শবে বরাত ও প্রাসংগিক কিছু কথা*পর্ব ১

কোন মন্তব্য নেই
প্রবন্ধটি পড়া হলে, শেয়ার
করতে ভুলবেন না
লেখক : ড. আবু বকর মুহাম্মাদ
যাকারিয়া
শবে বরাত আভিধানিক অর্থ
অনুসন্ধান
‘শব’ ফারসি শব্দ। অর্থ রাত
বা রজনী। বরাত শব্দটিও
মূলে ফারসি। অর্থ ভাগ্য। দু’শব্দের
একত্রে অর্থ হবে, ভাগ্য-রজনী।
বরাত শব্দটি আরবি ভেবে অনেকেই
ভুল করে থাকেন। কারণ ‘বরাত’
বলতে আরবি ভাষায় কোন শব্দ নেই।
যদি বরাত শব্দটি আরবি বারা’আত
শব্দের অপভ্রংশ ধরা হয় তবে তার
অর্থ হবে— সম্পর্কচ্ছেদ
বা বিমুক্তিকরণ। কিন্তু
কয়েকটি কারণে এ
অর্থটি এখানে অগ্রাহ্য,
মেনে নেয়া যায় না-
১. আগের
শব্দটি ফারসি হওয়ায়
‘বরাত’ শব্দটিও
ফারসি হবে, এটাই
স্বাভাবিক
২. শা’বানের
মধ্যরজনীকে আরবি ভাষার
দীর্ঘ পরম্পরায় কেউই
বারা’আতের
রাত্রি হিসাবে আখ্যা দেননি।
৩. রমযান মাসের
লাইলাতুল
ক্বাদরকে কেউ-কেউ
লাইলাতুল বারা’আত
হিসাবে নামকরণ
করেছেন, শা‘বানের
মধ্য রাত্রিকে নয়।
আরবি ভাষায় এ
রাতটিকে কি বলা হয়?
আরবি ভাষায় এ রাতটিকে ‘লাইলাতুন
নিছফি মিন শা‘বান’ — শাবান মাসের
মধ্য রজনী — হিসাবে অভিহিত
করা হয়।
শাবানের মধ্যরাত্রির কি কোন
ফযীলত বর্ণিত হয়েছে?
শাবান মাসের মধ্য রাত্রির ফযীলত
সম্পর্কে কিছু হাদীস বর্ণিত হয়েছে:
১. আয়েশা (রাদিয়াল্লাহু আনহা)
বলেন: এক রাতে আমি রাসূল
(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
কে খুঁজে না পেয়ে তাঁকে খুঁজতে বের
হলাম,
আমি তাকে বাকী গোরস্তানে পেলাম।
তখন রাসূল (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
আমাকে বললেন: ‘তুমি কি মনে কর,
আল্লাহ ও তাঁর রাসূল তোমার উপর
জুলুম করবেন?’ আমি বললাম:
‘হে আল্লাহর রাসূল!
আমি ধারণা করেছিলাম
যে আপনি আপনার অপর কোন
স্ত্রীর নিকট চলে গিয়েছেন। তখন
রাসূল (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: ‘মহান
আল্লাহ তা’লা শা‘বানের
মধ্যরাত্রিতে নিকটবর্তী আসমানে অবতীর্ণ
হন এবং কালব গোত্রের ছাগলের
পালের পশমের চেয়ে বেশী লোকদের
ক্ষমা করেন।
হাদীসটি ইমাম আহমাদ তার
মুসনাদে বর্ণনা করেন (৬/২৩৮),
তিরমিযি তার
সুনানে (২/১২১,১২২)
বর্ণনা করে বলেন, এ
হাদীসটিকে ইমাম বুখারী দুর্বল
বলতে শুনেছি।
অনুরূপভাবে হাদীসটি ইমাম
ইবনে মাজাহ তার সুনানে (১/৪৪৪,
হাদীস নং ১৩৮৯) বর্ণনা করেছেন।
হাদীসটির সনদ দুর্বল বলে সমস্ত
মুহাদ্দিসগণ একমত।
২. আবু মূসা আল
আশ’আরী (রাদিয়াল্লাহু আনহু)
থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেনঃ ‘আল্লাহ তা‘আলা শাবানের
মধ্যরাত্রিতে আগমণ করে, মুশরিক
ও ঝগড়ায় লিপ্ত ব্যক্তিদের
ব্যতীত, তাঁর সমস্ত
সৃষ্টিজগতকে ক্ষমা করে দেন।
হাদীসটি ইমাম ইবনে মাজাহ তার
সুনানে (১/৪৫৫, হাদীস
নং ১৩৯০),এবং তাবরানী তার
মু’জামুল কাবীর (২০/১০৭,১০৮)
গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন।
আল্লামা বূছীরি বলেন: ইবনে মাজাহ
বর্ণিত হাদীসটির সনদ দুর্বল।
তাবরানী বর্ণিত হাদীস
সম্পর্কে আল্লামা হাইসামী (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি)
মাজমা‘ আয যাওয়ায়েদ (৮/৬৫)
গ্রন্থে বলেনঃ ত্বাবরানী বর্ণিত
হাদীসটির সনদের সমস্ত
বর্ণনাকারী শক্তিশালী।
হাদীসটি ইবনে হিব্বানও তার
সহীহতে বর্ণনা করেছেন। এ
ব্যাপারে দেখুন, মাওয়ারেদুজ
জাম‘আন, হাদীস নং (১৯৮০),
পৃঃ (৪৮৬)।
৩. আলী ইবনে আবী তালিব
(রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত,
তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
“যখন শা‘বানের
মধ্যরাত্রি আসবে তখন
তোমরা সে রাতের কিয়াম
তথা রাতভর নামায পড়বে, আর
সে দিনের রোযা রাখবে; কেননা সে দিন
সুর্যাস্তের সাথে সাথে আল্লাহ
তা‘আলা দুনিয়ার আকাশে অবতরণ
করেন এবং বলেন: ক্ষমা চাওয়ার
কেউ
কি আছে যাকে আমি ক্ষমা করব।
রিযিক চাওয়ার কেউ
কি আছে যাকে আমি রিযিক দেব।
সমস্যাগ্রস্ত কেউ
কি আছে যে আমার কাছে পরিত্রাণ
কামনা করবে আর আমি তাকে উদ্ধার
করব। এমন এমন কেউ কি আছে?
এমন এমন কেউ কি আছে? ফজর
পর্যন্ত তিনি এভাবে বলতে থাকেন”।
হাদীসটি ইমাম ইবনে মাজাহ তার
সুনানে (১/৪৪৪, হাদীস
নং ১৩৮৮) বর্ণনা করেছেন।
আল্লামা বূছীরি (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি)
তার যাওয়ায়েদে ইবনে মাজাহ
(২/১০) গ্রন্থে বলেন, হাদীসটির
বর্ণনাকারীদের
মধ্যে ইবনে আবি সুবরাহ রয়েছেন
যিনি হাদীস বানাতেন। তাই
হাদীসটি বানোয়াট।
উল্লিখিত আলোচনায় এটা স্পষ্ট যে,
শা‘বানের মধ্যরাত্রির ফযীলত
বিষয়ে যে সব হাদীস বর্ণিত
হয়েছে তার সবগুলোই দুর্বল অথবা
বানোয়াট, আর তাই গ্রাহ্যতারহিত।
প্রাজ্ঞ আলেমগণ এ ব্যাপারে একমত
যে, দুর্বল হাদীস দ্বারা কোন
আহকাম- বিধান প্রমাণ করা যায় না।
দুর্বল হাদীসের উপর আমল করার
জন্য কয়েকটি শর্ত লাগিয়েছেন
তারা। শর্তগুলো নিম্নরূপ -
১. হাদীসটির মূল
বক্তব্য অন্য কোন
সহীহ হাদীসের
বিরোধীতা করবেনা,
বরং কোন শুদ্ধ
ভিত্তির উপর
প্রতিষ্ঠিত হতে হবে।
২. হাদীসটি একেবারেই
দুর্বল অথবা বানোয়াট
হলে চলবে না।
৩. হাদীসটির উপর
আমল করার সময়
এটা রাসূল (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
থেকে প্রমাণিত
বলে বিশ্বাস
করা যাবে না। কারণ
রাসূল থেকে প্রমাণিত
বলে বিশ্বাস
করলে রাসূলের উপর
মিথ্যাচারিতার পাপ
হবে, ফলে জাহান্নাম
অবধারিত হয়ে পড়বে।
৪. হাদীসটি ফাদায়িল
তথা কোন আমলের
ফযীলত
বর্ণনা সংক্রান্ত
হতে হবে। আহকাম
(ওয়াজিব, মুস্তাহাব,
হারাম, মাকরূহ)
ইত্যাদি সাব্যস্তকারী না হতে হবে।
৫. বান্দা ও তার
প্রভুর মাঝে একান্ত
ব্যক্তিগত কোন
আমলের
ক্ষেত্রে হাদীসটির
নির্ভরতা নেয়া যাবে।
তবে এ হাদীসের উপর
আমল করার জন্য
একে অপরকে আহবান
করতে পারবে না। এই শর্তাবলীর
আলোকে যদি উপরোক্ত
হাদীসগুলো পরীক্ষা করে দেখি তাহলে দেখতে পাই
যে, উপরোক্ত হাদীসসমূহের
মধ্যে শেষোক্ত _ আলী (রাদিয়াল্লাহু
আনহু)বর্ণিত — হাদীসটি বানোয়াট।
সুতরাং তার উপর আমল
করা উম্মাতের আলেমদের
ঐক্যমতে জায়েয হবে না।
প্রথম হাদীসটি দুর্বল, দ্বিতীয়
হাদীসটিও অধিকাংশ আলেমের
মতে দুর্বল, যদিও কোন-কোন আলেম
এর
বর্ণনাকারীগণকে শক্তিশালী বলে মত
প্রকাশ করেছেন। কিন্তু কেবলমাত্র
বর্ণনাকারী শক্তিশালী হলেই হাদীস
বিশুদ্ধ হওয়া সাব্যস্ত হয়না।
মোট কথাঃ প্রথম ও দ্বিতীয়, এ
হাদীস দুটি দুর্বল। খুব দুর্বল
বা বানোয়াট নয়।
সে হিসেবে যৎকিঞ্চিৎ প্রমাণ
পাওয়া যাচ্ছে যে এ রাত্রির ফযীলত
রয়েছে।
এই সূত্রেই অনেক হাদীসবিদ শাবানের
মধ্যরাতের ফযীলত রয়েছে বলে মত
প্রকাশ করেছেন, তাঁদের
মধ্যে রয়েছেনঃ
ইমাম আহমাদ
(রাহমাতুল্লাহি আলাইহি)
। [ইবনে তাইমিয়া তার
ইকতিদায়ে ছিরাতে মুস্তাকীমে (২/৬২৬)
তা উল্লেখ করেছেন]
ইমাম
আওযায়ী (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি)
। [ইমাম ইবনে রাজাব
তার ‘লাতায়েফুল
মা‘আরিফ’
গ্রন্থে (পৃঃ১৪৪)
তার
থেকে তা বর্ণনা করেছেন]
শাইখুল ইসলাম
ইবনে তাইমিয়া (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি)

[ইকতিদায়ে ছিরাতে মুস্তাকীম
২/৬২৬,৬২৭,
মাজমু‘
ফাতাওয়া ২৩/১২৩,
১৩১,১৩৩,১৩৪]।
ইমাম ইবনে রাজাব আল
হাম্বলী (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি)
। [তার লাতায়েফুল
মা‘আরিফ পৃঃ১৪৪
দ্রষ্টব্য]।
প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস
আল্লামা নাসিরুদ্দিন
আল-
আলবানী (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি)
[ছিলছিলাতুল আহাদীস
আস্সাহীহা ৩/১৩৫-১৩৯]
উপরোক্ত মুহাদ্দিসগনসহ
আরো অনেকে এ রাত্রিকে ফযীলতের
রাত বলে মত প্রকাশ করেছেন।
কিন্তু আমরা যদি উপরে উল্লিখিত
প্রথম ও দ্বিতীয় হাদীসটি পাঠ
করে দেখি তাহলে দেখতে পাব —
আল্লাহ
তা‘আলা নিকটবর্তী আসমানে অবতীর্ণ
হয়ে তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনার
আহবান জানাতে থাকেন —
হাদীসদ্বয়ে এ বক্তব্যই উপস্থাপিত
হয়েছে। মুলত সহীহ হাদীসে সুস্পষ্ট
এসেছে যে, “আল্লাহ
তা‘আলা প্রতি রাতের শেষাংশে –
শেষ তৃতীয়াংশে-
নিকটবর্তী আসমানে অবতীর্ণ
হয়ে আহবান জানাতে থাকেন ‘এমন
কেউ কি আছে যে আমাকে ডাকবে আর
আমি তার ডাকে সাড়া দেব? এমন
কেউ কি আছে যে আমার কাছে কিছু
চাইবে আর আমি তাকে দেব? আমার
কাছে ক্ষমা চাইবে আর
আমি তাকে ক্ষমা করে দেব?” [বুখারী,
হাদীস নং ১১৪৫, মুসলিম হাদীস
নং ৭৫৮]
সুতরাং আমরা এ
হাদীসদ্বয়ে অতিরিক্ত কোন কিছুই
দেখতে পাচ্ছি না। সুতরাং এ রাত্রির
বিশেষ কোন বিশেষত্ব আমাদের
নজরে পড়ছে না। এজন্যই শাইখ
আব্দুল আজীজ ইবনে বায
(রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) সহ
আরো অনেকে এ রাত্রির অতিরিক্ত
ফযীলত অস্বীকার করেছেন।
এ রাত্রি উদযাপন ও এতদসংক্রান্ত
বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর
প্রথম প্রশ্নঃ এ রাত্রি কি ভাগ্য
রজনী?
উত্তরঃ না, এ রাত্রি ভাগ্য
রজনী নয়, মূলতঃ এ রাত্রিকে ভাগ্য
রজনী বলার পেছনে কাজ
করছে সূরা আদ-দুখানের ৩ ও ৪
আয়াত দু’টির ভূল ব্যাখ্যা। তা হলোঃ
ﺇِﻧَّﺎ ﺃَﻧْﺰَﻟْﻨَﺎﻩُ ﻓِﻲ ﻟَﻴْﻠَﺔٍ ﻣُﺒَﺎﺭَﻛَﺔٍ ﺇِﻧَّﺎ
ﻛُﻨَّﺎ ﻣُﻨْﺬِﺭِﻳﻦَ* ﻓِﻴﻬَﺎ ﻳُﻔْﺮَﻕُ ﻛُﻞُّ ﺃَﻣْﺮٍ
ﺣَﻜِﻴﻢٍ – ﺳﻮﺭﺓ ﺍﻟﺪﺧﺎﻥ3:ـ4
আয়াতদ্বয়ের অর্থ হলোঃ “অবশ্যই
আমরা তা (কোরআন) এক মুবারক
রাত্রিতে অবতীর্ণ করেছি, অবশ্যই
আমরা সতর্ককারী, এ
রাত্রিতে যাবতীয় প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয়
স্থিরীকৃত হয়”।
এ আয়াতদ্বয়ের তাফসীরে অধিকাংশ
মুফাসসির বলেনঃ এ আয়াত
দ্বারা রমযানের লাইলাতুল ক্বাদরকেই
বুঝানো হয়েছে। যে লাইলাতুল কাদরের
চারটি নাম রয়েছে: ১. লাইলাতুল
কাদর, ২. লাইলাতুল বারা’আত, ৩.
লাইলাতুচ্ছফ, ৪.লাইলাতুল
মুবারাকাহ। শুধুমাত্র
ইকরিমা (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি)
থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন, এ
আয়াত দ্বারা শা’বানের
মধ্যরাত্রিকে বুঝানো হয়েছে।
এটা একটি অগ্রহণযোগ্য বর্ণনা।
আল্লামা ইবনে কাসীর
(রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন,
আলোচ্য আয়াতে ‘মুবারক রাত্রি’
বলতে ‘লাইলাতুল ক্বাদর
বুঝানো হয়েছে, যেমন আল্লাহ
তা‘আলা বলেছেনঃ
ﺇِﻧَّﺎ ﺃَﻧْﺰَﻟْﻨَﺎﻩُ ﻓِﻲ ﻟَﻴْﻠَﺔِ ﺍﻟْﻘَﺪْﺭِ –
ﺳﻮﺭﺓﺍﻟﻘﺪﺭ1:
আমরা এ কোরআনকে ক্বাদরের
রাত্রিতে অবতীর্ণ করেছি।
(সূরা আল-কাদরঃ১)।
আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেনঃ
ﺷَﻬْﺮُ ﺭَﻣَﻀَﺎﻥَ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﺃُﻧْﺰِﻝَ ﻓِﻴﻪِ
ﺍﻟْﻘُﺮْﺁﻥُ- ﺳﻮﺭﺓ ﺍﻟﺒﻘﺮﺓ185:
রমযান এমন একটি মাস
যাতে কোরআন অবতীর্ণ করা হয়েছে।
(সূরা আলবাকারাহঃ১৮৫)।
যিনি এ রাত্রিকে শা‘বানের
মধ্যবর্তী রাত বলে মত প্রকাশ
করেছেন,
যেমনটি ইকরিমা থেকে বর্ণিত হয়েছে,
তিনি অনেক দূরবর্তী মত গ্রহণ
করেছেন; কেননা কোরআনের সুস্পষ্ট
বাণী তা রমযান
মাসে বলে ঘোষণা দিয়েছে’।
(তাফসীরে ইবনে কাসীর (৪/১৩৭)।
অনুরূপভাবে আল্লামা শাওকানীও এ
মত প্রকাশ করেছেন।
(তাফসীরে ফাতহুল ক্বাদীর
(৪/৭০৯)।
সুতরাং ভাগ্য রজনী হলো লাইলাতুল
ক্বাদর যা রমযানের শেষ দশদিনের
বেজোড় রাত্রিগুলো।
আর এতে করে এও সাব্যস্ত হলো যে,
এ আয়াতের
তাফসীরে ইকরিমা (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি)
মতভেদ করলেও তিনি শা’বানের মধ্য
তারিখের রাত্রিকে লাইলাতুল
বারা’আত নামকরণ করেননি।
দ্বিতীয় প্রশ্নঃ শা’বানের
মধ্যরাত্রি উদযাপন
করা যাবে কিনা?
উত্তরঃ শা’বানের মধ্যরাত্রি পালন
করার কি হুকুম এ নিয়ে আলেমদের
মধ্যে তিনটি মত রয়েছে:

See more part 2
সূত্রঃ quraneralo.comশেয়ার করে আপনার বন্ধুদের কে জানার সুযোগ দিন ।আপনি জেনেছেন হয়তো সে জানেনা ।আমার ব্লগ বাড়ীতে বেড়াতে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।সাথে থাকুন সব সময় ।আল্লাহ্ হাফেজ ।

কোন মন্তব্য নেই :