সমালোচনাকারীদের উক্তি - অবান্তর উক্তি

কোন মন্তব্য নেই
সমালোচনাকারীদের উক্তি
যারা একাধিক
স্ত্রী রাখাকে যুক্তিযুক্ত মনে করে না,
তাদের মধ্যে এমন লোকও আছেন
যারা নিজেদেরকে ইসলামী আইনকানূনে
পারদর্শী এবং কুরআন হাদীসের
জ্ঞানে জ্ঞানী মনে করেন। তাদের
জন্য ঐ সমস্ত আয়াত এবং হাদীসসমূহ
অস্বস্থির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে,
যে গুলির দ্বারা একাধিক স্ত্রী রাখার
অনুমতি স্পষ্টভাবে সাব্যস্ত হয়।
তারা ঐ সমস্ত আয়াত এবং হাদীস
সমূহের আশ্চর্যজনক অর্থ
এবং ব্যাখ্যা করে থাকে।
যেমন তারা বলে যে, শরীয়তের উদ্দেশ্য
একাধিক স্ত্রীর রাখার
অনুমতি প্রদান করা নয় বরং প্রচলিত
একাধিক স্ত্রী গ্রহণের
ব্যাপকতাকে সীমিত করা, কিন্তু
অভিজ্ঞজনেরা জানেন যে, আয়াতের
আর্থিক
ব্যাপকতাকে যুক্তি ছাড়া সীমিত
করণের দাবী কোন কালে কারো নিকট
গ্রহণ যোগ্য হয় নাই।বরং দাবীর
পক্ষে যথাযথ প্রমানাদির প্রয়োজন
হয়।
তাদের দাবীর পক্ষে পবিত্র কুরআন ও
পবিত্র হাদীসের কোন সমর্থন নাই
এবং মুসলিম মনীষীদের পক্ষ থেকেও এই
দাবী সমর্থনের পক্ষে কোন বক্তব্য
নাই।
বরং এই দাবীর
বিপক্ষে পরিস্কারভাবে পবিত্র
কুরআনে বলা হয়েছে যেÑ
ﻓَﺎﻧْﻜِﺤُﻮﺍ ﻣَﺎ ﻃَﺎﺏَ ﻟَﻜُﻢْ ﻣِﻦَ
ﺍﻟﻨِّﺴَﺎﺀِ ﻣَﺜْﻨَﻰٰ ﻭَﺛُﻠَﺎﺙَ ﻭَﺭُﺑَﺎﻉَ
অর্থ: মেয়েদের মধ্যে থেকে যাদের ভাল
লাগে তাদের বিয়ে করে নাও দুই, তিন,
কিংবা চারটি পর্যন্ত।
এই আয়াতের দ্বারা একাধিক
স্ত্রী রাখার অনুমতির
ব্যাপকতা সাব্যস্ত হয়, সীমিতকরণ
মোটেই সাব্যস্ত হয় না।
অবান্তর উক্তি
এক শ্রেণীর লোকেরা বলে যে, পবিত্র
কুরআনের যে আয়াতের দ্বারা একাধিক
স্ত্রী রাখার অনুমতি উদ্ভাবিত হয়,
সেই আয়াতে একথাও বলা হয়েছে যে,
যদি ন্যায়
এবং সমতা রক্ষা করা না যায়,
তাহলে এক স্ত্রী এবং কৃতদাসী গনই
যথেষ্ট। এরপর অপর
আয়াতে পরিস্কারভাবে বলা হয়েছে যে,
তোমাদের আন্তরিক
প্রচেষ্টা থাকা সত্যেও একাধিক
স্ত্রীর মধ্যে আদল অর্থাৎ
সমতা রক্ষা করা সম্ভব নয়। এখান
থেকে সুস্পষ্টভাবে বুঝা যায় যে, প্রথম
আয়াতে প্রদত্ব একাধিক স্ত্রী রাখার
অনুমতি ২য় আয়াতের দ্বারা রহিত
করা হয়েছে।
এর জবাবে বলা যেতে পারেÑ
ক. এ ধরনের উক্তি করার সময়
তারা মোটেই
চিন্তা করে না অথবা করতে চায় না যে,
এরূপ অর্থ করার পরিনামে পবিত্র
কুরআনের দুই আয়াতের
মধ্যে মারাত্মক বিরোধ সৃষ্টি হয়।
অথচ কুরআনের এক আয়াতের
সাথে আর এক আয়াতের প্রকৃত বিরোধ
না থাকা একান্ত জরুরী।
খ. তারা কি এই মনে করে যে বর্তমান
যুগের চালাক-প্রশাসকদের মতই
আল্লাহ পাক
মানুষকে সমস্যা সমাধানের
প্রতিশ্র“তি দিয়েছেন মাত্র? আর
প্রকৃত অর্থে এর কোন
বাস্তবতা নেই। যদি তাদের
অনুভূতি এরূপই
হয়ে থাকে তাহলে পরিষ্কারভাবে বলে
দেয়া উচিৎ। অন্যথায় তাদের উচিত
তারা যেন আল্লাহ পাকের কালামের
তত্ত্ব রহস্য এবং তাৎপর্য
নিয়ে গবেষণা করে, কেননা নিরপেক্ষ
এবং গভীরতার
সাথে গবেষণা করলে তাদের ভুল
ধরা পরবে এবং প্রকৃত তত্ত্ব বের
হয়ে আসবে। তখন তারা বুঝতে সক্ষম
হবে সে কোন আয়াতের সাথে অন্য
আয়াতের বিরোধ হয় না এবং আল্লাহ
পাকের প্রতিশ্র“তিও অর্থহীন হয় না।
গ. আর একটি বিষয় চিন্তা করা উচিত
যে, তারা আয়াতের যে অর্থ করেছে।
বিগত ১৪শত বৎসর পর্যন্ত কেও
এরূপ অর্থ করে নাই। বরং প্রতি যুগেই
এই আয়াতের পরিপ্রেক্ষিতে উলামাগণ
একাধিক স্ত্রী রাখার
অনুমতি বুঝে আসছে এবং এই মুতাবিক
আমল চালু রয়েছে।
ঘ. তাছাড়া যে আয়াতে ইনসাফের
কথা বলা হয়েছে এবং বলা হয়েছে যে,
তোমরা কোন স্ত্রীর
প্রতি এমনভাবে আকৃষ্ট অথবা লিপ্ত
হয়ো না যে, অন্যান্য স্ত্রীগণ
লটকানো অবস্থায় অসহায়
হয়ে পড়ে থাকে, যদি একাধিক
স্ত্রী রাখার অনুমতি রহিত
করা হয়ে থাকে তাহলে এই আয়াতের
অর্থ কী হবে?
ঙ. সুনানে বাইহাকী (৭/১৪৯)
এবং তিরমিজীতে (১/১৫৪)
আছে সাহাবী গাইলান ছাকাফী যখন
ইসলাম গ্রহণ করেন, তখন তার
সাথে তার দশজন স্ত্রীও ইসলাম গ্রহণ
করেন, তখন রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে চারজন
স্ত্রী রেখে অবশিষ্ট
ছয়জনকে ছেড়ে দিতে বলেন। যদি এই
আয়াতের দ্বারা একাধিক স্ত্রী রাখার
হুকুম সাব্যস্ত
না হতো তাহলে রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম কী করে একাধিক
স্ত্রী রাখার অনুমতি দিলেন,
তাহলে কী তারা রাসূলে পাকের তুলনায়
পবিত্র কুরআনের অর্থ অধিক
অনুধাবন করতে পেরেছে?

সূত্রঃ বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তরদাওয়াতি সংগঠন মজলিসে দাওয়াতুলহক। এর মৌল উদ্দেশ্য মানব জীবনেসকল ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত ওআদর্শের প্রতিফলন ঘটানো।কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লামের ইত্তিবা-অনুসরণের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলারইবাদত আনুগত্যের দাবি পূরণ করাই হলএকজন মুসলমানের ইহকালীন জীবনেরমূল উদ্দেশ্য।।শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের কে জানার সুযোগ দিন ।আপনি জেনেছেন হয়তো সে জানেনা ।আমার ব্লগ বাড়ীতে বেড়াতে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।সাথে থাকুন সব সময় ।আল্লাহ্ হাফেজ ।

কোন মন্তব্য নেই :