আমাদের অন্তরের ১০ টি রোগ ! !
কোন মন্তব্য নেই
১ - আল্লাহর অস্তিত্বে বিশ্বাস করেন কিন্তু তাঁর আদেশ পালন করেন না। ২ - মুখে বলেন মুহাম্মদ (সাঃ) কে ভালবাসি কিন্তু তাঁর সুন্নতের অনুসরণ করেন না। ৩ - কুরআন পড়েন কিন্তু তা বাস্তবায়ন করেন না। ৪ - আল্লাহর সমস্ত নেয়ামত ভোগ করেন কিন্তু তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন না। ৫ - স্বীকার করেন শয়তান আপনার শত্রু কিন্তু তার বিরুদ্ধাচরণ করেন না। ৬ - জান্নাত পেতে চান কিন্তু তারজন্য আমল করেন না। ৭ - জাহান্নাম থেকে বাঁচতে চান কিন্তু সেখান থেকে পালানোর চেষ্টা করেন না। ৮ - বিশ্বাস করেন যে প্রতিটি জীবনকে মৃত্যু বরণ করতে হবে কিন্তু তার জন্য নিজে প্রস্তুত হন না। ৯ - পরনিন্দা ও গীবত করেন কিন্তুনিজের দোষ ত্রুটি ভুলে যান। ১০ - মৃত ব্যক্তিকে দাফন করে আসেন কিন্তু তা থেকে কোন শিক্ষা গ্রহন করেন না। ►কাজেই হে মুসলিম ভাই বোনেরা!!! আপনার অন্তর পরীক্ষা করে দেখুন ! =============== =============== =============== === → পোস্টি লাইক ও কমেন্ট দিতে ভুলবেন নাহ!

কোন মন্তব্য নেই :

আমাদের অন্তরের ১০ টি রোগ ! !
কোন মন্তব্য নেই
১ - আল্লাহর অস্তিত্বে বিশ্বাস করেন কিন্তু তাঁর আদেশ পালন করেন না। ২ - মুখে বলেন মুহাম্মদ (সাঃ) কে ভালবাসি কিন্তু তাঁর সুন্নতের অনুসরণ করেন না। ৩ - কুরআন পড়েন কিন্তু তা বাস্তবায়ন করেন না। ৪ - আল্লাহর সমস্ত নেয়ামত ভোগ করেন কিন্তু তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন না। ৫ - স্বীকার করেন শয়তান আপনার শত্রু কিন্তু তার বিরুদ্ধাচরণ করেন না। ৬ - জান্নাত পেতে চান কিন্তু তারজন্য আমল করেন না। ৭ - জাহান্নাম থেকে বাঁচতে চান কিন্তু সেখান থেকে পালানোর চেষ্টা করেন না। ৮ - বিশ্বাস করেন যে প্রতিটি জীবনকে মৃত্যু বরণ করতে হবে কিন্তু তার জন্য নিজে প্রস্তুত হন না। ৯ - পরনিন্দা ও গীবত করেন কিন্তুনিজের দোষ ত্রুটি ভুলে যান। ১০ - মৃত ব্যক্তিকে দাফন করে আসেন কিন্তু তা থেকে কোন শিক্ষা গ্রহন করেন না। ►কাজেই হে মুসলিম ভাই বোনেরা!!! আপনার অন্তর পরীক্ষা করে দেখুন ! =============== =============== =============== === → পোস্টি লাইক ও কমেন্ট দিতে ভুলবেন নাহ! পড়ুন,অশ্নীলতার জোয়ারে বাংলাদেশ ।সৈয়দ রুবেল উদ্দিন http://sayedrubel.blogspot.com/2012/01/blog-post_9352.html

কোন মন্তব্য নেই :

বাঙালির কৌতুক ( পাতা ২ )
কোন মন্তব্য নেই
1....কনডম যদি বাংলাদেশের সব বড় বড় মোবাইল ফোন কোম্পানী গুলো কনডম বিক্রি শুরু করে, তাহলে তাদের বিজ্ঞাপন কেমন হতো . . . ? “দূরত্ব যতই হোক, কাছে থাকুন” ~Grameenphone Condom ... “জ্বলে উঠুন যৌন শক্তিতে” ~Robi Condom “সর্বনিম্ন সাশ্রয়ী রেটের দিন বদলের কনডম” ~Banglalink Condom “এমন অনেক কিছুই সম্ভব যা আগে কেউ ভাবেনি” ~Citycell Condom “আমাদের কনডম” ~Teletalk Condom “সেক্সের টানে, পাশে আনে” ~Airtel Condom 2.....যাদু , এক ছোট ছেলে একটা যাদুর চেরাগ পেল! চেরাগ ঘষার পর একটা জ্বিন বের হলো চেরাগ থেকে, সে বাচ্চাটার ৩ টা ইচ্ছা পূরন করতে চাইলো। বাচ্চা টা ভেবে ভেবে ৩ টা ইচ্ছারকথা জ্বিনকে বললো এইভাবে . . . ১) ‘আবুল আংকেল আমাদের বাসায় আসেআম্মুর সাথে দেখা করতে, ফিরে যাওয়ার সময় তার বাচ্চার জন্য আমার চকলেট থেকে অনেক চকলেট নিয়ে যায় প্রতিদিন, বেটাকে অনেক বকা দিবা!’ ২) ‘গরীব মেয়ে দের কাপড় দেয়ার ব্যবস্থা করবা, আমার বাবার মোবাইল আর ল্যাপটপ এ অনেক মেয়ে আছে যারা টাকার অভাবে কাপড় পড়তে পারে না!’ ৩) ‘পাশের বাড়ির ছেলে এবং মেয়েটাকে একটু বকা দিবা!! পাশের বাড়ির কারণ ছেলেটা আমার বড় আপুর সাথে সেদিন রাত এ বিছানায় মারামারি করছে, আপু অনেক চিৎকার করেছে ব্যাথা পেয়ে, আমি শুনেছি! আর পাশের বাড়ির মেয়েটা আমাদের বাসায় এসে জুস খেয়ে যায়্, ভাইয়ারপ্যান্ট এর উপড়ে পড়ে থাকা সব জুসখেয়ে ফেলে!’ :-P আরো পড়ুন, অশ্নীলতার জোয়ারে বাংলাদেশ ।সৈয়দ রুবেল উদ্দিন: http://sayedrubel.blogspot.com/2012/01/blog-post_9352.html

কোন মন্তব্য নেই :

Bangla Girls Club: Bangladeshi Model Prova Wedding Pictures
কোন মন্তব্য নেই
Bangla Girls Club: Bangladeshi Model Prova Wedding Pictures: After a long break we have come to our visitor with some exclusive pics of Bangladeshi super sexy model and actress prova's wedding. We know...

কোন মন্তব্য নেই :

স্ত্রীরোগ ( পাতা ১ )
1 টি মন্তব্য
কি সাবলীল দক্ষতায়, কি অনুপম পারদর্শিতায় সৃষ্টি নারীর জরায়ু, ডিম্বকোষ! স্তন তৈরি হয় কি সুন্দর সূক্ষ্ম তন্তু দিয়ে, কি অপার্থিব তার বিন্যাস, সুষমা! কি শৈল্পিক কৌশলে মাতৃজঠরে স্থাপিত হয় ভ্রূণ, ধীরে ধীরে সে বেড়ে ওঠে জরায়ুর মধ্যকার এন্ডোমেট্রিয়মে... স্ত্রী শরীর বিধাতা সৃষ্টি করেছেন এক অপরূপরূপে, সুতরাং তার আভ্যন্তর কলকবজাগুলোও বিগড়োয় একটু আলাদাভাবে-সেইসব অসুস্থতার আলোচনা নিয়েই আমাদের এবারের আলোচনা ‘স্ত্রীরোগ’। আমরা যখন এনাটমি পড়তাম, তখন নারী শরীরের ভেতরকার শিল্পশৈলীআমাদের বিস্ময়ে হতবাক করে দিত।কি সাবলীল দক্ষতায়, কি অনুপম পারদর্শিতায় সৃষ্টি নারীর জরায়ু, ডিম্বকোষ! স্তন তৈরি হয় কি সুন্দরসূক্ষ্ম তন্তু দিয়ে, কি অপার্থিব তার বিন্যাস, সুষমা! কি শৈল্পিক কৌশলে মাতৃজঠরে স্থাপিত হয় ভ্রূণ, ধীরে ধীরে সে বেড়ে ওঠে জরায়ুর মধ্যকার এন্ডোমেট্রিয়মে। এই বিশেষ কারণে বিধাতা পুরুষ নারী দেহকে গড়েছেন বিশেষ পৃথকরূপে, নারী শরীরের গুরুত্বও তাই অপরিসীম। মেয়েদেরশরীরের রূপান্তর যেমন নানা বয়সে নানা রকম, অসুখও ঠিক তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলে। মেয়েদেরপিরিয়ড হয় ১০-১২ বছর বয়সে, ১৫-১৬ বছরে তা পূর্ণ পরিণতি পায়-‘ওগো তুমি পঞ্চদর্শী, পৌঁছিলে পূর্ণিমাতে’। ২২-২৪ বছরে বিবাহ, তার কিছু পরে সন্তান ধারণ, আজকের যুগে একটিই বড়জোর দুটি। তারপর ৪৮ থেকে ৫৪ এর মধ্যে মনোপজ। হরমোনের এতরকমতারতম্য ও পরিবর্তন পুরুষের জীবনে নেই। তাই স্ত্রী রোগের ফিরিস্তিও যথেষ্ট লম্বা। মেয়েদের বয়স অনুযায়ী সাধারণত দেখা যায় বা শোনা যায় এমন স্ত্রী রোগের একটা মোটামুটি ভাগ করা যায়। শৈশব কৈশোর থেকে ২২-২৩ বছর *. পিরিয়ড ৮ বা তার চেয়েও কম বয়সে শুরু হওয়া। *. প্রজনন অঙ্গের জন্মগত ত্রুটি--বেশি বয়স অবধি পিরিয়ড না হওয়া *. অল্প বয়সে অতিরিক্ত রক্তস্রাব (পিউবারটি মনোরেজিয়া) *. ম্প্যাসমোডিক ডিজমেনোরিয়া (পিরিয়ডের সময় পেটব্যথা) *. লিউকোরিয়া (সাদা স্রাব) ২২-২৩ বছর বয়সের পর বন্ধ্যাত্ব বা ইনফারটিলিটি *. হারমুটিজম (মেয়েদের দাড়িগোঁফগজানো) *. ওভারিয়ান সিস্ট (ডিম্বাকোষেরটিউমার) ৩৫ বছর পর *. ক্যান্সার সারভিক্স (জরায়ু মুখের ক্যান্সার) *. ফাইব্রয়েড (জরায়ু টিউমার) *. পি আই ডি (পেলভিক ইনফ্লামেটারি ডিজিজ বা তলপেটের প্রদাহ) *. এন্ডোমেটরিয়োসিস ৪০ বছরের পর *. প্রোল্যাপস (জরায়ু নিচের দিকে নেমে যাওয়া, এটির শুরু অবশ্য আরও আগেও হতে পারে) *. ব্রেস্ট ক্যান্সার ৪৫-এর পর *. প্রিমেনোপজাল সিন্ড্রোম (মেনোপজের আগেকার অস্বস্তি)ঞ্চমেনোপজ *. ডিসফাংশনাল ইউটেরাইন ব্লিডিং(অনিয়মিত ও অতিরিক্ত রক্তস্রাব) *. পোস্ট মেনোপজাল ব্লিডিং (মনোপজের পর আবার হঠাৎ রক্তস্রাব) কম বয়সে বা সময়ের আগেই যৌবনারী মেয়েটির নাম মধুবন। বয়স আটও পূর্ণ হয়নি। সকালবেলা হাসিমুখেলাফাতে লাফাতে স্কুলে গেছে। থার্ড পিরিয়ডের শেষে দেখে স্কুলড্রেস রক্তে মাখামাখি। বেঞ্চ, বই, খাতা সবেতেই একাকার।অথচ কোথাও কাটাকাটি, ব্যথাযন্ত্রণা নেই। মেয়ে ভয়ে এমন জোরে কেঁদে উঠেছে যে ক্লাস টিচার দৌড়ে এসেছেন। তিনি তো দেখেই ব্যাপার বুঝেছেন। তাড়াতাড়ি তাকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে টয়লেটে নিয়ে গিয়ে ব্যবস্থা করেতার মাকে খবর দিয়েছেন। এমন ঘটনা হামেশাই ঘটে। আজকাল আবার দেখা যাচ্ছে বেশিরভাগ মেয়েদেরইপিরিয়ড ১০-১১ বছর বয়সের মধ্যেই হয়ে যাচ্ছে, আগে যে সীমারেখা ছিল ১২-১৩। যখন ১০ বছরের আগে পিরিয়ড শুরু হয় এবং তার সঙ্গে যৌবনারম্ভের অন্যান্য লক্ষণ (যেমন স্তনের বিকাশ ও বৃদ্ধি, শরীরের কিছু বিশেষ অংশে লোমের আধিক্য) দেখা দেয় তখন তাকে বলে প্রিকশাস পিউবারটি। মেয়েটির বয়স এ ক্ষেত্রে ১০,৯, ৮ বা তারও কম হতে পারে। পিরিয়ড শুরু হওয়ার পর শরীরের লম্বা হাড়গুলো আর বাড়ে না-তাই খুব কম বয়সে পিরিয়ড শুরু হওয়া মেয়েদেরহাইট সাধারণত কম হয়। এমন কেন হয়? কি কারণে?গঠনগতঃ অনেক সময় তেমন কোনো কারণপাওয়া যায় না। সময়ের আগেই হাইপোথ্যালামাস-পিটুইটারি-ওভারি এই তিনটি গ্রন্থির মধ্যেসমন্বয় ঘটার ফলে এমন হতে পারে। মস্তিষ্কের রোগঃ মেনিনজাইটিস, এনসেফালাইটিস, পিটুইটারি টিউমার ইত্যাদি কারণেও ৮-৯ বছরের কন্যা শিশুর পিরিয়ড শুরুহয়ে যেতে পারে। ওভারির টিউমারঃ ওভারির কিছু কিছু টিউমার বেশি মাত্রায় ইস্ট্রোজেন হরমোন নিঃসরণ করে। এই হরমোনের আধিক্যের জন্য আগে আগে পিরিয়ড শুরু হওয়া সম্ভব। হরমোন ওষুধ খেলেও এমন হতে পারে। কি কি করণীয় *. মেয়েটির পারিবারিক ইতিহাস জানা খুব জরুরি। মা বা দিদিরওকি এমন হয়েছিল? *. কয়েকটি রক্ত পরীক্ষা করা দরকার। *. আল্ট্রাসাউন্ড করে দেখা প্রয়োজন ওভারিতে টিউমার আছে কি না। *. মাথার এক্স-রে, সিটি স্ক্যান বা এমআরআই করে দেখতে হবে কোনো *. অস্বাভাবিকতা আছে কি না। *. রোগ অনুযায়ী চিকিৎসা করতে হবে। *. অনেক সময় কোনো রোগ ছাড়াই আগে আগে পিরিয়ড শুরু হয়। প্রজনন অঙ্গের জন্মগত ত্রুটি *. যোনির গঠন অদ্ভুত হতে পারে (এনলার্জড ক্লিটোরিস বা বর্ধিত ভগ্নাঙ্কুর) *. ইমপারফোরেট হাইমেন (খুব শক্ত সতীচ্ছেদ) , রিজিড হাইমেন *. ট্রান্সভার্স ভ্যাজাইনাল সেপটাম (যোনির মধ্যে পরদাজাতীয় ভাগ) *. ডাবল সারভিক্স *. ডাবল ইউটেরাস। জরায়ুর গঠনগত ত্রুটি *. আরকুয়েট ইউটেরাস *. সেপটেট ইউটেরাস *. এই ত্রুটিগুলো আজকাল অত্যাধুনিক অপারেশন বা চিকিৎসার সাহায্যে ঠিক করা যায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সনন্তান ধারণ ঘটানো সম্ভব, কোনো কোনোটিতে মিসক্যারেজ বাবাচ্চার অবস্থান অস্বাভাবিক হলেও তার চিকিৎসা আছে। বেশি বয়স অবধি পিরিয়ড না হওয়া ১৬-১৭ বছর বয়সের পরও পিরিয়ড শুরু না হওয়া বিভিন্ন কারণে হতে পারে। যেমন- *. অপুষ্টি *. দীর্ঘস্থায়ী কোনো রোগ *. থাইরয়েডের অসুখ *. ব্রেন টিউমার *. জন্মগত ত্রুটি *. জরায়ুর অস্বাভাবিকতা *. হাইমেন বা সতীচ্ছেদের অস্বাভাবিকতা--যোনিতে কোনো পরদা বা বাধা থাকা--ক্রোমোজমের অস্বাভাবিকতা আরো পড়ুন, স্ত্রীরোগ ( পাতা ২ )
স্ত্রীরোগ ( পাতা ২ )
1 টি মন্তব্য
কি করণীয় *. রোগ অনুযায়ী চিকিৎসা *. সুষম খাবার খাওয়া ও নিয়মিত ব্যায়াম করা *. মেয়েটিকে ভালো করে পরীক্ষা করতে হবে *. থাইরয়েডের চিকিৎসা *. ইস্ট্রোজেন হরমোন বড়ি দিয়ে অনেক সময় চিকিৎসা করতে হতে পারে *. মেয়েটিকে খুব ভালোভাবে কাউন্সিলিং করা দরকার, তার ভবিষ্যত জীবন, যেমন বিয়ে, সন্তানধারণ এগুলো স্বাভাবিক নাও হতে পারে-এ সম্বন্ধে তাকে বুঝিয়ে বলা দরকার। সেকেন্ডারি এ্যামেনোরিয়া (সাধারণ মহিলার যদি হঠাৎ কোনো কারণে পিরিয়ড বন্ধ থাকে) কারণ *. আসারম্যান সিন্ড্রোম (‌ইউটেরাসের অসুখ) *. এন্ডোমেট্রিয়াল টিউবারকিউলোসিস ( ইউটেরাসের টিবি) *. মিসড এ্যাবরশন (এক ধরনের গর্ভপাত) *. প্রিম্যাচিউর মেনোপজ (ওভারি ফেলিওর হওয়ার জন্য) *. ওভারিয়ান টিউমার *. রেডিওথেরাপি বা কেমোথেরাপির কারণে ওভারিয়ান ফেলিওর*. কোনো কোনো ওষুধের কারণে গর্ভাবস্থা ঘটলে বা বাচ্চাকেব্রেস্টফিডিং করালেও পিরিয়ড বন্ধ থাকতে পারে। অনেক সময় দেখা যায় অল্পবয়সী মেয়েদের পিরিয়ড ৩-৪ মাস পরে পরে হচ্ছে। এই ত্রুটি সাধারণ চিকিৎসায় সেরে যায়, না হলে পরীক্ষা করে দেখে চিকিৎসা করতে হয়। পিউবারটি মেনোরেজিয়া (অল্পবয়সিনীর অতিরিক্ত রক্তস্রাব) কোনো কোনো মেয়ের পিরিয়ড প্রথম শুরু হওয়ার পর পরই খুব হেভি ব্লিডিং হয়। এই রক্তস্রাবের প্রকৃতি অনিয়মিত, মাত্রাতিরিক্ত ও দীর্ঘস্থায়ী। এর ফলে কিশোরীর চেহারা হয়ে যায় ফ্যাকাশে, বিবর্ণ, এ্যানিমিক। তেমন ক্ষেত্রে মেয়েটিকে হাসপাতালে ভর্তি করার দরকার পড়তে পারে। মেনার্কি বা প্রথম পিরিয়ড হওয়ার পর এমন সমস্যায় বহু ছোট মেয়েই ভোগে। কেন এমন হয়? অল্পবয়সী মেয়েদের পিরিয়ড শুরু হওয়ার ঠিক পরপরই ওভারি থেকে ডিম্বাণু নির্গমন হয় না, তাই ইউটেরাসের আভ্যন্তর স্তরে (এন্ডোমেট্রিয়ম) শুধুই ইস্ট্রোজেন হরমোনের প্রভাব পড়ে। এতে করে এন্ডোমেট্রিয়ামে যথেষ্ট বৃদ্ধি ঘটে। (এন্ডোমেট্রিয়াল হাইপারপ্লেসিয়া) এবং এই কারণেইরক্তস্রাব বেড়ে যায়। পরবর্তীকালে যখন জরায়ু থেকে ডিম্বাণু বা ওভাম বের হওয়া শুরু হয় তখন প্রজেস্টেরন হরমোনের প্রভাবে এন্ডোমেট্রিয়ামের ইস্ট্রোজেন হরমোনের জন্য অতি বৃদ্ধি বহুলাংশে অবদমিত হয়। তখন রক্তস্রাব কমে গিয়ে আয়ত্তে থাকে। এরকম হলে মেয়েটির কিছু কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা দরকার। রক্ত পরীক্ষা করে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা, ব্লিডিংটাইম, ক্লটিং টাইম এবং প্লেটলেটের মাত্রা দেখে নিতে হবে। থাইরয়েড হরমোনের মাত্রাও দেখতে হবে। আলট্রাসাউন্ড করে জরায়ু বা ওভারির কোনো দোষত্রুটি আছে কি না দেখতে হবে। চিকিৎসা (১) এ্যানিমিয়ার চিকিৎসা (২) থাইরয়েড গ্রন্থি খারাপ থাকলে তার চিকিৎসা (৩) রক্তস্রাব বন্ধ করার জন্য মেড্রক্সিপ্রজেস্টেরন বড়ি বা নরএথিস্টেরন বড়ি (৪) একটি ছোট ‘ডি’ এ্যান্ড ’সি‘ (ডায়ালেটেশন এ্যান্ড কিউরেটাজ)অপারেশন দরকার হতে পারে। (৫) মেয়েটির সঙ্গে খুব ভালোভাবেকথা বলা দরকার। বলে রাখা ভালো যে বযস বাড়লে এবং ঠিকঠাক চিকিৎসা করলে এই রোগ একেবারেই সেরে যায়; সে জন্য একে বলে পিউবারটি মনোরেজিয়া, অর্থাৎ বয়ঃসন্ধিতে অতিরিক্ত রক্তস্রাব। ভবিষ্যত বিবাহিত জীবনে এই অসুখ কোনো সমস্যা সৃষ্টি করে না। স্প্যাসমোডিক ডিজমেনোরিয়া (পিরিয়ডের সময় পেটব্যথা) আউটডোরে সে দিন একটি বছর পনেরো ষোলো বছরের মেয়েকে দেখলাম তার তিনজন মহিলা আত্নীয় ধরে ধরে নিয়ে আসছে। মেয়েটি পেটব্যথায় প্রায় কুঁকড়ে গেছে, হাঁপাচ্ছে কাঁদছে।কি হয়েছে জিজ্ঞেস করাতে তার মা বললেন, প্রত্যেক মাসে ‘মাসিক’ হওয়ার সময় সে ব্যথায় প্রায় অজ্ঞান হয়ে যায়। মেয়েটির নাম জানলাম আফসানা খাতুন। আজ একেবারে অসহনীয় হওয়ায় পাড়াপড়শিরা বলেছে শিগগিরহাসপাতালে চলো, চিকিৎসা না হলে এর বিয়েসাদি হবে না। অল্পবয়সী মেয়েদের এটি একটি খুবসাধারণ সমস্যা। এর কারণ হিসেবেবলা যেতে পারে, বয়ঃসন্ধিকালের মেয়েদের অত্যধিক মানসিক চাপ ও চাঞ্চল্য, দুশ্চিন্তা বিশেষত এই বয়সে, জরায়ুর অস্বাভাবিক গঠনও জরায়ুর পেশির প্রবল সংকোচন, দুর্বল শারীরিক গঠন, শারীরিক ও মানসিক অবসাদ, পিরিয়ডের সময় জরায়ুর এন্ডোমেট্রিয়ামে অতিরিক্ত পরিমাণ প্রস্টাগ্ল্যান্ডিন হরমোন নিঃসরণ ইত্যাদি। পিরিয়ড শুরুর কয়েক ঘন্টা আগে বা শুরুর সময় ব্যথা হয় এবং তা ২-৩ ঘন্টা থেকে। আরম্ভ করে ২৪ ঘন্টার মতো থাকতে পারে। এই ব্যথা তলপেট ও কোমর থেকে দুই উরুর উপরের অংশে প্রসারিত হয়। কখনও কখনও বমি বমি ভাব বা বমি হয়, ক্লান্তি, ডায়রিয়া, মাথাধরা থাকতে পারে, এমনকি মেয়েটি অজ্ঞান পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে। চিকিৎসা উপযুক্ত খাদ্য, পুষ্টি ও ঠিকমত বিশ্রাম দরকার। সাধারণস্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটানো, রোগীকে আশ্বস্ত করা, কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে ঠিকঠাক ওষুধ খেয়ে তা সারানো-এইগুলো করা দরকার। সেরকম ক্ষেত্রে ওরাল কন্ট্রাসেপটিভ পিল পিরিয়ডের পঞ্চম দিন থেকে মাসে একুশটি করে কয়েক মাস দিলে ভালো ফল পাওয়া যায়। আজকাল পিরিয়ডের সম্ভাব্য তারিখের সাতদিন আগে থেকে পিরিয়ড শুরু হওয়ার পর ৩ বা৪ দিন পর্যন্ত পাইরিডকসিন বা ভিটামিন বি৬ বড়ি (পাররিকনটিন জাতীয় বড়ি) প্রয়োগ করে খুব ভালোফল পাওয়া যাচ্চে। এ কথা বলা দরকার, পিরিয়ডের সময়ে কিছু পরিমাণ ব্যথা ও অস্বস্তি প্রায়সব মহিলারই হয়ে থাকে। কারও কারও ঋতুমতী হওয়ার প্রথম ২-১ বছর কোনো ব্যথা থাকে না। তার সূত্রপাত হয় কিছুদিন পরে, যখন ওভারি থেকে ডিম্বাণু নির্গমন বা ওভিউলেশন শুরু হয়। আর বিভিন্ন মানুষের বেদনাবোধের অনুভূতির তারতম্য আছে। যে সব মেয়ে নেহাতই অজ্ঞ হয়, বেশি ভীতুহয়, তাদের ব্যথা বোধও প্রকট হয়েওঠে। অনেকে আবার সুযোগ বুঝে ব্যথার দোহাই দিয়ে স্কুল বা কলেজ কামাই করে। দুর্বল মনের মা-বাবা অত্যধিক আদিখ্যেতা করলে খুব ঝামেলা-ব্যথা আরও বেড়ে যায়। এসব ক্ষেত্রে ডাক্তারের উপদেশই সবচেয়ে ভালো।চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া তো কোনো ওষুধ খাওয়াই যাবে না। বিবাহ বা সন্মান লাভের পর এই সমস্যা আপনা থেকেই মিটে যায়। আগেকার দিনের মানুষরা একে বলতেন ‘বাধ্যকের ব্যথা’ ♥♥♥♥সমাপ্ত♥♥♥♥ প্রকাশক : সৈয়দ রুবেল উদ্দিন www.facebook.com/sayed.rubel3 ভাল লাগলে ফেসবুকে শেয়ার করুন । লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ । ভাল থাকুন সব সময় । অশ্নীলতার জোয়ারে বাংলাদেশ ।সৈয়দ রুবেল উদ্দিন http://sayedrubel.blogspot.com/2012/01/blog-post_9352.html
পুরুষের জন্য নারীর প্রয়োজন কেন?চন্দন সরকার
কোন মন্তব্য নেই
সবচেয়ে গভীর রহস্যগুলোর একটি হচ্ছে মানব-মানবীরসম্পর্ক। কেন একজন পুরুষের জন্য একজন নারীর প্রয়োজন? এই বন্ধনের সূত্র কি? বিষয়টি নিয়ে এ পর্যন্ত অনেক গবেষণা হয়েছে। কিন্তু এর গভীর তল সপর্শ কি সম্ভব হয়েছে? মার্কিন অর্থনীতিবিদ হার্বার্ট স্টেইন অত্যন্ত সাধারণভাবে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেছেন। তিনি প্রতিদিন পথ চলতে গিয়ে পর্যবেক্ষণ করেছেন স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের বিষয়টি। তিনি খুঁজতে চেয়েছেন এ বন্ধনেরউৎস কোথায়। হার্বার্ট স্টেইন কি খুঁজে পেয়েছেন তা জানা যাক তাঁর ভাষায়- প্যারিসের পেভমেন্ট ক্যাফেগুলোতে বসে থাকা আমার ফ্যান্টাসি। এ ফ্যান্টাসি আমাকে নিয়ত তাড়িত করে কোনো না কোনো কিছু লেখার বিষয়। তা কোনোক্রমেই পদার্থবিদ্যা বা অর্থনীতির বিষয় নয়। তবে তা হতে পারে উপন্যাস অথবা কবিতা কিংবাদর্শন সম্পর্কিত কোনো বিষয়। ক্যাফের সামনে বসে থাকতে অথবা পথ চলতে গেলে আরও একটি অভ্যাস আমাকে তাড়িত করে এবং তা হচ্ছে পাশ দিয়ে চলে যাওয়া মেয়েদের দিকে চোখ তুলে তাকানো। এ ফ্যান্টাসি কিন্তু আমার আগে ছিল না। ওয়াশিংটনের রাস্তায় বানিউইয়র্কের কেনেডি সেন্টারের কোনো রেস্তরাঁয় খেতে গিয়ে এমনটি হতো না। তবে আমি খেতে বসেশুধু খাই না। ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকি এবং পথ চলতি পথিকদের পর্যবেক্ষণ করি। আগেই বলেছি আমি পাশ কাটানো পথ চলতি মেয়েদের পর্যবেক্ষণ করি। তবে তারা আমার মনোযোগ আকর্ষণ করে না। বরং আমার মনোযোগ আকর্ষণ করে বিবাহিত দম্পতিরা। বিশেষ করে বিবাহিতা মহিলারা। তাদের যে মোহনীয় হতে হবে এমন কোনো কথানেই। তাদের যে মেরিলিন মনরো হতে হবে এমন কোনো কথাও নেই। আমিযাদের পর্যবেক্ষণ করি তাদের কেউ হয়ত সুন্দরী। কিন্তু তাদেরঅধিকাংশ সাধারণ। অতি সাধারণ। এদের কেউ কেউ হয়ত যাচ্ছেন কেনেডি সেন্টারে নাটক দেখতে, অথবা অপেরায় কিংবা কেউ হয়ত যাচ্ছেন কনসার্ট শুনতে। অনেকে ভাবতে পারেন তারা হয়ত উঁচুমাপের সংস্কৃতিবান। হতেও পারে। আবার নাও হতে পারে। তবে একান্তই সাধারণ মাপের। এ ক্ষেত্রে একটি বিষয় লক্ষণীয়। মহিলাটি যে পুরুষের বাহুলগ্না হয়ে যাচ্ছেন সে পুরুষটি কিন্তুঅত্যন্ত গর্বিত। তার কাছে ঐ মহিলা কিন্তু সাধারণ নন। ঐ পুরুষের কাছে বাহুলগ্না মহিলা বা তার স্ত্রী যেন সারাটি পৃথিবী। বাইবেলের জেনেসিস অধ্যায়ে বলা হয়েছে এবং মহাপিতা ঈশ্বর বলেছেন, ‘মানুষ একা থাকবে তা উত্তম নয়, তার মনের মতো একজন সঙ্গী আমি সৃষ্টি করব’ এবং তাই, ‘তার জন্য একজন স্ত্রীলোক তৈরি করলাম।এতে কিছু বলা হয়নি যে একজন সুন্দরী বা বুদ্ধিমতী নারী তৈরি করেছেন তিনি। অথবা এমন কোনো নারী তৈরি করেননি যিনি বিশেষণে বিশেষায়িত। তিনি কেবল একজন স্ত্রীলোক তৈরি করেছেন এবং কেবল স্ত্রীলোক। আরতাই প্রশ্ন আসে একজন স্ত্রীলোককেন পুরুষের জন্য এত মূল্যবান?এর তিনটি কারণ রয়েছে- প্রথম তিনি বিছানায় একজন উষ্ণ শরীরেরঅধিকারী। আমি কিন্তু এখানে যৌনব্যাপারস্যাপারে কিছু বলছি না।ও বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ। তবে আমি অন্য বিষয়ে বলছি। বিষয়টি আরো আদিম মানবীয় সম্পর্কের ব্যাপারে। ধরা যাক, একটি শিশু তার দোলনা খাটে কাঁদছে। সে কি কোনো আলাপ-আলোচনার জন্য? অথবা স্বর্ণের আংটির জন্য? নিশ্চয়ই তা নয়। আসলে সে কাঁদছে কেউ তাকেকোলে নিক, অথবা তাকে আদর সোহাগ করুক সেজন্য। অর্থাৎ সে কারো সংসপর্শে আসতে চাচ্ছে। এই সংসপর্শ সম্পূর্ণ শারীরিক সংসপর্শ। প্রাপ্তবয়স্করাও এর বাইরে নয়। তাদেরও প্রয়োজন শারীরিক সংসপর্শ। তারা পরসপরকেজড়িয়ে ধরতে চায়। তারা এটা চায় একটি ভিন্ন ধরনের আবহে। বলা যায় শীতল পারিপার্শ্বিক অবস্থায় একটু উষ্ণতা পাবার আশায়। কিংবা সামান্য আরাম পাবার জন্য। একজন সাধারণ পুরুষএবং একজন সাধারণ নারী পরসপর এমন করেন বা জড়িয়ে ধরেন একে অপরকে এ জন্যই। তাদের অন্তর্গতআকাঙ্খা বাঙ্ময় হয়ে ওঠে এভাবেই। দ্বিতীয় প্রাপ্তবয়স্ক নর-নারীদের বেলায় আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে পারসপরিক কথোপকথন। কোনো দম্পতি হয়ত ত্রিশ বছর বা তারও বেশি সময় ধরে পরস্পর কথা বলছে। আপনারা ভাবতে পারেন কি এমন কথা! অথবা হেন কোনো কথা নেইযা তারা বলতে বাকি রাখে। কিন্তু তারপরও তারা কথা বলে যায় পরসপর। এমনকি পথে চলতে চলতেও তারা পরসপর কথা বলে যায়। এমন কথা যা তারা অন্য কারো সঙ্গে বলতে পারে না। পুরুষটি তার সঙ্গিনীর কাছে অকপটে তার ভালো মানুষি কথা বলতে পারে। এখানে তার কোনো ধরনের ভীতি থাকে না। সে বুঝতে পারে এমন একজনের কাছে সে তার মনের ভাব প্রকাশ করছে যে অত্যন্ত সহৃদয়তার সঙ্গে তার কথাগুলো শুনছে। একই সঙ্গে পারছে তার মনোযোগ আকর্ষণ করতে। কিন্তু এইযে কথোপকথন-তার প্রাথমিক উদ্দেশ্য কি? এ প্রশ্ন আসতে পারে। উত্তর খুব সহজ। এর উদ্দেশ্য একটি বিষয়, তোমার কাছেই এবং তুমিও এখানে আছ, আমারকাছেই। তৃতীয় নারী নরকে তার প্রয়োজন মেটায়। বিকল্পভাবে নরও নারীর প্রয়োজন মেটায়। এটা সম্পূর্ণ পারসপরিক।যদি আপনাকে কারো প্রয়োজনই না পড়ে তাহলে আপনার মূল্য কোথায়? এ ক্ষেত্রে হয়ত আপনার চাকরিদাতা, ছাত্র, পাঠক বলতে পারে আপনাকে তাদের প্রয়োজন।। কিন্তু এ ধরনের সম্পর্ক পারসপরিক সমতা বিধান করে না। হয় আপনি কারও কাছে শ্রদ্ধার পাত্র, নতুবা আপনার কাছে কেউ শ্রদ্ধার পাত্র। অর্থাৎ সমীহ করার বিষয়টি থাকে। কিন্তু আপনার স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কেরবিষয়টি তা নয়। এখানে সমীহ করার কিছু নেই। এটাই আপনাকে আত্মমর্যাদায় অভিষিক্ত করে। প্রতিদিনের বৈরী পৃথিবীকে মোকাবিলা করার উৎসাহ ও সাহস যোগায়। একজন নরের জন্য একজন নারীর উপস্থিতি এখানেই সম্ভবত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এজন্যই ‘সাধারণ’ একজন নারী-কোটির একজন হয়েও আপনার কাছে অসাধারণ কেউ হয়ে যায়। স্বামীর কাছে স্ত্রী অনন্য হয়ে ওঠেন। এখানে আমি একজন পুরুষের দৃষ্টিভঙ্গি বর্ণনা করছি। প্রসঙ্গটি তাই বলে এখানেই স্থির নয়। আমি এও মনে করি না যে সম্পর্কটি একতরফা। বরং সম্পর্ক সম্পূর্ণভাবেই পারসপরিক। আরো প্রশ্ন আসতে পারে, একজন অর্থনীতিবিদ হয়ে আমি এতসব জানলাম কিভাবে? কথাটি মিথ্যা নয়। কিন্তু এও তো সত্য যে আমি ও আমার স্ত্রী জীবনে অনেকবার এ পথে পা ফেলেছি একসঙ্গে। আর আমি এসব হৃদয় দিয়েই অনুভব করেছি। সুত্রঃ রিডার্স ডাইজেস্ট অশ্নীলতার জোয়ারে বাংলাদেশ ।সৈয়দ রুবেল উদ্দিন http://sayedrubel.blogspot.com/2012/01/blog-post_9352.html

কোন মন্তব্য নেই :

হরমোনজনিত গোপন সমস্যা ,ডা. এম ফেরদৌস চর্ম, যৌন ও কসমেটিক বিশেষজ্ঞ কনসালটেন্ট ইনডাস মেডিকেল সার্ভিসেস
কোন মন্তব্য নেই
বয়ঃসন্ধিকালে অর্থাৎ কৈশোর থেকে যৌবনে পদার্পনের সময় দেহেকিছু কিছু পরিবর্তন দেখা দিয়ে থাকে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে পুরুষের বেলায় দাড়ি, গোঁফ, বগল ও নাভির নিচে পশম গজানো, গলার স্বর পরিবর্তন হওয়া, যৌনবোধ ও যৌন আকাঙ্ক্ষা জাগ্রত হওয়া। ছেলেদের বেলায় স্বপ্নদোষ ও মেয়েদের বেলায় মাসিক শুরু হওয়াইত্যাদি লক্ষণগুলো দেখা দিয়ে থাকে। এগুলো সবই বিশেষ করে হরমোনের প্রভাবেই সংঘটিত হয়ে থাকে। পুরুষদের দেহে পরিবর্তন সৃষ্টিকারী এই হরমোনটির নাম টেস্টোস্টেরন। দেহের টেস্টোস্টেরন সঠিক নিঃসরণের মাত্রার ওপর সুস্থ যৌনবোধ ও যৌন কার্যাবলী বহুলাংশে নির্ভরশীল। কিন্তু কোনো কারণে কিংবা কোনো বয়সের কারণে যদি রক্তে এই হরমোনের মাত্রা ব্যাহত হয় তাহলে দেহে নানাবিধ সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই এ ব্যাপারে সঠিক জ্ঞান থাকা দরকার যার ফলে সহজেই বোঝা যাবে যে এই হরমোনের অভাবে দেহে কি কি উপসর্গ দেখা দিতে পারে এবং আমরা নিজেদের মাঝেও মিলিয়েদেখতে পারি এই সমস্যাগুলোর কোনটা কার মাঝে রয়েছে। থাকলে সঠিক চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে রোগমুক্ত থাকা যাবে। পুরুষদের সেক্স হরমোন মাত্রা কম হতে পারে বয়সের বিভিন্ন পর্যায়ে। যেমন-বয়ঃসন্ধিকালের আগে ও পরে।বয়ঃসন্ধিকালের আগে অন্ডকোষে সমস্যা দেখা দিলে সেক্স হরমোন যেমন কমে যেতে পারে, তেমনি সব গ্রন্থিকে কন্ট্রোল করে যে পিটুইটারি গ্রন্থি তার সমস্যা হলেও যৌন হরমোন কমে যেতে পারে। বালকদের ক্ষেত্রে ১৪/১৫ বছরের আগে যাদের সেক্স হরমোন কম রয়েছে তাদের হাইপোগেনাডিজম হয়েছে এমনটি বলা যাবে না। কারণ অনেক সময় কারও ক্ষেত্রে দেরিতেযৌবন ও যৌবনের লক্ষণগুলো দেখা দিতে পারে। যদি সম্পূর্ণরূপে পিটুইটারি গ্রন্থির সমস্যা থাকে তাহলে দেখা যাবে যে বালকটি বামন প্রকৃতির,সম্পূর্ণরূপে পরিপূর্ণ দেহের উচ্চতা হয়নি। অন্যদিকে দেখা যাবে হাড়ের ছিদ্রগুলো দেরিতে বন্ধ হওয়ার ফলে রোগী অত্যধিক লম্বা হয়ে গেছে। গোপন অঙ্গ প্রত্যঙ্গগুলো সঠিকভাবে বৃদ্ধি পাবে না, গলার স্বর নিম্নমাত্রার থাকবে, দাড়ি গোঁফ হয়তো গজাবে না। রোগীর যৌন আকাঙ্ক্ষা থাকবে না এবং পুরুষত্বহীনতা দেখা দেবে। যৌবনকালে তাকে অল্পবয়স্ক বালকের মতো দেখাবে। মেদবহুল শরীর ও হাত-পা অসম্পূর্ণরূপে বর্ধিত হবে। গলার সামনে যে উঁচু জায়গা থাকে তাকে আদম আপেল বলা হয়, তা ছোট থাকে। স্তন বৃদ্ধি পেতে পারে। ত্বকের অবস্থা পাতলা কুঁচকানো থাকবে বিশেষ করে মুখের ত্বক। মুখে কোনো ব্রণ থাকবে না। অথবা মুখ তৈলাক্তও থাকবে না।পুরুষাঙ্গ ছোট, প্রস্টেট গ্রন্থিগুলোও ছোট থাকবে। নাভির নিম্নে ও বগলে পশম থাকবে না। অন্ডকোষ নাও থাকতে পারে। আবার থাকলেও ছোট হিসেবে থাকতে পারে।খুব বিরল ক্ষেত্রে অন্ডকোষ একেবারে নাও থাকতে পারে। কিন্তু কি কারণে না থাকতে পারে এটা বলা মুশকিল। চিকিৎসা চিকিৎসার আগে রোগ নির্ণয়ের অন্য বিভিন্ন ধরনের হরমোন পরীক্ষা করার প্রয়োজন রয়েছে। তার মধ্যে রক্তে টেস্টোস্টেরন এফএসএইচ, এলএইচ, মাথার এক্স-রে, রক্তশূন্যতা ইত্যাদি পরীক্ষার মাধ্যমে রোগের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়। করিওনিক গোনাডোট্রপিন হরমোন ইনজেকশন ব্যবহারে পিটুইটারি গ্রন্থির ব্যাহত কার্যকারিতা বেশ ফলপ্রসূ। এর ব্যবহারের ফলেপূর্ণনা, রক্ত টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বৃদ্ধি, কখনও কখনও অন্ডকোষ নিচে নেমে আসতে পারে। পর্যাপ্ত টেস্টোস্টেরন ইনজেকশন ব্যবহারের মাধ্যমে এ ধরনের সমস্যায় আক্রান্তরা স্বাভাবিক পুরুষের মধ্যে অবস্থা ফিরে পেতে পারে। তবে বড় সমস্যা হচ্ছে, কারও শুক্র উৎপাদন করতে সক্ষম নয় যার উপস্থিতি বাচ্চা হওয়ার জন্য অতীব জরুরি। শুক্র উৎপাদনের জন্য HMG+HCG হরমোন উভয়ের প্রয়োজন রয়েছে। তবে এই চিকিৎসা ব্যয়বহুল। কখনও শুধু HCG ইনজেকশন ব্যবহারের মাধ্যমেও শুক্র উৎপাদন করতে সক্ষম হয়। যাদের বয়ঃসন্ধিকালের আগেই হাইপোগনডিজম সমস্যা রয়েছে তাদের সারা জীবন এই টেস্টোস্টেরন হরমোন ইনজেকশনের ওপর চলতে হবে। ২০০-৩০০ মিঃ গ্রাঃ টেস্টোস্টেরন ইনজেকশন I/M ২/৪ সপ্তাহ অন্তর নিতে হবে। খাওয়ারটেস্টোস্টেরন ব্যবহারে অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। বিশেষ করে লিভারের ক্ষতি করতে পারে যদি দীর্ঘদিন ব্যবহার করাহয়। বর্তমানে FSH হরমোনের ব্যবহারের আশানুরূপ সাড়া পাওয়াযেতে পারে। মিথাইল ও ফ্লুক্সিমিথাইল টেস্টোস্টেরন ওষুধ এসব অসুবিধায় খুবই কার্যকর। কিন্তুএসব ওষুধ ব্যবহারে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। তাই খাওয়ার চেয়ে ইনজেকশনের মাধ্যমে ওষুধ প্রয়োগ গ্রহণযোগ্য। এই ওষুধ প্রায় তিনসপ্তাহ ২০০-৪০০ মিঃ গ্রাঃ এই সময় ব্যবহারে কম হয়ে যায়। বৃদ্ধ বয়সে এই ওষুধ প্রয়োগের ক্ষেত্রে প্রস্রাবের সমস্যা হচ্ছে কিনা দেখা দরকার। যদি রক্তে প্রলেকটিন মাত্রা বেশি হওয়ার ফলে যৌনগ্রন্থির কার্যকারিতা কমে গিয়ে থাকে তাহলে ব্রমোক্রিপটিন নামক ওষুধব্যবহারে ভালো ফল আশা করা যায়। ♥♥♥♥সমাপ্ত♥♥♥♥ প্রকাশক : সৈয়দ রুবেল উদ্দিন www.facebook.com/sayed.rubel3 ভাল লাগলে ফেসবুকে শেয়ার করুন । লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ । ভাল থাকুন সব সময় ।

কোন মন্তব্য নেই :

বাসর ঘর ( পাতা ৫ )
কোন মন্তব্য নেই
এভাবে চিৎকার করতে করতে একটু পরেই তামজীদ হাপ ছেড়ে কাঁপতে কাঁপতে নাসরীনের বুকের ওপর পড়ে গেল। নাসরীনের গুদ ভরে তার বীর্য উপচে বাইরে বেরিয়ে আস্‌তে লাগলো চুইয়ে চুইয়ে। নাসরীনও বাড়ার টাটানো অনুভব করে উত্তেজনার শিখরে পৌছে গেল। তবে তার পানি ঝরলো নিঃশব্দে, একটু কম্পনের সঙ্গে। রফিক চোখ বন্ধ করে ভাবলো, এবার তাহলে শেষ। সব। ___________________________________________________ ৪র্থ অধ্যায় - ইতি তামজীদ এর মধ্যেই নাসরীনের পাশে শুয়ে নাসরীনকে আদর করতে শুরু করেছে। তার একটা হাত দিয়ে সে নাসরীনের বাম স্তনটা টিপেই চলেছে আর তার জীব দিয়ে সে নাসরীনের মুখের ভেতরটা আবিষ্কার করছে। এতক্ষণ এসব দেখে মেজর শাফকাতের বাড়াটা ফুলে টন টন করছে। তার মাথায় এখনখালি একটায় চিন্তা - নারী দেহেরউস্ন ছোয়া। তার ওপর তার ঠিক গায়ের সাথে ঠেকে আছে রফিকের সুন্দরী ২২ বছরের বোন রাইসার দেহটা। রাইসার বুকের একটু ওপরেই শাফকাতের হাত। প্রথম ধস্তাধস্তিতে রাইসার শাড়ির আঁচল পড়ে গেছে আর গিঁট টাও ঢিলাহয়ে গেছে। রাইসা তার নিতম্বের ফাঁকের মাঝে অনুভব করছে শাফকাতের টাটানো পুরুষাঙ্গ। সেটা যেন একটা সাপের মত গর্জন করছে শাফকাতের প্যন্টের মধ্যে দিয়ে। শাফকাত রফিককে ব্যাঙ্গ করে বললো, তোর ওই বোনের স্বামীর কোনো দোষ নেই। এরকম একটা শরীর কি কেউ ছেড়ে দেই নাকি। রফিকের জানের পানি শুকিয়ে গেল এই কথাটা শুনে। রাইসা অনেক কষ্ট এর মধ্যেই সহ্য করেছে। এটা কি না ঘটলেই না? রফিক এবার কাঁপা কাঁপা গলায় বললো, শাফকাত ওকে ছেড়ে দে। তোরা যা নিতে এসেছিলি,পেয়ে গেছিস। এবার যা। - কেন? কী করবি? পুলিশ ডাকবি? শোন বাংলাদেশে কেউ দুজন আর্মি অফিসারকে গ্রেফতার করবে না। আমাদের কিসসু হবে না।ক্যান্টনমেন্ট থেকে একটা ফোন আসলেই আমাদেরকে ছেড়ে দেবে।মাঝখান দিয়ে তোর এই বোনের নামে দুনিয়ার কলঙ্ক রটবে। তুই কি তাই চাস। অনেক দিন রাইসা কে দেখেছি দুর থেকে। আজ ওকে একটু কাছ থেকে চেখে দেখবো। এ কথাটা শেষ হতে না হতেই শাফকাতরাইসার ব্লাউজের ওপর দুই হাত রেখে আস্তে আস্তে টিপতে শুরু করলো। রাইসা নিজেকে ছাড়াবার চেষ্টা করেও পারলো না। শাফকাতের শরীরে অসুরের মত শক্তি। সে একটানে রাইসার ব্লাউজের হুক গুলো পড় পড় করে ছিড়ে ফেললো। এবার সে, রাইসার পিঠে চুমু খেতে খেতে, রাইসার ব্রার হুকটাও খুলে ফেললো। তারপর শাফকাত একটা ধাক্কা দিয়েরাইসা কে মাটিতে ফেলে দিতেই, মেজর তামজীদ বিছানা থেকে উঠে এসে রাইসার দুই হাত চেপে ধরলো।আর সাথে সাথে শাফকাত নিজের প্যান্ট আর আন্ডারওয়ের একটানে খুলে রাইসার ওপর শুয়ে আস্তে আস্তে নিজের মুখ দিয়ে রাইসার ব্রাটা নামাতে শুরু করলো। রাইসা স্তন দুটো মাঝারি হলেও বেশ টলটলে। এই দেখে শাফকাত পাগলে মত রাইসার বুক চাটতে লাগলো। রাইসা মাটিতে অর্ধ নগ্ন হয়ে কাতরাচ্ছে আর দুজন পশু তাকে এভাবে ছিড়ে খাচ্ছে। এটা দেখে রফিকের মনের মধ্যে একটা বিদ্যুত খেলে গেল। নিজের অজান্তেই, রফিকের চোখ চলে গেল শাফকাতের গান হোল্সটারের দিকে।প্যান্ট খোলার সময় সেটাও খুলে মেজর শাফকাত রেখেছে নিজেরপায়ের কাছে।রফিক জীবনে একবারই বন্দুক হাতে নিয়েছে। শাফকাতই একবার মাতাল অবস্থায় নিজের পিস্তলটা দেখিয়েছিল তার ছোট বেলার বন্ধু রফিককে। রফিক বন্দুক চালাতে পারবেনা কিন্তু তার মনে যেন কী একটা ভর করলো। নিজের বোনকে আরেকবার এভাবে নিজের চোখের সামনে নির্যাতিত হতে সে দেখতে পারবে না। সে এক লাফে হোল্সটার থেকে বন্দুকটা বের করে শাফকাতের দিকে তাঁক করে বললো, ওঠ শুয়ারের বাচ্চা। শাফকাত তাচ্ছিল্যের স্বরে হাসতে হাসতে রাইসার সায়া উঠাতেউঠাতে বললো, তুই চালাবি বন্দুক? তার থেকে নিজের বাড়াটাবের করে খেঁচ আর দেখ কী করে আসল পুরুষ হতে হয়। শাফকাত রাইসার শায়াটা তার কোমরের কাছে জড় করে,তার প্যান্টির ওপর দিয়ে নিজের বাড়াটা ঘসতে শুরু করলো। রফিক চেষ্টা করলো গুলি করতে কিন্তু তাঁর হাত বরফের মত ঠান্ডা হয়ে আসছে। শাফকাত এবার রাইসার প্যান্টিটাও খুলে ফেললো এক টানে। রাইসার নগ্ন শ্যামলা শরীরে শুধু মাত্র একটা সায়া জড়ো করা আছে কোমরের কাছে। তার দেহটা ঘামে ভিজে চপ চপ করছে। সেঅনেক চেষ্টা করেও নিজেকে ছাড়াতে পারছেনা এই দুই পশুর হাত থেকে। অনিচ্ছা শর্তেও তার গুদ ভিজে উঠছে আর তার ছোট্ট আকৃতির বোঁটা দুটো বাতাসে শক্তহয়ে দাড়িয়ে আছে। শাফকাত নিজের পুরুষাঙ্গটা রাইসার পর্দাওয়ালা গুদে ডলতে শুরু করলো। গুদটা নরম আর ভেজা। নগ্ন রাইসাকে দেখতে দেবীর মত লাগছে।তার আমের মত স্তন আর শরু মাজাটাদেখে শাফকাত আনন্দে নিজের চোখ বন্ধ করে বাড়ার আগাটা ভরতে শুরু করলো রাইসার নারি অঙ্গে। হঠাৎ কান ধাঁধাঁনো এক শব্দে রফিকের হাতের পিস্তল থেকে একটাগুলি ছুটে ঘর কাপাতে লাগলো। কিন্তু শাফকাতের গায়ে গুলি লাগে নি। সে দাড়িয়ে রফিকের দিকে এগুতেই আরেকবার গুলি চললো। মাটিতে পড়ে গিয়ে শাফকাত তাকিয়ে দেখলো তাঁর হাটুর একটু নিচে ঠিক চামড়া ঘেঁসে বুলেটটা গেছে। সোজা লাগলে এত ক্লোজ রেন্জে হয়তো হাটুটা উড়েই যেত। কিন্তু পা থেকে গল গল করে রক্ত বেরুচ্ছে। ঠাৎ ধপ করে মাটিতে পড়ে গেল মেজর তামজীদও। তার পুরুষাঙ্গটা আর নেই। প্রথম গুলিটি ঠিক সেখানেই লেগেছিল। কাতর কন্ঠে শাফকাত বললো, তোর কীমাথা খারাপ হয়েছে। এর জন্যে তোর কী সাস্তি হবে জানিস? - কিছুই না। মামলা করলে তোদের কী হবে ভেবে দেখ তো। ফাসি না হলেও, বছর দশেকের জেল হবে। আমারহয়তো ১ বছরের মত হরে পারে, আবার নাও হরে পারে, কারণ বন্দুকটাতো তোরই। সেল্ফ ডিফেন্সে। আমার হাতে কী করে আসলো সেটা বলতে গেলে তোকে সবই বলতে হবে।আমি একজন মন্দ স্বামী হতে পারি কিন্তু আমি যে উকিল হিসাবে একেবারে খারাপ না সেটা … কিছুক্ষন সব ভেবে কাপতে কাপতে শাফকাত বললো, আমাদের ড্রাইভারকে ডেকে দে। আমরা চলে যাচ্ছি। - দিচ্ছি তবে তোরা আর কক্ষনও আমার পরিবারের তৃসিমানায় আসবি না। আসলে তোদের কম্যান্ডিং অফিসার করনেল জহিরকে আমি নিজে ফোন করবো। আর শোন, তোদের ওই পোষা মাগিটাকেও নিয়ে যা। রফিকের কন্ঠে দৃড়তা। সে এক অন্য মানুষ। সবাই যাওয়ার পরে রাইসা তার দেহে শাড়িটা কোনো রকম পেচিয়ে রফিককে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগলো,আমাদের কী হবে, ভাইয়া? বাচ্চাগুলোর কী হবে? মা না থাকলে ওরা বাচবে কী করে? সমাপ্ত প্রকাশক : সৈয়দ রুবেল উদ্দিন www.facebook.com/sayed.rubel3

কোন মন্তব্য নেই :

বাসর ঘর ( পাতা ৪ )
কোন মন্তব্য নেই
একবার হাতদিয়ে বুক টিপে দেখছে, তো আরেকবার শরু মাজাটাতে হাত বুলাচ্ছে। রফিকের সারা দেহে কাটা দিয়ে উঠছে। সে না পেরে, নিজের শরীরের সমস্ত শক্তি দিয়েচিৎকার করে ঝাপিয়ে পড়লো তামজীদের ওপর কিন্তু একটা ঘুসিবসানোর আগেই শাফকাত পেছন থেকে রফিককে ধরে ফেললো শক্ত করে। এত চিল্লাচিল্লি শুনে রফিকের ৭ বছরের ছেলে তানভীর আর মামাতো বোন রাইসা ছুটে এসে সব দেখে স্তম্ভিত হয়ে দাড়িয়ে আছে দরজারপাশে। হঠাৎ রফিককে ছেড়ে দিয়ে মেজর শাফকাত রাইসাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বললো, নড়েছিস তো রাইসার খবর আছে। মেজর তামজীদ আস্তে আস্তে নাসরীনের নাইটিটা ওঠাতে শুরু করেছে। নাসরীনের মশ্রীন লম্বা পা গুলো এখন প্রায় হাটু অবধি নগ্ন। নাসরীনের ৭ বছরের ছেলে তানভীর একবার নিজের বাবার দিকেআর একবার নিজের মাকে দেখছে। খুব ভয় হলেও সে বুঝতে পারছে না এই সবের অর্থ কী। তার দিকে তাকিয়ে, দাত খিচিয়ে নাসরীন বলে উঠলো, কী দেখছিস? বেরিয়ে যা এখান থেকে। তোকে যদি পেটে থাকতেই মেরে ফেলতে পারতাম, আমারজীবনটা নষ্ট হতো না। রফিক খুব নিরুপায় হয়ে নিজের ছেলেকে ধরে ঘর থেকে বের করে দরজাটা আটকে দিল। তাঁর নিজেকে খুব ঘৃণা হচ্ছিল। দাড়িয়ে দাড়িয়ে দেখা ছাড়া তাঁর পক্ষে আর কিছুই করা সম্ভব না। তামজীদ এতক্ষণে নাসরীনের নাইটিটা কোমর পর্যন্ত তুলে ফেলেছে আর ওদিকে নাসরীনও তামজীদের প্যান্টের বেলটটা খুলে প্যান্টটা কোমর থেকে নামিয়ে দিয়েছে। এবার তামজীদ নাসরীনের নাইটিটা সম্পূর্ন খুলে মাটিতে ফেলে দিয়ে একবার তার সামনের অপ্শরিটিকে ভালো করে দেখে নিল। বড় বড় মৃনাক্ষী আর ভরাট ঠোঁটের সৌন্দর্যকে যেনচওড়া ফর্সা কাঁধটা হার মানায়। তার একটু নিচেই একটা সাদা পুরনো ব্রা কোনো রকমে নাসরীনেরভরাট দুধ গুলোকে ধরে রেখেছে। দুটো বাচ্চার মা হলোও নাসরীনেরকোমরটা চ্যাপটা। নাসরীনের কালোঢেউ ঢেউ চুল তার কোমর পর্যন্ত আসে। মেজর তামজীদ পা ভাজ করে সেখানেই নিজের মুখ বসালো, ঠিক নাভির নিচে। তারপর চুমু খেতে খেতে সে নিচের দিকে নামতে শুরু করলো। প্যান্টির ওপর দিয়ে সে নাসরীনের যোনিতে চুমু দিতে দিতে, ২-৩টে আঙুল দিয়ে সাদা প্যান্টিটা নিচে নামাতে শুরু করলো। নাসরীনের বাল ছোট করে কাটা আর তার কামাঙ্গ একেবারে গাঢ় গোলাপি। তাকে দেখে ঠিক বাঙালী বলে মনে হয় না। প্যান্টিটা পা বেয়ে নামিয়ে দিতেই নাসরীন দেয়ালে হেলান দিয়ে এক পা বিছানার ওপরে তুলে তামজীদের জীবের প্রবেশদার খুলেদিল। তামজীদ নাসরীনের বাতাবি লেবুর মত নিতম্বে দু’হাত রেখে, নিজের ঠোট আর জীব দিয়ে নাসরীনের গুদ চাটতে লাগলো।নিজের স্বামী আর ননদের সামনে এক জন পরপুরুষের হাত নিজের নগ্ন দেহে অনুভব করে নাসরীনের দেহে এক অন্য রকমের উত্তেজনা সৃষ্টি হচ্ছে। তার গুদ এত অল্প ছোঁয়াতেই ভিজে গেছে নারী রসে। সেই ঘ্রানে পাগল হয়ে মেজর তামজীদ এবার তার দুটো আঙুল দিয়ে নাসরীনের গুদ চুদতে লাগলো। নাসরীন সেই আনন্দে চিতকার করতে করতে আর না পেরে বিছানায় আস্তে আস্তে শুয়ে পড়লোনিজের দু’পা মেজরের কাঁধের ওপর রেখে। তামজীদের হাত আর জীবের ছোঁয়ায় নাসরীন কেঁপে উঠলো একটুপরেই আর তার গুদ ভরে উঠলো আরো রসে। রাইসা চোখে একটু একটু ভয়ের পানি নিয়ে তাকিয়ে দেখছে তার ভাবিকে। তামজীদ এবার দাড়িয়ে একটু উঁবু হয়ে নাসরীনের ওপর শুয়ে পড়লো। তার ঠোট পড়লো নাসরীনের ঠোটে। সে নিজের দুই হাত দিয়ে সমানে নাসরীনের ভরাট দুধ দুটো টিপছে ব্রার ওপর দিয়ে। এক সময় নাসরীন একটু উঁচু হয়ে ব্রার হুকগুলো খুলে দিতেই তার মাইয়ের ধাক্কায় ব্রাটা নেমে গেল। নাসরীনের ভরাট দুখ গুলো তার মাঝারি কাঠামোর শরীরটাকে যেন এক সর্গীয় রূপ দিচ্ছে। দুটো বাচ্চা হওয়ার পর নাসরীনের দুখ গুলো এখন আরো বড়। তামজীদ ব্রাটা হাতে নিয়ে একটু শুঁকলো। সুন্দরী মেয়েদের দেহেরগন্ধটাও খুব সুন্দর হয়। মেজর তামজীদের বাড়াটা তার বক্সারের ভেতরে নেচে উঠলো। সে ব্রাটা ফেলার আগে লেবেল টা দেখে একটু দুষ্টু ভাবে হেসে বললো, ৩৪ ডি তে তোমার হবে না, আরেকটু বড় দরকার। বলে সে নাসরীনের গোলাপিমোটা বোঁটায় নিজের মুখ বসিয়ে কামড়াতে শুরু করলো। নাসরীন নিজের এক হাত দিয়ে নিজের গুদের মুখ ডলতে লাগলো আর গোঙাতে লাগলো সজোরে। সে যত জোরে গোঙায় মেজর তামজীদ ততই তার বোঁটা আর ডাসা স্তন কামড়ে ধরে। এক পর্যায়ে মেজর তামজীদ উঠে দাড়িয়ে নিজের বক্সারটা টেনে খুলে ফেললো মাটিতে। নাসরীন খাটের কিনারায় বসে, তামজীদের টাটানো বাড়াটা হাতে নিয়ে সেটাকে একটু নেড়ে চেড়ে দেখতে লাগলো অবিশ্বাসের সাথে। আসলেও কি কারো পুরুষাঙ্গ এত বড় হতে পারে। রফিকের বাড়াটা নাসরীনের কাছে বড় লাগতো। তামজীদেরটা তারথেকে কম করেও দেড় গুন লম্বা আর শিকি পরিমান মোটা বেশি হবে। নাসরীন শুধু বাড়ার আগাটা মুখে পুরে জীব দিয়ে মাসাজ করতে লাগলো। তার বেআইনি প্রেমিক সেইছোঁয়ায় জোরে জোরে নিশ্বাস নিতেনিতে নাসরীনের মাথায় নিজের দু’হাত রাখলো। নাসরীন এভাবে বাড়ার আগাটা চাটলো প্রায় মিনিটপাঁচেক। এক সময় তামজীদ কাঁপতে কাঁপতে বললো, আর বেশিক্ষন ধরে রাখতে পারবো না। বলে সে একটা ছোট ধাক্কায় নাসরীনকে শুইয়ে দিল বিছানার কিনারে যাতে করে তার পা দুটো ঝুলতে থাকে।সে নাসরীনের লম্বা মশ্রীন ফর্সা পা দুটো নিজের দুই হাতে ধরে, নাসরীনের রসে ভেজা গুদের মধ্যেনিজের পুরু বাড়াটা ঠেলে ঢুকাতেলাগলো। নাসরীনের গুদটা এখনও বেশ টনটনে। বাড়াটা ঠেলতে বেশ খানিকটা জোর দিতে হলো মেজর তামজীদের। নাসরীনের মনে হচ্ছিলতামজীদের মোটা নুনুটা যেন তার ভোঁদা চিরে ফেলছে। সে একটা বালিস কামড়ে ধরে একটা গর্জন করে নিজের চোখ বন্ধ করে ফেললো আনন্দে। তামজীদ নাসরীনের পা দুটো এবার শক্ত করে ধরে, নাসরীনের গরম গুদটা ঠাপাতে লাগলো তালে তালে।নাসরীনের সারা শরীর সেই ঠাপের তালে বিছানার ওপরে দুলছে। নাসরীন গোঙাচ্ছে আর তামজীদ ইংরেজীতে নাসরীনকে অনবরত বলে যাচ্ছে, “ও ফাক, ফাক”, “ইউ আর সাচ এ হঠ বিচ।“, “ডু ইউ লাইক মাইডিক ইন ইউ, ইউ ফিলথি সিভিলিয়ান হোর?”, “ব্লাডি সিভিলিয়ান কান্ট”। এইসব শুনে রফিকের বমি আসলেও তার চোখের সামনেই তার স্ত্রী যেন কামজ সুখে সর্গে পৌছে গেছে। আরো পড়তে থাকুন ( পাতা ৫ )

কোন মন্তব্য নেই :

বাসর ঘর ( পাতা ৩ )
কোন মন্তব্য নেই
একজন পুরুষের যৌনাঙ্গেরছোঁয়ায় তার বোঁটা দুটো শক্ত হয়ে উঠছে তবে তার নারি অঙ্গ এখনও তেমন ভেজেনি। কোনোদিন কোনো পুরুষ রাইসাকে এভাবে নগ্নঅবস্থায় দেখেনি। অনেক ছেলেরা কলেজে রাইসার পেছন পেছন ঘুরতো।আজ নিজের সামীকে খুশি করতে সে নিজের দেহটাকে তার হাতে তুলে দিয়েছে। সোহেল রাইসার আধ শুকনো গুদ দেখে একটু খেপে উঠলো, না, তোমার একটু রসও নেই। কী আর আনন্দ পাওয়া যাবে। বলে সে রাইসা কে চিত করতে শুরু করলো। রাইসা একটু ভয়ে কাঁপা কাঁপা গলায় জানতে চেল, কী করছেন? সোহেল কথার কোনো উত্তর না দিয়ে,রাইসার নিতম্বে একটু থুতু মারলো, তারপর নিজের বাড়ার আগায় একটু থুতু মেরে সেটা রাইসার গোয়ায় ডলতে লাগলো। রাইসার মনে মনে একটু ভয় করছিল কিন্তু এবার সে একটু কষ্ট হলেও চেষ্টা করতে চায়। সে সামী কে কথা দিয়েছে, সামী র ইচ্ছে মত সব করবে। সোহেলএকটু জোর করে নিজের বাড়াটা রাইসার পেছনে ঠেলে দিতে শুরু করলো। রাইসা তিব্র যন্ত্রনায় কাঁপতে শুরু করলো। তার চোখ থেকে কয়েক ফোটা পানি বেরিয়ে এলো কিন্তু সে মুখে কিছু বললো না। আস্তে আস্তে সোহেলের সম্পূর্ন পুরুষাঙ্গই রাইসার পাছায় ঢুকে গেল। সোহেল নিজের মাজা আগে-পিছে করে রাইসার গোয়া চুদতে লাগলো। রাইসার সম্পূর্ন দেহ সেই তালে দুলছে আর এত যন্ত্রণার মধ্যেও রাইসা এক রকমসুখ অনুভব করতে লাগলো। সোহেলেরঠাপের জোর বাড়ার সাথে সাথে রাইসার গলা থেকে বেরুতে শুরু করলো গর্জন।রাইসার দেহে যেন বিদ্যুত বয়ে চলেছে। তাঁর বোঁটাশক্ত হয়ে আসছে আর তাঁর গুদ ভরে উঠছে নারী রসে। সে বাড়িতে আর কেআছে চিন্তা না করে জোরে জোরে চিত্কার করতে লাগলো, ওহ্, ওহ্, উম্‌হ্‌। এভাবে প্রায় ১০-১৫ মিনিট রাইসার পশ্চাৎ চোদনের পরসোহেল খাট থেকে নেমে পাশে দাঁড়ালো। রাইসা একটু মাথা উঁচু করে দেখতে যেতেই তার সামী নিজের বাড়াটা রাইসার মুখের কাছে ঠেলেদিল। রাইসা একটু মাথাটা পেছনে সরিয়ে নিয়ে গেল। নিজের পাছা থেকে বেরুনো একটা বাড়া চুষতে তার গা ঘিনঘিন করছে। কিন্তু সোহেল একটু জোর করেই নিজের বাড়াটা রাইসার মুখে পুরে দিতে গেল। রাইসা খানিকক্ষণ ধস্তাধস্তি করে না পেরে উঠে বসে সোহেলকে এক ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিল। তারপর সে খাট থেকে নেমে নিজের কাপড় তুলতে লাগলো। সোহেল রাগে রাইসাকে ধাক্কা দিয়ে একটা দেয়ালের সাথে ঠেলে দিয়ে রাইসার মুখে একটা চুমু দিল। রাইসা দু’হাত দিয়ে সোহেলকেদুরে সরিয়ে দিতে চেষ্টা করলো কিন্তু তার গায়ে এত জোর নেই। দাঁড়ানো অবস্থাতেই সোহেল রাইসার অব্যবহৃত গুদে নিজের বাড়াটা জোর করে ঢুকিয়ে দিতে চেষ্টা করলো।রাইসা চিত্কার করার চেষ্টা করলো কিন্তু তার মুখ সোহেলের মুখ দিয়ে বন্ধ করা। সোহেল নিজের দু হাত দিয়ের রাইসার মাজা শক্ত করে ধরে নিজের বাড়াটা একটু একটু করে ঠেলতে লাগলো রাইসার গুদের ভেতর।গুদের পর্দায় বাড়ার ধাক্কাতে রাইসা এক অসহনীয় বেদনা অনুভব করলো। রাইসা সোহেলের ঠোঁটে একটা কামড় দিতেইসোহেল একটু দুরে সরে গেল। নগ্ন অবস্থাতেই রাইসা ছুটে বেরিয়ে গেল তার ঘরের বাইরে। ___________________________________________________ ৩য় অধ্যায় - ফাটল রফিক একবার নিজের পকেটে হাত দিল। শুধু একটা ২০ টাকার নোট। কোনোদিনই রফিকের অবস্থা তেমন সচ্ছল ছিল না কিন্তু নিজের দুই ছেলে মেয়ের খরচ আর মামাতো বোন রাইসার দাম্পত্যিক নির্যাতনের মামলা ঠেলতে গিয়ে তার যা পুঁজি ছিল তাও গেছে। তবুও রফিক কখনও পিছ-পা হয় নি। তাঁর অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে আগামি ১৪ বছর সোহেল নামের পশুটির স্থায়ী ঠিকানা ডাকা কেন্দ্রীয় কারাগার। একটা রিকশাকে হাক দিয়ে বললো, মিরপুর। তিতুমিরের মোড়। আজ ঘরে ফিরতে বেশ দেরি হয়ে গেছে। রাইসা আর বাচ্চারা নিশ্চয় এতক্ষণে ঘুম। রফিক নিঃশব্দে দরজা খুলে ভেতরে ঢুকতেই নিজের ঘরে আলো দেখতে পেয়ে একটু খুশি হলো। গত মাস খানেক ধরেই নাসরীনের মন ঘরে নেই । রফিকের এক ছেলে বেলার বন্ধু, মেজর শাফকাতই এর জন্যে দায়ী। বিয়ের দিনই শাফকাতের সাথে নাসরীনের পরিচয় হয় কিন্তুইদানিং তাদের অনিষ্টতা বেড়েছে একটু অপ্রীতিকর ভাবে। প্রায়ই রফিক বাড়িতে না থাকলে এ ও ছুতোইবিবাহিত মেজর সাহেব বন্ধুর সুন্দরী স্ত্রীকে নিয়ে বেড়াতে যান আর ফিরিয়ে দিয়ে যান অনেক রাতে। রফিক নরম-সরম মানুষ। ভিশন রেগে থাকলেও তাঁর পক্ষে এ নিয়ে কোনো উচ্চ বাচ্য করা সম্ভব না। একদিন নাসরীনকে জিজ্ঞেস করাতে সে খট করে চটে গিয়ে উত্তর দেই, কই তুমি যে রোজ এত রাতে বাড়ি ফেরো আমি তো প্রশ্ন করি না। তুমি কী আমাকে সন্দেহ করছো? সন্দেহ না। রফিক এখন নিশ্চিত তাঁর ঘর ভাঙার পথে কিন্তু তবু সে বিয়ের পরের সেই নিষ্পাপ পরিটির কথা ভুলতে পারে না। তাঁর বিশ্বাস নাসরীন নিজের ভুলবুঝতে পেরে অনুতপ্ত হবে খুব শিগগিরিই। রফিক পা টিপে টিপে শোবার ঘরের দিকে এগিয়ে যেতে লাগলো। দরজাটাকে একটু খুলে ভেতরে ঢুকেই রফিক যা দেখতে পেল তার জন্যে সে প্রস্তুত ছিল না। একটা অপরিচিত পুরুষে আলিঙ্গনে দাড়িয়ে নাসরীন। তার ঠোট নাসরীনের ঠোঁটে চেপে ধরা, তার একটা হাত নাসরীনের মাঝ পিঠে আর অপরটি নাসরীনের ভরাট বাম মাইটাকে ধরে আছে পাতলা নাইটির ওপর দিয়ে।ছেলেটির মাথার চুল দেখেইবোঝা যায় সে আর্মির মানুষ। রফিক হুংকার দিয়ে উঠলো, কী হচ্ছে এসব? হঠাৎ পেছন থেকে এক পরিচিত কণ্ঠ সর এলো, রাগিস না দোস্ত। মনে নেই ছোট বেলায় তোর মা বলতো, ভালো জিনিস বন্ধুদের সাথে ভাগ করে নিতে হয়? তোর এত সুন্দর সেক্সি একটা বউ থাকতে তুই ভাগ দিবি না? সামনে হেটে এসে মেজর শাফকাত বললো, পরিচয় করিয়ে দি। সুন্দরী নাসরীনের বুকে হাত দিয়ে যে সুদর্শন ছেলেটি দাড়িয়ে আছে, ও মেজর তামজীদ। অনেকদিন ধরেই নাসরীন ওকে একটু কাছ থেকে দেখতে চাচ্ছিল। তুই কেমন হাজব্যান্ড বউয়ের এই একটা ইচ্ছা পুরন করবি না? শাফকাতের কণ্ঠে বিদ্রুপ। সে জানে রফিক নরম প্রকৃতির মানুষ। আর ছোট খাটো রফিকের পক্ষে দু’জন আর্মি অফিসারের মোকাবেলা করা সম্ভব না। রফিক এবার শান্ত গলায় বললো,নাসরীনকে ছেড়ে দিন। এবার নাসরীন একটু হেসে বললো, রফিক সপ্তাহরর বাকি দিন গুলো তো আমাকে পাচ্ছোই। একটা দিন আমাকে একটু বাঁচতে দাও। রফিকেরমনে হচ্ছিল তার দেহের প্রত্যেকটি লোমে আগুন জলছে। এখনো তামজীদের হাত নাসরীনের শরীরের ওপর। সে আস্তে আস্তে তার হাত দিয়ে নাসরীনের ভরাট দেহটাকে অনুভব করছে। আরো পড়তে থাকুন ( পাতা ৪ )

কোন মন্তব্য নেই :

বাসর ঘর ( পাতা ২ )
কোন মন্তব্য নেই
নাসরীন কি ভয় পাচ্ছে? এবার রফিক নাসরীনের মাজায় তার হাত রেখে নাসরীনকে একটানে নিচের দিকে নিয়ে এলো। নাসরীনেরনারী অঙ্গ রফিকের শক্ত মাঝারি বাড়াটাকে ভেতরে গিলে ফেললো আর নাসরীন একই সাথে, ও রে মা, করে একটা চিৎকার করে উঠলো। বেদনার চোটে তার চোখ থেকে একটু পানি বেরিয়ে এলো। কিন্তু এত যন্ত্রনার মধ্যেও নাসরীন এক আনন্দ অনুভব করতে লাগলো। তার গুদ থেকে যেন বন্যা বয়ে চলছে। রফিক এবার নাসরীন কে চিত করে শুইয়ে দিয়ে, আবার নাসরীনের গুদেনিজের টাটানো বাড়াটা একটু জোর করেই পুরে দিল। এবার সে জোরে জোরে ঠাপাতে লাগলো। নাসরীনের ছোট ভোঁদাটা যেন রফিকের বাড়াটাকে কামড়ে ধরেছে। ঠাপের তালে নাসরীন গোঙাচ্ছে আর তার বুকটা দুলছে। রফিক নাসরীনের ঠোঁটে ঠোঁট বসিয়ে আরো তেজের সঙ্গে নাসরীনকে চুদতে লাগলো। নাসরীনের মনে হচ্ছিল তার দেহটাকে যেন ছিড়ে ফেলবে রফিকেরমোটা বাড়াটা। সে সজোরে চিৎকার করতে লাগলো আর রফিকের জীব চুষতে লাগলো। হঠাৎ নাসরীনের সারা দেহে একটা কম্পনের মত বয়ে গেল। একটা আনন্দের স্রোতে যেন সে ভেসে যাচ্ছে। সেই স্রোতের ধারাতে তার গুদও নারী রসে ভরে উঠলো। একটু পরেই নাসরীন নিজের নারী অঙ্গের গভীরে রফিকের পুরুষ বীজের কামান অনুভব করলো।এ কী অপূর্ব সুখ। হাঁপাতে হাঁপাতে রফিক নাসরীনেরপাসে শুয়ে পড়লো। নাসরীন নিজের গুদের কাছে খানিকটা রস একটা আঙুল দিয়ে তুলে নিল। আবছা আলোতেও রক্তটা বেশ বোঝা যায়। রফিক রক্ত দেখে একটু ভয় পেল, তুমি ঠিক আছো? মমম… মানে ডাক্তার ডাকবো? - না, শুনেছি এরকম হয়। পরের বার হবে না। - পরের বার? - কেবল তো ১টা বাজে। কাল নিশ্চয়আপনার অফিস নেই। ২য় অধ্যায় - দম্পতি রাইসা আরেকবার ঘড়ি দেখলো। আজও তার সামীর আস্‌তে দেরি হচ্ছে। তার বিয়ে যে একটা দুশ্চরিত্রেরসাথে হয়েছে এটা সে বিয়ের রাতেই বুঝতে পেরে যায়। কী ধরনের মানুষ বিয়ের রাতে নিজের স্ত্রীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে দৈহিকমিলনের চেষ্টা করে! সেদিনকার কথা রাইসা ভুলতে পারে না। বিয়ের রাতে ২টার সময় রাইসার সামী, সোহেল, হালকা মাতাল অবস্থায় ঘরে ঢোকে। ঢুকেই সে সোজা বিছানায় এসে রাইসাকে শুইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। রাইসা আপত্তি করলে সে রাগে রাইসার শাড়ি টেনে খুলতে থাকে। ভয়ে রাইসা কাকুতি মিনতি করতে শুরু করে, আমি তো আপনার স্ত্রী।এরকম করছেন কেন। আমার সবই তো আপনার। - আমাকে তাহলে ঠেকাইতেছস ক্যান মাগি। পা টা ফাক কর না। - আপনি প্লীজ শান্ত হোন। - চোপ আবাগীর বেটি। তুই কী মনে করস আমি বুঝি না।তোমার ওই রফিকভাই হইলে তো ঠিকই এতক্ষণে ভোদা বাইর করে দিয়ে বাড়া চাটতা। খাঙ্কি মাগি! বাইর কর। দেখাই তোরে আসল পুরুষ কারে কয়। - ছি। ছি। কী বলছেন? রফিক ভাই আমার আপন ভাইয়ের মত। সোহেল ততক্ষণে রাইসার শাড়ি খুলে মাটিতে ফেলে দিয়ে, ওর সায়াওঠানোর চেষ্টা করছে। রাইসা এবার না পেরে জোরে চিত্কার করতে থাকে, বাঁচাও, বাঁচাও বলে।সোহেলের মা এসে রাইসাকে অর্ধ-ধর্ষিত অবস্থায় উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এসব প্রায় ১ মাস আগের ঘটনা। এর পরে সোহেল রাগে আর রাইসার সাথে কথা পর্যন্ত বলে না। রোজ রাতে মাতাল হয়ে ঘরেফেরে। রফিক ভাই একবার নাকি সোহেলকে রিকশায় এক সস্তা মেয়েরসাথে রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যলয় এলাকাতে দেখেছে, কিন্তু রাইসা মানসিক ভাবে শক্তিশালি। এত সহজে সে পরাজয় শিকার করতে পারে না। তাই রোজ রাতে খাবারের থালা নিয়ে অপেক্ষা। হঠাৎ দরজায় টোকা। সামী এসেছে। হাত-মুখ ধুয়ে সোহেল খেতে বসলো। আজকে অবশ্যি তার গায়ে মদের গন্ধ নেই। রাইসা একটু খুশি হলো। শাশুড়ির কথায় কি তাহলে শেষ পর্যন্ত কাজ হলো? সে একটু হেসে বললো, দেখো, আমাদের শুরুটাভালো হয়নি কিন্তু আমরা কি চেষ্টা করে একটা ভালো পরিবার তৈরি করতে পারি না? - মানে? - মানে আমরা যদি আবার প্রথম থেকে শুরু করি? - তুমি তো চাও না আমি তোমাকে ছুঁই। - ছি। ছি। তা হবে কেন? তুমি তো আমার সামী। - সেই জন্যেই কি সেদিন ওভাবে চিত্কার করে পাড়া জড়ো করেছিলে? - সেদিন আমি ভয় পেয়েছিলাম। আমি আজকে মত দিচ্ছি। আবার চেষ্টা করা যাক? - ঠিক আছে। তবে আমি যা বলবো তাই করবে? - চেষ্টা করবো। খাবার শেষ করে দুজনে ঘরে চলে গেল। রাইসার গায়ে একটা হালকা কচি কলাপাতা রঙের শাড়ি। ঘরে ঢুকেই সোহেল আঁচলটা ফেলে দিয়েইমুখে একটু হতাশা ফুটিয়ে আনলো। রাইসা শুকনা পাতলা। একেবারে রোগা না, আবার তেমন ভরাটও না। বুক গুলো মাঝারি হবে। মাজাটা চিকন। গায়ের রঙ শ্যামলা। চেহারাটাতে একটা অপূর্ব মিস্টিভাব আছে। সেটা দেখেই কিছুদিন আগে সোহেল মুগ্ধ হয়ে এক কথায় রাজি হয়ে যায়। কিন্তু এখন রাইসার স্তনের মাঝারি গঠন যেন সাত খন্ড রামায়নকে একেবারে অশুদ্ধ করে তুলেছে। সোহেল এক টানে রাইসার ব্লাউজের হুক গুলোছিড়ে ফেলে রাইসার বুকের একটু ওপরে চাটতে শুরু করলো, আর অন্য হাত দিয়ে রাইসার কোমর থেকে শাড়ির গিট খুলে শায়ার ফিতাটাও খুলে ফেললো। সাথে সাথে রাইসার দেহ থেকে প্রথমে শাড়িটা তার পর শায়াটা পড়ে গেল আর রাইসা খালি ব্রা আর প্যান্টিতে দাড়িয়ে রইলো।রাইসার খুব লজ্জা করছিল কিন্তুসে ভেবে নিয়েছে সামিকে ঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে যা লাগে তা সে করবেই। আর সে শুনেছে বেশির ভাগ পুরুষ মানুষই নাকি এরকম হয়। সে একটা হাত লাইটের সুইচে নিতে যাচ্ছে এমন সময় সোহেল তাকে টেনে বিছানায় ফেলে দিল। রাইসা বললো, একটু লাইট টা বন্ধ করে দাও? আমার খুব লজ্জা করছে। না, না লাইট ছাড়া তো তোমাকে দেখাই যাবে না। বলে সোহেল রাইসার দু'পায়ের ফাকে বসে, একটুসামনে ঝুকে রাইসার পেছনে হাত দিয়ে ব্রার হুকটা খুলে দিল। তার পর ব্রাটা সরিয়ে রাইসার ছোট খয়েরি বোঁটা দুটো আঙুল দিয়ে টানতে লাগলো। রাইসার স্তনছোট হলেও হাতে ধরতে বেশ লাগছে সোহেলের। নরম আর বেশ টনটনে। সোহেল বাম দুধটা টিপতে টিপতে, অন্য বোঁটায় একটা শক্ত কামড় দিল। রাইসা এবার একটু যন্ত্রনায় শিউরে উঠলো। সেই চিত্কার শুনে সোহেল মন ভরে রাইসার মাই দুটো চাটতে আর কামড়াতে শুরু করলো। সোহেলের বাড়াটা তাঁর পায়জামার মধ্যে টাটাচ্ছে। সে পায়জামার ফিতাটা খুলে, রাইসের প্যান্টিটা হাতের টানে ছিড়ে ফেললো। তারপর নিজের নুনুর আগাটা ডলতে লাগলো রাইসারগাঢ় খয়েরি গুদের মুখে। রাইসার লজ্জা লাগছিল কিন্তু সে একটা ক্ষীণ উত্তেজনা অনুভব করছে তারশরীরে। আরো পড়তে থাকুন পাতা ( পাতা ৩ )

কোন মন্তব্য নেই :

বাসর ঘর ( পাতা ১ )
কোন মন্তব্য নেই
১ম অধ্যায় – বাসর ঘর দরজাটা নিজের পেছনে ঠেলে দিয়ে, রফিক ফুলের মালায় ঘেরা বিছানাটার দিকে তাকালো। খাটের ওপরে বসে থাকা লাল শাড়িতে মোড়ানো মানুষটাকে একবার দেখে, চোখ বন্ধ করে একটা লম্বা নিশ্বাস ছাড়লো। সে মোটেও এর জন্যে প্রস্তুত না। কোনোদিন কোনো মেয়ের ব্লাউজও সে দেখেনি।একটা অপূর্ব সুন্দর মেয়েকে সে একটু পরে নিজের দেহের এত কাছে পাবে এটা চিন্তা করেই রফিকের হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসছে। মেয়েটার একটা গলা পরিষ্কার করাছোট্ট কাশিতে রফিকের মন বর্তমানে ফিরে এলো। এক পা, দু'পা করে খাটের দিকে এগিয়ে গেলসে। খাটে বসেই বললো, আপনা… মানে… তোমার কি কিছু দরকার? প্রায় ফিসফিস করে মেয়েটা বললো, এক গ্লাস পানি … মানে … - দাঁড়াও, এই তো জগ ধরেই পানি দিয়ে গেছে। রফিক একটা গ্লাসে পানি ঢেলে এগিয়ে দিতেই তার নতুন বিয়ে করা বউ ঘোমটার মধ্যে থেকে হাত বের করে সেটা নিয়ে জোরে শব্দ করে পানিটা খেয়ে ফেললো। - আরেক গ্লাস দেব? - না, দরকার নেই। - মমমম… মানে… আমি কখনও কোনো মেয়ের এতো কাছে বসিনি। আমার একটু ভয় করছে। - আমারও। আপনি চেলে আমরা এখনই ঘুমিয়ে যেতে পারি। - তোমার তাতে কোনো আপত্তি নেই? - না, তবে আজ হোক কাল হোক আমাদেরকে তো বিবাহিত জীবন শুরুকরতে হবে। - তাও ঠিক। - আপনি বড় বাতিটা বন্ধ করে বরঙ ছোট টা জেলে দেন। রফিক উঠে তার বউয়ের কথা মত বড় বাতিটা নিভিয়ে দিয়ে, একটা ডিম লাইট জালিয়ে দিল। সাথে সাথে ঘর একটা নীলচে আলোতে ভোরে গেল। এবার খাটে বসে রফিক কাপা কাপা হাতে নাসরীনের ঘোমটাটা সরিয়ে দিয়ে এক পলক দেখলো। আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে তেমন গয়না কেনা হয়নি। একটা মাথার টিকলি, দুটো ছোট দুল আর একটা পাতলা সোনার মালা পরা এই মেয়েটার আসল অলংকার যেন তার অপূর্ব রূপ। টানা টানা চোখ আর খাড়া নাককে যেন তার ভরাট গোলাপি ঠোট গুলো হার মানায়। ভারতের শর্মিলা ঠাকুরের কথা ভাবলো একবার রফিক।নিজের ভাগ্যকে তার বিশ্বাস হচ্ছে না। একটু এগিয়ে গিয়ে নাসরীনের ঠোঁটে ঠোঁট বসালো সে। তার সারা দেহে যেন বিদ্যুত বয়ে যাচ্ছে। নরম ঠোঁটের ছোঁয়াতে রফিকের সারা গা শিউরে উঠতে লাগলো। তার পুরুষাঙ্গটা নেচে উঠলো একটু। সে নাসরীনকে ঠেলে শুইয়ে দিয়ে, নিজের জীব ঠেলে দিল নাসরীনের মুখে। নাসরীন এক আশ্চর্য খিদা নিয়ে চুষতে লাগলো রফিকের জীব। রফিকের একটা হাত নাসরীনের নগ্নমাজায় পড়তেই নাসরীন কেঁপে উঠলোএকটু। তারপর রফিক চুমু দেওয়া বন্ধ করে একটু উঠে বসে নিজের গায়ের পানজাবিটা খুলে ফেললো।একবার নাসরীনের দিকে তাকিয়ে, ওরবুকের ওপর থেকে আঁচলটা সরিয়ে দিল। নাসরীনের ভরাট বুকটা যেন ব্লাউজ আটকে রাখতে পারছে না। রফিক ব্লাউজের ওপরে হাত রাখতেইনাসরীন একটা হালকা হুংকার করে নিজের চোখ বন্ধ করে ফেললো। জীনবে প্রথম কোনো মেয়ের বুক ধরেছে এটা রফিকের বিশ্বাস হচ্ছিল না। সে নাসরীনের গলায় একটা চুমু দিয়ে, ব্লাউজের হুক গুলো খুলতে লাগলো। গরমে আর উত্তেজনায় নাসরীন ঘামতে শুরু করেছে। তার দেহের থেকে পাওডার আর ঘামের গন্ধ মিলে এক অপরূপ নারী ঘ্রান আসছে। রফিক তা শুকতে পেরে পাগল হয়ে নাসরীনের মাই দুটো ব্রার ওপর দিয়ে কামড়াতে লাগলো। তার দুই হাত দিয়ে সে নাসরীনের শাড়ি কোমর থেকে টেনে খুলছে। নাসরীনের হাতচলে গেল রফিকের পায়জামার ফিতায়। রফিক কিছুক্ষন ব্রা খোলার চেষ্টা করে পারলো না। সে ব্রার কাপ দুটো ধরে একটু ওপরে উঠিয়ে দিতেই নাসরীনের বিশাল দুখগুলো বেরিয়ে পড়লো। মেয়েদের বুক এতো সুন্দর হয় তা রফিক কল্পনাও করতে পারেনি। ফজলি আমের থেকেও বড় গোল নরম দুখের ওপরে গাঢ় গোলাপি রঙের বড় মোটা দুটো বোঁটা। রফিক দুই হাত দিয়ে নাসরীনের দুধ টিপতে লাগলো। হঠাৎ বোঁটাতে হাত লাগতেই নাসরীন একটা জোরে হুংকার করে উঠলো। রফিক কৌতুহলি মানুষ। সে আবার বোঁটায় হাত দিল আর সাথে সাথে নাসরীন কেঁপে উঠলো। রফিকের বাড়াটাও একটু কেপে উঠলো। নাসরীনের শাড়ি, ব্লাউজের পাশাপাশি রফিকের পরনের জাইঙ্গাবাদে আর সব এখন মাটিতে পড়ে আছে।রফিক একটা হাত নাসরীনের উরুতে রেখে পেটিকোটটা ওঠাতে লাগলো। একটু পরেই নাসরীনের মশ্রীন পায়ে রফিকের হাত লাগলো। কী সুন্দর গঠন পায়ের। মেদ বলতে কিছু নেই। অপরিচিত পুরুষের হাতের ছোঁয়ায় নাসরীন হালকা গোঙাচ্ছে। রফিক পেটিকোটটা তুলেনাসরীনের কোমরের কাছে জড়ো করলো। এবার সে নাসরীনের বোঁটায়একটা চুমু দিয়ে নাসরীনের পায়েরফাকে নিজের হাত রাখলো। এই প্রথম কোনো মেয়ের নারি অঙ্গে তার হাত লাগলো। কথাটা ভাবতেই রফিকের বাড়া টাটিয়ে থকথকে মাল বেরিয়ে গেল। রফিক একটু বিব্রত ভাবে নাসরীনের দিকে তাকিয়ে, নিজের ভেজা জাইঙ্গাটা খুলে মাটিতে ফেলে দিল। তার বাড়া এখনো শক্ত হয়ে আছে। নাসরীন একটু উঠে বসে নিজের ব্রার হুকটা খুলে সেটাও মাটিতে ফেলে দিয়ে রফিকের বাড়াটাতে একটা চুমু দিল। রফিক বিছানায় শুয়ে পড়লো আর নাসরীন রফিকের বাড়াটা চাটতে লাগলো। তার পুরুষ রসের স্বাদে নাসরীনের সারা দেহে এক অন্যরকম অনুভুতির সৃষ্টি হলো।। সে জীবনের সব খিদা মিটিয়ে রফিকের পুরুষাঙ্গ চুষতে লাগলো।তালে তালে নাসরীনের ভরাট মাই দুটোও নাচতে লাগলো। সে যেন পাগল হয়ে যাবে। তার প্যান্টি এতক্ষণে ভিজে চপ চপ করছে। সে একহাতে নিজের গুদ ডলে আরেকবার নিজের বোঁটা টানে। এই বাড়াটা তার গুদে চায়-ই চায়। সে এবার নিজের শায়াটা খুলে মাটিতে ফেলে দিয়ে, নিজের প্যান্টিটাও খুলে ফেললো। একটা বন্ধ ঘরে একজন অচেনা পুরুষের সাথে একেবারে নগ্ন হয়ে সে আগে কখনও থাকেনি। নাসরীনের মনে হচ্ছিল এই সময়টাতো আর ফিরে আসবে না। কদিনের মধ্যেই রফিক একজন পরিচিত পুরুষ হয়ে যাবে। আর কি কখনও সে এই বাসর রাতের অনুভুতি পাবে? রফিকের মাজার ওপর উঠে বসে রফিকের ঠোঁটে একটা চুমু দিল নাসরীন। রফিক তার দুই হাত দিয়ে নাসরীনের ভরাট আমের মত মাই দুটো শক্ত করে ধরে টিপতেলাগলো। নাসরীন নিজের পায়ে সামান্য ভর দিয়ে একটু উঁচু হয়ে,এক হাত দিয়ে রফিকের বাড়াটাকে ঠিক নিজের গুদের মুখে ধরলো। নাসরীনের ভেজা ভোদার স্বাদ পেয়ে রফিকের বাড়াটা একটু নেচে উঠলো। নাসরীন আস্তে করে বাড়াটার ওপর বসতে চেষ্টা করতেইএক তিব্র বেদনা অনুভব করলো। তার মনে হচ্ছিল যেন তার গুদটা ছিড়ে দুই ফাক হয়ে যাবে।সবারই কি এরকম যন্ত্রনা লাগে? সে আবার চেষ্টা করলো নুনুটাকে ভেতরে ঢোকানোর কিন্তু খুব ব্যাথা করছে তার। রফিক ঠিক বুঝতে পারছে না কী হচ্ছে। aro( পাতা ২ )

কোন মন্তব্য নেই :

বাঙালির কৌতুক ( পাতা ১ )
কোন মন্তব্য নেই
*. এক ফরাসী, এক ইতালীয় আর এক বাঙালি ট্রেনে বসে নিজেদের বিবাহিত জীবন নিয়ে গল্প করছে। ফরাসী বলছে, 'গত রাতে আমার বউকে চারবার আদরসোহাগ করেছি। সকালে সে আমাকে চমৎকার নাস্তা বানিয়ে খাইয়েছে, আর বলেছে, আমার মতো পুরুষ সে আগে কখনো দেখেনি। ইতালীয় বলছে, 'গত রাতে আমার বউকে ছয়বার আদরসোহাগ করেছি। সকালে সে আমাকে চমৎকার নাস্তা বানিয়ে খাইয়েছে, আর বলেছে, আমার মতো পুরুষ সে আগে কখনো দেখেনি।' বাঙালি চুপ করেআছে দেখে ফরাসী তাকে প্রশ্ন করলো, 'তা তুমি গত রাতে তোমার বউকে ক'বার আদরসোহাগ করেছো? বাঙালি বললো, 'একবার। ইতালীয় মুচকি হেসে বললো, 'তোমার বউ সকালে তোমাকে কী বললো? 'ওগো, থামো, আর না ...।' *. এক আমরিকার লোক জাপান সফরে গেলেন এবং রাতে এক হোটেলে গেয়ে উটলেন..রাত কাটানোর জন্যএকটা মেয়েকে ভাড়া করলেন...মেয়েটি জাপানিস এবং ইংলিশ পারে না.....লোকটি মেয়েটির উপর শুয়ে সেক্স করতেশুরু করলেন...মেয়েটি চিত্কার করতে লাগলো আর বলতে লাগলো.."উসীমতা উসিমতা" ..লোকটি তেমনএকটা কেয়ার না করে সেক্স করেযেতে লাগলেন...পরের দিন সকালে লোকটি উনার জাপানিস বন্ধুর সাথে গলফ খেলতে গেলেন...এবং উনার জাপানিস বন্ধু স্কোর করার পর উনি বললেন "উসিমতা " তখন উনার বন্ধু জবাবে বললেন--"what do yo mean by wrong hole" *. বিদেশের এক রেস্টুরেন্ট। তিনজন বাবুর্চি সেখানে কাজ করে। একজন চাইনিজ, একজন জাপানিজ আরেকজন বাংলাদেশী। তিনজনের ভিতর খুব রেষারেষি। একদিন একটা মাছি ঢুকছে কিচেনে। সাথে সাথে চাইনিজটা একটা ছুরি নিয়া এগিয়ে গেলো। কিছুক্ষন সাইসাই করে চালালো বাতাসে। মাছিটা পরে গেলো চার টুকরা হয়ে। সে বাকি দুইজনের দিকে তাকিয়ে বলল, " এইভাবে আমরা আমাদের শত্রুদের চার টুকরা করে ফেলি।" আরেকদিন মাছি ঢুকতেই জাপানিজটা এগিয়েগেলো। সাইসাই করে ছুরি চালালো। মাছি আট টুকরা হয়ে গেলো। সে বাকি দুইজনের দিকে তাকিয়ে বলল, " এইভাবেই আমারা আমাদের শত্রুদের আট টুকরা করে ফেলি" পরেরদিন মাছি ঢুকছে একটা। বাংলাদেশীটা এগিয়ে গেলো। বেচারা অনেকক্ষনছুরি চালালো। হাপিয়ে গিয়ে এক সময় চলে এলো। বাকি দুইজন বলল - কি তোমরা তোমাদের শত্রুদের কিছুই করো না? হুমমমম...তোরা বুঝোস না কিছুই।এমন কাম করছি যে অই মাছি আর কোনোদিন বাপ হইতে পারবো না। *. জনৈক এক ক্ষুদার্ত ভদ্র লোক বাসের অপ্পেক্ষায় থাকতে থাকতে আর উপায় দেখতে না পেয়ে দুটো কলা কিনে খেতে শুরু করেকরলেন..একটা কলা খাওয়ার পরই বাস চলে আসল...উনি কলাটি পাঞ্জাবির পকেটে রেখে বাসে উঠে পড়লেন....তো পাশের লোকের ঘসায় কলাটি যেন কচলে না যায় সে জন্য হাত দিয়ে বার বার দেখছিলেন....এক সময় হাতটা ওখানেই রয়ে গেল....কিচুক্ষন বাদে পাশের ভদ্র লোক বললেন..---"দাদা এবার ছাড়ুন আমি নামব " *. এক চাইনিজ ভদ্র লোক বাংলাদেশ সফরে আসলেন এবং একটি মেয়েকে পছন্দ করে বিয়ে করে চায়না ফেরত চলে গেলেন...তো সমসস্যা হলো মেয়েটি চায়নিজ জানে না..আবার বাসার বাজার-সদাই তাকেই করতে হয়..তো উনি মাছের পেটি কিনতে গেলেন এবং নিজের গেঞ্জি তুলে বিক্রেতাকে পেট দেখালেন বিক্রতা মাছের পেটি দিয়ে দিলে....পরের দিন মুরগির পা কিনতে গেলেন এবং প্যান্ট কেচে তুলে নিজের পা দেখালেন বিক্রেতা মুরগির পা দিয়ে দিলেন....পরের দিন তার ললিপপ খেতে ইচ্ছে হলো এবং পরের দিন তিনি তার স্বামীকেও নিয়ে গেলেন....এবার আপনারা বলুন তো উনি কি দেখিয়ে ললিপপ চাইবেন......??? *. এক লোকের অনেক চেষ্টা করার পরও কোনো সন্তান হইনা | তাই সে এক দরবেশ বাবার কাছে গিয়ে সাহায্য চাইলো |দরবেশ বলল যা এই বার তোর সন্তান হবে | ঠিক কদিন পর লোকটার একটা মেয়ে হল| লোকটা খুশি হয়ে দরবেশের কাছে গেল তার মেয়ের কি নাম রাখবে ?? কিন্তু দরবেশ বাবা ঐ সময় ধ্যান করতেছিলো, আর ধ্যান ভাঙ্গার কারনে বিরক্ত হয়ে বলে-" দূর বাল " | লোক মনেকরে করল ,দরবেশ তার মেয়ের নাম বাল রাখতে বলছে | তাই সে তার মেয়ের নাম রাখলো বাল | কয়দিন পর আবার তার একটা ছেলে হলো | লোকটা খুশি হয়ে আবার দরবেশের কাছে গেল তার ছেলের কি নাম রাখবে ?? দরবেশ বাবা ঐ সময়ও ধ্যান করতেছিলো, আবার ধ্যান ভাঙ্গার কারনে বিরক্ত হয়ে বলে-" দূর চেট " | লোক মনে করেকরল ,দরবেশ তার ছেলের নাম চেটরাখতে বলছে | তাই সে তার ছেলের নাম রাখলো চেট | কয়দিন পর আবার তার ছাগলের একটা বাচ্চা হলো | লোকটা খুশি হয়ে আবার দরবেশের কাছে গেল তার ছাগলের বাচ্চা কি নাম রাখবে?? দরবেশ রাগ বলল- তুই ছাগলেরবাচ্চার নাম রাখার জন্য আমার কাছে আইসোস তাইলে আমার পুটকি রাখ | লোক টা তাই পুটকি নাম রাখলো | আস্তে আস্তে তার মেয়েবড় হল এবং মেয়ের বিয়ে ঠিক হল |বিয়ের দিন বর আসলে সবাই বলল - এই বালের জামাই আইসে ,বালের জামাই আইসে |জামাই এ কথা শোনে রাগ করে বিয়ে না করে চলেযাইতে চাইল | এই সময় শশুর এসে জামাই কে বলল - বাবা তুমি রাগ করিও না , তুমি তো আমার চেটের মত | জামাই তো আরও রাগ করে বললনা এখনি চলে যাবো | তখন শশুর বলল - আমি এত কষ্ট করে আমার পুটকির মাংস রান্না করছি আর তুমি না খাইয়া যাইবা এইটা কিভাবে সম্ভব ?? তুমারে আমারপুটকির এক টুকরা মাংস খাইতে হইবই............।। অশ্নীলতার জোয়ারে বাংলাদেশ ।সৈয়দ রুবেল উদ্দিন http://sayedrubel.blogspot.com/2012/01/blog-post_9352.html ♥♥♥♥সমাপ্ত♥♥♥♥ প্রকাশক : সৈয়দ রুবেল উদ্দিন www.facebook.com/sayed.rubel3 ভাল লাগলে ফেসবুকে শেয়ার করুন । লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ । ভাল থাকুন সব সময় ।

কোন মন্তব্য নেই :

পুরুষদের যৌন ক্ষমতা নষ্ট করে দিচ্ছে ইন্টারনেট পর্ণোগ্রাফি আতাউর রহমান
২টি মন্তব্য
সমপ্রতি এক গবেষণা রিপোর্টে প্রকাশ পেয়েছে, ইন্টারনেট পর্নোগ্রাফি এমন একটি তরুণ প্রজন্ম তৈরি করছে, যারা শোবার ঘরে একেবারেই হতাশাজনক। নতুন এই মিডিয়া তরুণগোষ্ঠীকে এতই আকৃষ্ট এবং প্রভাবিত করছে যে, তারা প্রকৃত নারীর সান্নিধ্যে তেমন একটা আকর্ষণ অনুভব করছে না। যৌন অক্ষমতা এখন কেবল আর খারাপ শরীরের প্রৌঢ়দের মাঝেই সীমাবদ্ধ নেই, এটা এখন তরুণ জনগোষ্ঠীর ভেতরও প্রকট হতে শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের খুব নামকরা গবেষণা জার্নাল, ‘সাইকোলজি টুডে’-তে একটি গবেষণাপত্রে সমপ্রতি উল্লেখ করা হয়েছে, এ বিষয়টি এখন এতই স্বাভাবিক হয়ে গেছে যে, মাত্র ২০ বছরের তরতাজাযুবকও প্রকৃত অর্থে স্বাভাবিক যৌনাচরণ করতে পারছে না। এর মূল কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, যারা পর্নো দেখে তাদের যৌন উত্তেজনা তৈরিতে ব্রেইনে এক্সট্রিম উত্তেজনার (ডাক্তারিভাষায় এটাকে বলে ( ডোপামাইন স্পাইক) প্রয়োজন হয়। আর একবার এই উত্তেজনায় অভ্যস্ত হয়ে গেলে,তখন সাধারণ নারীতে আর সেই উত্তেজনা আসে না এবং ব্রেইন ঠিকমতো কাজ করে না। ফলে তারা নপুংশক হয়ে যায়। রিপোর্টটির লেখিকা মারনিয়া রবিনসন্স বলেন, যৌন উত্তেজক গল্প, ছবি, ভিডিও এগুলো আগেও ছিল। কিন' ইন্টারনেটের কারণে এই‘ডোপামাইন স্পাইক’ সীমাহীন পর্যায়ে চলে যেতে পারে। ফলে এর প্রভাব অনেক বেশি ক্ষতিকর। অনেক যুবকের ওপর গবেষণা করে দেখা গেছে, তাদের ওপর এই ডোপামাইন স্পাইকের প্রভাব এতই বেশি, ইন্টারনেটের মাধ্যমে ক্রমাগত পর্নো না দেখলে তারা যৌন উত্তেজনাই অনুভব করে না। তাদের কেউ কেউ খুবই হতাশ হয়ে পড়েন, যখন দেখতে পান তাদের স্বাভাবিক যৌন জীবন আর স্বাভাবিক থাকছে না। পাশাপাশি অনেকেই জানে না, ইন্টারনেট পর্নোগ্রাফি এভাবে যৌন উত্তেজনাকে কমিয়ে ফেলতে পারে এবং এটা জানার পর তারা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। রবিনসনের মতে, এর থেকে মুক্তির উপায় হলো ব্রেইনকে আবার রিবুট করা। অর্থাৎ পর্নোগ্রাফি দেখা একদম বন্ধ করে দেয়া এবং কয়েক মাস পুরোপুরি বিশ্রাম নেয়া। এরফলে ব্রেইন থেকে সেই অতি উত্তেজনাকর সিগনালগুলো দুর্বল হয়ে যাবে এবং একটা সময় সেই মানুষটি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতেও পারে। উঠতি বয়সী তরুণদের হাতে এখন কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট রয়েছে। এর অর্থ হলো, তাদের কাছেপর্নোগ্রাফি ২৪ ঘণ্টাই হাতের কাছে রয়েছে। আর ওই বয়সে একবার তাতে অভ্যস্ত হয়ে গেলে, তার পুরো জীবনের ওপর সেটা প্রভাব ফেলতে বাধ্য। প্রতিটি বাবা-মায়ের উচিত হবে, এবিষয়গুলো তার সন্তানদের ভালো করে বুঝিয়ে দেয়া এবং তরুণ বয়সী ছেলেমেয়েদের বিষয়টি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকা। মনে রাখতে হবে, ‘সেক্স এডুকেশন’ আর ‘সেক্স’ এক জিনিস নয়। শিক্ষা মানুষকে সুন্দর করার জন্য। তাইভুল কোনো ধারণায় বশবর্তী না হয়ে সঠিক শিক্ষাটি নিন, ভালো থাকুন। ♥♥♥♥সমাপ্ত♥♥♥♥ প্রকাশক : সৈয়দ রুবেল উদ্দিন www.facebook.com/sayed.rubel3 ভাল লাগলে ফেসবুকে শেয়ার করুন । লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ । ভাল থাকুন সব সময় ।
দাম্পত্য কলহ ফাতেমা শারমিন লাকী
কোন মন্তব্য নেই
২০-৩০ বছর বা এর বেশি বছর ধরে সংসার করার পরও তুচ্ছ ঘটনায় হুট করেই ভেঙ্গে যায় পরিবার। তার একমাত্র কারণ হচ্ছে দাম্পত্য কলহ, যা বর্তমান সময়ে ক্যান্সারের আকার ধারণ করে আমাদের গোটা সমাজকে আক্রমণ করছে। আমরা একটি বারের জন্যও চিন্তা করি না, দাম্পত্য কলহে আমাদের সন্তানদের ওপর কি রকম বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। প্রতিটি মানুষই ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্য বোধের অধিকারী। বিবাহিত জীবন যেহেতু নারী-পুরুষের সৃষ্ট, সেহেতু সেখানে মতের অমিল, দ্বন্দ্ব, ঝগড়াঝাটি হওয়াটাই স্বাভাবিক। বর্তমান সময়ে আমরা প্রায়ই লক্ষ্য করে থাকি যে, নারী-পুরুষএকটি পারিবারিক পরিবেশে আবদ্ধ থেকেও যে যার মতো জীবনকে অতিবাহিত করছে। আর তখনই পরিবারের মধ্যে একটি অদৃশ্য দেওয়ালের সৃষ্টি হয়, যা পরিবার ভেঙে যাওয়ার অন্যতম কারণ। এমন কোনো বিবাহিত জীবন খুঁজে পাওয়াযাবে না, যেখানে মনোমালিন্য, কথা কাটাকাটি কিংবা ঝগড়াঝাটি হয় না। এ কথা সত্যি যে, আমরা কমবেশি সবাই শান্তিপ্রিয়। তাই সহজেই ঝগড়া নামক অশান্তিতে পতিত হতে চাই না। তারপরও হয়তো কখনো কখনো ঝগড়ায় লিপ্ত হতে হয়। সদিচ্ছা, একটু চেষ্টা আর নিজেদের ত্যাগ স্বীকার করার মনোবলের কারণে আমরা সাংসারিক জীবনে এমন অনেক অনভিপ্রেত ঘটনাএড়িয়ে যেতে পারি। কারণ কি? দাম্পত্য কলহ কি কারণে সৃষ্ট, এই বিষয়টি অনেকেরই বোধগম্য নয়।নারী-পুরুষের মাঝে ঝগড়াঝাটি বাদ্বন্দ্ব কোনো না কোনো কারণে সংগঠিত হয়ে থাকে। পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণ তুচ্ছ বা বিরাট যা-ই হোক না কেন সঠিক কারণগুলো অনুসন্ধান করে আলোচনার মাধ্যমে সুন্দর সমাধানকরা সম্ভব। মনের মধ্যে কোনো রাগ বা ক্ষোভ পুষে না রেখে প্রকাশ করুন। মনের মাঝে যদি রাগটা পুষে রাখেন তবে এর অনেক ডালপালা গজাবে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই ক্ষুদ্র রাগটাই বিশাল আকারে পরিণত হয়। তাই মনের মাঝে কোনো কারণে সঙ্গী বা সঙ্গিনীর প্রতি ক্ষোভ জন্মালে তার কারণ বা প্রকৃতি যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রকাশ করার চেষ্টা করুন। তাহলে নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটবে। আর সবক্ষেত্রেই যে রাগ বা ক্ষোভ প্রকাশ করেই কথা বলতে হবে এমন কোনো কথা নেই। ঠান্ডা মাথায় যে কোনো কিছু আলোচনাই হচ্ছে সবচেয়ে ভালো পন্থ্থা। দু’জনের মধ্যে একজন যদি রেগে যান, তাহলে অন্যজন নীরব থাকুন। রেগে গেলে মানুষ তার নিজ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। সে সময়যদি প্রতিটি কথার উত্তর দেয়া হয় তবে তা রাগের আগুনে ‘পেট্রোলঢালার’ মতোই কাজ করে। রাগ পড়ে গেলে সে তার কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত হয়।। তখন নিজেই বুঝতে পারবে, যে কারণে বা ভুল বোঝাবুঝিতে সে এতো রাগারাগি করলো এতোটা না করলেও চলতো। এতোকিছু করা সম্ভব হয়েছে আপনারনীরবতার কারণে। কাজেই নীরব থেকে পরে সঙ্গীকে বোঝান। ক্ষমা চান বা সরি বলুন মানুষ মাত্রই ভুল হতে পারে। সমগ্র প্রাণীকুল একমাত্র মানুষই মাত্রাতিরিক্ত ভুল করে থাকে। ভুলের মাত্রা যেমনই হোক না কেন, ক্ষমা চাওয়া এবং ক্ষমা করতে পারা এমন একটি গুণ যার দ্বারা দাম্পত্য জীবনের অনেক ক্ষত উপশম হয়। ক্ষমা চাইলেই কেউ ছোট হয়ে যায় না বরং ক্ষমা চাওয়ার কারণে আপনার পরিবারে শান্তি বিরাজ করবে এবং আপনি এগিয়ে যাবেন। ক্ষমা চাওয়াটাই হচ্ছে আপনি যে অনুতপ্ত সেটা প্রকাশ করা এবং সেই সঙ্গেী নিজের ভুল স্বীকার করা, আর এমন করলে আপনার সঙ্গী-সঙ্গিনী আপনাকে অবশ্যই ক্ষমা করবে। তবেমনে রাখতে হবে, সেই ক্ষমা চাওয়ার মধ্যে যথেষ্ট আন্তরিকতাআর সহমর্মিতা থাকতে হবে। প্রাণহীন ক্ষমা চাওয়ার কারণে দ্বন্দ্বের কোনো সমাধান না হয়েবরং তা আরো জটিল আকার ধারণ করে। কি করবেন দাম্পত্য আলাপচারিতায় নিচের বিষয়গুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখুন।তাতে করে অনেক বিরূপ পরিস্থিতিএড়াতে পারবেন। *. মন পরিষকার করে পার্টনারের কাছে ঠান্ডা মাথায় আপনার নিজের ভাষায় অভিযোগ প্রকাশ করুন। *. ভুল বোঝাবুঝি নিয়ে আপনার অনুভূতির পরিপূর্ণ প্রকাশ সুন্দরভাবে ঘটান। *. দুই পক্ষকেই কথা বলার সুযোগ দেয়া উচিত। *. ধৈর্য ধরুন এবং অপেক্ষা করুন। *. নিজেই নিজেদের মধ্যে সৃষ্ট সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী হোন। কি কি করবেন না বা এড়িয়ে চলবেন *. সঙ্গী বা সঙ্গিনীর ক্ষমা চাওয়ার প্রত্যাশায় বসে থাকবেন না। *. কোনো খোঁচা বা উত্তপ্তকর কথা ব্যবহার করবেন না। *. দাম্পত্য কলহের মাঝে অপ্রাসঙ্গিক কোনো কথা তুলে আনবেন না। *. নিজেদের সম্পর্কে তৃতীয় পক্ষকে টেনে কথা বলবেন না। *. কোনো সপর্শকাতর বিষয় নিয়ে আক্রমণ করবেন না। *. সব ভুল সঙ্গী বা সঙ্গিনীর-এমন ভাব দেখাবেন না। ২০-৩০ বছর বা এর বেশি বছর ধরে সংসার করার পরও তুচ্ছ ঘটনায় হুট করেই ভেঙ্গে যায় পরিবার। তার একমাত্র কারণ হচ্ছে দাম্পত্য কলহ, যা বর্তমান সময়ে ক্যান্সারের আকার ধারণ করে আমাদের গোটা সমাজকে আক্রমণ করছে। আমরা একটি বারের জন্যও চিন্তা করি না, দাম্পত্য কলহে আমাদের সন্তানদের ওপর কি রকম বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। এই সমস্যার কারণে তারাই বেশি অশান্তিতে ভোগে।তাই দাম্পত্য কলহ এড়িয়ে চলুন। যদি নিজেদের মধ্যে কোনো সমস্যাথেকে থাকে তা সন্তানদের সামনে প্রকাশ না করে নিজেরাই নীরবে আলোচনা করুন এবং ত্যাগ স্বীকারকরুন। দেখবেন আপনি যেমন শান্তিপাচ্ছেন, তেমনি আপনার সন্তানরাও সঠিক পথে নিজেকে পরিচালিত করতে পারছে। thanks for মনোজগত ♥♥♥♥সমাপ্ত♥♥♥♥ প্রকাশক : সৈয়দ রুবেল উদ্দিন www.facebook.com/sayed.rubel3 ভাল লাগলে ফেসবুকে শেয়ার করুন । লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ । ভাল থাকুন সব সময় ।

কোন মন্তব্য নেই :

মহিলাদের স্তন ক্যান্সার ডা. শিমুল আখতার ( পাতা ১ )
কোন মন্তব্য নেই
ক্যান্সারে আক্রান্ত মহিলাদেরমধ্যে শতকরা প্রায় ১৭ ভাগ স্তন ক্যান্সারে ভুগছে। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় ৬০ হাজার মহিলা স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত। অথচ একটু সচেতন হলেইপ্রায় এক তৃতীয়াংশ স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ ও নিরাময় করা সম্ভব। ক্যান্সারের এই পরিসংখ্যান প্রকৃত অর্থে আরো ভয়াবহ। কারণ এই পরিসংখ্যানে জেলা পর্যায়ে নির্ণীত ক্যান্সার রোগী, যারা পরবর্তী চিকিৎসা গ্রহণের জন্য ঢাকায় আসেন না, কিংবা ক্যান্সার ধরা পড়ার পর রেডিও থেরাপি চিকিৎসারজন্য অন্যত্র যান এবং গ্রামপর্যায়ে অনেক লোক আছেন, যারা ক্যান্সারে ভুগছেন এদের কাউকে এই হিসেবে ধরা হয়নি। ক্যান্সার কি, কেন হয়? ক্যান্সার একটিমাত্র রোগ নয়। শরীরের বিভিন্ন প্রকৃতিতে সৃষ্ট বিভিন্ন প্রকার উপসর্গ একইরকম রোগধারা ও মারাত্মক পরিণতি নিয়ে উপস্থিত হলে সৃষ্টঅবস্থাকে সমষ্ঠিগতভাবে ক্যান্সার নামে অভিহিত করা হয়। ক্যান্সার সংক্রামক ব্যাধি নয়।এ রোগের পেছনে কোনো জীবাণুও দায়ী নয়। মানবদেহ অসংখ্য ক্ষুদ্র কোষ দ্বারা গঠিত। সুস্থ দেহে এ কোষগুলো নিয়মিত ও সুনিয়ন্ত্রিত কোষবিভাজন পদ্ধতির মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের বৃদ্ধি সাধন ও ক্ষয় করে। হঠাৎ করে কোনো একটি কোষের অনিয়ন্ত্রিত বিভাজন শুরু হয়ে তা বিরামহীনভাবে চলতে থাকলেই সে কোষের ক্যান্সার হয়েছে বলে ধরে নেয়া হয়। সম্ভবত সেই একটিমাত্র কোষ থেকেই ক্যান্সারের উৎপত্তি। কোষের এইঅনিয়ন্ত্রিত বিরামহীন বিভাজন থেকে অচিরেই সেখানে একটি পিন্ডের বা টিউমারের সৃষ্টি হয়। কিছু কিছু টিউমার আছে যেগুলো কোনো ক্ষতি করে না। এগুলোকে বলা হয় বেনাইন টিউমার।বেনাইন টিউমার কোনো ক্যান্সার নয়। ক্ষতিকারক টিউমার আশপাশের লসিকা এবং রক্তপ্রবাহের পথ ধরেশরীরের দরবর্তী বিভিন্ন স্থানেনতুন বসতি স্থাপন করে। যথাসময়েএর বিস্তৃতিতে বাধা না দিলে ক্যান্সারের পরিণাম হয় মৃত্যু। ক্যান্সার সৃষ্টির এই প্রক্রিয়াটি যদিও অজ্ঞাত, কিন্তু্তু ক্যান্সারের কারণ হিসেবে স্বীকৃত প্রসঙ্গগুলো হচ্ছে- ১. ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান, বায়ু ও পানি দষণ, অত্যধিক চর্বিযুক্ত খাদ্য। ২. হরমোন। প্রজনন ও বিকৃত যৌন আচরণ। ৩. তেজস্তিক্রয়তা। সার্বক্ষণিকঘর্ষণ, আঘাত ৪. পেশাগত ব্যাপার। অভ্যাস (ধমপান, মদ্যপান ইত্যাদি) ৫. বিভিন্ন বর্ণগত জীবনযাপন পদ্ধতি। ভৌগোলিক পরিবেশের প্রভাব। ৬. প্যারাসাইট ও ভাইরাস স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কাদের বেশি? ১. যেসব মহিলার বয়স পঁয়ত্রিশ-এরঊর্ধ্বে। ২. যারা বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ান না। ১. যেসব মহিলার বয়স পঁয়ত্রিশ-এরঊর্ধ্বে। ২. যারা বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ান না। ৩. ত্রিশ বছর পর প্রথম সন্তান লাভ কিংবা সিঃসন্তান হলে। ৪. কম বয়সে ঋতুবর্তী হলে অথবা দেরিতে ঋতুস্রাব বন্ধ হলে। ৫. স্তন ক্যান্সারের পারিবারিক ইতিহাস থাকলে। ৬. অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার গ্রহণ করলে। স্তন ক্যান্সার ক্যান্সারের সেই অনিয়ন্ত্রিত ভয়াবহ কোষ বিভাজন পদ্ধতি স্তনের ভেতর দেখা দিলেই স্তন ক্যান্সারের সূত্রপাত ঘটে। স্তনের ক্যান্সার সাধারণত স্তনের নালীর ভেতর থেকে শুরু হয় এবং তা স্তনের মেয়াদযুক্ত অংশে ছড়িয়ে যায়। ক্যান্সারের কোষ লসিকা ও রক্তপ্রবাহের মাধ্যমে শরীরের অন্য অংশেও ছড়িয়ে পড়ে এবং নতুন করে আরো ক্যান্সার সৃষ্টি করে। এভাবে তার সমস্ত শরীরকে ক্যান্সার আক্রান্ত করে তোলে। স্তন ক্যান্সার যেভাবে শুরুহয় স্তন ক্যান্সার প্রথমে স্তনে একটি চাকা বা পিন্ড নিয়ে আবির্ভত হয়। স্তনের এই চাকা অন্য কারণেও হয়ে থাকে। স্তনে ‘ফাইব্রোএডিনেমা’ নামে এক ধরনেরটিউমার হলেও স্তনে চাকা বা পিন্ড দেখা যায়। এসব টিউমার ক্ষতিকারক নয়। এক সময়ে সেগুলো এমনিতেই চলে যায়। তবে ক্যান্সারের চাকা বা পিন্ডটি দীর্ঘদিন ধরে অবস্থান করে এবং তা ক্রমশ বড়ো হতে থাকে। এ সময়ে আক্রান্ত স্তনটি ভারী ভারী বোধহবে। স্তনে ব্যথাও থাকতে পারে।প্রাথমিক অবস্থায় স্তনে এর বেশি কোনো কিছু বোঝা যায় না। ধীরে ধীরে ক্যান্সার স্তনের ত্বকে আক্রমণ শুরু করে। এ সময় স্তনের ত্বকে পরিবর্তন সচিত হয়। স্তনের ত্বকে কমলালেবুর মতো ছোট ছোট ফোঁটার মতো দাগ দেখা দেয়। স্তনের বোঁটা ভেতরের দিকে ঢুকেযেতে থাকে। এ সময় বগলের নিচে ছোট ছোট বিচির মতো ফুলে ওঠে। সেই সঙ্গে ক্যান্সারের সাধারণ কিছু উপসর্গও দেখা দেয়। এ সময় ক্যান্সার শরীরের অন্যত্রও ছড়িয়ে পড়ে এবং ক্ষুধামন্দা, শরীর শুকিয়ে যাওয়া, শ্বাসকষ্টসহ নানা শারীরিক অসুবিধা পরিলক্ষিত হতেথাকে। এরপর শেষ পর্যায়ে স্তন ফেটে ভয়ঙ্কর ঘা বা আলসার দেখা দেয়। আরও পোস্ট দেখুন ( পাতা ২ )

কোন মন্তব্য নেই :

মহিলাদের স্তন ক্যান্সার ডা. শিমুল আখতার ( পাতা ১ )
কোন মন্তব্য নেই
ক্যান্সারে আক্রান্ত মহিলাদেরমধ্যে শতকরা প্রায় ১৭ ভাগ স্তন ক্যান্সারে ভুগছে। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় ৬০ হাজার মহিলা স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত। অথচ একটু সচেতন হলেইপ্রায় এক তৃতীয়াংশ স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ ও নিরাময় করা সম্ভব। ক্যান্সারের এই পরিসংখ্যান প্রকৃত অর্থে আরো ভয়াবহ। কারণ এই পরিসংখ্যানে জেলা পর্যায়ে নির্ণীত ক্যান্সার রোগী, যারা পরবর্তী চিকিৎসা গ্রহণের জন্য ঢাকায় আসেন না, কিংবা ক্যান্সার ধরা পড়ার পর রেডিও থেরাপি চিকিৎসারজন্য অন্যত্র যান এবং গ্রামপর্যায়ে অনেক লোক আছেন, যারা ক্যান্সারে ভুগছেন এদের কাউকে এই হিসেবে ধরা হয়নি। ক্যান্সার কি, কেন হয়? ক্যান্সার একটিমাত্র রোগ নয়। শরীরের বিভিন্ন প্রকৃতিতে সৃষ্ট বিভিন্ন প্রকার উপসর্গ একইরকম রোগধারা ও মারাত্মক পরিণতি নিয়ে উপস্থিত হলে সৃষ্টঅবস্থাকে সমষ্ঠিগতভাবে ক্যান্সার নামে অভিহিত করা হয়। ক্যান্সার সংক্রামক ব্যাধি নয়।এ রোগের পেছনে কোনো জীবাণুও দায়ী নয়। মানবদেহ অসংখ্য ক্ষুদ্র কোষ দ্বারা গঠিত। সুস্থ দেহে এ কোষগুলো নিয়মিত ও সুনিয়ন্ত্রিত কোষবিভাজন পদ্ধতির মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের বৃদ্ধি সাধন ও ক্ষয় করে। হঠাৎ করে কোনো একটি কোষের অনিয়ন্ত্রিত বিভাজন শুরু হয়ে তা বিরামহীনভাবে চলতে থাকলেই সে কোষের ক্যান্সার হয়েছে বলে ধরে নেয়া হয়। সম্ভবত সেই একটিমাত্র কোষ থেকেই ক্যান্সারের উৎপত্তি। কোষের এইঅনিয়ন্ত্রিত বিরামহীন বিভাজন থেকে অচিরেই সেখানে একটি পিন্ডের বা টিউমারের সৃষ্টি হয়। কিছু কিছু টিউমার আছে যেগুলো কোনো ক্ষতি করে না। এগুলোকে বলা হয় বেনাইন টিউমার।বেনাইন টিউমার কোনো ক্যান্সার নয়। ক্ষতিকারক টিউমার আশপাশের লসিকা এবং রক্তপ্রবাহের পথ ধরেশরীরের দরবর্তী বিভিন্ন স্থানেনতুন বসতি স্থাপন করে। যথাসময়েএর বিস্তৃতিতে বাধা না দিলে ক্যান্সারের পরিণাম হয় মৃত্যু। ক্যান্সার সৃষ্টির এই প্রক্রিয়াটি যদিও অজ্ঞাত, কিন্তু্তু ক্যান্সারের কারণ হিসেবে স্বীকৃত প্রসঙ্গগুলো হচ্ছে- ১. ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান, বায়ু ও পানি দষণ, অত্যধিক চর্বিযুক্ত খাদ্য। ২. হরমোন। প্রজনন ও বিকৃত যৌন আচরণ। ৩. তেজস্তিক্রয়তা। সার্বক্ষণিকঘর্ষণ, আঘাত ৪. পেশাগত ব্যাপার। অভ্যাস (ধমপান, মদ্যপান ইত্যাদি) ৫. বিভিন্ন বর্ণগত জীবনযাপন পদ্ধতি। ভৌগোলিক পরিবেশের প্রভাব। ৬. প্যারাসাইট ও ভাইরাস স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কাদের বেশি? ১. যেসব মহিলার বয়স পঁয়ত্রিশ-এরঊর্ধ্বে। ২. যারা বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ান না। ১. যেসব মহিলার বয়স পঁয়ত্রিশ-এরঊর্ধ্বে। ২. যারা বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ান না। ৩. ত্রিশ বছর পর প্রথম সন্তান লাভ কিংবা সিঃসন্তান হলে। ৪. কম বয়সে ঋতুবর্তী হলে অথবা দেরিতে ঋতুস্রাব বন্ধ হলে। ৫. স্তন ক্যান্সারের পারিবারিক ইতিহাস থাকলে। ৬. অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার গ্রহণ করলে। স্তন ক্যান্সার ক্যান্সারের সেই অনিয়ন্ত্রিত ভয়াবহ কোষ বিভাজন পদ্ধতি স্তনের ভেতর দেখা দিলেই স্তন ক্যান্সারের সূত্রপাত ঘটে। স্তনের ক্যান্সার সাধারণত স্তনের নালীর ভেতর থেকে শুরু হয় এবং তা স্তনের মেয়াদযুক্ত অংশে ছড়িয়ে যায়। ক্যান্সারের কোষ লসিকা ও রক্তপ্রবাহের মাধ্যমে শরীরের অন্য অংশেও ছড়িয়ে পড়ে এবং নতুন করে আরো ক্যান্সার সৃষ্টি করে। এভাবে তার সমস্ত শরীরকে ক্যান্সার আক্রান্ত করে তোলে। স্তন ক্যান্সার যেভাবে শুরুহয় স্তন ক্যান্সার প্রথমে স্তনে একটি চাকা বা পিন্ড নিয়ে আবির্ভত হয়। স্তনের এই চাকা অন্য কারণেও হয়ে থাকে। স্তনে ‘ফাইব্রোএডিনেমা’ নামে এক ধরনেরটিউমার হলেও স্তনে চাকা বা পিন্ড দেখা যায়। এসব টিউমার ক্ষতিকারক নয়। এক সময়ে সেগুলো এমনিতেই চলে যায়। তবে ক্যান্সারের চাকা বা পিন্ডটি দীর্ঘদিন ধরে অবস্থান করে এবং তা ক্রমশ বড়ো হতে থাকে। এ সময়ে আক্রান্ত স্তনটি ভারী ভারী বোধহবে। স্তনে ব্যথাও থাকতে পারে।প্রাথমিক অবস্থায় স্তনে এর বেশি কোনো কিছু বোঝা যায় না। ধীরে ধীরে ক্যান্সার স্তনের ত্বকে আক্রমণ শুরু করে। এ সময় স্তনের ত্বকে পরিবর্তন সচিত হয়। স্তনের ত্বকে কমলালেবুর মতো ছোট ছোট ফোঁটার মতো দাগ দেখা দেয়। স্তনের বোঁটা ভেতরের দিকে ঢুকেযেতে থাকে। এ সময় বগলের নিচে ছোট ছোট বিচির মতো ফুলে ওঠে। সেই সঙ্গে ক্যান্সারের সাধারণ কিছু উপসর্গও দেখা দেয়। এ সময় ক্যান্সার শরীরের অন্যত্রও ছড়িয়ে পড়ে এবং ক্ষুধামন্দা, শরীর শুকিয়ে যাওয়া, শ্বাসকষ্টসহ নানা শারীরিক অসুবিধা পরিলক্ষিত হতেথাকে। এরপর শেষ পর্যায়ে স্তন ফেটে ভয়ঙ্কর ঘা বা আলসার দেখা দেয়।

কোন মন্তব্য নেই :

মহিলাদের স্তন ক্যান্সার ডা. শিমুল আখতার ( পাতা ২ )
কোন মন্তব্য নেই
স্তন ক্যান্সারের সতর্কতা অধিকাংশ স্তনের চাকা বা পিন্ড সাধারণত নিজেই নিজের স্তন পরীক্ষাকালীন ধরা পড়ে। প্রতি মাসে মাসিক বন্ধ হওয়ার একদিন পর এবং ঋতু বন্ধ হওয়া মহিলাদের ক্ষেত্রে প্রতি মাসে নির্ধারিতকোনো তারিখে নিজের স্তন নিজে পরীক্ষা করা উচিত। গোসলের সময় আয়নার সামনে স্তন চেপে পরীক্ষা করতে হবে। দেখতে হবে কোথাও কোনো চাকা আছে কিনা, স্তনের আকৃতিতে পরিবর্তন, স্ফিতি কিংবা ত্বকে টোল পড়েছে কিনা। স্তনবৃন্ত চেপে ধরে দেখতে হবে কোনো কিছুর ক্ষরণ বা স্রাব বের হয় কিনা। স্তনে কোনো চাকা কিংবা পরিবর্তন লক্ষ্য করলে অনতিবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। মনে রাখতে হবে, অধিকাংশ স্তনের চাকাই ক্যান্সার নয়, তবে চিকিৎসক দিয়েপরীক্ষা করিয়ে সে সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। মেমোগ্রাফি ও স্তন ক্যান্সার শনাক্তকরণ স্তনের মেমোগ্রাফি করে স্তনের ক্যান্সার সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়। মেমোগ্রাফি একটি সহজস্তন ক্যান্সার শনাক্তকরণ পদ্ধতি। বাংলাদেশে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে মেমোগ্রাফি করার ব্যবস্থা রয়েছে। স্তন ক্যান্সার নির্ণয়ে ক্যান্সার কোষকে বায়োপসি করলে ক্যান্সারের চরিত্রগুলো ধরা পড়ে এবং ক্যান্সার শনাক্ত করা যায়। স্তন ক্যান্সারের চিকিৎসা শল্য চিকিৎসা প্রাথমিক অবস্থায় স্তনে সৃষ্ট চাকা কিংবা স্তন কেটে ফেলে দিলে ভালো ফল পাওয়া যায়। প্রত্যেক জেলা সদর হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এই ব্যবস্থা চালু আছে। রেডিও থেরাপি বিশেষ উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিকিরণ রশ্মি, যা ক্যান্সার কোষমেরে ফেলে। এই সুবিধা ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, রাজশাহী ওসিলেট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চালু থাকার কথা। কেমোথেরাপি ক্যান্সার বিধ্বংসী ওষুধ ব্যবহার। বেশ কয়েকটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকরা নিজ উদ্যোগে এই ব্যবস্থা চালু রেখেছেন। রোগ ও রোগীর অবস্থাভেদে শল্যচিকিৎসা, রেডিওথেরাপি, কেমোথেরাপি এককভাবে অথবা একসঙ্গে প্রয়োগ করা হয়ে থাকে। তবে প্রাথমিক অবস্থায় ক্যান্সার ধরা পড়লে ক্যান্সার নিরাময়ের সম্ভাবনা খুবই উজ্জ্বল। বাংলাদেশে ক্যান্সার চিকিৎসা বাংলাদেশে ক্যান্সার চিকিৎসার যথেষ্ট অগ্রগতি হচ্ছে। ক্যান্সার নির্ণয় এখন আর এ দেশে কোনো ঘটনাই নয়। ক্যান্সারচিকিৎসার জন্য সরকারিজভাবে ঢাকার মহাখালীতে স্থাপিত হয়েছেক্যান্সার ইনস্টিটিউট ও রিসার্চ হাসপাতাল। এই হাসপাতালে ক্যান্সারের শল্যচিকিৎসা ও কেমোথেরাপির ব্যবস্থা রয়েছে।এ বছরের শেষ নাগাদ রেডিও থেরাপি চালু হওয়ারকথা। রেডিও থেরাপি চালু হলে ক্যান্সার চিকিৎসায় এটি একটি পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল হিসেবে গড়েউঠবে। কেমোথেরাপির চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল বলে অনেকেই এচিকিৎসা গ্রহণে ব্যর্থ হন। ক্যান্সারেও আশার আলো ক্যান্সার মানেই নিশ্চিত মৃত্যু। তারপরও ক্যান্সার নিরাময়ে আশার বাণী উচ্চারণ করছেন চিকিৎসকরা। প্রাথমিক পর্যায়ে এক-তৃতীয়াংশ ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব, এক-তৃতীয়াংশ ক্যান্সার নিরাময় করা সম্ভব এবং অধিকাংশ অনিরাময়যোগ্য ক্যান্সারের ব্যথা উপশম করা সম্ভব। ♥♥♥♥সমাপ্ত♥♥♥♥ প্রকাশক : সৈয়দ রুবেল উদ্দিন www.facebook.com/sayed.rubel3 ভাল লাগলে ফেসবুকে শেয়ার করুন । লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ । ভাল থাকুন সব সময় ।

কোন মন্তব্য নেই :

আপনি একজন গর্ভবতী মা, অতএব.... ডা. শিমুল আখতার ( পাতা ২)
কোন মন্তব্য নেই
আন্তিক পরিচর্যা গর্ভবতী মহিলারা কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন প্রায়ই। এজন্য সকালে এক গস্নাস হাল্কা গরম পানি পান করতে পারেন। পর্যাপ্ত পরিমাণে তরল খাবার ও হাল্কা পানীয় গ্রহণ করা উচিত। অরেঞ্জ জুস, দুধ, পানি ইত্যাদি পান করবেন। কড়া লিকারে চা পান করা উচিত নয়। কারণ ট্যানিন-এর প্রভাবে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে। পর্যাপ্ত পরিমাণে শাকসব্জি, ফলমল গ্রহণ করতে পারেন। গর্ভবতীর মুখ ও দাঁতের যত্ন গর্ভাবস্থায় মুখ, দাঁত ও মাড়ির বিশেষ যত্ন নেয়া উচিত। মুখ ও দাঁতের সুস্বাস্থ্য সার্বিকভাবে দৈহিক সুস্থতা রক্ষায় বিশেষ অবদান রাখে। গর্ভবতীর স্তনের যত্ন প্রসবের পর নবজাত শিশুকে মায়েরবুকের দুধ পান করাতে হবে। মনে রাখতে হবে মায়ের দুধের বিকল্প নেই। স্তনের অগ্রভাগে কোনো অসুবিধা থাকলে সে ব্যাপারে সময়মতো চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সারিয়ে তুলতে হবে। শাল দুধ পানে শিশুর দেহে রোগ প্রতিরোধকক্ষমতা গড়ে ওঠে। এ সময়ে বিশেষভাবে তৈরি সাপোর্টিং ব্রাব্যবহার করতে পারেন। বুকের দুধপান করানোর সময় বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে যেন বুকের দুধ শিশুর নাসিকারন্ধ্রে বা চোখে গড়িয়ে না পড়ে। স্তনের চাপে অনেক সময় শিশুর শ্বাসরোধ হয়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। শিশুর মুখে নিপল রেখে কখনো ঘুমিয়ে যাবেন না। দেহ অথবা স্তনের চাপে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে শিশুর মৃত্যু ঘটেছে এমন দুর্ঘটনাও বিরল নয়। গোসল ত্বকের মাধ্যমে শরীরের তরল বর্জ্য পদার্থ বের হয়ে থাকে। তাই এর যত্ন নেয়া প্রয়োজন। গর্ভবতী অবস্থায় আরামদায়ক টাবেগোসল সেরে নিতে পারেন। সাওয়ারেও গোসল সেরে নেয়া যেতে পারে। খুব বেশি গরম পানিতে গোসল করা উচিত নয়। এতে করে ক্লান্ত হয়ে অজ্ঞান পর্যন্ত হয়ে যেতে পারেন। প্রতিদিনই গোসল করা উচিত। ধুমপান গর্ভবতী অবস্থায় ধমপান করা মোটেই সমীচীন নয়। নিকোটিন পস্ন্যাসেন্টা অতিক্রম করে গর্ভস্থিত শিশুর সমূহ ক্ষতিসাধন করে। শিশুর ওজন কমে ও স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠার পথেবাধার সমমুখীন হয়। বৈবাহিক সম্পর্ক এ সময়ে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যকার সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়হওয়া উচিত। গর্ভবতী হওয়ার পর স্বামীকে স্ত্রীর প্রতি সহানুভূতিশীল থাকতে হবে। যেসব মহিলা একাধিকবার গর্ভপাতের শিকার হয়েছেন তারা প্রথম দিকেরকয়েক মাস অত্যন্ত সাবধানতার সঙ্গে মেলামেশা করবেন। নতুন নতুন উপসর্গে উদ্বিগ্নতা নতুন গর্ভবতী মহিলা যে কোনো উপসর্গের মুখোমুখি হলেই তা সংশিস্নষ্ট চিকিৎসককে জানাবেন। প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসা গ্রহণের মাধ্যমে বড়ো ধরনের সমস্যা এড়িয়ে চলা সম্ভব।সামান্য পরিমাণ অনিয়মিত রক্তস্রাব, মুখ ও পা ফোলা, মাথাব্যথা ইত্যাদি উপসর্গ দেখাদিলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত। পুষ্টি ও খাদ্য জনগোষ্ঠীর পুষ্টিগত অবস্থা ভালো হলে গর্ভপাত, মৃত সন্তান প্রসব ও নবজাত শিশু মৃত্যুহার কম থাকে। গর্ভবতী অবস্থায় মার খাদ্য ও পুষ্টি চাহিদা বাড়ে। খাদ্যের পরিমাণগত চাহিদার চেয়েগুণগত চাহিদা দেখা দেয় এ সময়ে। পুষ্টি-চাহিদার বৃদ্ধি ঘটে। কারণ বাড়ন্ত শিশুর চাহিদা মেটাতে হয়। মায়ের স্বাস্থ্য রক্ষা করতে হয়। প্রসবকালে শারীরিক শক্তির প্রয়োজন হয়। শিশুর প্রয়োজনীয় খাদ্য বুকের দুধের চাহিদা মেটাতে হয়। প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট, মিনারেল ও ভিটামিন সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ করা উচিত। এ ব্যাপারে চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদদের পরামর্শ নেয়া যেতে পারে। মনে রাখতে হবে, একজনসুস্থ মাই সুস্থ শিশু লাভ করতে পারেন এবং সুন্দর মাতৃত্বরক্ষায় সচেতনতা প্রয়োজন। ♥♥♥♥সমাপ্ত♥♥♥♥ প্রকাশক : সৈয়দ রুবেল উদ্দিন www.facebook.com/sayed.rubel3 ভাল লাগলে ফেসবুকে শেয়ার করুন । লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ । ভাল থাকুন সব সময় ।

কোন মন্তব্য নেই :

আপনি একজন গর্ভবতী মা, অতএব.... ডা. শিমুল আখতার ( পাতা ১ )
কোন মন্তব্য নেই
নারী জীবনে প্রথমবারের মতো যারা ‘মাতৃত্ব’ বরণ করতে যাচ্ছেন তাদের অনেক জ্ঞাতব্য ওশিক্ষণীয় বিষয় রয়ে গেছে। তাদেরমনে মাতৃত্ব সম্বন্ধে প্রকৃত জ্ঞানলাভ করার উৎসাহ জেগে ওঠে। বিশেষ করে যারা প্রথমবারের মতোমা হতে চলেছেন তাদের মাঝে অহেতুক ভয় ও লজ্জাবোধ লক্ষ্য করা যায়। মনে রাখতে হবে মাতৃত্ব একটি স্বাভাবিক জীবনাবস্থা। মুক্ত, বিশুদ্ধ বায়ু ও সুর্যালোক প্রত্যেক গর্ভবতী মাকে দৈনিক গড়ে কমপক্ষে দু’ঘন্টা সময় ঘরের বাইরে মুক্ত, বিশুদ্ধ হাওয়া ও সুর্যালোকে কাটানো উচিত। যানবাহন ও পথচারীদের ব্যস্ত পথঘাট পরিহার করে শান্ত, নির্মলখোলামেলা পরিবেশসমৃদ্ধ বাগান অথবা পার্কে পায়চারি করতে পারেন। মা ও গর্ভস্থ শিশুর জন্যও প্রয়োজন বিশুদ্ধ তাজা বাতাস। ব্যায়াম ও চিত্তবিনোদন হাল্কা ব্যায়াম ও বিত্তবিনোদনমূলক কর্মকান্ডে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখতে হবে। অধিক পরিশ্রমসমৃদ্ধ ব্যায়াম ও খেলাধুলা এ সময়ে পরিহার করে চলা উচিত। দারুণ ক্লান্তিকর কোনো কাজই করা ঠিক হবে না। প্রতিদিন কিছু সময় হাঁটতে পারেন। হাঁটলে দেহের রক্ত সঞ্চালন ব্যবস্থায় সাড়া জাগায় এবং সর্বোপরি সুখকর নিদ্রা ও বিশ্রামে সহায়তা করে। সংসারের ছোটখাটো সব ধরনের কাজে নিয়োজিতথাকতে পারে। যেমন-ঘর ঝাঁট দেয়া,বিছানা পরিপাটি করাসহ অন্যান্যদৈনন্দিন করণীয় দায়িত্ব। গর্ভবতী অবস্থায় কখনো ভারী জিনিসপত্র ওঠানো বা নামানো অথবা বহন করা উচিত নয়। এতে করে গর্ভপাত ঘটতে পারে। উঁচু সিঁড়িবেয়ে ওপরে ওঠা ঠিক নয়। অবিরাম দাঁড়িয়ে থাকার ফলে স্বাভাবিক রক্ত চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। অনেক সময় পায়ের শিরাগুলো স্ফীত ও স্পষ্টতরভাবে ফুলে ওঠে ও পরিণতিতে ভেরিকোস ভেইন-এ আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। ভ্রমণযাত্রা গর্ভবতী হওয়ার পর প্রথম তিন মাস ঝুঁকিপূর্ণ পথযাত্রায় গর্ভপাত ঘটার সমূহ সম্ভাবনা থাকে বিধায় এ সময়ে ভ্রমণের ব্যাপারে বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। বেশিরভাগ আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন সংস্থার বত্রিশ সপ্তাহের অধিক সময়ের গর্ভবতীদের ভ্রমণের ব্যাপারে আপত্তি থাকে। আটাশ সপ্তাহের অধিক সময়ে গর্ভবতীদেরউড়োজাহাজে ভ্রমণের ব্যাপারে সংশিস্নষ্ট চিকিৎসকদের ভ্রমণের উপযোগী হিসেবে ফিটনেস সার্টিফিকেট দেখাতে হয় বিমান পরিবহন সংস্থাকে। কাজেই গর্ভবতী অবস্থায় দীর্ঘ ক্লান্তিকর, ঝুঁকিপূর্ণ ভ্রমণ যতোটা সম্ভব পরিহার করা উচিত। বিশ্রাম ও ঘুম গর্ভবতী অবস্থার দ্বিতীয় অর্ধেক সময়ে মার ওজন প্রায় ১০.৮কেজি (২৪ পাঃ) অথবা তারও বেশি বৃদ্ধি পায়। অধিক ওজনের ফলে দিন শেষে এরা সহজেই ক্লান্ত হয়ে পড়েন। অনেকে পায়ে অসহ্য ব্যথা অনুভব করেন। কাজের ফাঁকেমাঝে-মধ্যে একটু বিশ্রাম অথবা অল্প সময়ের জন্য (১-২ ঘন্টা) ঘুমিয়ে নিতে পারেন। ঘুম ও বিশ্রামের স্বল্পতা মা ও গর্ভস্থিত শিশু উভয়ের জন্যই ক্ষতিকর হতে পারে। রাতে গর্ভবতী মা অন্তত ৮-৯ ঘন্টা সময়ঘুমিয়ে নেবেন। আরামদায়ক উষ্ণ পানিতে গোসল সেরে নিলে সহজেই ক্লান্তি দর হবে। এক গ্লাস হাল্কা গরম দুধ পান এ সময়ে মন্দলাগবে না। গর্ভবতী অবস্থায় জরায়ুর আকার বৃদ্ধি ঘটে এবং গর্ভস্থিত সন্তানের ওজনের ফলে অনেকে শুয়ে অস্বস্তিবোধ করে থাকেন। ছোট, নরম ও হাল্কা বালিশরেখে বাম ফিরে শুয়ে দেখুন অস্বস্তিবোধ অনেকটা কমে যাবে। দৈহিক ও মানসিক শিথিলতা প্রয়োজনীয় বিশ্রাম গ্রহণ করে গর্ভবতী অবস্থায় ও প্রসবকালে দেহ ও মনে পর্যাপ্ত শিথিলতা আনতে হবে। এ সময়ে সব ধরনের দুশ্চিন্তামুক্ত থাকতে হবে। পছন্দসই, আরামদায়ক পোশাক পছন্দসই, আরামদায়ক পোশাক পরিধান করা মোটেও বিলাসিতা নয়।মেটারনিটি ড্রেস পরিধান করা স্বাস্থ্যসমমত। ঘুম ও বিশ্রামেব্যাঘাত ঘটায় এমন পোশাক ব্যবহার না করাই শ্রেয়। কোনো অবস্থাতেই আঁটোসাঁটো পোশাক ব্যবহার করবেন না এ সময়ে। গর্ভবতী অবস্থায় ব্যবহার করার জন্য বিশেষভাবে তৈরি পোশাক ব্যবহার করুন। একাধিক সন্তান জন্মদানকারী মায়ের পেটের মাংশপেশিগুলো শিথিল হয় বলে তলপেট সামনের দিকে কিছুটা ঝুলেপড়ে অনেকের। তারা প্রসব পরবর্তীকালে নির্ধারিত ব্যায়াম করে এ অবস্থা থেকে মুক্ত থাকতে পারেন। ম্যাটারনিটি বেল্ট পাওয়া যায়, সুবিধা মনে হলে তাও ব্যবহার করে দেখতে পারেন। গর্ভবতী অবস্থায় গোড়ালি উঁচু বা হাইহিলজুতো ব্যবহার করা উচিত নয়। এতে পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাছাড়া গর্ভবতী অবস্থায় দৈহিক ওজন বৃদ্ধি ঘটে বলে উঁচু গোড়ালির জুতো ব্যবহারে পায়ের অসহ্য ব্যথায় আক্রান্ত হতে পারেন। আরো পড়তে থাকুন পাতা ২

কোন মন্তব্য নেই :

স্বাস্থ্য সমস্যা এবং ডাক্তারি সমাধান প্রফেসর ডাঃ এ এইচ মোহামমদ ফিরোজ এফসিপিএস, এমআরসিপি, এফআরসিপি (পাতা ১)
কোন মন্তব্য নেই
সেলুলিটি সেলুলিটি হলো নারীদের উরু এবং পশ্চাৎদেশে মাংসের ফুলে ওঠা বাছোট ছোট কণার মতো হয়ে ওঠা। সেলুলিটি সাধারণভাবে নারীদের হয়ে থাকে। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে পুরুষের সেলুলিটি হতেদেখা যায়। ডাক্তারদের মতে সেলুলিটির চিকিৎসায় সার্জারির প্রয়োজন পড়ে অনেক সময়। তবে প্রাথমিকভাবে মেডিকেশনের দ্বারাও এর চিকিৎসার ব্যাপারে অনেক চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ উৎসাহী। স্থূলতা স্থূলতা সমস্যায় পুরুষের চেয়ে নারীরা ভোগে বেশি। প্রথমত ফ্যাটি খাদ্যের প্রতি নারীদের আকর্ষণ স্থূলতা বৃদ্ধির কারণ। তবে বডি মাস ইনডেক্স অনুযায়ী নিয়ম মতো চললে স্থূলতা সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যেতে পারে। নারীদের বিভিন্ন সময় ওজন বৃদ্ধি এবং হ্রাসজনিত সমস্যা দেখা দেয় এ ব্যাপারেও বিএমআই সাহায্য করতে পারে। হারসুটিজম নারীদের শরীরে অতিরিক্ত লোম থাকাকে হারসুটিজম বলা হয়। অনেকনারী আতঙ্কিত হন এই ভেবে যে তাদের শরীরে মাত্রাতিরিক্ত পুরুষ হরমোনের প্রভাবে এই রকম অতিরিক্ত লোম গজায়। তবে সাধারণত ভেলাস চুল হরমোনের প্রভাবে গজায় না, কিন্তু টারমিনাল চুল হরমোনের প্রধান্যে গজাতে পারে। অতিরিক্ত চুল গজানোর এই সমস্যাকয়েকটি নির্দিষ্ট কারণের ওপর নির্ভরশীল। *. এড্রোজেন মেটাবলিজম *. এড্রোজেন প্রোডাকশন *. এক্সাজেনাস এড্রোজেন খাদ্য সমস্যা এবং এর ডাক্তারি উপসর্গ এনোরেক্সিয়া নার্ভোসা, বুলিমিয়া নার্ভোসা, বিনজি খাদ্য সমস্যা ইত্যাদির প্রধান ডাক্তারি উপসর্গ হলো- এনোরেক্সিয়া নার্ভোসা *. শরীরে ওজন ৮৫ ভাগ কমে যাওয়া *. ওজন বৃদ্ধিজনিত ভয় *. শরীরের ওজন এবং আকারের মধ্যে অমিল *. এমোনেরিয়া। বুলিমিয়া নার্ভোস *. খাদ্যের ব্যাপারে অনীহা *. খাওয়ার আগে বা পরে বমি বমি ভাব *. শরীরের আকার এবং ওজন নিয়ে দুশ্চিন্তা *. এনোরেক্সিয়া নার্ভোসা অনুপস্থিতি। ম্যালিগন্যান্ট মেলানোমা ত্বক ক্যান্সার নারীদের জন্য এটি একটি অত্যন্তঝুঁকিপূর্ণ ত্বকের ক্যান্সার। সাধারণত ৩০ থেকে ৩৪ বছর বয়সী নারী এতে আক্রান্ত হয় বেশি। ককেশীয় নারীদের এই ধরনের ক্যান্সারে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে। অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করে থাকেন গর্ভবতী অবস্থায় যদি নারী আক্রান্ত হন তবে তার গর্ভের শিশুরও এই সমস্যা হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল, হরমোন ইত্যাদির সাময়িক প্রভাবে মেলানোমা বেড়ে গিয়ে এরকম ক্যান্সারের সচনা করতে পারে। গর্ভাবস্থায় ইন্ট্রাহেপাটিক নারীর গর্ভাবস্থায় তার লিভারে ঘামাচির কণার মতো উঠলে তাকে ইন্ট্রাহেপাটিক বলে। বহু নারীরএই সমস্যা হতে পারে। ইন্ট্রাহেপাটিকের চিকিৎসা ওষুধের দ্বারা সম্পন্ন করা যায়। ইন্ট্রাহেপাটিক চলাকালীন সময়ে নারীর আরো কিছু পার্শ্ব সমস্যা হতে পারে যেমন- *. পলিমরফিক *. গর্ভাবস্থার ঝুঁকি *. হারপিস জেসটেটিওনিস *. ইমপেটিগো *. হারপিটোফরমিস ইত্যাদি ত্বকের সমস্যায় এই সময়ে নারী আক্রান্ত হতে পারে। মনোপজকালীন যোনি থেকে রক্তপাত প্রাক মনোপজকালীন অথবা মেনোপজকালীন নারীর যোনি থেকে রক্তপাত একটি স্বাভাবিক সমস্যা। অনেক ক্ষেত্রে এর কারণমুখে সেবনযোগ্য জন্মবিরতিকরণ পিলের প্রভাব। তবে এরকম সমস্যাসব নারীরই হয় না। অনেক ক্ষেত্রে হরমোন রিপেস্নসমেন্ট থেরাপির বিষয়ে আলোচনা শোনা যায়যে এরকম সমস্যায় এটি খুব ভালো কাজ দেয়। একটি গবেষণায় দেখা গেছে শতকরা ২০ ভাগ নারীর জন্য হরমোন রিপেস্নসমেন্ট থেরাপি কার্যকর হয়ে থাকে। অনেক ডাক্তার মনে করেন সার্জারি অনেক সময় ভালো কাজ দেয়। বিশেষ করে ইউটেরাস বা জরায়ু মত্রথলি এবং মত্রনালীর সমস্যায় সার্জারি সবচেয়ে উপযোগী হয়ে ওঠে। হাইপারপ্রোলাকটিনোমিয়া নারীর বুকের দুধের জন্য প্রয়োজনীয় হরমোন হচ্ছে প্রোলাকটিন। কখনো কখনো নারীর বুকের দুধ ছাড়াও নারীর স্তনবৃন্ত বা নিপল দিয়ে এক ধরনের তরলের ক্ষরণ ঘটতে পারে। একে ‘হাইপারপ্রোলাকটিনোমিয়া’ সমস্যা বলা হয়। আরো পড়তে থাকুন পাতা ২

কোন মন্তব্য নেই :

স্বাস্থ্য সমস্যা এবং ডাক্তারি সমাধান প্রফেসর ডাঃ এ এইচ মোহামমদ ফিরোজ এফসিপিএস, এমআরসিপি, এফআরসিপি (পাতা ২)

কোন মন্তব্য নেই
ইস্ট্রোজেন থেরাপি এবং ফাইব্রয়েড ফাইব্রয়েডের ডাক্তারি নাম ইউটেরাইন লিওমায়োমাটা। নারীর শরীরে প্রোজেস্টেরন মাত্রা কমেগেলে এ জাতীয় সমস্যা হতে পারে। মনোপজ পরবর্তী সময়ে এবং ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টিন রিপেস্নসমেন্ট থেরাপির ফলে অনেক সময় ফাইব্রয়েড হতে পারে। এস্টিরিয়াল জাতীয় ইস্ট্রোজেন থেরাপি অনেক সময় ফাইব্রয়েডের সৃষ্টি করে। হিসটেরেকটমির প্রভাব হিসটেরেকটমির প্রভাবে যে সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারে- *. গ্র্যানুলেশন টিস্যু *. ফ্যালোপিয়ান টিউবে প্রোলাপস *. এডোমেট্রোসিস *. এট্রোফিক ভ্যাজিনাইটিস *. যোনির অপ্রীতিকর সমস্যা। হিসটেরেকটমির জন্য যে উপসর্গগুলো দেখা দিতে পারে *. ইউরিনারী ট্র্যাক্টে ইনফেকশন *. গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল সমস্যা *. যোনির সমস্যা *. ভাবের পরিবর্তন *. শরীরে ব্যথা *. সাধারণ অন্যান্য শারীরিক সমস্যা। হিসটেরেকটমির পরে আরো কিছু বিরল সমস্যা দেখা দিতে পারে যেমন- *. রক্তস্বল্পতা বা এনিমিয়া *. মস্তিষেকর রক্তক্ষরণ সমস্যা *. বাওয়েল ইনজুরি *. মত্রথলির সমস্যা *. লিভার ফেইলিওর *. তলপেটের ব্যথা *. কিডনির সমস্যা ইত্যাদি। হিসটেরেকটমির চিকিৎসার পরে কিছু সতর্কতা *. অন্তত চার সপ্তাহ বিশ্রাম *. ৭ থেকে ১০ দিন পর্যন্ত গাড়ি না চালানো *. অন্তত চার সপ্তাহ যৌনমিলনে অংশ না নেয়া ইত্যাদি ব্যাপারে সতর্কতার প্রয়োজন। প্রাকমনোপজকালীন অতিরিক্ত রক্তপাত ডাক্তাররা এই সমস্যায় কয়েকটি ব্যাপারে পরীক্ষা করে থাকেন যেএই উপসর্গের অন্য কোনো কারণ আছে কি না। যেমন তারা পরীক্ষা নীরিক্ষা করেন- *. এডোমেট্রিয়াল সমস্যা হয়েছে কি না *. ফাইব্রয়েড অথবা পলিপ কি না *. অস্বাভাবিক থাইরয়েড হরমোনের জন্য এরকম হয়েছে কি না ইত্যাদি। এরকম সমস্যার ক্ষেত্রে ভিটামিনকে খুব ভালো কাজ করতে পারে। তবেঅনেকক্ষেত্রে এরকম সমস্যা যদি গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল রোগের জন্য হয়ে থাকে তবে এসকরবিক এসিড (ভিটামিন সি) এর প্রয়োজন হয়ে পড়ে। অনিয়মিত মেনস্ট্রুয়াল মেট্রাহেজিয়া বা অনিয়মিত সেনস্ট্রুয়ালের প্রধান কারণ হলো করপাস লিউটিয়াম কার্যক্রমের সমস্যা। প্রচুর পরিমাণে ক্যাফেইন বা সিগারেট খেলে অনেক সময় নারীদের এই সমস্যা দেখা দেয়। ডাক্তাররা যে বিষয়গুলো সম্বন্ধে পরামর্শ দেন মাসিকচক্রে নিয়মিত করার জন্য- *. রিলাক্স করা *. মানসিক চাপ কমানো *. কিছু শারীরিক ব্যায়াম *. খাদ্যজনিত সমস্যা থাকলে তার প্রতিকার *. সাইটোইস্ট্রোজেন সাপিস্নমেন্ট গ্রহণ। যোনির হিসটেরেকটমি অনেক নারী ডাক্তারের কাছে আবেদন করেন যেন তার চিকিৎসা লেসার-এর মাধ্যমে হয়ে থাকে। ল্যাপারোস্কোপি ইন্ট্রুডিউসার(ট্রোমার) যোনির হিসটেরেকটমি সমস্যায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। হরমোন রিপেস্নসমেন্ট থেরাপি এবং রক্তপাত অনেক নারীর হরমোন রিপেস্নসেমেন্ট থেরাপির সময় যোনি থেকে রক্তপাত হতে পারে। অনেক সময় এটা স্বাভাবিক মাত্রায় আবার অনেক সময় খুব বেশি পরিমাণে রক্তপাত ঘটে। গবেষণায় দেখা গেছে, হরমোন রিপেস্নসমেন্ট থেরাপির কোনো প্রভাব শতকরা ২ ভাগ নারীর ওপর পড়ে না। রক্তপাত সমস্যায় সনোগ্রাফি স্যালাইন ইনফিউশন সনোগ্রাফি অনেক সমস্যার জন্য উপযুক্ত ডায়াগনোসিস। যেমন- *. এডোমোট্রিয়াল ক্যান্সার *. এডোমেট্রিয়াল হাইপারলেসিয়া *. এডোমেট্রিয়াল পলিপস *. ফাইব্রয়েড *. ইন্ট্রাইউটেরাইন স্ক্যারিং। মনোপজ উত্তর রক্তপাত এডোমেট্রিয়াল ক্যান্সার হলে অনেক সময় এই জাতীয় মনোপজ উত্তর রক্তপাত হতে পারে। সাধারণত পঞ্চাশ বছরের পরে এই সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। স্তন ক্যান্সার অনেকে মনে করেন জন্মনিয়ন্ত্রণের পিল স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। কিন্তু গবেষকরা মনে করেনএজন্যে কোনো উপদাহরণ এখনো পাওয়া যায়নি। যাতে করে এটি নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব স্তন ক্যান্সারের জন্য জন্মনিয়ন্ত্রণের পিল দায়ী। তবে বংশগতির ধারা স্তন ক্যান্সারের ব্যাপারে বেশ ভূমিকা রাখতে পারে। শতকরা ২৭ ভাগ ক্ষেত্রে নারীর স্তন ক্যান্সারের কারণ এই বংশগতির প্রভাব। আবার অনেক ক্ষেত্রে ফাইব্রোসিসটিক স্তনের অসুখের প্রভাবেও স্তন ক্যান্সার হতে পারে। যে বিষয়গুলো স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে- *. বয়স *. গোত্র *. প্রথম পিরিয়ডের বয়স *. প্রথম শিশু জন্মের বয়স *. ডাক্টাল সারকিনোমার পূর্ব ইতিহাস ইত্যাদি। ম্যামোগ্রাম স্তনের যে কোনো প্রকার সমস্যারজন্য ম্যামোগ্রাম অত্যন্ত উপকারী। স্তনের সিস্ট সমস্যার জন্যও মেমোগ্রাম উপযোগী। ম্যামোগ্রাম সিস্ট সমস্যার মোকাবিলা করতে পারে না। কিন্তুসিস্ট স্তনের কোথায় অবস্থান করছে তা পরিষকার দেখতে পারে। স্তনের সিস্ট সমস্যার মোকাবেলায় ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত। অনেক ক্ষেত্রে অবহেলা বা অজ্ঞতার জন্য সিস্ট স্তন ক্যান্সারে রূপ নিতে পারে। ♥♥♥♥সমাপ্ত♥♥♥♥ প্রকাশক : সৈয়দ রুবেল উদ্দিন www.facebook.com/sayed.rubel3 ভাল লাগলে ফেসবুকে শেয়ার করুন । লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ । ভাল থাকুন সব সময় ।

কোন মন্তব্য নেই :

কিডনি সংযোজন ফিরিয়ে দিতে পারেস্বাভাবিক জীবন ডা. মো. রুহুল আমিন
কোন মন্তব্য নেই
মানবদেহে কিডনি অত্যাবশ্যকীয় অঙ্গ। সাধারণত প্রতিটি মানবদেহে দুটি কিডনি থাকে। কিডনি শরীর থেকে দূষিত বর্জ্য বের করে এবং শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসকে সংরক্ষণ করে। শরীরের পানি, লবণ ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ এবং রক্ত তৈরিতে কিডনি বিশেষ ভূমিকা রাখে। দুটি কিডনি যখন স্থায়ীভাবে শতকরা নব্বই ভাগের বেশি কার্যক্ষমতা হারায় তখন তাকে অ্যান্ড সেটজ রেনাল ডিজিজবা সংক্ষেপে ইএসআরডি বলা হয়। ইএসআরডিতে আক্রান্ত একজন রোগীকে বেঁচে থাকার জন্য নিয়মিত ডায়ালাইসিস বা কিডনি সংযোজনের মতো অপারেশন করাতে হয়। নিয়মিত ডায়ালাইসিসের চেয়ে কিডনি সংযোজনে বেশ কিছু বাড়তি সুবিধা রয়েছে। যেমন কিডনি সংযোজনের রোগী সুস্থ স্বাভাবিকমানুষের মতো হয়ে যায়, নিয়মিত হাসপাতালে আসতে হয় না, রক্ত বৃদ্ধির জন্য ওষুধ বা রক্তের প্রয়োজন হয় না, খরচ তুলনামূলকভাবে অনেক কম হয়। জীবন হয় দীর্ঘমেয়াদি। গত দুদশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে কিডনি সংযোজন হচ্ছে।তবে গত তিন-চার বছরে কিডনি সংযোজনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। এবং সফলতার হার যেকোনো উন্নত বিশ্বের কাছাকাছি। কিডনিসংযোজনের প্রধান অন্তরায় কিডনিদাতা এবং সাধারণ মানুষের অসচেতনতা। ১৯৯৯ সালের এপ্রিল মাসে জাতীয় সংসদে পাসকৃত আইন অনুযায়ী একজন কিডনি ফেইলর রোগীকে তার বাবা-মা, ভাই-বোন, ছেলেমেয়ে, স্বামী-স্ত্রী, চাচা-মামা ও খালা-ফুপু স্বেচ্ছায় একটি কিডনি দান করতেপারবে। তবে কিডনিদাতার বয়স হতেহবে ১৮ থেকে ৬১ বছরের মধ্যে, তার দুটি কিডনিই শতভাগ সুস্থ থাকতে হবে! কিডনিদাতার শরীরে অপারেশনের আগে কোনো ভাইরাস যেমন- হেপাটাইটিস বিসিসি এমভি ভাইরাস এইচআইভি ইত্যাদির অনুপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। তেমনিভাবে কিডনিগ্রহীতার শরীরেও অপারেশনের আগে কোনো রকমইনফেকশন যেমন-যক্ষ্মা, শ্বাসনালিতে প্রদাহ, নিউমোনিয়া, ইউরিনে ইনফেকশন, হাতে-পায়ে ইনফেকশন ইত্যাদির অনুপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের দেশের আইন অনুযায়ী দুর্ঘটনায় আহত বা সেট্রাকের রোগী স্থায়ীভাবে জ্ঞান হারালে একজন ব্রেইন ডেথ রোগী তার দুটি কিডনি দুজন কিডনি ফেইলর রোগীকেজীবন ফিরিয়ে দিতে পারে। উচ্চরক্তচাপ ও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তি কিডনিদাতা হিসেবে সমপূর্ণ অনুপযোগী। কারণ এ ধরনের রোগ ভবিষ্যতে কিডনি আক্রান্ত করতে পারে। দুটি কিডনি শতভাগ সুস্থ থাকলে যেকোনো প্রাপ্তবয়স্ক মহিলা বা পুরুষ স্বেচ্ছায় নির্ভয়ে নিঃসন্দেহে একটি কিডনিদান করে একজন কিডনি অকেজো রোগীকে জীবন ফিরিয়ে দিতে পারেন। এতে কিডনিদাতা সমাজে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারেন। একটি কিডনিদানের ফলে কিডনিদাতার বাকি জীবনে সাধারণতকোনো সমস্যা হয় না। কিডনি অপারেশনে গড়ে আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা সময় প্রয়োজন হয়। অপারেশনের পর কিডনিদাতাকে সাত দিন এবং কিডনিগ্রহীতাকে ১৪ দিনহাসপাতালে অবস্থান করতে হয়। কিডনিদাতা এক মাস এবং কিডনিগ্রহীতা দুই-তিন মাস পর তাদের নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে ফিরে যেতে পারেন। কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতাল থেকে অপারেশন করে কিডনিগ্রহীতারা বাংলাদেশ, লন্ডন, অসেট্রলিয়া, দুবাই, সৌদি আরব ও কুয়েতসহ পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে সুনামের সাথে নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে কাজ করছেন। দুর্ঘটনায় আহত বা সেট্রাকের কারণে আইসিইউতে অবস্থানরত ব্রেইন ডেথ রোগীদের কিডনি নিয়েযাতে কিডনি ফেইলর রোগীদের কিডনি সংযোজন করা যায়-এই ব্যাপারে কিডনি ফাউন্ডেশন সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। শিগগিরই বাংলাদেশে ব্রেইন ডেথ রোগীর কিডনি দিয়ে কিডনি সংযোজনসম্ভব হবে। আশা করা যায়, আমরা সচেতন হয়ে কিডনি অকেজো হওয়া রোগীকে সুস্থ জীবনে ফিরে আসতে সাহায্য করব। লেখকঃ সহকারী অধ্যাপক ট্রানসপ্লান্ট সার্জন, কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতাল বাড়ি নং-৬, রোড নং-৮, ধানমন্ডি, ঢাকা। মোবাইলঃ ০১৮১৯২২৬৯৯২। ♥♥♥♥সমাপ্ত♥♥♥♥ প্রকাশক : সৈয়দ রুবেল উদ্দিন www.facebook.com/sayed.rubel3 ভাল লাগলে ফেসবুকে শেয়ার করুন । লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ । ভাল থাকুন সব সময় ।

কোন মন্তব্য নেই :

গর্ভবতী মায়ের খিঁচুনি রোগের পরিচর্যা মোঃ আবদুর রহমান পাতা ১

কোন মন্তব্য নেই
গর্ভাবস্থায় মায়েদের যতো জটিলতা দেখা যায় তার মধ্যে খিঁচুনি সবচেয়ে মারাত্মক। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায়, এই সমস্যাকে একলাম্পসিয়া বলা হয়। একলাম্পসিয়া একটা গ্রিক শব্দ। যার শাব্দিক অর্থ আলোর ঝলকানি।গর্ভাবস্থায় ২৮ সপ্তাহ থেকে সন্তান প্রসবের ৪৮ ঘন্টা পর পর্যন্ত যে কোনো সময় হঠাৎ করে গর্ভবতী মায়েরা বিদ্যুৎ চমকের মতো আলোর ঝলকানি প্রত্যক্ষকরেন। এর ফলে পরক্ষণেই খিঁচুনি দিয়ে ফিট হয়েপড়েন। এ অবস্থাকেই একলাম্পসিয়াবা গর্ভকালীন খিঁচুনি বলে। এ সময় খিঁচুনি বা ফিট হওয়া ছাড়াও গর্ভবতী মায়ের শারীরিক ওজন অস্বাভাবিক রকম বৃদ্ধি পায়। তাপ্রায় পূর্ববর্তী ওজনের চেয়ে ১২ কেজি বেশি হতে পারে। প্রেসার বা রক্তের চাপ বেড়ে যায় এবং প্রসবের এলবুমিনের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। আমাদেরদেশে এ রোগ সম্বন্ধে বাবা-মা কিংবা পরিবার প্রধানদের বিশেষ অজ্ঞতা, কুসংস্কার ও অবহেলার কারণে নিয়মিতভাবে প্রসব পূর্বকালীন বা এন্টিনেটাল পরীক্ষা না করানো এবং সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিতে না পারার কারণে শুধুমাত্র এ রোগেইগর্ভবর্তী মায়েদের মৃত্যুর হার১৬ শতাংশ। কাজেই গর্ভবতী মায়েরখিঁচুনি বা একলাম্পসিয়া রোগ প্রতিকারের জন্য সচেতন থাকতে হবে। প্রথম গর্ভধারণকারী মহিলাদের এরোগ বেশি হয়। একলাম্পসিয়া বা গর্ভকালীন খিঁচুনি রোগীর প্রায়৭৫ জনই প্রথম গর্ভধারণকারী মহিলা। তবে একলাম্পসিয়া একবার হলে পরবর্তী গর্ভধারণের সময় এরসম্ভাবনা বেড়ে যায়। গর্ভধারণেরপূর্ব থেকেই যাদের উচ্চ রক্তচাপ, বহুমত্র ও কিডনি সমস্যা থাকে সেসব গর্ভধারণকারীর এ রোগের প্রকোপ বেশি থাকে। এছাড়া গর্ভাবস্থায় জরায়ুতে অত্যধিক পানি জমা এবং যমজ গর্ভধারণ হলেও এ সমস্যা হওযার সম্ভাবনা বেশি থাকে। একলাম্পসিয়ার লক্ষণগুলো শরীরে পানি জমঃ দেখা যায় শতকরা ৫০ ভাগ মহিলার স্বাভাবিক গর্ভাবস্থায় শরীরে বিশেষ করে পায়ের দিকে কমবেশি পানি জমে। একলাম্পসিয়া রোগীদের সমস্ত শরীরেই অপেক্ষাকৃত বেশি পরিমাণে পানি জমে যায়। অত্যধিক ওজন বৃদ্ধি একজন গর্ভবতী মায়ের সাধারণত সর্বমোট ১০-১২ কেজি ওজন বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। গর্ভাবস্থার শেষদিকে গড়ে প্রতি সপ্তাহে ১/২ কেজি করে ওজন বৃদ্ধি পায়। অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি এ রোগের একটি লক্ষণ। উচ্চ রক্তচাপ গর্ভাবস্থায় রক্তচাপ বৃদ্ধি এ রোগের একটা প্রধান লক্ষণ। সমস্যা হলো আমাদের অধিকাংশ মা-ই সন্তান ধারণের পূর্বে রক্তচাপ পরীক্ষা করেন না, তাই গর্ভাবস্থায় পরীক্ষা করে রক্তচাপ কতোটুকু বাড়লো তা নির্ণয় করা অনেক বেশি মুশকিল হয়।প্রস্রাবে এলবুমিনের মাত্রা বেড়ে যাওয়া এবং প্রস্রাব কমে যায়। কখনো কখনো রক্তহীনতা দেখাদেয়। গর্ভবতী মায়ের কাছে আলো অসহ্য লাগে, চোখের দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসে এবং বিদ্যুৎ চমকের মতো আলোর ঝলকানি দেখা দেয়। খিঁচুনি উল্লেখিত লক্ষণগুলো থাকলে তাকেপ্রি-একলাম্পসিয়া বা খিঁচুনির পূর্বকালীন অবস্থা বলা হয় এবং সঙ্গে যখন খিঁচুনি শুরু হয় তখন তাকে একলাম্পসিয়া বলা হয়। অনেকসময় উল্লেখিত লক্ষণগুলো খুবই ক্ষণস্থায়ী হয় এবং হঠাৎ করেই রোগীর খিঁচুনি শুরু হয়ে যায়। খিঁচুনির পূর্ব মুহর্তে মাথাব্যথা হয়, বমি বমি ভাব বা বমি হতে পারে, চোখ অন্ধকার হয়ে যায়। খিঁচুনি শুরু হলে মুখ বাঁকা হয়ে যায়, দাঁতের কামড়ে জিহ্বা কেটে রক্ত বের হতে পারে এবং সমস্ত শরীরে ঝাঁকুনি হতে হতে রোগী অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকে। একলাম্পসিয়া প্রতিরোধ এ রোগ প্রতিরোধের প্রধান উপায় হলো রোগীকে নিয়মিত এন্টিনেটাল চেকআপ। গর্ভাবস্থায় নিয়মিতভাবে চেকআপ করলে এ রোগ না হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। সেক্ষেত্রে গর্ভের ১২ সপ্তাহ বয়স থেকে ২৮ সপ্তাহ পর্যন্ত প্রতিমাসে একবার, ২৮ সপ্তাহ থেকে ৩৬ সপ্তাহ পর্যন্ত মাসে দুইবার এবং ৩৬ সপ্তাহ থেকে সন্তান প্রসবের আগ পর্যন্ত সময়ে সপ্তাহে একবার করে এন্টিনেটাল চেকআপ করা উচিত। এতে গর্ভধারিণীর রক্তের চাপ, রক্তের সুগার, বাচ্চা ও জরায়ুর অবস্থা ও অন্যান্য অনাকাক্ষিত কোনো জটিল উপসর্গ সহজেই এড়ানো যায় এবং একলাম্পসিয়াও প্রতিরোধকরা যায়। তবে যদি অজ্ঞতা ও নিয়মিত এন্টিনেটাল চেকআপের অভাবে একলাম্পসিয়া দেখা দেয়, তখন রোগীকে নিকটস্থ কোনো হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে কারণএ অবস্থায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা একমাত্র হাসপাতালেই সম্ভব। একলাম্পসিয়া বা খিঁচুনি রোগীর পরিচর্যা একলাম্পসিয়া রোগীর পরিচর্যার ক্ষেত্রে রোগীকে স্বল্প আলোযুক্ত নির্জন (আধো আলো, আধো অন্ধকার এমন) ঘরে শুকনো নরম বিছানায় শায়িত রাখতে হবে, খেয়ালরাখতে হবে গায়ে যেন ঘাম বসে না যায়। তাহলে শেস্নষ্মার চাপ দিতে পারে। রোগীর গায়ের সাধারণপোশাক খুলে ফেলে তাকে অবশ্যই পাতলা কোনো কাপড় পরাতে হবে এবং গায়ে অল্প অল্প বাতাস করতে হবে। রক্তচাপ বেড়ে গেলে রোগীর মাথায় ঠান্ডা পানি ঢালতে হবে এবং প্রয়োজনে বরফও দেয়া যেতে পারে। খিঁচুনির সময় রোগীর হাত-পায়ে যেন শক্ত কোনোকিছুর আঘাত না লাগে। রোগী যখন রোগ যন্ত্রণায় লাফ-ঝাঁফ করতে থাকে তখন তাকে অতি সাবধানে ধরে রাখতে হবে। খিঁচুনিতে হাত, পা, ঘাড় ইত্যাদি বেঁকে যেতে থাকলে সাবধানে আস্তে আস্তে সেসব অঙ্গসোজা করে দিতে হবে।রোগীর জিহ্বায় যাতে দাঁতের কামড় না লাগে সেজন্য দুই সারি দাঁতের মধ্যে নরম কাপড় বা স্পঞ্জ দিয়ে রাখতে হবে। মুখ দিয়ে বেশি পরিমাণ লালা বা ফেনা নির্গত হতে থাকলে তা সাবধানে পরিষ্কারকরে দিতে হবে। যেন কোনোক্রমেই মুখে বেশি পরিমানে থুথু, লালা বা ফেনা জমে না থাকে। রোগীর জিহ্বা যাতে শুকিয়ে না যায় সেজন্য মাঝেমধ্যে, অল্প পরিমাণে ঈষদুষ্ণ গরম পানি পান করাতে হবে। রোগীর প্রস্রাব বন্ধ হয়ে গেলে বা প্রস্রাবের থলিতে প্রস্রাব বেশি পরিমাণে জমে গেলে তা ক্যাথেটার দিয়ে বের করে দিতে হবে। কখনো কখনো প্রয়োজনে রোগীকে ডাকাডাকি করা যাবে না। তার পাশে গিয়ে আবেগ আপস্নুত হয়ে উচ্চস্বরে ডাকা যাবে না। প্রয়োজনে রোগীকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষেরাখতে হবে।

কোন মন্তব্য নেই :

শিশুকে কিভাবে সেক্স সম্পর্কে বলবেন।
কোন মন্তব্য নেই
বাবা-মা সন্তানদের সামনে যৌনালোচনা করবেন কিভাবে, এটা একটা সমস্যা কিন্তু শিশুরা এসববিষয়ে এত বেশি উৎসাহী যে, বাবা-মা যদি তাদের ঠিক শিক্ষা না দেন তাহলে তারা ভুল শিখতে পারে। তাদের বন্ধুদের কাছে কিংবা টিভি, সিনেমা বা নানা খারাপ বইপত্রের মাধ্যমে তারা যৌনতা সম্পর্কে কৌতূহলবোধ করবেন... বাবা-মা সন্তানদের সামনে যৌনালোচনা করবেন কিভাবে, এটা একটা সমস্যা কিন্তু্তু শিশুরা এসব বিষয়ে এত বেশি উৎসাহী যে, বাবা-মা যদি তাদের ঠিক শিক্ষা না দেন তাহলে তারা ভুল শিখতে পারে। তাদের বন্ধুদের কাছে কিংবা টিভি, সিনেমা বা নানা খারাপ বইপত্রের মাধ্যমে তারা যৌনতা সম্পর্কে কৌতূহলবোধ করবেন, কেননা এ বয়সে তারা সবকিছু সম্পর্কে কৌতূহলী হয়ে থাকে। দেখা গেছে যে, যেসব শিশু বা কিশোর-কিশোরী তাদের বাবা-মার কাছ থেকে সঠিক যৌন শিক্ষা পেয়েছে তারা যৌন সম্পর্কের ব্যাপারে ধৈর্যের পরিচয় দেয়। জন্মনিয়ন্ত্রণ কিংবা যৌনরোগ সম্পর্কে সচেতন থাকে। কিভাবে তাদের সামনে এসব বিষয়ে আলোচনা করবেন এবার আমরা সে বিষয়ে আসি। আলোচনা করা যায় এমন একটা আন্তরিক পরিবেশ তৈরি করুন এবং লক্ষ্য করুন যে, তারা কি জানতে চাচ্ছে? যৌনতা বিষয়ে আপনার স্বাচ্ছন্দ্যবোধ এ বিষয়ে খুব জরুরি। এমনভাবে বলুন যাতে তারাআপনার কথা বিশ্বাস করে, স্বাচ্ছন্দ্য ও সতর্কতার সাথে প্রশ্নের উত্তর দিন। দেখবেন ছেলে-মেয়ে সুলভ কথাবার্তা যেন না বলেন। শরীরের অঙ্গগুলো সম্পর্কে সঠিক আর ভদ্র নামগুলোই ব্যবহার করুন। কোনো সমস্যার উত্তর জানা নাও থাকতে পারে-এতে লজ্জিত হওয়ার কিছু নেই। আপনি যা জানেন না এ বিষয়ে তাদের সাথে আলোচনাও করতেপারেন কিংবা আপনি এটা জেনে নিয়ে তার সাথে যৌনালোচনায় বসতেপারেন। তবে কোনো সমস্যা তাদের সামনে ঝুলিয়ে রাখবেন না। তাদেরসব সমস্যার সমাধান আপনি নিজে করুন-অন্য আরেকজনকে দিয়ে যেন বলাতে যাবেন না। কেউ কেউ অভিযোগ করে থাকেন যে, যৌনশিক্ষা বাচ্চাদের যৌনতা সম্পর্কে বেশি বেশি আগ্রহী করেতোলে যেটা ভালো নয়। আসলে ব্যাপরটা অন্য রকম। যৌনশিক্ষা যত আগে শুরু করা যায় ততই ভালো। কারণ ছেলে-মেয়েরা যত বড় হবে ততোই আপনার সঙ্গে তাদের যৌন বিষয়ে আলোচনা করার ব্যাপারে একটা দূরত্ব তৈরি হবে। আপনার স্বামী বা স্ত্রী, আপনার বন্ধু-বান্ধবী, এদের সঙ্গে যৌন বিষয়ে আলোচনা করার অভ্যাস করুন। এই ব্যাপারটা আপনার শিশুদের সামনে কাজে লাগবে।আপনার স্বামী বা স্ত্রী, আপনার বন্ধু-বান্ধবী, এদের সঙ্গে যৌন বিষয়ে আলোচনা করার অভ্যাস করুন। এই ব্যাপারটা আপনার শিশুদের সামনে কাজে লাগবে। আপনার শিশুটি যদি কিছু জিজ্ঞেসনা করে তবে বিষয়টিকে অন্যভাবে বিকশিত করার চেষ্টা করেন, যেমন আপনি আপনার শিশুকে একজন গর্ভবতী নারীর কথা বলতে পারেন বা অন্য কোনো শিশু গোসল করছে এ অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে বলতে পারেন। শিশুকে যৌনবিষয়ে শিক্ষাদেয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের টিভিপ্রোগ্রাম বা ফিল্ম সম্পর্কে শিশুর সাথে আলোচনা করতে পারেন।সব বয়সেই নারী-পুরুষের যৌনতা সম্পর্কে জানার জন্য লাইব্রেরিবা নানা স্কুলে অনেক ভালো ভালো বই রয়েছে। শিশুকে প্রায়ই যৌনতা সম্পর্কে জানান। শিশুরা যৌনতা সম্পর্কে বার বার জানতে আগ্রহী হয় এবং বার বার জানার পরে তারা বুঝে ফেলে এর কারণ হচ্ছে তাদের বোঝার ব্যাপারটা ধীরে ধীরে পরিপক্ব হয়। তবে বুঝতে হবে যে, শিশুকে আপনি কেবল যৌন অনুভূতি বা যৌন আচরণ সম্পর্কে বলবেন। আপনার শিশু আপনাকে যৌনতা সম্পর্কে যে প্রশ্নটি করবে তারসাবলীল উত্তর দেয়া কর্তব্য। শিশু যেগুলো সম্পর্কে জানতে চায় তা তাকে আদর দিয়ে বলার চেষ্টা করুন। শিশুকে একই যৌনতার অনেক ব্যাপার সম্পর্কে জানাবেন না। বরং আগের দেয়া বিভিন্ন যৌনালোচনায় যে বিষয়গুলো জানানো হয়েছে সেগুলোরউত্তর শিশুকে আবারো পরিষকারভাবে দিন এবং তাকে পরবর্তীতে জানাবেন এমন উৎসাহ প্রদান করুন। তবে এটাও ঠিক যে, আপনি ও আপনার শিশু উভয়ের জন্য প্রাইভেসি একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। আপনার শিশু যদি আপনার সঙ্গে পরিষকারভাবে বা সরাসরি কথা বলতে না চায় তবে আপাতত তাকে কথাবলা থেকে বরং বিরত রাখুন। তবে কথাটি ভুলবেন না। কখনোই শিশুর রুম, টেবিলের বা আলমারির ড্রয়ারবা অন্য কোনো প্রমাণ খুঁজবেন না। শিশু যদি টেলিফোনে বা ব্যক্তিগত কোনো ব্যাপারে কারো সাথে কথা বলে তাহলে কখনোই শুনবেন না। শিশু-কিশোররা যা বলে তা মন দিয়েশুনুন। তারা আসলে যেটি চায় সেটা হচ্ছে তারা যেসব প্রশ্ন বা উত্তর বা শঙ্কা প্রকাশ করে সেগুলো আপনি কতটুকু গুরুত্ব দিয়ে শুনবেন। তারা যেভাবে বেড়েউঠছে তা আপনার থেকে একটু ভিন্ন। শিশুর কোনো প্রশ্ন শুনেহাসবেন না বা অবজ্ঞা করবেন না বা তাকে কোনো প্রশ্ন থেকে বিরত রাখবেন না। কেননা অন্যদের কাছেপ্রাপ্ত শুদ্ধ বা অশুদ্ধ যৌনতাসম্পর্কিত বিভিন্ন ধারণাগুলো যদি প্রকৃত অর্থেই সঠিক না হয় তবে আপনি শিশুর সুস্থ যৌন স্বাস্থ্য আশা করতে পারেন না।কেননা তারা মলত শেখে আপনার ভালোবাসা, আদর বা তাদের প্রতি আপনার দায়িত্ববোধ থেকে- একথা আপনি তাকে বলুন আর নাই বলুন। যৌনতার গুরুত্ব সম্পর্কে এবং জীবন সম্পর্কে আপনি শিশুকে বলুন। শিশুকে খুঁজে বের করতে বলুন জীবনে যৌনতার গুরুত্ব কতটুকু। অধ্যাপক ডাঃ এ এইচ মোহাম্মদফিরোজ এফসিপিএস এমআরসিপি এফআরসিপি

কোন মন্তব্য নেই :

পুরুষদের যৌনভীতি-নারীদের যৌনভীতি
কোন মন্তব্য নেই
www.amarbanglapost.com

জীবনের কোনো না কোনো পর্যায়ে পুরুষের যৌনতা নিয়ে নানা দুশ্চিন্তা বা দুর্ভাবনা থাকে।তারা চিন্তা করে সব সময় কেন উত্থান বা লিঙ্গ দাঁড়ানোর ব্যাপারটা একইভাবে হয় না- তবে কি যৌন অক্ষমতা বা পুরুষত্বহীন হয়ে গেলাম। অনেক নারী যৌনতা নিয়ে অস্বাচ্ছন্দ্যতা বা এক ধরনের চিন্তা বা শঙ্কায় ভোগেন।তারা স্বাভাবিক শরীরের অধিকারীহলেও যৌনাঙ্গ নিয়ে অনেক সময় বেশ অস্থির থাকেন... পুরুষদের যৌনাশঙ্কা জীবনের কোনো না কোনো পর্যায়ে পুরুষের যৌনতা নিয়ে নানা দুশ্চিন্তা বা দুর্ভাবনা থাকে।তারা চিন্তা করে সব সময় কেন উত্থান বা লিঙ্গ দাঁড়ানোর ব্যাপারটা একইভাবে হয় না- তবে কি যৌন অক্ষমতা বা পুরুষত্বহীনহয়ে গেলাম। কামরস কেন এত তাড়াতাড়ি বেরিয়ে আসে, কামরস যৌনসঙ্গমের সাথে সেক্স করার সময় কেন বের হয় না অথচ হস্তমৈথুন বা সুখস্তপর্শের সময়ঠিকই কামরস বের হয়ে আসে ইত্যাদি। পুরুষের যৌন আচরণ আর যৌন ইচ্ছার সুনির্দিষ্ট কোনো সীমা নেই। একেকজন একেক আসন, ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতি বা টেকনিক পছন্দ করে অন্যরা হয়ত তা করে না। একজনপুরুষ নিজের যৌনতা নিয়ে যা ভাবেন তাই তার কাছে সঠিক হওয়া উচিত। অন্য পুরুষরা যেরকমের আচরণ করেন তাকেও সেই একই রকম আচরণ করতে হবে এমন কোনো কথা নেই। তবে অনিচ্ছা সত্ত্বেও কাউকে যৌন আচরণে বাধ্য করা অন্যায়। বলাৎকার বা ধর্ষণ কিন্তু্তু আইনের দৃষ্টিতে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। যৌন জীবনের কোনো এক পর্যায়ে মনে হবে কেউ উত্থিত লিঙ্গকে যৌনসুখ পাওয়া না পর্যন্ত ঠিক ধরে রাখতে পারছে না। এর আসলে অনেক কারণ থাকতে পারে যেমন অসুস্থতা, ক্লান্ত বা অবসন্ন থাকা, মনোশারীরিক চাপে থাকা বা যৌনসঙ্গী কর্তৃক মনঃকষ্ট পাওয়া, এ্যালকোহল, ড্রাগ বা ওষুধ সেবনের কারণে হতে পারে। তবে যৌন অসন্তোষ বা অতৃপ্তি এসব সমস্যাকে আরো বাড়িয়ে দেয়। মানসিক সমস্যাজনিত কারণটি সমাধানের জন্য সেক্স থেরাপিস্টের সাথে যোগাযোগ করতেপারেন। সবচেয়ে প্রচলিত যৌনশিক্ষা আর ভাবনা হলো দ্রুত বীর্যস্খলন বা নির্দিষ্ট সময়েরআগেই বীর্যস্খলন। এটা আসলে এক প্রকারের অর্জিত বা শিক্ষণীয় যৌন আচরণ যা মাস্টারবেশন বা হস্তমৈথুনের সাহায্যে ঠিক করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে পুরুষটিকে জানতে হবে ও শিখতে হবে কিভাবে বীর্যস্খলনের সময়কেবাড়ানো যায় এবং যৌন অনুভূতি বা শিহরণকে নিয়ন্ত্র্তণ করা যায়। পেনিসকে হাত দিয়ে শক্ত করে ধরে একবারে উদ্দীপিত করে আবার যৌনপুলক নিয়ন্ত্রণ করে বন্ধ করুন যাতে কিনা বীর্যস্খলিত হতে না পারে। এভাবে কয়েকদিন অভ্যাস করলে এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে পারেন।এভাবে কয়েকদিন অভ্যাস করলে এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে পারেন। তাই মাস্টারবেশন বা হস্তমৈথুন নিজেকরে বা যৌনসঙ্গীকে দিয়ে করিয়ে সুখ সপর্শ আর যৌনতৃপ্তি অনুভব করুন এবং দ্রুত বীর্যস্খলনরোধ করুন। কতক পুরুষের পেনিস ভালোভাবে উত্থিত হলেও অর্গাজম বা যৌনসঙ্গীর সাথে চরমপুলক বা যৌনশিহরণ পেতে অসুবিধা হয় কিন্তু যখন তিনি মাস্টারবেশন করেন তখনকোনো সমস্যা থাকে না। এর একটা মানসিক কারণ থাকতে পারে। তিনি যৌন আচরণকে অপরাধের দৃষ্টিতে দেখতে পারেন বা নারী বা যৌনসঙ্গী গর্ভবতী হয়ে যাবে এরকমটি ভাবতে পারেন বা যৌনবাহিত রোগ বা ইফেকশনকে এড়িয়ে চলতে পারেন। আপনি যদি এ ব্যাপারে সহায়তা চান তবে মনোচিকিৎসক বা সেক্স থেরাপিস্টর সাথে পরামর্শ করুন-এটাকে মনোচিকিৎসার সাহায্যে সম্পূর্ণ ভালো করা সম্ভব। নারীদের যৌনাশঙ্কা অনেক নারী যৌনতা নিয়ে অস্বাচ্ছন্দ্যতা বা এক ধরনের চিন্তা বা শঙ্কায় ভোগেন। তারা স্বাভাবিক শরীরের অধিকারী হলেওযৌনাঙ্গ নিয়ে অনেক সময় বেশ অস্থির থাকেন। অবশ্য নারীরা চরমপুলক বা যৌন শিহরণমূলক অনুভূতি অথবা অন্যদের মতো সেক্স তারা কেন করতে পারেন না এনিয়েও দুশ্চিন্তায় ভোগেন। হঠাৎকরে কোনো যৌনসঙ্গম একটু ব্যথাদায়ক হলে তাদের উদ্বেগের সীমা থাকে না। যৌন আচরণ অনুভূতি আর যৌন ইচ্ছার নির্দিষ্ট কোনো সীমা নেই। বিভিন্ন ধরনের আসন, বিভিন্ন রকমের টেকনিকে অনেকে খুব যৌনসুখ পান- আবার অনেকে পান না।একজন নারী যৌন আনন্দ বা যৌনসুখের জন্য যে আসন বা ব্যবস্থাটিই বেছে নিক না কেন তা কিন্তু্তু সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। অন্য নারীরা যা করেতা আপনাকে একইভাবে করতে হবে এমন কোনো কথা নেই। তবে কারো অনিচ্ছা আর আপত্তি সত্ত্বেও তার সাথে যৌন সঙ্গম করা অন্যায়। বলাৎকার এবং অপব্যবহারএই দুটিই আইনের দৃষ্টিতে অপরাধ। আসলে এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে একজন নারীকে অবশ্যই তার শরীর বা বডি ইমেজ সম্পর্কে স্বচ্ছ সাবলীল ধারণা থাকা চাই।এক্ষেত্রে নারী তার যৌনসঙ্গীর সাথে যোগাযোগ করে ও পরামর্শ নিয়ে উপকৃত হবেন। নারীকে অবশ্যই জানতে হবে কিসে যৌনানন্দ বোধ হয় এবং তিনি কি অপছন্দ করেন। নারী যৌনাঙ্গের সবচেয়ে সংবেদনশীল সপর্শকাতর ফুলের মত বা ঠোঁটের মতো অংশটাকে ক্লাইটোরিস বা ভগাঙ্কুর বলে। এতে সুখসপর্শ করলে নারীর দেহমনে এক অন্যরকম যৌনসুখ অনুভূত হয়। যৌন সঙ্গমের সময় একজন নারী ঠিক যেভাবে বা যেরকম সপর্শ তার ক্লাইটোরিসে চায় সেরকম হয় না। তাই যৌন সঙ্গমের সময় এমন একটা পথ বেছে নিন যাতে কিনা ক্লাইটোরিসের সাথে মৃদু বা মাঝারি ঘর্ষণ নিশ্চিত হয়। নারী নিজে বা তার যৌনসঙ্গী যৌনক্রিয়ার সময় ক্লাইটোরিসকে উদ্দীপিত করতে পারে বা বীর্যখলনের পর নারীকে চরমপুলক বা যৌনশিহরণ দেয়ার জন্য এটাকে উদ্দীপিত করতে পারে। নারী নিজেই আবিষকার করবে কার মাধ্যমে হস্তমৈথুনে তিনি বেশি যৌনসুখ পান, তার যৌনসঙ্গীর মাধ্যমে না নিজের মাধ্যমে। নারী যদি সত্যিকারভাবেই উদ্দীপিত হয় তাহলে কিন্তু্তু যোনি ভিজে যায়। এর ফলে যৌনসঙ্গম সহজতর হয়। কতক নারী-পুরুষ আবার যোনিকে ভেজা রাখার জন্য দ্রবণীয় কোনো পিচ্ছল তরল ব্যবহার করেন। এটা যে কোনো ড্রাগ স্টোর থেকে কেনা যেতে পারে; তবে পেট্রোলিয়াম জাতীয় পিচ্ছিলকারক পদার্থ কখনোই ব্যবহার করবেন না। একজন নারী তার যৌনানুভূতি বা যৌন ইচ্ছার কথা দেহের ভাষাতে প্রকাশ করতে পারেন। আর আপনি যদি এতে সফল হন তবে আপনার যৌনসঙ্গী আপনার সাথে যৌনকর্মে বা যৌনসঙ্গমে মিলিত হতে চাইতে পারেন- এতে করে উভয়েই যৌনানন্দ আর যৌনসুখ নিঃসন্দেহে পাবেন।

কোন মন্তব্য নেই :