সমালোচনাকারীদের দাবী - জুলুম- অত্যাচার

কোন মন্তব্য নেই
সমালোচনাকারীদের দাবী
যারা একাধিক বিবাহ বিধানের
সমালোচনা করে অথবা অত্যন্ত সীমিত
আকারে অনুমতির পূর্বে কঠোর
শর্তারোপের দাবী করে এবং বলে যে,
শর্ত পুরো না হলে বিবাহ অকার্যকর
বলে গণ্য হবে এবং বিবাহ করার উপর
আইনত পাবন্দী করা বাঞ্চনীয়।
তাদেরকে একটি প্রশ্ন
করা যেতে পারে যে, এমন কোন
মানদণ্ড বা কম্পিউটার আছে কি না,
থাকলে সেটা কি? যার মাধ্যমে বিবাহের
পূর্বেই সুনিশ্চিত ভাবে অনুমান
করা সম্ভব হবে যে, ২য়
স্ত্রী ঘরে আসার
সাথে সাথে স্বামী জালিম
এবং অত্যাচারী হয়ে উঠবে।
সে সম্ভাবনার কারণে ২য় বিবাহের পর
স্বামীর দ্বারা জুলুম অত্যাচারের
সম্ভাবনা বিদ্যমান মনে হয়।
স্বামী তার প্রথম স্ত্রীর
সাথে উত্তম ব্যবহার করবে আর জুলুম
করবে না এর কোন নিশ্চয়তা নেই। এই
অজুহাতের কারনে তো প্রথম বিবাহই
আইনত নিষেধ করা প্রয়োজন। কিন্তু
জ্ঞানী মাত্রই জানে যে, এ ধরনের
দাবী অকার্যকর বরং মূর্খতার
পরিচায়ক। এজন্য প্রথম বিবাহের
ক্ষেত্রে কেউ অনুরোপ দাবী উত্থাপন
করে না, সুতরাং ২য় বিবাহের সময়
এরূপ দাবী করা মোটেই যুক্তি যুক্ত
হতে পারে না।
জুলুম- অত্যাচার
যদি কেও ধারণা করে যে, বিবাহের পর
আমার দ্বারা স্ত্রীর অধিকার
পুরো করা সম্ভব হবে না বরং স্ত্রীর
প্রতি জুলুমের
সম্ভাবনা রয়েছে তাহলে প্রথম হোক
আর ২য় ও ৩য় হোক তার জন্য বিবাহ
করা গোনাহের কাজ, তার জন্য বিবাহ
করা থেকে বিরত থাকা উচিত,উম্মতের
নির্ভরযোগ্য ফকীহগণ এরূপ মতামতই
দিয়েছেন।
এ সম্পর্কে প্রসিদ্ধ হানাফী ফকীহ
ইবনে হুমাম তার প্রসিদ্ধ কিতাব
ফাতহুল কাদীরে বলেন-
ﻓﺎﻥ ﻋﺎﺭﺿﻪ ﺧﻮﻑ ﺍﻟﺠﻮﺭ ﻛﺮﻩ
ﺍﻱ ﺗﺤﺮﻳﻤﺎ ﻓﺎﻥ ﺗﻴﻘﻨﻪ ﺣﺮﻡ ﺫﺍﻟﻚ
ﺍﻱ ﺗﻴﻘﻦ ﺍﻟﺠﻮﺭ ﺣﺮﻡ ﺍﺫ ﺍﻟﻨﻜﺎﺡ
ﺍﻧﻤﺎ ﺷﺮﻉ ﻟﻤﺼﻠﺤﺔ ﺗﺤﺼﻴﻦ
ﺍﻟﻨﻔﺲ ﻭﺗﺤﺼﻴﻞ ﺍﻟﺜﻮﺍﺏ ﻭﺑﺎﻟﺠﻮﺭ
ﻳﺄﺛﻢ ﻭﻳﺮﺗﻜﺐ ﺍﻟﻤﺤﺮﻣﺎﺕ ﻓﺘﻨﻌﺪﻡ
ﺍﻟﻤﺼﺎﻟﺢ ﻟﺮﺟﺤﺎﻥ ﻫﺬﻩ ﺍﻟﻤﻔﺎﺳﺪ
যে ব্যক্তি বিবাহের পর জুলুমের
আশংকা বোধ করে তার জন্য বিবাহ
করা মাকরুহ তাহরীমী, আর
যদি আশংকা নয়,বরং জুলুমের
বিষয়টি নিশ্চিত হয়, তাহলে তার জন্য
বিবাহ করা হারাম। কেননা বিবাহ হারাম
থেকে নিজকে মুক্ত রাখা এবং সওয়াব
লাভের উদ্দেশ্যে হালাল
করা হয়েছে,সুতরাং বিবাহের পর
যে ব্যক্তি জুলুম,গুনাহ করে,তার জন্য
এই বিবহই সওয়াব
থেকে মাহরুমী এবং গোনাহের কারণ
হয়ে দাড়াবে, যে কারণে বিবাহের
উপকারিতা লাভ হবে না,এমতাবস্থায়
তার জন্য বিবাহ করা নিষেধ।


সূত্রঃ বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তরদাওয়াতি সংগঠন মজলিসে দাওয়াতুলহক। এর মৌল উদ্দেশ্য মানব জীবনেসকল ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত ওআদর্শের প্রতিফলন ঘটানো।কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লামের ইত্তিবা-অনুসরণের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলারইবাদত আনুগত্যের দাবি পূরণ করাই হলএকজন মুসলমানের ইহকালীন জীবনেরমূল উদ্দেশ্য।।শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের কে জানার সুযোগ দিন ।আপনি জেনেছেন হয়তো সে জানেনা ।আমার ব্লগ বাড়ীতে বেড়াতে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।সাথে থাকুন সব সময় ।আল্লাহ্ হাফেজ ।

কোন মন্তব্য নেই :