বিধি-নিষেধের মানদণ

কোন মন্তব্য নেই
মাসআলা
১. মনে রাখতে হবে যে, শরীয়তের
যে কোন সিদ্ধান্ত এবং হুকুমের
পেছনে অবশ্যই কারণ থাকে। এই
কারণকে ইসলামী ফেকাহের পরিভাষায়
‘ইল্লত’ বলা হয়। যে কোন হুকুম
এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে এই
ইল্লতই হচ্ছে মূল ভিত্তি।
হয়তো ইল্লতের
কারণে একটি বস্তুকে হারাম
অথবা হালাল বলার পর হারামকে হালাল
আর হালালকে হারাম বলার দ্বারা লাভ
এবং উপকার হতে পারে অথবা কোন
বিশেষ অবস্থায় তা বিশেষ সুবিধার
কারণও হতে পারে- শরীয়তের
পরিভাষায় এটাকে মুসলিহাত বলা হয়।
‘ইল্লত’ এবং ‘মুসলিাহত’ এক বস্তু নয়।
উভয়টি ভিন্ন ভিন্ন জিনিস। উভয়ের
মধ্যে মৌলিকভাবে পার্থক্য রয়েছে।
শরীয়তের হুকুমসমূহ ‘ইল্লতের’র উপর
নিভরশীল হয়; ‘মুসলিহাতের’ উপর নয়।
বলা যায় যে, ‘ইল্লত’
হলো প্রতিটি হুকুমের জন্য মূল
এবং ভিত্তি স্বরূপ। আর ‘মুসলিহাত’
হচ্ছে, তা থেকে উদগত পরিণাম
এবং ফলাফল। এ
বিষয়টি আরো পরিষ্কারভাবে এভাবে
বলা যায় যে, ‘ইল্লত’ থেকে হুুকম
নির্গত হয় আর হুকুম থেকে ‘মুসলিহাত’
বের হয়। সুতরাং বুঝা গেল উভয়ের
মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। তাই কোন
হুকুমের হালাল এবং হারাম হওয়া নির্ভর
করে ইল্লতের উপর; মুসলিহাতের উপর
নয়। অতএব যেহেতু ফটো হারাম হওয়ার
কার্যকর ইল্লত বিদ্যমান রয়েছে,
এমতাবস্থায় মুসলিহাতের
অজুহাতে শরীয়ত কর্তৃক হারামকৃত
কোন ধরনের ফটো তোলাই হালাল
বা জায়েয হতে পারে না। নসব-
নামা দাদার স্থানে নাতিকে উল্লেখ
করলে যেমন নসব-নামায় ও
বংশসূত্রে বিকৃতির সৃষ্টি হয়,
তেমনিভাবে ইল্লতের
স্থলে মুসলিহাতকে প্রাধান্য দিয়ে হুকুম
পরিবর্তনে প্রয়াসী হলে ইজতেহাদের
ধারাবাহিকতায় বিকৃতি সাধিত হয়। ২.
যে সমস্ত অপরাধের ব্যাপারে শরীয়ত
কর্তৃক অভিশাপ ও কঠোর আযাবের
ভয় প্রদর্শন করা হয়েছে, সে সমস্ত
গোনাহকে কবীরা গোনাহ বলা হয়,
অকাট্য প্রমাণ ব্যতীত মুসলিহাতের
দোহাই দিয়ে এগুলোকে হালাল
অথবা জায়েয বলার কোন সুযোগ নেই।
৩. কোন জিনিসের
মধ্যে একটি অথবা একাধিক উপকার
লাভের সম্ভাবনা ঐ জিনিস জায়েয
হওয়ার পক্ষে কখনো দলীল
হতে পারে না। হ্যাঁ শরীয়তগত
উপকারিতার বিষয়টি ভিন্ন;
সে সম্পর্কে পূর্বে আলোচনা করা
হয়েছে। আল্লাহ পাকের সৃষ্টি সবকিছুই
মূলত উপকারী। মদ্যপান ও
জুয়া ইত্যাদির মধ্যেও
উপকারিতা রয়েছে; কিন্তু তাই
বলে এগুলোকে জায়েয বলা হয়নি। ৪.
প্রয়োজনে এবং বিশেষ বিশেষ অবস্থায়
মস্তকবিহীন দেহের বা ছিন্ন অংশের
ফটো তোলার অনুমতি রয়েছে। ৫.
এমনকি বিশেষ প্রয়োজনে (যার
বিস্তারিত
আলোচনা পূর্বে করা হয়েছে এবং যে
সম্পর্কে শরীয়ত কর্তৃক নির্ধারিত
শর্তাবলী ফেকাহের
কিতাবসমূহে বিদ্যমান রয়েছে)
প্রয়োজানীয়
শর্তাবলী সাপেক্ষে পুরো দেহের
ফটো তোলারও অনুমতি রয়েছে। ৬.
রূপচর্চা করা, প্রদর্শনী করা আর
বিশেষ প্রয়োজন ও অপরাগতা এক
জিনিস নয়; সুতরাং উভয়টিকে এক
মানদণ্ডে বিচার করা যুক্তিযুক্ত
হবে না। ৭. শরীয়তের হুকুম-আহকাম ও
সিদ্ধান্তাবলী একান্ত
বাস্তববিমুখী হয়ে থাকে। অবাস্তব
বা নিছক ধারণার উপর
ভিত্তি করে শরীয়তের হুকুম-আহকাম
নির্ধারিত হয়না। কার্টুন ছবি জায়েয
হওয়ার যে সমস্ত উপকারিতার
কথা বলা হয়, এগুলো কোন হুকুমের
ইল্লত হতে পারে না।
হয়তো এগুলোকে মুসলিহাত
বলা যেতে পারে। আর হালাল-হারামের
হুকুম মুসলিহাতের উপর নয়;
বরং ইল্লতের উপর নির্ভরশীল।


Post by Dawtul Haq.

Blog eiditor_Syed Rubel.ইহুদী, খৃষ্টান, হিন্দু ,বৌদ্ধ, নাস্তিক ও দেশের নারীবাদীদের ইসলামের বিরুদ্ধে করা সকল অপপ্রচারের দাঁত ভাঙ্গাঁ জবাব দেখুন এই পোস্ট টি থেকেশেয়ার করে আপনার বন্ধুদের কে জানার সুযোগ দিন ।আপনি জেনেছেন হয়তো সে জানেনা ।আমার ব্লগ বাড়ীতে বেড়াতে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।সাথে থাকুন সব সময় ।আল্লাহ্ হাফেজ ।

কোন মন্তব্য নেই :