চট্টগ্রাম নার্সিং কলেজে হিজাব নিষিদ্ধ করার আসল কারণ

কোন মন্তব্য নেই
ঈমান আক্বিদা ও মর্যাদা রক্ষায়
ওদের সাহস দেখে মনে পড়ে যায়
সুমাইয়া (রাঃ) , আসমা (রাঃ) , জয়নাব
আল গাজালি দের কথা । মুসলিম জাতির
পুরুষেরা যখন হয়ে পড়েছে বুজদিল-
কাপুরুষ , তখন ছোট বোনদের
দৃঢ়তা আমাদের রেনেসাঁর
ব্যাপারে আশাবাদী হতে শেখায় ।
চট্টগ্রাম নার্সিং কলেজে নিছক
বিদ্বেষ পরায়ন হয়েই হিজাবের
ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে ।
অধ্যক্ষা বলছেন ,হিজাব
বিজ্ঞানসম্মত না ।
এতে নাকি Infection ছড়ায় ! এমন
অজ্ঞ মহিলা কী করে প্রিন্সিপাল হন
আমার বুঝে আসেনা । নাকি তার
মাথা নষ্ট হয়ে গেছে ?
Opportunistic এবং Hospital
acquired Infection থেকে বাঁচার
জন্য যেখানে নাক মুখ মাথা ও শরীর
পরিস্কার কাপড়
দিয়ে ঢাকা জরুরি সেখানে তিনি নিয়ে
এসেছেন নতুন Infection তত্ব !
বিশাল বে-জ্ঞানী ! Infection
ছড়ানোর জন্য সবচেয়ে বেশি Prone
area হলো Hair & Hairy area ,
এইটাও জানেন না!
ড্রেসকোডের দোহাই দেয়া হয়েছে ।
ড্রেসকোডে কোথাও লেখা আছে হিজাব
পড়া যাবেনা ?
ড্রেসকোডে লেখা আছে মাথায় ক্যাপ
পড়তে হবে ।
মেয়েরা বলেছে তারা ক্যাপের
নিচে হিজাব পড়বে , এতে ড্রেসকোডের
লঙ্ঘনটা কোথায় হয় ? হিজাব পড়ার
কারণে ক্লাস থেকে বের করে দেয়ার
নোটিশ দিয়েছেন , নির্দিষ্ট শু , বেল্ট
না পড়লে ক্লাস থেকে বের
করে দিয়েছেন কাউকে ? দিয়েছেন কোন
নোটিশ ? তাহলে ড্রেস কোডে এটাও
লিখে দেন কোন দোকান
থেকে কতটাকা মুল্যে কাপড় কিনে কোন
দর্জির কাছে সেলাই করতে হবে !
এতে আপনারও টুপাইস
সুবিধে হবে বৈকি ! অন্যদোকান
থেকে কাপড় কিনলে ড্রেসকোড লঙ্ঘন
বলতে পারবেন !
কোড অনুযায়ী সঠিক সময়ে কয়দিন
অফিসে এসেছেন ? কয়জন
কর্মচারিকে সঠিক
সময়ে অফিসে না আসায় বরখাস্ত
করেছেন ? কোডের দোহাই দেন , ৯০%
মুসলিমের দেশে মুসলিমদের জন্য ফরজ
পর্দা নিষিদ্ধ করে ড্রেসকোড বানান
কিকরে আপনারা ? লজ্জা করেনা ?
আপনার প্রতিষ্ঠানে ৯০% শিক্ষক-
শিক্ষিকা অমুসলিম হতে পারে, কিন্তু
দেশের ৯০% মানুষ ধর্ম্প্রাণ মুসলিম
এ কথাটা আপনাদের মনে রাখা উচিত ।
আইন করা হয়েছে –
কাউকে পর্দা করতে বাধ্য
করা যাবেনা , কিন্তু কাউকে পর্দাহীন
হতে বাধ্য করা যাবে এমন আইন
এখনো আমাদের চোখে পড়েনি ।
অর্ধনগ্ন থাকা যদি আপনাদের
অধিকার হয় তাহলে কেউ হিজাব
ব্যবহার করলে আপনার
সমস্যা কোথায় ?
আরও ন্যাক্কারজনক
ঘটনাগুলো শুনে স্তম্ভিত হতে হয় ।
অমুসলিম
শিক্ষিকা জুতো পায়ে মসজিদে ঢুকে গর্ব
করে বলেছেন -কোথায় তোদের
আল্লাহ ? অমুসলিম সুইপার
দিয়ে কোরআন হাদিস
ঘাটাঘাটি করানো হয়েছে । গল্প-
উপন্যাসের বইয়ের মত কুরআন-
হাদিসের বই ছুড়ে ফেলা হয়েছে ।
মেয়েদেরকে ঘরে তালা দিয়ে রাখা হয়েছে ।
দিনের পর দিন তাদের ক্রমাগত
অপমান করা হয়েছে ,
হুমকিধমকি দেয়া হয়েছে , মানসিক
নির্যাতন করা হয়েছে । প্রতিবাদ
ঠেকাতে একাডেমিক ক্যালেন্ডার লঙ্ঘন
করে প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থীদের
দীর্ঘদিন ছুটিতে রাখা হয়েছে ।
সাংবাদিকদের
কাছে কান্নাকাটি করে নিগৃহীত
মেয়েরা বলেছে এসব কথা ।
এগুলো কী প্রমাণ করে ? ড্রেসকোড
নাকি ইসলাম ও পর্দাবিদ্বেষ
কোনটি আসল কারণ ?
সারাবিশ্বে লক্ষ লক্ষ ডাক্তার নার্স
হিজাব পড়ে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন ,আর এই
উজবুকরা তত্ব দিচ্ছে হিজাব
নাকি সেবার পথে প্রতিবন্ধক !
বেপর্দা হয়ে নার্সিং করলে নামাজ
পড়া লাগেনা এই ফতোয়া দেয়ার
অধিকার কে দিয়েছে আপনাদের ?
আল্লাহকে ভয় করুন । এই
দাবি মেনে নেয়া আপনাদের পরাজয়
নয় ,বোঝার চেষ্টা করুন । অন্ধত্ব
ঘুঁচিয়ে চোখটা খুলুন ,সকল ছাত্র-
ছাত্রীকে সন্তানের মত ভাবুন ।
যারা এই নোট পড়ছেন, পরিচিত কেউ
এই বিভাগের সাথে জড়িত
থাকলে তাদেরকে বলুন এই
বিষয়ে অবুঝদের বুঝাতে । অতিসত্বর
কর্তৃপক্ষের শুভবুদ্ধির উদয় হোক এই
কামনা করছি ।
নিচের লিঙ্কটি দেখুন
http://www.youtube.com/
watch?v=xg5-GqRLGik

ব্লগ সম্পাদক ও এ্যাডমিনঃসৈয়দ রুবেল উদ্দিন
Next post "যেই দরজাটি কেউ বন্ধ করতে পারে না
ব্লগের প্রকাশিত পোস্ট গুলি ফেসবুকে শেয়ার করে আমাদের চলার পথকে আরো গতিময় করে তুলুন ।আমরা দিন রাত খাটিয়ে পোস্ট গুলি লেখি ।ব্লগে প্রকাশ করে আপনাদেরকে উপহার দেয় ।আপনারা যদি শেয়ার না করেন?তাহলে আমরা তো সামনে এগিয়ে যেতে পারবোনা ।আমার ব্লগ বাড়ীতে বেড়াতে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।সাথে থাকুন সব সময় ।আল্লাহ্ হাফেজ ।

কোন মন্তব্য নেই :