তারাবীর নামায ও তার মাসায়েল

কোন মন্তব্য নেই
মাওলানা হেমায়াতুদ্দীন
* রমযান মাসে ইশার নামাযের পর
ইশার ওয়াক্তের মধ্যে যে বিশ রাকআত
সুন্নাতে মুআক্কাদা পড়তে হয়,
তাকে তারাবীহ-র নামায বলে।
* তারাবীর নামায
সুন্নাতে মুআক্কাদা।
* বিশ রাকআত তারাবীহ
পড়া সুন্নাতে মুআক্কাদা-আট রাকআত
নয়।
* তারাবীর নামায জামাআতের
সাথে পড়া সুন্নাতে মুআক্কাদায়ে
কেফায়া। মহিলাদের তারাবীর জামা‘আত
করা মাকরূহ তাহরীমী।
* প্রতি চার রাকআত তারাবীর পর
এবং বিশ রাকআতের পর বিতরের
পুর্বে চার রাকআত পরিমাণ বিশ্রাম
করা মোস্তাহাব। জামা‘আতের লোকদের
কষ্ট হওয়ার বা জামা‘আতের লোক
সংখ্যা কম হওয়ার আশংকা হলে এত
সময় বিশ্রাম করবে না বরং কম
করবে।
* এই বিশ্রামের সময় চুপ
করে বসে থাকা, তাসবীহ তাহলীল,
তিলাওয়াত, দুরূদ পড়া বা নফল নামায
পড়া সবই জায়েয। আমাদের
দেশে যে সোবহানা যিল মুল্কি ওয়াল
মালাকূতি ....... তিনবার পড়ার প্রচলন
আছে তাও জায়েয, তবে তা-ই
পড়া জরূরী নয় বরং এই দুআ কোন
হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত নয়। এর
চেয়ে ﺳﺒﺤﺎﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﻭﺍﻟﺤﻤﺪ ﻟﻠﻪ
ﻭﻻﺍﻟﻪ ﺍﻻﺍﻟﻠﻪ ﻭﺍﻟﻠﻪ ﺍﻛﺒﺮ বারবার
পড়তে থাকা উত্তম। এবং এসব দুআ
চিৎকার করে নয়
বরং নীরবে (কিংবা স্বল্প শব্দে)
পড়া মোনাসেব।
* প্রত্যেক চতুর্থ
রাকআতে মোনাজাত করা জায়েয
আছে কিন্তু বিশ
রাকআতের পর বিতরের পূর্বে দু‘আ
করাই আফযল। (বেহেশতী জেওরঃ ১ম)
তবে কোথাও প্রতি চার রাকআতের পর
মুনাজাত করলে কঠোর
ভাবে তাতে বাঁধা দেয়া কিংবা না করা হলে
মুসল্লীগণের পক্ষ থেকে ইমামকে করার
জন্য হুকুম দেয়া সংগত নয়।
* যদি কেউ মসজিদে এসে দেখেন ঈশার
জামাআত হয়ে গিয়েছে এবং তারাবীহ শুরু
হয়ে গিয়েছে তখন
তিনি একা একা ইশা পড়ে নিয়ে তারপর
তারাবীহ্-র জামা‘আত শরীক হবেন।
ইত্যবসরে যে কয় রাক‘আত তারাবীহ
ছুটে গিয়েছে তা তিনি তারাবীহ ও বেতর
জামা‘আতের সাথে আদায় করার পর
পড়বেন।
খতম তারাবীর মাসায়েলঃ
* রমযান মাসে তারাবীর
মধ্যে তারতীব অনুযায়ী একবার
কুরআন শরীক খতম করা (পড়া/শুনা)
সুন্নাতে মুআক্কাদা।
* তারাবীর খতমের মধ্যে যে কোন
একটি সূরার শুরুতে বিসমিল্লাহির
রহমানির রহীম জোরে পড়া চাই,
নতুবা শ্রোতাদের খতম পূর্ণ হবে না।
* নাবালেগের
পিছনে এক্তেদা করা দুরস্ত নয়, চাই
ফরয নামাযে হোক বা তারাবীর নামায
হোক।
* ইচ্ছাকৃত ভাবে ভুল
লোকমা দিয়ে হাফেজকে পেরেশান
করা নিষিদ্ধ।
* তারাবীহ্তে এত দ্রƒত তিলাওয়াত
করা যে বুঝে আসে না- এরূপ তিলাওয়াত
ছওয়াবের পরিবর্তে গোনাহের কারণ
হয়ে দাঁড়ায়।
* হাফেজ সাহেব যদি ভুলে গিয়ে চুপ-চাপ
দাঁড়িয়ে অথবা বৈঠকের সময়
তাশাহ্হুদের
আগে বা পরে চিন্তা করতে থাকেন
এবং এর মধ্যে এক রুকন পরিমাণ
(তিনবার সোবহানাল্লাহ বলার পরিমাণ)
সময় অতিবাহিত হয়ে যায়,
তাহলে সাজদায়ে সাহো দিতে হবে।
* কোন আয়াত ভুলে থেকে গেলে বা ভুল
পড়া হয়ে থাকলে পরবর্তী দুগানায় (দুই
রাকআতে) বা পরবর্তী যে কোন দিন
সেটা পড়ে নিতে হবে, নতুবা খতম পূর্ণ
হবে না।
* খতমের দিন তারাবীর মধ্যেই খতম
করার পর শেষ রাকআতে সূরা বাকারার
শুরু থেকে ﻣﻔﻠﺤﻮﻥ পর্যন্ত
পড়া মোস্তাহাব।
* তারাবীর মধ্যে খতমের সময়
সূরা এখলাস তিনবার পড়া মাকরূহ।
(অর্থাৎ, শরী‘আতের বিশেষ নিয়ম
মনে করে এরূপ আমল করা মাকরূহ।)
* তারাবীর মধ্যে সূরা ﻭﺍﻟﻀﺤﻲ
থেকে শেষ পর্যন্ত সূরাগুলোর পর ﺍﻟﻠﻪ
ﺍﻛﺒﺮ বলা মাকরূহ। নামাযের
বাইরে এরূপ আমল করা যায়।
* তারাবীর বিনিময়ে পারিশ্রমিক
দেয়া নেয়া জায়েয নয়, তবে হাফেজ
সাহেবের যাতায়াত ভাড়া ও
খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা করা বিধেয়।
সুত্র:বেহেস্তী যেওর,ফাতওয়ায়ে দারুল
উলুম ইত্যাদী


Post by Dawtul Haq.
Blog eidtor_Syed Rubel.
ইহুদী, খৃষ্টান, হিন্দু ,বৌদ্ধ, নাস্তিক ও দেশের নারীবাদীদের ইসলামের বিরুদ্ধে করা সকল অপপ্রচারের দাঁত ভাঙ্গাঁ জবাব দেখুন এই পোস্ট টি থেকে

শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের কে জানার সুযোগ দিন ।আপনি জেনেছেন হয়তো সে জানেনা ।আমার ব্লগ বাড়ীতে বেড়াতে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।সাথে থাকুন সব সময় ।আল্লাহ্ হাফেজ ।

কোন মন্তব্য নেই :