আদলের বিধান

কোন মন্তব্য নেই
এ সম্পর্কে বিস্তারিত অবগতির জন্য
কিতাবাদি অধ্যায়ন করা জরুরী।
এখানে মালেকী মাজহাবের প্রসিদ্ধ
আলেম ইবনুল আরাবীর
উক্তি উদ্ধৃতি করা হলো তিনি বলেন-
ﺍﺫﺍﻛﺎﻧﺖ ﺍﻻﺳﺎﺋﺔ ﻣﻦ ﻗﺒﻞ ﺍﻟﺰﻭﺝ
ﻓﺮﻕ ﺑﻴﻨﻬﺎ
“যদি স্বামী তার স্ত্রীর সাথে খারাপ
আচরণ করে তাহলে উভয়ের
মাঝে বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন
করে দিবে।”
এই সমস্ত ব্যাপারে বিস্তারিত
অবগতির পর কতক লোকের এই
দাবী অর্থহীন হয় যে, ২য় বিবাহের
সাথে সাথে প্রথম স্ত্রীকে বৈবাহিক
সম্পর্ক ছিন্ন করার অধিকার
দেয়া উচিত। শুধু এই আশংকার
কারণে যে, যে লোক ২য় বিবাহ
করে সে আদল করতে সক্ষম হবে না।
অথচ এ ধরনের দাবী সাধারণ জ্ঞানের
দৃষ্টিতেও অতন্ত অযৌক্তিক
এবং অদূরদর্শিতার পরিচায়ক।
কেননা হতে পারে যে, এই স্বামী ২য়
বিবাহের পর পূর্বের তুলনায় স্ত্রীদের
প্রতি এবং তাদের অধিকার আদায়ের
প্রতি অধিক মনযোগী হবে। এজন্যেই
শরীয়ত ২য় বিবাহের
সাথে সাথে স্ত্রীদের উপর স্বামীর
জুলুম ইত্যাদি সাব্যস্ত হওয়া ব্যতীত
স্বামীকে জালেম বিবেচিত করে না।
অতএব অপরাধ সাব্যস্ত
হওয়া ছাড়া শাস্তি প্রদান
করা কী করে যুক্তিযুক্ত হতে পারে?
আদল কাকে বলে?
উপরোক্ত আলোচনায় বারবার আদল
শব্দটি উল্লেখ করা হয়েছে, এজন্য
আদল কী জিনিস, কাকে বলে এর অর্থ
কী, এ সম্পর্কে আলোচনা প্রয়োজন, এ
সম্পর্কে-
ক. প্রসিদ্ধ হানাফী ফকীহ
আল্লামা আলাউদ্দীন কাসানী তার
কিতাব বাদায়ে সানায়েতে বলেন-
ﻓﺈﻥ ﻛﺎﻥ ﻟﻪ ﺃﻛﺜﺮ ﻣﻦ ﺍﻣﺮﺃﺓ
ﻓﻌﻠﻴﻪ ﺍﻟﻌﺪﻝ ﺑﻴﻨﻬﻦ ﻓﻲ
ﺣﻘﻮﻗﻬﻦ ﻣﻦ ﺍﻟﻘﺴﻢ ﻭﺍﻟﻨﻔﻘﺔ
ﻭﺍﻟﻜﺴﻮﺓ ﻭﻫﻮ ﺍﻟﺘﺴﻮﻳﺔ ﺑﻴﻨﻬﻦ
ﻓﻲ ﺫﻟﻚ ﺣﺘﻰ ﻟﻮ ﻛﺎﻧﺖ ﺗﺤﺘﻪ
ﺍﻣﺮﺃﺗﺎﻥ ﺣﺮﺗﺎﻥ ﺃﻭ ﺃﻣﺘﺎﻥ ﻳﺠﺐ
ﻋﻠﻴﻪ ﺃﻥ ﻳﻌﺪﻝ ﺑﻴﻨﻬﻤﺎ ﻓﻲ
ﺍﻟﻤﺄﻛﻮﻝ ﻭﺍﻟﻤﺸﺮﻭﺏ ﻭﺍﻟﻤﻠﺒﻮﺱ
ﻭﺍﻟﺴﻜﻨﻰ ﻭﺍﻟﺒﻴﺘﻮﺗﺔ
“যার একাধিক
স্ত্রী আছে তাকে সকলের অধিকার
সমানভাবে আদায় করতে হবে।
প্রয়োজনীয় খরচপাতি, বাসস্থান
এবং রাত্রিযাপনের ক্ষেত্রেও
সমতা রক্ষা করতে হবে। এর নামই
হচ্ছে আদল, বস্তুত:
যদি কারো স্ত্রী দুইজন হয়,
তাহলে তাদের দুজনের বেলায় খাওয়া-
দাওয়া, বাসস্থান এবং রাত্রি যাপনের
মধ্যেও সমতা রক্ষা করতে হবে।
একজনকে আর একজনের উপর
অগ্রাধিকার দিতে পারবে না।
হানাফী মাজহাবে আদলের
ব্যাপারে বিশেষ পাবন্দী করার নির্দেশ
রয়েছে। অনেক সময় কোন স্ত্রীর
মধ্যে বিশেষ গুণ থাকে যে কারণে তার
প্রতি স্বামীর মন অধিক আকৃষ্ট
হতে পারে। যেমন, রূপ,
যুবতী এবং কুমারী হওয়া ইত্যাদি। এ
সমস্ত গুণাবলীর সুবাদেও এক
স্ত্রীকে আর এক স্ত্রীর উপর
অগ্রাধিকার দেয়ার অনুমতি নেই। যেমন
আল্লামা কাসানী লিখেন-
ﻟﻴﺴﺘﻮﻯ ﻓﻲ ﺍﻟﻘﺴﻢ ﺍﻟﺒﻜﺮ ﻭﺍﻟﺜﻴﺐ
ﻭﺍﻟﺜﻴﺎﺑﺔ ﻭﺍﻟﻌﺠﻮﺯﺓ ﻭﺍﻟﻘﺪﻳﻤﺔ
ﻭﺍﻟﺤﺪﻳﺜﺔ ﻻﻧﻬﻤﺎ ﻟﻴﺴﺘﻮﻳﺎﻥ ﻓﻲ
ﺳﺒﺐ ﻭﺟﻮﺏ ﺍﻟﻘﺴﻢ ﻭﻫﻮ ﺍﻟﻨﻜﺎﺡ
ﻓﻴﺴﺘﻮﻳﺎﻥ ﻓﻲ ﻭﺟﻮﺏ ﺍﻟﻘﺴﻢ -
ﺍﻟﺒﺪﺍﺋﻊ ﺍﻟﺼﻨﺎﺋﻊ
অর্থাৎ উভয় স্ত্রীর সাথে সম্পর্ক
এবং সদাচারনের শরীয়তগত কারণ
এক,অর্থাৎ বিবাহ, সুতরাং উভয়ের
সাথে এক ধরনের সমতাপূর্ণ আচরণ
করা জরুরী। সে মতে কুমারী, বৃদ্ধা,
যুবতী, বয়স্কা নতুন, পুরাতন,
মোটকথা সর্ব প্রকার স্ত্রীগণ সমান
অধিকারী,সুতরাং সকলের সাথে আচরণ
ব্যবহারও সমান সমান
হতে হবে,পার্থক্য করা জায়েয হবে না।


সূত্রঃ বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তরদাওয়াতি সংগঠন মজলিসে দাওয়াতুলহক। এর মৌল উদ্দেশ্য মানব জীবনেসকল ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত ওআদর্শের প্রতিফলন ঘটানো।কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লামের ইত্তিবা-অনুসরণের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলারইবাদত আনুগত্যের দাবি পূরণ করাই হলএকজন মুসলমানের ইহকালীন জীবনেরমূল উদ্দেশ্য।।শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের কে জানার সুযোগ দিন ।আপনি জেনেছেন হয়তো সে জানেনা ।আমার ব্লগ বাড়ীতে বেড়াতে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।সাথে থাকুন সব সময় ।আল্লাহ্ হাফেজ ।

কোন মন্তব্য নেই :