নারীদের উত্তরাধিকার

কোন মন্তব্য নেই
সাধারণত নারীদের উপর নিজের
এবং অন্য কারো ভরণপোষণের
অথবা অন্য কোন প্রকার খরচ বহনের
দায়িত্ব রাখা হয়নি। উপরন্তু তাদের
বিভিন্নভাবে উত্তরাধিকারী করা
হয়েছে।
১. মা জননী হিসেবে তারা কোন সময়
৩ ভাগের ১ ভাগ আবার কোন সময় ৬
ভাগের ১ ভাগ পায়।
২. দাদী হিসেবে কোন সময় ৩ ভাগের ১
ভাগ আবার কোন সময় ৬ ভাগের ১
ভাগ পায়, অথবা এর কম পায়।
৩. নানী হিসেবে কোন সময় ৩ ভাগের
আবার কোন সময় ৬ ভাগের ১ ভাগ
অথবা কিছু কম পায়।
৪. মেয়ে হিসেবে যদি একা হয় এবং আর
ভাই না থাকে অর্ধেক পায় যদি দুই
অথবা এর অধিক কেবল মেয়ে হয়,
তাহলে সবাই ৩ ভাগের ২ ভাগ পায়।
যদি এক মেয়ে অথবা একাধিক মেয়ে হয়
আর ভাই থাকে তাহলে ছেলেরা মেয়েদের
দ্বিগুণ পাবে।
৫. মেয়ে নাতনী হিসেবে কোন সময়
দাদার অংশ থেকে ২ ভাগের ১ ভাগ
কোন সময় ৬ ভাগের ১ ভাগ। কোন
সময় ভায়ের অংশ থেকে অর্ধেক।
যদি একাধিক কেবল নাতনী হয়,
তাহলে সবাই ৩ ভাগের ২ ভাগ পায়,
যদি মৃত ব্যক্তির সরাসরি সন্তান
না থাকে।
৬. আপন বোন হিসেবে কোন সময় ২
ভাগের ১ ভাগ কোন সময় ৩ ভাগের ২
ভাগ কোন সময় এক ভায়ের অংশ
থেকে অর্ধেক আর যদি বোন দুইজন
অথবা দুয়ের অধিক হয়,
তাহলে সমষ্টিগতভাবে সবাই ৩ ভাগের
২ভাগ।
৭. বৈপিত্রেয় বোন হিসেবে কোন সময়
৬ ভাগের ১ ভাগ, কোন সময়
তারা সংখ্যায় একাধিক হলে ৩ ভাগের
১ অংশ পায়।
৮. বৈমাত্রেয় বোন হিসেবে কোন সময়
৬ ভাগের ১ ভাগ। কোন সময়
তারা সংখ্যায় একাধিক হলে ৩ ভাগের
২ অংশ পায়। আবার অন্য সহোদর
বোন না থাকলে অর্ধেক সম্পত্তি লাভ
করে থাকে।
৯. স্ত্রী হিসেবে কোন সময় ৪ ভাগের
১ ভাগ কোন সময় ৮ ভাগের ১ ভাগ
পায়।
এখানে ঐক্যমত ভিত্তিক অংশগুলোর
বর্ণনা করা হয়েছে। এছাড়াও
পরিত্যক্ত সম্পত্তিতে নারীগণ অংশ
পায়। তবে মনে রাখতে হবে যে,
উপরোক্ত প্রত্যেকটি নিয়মে সব সময়
অংশ পাওয়া জরুরী নয়। কেননা অনেক
সময় মৃত ব্যক্তির নিকটতম আত্মীয়
দূরবর্তীদের অংশের জন্য বাঁধার কারণ
হয়ে দাঁড়ায়। পরিণামে দূরবর্তী আত্মীয়
অংশ পায় না। এই ব্যাপারে পুরুষ
এবং নারীদের বেলায় কোন পার্থক্য
নেই। পরিত্যক্ত সহায় সম্পদের
মধ্যে নারীদের অংশের উক্ত বিবরণ
জানার পর তাদের অংশ কম নির্ধারিত
হয়েছেÑ বলার অবকাশ তো থাকেই
না বরং এসব অংশ তাদের জন্য গনীমত
মনে করা হয়। কেননা মনে করুন, কোন
ব্যক্তি এক ছেলে এবং এক
মেয়ে রেখে মৃত্যুবরণ করলো। আর তার
পরিত্যক্ত তিন হাজার
টাকা থেকে ছেলে দুইহাজার
এবং মেয়ে এক হাজারের অধিকারী হলো।
তারপর ছেলে বিবাহ করার সময় দুই
হাজার টাকা মহর নির্ধারণ
করলো এবং স্ত্রীকে মহর দিয়ে দিল।
অপর দিকে মেয়ের বিবাহেও দুই হাজার
টাকা মহর নির্ধারণ করে সম্পাদন
করা হলো এবং সে স্বামীর পক্ষ
থেকে দুই হাজার মহর বাবদ আদায়
করে নিলো। এতে দেখা যাবে মেয়ের
সম্পদের পরিমান ৩০০০ হয়েছে।
অথচ ছেলের হাতে যা ছিল তা মহর
বাবদ খরচ হয়ে এখন সে খালি হাতে দিন
গণণা করছে। চিন্তা করে দেখুন
কে অধিক টাকার অধিকারী হলো।
এ ক্ষেত্রে যদি কেউ বলে, নারীর
পরিবর্তে পুরুষের উপর জুলুম
হচ্ছে আর জুলুম অবিচার
কারো প্রতি করা ঠিক নয়,
সুতরাং পুরুষের প্রতিই জুলুব হবে কেন?
এ ধরনের আপত্তি উত্থাপন
করা নেহায়েত
বোকামী এবং বুদ্ধিহীনতার পরিচায়ক,
কেননা আল্লাহপাক
পুরুষদেরকে উপার্জন ক্ষমতা দান
করেছেন। এই ক্ষমতার অধিকারী কেবল
পুরুষগণই। এই ক্ষমতা এবং উপার্জন
যোগ্যতা প্রকৃতপক্ষে সমস্ত
অর্থনৈতিক দায়িত্ব এবং খরচ
পাতি বহনেরই বদলা বরং উত্তম
বদলা। এই বিরাট নেয়ামতের মুকাবেলায়
অর্থের পাহাড় এবং অস্থায়ী সহায়
সম্পদ যতই অধিক হোক না কেন
তা আসলে মুল্যহীন।
অপরপক্ষে আল্লাহপাক
নারীকে বাসাবাড়ীর ব্যবস্থাপক
এবং শোভা বানিয়েছেন
এবং তাকে শহরে-বাজারে, কল-
কারখানা এবং ফ্যক্টরীতে শক্তি
পরীক্ষা-
নিরীক্ষা করা এবং উপার্জনের
কষ্টকর মরুভূমিতে দৌড়াদৌড়ি করার
জন্য সৃষ্টিগতভাবেই তৈরি করেন নাই।
কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস যে,
নব্য শিক্ষিত ও
প্রগতিবাদীরা নারীদের প্রতি এমন
অসহনীয় জুলুম ও অবিচার
করে আসছে যে, তাদেরকে সমান
অধিকারের আবাস্তব
ধারনা দিয়ে তাদের দেহগত, স্বভাব গত
এবং সৃষ্টিগত
দুর্বলতা এবং যোগ্যতা সম্পর্কে সঠিক
বিবেচনা না করেই কর্মস্থলে অসহনীয়
কষ্ট করার জন্য তাদেরকে দাঁড়
করিয়ে দিয়েছে। পরিতাপের বিষয়
হচ্ছে এই যে, তারা তাদের এই
বোকামীকে উন্নতি এবং সফলতার পথ
বলে ঘোষণা করেছে।
এর অনিবার্য পারিনাম কোন আলেমের
মুখে নয় বরং ইউরোপীয় এক
বিজ্ঞানী অর্থবিদের মুখে শুনুন,
তিনি বলেন, নারী এখন আর ঘরের
রাণী নয় বরং মিল কারখানার পরিস্কার
পরিচ্ছন্নতা ও হরেক রকমের
পণ্যদ্রব্য প্রস্তুত করা সহ বিভিন্ন
পরিশ্রমের কাজ-কর্ম সম্পাদনের
মেশিনারীতে পরিণত হয়েছে।
তারা রাজপ্রাসাদের রানীর মর্যাদায়
তুষ্ট না হয়ে সরকারী অফিস-
আদালতে সেবাদাসীনীর স্বাদ আস্বাদন
করতে সাজ-সজ্জা করে পথে নেমেছে।
এর বিনিময়ে কি পায় তারা? মাত্র
কয়েকটি টাকা! এই সামান্য
কয়েকটি পয়সার লোভে সে বংশীয়
ঐতিহ্যকে ধ্বংস এবং কলংকিত করছে।
নারীর উপার্জনের অল্প হলেও
একটি অংশ অবশ্যই পুরুষে পায়। কিন্তু
এটাও তো চিন্তা করুন যে, নারীগণ
পুরুষদেরকে ধাক্কা দিয়ে পিছনে রেখেই
তো এই পয়সা অর্জন করছে।
সুতরাং পুরুষদের পয়সা গুলোই যেন
তারা লুট করেছে।তবে হ্যাঁ,নিম্নমানের
কাজ-কর্ম ছাড়াও কিছু কিছু
নারী উন্নত মানের কাজও করে, যেমন:
বানিজ্যিক ভবন, আদালত, শিক্ষা,
টেলিগ্রাম, রেলওয়ে, ও অন্যান্য
বিভাগে নারীগণ কাজ-কর্ম করে থাকে।
কিন্তু উচ্চমানের এই
পদাবলী তাদেরকে স্বীয় বংশ
এবং বংশগত ঐতিহ্য থেকে পরিপূর্ণ
ভাবে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে।
( ﺍﻟﻤﺮﺃﺓ ﺑﻴﻦ ﺍﻟﻔﻘﻪ ﻭﺍﻟﻘﺎﻧﻮﻥ
ﺹ১৭৬)
তাছাড়া নারী স্বাধীনতা এবং যুবক
যুবতীদের অবাধ মেলা মেশার
কারণে যে ভয়াবহ
পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে,
তা লিখতে গেলে কলম কেঁপে উঠে। এ
সম্পর্কে এক মহিলা লেডী কোকের
বক্তব্য পড়–ন। তিনি লিখেছেন, পুরুষ
এবং নারীর অবাধ মেলা মেশায়
নারীরা পুরুষদের চিত্ত বিনোদনের
উপকরণে পরিণত হয়েছে। অবাধ
মেলা মেশার পরিণামে অবৈধ সন্তানের
সংখ্যা মারাত্মক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
যা নারীদের জন্য মহা বিপদের কারণ।
( ﺍﻟﻤﺮﺃﺓ ﺑﻴﻦ ﺍﻟﻔﻘﻪ ﻭﺍﻟﻘﺎﻧﻮﻥ
ﺹ১৯০ )
১৯৬৩ ইং সনের জাতিসংঘের রিপোর্ট
অনুযায়ী কতক শহরে অবৈধ সন্তানের
শতকরা ত্রিশভাগ।
( ﺍﻟﻤﺮﺃﺓ ﺑﻴﻦ ﺍﻟﻔﻘﻪ ﻭﺍﻟﻘﺎﻧﻮﻥ
ﺹ২৪২ )
আর আত্মহত্যা এবং তালাক সমস্যাও
মারাত্মক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আমেরিকায় ১৮৯০ সনে তালাক ছিল
শতকরা ছয় ভাগ যা ১৯৪৮
সনে শতকরা চল্লিশভাগে উন্নিত
হয়েছে।
(ﺍﻟﻤﺮﺃﺓ ﺑﻴﻦ ﺍﻟﻔﻘﻪ ﻭﺍﻟﻘﺎﻧﻮﻥ
ﺹ২৮৭ )
এই ভয়াবহ অবস্থার কারণে ইউরোপের
দুরদর্শী এবং জ্ঞানী মহল প্রকম্পিত
হয়ে উঠেছে এবং মহিলারা দ্রুত
গতিতে ঘরের পরিবেশে ফিরে যেতে শুরু
করেছে। এক পরিসংখ্যানে আমেরিকান
নারীদের শতকরা ৬৪জনই গৃহিনীর
জীবনকে প্রাধান্য দিয়েছে।


সূত্রঃ বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তরদাওয়াতি সংগঠন মজলিসে দাওয়াতুলহক। এর মৌল উদ্দেশ্য মানব জীবনেসকল ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত ওআদর্শের প্রতিফলন ঘটানো।কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লামের ইত্তিবা-অনুসরণের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলারইবাদত আনুগত্যের দাবি পূরণ করাই হলএকজন মুসলমানের ইহকালীন জীবনেরমূল উদ্দেশ্য।।শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের কে জানার সুযোগ দিন ।আপনি জেনেছেন হয়তো সে জানেনা ।আমার ব্লগ বাড়ীতে বেড়াতে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।সাথে থাকুন সব সময় ।আল্লাহ্ হাফেজ ।

কোন মন্তব্য নেই :