অধিকার আদায়ের জন্য শর্তাবলী - বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্নকরার অধিকার

কোন মন্তব্য নেই
অধিকার আদায়ের জন্য শর্তাবলী
প্রত্যেক মানুষ নিজে নিজের অবস্থা,
স্বভাব এবং সামর্থ সম্পর্কে যতটুকু
অবগত এবং অনুভব
করতে পারে অন্যের ব্যাপারে মোটেই
ততটুকু অবগত হতে পারে না ।
একারণেই শরীয়ত মানুষকে আল্লাহ
পাকের আদালতে জবাব দিহিতার
প্রতি হুশিয়ারি বাণী উচ্চারণ করত:
মানুষের প্রতি এই দায়িত্ব ন্যস্ত
করেছে যে, তারা যেন নিজেদের
অবস্থা এবং সামর্থ
বিবেচনা করে বিবাহ করা এবং না করার
সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। বিবাহের
মুহূর্তে খুতবা নির্বাচনের অন্যতম
তাৎপর্যও এটাই মনে হয়। খুৎবার
মাধ্যমে বিশেষ করে স্বামীকে উপদেশ
করা হয় এবং আল্লাহ পাকের
ভয়ভীতির কথা স্মরণ করানো হয়।
খুৎবার মধ্যে পবিত্র কুরআনের
যে তিনটি আয়াত তেলাওয়াত
করা সুন্নত সেই আয়াত সমূহেও
আল্লাহর ভয়ভীতির বিষয়বস্তু
বিশেষভাবে উল্লেখ রয়েছে। এই কারণেই
শরীয়ত কর্তৃক এমন কোন শর্ত
বাধ্যতামূলক ভাবে আরোপিত
হয়নি যে শর্ত উপেক্ষিত হলে বিবাহ
বিধান বিঘিœত হবে। এ কারণেই
ফকীহগণ দ্বিতীয় বিবাহের
পূর্বে আদলের শর্তারোপ
করেছেন,কিন্তু আদল প্রতিষ্ঠার
সুনিশ্চয়তার কোন প্রকার শর্ত
আরোপ করেন
নি বরং সুনিশ্চয়তা বিহীন আদলের
শর্তে বিবাহকেই যথেষ্ট বলে মন্তব্য
করেছেন। কারণ বিবাহের
পূর্বে সুনিশ্চয়তা বিধানের কোন
অকাট্য উপায় নেই। কেননা দেখা যায়
যে, কোন লোক বিবাহের পূর্বে অত্যন্ত
রূক্ষ সভাবের ছিল,কিন্তু বিবাহের পর
সে সম্পূর্ণ পরিবর্তন হয়ে পড়ে,
অপরদিকে অনেকের সভাবে ভদ্রতা,
নম্রতা এবং শিষ্টাচারিতা দেখা যায়
কিন্তু বিবাহের পর তার সেই সভাব
পরিলক্ষিত হয় না অথবা স্বীয় স্ত্রীর
সাথে হয় না। এজন্যই বিবাহের
পূর্বে চুড়ান্ত শর্ত আরোপ
করা সম্ভব নয়।
এ ব্যাপারে আল্লামা ইবনুল
আরাবী বলেন-
ﺩﻟﻴﻞ ﺧﻄﺎﺏ ﻫﺬﻩ ﺍﻵﻳﺔ ﺳﺎﻗﻂ
ﺑﺎﻹﺟﻤﺎﻉ ، ﻓﺈﻥ ﻛﻞ ﻣﻦ ﻋﻠﻢ ﺃﻧﻪ
ﻳﻘﺴﻂ ﻟﻠﻴﺘﻴﻤﺔ ﺟﺎﺯ ﻟﻪ ﺃﻥ ﻳﺘﺰﻭﺝ
ﺳﻮﺍﻫﺎ ، ﻛﻤﺎ ﻳﺠﻮﺯ ﺫﻟﻚ ﻟﻪ ﺇﺫﺍ
ﺧﺎﻑ ﺃﻻ ﻳﻘﺴﻂ )ﺍﺣﻜﺎﻡ ﺍﻟﻘﺮﺍﻥ
ﺝ ১ﺹ১২৯)
অর্থাৎ এই আয়াতের কেউ এই অর্থ
করে নাই যে, আদলের
ব্যাপারে আশংকা হলে একাধিক বিবাহ
করা যাবে না বরং আশংকা সত্ত্বেও
সকলের নিকট একাধিক বিবাহের
অনুমতি রয়েছে। কেননা বিবাহের
পূর্বে আদলের ব্যাপারে সুনিশ্চিত
হওয়ার কোন উপায় নেই।
বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্নকরার অধিকার
হ্যাঁ বিবাহের পর যদি স্বামী একমাত্র
স্ত্রী, অথবা একাধিক স্ত্রীদের
অধিকার আদায়ে ব্যর্থ হয়, স্ত্রীদের
মধ্যে সমতা রক্ষা করতে পারে না বরং
জুলুম অত্যচার করে,এ ধরনের বাস্তব
আপত্তির পর মজলুম স্ত্রী জালেম
স্বামীর হাত থেকে মুক্তি লাভ
করতে পারে,শীয়তের তার জন্য মুক্তির
পথ সুগম করে রেখেছে। এমন
স্ত্রী ইচ্ছা করলে প্রয়োজনে আদালতের
স্বরণাপন্ন হতে পারে।আদালত শরীয়ত
কর্তৃক বিধি-বিধান
এবং শর্তাবলি বিবেচনা করে স্ত্রীর
মুকাদ্দামা এবং ফরিয়াদ যথাযথ
সাব্যস্ত হলে উভয়ের মাঝে বিদ্যমান
বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন ঘোষণা করবে।


সূত্রঃ বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তরদাওয়াতি সংগঠন মজলিসে দাওয়াতুলহক। এর মৌল উদ্দেশ্য মানব জীবনেসকল ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত ওআদর্শের প্রতিফলন ঘটানো।কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লামের ইত্তিবা-অনুসরণের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলারইবাদত আনুগত্যের দাবি পূরণ করাই হলএকজন মুসলমানের ইহকালীন জীবনেরমূল উদ্দেশ্য।।শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের কে জানার সুযোগ দিন ।আপনি জেনেছেন হয়তো সে জানেনা ।আমার ব্লগ বাড়ীতে বেড়াতে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।সাথে থাকুন সব সময় ।আল্লাহ্ হাফেজ ।

কোন মন্তব্য নেই :