যাবেই, তাই সেটা ন্যাচারাল, স্বামীকে দায়িত্ব নিতে হবে না। কেউ হাইমেনের উপস্থিতি না পেলে আবার নববধু সম্বন্ধে খারাপ ধারনা করে বসে থাকবেন না।দ্বিতীয়তঃ আর একটা ভুল ধারনা হলো রক্তপাত নাহলে মেয়ে কুমারী না। এটা বিশ্বাস করা মুর্খতার সামিল। যদি হাইমেন ফেটে গিয়ে থাকে আগেই, বা আপনি যদি লুব্রিকেন্ট ইউজ করেন তবে অনেক সময়ই রক্তপাত নাও হতে পারে। তাই এসব কোন মানদন্ড না।তৃতীয়তঃ বিভিন্ন পর্নো কাহিনী পড়ে অনেকের ধারনা হয় যে সেক্স করার সময় যোনীপথ পিচ্ছিল কামরসে ভেজা থাকবে, তাই উঠো..যাতো, আলাদা লুব্রিকেন্ট ইউজের প্রয়োজন নেই। আসলে ব্যাপারটা তা না। এই ফ্লুইডটা বের হবে উত্তেজিত হলেই। আর নতুন নতুন বাবা-মাকে ছেড়ে আসা ভয়-শংকা-লজ্জায় থাকা একটা মেয়ের পক্ষে উত্তেজিত হওয়া এত সহজ না।ইভেন অনেকে তো প্রথম প্রথম কোন অনুভুতিই পায় না। তাই ফ্লুইড না বের হলে ভয়ের কিছু নেই, সময় নিন কয়েকদিন, এমনিই ঠিক হয়ে যাবে।চতুর্থতঃ স্তনের স্থিতিস্থাপকতা ওকোমলতা দেখেও অনেকে টাচড-আনটাচড কন্ডিশন বেরকরতে চান। শক্ত-টানটান হলে নাকি আনটাচড। এটা সবচে বড় বোকামী। আমাদের মেয়েরা এমনিতেই শারীরিকভাবে নরম প্রকৃতির। তাই স্তনও নরম হতে পারে। মুভির নায়িকার টান-টান বুক বউয়ের কাছে আশা করবেন না, কারন বুক টানটান রাখতে শোবিজের লোকেরা অনেক টাকা খরচ করে, কসরত করেপঞ্চমতঃ টিনএজ থেকেই হস্ত-মৈথুনেঅভ্যস্ত ছেলেরা অনেক সময় বিয়ের করতে ভয় পায়। মঘা-ইউনানীর লিফলেট পড়ে আবিস্কার করে তার “আগা মোটা গোড়া চিকন”,তাই তাকেদিয়ে স্ত্রীকে সুখ দেয়া সম্ভব হবে না। এটা নির্মমরসিকতা। এসব নিয়ে টেনশন না করে লাফ দিয়ে নেমে যানবিয়ে করতে। এত মানুষ দেখেন আশে পাশে সবাই কি ধোয়া-তুলসি পাতা? সবাই অনাঘ্রাতা বউই চাই আমরা। আর নিজে যদি অভিজ্ঞতাহীন হই, তবে একই আশা করবো নববধুর কাছ থেকে। সর্বোপরি কারও যদি সন্দেহপ্রবন মন থাকে, তবেসব কিছু ক্লিয়ার হয়ে নেয়াউচিত আগেই। এনগেজমেন্ট বা বিয়ের আগেই মেয়ে সম্বন্ধে সব খোজ-খবর নিয়ে নিন। বিয়ের পর আর এসব নিয়ে মাথা ঘামাবেন না। মনে রাখবেন, সন্দেহেরপোকা একবার মনে ঢুকলে সেখানেই বাসা বেধে বসে যাবে। তাই আগে থেকেই সব ক্লিয়ার হোন। বিয়ের পর নোটেনশন আগের ব্যাপার নিয়ে। ভালবাসতে শুরু করুন যেভাবে পেয়েছেন সে অবস্থা থেকেই।
করনীয় ৫:
আত্মবিশ্বাসী হোন, অযথা ডাক্তারের কাছে দৌড়াবেন না। টিন-এজে স্বমেহনের কারনে অনেকেই অপরাধবোধে ভোগে, মনে শংকা তৈরি হয় শারীরিক ভালোবাসায় পারংগমতা দেখাতে পারবে কিনা। অনেকে দৌড়ায় ডাক্তারের কাছে। ডাক্তারের কাছে যাওয়া যাবে না তা নয়। তবে যদি নিজের দৈহিক সুস্থতা থাকে আর পুরুষাংগের প্রাত্যহিক উত্থান (সকালে, যাকে “মর্নিং গ্লোরী” বলা হয়।) হয় তবে ভয়ের কিছু নেই। ডাক্তারের কাছে যাওয়ার রিস্ক হচ্ছে অনেকে এই সুযোগে টু-পাইস কামানোর ধান্ধায় আপনার উল্টো ক্ষতি করে দিতে পারে। অনেকে আবার মঘা-ইউনানীর মত ফ্রডের কাছে যান, ওখানে গেলে নাকি লাইফ হেলকরে দেয়।তবে পুরুষদের ক্ষেত্রে একটা বিষয় আমলে আনা হয় না, সেটা হলো ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন বা ইউরিন ইনফেকশন। ইউরিন ইনফেকশন হয় কিছু ব্যাকটেরিয়ার কারনে, এবং পুরুষরা এটাতেআক্রান্ত হয় টয়লেট ব্যবহারের মাধ্যমে। পুরুষদের সবাইকে কম-বেশিপাবলিক টয়লেট ব্যবহার করতে হয়। ইউনি’র হল-অফিসের টয়লেটকেও পাবলিক টয়লেট হিসেবে ট্রিট করুন এখানে। এসব টয়লেট নানা ধরনের মানুষ ব্যবহার করে। এবং অনেক টয়লেটেই পানির সুব্যবস্থা থাকে না। এদের মধ্যে কারও যদি ইনফেকশন থেকে থাকে তবে সেটয়লেট ব্যবহারের পর ভালো ভাবে পানি না দিয়ে গেলে, বা নতুন ব্যবহারকারী পানি দিয়ে ফ্লাশ না করে ব্যবহার করলে প্যানে থাকা ব্যাক্টেরিয়া আক্রমন করে। এভবেই পানি ইউজ না করলে ইনফেকশন হয়। এটা একটা “যৌনবাহিত রোড (STD)”, এবং স্বামীর কাছ থেকে স্ত্রীরা এটা পেয়ে থাকে। তাই যদি আপনি প্রসাবে জ্বালাপোড়া বা পেইন অনুভব করেন তবে বিয়ের আগেই একবার টেষ্ট করুন, থাকলে ব্যবস্থা নিন। মনে রাখবেন আপনার স্ত্রী আক্রান্ত হলে প্রেগন্যান্সির সময় এটা এক্সট্রা টেনশন এড করবে। হাই এন্টিবায়োটিক খেতে হবে তখন।
করনীয় ৬:
যৌনমিলনের সেফ পিরিয়ডঃ নিজে জানুন, হবু বধুকে জানান। সেফ পিরিয়ড মানে যে সময় কোন প্রতিরোধক (কনডম বা এ জাতীয়) ছাড়াই দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করতে পারবেন, এক্সিডেন্টালী প্রেগন্যান্ট হওয়ার ভয় থাকবে না। এটা অনেকেই জানেন, আবার একটু রিভাইস করে নেই।মেয়েদের মেন্স বা পিরিয়ডের সাথে সেফ পিরিয়ডের সম্পর্ক। ধরলামকোন মেয়ের পিরিয়ড হয় ৩০ দিন পর পর (কম বেশিও হতে পারে) এবং এই মাসে তার পিরিয়ড শুরু হয়েছিলো ১ তারিখে। তার আগের মাসেও ১তারিখে। এটাকে এক সাইকেল বলা হয়। নরম্যালি ওভুলেশন হয় সাইকেলের মাঝামাঝি সময়ে, ধরলাম ১৪ দিনে। তাহলে ১৪ তারিখে ওভুলেশন হচ্চে। এই ওভুলেশনের হওয়ার আগের এক সপ্তাহ ও পরের এক সপ্তাহ ফার্টাইল বা উর্বর সময়। এসময়ে প্রোটেকশন না নিলে প্রেগন্যান্ট হবেই। তাহলে মাসের ৭ তারিখ থেকে২১ তারিখ প্রটেকশন ছাড়া এগোনো যাবে না। বাকী সময় সেফ, থিওরিটিক্যালী কোন প্রটেকশনের দরকার নেই।এটা ন্যাচারাল পদ্ধতি, তবে সমস্যা হলো পিরিয়ড এর ডেট বিয়ের পর বদল হতে দেখা যায়। এবং অনেকের ক্ষেত্রে সাইকেলটাও স্ট্যাবল থাকেনা। তাই সাইকেল স্ট্যাবল না হওয়া পর্যন্ত প্রটেকশন নেয়াই উচিত। যদি দ্রুত বাচ্চা নেয়ার প্ল্যান না থাকে তাহলে প্রটেকশন নিয়েই শুরু করতে হবে। নো হান্কি পান্কি। তবে কখনই প্রথম বাচ্চা হবার আগে আপনার স্ত্রীকে বার্থকন্ট্রোল পিল খাওয়াবেননা। এটা স্বাভাবিক ডেলিভারিতে সমস্যা তৈরি করে থাকে বলেরিপোর্ট পাওয়া গেছে।

আরো পড়ুন
বিবাহোন্মুখ পোলাপাইনদের জন্য অবশ্যপাঠ্যঃ প্রয়োজনীয় বিবাহ প্রস্তুতি part3

শেয়ার করে আপনার প্রিয় বন্ধু-বান্ধবীদের পড়ার সুযোগ দিন।
আপনি জেনেছেন....হয়তো সে জানেনা ।আল্লাহ আপনাকে ভাল রাখুক --আমিন ।

কোন মন্তব্য নেই :

বিবাহোন্মুখ পোলাপাইনদের জন্য অবশ্যপাঠ্যঃ প্রয়োজনীয় বিবাহ প্রস্তুতি part 1

কোন মন্তব্য নেই
বয়স হয়ে গেলো, বসন্ত একেরপর টা টা দিচ্ছে, অথচ অনেক এখন আবিয়াইত্যা। আমি পোলাপাইনদের কথা বলছি। যারা বিয়ে নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখে বসে আছে, বিয়ের পর কি কি করবে তার উষ্ণ পরিকল্পনাও করে রেখেছে। গল্প-উপন্যাস-মুভি-নাটক পড়ে/দেখে বা বন্ধুদের কথা শুনে কল্পনার ফানুস উড়াচ্ছে, অথচ ফানুস কিন্তু হঠাৎই ফুসস্ হয়ে যাবে, যদি কল্পনাটা বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা না হয়।যেহেতু অনেকেরই ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা নাই দৈহিক সম্পর্ক বা বিবাহ পরিবর্তী প্রাথমিক কার্যকলাপের তাই অধিকাংশক্ষেত্রেই এই পোলাপাইনরানানা রকম ভুল ধারনা নিয়ে বসে থাকে। তার সাথে পর্নোছবি-বই (চটি) আর অনেকের বাড়িয়ে বলা অভিজ্ঞতায় অনেকেই বিভ্রান্ত হয়। কেউবা একটা নির্দিষ্ট ফরম্যাটেচিন্তা ভেবে বসে থাকে, আরবিয়ের পর তার এদিক ওদিক হলে টেনশনে পরে। কেউ বা হীনমন্যতায় ভুগে বিয়ের দিকেই যেতে চায় না। দ্বিতীয় শ্রেনীর অবস্থা আরো কাহিল করে রাস্তায় বিলানো মঘা-ইউনানীর লিফলেটগুলো।এটা একটা ইন্ট্রো। বিস্তারিত পরেরপর্ব গুলোতে আসবে। বিষয় গুলো আসবে বিয়ে ঠিক হবার পর কি কি করনীয় তার ভিত্তিতে।আবিয়াইত্যাদেরজন্য বিবাহিত ভাইদের একটা উপহার সরুপ। তাই বিবাহিত ভাইদের মন খুলে বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শমুলক কমেন্টের আহবান জানানো হচ্ছে। এদের ভয় না দেখিয়ে কিভাবেবিয়ের জন্য ভালোভাবে তৈরি করে দেয়া যায় সেই প্রচেষ্টা থাকা উচিত।
বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে, আংটি পড়ানো শেষ। এবার বিয়ের তোরজোর চলছে। গায়ে হলুদ-বিয়ে আর বৌভাতের ডেট ঠিক করা হবে, এরপর মোহরানা, কমিন্যুটি সেন্টার, ক’জন অতিথী, গেটেকত দিতে হবে ইত্যাদি ইত্যাদি। ওসব মুলতঃ অভিভাবকরাই করবেন। পাত্রহিসেবে আপনার কাজ কি?
করনীয় ১:
মোবাইল নম্বর এতদিনে অবশ্যই আদান-প্রদান হয়েছে! এটা খুবই জরুরী। বিয়ের আগে অনেক কিছুই ফিক্স করা যাবে মোবাইলের মাধ্যমে। মানসিক-শারীরিকঅনেক বিষয় আলোচনায় আসবে যা বিয়ে পরবর্তী জীবনের জন্য খুব প্রয়োজনীয়।অপশনালঃ বিয়ের ডেট ঠিক করা নিয়ে একটু বলি। অনেকেই বিয়ের রাতে আবিস্কার করে যে তারনববধুর পিরিয়ড চলছে। সো এতদিনের “প্রথম রাইতে বিলাই মারা”র প্ল্যান কুপোকাত। এটা যদিও খুব জরুরি কোন বিষয় না, পিরিয়ড শেষ হয়ে যাবে সর্বোচ্চ ৩-৪ দিনের মধ্যে। তারপর প্ল্যানমাফিক…তবে মেয়ে বা আত্মীয়াদের মধ্যে কারও সাথে যদি ফ্রি থাকেনতবে একটা ট্রাই করা যেতে পারে। যেমনঃ আপনার ভাবী আছে, তাকে বলুন যেনো বিয়ের সময় মেয়ের কোন শারীরিক সমস্যা না থাকে।
ভাবীরা এই লাইনে “আকেলমন্দ”, তাই ইশারা বুঝে ঠিকই হবুবধুকে পরবর্তি পিরিয়ডের ডেট জিজ্ঞেস করে সেভাবে বিয়ের ডেট ফিক্সে ভুমিকা রাখতে পারেন। তারপরেও অনেক সময় বিয়ের টেনশনে অনেক সময় মেয়েদের অসময়ে পিরিয়ড শুরু হয়ে যায়। তাইআবারও বলছি এটা বড় কোন ইস্যু না।
করনীয় ২:
হবু বধুর সাথে ফ্রী হয়ে নিন। টেলিফোনে আলাপ যেহেতু শুরু হয়ে গেছে। এইবার তার সাথে শারীরিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাপ শুরু করুন। তবে রয়ে-সয়ে। সরাসরি প্রথম ১/২ দিনেই শুরু করলে কিন্তু বিপদ। কিভাবে শুরু করবেন নিজেই চিন্তা করুন। মনে রাখবেন এই আধুনিক যুগে মেয়েরা কিন্তু সবই জানে। জানার সোর্স আপনার মতই। এটাকে নেগেটিভলি দেখার কিছু নাই। বরং পজেটিভলি দেখুন,ভাবুন তার এই জানা আপনার কাজকে সহজ করে দেবে। তবে মেয়েরা জানলেও প্রকাশ করবে না, কারন তার মনে ভয় কাজ করবে যে আপনি তাকে ভুল বুঝতে পারেন। তাই প্রথম স্টেপ আপনি নিন। জানা বিষয় আলাপ শুরু করুন, তবে তত্ত্বীয় বিষয় গুলো।
করনীয় ৩:
শারিরীক ভাবে সুস্থ থাকুন ও শক্তিশালী হোন। না, কোন বটিকা বা সালসা খাওয়ার কথা বলবো না। স্রেফ মধু খান ডেইলি এক চামচ করে। দুধে মিশিয়ে খেলে আরো ভালো। আর স্বাভাবিক খাবারতো খাবেনই। ভুড়িটাকে বেশি বাড়তে দিয়েন না। বাসর রাতে ফার্স্ট ইম্প্রেশনটা খারাপ হয়ে যাবে তাইলে। আর প্রচুর পানি খান। চেহারা ফ্রেশ থাকবে। পরর্বতী পর্বে আলাপ হবে সরাসরি বাসর রাতের প্রস্তুতি নিয়ে। কি কি কিনতে হবে আর সাথে রাখতে হবে।এই পোষ্টের বিষয়ে কারও কোন প্রশ্ন থাকলে করার আহবান জানাচ্ছি। এবং এই লাইনের গাযীদের মতামত আশা করছি।
করনীয় ৪:
লুব্রিকেন্ট বা জেল কিনে রাখুন। ভালো কোন ফার্মেসী থেকে লুব্রিকেন্ট কিনে রাখুন।বন্ধুরাও অনেক সময় গিফট দেয়, কিন্তু সে আশায় বসে থাকলে বিপদ। এই লুব্রিকেন্ট বলতে গাড়ীর লুব্রিকেন্ট বুঝানো হয় নি। এটা সার্জিক্যাল জেল। ভালো মানের একটা লুব্রিকেন্টের নাম বলি। জনসন এন্ড জনসনের “KY Gelly”। বড় ফার্মসীগুলোতে পাবেন, KYGelly বল্লেই দিবে। আর একটিউব দিয়ে দশ-বারোজন বন্ধুর সংসার শুরু হয়ে যাবে। কারন একজনের বেশি লাগে না। এই সার্জিকেল জেল না পেয়ে অনেকে নারিকেল তেল, গ্লিসারিন ইত্যাদি ব্যবহার করে। এদুটোই কিন্তু রাফ, ইভেন কনডম ফেটে যেতে পারে। গ্লিসারিন কখনও র’ অবস্থায় ইউজ করবেন না। পানি মিশিয়ে ব্যবহার করুন। তবে গ্লিসারিনের ব্যবহার সাধারনত নিরুৎসাহিত করা হয়।কেন ও কি ভাবে ব্যবহার করবেন:আমরা সবাই কম বেশি জানি যে অনাঘ্রাতা মেয়েদের যৌনাংগের
প্রবেশপথটা খুব সরু থাকে। অর্থ্যাৎ চাইলেই সহজে সেখানে আপনার অংগ প্রবেশ করবে না। এর সাথে আছে হাইমেন বা বা সতিচ্ছেদ বা পর্দার প্রতিরোধ। তাই প্রথমদিকেপ্রবেশ করাতে ব্যর্থ হয়ে অনেক হতাশ হয়ে পড়ে। এটা নিয়ে টেনশন না করে আপনি প্রথমে আপনার এসাইনমেন্টঠিক করুন “প্রবেশ করাতে হবে”।এই সরু পথে জোর করেইপ্রবেশ করতে হবে, জোর করামানেই শক্তি প্রয়োগ, এবং স্বাভাবিক ভাবেই এতে আপনার সংগীনি ব্যাথা পাবে। তাই শক্তি প্রয়োগটা গোয়াড়ের মত না করে ভালোবাসার সাথে করুন। দুইস্থানেই জেল লাগিয়ে এবার চেষ্টা করুন,একদিনে না হলে দুইদিনে হবে। আরো এক/দুইদিন বেশি লাগলেও পরিশ্রম কমবে, দুঃশ্চিন্তা কমবে, ব্যাথা কম পাবে, শুরু করাযাবে তাড়াতাড়ি।কিছু ভুল ধারনাঃপ্রথমতঃ অনেকে প্রথম প্রবেশের সময় নববধুর কুমারিত্বের পরীক্ষা নেয়ার ইচ্ছাও মনে মনে পোষন করে। ভুলেও একাজ করবেন না। একটা প্রচলিত ধারনা আছে কুমারী বা অনাঘ্রাতা মেয়ে মানেই সতিচ্ছেদ বা হাইমেন থাকবে, তাই স্বামীই সেটা বিদীর্ন করে বউনি করবে। এটা এই যুগে হাস্যকর।
আরো পড়ুন part 2

শেয়ার করে আপনার প্রিয় বন্ধু-বান্ধবীদের পড়ার সুযোগ দিন।
আপনি জেনেছেন....হয়তো সে জানেনা

কোন মন্তব্য নেই :

সহাবাসের আগে ও পরে

কোন মন্তব্য নেই
১। মৈথুনে অনাসক্তি।
২। উপযুক্ত শ্রেণী হিসাবে মিল না হবার জন্য মৈথুনে অক্ষমতা। যেমন বৃষ বা অশ্ব জাতীয় পুরুষের সাথে পদ্মিনী জাতীয় স্ত্রীর।
৩। দৈহিক গঠনের জন্য মৈথুনে অতৃপ্তি।
৪। লজ্জা ও ভয় ইত্যাদি কারণে স্বামীর সঙ্গে মৈথুনে লিপ্ত নাহতে ইচ্ছা।
৫। হৃদয়ে প্রেমের অভাব।
৬। গোপন প্রণয়ী-স্বামীর প্রতি আসক্তি বা প্রেমের অভাব।
এর জন্যে উপযুক্ত ব্যবস্থা করাযেতে পারে। মানসিক হলে তার জন্যে স্ত্রীকে ভালোবেসে তার হৃদয় জয় করতে হবে।
দৈহিক হলে, চিকিৎসার প্রয়োজন। নারী পুরুষ উভয়েই সমশ্রেণীর নাহলে মৈথুনকালীন বিবিধ অসুবিধারসৃষ্টি হয়। এই অসুবিধাই হলো অ-সফল মৈথুন।
মৈথুনে অন্যান্য অসুবিধা
সফল মৈথুনের অন্যান্য অসুবিধা হলো-
(১) আর্থিক অস্বচ্ছলতা।
(২) যোগ্য স্থানের অভাব।
(৩) খাদাদির অভাব ও দৈহিক দুর্বলতা ইত্যাদি।
একথা অবশ্যই ঠিক যে সুবিধাজনক সময়, স্থান, খাদ্যদির অভাব হলে, মৈথুন, সফল হ’তে পারে না। কোন গরীব বা অভাবী লোক আগে খাদ্যের যোগাড় করবে তারপর মৈথুন।
এখানে আর একটি প্রয়োজনীয় কথা হলো-প্রাচীন শাস্ত্র কারক বলেছেন যে, সফল মৈথুন নর-নারীর আনন্দ প্রাপ্তির উৎস তা ঠিক।
সফল মৈথুন না হলে, হৃদয়ে পূর্ণ আনন্দ প্রাপ্তি না হলে উপযুক্তসন্তান হয় না। অ-সফল মৈথুনে যে সন্তান হয়, তা জাতির প্রতিবন্ধকস্বরূপ। সফল মৈথুনই প্রকৃত সন্তানের জন্ম দেয়।
অবশেষে একটি প্রধান কথা হলো-মৈথুন যক কম হয় তত ভালো। তাতে রতিশক্তি বৃদ্ধি পায় ওসকলমৈথুনের জন্যে দেহমনকে শক্তি সঞ্চয়ী করে তোলে।

শেয়ার করে আপনার প্রিয় বন্ধু-বান্ধবীদের পড়ার সুযোগ দিন।
আপনি জেনেছেন....হয়তো সে জানেনা ।আল্লাহ আপনাকে ভাল রাখুক --আমিন ।

কোন মন্তব্য নেই :

সহাবাসের আগে ও পরে part3

কোন মন্তব্য নেই
অ-সফল মৈথুনের কারণ
এবারে অ-সফল মৈথুনের কতকগুলি প্রধান কারণের বিষয় লেখা হচ্ছে-এগুলিও মনে মনে চিন্তা ও বিচার করে নিতে হবে।
১। মৈথুনের আগে নারীকে উত্তেজিত না করা।
২। মৈথুনে যোগ্যভাবে নিজেকে তৈরী না করা।
৩। উপযুক্ত আসন না করে মৈথুনে লিপ্ত হওয়া।
৪। শক্তির অভাবে মৈথুন পূর্ণ হ’তে পারে না।
৫। অসুস্থ অবস্থায় মৈথুন্তএতে তত পূর্ণ আনন্দ হয় না। দৈহিক ক্ষতি করে।
৬। ঘন ঘন মৈথুন্তএটি অবশ্য পরিত্যজ্য। ইহা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর।
৭। অযোগ্য স্ত্রী-স্ত্রী উপযুক্ত না হলে পূর্ণ মৈথুন হয় না।
৮। অন্যান্য অসুবিধা বা মানসিককারণ।
৯। স্বামী বা স্ত্রীর অন্য নারী বা পুরুষের প্রতি গোপন আসক্তি।
১০। প্রকৃত উত্তেজনা ছাড়া মৈথুন।
উত্তেজনার বিচার
এবারে প্রকৃত উত্তেজনা কি ও কি তার লক্ষণ সে বিষয়ে বলা হচ্ছে।
উত্তেজনা দুই প্রকার-(১) আসল (২) নকল বা বাহ্যিক।
যে যৌন উত্তেজনা সাধারণতঃ নর-নারীর মধ্যে দেখা যায় তা প্রায়ই নকল উত্তেজনা।
নকল কেন তার প্রমাণ করে দেওয়া হবে-আগে আসল উত্তেজনার লক্ষণ কি তাই বলা হচ্ছে।
নারী পুরুষকে বা পুরুষ নারীকে কাছে টেনে নিয়ে পরস্পর উত্তেজনা সৃষ্টির প্রয়াস পায় এবং তার ফলে যদি হৃদয়ে উত্তেজনা জাগে তা প্রকৃত উত্তেজনা নয়।
হৃদয়ে আপনা থেকেই ভাবভঙ্গীর মুখে পরস্পরের সঙ্গে মিলিত হবার দুর্দমনীয় কামনা যদি জাগেতবে তা হলো আসল অর্থাৎ প্রকৃত উত্তেজনা।
প্রকৃত উত্তেজনা সম্বন্ধে বাৎস্যায়ন বলেছেন।-
যদি কোন নারীর স্মৃতি (চেহারা) বা ধ্যান ছাড়াও আপনা থেকেই হৃদয় উত্তেজিত হ’য়ে উঠে, তবে তা হরো প্রকৃত উত্তেজনা।
কিন্তু এ হলো সেই যুগের কথা-মানুষ যখন প্রকৃতির উপর নির্ভর করে চলতো। প্রকৃতির উপরনির্ভর করে সে নিজের মানসিক অবস্থা নিরূপণ করতো।
আজকাল যুগ পালটে গেছে।
নারী মূর্তি দর্শন আজকাল হামেশাই করতে হয়। হাটে-বাজারে চারপাশে নারীর নানা ভঙ্গির নানা ছবি নানা বিজ্ঞাপন। নারীরদেহ আর যৌবনের নানারূপ ভঙ্গিমার বিজ্ঞাপন দিয়েই আজকালপ্রচুর জিনিস বিক্রি হয়। সাইনবোর্ডেও নারীর নানারূপ প্রতিকৃতি দেখা যায়।
তবে আজকাল সেভাবে প্রকৃত উত্তেজনা বোজা সহজ কথা নয়।
প্রকৃত উত্তেজনা তাই আজকাল অন্যভাবে সি’র করা হ’য়ে থাকে।
অর্থাৎ যখন চিত্তবৃত্তি আপনা থেকেই নারীর প্রতি আকৃষ্ট হয় এবং মনকে কিছুতেই আর সংযত করা যায় না, তখনই প্রকৃত উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এবং তাকেই প্রকৃত উত্তেজনা বলে।
এ কথা ঠিক যে প্রকৃত উত্তেজনা ছাড়া মৈথুন করা উচিত নয়। তেমনি প্রকৃত উত্তেজনা জাগলে তা দমন করা ঠিক নয়। তাতে দৈহিক ও মানসিন ক্ষতি হ’তে পারে।
প্রকৃত উত্তেজনার সময় ব্যতীত মৈথুন করলে তা মৈথুন হতে পারে না।
মৈথুনের শক্তির স্বল্পতা
মৈথুনে শক্তির স্বল্পতা আর শীঘ্র রেতঃপাত করলে একই কথা, কিন্তু দু’টির কারণ কিছুটা ভিন্ন।
শীঘ্র বীর্য্য পতন এক ধরনের রোগ। এ বিষয়ে আমরা এর পরে রোগেরপরিচ্ছেদে বিশেষভাবে আলোচনা করব।
কিন্তু মৈথুন শক্তির স্বল্পতা একটা প্রধান জিনিজ। এটি দৈহিক ও মানসিক অবস্থার ওপর হ’য়ে থাকে। কারণঃ-
১। অধিক উত্তেজনা।
২। ঘন ঘন উত্তেজনা কিন্তু কম পরিমাণে।
৩। যখন উত্তেজনা আসে তখন স্ত্ররি সঙ্গে মৈথুন না করা।
৪। মৈথুনের সময় ভয়, লজ্জা ও কোন বাধা।
৫। বহুদিন বাদে মৈথুন করা।
৬। হস্তমৈথুন করা।
৭। দৈহিক অসুস্থতা।
৮। জন্মগত দুর্বলতা।
৯। যৌন ব্যাধি ইত্যাদি।
প্রতিকার-শীঘ্র পতন, যৌন ব্যাধি জন্মগত দুর্বলতা ইত্যাদি বিষয়ে এর পরে আলোচনা করা হয়েছে। প্রত্যেক রোগের কি ঔষধ তাও বলা হয়েছে।
নেশা সেবন
কোন প্রকার নেশা করা অবশ্যই অনুচিত বলে শাস্ত্রে বর্ণিত হয়েছে। তবে কিছু সংখ্যক লোক মৈথুন শক্তি বাড়াবার মত কিছু কিছু নেশা করে থাকেন। তবে নেশা যদি সামান্য হয় অর্থাৎ তাতে যদি ঠিক পুরা মাদকতা না আসে, অথচ যৌন ক্ষমতা যদি সামান্য বৃদ্ধি পায়, তবে তা নিশ্চয়ই উপকারী।
নেশায় যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়?
ঠিক তা নয়-নেশায় বীর্য্যকে কিছুটা শুকিয়ে গাঢ় করে দেয়, তাইকিছুটা বেশী সময় ধরে মৈথুন করা চলে।
শাস্ত্রের মতে মাদক দ্রব্য অল্প পরিমাণে অবশ্য ইন্দ্রিয় শক্তি ও দৈহিক শক্তি বৃদ্ধির জন্য প্রতিটি ঔষধের সাথে ব্যবহার করা হয়।
যেমন- (১) এ্যালকোহল। (২) সিদ্ধি। (৩) আফিং ইত্যাদি
কিন্তু পরিমাণে তা ব্যবহৃত হয় খুব কম-ঠিক মাত্রা অনুযায়ী।
কিন্তু লজ্জাশালী রমণী স্বামীরএ প্রস্তাব প্রকারান্তরে প্রত্যাখ্যান করে। এতে স্বামী অবশেষে মনঃক্ষুন্ন হয় এবং বেশ্যালয়ে যাওয়া সুরু করে। পেটের দায়ে যারা এ বৃত্তিকে স্বেচ্ছায় বরণ করে নিয়েছে, পয়সারোজগারের জন্য যত নগ্ন ও গর্হিত কাজই হোক না কেন, এরা তা করে।
আর একটা কথা।
সাধালণ খাদ্য পানীয় দ্বারা যতটা সম্ভব ততটা যৌন ক্ষমতা আগে বাড়াবার চেষ্টা করা উচিত। তারপর অবশ্য ঔষধ। ঔষধের চেয়ে বেশী মাত্রায় নেশা ভাল নয়।
যৌন ইন্দ্রয়ের অক্ষমতা
যৌন ইন্দ্রয়ের অক্ষমতা হলো সকলমৈথুনের আর একটা প্রধান অন্তরায়।মৈথুন শক্তির অক্ষমতা আর যৌন অক্ষমতার কারণ কিন্তু ঠিক এক নয়। মৈথুন শক্তির অক্ষমতা সক্ষম ইন্দ্রিয় শক্তি থাকলেও হতে পারে।
কিন্তু অনেকের ইন্দ্রিয় আবার ঠিক তার মত দৃঢ় হয় না। আর ইন্দ্রিয় দৃঢ় না হলে মৈথুন ক্ষমতা স্বাভাবিক হয় না।
এর প্রকৃত কারণ কি?
এ বিষয়ে নানা আলোচনা আগে করা হয়েছে। এখনও করা হবে।
ইন্দ্রিয় উত্তেজিত না হবার কারণ হলো অবশ্য শারীরিক দুর্বলতা। কিন্তু তা আসে কেন?
(১) অমিতাচার।
(২) জন্মগত অক্ষমতা।
(৩) যৌন ক্ষমতার অভাব।
(৪) হস্তমৈথুন অভ্যাস ইত্যাদি।
যাই হোক যৌন ইন্দ্রিয়ের অক্ষমতা উপযুক্ত চিকিৎসক দ্বারা অবশ্যই চিকিৎসা করান দরকার।
তা না হলে যৌন ইন্দ্রিয়ের ক্রমশঃ আরও মারাত্নক হ’য়ে অন্য রোগের সূচনা করতে পারে।
অযোগ্য স্ত্রী
স্ত্রী, মৈথুনে অযোগ্য হয় কেমন করে?
এর উত্তর হলো-মৈথুনের উপযুক্ত ভাবে সহায়ক না হলে সেই স্ত্রীকে অযোগ্য বলা হয়।
স্ত্রী অযোগ্য কি করে হতে পারে।

শেয়ার করে আপনার প্রিয় বন্ধু-বান্ধবীদের পড়ার সুযোগ দিন।
আপনি জেনেছেন....হয়তো সে জানেনা ।আল্লাহ আপনাকে ভাল রাখুক --আমিন ।

কোন মন্তব্য নেই :

সম্ভোগের আগে স্বামীর কর্তৃব্যpart2

কোন মন্তব্য নেই

এই মুখমেহন আট প্রকার হ’য়ে থাক
১। নিমিত-এতে নপুংষক তার করতলে পুরুষাঙ্গ ধরে আসে- আসে- তার ওষ্ঠাধারে ঘর্ষণ করে।
২। পার্শ্ব-লিঙ্গ মুণ্ডের আবরণখুলে আসে- আসে- মুখে প্রবেশ করানো।
৩। বহিঃসংদংশন্তদাঁত ও ঠোঁট দিয়ে পুরুষাঙ্গের আবরণ উন্মোচন।
৪। পুরুষাঙ্গ বারে বারে মুখের ভেতরে নেওয়া ও বের করা। বহুক্ষণ এরূপ করা।
৫। অন্তঃসংদংশন্তওষ্ঠাধর দিয়ে চোষণ করা।
৬। জিহ্বা দ্বারা চোষণ।
৭। আম্রচোষণ-পুরুষাঙ্গ আম্রের মত চোষণ করা।
৮। আকন্ঠীত-সম্‌সত পরুষাঙ্গ গিলে ফেলার মত।
মুখের মধ্যে সুরতের সঙ্গে সঙ্গে আলিঙ্গনাদিও চলতে পারে।
অনেক নীচজাতীয়া নারীদের দ্বারাএ কাজ করানো যেতে পারে।
কামশাস্ত্রে মুখে সুরত নিষিদ্ধ। তবে অনেকে এটি পছন্দ করেন।-বা কোন রাবাঙ্গনা রাজী হলে তার দ্বারা এটি করান। কিন্তু অন্তঃপুর চারিনীদের এটিকরা উচিত নয়।
সহবাসের পরের কথা
সহবাসের পরে দু’জনেরই উচিত কমপক্ষে এক পোয়া গরম দুধ, একরতিকেশন ও দুই তোলা মিশ্রি সংযোগে সেবন করা। সহবাসে কিছু শক্তির হ্রাস হ’তে পারে। এতে করে কিঞ্চিৎ পূরণ হয়। অন্যথায় সহবাস করা উচিত নহে। এই কারণেই মনীষীরা মাসানে- একবার রতিক্রিয়া ব্যবস্থা করে দেন। যাতে উপরোক্ত সামগ্রীর যোগাড় করতে গরীব বা মধ্যবিত্ত শ্রেণীর লোকের পক্ষেও কষ্টকর না হয়। পুষ্টিকর খাদ্য না খেলে পুরুষ অচিরেই শক্তিহীন হ’য়ে পড়েও তার কর্মশক্তি লোপ পায়।
অত্যধিক মৈথুনের জন্য হজমশক্তিলোপ পায়। ফলে অম্ল, অজীর্ণ প্রভৃতি নানা প্রকার রোগ দেখা দেয়। এই সমস্ত রোগের হাত থেকে নিশ্চিত ভাবে নিষকৃতির জন্য মৈথুনের পর দুগ্ধ পান অত্যাবশ্যাক। অবস্থায় সম্ভব হলে নিম্নের টোটকাগুলি ব্যবহারকরলে ভয়ের কারণ থাকবে না।
(১) বাদাম দুই তোলা ভালভাবে বেটে নিয়ে তা মিশ্রি সংযোগে মৈথুনের পর গরম করে খেলে বিশেষ উপকার হয়।
(২) দুতোলা ঘি, দু তোলা মিশ্রি কিংবা গুড়ের সঙ্গে মিশিয়ে সেবনকরলে সহজে ক্ষয় পূরণ হয়।
(৩) মুগের ডাল ভালভাবে বেটে নিয়ে ভেজে নিন, পরে মিশ্রি কিংবা চিনি মিশিয়ে নাড়ার মত করে চার তোলার মত মৈথুনের পর খেয়ে নিলে উপকার হয়।
সহবাসের সঙ্গে সঙ্গে পুরুষাঙ্গধৌত করলে নপুংষকতার লক্ষণ প্রকাশ পায়। সেজন্য রতিক্রিয়ারকিছু সময় পরে পুরুষাঙ্গ ধৌত করা বিধেয়। এ বিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি রাখা প্রত্যেকের উচিত।
সহবাসের পর দেহের বিষয়ে কি কি যত্ন নিতে হবে এ বিষয়ে শাস্ত্রে কতগুলি নিয়ম বিধিবন্ধআছে। আমরা তা একে একে আলোচনা করছি।১। সহবাসের পর দু’জনের কিছুক্ষণপরস্পর সংলগ্ন হ’য়ে অবস্থান করবে। এতে মানসিক তৃপ্তি হয়। ধীরে ধীরে দেহ শীতল হয়। এতে প্রেম দীর্ঘস্থায়ী হ’য়ে থাকে।
২। তারপর অবশ্য প্রত্যেকেই নিজনিজ যৌনাঙ্গ ভালভাবে ধৌত করবে-এটি অবশ্য পালনীয়। তবে কিছুক্ষণ পর।
৩। অনেক শাস্ত্রে দুজনের ্লান করা বিধান আছে তবে তা সকলে পালনকরে না।
৪। শর্করা মিশ্রিত এক গ্লাস জল কিঞ্চিৎ লেবুর রস বা দধি কিংবা শুধু ঠাণ্ডা জল কিছু খেতে হবে। এতে শরীরের মঙ্গল করে।
৫। প্রয়োজন হরে কোন পেটেন্ট ঔষধ সেব করা যাইতে পারে।
৬। সহবাসের পর ঘুম একান্ত আবশ্যক-তদাই শেষ রাতে সহবাস বাঞ্ছনীয় নয়।
৭। পরদিন প্রভাতে স্নান করা একান্ত আবশ্যক। তা না হলে মন শুচি হয় না- কর্মে প্রফুল্লতা আসে না। অন্যথায় পরদিন মন খারাপ থাকে, কর্মে একঘেয়েমি আসতে পারে।
৮। সহবাস প্রারম্ভে বা শেষে নেশা সেবন ভাল নয়। এতে দৈহিক ক্ষতি হয়-প্রেম দূরে যায়-মানসিক অসাড়তা আসতে পারে।
৯। রাত্রির প্রথম ও শেষ প্রহর বাদে মধ্যম অংশই সহবাসের পক্ষেউৎকৃষ্ঠ সময়, এ কথা সর্বদা মনে রাখতে হবে।
১০। সহবাসের পর অধিক রাত্রি জাগরণ, অধ্যয়ন, শোক প্রকাশ, কলহ কোন দুরূহ বিষয় নিয়ে গভীর চিন্তা ও মানসিক কোন উত্তেজনা ভাল নয়।
সফল মৈথুন
এবারে আমরা একটি প্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করব তা সফল মৈথুন।
এমন প্রশ্ন অনেকে করতে পারে-মৈথুন আবার সফল অ-সফল কি? যথারীতি নর-নারীর মিলন। দৈহিক মিলনের পরিপূর্ণ আনন্দ ও রেতঃপাত। এই ত মৈথুন।
আমরা বলব না, তা নয়।
তবে?
আমরা বলব শতকরা একটি কি দু’টির বেশি মৈথুন সফল মৈথুন হয় না। কেন হয় না? তা বলতে গের সফল মৈথুন কি, সে বিষয়ে আলোচনা করতেহয়। স্ত্রীর কামনার তৃপ্তি কম বেশি হয়ত হয়ে থাকে। তথাপি স্ত্রী গর্ভবতী হ’য়ে সন্তানের জন্মও দিতে সুরু করে, তবু তা সফল মৈথুন হয় না।
কেন?
এর উত্তর হলো শৈথুন বা রেতঃপাত অনেকেই করে থাকেন। কিন্তু সফল মৈথুন খুব অল্প জনের ভাগ্যেই ঘটে থাকে।
এবার সে বিষয়ে আলোচনা করব।
সফল মৈথুনের পরিচয়
যে মৈথুন করলে শারীরিক, মানসিক ও দৈহিক কোনও ক্ষতি হয় না। উলটেকর্মে আনন্দ ও একাগ্রতা আসে এবং মৈথুনের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পায়; স্ত্রীর প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পায় এবং হৃদয় প্রফুল্ল ও শান্ত, ্লিগ্ধতায় পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে-তাকে সফল মৈথুন বলে।সফল মৈথুনের ফল
১। মনের শান্তি পায়। মন সর্বকাজে দৃঢ় হ’য়ে থাকে ও মনের উৎসাহ বাড়ে।
২। কাজকর্মে একাগ্রতা আনে। কাজকর্মের দিকে মন সংযোগ বৃদ্ধি পায়।
৩। দৈহিক ও মানসিক তৃপ্তির জন্যে কর্মক্ষমতা বৃৃদ্ধি পায়।নিজেকে গর্ব অনুভব করে।
৪। স্ত্রীর প্রতি প্রেম বৃদ্ধিপায় ও স্ত্রীকে প্রকৃত ভালবাসতে পারে। স্ত্রীর আকর্ষণআসে স্বামীর প্রতি।
৫। অন্য নারীর প্রতি আকর্ষণ থাকে না।
অসফল মৈথুনের ফল
১। মনে শান্তি থাকে না। মন ধীরেধীরে অবসাদে ভরে ওঠে। মেজাজ হ’য়ে যায় খিটখিটে।
২। সব সময় মন উত্তেজিত ও বিরক্তথাকে।
৩। মানসিক দুর্বলতা প্রযুক্ত কাজকর্মে ইচ্ছা কমে যায়।
৪। স্ত্রীর প্রতি ভালবাসা কমে আসে।
৫। পরনারীর প্রতি আকর্ষণজনিত চরিত্রদোষ ঘটতে পারে। পতিতারয় গমনও ঘটতে পারে।
৬। শরীর ম্যাজ ম্যাজ করে-সব সময়শরীর ভার ভার বোধ হয়। আহার ও নিদ্রার প্রতিও আকর্ষণ কমে যায়।
৭। বায়ুর প্রাবল্য, চোখ মুখ জ্বালা করতে থাকে।
৮। মাথা ঘোরে ও গা বমি বমি করে।
৯। ধীরে ধীরে মৈথুনের প্রতি ঘৃণাও জন্মাতে পারে।
এখন কথা হচ্ছে কি করলে মৈথুন সফল করা যায়।
মৈথুন অ-সফল হওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে-উপযুক্ত পুরুষ ও নারীর মিলনের অভাব।

শেয়ার করে আপনার প্রিয় বন্ধু-বান্ধবীদের পড়ার সুযোগ দিন।
আপনি জেনেছেন....হয়তো সে জানেনা ।আল্লাহ আপনাকে ভাল রাখুক --আমিন ।

কোন মন্তব্য নেই :

সম্ভোগের আগে স্বামীর কর্তৃব্য

কোন মন্তব্য নেই

১। পতির কর্তব্য হলো, পত্নীকে প্রিয়তমা জ্ঞানে বা সত্যিকারেরধর্মপত্নী জ্ঞানে নিজের তৃপ্তির সঙ্গে সঙ্গে তারও দৈহিক ও মানসিক তৃপ্তি বিধান করা। নিজের কামনা পরিতৃপ্ত করাই সম্ভোগের একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত নয়।
২। কোন প্রকার বল প্রয়োগ করা আদৌ বাঞ্ছনীয় নয়। একথা মনে রাখতে হবে।
৩। চুম্বন, আলিঙ্গন, নিপীড়ন ইত্যাদি নানাভাবে স্ত্রীর মনে পূর্ণ কামাব জাগিয়ে তারপর তার সঙ্গে সহবাসে রত হওয়া প্রতিটি পুরুষের কর্তব্য।
৪। নারী ধীরে ধীরে আত্নসমর্পণ না করা পর্যন্ত তার সঙ্গে কখনও সহবাসে লিপ্ত হওয়া উচিত নয়।
৫। নারী কখনও নিজের যৌন উত্তেজনাকে মুখে প্রকাশ করে না। তবে সেটা অনেকটা লক্ষণ দেখে বুঝে নিতে হয়।
৬। নারীর কর্তৃব্য সর্বদা পতিরপ্রতি শ্রদ্ধা ও ভালবাসার ভাব ফুটিয়ে তোলা।
৭। পতিকে ঘৃণা করা, তাকে নানা কু-কথা ইত্যাদি বলা কখনই উচিত নয়। সহবাসের অনিচ্ছা থাকলে তা তাকে বুঝিয়ে বলা উচিত। ঘৃণা বা বিরক্তিসূচক তিরস্কার করা কখনওউচিত নয়। এতে পতির মনে দুঃখ ও বিরক্তি জাগতে পারে।
৮। নারীর কর্তৃব্য স্বামীর চুম্বন, দংশন ও আলিঙ্গনের প্রতিউত্তর দেওয়া।
৯। নারীর পূর্ণ কামভাব জাগলে পতিকে কৌশলে তা বুঝিয়ে দেওয়া উচিত।
১০। নারীর উত্তেজনা ধীরে ধীরে আসে-আবার তা ধীরে ধীরে তৃপ্ত হয়। পুরুষের উত্তেজনা আসে অকস্মাৎ আবার তা অকস্মাৎ শেষ হয়। তাই নারীর পূর্ণ কামভাব না জাগিয়ে সঙ্গমে মিলিত হলে নারী পূর্ণ তৃপ্তি পেতে পারে না। এরকম করা রিধিবিরুদ্ধৃ। এতে নারী পূর্ণ তৃপ্তি পায় না- এর জন্যে সে পর-পুরুষ পর্যন্ত গমন করতে পারে। দাম্পত্য জীবনে অনেক বিপর্যয় এর জন্যে আসতে পারে।
স্ত্রীকে দ্রুত তৃপ্তির উপায়
১। গালে ঠোঁটে ঘন ঘন চুম্বন করা।
২। স্ত্রীর ঊরুদেশ জোরে জোরে মৈথুনের আগে ঘর্ষণ করা।
৩। সম্ভোগের আগে যোনিদেশ, ভগাঙ্কুর কামাদ্রি আলতো ভাবে ঘর্ষণ করা।
৪। ভগাঙ্কুর মর্দন।
৫। মৈথুনকালে স্তন মর্দ্দন।
৬। সহাবাসের আগে যদি পুরুষাঙ্গের আগায় খুব সামান্য পরিমাণ কর্পূর লাগানো হয় তবে স্ত্রী দ্রুত তৃপ্তি লাভ ক’রে থাকে। তবে কর্পূর যেন বেশি না হয়, তাতে স্ত্রী যোনি ও পুরুষাঙ্গ জ্বলন অনুভূত হ’তে পারে।
সহবাসের কাল
১। মেয়েদের একটু ঘুমোবার পর রাত্রির দ্বিতীয় প্রহর শ্রেষ্ঠমৈথুন সময়।
২। দিনের বেলা সহবাস নিষিদ্ধ।
৩। ভোরবেলা সহবাস শরীরের পক্ষেক্ষতিকর হ’তে পারে।
৪। গুরু ভোজনের পর সঙ্গে সঙ্গে সহবাস নিষিদ্ধ।
৫। ক্রুদ্ধ বা চিন্তিত মেজাজে স্ত্রী সহবাস উচিত নয়। প্রফুল্ল মনে সহবাস উচিত।
কোন ঋতু মৈথুনের পক্ষে কতটা উপযোগী তার বিচার করা হচ্ছে।
ক। বসন্তকাল-৯০%।
খ। শরৎকাল-৭০%।
গ। বর্ষাকাল-৫০%।
ঘ। হেমন্তকাল-৪০%।
ঙ। গ্রীষ্মকাল-৩০%।
চ। শীতকাল-২০%।
প্রহরণ বা মৃদু প্রহার
মৈথুনকালে মৃদু প্রহার-শৃঙ্গারও কামের একটি অঙ্গ হিসাবে স্বীকৃত হয়েছে।
কথাটা শুনতে অনেকটা আশ্চার্য্যবোধ হয়, কিন্তু কামসূত্রে তার ব্যাখ্যা প্রদত্ত হয়েছে।
নারী কিছুটা উৎপীড়িত হ’তে চায় যৌন মিলনে-তাই মনোবিজ্ঞান স্বীকার করে যে, পুরুষ কিছুটা উৎপীড়ন করতে পারে নারীকে।
কিন্তু প্রহরণ ঠিক শৃঙ্গার নয়-কারণ মিলনের আগে এর প্রয়োজন নেই।
পূর্ণ মিলনের সময় আনন্দ বৃদ্ধির জন্যে পুরুষ ধীরে ধীরেনারী-দেহের কোমল অংশে মৃদু প্রহার করতে পারে।
পুরুষ অথ্যাচারী-মনোবিজ্ঞানেরমতে যে প্রহার করা হয় তা আনন্দের। তাই বলে এতে দু’জনেই যে আনন্দ পাবে এমন নয়। এটা দু’জনের মানসিক অবস্থার উপর নির্ভর করে।
প্রহরণের মধ্যে আবার প্রকারভেদআছে-
১। মুষ্টি প্রহার-হাত মুষ্টি বদ্ধ করে দেহের বিভিন্ন অংশে মৃদু প্রহরণ।
২। চপেটাঘাত (হাত খুলে রেখে ধীরে ধীরে।)
৩। দু’টি অঙ্গুলির সাহায্যে প্রহরণ।
৪। প্রহরণ ও সংবহন মিশ্রিত করে প্রহরণ।
মর্দন বা সংবাহন
যদিও মর্দন শৃঙ্গার কালে মাঝে মাঝে হয়- তবে এই মর্দন প্রকৃত শৃঙ্গার নয়।
মর্দন বেশি হয় রতিকালে বা রতির পূর্বে।
নারীদেরহর কোমল অংশে যেমন স্তন,নিতম্ব, ঊরুদ্বয় প্রভৃতির মর্দন হ’য়ে থাকে।
রতিক্রিয়াকালে স্তন ও নিতম্ব মর্দন করেও পুরুষ ও নারী উভয়ে আনন্দ পায় বলে বাৎস্যায়ন বলেছেন।
তবে যারা পছন্দ করেন তাঁরাই এটা করবেন। যদি একজন বা দু’জনেইপছন্দ না করেন তবে এর প্রয়োজন নেই।
ঔপরিষ্ঠক বা মুখমেহন
মুখমেহন স্বাভাবিক মিলন হিসাবেবাৎস্যায়ন স্বীকার করেন নি। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে এটি সর্বদা চলতে পারে না। তবু শাস্ত্রে এটি উল্লিখিত হয়েছে।
শাস্ত্রে উল্লিখিত হবার অর্থ অবশ্য এই নয় যে, এটি খুব ভাল আসনবা এটি সম্মান পেয়েছে। শাস্ত্রে কেবল এটাকে একটি অস্বাভাবিক মিলন বলেই এর নাম উল্লিখিত হয়েছে।
ভারতের কোন কোন জাতির মধ্যে ঔপরিষ্ঠক স্বীকৃত ও বেশ প্রচলিত-কিন্তু তাই বলেই তাকে উচ্চ স্থান দেওয়া হয় না।
মুখমেহন সব পণ্ডিতের মতেই ঘৃন্য-তাই এ বিষয়ে বেশি আলোচনা করা হলো না।
বাৎস্যায়ন বলেন নারী শুধু তিনটি শ্রেণীরই নয়-তাছাড়াও আছেআর এক শ্রেণী-তার নাম হলো নপুংষক শ্রেণী।
এই নপুংষক শ্রেণীর যোনি ঠিকমত গঠিত নয়-তাই এদের সঙ্গে যৌন ক্রিয়া সম্ভব নয়। এদের দ্বারা কেবল মুখমেহন করানো চরতে পারে।
এই শ্রেণীর নপুংষক অনেক সময় অর্থের বিনিময়ে মুখমেহনে রাজী হয়।

শেয়ার করে আপনার প্রিয় বন্ধু-বান্ধবীদের পড়ার সুযোগ দিন।
আপনি জেনেছেন....হয়তো সে জানেনা ।আল্লাহ আপনাকে ভাল রাখুক --আমিন ।

কোন মন্তব্য নেই :

মহিলাদের নানা সার্জারী

কোন মন্তব্য নেই
অপারেশন কথাটা শুনলেই মনে আতংক-ভয়-উদ্বেগ আর এ্যাংজাইটি শুরু হয়। হাসপাতাল, ক্লিনিকে ভর্তি থাকা, ডাক্তার ঠিকমতো ওটিতে পৌঁছাবেনকিনা, অজ্ঞান হবার পর জ্ঞান ফিরবে কিনা, অপারেশনের পর সুস্থতা কতোটা নিশ্চিত, কোন জটিলতা সৃষ্টি হবে কিনা এবং খরচের দুশ্চিন্তা তো আছেই। এজন্য ভালো সার্জনের তত্ত্বাবধানে থাকা, পোস্ট অপারেটিভ ম্যানেজমেন্ট এবং অপারেশন উপযোগী ভালো ওটি সম্বলিত ক্লিনিক বা হাসপাতালের সঠিক নির্বাচন করতে পারলে অপারেশনে ভয় পাবার কোন কারণ নেই।
অপারেশন জরুরি হলে দেরি করবেন না। ডাক্তারকে প্রশ্ন করার অধিকার আপনার আছে। তাই ভালো করেজেনে বুঝে নিন এবং সাবধানতা অবলম্বন করুন। তাহলে যে কোন অপারেশনেই আপনি সহজে সুস্থ হয়ে উঠবেন। গুরুত্বপূর্ণ কিছু অপারেশনের সংক্ষিপ্ত বিবরণ।
সিজারিয়ানঃ
১ম ও ২য় সন্তান প্রসবের ক্ষেত্রে ব্যথা উঠার ১৮ ঘন্টা অতিক্রম হলে সিজার করা দরকার হতে পারে। ৩য় ও৪র্থ ও পরবর্তী সন্তান প্রসবের ক্ষেত্রে ৬ থেকে ৮ ঘন্টা পর সিজারের সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে। যে কোন কারণে মা ওশিশুর জীবন বিপন্ন হলে, প্রসবের রাস্তা ছোট থাকলে, গর্ভফুল বা পস্নাসেন্টা অস্বাভাবিক অবস্থায় থাকলে, প্রসব পথ আংশিক বা পূর্ণাঙ্গ বন্ধ থাকলে, জরায়ুতে সঠিক স্থানে বাচ্চা না থাকলে, মায়ের একলামসিয়া বা প্রি একলামিসিয়া, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ থাকলে সিজারিয়ানের সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে।
প্রসবের তারিখ ঘনিয়ে এলে ভরা পেটে খাবেন না। সহজ প্রাচ্য হালকা বলকারক খাবার এবং পানীয় অর্থাৎ লেবুর রস, দুধ, ডাবের পানি, স্যুপ ইত্যাদি খাবেন। ভরা পেটে প্রসূতিকে অস্ত্রপচারের জন্য অজ্ঞান করা বিপদজনক। কফি, চা ও শক্ত খাবার এ সময় নিষিদ্ধ।
প্রসব ব্যথা উঠার পর অস্থির না হয়ে নিজের দৈনন্দিন ব্যবহারিক জিনিসপত্র যেমন-দাতের ব্রাশ, পেস্ট, চুল বাঁধার সরঞ্জাম, চিরুনী, তেল, সাবান, তোয়ালে, ক্রিম, পাউডার, শাড়ি, ম্যাক্সি, বস্নাউজ, পেটিকোট, বক্ষবন্ধনী, আর নবজাতকের জন্য নরম জামাকাপড়, বেবিওয়েল, বেবি মশারি, ফিডিং বোতল, রাবার ক্লথ, নিচের উপরের নরম কাপড় ইত্যাদি ব্যাগে ভরে নিন। আর অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ডেলিভারি কোথায় করাবেন, তা ঠিক করে রাখবেন। প্রাইভেট হাসপাতালে বা ক্লিনিক হলে প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা কোথায় ভালো এবং খরচ কম লাগে তা জেনে কথাবার্তা ঠিক করে আসবেন। প্রাইভেট হাসপাতাল বা ক্লিনিক হলে আপনার পছন্দের ডাক্তারকেও পাশে পেতে পারেন।
হিস্টেরেক্টমিঃ
হিস্টেরেক্টমি মানে জরায়ু বা ইউটেরাস বাদ দেয়া। ইউটেরাসে ফাইব্রয়েড, টিউমার, সিস্টএমন নানা কারণেই ইউটেরাস বাদ দেয়ার প্রয়োজন হয়। হিস্টেরেক্টমির পর পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যায় ঠিকইকিন্তু নারীত্ব কমে না। তবে সন্তান ধারণ সম্ভব নয়। ওভারি বাদ দেয়া না হলে হরমোনের জোয়ারভাটাএকই রকম থাকবে। মিলনের আনন্দ পূর্বাপর সমান থাকে।
রোগের লক্ষণঃ
অনিয়মিত ঋতুস্রাব, অতিরিক্ত বিস্নডিং, পেট এবং কোমরে ব্যথা, রক্তে ক্লট হওয়া, শারীরিক মেলামেশায় রক্ত পড়া, তলপেট ভারী লাগা, মুত্র ত্যাগের সময় প্রসাবের রাস্তা দিয়ে কিছু নেমে আসা, এমন সব লক্ষণ থেকে বোঝা যায় ইউটেরাস বা ওভারিতে টিউমার জনিত কোন সমস্যা আছে। আলট্রাসনোগ্রাফিতে পরীক্ষা করার পর অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। অনেক ভাবেই এই অপারেশন করা যায়। সবচে বেশি করা হয় অ্যাবডমিনাল হিস্টেরেক্টমি। যা তলপেটকেটে করা হয়। সাধারণভাবে তিন থেকে পাঁচ ইঞ্চি আড়াআড়িভাবে কেটে নেয়া হয়। লম্বালম্বি কাটা প্রয়োজন হয় কিছু ক্যানসারের ক্ষেত্রে অথবা খুব বড় কোন ফাইব্রয়েড বা ওভারিয়ান সিস্ট থাকলে। এছাড়া নীচপথে অপারেশন করা হয়। এপদ্ধতিতে পেটের ওপর কাটার প্রয়োজন হয় না। প্রোলান্স থাকলে তাও একসাথে মেরামত করে দেয়া হয়। অপারেশনের পর চার সপ্তাহ ভারী কাজ না করা।
চার সপ্তাহ শারীরিক মিলন বন্ধ রাখা। ড্রাইভিং না করা। রক্ত বের হলে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা। সমুদ্রে গোসল না করা। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধপথ্য খাবেন।
ওভারিতে সিস্টঃ
নানা কারণেই ওভারিতে সিস্ট হয়। ইদানীং অল্পবয়সী মেয়েদের মধ্যে এ প্রবণতা অত্যন্ত বেশি পরিমাণে দেখা যায়। এর প্রধান কারণ শারীরিক পরিশ্রমে অনিহা খেলাধুলাদৌড়ঝাঁপ না করা, খাদ্য এবং হরমোনের গন্ডগোলেরফলে ঋতুস্রাবে সমস্যা ও ওভারিতে সিস্ট হয়।
লক্ষণঃ
মোটা হয়ে যাওয়া। মুখে এবং শরীরে লোমের আধিক্য,মেজাজ খিটখিটে হওয়া।
চিকিৎসা
বেশিরভাগ রোগী ওষুধেই সেরে যায়। অনেক সময় থাইরয়েডের গন্ডগোলও থাকে। তারও চিকিৎসার প্রয়োজন। তবে ওষুধের পাশাপাশি জরুরি হলো ব্যায়াম করা, হাঁটাহাটি করা, খাদ্যাভাস নিয়ন্ত্রণ, ভাজাপুড়া না খাওয়া, ওজন কমানো। অন্যান্য ক্ষেত্রে অপারেশনের প্রয়োজন হয়।
ফাইব্রয়েডঃ
ফাইব্রয়েড হলো নারী দেহের অত্যন্ত কমন এক ধরনের টিউমার। এই টিউমার থেকে ক্যান্সার হবার সম্ভাবনা এক শতাংশের কম। অধিকাংশ ক্ষেত্রে অপারেশন না করেই এর চিকিৎসা করা সম্ভব। সন্তান নেবার আগে অপারেশন না করে শুধুমাত্র বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিলেইহবে। তবে সন্তান প্রসবের পর ফাইব্রয়েড সারিয়ে ফেলতে হবে। সিজারের সময় ফাইব্রয়েড অপসারণ করা হয়। ২৫ শতাংশ মহিলার দেহেফাইব্রয়েড থাকতে পারে। ৩০ থেকে ৪০ বছরের মহিলাদের মধ্যে ফাইব্রয়েড আক্রান্তের হার বেশি।
কোথায় হয়ঃ
মূলত মহিলাদের জরায়ুতে ফাইব্রয়েড হয়ে থাকে। জরায়ুর পেশীতে ও ভেতরের ত্বকে, ফেলোপিন টিউবের মুখে, ব্রডলিগামেন্ট ও ডিম্বাশয়ের পাশে ফাইব্রয়েড সৃষ্টি হতে পারে। অনুমান করা হয়, যৌবনাবতীর দেহে ইস্ট্রোজেন হরমোন নিঃস্বরণের সাথে এই ফাইব্রয়েড সৃষ্টির কোন সম্পর্ক থাকতে পারে। কারণ নারী দেহে যখন ইস্ট্রোজেন সর্বাপেক্ষা বেশি ক্ষরণ হয়, সেই সময় অর্থাৎ ২৫ থেকে ৪০ বছর বয়েসে ফাইব্রয়েড তৈরি হয়। আবার মেনোপোজ হবার সাথে সাথে ফাইব্রয়েড বৃদ্ধি থেকে যায়।
লক্ষণঃ
মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্তস্রাব দশ পনেরো দিন পর পর হঠাৎ হঠাৎ রক্তস্রাব দেখা দেয়। তলপেট ভারী অনুভূত হয়। মাসিকের সময় পেটে অস্বাভাবিক ব্যথা হয়।
ক্ষতিঃ
শরীরে অস্বস্থি অনুভব, অকাল গর্ভপাত, রজস্রাব সমস্যা, কোষ্ঠ্যকাঠিন্যও রক্তস্বল্পতা, স্থায়ী বন্ধত্ব বা সাময়িক বন্ধাত্বও হতে পারে এবং মূত্রথলিতে সংক্রমণ হতে পারে।

কোন মন্তব্য নেই :

মেয়েদের প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া

কোন মন্তব্য নেই
মেয়েদের স্বাস্থ্য সমস্যার প্রধান একটি সমস্যা প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া। প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করারপ্রধান জীবাণুটি হলো ব্যাকটেরিয়া। তবে ছত্রাকএবং ভাইরাসও এ ধরনের প্রদাহ ঘটায়। মেয়েদের মূত্রনালী পায়ুপথের খুব কাছে থাকে বলে সহজেই জীবাণু প্রবেশ করতে পারে। ই-কলাই নামক জীবাণু শতকরা ৭০-৮০ ভাগ প্রস্রাবের প্রদাহের কারণ। অনেক সময় যৌন সঙ্গমের কারণেও জীবাণু মূত্রনালীতে প্রবেশ করে।এসব জীবাণু মূত্রনালীপথেমূত্রথলিতে ও কিডনিতে প্রবেশ করে।
এক্ষেত্রে শুধু প্রস্রাবে জ্বালাপোড়াই করে না, বার বার প্রস্রাবের বেগ হয়, ফোঁটায় ফোঁটায় প্রস্রাব পড়ে। প্রস্রাবের রঙ ধোঁয়াটে, দুর্গন্ধযুক্ত ও পরিমাণেকম হয়। মাঝে মাঝে তলপেটে ব্যথা হতে পারে। যৌনকাজে অনিচ্ছা জাগে। অনেক সময় শরীরে জ্বর আসে।মাঝে মাঝে বমি হতে পারে। নববিবাহিত মেয়েদের মধুচন্দ্রিমা যাপনকালে প্রস্রাবের প্রদাহ হতে পারে। গর্ভবতী মহিলারা প্রস্রাবের প্রদাহে আক্রান্ত হন। চিকিৎসা ক্ষেত্রে প্রচুর পানি খেতে হবে। অ্যান্টিবায়োটিক খেতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শমতো। এ সময় সহবাস থেকে বিরত থাকতে হবে। গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে?
*. প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে। পানির পরিমাণ এত বেশি হতে হবে যাতে দৈনিক কমপক্ষে দুই লিটার প্রস্রাব তৈরি হয়। দিনের মধ্যে দুই থেকে তিন ঘন্টার মধ্যে প্রস্রাব করতে হবে। কখনো প্রস্রাব আটকে রাখা যাবে না।
*. ঘুমোতে যাওয়ার আগে এবং ঘুম থেকে জাগার পর প্রস্রাব করতে হবে।
*. সহবাসের পর পানি দিয়ে ভালোভাবে প্রস্রাবের রাস্তা ধুয়ে ফেলতে হবে।
*. মলত্যাগের পর শৌচকাজ সতর্কতার সাথে করতে হবে যাতে ঐ পানি প্রস্রাবের রাস্তায় নাআসে।
দৈনিক ইত্তেফাক,
লেখকঃ ডাঃ মিজানুর রহমান কল্লোল


শেয়ার করে আপনার প্রিয় বন্ধু-বান্ধবীদের পড়ার সুযোগ দিন।
আপনি জেনেছেন....হয়তো সে জানেনা ।আল্লাহ আপনাকে ভাল রাখুক --আমিন ।

কোন মন্তব্য নেই :

গর্ভবতী মায়ের পাইলস চিকিৎসা

কোন মন্তব্য নেই
গর্ভবতী মায়ের স্বাস্থ্যপরিচর্যা একটি গুরম্নত্বপূর্ণ বিষয়। এ অবস্থায় কিছু বিশেষ বিশেষ সমস্যা দেখা দেয়। যেগুলো অত্যন্ত সতর্কতার সাথে বিশেষ অবস্থার কথা বিবেচনায় রেখে চিকিৎসা করা উচিত। অন্যথায় মা ও শিশুর স্বাস্থ্য হুমকির সম্মুখীন হতে পারে। এরূপ একটি সমস্যা হচ্ছে গর্ভাবস্থায় মায়ের পাইলসে আক্রান্ত হওয়া।
গর্ভাবস্থায় শেষের দিকে মায়েদের পাইলসে আক্রান্তহওয়া একটি সাধারণ ঘটনা, অনেকের হয়। এ সমস্যা আগে থেকে ছিল, কিন্তু এখন এটির তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। আবার গর্ভাবস্থার কারণে অনেকের এ সমস্যা নতুন করেশুরম্ন হতে পারে। এ অবস্থায় পাইলস হওয়ার উল্লেখযোগ্য কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে কোষ্ঠকাঠিন্য, হরমোনেরপরিবর্তন, জরায়ুর স্ফীতির জন্য পেটের ভিতরের চাপ বৃদ্ধি পাওয়া,যার কারণে রক্ত চলাচল বাধাপ্রাপ্ত হয়।
এমতাবস্থায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পাইলস বিনা অপারেশনে রক্ষণশীল চিকিৎসায় ভালো করা সম্ভব। প্রথমত আমরা আসছি কোষ্ঠ ব্যবস্থাপনায়। মলযাতে শক্ত না হয় এবং মলত্যাগে কষ্ট না হয় তার ব্যবস্থা নিতে হবে। এ জন্য বেছে খাবার খেতে হবে, যাতে কোষ্ঠকাঠিন্য না হয়। আঁশ বা fiber জাতীয় খাবার খেতে হবে যেমন শাকসবজি, ফলমুল, ইসুপগুলের ভুসি। গরম্ন ও খাসির গোশত কম খাওয়া ভালো।
এ ছাড়া প্রয়োজনে জুলাফ বা মল নরম করার ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে এর যথেচ্ছ ব্যবহার ক্ষতিকর। এ ওষুধগুলো সঠিক মাত্রায় এবং সঠিক মেয়াদে ব্যবহার করা উচিত। অন্যথায় অভ্যাসে পরিণত হবে। সিজ বাথ অর্থাৎ গরম পানির ছ্যাঁক দেয়ায় উপকার পাওয়া যায়। এটির নিয়ম হচ্ছে আধগামলা গরম পানিতে লবণ দিয়ে নিতম্ব ডুবিয়ে ১০ মিনিট, দিনে ২-৩ বার বসে থাকতে হবে। এতে যদি রোগীর উন্নতি না হয় তাহলে আমরা ইনজেকশন অথবা আধুনিক যন্ত্রের সাহায্যে বিনা অপারেশনে এবং বিনা ব্যথায় এর চিকিৎসা করতে পারি। যেহেতু ইনজেকশনের সফলতা আশাব্যঞ্জক ও দীর্ঘস্থায়ী হয় না তাই পাইলসের চিকিৎসায় নতুন দিগন্তের উন্মোচন করে এমন ব্যবস্থা যেমন, রিংলাইগেশন পদ্ধতি অত্যন্ত ফলপ্রসূ হতে পারে।
রিংলাইগেশন পদ্ধতি
এ পদ্ধতিতে একটি ছোট্ট যন্ত্রের সাহায্যে পাইলসের চিকিৎসা করা হয়। এটি ডাক্তারের চেম্বারেইসম্ভব। কোনোরূপ অবশ বা অজ্ঞান করার প্রয়োজন নেই। চিকিৎসা-পরবর্তী কিছু দিনের ভেতর পাইলসটি আপনাআপনি কেটে পড়ে যায়। পদ্ধতিটি প্রয়োগের সময় রোগী কোনোরূপ ব্যথা অনুভব করেন না। আমাদের শরীরে যেহেতু তিনটি পাইলস রয়েছে অতএব কিছু দিন পরপর এটি ২-৩ বার করা প্রয়োজন হতে পারে। এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিখ্যাত আমেরিকান পাইলস বিশেষজ্ঞডা. মারভিন এল করম্যান বলেন যে, এ পদ্ধতিতে চিকিৎসার সাফল্য এত চমৎকার যে ৮০ শতাংশ পাইলসরোগী এ চিকিৎসায় সম্পূর্ণ নিরাময় হয়েছেন।
পদ্ধতিটি প্রয়োগের পর কিছু বিশেষ বিশেষ ওষুধ ও উপদেশ দেয়া হয়। এ জন্য কোনোরূপ কর্মবিরতি বা ছুটি নেয়ার প্রয়োজন নেই। চিকিৎসার পর রোগী রিকশা বা গাড়িতে অনায়াসে কিছুক্ষণ পরই বাসায় ফিরে যেতে পারেন।
এটি অত্যন্ত লাভজনক; কারণএটি সময়, ঝুঁকি ও অর্থের সাশ্রয় করে। এটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত যে এটি অপারেশনের একটি যুক্তিসঙ্গত সফল বিকল্প পদ্ধতি। এতে অপারেশনের ঝুঁকিগুলো একেবারেই নেই।
অপারেশন
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় আমরা সাধারণত পাইলসের অপারেশন এড়িয়ে থাকি। তবে পাইলসের জটিলতা যদি এমন পর্যায়ে পৌঁছে যে, অপারেশন ছাড়া কোনো বিকল্প নেই তখন অপারেশন করাই শ্রেয়। বিশিষ্ট পাইলস বিশেষজ্ঞ ডা. সালিবী ২৫ জন অন্তঃসত্ত্বা মায়ের পাইলস অপারেশন করে এক গবেষণায় দেখিয়েছেন, ওই গর্ভবতী মায়েদের বা তাদের সন্তানদের কোনোরূপ অসুবিধা হয়নি।তিনজন বাদে এ ২৫ জনের সবাই গর্ভাবস্থার শেষ তিন মাসে ছিলেন। এদের একজনের শুধু অপারেশন-পরবর্তী রক্তপাত হয়েছিল।এ থেকে আমরা এ সিদ্ধান্তেô আসতে পারি যে, গর্ভাবস্থায় প্রয়োজনীয় ড়্গেত্রে পাইলস অপারেশনের কোনো অতিরিক্ত ঝুঁকি নেই।
——————————————————
অধ্যাপক ডা. এ কে এম ফজলুল হক

শেয়ার করে আপনার প্রিয় বন্ধু-বান্ধবীদের পড়ার সুযোগ দিন।
আপনি জেনেছেন....হয়তো সে জানেনা ।আল্লাহ আপনাকে ভাল রাখুক --আমিন ।

কোন মন্তব্য নেই :

জরায়ুমুখের ক্যান্সার প্রতিরোধে পরীক্ষা করুনপ্যাপ স্নিয়ার

কোন মন্তব্য নেই
ক্যান্সার একটি মরণব্যাধি হলেও কিছু ক্যান্সার আছে, যা প্রতিরোধযোগ্য। তেমনই একটি হলো জরায়ুমুখের ক্যান্সার। আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে মেয়েদের ক্যান্সারের মধ্যে জরায়ুমুখের ক্যান্সারের হার সবচেয়ে বেশি।
জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের২০০৫ সালে নিবন্ধিত নারী রোগীদের মধ্যে জরায়ুমুখের ক্যান্সারের রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি (২৪·৬%)। জরায়ুমুখের ক্যান্সারের কারণ হিসেবে হিউম্যান পেপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) নামের অতি সূক্ষ্ম জীবাণুকে দায়ী করা হয়। এই ভাইরাসটি নারীবা পুরুষের প্রজনন অঙ্গে অবস্থান করে এবং যৌনমিলনের মাধ্যমে তা অন্যকে সংক্রমিত করে।
এইচপিভি ভাইরাসের বিশেষ কতগুলো ধরন (স্ট্রেইন) জরায়ুমুখের কোষকে সংক্রমিত করে কিছু ক্যান্সারপূর্ব পরিবর্তন করে, যা পরে পূর্ণ ক্যান্সার রূপে প্রকাশ পায়। এই পরিবর্তিত কোষগুলো যখনতাদের অবস্থান থেকে ঝরে পড়ে, তখন জরায়ুমুখে বা যোনিপথে নির্গত তরলে সেগুলো পাওয়া যায়। কাচের ্লাইডে এই রস সংগ্রহ করে এবং বিশেষ রঙের মাধ্যমে রঞ্জিত করে অণুবীক্ষণ যন্ত্রের নিচেপরীক্ষা করার নাম প্যাপ ্নিয়ার পরীক্ষা।
এই পরীক্ষাটির মাধ্যমে জরায়ুমুখের কোষের ক্যান্সার ও ক্যান্সারপূর্ব পরিবর্তন চিহ্নিত করা যায়।
ক্যান্সারপূর্ব অবস্থায় জরায়ুমুখের ক্যান্সার ধরা পড়লে চিকিৎসার মাধ্যমে রোগীকে রক্ষা করা যায়। মেয়েদের ২১ বছরের পর থেকে অথবা বিয়েরতিন বছর পর থেকে (যেটা আগে শুরু) বার্ষিক প্যাপ ্নিয়ার পরীক্ষার পরামর্শদেওয়া হয়।
এইচপিভি আক্রান্ত রোগীরজরায়ুমুখের ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেক বেশি, তাই উন্নত বিশ্বে এর চেয়েও উপযোগী পিসিআর পরীক্ষা করা হয়। অত্যন্ত ব্যয়বহুল হওয়ায় এগুলো আমাদের দেশের জন্য উপযোগী নয়। এখনো অনেক দেশেই জরায়ুমুখের ক্যান্সারের জন্য প্যাপ ্নিয়ার পরীক্ষাকেই একটি প্রাথমিক স্ক্রিনিং টেস্ট হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
যথেষ্ট পরিমাণ বিশেষজ্ঞ প্যাথলজিস্ট না থাকার কারণে অধিকাংশ দেশে গ্র্যাজুয়েট মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা নমুনা সংগ্রহ এবং তার প্রাথমিক পরীক্ষা করেন। পরে সন্দেহজনক বা পজিটিভ ্লাইডগুলো বিশেষজ্ঞ প্যাথলজিস্টরা দেখেন।
প্যাপ ্নিয়ার পরীক্ষাটিরসঙ্গে আমাদের দেশের চিকিৎসকেরাও পরিচিত, তবে তা শুধু রোগ নির্ণয়ের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে। প্রায় সব মেডিকেল কলেজ ও বিভাগীয় শহরে বিশেষজ্ঞ প্যাথলজিস্টরা এ পরীক্ষাটি করছেন।
কিন্তু সামগ্রিকভাবে জরায়ুর মুখের ক্যান্সারের স্ক্রিনিংয়ের জন্য তা ব্যবহৃত হচ্ছে না বা এ মুহূর্তে সরকারের কোনোপ্রকল্পও নেই। জরায়ুমুখের ক্যান্সারের চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল হওয়ায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে আক্রান্ত নারীদের নিশ্চিত মৃত্যুরজন্য অপেক্ষা করা ছাড়া কোনো উপায় থাকে না।
আমাদের দেশের আর্থসামাজিক অবস্থা বিবেচনা করে বর্তমান স্বাস্থ্যব্যবস্থায় প্যাপ ্নিয়ারকে জরায়ুমুখের ক্যান্সারের স্ক্রিনিং টেস্ট হিসেবে চালু করার জন্য যে সব প্রস্তাব করা যায়ঃ
1. পরিবারকল্যাণ কেন্দ্র বা থানা স্বাস্থ্য প্রকল্পের মেডিকেল অ্যাসিসট্যান্ট বা পরিবারকল্যাণ সহকারী অথবা পরিদর্শকদের দুই দিনের ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে প্যাপ ্নিয়ারের নমুনা সংগ্রহশেখানো সম্ভব।
এর ফলে এসব কেন্দ্রে প্যাপ ্নিয়ারের নমুনা সংগ্রহ করে থানা স্বাস্থ্য প্রকল্পে বাজেলা হাসপাতালে স্টেইনিংয়ের জন্য পাঠানো যাবে। একজন বা দুজন বিশেষজ্ঞ প্যাথলজিস্ট থানা-জেলায় গিয়ে নমুনা সংগ্রহের প্রশিক্ষণ দেবেন। এ ব্যাপারে প্যাথলজি সোসাইটির সহযোগিতা নেওয়া যেতে পারে।
2. জেলা ও থানা স্বাস্থ্য প্রকল্পের টেকনোলজিস্টদের চার-পাঁচ দিনের প্রশিক্ষণ দিয়ে স্লাইডস্টেইনিং শেখানো সম্ভব। এ ক্ষেত্রে প্রশিক্ষক হিসেবে বিশেষজ্ঞ প্যাথলজিস্ট এবং অভিজ্ঞ মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা সহায়তাপ্রদান করতে পারবেন। এর ফলে থানা, জেলা ও বড় হাসপাতালগুলোতে স্লাইড স্টেইন করা সম্ভব হবে।
3. প্রতি থানা স্বাস্থ্য প্রকল্প এবং জেলা হাসপাতালের একজন বা দুজন স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে দু-তিন মাসের প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রাথমিক স্ক্রিনারের দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে।
থানা বা জেলা হাসপাতাল থেকে পজিটিভ ্লাইডগুলো রোগীর ঠিকানাসহ জেলা হাসপাতালে বা মেডিকেল কলেজে পাঠাতে হবে বিশেষজ্ঞ প্যাথলজিস্টের কাছে।
4. থানা বা জেলা হাসপাতাল বা মেডিকেল কলেজগুলো থেকে রিপোর্ট সরাসরি যে কেন্দ্রে নমুনা সংগৃহীত হয়েছে সেখানে পাঠাতে হবে। প্রয়োজনেরোগীর কাছ থেকে ডাকমাশুল বাবদ পাঁচ টাকার দুটি ডাকটিকিটসহখাম নেওয়া যেতে পারে।
ক্যান্সার রোগের চিকিৎসা যে দেশে অধিকাংশ লোকের আওতার বাইরে, সেখানে ক্যান্সার প্রতিরোধকেই গুরুত্ব দিতে হবে। জরায়ুমুখের ক্যান্সার যেহেতু প্রতিরোধযোগ্য এবং আমাদের জনসংখ্যার অর্ধেকই নারী, তাই এ ব্যাপারে আশু বাস্তব পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
এখন থেকে শুরু করলে পাঁচ বছরের মধ্যে প্রতিটি পরিবারকল্যাণ, ইউনিয়ন ও থানা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এবং জেলা ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোয় প্যাপ ্নিয়ারের নমুনা সংগ্রহেরব্যবস্থা তৈরি হবে। একই সঙ্গে থানা ও জেলা হাসপাতালে স্টেইনিংসহ প্রাথমিক স্ক্রিনিং সম্ভব হবে।
আর ৬০ মাসে আরও অন্তত ৪০ জন বিশেষজ্ঞ প্যাথলজিস্টপাস করে বের হবে। সরকার যদি প্রতি থানায় মাইক্রোস্কোপ থাকার নিশ্চয়তা প্রদান করে, তবেহাসপাতালের যাবতীয় খরচেরসঙ্গে জরায়ুমুখের ক্যান্সার স্ক্রিনিংয়ের এ খরচ খুব বেশি হবে না।
উন্নত বিশ্বে জরায়ুমুখেরক্যান্সারের প্রতিরোধক টিকা আবিষ্কৃত হয়েছে এবং তা বাজারজাতের অপেক্ষায়।অত্যন্ত ব্যয়বহুল হওয়ায় তা আমাদের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর নাগালের বাইরেই থাকবে।
অতএব এখন পর্যন্ত মানসম্পন্ন প্যাপ ্নিয়ারপরীক্ষাটিই শুধু আমাদের অবলম্বন হতে পারে। যে দেশে অর্ধেকের বেশি নারী,আসুন আমরা তাদের কথা ভাবিএবং জরায়ুমুখের ক্যান্সারের মতো প্রতিরোধযোগ্য একটি রোগ থেকে তাদের রক্ষায় সচেষ্ট হই।

শেয়ার করে আপনার প্রিয় বন্ধু-বান্ধবীদের পড়ার সুযোগ দিন।
আপনি জেনেছেন....হয়তো সে জানেনা ।আল্লাহ আপনাকে ভাল রাখুক --আমিন ।

কোন মন্তব্য নেই :

কী করে বুঝবেন স্তন ক্যান্সার

1 টি মন্তব্য
সারা বিশ্বে মহিলাদের স্তন বা ব্রেষ্ট ক্যাসারের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশেও এর ব্যতিক্রম নয়। অথচ সময়মত ব্যবস্হা নিলে এ রোগের ভয়াবহ থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব। সাধারণত ৩০ বছরের আগে এই রোগ কম হয়। বেশিরভাগ রোগী বুকে চাকা নিয়ে ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়। বুকে চাকা সেই সাথে কিছু কিছু রোগীব্যথার কথাও বলে থাকে। কখনো কখনো বুকে চাকা এবং বগলেও চাকা নিয়ে রোগী আসতে পারে। নিপল ডিসচার্জ এবং নিপল ভেতরের দিকে ঢুকে যাওয়াও এ রোগের লক্ষণ হিসেবে দেখা দিতে পারে। কিছু কিছু রোগী বুকে ফুলকপির মতো ঘা নিয়ে ডাক্তারের কাছে আসে। অনেক সময় যে বুকে ব্যথা, সেদিকের হাত ফোলা নিয়েও আসতে পারে। এগুলো ছাড়া ব্রেষ্ট ক্যাসার দুরবর্তী কোথাওছড়িয়ে পড়েছে এমন উপসর্গ নিয়ে আসে; যেমনঃ হাড়ে ব্যথা, মাথা ব্যথা, শ্বাসকষ্ট ও জন্ডিস ইত্যাদি।
কারণঃ
–জেনিটিক কারণ, যেমন-মা-খালা থাকলে সন্তানদের হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
–অবিবাহিত বা সন্তানহীনামহিলাদের মধ্যে স্তন ক্যাসারের প্রকোপ বেশি।
–একইভাবে যারা সন্তানকে কখনো স্তন্য পান করাননি,তাদের ব্রেষ্ট ক্যাসার বেশি হয়।
–৩০ বছর পরে যারা প্রথম মা হয়েছেন, তাদের স্তন ক্যাসারের প্রবণতা একজন কমবয়সী মা হওয়া মহিলার থেকে অনেক বেশি।
–বয়স যত বাড়ে, স্তন ক্যাসারের ঝুঁকি তত বৃদ্ধি পায়।
–অল্প সময়ে বাচ্চা নিলে, দেরিতে মাসিক শুরু হলে, তাড়াতাড়ি মাসিক বন্ধ হলে স্তন ক্যাসারের প্রকোপ বেড়ে যায়।
–একাধারে অনেক দিন জন্মনিরোধক বড়ি খেলেও স্তন ক্যাসার হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
উপরোক্ত কারণগুলো ব্রেষ্ট ক্যাসারে সহায়ক ভুমিকা পালন করে। তবে এগুলোই একমাত্র কারণ নয়।
রোগ নির্ণয়ঃ
–মেমোগ্রাম বা স্তনের বিশেষ ধরনের এক্স-রে।
–স্তনের আলট্রাসনোগ্রাম।
–চাকা বা টিউমার থেকে রস নিয়ে পরীক্ষা করলে এই রোগ ধরা পড়বে।
ব্রেষ্ট ক্যান্সারে চিকিৎসাঃ
সম্ভব হলে সার্জারি করাই উত্তম। তাছাড়া কেমো থেরাপি, রেডিও থেরাপি, হরমোন থেরাপি ইত্যাদি।
প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ নির্ণয়
–৩০ বছরের বেশি বয়স হলে নিজ নিজ ব্রেষ্ট পরীক্ষা করতে হবে কোনো চাকা পাওয়া যায় কিনা। চাকা পাওয়া গেলে সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।
–বয়স ৫০-এর উপরে হলে বছরেএকবার মেমোগ্রাম করতে হবে।
–কোনো প্রকার সন্দেহ হলে ডাক্তারের সঙ্গে দেখা করতে হবে।
রোগ প্রতিরোধের উপায়
যেহেতু রোগটির নির্দিষ্ট কোনো কারণ জানা যায়নি, তাই এই রোগ এড়ানোর জন্য কয়েকটি নিয়ম মেনে চলার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়ঃ
–৩০ বছর বয়স থেকে নিজ নিজব্রেষ্ট পরীক্ষা করুন।
–রিস্ক ফ্যাক্টর থাকলে সে ক্ষেত্রে মেমোগ্রাফিকরুন। যেমনঃ ফ্যামিলিতে ব্রেষ্ট ক্যাসার থাকলে।
–৩০ বছর বয়সের মধ্যে প্রথম সন্তান জন্ম দেয়ার চেষ্টা করুন।
–সন্তানকে বুকের দুধ পানকরান।
–টাটকা শাক-সবজি ও ফল খান।
–সন্দেহ হলে ক্যাসার সার্জনের শরণাপন্ন হন।
মনে রাখবেন প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ নিরূপণ হলে এবং চিকিৎসা করালে আপনি অনেকদিন সুস্হ থাকবেন। সার্জারি করার সময় টিউমারটি বগলে লসিকা গ্রন্হিসহ অপসারণ করলে এই রোগ পুনরায় দেখা দেয়ার সম্ভাবনা খুব কম। অসম্পুর্ণভাবে টিউমার অপসারণ করলে এই রোগ আবারহতে পারে। বর্তমানে অপারেশন টেকনোলজি অনেক উন্নতি লাভ করেছে; যার ফলে এই রোগের চিকিৎসা এখন বাংলাদেশেই সম্ভব।
ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ
দৈনিক আমারদেশ

শেয়ার করে আপনার প্রিয় বন্ধু-বান্ধবীদের পড়ার সুযোগ দিন।
আপনি জেনেছেন....হয়তো সে জানেনা ।আল্লাহ আপনাকে ভাল রাখুক --আমিন ।

ডিম্বাশয় – খাঁচার ভিতর অচিন পাখি

কোন মন্তব্য নেই
ফারহানা মোবিন
প্রতিটি মানুষের জ্ন ছোট্ট একটা ভ্রূণ থেকে। আর ভ্রূণ তৈরি হয় নারী-পুরুষের মিলনের মাধ্যমে। মিলনের সময় পুরুষের শুক্রাণু আর নারীর ডিম্বাণু মিলিত হয়। মিলিত হওয়ার কিছুদিন পর ভ্রূণ তৈরি হয়। ডিম্বাণু আসে ডিম্বাশয় থেকে। ডিম্বাশয় নারীর জননতন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
পুরুষের শরীরে কোনো ডিম্বাশয় থাকে না। ডিম্বাশয় মেয়েদের তলপেটের নিচের দিকে এবং জরায়ুর দুই পাশে (তলপেটের ভেতরের দিকে) থাকে। ডিম্বাশয় দেখা যায় না। এটি ছোট একটি মাংসল অঙ্গ। সংখ্যায় এক জোড়া। দেহের বাঁ ও ডান দিকে এদের অবস্থান।
ডিম্বাশয়ের দীর্ঘ্য তিন সে·মি· ও প্রস্থ দুই সে·মি· এবং পুরুত্ব এক সে·মি·। মাংসল থলেটা ধূসরগোলাপি ও ডিম্বাকৃতির। ডিম্বাশয়কে ইংরেজিতে বলেওভারি। গর্ভাবস্থার আগে ডিম্বাশয়ের ওপরের ত্বক মসৃণ থাকে। কিন্তু গর্ভাবস্থায় ডিম্বাশয়ে সবচেয়ে বেশি পরিবর্তন দেখা যায়। বয়ঃসন্ধিকাল থেকে মেনোপজ বা ঋতু বন্ধহওয়া পর্যন্ত ডিম্বাশয়ে পরিবর্তন চলতেই থাকে (ওপরের ত্বকে)।
দুটো ডিম্বাশয়ের সঙ্গে লাগানো থাকে ওভারিয়ান টিউব বা ইউটেরাইন টিউব। মিলনের সময় এই নালির মাধ্যমে ডিম্ব ডিম্বাশয় থেকে জরায়ুতে আসে। জরায়ুকে বলা হয় ভ্রূণ সৃষ্টির কারখানা। ডিম্ব হচ্ছে সেই কারখানার কাঁচামাল। বয়ঃসন্ধিকালের আগে ওভারিলালচে থাকে। কিন্তু বয়ঃসন্ধিকালের পরে তা ধূসর হয়ে যায়। প্রথম সন্তান জ্নদানের পর ডিম্বাশয় আর কখনো আগের অবস্থায় ফিরে যায় না। জন্মগত ত্রুটি হিসেবে ডিম্বাশয় না থাকলে ঋতুস্রাব হবে না, গর্ভধারণও হবে না কিন্তু একজন নারী বেঁচে থাকবে। ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বস্থলন হওয়ার প্রক্রিয়াকে বলে ওভুলেশন।
ডিম্বাশয় থেকে চারটি গুরুত্বপূর্ণ হরমোন নিঃসৃত হয়। এগুলো হলো ইস্ট্রোজেন, প্রজেস্টেরন, এন্ড্রোজেন, রিলাক্সিন।
ইস্ট্রোজেনের কাজ
– ডিম্বাশয়ে ফলিকিউলার গ্রোথে (গর্ভাবস্থায় যাভীষণ জরুরি) সাহায্য করে এবং গর্ভস্থ শিশুর
ডিম্বাশয় গঠনে ভূমিকা রাখে।
– গর্ভস্থ শিশুর জননতন্ত্রের সঠিক বিকাশেসাহায্য করে।
– ইউটেরাইন টিউবের তৎপরতা বাড়ায়।
– গর্ভাবস্থা ও সন্তান জ্নের সময় জরায়ুকে আকারে বড় করে এবং বুকের অভ্যন্তরীণ গঠনে সাহায্য
করে।
– ঋতুস্রাব তৈরি করে এবং রক্ত জমাট বাঁধায়।
– মেয়েদের থাই, বুক, নিতম্বে চর্বি জমায় এবং সারা শরীরে প্রোটিনের পরিমাণ বাড়ায়।
– ত্বক নরম ও মসৃণ করে।
প্রজেস্টেরনের কাজ
– শিশুর জন্য বুকের দুধ তৈরি করে।
– দেহের সব জননতন্ত্রের ওপর ভূমিকা রাখে এবং গর্ভনিরোধক হিসেবে কাজ করে।– ভ্রূণের পুষ্টি জোগায়এবং শরীরের কোষে সামান্য পরিমাণ লবণ ও পানি জমায়।
– যোনিতে নিঃসরণে ভূমিকা রাখে।
ডিম্বাশয়ের যত্নে যা করবেন
– গর্ভাবস্থায় চিকিৎসকেরপরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ খাবেন না।
– ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার প্রতিরোধে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া জন্মনিরোধক ওষুধ দীর্ঘদিন ধরে খাবেন না। দীর্ঘদিন ধরে গর্ভনিরোধক বড়ি সেবন ক্যান্সারের কারণ হতে পারে।
– ঋতুস্রাবের সময় যথেষ্টসতর্ক থাকুন। ঋতুস্রাব হতে বিলম্ব হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
– প্রসবের পর দীর্ঘ সময় ধরে নিচে বসে থাকবেন না।
– মোটা হওয়ার আশায় স্বেচ্ছায় স্টেরয়েড বা হরমোন-জাতীয় ওষুধ খাবেননা।
– অপরিণত বয়সে বিয়ে ও সন্তান জ্নদান থেকে বিরত থাকুন।
– জ্ননিরোধক বড়ির প্যাকেটে ব্যবহারের নিয়মকানুন দেওয়া থাকে। তা সঠিকভাবে মেনে চলুন।


শেয়ার করে আপনার প্রিয় বন্ধু-বান্ধবীদের পড়ার সুযোগ দিন।
আপনি জেনেছেন....হয়তো সে জানেনা ।আল্লাহ আপনাকে ভাল রাখুক --আমিন ।

কোন মন্তব্য নেই :

কখন সিজারিয়ান অপারেশন

কোন মন্তব্য নেই
আজকাল প্রয়োজন ছাড়াও এ অপারেশন হচ্ছে। এতে সংশ্লিষ্ট ডাক্তার ও রোগিনী এবং রোগিনীর আত্মীয়-স্বজনরাও সহজবোধকরে। তাহলে কি সিজারিয়ানের মাধ্যমে ডেলিভারি পদ্ধতিটাই উত্তম? তাকি হতে পারে? প্রকৃতির নিয়মের চেয়ে কি মানষের তৈরি নিয়ম বেশি ভালো হতে পারে? কখন-ই না। যখন প্রাকৃতিক নিয়মে প্রসব বাচ্চা অথবা মা অথবা উভয়ের জন্যই ঝুঁকিপুর্ণ হয় সেসব ক্ষেত্রে সিজারিয়ান অপারেশনের বিকল্প নেই। নয় মাস সাতদিন গর্ভে ধারণকরে একজন মা, সঙ্গে বাচ্চার বাবা এবং আত্মীয়-স্বজনরা সবাই একটা সুন্দর, সুস্হ শিশুরঅপেক্ষায় থাকে। কেউ কেউ আবার যে কোনো মুল্যেই হোক স্বাভাবিক প্রসবের অপেক্ষায় থেকে মা/বাবা বা উভয়কেই হারায় বা একটা ক্ষতির স্বীকার হয়। কাজেই অকারণেই অপারেশন করা বা প্রয়োজনে না করা দুটোই ক্ষতিকর।
সিজারিয়ান অপারেশ প্রয়োজন যদি-
১. বাচ্চা যদি বড় হয় এবং মা যদি সে তুলনায় ছোট হয়।
২. গর্ভফুল যদি নিচের দিকে থাকে।
৩. বাচ্চার গর্ভে অবস্হানযদি উল্টো বা পাতালী হয়।
৪. সন্তান প্রসবের আগেই যদি রক্তপাত হয়।
৫. বাচ্চার যদি শ্বাসকষ্টহয়, বাচ্চা পেটে ভেতরেই মৃত্যু হয়।
৬. মায়ের যদি উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের অসুখ বাঅন্যকোনো অসুখ থাকে অথবা স্বাভাবিক সন্তান প্রসব যদি বিলম্বিত হবে বলে ধারণা করা হয়।
৭. আগের সন্তান যদি ‘সিজারিয়ান’ ডেলিভারি হয়।
৮. গর্ভের পানি যদি বেশি শুকিয়ে যায়।
৯. বাচ্চা যদি গর্ভেই কোনো কারণে দুর্বল হয়ে যায় ইত্যাদি।
———————-
আমার দেশ


শেয়ার করে আপনার প্রিয় বন্ধু-বান্ধবীদের পড়ার সুযোগ দিন।
আপনি জেনেছেন....হয়তো সে জানেনা ।আল্লাহ আপনাকে ভাল রাখুক --আমিন ।

কোন মন্তব্য নেই :

মেয়েদের স্তনে ব্যথা

কোন মন্তব্য নেই
অনেক মহিলারই কোনো না কোনো সময়ে স্তনের ব্যথা অনুভূত হয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এই অবস্থাকে ম্যাস্টালজিয়া বলে। হরমোন বা হরমোন নির্ভরশীল পরিবর্তন এ সমস্যার কারণ। স্তনে ব্যথার সাথে সাথে চাকা বাগুটি অনুভূত হয়। অনেকে এ নিয়ে দুশ্চিন্তা করেন। আসলে এটা খুব মারাত্মক কিছু নয়। তবে দুশ্চিন্তার বড় কারণ হতে পারে।
হরমোন নির্ভরশীল পরিবর্তন সাধারণত ৫৫ বছর বয়সের নিচে এবং যেসব মহিলার মাসিক এখনো চলছে তাদের হয়। কোনো কোনো মহিলার মাসিকের আগে ব্যথা ও গুটির সমস্যা বাড়ে। মাসিকের পর কমে যায়। রক্তে নানান হরমোন লেভেল স্তনের টিস্যুকে প্রভাবিত করে। কোনো কোনো সময় ব্যথা খুব তীব্র এবং সব সময় থাকে, এই ব্যথা হাতেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। অনেকে ভাবেন ক্যান্সার হয়েছে। আসলে এটা ক্যান্সার নয়। জেনে রাখুন,ক্যান্সারের কারণেস্তনে ব্যথা হয় না। স্তনেগুটি কিংবা ম্যাস্টালজিয়া হলে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত। তিনি পরীক্ষা করে কী কারণে অসুবিধা হচ্ছে তা বলতে পারবেন। অন্য কোনো কারণে গুটি কিংবা ব্যথা হয়েছে কি না তা বেরকরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রোগিণীকে আশ্বস্ত করার জন্য এ ক্ষেত্রে কিছু বিশেষ পরীক্ষার প্রয়োজনহতে পারে।
মেমোগ্রাম
মেমোগ্রাম স্তনের এক্স-রে। ৩০ বছর বয়সের ওপরে এটা সবচেয়ে বেশি কাজে লাগে। কারণ তখন স্তনের টিস্যু কম গ্লান্ডুলার থাকে এবং এক্স-রে ছবি ভালো আসে।
আল্ট্রাসাউন্ড
শব্দতরঙ্গ দিয়ে এই পরীক্ষা করা হয়। ছোট একটা মাইক্রোফোন জাতীয়যন্ত্র স্তনের ওপর ধরা হয়এবং স্তনের গুটি, সিস্ট অথবা স্বাভাবিক স্তন এই পরীক্ষায় ধরা পড়ে। সব বয়সের মহিলাদের জন্য এটা একটা অত্যন্ত কার্যকর পরীক্ষা।
ফাইন নিডেল এসপিরেশন সাইটোলজি
একটি সূক্ষ্ম সুঁই দ্বারা স্তনের গুটি থেকে কিছু কোষ সরিয়ে তা অণুবীক্ষণ যন্ত্র দ্বারাপরীক্ষা করা হয়। সাধারণত এই পরীক্ষা করতে খুব একটাকষ্ট হয় না।
চিকিৎসা
একবার যখন এইচডিসি রোগ ধরা পড়ে তখন রোগিণীকে আশ্বস্ত করা যায়। রোগীর যদি উপসর্গ খুব বেশি না থাকে, কোনো ওষুধপত্রের প্রয়োজন হয় না। বেশিরভাগ মহিলার জন্য এটাই প্রযোজ্য। এইচডিসিনিজে নিজেই ভালো হয়ে যায়, তবে কয়েক মাস লাগতে পারে।
উপসর্গ যদি থেকে যায় অথবারোগী যদি উপসর্গের জন্য বেশি কষ্ট পেয়ে থাকেন তাহলে বিভিন্ন রকমের চিকিৎসা করে দেখা যেতে পারে। যেমনঃ
ইভিনিং প্রিমরোজ অয়েল ক্যাপসুল
অনেক সময় দেখা গেছে, ইভিনিং প্রিমরোজ অয়েল ক্যাপসুল খেলে স্তনের ব্যথা এবং চাকা ও শক্তভাবকমে যায়।
বিশেষ করে মাসিকের আগে যখন এসব উপসর্গ বাড়ে। সব মহিলার ক্ষেত্রে এটা কাজ না-ও করতে পারে এবং এটা কাজ করতে কয়েক সপ্তাহ লাগে। ওষুধের দামও বেশি।
কেফিন
চা অথবা কফি বেশি খেলে এইচডিসি বাড়তে পারে। চা বা কফি (যেগুলোতে কেফিন থাকে) খাওয়া কমিয়ে দিলে অনেক সময় এইচডিসি ভালোর দিকে যায়।
দুশ্চিন্তা
দুশ্চিন্তায় মাথাব্যথা, ঘুম কম হওয়া, বিরক্ত হওয়াএবং ক্লান্ত হয়ে পড়ার সাথে সাথে ম্যাস্টালজিয়াবাড়তে পারে। এই কারণে দুশ্চিন্ত কমানো প্রয়োজন। রিলাক্সেশন করায় উপকৃত হতে পারেন।
ব্রা
সঠিক ফিটিং ব্রা অনেক সময়সাহায্য করে, বিশেষ করে আপনি যদি খেলোয়াড় হন।
হরমোন থেরাপি
যদি উপসর্গ খুব বেশি হয় তাহলে হরমোন থেরাপি দেয়া যেতে পারে। মনে রাখবেন, হরমোন খাবার সময়গর্ভধারণ করা যাবে না। এইওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও আছে। তাই রোগীর খুব কষ্টনা থাকলে দেয়া হয় না।
———————
ডা. ওয়ানাইজা
চেম্বারঃ যুবক মেডিক্যালসার্ভিসেস , বাড়িঃ ১৬, রোডঃ ২৮ (পুরাতন), ১৫ (নতুন), ধানমন্ডি আবাসিক এলাকা, ঢাকা (শনি, রবি ও বৃহস্পতিবার)।

শেয়ার করে আপনার প্রিয় বন্ধু-বান্ধবীদের পড়ার সুযোগ দিন।
আপনি জেনেছেন....হয়তো সে জানেনা ।আল্লাহ আপনাকে ভাল রাখুক --আমিন ।

কোন মন্তব্য নেই :

গর্ভাবস্থায় মায়েদের আলট্রাসনোগ্রাফি

কোন মন্তব্য নেই

গর্ভাবস্থায় এক বিশেষ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে মায়ের গর্ভে ভ্রূণ বেড়ে ওঠে। আর গর্ভস্থ শিশুর বেড়ে ওঠা, তার চারপাশের অবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য আলট্রাসনোগ্রাফি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পরীক্ষা। পরীক্ষাটিনিরাপদ, এতে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই,সহজলভ্য এবং এটি বর্তমানে বেশ জনপ্রিয়।
সাধারণত যেসব কারণে আলট্রাসনোগ্রাফি করতে হয়
গর্ভধারণ হয়েছে কি না তা নিশ্চিত করা হয় আলট্রাসনোগ্রাফির মাধ্যমে। পূর্ববর্তী মাসিকের সাড়ে চার সপ্তাহের মধ্যে গর্ভাশয়ের থলে এবং পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে গর্ভাশয়ের থলের মধ্যে আরেকটি ক্ষুদ্র থলে (ইয়ক স্যাক) দেখে শনাক্ত করা যায় গর্ভধারণ হয়েছে কি না। আর সাড়ে পাঁচ সপ্তাহ পর ভ্রূণ দেখা যায়।
হৃৎপিণ্ডের চলাচল পর্যবেক্ষণ
গর্ভধারণ করার পর ছয় সপ্তাহের মধ্যে পালস ডপলার সনোগ্রাফির মাধ্যমে ভ্রূণের হৃৎপিণ্ডের চলাচল বোঝা যায় এবং সাত সপ্তাহের মধ্যে সাধারণ গ্রে-স্কেলআলট্রাসনোগ্রাফি যন্ত্রেও (যার মাধ্যমে শরীরের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন অঙ্গ ও টিস্যু দেখা হয়) ধরা যায়। আবার সাত মিলিমিটার উচ্চতার ভ্রূণের হৃৎপিণ্ডের চলাচল বুঝতে না পারলে ভ্রূণের মধ্যে প্রাণ নেই বলে সন্দেহ করতে হবে। তবেঅতিরিক্ত সতর্কতা হিসেবেএর সাত থেকে ১০ দিন পর পুনরায় আলট্রাসনোগ্রাফির মাধ্যমে ভ্রূণের হৃৎস্পন্দন আছে কি না তা নিশ্চিত হওয়া উচিত। এখানে বলে রাখা দরকার, আধুনিক উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন আলট্রাসনোগ্রাফি যন্ত্রের সাহায্যে অপেক্ষাকৃত কম বয়সের ভ্রূণ শনাক্ত এবং সঙ্গে হৃৎস্পন্দনও বোঝা যায়।
ভ্রূণের বয়স নির্ধারণ
ভ্রূণের উচ্চতা, মাথার দুই প্রান্তের দূরত্ব, পায়ের বড় অস্থি ভ্রূণের বয়সের সঙ্গে সুনির্দিষ্টসামঞ্জস্য রেখে বৃদ্ধি পায়। আর আলট্রাসনোগ্রাফির মাধ্যমে এই পরিমাপগুলো নিয়েই ভ্রূণের বয়স নির্ধারণ করা হয়। পেটের পরিধির মাপ, পায়ের বড় অস্থি এবং মাথার দুই প্রান্তের দূরত্ব দিয়ে ভ্রূণের ওজন সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা পাওয়া যায়।
গর্ভস্থ শিশুর বিভিন্ন বিকৃতি
আলট্রাসনোগ্রাফির সাহায্যে গর্ভস্থ শিশুর বিকৃতি নির্ণয় করা যায়। যেমন, মাথায় অতিরিক্ত পানি জমা, মাথাবিহীন ভ্রূণ, খর্বাকৃতি, মেরুদণ্ডের বিকৃতি, হৃৎপিণ্ডের সমস্যা, প্রস্রাবের থলের বা নালির সমস্যা, ঠোঁট ও মুখের তালুর সমস্যা ইত্যাদি।
গর্ভফুলের অবস্থান জানা
গর্ভকালীন সময়ে তৈরি হয় গর্ভফুল, যা জরায়ুর ভেতরের দেয়ালে লেগে থাকে। মা ও ভ্রূণের যোগাযোগ এই গর্ভফুলের মাধ্যমে হয়। গর্ভফুল জরায়ুর কোন অবস্থানে আছে তা জানা গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভফুল জরায়ুর নিচের দিকে থাকলে এ অবস্থাকে বলা হয় প্লাসেন্টা প্রিভিয়া।
এসব ক্ষেত্রে গর্ভকালীন প্রচুর রক্তপাত হতে পারে। গর্ভফুল নিজেই স্বাভাবিক প্রসবের রাস্তা বন্ধ করে দিতে পারে। আলট্রাসনোগ্রাফি করে গর্ভফুলের অবস্থান নির্ণয় করা হয়।
ভ্রূণের সংখ্যা নির্ণয়
ভ্রূণের সংখ্যা এক, দুই, তিন বা এর চেয়ে বেশি হতে পারে। আলট্রাসনোগ্রাফি করেই ভ্রূণের সংখ্যা নির্ণয় করা হয়।
গর্ভাশয়ের পানির পরিমাণ বের করা
গর্ভাশয়ের থলে তরল দিয়ে পূর্ণ থাকে। এই তরলকে বলাহয় অ্যামনিয়টিক ফ্লুইড। এই তরলের মধ্যেই ভ্রূণ ডুবে থাকে। গর্ভাশয়ের থলের তরলের পরিমাণ খুব কমে গেলে বা বেশি হয়ে গেলে তা ক্ষতিকর। আলট্রাসনোগ্রাফির সাহায্যে এই পানির পরিমাণ নির্ধারণ করা যায়।
এগুলো ছাড়াও গর্ভস্থ শিশুর প্রতি মিনিটে শ্বাস-প্রশ্বাসের সংখ্যা, হৃৎস্পন্দনসহ ভ্রূণের বাহ্যিক অবস্থা, জরায়ুর ভেতরই ভ্রূণের মৃত্যু (আইইউএফডি), জরায়ুর বাইরে ভ্রূণের অবস্থান, ব্লাইটেড ওভাম (গর্ভাশয়ের থলের ব্যাস ২৫ মিলিমিটার বা এর বেশি কিন্তু ভ্রূণের অনুপস্থিতি) ইত্যাদিও আলট্রাসনোগ্রাফি করলে বোঝা যায়।
ডপলার আলট্রাসনোগ্রাফি পরীক্ষা
এটি হচ্ছে বিশেষ ধরনের আলট্রাসনোগ্রাফি, যার মাধ্যমে রক্তনালিতে রক্তের প্রবাহের দিক এবং রক্তের গতিপ্রকৃতি নির্ণয় করা যায়। এর মাধ্যমে সাধারণত ভ্রূণেররক্তনালিগুলো পর্যবেক্ষণ করা হয়, যেমন হৃৎপিণ্ডের প্রকোষ্ট, হৃৎপিণ্ড থেকে বের হওয়া প্রধান ধমনি, মস্তিষ্কের রক্ত সরবরাহকারী ধমনি, জরায়ুর ভেতরের রক্তনালি, বড় শিরা, যা হৃৎপিণ্ডে প্রবেশ করে। হৃৎপিণ্ডের ত্রুটি, রক্তশূন্যতা, অক্সিজেন-স্বল্পতা ডপলারঅতিশব্দ পরীক্ষার মাধ্যমে বোঝা যায়। ত্রিমাত্রিক ও চতুর্মাত্রিক সনোগ্রাফির মাধ্যমে ভ্রূণের ত্রিমাত্রিক ছবিমনিটরে দেখা যায়।
কখন আলট্রাসনোগ্রাফি পরীক্ষা করতে হবে
গর্ভাবস্থায় আলট্রাসনোগ্রাফি বা অতিশব্দ পরীক্ষা করার কোনো নির্ধারিত সময়সূচি নেই। কোনো সমস্যা বা সন্দেহ থাকলে পরীক্ষাটা করতে হবে। গর্ভধারণ করার সাত সপ্তাহ পর আলট্রাসনোগ্রাফি করলে গর্ভস্থ শিশুকে দেখা যায় এবং হৃৎপিণ্ডের চলাচল বোঝা যায়। ১১ থেকে ১৪ সপ্তাহের মধ্যে নাকের হাড় এবং ঘাড়ের পেছনের দিকের পানিপূর্ণ থলে দেখা হয়, যার মাধ্যমে মানসিক ও শারীরিক ত্রুটিযুক্ত শিশু প্রসবের আশঙ্কা থাকলে তা বোঝা যায়। ১৮ থেকে ২০ সপ্তাহের দিকে ভ্রূণের গঠনগত ত্রুটিগুলো ভালোবোঝা যায়। ৩২ সপ্তাহের সময় সাধারণত ভ্রূণের বৃদ্ধি, ওজন,বাহ্যিক অবস্থা দেখা হয়। আগে করা সনোগ্রাফিগুলোতে কোনো ত্রুটি সন্দেহ করলে এ পর্যায়ে তা মিলিয়েদেখা হয়। ২৪ সপ্তাহের পর গর্ভস্থ শিশুর লিঙ্গ নির্ধারণ করা যায়। তবে চিকিৎসা-সংক্রান্ত বিশেষকারণ ছাড়া লিঙ্গ উল্লেখ না করাই ভালো। বিশ্বের অনেক দেশেই গর্ভস্থ শিশুর লিঙ্গ উল্লেখ না করার বিষয়ে আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।
আছে কিছু ক্ষতিকর দিক
এক্স-রে, সিটিস্ক্যান ইত্যাদি পরীক্ষায় উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন রশ্মি ব্যবহার করা হয়, যাশরীরের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু আলট্রাসনোগ্রাফিতে অতিশব্দ তরঙ্গ ব্যবহার করা হয়। এই তরঙ্গের উল্লেখ করার মতো ক্ষতিকর দিক এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। এটাও বলে রাখা ভালো যে সনোগ্রাফির মাধ্যমে তথ্য পাওয়ায় ক্ষেত্রে একটা ভালো যন্ত্র থাকা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনিভাবে যিনি পরীক্ষাটি করছেন তাঁর দক্ষতাও রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।
এ ছাড়া পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই বলে গর্ভাবস্থায় ঘন ঘন আলট্রাসনোগ্রাফি করা ঠিক নয়। নির্দিষ্ট কারণে বা কোনো তথ্যের প্রয়োজন হলেই চিকিৎসকেরপরামর্শ নিয়ে পরীক্ষাটি করানো উচিত।

কোন মন্তব্য নেই :

কর্মজীবী মায়েদের জন্য

কোন মন্তব্য নেই
কর্মজীবী মায়েরা কর্মক্ষেত্রে থাকা অবস্থায়ও শিশুর ছয় মাস বয়স পর্যন্ত শুধু বুকের দুধ খাওয়ানো চালিয়ে যেতে পারেন বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। বুকের দুধ চিপে বের করে বাড়িতে সংরক্ষণ করে তা শিশুকে খাওয়ানো যায়। এ দায়িত্ব পালন করতে হবে বাড়িতে শিশুকে যিনি দেখাশোনা করবেন, তাঁকে। তাঁকে শিশুর জন্য মায়ের বুকের দুধের উপকারিতা কতটুকু তাও বোঝাতে হবে।
বাংলাদেশ ব্রেস্টফিডিং ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা জানান, একজন কর্মজীবী মা বাড়িতে ১০ আউন্স (৩০০ মিলিলিটার) পর্যন্ত দুধ বের করে রেখেযেতে পারেন। বাংলাদেশ ব্রেস্টফিডিং ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এবং আইসিডিডিআরবির জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এস কে রায় প্রথম আলোকে বলেন, যেসব কর্মজীবী মা দিনের সাত থেকে আট ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকেন, সেই সময়ের জন্য ৩০০ মিলিলিটার পরিমাণ দুধ বাচ্চার জন্য যথেষ্ট। তবে মা কর্মক্ষেত্র থেকে ফিরে শিশুকে বারবার বুকের দুধ খাওয়াবেন। রাতের বেলায়ও শিশুকে পর্যাপ্ত পরিমাণে বুকের দুধ দিতে হবে। এতে করে বুকে দুধের পরিমাণ বেশি হবে এবং ছয় মাস বয়স পর্যন্ত শিশুর খাবারের চাহিদা পুরোপুরি পূরণ হবে। এর পর থেকে বুকের দুধের পাশাপাশি বাড়িতে তৈরি পারিবারিক খাবারে শিশুকে অভ্যস্ত করে তুলতে হবে। বাংলাদেশ ব্রেস্টফিডিং ফাউন্ডেশনের দেওয়া তথ্যমতে, হাতের সাহায্যে অথবা ব্রেস্ট পাম্পের সাহায্যে দুধ বের করে সংরক্ষণ করা যায়। হাতের সাহায্যে দুধ বের করার পদ্ধতি সহজ, ঝামেলামুক্ত ও নিরাপদ। ব্রেস্ট পাম্পের সাহায্যে দুধ বের করার বিপক্ষে থাকেন চিকিৎসকেরা। যেভাবেই হোক, চিপে বের করা দুধ সাধারণ তাপমাত্রায় ছয় থেকে আট ঘণ্টা রাখা যায়। অন্যদিকে ফ্রিজ ব্যবহার করলে ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত বুকের দুধ ভালো থাকে। তবে চিপে রাখা দুধ শিশুকেখাওয়ানোর আগে ভালো করে ঝাঁকিয়ে নিতে হবে। ফ্রিজ থেকে বের করে একটি গরম পানির পাত্রের ওপর দুধের পাত্রটি রেখে একটু গরম করে নিতে হবে। অক্সিটোসিন নামের হরমোনটি মায়ের বুকে তৈরি হওয়া দুধকে বের করতেসাহায্য করে। তাই এ হরমোনটি তৈরি হওয়াও জরুরি। শিশুকে বারবার দুধ খাওয়ানো হলে মায়ের বুকে দুধ বেশি তৈরি হয়। তাই কর্মজীবী মায়েদের কর্মস্থলে থাকা অবস্থায়ওবুকের দুধ চিপে বের করে সংরক্ষণ করতে হবে।
মায়ের প্রস্তুতিঃ কাজে যোগ দেওয়ার আগে থেকেই মাকে এ বিষয়ে বিশেষ প্রস্তুতি নিতে হবে। শিশুকে এবং তাকে যিনি দেখবেন তাঁকে বিষয়টিতে প্রস্তুত করাও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে বড় মুখের ঢাকনাসহ পাত্র নিয়ে মাকে নিশ্চিন্ত মনে আরাম করে বসতে হবে। তাড়াহুড়ো করলে ভালোভাবে দুধ বের হবে না। বাড়িতে থাকা অবস্থায় দুধ বের করার সময় সন্তানকে কাছে রাখতে হবে,তার কথা ভাবতে হবে, কোলেনিতে হবে অথবা তাকে দুধ খাওয়াতে হবে। আর কর্মক্ষেত্রে শিশুর কথা ভাবার পাশাপাশি শিশুর ছবিও দেখতে পারেন মায়েরা। তোয়ালে গরম পানিতে ভিজিয়ে স্তনে পেঁচিয়ে রাখা, মালিশ করারপাশাপাশি পানি, দুধ বা শরবত খেতে হবে। বাড়িতে দুধ সংরক্ষণের জন্য মায়েদের অনেক সময় ব্যয় করতে হবে দুধ বের করার কাজে। তাই এ সময় পরিবারেরঅন্য সদস্যদের সহযোগিতার পাশাপাশি মাকেও অনেক বেশি ধৈর্য ধরতে হবে সন্তানের কথা চিন্তা করে।
দুধ বের করার পদ্ধতিঃ বাংলাদেশ ব্রেস্টফিডিং ফাউন্ডেশনের হ্যান্ডবুকে দেওয়া তথ্যমতে, মায়ের বুকে দুধ জমা হওয়ার পর স্তনের কালো অংশের নিচে এসে জমাহয়। সে জন্য দুধ বের করারসময় আঙ্গুলের চাপ যাতে বোঁটার চারদিকে কালো অংশের ওপর পড়ে, তা খেয়াল রাখতে হবে। আঙ্গুল ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে পুরো কালো অংশ থেকে দুই স্তনের দুধ বের করতে হবে।বাংলাদেশ ব্রেস্টফিডিং ফাউন্ডেশনের মতে, স্তনের পেছন দিকের অংশের ত্বকে পুরো হাতে চাপ দিয়ে দুধ বের করা ঠিক নয়। হাতের বুড়ো আঙ্গুল স্তনের বোঁটার চারপাশের কালো অংশের ওপর এবং তর্জনী নিচে রাখতে হবে। অন্য আঙ্গুলগুলো দিয়ে স্তনেরনিচের দিকের ভার নিতে হবে। তর্জনী ও বুড়ো আঙ্গুল দিয়ে কালো চামড়া একটু পেছন দিকে টেনে নিয়েচাপ দিয়ে ছেড়ে দিতে হবে। এভাবে বারবার করার সময় খেয়াল রাখতে হবে, যাতে স্তনের বোঁটায় চাপ না লাগে।
দুধ সংরক্ষণঃ বড় মুখের ঢাকনাওয়ালা কয়েকটি পাত্রে দুধ সংরক্ষণ করতে হবে। পাত্রগুলো ভালো করে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে নেওয়ার জন্য পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। মায়েরা যদি সাত থেকে আট ঘণ্টা বাইরে থাকেন, তখন তিন থেকে চারবার শিশুকে খাওয়ানোরজন্য পৃথক পাত্রে দুধ সংরক্ষণ করতে হবে। বিভিন্ন সময়ে চিপে রাখা দুধ বিভিন্ন পাত্রে নম্বর দিয়ে অথবা বিভিন্ন রং দিয়ে চিহ্নিত করে রাখতে হবে। আগে চিপে রাখাদুধ আগে খাওয়াতে হবে।
খাওয়ানোর নিয়মঃ সংরক্ষিত দুধ কাপে অথবা চামচ দিয়ে খাওয়ানোর জন্য পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। শিশুর মুখে একবার বোতল দিলে শিশু আরবুকের দুধ চুষে খেতে চায় না।
সব মায়েরই জেনে রাখা ভালোঃ কর্মজীবী মা ছাড়াও এ পদ্ধতি যেকোনো সময় যেকোনো মায়ের প্রয়োজন হতে পারে।প্রত্যাশিত সময়ের আগে সন্তান জন্ম নিলে, শিশু দুর্বল ও অসুস্থ থাকলে চুষে দুধ খেতে পারে না। মা অসুস্থ থাকলেও এ পদ্ধতিতে সন্তানকে দুধ খাওয়াতে পারেন মায়েরা। মায়ের বুকে অতিরিক্ত দুধ জমে ভারী হয়ে গেলে এ পদ্ধতি ব্যবহার করে মায়েরা আরাম পেতে পারেন।
মানসুরা হোসাইন

শেয়ার করে আপনার প্রিয় বন্ধু-বান্ধবীদের পড়ার সুযোগ দিন।
আপনি জেনেছেন....হয়তো সে জানেনা ।আল্লাহ আপনাকে ভাল রাখুক --আমিন ।

কোন মন্তব্য নেই :

শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর পদ্ধতি

কোন মন্তব্য নেই
শিশুকে পর্যাপ্ত পরিমাণেবুকের দুধ খাওয়ানোর জন্য দুধ পানের সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করা একান্ত জরুরি। মা শিশুকে নিয়ে কীভাবে বসেছেন, কী পদ্ধতিতে খাওয়াচ্ছেন তা সঠিক হওয়া দরকার। মায়ের বুকে শিশুর সঠিক স্থাপন এবং মা ও শিশুর সঠিক অবস্থান নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
সঠিক অবস্থান
মা ও শিশুর সঠিক অবস্থান বলতে আমরা বুঝি, মা শিশুকে কোলে নিয়ে নিশ্চিত আরামে বসে বা শুয়ে খাওয়াতে পারেন। শুয়ে খাওয়াতে চাইলে মা শিশুকে নিজের দিকে যথাসম্ভব বুকের কাছাকাছিটেনে নেবেন যেন শিশুর পেট, বুক মায়ের পেট ও বুকের সঙ্গে লাগানো থাকে এবং শরীরের পেছন অংশসরলরেখায় থাকে।
বসে খাওয়ানোর সময়
মা বসে খাওয়ালে সোজা হয়েপিঠের পেছনে একটি বালিশ নিয়ে বসবেন, যাতে কোমর বাঁকা না হয় এবং হাতের নিচে একটি বালিশ দেবেন, যাতে হাত ঝুলে না থাকে।
পিঠে বালিশ না দিলে কোমরবাঁকা করে সামনে বা পেছনেঝুঁকে বসলে মা বেশিক্ষণ বসে থাকতে পারবেন না, তাতে দুধ আসতে বাধা পাবে।শিশু পুরোপুরি দুধ শেষ না করে খেলে পরবর্তী দুধ তৈরিতে বাধা হবে। তাই এক স্তন খালি না করে শিশুকে অন্য স্তনে ছাড়িয়ে নেওয়া উচিত নয়। শিশু যতক্ষণ না ছেড়ে আসবে, ততক্ষণ খাওয়াতে হবে।
লক্ষ করুন
মায়ের কোলে শিশুকে পুরোপুরি তাঁর দিকে ঘুরিয়ে নিয়ে যথাসম্ভব বুকের কাছাকাছি নেবেন, যেন শিশুর পেট মায়ের পেটেএবং শিশুর বুক মায়ের বুকেলেগে থাকে। শিশুর হাড়, পিঠ ও পেছন যেন একটি সরলরেখায় থাকে অর্থাৎ শিশুকে যেন ঘাড় বাঁকা করতে না হয়। ঘাড় বাঁকানোঅবস্থায় শিশু আরাম করে পেট ভরে খেতে পারে না বলেসে আগেই স্তন ছেড়ে দেয়। মা ইচ্ছে করলে শিশুর ঘাড়ের নিচে হাত দিতে পারেন। কিন্তু কখনোই মাথায় হাত দেওয়া যাবে না।
পরবর্তী পদক্ষেপ
শিশুকে এভাবে সঠিক অবস্থানে রেখে মা স্তনের বোঁটা শিশুর ওপরের ঠোঁটে কয়েকবার লাগাবেন, এতে শিশু বড় করে হাঁ করবে। এ সময় বোঁটাসহ স্তনের কালো অংশ শিশুর মুখে দিতে হবে। কেননা পেছনের কালো অংশের মধ্যে দুধ জমা থাকে।
শুধু বোঁটা মুখে নিয়ে চুষলে শিশু দুধ পাবে না বরং মা বোঁটায় আঘাত পাবেন।
এ রকম করে দুধ খাওয়ালে শিশু ঠিকমতো দুধ পাবে। শিশুর জন্মের পরপর কয়েকবার এ পদ্ধতি অনুসরণ করলে পরে শিশুকে বুকের কাছে নেওয়া মাত্রই সে বুকের সঠিক স্থান চুষে খেতে পারবে।
যত তাড়াতাড়ি শিশুকে সঠিক পদ্ধতিতে বুকের দুধ পান শেখানো যাবে, তত তাড়াতাড়ি শিশু সঠিকভাবে বুকের দুধ খেতে সফল হবে এবং সুস্থ থাকবে।
প্রণব কুমার চৌধুরী


শেয়ার করে আপনার প্রিয় বন্ধু-বান্ধবীদের পড়ার সুযোগ দিন।
আপনি জেনেছেন....হয়তো সে জানেনা ।আল্লাহ আপনাকে ভাল রাখুক --আমিন ।

কোন মন্তব্য নেই :

ডিম্বাশয়ের সব সিস্টই টিউমার নয়

কোন মন্তব্য নেই
আলট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টে ডিম্বাশয়ের সিস্ট ধরা পড়েছে। রোগী দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। কী হবে এখন? ক্যান্সার হলো না তো? অস্ত্রোপচার করতে হবে? ইত্যাদি প্রশ্ন করেন চিকিৎসককে। এ রকম চিত্র খুবই সাধারণ।সিস্ট যে শুধু ডিম্বাশয়ে হয় তা নয়, এটি শরীরের যেকোনো অঙ্গে হতে পারে। সহজ ভাষায় সিস্ট বলতে বোঝায় পানি বা তরলভর্তি থলে।
ডিম্বাশয়ে নানা কারণে সিস্ট হতে পারে। প্রথমত, ডিম্বাশয়ের কর্মকাণ্ড শরীরের যেসব গ্রন্থি নিয়ন্ত্রণ করে সেগুলোর মধ্যে সমন্বয়হীনতা। এর ফলে স্বাভাবিক ডিম্বস্কোটন না হয়ে সিস্ট তৈরি হয়। এগুলোকে বলা হয় ফিজিওলজিক্যাল বা ফাংকশনাল সিস্ট। দ্বিতীয়ত, প্রদাহ। ডিম্বাশয়ের প্রদাহের অন্যতম কারণ হলো সংক্রমণ। তবে অন্য কারণেও প্রদাহ হতে পারে; যেমন-তলপেটে পূর্ববর্তী অস্ত্রোপচার। তাই একটি বিষয় পরিষ্কার বোঝা যায়,সব ডিম্বাশয়ের সব সিস্ট কিন্তু টিউমার নয়।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি হয়েথাকে ফাংকশনাল ওভারিয়ান সিস্ট। এগুলোর বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, সাধারণত পাঁচ সেন্টিমিটার বা এর চেয়ে ছোট আকারের হয়; কখনো কখনো মাসিকের সাময়িক সমস্যা হতে পারে এবং কিছুদিন পর আপনা-আপনি মিলিয়ে যায় বা ভালো হয়ে যায়। সাধারণত রোগীকে তিন মাস ‘বড়ি’ খেতে পরামর্শ দেওয়া হয় এবং এরপর আলট্রাসনোগ্রাম করালে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে প্রতিবেদন স্বাভাবিক পাওয়া যায়। ফাংকশনাল ওভারিয়ান সিস্টের রোগীরা খুব সহজেই অপচিকিৎসার শিকার হতে পারেন, অর্থাৎ ‘টিউমার’ অপারেশনে রাজি হয়ে অতীব জরুরি অঙ্গটি অকালে হারাতে পারেন।
এ ক্ষেত্রে সচেতনতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। টিউমারের কারণে যে সিস্ট হয়, সেগুলোর আকার অপেক্ষাকৃত বড়। তাই বড় আকারের সিস্টগুলোকে সরাসরি ওভারিয়ান টিউমার হিসেবে অভিহিত করাই যুক্তিযুক্ত। এই সিস্টগুলো ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করা যায় না, অস্ত্রোপচার করাতে হয়। অস্ত্রোপচারের কথা শুনেই ঘাবড়ে যাওয়ার কোনো কারণ নেই।
চিকিৎসক যদি ক্যান্সার সন্দেহ না করেন, তবে আজকাল ল্যাপারোস্কোপির মাধ্যমে এসব সিস্ট (টিউমার) অস্ত্রোপচার করলে রোগী সেদিন বা পরদিনই বাড়ি ফিরতে পারেন। রোগীর বয়স কম হলেএবং টিউমার যদি নির্দোষ প্রকৃতির হয়, তবে বেশির ভাগ সময়ই ডিম্বাশয়কে সঠিকভাবে সংরক্ষণ করে শুধু সিস্টটুকু অপসারণ করা হয়।
শরীরের নারীসুলভ কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে ডিম্বাশয়ের ভূমিকা অনেক।বর্তমানে আলট্রাসনোগ্রাফি যন্ত্র গ্রামাঞ্চলের ছোট ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতেও পৌঁছে গেছে।
আলট্রাসনোগ্রাফি যন্ত্রে সম্ভবত সবচেয়ে বেশি করা হয়ে থাকে তলপেটের পরীক্ষা। এর ফলে শুরুতেই ওভারির অনেক সমস্যা ধরা পড়ে। রোগ ধরাপড়ার পরই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াউচিত।
মো· এনামুল হক
স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ও ল্যাপারোস্কোপিক সার্জন
সূত্রঃ দৈনিক প্রথম আলো

শেয়ার করে আপনার প্রিয় বন্ধু-বান্ধবীদের পড়ার সুযোগ দিন।
আপনি জেনেছেন....হয়তো সে জানেনা ।আল্লাহ আপনাকে ভাল রাখুক --আমিন ।

কোন মন্তব্য নেই :

নারীস্বাস্থ্য সমস্যা

কোন মন্তব্য নেই
সমস্যা: আমার বয়স ২২ বছর।ওজন ৪০ কেজি। স্বাস্থ্য শুকনো। সমস্যা হচ্ছে, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হয়। প্রায় সময় তলপেটে ব্যথা হয়। কোমরে ব্যথা হয়। ঘন ঘন প্রস্রাব হয়। প্রস্রাব বেশি হলেও মনে হয় ব্লাডার খালি হচ্ছে না। মাঝেমধ্যে প্রস্রাবেব্যথা হয়। প্রস্রাবের রাস্তায় চুলকানি হয়। বমি বমি ভাব হয়, ক্ষুধা লাগে না। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর গাঢ় হলুদ রঙের প্রস্রাব হয়। সারা দিন পানি খাওয়ার পর তা ঠিক হয়। প্রায় তিন বছর আগে আমার জন্ডিস হয়েছিল। আমি যথেষ্ট পানি পান করি।আমার গ্যাসট্রিকের সমস্যা আছে। এ ছাড়া মাসিকের সময় তলপেটে ভীষণ ব্যথা হয় এবং রক্তক্ষরণ বেশি হয়। অনেক ডাক্তার দেখিয়েছি। রক্ত ও প্রস্রাব পরীক্ষা করিয়েছি। কিন্তু কোনো রোগই ধরা পড়ছে না। ওজন সবসময় ৪০ কেজি থাকে। তবে মাঝেমধ্যে কমে যায়। সমস্যা নিয়ে আমি খুব চিন্তিত। ভয় হয়, আমার বড় ধরনের কোনো রোগ আছে কি না!
নাম-ঠিকানা প্রকাশে অনিচ্ছুক।
পরামর্শ: সব সময় প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হওয়া তো ভালো লক্ষণ নয়। আপনি যদি যথেষ্ট পানি পানকরেন এবং প্রস্রাবে ইনফেকশনও না থাকে, তবে কেন জ্বালাপোড়া হবে? আপনি যদি ঢাকার বাসিন্দা হয়ে থাকেন, তবে আইসিডিডিআরবি থেকে একবারপ্রস্রাবের কালচারসহ পরীক্ষা করান এবং রিপোর্টসহ কোনো কিডনি বিশেষজ্ঞের সঙ্গে চিকিত্সার বিষয়ে কথা বলুন। ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া, ব্লাডার খালি না হওয়ার অনুভূতি, মাঝেমধ্যে ব্যথা হওয়া—এর সবই প্রস্রাবে ইনফেকশন থাকার লক্ষণ। আপনার রক্তে বিলিরুবিনেরমাত্রা পরীক্ষা করাবেন। পেটে গ্যাস হলে বমি বমি ভাব ও খাবারে অরুচি হতে পারে।
সে ক্ষেত্রে অ্যান্টাসিডট্যাবলেট বা সিরাপ খেতে পারেন। চুলকানির জন্য প্রথমে ক্যাপসুল ‘লুকান-আর’ ১৫০ মিলিগ্রাম একটি সেবন করুন। এতে চুলকানি না কমলে ক্যাপসুলটি প্রতি সপ্তাহে একটি করে আরও চার সপ্তাহ সেবন করুন। এ ছাড়া ট্যাবলেট অরনিড ৫০০ মিলিগ্রাম একটি করে দুই বেলা তিন দিন খাবেন। কুসুম গরমপানির সঙ্গে অল্প লবণ মিশিয়ে আক্রান্ত স্থান ধুয়ে ক্লোট্রিম ক্রিম লাগাবেন ১৫ দিন। সিনথেটিক অন্তর্বাস না পরাই ভালো। না সারলে ডায়াবেটিস আছে কি না পরীক্ষা করবেন। মাসিকের সময় ব্যথার কারণে ট্যাবলেট এইচপিআর দিনে তিনবার ভরাপেটে এবং ট্যাবলেট ভিসেট ৫০ মিলিগ্রাম দিনে তিনবার খেতে পারেন। বেশি রক্তস্রাব কমানোর জন্য মাসিকের শুরুতেই ক্যাপসুল ট্রাক্সিল ৫০০ মিলিগ্রাম একটি করে তিনবার খেতে পারেন যে কদিন প্রয়োজন। শেষ কথা হচ্ছে, আপনার দুশ্চিন্তা না কমলে কিছুতেই আপনি সুস্থ হতে পারবেন না।
রওশন আরা খানম
স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিশেষজ্ঞ
সহকারী অধ্যাপক, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, ঢাকা।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো

শেয়ার করে আপনার প্রিয় বন্ধু-বান্ধবীদের পড়ার সুযোগ দিন।
আপনি জেনেছেন....হয়তো সে জানেনা ।আল্লাহ আপনাকে ভাল রাখুক --আমিন ।

কোন মন্তব্য নেই :

বেশী বয়সে সন্তান ধারণে বেশীদিন বাঁচা যায়

কোন মন্তব্য নেই
বেশী বয়সে বিয়ে হলে সন্তান ধারণে সমস্যা হবে এই ধারণায় বশবর্তী হয়ে অনেকেই অল্প বয়সে বিয়ে করে নেন৷ তবে এ ধারনা একেবারেই ভ্রান্ত৷ চল্লিশের উপর বা পঞ্চাশ বছর বয়সে যে সব মহিলারা সন্তানের জন্ম দেন তাদের আয়ু অন্য সেসব মহিলাদের থেকে অনেক বেশী হয় যারা অল্প বয়সে সন্তানের জন্ম দেন৷ কিছুদিন আগেই রিসার্চে এই তথ্য প্রমাণিত হয়েছে৷
এই রিসার্চে প্রমানিত হয়েছে 45 বছর বয়সের পর যদি আপনার সন্তান হয় তাহলে আপনি অনেকদিন বাঁচতে পারবেন৷ এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে অধ্যাপক কেন.আর.স্মিথ জানান, ‘যদি আপনার পরিবারের কোন মহিলা বেশী বয়সে সন্তানের জন্ম দেন তাহলে তাঁর বেশীদিন বাঁচার সম্ভাবনা থাকবে৷’
সূত্রঃ ওয়েবদুনিয়া.কম


শেয়ার করে আপনার প্রিয় বন্ধু-বান্ধবীদের পড়ার সুযোগ দিন।
আপনি জেনেছেন....হয়তো সে জানেনা ।আল্লাহ আপনাকে ভাল রাখুক --আমিন ।

কোন মন্তব্য নেই :

প্রথম সন্তানের পর দ্বিতীয় সন্তানে ব্যবধানরাখুন

কোন মন্তব্য নেই
প্রথম সন্তান হবার এক বছরের মধ্যেই যদি আপনি দ্বিতীয় সন্তান লাভ করতে চান তা আপনাকে শারীরিক ভাবে দূর্বল করার পাশাপাশি আপনার ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেবে৷ কিছুদিন আগেই লন্ডনে এক গবেষণাতে তা প্রমানিত হয়েছে৷
এক্ষেত্রে গবেষকরা 30,000 মহিলাকে নিয়ে গবেষণা করেছিলেন৷ তাতে বেশীরভাগ মহিলাই যারা প্রথম সন্তান লাভের 12 মাসের মধ্যে আবার মা হয়েছেন তারাই ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন৷ তবে এর পিছনে কি কারণ রযেছে? গবেষকরা তা স্পষ্ট না জানালেও তারা অনুমাণ করছেন হরমোন গঠিত কারণেই জন্য এতে ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়৷
অপরদিকে গবেষকদের মতে যে সব মহিলাদের ওজন বেশী থাকে বা যে সব মহিলারা শিশুকে স্তন পান করান না তাদের ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশী থাকে৷
সূত্রঃ ওয়েবদুনিয়া.কম

শেয়ার করে আপনার প্রিয় বন্ধু-বান্ধবীদের পড়ার সুযোগ দিন।
আপনি জেনেছেন....হয়তো সে জানেনা ।আল্লাহ আপনাকে ভাল রাখুক --আমিন ।

কোন মন্তব্য নেই :

নারীস্বাস্থ্য সমস্যা – অনিয়মিত মাসিক

কোন মন্তব্য নেই
সমস্যা: আমার বয়স ২১। অবিবাহিত। আমার অনিয়মিত মাসিক সমস্যা। প্রায় দুই বছর ধরে দু-তিন মাস পর মাসিক হচ্ছে। আমি দুজন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞকে দেখিয়েছি। প্রথম জন তিন মাস আয়রন জিফক্স খেতে বলেছিলেন এবং দুই মাস খাওয়ার পর মাসিক হয় এবং পরের মাসেও হয়, তাই আর ওষুধ খাইনি।
কিন্তু এর পর থেকে আবার সমস্যা হয়। দ্বিতীয়বার আরেকজন বিশেষজ্ঞকে দেখালে তিনি আমাকে আল্ট্রাসনোগ্রাফ, রক্ত পরীক্ষা করিয়ে কোনো সমস্যা পাননি। তিনি আমাকে সাত দিন নরকুলেট খেতে বলেন। খাওয়ার পর মাসিক হয় এবং পরের মাস থেকে আবার সমস্যা দেখা দেয়। ওষুধ খেলে মাসিক হয়।
আপা, আমি এর স্থায়ী সমাধান চাই। আমার মাসিক হওয়ার আগে বা পরে কোনো ব্যথা বা অসুস্থতা অনুভব করি না। আগে মাসিক সাত দিন হতো, এখন চার দিন হয়। খুব বেশি রক্ত যায় না। কিছুতেই স্বস্তি পাচ্ছি না। আপনি সমাধান দিয়ে আমার মানসিক কষ্ট দূর করবেন আশা করি।
মনি
ঠিকানা প্রকাশে অনিচ্ছুক
পরামর্শ: তোমার অনিয়মিত মাসিক হচ্ছে। এটা মেয়েদের সাধারণ সমস্যার একটি। চিঠিতে তোমার ওজন ওউচ্চতা লেখনি। অনিয়মিত মাসিকের সঙ্গে স্থূলতার একটা সম্পর্ক রয়েছে। আয়রন ট্যাবলেট মাসিক নিয়মিত করার ওষুধ নয়। ট্যাবলেট নরকুলেট খেলে শুধু ওই মাসেই তোমার উইথড্রল ব্লিডিং হবে, কিন্তু এটা কোনো স্থায়ী সমাধান দেবে না। তোমার রক্তের কী পরীক্ষা করিয়েছে তাও জানাওনি। রক্তে হরমোনের মাত্রা পরীক্ষা করা জরুরি। ওজন বেশি থাকলে ওজনও কমাতে হবে। হরমোন পরীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী চিকিত্সা নিলে স্থায়ী সমাধান পাবে বলে আশা করি। তুমি স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ অথবাহরমোন বিশেষজ্ঞের সঙ্গেওআবার যোগাযোগ করতে পারো।
পরামর্শ দিয়েছেন
রওশন আরা খানম
সহকারী অধ্যাপক, স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিভাগ
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল ঢাকা।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো,


শেয়ার করে আপনার প্রিয় বন্ধু-বান্ধবীদের পড়ার সুযোগ দিন।
আপনি জেনেছেন....হয়তো সে জানেনা ।আল্লাহ আপনাকে ভাল রাখুক --আমিন ।

কোন মন্তব্য নেই :

অ্যাক্টোপিক প্রেগনেন্সির আধুনিক চিকিত্সা

কোন মন্তব্য নেই
কেস স্টাডি-১: রোগী নিজেইএকজন চিকিত্সক। দেড় মাস মাসিক বন্ধ থাকার পর আলট্রাসনোগ্রাম করিয়ে দেখলেন তাঁর বাম টিউবে অ্যাক্টোপিক প্রেগনেন্সি হয়েছে। ভয়ানক ব্যাপার! কারণ অ্যাক্টোপিক প্রেগনেন্সির একমাত্র চিকিত্সা হলো অস্ত্রোপচার। সে রাতেই ল্যাপারোস্কপ যন্ত্র দিয়ে তাঁর অসুস্থ টিউবটি কেটে বের করে আনা হলো এবংটিউবটি ফেটে গিয়ে পেটের ভেতর যে রক্ত ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল তা পরিষ্কার করা হলো। পরদিন সকালেই রোগী সুস্থ। এক সপ্তাহের মধ্যেই প্রায় স্বাভাবিক কর্মকাণ্ডে ফিরে গেলেন তিনি।
কেস স্টাডি-২: ভদ্রমহিলা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা। তাঁর বিয়ে হয়েছে দীর্ঘদিন, কিন্তু তিনি নিঃসন্তান। মাসিক বন্ধ থাকায় চিকিত্সকের পরামর্শে আলট্রাসনোগ্রাম করিয়ে দেখলেন তাঁর অ্যাক্টোপিকপ্রেগনেন্সি হয়েছে। ভদ্রমহিলা বেশ সচেতন, আধুনিক চিকিত্সা সম্পর্কেও ভালো খোঁজখবর রাখেন। কিন্তু ল্যাপারোস্কপির মাধ্যমে অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নিয়েও আত্মীয়স্বজনের চাপে প্রথাগত (পেট কেটে) অপারেশন করাতে বাধ্য হলেন। ক্লিনিকে ভর্তি ছিলেন তিন দিন। সেলাই কাটার পর চলাফেরায় স্বাভাবিক হতে তাঁর প্রায় দুই সপ্তাহ লেগে গেল। অফিসে গেলেন এক মাস পর।
প্রকৃতির অদ্ভুত খেয়াল! কখনো কখনো ভ্রূণ জরায়ুতে বড় না হয়ে অন্য জায়গায়, যেমন—টিউব, ডিম্বাশয় ইত্যাদি জায়গায় বড় হয়। এটাকেই বলে অ্যাক্টোপিক প্রেগনেন্সি। ‘অ্যাক্টোপিক’ শব্দের অর্থ হলো, যেটা যেখানে থাকার কথা বা হওয়ার কথা তা না হয়ে অন্য স্থানে হওয়া। অনেক কারণেই এ রোগ হতে পারে, তবে প্রধানতম কারণ হচ্ছে টিউবের প্রদাহ।
তাই বেশ কিছু বিকল্প জায়গার মধ্যে বাচ্চাদানির দুই পাশে যে দুটো টিউব থাকে, সেখানেই এ রোগ বেশি হতে দেখা যায়।অধিকাংশ অ্যাক্টোপিক প্রেগনেন্সি সঠিক জায়গায়বড় না হতে পেরে নষ্ট হয়ে যায় এবং রোগী তাঁর অজান্তেই সেরে ওঠেন। কিন্তু যেসব অ্যাক্টোপিকপ্রেগনেন্সি বড় হয়, সেগুলো একসময়ে ফেটে গিয়ে পেটের ভেতর রক্তক্ষরণ ঘটায়। সে সময় পেটে ভীষণ ব্যথা অনুভূত হয়। কখনো কখনো রক্তক্ষরণে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
অ্যাক্টোপিক প্রেগনেন্সির প্রথাগত চিকিত্সা হলো অস্ত্রোপচার করে অসুস্থ টিউবটি ফেলে দেওয়া। তবে রোগী যদি নিঃসন্তান হন (নিঃসন্তান নারীদের এই রোগ বেশি হয়) এবং অন্য টিউবটি যদি ভালো না থাকে,সে ক্ষেত্রে বিভিন্ন মাইক্রোসার্জারি করা হয়েথাকে।
অ্যাক্টোপিক প্রেগনেন্সির আধুনিক চিকিত্সা হলো ল্যাপারোস্কপিক সার্জারি। উল্লিখিত দুটিকেস স্টাডি থেকে নিশ্চয়ই এর ভালো দিকগুলো অনেকটা বোঝা যায়। এ পদ্ধতিতে অস্ত্রোপচারে পেট কাটার দরকার হয় না। রোগীকে অস্ত্রোপচার-পরবর্তী তীব্র ব্যথা অনুভব করতে হয় না। রোগী পরদিনই বাড়ি ফিরতে পারেন। এক সপ্তাহেই প্রায় কর্মক্ষমহয়ে ওঠেন। একজন দক্ষ ল্যাপারোস্কপিক গাইনি সার্জনের হাতে এ অস্ত্রোপচার সব মানদণ্ডেই প্রথাগত পদ্ধতি থেকে ভালো।
অস্ত্রোপচার ছাড়া শুধু্ ওষুধ দিয়েও অ্যাক্টোপিক প্রেগনেন্সির চিকিত্সা করা যায়। তবে এর বেশ কিছুসীমাবদ্ধতা ও পূর্বশর্ত রয়েছে।
এ পদ্ধতিতে সবাইকে চিকিত্সা দেওয়া যায় না। রোগীকে চিকিত্সকের নিবিড়তত্ত্বাবধানে থাকতে হয়। ঘন ঘন বিভিন্ন পরীক্ষা করাতে হয়। অ্যাক্টোপিক প্রেগনেন্সি নতুন কোনো রোগ নয়। আদিকালেও এ রোগ ছিল। তবে বর্তমানে এই রোগযেমন দ্রুত ধরা পড়ে, তেমনি উন্নত চিকিত্সা-পদ্ধতির কারণে রোগীর সার্বিক ক্ষতির মাত্রাও অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব হয়। আমাদের দেশে এ রোগের ব্যাপারে সচেতনতা কম। রোগ ধরা পড়লেও প্রায়ইরোগী চিকিত্সা নিতে গড়িমসি করেন এবং বিপদগ্রস্ত হন। এ সম্পর্কে আরও সচেতনতা তৈরি হোক—এটাই কাম্য।
এনামুল হক
স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ও ল্যাপারোস্কপিক সার্জন
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো,

শেয়ার করে আপনার প্রিয় বন্ধু-বান্ধবীদের পড়ার সুযোগ দিন।
আপনি জেনেছেন....হয়তো সে জানেনা ।আল্লাহ আপনাকে ভাল রাখুক --আমিন ।

কোন মন্তব্য নেই :

প্রাথমিক পর্যায়ে স্তন ক্যানসার নির্ণয়

কোন মন্তব্য নেই
সব নারী স্তন ক্যানসারের জন্য সমান ঝুঁকিপূর্ণ নয়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এ রোগের ঝুঁকিও বাড়তে থাকে। ২০ বছর বয়সেরআগে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি থাকে না বললেই চলে।স্তন ক্যানসার পুরোপুরি প্রতিরোধ করা না গেলেও, এরোগের ঝুঁকি অনেকটা কমানো যায়। এ জন্য শারীরিক পরিশ্রম, নিয়মিত ব্যায়াম, ওজন স্বাভাবিক রাখা, প্রতিদিন ফলমূল-শাকসবজি খাওয়া, শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানো প্রভৃতি প্রয়োজন।
প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ নির্ণয় করা গেলে, এ রোগ নিরাময়ের সম্ভাবনা প্রায়শত ভাগ। তাই প্রত্যেক নারীকে তাঁর নিজের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। নিজের স্তনের স্বাভাবিকতা বুঝতে শেখা স্তন ক্যানসার বিষয়ে সচেতন হওয়ার প্রথম ধাপ। কারণ, স্তনে স্বাভাবিকভাবে জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে পরিবর্তন আসে। এতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়; যেমন—স্তনে ব্যথা হওয়া,ফুলে ওঠা, স্তনবৃন্ত থেকেরস ঝরা, চাকা অনুভব করা, স্তনবৃন্ত দেবে যাওয়া, স্তনের ত্বক পুরু হওয়া ও লাল হয়ে ফুলে ওঠা। অন্য অনেক রোগের কারণে স্তনে এসব উপসর্গ দেখা দেয়। তবেকিছু উপসর্গ; যেমন— ব্যথা, কিছুটা স্ফীত হয়ে ওঠা, বৃন্ত থেকে রস ঝরা ইত্যাদি হতে পারে কয়েকটি হরমোনের (ইস্ট্রোজেন, প্রজেস্ট্রেরন ও প্রলেক্টিন) মাত্রার তারতম্যের কারণেও। স্তনেক্যানসার হলেও এসব উপসর্গ হতে পারে, তবে প্রাথমিক পর্যায়ে স্তন ক্যানসারে তেমন কোনো উপসর্গ থাকে না। তাই প্রাথমিক পর্যায়ে স্তন ক্যানসার নির্ণয়ে এর পদ্ধতি সম্পর্কে একটি ধারণা থাকা প্রয়োজন।
এ বিষয়ে অনেক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংগঠন, যেমন আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটির নীতিমালা বা গাইডলাইন রয়েছে।
৪০ বছর পার হলেই দু-এক বছর পরপর স্তন ক্যানসার স্ক্রিনিংয়ে অংশ নেওয়া এবং উপসর্গ থাকুক বা না থাকুক স্বাস্থ্য ভালো থাকলে আজীবন তা চালিয়ে যাওয়া উচিত।
বর্তমানে ম্যামোগ্রাফি প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ নির্ণয়ের জন্য শক্তিশালীপরীক্ষা-পদ্ধতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, ৪০ বছরের পর থেকে এ পদ্ধতিতে প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ শনাক্ত করার মাধ্যমে উপকার পাওয়া যাচ্ছে অর্থাত্ চিকিত্সার মান ভালো হচ্ছে এবং রোগও নিরাময় হচ্ছে, যদিও এ পরীক্ষার কিছুটা সীমাবদ্ধতা রয়েছে; কখনো কখনো এ পরীক্ষায় ক্যানসার শনাক্ত করা যায় না, বরং আরও পরীক্ষা করার প্রয়োজন দেখা দেয়।
ম্যামোগ্রাফি করার আগে এ পরীক্ষার উপকারিতা, সীমাবদ্ধতা, ঝুঁকির আশঙ্কা প্রভৃতি বিষয় জানা প্রয়োজন।
বয়স্ক নারীদের স্তন ক্যানসার স্ক্রিনিংয়ে অংশ নেওয়া নির্ভর করে শারীরিক সুস্থতার ওপর। শুধু বয়স এ বিষয়ে কোনো বাধা নয়।
প্রতি মাসে নিজের স্তন নিজে পরীক্ষা করা, চিকিত্সক দিয়ে শারীরিক পরীক্ষা করানো স্তন ক্যানসার স্ক্রিনিংয়ের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
২০-৩০ বছর (৪০ বছরের আগে) বয়সী নারীদের প্রতি তিন বছর অন্তর চিকিত্সক দিয়ে শারীরিক পরীক্ষা (ক্লিনিক্যাল ব্রেস্ট এক্সামিনেশন—সংক্ষেপে সিবিই) করানো উচিত। কিন্তু ৪০ বছর পার হলেই প্রতিবছর চিকিত্সক দিয়ে শারীরিক পরীক্ষা করাতে হবে।
প্রত্যেক নারীকে ২০ বছর বয়স থেকে নিজের স্তন নিজেই পরীক্ষা করতে শিখতে হবে এবং অনুশীলন করতে হবে। এ ধরনের পরীক্ষার উপকারিতা ও সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে জানতে হবে। স্তনে কোনো অসংগতি অনুভূত হলে চিকিত্সকের পরামর্শ নিতেহবে।
স্তন ক্যানসারের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ নারীদের প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ নির্ণয়ের জন্য প্রতিবছরই এমআরআই ও ম্যামোগ্রাফি পরীক্ষা করানো উচিত। তবে এর আগে চিকিত্সকের পরামর্শ নিতেহবে।
দুই ধরনের পরীক্ষার উপকারিতা ও সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। ৩০ বছর বয়স থেকে ঝুঁকিপূর্ণ নারীদের স্তনক্যানসারের স্ক্রিনিং শুরু করা উচিত। তবে প্রয়োজন হলে আরও কম বয়সেওএ স্ক্রিনিং করা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে চিকিত্সক ও পরিবারের সদস্যদের মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে তা নির্ধারিত হতে পারে।
স্তন ক্যানসারের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ কারা
পরিবারের মা, বোন, মেয়ে,খালা, ফুফু, নিকটাত্মীয় স্তন ক্যানসারে আক্রান্তহলে জেনেটিক টেস্টিং এবি,আরসি, এ১, এবি, আরসি, এ২, জিন মিউটেশন হয়ে থাকলে
১০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যেবুকে রেডিওথেরাপি চিকিত্সা পেয়ে থাকলে
ক্যানসার পরিবার বা পরিবারে দু-চারজনের বিভিন্ন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ইতিহাস থাকলে
স্তনে ক্যানসার-পূর্ব অবস্থা নির্ণয় হয়ে থাকলে;যেমন—ডাক্টাল কারসিনোমা ইন সিটু (ডিসিআইএস), লোবিউলার কারসিনোমা ইন সিটু (এলআইসিএস), এটিপিক্যাল ডাক্টাল হাইপারপ্লাসিয়া (এডিএইচ), এটিপিক্যাল লোবিউলার হাইপারপ্লাসিয়া (এএলএইচ)
স্তনের গ্রন্থি যদি খুব বেশি ঘনভাবে বিস্তৃত থাকে।
প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ নির্ণয় করে স্তন ক্যানসারজনিত মৃত্যুঝুঁকি কমানোর জন্যউত্তম প্রচেষ্টা হিসেবে বিবেচিত হয়েছে তিনটি পদক্ষেপ:
 ২০ বছর বয়স থেকে প্রতি মাসে নিজের স্তন নিজে পরীক্ষা করা এবং দ্রুত স্তনের পরিবর্তন শনাক্ত করতে পারা ও যথাযথভাবে চিকিত্সকের পরামর্শ নেওয়া।
চিকিত্সক দিয়ে নিয়মমাফিক শারীরিক পরীক্ষা (ক্লিনিক্যাল ব্রেস্ট এক্সামিনেশন) করানো।
 ৪০ বছর হলে স্তন ক্যানসার স্ক্রিনিংয়ে অংশ নেওয়া। প্রয়োজন অনুযায়ী স্ক্রিনিং, ম্যামোগ্রাফি, আলট্রাসনোগ্রাফি, এমআরআই(অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ নারীদের জন্য) করানো।
পারভীন শাহিদা আখতার
অধ্যাপক, মেডিকেল অনকোলজি
জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, মহাখালী, ঢাকা
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো

শেয়ার করে আপনার প্রিয় বন্ধু-বান্ধবীদের পড়ার সুযোগ দিন।
আপনি জেনেছেন....হয়তো সে জানেনা ।আল্লাহ আপনাকে ভাল রাখুক --আমিন ।

কোন মন্তব্য নেই :

ব্যথাবিহীন প্রসব জরুরি

কোন মন্তব্য নেই
নারী যখন গর্ভবতী হন, তখনথেকে একটা অনুভূতি আসে—তিনি মা হতে চলছেন।মা তখন থেকেই ভাবতে থাকেন, কীভাবে নিরাপদে শিশু ভূমিষ্ঠ হবে। কোনো বিপদ-আপদ হবে না তো! শিশুভূমিষ্ঠ হওয়ার ঝুঁকিও কম নয়। তাই আজ সারা পৃথিবী নিরাপদ মাতৃত্ব নিয়ে ভাবছে এবং উন্নত দেশে বর্তমান প্রযুক্তি ও স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে মা ও শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা চলছে।
কীভাবে প্রসূতির ব্যথা নিরাময় করা যায়
আগে নানা উপায়ে ব্যথা নিরাময়ের জন্য প্রযুক্তিও ওষুধ ব্যবহার করা হতো। ওষুধ সেবন ও ইনজেকশন দিয়েঅথবা শ্বাসের সঙ্গে গ্যাস ব্যবহার করে ব্যথা নিরাময় করা হতো। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ব্যথা নিরাময়ের প্রযুক্তিতেও পরিবর্তন এসেছে। এখন প্রসূতি মায়ের পিঠে একটা সূক্ষ্ম নল (ক্যাথেটার) ঢুকিয়ে এর মধ্য দিয়ে ওষুধসঞ্চালন করে ব্যথা নিরাময় করা হয়। এটাকে এপিডুরাল বলে। এই প্রযুক্তির সাহায্যে অন্য ব্যথারও চিকিত্সা করা হয়। এই প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য চিকিত্সকের কিছু বাড়তি প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হয়।এ দেশে এসব প্রযুক্তি ব্যবহারে পারদর্শী বেশ কয়েকজন অ্যানেসথেটিস্ট আছেন। কিন্তু প্রসব ব্যথামুক্ত করার ব্যাপক প্রচলন নেই। মাঝেমধ্যে এখানে-সেখানে দু-তিনটি কেসের কথা শোনা যায়। যদি এই প্রযুক্তির প্রয়োজন থাকে, তবে কেন এর ব্যাপক ব্যবহার নেই?
আমাদের দেশে মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে এর কোনো স্বীকৃতি নেই। ১৯৯০ সালের পর থেকে কয়েকজন তরুণ চিকিত্সক ব্যথা নিরাময় প্রযুক্তি ব্যবহারের চেষ্টা চালিয়েআসছেন। কিন্তু সরকারি পর্যায়ে কোনো হাসপাতালে এর কোনো চলন নেই, কোনো বিভাগ নেই। কোনো পদও নেই।কোনো কোনো অ্যানেসথেশিয়াবিভাগে দু-একজন ব্যক্তিগত উদ্যোগে কিছু কাজ করছেন। একটা ব্যথা নিরাময় সোসাইটি আছে। তা ১৫ বছর ধরে এ বিষয়ে কোনো বিভাগ তৈরি করতে পারেনি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি বিভাগ আছে। এই বিষয়েপ্রতিটি মেডিকেল কলেজ ও বড় হাসপাতালে একটা বিভাগ খুলে সব ধরনের ব্যথা নিরাময়ের ব্যবস্থা চালু করা প্রয়োজন। সারা বিশ্ব এই বিষয়ের স্বীকৃতি দিয়ে এগিয়ে চলছে। আমরাই পেছনে পড়ে আছি। হবু মায়েদের বলছি, আপনার চিকিত্সককে বলুন, যাতে ব্যথামুক্ত প্রসব করার ব্যবস্থা করেন। দেশে এই প্রযুক্তি চালু করার মতো যন্ত্র ও ওষুধ আছে; দরকার শুধু কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছা।
এম এস আলম
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো

শেয়ার করে আপনার প্রিয় বন্ধু-বান্ধবীদের পড়ার সুযোগ দিন।
আপনি জেনেছেন....হয়তো সে জানেনা ।আল্লাহ আপনাকে ভাল রাখুক --আমিন ।

কোন মন্তব্য নেই :

ব্যথাবিহীন প্রসব জরুরি

কোন মন্তব্য নেই
নারী যখন গর্ভবতী হন, তখনথেকে একটা অনুভূতি আসে—তিনি মা হতে চলছেন।মা তখন থেকেই ভাবতে থাকেন, কীভাবে নিরাপদে শিশু ভূমিষ্ঠ হবে। কোনো বিপদ-আপদ হবে না তো! শিশুভূমিষ্ঠ হওয়ার ঝুঁকিও কম নয়। তাই আজ সারা পৃথিবী নিরাপদ মাতৃত্ব নিয়ে ভাবছে এবং উন্নত দেশে বর্তমান প্রযুক্তি ও স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে মা ও শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা চলছে।
কীভাবে প্রসূতির ব্যথা নিরাময় করা যায়
আগে নানা উপায়ে ব্যথা নিরাময়ের জন্য প্রযুক্তিও ওষুধ ব্যবহার করা হতো। ওষুধ সেবন ও ইনজেকশন দিয়েঅথবা শ্বাসের সঙ্গে গ্যাস ব্যবহার করে ব্যথা নিরাময় করা হতো। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ব্যথা নিরাময়ের প্রযুক্তিতেও পরিবর্তন এসেছে। এখন প্রসূতি মায়ের পিঠে একটা সূক্ষ্ম নল (ক্যাথেটার) ঢুকিয়ে এর মধ্য দিয়ে ওষুধসঞ্চালন করে ব্যথা নিরাময় করা হয়। এটাকে এপিডুরাল বলে। এই প্রযুক্তির সাহায্যে অন্য ব্যথারও চিকিত্সা করা হয়। এই প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য চিকিত্সকের কিছু বাড়তি প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হয়।এ দেশে এসব প্রযুক্তি ব্যবহারে পারদর্শী বেশ কয়েকজন অ্যানেসথেটিস্ট আছেন। কিন্তু প্রসব ব্যথামুক্ত করার ব্যাপক প্রচলন নেই। মাঝেমধ্যে এখানে-সেখানে দু-তিনটি কেসের কথা শোনা যায়। যদি এই প্রযুক্তির প্রয়োজন থাকে, তবে কেন এর ব্যাপক ব্যবহার নেই?
আমাদের দেশে মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে এর কোনো স্বীকৃতি নেই। ১৯৯০ সালের পর থেকে কয়েকজন তরুণ চিকিত্সক ব্যথা নিরাময় প্রযুক্তি ব্যবহারের চেষ্টা চালিয়েআসছেন। কিন্তু সরকারি পর্যায়ে কোনো হাসপাতালে এর কোনো চলন নেই, কোনো বিভাগ নেই। কোনো পদও নেই।কোনো কোনো অ্যানেসথেশিয়াবিভাগে দু-একজন ব্যক্তিগত উদ্যোগে কিছু কাজ করছেন। একটা ব্যথা নিরাময় সোসাইটি আছে। তা ১৫ বছর ধরে এ বিষয়ে কোনো বিভাগ তৈরি করতে পারেনি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি বিভাগ আছে। এই বিষয়েপ্রতিটি মেডিকেল কলেজ ও বড় হাসপাতালে একটা বিভাগ খুলে সব ধরনের ব্যথা নিরাময়ের ব্যবস্থা চালু করা প্রয়োজন। সারা বিশ্ব এই বিষয়ের স্বীকৃতি দিয়ে এগিয়ে চলছে। আমরাই পেছনে পড়ে আছি। হবু মায়েদের বলছি, আপনার চিকিত্সককে বলুন, যাতে ব্যথামুক্ত প্রসব করার ব্যবস্থা করেন। দেশে এই প্রযুক্তি চালু করার মতো যন্ত্র ও ওষুধ আছে; দরকার শুধু কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছা।
এম এস আলম
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো


শেয়ার করে আপনার প্রিয় বন্ধু-বান্ধবীদের পড়ার সুযোগ দিন।
আপনি জেনেছেন....হয়তো সে জানেনা ।আল্লাহ আপনাকে ভাল রাখুক --আমিন ।

কোন মন্তব্য নেই :