সমান অধিকারের প্রপাগাণ্ডা - নারী পুরুষ সমান অধিকারের অর্থ

কোন মন্তব্য নেই
সমান অধিকারের প্রপাগাণ্ডা
জাতীসংঘ সনদে নারী পুরুষ সমান
অধিকারের প্রস্তাব গ”হিত হয়েছে।
এর দোহাই তুলে অনেকেই ইসলামী আইন
বিধানের উপর আপত্তি উত্থাপন
করে থাকেন, তাদেরকে প্রশ্ন
করা যেতে পারে যে, সমান অধিকারের
মাপকাঠি অথবা সংজ্ঞা কী? নারী পুরুষ
সৃষ্টি এবং স্বভাবগত পার্থক্য
বাকী রেখে সর্বাবস্থায়
সর্বক্ষেত্রে নারী পুরুষদের
মধ্যে সমান অধিকার
প্রতিষ্ঠা করা হবে না কি?
যদি হ্যাঁ উত্তর হয়, তাহলে দ্বিতীয়
প্রশ্ন হচ্ছে যে, আপনারা এ ধরনের
সমতার দৃষ্টান্ত— কোথায় কোথায়
স্থাপন করেছেন। ইউরোপীয়ান
দেশসমূহে বসবাসকারী নারী পুরুষদের
কারা কতভাগ সমান অধিকারের
ভিত্তিতে সরকারী বেসরকারী বিভিন্ন
প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পদে কমরত
আছে? কতজন মহিলাকে এ পর্যন্ত
প্রধানমন্ত্রী করা হয়েছে? সামরিক
বাহিনীতে তাদের কতজন উচ্চপদের
অধিকারী হয়েছেন? কমণ্ডো ইনচিপ
কতজন? পাইলট কতজন? উচ্চ পদের
কথা বাদই যাক, সাধারণ পদে কতজন
মহিলাকে নিয়োগ করা হয়েছে? বিশ্বাস
করুন, যদি উত্তর দেয়া হয়
তাহলে উত্তর এটাই হবে যে, না, কোন
পদেই সমতার নজীর নাই। তাই কোন
ধরনের বাদানুবাদ, তর্ক-বিতর্ক
পরিহার করে নির্দ্বিধায়
বলা যেতে পারে যে, নারীপুরুষের দৈহিক
গঠন, জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত
নানা অবস্থা এবং উভয়ের আবেগ-
অনুভূতি থেকে সুস্পষ্টভাবে বোঝা যায়
যে, সম্পূর্ণ ভিন্ন ভিন্ন স্বভাব
প্রক”তি দিয়ে তাদের
সৃষ্টি করা হয়েছে এবং প্রক”তিও
তাদের কর্মক্ষেত্র ভিন্ন ভিন্ন
দেখতে চায়। এ প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্র ও
সমাজের সকল ক্ষেত্রে নারী পুরুষের
সমতা প্রতিষ্ঠার ধ্বনি নিছক আবেগ
এবং অদূরদর্শীতা ছাড়া আর
কি হতে পারে?
নারী পুরুষ সমান অধিকারের অর্থ
এই মুহূর্তে প্রখ্যাত দার্শনিক আলেম
ইবরাহীম বেলয়াভী সাহেবের উক্তির
উদ্ধৃতি যথার্থ মনে হয়। তিনি বলেন,
ইসলামী চিন্তাধারা মতে সমান
অধিকারের অর্থ আইন কানুনের বেলায়
নয় বরং আইন কানুন প্রয়োগের
ক্ষেত্রে সমতা রক্ষা করা।
আল্লামা ইবরাহীম বেলয়াভীর উক্তির
অর্থ এই যে, নারী পুরুষদের মধ্য
সৃষ্টিগত এবং স্বভাবগত বিরাট
পার্থক্যের কারণে উভয়ের জন্য এক
ধরনের আইনকানুন প্রণয়ন তো মোটেই
উপকারী নয় এবং হতেও
পারে না বরং উভয়ের উপকারের
তাগীদে অনেক আইন কানুনে পার্থক্য
থাকা জরুরী। তবে এই পার্থক্যের
অজুহাতে কাউকে অগ্রাধিকার
দেয়া সমীচীন
হবে না এবং কারো অধিকার খর্ব
করা যাবে না। অতীব গুরুত্বপূর্ণ এই
বক্তব্যের আলোকে নির্দ্বিধায়
বলা যেতে পারে যে, জাতীসংঘের সমান
অধিকার আইন যদি অভিজ্ঞ
এবং দুরদর্শী পণ্ডিতগণ
এভাবে প্রণয়ন করে থাকেন যে,
আইনে উভয়ের মধ্যে সমতা কার্যকর
করার প্রতি গুরুত্বারোপ
করা হয়েছে,এবং এর অর্থও উনিশ বিশ
পার্থক্যের সাথে আইনের প্রয়োগই
হওয়া উচিত। সর্বক্ষেত্রে উভয়ের
জন্য এক ধরনের আইন প্রণয়নের
কথা মোটেই উদ্দেশ্য
নয়,তাহলে তা যথার্থ। অন্যথায় তাদের
এই সিদ্ধান্ত না জ্ঞানসম্মত বিবেচিত
হবে,না বাস্তবতার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ
হবে।

সূত্রঃ বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তরদাওয়াতি সংগঠন মজলিসে দাওয়াতুলহক। এর মৌল উদ্দেশ্য মানব জীবনেসকল ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত ওআদর্শের প্রতিফলন ঘটানো।কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লামের ইত্তিবা-অনুসরণের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলারইবাদত আনুগত্যের দাবি পূরণ করাই হলএকজন মুসলমানের ইহকালীন জীবনেরমূল উদ্দেশ্য।।শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের কে জানার সুযোগ দিন ।আপনি জেনেছেন হয়তো সে জানেনা ।আমার ব্লগ বাড়ীতে বেড়াতে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।সাথে থাকুন সব সময় ।আল্লাহ্ হাফেজ ।

কোন মন্তব্য নেই :