পরিত্যক্ত সম্পদ - দিকনির্দেশনামূলক বিধান

কোন মন্তব্য নেই
পরিত্যক্ত সম্পদ
পরিত্যক্ত শব্দের দ্বারা একটি বিষয়
সুস্পষ্টভাবে বুঝা যায় যে, কোন
ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করার পর
সে যে সহায় সম্পত্তি রেখে যায় সেই
সম্পত্তির বন্টন
বিধানকে উত্তরাধিকার বিধান বলে।
এতে বুঝা যায় যে, মৃত্যুর পূর্ব
পর্যন্ত মাল সম্পদে উত্তরাধিকারীর
অধিকার লাভ হয় না। বরং মৃত্যুর পরই
এই অধিকার অর্জন হয় এবং তখন
যারা তার নিকটতম আত্মীয়
থাকে কেবল তারাই এর অধিকারী হয়।
আর যারা তার জীবদ্দশায় মৃত্যুবরণ
করেছেন তারা (বর্তমানে যারা জীবিত
আছে তাদের তুলনায় অধিক নিকটতম
হলেও) উত্তরাধিকারী হবে না।
সুতরাং তাদের কোন নিকটতম জীবিত
লোক মোটেই এই
সূত্রে উত্তরাধিকারী হবে না।
পরিত্যক্ত সম্পত্তির বন্টন বিধান
নির্ধারণ করেই শরীয়ত ক্ষান্ত হয়
নাই। এ সম্পর্কে অনেক
জরুরী বিষয়াদীকে বিস্তারিতভাবে
বর্ণনা করেছে। আর এসব
বর্ণনা গভীরভাবে বিবেচনা করলে বুঝা
হয় যে, এগুলো অত্যন্ত
যুক্তিযুক্ত,বাস্তব ভিত্তিক ও
স্বভাব সম্মত। যেমন বলা হয়েছে যে,
মৃত্যুর সময় বংশসূত্রে যে তার
সর্বাধিক নিকটতম, পরিত্যক্ত সম্পদ
বন্টনের বেলায়
সেই নিকটতম বিবেচিত হবে। আর
যে দূরে, তাকে দূরের বিবেচনা করা হবে।
আর যেখানে জ্ঞানের
আলোকে নিকটতম এবং দূরতম
বিবেচনা কঠিন হয় সেখানে নিকটতম
এবং দূরতমকে শরীয়ত
স্বয়ং পরিস্কারভাবে নিধারণ
করে দিয়েছে। যেমন মৃত ব্যক্তির
পিতা এবং পুত্র দুজনই বংশ
সূত্রে নিকটতম হওয়ার
ব্যাপারে বাহ্যিক দৃষ্টিতে সমান।
মানবিক জ্ঞানের দ্বারা কে নিকটতম
আর কে দূরতম এই সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত
করা কঠিন, তাই এ ব্যাপারে শরীয়ত
সরাসরি সিদ্ধান্ত দান করেছে,
যা উত্তরাধিকারী সংক্রান্ত
কিতাবাদীতে বিদ্যমান রয়েছে।
দিকনির্দেশনামূলক বিধান
ইসলামী বিধান সম্পর্কে অবগতির
পরও প্রচলিত উত্তরাধিকারী আইনের
সংশোধিত বিধানকে গ্রহণ করার
প্রতি বিশেষ জোর দেয়া হচ্ছে।
এবং সেই সংশোধিত বিধান মুতাবিক
উত্তরাধিকারী নির্ধারণের
কথা বলা হচ্ছে অথচ এই বিধান
কার্যকর করা হলে শরীয়তের মৌলিক
বিধান সম্পূর্ণভাবে খতম হয়ে যাবে।
এই সংশোধিত বিধানে পিতার
জীবদ্দশায় মৃত পুত্রের সন্তানদের
জন্যও অংশ ধার্য করা হয়েছে।
ইসলামী বিধান বিশ্বাসীদের জন্য এই
বিধান মোটেই গ্রহণযোগ্য
হতে পারে না। এ কারণেই মুসলিম
আইনবিদগণ এই সংশোধিত আইনের
বিরুদ্ধে ঐক্যমত পোষণ করে গেছেন।
প্রসিদ্ধ ফেকাহবিদ আবু বকর জাচ্ছাছ
বলেন-
ﻭﻟﻢ ﻳﺨﺘﻠﻒ ﺃﻫﻞ ﺍﻟﻌﻠﻢ ﻓﻲ ﺃﻥ
ﺍﻟﻤﺮﺍﺩ ﺑﻘﻮﻟﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﻳﻮﺻﻴﻜﻢ
ﺍﻟﻠﻪ ﻓﻲ ﺃﻭﻻﺩﻛﻢ ﺃﻭﻻﺩ ﺍﻟﺼﻠﺐ
ﻭﺇﻥ ﻭﻟﺪ ﺍﻟﻮﻟﺪ ﻏﻴﺮ ﺩﺍﺧﻞ ﻣﻊ ﻭﻟﺪ
ﺍﻟﺼﻠﺐ ﻭﺃﻧﻪ ﺇﺫﺍ ﻟﻢ ﻳﻜﻦ ﻭﻟﺪ
ﺍﻟﺼﻠﺐ ﻓﺎﻟﻤﺮﺍﺩ ﺃﻭﻻﺩ ﺍﻟﺒﻨﻴﻦ ﺩﻭﻥ
ﺃﻭﻻﺩ ﺍﻟﺒﻨﺎﺕ )ﺍﺣﻜﺎﻡ ﺍﻟﻘﺮﺍﻥ
ﺝ ২ﺹ৮)
আদিকাল থেকে অদ্যাবধি সমস্ত
আইনবিদগণ একমত রয়েছেন যে, এই
আয়াতের উদ্দেশ্য পিতার আপন
সন্তানগণ। তাই পিতার আপন পুত্র
জীবিত থাকাবস্থায় নাতিগণ এর
অন্তর্ভুক্ত নয়। যদি আপন কোন
পুত্র না থাকে কেবল তখনই নাতি,
নাতনীগণ উত্তরাধিকারী নির্ধারিত
হবে। আর মেয়ের সন্তানরা তখনও
উত্তরাধিকারী নয়। ফারায়েজ বিদ্যায়
বিশেষজ্ঞানের অধিকারী সাহাবী যায়েদ
ইবনে সাবেত কর্তৃক বর্ণিত হাদীস
বুখারী শরীফে সুস্পষ্টভাবে উদ্ধৃত
হয়েছে যে,
ﻭﻗﺎﻝ ﺯﻳﺪ ﻭﻟﺪ ﺍﻷﺑﻨﺎﺀ ﺑﻤﻨﺰﻟﺔ ﺍﻟﻮﻟﺪ
ﺇﺫﺍ ﻟﻢ ﻳﻜﻦ ﺩﻭﻧﻬﻢ ﻭﻟﺪ ﺫﻛﺮ
ﺫﻛﺮﻫﻢ ﻛﺬﻛﺮﻫﻢ ﻭﺃﻧﺜﺎﻫﻢ
ﻛﺄﻧﺜﺎﻫﻢ ﻳﺮﺛﻮﻥ ﻛﻤﺎ ﻳﺮﺛﻮﻥ
ﻭﻳﺤﺠﺒﻮﻥ ﻛﻤﺎ ﻳﺤﺠﺒﻮﻥ ﻭﻻ ﻳﺮﺙ
ﻭﻟﺪ ﺍﻻﺑﻦ ﻣﻊ ﺍﻻﺑﻦ )ﺑﺨﺎﺭﻱ
ﺝ ২ﺹ৯৯৭) ﻭﻗﺎﻝ ﺍﻟﻌﻴﻨﻲ ﻓﻲ
ﺍﻟﻌﻤﺪﺓ )ﺝ ১১ﺹ৯৯৭ ) ﻭﻫﺬﺍ
ﺍﻟﺬﻱ ﻗﺎﻟﻪ ﺯﻳﺪ ﺇﺟﻤﺎﻉ
পুত্র না থাকলে নাতিগণ সন্তানের
স্থলাভিষিক্ত হয়, আর পুত্র
থাকাবস্থায় নাতিগণ অংশীদার হয় না।
আল্লামাহ আইনী উমদাতুল
কারীতে বলেন, যায়েদ রা. এই মতের
উপর উম্মতের ঐক্যমত রয়েছে।


সূত্রঃ বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তরদাওয়াতি সংগঠন মজলিসে দাওয়াতুলহক। এর মৌল উদ্দেশ্য মানব জীবনেসকল ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত ওআদর্শের প্রতিফলন ঘটানো।কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লামের ইত্তিবা-অনুসরণের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলারইবাদত আনুগত্যের দাবি পূরণ করাই হলএকজন মুসলমানের ইহকালীন জীবনেরমূল উদ্দেশ্য।।শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের কে জানার সুযোগ দিন ।আপনি জেনেছেন হয়তো সে জানেনা ।আমার ব্লগ বাড়ীতে বেড়াতে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।সাথে থাকুন সব সময় ।আল্লাহ্ হাফেজ ।

কোন মন্তব্য নেই :