তালাকের বিধান - তালাকের গলদ প্রয়োগ

কোন মন্তব্য নেই
তালাকের বিধান
মুসলমানদের বৈবাহিক বিধি-বিধানের
মধ্যে তালাকের বিষয়টি বহুল
আলোচিত। এ
ব্যাপারে সমালোচনাকারীগণ
বলে থাকে যে,
ইসলামে পুরুষদেরকে তালাকের
ব্যাপারে বল্গাহীনভাবে অধিকার
দেয়া হয়েছে এবং এই অধিকার
থেকে মহিলাদের সম্পূর্ণভাবে বঞ্চিত
করে জুলুম করা হয়েছে।
সামাজিকভাবে অধিক তালাকের
কারণে এই মাসলাটি সর্বাধিক আলোচ্য
এবং সমালোচনার বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছি।
যারা সমালোচনা করে থাকে তারা বাস্তব
অবাস্তব ঘটনাবলীর আশ্রয়ে নারীদের
অধিকার খর্বের
এবং পুরুষদেরকে অযাচিত অধিকার
দেয়ার প্রোপাগাণ্ডা করত:
প্রমাণাদি পেশ করার পরিবর্তে আবেগ
বশীভূত করে সমাজকে বিব্রত করার
প্রচেষ্টা চালায়।
তারা এক্ষেত্রে অনেক সময় অত্যন্ত
অদূরদর্শীতার পরিচয় দেয়। অথচ
একথা সর্বজনস্বীকৃত যে, দুনিয়ার
যে কোন উত্তম এবং উপকারী বিধানের
অপপ্রয়োগ ঘটলে ভয়াবহ পরিণাম
সৃষ্টি হতে পারে। কিন্তু গলদ প্রয়োগের
কারণে এক দুইটি দুঃখজনক পরিণামের
কারণে কোন
বিধানকে অপকারী অথবা জুলুমের
বিধান বলে আখ্যা দেয়া মোটেই সমীচীন
হয় না।
কোন বিধানের পরীক্ষা নিরীক্ষার
নিয়ম
ইসলামের অন্যান্য বিধি বিধানের ন্যায়
তালাকের ব্যাপারেও আরোপিত শর্ত
সমূহের অনুসরণ
করে সঠিকভাবে বিবেচনা করা হলে
তালাকের বিধানেও কোন
ত্রুটি গোচরীভূত হবে না,
বরং প্রয়োজনীয়তা এবং উপকারিতাও
দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট হয়ে উঠবে।
আর অযৌক্তিক প্রোপাগাণ্ডার
কারণে সৃষ্ট গলদ অনুভূতির
পরিবর্তে ইসলামের অন্যান্য
নীতিমালার মত তালাক বিধানের
বৈশিষ্টসমূহও উজ্জল হয়ে উঠবে।
তালাকের গলদ প্রয়োগ
একথা সত্য যে, সমাজের
সর্বস্তরে সৃষ্ট
অরাজকতা এবং উচ্ছৃংখলতার
প্রভাবে বর্তমান যুগের শিক্ষিত
লোকেরাও শরীয়ত প্রদত্ত্ব তালাকের
অধিকারকে অধিক পরিমাণে প্রয়োজন
ব্যতীত বরং অনর্থক প্রয়োগ
করে থাকে। কিন্তু
গভীরভাবে চিন্তা করা প্রয়োজন যে,
কোন লোকের ভুল পদক্ষেপ
এবং মূর্খতার জন্য তাকে দোষারোপ
এবং দায়ী করার পরিবর্তে ইসলাম
এবং শরীয়তের
সমালোচনা করা এবং তালাকের
বিধানকেই অযৌক্তিক বলার
যৌক্তিকতা কোথায়? এ ধরনের
সমালোচনা সঠিক হবে কী করে?
নেহায়েত অনন্যোপায় অবস্থায় শেষ
পর্যায়ে বাধ্য হয়ে বিশেষ প্রয়োজনের
সময় স্বামী স্ত্রীর কল্যাণ
চিন্তা করেই কেবল তালাকের
অনুমতি দেয়া হয়েছে এবং স্বামীর জন্য
স্বীয় তালাকের অধিকার
প্রয়োগকে বৈধ করা হয়েছে।

সূত্রঃ বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তরদাওয়াতি সংগঠন মজলিসে দাওয়াতুলহক। এর মৌল উদ্দেশ্য মানব জীবনেসকল ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত ওআদর্শের প্রতিফলন ঘটানো।কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লামের ইত্তিবা-অনুসরণের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলারইবাদত আনুগত্যের দাবি পূরণ করাই হলএকজন মুসলমানের ইহকালীন জীবনেরমূল উদ্দেশ্য।।শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের কে জানার সুযোগ দিন ।আপনি জেনেছেন হয়তো সে জানেনা ।আমার ব্লগ বাড়ীতে বেড়াতে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।সাথে থাকুন সব সময় ।আল্লাহ্ হাফেজ ।

কোন মন্তব্য নেই :